লোহার ব্যাথা -যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত ও ভাই কর্মকার আমাদের পুড়িয়ে পিটানাে ছাড়া কি নাহিক কর্ম আর ? কোন ভােরে সেই ধরেছ হাতুরি,রাত্রি গভীর হল, ঝিল্লিমুখর স্তব্ধ পল্লী, তােল গাে যন্ত্র তােল ঠকা ঠাই ঠাই কাদিছে নেহাই, আগুন ঢলছে ঘুমে শ্রান্ত সাঁড়াশি ক্লান্ত ওষ্ঠে আল গােছে ছেনি চুমে। দেখােগাে হেথায় হাপর হRead more
লোহার ব্যাথা
-যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত
ও ভাই কর্মকার
আমাদের পুড়িয়ে পিটানাে ছাড়া কি নাহিক কর্ম আর ?
কোন ভােরে সেই ধরেছ হাতুরি,রাত্রি গভীর হল,
ঝিল্লিমুখর স্তব্ধ পল্লী, তােল গাে যন্ত্র তােল
ঠকা ঠাই ঠাই কাদিছে নেহাই, আগুন ঢলছে ঘুমে
শ্রান্ত সাঁড়াশি ক্লান্ত ওষ্ঠে আল গােছে ছেনি চুমে।
দেখােগাে হেথায় হাপর হাঁপায়, হাতুড়ি মাগিছে ছুটি;
রাত্রি দুপুরে মনে নাহি পড়ে কি ছিলাম আমি ভােরে,
ভাঙ্গিলে গড়িলে সিধা বাঁকা গােল লম্বা চৌকা করে;
কভু আতপ্ত, কভু লাল, কভু উজ্জ্বল রবিসম
কভু বা সলিলে করিলে শীতল অসহ্য দাহ মম।
অজানা দুজনে গাঁয়ে আগুনে জুড়িয়া মিটালে সাধ,
ধড় হতে কভু বাহুল্য বােধে মাথাকে কেটে দিলে বাদ।
ঘন ঘন ঘন পরিবর্তনে আপনা চিনিতে নারি,
স্থির হয়ে যাই ভাবিবারে চাই,পড়ে হাতুড়ির বাড়ি।
আগুনের তাপে সাঁড়াশির চাপে আমি চির নিরুপায়,
তবু সগর্বে ভুলিনি ফিরাতে প্রতি হাতুড়ির ঘায় |
যাহা অন্যায়, হোক না পবল, করিয়াছি প্রতিবাদ;
আমার বুকের কোমল অংশ, কে বলিল তারে খাদ?
তোমার হস্তে ইস্পাত হয়ে সহি শান, পান, পোড়
রামের শত্রু শ্যামে কাটি যদি, তাহে কিবা সুখ মাের ?
তোমার হাতের যন্ত্র যাহারা দিন রাত মরে খেটে,
না বুঝে চাতুরি নেহাই হাতুড়ির ভাই হয়ে ভাই-এর পেটে !
ও ভাই কর্মকার!
রাত্রি সাক্ষী, তােমার উপরে দিলাম ধর্মভার ।
কহ গাে বন্ধু কহ গাে কানে কানে,আপনার প্রানে বুঝি,
আমি না থাকিলে মারা যেত কিনা তােমার দিনের রুজি?
তুমি না থাকিলে আমার বন্ধু কিবা হত তাহে ক্ষতি?
কৃতজ্ঞতা কি পাঠাইয়াছ তাই হাতুড়ির মারফতি।
কি কহিছ ভাই, আমি হব তুমি এই প্রেম সহি যদি?
পিটনের গুনে লােহা কবে হায় পায় কামারের গদি!
In English Font:
Lohar Batha
Jatindranath Sengupta
O bhai kormokar
Amader puriye pithano chara ki nahi kormo ar?
Kon bhore dorche harturi, Ratri ghovir holo,
Jhillimukhor stabdo polli, Tal go jantra tul
Thoka thai thai kadiche nehai, aagun dolche ghume
Sranto sarashi klanto Osthe aal gosche ceni chume.
Dekhogo hethay hapor hapay, haturi magiche chuti;
Ratri dupure mone nahi pore ki chilam ami bhore
Vangile gorile sidha baka gol lomba choka kore;
Kabhu ba aatopto, kabhu lal, kabhu ujjol robishomo
Kabhu ba sholile korile shitol ashojjyo daho momo.
Ojana dujone gaye aagun juriya mitale sadh
Dhor hote kabhu bahullo bodhe mathake kete dile bad.
Ghana ghana ghana poribortone apna chinite nari,
Stir hoye jai bhabibare chai, pore haturir bari.
Aaguner tape sarashir chape ami chiro nirupay
Tabu sogorbe bhulini firate proti haturir ghay.
jaha onnay, hok na pobol, koriyachi protibaad;
Amar buker komol ongsho, Ke bolilo tare khad?
Tumar hoste ispat hoye sohi shan, pan, por
ramer shatru Shyame kati jodi, Tahe kiba shuk mor?
Tumar hather jantra jahara din raat more khete,
na bujhe chaturi nehai haturir bhai hoye bhai-er pete
O bhai kormokar
ratri shakkhi, Tumar upore dilam dharmobhar.
Koho go bondhu koho kane kane, apnar prane bujhi,
Ami na thakile mara jeto kina tumar diner ruji?
Tumi na thakile amar bandhu kiba hoto tahe khoti?
Kritoggota ki pataiyacho tai haturir marfoti.
Ki kohicho bhai, Ami hobo tumi ei prem shohi jadi?
Pitoner gune loha kobe hay pay kamarer godi!
এক কোটি বছর তোমাকে দেখি না -মহাদেব সাহা এক কোটি বছর হয় তোমাকে দেখি না একবার তোমাকে দেখতে পাবো এই নিশ্চয়তাটুকু পেলে- বিদ্যাসাগরের মতো আমিও সাঁতরে পার হবো ভরা দামোদর কয়েক হাজার বার পাড়ি দেবো ইংলিশ চ্যানেল; তোমাকে একটিবার দেখতে পাবো এটুকু ভরসা পেলে অনায়াসে ডিঙাবো এই কারার প্রাচীর, ছুটে যবো নাগরাজ্যে পাRead more
এক কোটি বছর তোমাকে দেখি না
-মহাদেব সাহা
এক কোটি বছর হয় তোমাকে দেখি না
একবার তোমাকে দেখতে পাবো
এই নিশ্চয়তাটুকু পেলে-
বিদ্যাসাগরের মতো আমিও সাঁতরে পার
হবো ভরা দামোদর
কয়েক হাজার বার পাড়ি দেবো ইংলিশ চ্যানেল;
তোমাকে একটিবার দেখতে পাবো এটুকু ভরসা পেলে
অনায়াসে ডিঙাবো এই কারার প্রাচীর,
ছুটে যবো নাগরাজ্যে পাতালপুরীতে
কিংবা বোমারু বিমান ওড়া
শঙ্কিত শহরে।
যদি জানি একবার দেখা পাবো তাহলে উত্তপ্ত মরুভূমি
অনায়াসে হেঁটে পাড়ি দেবো,
কাঁটাতার ডিঙাবো সহজে, লোকলজ্জা ঝেড়ে মুছে
ফেলে যাবো যে কোনো সভায়
কিংবা পার্কে ও মেলায়;
একবার দেখা পাবো শুধু এই আশ্বাস পেলে
এক পৃথিবীর এটুকু দূরত্ব
আমি অবলীলাক্রমে পাড়ি দেবো।
তোমাকে দেখেছি কবে, সেই কবে, কোন বৃহস্পতিবার
আর এক কোটি বছর হয় তোমাকে দেখি না।
In English Font:
Ek kuti bachor tomake deki na
Mohadeb Saha
Ek kuti bochor hoy tumake dekhi na
Ekbar tumake dekhte pabo
Ei nishchoyotatuku pele-
Bidyashagarer moto amio shatre par
Hobo bhora damodor
Koyek hajar bar pari debo English Channel;
Tumake ektibar dekhte pabo etuku bhorosha pele
Onayashe dingabo ei karar prachir,
chute jabo nagrajjye patalpurite
Kingba bumaru biman ura
Shankito shohore.
Jodi jani ekbaar deka pabo tahole uttopto marubhumi
Onayashe hete pari debo,
Katatar dingabo sohoje, loklojja jhere muche
Fele jabo je kuno shovai
Kingba parke o melay;
Ekbar deka pabo shudhu ei aashash pele
Ek prithibir Etuku durotto
Ami obolilakrome pari debo
Tumake dekechi kobe, sei kobe, Kuno brihospotibar
Aar ek kuti bochor hoy tumake dekhi na.
আসামের প্রাকৃতিক সম্পদ ভূমিকা : “ধন ধান্যে পুষ্পেভরা আমাদেরই বসুন্ধরা তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা।” এই ধন ধান্যে ও পুষ্পে ভরা সুজলা সুফলা ধরণীর উত্তর পর্ব সীমান্তে ক্ষুদ্র রাজ্য আসাম । প্রকৃতিদেবী নিজের কনিষ্ঠা কন্যাকে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যে পূর্ণ করে দিয়েছেন। যাতায়াত ও পরিবহনের সুবRead more
আসামের প্রাকৃতিক সম্পদ
ভূমিকা : “ধন ধান্যে পুষ্পেভরা আমাদেরই বসুন্ধরা তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা।”
এই ধন ধান্যে ও পুষ্পে ভরা সুজলা সুফলা ধরণীর উত্তর পর্ব সীমান্তে ক্ষুদ্র রাজ্য আসাম । প্রকৃতিদেবী নিজের কনিষ্ঠা কন্যাকে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যে পূর্ণ করে দিয়েছেন। যাতায়াত ও পরিবহনের সুবিধার জন্য এই রাজ্য শিল্প-কারখানা দিক দিয়ে উন্নত না হলেও প্রাকৃতিক সম্পদে এই রাজ্যটিকে ধনী বলা যায়। পাহাড় পর্বত ও অরণ্যে পরিবেষ্টিত এই রাজ্যটি যেন প্রকৃতি দেবীর স্নেহ আঁচলের ছায়ায় আবৃত হয়ে রয়েছে। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে অসমের ভূমি বৎসরের বেশ কিছটা বর্ষণসিক্ত অবস্থায় থাকে। যার ফলে নানান সম্পদে সমৃদ্ধ হয়েছে আসাম।
প্রাকৃতিক সম্পদের প্রকার : প্রকৃতি জাত সম্পদকেই প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। প্রকৃতিবিদেরা এই সম্পদকে বনজ, খনিজ এবং প্রাণীজ এই তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করেছেন। কৃষিজাত সম্পদগুলিও প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে পড়ে।
বনজ সম্পদ : সকল সম্পদের মধ্যে আসামের বনজ সম্পদ বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। রাজ্যের ৩৫ শতাংশ বিস্তৃত এই বনাঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে শাল, সেগুন, চাম, সুন্দী, শিশু, গামাই প্রভৃতি মূল্যবান বৃক্ষরাজি আসামের অর্থনীতির মূল চাবি কাঠি । এই রাজ্যের অরণ্য বাঁশ ও বেত উৎপাদনেও উল্লেখযােগ্য। আসামের বাঁশ-বেত আসামের কুটির শিল্পকে উন্নত করে তুলেছে। আসামের কাগজ কলগুলি চালু রাখতে আসামের বাঁশই যথেষ্ট। তুলা, লাক্ষা প্রভৃতিও আসামের বনজ সম্পদকে সমৃদ্ধ করে রেখেছে।
কৃষিজ সম্পদ : দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আসাম একটি বৃষ্টিবহুল রাজ্য বলে পরিচিত তাই এই অঞ্চলটি কৃষি প্রধান। ধান, পাট, কার্পাস, তিল, সরিষা, আলু, মাসকালাই, মুগ প্রভৃতি এই অঞ্চলের প্রধান কৃষিজাত দ্রব্য। তাছাড়া রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল কমলা, কলা, আনারস, পেঁপে, পেয়ারা প্রভৃতি। অসমের চা জগৎ বিখ্যাত। উৎপাদনের প্রাচুর্যের জন্য পাট ও কার্পাস বিদেশেও রপ্তানি হয়ে থাকে। এণ্ডি ও মুগা প্রভৃতি গাছগুলি কেবলমাত্র অসমে জন্মে। তাই এ দুটি শিল্প আসামের একান্ত নিজস্ব সম্পদ। আসামের অনেক নদী, বিল, হাওরও আছে। এগুলির জলে নানা জাতের মাছ পাওয়া যায় ।
প্রাণীজ সম্পদ : প্রাণীজ সম্পদের মধ্যে অরণ্যজাত পশু-পাখিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। হাতী, বাঘ, ভাল্লক, হরিণ, বানর, গণ্ডার প্রভৃতি নিয়ে আসামের প্রাণী জগত গঠিত। এক খড়্গ বিশিষ্ট গণ্ডার আসামের অমূল্য সম্পদ। এই শ্রেণির গণ্ডার আসাম ছাড়া অন্য রাজ্যে দুর্লভ। তাই আসাম সরকার এদের সংরক্ষণের জন্য কাজিরাঙ্গার অভয়ারণ্যকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। তাছাড়া আসামের বনভূমিতে প্রায় ৭৫০ প্রজাতির পাখি আছে। এদের মধ্যে ময়না, টিয়া, তােতা, শালিক, কিংগার, ধনেশ, শকুনী, বক প্রভৃতি পাখিই প্রধান।
খনিজ সম্পদ : খনিজ সম্পদে আসাম একটি সমৃদ্ধ রাজ্য। আসামের প্রধানতম সম্পদ তার খনিজ তৈলের ভাণ্ডার। ভারতবর্ষে উত্তোলিত খনিজ তৈলের প্রায় সমস্তটুকুই আসাম হতে গৃহিত হয়। উত্তর আসামের ডিগবয় তৈলক্ষেত্রেই ভারতের বৃহত্তম তৈলক্ষেত্র। স্বাধীন ভারতে আসামের ডিগবয়েই প্রথম তৈল শােধনাগার স্থাপিত হয়েছিল। বর্তমানে আসামে চারটি তৈল শােধনাগার আছে। এগুলি হলাে ডিগবয়, নাহারকাটিয়া, মরিয়ানী ও নৃমলিগড়। খনিজ তৈল শােধন করে বিভিন্ন প্রকার প্রয়ােজনীয় সামগ্রী যেমন প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপন্ন করা হয়েছে। আসামে খনিজ কয়লার সম্পদ সুপ্রচুর। ডিগবয়ের পূর্বে অবস্থিত লিড়, শিবসাগর জিলার নাজিরা আসামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কয়লাক্ষেত্র।
উপসংহার : আসামের প্রকৃতির ভাণ্ডারে যে অমূল্য সম্পদ লুকিয়ে রয়েছে, পরিবহনের অসুবিধার জন্য সেগুলি সম্পূর্ণরূপে বিনিয়ােগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আশা করা যায় হয়তাে অদূর ভবিষ্যতে সকল প্রতিকূলতা, বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করে আসামের সম্পদগুলি পূর্ণ বিনিয়ােগ হবে। ফলস্বরূপ : আসাম শিল্পে উন্নত হবে এবং আসামবাসী অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সাবলম্বী হয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবে। সেদিন কবির স্বপ্ন স্বার্থক হবে এবং আমরা বলে উঠব – এমন দেশটি কোথাও
খােজে পাবে না গাে তুমি সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি।
➾ BAE : noun. উচ্চারণ (/beɪ/) বেই ➾ BAE অর্থ আপনার বন্ধু বা বান্ধবী অথবা জীবনসঙ্গী । আপনার ভালবাসার মানুষ। ➾ ইহা সাধারানত ভালবাসার মানুষ অথবা জীবনসঙ্গী কে সম্বোধনের সময় ব্যবহার করা হয়। ➾ ইহা নারি পুরুষ উভয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে।ইন্টারনেট জগতে বিশেষ করে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের (SoRead more
➾ BAE : noun. উচ্চারণ (/beɪ/) বেই
➾ BAE অর্থ আপনার বন্ধু বা বান্ধবী অথবা জীবনসঙ্গী । আপনার ভালবাসার মানুষ।
➾ ইহা সাধারানত ভালবাসার মানুষ অথবা জীবনসঙ্গী কে সম্বোধনের সময় ব্যবহার করা হয়।
➾ ইহা নারি পুরুষ উভয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে।ইন্টারনেট জগতে বিশেষ করে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের (Social Media) website গুলিতে বেশীরভাগ ব্যবহার হইতে দেখা যায়।
➾ ইহা ইংরাজি শব্দ Baby/ babe এর সঙ্কিপ্ত রুপ।
অমলাকান্তি কবিতার প্রশ্ন উত্তর: প্রশ্নঃ অমলকান্তি কবিতার কবি কে?উত্তরঃ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী প্রশ্নঃ অমলকান্তি কি হতে চায়?উত্তরঃ অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চায়। প্রশ্নঃ কবির সঙ্গে অমলকান্তির কি সম্পর্ক ?উত্তরঃ বন্ধু প্রশ্নঃ অমলকান্তি কি রকম ছাত্র ছিল ?উত্তরঃ অমলকান্তি পড়াশোনায় খুবই কাঁচা এবং অমনোযোগী ছিRead more
অমলাকান্তি কবিতার প্রশ্ন উত্তর:
প্রশ্নঃ অমলকান্তি কবিতার কবি কে? উত্তরঃ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
প্রশ্নঃ অমলকান্তি কি হতে চায়? উত্তরঃ অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চায়।
প্রশ্নঃ কবির সঙ্গে অমলকান্তির কি সম্পর্ক ? উত্তরঃ বন্ধু
প্রশ্নঃ অমলকান্তি কি রকম ছাত্র ছিল ? উত্তরঃ অমলকান্তি পড়াশোনায় খুবই কাঁচা এবং অমনোযোগী ছিল।
প্রশ্নঃ বর্তমানে অমলকান্তি কোথায কাজ করে? উত্তরঃ একটি ছাপাখানায়।
প্রশ্নঃ অমলকান্তির রোদ্দুর হওয়ার স্বপ্ন কি পূরণ হয়েছিল ? উত্তরঃ না, অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারে নি।
প্রশ্নঃ অমলকান্তি কেন রোদ্দুর হতে চেয়েছিল? উত্তরঃ কারণ, ঘিঞ্জি বস্তিতে থাকার ফলে সে রোদ্দুর পায়না। সে জীবনের আনন্দ থেকে বঞ্চিত তাই রোদ্দুর খুঁজে এবং সে নিজে রোদ্দুর হয় যেতে চায়। অমলকান্তি ভিন্ন ধারায় জীবন চালিয়ে যেতে চায় কারণ টাকা পয়সা এবং প্রতিষ্ঠা জীবনে সব কিছু এনে দিতে পারে না। বাস্তবে কোন মানুষ রোদ বৃষ্টি হতে পারে না তাই রোদ্দুর এখানে জীবনের আলোর প্রতীক, আনন্দের প্রতীক। এবং শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠিত হলে সুখী হওয়া যায় না, টাকা পয়সা হয়তো আমাদেরকে স্বাচ্ছন্দ এনে দে কিন্তু প্রকৃত আনন্দ আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্যে নেই। তাই অমলকান্তি রোদ্দুর হয়ে যেতে যায়।
মূলভাব : অমলকান্তি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অন্যতম একটি কবিতা। সেই কবিতার মুখপাত্র 'অমলকান্তি' নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সৃষ্টি করা একটি অমর চরিত্র। "অমলকান্তি" হচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের অন্তরে লুকিয়ে থাকা অপরিপূর্ণ কিছু আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। "অমলকান্তি" গতানুগতিক জীবনের বিপরীত ধারায় চলার স্বপ্ন দেখা মানRead more
মূলভাব : অমলকান্তি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অন্যতম একটি কবিতা। সেই কবিতার মুখপাত্র ‘অমলকান্তি’ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সৃষ্টি করা একটি অমর চরিত্র। “অমলকান্তি” হচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের অন্তরে লুকিয়ে থাকা অপরিপূর্ণ কিছু আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। “অমলকান্তি” গতানুগতিক জীবনের বিপরীত ধারায় চলার স্বপ্ন দেখা মানুষের প্রতীক।
সারাংশ: কবিতায় কবি বলছেন যে, অমলকান্তি তার বন্ধু তার সহপাঠী। কিন্তু অমলকান্তি পড়াশুনায় খুবই কাঁচা, রোজ স্কুলে দেরি করে আসে, কিছু জিজ্ঞেস করলে জানালার দিকে চেয়ে থাকে। আর তার এই অন্যমনস্ক চিন্তা ও অস্বাভাবিক কর্ম কবি কে ভাবায় , দুঃখ দেয়।
“অমলকান্তি আমার বন্ধু, ইস্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম।
রোজ দেরি করে ক্লাসে আসতো, পড়া পারতো না,”
সবাই পড়াশোনা করে কোন লক্ষ্য নিয়ে হয়তো কেউ ডাক্তার হতে চায়, কেউতো উকিল। সবাই পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে কিন্তু অমলকান্তি তার ব্যতিক্রমি, সে কোন কিছু হতে চায় না সে হতে চায় রোদ্দুর। সে হতে চায় কাক ডাকা বিকেলের লাজুক রোদ্দুর।
“আমরা কেউ মাষ্টার হতে চেয়েছিলাম, কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল।
অমলকান্তি সে-সব কিছু হতে চায়নি। সে রোদ্দুর হতে চেয়েছিল।”
সবাই প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠলেও কমল কান্তি কিন্তু রোদ্দুর হয়ে উঠতে পারেনি, হয়নি পূরণ তার স্বপ্ন। বর্তমানে সে একটি অন্ধকার ছাপাখানায় কাজ করে তার অপরিপূর্ণ স্বপ্ন নিয়ে।
“আমরা কেউ মাষ্টার হয়েছি। কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল
অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি।”
মানুষ চাইলে অনেক রকম ভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে তার ইচ্ছা ও সাধনায় সে নিতে পারে যেকোনো একটি পেশা। এবং একই ভাবে সবাই প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে কিন্তু কমলা কান্তি তা পেরে উঠেনি। তার রোদ্দুর হওয়ার স্বপ্ন অপ পরিপূর্ণ থেকেই গেল। “সকলেরই ইচ্ছে পূরণ হল, এক অমলকান্তি ছাড়া। অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারে নি।”
অমলকান্তি কেন রোদ্দুর হতে চেয়েছিল? কারণ, ঘিঞ্জি বস্তিতে থাকার ফলে সে রোদ্দুর পায়না। সে জীবনের আনন্দ থেকে বঞ্চিত তাই রোদ্দুর খুঁজে এবং সে নিজে রোদ্দুর হয় যেতে চায়। অমলকান্তি ভিন্ন ধারায় জীবন চালিয়ে যেতে চায় কারণ টাকা পয়সা এবং প্রতিষ্ঠা জীবনে সব কিছু এনে দিতে পারে না।
বাস্তবে কোন মানুষ রোদ বৃষ্টি হতে পারে না তাই রোদ্দুর এখানে জীবনের আলোর প্রতীক, আনন্দের প্রতীক। এবং শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠিত হলে সুখী হওয়া যায় না, টাকা পয়সা হয়তো আমাদেরকে স্বাচ্ছন্দ এনে দে কিন্তু প্রকৃত আনন্দ আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্যে নেই। তাই অমলকান্তি রোদ্দুর হতে হয়ে যায়।
ক্যামেলিয়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাম তার কমলা,দেখেছি তার খাতার উপরে লেখা।সে চলেছিল ট্রামে, তার ভাইকে নিয়ে কলেজের রাস্তায়।আমি ছিলেম পিছনের বেঞ্চিতে।মুখের এক পাশের নিটোল রেখাটি দেখা যায়,আর ঘাড়ের উপর কোমল চুলগুলি খোঁপার নীচে।কোলে তার ছিল বই আর খাতা।যেখানে আমার নামবার সেখানে নামা হল না।এখন থেকে সময়ের হিসাবRead more
ক্যামেলিয়া
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নাম তার কমলা, দেখেছি তার খাতার উপরে লেখা। সে চলেছিল ট্রামে, তার ভাইকে নিয়ে কলেজের রাস্তায়। আমি ছিলেম পিছনের বেঞ্চিতে। মুখের এক পাশের নিটোল রেখাটি দেখা যায়, আর ঘাড়ের উপর কোমল চুলগুলি খোঁপার নীচে। কোলে তার ছিল বই আর খাতা। যেখানে আমার নামবার সেখানে নামা হল না।
এখন থেকে সময়ের হিসাব করে বেরোই– সে হিসাব আমার কাজের সঙ্গে ঠিকটি মেলে না, প্রায় ঠিক মেলে ওদের বেরোবার সময়ের সঙ্গে, প্রায়ই হয় দেখা। মনে মনে ভাবি, আর-কোনো সম্বন্ধ না থাক্, ও তো আমার সহযাত্রিণী। নির্মল বুদ্ধির চেহারা ঝক্ঝক্ করছে যেন। সুকুমার কপাল থেকে চুল উপরে তোলা, উজ্জ্বল চোখের দৃষ্টি নিঃসংকোচ। মনে ভাবি একটা কোনো সংকট দেখা দেয় না কেন, উদ্ধার করে জন্ম সার্থক করি– রাস্তার মধ্যে একটা কোনো উৎপাত, কোনো-একজন গুণ্ডার স্পর্ধা। এমন তো আজকাল ঘটেই থাকে। কিন্তু আমার ভাগ্যটা যেন ঘোলা জলের ডোবা, বড়ো রকম ইতিহাস ধরে না তার মধ্যে, নিরীহ দিনগুলো ব্যাঙের মতো একঘেয়ে ডাকে– না সেখানে হাঙর-কুমিরের নিমন্ত্রণ, না রাজহাঁসের। একদিন ছিল ঠেলাঠেলি ভিড়।
কমলার পাশে বসেছে একজন আধা-ইংরেজ। ইচ্ছে করছিল, অকারণে টুপিটা উড়িয়ে দিই তার মাথা থেকে, ঘাড়ে ধরে তাকে রাস্তায় দিই নামিয়ে। কোনো ছুতো পাই নে, হাত নিশ্পিশ্ করে। এমন সময়ে সে এক মোটা চুরোট ধরিয়ে টানতে করলে শুরু। কাছে এসে বললুম, “ফেলো চুরোট।’ যেন পেলেই না শুনতে, ধোঁওয়া ওড়াতে লাগল বেশ ঘোরালো করে। মুখ থেকে টেনে ফেলে দিলেম চুরোট রাস্তায়। হাতে মুঠো পাকিয়ে একবার তাকালো কট্মট্ ক’রে– আর কিছু বললে না, এক লাফে নেমে গেল। বোধ হয় আমাকে চেনে। আমার নাম আছে ফুটবল খেলায়, বেশ একটু চওড়া গোছের নাম। লাল হয়ে উঠল মেয়েটির মুখ, বই খুলে মাথা নিচু করে ভান করলে পড়বার। হাত কাঁপতে লাগল, কটাক্ষেও তাকালে না বীরপুরুষের দিকে। আপিসের বাবুরা বললে, “বেশ করেছেন মশায়।’ একটু পরেই মেয়েটি নেমে পড়ল অজায়গায়, একটা ট্যাক্সি নিয়ে গেল চলে।
পরদিন তাকে দেখলুম না, তার পরদিনও না, তৃতীয় দিনে দেখি একটা ঠেলাগাড়িতে চলেছে কলেজে। বুঝলুম, ভুল করেছি গোঁয়ারের মতো। ও মেয়ে নিজের দায় নিজেই পারে নিতে, আমাকে কোনো দরকারই ছিল না। আবার বললুম মনে মনে, ভাগ্যটা ঘোলা জলের ডোবা– বীরত্বের স্মৃতি মনের মধ্যে কেবলই আজ আওয়াজ করছে কোলাব্যাঙের ঠাট্টার মতো। ঠিক করলুম ভুল শোধরাতে হবে।
খবর পেয়েছি গরমের ছুটিতে ওরা যায় দার্জিলিঙে। সেবার আমারও হাওয়া বদলাবার জরুরি দরকার। ওদের ছোট্ট বাসা, নাম দিয়েছে মতিয়া– রাস্তা থেকে একটু নেমে এক কোণে গাছের আড়ালে, সামনে বরফের পাহাড়। শোনা গেল আসবে না এবার। ফিরব মনে করছি এমন সময়ে আমার এক ভক্তের সঙ্গে দেখা, মোহনলাল– রোগা মানুষটি, লম্বা, চোখে চশমা, দুর্বল পাকযন্ত্র দার্জিলিঙের হাওয়ায় একটু উৎসাহ পায়। সে বললে, “তনুকা আমার বোন, কিছুতে ছাড়বে না তোমার সঙ্গে দেখা না করে।’ মেয়েটি ছায়ার মতো, দেহ যতটুকু না হলে নয় ততটুকু– যতটা পড়াশোনায় ঝোঁক, আহারে ততটা নয়। ফুটবলের সর্দারের ‘পরে তাই এত অদ্ভুত ভক্তি– মনে করলে আলাপ করতে এসেছি সে আমার দুর্লভ দয়া। হায় রে ভাগ্যের খেলা!
যেদিন নেমে আসব তার দু দিন আগে তনুকা বললে, “একটি জিনিস দেব আপনাকে, যাতে মনে থাকবে আমাদের কথা– একটি ফুলের গাছ।’ এ এক উৎপাত। চুপ করে রইলেম। তনুকা বললে, “দামি দুর্লভ গাছ, এ দেশের মাটিতে অনেক যত্নে বাঁচে।’ জিগেস করলেম, “নামটা কী?’ সে বললে “ক্যামেলিয়া’। চমক লাগল– আর-একটা নাম ঝলক দিয়ে উঠল মনের অন্ধকারে। হেসে বললেম, “ক্যামেলিয়া, সহজে বুঝি এর মন মেলে না।’ তনুকা কী বুঝলে জানি নে, হঠাৎ লজ্জা পেলে, খুশিও হল। চললেম টবসুদ্ধ গাছ নিয়ে। দেখা গেল পার্শ্ববর্তিনী হিসাবে সহযাত্রিণীটি সহজ নয়। একটা দো-কামরা গাড়িতে টবটাকে লুকোলেম নাবার ঘরে। থাক্ এই ভ্রমণবৃত্তান্ত, বাদ দেওয়া যাক আরো মাস কয়েকের তুচ্ছতা।
পুজোর ছুটিতে প্রহসনের যবনিকা উঠল সাঁওতাল পরগনায়। জায়গাটা ছোটো। নাম বলতে চাই নে– বায়ুবদলের বায়ু-গ্রস্তদল এ জায়গার খবর জানে না। কমলার মামা ছিলেন রেলের এঞ্জিনিয়র। এইখানে বাসা বেঁধেছেন শালবনে ছায়ায়, কাঠবিড়ালিদের পাড়ায়। সেখানে নীল পাহাড় দেখা যায় দিগন্তে, অদূরে জলধারা চলেছে বালির মধ্যে দিয়ে, পলাশবনে তসরের গুটি ধরেছে, মহিষ চরছে হর্তকি গাছের তলায়– উলঙ্গ সাঁওতালের ছেলে পিঠের উপরে। বাসাবাড়ি কোথাও নেই, তাই তাঁবু পাতলেম নদীর ধারে। সঙ্গী ছিল না কেউ, কেবল ছিল টবে সেই ক্যামেলিয়া।
কমলা এসেছে মাকে নিয়ে। রোদ ওঠবার আগে হিমে-ছোঁওয়া স্নিগ্ধ হাওয়ায় শাল-বাগানের ভিতর দিয়ে বেড়াতে যায় ছাতি হাতে। মেঠো ফুলগুলো পায়ে এসে মাথা কোটে, কিন্তু সে কি চেয়ে দেখে। অল্পজল নদী পায়ে হেঁটে পেরিয়ে যায় ও পারে, সেখানে সিসুগাছের তলায় বই পড়ে। আর আমাকে সে যে চিনেছে তা জানলেম আমাকে লক্ষ্য করে না বলেই।
একদিন দেখি নদীর ধারে বালির উপর চড়িভাতি করছে এরা। ইচ্ছে হল গিয়ে বলি, আমাকে দরকার কি নেই কিছুতেই। আমি পারি জল তুলে আনতে নদী থেকে– পারি বন থেকে কাঠ আনতে কেটে, আর, তা ছাড়া কাছাকাছি জঙ্গলের মধ্যে একটা ভদ্রগোছের ভালুকও কি মেলে না।
দেখলেম দলের মধ্যে একজন যুবক– শট্-পরা, গায়ে রেশমের বিলিতি জামা, কমলার পাশে পা ছড়িয়ে হাভানা চুরোট খাচ্ছে। আর, কমলা অন্যমনে টুকরো টুকরো করছে একটা শ্বেতজবার পাপড়ি, পাশে পড়ে আছে বিলিতি মাসিক পত্র।
মুহূর্তে বুঝলেম এই সাঁওতাল পরগনার নির্জন কোণে আমি অসহ্য অতিরিক্ত, ধরবে না কোথাও। তখনি চলে যেতেম, কিন্তু বাকি আছে একটি কাজ। আর দিন-কয়েকেই ক্যামেলিয়া ফুটবে, পাঠিয়ে দিয়ে তবে ছুটি। সমস্ত দিন বন্দুক ঘাড়ে শিকারে ফিরি বনে জঙ্গলে, সন্ধ্যার আগে ফিরে এসে টবে দিই জল আর দেখি কুঁড়ি এগোল কত দূর।
সময় হয়েছে আজ। যে আনে আমার রান্নার কাঠ। ডেকেছি সেই সাঁওতাল মেয়েটিকে। তার হাত দিয়ে পাঠাব শালপাতার পাত্রে। তাঁবুর মধ্যে বসে তখন পড়ছি ডিটেকটিভ গল্প। বাইরে থেকে মিষ্টিসুরে আওয়াজ এল, “বাবু, ডেকেছিস কেনে।’ বেরিয়ে এসে দেখি ক্যামেলিয়া সাঁওতাল মেয়ের কানে, কালো গালের উপর আলো করেছে। সে আবার জিগেস করলে, “ডেকেছিস কেনে।’ আমি বললেম, “এইজন্যেই।’ তার পরে ফিরে এলেম কলকাতায়।
In English Font:
Camellia
Rabindranath Tagore
Tar naam Komola Dekhechi tar khatar upore lekha. se cholechilo trame, tar bhai ke niye colleger rastay Ami chilem pichoner benchite. Mukher ek pasher nitol rekhati deka jay, Ar gader upor kumol chulguli khupar niche. Kole tar chilo boi ar khata. jekhane amar nambar shekhane nama holo na.
Ekhon theke somoyer hishab kore beroi- Se hishab amar kajer songe thikti mele na , pray thik mele oder berobar somoyer songe, prai e hoy dekha. Mone mone bhabi, aar-kuno shmmondho na thak, O to amar shohojatrini. Nirmal buddhir chehara jhakjhak korche jeno. Sukumar kopal theke chul upore tula, ujjal chokher dristi nishonkoch. Mone bhavi ekta kono shonkot dekha jay na keno, Uddhar kore janmo sharthok kori Rastar moddhe ekta kono utpat Kono ekjon gundar spordha. Emon to aajkal ghotei thake Kintu amar vagyota jeno ghula joler duba Boro rokom itihash dhore na tar moddhe niriho dingulo benger moto ekgeye dake Na shekhane hangor-kumirer niyontron, na rajhasher. Ekdin chilo theltheli bhir.
Komolar pashe boseche ekjon adha Engraj Icche korchilo, okarone tupita uriye dei tar matha theke, Ghare dhore take rastay di namiye. Kuno chut pai ne, Hath nimpish kore. Emon shomoye she ek mota churot dhoriye Tante korle shuru. Kache eshe Bollum, “Felo churot”. Jeno pelei na shunte, Dhuwa orate laglo besh ghuralo kore. Mukh theke tene fele dilem churot rastay Hath mutho pakiye ekbar takalo kotakkho kore Ar kichu bolle na, ek lafe neme gele Budh hoy amake chine. Amar naam aache football khelay, Besh ektu chora gocher naam. Lal hoye uthlo meyetir mukh, Boi khule matha nichu kore van korle porbar hath kaple laglo, kotakkheo takale na birpurusher dike. Aapisher babura bolle, “Besh korechen moshay” ektu porei neme porlo ojaygay, Ekta taxi niye chole gelo
কম্পিউটার রচনা | Bangla essay on computer
Hridoy
Thank you for your valuable suggestion. I will keep that in my mind in future work.
Thank you for your valuable suggestion. I will keep that in my mind in future work.
See lessনেমন্তন্ন (অন্নদাশঙ্কর রায়) nemontonno kobita lyrics
Hridoy
Nemontonno Onndashankar Roy Jaccho kutha? ChangriputaKisher jonno? NemontonnoBiyer bujhi? Na babujiKisher tobe? Bhajan hobeSudhui bhajan? Proshad bhajanKemon proshad? Ja khete shadhKi khete chao? Chanar pulaoIcche ki ar? ShorpuriarAh ki aayesh..rabri payeshEi keboli? Khir kodolibah ki folar..ShobriRead more
Nemontonno
Onndashankar Roy
Jaccho kutha? Changriputa
See lessKisher jonno? Nemontonno
Biyer bujhi? Na babuji
Kisher tobe? Bhajan hobe
Sudhui bhajan? Proshad bhajan
Kemon proshad? Ja khete shadh
Ki khete chao? Chanar pulao
Icche ki ar? Shorpuriar
Ah ki aayesh..rabri payesh
Ei keboli? Khir kodoli
bah ki folar..Shobri kolar
Ebar thamo..Fazli aamo
Amio jai? Na moshai
লোহার ব্যাথা (যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত) Lohar Batha Bengali Poem Lyrics?
Hridoy
লোহার ব্যাথা -যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত ও ভাই কর্মকার আমাদের পুড়িয়ে পিটানাে ছাড়া কি নাহিক কর্ম আর ? কোন ভােরে সেই ধরেছ হাতুরি,রাত্রি গভীর হল, ঝিল্লিমুখর স্তব্ধ পল্লী, তােল গাে যন্ত্র তােল ঠকা ঠাই ঠাই কাদিছে নেহাই, আগুন ঢলছে ঘুমে শ্রান্ত সাঁড়াশি ক্লান্ত ওষ্ঠে আল গােছে ছেনি চুমে। দেখােগাে হেথায় হাপর হRead more
লোহার ব্যাথা
-যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত
ও ভাই কর্মকার
আমাদের পুড়িয়ে পিটানাে ছাড়া কি নাহিক কর্ম আর ?
কোন ভােরে সেই ধরেছ হাতুরি,রাত্রি গভীর হল,
ঝিল্লিমুখর স্তব্ধ পল্লী, তােল গাে যন্ত্র তােল
ঠকা ঠাই ঠাই কাদিছে নেহাই, আগুন ঢলছে ঘুমে
শ্রান্ত সাঁড়াশি ক্লান্ত ওষ্ঠে আল গােছে ছেনি চুমে।
দেখােগাে হেথায় হাপর হাঁপায়, হাতুড়ি মাগিছে ছুটি;
রাত্রি দুপুরে মনে নাহি পড়ে কি ছিলাম আমি ভােরে,
ভাঙ্গিলে গড়িলে সিধা বাঁকা গােল লম্বা চৌকা করে;
কভু আতপ্ত, কভু লাল, কভু উজ্জ্বল রবিসম
কভু বা সলিলে করিলে শীতল অসহ্য দাহ মম।
অজানা দুজনে গাঁয়ে আগুনে জুড়িয়া মিটালে সাধ,
ধড় হতে কভু বাহুল্য বােধে মাথাকে কেটে দিলে বাদ।
ঘন ঘন ঘন পরিবর্তনে আপনা চিনিতে নারি,
স্থির হয়ে যাই ভাবিবারে চাই,পড়ে হাতুড়ির বাড়ি।
আগুনের তাপে সাঁড়াশির চাপে আমি চির নিরুপায়,
তবু সগর্বে ভুলিনি ফিরাতে প্রতি হাতুড়ির ঘায় |
যাহা অন্যায়, হোক না পবল, করিয়াছি প্রতিবাদ;
আমার বুকের কোমল অংশ, কে বলিল তারে খাদ?
তোমার হস্তে ইস্পাত হয়ে সহি শান, পান, পোড়
রামের শত্রু শ্যামে কাটি যদি, তাহে কিবা সুখ মাের ?
তোমার হাতের যন্ত্র যাহারা দিন রাত মরে খেটে,
না বুঝে চাতুরি নেহাই হাতুড়ির ভাই হয়ে ভাই-এর পেটে !
ও ভাই কর্মকার!
রাত্রি সাক্ষী, তােমার উপরে দিলাম ধর্মভার ।
কহ গাে বন্ধু কহ গাে কানে কানে,আপনার প্রানে বুঝি,
আমি না থাকিলে মারা যেত কিনা তােমার দিনের রুজি?
তুমি না থাকিলে আমার বন্ধু কিবা হত তাহে ক্ষতি?
কৃতজ্ঞতা কি পাঠাইয়াছ তাই হাতুড়ির মারফতি।
কি কহিছ ভাই, আমি হব তুমি এই প্রেম সহি যদি?
পিটনের গুনে লােহা কবে হায় পায় কামারের গদি!
In English Font:
Lohar Batha
Jatindranath Sengupta
O bhai kormokar
Amader puriye pithano chara ki nahi kormo ar?
Kon bhore dorche harturi, Ratri ghovir holo,
Jhillimukhor stabdo polli, Tal go jantra tul
Thoka thai thai kadiche nehai, aagun dolche ghume
Sranto sarashi klanto Osthe aal gosche ceni chume.
Dekhogo hethay hapor hapay, haturi magiche chuti;
Ratri dupure mone nahi pore ki chilam ami bhore
Vangile gorile sidha baka gol lomba choka kore;
Kabhu ba aatopto, kabhu lal, kabhu ujjol robishomo
Kabhu ba sholile korile shitol ashojjyo daho momo.
Ojana dujone gaye aagun juriya mitale sadh
Dhor hote kabhu bahullo bodhe mathake kete dile bad.
Ghana ghana ghana poribortone apna chinite nari,
Stir hoye jai bhabibare chai, pore haturir bari.
Aaguner tape sarashir chape ami chiro nirupay
Tabu sogorbe bhulini firate proti haturir ghay.
jaha onnay, hok na pobol, koriyachi protibaad;
Amar buker komol ongsho, Ke bolilo tare khad?
Tumar hoste ispat hoye sohi shan, pan, por
ramer shatru Shyame kati jodi, Tahe kiba shuk mor?
Tumar hather jantra jahara din raat more khete,
na bujhe chaturi nehai haturir bhai hoye bhai-er pete
O bhai kormokar
See lessratri shakkhi, Tumar upore dilam dharmobhar.
Koho go bondhu koho kane kane, apnar prane bujhi,
Ami na thakile mara jeto kina tumar diner ruji?
Tumi na thakile amar bandhu kiba hoto tahe khoti?
Kritoggota ki pataiyacho tai haturir marfoti.
Ki kohicho bhai, Ami hobo tumi ei prem shohi jadi?
Pitoner gune loha kobe hay pay kamarer godi!
এক কোটি বছর (মহাদেব শাহা) Ek koti bochor tomake dekhina Kobita lyrics in Bengali
Hridoy
এক কোটি বছর তোমাকে দেখি না -মহাদেব সাহা এক কোটি বছর হয় তোমাকে দেখি না একবার তোমাকে দেখতে পাবো এই নিশ্চয়তাটুকু পেলে- বিদ্যাসাগরের মতো আমিও সাঁতরে পার হবো ভরা দামোদর কয়েক হাজার বার পাড়ি দেবো ইংলিশ চ্যানেল; তোমাকে একটিবার দেখতে পাবো এটুকু ভরসা পেলে অনায়াসে ডিঙাবো এই কারার প্রাচীর, ছুটে যবো নাগরাজ্যে পাRead more
এক কোটি বছর তোমাকে দেখি না
এক কোটি বছর হয় তোমাকে দেখি না
একবার তোমাকে দেখতে পাবো
এই নিশ্চয়তাটুকু পেলে-
বিদ্যাসাগরের মতো আমিও সাঁতরে পার
হবো ভরা দামোদর
কয়েক হাজার বার পাড়ি দেবো ইংলিশ চ্যানেল;
তোমাকে একটিবার দেখতে পাবো এটুকু ভরসা পেলে
অনায়াসে ডিঙাবো এই কারার প্রাচীর,
ছুটে যবো নাগরাজ্যে পাতালপুরীতে
কিংবা বোমারু বিমান ওড়া
শঙ্কিত শহরে।
যদি জানি একবার দেখা পাবো তাহলে উত্তপ্ত মরুভূমি
অনায়াসে হেঁটে পাড়ি দেবো,
কাঁটাতার ডিঙাবো সহজে, লোকলজ্জা ঝেড়ে মুছে
ফেলে যাবো যে কোনো সভায়
কিংবা পার্কে ও মেলায়;
একবার দেখা পাবো শুধু এই আশ্বাস পেলে
এক পৃথিবীর এটুকু দূরত্ব
আমি অবলীলাক্রমে পাড়ি দেবো।
তোমাকে দেখেছি কবে, সেই কবে, কোন বৃহস্পতিবার
আর এক কোটি বছর হয় তোমাকে দেখি না।
In English Font:
Ek kuti bachor tomake deki na
Mohadeb Saha
Ek kuti bochor hoy tumake dekhi na
See lessEkbar tumake dekhte pabo
Ei nishchoyotatuku pele-
Bidyashagarer moto amio shatre par
Hobo bhora damodor
Koyek hajar bar pari debo English Channel;
Tumake ektibar dekhte pabo etuku bhorosha pele
Onayashe dingabo ei karar prachir,
chute jabo nagrajjye patalpurite
Kingba bumaru biman ura
Shankito shohore.
Jodi jani ekbaar deka pabo tahole uttopto marubhumi
Onayashe hete pari debo,
Katatar dingabo sohoje, loklojja jhere muche
Fele jabo je kuno shovai
Kingba parke o melay;
Ekbar deka pabo shudhu ei aashash pele
Ek prithibir Etuku durotto
Ami obolilakrome pari debo
Tumake dekechi kobe, sei kobe, Kuno brihospotibar
Aar ek kuti bochor hoy tumake dekhi na.
পাল্কীর গান (সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত) Palki Chole Poem by Satyendranath Dutta?
Hridoy
পাল্কীর গান (সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত) পাল্কী চলে ! পাল্কী চলে ! গগন-তলে আগুণ জ্বলে ! স্তব্ধ গাঁয়ে আদুল্ গায়ে যাচ্ছে কারা রৌদ্রে সারা ! ময়রা মুদি' পাটায় ব'সে ঢুলচে ক'সে ! দুধের চাঁছি শুষ্ ছে মাছি, উড়ছে কতক ভন্ ভনিয়ে আস্ ছে কারা হন্ হনিয়ে ? হাটের শেষে রুক্ষ বেশে ঠিক্ দুপুরে ধায় হাটুরে ! কুকুর গুলোRead more
পাল্কীর গান (সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত)
পাল্কী চলে !
পাল্কী চলে !
গগন-তলে
আগুণ জ্বলে !
স্তব্ধ গাঁয়ে
আদুল্ গায়ে
যাচ্ছে কারা
রৌদ্রে সারা !
ময়রা মুদি’
পাটায় ব’সে
ঢুলচে ক’সে !
দুধের চাঁছি
শুষ্ ছে মাছি,
উড়ছে কতক
ভন্ ভনিয়ে
আস্ ছে কারা
হন্ হনিয়ে ?
হাটের শেষে
রুক্ষ বেশে
ঠিক্ দুপুরে
ধায় হাটুরে !
কুকুর গুলো
শুঁকছে ধুলো,-
ধুঁকছে কেহ
ক্লান্ত দেহ
ঢুকছে গরু
দোকান-ঘরে,
আমের গন্ধে
আমোদ করে !
পাল্কী চলে,
পাল্কী চলে-
দুল্ কি চালে
নৃত্য তালে !
ছয় বেহারা,-
জোয়ান তারা,-
গ্রাম ছাড়িয়ে
আগ্ বাড়িয়ে
নাম্ ল মাঠে
তামার টাটে !
তপ্ত তামা,-
যায় না থামা,-
উঠ্ ছে আলে
নাম্ ছে গাড়ায়,-
পাল্কী দোলে
ঢেউয়ের নাড়ায় !
ঢেউয়ের দোলে
অঙ্গ দোলে !
মেঠো জাহাজ
সাম্ নে বাড়ে,-
ছয় বেহারার
চরণ-দাঁড়ে !
কাজ্ লা সবুজ
কাজল প’রে
পাটের জমি
ঝিমায় দূরে !
ধানের জমি
প্রায়সে নেড়া,
মাঠের বাটে
কাঁটার বেড়া ।
‘সামাল’ হেঁকে
চল্ ল বেঁকে
ছয় বেহারা,-
মর্দ তারা !
জোর হাঁটুনি
খাট্ নি ভারি;
মাঠের শেষে
তালের সারি ।
তাকাই দূরে,
শূন্যে ঘুরে
চিল্ ফুকারে
মাঠের পারে ।
গরুর বাথান-
গোয়াল-থানা,-
ওই গো ! গাঁয়ের
ওই সীমানা !
বৈরাগী সে,-
কণ্ঠী বাঁধা,-
ঘরের কাঁথে
লেপছে কাদা;
মট্ কা থেকে
চাষার ছেলে
দেখ্ ছে,-ডাগর
চক্ষু মেলে !
দিচ্ছে চালে
পোয়াল গুছি;
বৈরাগীটির
মূর্তি শুচি |
পের্ জাপতি
হলুদ বরণ,-
শশার ফুলে
রাখছে চরণ !
কার বহুরি
বাসন মাজে ?
পুকুর ঘাটে
ব্যস্ত কাজে;-
এঁটো হাতেই
হাতের পোঁছায়
গায়ে মাথার
কাপড় গোছায় !
পাল্কী দেখে
আস্ ছে ছুটে
ন্যাংটা খোকা,-
মাথায় পুঁটে !
পোড়োর আওয়াজ
যাচ্ছে শোনা,-
খোড়ো ঘরে
চাঁদের কোণা !
পাঠশালাটি
দোকান-ঘরে,
গুরু মশাই
দোকান করে !
পোড়ো ভিটের
পোতার ‘পরে
শালিক নাচে,
ছাগল চরে ।
গ্রামের শেষে
অশথ-তলে
বুনোর ডেরায়
চুল্লী জ্বলে;
টাট্ কা কাঁচা
শাল-পাতাতে
উড়ছে ধোঁয়া
ফ্যান্ সা ভাতে ।
গ্রামের সীমা
ছাড়িয়ে, ফিরে
পাল্কীমাঠে
নাম্ ল ধীরে;
আবার মাঠে,-
তামার টাটে,-
কেউ ছোটে, কেউ
কষ্টে হাঁটে;
মাঠের মাটি
রৌদ্রে ফাটে,
পাল্কী মাতে
আপন নাটে !
শঙ্খ-চিলের
সঙ্গে, যেচে-
পাল্লা দিয়ে
মেঘ চলেছে !
তাতারসির
তপ্ত রসে
বাতাস সাঁতার
দেয় হরষে !
গঙ্গা ফড়িং
লাফিয় চলে
বাঁধের দিকে
সূর্য ঢলে ।
পাল্কী চলে রে !
অঙ্গ ঢলে রে !
আর দেরী কত ?
আরো কত দূর ?
‘আর দূর কি গো ?
বুড়ো-শিবপুর
ওই আমাদের;
ওই হাটতলা
ওরি পেছুখানে
ঘোষেদের গোলা ।
পাল্কী চলে রে,
অঙ্গ টলে রে;
সূর্য ঢলে,
পাল্কী চলে !
In English Font:
Palikr Gaan
Satyendranath Dutta
Palki chole!
Palki chole!
Gagan-tore
Aagun-jole!
Stabda gaye
Aadul gaye
jacche kara
Rodre Shara!
Moyra Mudi
Patay boshe
Dhulche koshe!
Duder chachi
Shushche machi,
Urche kotok
Von voniye
Aashche kara
Hon honiye?
Hater seshe
Rukko beshe
Thik dupure
Dhay hature!
Kukur gulo
Shukche dhulo,
Dhukche keho
klanto deho
Dukche garu
Dukan ghore
Aamer gondhe
aamod kore!
Palki Chole,
Palki chole-
Dulki chale
Nrityo tale!
Choy behara,
Jowan tara,
Gram chariye
Aag bariye
Namlo mathe
Tamar tate!
Tapta tama,
Jay na thama,
Uthche Aale
Namche guray
Palki dule
Deuyer naray!
Deauyer dule
Anga dule!
Metho jahaj
Shamne bare
Choy beharay
Charan-dare!
Kajla sabuj
Kajol pore
Pater jomi
Jhimay dure!
Dhaner jomi
Prayoshe nera,
Mather bate
Katar bera.
Shamal heke
Chollo beke
choy behara,
Mordo tahara!
Jor hatuni
Khatuni bhari;
mater seshe
Taler sari.
Takai dure
Shunno ghore
Chil fukare
Mather pare.
Garur bathan-
Guwal thana,
Oi go! gayer
Oi Shimana
Boiragi Se,
Konthi badha,
Ghorer kathe
Lepche kada;
Motka theke
Chashar chele
Dekche dagor
Chokku mele!
Dicche chale
Peyal guchi;
Boiragitir
murti shuchi.
Projapoti
Halud baran,
Soshar ful
Rakche charan!
Kar bahuri
Bashche maje?
Pukur ghate
Besto kaje;
Eto hatei
hather puchay
Gaye mathar
Kapor guchay
Palki dekhe
Aashche chute
Negta kokha,
Mathay pute!
Paror aawaj
Jacche shuna,
Kharo ghore
Chader kona!
Pathshalati
Dukan ghore,
Guru moshai
Dukan kore!
Poro viter
Putar pore
Shalik nache
chagol chore.
Gramer seshe
Oshoth-tole
Bunor deray
Chulli jole;
Tatka kacha
Shal patate
Urche dhuwa
fansha bhate.
Gramer shima
chariye, fire
Palki mathe
namlo dhire;
Abar mathe,
Tamar tate,
Keu chute, keu
koste hate;
Mater mathi
roudre fate
palki mate
Apon nate!
Sankha Chiler
Songe jeche
palla diye
megh choleche!
Tatarashir
tapta roshe
Batash shatar
Dey horshe!
Gonga foring
lafiye chole
bader dike
Surja dhole.
Palki chole re!
anga dole re!
Aar deri koto?
Aar koto dur?
Buro shibpur
Oi amader;
Oi Hattola
Ori pichukhane
gosheder gola
Palki Chole re!
See lessAnga Dole re;
Surja dole
palki chole!
আসামের প্রাকৃতিক সম্পদ রচনা | Natural resources of assam essay in bengali language?
Hridoy
আসামের প্রাকৃতিক সম্পদ ভূমিকা : “ধন ধান্যে পুষ্পেভরা আমাদেরই বসুন্ধরা তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা।” এই ধন ধান্যে ও পুষ্পে ভরা সুজলা সুফলা ধরণীর উত্তর পর্ব সীমান্তে ক্ষুদ্র রাজ্য আসাম । প্রকৃতিদেবী নিজের কনিষ্ঠা কন্যাকে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যে পূর্ণ করে দিয়েছেন। যাতায়াত ও পরিবহনের সুবRead more
আসামের প্রাকৃতিক সম্পদ
ভূমিকা : “ধন ধান্যে পুষ্পেভরা আমাদেরই বসুন্ধরা তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা।”
এই ধন ধান্যে ও পুষ্পে ভরা সুজলা সুফলা ধরণীর উত্তর পর্ব সীমান্তে ক্ষুদ্র রাজ্য আসাম । প্রকৃতিদেবী নিজের কনিষ্ঠা কন্যাকে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যে পূর্ণ করে দিয়েছেন। যাতায়াত ও পরিবহনের সুবিধার জন্য এই রাজ্য শিল্প-কারখানা দিক দিয়ে উন্নত না হলেও প্রাকৃতিক সম্পদে এই রাজ্যটিকে ধনী বলা যায়। পাহাড় পর্বত ও অরণ্যে পরিবেষ্টিত এই রাজ্যটি যেন প্রকৃতি দেবীর স্নেহ আঁচলের ছায়ায় আবৃত হয়ে রয়েছে। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে অসমের ভূমি বৎসরের বেশ কিছটা বর্ষণসিক্ত অবস্থায় থাকে। যার ফলে নানান সম্পদে সমৃদ্ধ হয়েছে আসাম।
প্রাকৃতিক সম্পদের প্রকার : প্রকৃতি জাত সম্পদকেই প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। প্রকৃতিবিদেরা এই সম্পদকে বনজ, খনিজ এবং প্রাণীজ এই তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করেছেন। কৃষিজাত সম্পদগুলিও প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে পড়ে।
বনজ সম্পদ : সকল সম্পদের মধ্যে আসামের বনজ সম্পদ বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। রাজ্যের ৩৫ শতাংশ বিস্তৃত এই বনাঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে শাল, সেগুন, চাম, সুন্দী, শিশু, গামাই প্রভৃতি মূল্যবান বৃক্ষরাজি আসামের অর্থনীতির মূল চাবি কাঠি । এই রাজ্যের অরণ্য বাঁশ ও বেত উৎপাদনেও উল্লেখযােগ্য। আসামের বাঁশ-বেত আসামের কুটির শিল্পকে উন্নত করে তুলেছে। আসামের কাগজ কলগুলি চালু রাখতে আসামের বাঁশই যথেষ্ট। তুলা, লাক্ষা প্রভৃতিও আসামের বনজ সম্পদকে সমৃদ্ধ করে রেখেছে।
কৃষিজ সম্পদ : দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আসাম একটি বৃষ্টিবহুল রাজ্য বলে পরিচিত তাই এই অঞ্চলটি কৃষি প্রধান। ধান, পাট, কার্পাস, তিল, সরিষা, আলু, মাসকালাই, মুগ প্রভৃতি এই অঞ্চলের প্রধান কৃষিজাত দ্রব্য। তাছাড়া রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল কমলা, কলা, আনারস, পেঁপে, পেয়ারা প্রভৃতি। অসমের চা জগৎ বিখ্যাত। উৎপাদনের প্রাচুর্যের জন্য পাট ও কার্পাস বিদেশেও রপ্তানি হয়ে থাকে। এণ্ডি ও মুগা প্রভৃতি গাছগুলি কেবলমাত্র অসমে জন্মে। তাই এ দুটি শিল্প আসামের একান্ত নিজস্ব সম্পদ। আসামের অনেক নদী, বিল, হাওরও আছে। এগুলির জলে নানা জাতের মাছ পাওয়া যায় ।
প্রাণীজ সম্পদ : প্রাণীজ সম্পদের মধ্যে অরণ্যজাত পশু-পাখিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। হাতী, বাঘ, ভাল্লক, হরিণ, বানর, গণ্ডার প্রভৃতি নিয়ে আসামের প্রাণী জগত গঠিত। এক খড়্গ বিশিষ্ট গণ্ডার আসামের অমূল্য সম্পদ। এই শ্রেণির গণ্ডার আসাম ছাড়া অন্য রাজ্যে দুর্লভ। তাই আসাম সরকার এদের সংরক্ষণের জন্য কাজিরাঙ্গার অভয়ারণ্যকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। তাছাড়া আসামের বনভূমিতে প্রায় ৭৫০ প্রজাতির পাখি আছে। এদের মধ্যে ময়না, টিয়া, তােতা, শালিক, কিংগার, ধনেশ, শকুনী, বক প্রভৃতি পাখিই প্রধান।
খনিজ সম্পদ : খনিজ সম্পদে আসাম একটি সমৃদ্ধ রাজ্য। আসামের প্রধানতম সম্পদ তার খনিজ তৈলের ভাণ্ডার। ভারতবর্ষে উত্তোলিত খনিজ তৈলের প্রায় সমস্তটুকুই আসাম হতে গৃহিত হয়। উত্তর আসামের ডিগবয় তৈলক্ষেত্রেই ভারতের বৃহত্তম তৈলক্ষেত্র। স্বাধীন ভারতে আসামের ডিগবয়েই প্রথম তৈল শােধনাগার স্থাপিত হয়েছিল। বর্তমানে আসামে চারটি তৈল শােধনাগার আছে। এগুলি হলাে ডিগবয়, নাহারকাটিয়া, মরিয়ানী ও নৃমলিগড়। খনিজ তৈল শােধন করে বিভিন্ন প্রকার প্রয়ােজনীয় সামগ্রী যেমন প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপন্ন করা হয়েছে। আসামে খনিজ কয়লার সম্পদ সুপ্রচুর। ডিগবয়ের পূর্বে অবস্থিত লিড়, শিবসাগর জিলার নাজিরা আসামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কয়লাক্ষেত্র।
উপসংহার : আসামের প্রকৃতির ভাণ্ডারে যে অমূল্য সম্পদ লুকিয়ে রয়েছে, পরিবহনের অসুবিধার জন্য সেগুলি সম্পূর্ণরূপে বিনিয়ােগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আশা করা যায় হয়তাে অদূর ভবিষ্যতে সকল প্রতিকূলতা, বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করে আসামের সম্পদগুলি পূর্ণ বিনিয়ােগ হবে। ফলস্বরূপ : আসাম শিল্পে উন্নত হবে এবং আসামবাসী অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সাবলম্বী হয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবে। সেদিন কবির স্বপ্ন স্বার্থক হবে এবং আমরা বলে উঠব – এমন দেশটি কোথাও
See lessখােজে পাবে না গাে তুমি সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি।
BAE বাংলা অর্থ | Bae meaning in Bengali?
Hridoy
➾ BAE : noun. উচ্চারণ (/beɪ/) বেই ➾ BAE অর্থ আপনার বন্ধু বা বান্ধবী অথবা জীবনসঙ্গী । আপনার ভালবাসার মানুষ। ➾ ইহা সাধারানত ভালবাসার মানুষ অথবা জীবনসঙ্গী কে সম্বোধনের সময় ব্যবহার করা হয়। ➾ ইহা নারি পুরুষ উভয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে।ইন্টারনেট জগতে বিশেষ করে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের (SoRead more
➾ BAE : noun. উচ্চারণ (/beɪ/) বেই
➾ BAE অর্থ আপনার বন্ধু বা বান্ধবী অথবা জীবনসঙ্গী । আপনার ভালবাসার মানুষ।
➾ ইহা সাধারানত ভালবাসার মানুষ অথবা জীবনসঙ্গী কে সম্বোধনের সময় ব্যবহার করা হয়।
➾ ইহা নারি পুরুষ উভয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে।ইন্টারনেট জগতে বিশেষ করে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের (Social Media) website গুলিতে বেশীরভাগ ব্যবহার হইতে দেখা যায়।
➾ ইহা ইংরাজি শব্দ Baby/ babe এর সঙ্কিপ্ত রুপ।
➾ উদাহরণঃ
অমলাকান্তি কবিতার প্রশ্ন উত্তর | Amalkanti Poem Questions and Answers?
Hridoy
অমলাকান্তি কবিতার প্রশ্ন উত্তর: প্রশ্নঃ অমলকান্তি কবিতার কবি কে?উত্তরঃ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী প্রশ্নঃ অমলকান্তি কি হতে চায়?উত্তরঃ অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চায়। প্রশ্নঃ কবির সঙ্গে অমলকান্তির কি সম্পর্ক ?উত্তরঃ বন্ধু প্রশ্নঃ অমলকান্তি কি রকম ছাত্র ছিল ?উত্তরঃ অমলকান্তি পড়াশোনায় খুবই কাঁচা এবং অমনোযোগী ছিRead more
অমলাকান্তি কবিতার প্রশ্ন উত্তর:
প্রশ্নঃ অমলকান্তি কবিতার কবি কে?
উত্তরঃ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
প্রশ্নঃ অমলকান্তি কি হতে চায়?
উত্তরঃ অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চায়।
প্রশ্নঃ কবির সঙ্গে অমলকান্তির কি সম্পর্ক ?
উত্তরঃ বন্ধু
প্রশ্নঃ অমলকান্তি কি রকম ছাত্র ছিল ?
উত্তরঃ অমলকান্তি পড়াশোনায় খুবই কাঁচা এবং অমনোযোগী ছিল।
প্রশ্নঃ বর্তমানে অমলকান্তি কোথায কাজ করে?
উত্তরঃ একটি ছাপাখানায়।
প্রশ্নঃ অমলকান্তির রোদ্দুর হওয়ার স্বপ্ন কি পূরণ হয়েছিল ?
উত্তরঃ না, অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারে নি।
প্রশ্নঃ অমলকান্তি কেন রোদ্দুর হতে চেয়েছিল?
See lessউত্তরঃ কারণ, ঘিঞ্জি বস্তিতে থাকার ফলে সে রোদ্দুর পায়না। সে জীবনের আনন্দ থেকে বঞ্চিত তাই রোদ্দুর খুঁজে এবং সে নিজে রোদ্দুর হয় যেতে চায়। অমলকান্তি ভিন্ন ধারায় জীবন চালিয়ে যেতে চায় কারণ টাকা পয়সা এবং প্রতিষ্ঠা জীবনে সব কিছু এনে দিতে পারে না।
বাস্তবে কোন মানুষ রোদ বৃষ্টি হতে পারে না তাই রোদ্দুর এখানে জীবনের আলোর প্রতীক, আনন্দের প্রতীক। এবং শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠিত হলে সুখী হওয়া যায় না, টাকা পয়সা হয়তো আমাদেরকে স্বাচ্ছন্দ এনে দে কিন্তু প্রকৃত আনন্দ আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্যে নেই। তাই অমলকান্তি রোদ্দুর হয়ে যেতে যায়।
অমলকান্তি কবিতার সারমর্ম বিষয়বস্তু | Amalkanti Poem Summary in Bengali?
Hridoy
মূলভাব : অমলকান্তি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অন্যতম একটি কবিতা। সেই কবিতার মুখপাত্র 'অমলকান্তি' নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সৃষ্টি করা একটি অমর চরিত্র। "অমলকান্তি" হচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের অন্তরে লুকিয়ে থাকা অপরিপূর্ণ কিছু আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। "অমলকান্তি" গতানুগতিক জীবনের বিপরীত ধারায় চলার স্বপ্ন দেখা মানRead more
মূলভাব : অমলকান্তি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অন্যতম একটি কবিতা। সেই কবিতার মুখপাত্র ‘অমলকান্তি’ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সৃষ্টি করা একটি অমর চরিত্র। “অমলকান্তি” হচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের অন্তরে লুকিয়ে থাকা অপরিপূর্ণ কিছু আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। “অমলকান্তি” গতানুগতিক জীবনের বিপরীত ধারায় চলার স্বপ্ন দেখা মানুষের প্রতীক।
সারাংশ: কবিতায় কবি বলছেন যে, অমলকান্তি তার বন্ধু তার সহপাঠী। কিন্তু অমলকান্তি পড়াশুনায় খুবই কাঁচা, রোজ স্কুলে দেরি করে আসে, কিছু জিজ্ঞেস করলে জানালার দিকে চেয়ে থাকে। আর তার এই অন্যমনস্ক চিন্তা ও অস্বাভাবিক কর্ম কবি কে ভাবায় , দুঃখ দেয়।
“অমলকান্তি আমার বন্ধু, ইস্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম।
রোজ দেরি করে ক্লাসে আসতো, পড়া পারতো না,”
সবাই পড়াশোনা করে কোন লক্ষ্য নিয়ে হয়তো কেউ ডাক্তার হতে চায়, কেউতো উকিল। সবাই পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে কিন্তু অমলকান্তি তার ব্যতিক্রমি, সে কোন কিছু হতে চায় না সে হতে চায় রোদ্দুর। সে হতে চায় কাক ডাকা বিকেলের লাজুক রোদ্দুর।
“আমরা কেউ মাষ্টার হতে চেয়েছিলাম, কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল।
অমলকান্তি সে-সব কিছু হতে চায়নি। সে রোদ্দুর হতে চেয়েছিল।”
সবাই প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠলেও কমল কান্তি কিন্তু রোদ্দুর হয়ে উঠতে পারেনি, হয়নি পূরণ তার স্বপ্ন। বর্তমানে সে একটি অন্ধকার ছাপাখানায় কাজ করে তার অপরিপূর্ণ স্বপ্ন নিয়ে।
“আমরা কেউ মাষ্টার হয়েছি। কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল
অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি।”
মানুষ চাইলে অনেক রকম ভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে তার ইচ্ছা ও সাধনায় সে নিতে পারে যেকোনো একটি পেশা। এবং একই ভাবে সবাই প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে কিন্তু কমলা কান্তি তা পেরে উঠেনি। তার রোদ্দুর হওয়ার স্বপ্ন অপ পরিপূর্ণ থেকেই গেল। “সকলেরই ইচ্ছে পূরণ হল, এক অমলকান্তি ছাড়া। অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারে নি।”
অমলকান্তি কেন রোদ্দুর হতে চেয়েছিল? কারণ, ঘিঞ্জি বস্তিতে থাকার ফলে সে রোদ্দুর পায়না। সে জীবনের আনন্দ থেকে বঞ্চিত তাই রোদ্দুর খুঁজে এবং সে নিজে রোদ্দুর হয় যেতে চায়। অমলকান্তি ভিন্ন ধারায় জীবন চালিয়ে যেতে চায় কারণ টাকা পয়সা এবং প্রতিষ্ঠা জীবনে সব কিছু এনে দিতে পারে না।
বাস্তবে কোন মানুষ রোদ বৃষ্টি হতে পারে না তাই রোদ্দুর এখানে জীবনের আলোর প্রতীক, আনন্দের প্রতীক। এবং শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠিত হলে সুখী হওয়া যায় না, টাকা পয়সা হয়তো আমাদেরকে স্বাচ্ছন্দ এনে দে কিন্তু প্রকৃত আনন্দ আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্যে নেই। তাই অমলকান্তি রোদ্দুর হতে হয়ে যায়।
See lessকবিতা : ক্যামেলিয়া (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) Camellia Poem by Rabindranath Tagore in Bengali lyrics?
Hridoy
ক্যামেলিয়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাম তার কমলা,দেখেছি তার খাতার উপরে লেখা।সে চলেছিল ট্রামে, তার ভাইকে নিয়ে কলেজের রাস্তায়।আমি ছিলেম পিছনের বেঞ্চিতে।মুখের এক পাশের নিটোল রেখাটি দেখা যায়,আর ঘাড়ের উপর কোমল চুলগুলি খোঁপার নীচে।কোলে তার ছিল বই আর খাতা।যেখানে আমার নামবার সেখানে নামা হল না।এখন থেকে সময়ের হিসাবRead more
ক্যামেলিয়া
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নাম তার কমলা,
দেখেছি তার খাতার উপরে লেখা।
সে চলেছিল ট্রামে, তার ভাইকে নিয়ে কলেজের রাস্তায়।
আমি ছিলেম পিছনের বেঞ্চিতে।
মুখের এক পাশের নিটোল রেখাটি দেখা যায়,
আর ঘাড়ের উপর কোমল চুলগুলি খোঁপার নীচে।
কোলে তার ছিল বই আর খাতা।
যেখানে আমার নামবার সেখানে নামা হল না।
এখন থেকে সময়ের হিসাব করে বেরোই–
সে হিসাব আমার কাজের সঙ্গে ঠিকটি মেলে না,
প্রায় ঠিক মেলে ওদের বেরোবার সময়ের সঙ্গে,
প্রায়ই হয় দেখা।
মনে মনে ভাবি, আর-কোনো সম্বন্ধ না থাক্,
ও তো আমার সহযাত্রিণী।
নির্মল বুদ্ধির চেহারা
ঝক্ঝক্ করছে যেন।
সুকুমার কপাল থেকে চুল উপরে তোলা,
উজ্জ্বল চোখের দৃষ্টি নিঃসংকোচ।
মনে ভাবি একটা কোনো সংকট দেখা দেয় না কেন,
উদ্ধার করে জন্ম সার্থক করি–
রাস্তার মধ্যে একটা কোনো উৎপাত,
কোনো-একজন গুণ্ডার স্পর্ধা।
এমন তো আজকাল ঘটেই থাকে।
কিন্তু আমার ভাগ্যটা যেন ঘোলা জলের ডোবা,
বড়ো রকম ইতিহাস ধরে না তার মধ্যে,
নিরীহ দিনগুলো ব্যাঙের মতো একঘেয়ে ডাকে–
না সেখানে হাঙর-কুমিরের নিমন্ত্রণ, না রাজহাঁসের।
একদিন ছিল ঠেলাঠেলি ভিড়।
কমলার পাশে বসেছে একজন আধা-ইংরেজ।
ইচ্ছে করছিল, অকারণে টুপিটা উড়িয়ে দিই তার মাথা থেকে,
ঘাড়ে ধরে তাকে রাস্তায় দিই নামিয়ে।
কোনো ছুতো পাই নে, হাত নিশ্পিশ্ করে।
এমন সময়ে সে এক মোটা চুরোট ধরিয়ে
টানতে করলে শুরু।
কাছে এসে বললুম, “ফেলো চুরোট।’
যেন পেলেই না শুনতে,
ধোঁওয়া ওড়াতে লাগল বেশ ঘোরালো করে।
মুখ থেকে টেনে ফেলে দিলেম চুরোট রাস্তায়।
হাতে মুঠো পাকিয়ে একবার তাকালো কট্মট্ ক’রে–
আর কিছু বললে না, এক লাফে নেমে গেল।
বোধ হয় আমাকে চেনে।
আমার নাম আছে ফুটবল খেলায়,
বেশ একটু চওড়া গোছের নাম।
লাল হয়ে উঠল মেয়েটির মুখ,
বই খুলে মাথা নিচু করে ভান করলে পড়বার।
হাত কাঁপতে লাগল,
কটাক্ষেও তাকালে না বীরপুরুষের দিকে।
আপিসের বাবুরা বললে, “বেশ করেছেন মশায়।’
একটু পরেই মেয়েটি নেমে পড়ল অজায়গায়,
একটা ট্যাক্সি নিয়ে গেল চলে।
পরদিন তাকে দেখলুম না,
তার পরদিনও না,
তৃতীয় দিনে দেখি
একটা ঠেলাগাড়িতে চলেছে কলেজে।
বুঝলুম, ভুল করেছি গোঁয়ারের মতো।
ও মেয়ে নিজের দায় নিজেই পারে নিতে,
আমাকে কোনো দরকারই ছিল না।
আবার বললুম মনে মনে,
ভাগ্যটা ঘোলা জলের ডোবা–
বীরত্বের স্মৃতি মনের মধ্যে কেবলই আজ আওয়াজ করছে
কোলাব্যাঙের ঠাট্টার মতো।
ঠিক করলুম ভুল শোধরাতে হবে।
খবর পেয়েছি গরমের ছুটিতে ওরা যায় দার্জিলিঙে।
সেবার আমারও হাওয়া বদলাবার জরুরি দরকার।
ওদের ছোট্ট বাসা, নাম দিয়েছে মতিয়া–
রাস্তা থেকে একটু নেমে এক কোণে
গাছের আড়ালে,
সামনে বরফের পাহাড়।
শোনা গেল আসবে না এবার।
ফিরব মনে করছি এমন সময়ে আমার এক ভক্তের সঙ্গে দেখা,
মোহনলাল–
রোগা মানুষটি, লম্বা, চোখে চশমা,
দুর্বল পাকযন্ত্র দার্জিলিঙের হাওয়ায় একটু উৎসাহ পায়।
সে বললে, “তনুকা আমার বোন,
কিছুতে ছাড়বে না তোমার সঙ্গে দেখা না করে।’
মেয়েটি ছায়ার মতো,
দেহ যতটুকু না হলে নয় ততটুকু–
যতটা পড়াশোনায় ঝোঁক, আহারে ততটা নয়।
ফুটবলের সর্দারের ‘পরে তাই এত অদ্ভুত ভক্তি–
মনে করলে আলাপ করতে এসেছি সে আমার দুর্লভ দয়া।
হায় রে ভাগ্যের খেলা!
যেদিন নেমে আসব তার দু দিন আগে তনুকা বললে,
“একটি জিনিস দেব আপনাকে, যাতে মনে থাকবে আমাদের কথা–
একটি ফুলের গাছ।’
এ এক উৎপাত। চুপ করে রইলেম।
তনুকা বললে, “দামি দুর্লভ গাছ,
এ দেশের মাটিতে অনেক যত্নে বাঁচে।’
জিগেস করলেম, “নামটা কী?’
সে বললে “ক্যামেলিয়া’।
চমক লাগল–
আর-একটা নাম ঝলক দিয়ে উঠল মনের অন্ধকারে।
হেসে বললেম, “ক্যামেলিয়া,
সহজে বুঝি এর মন মেলে না।’
তনুকা কী বুঝলে জানি নে, হঠাৎ লজ্জা পেলে,
খুশিও হল।
চললেম টবসুদ্ধ গাছ নিয়ে।
দেখা গেল পার্শ্ববর্তিনী হিসাবে সহযাত্রিণীটি সহজ নয়।
একটা দো-কামরা গাড়িতে
টবটাকে লুকোলেম নাবার ঘরে।
থাক্ এই ভ্রমণবৃত্তান্ত,
বাদ দেওয়া যাক আরো মাস কয়েকের তুচ্ছতা।
পুজোর ছুটিতে প্রহসনের যবনিকা উঠল
সাঁওতাল পরগনায়।
জায়গাটা ছোটো। নাম বলতে চাই নে–
বায়ুবদলের বায়ু-গ্রস্তদল এ জায়গার খবর জানে না।
কমলার মামা ছিলেন রেলের এঞ্জিনিয়র।
এইখানে বাসা বেঁধেছেন
শালবনে ছায়ায়, কাঠবিড়ালিদের পাড়ায়।
সেখানে নীল পাহাড় দেখা যায় দিগন্তে,
অদূরে জলধারা চলেছে বালির মধ্যে দিয়ে,
পলাশবনে তসরের গুটি ধরেছে,
মহিষ চরছে হর্তকি গাছের তলায়–
উলঙ্গ সাঁওতালের ছেলে পিঠের উপরে।
বাসাবাড়ি কোথাও নেই,
তাই তাঁবু পাতলেম নদীর ধারে।
সঙ্গী ছিল না কেউ,
কেবল ছিল টবে সেই ক্যামেলিয়া।
কমলা এসেছে মাকে নিয়ে।
রোদ ওঠবার আগে
হিমে-ছোঁওয়া স্নিগ্ধ হাওয়ায়
শাল-বাগানের ভিতর দিয়ে বেড়াতে যায় ছাতি হাতে।
মেঠো ফুলগুলো পায়ে এসে মাথা কোটে,
কিন্তু সে কি চেয়ে দেখে।
অল্পজল নদী পায়ে হেঁটে
পেরিয়ে যায় ও পারে,
সেখানে সিসুগাছের তলায় বই পড়ে।
আর আমাকে সে যে চিনেছে
তা জানলেম আমাকে লক্ষ্য করে না বলেই।
একদিন দেখি নদীর ধারে বালির উপর চড়িভাতি করছে এরা।
ইচ্ছে হল গিয়ে বলি, আমাকে দরকার কি নেই কিছুতেই।
আমি পারি জল তুলে আনতে নদী থেকে–
পারি বন থেকে কাঠ আনতে কেটে,
আর, তা ছাড়া কাছাকাছি জঙ্গলের মধ্যে
একটা ভদ্রগোছের ভালুকও কি মেলে না।
দেখলেম দলের মধ্যে একজন যুবক–
শট্-পরা, গায়ে রেশমের বিলিতি জামা,
কমলার পাশে পা ছড়িয়ে
হাভানা চুরোট খাচ্ছে।
আর, কমলা অন্যমনে টুকরো টুকরো করছে
একটা শ্বেতজবার পাপড়ি,
পাশে পড়ে আছে
বিলিতি মাসিক পত্র।
মুহূর্তে বুঝলেম এই সাঁওতাল পরগনার নির্জন কোণে
আমি অসহ্য অতিরিক্ত, ধরবে না কোথাও।
তখনি চলে যেতেম, কিন্তু বাকি আছে একটি কাজ।
আর দিন-কয়েকেই ক্যামেলিয়া ফুটবে,
পাঠিয়ে দিয়ে তবে ছুটি।
সমস্ত দিন বন্দুক ঘাড়ে শিকারে ফিরি বনে জঙ্গলে,
সন্ধ্যার আগে ফিরে এসে টবে দিই জল
আর দেখি কুঁড়ি এগোল কত দূর।
সময় হয়েছে আজ।
যে আনে আমার রান্নার কাঠ।
ডেকেছি সেই সাঁওতাল মেয়েটিকে।
তার হাত দিয়ে পাঠাব
শালপাতার পাত্রে।
তাঁবুর মধ্যে বসে তখন পড়ছি ডিটেকটিভ গল্প।
বাইরে থেকে মিষ্টিসুরে আওয়াজ এল, “বাবু, ডেকেছিস কেনে।’
বেরিয়ে এসে দেখি ক্যামেলিয়া
সাঁওতাল মেয়ের কানে,
কালো গালের উপর আলো করেছে।
সে আবার জিগেস করলে, “ডেকেছিস কেনে।’
আমি বললেম, “এইজন্যেই।’
তার পরে ফিরে এলেম কলকাতায়।
In English Font:
Camellia
Rabindranath Tagore
Tar naam Komola
Dekhechi tar khatar upore lekha.
se cholechilo trame, tar bhai ke niye colleger rastay
Ami chilem pichoner benchite.
Mukher ek pasher nitol rekhati deka jay,
Ar gader upor kumol chulguli khupar niche.
Kole tar chilo boi ar khata.
jekhane amar nambar shekhane nama holo na.
Ekhon theke somoyer hishab kore beroi-
Se hishab amar kajer songe thikti mele na ,
pray thik mele oder berobar somoyer songe,
prai e hoy dekha.
Mone mone bhabi, aar-kuno shmmondho na thak,
O to amar shohojatrini.
Nirmal buddhir chehara
jhakjhak korche jeno.
Sukumar kopal theke chul upore tula,
ujjal chokher dristi nishonkoch.
Mone bhavi ekta kono shonkot dekha jay na keno,
Uddhar kore janmo sharthok kori
Rastar moddhe ekta kono utpat
Kono ekjon gundar spordha.
Emon to aajkal ghotei thake
Kintu amar vagyota jeno ghula joler duba
Boro rokom itihash dhore na tar moddhe
niriho dingulo benger moto ekgeye dake
Na shekhane hangor-kumirer niyontron, na rajhasher.
Ekdin chilo theltheli bhir.
Komolar pashe boseche ekjon adha Engraj
See lessIcche korchilo, okarone tupita uriye dei tar matha theke,
Ghare dhore take rastay di namiye.
Kuno chut pai ne, Hath nimpish kore.
Emon shomoye she ek mota churot dhoriye
Tante korle shuru.
Kache eshe Bollum, “Felo churot”.
Jeno pelei na shunte,
Dhuwa orate laglo besh ghuralo kore.
Mukh theke tene fele dilem churot rastay
Hath mutho pakiye ekbar takalo kotakkho kore
Ar kichu bolle na, ek lafe neme gele
Budh hoy amake chine.
Amar naam aache football khelay,
Besh ektu chora gocher naam.
Lal hoye uthlo meyetir mukh,
Boi khule matha nichu kore van korle porbar
hath kaple laglo,
kotakkheo takale na birpurusher dike.
Aapisher babura bolle, “Besh korechen moshay”
ektu porei neme porlo ojaygay,
Ekta taxi niye chole gelo