1. আমাদের মা – হুমায়ুন আজাদ হুমায়ুন আজাদ আমাদের মাকে আমরা বলতাম তুমি, বাবাকে আপনি। আমাদের মা গরিব প্রজার মত দাঁড়াতো বাবার সামনে, কথা বলতে গিয়ে কখনোই কথা শেষ ক’রে উঠতে পারতোনা। আমাদের মাকে বাবার সামনে এমন তুচ্ছ দেখাতো যে মাকে আপনি বলার কথা আমাদের কোনোদিন মনেই হয়নি। আমাদের মা আমাদের থেকে বড় ছিলো, কিন্তুRead more

    আমাদের মা – হুমায়ুন আজাদ

    হুমায়ুন আজাদ

    আমাদের মাকে আমরা বলতাম তুমি, বাবাকে আপনি।
    আমাদের মা গরিব প্রজার মত দাঁড়াতো বাবার সামনে,
    কথা বলতে গিয়ে কখনোই কথা শেষ ক’রে উঠতে পারতোনা।
    আমাদের মাকে বাবার সামনে এমন তুচ্ছ দেখাতো যে
    মাকে আপনি বলার কথা আমাদের কোনোদিন মনেই হয়নি।

    আমাদের মা আমাদের থেকে বড় ছিলো, কিন্তু ছিলো আমাদের সমান।
    আমাদের মা ছিলো আমাদের শ্রেনীর, আমাদের বর্ণের, আমাদের গোত্রের।
    বাবা ছিলেন অনেকটা আল্লার মতো, তার জ্যোতি দেখলে আমরা সেজদা দিতাম
    বাবা ছিলেন অনেকটা সিংহের মতো, তার গর্জনে আমরা কাঁপতে থাকতাম
    বাবা ছিলেন অনেকটা আড়িয়াল বিলের প্রচন্ড চিলের মতো, তার ছায়া দেখলেই
    মুরগির বাচ্চার মতো আমরা মায়ের ডানার নিচে লুকিয়ে পড়তাম।
    ছায়া সরে গেলে আবার বের হয়ে আকাশ দেখতাম।

    আমাদের মা ছিলো অশ্রুবিন্দু-দিনরাত টলমল করতো
    আমাদের মা ছিলো বনফুলের পাপড়ি;-সারাদিন ঝরে ঝরে পড়তো,
    আমাদের মা ছিলো ধানখেত-সোনা হয়ে দিকে দিকে বিছিয়ে থাকতো।
    আমাদের মা ছিলো দুধভাত-তিন বেলা আমাদের পাতে ঘন হয়ে থাকতো।
    আমাদের মা ছিলো ছোট্ট পুকুর-আমরা তাতে দিনরাত সাঁতার কাটতাম।
    আমাদের মার কোনো ব্যক্তিগত জীবন ছিলো কিনা আমরা জানি না।
    আমাদের মাকে আমি কখনো বাবার বাহুতে দেখি নি।
    আমি জানি না মাকে জড়িয়ে ধরে বাবা কখনো চুমু খেয়েছেন কি না
    চুমু খেলে মার ঠোঁট ওরকম শুকনো থাকতো না।
    আমরা ছোট ছিলাম, কিন্তু বছর বছর আমরা বড় হতে থাকি,
    আমাদের মা বড় ছিলো, কিন্তু বছর বছর মা ছোটো হতে থাকে।

    ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ার সময়ও আমি ভয় পেয়ে মাকে জড়িয়ে ধরতাম।
    সপ্তম শ্রেনীতে ওঠার পর ভয় পেয়ে মা একদিন আমাকে জড়িয়ে ধরে।
    আমাদের মা দিন দিন ছোটো হতে থাকে
    আমাদের মা দিন দিন ভয় পেতে থাকে।
    আমাদের মা আর বনফুলের পাপড়ি নয়, সারাদিন ঝরে ঝরে পড়েনা
    আমাদের মা আর ধানখেত নয়, সোনা হয়ে বিছিয়ে থাকে না
    আমাদের মা আর দুধভাত নয়, আমরা আর দুধভাত পছন্দ করিনা
    আমাদের মা আর ছোট্ট পুকুর নয়, পুকুরে সাঁতার কাটতে আমরা কবে ভুলে গেছি।
    কিন্তু আমাদের মা আজো অশ্রুবিন্দু, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত
    আমাদের মা আজো টলমল করে।

    See less
    • 0
  2. শহর জুড়ে যেন প্রেমের মরসুম আলোতে মাখামাখি আমার এ গ্রীনরুম কখনও নেমে আসে অচেনা প্যারাসুট তোমাকে ভালোবেসে আমার এ চিরকুট শহর জুড়ে যেন প্রেমের মরসুম আলোতে মাখামাখি আমার এ গ্রীনরুম কখনও নেমে আসে অচেনা প্যারাসুট তোমাকে ভালোবেসে আমার এ চিরকুট কলকাতা, তুমিও হেটে দেখো কলকাতা, তুমিও ভেবে দেখো কলকাতা, তুমিও হেRead more

    শহর জুড়ে যেন প্রেমের মরসুম

    আলোতে মাখামাখি আমার এ গ্রীনরুম

    কখনও নেমে আসে অচেনা প্যারাসুট

    তোমাকে ভালোবেসে আমার এ চিরকুট

    শহর জুড়ে যেন প্রেমের মরসুম

    আলোতে মাখামাখি আমার এ গ্রীনরুম

    কখনও নেমে আসে অচেনা প্যারাসুট

    তোমাকে ভালোবেসে আমার এ চিরকুট

    কলকাতা, তুমিও হেটে দেখো

    কলকাতা, তুমিও ভেবে দেখো

    কলকাতা, তুমিও হেটে দেখো

    কলকাতা, তুমিও ভেবে দেখো

    যাবে কি না যাবে আমার সাথেঘুম ভাঙে এসপ্ল্যানেড, খোলা ভাঙে চীনেবাদাম

    ঘুম ভাঙে এসপ্ল্যানেড, খোলা ভাঙে চীনেবাদাম

    চেনা কোনো ঘাসের দাগ, শুয়ে থাকা কি আরাম

    শহর জুড়ে যেন প্রেমের মরসুম

    আলোতে মাখামাখি আমার এ গ্রীনরুম

    কখনও নেমে আসে অচেনা প্যারাসুট

    তোমাকে ভালোবেসে আমার এ চিরকুট

    কলকাতা, তুমিও হেটে দেখো

    কলকাতা, তুমিও ভেবে দেখো

    কলকাতা, তুমিও হেটে দেখো

    কলকাতা, তুমিও ভেবে দেখো

    যাবে কি না যাবে আমার সাথেখুজে দিতে না পারলে আড়ি

    আমার ব্যোমকেশ বক্সীর বাড়িখুজে দিতে না পারলে আড়ি

    আমার ব্যোমকেশ বক্সীর বাড়ি

    তবেই তোমার কথা কলকাতা কলকাতা

    সব কিছু মেনে নিতে পারি

    কেন এ অসম্ভবের, ডেকে আনো আমাকে

    ছুয়ে থাকে হাতটাকে, কবিতার ছাদটাকে

    কলকাতা, তুমিও হেটে দেখো

    কলকাতা, তুমিও ভেবে দেখো

    কলকাতা, তুমিও হেটে দেখো

    কলকাতা, তুমিও ভেবে দেখো

    কলকাতা, তুমিও হেটে দেখো

    কলকাতা, তুমিও ভেবে দেখো

    যাবে কি না যাবে আমার সাথে

    See less
    • 0
  3. জয়ী নই, পরাজিত নই – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় পাহাড়-চুড়ায় দাঁড়িয়ে মনে হয়েছিল আমি এই পৃথিবীকে পদতলে রেখেছি এই আক্ষরিক সত্যের কছে যুক্তি মূর্ছা যায়। শিহরিত নির্জনতার মধ্যে বুক টন্‌‌টন করে ওঠে হাল্‌কা মেঘের উপচ্ছায়ায় একটি ম্লান দিন সবুজকে ধূসর হতে ডাকে আ-দিগন্ত প্রান্তের ও টুকরো ছড়ানো টিলার উপর দিয়ে ভেসে যায়Read more

    জয়ী নই, পরাজিত নই – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

    পাহাড়-চুড়ায় দাঁড়িয়ে মনে হয়েছিল
    আমি এই পৃথিবীকে পদতলে রেখেছি
    এই আক্ষরিক সত্যের কছে যুক্তি মূর্ছা যায়।
    শিহরিত নির্জনতার মধ্যে বুক টন্‌‌টন করে ওঠে
    হাল্‌কা মেঘের উপচ্ছায়ায় একটি ম্লান দিন
    সবুজকে ধূসর হতে ডাকে
    আ-দিগন্ত প্রান্তের ও টুকরো ছড়ানো টিলার উপর দিয়ে
    ভেসে যায় অনৈতিহাসিক হাওয়া
    অরণ্য আনে না কোনো কস্তুরীর ঘ্রাণ
    কিছু নিচে ছুটন্ত মহিলার গোলাপি রুমাল উড়ে গিয়ে পড়ে
    ফণমনসার ঝোপে
    নিঃশব্দ পায়ে চলে যায় খরগোশ আর রোদ্দুর।

    এই যে মুহূর্তে, এই যে দাঁড়িয়ে থাকা–এ‌র কোনো অর্থ নেই
    ঝর্নার জলে ভেসে যায় সম্রাটের শিরস্ত্রাণ
    কমলার কোয়া থেকে খসে পড়া বীজ ঢুকে পড়ে পাতাল গর্ভে
    পোল্‌কা ডট্‌ দুটি প্রজাপতি তাদের আপন আপন কাজে ব্যস্ত
    বাব্‌‌লা গাছের শুক্‌নো কাঁটাও দাবী করেছে প্রকৃতির প্রতিনিধিত্ব।
    সব দৃশ্যই এমন নিরপেক্ষ
    আমি জয়ী নই, আমি পরাজিত নই, আমি এমনই একজন মানুষ
    পাহাড় চূড়ায় পৃথিবীকে পদতলে রেখে, আমার নাভিমূল
    থেকে উঠে আসে বিষণ্ন, ক্লান্ত দীর্ঘশ্বাস
    এই নির্জনতাই আমার ক্ষমাপ্রার্থী অশ্রুমোচনের মুহূর্ত।।

    See less
    • 0
  4. শহরে হঠাৎ আলো চলাচল , জোনাকি নাকি স্মৃতি দাগে ... কাঁপছিল মন , নিরালা রকম , ডাকনাম নামলো পরাগে | কে হারায় ... ইশারায় ... সাড়া দাও ফেলে আসা গান ... রূপকথারা রা রা রা রা চুপকথারা রা রা রা রা ফুরফুরে এক রোদের জন্মদিন ! মনপাহারা রা রা রা রা বন্ধুরা রা রা রা রা আজ খোলা আলটুসি ক্যান্টিন ! বোবা ইমারত , অকুRead more

    শহরে হঠাৎ আলো চলাচল , জোনাকি নাকি স্মৃতি দাগে …
    কাঁপছিল মন , নিরালা রকম , ডাকনাম নামলো পরাগে |
    কে হারায় … ইশারায় …
    সাড়া দাও ফেলে আসা গান …
    রূপকথারা রা রা রা রা
    চুপকথারা রা রা রা রা
    ফুরফুরে এক রোদের জন্মদিন !
    মনপাহারা রা রা রা রা
    বন্ধুরা রা রা রা রা
    আজ খোলা আলটুসি ক্যান্টিন !
    বোবা ইমারত , অকুলানো পথ, শালিকের সৎ অনুরাগে ,
    বলেছে আবার জানলার ধার , ধার-বাকি হাতে চিঠি জাগে !
    কে হারায় … ইশারায় …
    সাড়া দাও ফেলে আসা গান …
    রূপকথারা রা রা রা রা
    চুপকথারা রা রা রা রা
    ফুরফুরে এক রোদের জন্মদিন !
    মনপাহারা রা রা রা রা
    বন্ধুরা রা রা রা রা
    আজ খোলা আলটুসি ক্যান্টিন !
    রোদেলা বেলার, কবিতা খেলার, শীত-ঘুম বই-এর ভাঁজে,
    বেসামাল ট্রাম, মুঠোর বাদাম, জ্বালাতনে গাংচিলটা যে |
    ঝরে একাকার, বালি ধুলো তার , তুলো তুলো বেখেয়াল |
    হঠাৎ শহর, পুরনো মোহর, মহড়া সাজানো আবডালে |
    লজ্জা চিবুক, বানভাসি সুখ, শুক-সারি গল্প নাগালে |
    কে হারায় … ইশারায় …
    সাড়া দাও ফেলে আসা গান …
    রূপকথারা রা রা রা রা
    চুপকথারা রা রা রা রা
    ফুরফুরে এক রোদের জন্মদিন !
    মনপাহারা রা রা রা রা
    বন্ধুরা রা রা রা রা
    আজ খোলা আলটুসি ক্যান্টিন !
    See less
    • 0
  5. এখন অনেক রাত, তোমার কাঁধে আমার নিঃশ্বাস, আমি বেঁচে আছি তোমার ভালোবাসায় ! ছুঁয়ে দিলে হাত, আমার বৃদ্ধ বুকে তোমার মাথা চেপে ধরে টলছি কেমন নেশায় ! কেন যে অসংকোচে অন্ধ গানের কলি, পাখার ব্লেড-এর তালে সোজাসুজি কথা বলি ! আমি ভাবতে পারিনি, তুমি বুকের ভেতর ফাটছো, আমার শরীর জুড়ে তোমার প্রেমের বীজ ! আমি থামRead more

    এখন অনেক রাত,
    তোমার কাঁধে আমার নিঃশ্বাস, আমি বেঁচে আছি তোমার ভালোবাসায় !
    ছুঁয়ে দিলে হাত,
    আমার বৃদ্ধ বুকে তোমার মাথা চেপে ধরে টলছি কেমন নেশায় !

    কেন যে অসংকোচে অন্ধ গানের কলি,
    পাখার ব্লেড-এর তালে সোজাসুজি কথা বলি !

    আমি ভাবতে পারিনি, তুমি বুকের ভেতর ফাটছো, আমার শরীর জুড়ে তোমার প্রেমের বীজ !
    আমি থামতে পারিনি, তোমার গালে নরম দুঃখ, আমায় দুহাত দিয়ে মুছতে দিও প্লিজ !

    তোমার গানের সুর,
    আমার পকেট ভরা সত্যি মিথ্যে রেখে দিলাম তোমার ব্যাগ-এর নীলে |
    জানি তর্কে বহুদূর,
    তাও আমায় তুমি আঁকড়ে ধরো, আমার ভেতর বাড়ছো তিলে তিলে !

    কেন যে অসংকোচে অন্ধ গানের কলি,
    পাখার ব্লেড-এর তালে সোজাসুজি কথা বলি !

    আমি ভাবতে পারিনি, তুমি বুকের ভেতর ফাটছো, আমার শরীর জুড়ে তোমার প্রেমের বীজ !
    আমি থামতে পারিনি, তোমার গালে নরম দুঃখ, আমায় দুহাত দিয়ে মুছতে দিও প্লিজ !

    এখন অনেক রাত,
    তোমার কাঁধে আমার নিঃশ্বাস, আমি বেঁচে আছি তোমার ভালোবাসায় !
    ছুঁয়ে দিলে হাত,
    আমার বৃদ্ধ বুকে তোমার মাথা চেপে ধরে টলছি কেমন নেশায় !

    এখন অনেক রাত,
    তোমার কাঁধে আমার নিঃশ্বাস , আমি বেঁচে আছি তোমার ভালোবাসায় !
    ভালোবাসায় ….

    See less
    • 0
  6. অজানা কোনো গল্প বলে মেঘলা নীল, অচেনা পথে দিচ্ছে পাড়ি একলা চিল | না পড়া কবিতা এলো ঢেউ হয়ে, যায় হারিয়ে খুঁজতে গিয়ে অন্ত্যমিল | ফিসফিসিয়ে বললো কথা যে ছিল, ক্যাসরিনা লজ্জা পেয়ে ঢাকলো মুখ, চিলতে জলে আয়না হলো এ বিকেল, চাওয়া পাওয়া এ হাওয়াতে আজ মিশেল | বালির টানে পায়ের তুলি জলের রঙে ; আমি আঁকিRead more

    অজানা কোনো গল্প বলে মেঘলা নীল,
    অচেনা পথে দিচ্ছে পাড়ি একলা চিল |
    না পড়া কবিতা এলো ঢেউ হয়ে,
    যায় হারিয়ে খুঁজতে গিয়ে অন্ত্যমিল |

    ফিসফিসিয়ে বললো কথা যে ছিল,
    ক্যাসরিনা লজ্জা পেয়ে ঢাকলো মুখ,
    চিলতে জলে আয়না হলো এ বিকেল,
    চাওয়া পাওয়া এ হাওয়াতে আজ মিশেল |
    বালির টানে পায়ের তুলি জলের রঙে ;
    আমি আঁকি যখন তখন,
    বিষন্ন এক মন কেমন !

    See less
    • 0
  7. This answer was edited.

    ক্রিকেট সূচনাঃ বর্তমানে বিশ্বে ক্রিকেট একটি জনপ্রিয় খেলা।ক্রিকেট, ফুটবলের মতোই একটি বিদেশি খেলা। ফুটবল খেলা যদিও জনপ্রিয় খেলা তবু ক্রিকেটকেই বলা হয় খেলার রাজা। অনেক ব্যয়বহুল ও দীর্ঘ সময়ের খেলা হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ক্রিকেট খেলা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ক্রিকেট খেলার ইতিহাসঃ ক্রRead more

    ক্রিকেট

    সূচনাঃ বর্তমানে বিশ্বে ক্রিকেট একটি জনপ্রিয় খেলা।ক্রিকেট, ফুটবলের মতোই একটি বিদেশি খেলা। ফুটবল খেলা যদিও জনপ্রিয় খেলা তবু ক্রিকেটকেই বলা হয় খেলার রাজা। অনেক ব্যয়বহুল ও দীর্ঘ সময়ের খেলা হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ক্রিকেট খেলা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

    ক্রিকেট খেলার ইতিহাসঃ ক্রিকেট খেলার জন্মভূমি ইংল্যান্ডে। খ্রিস্টীয় আঠারো শতকে ইংল্যান্ডের মাটিতেই প্রথম ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। হ্যাম্পশায়ারের অন্তর্গত হাম্পবলডনে প্রথমে ক্রিকেট দল গড়ে উঠে। তারপর সমগ্র ইংল্যান্ডে এ খেলা জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ঊনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীর পূর্বাহ্নে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য সম্প্রসারিত হওয়ার সাথে সাথে ক্রিকেট খেলাও ছড়িয়ে পড়ে। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক সফরের মাধ্যমে বিশ্ব ক্রিকেটপ্রিয় দেশগুলোর সাথে প্রতিযোগিতায় অবর্তীণ হয়। পরবর্তীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, বাংলাদেশ কেনিয়, আয়ারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও স্কটল্যান্ড প্রভৃতি দেশে এ খেলা ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

    ক্রিকেট খেলার প্রকারভেদঃ ক্রিকেট খেলা তিন ধরনের। যথা- টেস্ট ম্যাচ অর্থাৎ পাঁচ দিনের খেলা, ওয়ানডে ম্যাচ অর্থাৎ এক দিনের সীমিত ওভারের খেলা, এবং টি টোয়েন্টি ম্যাচ।

    ক্রিকেট খেলার নিয়মঃ  ক্রিকেট দু’দলে খেলতে হয়। প্রত্যেক দলে এগারোজন করে খেলোয়াড় থাকে। ক্রিকেট খেলার জন্য একটি কাঠের ব্যাট ও মুষ্টির ন্যায় আয়তনবিশিষ্ট একটি গোলাকার কাঠের বলের প্রয়োজন হয়। মাঠের মধ্যস্থলে পরস্পরের সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে বাইশ গজ দূরে এক একদিকে তিনটি করে কাঠের দন্ড পোঁতা থাকে। এ পোঁতা কাঠের দন্ডকে ক্রিকেটের পরিভাষায় ‘উইকেট’ বলা হয়। এ উইকেটের মাথায় একটি নির্দিষ্ট মানের দুটি করে কাঠখন্ড থাকে, এগুলোকে বলা হয়, ‘বেইল’। ক্রিকেট খেলা আরম্ভ হওয়ার পূর্বে টস দেওয়া হয়। যে পক্ষ টসে জয়লাভ করে সে পক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় কে আগে ব্যাট করবে। প্রতিপক্ষ ফিল্ডিং-এর জন্য প্রস্তুত হয়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে উভয় দলকে পর্যায়ক্রমে দুবার করে ব্যাট করতে হয়। প্রত্যেকবারের খেলাকে একটি ইনিংস বলা হয়। ক্রিকেট খেলা যিনি পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রন করেন তাকে আম্পায়ার বলে। দুই পাশের উইকেটের জন্য দুইজন আম্পায়ার থাকেন। তবে বর্তমানে আরও এক আম্পায়ার অন্তরালে থাকে কাজ করেন, যাকে ‘থার্ড আম্পায়ার’ বলা হয়।

    একদল ব্যাট করে আর অন্যদল মাঠের নির্দিষ্ট স্থান ঘিরে দাঁড়ায় যাতে বল আয়ত্তের বাইরে যেতে না পারে। দুজন ব্যাটধারী দুদিকে উইকেটের নিকট পরস্পর মুখোমুখি দাঁড়ায়। তাদের মধ্যে একজন দল পিটায় আর অন্যজন প্রয়োজনবোধে দৌড়িয়ে দলের জন্য রান সংগ্রহ করতে সাহায্য করে, পরে পালাক্রমে নিজেরা ব্যাট করে। তাদের একজন একদিক হতে বল নিক্ষেপ করে ব্যাটধারীর উইকেট স্পর্শ বা আঘাত করতে চেষ্টা করে। বল নিক্ষেপকারীকে ‘বোলার’ বলে। একজন বোলার একধারে ছয় বল অর্থাৎ এক ওভার এবঙ একদিকে খেলায় বিরতি দিয়ে দিয়ে মোট দশ ওভার বল করতে পারে। ব্যাটধারীর উইকেটের পেছনে যে দাঁড়িয়ে থাকে তাকে ‘উইকেট রক্ষক’ বলে। তাদের লক্ষ্য থাকে উইকেট বলের দিক, বাকি খেলোয়াড় চতুর্দিকে নির্দিষ্ট স্থানে দাড়িঁয়ে বল আটকাবার চেষ্টা করে। এ জন্য তাদেরকে ফিল্ডার বলে। একদলের দশজন খেলোয়াড় আউট হলে তাদের এক ইনিংস শেষ হয়। তখন অপর দল ব্যাট করার সুযোগ পায়।

    আউটবিধিঃ প্রত্যেক বোলার সর্বদা ব্যাটসম্যানকে আউট করা চেষ্টা করেন। আবার ব্যাটম্যান চেষ্টা করেন উইকেট রক্ষা করার। আর এভাবেই খেলা উপভোগ্য হয়ে উঠে। খিল্ডি-এ থাকা দলের খেলোয়াড়রা মাঠের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয় এবং বলকে সীমানা ছাড়িয়ে যেতে বাধা দেয়। ফিল্ডাররা বল মাটি স্পর্শ করার আগেই শূন্যে বলটি ধরে ব্যাটসম্যানকে ‘ক্যাচ আউট’ করেন। ক্যাচ আউট ছাড়াও বোল্ড আউট, রান আউট, লেগ বিফোর উইকেট, স্ট্যাম্প আউট ইত্যাদি রয়েছে।

    জয়- পরাজয়ঃ একদিনের খেলায় জয় পরাজয় নির্ধারিত হয় নির্দিষ্ট ওভারে রানের সংখ্যা এবং কতজন ব্যাটসম্যান নট আউট তার হিসাব দ¦ারা । সুতরাং এ খেলায় সব সময় লক্ষ রাখতে হয় রান বাড়াবার দিকে এবং উইকেট রক্ষার দিকে। অন্যদিকে টেস্ট ম্যাচে প্রতি দল দুইবার ব্যাট করার সুযোগ পায়। এর মধ্যে যে দল বেশি রান করতে পারে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিপক্ষকে আউট করতে পারে সে দলই জয়ী হয় নতুবা খেলা ড্র হয়।

    সাম্প্রতিক ক্রিকেট খেলাঃ সাম্প্রতিককালে এ খেলা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং এর অনেক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। বর্তমানে দীর্ঘ সময়ের অসুবিধা দূর করা জন্য টি-টোয়েন্টি খেলা চালু করা হয়েছে। এতে প্রত্যেক দল ২০ ওভার করে বল খেলার সুযোগ পায়; এতে যে দল বেশি রান করতে পারে সে দল বিজয়ী বলে ঘোষিত হয়। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ কম সময়ে শেষ হয় বলে এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। তা ছাড়া ৫০ ওভারের ওয়ান ডে ম্যাচ ও তার জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।

    বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ ক্রিকেটের ইতিহাস দীর্ঘদিনের হলেও ১৯৭৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে ক্রিকেটের মহামিলন বিশ্বকাপ ক্রিকেট। প্রত্যেক চার বছর পর পর বিশ্বকাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম, দ্বিতীয় এবঙ তৃতীয় বিশ্বকাপ ইংল্যান্ড অনুষ্ঠিত হয। প্রথম দুইবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং তৃতীয়বার ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৮৭ সালে ভারত ও পরিস্তানে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বিশ্বকাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড অনুষ্ঠিত পঞ্চম বিশ্বকাপ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। ১৯৯৬ সালে পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলংকায় যৌথভাবে অনুষ্ঠিত যষ্ঠ বিশ্বকাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলংকা। ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড অনুষ্ঠিত সপ্তম বিশ্বকাপ, ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত অষ্টম বিশ^কাপ এবঙ ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত নবম বিশ্বকাপ জয় করে অস্ট্রেলিয়া। ২০১১ সালে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকা যৌথভাবে আয়োজন করে দশম বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসর। এ আসরে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৫ সালে যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড এগারোতম বিশ্বকাপ আয়োজন করে। দুই স্বাগতিক দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ফাইনাল ম্যাচ এবং এতে অস্ট্রেলিয়া জয়লাভ করে চ্যম্পিয়ন হয়।

    উপকারিতাঃ অন্যান্য খেলাধুলার ন্যায় ক্রিকেট খেলাও আনন্দদায়ক ও স্বাস্থপ্রদ। শরীরচর্চার দিক ব্যতীত এর অন্য একটা দিকও আছে চরিত্র গছন, দৈর্য, সহিষষ্ণুতা, সতর্কতা, সহযোগিতা প্রভৃতি গুণ এ খেলা থেকেই লাভ করা যায়।

    অপকারিতাঃ  ক্রিকেট অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ খেলা। বোলার কর্তৃক সজোরে ছোড়া বল ব্যাটসম্যানকে মারাত্মকভঅবে আহত করতে পারে। এমনকি তা মৃত্যুর কারনও হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ফিল্ডারদেরও ফিল্ডিং করতে গিয়ে করুণ করিণতি বহন করত দেখা যায়। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ফিল হিউজ বলের আঘাতে মৃতুবরণ করেন। এরকম উদাহরণ আরও অনেকে রয়েছে। তা ছাড়া অনেকের মতে, ক্রিকেট খেলায় অনেক বেশি সময় ও অর্থ ব্যয় হয়।

    উপসংহারঃ বর্তমানে দেশ বিদেশে ক্রিকেট একটি জনপ্রিয় খেলা। এ খেলায় মাধ্যমে দেশে দেশে গড়ে উঠে সখ্যতা। মানুষের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন হয় দৃঢ়। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে এ খেলা সকল মানুষকে এক কাতারে সামিল করে। যা বিশ্ব শান্তির দ্বার উন্মোচিত করে সহজেই।

    See less
    • 0
  8. ভালবাসি, ভালবাসি —সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ধরো কাল তোমার পরীক্ষা,রাত জেগে পড়ার টেবিলে বসে আছ, ঘুম আসছে না তোমার হঠাত করে ভয়ার্ত কন্ঠে উঠে আমি বললাম- ভালবাস? তুমি কি রাগ করবে? নাকি উঠে এসে জড়িয়ে ধরে বলবে, ভালবাসি, ভালবাসি.. ধরো ক্লান্ত তুমি, অফিস থেকে সবে ফিরেছ, ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত পীড়িত.. খাওয়ার টেবিলে কিRead more

    ভালবাসি, ভালবাসি
    —সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
    ধরো কাল তোমার পরীক্ষা,রাত জেগে পড়ার
    টেবিলে বসে আছ,
    ঘুম আসছে না তোমার
    হঠাত করে ভয়ার্ত কন্ঠে উঠে আমি বললাম-
    ভালবাস? তুমি কি রাগ করবে?
    নাকি উঠে এসে জড়িয়ে ধরে বলবে,
    ভালবাসি, ভালবাসি..
    ধরো ক্লান্ত তুমি, অফিস থেকে সবে ফিরেছ,
    ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত পীড়িত..
    খাওয়ার টেবিলে কিছুই তৈরি নেই,
    রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে ঘর্মাক্ত আমি তোমার
    হাত ধরে যদি বলি- ভালবাস?
    তুমি কি বিরক্ত হবে?
    নাকি আমার হাতে আরেকটু
    চাপ দিয়ে বলবে
    ভালবাসি, ভালবাসি..
    ধরো দুজনে শুয়ে আছি পাশাপাশি,
    সবেমাত্র ঘুমিয়েছ তুমি
    দুঃস্বপ্ন দেখে আমি জেগে উঠলাম শশব্যস্ত
    হয়ে তোমাকে ডাক দিয়ে যদি বলি-ভালবাস?
    তুমি কি পাশ ফিরে শুয়ে থাকবে?
    নাকি হেসে উঠে বলবে
    ভালবাসি, ভালবাসি..
    ধরো রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি দুজনে,মাথার উপর
    তপ্ত রোদ,বাহন
    পাওয়া যাচ্ছেনা এমন সময় হঠাত দাঁড়িয়ে পথ
    রোধ করে যদি বলি-ভালবাস?
    তুমি কি হাত সরিয়ে দেবে?
    নাকি রাস্তার সবার দিকে তাকিয়ে কাঁধে হাত
    দিয়ে বলবে
    ভালবাসি, ভালবাসি..
    ধরো শেভ করছ তুমি,গাল কেটে রক্ত পড়ছে,এমন সময়
    তোমার এক ফোঁটা রক্ত হাতে নিয়ে যদি বলি-
    ভালবাস?
    তুমি কি বকা দেবে?
    নাকি জড়িয়ে তোমার গালের রক্ত আমার
    গালে লাগিয়ে দিয়ে খুশিয়াল
    গলায় বলবে
    ভালবাসি, ভালবাসি..
    ধরো খুব অসুস্থ তুমি,জ্বরে কপাল পুড়ে যায়,
    মুখে নেই রুচি, নেই কথা বলার
    অনুভুতি,
    এমন সময় মাথায় পানি দিতে দিতে তোমার
    মুখের
    দিকে তাকিয়ে যদি বলি-ভালবাস?
    তুমি কি চুপ করে থাকবে?নাকি তোমার গরম
    শ্বাস আমার
    শ্বাসে বইয়ে দিয়ে বলবে ভালবাসি, ভালবাসি..
    ধরো যুদ্ধের দামামা বাজছে ঘরে ঘরে,প্রচন্ড
    যুদ্ধে তুমিও অঃশীদার,
    শত্রুবাহিনী ঘিরে ফেলেছে ঘর
    এমন সময় পাশে বসে পাগলিনী আমি তোমায়
    জিজ্ঞেস করলাম-
    ভালবাস? ক্রুদ্ধস্বরে তুমি কি বলবে যাও?
    নাকি চিন্তিত আমায় আশ্বাস
    দেবে,বলবে
    ভালবাসি, ভালবাসি..
    ধরো দূরে কোথাও যাচ্ছ
    তুমি,দেরি হয়ে যাচ্ছে,বেরুতে যাবে,হঠাত
    বাধা দিয়ে বললাম-ভালবাস? কটাক্ষ করবে?
    নাকি সুটকেস ফেলে চুলে হাত
    বুলাতে বুলাতে বলবে
    ভালবাসি, ভালবাসি
    ধরো প্রচন্ড ঝড়,উড়ে গেছে ঘরবাড়ি,আশ্রয় নেই
    বিধাতার দান এই
    পৃথিবীতে,বাস করছি দুজনে চিন্তিত তুমি
    এমন সময় তোমার
    বুকে মাথা রেখে যদি বলি ভালবাস?
    তুমি কি সরিয়ে দেবে?
    নাকি আমার মাথায় হাত রেখে বলবে
    ভালবাসি, ভালবাসি..
    ধরো সব ছেড়ে চলে গেছ কত দুরে,
    আড়াই হাত মাটির নিচে শুয়ে আছ
    হতভম্ব আমি যদি চিতকার করে বলি-ভালবাস?
    চুপ করে থাকবে?নাকি সেখান থেকেই
    আমাকে বলবে ভালবাসি, ভালবাসি..
    যেখানেই যাও,যেভাবেই থাক,না থাকলেও দূর
    থেকে ধ্বনি তুলো
    ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি..
    দূর থেকে শুনব তোমার কন্ঠস্বর,বুঝব
    তুমি আছ,তুমি আছ
    ভালবাসি, ভালবাসি….
    See less
    • 0
  9. ধিতাং ধিতাং বোলে কে মাদলে তান তোলে কার আনন্দ উচ্ছলে আকাশ ভরে জোছনায়।। আয় ছুটে সকলে এই মাটির ধরা তলে আজ হাসির কলরোলে নূতন জীবন গড়ি আয়।। আয় রে আয় লগন বয়ে যায় মেঘ গুড়গুড় করে চাঁদের সীমানায়। পারুল বোন ডাকে চম্পা ছুটে আয় বর্গীরা সব হাঁকে কোমর বেঁধে আয়। আয় রে আয়, আয় রে আয়।। ধিনাক না তিন তিনা এই বাজা রে প্Read more

    ধিতাং ধিতাং বোলে
    কে মাদলে তান তোলে
    কার আনন্দ উচ্ছলে আকাশ ভরে জোছনায়।।
    আয় ছুটে সকলে এই মাটির ধরা তলে
    আজ হাসির কলরোলে নূতন জীবন গড়ি আয়।।
    আয় রে আয় লগন বয়ে যায়
    মেঘ গুড়গুড় করে চাঁদের সীমানায়।
    পারুল বোন ডাকে চম্পা ছুটে আয়
    বর্গীরা সব হাঁকে কোমর বেঁধে আয়।
    আয় রে আয়, আয় রে আয়।।
    ধিনাক না তিন তিনা
    এই বাজা রে প্রাণ-বীণা
    আজ সবার মিলন বিনা এমন জীবন বৃথা যায়।।
    এ দেশ তোমার আমার
    এই আমরা ভরি খামার
    আর আমরা গড়ি স্বপন দিয়ে সোনার কামনা।।
    আয় রে আয় লগন বয়ে যায়,
    মেঘ গুড়গুড় করে চাঁদের সীমানায়।
    পারুল বোন ডাকে চম্পা ছুটে আয়,
    বর্গীরা সব হাঁকে কোমর বেঁধে আয়।
    আয় রে আয়, আয় রে আয়।।
    See less
    • 0