কুকুর সূচনা: কুকুর একটি চতুষ্পদী প্রাণী। ইহা মানুষের কাছে সবচেয়ে বিশ্বাসী প্রাণী বলে আখ্যা দেওয়া হয়। অনেক মানুষ কুকুর পোষে থাকে। বিবরণ: কুকুরের চারটি পা, দুইটি চোখ দুইটি কান ও একটি বাঁকা লেজ থাকে। কুকুরের দাঁত এবং নখ খুবই তীক্ষ্ণ হয়। এবং এর সাহায্যে ওরা শিকার করে এবং তাদের শত্রুদের সঙ্গে লড়াই কRead more
কুকুর
সূচনা: কুকুর একটি চতুষ্পদী প্রাণী। ইহা মানুষের কাছে সবচেয়ে বিশ্বাসী প্রাণী বলে আখ্যা দেওয়া হয়। অনেক মানুষ কুকুর পোষে থাকে।
বিবরণ: কুকুরের চারটি পা, দুইটি চোখ দুইটি কান ও একটি বাঁকা লেজ থাকে। কুকুরের দাঁত এবং নখ খুবই তীক্ষ্ণ হয়। এবং এর সাহায্যে ওরা শিকার করে এবং তাদের শত্রুদের সঙ্গে লড়াই করে।
প্রজাতি এবং আবরণ: কুকুর বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে। যেমন: আমেরিকান পিটবুল, জাপানি কুকুর, আফগান হাউন্ড, ইন্ডিয়ান পেরিয়া ইত্যাদি। প্রকারভেদে বিভিন্ন কুকুর হিংস্র এবং সাহসী হয়ে থাকে।
পৃথিবীর প্রায় সব দেশে বিভিন্ন রঙের কুকুর দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু সাধারণত সাদা, কাল, লাল, বাদামি এই রং এর কুকুর সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়।
খাদ্য: কুকুর একটি মাংসভোজী প্রাণী। মাংস জাতীয় খাবার তাদের প্রিয়। তদুপরি, মানুষের দেওয়া বিভিন্ন খাদ্য তাহারা খেয়ে থাকে।
উপকারিতা: কুকুর মানুষের বিভিন্ন কাজে আসে। মানুষের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য প্রাণী হওয়ার জন্য তাহারা পাহারা দেওয়ার কাজ করে। তাছাড়া কুকুর দিয়ে শিকার করা হয়। এবং বিভিন্ন সার্কাসে কুকুরের সাহায্যে অনেক কাজ সাধন করা হয়।
উপসংহার: কুকুর মানুষের একটি উপকারি জন্তু। মানুষের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য প্রাণী তাই আমাদেরকে কুকুরের প্রতি যত্ন নেওয়া উচিত।
See less
Hridoy
একটি পাখির আত্মকথা আমি একটি ছোট্ট পাখি।ক্ষুদ্র একটি ডিম থকে আমার এই পৃথিবীতে আসা । আমার বাবা-মা আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। তারা আমাকে সব কিছু শিখিয়েছে, কিভাবে উড়তে হয়, কিভাবে থাকতে হয় কোন ছিমছাম বাসায়। তাদের হাত ধরেই আমি দেখলাম উজ্জ্বল এই পৃথিবীর আলো এবং তাঁর মায়াবী পরিবেশ। আমার বাবা-মা আমাকে আত্মবিশ্Read more
একটি পাখির আত্মকথা
আমি একটি ছোট্ট পাখি।ক্ষুদ্র একটি ডিম থকে আমার এই পৃথিবীতে আসা । আমার বাবা-মা আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। তারা আমাকে সব কিছু শিখিয়েছে, কিভাবে উড়তে হয়, কিভাবে থাকতে হয় কোন ছিমছাম বাসায়। তাদের হাত ধরেই আমি দেখলাম উজ্জ্বল এই পৃথিবীর আলো এবং তাঁর মায়াবী পরিবেশ।
আমার বাবা-মা আমাকে আত্মবিশ্বাসী হতে শিখিয়েছে । তারা আমাকে প্রতিদিন যত্ন করে খাওয়াত এবং আমাকে স্বাচ্ছন্দ্য রাখত সুন্দর একটি বাসায়।রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকারে আমাকে জড়িয়ে রাখত তাদের পালকের নিচে। তারা আমাকে শিখিয়েছিল দৈনন্দিন জীবনে বেঁছে থাকার সব কলা কৌশল।
আমার জীবনের সবচেয়ে খুশির দিন, যেদিন আমি উড়তে শিখলাম। কারন একটি পাখির জীবন মানেই তো উড়তে থাকা। ধীরে ধীরে আমি সম্পূর্ণরূপে উড়তে শিখলাম। প্রতিদিন নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করলাম, জানলাম নিজেকে এবং এই সুন্দর পৃথিবী কে।
আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিনটি ছিল যেইদিন যখন আমি নিজের বাড়ি ত্যাগ করলাম। যাত্রা করলাম নতুন ঠিকানার উদ্দেশ্যে, নতুন দিনের আশায়।নিজেকে সেই দিন খুবই একা মনে হল। আমাকে পোহাতে হলো অনেক কষ্ট ও যন্ত্রণা। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নিজেকে মানিয়ে নিলাম নতুন পরিবেশে। দেখা হলো অন্যান্য পাখিদের সঙ্গে এবং গড়ে উঠলো নতুন বন্ধুত্ব।
আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর নাম অহনা। আমরা সারা বছর জুড়ে একসঙ্গে উড়ে বেড়াই পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায়। ঋতুভেদে আমাদেরকে আশ্রয় নিতে হয় ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে। উড়তে উড়তে চোখে পড়ে সুন্দর এই পৃথিবীর সবুজ বনাঞ্চল, গাছে ভরা পাহাড় পর্বত আরো কত অপরূপ দৃশ্য। এইজন্য নিজেকে কখনো কখনো খুব সৌভাগ্যবান মনে হয় কারণ অন্য কোন প্রাণী হয়ে এই পৃথিবীতে আসলে হয়তো এই সৌন্দর্য উপভোগ করার কোন সুযোগ থাকত না। বিনা বাধায়, বিনা দ্বিধায় উড়তে পারার ক্ষমতাকে আমি খুবই উপভোগ করি। পৃথিবীতে পাখি হয়ে জন্ম গ্রহন করে আমি খুবই ধন্য।