Discy Latest Questions

  1. একটি পাখির আত্মকথা আমি একটি ছোট্ট পাখি।ক্ষুদ্র একটি ডিম থকে আমার এই পৃথিবীতে আসা । আমার বাবা-মা আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। তারা আমাকে সব কিছু শিখিয়েছে, কিভাবে উড়তে হয়, কিভাবে থাকতে হয় কোন ছিমছাম বাসায়। তাদের হাত ধরেই আমি দেখলাম উজ্জ্বল এই পৃথিবীর আলো এবং তাঁর মায়াবী পরিবেশ। আমার বাবা-মা আমাকে আত্মবিশ্Read more

    একটি পাখির আত্মকথা

    আমি একটি ছোট্ট পাখি।ক্ষুদ্র একটি ডিম থকে আমার এই পৃথিবীতে আসা । আমার বাবা-মা আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। তারা আমাকে সব কিছু শিখিয়েছে, কিভাবে উড়তে হয়, কিভাবে থাকতে হয় কোন ছিমছাম বাসায়। তাদের হাত ধরেই আমি দেখলাম উজ্জ্বল এই পৃথিবীর আলো এবং তাঁর মায়াবী পরিবেশ।

    আমার বাবা-মা আমাকে আত্মবিশ্বাসী হতে শিখিয়েছে । তারা আমাকে প্রতিদিন যত্ন করে খাওয়াত এবং আমাকে স্বাচ্ছন্দ্য রাখত সুন্দর একটি বাসায়।রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকারে আমাকে জড়িয়ে রাখত তাদের পালকের নিচে। তারা আমাকে শিখিয়েছিল দৈনন্দিন জীবনে বেঁছে থাকার সব কলা কৌশল।

    আমার জীবনের সবচেয়ে খুশির দিন, যেদিন আমি উড়তে শিখলাম। কারন একটি পাখির জীবন মানেই তো উড়তে থাকা। ধীরে ধীরে আমি সম্পূর্ণরূপে উড়তে শিখলাম। প্রতিদিন নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করলাম, জানলাম নিজেকে এবং এই সুন্দর পৃথিবী কে।

    আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিনটি ছিল যেইদিন যখন আমি নিজের বাড়ি ত্যাগ করলাম। যাত্রা করলাম নতুন ঠিকানার উদ্দেশ্যে, নতুন দিনের আশায়।নিজেকে সেই দিন খুবই একা মনে হল। আমাকে পোহাতে হলো অনেক কষ্ট ও যন্ত্রণা। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নিজেকে মানিয়ে নিলাম নতুন পরিবেশে। দেখা হলো অন্যান্য পাখিদের সঙ্গে এবং গড়ে উঠলো নতুন বন্ধুত্ব।

    আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর নাম অহনা। আমরা সারা বছর জুড়ে একসঙ্গে উড়ে বেড়াই পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায়। ঋতুভেদে আমাদেরকে আশ্রয় নিতে হয় ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে। উড়তে উড়তে চোখে পড়ে সুন্দর এই পৃথিবীর সবুজ বনাঞ্চল, গাছে ভরা পাহাড় পর্বত আরো কত অপরূপ দৃশ্য। এইজন্য নিজেকে কখনো কখনো খুব সৌভাগ্যবান মনে হয় কারণ অন্য কোন প্রাণী হয়ে এই পৃথিবীতে আসলে হয়তো এই সৌন্দর্য উপভোগ করার কোন সুযোগ থাকত না। বিনা বাধায়, বিনা দ্বিধায় উড়তে পারার ক্ষমতাকে আমি খুবই উপভোগ করি। পৃথিবীতে পাখি হয়ে জন্ম গ্রহন করে আমি খুবই ধন্য।

     

    See less
    • 0
  1. কুকুর সূচনা: কুকুর একটি চতুষ্পদী প্রাণী। ইহা মানুষের কাছে সবচেয়ে বিশ্বাসী প্রাণী বলে আখ্যা দেওয়া হয়। অনেক মানুষ কুকুর পোষে থাকে। বিবরণ: কুকুরের চারটি পা, দুইটি চোখ দুইটি কান ও একটি বাঁকা লেজ থাকে। কুকুরের দাঁত এবং নখ খুবই তীক্ষ্ণ হয়। এবং এর সাহায্যে ওরা শিকার করে এবং তাদের শত্রুদের সঙ্গে লড়াই কRead more

    কুকুর

    সূচনা: কুকুর একটি চতুষ্পদী প্রাণী। ইহা মানুষের কাছে সবচেয়ে বিশ্বাসী প্রাণী বলে আখ্যা দেওয়া হয়। অনেক মানুষ কুকুর পোষে থাকে।

    বিবরণ: কুকুরের চারটি পা, দুইটি চোখ দুইটি কান ও একটি বাঁকা লেজ থাকে। কুকুরের দাঁত এবং নখ খুবই তীক্ষ্ণ হয়। এবং এর সাহায্যে ওরা শিকার করে এবং তাদের শত্রুদের সঙ্গে লড়াই করে।

    প্রজাতি এবং আবরণ: কুকুর বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে। যেমন: আমেরিকান পিটবুল, জাপানি কুকুর, আফগান হাউন্ড, ইন্ডিয়ান পেরিয়া ইত্যাদি। প্রকারভেদে বিভিন্ন কুকুর হিংস্র এবং সাহসী হয়ে থাকে।
    পৃথিবীর প্রায় সব দেশে বিভিন্ন রঙের কুকুর দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু সাধারণত সাদা, কাল, লাল, বাদামি এই রং এর কুকুর সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়।

    খাদ্য: কুকুর একটি মাংসভোজী প্রাণী। মাংস জাতীয় খাবার তাদের প্রিয়। তদুপরি, মানুষের দেওয়া বিভিন্ন খাদ্য তাহারা খেয়ে থাকে।

    উপকারিতা: কুকুর মানুষের বিভিন্ন কাজে আসে। মানুষের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য প্রাণী হওয়ার জন্য তাহারা পাহারা দেওয়ার কাজ করে। তাছাড়া কুকুর দিয়ে শিকার করা হয়। এবং বিভিন্ন সার্কাসে কুকুরের সাহায্যে অনেক কাজ সাধন করা হয়।

    উপসংহার: কুকুর মানুষের একটি উপকারি জন্তু। মানুষের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য প্রাণী তাই আমাদেরকে কুকুরের প্রতি যত্ন নেওয়া উচিত।

    See less
    • 1
  1. আমার মা আমার মা আমার সবচেয়ে প্রিয়। মা আমাকে সব সময় আদর করেন। আমার যে কোনো প্রয়োজনে বিপদে-আপদে আমার সহায় হোন। আমার মা খুবই পরিশ্রমী। তিনি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেন এবং পরিবারের সমস্ত কাজ হাতে নেন। রোজ সকালে আমাদেরকে নাস্তা তৈরি করে দেন। স্কুলে যাওয়ার সময় বইপত্র, জামা কাপড় সবকিছু গুছিয়ে দেন। তিনRead more

    আমার মা

    আমার মা আমার সবচেয়ে প্রিয়। মা আমাকে সব সময় আদর করেন। আমার যে কোনো প্রয়োজনে বিপদে-আপদে আমার সহায় হোন।

    আমার মা খুবই পরিশ্রমী। তিনি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেন এবং পরিবারের সমস্ত কাজ হাতে নেন। রোজ সকালে আমাদেরকে নাস্তা তৈরি করে দেন। স্কুলে যাওয়ার সময় বইপত্র, জামা কাপড় সবকিছু গুছিয়ে দেন। তিনি প্রত্যেকদিন আমাকে স্কুলে পৌঁছে দেন এবং ফেরার সময় আবার নিয়ে যান।

    আমার মা খুবই মজার রান্না করেন। প্রত্যেক দিন আমাদের জন্য নানারকম খাদ্য রান্না করেন। আমার মা খুব শান্ত ও নরম মনের মানুষ। তিনি কখনো আমাকে বকাবকি করেন না। লেখাপড়ার সময় আমাকে সাহায্য করেন।

    আমার মা আমাকে খেলাধুলা শরীরচর্চার জন্য উৎসাহ দেন। মা আমাকে গান ও ছবি আঁকা শিখান। এবং প্রতি রাত্রে শোয়ার আগে নানান গল্প শোনান। আমার মা আমাদের আত্মীয় স্বজনদের খোঁজ খবর রাখেন। আমি প্রায়ই আমার মায়ের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াই।

    আমার মা সব সময় আমাকে ভালো হওয়ার জন্য উপদেশ দেন। আমার ভবিষ্যৎ যাদের উজ্জ্বল হয় তার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন। তাছাড়াও আমার মা সব সময় আমাদের পরিবারের প্রতি খুবই যত্নশীল। আমার বাবা, ভাই, বোন, দাদা সবাইকে দেখাশুনা করেন। তাই আমার মা আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। আমি সর্বদা ঈশ্বরের কাছে আমার মায়ের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করি।

    See less
    • 0
  1. আমার স্কুলের প্রথম দিন প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে বিভিন্ন স্মৃতি থাকে যা কখনো ভোলা যায় না। আমার স্কুলের প্রথম দিন সেই রকম একটি স্মৃতি যা চিরকাল মনে রাখার মত। দিনটি ছিল ৭ই জানুয়ারি ২০০৮ সাল, যেদিন আমি প্রথম স্কুলে পা রাখলাম। আমি তখন ভীষণ ছোট, বয়স সবেমাত্র ৫ পেরিয়ে ৬। মা আমাকে সেই দিন সময় মত স্কুলেRead more

    আমার স্কুলের প্রথম দিন

    প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে বিভিন্ন স্মৃতি থাকে যা কখনো ভোলা যায় না। আমার স্কুলের প্রথম দিন সেই রকম একটি স্মৃতি যা চিরকাল মনে রাখার মত। দিনটি ছিল ৭ই জানুয়ারি ২০০৮ সাল, যেদিন আমি প্রথম স্কুলে পা রাখলাম। আমি তখন ভীষণ ছোট, বয়স সবেমাত্র ৫ পেরিয়ে ৬। মা আমাকে সেই দিন সময় মত স্কুলে নিয়ে আসলেন। স্কুলে উপস্থিত হতেই নিজেকে আবিষ্কার করলাম সম্পূর্ণ একটি অচেনা জায়গায়। কেমন যেন মনের মধ্যে একটা অজানা ভয় কাজ করেছিল ভীষণভাবে। ছাত্র-ছাত্রীদের ভিড়ের মধ্যে নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সিনিয়র শ্রেণীর এক ছাত্র আমাকে আমার শ্রেণিকক্ষে পৌঁছে দিল। শ্রেণিকক্ষে পৌঁছে আমি আরো ভেঙ্গে পড়লাম যখন দেখলাম আমার সহপাঠীদের মধ্যে সেই একই ভয়ের ছায়া। কাউ কাউ কে কাঁদতেও দেখলাম। যাই হোক, আমি চেষ্টা করলাম নিজেকে একটু সাহস দিতে।

    ঠিক যখন সকাল নয়টা তখন অনুষ্ঠিত হলো প্রাতঃ সভা। আমরা লাইন দিয়ে দাঁড়ালাম একের পরে এক। প্রধান শিক্ষক বক্তব্য রাখলেন এবং আমাদেরকে স্বাগতম জানালেন। প্রাতঃ সভাশেষ হলে আবার আমরা শ্রেণি কক্ষে ফিরে এসে বসে পড়লাম। আমাদের ক্লাস শিক্ষক এসে উপস্থিত হলেন। অনেক কিছু বললেন সঙ্গে বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কে আমাদেরকে অবগত করালেন। কিছুক্ষণ পর প্রথম ঘন্টা বাজল। তারপর একে একে আরো দুই জন শিক্ষক এসে দুইটি ক্লাস নিলেন। সব শিক্ষকই খুবই মৃদু আচরণ করলেন এবং আমাদেরকে উৎসাহিত করলেন। শিক্ষকদের এই বন্ধুসুলভ ব্যবহার ধীরে ধীরে আমার ভয় কাটাতে সাহায্য করল।

    তারপর বিরতি ঘন্টা শুরু হল। আমি আমার সহপাঠীদের সঙ্গে একটু আধটু কথা বললাম। বিরতি ঘন্টার শেষে ইংরেজি শিক্ষক এসে উপস্থিত হলেন। তিনি আমাদেরকে সতেজ করতে অনেক মজার মজার গল্প শোনালেন। আমরা সবাই মন দিয়ে শুনলাম এবং উপভোগ করলাম। তারপর সর্বশেষ ঘন্টা বাজলে আমি স্কুল থেকে বিদায় নিলাম। এই ভাবেই আমার স্কুলের প্রথম দিনটি শেষ হলো। সেই দিনের অচেনা পরিবেশ, অজানা ভয়, নতুন পরিচয় আমার মনে থাকবে অনন্তকাল।

    See less
    • 2
  1. দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান ভূমিকা : মানব জাতির গৌরবের শিখরে উত্তরণে যার ভূমিকা নিঃসংশয়ে ।এক বাক্যে স্বীকার করে নিতে হয় তার নাম বিজ্ঞান। বিজ্ঞান’ শব্দটির অর্থ – বিশেষ  জ্ঞান। মানুষ অন্য প্রাণীর তুলনায় অনেক উন্নত ও বুদ্ধিমান। তাই সীমাবদ্ধ জ্ঞানের বাইরে বিশেষ জ্ঞানের সাহায্যেই সে বিশ্বের সব প্রাণীদের উপRead more

    দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান

    ভূমিকা : মানব জাতির গৌরবের শিখরে উত্তরণে যার ভূমিকা নিঃসংশয়ে ।এক বাক্যে স্বীকার করে নিতে হয় তার নাম বিজ্ঞান। বিজ্ঞান’ শব্দটির অর্থ – বিশেষ  জ্ঞান। মানুষ অন্য প্রাণীর তুলনায় অনেক উন্নত ও বুদ্ধিমান। তাই সীমাবদ্ধ জ্ঞানের বাইরে বিশেষ জ্ঞানের সাহায্যেই সে বিশ্বের সব প্রাণীদের উপর অধিকার স্থাপন করেছে। মানুষের কাছে কোন কিছুই আজ আর অসম্ভব নয়। কোন একদিনের সেই গুহাচারী মানুষ আজ নির্মাণ করছে গগনস্পর্শী অট্টালিকা। আদিম মানুষ থেকে আধুনিক জীবনে উপনীত হওয়ার একমাত্র অবলম্বন হলাে বিজ্ঞান।

    বিজ্ঞানের জন্ম : সৃষ্টির ঊষালগ্নে মানুষ গভীর অরণ্যে, নদীতীরে বসবাস করতো । ভয়ঙ্কর প্রকৃতি বার বার মানুষকে হাতছানি দিয়ে ডাকত। গভীর অরণ্যে ঝড় ঝঞা-বন্দ্র বিদ্যুৎ আর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে মানুষকে বাঁচতে হতাে নিরন্তর সংগ্রামের মধ্যে। মানুষ ছিল তখন প্রকৃতির হাতের ক্রীড়নক। সে দিন মানুষকে রক্ষা করতে আসেননি স্বর্গবাসী কোন দেবতা। কিন্তু মানুষ যেদিন নিজ বুদ্ধি বলে পাথর ঘষে অস্ত্র নির্মাণ করে পশুদের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করল, তারপর ভয়ঙ্কর প্রকৃতিকে বশে এনে আত্মরক্ষার চিন্তা করল, সে দিন জন্ম হল বিজ্ঞানের।সে বিজ্ঞান-বুদ্ধির উপর নির্ভর করে মানুষ শিখেছে আগুনের ব্যবহার, শিখেছে কৃষিকর্ম, বয়ন কর্ম আর রাস্তা নির্মাণ। ওই বিজ্ঞানের বলেই নিসর্গ প্রকৃতি তথা জলে-স্থলে-আকাশ উড়াল বিজয় পতাকা। কবির ভাষায়

    “পাখিরে দিয়েছ গান,
    গায় সেই গান
    তার বেশী করে না সে দান,
    আমারে দিয়েছ সুর।
    আমি তার বেশি করে দান।
    আমি গাই গান।

    এভাবে মানুষ আপন প্রভাব বিস্তার করে বিধাতার শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করল।

    দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের জয়যাত্রা : আজ শতশত শতাব্দী ধরে চলে আসছে বিজ্ঞানের জয়যাত্রা। সভ্যতার বিকাশ ও বিবর্তনে বিজ্ঞানের সীমাহীন অবদানের কথা আজ আর কারো অজানা নয়। বিজ্ঞানকে করায়ত্ত করে মানুষ সাগর লঙঘন। করল, উদ্দাম নদী স্রোতকে বশীভূত করে বাঁধ দিয়ে তার দুই তীর জুড়ে দিল। খাল নির্মাণ করে নদীর জল ধারাকে দিকে দিকে ছড়িয়ে দিয়ে মরু প্রান্তরকে উর্বর শস্য শালিনী করে তুলল। সকালে ঘুম থেকে উঠে দিন আরম্ভ করা থেকে রাত্রে শয্যা গ্রহণ, জীবনযাত্রার প্রতিটি পদক্ষেপ আজ বিজ্ঞানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। বলা যায়, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমরা বিজ্ঞানের মুখাপেক্ষী।

    বৈদ্যুতিক অবদান : বৈদ্যুতিক শক্তির সহায়তায় সুইচ টিপে উঠে যাচ্ছে। মানুষ ঘরের বিভিন্ন তলার কক্ষে। তাইতো আজ পাঁচতলা, দশতলা আর বাহান্ন তলা বাড়িতে হাটু ভেঙ্গে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠবার আর প্রয়ােজন নেই – রয়েছে লিফট।তাছাড়া বৈদ্যুতিক পাখা, হিটার, ফ্রিজ, ইলেকট্রিক ইস্ত্রি, ওয়াশিং মেশিন, ইলেকট্রিক বেল, ঘড়ি, দাড়ি কামানাের সরঞ্জাম। সর্বোপরি মােবাইল ফোন যা সকাল থেকে রাত্র পর্যন্ত এই গানটা পৃথিবীটাকে নিয়ে এসেছে মানুষের হাতের মুঠোয়। তাই আজ আর চিঠিপত্র লিখে সময় নষ্ট করতে হয় না – সময় গড়িয়ে আত্মীয় স্বজনের খবর নেওয়ার প্রয়ােজন হয় না। ইলেকট্রিকের মাধ্যমে E. V. M. মেশিনের দ্বারা জনসাধারণ তাদের নেতা নির্বাচন করেছেন অতি সহজে।

    টেলিভিশনের অবদান : আধুনিক যুগে বিজ্ঞানের একটি শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার টেলিভিশন। যার কল্যাণে পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া বড় বড় ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চক্ষুগোচর হচ্ছে। এত সহজে এত অল্প সময়ে এত বিস্তৃত ভাবে লক্ষ লক্ষ জ্ঞান শিক্ষা ও আনন্দ বিতরণের ব্যবস্থায় দূরদর্শন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। দূরদর্শন ছাত্র-শিক্ষক, চাকুরিজীবি, রাজনৈতিক বা বৈজ্ঞানিক, শিক্ষিত-অশিক্ষিত সকলের জন্যই প্রয়ােজনীয়। আমেরিকার বক্তৃতা, ইংল্যান্ডের গান আর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট খেলার বর্ণনা আমরা ঘরে বসেই টেলিভিশনে দেখতে পাই। এরকম আনন্দ দানের এত বড় মাধ্যম পৃথিবীতে কোন কালে ছিল না।

    বিজ্ঞানের আবিষ্কার – কম্পিউটার ও লেপটপ : বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার কম্পিউটার আর ল্যাপটপ এর মাধ্যমে খুব কম সময়ের মধ্যে যােগ-বিয়ােগ, গুণ-ভাগের বড় বড় অংকের নির্ভুল ভাবে হিসেবে সম্পন্ন করা যায়। বর্তমানে বেঙ্ক, অফিস-আদালত, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তিদের দৈনন্দিন জীবনে হিসাবের কাজে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

    চিকিৎসাক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান : পৃথিবীতে আজ মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি হয়েছে যার দৌলতে সে হচ্ছে চিকিৎসা শাস্ত্রে বিজ্ঞান। পদার্থ বিজ্ঞান এবং রসায়নের অগ্রগতি আরও বিস্ময়ের ব্যাপার। পূবে যে সব রোগ একে বারেই দুরারােগ্য ছিল আজ আর তা এমনটি নয়। বিজ্ঞান মানুষের হাতে তুলে দিয়েছে অনেক জীবনদায়ী ঔষধ যা বাড়াচ্ছে মানুষের গড় আয়ু। আজকের পৃথিবীতে কলেরা, মহামারী, টাইফয়েড, বসন্ত, কর্কট, যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, ব্লাড ফ্লু প্রভৃতি মারাত্মক রোগ আর দুরারোগ্য নয়। চিকিৎসকরা রঞ্জন রশ্মির সাহায্যে শরীরের ভিতরকার ছবি তুলে তা পরীক্ষা করে চিকিৎসা করতে পারছেন। রেডিয়ামের দ্বারা দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে। কৃত্রিম হৃদয় স্থাপন, কিড়নি স্থাপন প্রতিদিনই বড় বড়চিকিৎসালয়ে চলছে। বস্তুত চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির কথা অল্প কথায় বলে শেষ করা যায় না।

    কৃষিক্ষেত্রে সবুজ বিপ্লব : কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান আজকের দিনে অনস্বীকার্য। বিজ্ঞানের অবদানে উষর ভূমি আজ হয়েছে শস্য-শ্যামল ভূমি। পূর্বে যেভাবে ছিল দৈব নির্ভর কৃষিকাজ অর্থাৎ আকাশ থেকে বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল, বর্তমানে তা আর নয়। উচ্চ ফলনশীল বীজ, রাসায়নিক সার, নানা প্রকার যন্ত্রপাতি পাম্প-মেশিন এবং অধিক ফলনের জন্য গাছের অনুখাদ্য আবিষ্কারের ফলে কৃষিতে সবুজ বিপ্লবের সৃষ্টি হয়েছে। দেশের লােকের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে।

    উপসংহার : বিজ্ঞান যেভাবে দৈনন্দিন জীবনে অহরহ উন্নতি সাধন করে।চলেছে ঠিক সেভাবে বিজ্ঞানের আবার কিছু কিছু ধ্বংসাত্মক দিকও আছে। তবে মানুষের উপরে বিশ্বাস হারানাে ঠিক নয়। পৃথিবীতে এখনও বিবেকবান মানুষের অভাব নেই ধীর গতিতে হলেও বিশ্ববিবেক জাগ্রত হচ্ছে। আশা করা যায় মানুষ এই বিজ্ঞানকে সার্বিক মানব কল্যাণে ব্যবহার করবে। বিজ্ঞান কোটি কোটি মানুষের আশীর্বাদ লাভে ধন্য হবে।

    See less
    • -1