Sign Up

Continue with Facebook
Continue with Google
Continue with Twitter
or use


Have an account? Sign In Now

Sign In

Continue with Facebook
Continue with Google
Continue with Twitter
or use


Forgot Password?

Don't have account, Sign Up Here

Forgot Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.


Have an account? Sign In Now

Sorry, you do not have a permission to ask a question, You must login to ask question.

Continue with Facebook
Continue with Google
Continue with Twitter
or use


Forgot Password?

Need An Account, Sign Up Here
Bengali Forum Logo Bengali Forum Logo
Sign InSign Up

Bengali Forum

Bengali Forum Navigation

  • Home
  • বিভাগ
  • বিষয়
  • ব্লগ
Search
Ask A Question

Mobile menu

Close
Ask a Question
  • সাহিত্য
  • শিক্ষা
  • রচনা
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • বাংলা কুইজ
  • ধৰ্ম ও সংস্কৃতি
  • সাস্থ্য
  • ইতিহাস
  • রাজনীতি
  • খেলা ধুলা
  • খাদ্য
  • মতামত
  • বিবিধ

আজিই যুক্ত হোন বাংলা ফোরামের সাথে

জিজ্ঞেস করুন আপনার যে কোনো প্রশ্ন আর যুক্ত থাকুন সবসময়

Create A New Account

রচনা

13Followers
97Answers
102Questions
  • Recent Questions
  • No Answers
  • Most Visited

Discy Latest Questions

In: রচনা

রচনা – আমাদের গ্রাম (আমাদের গ্রাম অনুচ্ছেদ) Amader gram paragraph in bengali or amader gram rachana in bengali

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 0 Questions
    • 374 Answers
    • 6 Best Answers
    • 2 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on April 14, 2020 at 3:17 am

    আমাদের গ্রাম ভূমিকা : আমাদের গ্রামের নাম চন্দনপুর । গ্রামখানি নদিয়া জেলার উত্তর পশ্চিম দিকে আবহনী অঞ্চলে অবস্থিত। গ্রামের পাশে ই রয়েছে একটি বড় ঝিল। আমাদের গ্রামটি শষ্য শ্যামলে ভরপুর, গ্রামের চারিদিকে সবুজের মেলা। গ্রামে বিভিন্ন ফল মূলের গাছ, শাক সবজি, সকালের পাখির ডাক, বিকালের গুধূলি গ্রামটিকে করে তRead more

    আমাদের গ্রাম

    ভূমিকা : আমাদের গ্রামের নাম চন্দনপুর । গ্রামখানি নদিয়া জেলার উত্তর পশ্চিম দিকে আবহনী অঞ্চলে অবস্থিত। গ্রামের পাশে ই রয়েছে একটি বড় ঝিল। আমাদের গ্রামটি শষ্য শ্যামলে ভরপুর, গ্রামের চারিদিকে সবুজের মেলা। গ্রামে বিভিন্ন ফল মূলের গাছ, শাক সবজি, সকালের পাখির ডাক, বিকালের গুধূলি গ্রামটিকে করে তোলেছে এক শান্তির দ্বীপ।

    আয়তন ও লোকসংখ্যা : আমাদের গ্রামটি নাদিয়া জেলার সর্ব বৃহৎ গ্রাম। গ্রামটি উত্তর-দক্ষিণে প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এবং পূর্ব-পশ্চিমে এক কিলোমিটার প্রস্থ। গ্রামে লোকসংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার দুই শত। আমদের গ্রামটি মিলনের অনন্য নাজির এখানে বিভিন্ন ধর্মের লোকই মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করে।

    ভূ-প্রকৃতি : আমাদের গ্রামটি গ্রাম বাংলার এক সুন্দর্যের প্রতীক । গ্রামের সম্পূর্ণ জমিই সমতল। মাঝেমধ্যে বসতবাড়ি ও তার চারপাশে বিভিন্ন ফলজ গাছপালা, ছোট-বড় বাঁশঝাড় গ্রামটিকে ঘিরে রেখেছে। গ্রামে পাশে থাকে ঝিল বেশিরভাগ গ্রামের মানুষের জীবনের মূল উৎস। এদের জীবনযাপন ঝিল থেকে পাওয়া মৎস্যের উপর নির্ভরশীল।

    যাতায়াত ব্যবস্থা : যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক দিয়ে আমাদের গ্রাম অনেক উন্নত।পঞ্চায়েত রাস্তার মাধ্যমে গ্রামটি পাশের জাতীয় সড়কের সাথে যুক্ত। গ্রামের প্রধান সড়কগুলি পাকা এবং প্রশস্ত । তাই জেলার মহকুমার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্তা খুব ই সুন্দর । মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। তা ছাড়া সরকারের প্রচেষ্টায় যোগাযোগ ব্যবস্তা সহজ করার জন্য গ্রামের পাশ থেকে সরকারী বাস চালু করা হয়েছে।

    উৎপন্ন দ্রব্য : মূলতঃ আমাদের গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ মৎস বিক্রি করে জীবিকা উপার্জন করে। তাছাড়া উৎপন্ন দ্রব্যের মধ্যে ধান, পাট, গম, ডাল, সরিষা, আখ ও পাট ইত্যাদি প্রধান। জমি উর্বর হওয়ার দরুন বিশেষ কোনো আধুনিক টেকনোলজি না থাকা সত্ত্বেও কৃষকেরা ভালো ফসল পেয়ে থাকে।গ্রামের কৃষকরা খুবই পরিশ্রমী বলে জমি কখনোই পতিত ফেলে রাখে না। বছর জুড়ে নানা সময়ে নানা ফসল ফলানো হয় ।

    বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান : আমাদের গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয় ,একটি দাতব্য চিকিৎসালয়, একটি পোস্ট অফিস, একটি ডাকঘর রয়েছে । তাছাড়া সপ্তাহে দুই দিন হাট বাজার বসে । গ্রামবাসীরা এই বাজারে তাদের পণ্য ক্রয় বিক্রয় করে।

    গ্রামের আবহাওয়া : আমাদের গ্রামের আবহাওয়া খুব মলিন ও সুন্দর। বিন্দুমাত্র কোনো শব্দদূষণ নেই। তাছাড়া গ্রামের মানুষ নিরীহ ও প্রকৃতি প্রিয়।গরম ঠান্ডা উভয় ঋতুতে গ্রাম ভিন্ন ভিন্ন রূপে পরিণত হয়।

    উপসংহার : আমাদের গ্রাম আমাদের জেলার মধ্যে একটি আদর্শ গ্রাম।আমাদের গ্রাম দিন দিন উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ার ফলে সবাই পড়াশুনার দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং অনেক ছেলে মেয়েরা বাহিরে গিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের গ্রামের প্রতি গর্ব অনুভব করি এবং ভালোবাসি।

    See less
    • -1
  • 1
  • 11,160
  • 0
Answer
In: রচনা

রচনা : আমাদের বিদ্যালয় | amader biddaloy rochona in bengali

  1. Jannatul Roja

    Jannatul Roja

    • 0 Questions
    • 1 Answer
    • 0 Best Answers
    • 13 Points
    View Profile
    Jannatul Roja
    Added an answer on August 22, 2020 at 10:58 pm

    আমাদের বিদ্যালয় (level-3) ভুমিকাঃ শিক্ষা জাতীর মেরুদণ্ড। এক সময় শিক্ষা ছিল আশ্রমকেন্দ্রিক।আশ্রমে থেকেই গুরুর কাছে থেকেই শিক্ষা গ্রহণ করতে হতো।আদর্শ বিদ্যালয় হলো এক একটি আশ্রম সরুপ। এমনি একটি আশ্রম আমার বিদ্যালয়। এটির নাম  কাজীফরি প্রাইমারি স্কুল। প্রতিষ্ঠাঃ কাজীফরি প্রাইমারি বিদ্যালয় ১৯৭২ সালে প্রতিRead more

    আমাদের বিদ্যালয় (level-3)

    ভুমিকাঃ শিক্ষা জাতীর মেরুদণ্ড। এক সময় শিক্ষা ছিল আশ্রমকেন্দ্রিক।আশ্রমে থেকেই গুরুর কাছে থেকেই শিক্ষা গ্রহণ করতে হতো।আদর্শ বিদ্যালয় হলো এক একটি আশ্রম সরুপ। এমনি একটি আশ্রম আমার বিদ্যালয়। এটির নাম  কাজীফরি প্রাইমারি স্কুল।

    প্রতিষ্ঠাঃ কাজীফরি প্রাইমারি বিদ্যালয় ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এ স্কুল শিক্ষা দান করা হয়।

    অবস্থানঃ এটি ঢাকা মহানগরির কেন্দ্রবিন্দুতে আমাদের বিদ্যালয় অবস্থিত। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার জন্য ভালো ব্যবস্থা রয়েছ।  মহানগরের যেকোনো এলাকা থেকে বিদ্যালয় সহজে যাওয়া যা।

    বিদ্যালয়ের পরিবেশঃ  বিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের  গাছ রয়েছে। এখানে একটি বিশাল চারতলা ভবন রয়েছে। প্রতিটি শ্রেণিতে তিনটি করে শাখা রয়েছ। প্রতিটি শাখার জন্য রয়েছে। প্রতি শাখার জন্য রয়েছে আলাদা ও পরিপাটি শ্রেনিকক্ষ। ৯০ জন শিক্ষকের জন্য রয়েছে ৩টি সুন্দর কক্ষ। একটি বড় পাঠাগার  আছে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের বই রয়েছ।  বিদ্যালয়ের সামনে বিশাল মাঠ রয়েছে।

    আনুষ্ঠানাদিঃ ক্লাসগুলো সারা বছর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের আয়োজন করে থাকে। এঅনুষ্ঠানে দেশবিদেশর বিখ্যাত ব্যক্তি বর্গ আসেন।

    খেলাধুলাঃ আমাদের খেলার মাঠ অনেক বড়। মাঠে নিয়মিত খেলা হয়। আমাদের বিদ্যালয়ে ফুটবল, ক্রকেট ও বাস্কেটবল টিম আছ।

    উপসংহারঃ একটি আর্দশ বিদ্যালয় বলতে যা বোঝায়,  আমার বিদ্যালয় তাই। এ প্রতিষ্ঠানের একটি শিক্ষাথী হতে পারে আমি গর্বিত।  আমি দোয়া করি,  যেন এপ্রতিষ্ঠানটির আরো উন্নত হোক।

    See less
    • 0
  • 3
  • 11,044
  • 0
Answer
In: রচনা

রচনা : একটি শীতের সকাল | winter morning paragraph in bengali

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 0 Questions
    • 374 Answers
    • 6 Best Answers
    • 2 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on March 31, 2020 at 12:38 am
    This answer was edited.

    শীতের সকাল বা একটি শীতের সকালের বর্ণনা ভূমিকা : শীতকাল বলতে পৌষ ও মাঘ মাসকে বুঝানো হলেও প্রকৃতপক্ষে শীতের আগমন শুরু হয় অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিকে। পৌষের শেষের দিকে শীতের প্রকোপ তীব্র হয়ে উঠলেও ফাল্গুন মাস পর্যন্ত শীতের আমেজ থাকে। সাধারণত এ সময় ফসল কাটা হলে চারিদিকে এক উৎসব মুখর আবহাওয়া লক্ষ্য করাRead more

    শীতের সকাল বা একটি শীতের সকালের বর্ণনা

    ভূমিকা : শীতকাল বলতে পৌষ ও মাঘ মাসকে বুঝানো হলেও প্রকৃতপক্ষে শীতের আগমন শুরু হয় অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিকে। পৌষের শেষের দিকে শীতের প্রকোপ তীব্র হয়ে উঠলেও ফাল্গুন মাস পর্যন্ত শীতের আমেজ থাকে। সাধারণত এ সময় ফসল কাটা হলে চারিদিকে এক উৎসব মুখর আবহাওয়া লক্ষ্য করা যায় । শীতের সময় কাবু হয়ে পড়লেও শীতের সকালে রয়েছে এক বিশেষ আমেজ । এজন্যেই শীতকালের সকলগুলি সবার কাছে পছন্দনীয় ।

    শীতের সকালের বর্ণনা : শীতের সকালের কল্পনা ঘন কুয়াশা আর জড়ো সড়ো করা আবহাওয়া ছাড়া অসম্ভব । কুয়াশা ঘন চাদরের ফাক দিয়ে উকি মেরে ঘােষণা করে সে তার হিম-শীতল আগমনী বার্তা। প্রকৃতির সর্বত্র দেখা যায় এ ধরনের আঁকালাে শুষ্কতার জমজমাট রেশ। প্রকৃতি তার রূপ-রস-বর্ণ ঝেড়ে ফেলে দিয়ে সন্ন্যাসব্রত পালনে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। পশুপাখি ও জীবজন্তুর জীবন হয়ে ওঠে পাণ্ডুর ও বিবর্ণ। এর মাঝে নীরবে পদচারণা করে শুভ্রসুন্দর আর নির্মল পবিত্রতা। শীতের রাত অত্যন্ত দীর্ঘ, যেন শেষ হতে চায় না। তাই কাক ডাকা ভাের হতে সবাই অপেক্ষা করে একটু মিষ্টি মধুর সূর্যালােকের পরশের জন্য। কিন্তু কুয়াশার ঘন প্রাচীর ভেদ করে ওকে ভীষণ বেগ পেতে হয় একটু একটু আলােক ছড়ানাের জন্যে।

    গ্রাম্য শীতের সকাল: গ্রামে শীতের সকাল গুলি হয় অনন্য। প্রকৃতি যেন তার সমস্ত সৌন্দর্য ঢেলে দেয় চারিপাশের আবহাওয়ায়। ভুলগুলোসকালগুলো হয় ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন, মাঠের অপরপ্রান্তে তাকালে বিস্তীর্ণ সাদা রাশি ছাড়া আর কিছু দেখা যায় না। কিন্তু এই ঠান্ডা উপেক্ষা করেও কৃষক তার মাঠের দিকে এগিয়ে যায়। গ্রামের মানুষেরা ঠান্ডার কবল থেকে রক্ষা পেতে আগুন পোহায়। তৈরি হয় নানা ধরনের খাবার বিশেষ করে খেজুরের রস দিয়ে তৈরি হয় অনেক সুমিষ্ট পিঠা পুলি।গ্রামে মানুষ সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে রোদের আলোয় দাঁড়িয়ে উষ্ণতার আমেজ নেয়।

    শহরাঞ্চলে শীতের সকাল: গ্রাম থেকে শহরাঞ্চলের চিত্র হয় ভিন্ন। তুলনামূলকভাবে শহরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ কম হয়। গ্রামের মতো মানুষ শহরাঞ্চলে সূর্যের আলোয় উষ্ণতার আমেজ নেয়ার সুযোগ পায় না। অনেককেই ঘরের মধ্যে হিটার বা অন্য যন্ত্র চালিয়েই শীত নিবারণের চেষ্টা করে। শীতের সকালে শহরাঞ্চলে বিভিন্ন তাজা
    শাকসবজি দিয়ে বাজার সাজানো হয় এবং শহুরে মানুষেরা ছুটে চলে বাজারের উদ্দেশ্যে।

    উপসংহার: কুয়াশাঘেরা এক মধুর দৃশ্য নিয়ে উপস্থিত হয় শীতের সকাল। সকালবেলা সূর্য তার উষ্ণ আলোয়, শিশির ভেজা পাতায়, নানা রকম সুস্বাদু খাবার সব মিলিয়ে আমাদেরকে দিয়ে যায় এক অনন্য আমেজ। তাই শীতের সকালের আনন্দ অন্যান্য ঋতুর সকালের তুলনায় ভিন্ন ও মাধুর্য।

    See less
    • 1
  • 1
  • 8,519
  • 0
Answer
In: রচনা

শিক্ষা বিস্তারে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রবন্ধ | Role of Mass Media in Education Essay in Bengali?

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 16 Questions
    • 277 Answers
    • 10 Best Answers
    • 1,402 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on September 26, 2020 at 3:06 am

    শিক্ষাবিস্তারে গণমাধ্যমগুলির ভুমিকা : ভূমিকা – প্রাচীন ভারতে শিক্ষা ছিল মূলত গুরুকুলমুখী। গুরুদেব আশ্রমিক জীবনচর্যার মাধ্যমে ব্ৰহ্লাবিদ্যার পাশাপাশি ব্যবহারিক জীবনের শিক্ষা দানের উপযােগী করে ছাত্রকে পাঠ দিতেন – ক্রমশ কালের পরিবর্তনে সে শিক্ষা একদিন দূরীভূত হয়ে ইংরেজ শাসকদের আনুকুল্যে এদেশে বৃত্তিমুRead more

    শিক্ষাবিস্তারে গণমাধ্যমগুলির ভুমিকা :

    ভূমিকা – প্রাচীন ভারতে শিক্ষা ছিল মূলত গুরুকুলমুখী। গুরুদেব আশ্রমিক জীবনচর্যার মাধ্যমে ব্ৰহ্লাবিদ্যার পাশাপাশি ব্যবহারিক জীবনের শিক্ষা দানের উপযােগী করে ছাত্রকে পাঠ দিতেন – ক্রমশ কালের পরিবর্তনে সে শিক্ষা একদিন দূরীভূত হয়ে ইংরেজ শাসকদের আনুকুল্যে এদেশে বৃত্তিমুখী, চার দেয়ালের মধ্যে শুরু হয় সর্বাঙ্গীণ বিকাশের পরিবর্তে সংকীর্ণ প্রথাকেন্দ্রিক সীমাবদ্ধ এক আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা। দুশাে বছরের ব্রিটিশ শাসনের পরও এ শিক্ষাই আজও অনুসৃত হচ্ছে – অবশ্য যুগপ্রেক্ষিতের পরিবর্তনে লােকশিক্ষার প্রকৃতি ও পদ্ধতির পরিবর্তন শিক্ষাপ্রসারের ক্ষেত্রে সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের মত আধুনিক গণমাধ্যমগুলিকেও স্বীকৃতি দান করেছে।

    গণমাধ্যমের ভূমিকা – শিক্ষাবিস্তারে গণমাধ্যমগুলির ভুমিকা অতুলনীয় । গণমাধ্যমগুলি একাধারে যেমন শিক্ষাকে আকর্ষণীয় করে তােলে তেমনি সমাজ শিক্ষা তথা গণশিক্ষাও ঘটায়, তাই গণমানসকে উদ্দীপিত করে তােলার জন্য সর্বাগ্রে প্রয়ােজন শিক্ষার জন্য গণমাধ্যমগুলির সঠিক ব্যবহার। ফলে এর বিষয়ভুক্তির দিকেও আমাদের নজর দেওয়া প্রয়ােজন – যেমন ভারতের অর্থনীতির কিভাবে উন্নয়ন সম্ভব, গ্রামােন্নয়নের পরিকল্পনা, সুস্বাস্থ্যের কর্মসূচী প্রভৃতি। তাই বলা যায় সঠিক গণশিক্ষার মাধ্যমে দেশের আপামর জনসাধারণের রুচি ও সঠিক শিক্ষার প্রসার ঘটানাে সম্ভব।

    সংবাদপত্র – সংবাদপত্র সমাজের সর্বস্তরের মানুষের বিবিধ বিষয়ে জ্ঞান লাভের অত্যন্ত সহজতর মাধ্যম। মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কারের ফলে সংবাদপত্রের ব্যবহার ও গ্রহণযোগ্যতা ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর আনাচে কানাচে। বর্তমানে সংবাদপত্র গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ’ তথা জনমত গঠনের সেরা মাধ্যম হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। সংবাদপত্র থেকে সাধারণ মানুষ জাতীয় অর্থনীতি, রাজনীতি, খেলাধূলা, সংস্কৃতি প্রভৃতি বিষয়ে জ্ঞান যেমন লাভ করে তেমনি সমগ্র বিশ্বের সাম্প্রতিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতির ধারণাও জন্মায়। তাই একাধারে সংবাদপত্র এইসঙ্গে সংগঠক, শিক্ষক, জাতিগঠনে বা নেতৃত্বদানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

    রেডিও বা বেতার – গণমাধ্যমরূপে বেতার বা আকাশবাণীর ভূমিকাও কম নয়। এখন গ্রামাঞ্চলেও রেডিও প্রভৃতির প্রচলন ব্যাপকভাবে হয়েছে – এর মাধ্যমে কৃষিকাজের জন্য উপদেশ ও পরামর্শ, বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে চাষবাস প্রভৃতি বেশ আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।

    চলচ্চিত্র – শিক্ষা বিস্তার ও সমাজ উন্নতির আর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম চলচ্চিত্র। রূপ ও গতির সংমিশ্রণ চলচ্চিত্র। মানুষ ইন্দ্রিয় উপভােগের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক পুষ্টির সুযােগ পেল চলচ্চিত্রর মাধ্যমে। বিশ্বের ভূগােল-ইতিহাস, পুরাতত্ত্ব-নৃতত্ত্ব ও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের সমাহারে এক একটি চলচ্চিত্র যে ভূমিকা পালন করে যা অজস্র গ্রন্থপাঠেও সম্ভব হয় না। এছাড়া সামাজিক ব্যাধি, অস্পৃশ্যতা, দলাদলির সংকীর্ণতার মত জটিল বিষয়গুলির উপর সচেতনতা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

    দূরদর্শন – চলচ্চিত্রের মতােই দূরদর্শন বা টেলিভিশন দূরকে ‘নিকটবন্ধু’ করার সবচেয়ে শক্তিশালী একটি গণমাধ্যম।মানুষ তার ঘরে বসে জানতে পারে নানা অজানাকে, দেখতে পায় বিভিন্ন মনোরঞ্জন অনুষ্ঠান। একই সঙ্গে দূরদর্শন বহুমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করে তােলে, কাজেই আধুনিকতম সংবাদের অতিদ্রুত পরিবেশনা তার অঙ্গ – একথা আজ সর্বজনস্বীকৃত।

    ইন্টারনেট – একবিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্টতম বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার হচ্ছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের আবিষ্কারের ফলে আমাদের জীবন হয়ে পড়েছে অনেক সহজ। শিক্ষা, বাণিজ্য থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কাজে আমরা ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়েছি। ইন্টারনেট পুরো পৃথিবীকে এনে দিয়েছে হাতের মুঠোয়, শিক্ষা ব্যবস্থাকে করে তুলেছে সুলভ ও সহজ । ই মেইল, সামাজিক মাধ্যমের মত দ্রুত সেবার দরুন ইন্টারনেট বর্তমান যুগের সেরা গণমাধ্যম।

    উপসংহার – বিজ্ঞানের দ্রুত প্রসার আজ গণমাধ্যমগুলি একাধারে লােকশিক্ষা ও সমাজ শিক্ষায় দেশ ও জাতি তথা গােটা পৃথিবীকে স্বশিক্ষিত করে তুলছে। তবুও একথা ভুললে চলবে না যে, আজ যখন সমগ্র সমাজ অবক্ষয় ও নৈতিক শৈথিল্যে কবলিত এমত সময় দূরদর্শন, চলচ্চিত্র, সংবাদ পত্র সমস্ত অ্যালকেই অসাধু ব্যবসায়ী ও বানিজ্যিক সংস্থা রুচিহীন করে তাকে ব্যবহার করছে – একে যদি শক্ত হাতে দমন না করা যায় তাহলে ‘শিক্ষা’ নয় ‘অশিক্ষা বিস্তার হবে গণমাধ্যমগুলির প্রকৃত কাজ। এর জন্য চাই সরকারী নজরদারী, আর তা রুখতে পারে নৈতিক আদর্শ এবং গণমুখী শিক্ষাচিন্তা – যার প্রভাব পরবে গণমাধ্যমগুলির উপর এবং উপকৃত হবে সমগ্র বিশ্ব।

    See less
    • -3
  • 1
  • 8,131
  • 1
Answer
In: রচনা

রচনা: গ্রীষ্মকাল | Summer season Essay in Bengali

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 16 Questions
    • 277 Answers
    • 10 Best Answers
    • 1,402 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on July 30, 2020 at 2:03 am
    This answer was edited.

    গ্রীষ্মকাল সূচনা: বছরের সবচেয়ে উষ্ণতম কাল হল গ্রীষ্মকাল। আমাদের দেশে গ্রীষ্মকাল বলতে বৈশাখ ও জৈষ্ঠ মাস কে বুঝায়। এই সময় সূর্যের তাপমাত্রা এতই প্রখর হয় যে দিনের বেলা চলাচল দুষ্কর হয়ে ওঠে। চারিদিকে বিরাজ করে গরম আবহাওয়া এবং অস্বস্তিকর পরিবেশ। গ্রীষ্মের বৈশিষ্ট্য বা রূপ:গ্রীষ্মকালে বাতাস হয় শুষ্Read more

    গ্রীষ্মকাল

    সূচনা:

    বছরের সবচেয়ে উষ্ণতম কাল হল গ্রীষ্মকাল। আমাদের দেশে গ্রীষ্মকাল বলতে বৈশাখ ও জৈষ্ঠ মাস কে বুঝায়। এই সময় সূর্যের তাপমাত্রা এতই প্রখর হয় যে দিনের বেলা চলাচল দুষ্কর হয়ে ওঠে। চারিদিকে বিরাজ করে গরম আবহাওয়া এবং অস্বস্তিকর পরিবেশ।

    গ্রীষ্মের বৈশিষ্ট্য বা রূপ:
    গ্রীষ্মকালে বাতাস হয় শুষ্ক তাই বারবার তৃষ্ণা পায়। মানুষ দিনের বেলা যথাযথ পরিশ্রম করতে ব্যাহত হয়। বারবার ঘামে শরীর ভিজে যায়। কৃষকেরা মাঠ ত্যাগ করে ছায়ার আশ্রয় নে। গ্রীষ্মকালে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে বারবার পানি, শরবত ইত্যাদি পান করতে হয়। গ্রীষ্মের গরম আবহাওয়া মানুষ ছাড়াও পশুপাখির জন্য কষ্টকর হয়। ‌ বিশ্বের বিকেলে সূর্যের তাপ কমে গেলে মৃদু বাতাস বয়। কখনো কখনো কালবৈশাখী ঝড় উঠে এবং বৃষ্টিপাত হয়।

    গ্রীষ্মের ফলমূল:
    গ্রীষ্মকাল ফুলের ঋতু। গ্রীষ্মকালে অনেক রকমের ফলমূল পাওয়া যায়। এই সময় আম, কাঁঠাল, জাম, তরমুজ, লিচু প্রভৃতি মিষ্টি ফল পাওয়া যায়। তাছাড়া গ্রীষ্মকালে বিভিন্ন সুগন্ধি ফুল যেমন বেল, জুঁই, চাপা, গন্ধরাজ প্রভৃতি ফুটে।

    গ্রীষ্মের সুবিধা ও অসুবিধা:
    গ্রীষ্মের সময় দিনের বেলা অনেক লম্বা হয়। তাই বাইরে ঘোরাঘুরি এবং কাজের জন্য অনেক সময় পাওয়া যায়। গ্রীষ্মের ছুটিতে জলে সাঁতার কাটা, বিভিন্ন ফল ফলমূল উপভোগ করা দারুন আনন্দের। কিন্তু গরমের প্রকোপে এই সময়ে অনেক রোগ যেমন জ্বর, কাশি, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি দেখা দেয়। তাছাড়া কখনো কখনো কাল বৈশাখের কারণে অনেক ঘরবাড়ি ও সম্পত্তির ক্ষতিসাধন হয়।

    উপসংহার:
    গ্রীষ্মকাল নিঃসন্দেহে বছরের সবচেয়ে কষ্টের কাল বা ঋতু। এই সময় গরমের প্রকোপে চারিদিকে অশান্তি সৃষ্টি হয়। নানা অসুখ-বিসুখ দেখা দেয়। তবুও গ্রীষ্মের সুমিষ্ট ফলমূল, নববর্ষ উৎসব, জামাই ষষ্ঠী ইত্যাদি আমাদের জীবনে আনন্দ সঞ্চার করে।

    রচনা-গ্রীষ্মকাল | Summer season essay in bengali | summer season | grishma kal essay in bengali | paragraph in bengali | grishma ritu essay in bengali  

    See less
    • 0
  • 1
  • 7,677
  • 0
Answer
In: রচনা

রচনা : একটি গাছ একটি প্রাণ | One tree one life paragraph in Bengali

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 16 Questions
    • 277 Answers
    • 10 Best Answers
    • 1,402 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on July 22, 2020 at 10:23 pm

    একটি গাছ একটি জীবন গাছপালা আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীর এক অমূল্য সম্পদ। আমরা বেঁচে থাকার জন্য গাছপালার উপর অনেক ভাবে নির্ভরশীল। গাছের জন্যই আমাদের জীবন সম্ভব হয়েছে। গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড সালফার ডাই অক্সাইড এর মত নানা বিষাক্ত গ্যাস শোষণ করে বায়ুমন্ডলে গ্যাসের ভারসাম্য বজায় রাখে। গাRead more

    একটি গাছ একটি জীবন

    গাছপালা আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীর এক অমূল্য সম্পদ। আমরা বেঁচে থাকার জন্য গাছপালার উপর অনেক ভাবে নির্ভরশীল। গাছের জন্যই আমাদের জীবন সম্ভব হয়েছে। গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড সালফার ডাই অক্সাইড এর মত নানা বিষাক্ত গ্যাস শোষণ করে বায়ুমন্ডলে গ্যাসের ভারসাম্য বজায় রাখে। গাছের জন্যই আমরা অক্সিজেন পেয়ে থাকি যা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

    বলা যায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমরা প্রায় সবকিছুর জন্যই গাছের উপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন কারখানায় ব্যবহার হওয়া কাঁচামাল এই গাছপালা থেকেই আসে। আমাদের ব্যবহারিক আসবাবপত্র গাছপালার জন্যই সম্ভব হয়েছে। গাছই আমাদেরকে প্রদান করে খাদ্য এবং ছায়া।

    গাছ আমাদের প্রকৃত বন্ধু হওয়া সত্বেও অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা গাছ হত্যা করেই চলেছি দিনের পর দিন। আমাদের সুযোগ সুবিধার জন্য আমরা চালিয়ে যাচ্ছি গাছের ধ্বংসলীলা। তাতে করে সৃষ্টি হচ্ছে অরণ্যবিনাশ অন্যদিকে বায়ুমন্ডলে বায়ুর ভারসাম্যতা নষ্ট হচ্ছে। দিনের পর দিন উষ্ণ থেকে উষ্ণতর হয়ে উঠছে উঠছে বায়ুমণ্ডল।

    তাই গাছ নিধন করে আমরা নিজের ভবিষ্যতকে অন্ধকার করে দিচ্ছি। আমাদেরকে বুঝতে হবে যে, গাছ ছাড়া এই পৃথিবীতে বাস করা অসম্ভব। আমাদের অতি প্রয়োজনীয় বিশুদ্ধ হাওয়া, খাদ্য এবং বিশ্ব পরিমণ্ডল কিছুই গাছ ছাড়া সম্ভব নয়।

    তাই আমরা কি চাই আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাক? অবশ্যই না। বরং আমরা আমাদের পৃথিবীকে আর সুন্দর দেখতে চাই। তাই আমাদের দায়িত্ব গাছের অপ্রয়োজনীয়’ নিধন থেকে বাঁচা এবং বেশি করে গাছ লাগানো। কারণ কাজ থাকলে আমরা থাকবো, গাছ থাকলে বেঁচে থাকবে এই সুন্দর পৃথিবী। তাই বলতে হয় গাছই জীবনের মূলস্রোত। তাই একটি গাছ একটি প্রাণ।

    See less
    • 1
  • 2
  • 7,648
  • 0
Answer
In: রচনা

রচনা: শরৎকাল | essay on autumn season in bengali language

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 0 Questions
    • 374 Answers
    • 6 Best Answers
    • 2 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on April 18, 2020 at 6:22 am

    শরৎকাল সূচনা: ঋতুররানী শরৎ কাল, বাংলার তৃতীয় ঋতু। বর্ষার ঘন বাদল বৃষ্টি শেষ হলে আগমন ঘটে শরতের। ভাদ্র আশ্বিন মাস নিয়ে গঠিত এই ঋতু। এই ঋতুতে এই দূর্গা বাংলা মায়ের আবির্ভাব ঘটে এবং সমস্ত বাংলা জুড়ে উদযাপিত হয় দুর্গোৎসব। শরৎ এর বৈশিষ্ট্য: শ্রাবণ শেষে অবিরত বৃষ্টির বিরাম ঘটলেই প্রকৃতি নতুন রূপে সাজRead more

    শরৎকাল

    সূচনা: ঋতুররানী শরৎ কাল, বাংলার তৃতীয় ঋতু। বর্ষার ঘন বাদল বৃষ্টি শেষ হলে আগমন ঘটে শরতের। ভাদ্র আশ্বিন মাস নিয়ে গঠিত এই ঋতু। এই ঋতুতে এই দূর্গা বাংলা মায়ের আবির্ভাব ঘটে এবং সমস্ত বাংলা জুড়ে উদযাপিত হয় দুর্গোৎসব।

    শরৎ এর বৈশিষ্ট্য: শ্রাবণ শেষে অবিরত বৃষ্টির বিরাম ঘটলেই প্রকৃতি নতুন রূপে সাজে। আকাশের বুকে ভেসে বেড়ায় সাদা মেঘ, রোদ হয় ঝলমলে আর বাতাস হয় নির্মল। আকাশের উজ্জ্বল নীলিমার প্রান্ত ছুঁয়ে মালার মত উড়ে যায় পাখির ঝাঁক। শরৎ নিয়ে আসে এক মাধুর্য।ফলে যাহার পৃথিবী এক অপরূপ মহিমায় পরিণত হয়। সূর্যের আলোয় সবুজ ধানের ক্ষেত হয়ে মনমুগ্ধকর।

    শরৎ কালের রুপ: শরৎকালের প্রকৃতিতে লক্ষ করা যায় এক অনন্য রূপ। গাছপালা বৃক্ষ হয়ে ওঠে সতেজ ও সুন্দর ।‌ চারিদিকে সবুজের ছড়াছড়ি মনে হয়। ধানের ক্ষেতের মাঠ হয়ে ওঠে সবুজ প্রান্তর । নদীর ধারে উঠে উঁকি দেয় সাদা সাদা কাশফুল। শিউলি তলায় হালকা শিশিরে ভেজা দূর্বাঘাসের ওপর চাদরের মত বিছিয়ে থাকে সাদা আর জাফরন রং মেশানো রাশি রাশি শিউলিফুল। শরতের আগমনে বাংলার বন কোয়েল, দোয়েল ময়নার কল কাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে। সাজে এক অপরূপ সাজে।

    শরতের দুর্গোৎসব: শরৎকাল এর মূল আকর্ষণ দুর্গোৎসব বা দূর্গাপুজা। যা বাঙালির প্রধান উৎসব। তাই দুর্গাপূজা কে শারদীয় উৎসবে বলা হয় । দুর্গা মায়ের আগমনের জন্য বাঙালি অপেক্ষা করে সারা বছর ধরে। সেই অপেক্ষার প্রহর কাটিয়ে দুর্গা মা নিয়ে আসেন আনন্দ বাংলার ঘরে ঘরে। আকাশে বাতাসে মুখরিত হয় বাংলা মায়ের আগমনের ধ্বনি। উৎসবের আনন্দে বাঙালি হয় মাতোয়ারা। স্কুলের ছুটি হলে ছোটদের মধ্যে আনন্দের সীমা থাকে না। বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা ছাড়াও লক্ষ্মীপূজা কালীপূজা এই শরৎ কালেই উদযাপিত হয়।

    উপসংহার: আকাশের সাদা মেঘের ভেলা আর নদীতীরে সাদা কাশফূল,ভোরে হালকা শিউলিভেজা শিউলিফুল আর দূর্গা মায়ের আগমন সব মিলিয়ে শরৎ যেন শুভ্রতার ঋতু।শরৎকালে রাতের বেলায় জ্যোৎস্নার রূপ অপরূপ ।মেঘমুক্ত আকাশ থেকে কল্প কথার পরীরা ডানা মেলে নেমে আসে পৃথিবীতে।শরতের জ্যোৎস্নার মোহিত রূপ নিজ চোখে না দেখলে বোঝা যায় না । বলা যায়, শরৎ বাংলার ঋতু – ঋতুর রানী।

    See less
    • 0
  • 1
  • 7,619
  • 0
Answer
In: রচনা

রচনা : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান | Bangla rachana rabindranath thakur

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 0 Questions
    • 374 Answers
    • 6 Best Answers
    • 2 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on March 28, 2020 at 1:23 am

    বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান ভূমিকা : কোন জাতির সংস্কৃতি ও সভ্যতার শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড হচ্ছে তার কবি ও সাহিত্যিক। তাঁরাই মানব সভ্যতার আলােক স্তম্ভ। তাঁদের সৃষ্টি মানুষকে জ্ঞান দেয়, আনন্দ দেয়। কবিরা দেশ কালের উর্ধ্বে, তারা বিশ্বমানবের। রবীন্দ্রনাথ কিংবা সেক্সপিয়ারের সাRead more

    বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান

    ভূমিকা : কোন জাতির সংস্কৃতি ও সভ্যতার শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড হচ্ছে তার কবি ও সাহিত্যিক। তাঁরাই মানব সভ্যতার আলােক স্তম্ভ। তাঁদের সৃষ্টি মানুষকে জ্ঞান দেয়, আনন্দ দেয়। কবিরা দেশ কালের উর্ধ্বে, তারা বিশ্বমানবের। রবীন্দ্রনাথ কিংবা সেক্সপিয়ারের সাহিত্য শুধু ভারতবর্ষ বা ইংল্যাণ্ডকে নয় সমস্ত বিশ্ববাসীকে করেছে মুগ্ধ। আমরা দেখতে পাই বাংলা কাব্যজগতে কবি মহাকবির অভাব নেই। এদের মধ্য থেকে একজন প্রিয় কবিও নির্ণয় করা কঠিন ব্যাপার নয় যেখানে আছেন রবীন্দ্রনাথের মতাে প্রতিভাবান কালজয়ী কবি। যার কাছে আছে অনেক উচ্চ শ্রেণির কবি প্রতিভা – তাই তাে রবীন্দ্রনাথই আমার প্রিয় কবি।.

    বাংলার শ্রেষ্ট কবি : যেখানে রয়েছেন মধুসূদনের মতাে মহাকবি যিনি প্রাচ্য , ও পাশ্চাত্যের ভাণ্ডার থেকে নানা রত্ন আহরণ করে সর্বপ্রথম বাংলা সাহিত্যের রুদ্ধ দ্বার খুলে দিয়েছিলেন। যেখানে রয়েছেন ছন্দের যাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কিংবা অগ্নিবীণার’ কবি নজরুল অথবা জীবনানন্দ দাশ, সুকান্ত ভট্টাচার্যের ন্যায় আধুনিক কবিরা – সেখানে রবীন্দ্রনাথকে প্রিয় কবি রূপে দেখাতে গেলে স্বাভাবিকভাবে কথা উঠতে পারে। তবে এ-কথার উত্তর অতি সহজ। রবীন্দ্রনাথ শুধু বাঙ্গালীর কবি নন, নন। ভারতবাসীর, ইনি বিশ্বকবি যিনি বিশ্বের মানুষের মন জয় করেছেন। তাইতাে রবীন্দ্রনাথ আমার প্রিয় কবি। যিনি নিঃশ্বাস বায়ুর ন্যায় জড়িয়ে আছেন সমগ্র বাঙ্গালীর সভায়।

    জন্ম ও বংশ পরিচয় : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১সালের ৭ই মে, বাংলা ১২৬৮ সালের ২৫শে বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে। প্রকৃতই সােনার চামচ মুখে নিয়েই জন্ম গ্রহণ করেন। পিতার নাম মহর্ষি দেবেন্দ্রনাম ঠাকুর ও মাতার নাম সারদা দেবী। পিতামহ সে যুগের সনামধন্য প্রিন্স দ্বারকান ঠাকুর । যে পরিবারে রবীন্দ্রনাথ জন্মগ্রহণ করেন সে পরিবার ছিল সেকালের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির-শ্রেষ্ঠ পিঠস্থান।

    বাল্যকাল ও বিদ্যা শিক্ষা : শৈশবে গৃহ শিক্ষকের নিকট থেকে রবীন্দ্রনাথ বিদ্যাশিক্ষা আরম্ভ হয়। পরে তিনি বিদ্যালয়ে ভর্তি হন, কিন্তু বিদ্যালয়ের ” শিক্ষা-প্রণালী তার ভাল না লাগায় তিনি স্কুল পরিত্যাগ করেন। অবশ্য বিদ্যা করলেও বাড়িতে বিভিন্ন বিষয়ের গৃহ শিক্ষকের নিকট নিয়মিত পড়া-শুনা, তারপর মধ্যম ভ্রাতা সত্যেন্দ্রনাথের কাছ থেকে ইংরেজি শিক্ষা করেন এবং সত্যেন্দ্র নাথের সঙ্গে বিলাত গিয়ে লণ্ডন ইউনিভারসিটি কলেজেও অধ্যয়ন করেন।

    কাব্য চর্চার সূচনাঃ কবি তাঁর জীবন স্মৃতি’ গ্রন্থে বলেছেন – “আমার বয়স তখন সাত-আট বছরের বেশী হইবেনা। . একখানি নীল কাগজের খাতা জোগাড় করিলাম। তাহাতে স্বহস্তে পেন্সিল দিয়া কতকগুলি অসমান লাইন কাটিয়া বড় বড় কাচা অক্ষরে পদ্য লিখিতে শুরু করিয়া দিলাম।” অর্থাৎ সাত-আট বছর বয়স থেকেই কবির কবিতা রচনার আরম্ভ। তাছাড়া “জল পড়ে, পাতা নড়ে।” পংক্তি দুটি দিয়ে ছােট বেলার কাব্য রচনার সূত্রপাত হয়। তের বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের কবিতা ‘অভিলাস” “তত্ত্ববােধিনী পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তার কবিত্ব শক্তির পরিচয় পেয়ে সকলেই বিস্মিত হন।তারপর একে একে তরুণ কবির কবিতা ‘ভারতী’ ‘সাধনা’ প্রভৃতি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে আলােড়নের সৃষ্টি করে। এর পর রবীন্দ্রনাথ ‘ভানুসিংহের পদাবলী’, বাল্মীকী প্রতিভা প্রভৃতি কয়েকটি কবিতা রচনা করেন।

    কবির কাব্যসম্ভারঃ রবীন্দ্রনাথের কাব্য গুলির বিশেষ করে সাহিত্য চর্চার বিবরণ দিতে গিয়ে মনে হয় এ যেন একজন মানুষের একটি জীবনের ফসল মাত্র নয়। বােধ হয় এ জন্যই রবীন্দ্র রসজ্ঞ সাহিত্যিক প্ৰথমনাথ বিশী ব্যঙ্গের সুরে বলে ছিলেন যে পরবর্তী প্রজন্মের মানুষ হয়তাে ভাববে রবীন্দ্রনাথ আসলে ছিলেন তিনজন – প্রথমজন। যিনি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করে সেখানেই লেখতেন। দ্বিতীয়জন বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করে সেখানেই লেখতেন। আর তৃতীয় রবীন্দ্র নাথের বিচরণক্ষেত্র ছিল পূর্ববঙ্গের পদ্মার তীরবর্তী অঞ্চল। সে যাই হােক ‘সন্ধ্যা সঙ্গীত থেকে জন্মদিনে’ পর্যন্ত কবির কাব্যগ্রন্থ গুলিকে মােট ছয়টি পর্বে ভাগ করা যায়। ‘সন্ধ্যা সঙ্গীত’ থেকে ‘কড়ি ও কোমল পর্যন্ত প্রথম পর্ব, ২য় পর্ব পুনশ্চ’ থেকে ‘শ্যামলী পর্যন্ত কাব্য গুচ্ছ আর নৈবেদ্য’ থেকে ‘গীতাঞ্জলি’ পর্যন্ত তৃতীয় পর্ব। পঞ্চম পর্বে রয়েছে গদ্য ছন্দে লেখা ‘মানসী’ থেকে ‘কল্পনা পর্যন্ত। প্রান্তিক থেকে জন্মদিনে’ পর্যন্ত কাব্যধারা নিয়ে গঠিত ষষ্ঠ বা শেষ পর্ব।

    নােবেল পুরস্কার লাভ : রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলি কাব্যখানি রচনা করেন ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে। আর এ কাব্যখানির জন্যই ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার সাহিত্যে নােবেল প্রাইজ এশিয়ার মধ্যে প্রথম ব্যক্তি হিসাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লাভ করেন এবং জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করেন।

    কাব্যের প্রধান ধারা : রবীন্দ্র কাব্যে প্রধানতঃ তিনটি প্রধান ধারা লক্ষ্য করা যায়। প্রথম ধারাটি কবির প্রকৃতি চেতনা – প্রকৃতির প্রতি একটি তীব্র আকর্ষণ ও গভীর মমত্ববােধ রবীন্দ্রকাব্যের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। মানসী’, ‘সােনারতরী’, ‘চিত্রা’, “চৈতালী’ প্রভৃতি কাব্যে প্রকৃতি প্রীতির এই পরিচয় পাওয়া যায়। এ দ্বিতীয় ধারাটি মর্ত্য ও মানব প্রীতি যাকে তাঁর শ্রেষ্ঠ ধারা বলা যেতে পারে। তার ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যের দুর্ভাগাদেশ’, ‘ভারততীর্থ’, ‘দীনদান’ কবিতাগুলি বিশ্লেষণ করলেই সে পরিচয় পাওয়া যায়। তাছাড়া তৃতীয় ধারার কাব্য ‘খেয়া’ কাব্যথেকে কবির আধ্যাত্ম ভাবনার স্রোত অতি গভীর হয়ে ওঠে এবং ‘গীতাঞ্জলি’ ও ‘গীতালি’ কাব্যে তার পরিণতি
    লক্ষ্য করা যায়।
    রবীন্দ্রনাথের বিশ্বপ্রেম:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বিশ্বপ্রেমিক, সুন্দরের পূজারী । তার কন্ঠ ছিল সুন্দর, কাব্য সঙ্গীত ছিল সুন্দর, গানে কবিতায় তিনি সুন্দরের মহিমা কীর্তন করে গেছেন ।সমাজ জীবনে যা কিছু অসুন্দর কুৎসিত এর মধ্য দিয়ে তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছেন। কবি পন্ডিত, দেশ প্রেমিক হিসেবে সর্বোপরি মানুষ হিসেবে রবীন্দ্রনাথের কত বড় ছিলেন তাঁর কথায় প্রকাশ করা যায় না।

    উপসংহার: বাঙালি জাতির পরম গৌরব যে রবীন্দ্রনাথের নেয়ায় প্রতিভাবান কবির জন্ম হয়েছিল বাংলার মাটিতে । আজ কবি আমাদের মধ্যে নেই কিন্তু তাঁর বাণী তথা কাব্য-কবিতা বাঙালি জাতিকে অন্ধকার হতে আলোর দিশা দেখাবে। যতদিন বাঙালির অস্তিত্ব থাকবে ততদিন কমের মরন নেই তিনি বেঁচে থাকবেন বাঙালির জ্ঞানে কর্মে ও সাধনায়।

    See less
    • 0
  • 1
  • 7,264
  • 0
Answer
In: রচনা

রচনা: মাদার টেরেসা ও তার সমাজসেবা | Mother Teresa essay in Bengali

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 0 Questions
    • 374 Answers
    • 6 Best Answers
    • 2 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on March 25, 2020 at 12:40 am
    This answer was edited.

    বিশ্বজননী মা টেরেসা ভূমিকা: মানব চরিত্রের শ্রেষ্ঠ গুণ সেবা ও প্রেম। সেবা ও প্রেম দিয়ে যারা পৃথিবীর মানব সমাজে অমরত্বের আসনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন মাদার টেরেসা তাদের মধ্যে অন্যতম। শৈশবকাল থেকে বৃদ্ধাবস্থা পর্যন্ত তিনি ছিলেন মানবসেবায় নিয়ােজিত প্রাণ। রােগগ্রস্ত শােক সন্তপ্ত মানুষের কাছে তিনি দেবমূর্তিRead more

    বিশ্বজননী মা টেরেসা

    ভূমিকা: মানব চরিত্রের শ্রেষ্ঠ গুণ সেবা ও প্রেম। সেবা ও প্রেম দিয়ে যারা পৃথিবীর মানব সমাজে অমরত্বের আসনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন মাদার টেরেসা তাদের মধ্যে অন্যতম। শৈশবকাল থেকে বৃদ্ধাবস্থা পর্যন্ত তিনি ছিলেন মানবসেবায় নিয়ােজিত প্রাণ। রােগগ্রস্ত শােক সন্তপ্ত মানুষের কাছে তিনি দেবমূর্তি। তার সেবা যত্নে, আদর আর ভালবাসায় অগণিত মানুষ রােগ মুক্ত হয়ে স্বস্তি পেয়েছে, তার স্নেহধন্য হয়ে কেউ পরম সুখে জীবন যাপন করছে। আর্ত লােকদের অতি কাছের মানুষ ছিলেন মাদার টেরেসা।

    জন্ম ও বাল্য জীবন : টেরেসা মায়ের নিজের দেশ ভারতবর্ষ, যদিও তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯১০ খৃষ্টাব্দের ২৭শে আগষ্ট যুগােশ্লাভিয়ার স্কপেজ শহরের এক আলবেনীয় দম্পতির ঘরে। তার পূর্বনাম অ্যাগনেস গংক্সা বােজাক্সিউ। বাল্যকালে পড়াশুনা শুরু হয় একটি সরকারি বিদ্যালয়ে। স্কুলের পড়া-শুনা যেমন তার ভালাে লাগত তেমনি ভালাে লাগত সেবামূলক কাজ। স্কুলের শিক্ষিকার নিকট হতে জানতে পারেন যে সেবামলক কাজ করবার জন্য পথিবীতে বেশ কয়টি সংগঠন আছে। অ্যাগনেস মনে মনে স্থির করেন যে এ সব সংগঠনে যােগ দান করবেন। এর সঙ্গে এক অধ্যাত্ববােধও তার মনে বাসা বাঁধে, তাই মাত্র আঠারাে বছর বয়সে তিনি একটি খ্রিষ্টীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত হন।

    কর্মজীবন : মিশনারির ব্রত নেওয়ার পর তার নাম রাখা হয় টেরেসা। তারপর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ডাবলিনের লরেটো অ্যাবেতে ভারতের বৈচিত্র্যময় জীবনের কথা শুনে তিনি ভারতবর্ষের প্রতি আকৃষ্ট হন। ১৯২৮ খৃষ্টাব্দে মাদার ভারতে আসেন। প্রথমে মার্গারেট স্কুলে শিক্ষকতা, ছাত্র-ছাত্রীদের পরিচালনা ও পরে অধ্যক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই শিক্ষকতার ফাকে বস্তির দুঃস্থ অসহায় মানুষের সেবা করতেন।

    সেবায় নিজেকে নিয়ােগ : ১৯৪৬ খৃষ্টাব্দে দার্জিলিং যাত্রার পথে টেরেসার জীবনে এক ভাবান্তর দেখা যায়। শিক্ষকতা ছেড়ে তিনি একমাত্র সেবাব্রত গ্রহণে মনস্থ করেন। নীল পাড়যুক্ত সাদা সুতী শাড়ি পরিহিতা বিশ্বজননী মাদার এর এ সময় থেকে। শুরু হল জীবনের এক উজ্জ্বলতম অধ্যায়। ১৯৪৮ খৃষ্টাব্দে তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব অর্জন করেন। পাটনা থেকে নার্সিং ট্রেনিং নিয়ে তিনি এ বৎসরেই মতিঝিল বস্তিতে একটি বিদ্যালয় খুলেন। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটিজ’ প্রতিষ্ঠা। করেন। তাঁর শুভ প্রচেষ্টায় কলকাতার কালীঘাটে গড়ে উঠে মরণাপন্নদের জন্য আতুর ভবন নির্মল হৃদয়’। সােদপুরে ‘প্রেমনিবাস’, ‘নির্মলা কেনেডি কেন্দ্রের মতাে অগণিত প্রতিষ্ঠান দুঃস্থ, আতুর অসহায় মানুষের জন্য মাদার গড়ে তুলেন। ভারতের গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে আছে মাদাদের প্রতিষ্ঠান গুলি। ভারতে তার পরিচালিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫, দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্র দুই শতাধিক, কুষ্ঠ চিকিৎসাকেন্দ্র ৫৫টি। ভারতের বাইরেও তার সেবা প্রতিষ্ঠান ছড়িয়ে আছে।

    সেবা কার্যের পুরস্কার : বিশ্বের নানাদেশ একের পর এক সম্মান ও স্বীকৃতি প্রদান করেছে মাদারকে। ১৯৬২ সালে ফিলিপাইন্স সরকার মাদারের জন্য ঘােষণা করেছে ম্যাগসেসে পুরস্কার। ওই বছরই ভারত সরকার তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯৬৪ সালে পােপ জন পল তাকে একটি বহুমূল্য গাড়ি উপহার দেন। ওই দামি গাড়ি বিক্রি করে মাদার সেই টাকায় একটি কুষ্ঠাশ্রম গড়ে তােলেন। ১৯৭২ সালে পান নেহেরু পুরস্কার। ১৯৭৯ সালের ১৭ই অক্টোবর তিনি শান্তির জন্য নােবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮০ সালে প্রদত্ত হয় ভারত সরকারের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘ভারতরত্ন’।

    আদর্শ : আত্ম প্রচার বিমুখ মা টেরেসা অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশবাসীর কাছে। সেবার এক নতুন আদর্শ গড়ে তুলেছিলেন। শুধু সেবা নয় তার সঙ্গে আন্তরিক ভালবাসায় মানুষকে কাছে টেনে এনেছেন। বাণী বা উপদেশ নয়, যে কোন অবস্থায় আর্তের পাশে দাড়িয়ে সেবা ও ভালবাসাই ছিল তার জীবনাদর্শ।

    উপসংহার : ১৯৯৭ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর এই মহীয়সী নারী পঞ্জভতে বিলীন হয়ে যান। মানুষ হারাল তাদের বিশ্ব জননীকে। মহৎকাজে তাঁর সাধ ছিল, তাই সাদ্যের অকুলান হয়নি। তার সেবাদর্শ ও মানব প্রীতি সর্বকালের মানুষকে প্রেরণা ও শক্তি যোগায়।মূর্তিমতি সেবারূপা মা টেরেসা মানুষের মনিকোঠায় পূজিত ও বন্দিতা হবেন

    See less
    • 0
  • 1
  • 7,262
  • 0
Answer
In: রচনা

গরু রচনা | Goru rochona in bengali or shonkipto bangla guru rachana

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 0 Questions
    • 374 Answers
    • 6 Best Answers
    • 2 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on April 11, 2020 at 11:18 pm

    গরু রচনা সূচনা: গরু একটি গৃহপালিত পশু। গৃহস্থালির কাজে গরু একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী। গরু আমাদের নানা উপকারে আসে এবং তার দ্বারা অনেক কাজ সাধন করা হয়। প্রাণী হিসেবে গরু একটি শান্তশিষ্ট এবং নিরীহ প্রাণী। আকার ও আকৃতি: গরু একটি চার পা ওয়ালা প্রাণী। উচ্চতায় এটি তিন চার হাত এবং দৈর্ঘ্য পাঁচ ছয় হাত হয়েRead more

    গরু রচনা

    সূচনা: গরু একটি গৃহপালিত পশু। গৃহস্থালির কাজে গরু একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী। গরু আমাদের নানা উপকারে আসে এবং তার দ্বারা অনেক কাজ সাধন করা হয়। প্রাণী হিসেবে গরু একটি শান্তশিষ্ট এবং নিরীহ প্রাণী।

    আকার ও আকৃতি: গরু একটি চার পা ওয়ালা প্রাণী। উচ্চতায় এটি তিন চার হাত এবং দৈর্ঘ্য পাঁচ ছয় হাত হয়ে থাকে। গরুর দুই চোখ, দুই কান, দুই শিং,একটি দীর্ঘ মাথা এবং পিছনে একটি লেজ থাকে। গরুর সারা শরীর ছোট এবং ঘন লোমে আবৃত থাকে। গরু লাল,কালো, সাদা ইত্যাদি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে এবং বিশ্বের সবজায়গায় পাওয়া যায়।

    খাদ্য: গরু একটি তৃণভোজী প্রাণী। ঘাস খড় গাছের পাতা গরুর প্রধান খাদ্য। তাছাড়াও ভাতের ফ্যান শুকনো দানা জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে।

    উপকারিতা: আমাদের জীবনে গরুর উপকারিতা অসীম। গরুর দুধ অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। এই দুধ থেকে দই ছানা মাখন কি ইত্যাদি নানারকম দ্রব্য তৈরি করা হয় যেগুলি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।আমরা আমাদের জমি চাষ করতে ষাঁড় বা বলদ ব্যবহার করে থাকি।পণ্য পরিবহনের জন্য গরুর গাড়িও ব্যবহৃত হয়। তাছাড়াও কৃষি ক্ষেত্রে গরুর গোবর একটি উত্তম সার হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

    উপসংহার: গরু নানা গুণ থাকা সত্ত্বেও গরুর প্রতি আমরা যত্নশীল নই। গরুর উপকারিতার দিকে চেয়ে আমাদের সবাইকে গরুর প্রতি সদয় হওয়া দরকার।গরু পালনে আমাদেরকে উৎসাহিত হওয়া দরকার তাহলে নানাভাবে উপকৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারব।

    See less
    • 0
  • 1
  • 6,983
  • 0
Answer
Load More Questions

Sidebar

আরও দেখুন

  • শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে মাতৃভাষার গুরুত্ব রচনা
  • সমাজসেবা ও ছাত্রসমাজ রচনা | Essay on Social Work and Students
  • ছাত্র সমাজ ও রাজনীতি রচনা | Student and Politics Essay
  • শিক্ষা বিস্তারে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রবন্ধ | Role of Mass Media in Education Essay in Bengali?
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা | Bangla Essay Sheikh Mujibur Rahman
  • আসামের কুটির শিল্প রচনা | Cottage Industries of Assam essay in Bengali
  • রচনা : শিশু শ্রম | Child Labour Paragraph in Bengali?
  • আমাদের বিদ্যালয় অনুচ্ছেদ (ছোটদের জন্য) Amader vidyalaya Paragraph in Bengali?
  • আসামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রচনা | Natural Beauty of Assam Essay in Bengali Language?
  • আসামের প্রাকৃতিক সম্পদ রচনা | Natural resources of assam essay in bengali language?
  • রচনাঃ অসমের বন্যা ও তার প্রতিকার | Flood in Assam Essay in Bengali?
  • রচনাঃ ভয়ংকর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় | Prakritik Biporjoy Essay in Bengali?
  • রচনাঃ জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদ | Jatiya Sanhati Essay in Bengali or National Integration Essay in Bengali?
  • রচনা : একটি পাখির আত্মকথা | Autobiography of a Bird in Bengali
  • রচনা : বনভোজন | Bengali essay on Picnic for School student?
  • রচনা : শিক্ষা মূলক ভ্রমণ | Shikha mulok bhraman essay in Bengali
  • রচনা : দেশ ভ্রমণ | Essay on Travelling in Bengali for school student?
  • সংকিপ্ত রচনা : কুকুর | Short Essay on Dog in Bengali
  • রচনা : আমার মা | Amar Maa Bengali Essay for school student?
  • রচনা : একটি গাছ একটি প্রাণ | One tree one life paragraph in Bengali
Join us on WhatsApp
Join us on Telegram
Join our FaceBook Group

বিষয়

All Bangla Paragraph (105) Bangla GK (114) Bangla Kobita (163) Bangla Rachana (105) Bengali Essay (105) Bengali Poems (124) Bengali Rachana (99) bengali song lyrics (83) bengali song lyrics in bengali (83) English to Bengali Meaning (87) Kobita (143) অনুচ্ছেদ (127) বাংলা কবিতা (182) বাংলা প্রবন্ধ (97) বাংলা রচনা (127)

Footer

© 2020 Bengali Forum · All rights reserved.

Add Bengali Forum to your Homescreen!

Add