1. আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে - রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে আছো তুমি হৃদয় জুড়ে। ঢেকে রাখে যেমন কুসুম, পাপড়ির আবডালে ফসলের ঘুম তেমনি তোমার নিবিড় চলা মরমের মূল পথ ধরে। পুষে রাখে যেমন ঝিনুক, খোলসের আবরনে মুক্তোর সুখ তেমনি তোমার গভীর ছোঁয়া ভিতরের নীল বন্দরে। ভালো আছি,Read more

    আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে – রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

    আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে
    আছো তুমি হৃদয় জুড়ে।

    ঢেকে রাখে যেমন কুসুম,
    পাপড়ির আবডালে ফসলের ঘুম
    তেমনি তোমার নিবিড় চলা
    মরমের মূল পথ ধরে।

    পুষে রাখে যেমন ঝিনুক,
    খোলসের আবরনে মুক্তোর সুখ
    তেমনি তোমার গভীর ছোঁয়া
    ভিতরের নীল বন্দরে।

    ভালো আছি, ভালো থেকো,
    আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো
    দিও তোমার মালাখানি,
    বাউলের এই মনটা রে।

    আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে
    আছো তুমি হৃদয় জুড়ে ।

    Bangla Phonetic

    Amar bhitor o bahire ontore ontore
    Achho tumi hridoy jurey

    Dheke rakhe jemon kusum
    Paprir abdaale phosholer ghum
    Temni tomar nibir chola
    Moromer mul poth dhore.

    Amar bhitor o bahire ontore ontore
    Achho tumi hridoy jurey

    Pushe rakhe jemon jhinuk
    Kholosher aborone muktor sukh
    Temni tomar gobhir chhowa
    Bheetorer neel bondore

    Amar bhitor o bahire ontore ontore
    Achho tumi hridoy jurey

    Bhalo achhi, Bhalo theko
    Akasher thikanay chithi likho
    Dio tomar mala-khani
    Baul er ei mon ta re…

    Amar bhitor o bahire ontore ontore
    Achho tumi hridoy jurey

    Translation

    In my whole being, inside & outside
    deep in my heart entirely, you reside.

    As hides the flower
    in petals,its grain’s stupor;

    similarly you take a tender stroll
    along the highway of the soul.

    The way preserves the oyster
    the joys of pearl in its shell cover;

    similarly your deep touch sensitizes
    harbors of the blues of insides

    I’m fine, wish you to be better,
    addressing the skies, do write your letter.

    Do offer your garlands
    with the hymns of vagabonds.

    In my whole being, inside & outside
    deep in my heart entirely, you reside.

    See less
  2. গরু রচনা সূচনা: গরু একটি গৃহপালিত পশু। গৃহস্থালির কাজে গরু একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী। গরু আমাদের নানা উপকারে আসে এবং তার দ্বারা অনেক কাজ সাধন করা হয়। প্রাণী হিসেবে গরু একটি শান্তশিষ্ট এবং নিরীহ প্রাণী। আকার ও আকৃতি: গরু একটি চার পা ওয়ালা প্রাণী। উচ্চতায় এটি তিন চার হাত এবং দৈর্ঘ্য পাঁচ ছয় হাত হয়েRead more

    গরু রচনা

    সূচনা: গরু একটি গৃহপালিত পশু। গৃহস্থালির কাজে গরু একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী। গরু আমাদের নানা উপকারে আসে এবং তার দ্বারা অনেক কাজ সাধন করা হয়। প্রাণী হিসেবে গরু একটি শান্তশিষ্ট এবং নিরীহ প্রাণী।

    আকার ও আকৃতি: গরু একটি চার পা ওয়ালা প্রাণী। উচ্চতায় এটি তিন চার হাত এবং দৈর্ঘ্য পাঁচ ছয় হাত হয়ে থাকে। গরুর দুই চোখ, দুই কান, দুই শিং,একটি দীর্ঘ মাথা এবং পিছনে একটি লেজ থাকে। গরুর সারা শরীর ছোট এবং ঘন লোমে আবৃত থাকে। গরু লাল,কালো, সাদা ইত্যাদি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে এবং বিশ্বের সবজায়গায় পাওয়া যায়।

    খাদ্য: গরু একটি তৃণভোজী প্রাণী। ঘাস খড় গাছের পাতা গরুর প্রধান খাদ্য। তাছাড়াও ভাতের ফ্যান শুকনো দানা জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে।

    উপকারিতা: আমাদের জীবনে গরুর উপকারিতা অসীম। গরুর দুধ অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। এই দুধ থেকে দই ছানা মাখন কি ইত্যাদি নানারকম দ্রব্য তৈরি করা হয় যেগুলি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।আমরা আমাদের জমি চাষ করতে ষাঁড় বা বলদ ব্যবহার করে থাকি।পণ্য পরিবহনের জন্য গরুর গাড়িও ব্যবহৃত হয়। তাছাড়াও কৃষি ক্ষেত্রে গরুর গোবর একটি উত্তম সার হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

    উপসংহার: গরু নানা গুণ থাকা সত্ত্বেও গরুর প্রতি আমরা যত্নশীল নই। গরুর উপকারিতার দিকে চেয়ে আমাদের সবাইকে গরুর প্রতি সদয় হওয়া দরকার।গরু পালনে আমাদেরকে উৎসাহিত হওয়া দরকার তাহলে নানাভাবে উপকৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারব।

    See less
  3. This answer was edited.

    সিঁড়ি (সুকান্ত ভট্টাচার্য ) কবিতার সারমর্ম ও বিষয়বস্তু সুকান্ত ভট্টাচার্য দুঃখী-দরিদ্র সাধারণ মানুষকে নিয়ে লিখেছেন অধিকাংশ কবিতা। এসব কবিতার মধ্যে কিছু কবিতা আছে যা রূপকধর্মী। এগুলোতে অন্য বস্তুর রূপক-প্রতীকে কবি দরিদ্র-নিঃস্ব মানুষের বেদনার কথা ব্যক্ত করেছেন। এসব কবিতার মধ্যে সিঁড়ি, একটি মোরগের কাহRead more

    সিঁড়ি (সুকান্ত ভট্টাচার্য ) কবিতার সারমর্ম ও বিষয়বস্তু

    সুকান্ত ভট্টাচার্য দুঃখী-দরিদ্র সাধারণ মানুষকে নিয়ে লিখেছেন অধিকাংশ কবিতা। এসব কবিতার মধ্যে কিছু কবিতা আছে যা রূপকধর্মী। এগুলোতে অন্য বস্তুর রূপক-প্রতীকে কবি দরিদ্র-নিঃস্ব মানুষের বেদনার কথা ব্যক্ত করেছেন। এসব কবিতার মধ্যে সিঁড়ি, একটি মোরগের কাহিনী, কলম, সিগারেট, দেশলাই কাঠি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব কবিতার রূপকের আড়ালে সুকান্ত তার প্রতিবাদী আওয়াজ কে তুলে ধরেছেন।

    “সিঁড়ি” কবিতায় সুকান্ত ভট্টাচার্য সিঁড়ি কে দরিদ্র শ্রেণীর রূপক হিসাবে দেখিয়েছেন। যেভাবে সিঁড়িতে করে মানুষ উপরের দিকে উঠে যায় তেমনি সমাজের উঁচু শ্রেণীর মানুষেরা বা বিত্তশালী মানুষেরা দরিদ্র শ্রেণীর মানুষদের কে শোষণ করে উপরে উঠে। তারপর আর ফিরে তাকায় না এই মানুষগুলোর দিকে। তাই যেভাবে একটি সিঁড়ি ক্ষতবিক্ষত হয় এই দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ গুলি শোষিত হয় নিরন্তর। যার ফলে তারা তাদের দুঃখ-দুর্দশা জীবনে লেগেই থাকে।

    তোমাদের পদধূলিধন্য আমাদের বুক
    পদাঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় প্রতিদিন।

    যেভাবে সিঁড়ির আবরণ নষ্ট হলে কার্পেট দিয়ে ঢেকে রাখা হয় ঠিক সেইরকম দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের দুঃখগুলোকে কেউই প্রাধান্য দেয় না। দরিদ্র মানুষগুলি কোন প্রতিবাদ করে না বলেই বিত্তশালীরা তাদের শোষণ চালিয়ে যায় অবিরত। মজুররা যাতে প্রতিবাদী হয়ে না ওঠে এবং এই প্রতিবাদ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তাই সব সময় এদের গলা চাপিয়ে রাখা হয়। তাই এই দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের অত্যাচার আর দুঃখ-দুর্দশা কেউই দেখতে পায় না।

    আর চেপে রাখতে চাও পৃথিবীর কাছে
    তোমাদের গর্বোদ্ধত, অত্যাচারী পদধ্বনি।

    কিন্তু কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য হুংকার ছেড়ে বলছেন এই অত্যাচার আর বেশিদিন টিকবে না। বিশ্ববাসীর কাছে আর চাপা থাকবে না চিরদিন।এই নির্মম অত্যাচার আর দুঃখ-দুর্দশার সমাপ্তি ঘটতেই হবে যেমনটা হয়েছিল সম্রাট হুমায়ুনের।

    চিরকাল আর পৃথিবীর কাছে
    চাপা থাকবে না।
    আমাদের দেহে তোমাদের এই পদাঘাত।

    এই কবিতায় সুকান্ত ভট্টাচার্য সমাজের দুইটি শ্রেণী ধনী এবং দরিদ্রের কথা উল্লেখ করেছেন। ধনীদের অত্যাচার আর শোষণের জন্যই দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের আজ এই অবস্থা। কেউ দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের হাল ধরতে চায় না। তাদের উন্নতির কথা কেউ চিন্তা করে না। তাদেরকে শুধুমাত্র কাজে লাগিয়ে যায় বিত্তশালীরা। এতে করে সমাজে সৃষ্টি হয় পার্থক্য, দ্বন্দ্ব। কিন্তু কবি সর্বশেষে বলেছেন যে বিত্তশালীর অত্যাচার ও অন্যায় চিরকাল চাপা থাকবে না বরং এর সমাপ্তি ঘটবে, বিত্তশালীদের পদস্খলন অনিবার্য।

    ____________

    সিঁড়ি

    আমরা সিঁড়ি,
    তোমরা আমাদের মাড়িয়ে
    প্রতিদিন অনেক উঁচুতে উঠে যাও,
    তারপর ফিরেও তাকাও না পিছনের দিকে;
    তোমাদের পদধূলিধন্য আমাদের বুক
    পদাঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় প্রতিদিন।

    তোমরাও তা জানো,
    তাই কার্পেটে মুড়ে রাখতে চাও আমাদের বুকের ক্ষত
    ঢেকে রাখতে চাও তোমাদের অত্যাচারের চিহ্নকে
    আর চেপে রাখতে চাও পৃথিবীর কাছে
    তোমাদের গর্বোদ্ধত, অত্যাচারী পদধ্বনি।

    তবুও আমরা জানি,
    চিরকাল আর পৃথিবীর কাছে
    চাপা থাকবে না।
    আমাদের দেহে তোমাদের এই পদাঘাত।
    আর সম্রাট হুমায়ুনের মতো
    একদিন তোমাদেরও হতে পারে পদস্খলন।।

    See less
  4. দূর্গা পূজা বা দুর্গোৎসব ভূমিকাঃ দুর্গোৎসব বা দুর্গাপূজা জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতায় বাংলার অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। দুর্গোৎসব নিয়ে আসে বাংলার জীবনে এক নতুন মাত্রা, বাংলার মানুষ মেতে উঠে খুশিতে আনন্দে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের খুব কম উৎসবের সঙ্গেই তার তুলনা চলে। যদিও এটি মূলত: ধর্মীয় অনুষ্ঠান তবুও সকল শ্রেRead more

    দূর্গা পূজা বা দুর্গোৎসব

    ভূমিকাঃ দুর্গোৎসব বা দুর্গাপূজা জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতায় বাংলার অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। দুর্গোৎসব নিয়ে আসে বাংলার জীবনে এক নতুন মাত্রা, বাংলার মানুষ মেতে উঠে খুশিতে আনন্দে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের খুব কম উৎসবের সঙ্গেই তার তুলনা চলে। যদিও এটি মূলত: ধর্মীয় অনুষ্ঠান তবুও সকল শ্রেণীর জনসাধারণের আন্তরিক মিলনের ফলে এক উদারতর সামাজিক ব্যপ্তি লাভ করেছে। সর্বমানবের মিলনই যদি জাতীয় উৎসবের বৈশিষ্ট্য হয়, তবে দুর্গোৎসবকে নিঃসন্দেহে বাংলা ও বাঙালী জাতির জাতীয় উৎসবরূপে স্বীকার করতে হবে।

    সময় ও প্রস্তুতি : বৎসরের সুন্দরতম ঋতুতে বাংলার নিসর্গ-প্রকৃতি যখন সুস্নিগ্ধ লাবণ্যে অপরূপ হয়ে ওঠে, তখনই দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। শারদ এই শুভলগ্নে প্রকৃতিই প্রকৃতি হয়ে উঠে নির্মেঘ আকাশ হয়ে উঠে সুনীল এরইমধ্যে প্রকৃতি তাঁর স্বর্ণোজ্জ্বল রৌদ্রের প্রদীপালােকে জগন্মাতার বন্দনার আয়ােজন করে। শরৎ ঋতুর আগমনে মৃৎ-শিল্পীর দিবারাত্রির পরিশ্রমে দেবী দুর্গা মৃন্ময়ীরূপে দৃষ্টিগােচর হয়ে ওঠেন, বিপণিতে নয়নলােভন পণ্য আনন্দোচ্ছল ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। প্রবাসী কর্মীর দিন কাটে প্রিয়জনের সঙ্গে মিলনের প্রতীক্ষায়। অবশেষে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠীতিথির পুণ্যলগ্নে কল্যাণী জননী-রূপে দেবী দুর্গা তাঁর মর্তের সন্তানদের সম্মুখে আবির্ভূত হন। গ্রাম-বাঙলার শারদ আকাশে বাজতে থাকে আগমনীর সুর।

    দুর্গাপূজার ইতিহাস : ইতিহাস পুরাণে বিধৃত। গিরিরাজ হিমালয় ও তদীয় পত্রী মেনকার কন্যা এই দুর্গা, দেবাদিদেব মহাদেব তাঁর স্বামী। সত্যযুগে সুরথ নামক জনৈক নরপতি শহস্তে পরাজিত হয়ে হতাশচিত্তে মেধস্ মুনির আশ্রমে যান। এই মুনির উপদেশেই তিনি সর্বপ্রথম দুর্গাপূজা করেন এবং দেবীর কৃপায় শত্রুকবলিত রাজ্য পুনরুদ্ধার করেন। রাজা সুরথ বসন্তঋতুতে দুর্গাপূজা করেছিলেন বলে এই পূজা বাসন্তী পূজা’ নামে অভিহিত হয় । বাঙালী দেবী দুর্গার আরাধনায় রামচন্দ্রের শারদীয় অনুষ্ঠানকে গ্রহণ করেছে। তাহেরপুরের রাজা কংসনারায়ণ প্রায় সাড়ে তিনশত বৎসর পূর্বে সর্বপ্রথম বাঙলাদেশে জগজ্জননীর পূজায় ব্রতী হন, এরূপ মত প্রচলিত আছে।

    দুর্গা দশভুজা : তার দশটি হাতে শাণিত প্রহরণ। সিংহপৃষ্ঠে আরােহণ করে তিনি ভীষণদর্শন মহিষাসুর নিধনে উদ্যত। শক্তিরূপিণী জননী দুর্গার দক্ষিণে শােভা পান ঐশ্বর্যের দেবী কমলাসনা লক্ষ্মী, বামভাগে অবস্থান করেন বাণী বিদ্যাদায়িনী সর্বশুক্লা সরস্বতী। দুই পুত্র দেবসেনাপতি কার্তিকেয় এবং সিদ্ধিদাতা গণেশও একই সঙ্গে পূজিত হন । গণেশের পার্শ্বে প্রকৃতি-জননীর সৃষ্টির প্রতীক নবপত্রিকা অবস্থান করেন । অসুররূপী অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে বিশ্ববাসীকে শাস্তি ও কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্যই আদ্যাশক্তি মহামায়া দশপ্রহরণ ধারিণী দুর্গারূপে আত্মপ্রকাশ।

    মূল উৎসব : আলােকোজ্জ্বল আশ্বিনের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে বােধন করে দুর্গাপুজার অনুষ্ঠান শুরু হয়। পুণ্য ষষ্ঠী তিথিতেই দেবীর আবাহন ও অধিবাসের কার্যটি সম্পন্ন করা হয়। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী–পরবর্তী এই তিনটি দিন ধরে মহাসমারােহে অগণিত ভক্তের সম্মিলনে পূজা চলতে থাকে। অষ্টম ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে যে পূজা অনুষ্ঠিত হয়, তার নাম ‘সন্ধিপূজা’ । চতুর্থ দিন দশমী তিথিতে পূজা সমাপন করে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয় । বিসর্জনের পরবর্তী কৃত্যই হল প্রতিমা। নিরঞ্জন—অর্থাৎ বাদ্যভাণ্ড ও শোভাযাত্রা সহকারে দেবী প্রতিমাকে নদী-গর্ভে অথবা অন্য কোন জলাশয়ে নিমজ্জিত করা হয়। ভক্ত-পূজকদের দেহে নামে ক্লান্তির ভার, মন আচ্ছন্ন হয়ে থাকে প্রিয়জন বিচ্ছেদের বিষাদে। প্রতিমা নিরঞ্জনের পরে প্রতিটি বাঙালী আত্মীয় প্রিয়জনের সঙ্গে স্নেহালিঙ্গনে আবদ্ধ হয়ে পরস্পরকে ভক্তি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছাজ্ঞাপন করে, এই অনুষ্ঠানটির নাম ‘বিজয়া।

    বাংলার জীবনে দুর্গ উৎসবের মাহাত্ম্য : শুধু যে ধর্মীয় গুরুত্বেই জগন্মাতা দুর্গার আরাধনা বাঙালী হিন্দুর জীবনে প্রধানতম স্থান গ্রহণ করেছে তাই নয়, মানবিক সম্পর্কের সহজ আন্তরিকতার স্পশে এ উৎসবটি অনন্য। হিমালয়-দুহিতা উমা পুত্র-কন্যা সঙ্গে নিয়ে মাত্র তিনটি দিনের জন্য পিতৃগৃহে ফিরে আসেন, চতুর্থ দিনেই আবার মাতা মেনকাকে অশ্রু সাগরে ভাসিয়ে স্বামী মহেশ্বরের আলয়ে প্রত্যাবর্তন করেন । মর্ত্য-পৃথিবীতে দেবী দুর্গার আবির্ভাবের এই লৌকিক কাহিনীটি বাঙালীর পারিবারিক জীবনে একটি বিষন্ন-মধুর অভিজ্ঞতার সমান্তরালে চলে আসছে। বিবাহিতা কন্যার পিত্রালয়ে আগমন এবং বিদায়ে বাঙালী জননী বা মেনকার আনন্দোৎকণ্ঠা ও অশ্রুঘন বেদনার মর্মস্পর্শিতা অনুভব করেন। কাজেই, বাঙালী জননীর নিকট তখন দেবী দুর্গা আর স্বীয় কন্যা একই স্নেহবাৎসল্যের স্পর্শে দ্রবীভূত হয়ে একাত্মতা লাভ করেন। মাতৃসাধন বাঙালী সঙ্গীতের সুরে বিবাহিত কন্যার সঙ্গে মিলনপ্রত্যাশী বাঙালী মাতার অন্তরবেদনাকেই মুক্তি দিয়েছে : “যাও যাও গিরি, আনিতে গৌরী, উমা আমার কত কেঁদেছে।

    উপসংহার: শারদোৎসব প্রকৃতপক্ষে বাংলার পারিবারিক জীবনে মিলনােৎসবের মাধুর্য নিয়েই আবির্ভূত হয়। সুদীর্ঘে প্রবাসজীবনযাপন করে প্রিয়জন ফিরে আসে জননীর স্নেহাঞ্চলতলে, আনন্দ-হাসিতে মুখর হয় বাঙালীর গৃহ-প্রাঙ্গণ। ধরাতলে রচিত হয় গিরীশ মেনকার সুখতৃপ্ত সংসারের দ্বিতীয় রূপ। তাই বাঙালীই নিঃসঙ্কোচ সারল্যে বলতে পেরেছে-‘দেবতারে মােরা আত্মীয় জানি।

    See less
  5. বিশেষ্য  –   বিশেষণ অ অনুগ্রহ = অনুগৃহীত অধ্যাত্ম = আধ্যাত্মিক অনুভব = অনুভূত অন্তর = আন্তরিক অবসাদ = অবসন্ন অভিষেক = অভিষিক্ত অবসর = অবসৃত অক্ষর = আক্ষরিক অংশ = আংশিক অর্থনীতি = অর্থনৈতিক অবধান = অবধেয় অনুবাদ = অনূদিত অপসরণ = অপসৃত অনুষ্ঠান = অনুষ্ঠিত আ আলােচনা = আলােচিত আরম্ভ = আরব্ধ আশ্রয় = আশ্Read more

    বিশেষ্য  –   বিশেষণ

    অনুগ্রহ = অনুগৃহীত
    অধ্যাত্ম = আধ্যাত্মিক
    অনুভব = অনুভূত
    অন্তর = আন্তরিক
    অবসাদ = অবসন্ন
    অভিষেক = অভিষিক্ত
    অবসর = অবসৃত
    অক্ষর = আক্ষরিক
    অংশ = আংশিক
    অর্থনীতি = অর্থনৈতিক
    অবধান = অবধেয়
    অনুবাদ = অনূদিত
    অপসরণ = অপসৃত
    অনুষ্ঠান = অনুষ্ঠিত

    আলােচনা = আলােচিত
    আরম্ভ = আরব্ধ
    আশ্রয় = আশ্রিত
    আহ্বান =আহূত
    আসন = আসীন
    আদি = আদিম
    আদর = আদুরে
    আদেশ = আদিষ্ট
    আঘাত = আহত
    আলস্য = অলস
    আহার = আহার্য
    আহার = আহার্য
    আকর্ষণ = আকৃষ্ট
    আশ্বাস = আশ্বস্ত

    ইচ্ছা = ইষ্ট/ঐচ্ছিক
    ইহৎ = ঐহিক
    ইতিহাস = ঐতিহাসিক
    ঈশ্বর = ঐশ্বরিক
    ইন্দ্রজাল = ঐন্দ্রজালিক
    ইতরামি = ইতর
    ঈশ =ঐশ/ঐশিক


    ইপ্সা =ঈপ্সিত
    ঈর্ষা = ঈর্ষনীয়

    উদ্ভাবন = উদ্ভাবিত
    উৎসাহ = উৎসাহিত
    উৎকর্ষ = উৎকৃষ্ট
    উল্লাস = উল্লসিত
    উপলব্ধি = উপলব্ধ
    উদয় = উদিত
    উদ্ধার = উদ্ধৃত
    উপকার = উপকৃত
    উদর = ঔদরিক
    উপদ্রব = উপদ্রুত
    উত্তরণ = উত্তীর্ণ
    উচ্চারণ = উচ্চারিত
    উত্থাপন = উত্থাপিত
    উন্নয়ন = উন্নীত
    উল্লেখ = উল্লিখিত
    উদ্ভব = উদ্ভূত

    কাজ = কেজো
    কুল = কুলীন
    ক্রোধ = ক্রুদ্ধ
    ক্ষয় = ক্ষীন।
    কর্ষণ = কর্ষিত
    কারুণ্য = করুণ
    ক্ষীণতা = ক্ষীণ

    গমন = গম্যি
    গুরুত্ব = গুরু
    গৃহস্থ = গার্হস্থ্য
    গ্রহণ = গৃহীত
    গ্রহণ =গৃহীত
    গ্রাম = গ্রাম্য/গ্রামীন
    গিরি = গৈরিক
    গাছ = গেছাে
    গাম্ভীর্য = গম্ভীর
    গুণক = গুণী

    ঘাত = ঘাতক
    ঘর = ঘরােয়া
    ঘােষণা = ঘােষিত
    ঘুম = ঘুমন্ত
    ঘনত্ব = ঘন
    ঘর = ঘরোয়া
    ঘাট = ঘেটো

    চাপল্য = চপল
    চরিত্র = চারিত্রিক
    চাঞ্চল্য = চঞ্চল
    চাতুর্য = চতুর
    চিত্র = চিত্রিত
    চুরি = চৌর্য

    জন্তু = জান্তব
    জীবন = জীবন্ত
    জ্ঞান = জ্ঞানী
    জল = জলীয়
    জন্ম = জাত
    জাত = জাতক
    জাতি = জাতীয়
    জরা = জীর্ণ
    জীবন = জীবিত/জীবন্ত
    জগৎ = জাগতিক

    তারুণ্য = তরুণ
    তারল্য = তরল
    ত্যাগ = ত্যক্ত,ত্যাজ্য
    তালু = তালব্য
    তিরস্কার = তিরস্কার
    তেজ = তেজী,তেজস্বী
    তর্ক = তার্কিক,তর্কিত
    তিরােধান = তিরােহিত
    তুলনা = তুলনীয়/তুল্য
    তেল = তৈলাক্ত
    ত্বরা = ত্বরান্বিত
    তত্ব = তাত্ত্বিক
    তর্ক = তার্কিক
    তন্ত্র =তান্ত্রিক
    তাপ = তপ্ত

    দেহ = দৈহিক
    দ্যোতনা = দ্যোতিত
    দৃষ্টি = দৃষ্ট
    দর্শন = দার্শনিক
    দীনতা = দীন
    দীপ্তি = দীপ্ত
    দৈর্ঘ্য = দীর্ঘ
    দারিদ্র্য = দরিদ্র
    দর্প = দৃপ্ত।
    দম্পতি = দাম্পত্য
    দায়/দায়িত্ব =দায়ী
    দাগ = দাগী
    দয়া = দয়ালু
    দ্বন্দ্ব = দ্বান্দ্বিক
    দক্ষিন = দক্ষিনা
    দোষ = দুষ্ট
    দূষণ = দূষিত
    দান = দাতা/দত্ত
    দানব = দানবীয়

    ধর্মক = ধার্মিক
    ধারণ = ধৃত
    ধাতু = ধাতব
    ধর্ম = ধর্মীয়,ধার্মিক
    ধ্যান = ধ্যেয়
    ধান = ধেনো
    ধূর্ত = ধূর্তামি

    নিমন্ত্রণ = নিমন্ত্রিত
    নিন্দা = নিন্দিত
    নিয়ােগ = নিযুক্ত
    নিষেধ = নিষিদ্ধ
    নৈকট্য = নিকট
    নির্মাণ = নির্মিত
    ন্যাকামি = ন্যাকা
    নিসর্গ = নৈসর্গিক
    নির্ধারণ = নির্ধারিত
    নীল = নীলাভ
    নাটক = নাটকীয়
    নির্মলতা = নির্মল
    নিশা = নৈশ

    প্রয়ান = প্রয়াত
    প্রবেশ = প্রবিষ্ট
    প্রত্যহ = প্রাত্যহিক
    প্রথম = প্রাথমিক
    প্রদেশ = প্রাদেশিক
    পশ্চিম = পশ্চিমি
    পান = পানীয়
    পাঠ = পাঠ্য
    পিতা = পৈতৃক
    পৃথিবী = পার্থিব
    প্রকাশ = প্রকাশিত
    প্রকৃতি = প্রাকৃতিক
    পূর্তি = পূর্ণ
    প্রণাম = প্রণত
    পরিধান = পরিহিত
    পরীক্ষা = পরীক্ষিত
    পশ্চাৎ = পাশ্চাত্য
    পাথর = পাথুরে
    পর্বত = পার্বত্য
    প্রাণ = প্রাণময়
    প্রহার = প্রহৃত
    প্রতিযােগিতা = প্রতিযােগী
    প্রাচুর্য = প্রচুর
    প্রশ্ন = পৃষ্ট
    প্রেরণ = প্রেরিত
    প্রাচী = প্রাচ্য
    প্রীতি = প্রীত
    প্রতিঘাত = প্রতিহত
    প্রতিক্ষা = প্রতীক্ষিত
    পরিত্যাগ = পরিত্যক্ত
    পরিনাম =পরিণত
    পীড়া = পীড়িত
    পুরান = পৌরাণিক
    পূজা = পূজ্য
    প্রবন্ধ = প্রাবন্ধিক
    পাঠ = পাঠ্য
    প্রচার = প্রচারিত

    বিদ্যুৎ = বৈদ্যুতিক
    ব্যাঘাত = ব্যাহত
    বিশেষ = বিশিষ্ট
    বিস্মরণ = বিস্মৃত
    বিলােপ = বিলুপ্ত
    বিস্তার = বিস্তৃত
    বিপ্লব = বৈপ্লবিক
    বহন = বাহক
    বিরােধ = বিরােধী
    বিজ্ঞান = বৈজ্ঞানিক
    বিক্রয় = বিক্রিত
    বৈপরীত্য = বিপরীত
    বন্দনা = বন্দিত
    বহন = বাহিত
    বায়ু = বায়ুবীয়
    বিধান = বিহিত
    বিধি = বৈধ
    বিদ্যা = বিদ্বান
    বিশ্বাস =বিশ্বস্ত
    বিষ্ণু = বৈষ্ণব
    ব্যবহার = ব্যবহৃত
    বিপর্যয় = বিপর্যস্ত

    ভূগােল = ভৌগলিক
    ভােজন = ভােজ্য/ভুক্ত
    ভ্রম = ভ্রান্ত
    ভােগ = ভােগ্য
    ভাব = ভাবুক
    ভারতবর্ষ = ভারতবর্ষীয়
    ভিক্ষা = ভিক্ষুক
    ভাত = ভেতাে
    ভেদ = ভিন্ন।
    ভােগ = ভােগী
    ভন্ডামি = ভন্ড
    ভূত = ভৌতিক
    ভয় = ভীত।

    মায়া = মায়াবী
    মনীষা = মনীষী
    মুখ = মৌখিক
    মননানয়ন = মনােনীত
    মূল = মৌল
    মৌন = মৌনী
    মঙ্গল = মাঙ্গলিক
    মাত্রা = মাত্রিক
    মৃত্যু = মৃত
    মাংস = মাংসল
    মেঘ = মেঘলা

    যুক্তি = যৌক্তিক
    যৌগ = যৌগিক
    যজ্ঞ = যাজ্ঞিক

    See less
  6. বিশেষ্য  –   বিশেষণ অ অনুগ্রহ = অনুগৃহীত অধ্যাত্ম = আধ্যাত্মিক অনুভব = অনুভূত অন্তর = আন্তরিক অবসাদ = অবসন্ন অভিষেক = অভিষিক্ত অবসর = অবসৃত অক্ষর = আক্ষরিক অংশ = আংশিক অর্থনীতি = অর্থনৈতিক অবধান = অবধেয় অনুবাদ = অনূদিত অপসরণ = অপসৃত অনুষ্ঠান = অনুষ্ঠিত আ আলােচনা = আলােচিত আরম্ভ = আরব্ধ আশ্রয় = আশ্Read more

    বিশেষ্য  –   বিশেষণ

    অনুগ্রহ = অনুগৃহীত
    অধ্যাত্ম = আধ্যাত্মিক
    অনুভব = অনুভূত
    অন্তর = আন্তরিক
    অবসাদ = অবসন্ন
    অভিষেক = অভিষিক্ত
    অবসর = অবসৃত
    অক্ষর = আক্ষরিক
    অংশ = আংশিক
    অর্থনীতি = অর্থনৈতিক
    অবধান = অবধেয়
    অনুবাদ = অনূদিত
    অপসরণ = অপসৃত
    অনুষ্ঠান = অনুষ্ঠিত

    আলােচনা = আলােচিত
    আরম্ভ = আরব্ধ
    আশ্রয় = আশ্রিত
    আহ্বান =আহূত
    আসন = আসীন
    আদি = আদিম
    আদর = আদুরে
    আদেশ = আদিষ্ট
    আঘাত = আহত
    আলস্য = অলস
    আহার = আহার্য
    আহার = আহার্য
    আকর্ষণ = আকৃষ্ট
    আশ্বাস = আশ্বস্ত

    ইচ্ছা = ইষ্ট/ঐচ্ছিক
    ইহৎ = ঐহিক
    ইতিহাস = ঐতিহাসিক
    ঈশ্বর = ঐশ্বরিক
    ইন্দ্রজাল = ঐন্দ্রজালিক
    ইতরামি = ইতর
    ঈশ =ঐশ/ঐশিক


    ইপ্সা =ঈপ্সিত
    ঈর্ষা = ঈর্ষনীয়

    উদ্ভাবন = উদ্ভাবিত
    উৎসাহ = উৎসাহিত
    উৎকর্ষ = উৎকৃষ্ট
    উল্লাস = উল্লসিত
    উপলব্ধি = উপলব্ধ
    উদয় = উদিত
    উদ্ধার = উদ্ধৃত
    উপকার = উপকৃত
    উদর = ঔদরিক
    উপদ্রব = উপদ্রুত
    উত্তরণ = উত্তীর্ণ
    উচ্চারণ = উচ্চারিত
    উত্থাপন = উত্থাপিত
    উন্নয়ন = উন্নীত
    উল্লেখ = উল্লিখিত
    উদ্ভব = উদ্ভূত

    কাজ = কেজো
    কুল = কুলীন
    ক্রোধ = ক্রুদ্ধ
    ক্ষয় = ক্ষীন।
    কর্ষণ = কর্ষিত
    কারুণ্য = করুণ
    ক্ষীণতা = ক্ষীণ

    গমন = গম্যি
    গুরুত্ব = গুরু
    গৃহস্থ = গার্হস্থ্য
    গ্রহণ = গৃহীত
    গ্রহণ =গৃহীত
    গ্রাম = গ্রাম্য/গ্রামীন
    গিরি = গৈরিক
    গাছ = গেছাে
    গাম্ভীর্য = গম্ভীর
    গুণক = গুণী

    ঘাত = ঘাতক
    ঘর = ঘরােয়া
    ঘােষণা = ঘােষিত
    ঘুম = ঘুমন্ত
    ঘনত্ব = ঘন
    ঘর = ঘরোয়া
    ঘাট = ঘেটো

    চাপল্য = চপল
    চরিত্র = চারিত্রিক
    চাঞ্চল্য = চঞ্চল
    চাতুর্য = চতুর
    চিত্র = চিত্রিত
    চুরি = চৌর্য

    জন্তু = জান্তব
    জীবন = জীবন্ত
    জ্ঞান = জ্ঞানী
    জল = জলীয়
    জন্ম = জাত
    জাত = জাতক
    জাতি = জাতীয়
    জরা = জীর্ণ
    জীবন = জীবিত/জীবন্ত
    জগৎ = জাগতিক

    তারুণ্য = তরুণ
    তারল্য = তরল
    ত্যাগ = ত্যক্ত,ত্যাজ্য
    তালু = তালব্য
    তিরস্কার = তিরস্কার
    তেজ = তেজী,তেজস্বী
    তর্ক = তার্কিক,তর্কিত
    তিরােধান = তিরােহিত
    তুলনা = তুলনীয়/তুল্য
    তেল = তৈলাক্ত
    ত্বরা = ত্বরান্বিত
    তত্ব = তাত্ত্বিক
    তর্ক = তার্কিক
    তন্ত্র =তান্ত্রিক
    তাপ = তপ্ত

    দেহ = দৈহিক
    দ্যোতনা = দ্যোতিত
    দৃষ্টি = দৃষ্ট
    দর্শন = দার্শনিক
    দীনতা = দীন
    দীপ্তি = দীপ্ত
    দৈর্ঘ্য = দীর্ঘ
    দারিদ্র্য = দরিদ্র
    দর্প = দৃপ্ত।
    দম্পতি = দাম্পত্য
    দায়/দায়িত্ব =দায়ী
    দাগ = দাগী
    দয়া = দয়ালু
    দ্বন্দ্ব = দ্বান্দ্বিক
    দক্ষিন = দক্ষিনা
    দোষ = দুষ্ট
    দূষণ = দূষিত
    দান = দাতা/দত্ত
    দানব = দানবীয়

    ধর্মক = ধার্মিক
    ধারণ = ধৃত
    ধাতু = ধাতব
    ধর্ম = ধর্মীয়,ধার্মিক
    ধ্যান = ধ্যেয়
    ধান = ধেনো
    ধূর্ত = ধূর্তামি

    নিমন্ত্রণ = নিমন্ত্রিত
    নিন্দা = নিন্দিত
    নিয়ােগ = নিযুক্ত
    নিষেধ = নিষিদ্ধ
    নৈকট্য = নিকট
    নির্মাণ = নির্মিত
    ন্যাকামি = ন্যাকা
    নিসর্গ = নৈসর্গিক
    নির্ধারণ = নির্ধারিত
    নীল = নীলাভ
    নাটক = নাটকীয়
    নির্মলতা = নির্মল
    নিশা = নৈশ

    প্রয়ান = প্রয়াত
    প্রবেশ = প্রবিষ্ট
    প্রত্যহ = প্রাত্যহিক
    প্রথম = প্রাথমিক
    প্রদেশ = প্রাদেশিক
    পশ্চিম = পশ্চিমি
    পান = পানীয়
    পাঠ = পাঠ্য
    পিতা = পৈতৃক
    পৃথিবী = পার্থিব
    প্রকাশ = প্রকাশিত
    প্রকৃতি = প্রাকৃতিক
    পূর্তি = পূর্ণ
    প্রণাম = প্রণত
    পরিধান = পরিহিত
    পরীক্ষা = পরীক্ষিত
    পশ্চাৎ = পাশ্চাত্য
    পাথর = পাথুরে
    পর্বত = পার্বত্য
    প্রাণ = প্রাণময়
    প্রহার = প্রহৃত
    প্রতিযােগিতা = প্রতিযােগী
    প্রাচুর্য = প্রচুর
    প্রশ্ন = পৃষ্ট
    প্রেরণ = প্রেরিত
    প্রাচী = প্রাচ্য
    প্রীতি = প্রীত
    প্রতিঘাত = প্রতিহত
    প্রতিক্ষা = প্রতীক্ষিত
    পরিত্যাগ = পরিত্যক্ত
    পরিনাম =পরিণত
    পীড়া = পীড়িত
    পুরান = পৌরাণিক
    পূজা = পূজ্য
    প্রবন্ধ = প্রাবন্ধিক
    পাঠ = পাঠ্য
    প্রচার = প্রচারিত

    বিদ্যুৎ = বৈদ্যুতিক
    ব্যাঘাত = ব্যাহত
    বিশেষ = বিশিষ্ট
    বিস্মরণ = বিস্মৃত
    বিলােপ = বিলুপ্ত
    বিস্তার = বিস্তৃত
    বিপ্লব = বৈপ্লবিক
    বহন = বাহক
    বিরােধ = বিরােধী
    বিজ্ঞান = বৈজ্ঞানিক
    বিক্রয় = বিক্রিত
    বৈপরীত্য = বিপরীত
    বন্দনা = বন্দিত
    বহন = বাহিত
    বায়ু = বায়ুবীয়
    বিধান = বিহিত
    বিধি = বৈধ
    বিদ্যা = বিদ্বান
    বিশ্বাস =বিশ্বস্ত
    বিষ্ণু = বৈষ্ণব
    ব্যবহার = ব্যবহৃত
    বিপর্যয় = বিপর্যস্ত

    ভূগােল = ভৌগলিক
    ভােজন = ভােজ্য/ভুক্ত
    ভ্রম = ভ্রান্ত
    ভােগ = ভােগ্য
    ভাব = ভাবুক
    ভারতবর্ষ = ভারতবর্ষীয়
    ভিক্ষা = ভিক্ষুক
    ভাত = ভেতাে
    ভেদ = ভিন্ন।
    ভােগ = ভােগী
    ভন্ডামি = ভন্ড
    ভূত = ভৌতিক
    ভয় = ভীত।

    মায়া = মায়াবী
    মনীষা = মনীষী
    মুখ = মৌখিক
    মননানয়ন = মনােনীত
    মূল = মৌল
    মৌন = মৌনী
    মঙ্গল = মাঙ্গলিক
    মাত্রা = মাত্রিক
    মৃত্যু = মৃত
    মাংস = মাংসল
    মেঘ = মেঘলা

    যুক্তি = যৌক্তিক
    যৌগ = যৌগিক
    যজ্ঞ = যাজ্ঞিক

    See less
  7. বিশেষ্য  -   বিশেষণ অ অনুগ্রহ = অনুগৃহীত অধ্যাত্ম = আধ্যাত্মিক অনুভব = অনুভূত অন্তর = আন্তরিক অবসাদ = অবসন্ন অভিষেক = অভিষিক্ত অবসর = অবসৃত অক্ষর = আক্ষরিক অংশ = আংশিক অর্থনীতি = অর্থনৈতিক অবধান = অবধেয় অনুবাদ = অনূদিত অপসরণ = অপসৃত অনুষ্ঠান = অনুষ্ঠিত আ আলােচনা = আলােচিত আরম্ভ = আরব্ধ আশ্রয় = আশ্Read more

    বিশেষ্য  –   বিশেষণ

    অনুগ্রহ = অনুগৃহীত
    অধ্যাত্ম = আধ্যাত্মিক
    অনুভব = অনুভূত
    অন্তর = আন্তরিক
    অবসাদ = অবসন্ন
    অভিষেক = অভিষিক্ত
    অবসর = অবসৃত
    অক্ষর = আক্ষরিক
    অংশ = আংশিক
    অর্থনীতি = অর্থনৈতিক
    অবধান = অবধেয়
    অনুবাদ = অনূদিত
    অপসরণ = অপসৃত
    অনুষ্ঠান = অনুষ্ঠিত

    আলােচনা = আলােচিত
    আরম্ভ = আরব্ধ
    আশ্রয় = আশ্রিত
    আহ্বান =আহূত
    আসন = আসীন
    আদি = আদিম
    আদর = আদুরে
    আদেশ = আদিষ্ট
    আঘাত = আহত
    আলস্য = অলস
    আহার = আহার্য
    আহার = আহার্য
    আকর্ষণ = আকৃষ্ট
    আশ্বাস = আশ্বস্ত

    ইচ্ছা = ইষ্ট/ঐচ্ছিক
    ইহৎ = ঐহিক
    ইতিহাস = ঐতিহাসিক
    ঈশ্বর = ঐশ্বরিক
    ইন্দ্রজাল = ঐন্দ্রজালিক
    ইতরামি = ইতর
    ঈশ =ঐশ/ঐশিক


    ইপ্সা =ঈপ্সিত
    ঈর্ষা = ঈর্ষনীয়

    উদ্ভাবন = উদ্ভাবিত
    উৎসাহ = উৎসাহিত
    উৎকর্ষ = উৎকৃষ্ট
    উল্লাস = উল্লসিত
    উপলব্ধি = উপলব্ধ
    উদয় = উদিত
    উদ্ধার = উদ্ধৃত
    উপকার = উপকৃত
    উদর = ঔদরিক
    উপদ্রব = উপদ্রুত
    উত্তরণ = উত্তীর্ণ
    উচ্চারণ = উচ্চারিত
    উত্থাপন = উত্থাপিত
    উন্নয়ন = উন্নীত
    উল্লেখ = উল্লিখিত
    উদ্ভব = উদ্ভূত

    কাজ = কেজো
    কুল = কুলীন
    ক্রোধ = ক্রুদ্ধ
    ক্ষয় = ক্ষীন।
    কর্ষণ = কর্ষিত
    কারুণ্য = করুণ
    ক্ষীণতা = ক্ষীণ

    গমন = গম্যি
    গুরুত্ব = গুরু
    গৃহস্থ = গার্হস্থ্য
    গ্রহণ = গৃহীত
    গ্রহণ =গৃহীত
    গ্রাম = গ্রাম্য/গ্রামীন
    গিরি = গৈরিক
    গাছ = গেছাে
    গাম্ভীর্য = গম্ভীর
    গুণক = গুণী

    ঘাত = ঘাতক
    ঘর = ঘরােয়া
    ঘােষণা = ঘােষিত
    ঘুম = ঘুমন্ত
    ঘনত্ব = ঘন
    ঘর = ঘরোয়া
    ঘাট = ঘেটো

    চাপল্য = চপল
    চরিত্র = চারিত্রিক
    চাঞ্চল্য = চঞ্চল
    চাতুর্য = চতুর
    চিত্র = চিত্রিত
    চুরি = চৌর্য

    জন্তু = জান্তব
    জীবন = জীবন্ত
    জ্ঞান = জ্ঞানী
    জল = জলীয়
    জন্ম = জাত
    জাত = জাতক
    জাতি = জাতীয়
    জরা = জীর্ণ
    জীবন = জীবিত/জীবন্ত
    জগৎ = জাগতিক

    তারুণ্য = তরুণ
    তারল্য = তরল
    ত্যাগ = ত্যক্ত,ত্যাজ্য
    তালু = তালব্য
    তিরস্কার = তিরস্কার
    তেজ = তেজী,তেজস্বী
    তর্ক = তার্কিক,তর্কিত
    তিরােধান = তিরােহিত
    তুলনা = তুলনীয়/তুল্য
    তেল = তৈলাক্ত
    ত্বরা = ত্বরান্বিত
    তত্ব = তাত্ত্বিক
    তর্ক = তার্কিক
    তন্ত্র =তান্ত্রিক
    তাপ = তপ্ত

    দেহ = দৈহিক
    দ্যোতনা = দ্যোতিত
    দৃষ্টি = দৃষ্ট
    দর্শন = দার্শনিক
    দীনতা = দীন
    দীপ্তি = দীপ্ত
    দৈর্ঘ্য = দীর্ঘ
    দারিদ্র্য = দরিদ্র
    দর্প = দৃপ্ত।
    দম্পতি = দাম্পত্য
    দায়/দায়িত্ব =দায়ী
    দাগ = দাগী
    দয়া = দয়ালু
    দ্বন্দ্ব = দ্বান্দ্বিক
    দক্ষিন = দক্ষিনা
    দোষ = দুষ্ট
    দূষণ = দূষিত
    দান = দাতা/দত্ত
    দানব = দানবীয়

    ধর্মক = ধার্মিক
    ধারণ = ধৃত
    ধাতু = ধাতব
    ধর্ম = ধর্মীয়,ধার্মিক
    ধ্যান = ধ্যেয়
    ধান = ধেনো
    ধূর্ত = ধূর্তামি

    নিমন্ত্রণ = নিমন্ত্রিত
    নিন্দা = নিন্দিত
    নিয়ােগ = নিযুক্ত
    নিষেধ = নিষিদ্ধ
    নৈকট্য = নিকট
    নির্মাণ = নির্মিত
    ন্যাকামি = ন্যাকা
    নিসর্গ = নৈসর্গিক
    নির্ধারণ = নির্ধারিত
    নীল = নীলাভ
    নাটক = নাটকীয়
    নির্মলতা = নির্মল
    নিশা = নৈশ

    প্রয়ান = প্রয়াত
    প্রবেশ = প্রবিষ্ট
    প্রত্যহ = প্রাত্যহিক
    প্রথম = প্রাথমিক
    প্রদেশ = প্রাদেশিক
    পশ্চিম = পশ্চিমি
    পান = পানীয়
    পাঠ = পাঠ্য
    পিতা = পৈতৃক
    পৃথিবী = পার্থিব
    প্রকাশ = প্রকাশিত
    প্রকৃতি = প্রাকৃতিক
    পূর্তি = পূর্ণ
    প্রণাম = প্রণত
    পরিধান = পরিহিত
    পরীক্ষা = পরীক্ষিত
    পশ্চাৎ = পাশ্চাত্য
    পাথর = পাথুরে
    পর্বত = পার্বত্য
    প্রাণ = প্রাণময়
    প্রহার = প্রহৃত
    প্রতিযােগিতা = প্রতিযােগী
    প্রাচুর্য = প্রচুর
    প্রশ্ন = পৃষ্ট
    প্রেরণ = প্রেরিত
    প্রাচী = প্রাচ্য
    প্রীতি = প্রীত
    প্রতিঘাত = প্রতিহত
    প্রতিক্ষা = প্রতীক্ষিত
    পরিত্যাগ = পরিত্যক্ত
    পরিনাম =পরিণত
    পীড়া = পীড়িত
    পুরান = পৌরাণিক
    পূজা = পূজ্য
    প্রবন্ধ = প্রাবন্ধিক
    পাঠ = পাঠ্য
    প্রচার = প্রচারিত

    বিদ্যুৎ = বৈদ্যুতিক
    ব্যাঘাত = ব্যাহত
    বিশেষ = বিশিষ্ট
    বিস্মরণ = বিস্মৃত
    বিলােপ = বিলুপ্ত
    বিস্তার = বিস্তৃত
    বিপ্লব = বৈপ্লবিক
    বহন = বাহক
    বিরােধ = বিরােধী
    বিজ্ঞান = বৈজ্ঞানিক
    বিক্রয় = বিক্রিত
    বৈপরীত্য = বিপরীত
    বন্দনা = বন্দিত
    বহন = বাহিত
    বায়ু = বায়ুবীয়
    বিধান = বিহিত
    বিধি = বৈধ
    বিদ্যা = বিদ্বান
    বিশ্বাস =বিশ্বস্ত
    বিষ্ণু = বৈষ্ণব
    ব্যবহার = ব্যবহৃত
    বিপর্যয় = বিপর্যস্ত

    ভূগােল = ভৌগলিক
    ভােজন = ভােজ্য/ভুক্ত
    ভ্রম = ভ্রান্ত
    ভােগ = ভােগ্য
    ভাব = ভাবুক
    ভারতবর্ষ = ভারতবর্ষীয়
    ভিক্ষা = ভিক্ষুক
    ভাত = ভেতাে
    ভেদ = ভিন্ন।
    ভােগ = ভােগী
    ভন্ডামি = ভন্ড
    ভূত = ভৌতিক
    ভয় = ভীত।

    মায়া = মায়াবী
    মনীষা = মনীষী
    মুখ = মৌখিক
    মননানয়ন = মনােনীত
    মূল = মৌল
    মৌন = মৌনী
    মঙ্গল = মাঙ্গলিক
    মাত্রা = মাত্রিক
    মৃত্যু = মৃত
    মাংস = মাংসল
    মেঘ = মেঘলা

    যুক্তি = যৌক্তিক
    যৌগ = যৌগিক
    যজ্ঞ = যাজ্ঞিক

    See less
  8. বিশেষ্য  -   বিশেষণ অ অনুগ্রহ = অনুগৃহীত অধ্যাত্মক = আধ্যাত্মিক অনুভব = অনুভূত অন্তর = আন্তরিক অবসাদ = অবসন্ন অভিষেক = অভিষিক্ত অবসর = অবসৃত অক্ষর = আক্ষরিক অংশ = আংশিক অর্থনীতি = অর্থনৈতিক অবধানও = অবধেয় অনুবাদক = অনূদিত অপসরণ = অপসৃত অনুষ্ঠান = অনুষ্ঠিত আ আলােচনা = আলােচিত আরম্ভ = আরব্ধ আশ্রয় =Read more

    বিশেষ্য  –   বিশেষণ

    অনুগ্রহ = অনুগৃহীত
    অধ্যাত্মক = আধ্যাত্মিক
    অনুভব = অনুভূত
    অন্তর = আন্তরিক
    অবসাদ = অবসন্ন
    অভিষেক = অভিষিক্ত
    অবসর = অবসৃত
    অক্ষর = আক্ষরিক
    অংশ = আংশিক
    অর্থনীতি = অর্থনৈতিক
    অবধানও = অবধেয়
    অনুবাদক = অনূদিত
    অপসরণ = অপসৃত
    অনুষ্ঠান = অনুষ্ঠিত

    আলােচনা = আলােচিত
    আরম্ভ = আরব্ধ
    আশ্রয় = আশ্রিত
    আহ্বান =আহূত
    আসন = আসীন
    আদি = আদিম
    আদর = আদুরে
    আদেশ = আদিষ্ট
    আঘাত = আহত
    আলস্য = অলস
    আহার = আহার্য
    আহার = আহার্য
    আকর্ষণ = আকৃষ্ট
    আশ্বাসক = আশ্বস্ত

    ইচ্ছা = ইষ্ট/ঐচ্ছিক
    ইহৎ = ঐহিক
    ইতিহাস = ঐতিহাসিক
    ঈশ্বর = ঐশ্বরিক
    ইন্দ্রজাল = ঐন্দ্রজালিক
    ইতরামিক = ইতর
    ঈশক =ঐশ/ঐশিক


    ইপ্সা =ঈপ্সিত
    ঈর্ষা = ঈর্ষনীয়

    উদ্ভাবন = উদ্ভাবিত
    উৎসাহ = উৎসাহিত
    উৎকর্ষক = উৎকৃষ্ট
    উল্লাস = উল্লসিত
    উপলব্ধি = উপলব্ধ
    উদয় = উদিত
    উদ্ধারক = উদ্ধৃত
    উপকার = উপকৃত
    উদর = ঔদরিক
    উপদ্রব = উপদ্রুত
    উত্তরণ = উত্তীর্ণ
    উচ্চারণ = উচ্চারিত
    উত্থাপন = উত্থাপিত
    উন্নয়ন = উন্নীত
    উল্লেখ = উল্লিখিত
    উদ্ভব = উদ্ভূত

    কাজ = কেজো
    কুল = কুলীন
    ক্রোধ = ক্রুদ্ধ
    ক্ষয় = ক্ষীন।
    কর্ষণ = কর্ষিত
    কারুণ্য = করুণ
    ক্ষীণতা = ক্ষীণ

    গমন = গম্যি
    গুরুত্ব = গুরু
    গৃহস্থ = গার্হস্থ্য
    গ্রহণ = গৃহীত
    গ্রহণ =গৃহীত
    গ্রাম = গ্রাম্য/গ্রামীন
    গিরি = গৈরিক
    গাছ = গেছাে
    গাম্ভীর্য = গম্ভীর
    গুণক = গুণী

    ঘাত = ঘাতক
    ঘর = ঘরােয়া
    ঘােষণা = ঘােষিত
    ঘুম = ঘুমন্ত
    ঘনত্ব = ঘন
    ঘর = ঘরোয়া
    ঘাট = ঘেটো

    চাপল্য = চপল
    চরিত্র = চারিত্রিক
    চাঞ্চল্যক = চঞ্চল
    চাতুর্য = চতুর
    চিত্র = চিত্রিত
    চুরি = চৌর্য

    জন্তু = জান্তব
    জীবন = জীবন্ত
    জ্ঞান = জ্ঞানী
    জল = জলীয়
    জন্ম = জাত
    জাত = জাতক
    জাতি = জাতীয়
    জরা = জীর্ণ
    জীবন = জীবিত/জীবন্ত
    জগৎ = জাগতিক

    তারুণ্য = তরুণ
    তারল্য = তরল
    ত্যাগ = ত্যক্ত,ত্যাজ্য
    তালু = তালব্য
    তিরস্কার = তিরস্কার
    তেজ = তেজী,তেজস্বী
    তর্ক = তার্কিক,তর্কিত
    তিরােধান = তিরােহিত
    তুলনা = তুলনীয়/তুল্য
    তেল = তৈলাক্ত
    ত্বরা = ত্বরান্বিত
    তত্ব = তাত্ত্বিক
    তর্ক = তার্কিক
    তন্ত্র =তান্ত্রিক
    তাপ = তপ্ত

    দেহ = দৈহিক
    দ্যোতনা = দ্যোতিত
    দৃষ্টি = দৃষ্ট
    দর্শন = দার্শনিক
    দীনতা = দীন
    দীপ্তি = দীপ্ত
    দৈর্ঘ্য = দীর্ঘ
    দারিদ্র্য = দরিদ্র
    দর্প = দৃপ্ত।
    দম্পতি = দাম্পত্য
    দায়/দায়িত্ব =দায়ী
    দাগ = দাগী
    দয়া = দয়ালু
    দ্বন্দ্ব = দ্বান্দ্বিক
    দক্ষিন = দক্ষিনা
    দোষ = দুষ্ট
    দূষণ = দূষিত
    দান = দাতা/দত্ত
    দানব = দানবীয়

    ধর্মক = ধার্মিক
    ধারণ = ধৃত
    ধাতু = ধাতব
    ধর্ম = ধর্মীয়,ধার্মিক
    ধ্যান = ধ্যেয়
    ধান = ধেনো
    ধূর্ত = ধূর্তামি

    নিমন্ত্রণ = নিমন্ত্রিত
    নিন্দা = নিন্দিত
    নিয়ােগ = নিযুক্ত
    নিষেধ = নিষিদ্ধ
    নৈকট্য = নিকট
    নির্মাণ = নির্মিত
    ন্যাকামি = ন্যাকা
    নিসর্গ = নৈসর্গিক
    নির্ধারণ = নির্ধারিত
    নীল = নীলাভ
    নাটক = নাটকীয়
    নির্মলতা = নির্মল
    নিশা = নৈশ

    প্রয়ান = প্রয়াত
    প্রবেশ = প্রবিষ্ট
    প্রত্যহ = প্রাত্যহিক
    প্রথম = প্রাথমিক
    প্রদেশ = প্রাদেশিক
    পশ্চিম = পশ্চিমি
    পান = পানীয়
    পাঠ = পাঠ্য
    পিতা = পৈতৃক
    পৃথিবী = পার্থিব
    প্রকাশ = প্রকাশিত
    প্রকৃতি = প্রাকৃতিক
    পূর্তি = পূর্ণ
    প্রণামক = প্রণত
    পরিধানক = পরিহিত
    পরীক্ষা = পরীক্ষিত
    পশ্চাৎ = পাশ্চাত্য
    পাথর = পাথুরে
    পর্বত = পার্বত্য
    প্রাণ = প্রাণময়
    প্রহার = প্রহৃত
    প্রতিযােগিতা = প্রতিযােগী
    প্রাচুর্য = প্রচুর
    প্রশ্ন = পৃষ্ট
    প্রেরণ = প্রেরিত
    প্রাচী = প্রাচ্য
    প্রীতি = প্রীত
    প্রতিঘাত = প্রতিহত
    প্রতিক্ষা = প্রতীক্ষিত
    পরিত্যাগ = পরিত্যক্ত
    পরিনাম =পরিণত
    পীড়া = পীড়িত
    পুরান = পৌরাণিক
    পূজা = পূজ্য
    প্রবন্ধ = প্রাবন্ধিক
    পাঠ = পাঠ্য
    প্রচার = প্রচারিত

    বিদ্যুৎ = বৈদ্যুতিক
    ব্যাঘাত = ব্যাহত
    বিশেষ = বিশিষ্ট
    বিস্মরণ = বিস্মৃত
    বিলােপ = বিলুপ্ত
    বিস্তার = বিস্তৃত
    বিপ্লব = বৈপ্লবিক
    বহন = বাহক
    বিরােধ = বিরােধী
    বিজ্ঞান = বৈজ্ঞানিক
    বিক্রয় = বিক্রিত
    বৈপরীত্য = বিপরীত
    বন্দনা = বন্দিত
    বহন = বাহিত
    বায়ু = বায়ুবীয়
    বিধান = বিহিত
    বিধি = বৈধ
    বিদ্যা = বিদ্বান
    বিশ্বাস =বিশ্বস্ত
    বিষ্ণু = বৈষ্ণব
    ব্যবহার = ব্যবহৃত
    বিপর্যয় = বিপর্যস্ত

    ভূগােল = ভৌগলিক
    ভােজন = ভােজ্য/ভুক্ত
    ভ্রম = ভ্রান্ত
    ভােগ = ভােগ্য
    ভাব = ভাবুক
    ভারতবর্ষ = ভারতবর্ষীয়
    ভিক্ষা = ভিক্ষুক
    ভাত = ভেতাে
    ভেদ = ভিন্ন।
    ভােগ = ভােগী
    ভন্ডামি = ভন্ড
    ভূত = ভৌতিক
    ভয় = ভীত।

    মায়া = মায়াবী
    মনীষা = মনীষী
    মুখ = মৌখিক
    মননানয়ন = মনােনীত
    মূল = মৌল
    মৌন = মৌনী
    মঙ্গল = মাঙ্গলিক
    মাত্রা = মাত্রিক
    মৃত্যু = মৃত
    মাংস = মাংসল
    মেঘ = মেঘলা

    যুক্তি = যৌক্তিক
    যৌগ = যৌগিক
    যজ্ঞ = যাজ্ঞিক

    See less
  9. দূর্গা পূজা বা দুর্গোৎসব ভূমিকাঃ দুর্গোৎসব বা দুর্গাপূজা জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতায় বাংলার অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। দুর্গোৎসব নিয়ে আসে বাংলার জীবনে এক নতুন মাত্রা, বাংলার মানুষ মেতে উঠে খুশিতে আনন্দে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের খুব কম উৎসবের সঙ্গেই তার তুলনা চলে। যদিও এটি মূলত: ধর্মীয় অনুষ্ঠান তবুও সকল শ্রেRead more

    দূর্গা পূজা বা দুর্গোৎসব

    ভূমিকাঃ দুর্গোৎসব বা দুর্গাপূজা জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতায় বাংলার অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। দুর্গোৎসব নিয়ে আসে বাংলার জীবনে এক নতুন মাত্রা, বাংলার মানুষ মেতে উঠে খুশিতে আনন্দে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের খুব কম উৎসবের সঙ্গেই তার তুলনা চলে। যদিও এটি মূলত: ধর্মীয় অনুষ্ঠান তবুও সকল শ্রেণীর জনসাধারণের আন্তরিক মিলনের ফলে এক উদারতর সামাজিক ব্যপ্তি লাভ করেছে। সর্বমানবের মিলনই যদি জাতীয় উৎসবের বৈশিষ্ট্য হয়, তবে দুর্গোৎসবকে নিঃসন্দেহে বাংলা ও বাঙালী জাতির জাতীয় উৎসবরূপে স্বীকার করতে হবে।

    সময় ও প্রস্তুতি : বৎসরের সুন্দরতম ঋতুতে বাংলার নিসর্গ-প্রকৃতি যখন সুস্নিগ্ধ লাবণ্যে অপরূপ হয়ে ওঠে, তখনই দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। শারদ এই শুভলগ্নে প্রকৃতিই প্রকৃতি হয়ে উঠে নির্মেঘ আকাশ হয়ে উঠে সুনীল এরইমধ্যে প্রকৃতি তাঁর স্বর্ণোজ্জ্বল রৌদ্রের প্রদীপালােকে জগন্মাতার বন্দনার আয়ােজন করে। শরৎ ঋতুর আগমনে মৃৎ-শিল্পীর দিবারাত্রির পরিশ্রমে দেবী দুর্গা মৃন্ময়ীরূপে দৃষ্টিগােচর হয়ে ওঠেন, বিপণিতে নয়নলােভন পণ্য আনন্দোচ্ছল ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। প্রবাসী কর্মীর দিন কাটে প্রিয়জনের সঙ্গে মিলনের প্রতীক্ষায়। অবশেষে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠীতিথির পুণ্যলগ্নে কল্যাণী জননী-রূপে দেবী দুর্গা তাঁর মর্তের সন্তানদের সম্মুখে আবির্ভূত হন। গ্রাম-বাঙলার শারদ আকাশে বাজতে থাকে আগমনীর সুর।

    দুর্গাপূজার ইতিহাস : ইতিহাস পুরাণে বিধৃত। গিরিরাজ হিমালয় ও তদীয় পত্রী মেনকার কন্যা এই দুর্গা, দেবাদিদেব মহাদেব তাঁর স্বামী। সত্যযুগে সুরথ নামক জনৈক নরপতি শহস্তে পরাজিত হয়ে হতাশচিত্তে মেধস্ মুনির আশ্রমে যান। এই মুনির উপদেশেই তিনি সর্বপ্রথম দুর্গাপূজা করেন এবং দেবীর কৃপায় শত্রুকবলিত রাজ্য পুনরুদ্ধার করেন। রাজা সুরথ বসন্তঋতুতে দুর্গাপূজা করেছিলেন বলে এই পূজা বাসন্তী পূজা’ নামে অভিহিত হয় । বাঙালী দেবী দুর্গার আরাধনায় রামচন্দ্রের শারদীয় অনুষ্ঠানকে গ্রহণ করেছে। তাহেরপুরের রাজা কংসনারায়ণ প্রায় সাড়ে তিনশত বৎসর পূর্বে সর্বপ্রথম বাঙলাদেশে জগজ্জননীর পূজায় ব্রতী হন, এরূপ মত প্রচলিত আছে।

    দুর্গা দশভুজা : তার দশটি হাতে শাণিত প্রহরণ। সিংহপৃষ্ঠে আরােহণ করে তিনি ভীষণদর্শন মহিষাসুর নিধনে উদ্যত। শক্তিরূপিণী জননী দুর্গার দক্ষিণে শােভা পান ঐশ্বর্যের দেবী কমলাসনা লক্ষ্মী, বামভাগে অবস্থান করেন বাণী বিদ্যাদায়িনী সর্বশুক্লা সরস্বতী। দুই পুত্র দেবসেনাপতি কার্তিকেয় এবং সিদ্ধিদাতা গণেশও একই সঙ্গে পূজিত হন । গণেশের পার্শ্বে প্রকৃতি-জননীর সৃষ্টির প্রতীক নবপত্রিকা অবস্থান করেন । অসুররূপী অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে বিশ্ববাসীকে শাস্তি ও কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্যই আদ্যাশক্তি মহামায়া দশপ্রহরণ ধারিণী দুর্গারূপে আত্মপ্রকাশ।

    মূল উৎসব : আলােকোজ্জ্বল আশ্বিনের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে বােধন করে দুর্গাপুজার অনুষ্ঠান শুরু হয়। পুণ্য ষষ্ঠী তিথিতেই দেবীর আবাহন ও অধিবাসের কার্যটি সম্পন্ন করা হয়। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী–পরবর্তী এই তিনটি দিন ধরে মহাসমারােহে অগণিত ভক্তের সম্মিলনে পূজা চলতে থাকে। অষ্টম ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে যে পূজা অনুষ্ঠিত হয়, তার নাম ‘সন্ধিপূজা’ । চতুর্থ দিন দশমী তিথিতে পূজা সমাপন করে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয় । বিসর্জনের পরবর্তী কৃত্যই হল প্রতিমা। নিরঞ্জন—অর্থাৎ বাদ্যভাণ্ড ও শোভাযাত্রা সহকারে দেবী প্রতিমাকে নদী-গর্ভে অথবা অন্য কোন জলাশয়ে নিমজ্জিত করা হয়। ভক্ত-পূজকদের দেহে নামে ক্লান্তির ভার, মন আচ্ছন্ন হয়ে থাকে প্রিয়জন বিচ্ছেদের বিষাদে। প্রতিমা নিরঞ্জনের পরে প্রতিটি বাঙালী আত্মীয় প্রিয়জনের সঙ্গে স্নেহালিঙ্গনে আবদ্ধ হয়ে পরস্পরকে ভক্তি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছাজ্ঞাপন করে, এই অনুষ্ঠানটির নাম ‘বিজয়া।

    বাংলার জীবনে দুর্গ উৎসবের মাহাত্ম্য : শুধু যে ধর্মীয় গুরুত্বেই জগন্মাতা দুর্গার আরাধনা বাঙালী হিন্দুর জীবনে প্রধানতম স্থান গ্রহণ করেছে তাই নয়, মানবিক সম্পর্কের সহজ আন্তরিকতার স্পশে এ উৎসবটি অনন্য। হিমালয়-দুহিতা উমা পুত্র-কন্যা সঙ্গে নিয়ে মাত্র তিনটি দিনের জন্য পিতৃগৃহে ফিরে আসেন, চতুর্থ দিনেই আবার মাতা মেনকাকে অশ্রু সাগরে ভাসিয়ে স্বামী মহেশ্বরের আলয়ে প্রত্যাবর্তন করেন । মর্ত্য-পৃথিবীতে দেবী দুর্গার আবির্ভাবের এই লৌকিক কাহিনীটি বাঙালীর পারিবারিক জীবনে একটি বিষন্ন-মধুর অভিজ্ঞতার সমান্তরালে চলে আসছে। বিবাহিতা কন্যার পিত্রালয়ে আগমন এবং বিদায়ে বাঙালী জননী বা মেনকার আনন্দোৎকণ্ঠা ও অশ্রুঘন বেদনার মর্মস্পর্শিতা অনুভব করেন। কাজেই, বাঙালী জননীর নিকট তখন দেবী দুর্গা আর স্বীয় কন্যা একই স্নেহবাৎসল্যের স্পর্শে দ্রবীভূত হয়ে একাত্মতা লাভ করেন। মাতৃসাধন বাঙালী সঙ্গীতের সুরে বিবাহিত কন্যার সঙ্গে মিলনপ্রত্যাশী বাঙালী মাতার অন্তরবেদনাকেই মুক্তি দিয়েছে : “যাও যাও গিরি, আনিতে গৌরী, উমা আমার কত কেঁদেছে।

    উপসংহার: শারদোৎসব প্রকৃতপক্ষে বাংলার পারিবারিক জীবনে মিলনােৎসবের মাধুর্য নিয়েই আবির্ভূত হয়। সুদীর্ঘে প্রবাসজীবনযাপন করে প্রিয়জন ফিরে আসে জননীর স্নেহাঞ্চলতলে, আনন্দ-হাসিতে মুখর হয় বাঙালীর গৃহ-প্রাঙ্গণ। ধরাতলে রচিত হয় গিরীশ মেনকার সুখতৃপ্ত সংসারের দ্বিতীয় রূপ। তাই বাঙালীই নিঃসঙ্কোচ সারল্যে বলতে পেরেছে-‘দেবতারে মােরা আত্মীয় জানি।

    See less
  10. This answer was edited.

    পাগলী, তোমার সঙ্গে —জয় গোস্বামী পাগলী, তোমার সঙ্গে ভয়াবহ জীবন কাটাব পাগলী, তোমার সঙ্গে ধুলোবালি কাটাব জীবন এর চোখে ধাঁধা করব, ওর জল করে দেব কাদা পাগলী, তোমার সঙ্গে ঢেউ খেলতে যাব দু'কদম। অশান্তি চরমে তুলব, কাকচিল বসবে না বাড়িতে তুমি ছুঁড়বে থালা বাটি, আমি ভাঙব কাঁচের বাসন পাগলী, তোমার সঙ্গে বঙ্গভঙRead more

    পাগলী, তোমার সঙ্গে —জয় গোস্বামী

    পাগলী, তোমার সঙ্গে ভয়াবহ জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার সঙ্গে ধুলোবালি কাটাব জীবন
    এর চোখে ধাঁধা করব, ওর জল করে দেব কাদা
    পাগলী, তোমার সঙ্গে ঢেউ খেলতে যাব দু’কদম।
    অশান্তি চরমে তুলব, কাকচিল
    বসবে না বাড়িতে
    তুমি ছুঁড়বে থালা বাটি, আমি ভাঙব কাঁচের বাসন
    পাগলী, তোমার সঙ্গে বঙ্গভঙ্গ জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার সঙ্গে ৪২ কাটাব জীবন।

    মেঘে মেঘে বেলা বাড়বে,
    ধনে পুত্রে লক্ষ্মী লোকসান লোকাসান
    পুষিয়ে তুমি রাঁধবে মায়া প্রপন্ঞ্চ
    ব্যন্জ্ঞন
    পাগলী, তোমার সঙ্গে দশকর্ম জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার
    সঙ্গে দিবানিদ্রা কাটাব জীবন।

    পাগলী, তোমার সঙ্গে ঝোলভাত জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার সঙ্গে মাংসরুটি কাটাব জীবন
    পাগলী, তোমার সঙ্গে নিরক্ষর জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার সঙ্গে চার অক্ষর কাটাব জীবন।

    পাগলী, তোমার সঙ্গে বই দেখব
    প্যারামাউন্ট হলে
    মাঝে মাঝে মুখ
    বদলে একাডেমি রবীন্দ্রসদন
    পাগলী, তোমার সঙ্গে নাইট্যশালা জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার সঙ্গে কলাকেন্দ্র
    কাটাব জীবন।

    পাগলী, তোমার সঙ্গে বাবুঘাট জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার সঙ্গে দেশপ্রিয় কাটাব জীবন
    পাগলী, তোমার সঙ্গে সদা সত্য জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার সঙ্গে ‘কী মিথ্যুক’
    কাটাব জীবন।

    এক হাতে উপায় করব,
    দুহাতে উড়িয়ে দেবে তুমি
    রেস খেলব জুয়া ধরব ধারে কাটাব সহস্র রকম
    লটারি,
    তোমার সঙ্গে ধনলক্ষ্মী জীবন
    কাটাব
    লটারি, তোমার সঙ্গে মেঘধন কাটাব জীবন।

    দেখতে দেখতে পূজা আসবে,
    দুনিয়া চিত্কার করবে সেল
    দোকানে দোকানে খুঁজব
    রূপসাগরে অরূপরতন
    পাগলী, তোমার সঙ্গে পূজাসংখ্যা জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার সঙ্গে রিডাকশনে কাটাব জীবন।

    পাগলী, তোমার সঙ্গে কাঁচা প্রুফ জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার সঙ্গে ফুলপেজ কাটাব জীবন
    পাগলী, তোমার সঙ্গে লে আউট জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার সঙ্গে লে হালুয়া কাটাব জীবন।

    কবিত্ব ফুড়ুত্ করবে, পিছু পিছু ছুটব না হা করে
    বাড়ি ফিরে লিখে ফেলব বড়ো গল্প
    উপন্যাসোপম
    পাগলী, তোমার সঙ্গে কথাশিল্প জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার সঙ্গে বকবকম কাটাব জীবন।

    নতুন মেয়ের সঙ্গে দেখা করব
    লুকিয়ে চুরিয়ে
    ধরা পড়ব তোমার হাতে,
    বাড়ি ফিরে হেনস্তা চরম
    পাগলী, তোমার
    সঙ্গে ভ্যাবাচ্যাকা জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার সঙ্গে হেস্তনেস্ত
    কাটাব জীবন।

    পাগলী, তোমার সঙ্গে পাপবিদ্ধ জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার সঙ্গে ধর্মমতে কাটাব জীবন
    পাগলী, তোমার সঙ্গে পূজা বেদি জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার সঙ্গে মধুমালা কাটাব জীবন।

    দোঁহে মিলে টিভি দেখব, হাত
    দেখাতে যাব জ্যোতিষীকে
    একুশটা উপোস থাকবে, ছাব্বিশটা ব্রত উদযাপন
    পাগলী, তোমার সঙ্গে ভাড়া বাড়ি জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার সঙ্গে নিজ ফ্ল্যাট
    কাটাব জীবন।

    পাগলী, তোমার
    সঙ্গে শ্যাওড়াফুলি জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার সঙ্গে শ্যামনগর কাটাব জীবন
    পাগলী, তোমার সঙ্গে রেল রোকো জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার সঙ্গে লেট স্লিপ কাটাব জীবন।

    পাগলী, তোমার সঙ্গে আশাপূর্ণা জীবন কাটাব
    আমি কিনব ফুল, তুমি ঘর
    সাজাবে যাবজ্জীবন
    পাগলী, তোমার সঙ্গে জয় জওয়ান জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার সঙ্গে জয় কিষান কাটাব জীবন।

    সন্ধ্যেবেলা ঝগড়া হবে, হবে দুই
    বিছানা আলাদা
    হপ্তা হপ্তা কথা বন্ধ
    মধ্যরাতে আচমকা মিলন
    পাগলী, তোমার
    সঙ্গে ব্রক্ষ্মচারী জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার সঙ্গে আদম ইভ কাটাব জীবন।

    পাগলী, তোমার সঙ্গে রামরাজ্য জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার
    সঙ্গে প্রজাতন্ত্রী কাটাব জীবন
    পাগলী, তোমার সঙ্গে ছাল চামড়া জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার সঙ্গে দাঁতে দাঁত কাটাব জীবন।

    এর গায়ে কনুই মারব রাস্তা করব
    ওকে ধাক্কা দিয়ে
    এটা ভাঙলে ওটা গড়ব, ঢেউ খেলব দু দশ কদম
    পাগলী, তোমার সঙ্গে ধুলোঝড় জীবন কাটাব
    পাগলী, তোমার সঙ্গে ‘ভোর ভয়োঁ’ কাটাব জীবন।

    In Bengali phonetic

    Pagli, Tomar shonge voyabhoho jibon Katabo
    Pagli, Tomar shonge dhulibalu katabo jibon
    Er choke dhada korbo, Or jol kore debo kada
    Pagli, Tomar shonge cholte jabo du kodom
    Oshanti chorobe tulbo, Kakchil boshbe na barite
    tumi churbe thala bati, ami bhangbo kacher bashon
    Pagli, Tomar shonge bongovongo jibon katabo
    Pagli, Tomar shonge 42 katabo jibon.

    Meghe Meghe bela badbe,
    dhone putre lokkhi lokshan lokshan
    Pushiye tumi radhbe maya proponcho benjon
    Pagli, Tomar shonge doshkormo jibon katabo
    Pagli, Tomar shonge dibaratri katabo jibon

    Pagli, Tomar shonge jhulbhat jibon katabo
    Pagli, Tomar shonge mangsho ruti katabo jibon
    Pagli, Tomar shonge nirokkhor jibon katabo
    Pagli, Tomar shonge char okkhor katabo jibon

    Pagli, Tomar shongeboi dekhbo paramount halle
    majhe majhe mukh badle academy Rabindra shadan
    Pagli, Tomar shonge nattyoshala jibon katabo
    Pagli, Tomar shonge kolakendra katabo jibon

    Pagli, Tomar shonge babughat jibon katabo
    Pagli, Tomar shonge deshprio katabo jibon
    Pagli, Tomar shonge shoda shoyttyo  jibon katabo
    Pagli, Tomar shonge ki mitthuk katabo jibon

    Ek hate upay korbo, du hate udiye debe tumi
    Race khelbo, juwa dhorbo dhare katabo shohosro rokom lotteri
    Tumar shonge dhon lokkhi jibon katabo
    Lotteri, Tumar shonge meghdhon katabo jibon

    See less