1. হারানো পদক | harano padak মাঝরাতে লাইব্রেরীতে তারই অপেক্ষায় বসে ভাবছি কতক্ষণে সে আসবে আমার নিদ্রাহীনতার দেশে সঙ্গিনী অশরীরী কখনও এ্যাতোটা করেনা দেরী সে চুরি করে হৃদয়,হৃদয়েই বন্দিনী সে এক অভিশপ্ত জাদুকরী কখনও জীবিত তাকে ভালোবাসিনি আমি অদৃশ্য দেহের পড়েছি প্রেমে রাতে তার উপস্থিতির অনুভূতি চুরির রিনিঝিনRead more

    হারানো পদক | harano padak

    মাঝরাতে লাইব্রেরীতে
    তারই অপেক্ষায় বসে
    ভাবছি কতক্ষণে সে আসবে
    আমার নিদ্রাহীনতার দেশে
    সঙ্গিনী অশরীরী
    কখনও এ্যাতোটা করেনা দেরী
    সে চুরি করে হৃদয়,হৃদয়েই বন্দিনী
    সে এক অভিশপ্ত জাদুকরী
    কখনও জীবিত তাকে ভালোবাসিনি
    আমি অদৃশ্য দেহের পড়েছি প্রেমে
    রাতে তার উপস্থিতির অনুভূতি চুরির রিনিঝিনি
    দিনে তৈলচিত্র বাঁধানো ফ্রেমে
    মণিহারা সুন্দরী, দোহাই দোহাই
    হয়ে সাতনহলা হার ছাই ছুঁতে হৃদয়ের খোঁয়ায়
    এ বস্তুবাদের আবাদে তোমার পূনর্জন্ম হোক
    পরে মৃত্যুপুড়িতে তোমার হারানো পদক
    একা এই প্রাসাদে আমি
    যে প্রাসাদ আমার থেকেও দামী
    কাউন্ট ড্রাকুলার মতো আসামী
    জেলখানা খানা খানা শূণ্যস্থান
    তার পাগলামী ধ্বনিতে
    প্লাবন ওঠে আমার শনিতে
    সে বোধহয় জন্ম নেয় আমার ভূত-যোনীতে

    সে আমার ক্ষুধিত পাষাণ
    আত্মাকে পিছু ফিরতে মানা করিনি
    কোন তীর্থে দেয়া হয়নি পিন্ডদান
    কবরে চিতাতে তার দেহ আমি নষ্ট করিনি
    তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সাজিয়েছি মাকান
    দেহ হারা সুন্দরী, দোহাই দোহাই
    করুক অবাধ্য বুলেট বিদ্ধ এ হৃদয়ের খোয়ায়
    এ বস্তুবাদের আবাদে তোমার পূনর্জন্ম হোক
    পরে মৃত্যুপুড়িতে তোমার হারানো পদক
    মণিহারা সুন্দরী, দোহাই দোহাই
    হয়ে সাতনহলা হার ছাই ছুঁতে হৃদয়ের খোঁয়ায়
    এ বস্তুবাদের আবাদে তোমার পূনর্জন্ম হোক
    পরে মৃত্যুপুড়িতে তোমার হারানো পদক

    See less
  2. Amader chuti chuti by Sandhya Mukhopadhyay সন্ধ্যা মুখার্জী ওরে আয় ..... ওরে আয় ....আয় ...আয় আয় আয়, আমাদের ছুটি ছুটি চল নেবো লুটি ওই আনন্দ ঝরনা, সোনা ঝরা খুশি ভরা মিষ্টি আলোর ওড়না । আমাদের ছুটি ছুটি চল নেবো লুটি ওই আনন্দ ঝরনা, সারেগা রেগা রেগামা পা মাপা মাপাধানি ধানি ধানিসা গারেসা সারেগা..... গাপাRead more

    Amader chuti chuti by Sandhya Mukhopadhyay

    সন্ধ্যা মুখার্জী

    ওরে আয় ….. ওরে আয় ….আয় …আয় আয় আয়,
    আমাদের ছুটি ছুটি চল নেবো লুটি ওই আনন্দ ঝরনা,
    সোনা ঝরা খুশি ভরা মিষ্টি আলোর ওড়না ।

    আমাদের ছুটি ছুটি চল নেবো লুটি ওই আনন্দ
    ঝরনা,

    সারেগা রেগা রেগামা পা মাপা মাপাধানি ধানি ধানিসা গারেসা
    সারেগা….. গাপামাগা, রেগামা …. নিধাপামা , গামাপা ….সানিধাপা ,মাপাধা পাধানি ধানি, সা পা সা ।।
    আমাদের ছুটি ছুটি চল নেবো লুটি ওই আনন্দ ঝরনা।
    ওই সাতরঙ্গা রামধনু থেকে প্রজাপতি রং মেখে মেখে । ও ও ও ও সাতরঙ্গা রামধনু থেকে প্রজাপতি রং মেখে মেখে
    ফুলে ফুলে স্বরলিপি লেখে
    গাপামা রেমাগা ধানিসা
    সারেগা রেগা রেগামাপা মাপা মাপাধানি ধানি ধানিসা গারেসা
    সারেগামাপা ( গাপা ) রেগামাপাধা( রেমা ) গামাপাধানি ( গাপা ) মাপাধানিসা ( সা……)।।
    আ আ আ আ আ আ

    আমাদের ছুটি ছুটি চল নেবো লুটি ওই আনন্দ ঝরনা।
    আ আ আ আ …….আ আ আ আ আ আ
    ওই দূরে রাখালি সুরে যে বাঁশি পাহাড়ে তুলেছে ঢেউ রে
    পাহাড়ে তুলেছে ঢেউ , উ উ উ উ

    নীল সবুজের কোলে ,দোলে দোদুল দোলে শিখে তা নে নারে কেউ
    পাহাড়ে তুলেছে ঢেউ ,বাঁশি রে পাহাড়ে তুলেছে ঢেউ …..
    ওই নীল পাখি মিল খুজে ফেরে গানে গানে তোর প্রানে যেরে ।ও ও ও ও নীল পাখি মিল খুঁজে ফেরে, গানে গানে তোর প্রানে যে রে
    দু চোখে আকাশ ভরে নে রে
    গাপামা রেমাগা ধানিসা
    সারেগা রেগা রেগামাপা মাপা মাপাধানি ধানি ধানিসা গারেসা
    সাগারে মাপানি , রেমাগা গাপাসা, গাপামা নিসারে ( নি …সা……)
    মাধাপা পানিধা ধানি সা ।।

    See less
  3. দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি ও সে সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি সে যে আমার জন্মভূমি, সে যে আমার জন্মভূমি।। চন্দ্র সূর্য গ্রহতারা, কোথায় উজল এমন ধারRead more

    দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

    ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা
    তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা
    ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা
    এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
    ও সে সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি
    সে যে আমার জন্মভূমি, সে যে আমার জন্মভূমি।। চন্দ্র সূর্য গ্রহতারা, কোথায় উজল এমন ধারা
    কোথায় এমন খেলে তড়িৎ এমন কালো মেঘে
    তার পাখির ডাকে ঘুমিয়ে উঠি পাখির ডাকে জেগে।।
    এত স্নিগ্ধ নদী কাহার, কোথায় এমন ধুম্র পাহাড়
    কোথায় এমন হরিত ক্ষেত্র আকাশ তলে মেশে
    এমন ধানের উপর ঢেউ খেলে যায় বাতাস কাহার দেশে ।।
    পুষ্পে পুষ্পে ভরা শাখি কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখি
    গুঞ্জরিয়া আসে অলি পুঞ্জে পুঞ্জে ধেয়ে
    তারা ফুলের ওপর ঘুমিয়ে পড়ে ফুলের মধু খেয়ে।।
    ভায়ের মায়ের এত স্নেহ কোথায় গেলে পাবে কেহ
    ওমা তোমার চরণ দুটি বক্ষে আমার ধরি
    আমার এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতে মরি।।

    See less
  4. মোহিনী চৌধুরী মুক্তির মন্দির সোপানতলে কত প্রাণ হলো বলিদান, লেখা আছে অশ্রুজলে।। কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা, বন্দীশালার ওই শিকল ভাঙ্গা তাঁরা কি ফিরিবে আজ সুপ্রভাতে যত তরুণ অরুণ গেছে অস্তাচলে।। যাঁরা স্বর্গগত তাঁরা এখনও জানেন স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভূমি এসো স্বদেশ ব্রতের মহা দীক্ষা লভি সেই মৃত্যুঞRead more

    মোহিনী চৌধুরী

    মুক্তির মন্দির সোপানতলে
    কত প্রাণ হলো বলিদান,
    লেখা আছে অশ্রুজলে।।
    কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা,
    বন্দীশালার ওই শিকল ভাঙ্গা
    তাঁরা কি ফিরিবে আজ সুপ্রভাতে
    যত তরুণ অরুণ গেছে অস্তাচলে।।
    যাঁরা স্বর্গগত তাঁরা এখনও জানেন
    স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভূমি
    এসো স্বদেশ ব্রতের মহা দীক্ষা লভি
    সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণ চুমি।
    যাঁরা জীর্ণ জাতির বুকে জাগালো আশা,
    মৌল মলিন মুখে জোগালো ভাষা
    আজি রক্ত কমলে গাঁথা মাল্যখানি
    বিজয় লক্ষ্মী দেবে তাঁদেরই গলে।।

    See less
  5. This answer was edited.

    ভারত তীর্থ হে মোর চিত্ত,পূণ্য তীর্থে জাগো রে ধীরে-- এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে। হেথায় দাঁড়ায়ে দু-বাহু বাড়ায়ে নমি নর-দেবতারে, উদার ছন্দে পরমানন্দে বন্দন করি তাঁরে। ধ্যান-গম্ভীর এই যে ভূধর, নদীজপমালাধৃত প্রান্তর, হেথায় নিত্য হেরো পবিত্র ধরিত্রীরে এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে। কেহ নাহি জানে কার আহ্বাRead more

    ভারত তীর্থ

    হে মোর চিত্ত,পূণ্য তীর্থে
    জাগো রে ধীরে–
    এই ভারতের মহামানবের
    সাগরতীরে।
    হেথায় দাঁড়ায়ে দু-বাহু বাড়ায়ে
    নমি নর-দেবতারে,
    উদার ছন্দে পরমানন্দে
    বন্দন করি তাঁরে।
    ধ্যান-গম্ভীর এই যে ভূধর,
    নদীজপমালাধৃত প্রান্তর,
    হেথায় নিত্য হেরো পবিত্র
    ধরিত্রীরে
    এই ভারতের মহামানবের
    সাগরতীরে।
    কেহ নাহি জানে কার আহ্বানে
    কত মানুষের ধারা
    দুর্বার স্রোতে এল কোথা হতে
    সমুদ্রে হল হারা।
    হেথায় আর্য, হেথা অনার্য
    হেথায় দ্রাবিড়, চীন–
    শক-হুন-দল পাঠান মোগল
    এক দেহে হল লীন।
    পশ্চিম আজি খুলিয়াছে দ্বার,
    সেথা হতে সবে আনে উপহার,
    দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে
    যাবে না ফিরে,
    এই ভারতের মহামানবের
    সাগরতীরে।
    রণধারা বাহি জয়গান গাহি
    উন্মাদ কলরবে
    ভেদি মরুপথ গিরিপর্বত
    যারা এসেছিল সবে,
    তারা মোর মাঝে সবাই বিরাজে
    কেহ নহে নহে দূর,
    আমার শোণিতে রয়েছে ধ্বনিতে
    তারি বিচিত্র সুর।
    হে রুদ্রবীণা, বাজো, বাজো, বাজো,
    ঘৃণা করি দূরে আছে যারা আজো,
    বন্ধ নাশিবে, তারাও আসিবে
    দাঁড়াবে ঘিরে
    এই ভারতের মহামানবের
    সাগরতীরে।
    হেথা একদিন বিরামবিহীন
    মহা ওংকারধ্বনি,
    হৃদয়তন্ত্রে একের মন্ত্রে
    উঠেছিল রনরনি।
    তপস্যাবলে একের অনলে
    বহুরে আহুতি দিয়া
    বিভেদ ভুলিল, জাগায়ে তুলিল
    একটি বিরাট হিয়া।
    সেই সাধনার সে আরাধনার
    যজ্ঞশালায় খোলা আজি দ্বার,
    হেথায় সবারে হবে মিলিবারে
    আনতশিরে–
    এই ভারতের মহামানবের
    সাগরতীরে।
    সেই হোমানলে হেরো আজি জ্বলে
    দুখের রক্ত শিখা,
    হবে তা সহিতে মর্মে দহিতে
    আছে সে ভাগ্যে লিখা।
    এ দুখ বহন করো মোর মন,
    শোনো রে একের ডাক।
    যত লাজ ভয় করো করো জয়
    অপমান দূরে থাক।
    দুঃসহ ব্যথা হয়ে অবসান
    জন্ম লভিবে কী বিশাল প্রাণ।
    পোহায় রজনী, জাগিছে জননী
    বিপুল নীড়ে,
    এই ভারতের মহামানবের
    সাগরতীরে।
    এসো হে আর্য, এসো অনার্য,
    হিন্দু মুসলমান।
    এসো এসো আজ তুমি ইংরাজ,
    এসো এসো খৃস্টান।
    এসো ব্রাহ্মণ শুচি করি মন
    ধরো হাত সবাকার,
    এসো হে পতিত করো অপনীত
    সব অপমানভার।
    মার অভিষেকে এসো এসো ত্বরা
    মঙ্গলঘট হয় নি যে ভরা,
    সবারে-পরশে-পবিত্র-করা
    তীর্থনীরে।
    আজি ভারতের মহামানবের
    সাগরতীরে।

     

    See less
  6. বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দকে পদ বলে। পদ মোট ৫ প্রকার– ১. বিশেষ্য ২. বিশেষণ ৩. সর্বনাম ৪. ক্রিয়া ৫. অব্যয়

    বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দকে পদ বলে।

    পদ মোট ৫ প্রকার

    ১. বিশেষ্য

    ২. বিশেষণ

    ৩. সর্বনাম

    ৪. ক্রিয়া

    ৫. অব্যয়

    See less
  7. তােমার জীবনের লক্ষ্য (My aim in life) ভূমিকা : ফুল ফুটে, পাখি গান গাহে, নদী বহে যায়, গাছে ফল ধরে, পাকে। প্রকৃতির মধ্যে এ সব বস্তু সকলেরই এক একটি উদ্দেশ্য আছে। ফুল ফুটে আমাদেরকে গন্ধ দানের জন্য, পাখি গান গাহে মানুষের মনে আনন্দ দানের জন্য, নদী বহে চলে জল দানের জন্য, ফল ধরে পাকে মানুষের তৃপ্তি আর পুষ্Read more

    তােমার জীবনের লক্ষ্য (My aim in life)

    ভূমিকা : ফুল ফুটে, পাখি গান গাহে, নদী বহে যায়, গাছে ফল ধরে,
    পাকে। প্রকৃতির মধ্যে এ সব বস্তু সকলেরই এক একটি উদ্দেশ্য আছে। ফুল ফুটে
    আমাদেরকে গন্ধ দানের জন্য, পাখি গান গাহে মানুষের মনে আনন্দ দানের জন্য, নদী
    বহে চলে জল দানের জন্য, ফল ধরে পাকে মানুষের তৃপ্তি আর পুষ্টি দানের জন্য।
    জগতে সকল কিছুরই জীবনের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য আছে। মানব জীবনের সেরকম
    একটি লক্ষ্য আছে। আমি আমার ভবিষ্যত জীবনের জন্য একটি লক্ষ্য স্থির করে
    রেখেছি। কবির ভাষায় –

    ‘আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই
    কেহ অবনি পরে।
    সকলেই আমরা পরের তরে।
    তাই আমাকেও অন্যের জন্য কিছু করতে হবে।

    লক্ষ্য কী হওয়া উচিত : সাধক রামপ্রসাদের একটি গানের কয়েকটি

    কলি মনরে কৃষি কাজ জানিস না।
    এমন মানব জমিন রইল পতিত
    আবাদ করলে ফলতাে সােনা।

    মানব জীবনের দুর্বলতা ও অসামান্য তাৎপর্য কথা এই কলি কটিতে ধ্বনিত
    হয়েছে। পৃথিবীর সকল মহামানব, ঋষি ও মনীষীরা একই কথা বলে গিয়েছেন।
    জীবনকে সফল করে তুলতে হবে, নতুবা শুধু শুধু আহার-নিদ্রায় জীবনে অতিবাহিত
    করলে পশুর জীবন এবং মানুষের জীবনের মধ্যে তফাৎ রইল কোথায়? মানুষ ঈশ্বরের
    শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। তাই আমরা প্রতিটি মানুষ পৃথিবীতে এসেছি ঈশ্বরের বাণী বহন করে কিছু
    করতে। মনুষ্য জীবন একটি বিশাল কর্মক্ষেত্র। কর্মের ভিতর দিয়ে জীবনকে রূপারিত
    করতে হবে – তবেই জীবনের সার্থকতা।

    লক্ষ্য স্থির করবার প্রয়ােজনীয়তা : সুতরাং শৈশব থেকেই প্রত্যেরে
    জীবনে একটি স্থির ও নিশ্চিন্ত লক্ষ্য থাকা উচিত। নতুবা, অসীম সাগরের মধ্যে নাবিক
    বক্ষে নৌকার যা অবস্থা, সংসার সমুদ্রে লক্ষাহীন ভাসমান মানুষের অবস্থাও হয় ঠিক
    সেই রকম। শৈশব থেকে একটা লক্ষ্য সম্পর্কে স্থির নিশ্চিন্ত হয়ে একটি মহৎ জীবনাদর্শ
    অনুসরণ করে ঠিক মতাে অগ্রসর হতে না পারলে যথার্থ লক্ষ্যে পৌছানাে সম্ভব হয় না।
    বর্তমানযুগে সমাজে সম্মানের সঙ্গে বসবাস করতে হলে অন্ততঃ শিক্ষিত হতেই হবে।
    তাই আমাকে আগে পড়াশুনায় মনােযােগী হতে হবে।

    মানুষের উচ্চ আকাঙ্ক্ষা : সমাজে প্রত্যেক বৃত্তি-সম্পন্ন মানুষেরই
    প্রয়ােজনীয়তা আছে। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল-ব্যারিস্টার, শিক্ষক অধ্যাপক, সাংবাদিক,
    কৃষক, ব্যবসায়ী সকল শ্রেণির বৃত্তিজীবি মানুষের মিলনে সমাজের সচলতা। তাই দেখা
    গেছে, আমাদের মধ্যে সকলেরই প্রবল আকাঙক্ষা উচ্চ পদের সরকারি অফিসার,
    ডাক্তার, ইৱিনিয়ার, অধ্যাপক ও ব্যাপ্ত কর্মচারী হওয়ার। কেউই মনে সাধারণ প্রাইমারী
    শিক্ষক, ব্যবসায়ী কিংবা কৃষিজীবি হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন না। অথচ আমদের
    দেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হলে শুধু ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা উচ্চ পদস্থ অফিসার
    হলেই চলবে না, দেশ গড়ে তুলার কাজে চাই আদর্শবাদী শিক্ষক, সুদক্ষ কৃষিজীবি,
    নির্ভীক নিরপেক্ষ সাংবাদিক, সাধু সচ্চরিত্র ব্যবসায়ী প্রভৃতি বিভিন্ন বৃত্তিজীবি মানুষ।

    আমার লক্ষ্য : আমি স্থির করেছি একজন সাধু ও সঙ্চরিত্র ব্যবসায়ী হব।
    আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় চাইতেন ব্যবসা-বাণিজ্যে বাঙালি সুপ্রতিষ্ঠিত হােক। বাক্তিগতভাবে
    তিনি বাঙালি ব্যবসায়ীকে আর্থিক সাহায্য পর্যন্ত করেছিলেন। আমি আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র
    রায়ের মনােভাবের গভীর প্রশংসা করি। বিশ্বাস করি, শুধু ডাক্তার, উকিল, বারিস্টার
    হলেই বাঙ্গালী সমাজের উন্নতি ঘটবে না। বাঙ্গালী ব্যবসা বাণিজ্যের দিক দিয়েও সাফল্য
    অর্জন করতে হবে। তাই আমি স্থির করেছি একজন সার্থক বাবসায়ী হব। এখানে প্রশ্ন
    উঠতে পারে ব্যবসার মাধ্যমে কতটুকু সমাজের উপকার সাধন করা যাবে কিংবা ব্যবসা
    কি এমন আদর্শ বৃত্তি। তার উত্তরে আমি বলব আজকাল সরকারি চাকরি লাভ করা
    বড় কঠিন ব্যাপার। তাই ব্যবসার মাধ্যমে জীবিকা অর্জনের উপায় আছে স্বাধীনভাবে থেকে।

    ব্যবসায় সততা : আজ যখন সমস্ত দেশ অসাধু ব্যবসায়ী ছেয়ে গেছে,
    কালােবাজারী, মুনাফা বাজীতে দেশ ভরে গেছে, তখন একথা বলার সময় এসেছে যে,
    ব্যবসা ভিত্তিতে আদর্শ, সততা ও স্থান সাধুতার অতি উচ্চে। দেশের মুদ্রাস্ফীতি ও
    নিত্য প্রয়ােজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মূল কারণ হল অসাধু ব্যবসায়ীদের কালো টাকা
    সংগ্রহ। গভীর পরিতাপের বিষয়, আজ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ক্রমেই বহিরাগত
    অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেছে। এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে সততা
    সম্পন্ন দেশের যুবকদের শুধু সরকারি চাকরির দিকে চাতক পাখির মতো চেয়ে না
    থেকে ব্যবসা বাণিজ্যে নেমে পড়া উচিত। ব্যবসার জন্য কিছু মূলধন অবশ্যই চাই।
    তবে স্বল্প মূলধনেও ব্যবসা করা যায়। কেবল চাই শ্রম, চাই উদ্যোগ ও অধ্যবসায়।
    তাছাড়া আজকাল বিভিন্ন ব্যঙ্কি থেকে ঋণ হিসেবে অর্থ পাওয়া যাচ্ছে। এ ব্যাপারে
    সরকারি অনুকূল্য পাওয়াও কঠিন নয়।

    ব্যবসার উদ্দেশ্য ধনী হওয়া নয় । পৃথিবীর বড়-বড় ব্যবসায়ীর জীবন।
    ইতিহাস পাঠ করে দেখেছি তারা খুব সাধারণ অবস্থা থেকেই উন্নতি করেছেন। টাটা,
    রিলায়েন্স, কার্নেগী ব্যক্তিগণ তার উদাহরণ। অবশ্য টাটা-বিড়লার মতাে ধনী হওয়ার সাধ ও সাধ্য আমার নেই। ধন সম্পদের পাহাড় জমিয়ে কী হবে -যদি সেই ধন সম্পদ দেশের ও দশের কাজে না
    লাগে।
    উপসংহারঃ কথায় আছে ‘জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালাে।’
    কর্মের প্রতি নিষ্ঠা থাকলে জীবনে নিষ্ঠা লাভ করা যায়। এখানে প্রতিষ্ঠার অর্থ স্বচ্ছলতা
    আর স্বচ্ছলতা জীবনের পথে প্রয়োজন। এছাড়া, ব্যবসার সঙ্গে দেশের অতীত।
    ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি যুক্ত। বহির্বাণিজ্য ভারতের গৌরবময় অতীতের কথা ভুলা যায়।
    । ব্যবসা একটি শিল্প সংস্কৃতির অঙ্গ। কাজেই ব্যবসাকে অবহেলা করার যুক্তি নেই।
    সুতরাং আশা রাখি এ বৃত্তিতে যেন সকলের শুভেচ্ছা পাই।

    See less
  8. Haal cherona majhi by Sanjiv Bandhapadhay হাল ছেড়ো না মাঝি (সঞ্জীব চন্দ্র চট্টোপ্যাধায়) প্রেম আর বেল একই স্বভাবের, সময় হলে পড়বেই– প্রেম কি যাচিলে মিলে, আপনি উদয় হয় শুভযোগ পেলে; – এ সেই অর্ধকুম্ভ, পূর্ণচন্দ্রের মত, গ্রহে গ্রহে যোগ হবে তবেই হবে। আমিই সেই পিয়ন কোর্টের পেয়াদা, সমন আমি ধরাবই; চিঠRead more

    Haal cherona majhi by Sanjiv Bandhapadhay

    হাল ছেড়ো না মাঝি (সঞ্জীব চন্দ্র চট্টোপ্যাধায়)

    প্রেম আর বেল একই স্বভাবের, সময় হলে পড়বেই–
    প্রেম কি যাচিলে মিলে, আপনি উদয় হয় শুভযোগ পেলে;
    – এ সেই অর্ধকুম্ভ, পূর্ণচন্দ্রের মত,
    গ্রহে গ্রহে যোগ হবে তবেই হবে।

    আমিই সেই পিয়ন কোর্টের পেয়াদা, সমন আমি ধরাবই;
    চিঠি আমি গুজবই!
    যখন বাড়ি ফিরছে, তখন হবে না; ধোলাইয়ের ভয় আছে!
    যখন পাড়া ছেড়ে যাচ্ছে, তখন পেছন পেছন যেতে হবে–
    বে-পাড়ায় গিয়ে নির্জনে কুটুস।

    এবার সুযোগ এসে গেল- সে চলছে, আমি চলছি-
    মাঝে হাত কুড়ির ব্যবধান-বেশ যাচ্ছিল!
    হটাৎ ঘুরে গেল! আবার বাড়ী মুখো;

    আমার পাশ দিয়ে হনহন করে হেঁটে বাড়ী চলল-
    কিছু ভুলে-টুলে গেছে হয়তো!
    এরকম মেয়ে-ছেলে আমি লাইফে দেখিনি!
    -এসব মেয়ে-ছেলে সংসার করবে কি করে?
    যার কোন মতি-ই স্থির নেই’

    আমিও যদি হটাৎ ফিরি, তাহলে লোকে সন্দেহ করতে পারে
    তাই অকারণে বেশ কিছু-দূর সামনে হেঁটে গেলাম;

    প্রেমের ভীত আর বাড়ীর ভীত এই জাতের ব্যাপার-
    খেটে-খুঁটে তৈরী করতে হয়!
    রোদে পুড়ে, জলে ভিজে,

    বেকার একটা চক্কর মেরে
    আমি এলুম গোপীদা-র দোকানে, গোপীদার কচুরীর দোকান।

    গোপীদা বললে – কী হল? তুমি গেলে ও-দিকে,
    ও এলো এ-দিকে ধেড়িয়েছ নিশ্চয়ই! কেস-টা কি?

    –বললাম কেস আবার কি; নেঁজে খেলছে-
    মহা ধরিবাজ, আগেই বলেছিলুম;
    মেয়ে-ছেলে কি চিজ্-রে বাবা-

    শোন বসন্ত, তুমি একটা কাজ কর!
    ছোট-বেলা থেকে শুনে আসছি- বীর ভোগ্যা বসুন্ধরা;
    বসুন্ধরা মানে তো মেয়ে-
    তুমি- তুমি, তুমি বীর হও!

    বীর হও? বীর হব কি করে? যুদ্ধ করবো?

    আরে-শোন না; আমাদের পাঁড়ায় একটা বড় বদ-মেজাজী ষাঁড় আছে জানো- তো ?
    ওই ষাড়টার পিঠে তুমি চেপে বসে তুমি পাড়া-মহল্লা প্রদক্ষিণ কর।
    — প্রমাণ করো যে তুমি বীর।
    তোমার খুব নাম হবে, আর সেই নামের-টানে সে তোমার কাছে আসবে।
    আমি জানি এরকম রসিকতা আমায় অনেক সহ্য করতে হবে-

    গোপীদা বললে, শোন বসন্ত; আর একটা কাজ তুমি করতে পারো।
    তুমি এখন বেশ কিছুদিন শিবের মাথায় জল ঢালো-
    মেয়েরা যদি শিবের মাথায় জল ঢেলে বর পায় তাহলে তুমিও বউ পাবে।
    কিন্তু, বৌ পেলে খাওয়াবে কি? রোজগার-পাতি তো কিছু নেই,

    – নাহ্, লোকটার মাথায় কিস্সু নেই, সব গুলিয়ে ফেলেছে;
    প্রেম আর বিয়ে – সব গুলিয়ে ফেলেছে এক্কেবারে।
    সারাটা জীবন ট্যাটে বসে পয়সা আর পয়সা-
    আর ঢামার-মতো একটা ভূঁড়ি।

    না পড়েছে কবিতা, না পড়েছে উপন্যাস-
    আরে – প্রেম হচ্ছে- খুকখুক কাশি, রক্ত, সমাধি, আধুনিক গান-
    তোমার সমাধি ফুলে-ফুলে ঢাকা;
    প্রেম বলে নেই, তুমি নেই-

    প্রেমিক মরলে চিতায় পুড়ানো হয় না; সমাধি দেয়া হয়;
    আর তার পাশে থাকে শিউলি, বকুল—

    গোপীটার যদি রবীন্দ্রনাথের গানটাও একটু মন দিয়ে শুনতো-
    তাহলে অনেক কিছু বুঝতে পার-তো!
    আরে পড়তে হবে না, শুধু কান-টা গানের দিকে রাখা;
    এ গানটা প্রায়ই হয়- আমি জেনে-শুনে বিষ করেছি পান’
    গান-টা আমার একটু একটু আসে- জানালা খুললে যেমন উনুনের ধোঁয়া আসে অটোমেটিক আসে!

    বেশ ধরেছিলুম- জেনে-শুনে বিষ করেছি পান’- গলা পরিস্কার,
    সুর-টাও বেশ লেগেছিল – গোপে পাঠা বলল-
    এতো আত্মহত্যার কেস!

    বুঝে গেলুম- গোপী যে লেভেলের লোক তাতে
    ওর বাপের ক্ষমতা হবে না এ গানের মানে বোঝার!

    –আরে প্রেম যে একটা কত্ত বড় কাজ, কী দহণ, কী জ্বালা
    গোপীর একটাই জ্বালা, ধারের পয়সা আদায়ের জ্বালা
    পাওনাদারের কাছে তলব করার জ্বালা;
    একবোরে কোর্স ম্যাটেরিয়েল- কী আর করি!

    নিজেই আপন মনে গাইতে লাগলাম-
    “প্রাণের আশা ছেড়ে সঁপেছি প্রাণ
    আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান
    যতই দেখি তারে ততই দহি-
    আপন-মন জ্বালা নিরবে সহি
    তবু পারিনে দুরে যেতে – মরিতে আসি
    লইগো বুক পেতে অনল বান- আমি জেনে-শুনে বিষ করেছি পান-

    রবীন্দ্রনাথ ইজ রবীন্দ্রনাথ, কি বোধ, পারসেপশন, কনসেপশন, রিয়্যালাইজেশন-
    সকলের মনে ঢুকে বসে আছে- ই্শ্বরের মতো।
    – এই গান তো আমার জন্যই লেখা;

    প্রেমের একটা ব্যাপার লক্ষ করেছি শরীর-টাকে করে দেয় জলের ট্যাংক।
    কথায় কথায় জ্বল এসে যায় চোখে ।
    লংকা চিবোলে নাকের জল, আর প্রেমে পড়লে চোখের জল।
    –আর সংসারে ঢুকলে চোখের জল নাকের জল ‍দুটোই।

    See less
  9. Valobashi valobashi by Sunil Gongopadhay ধরো কাল তোমার পরীক্ষা,রাত জেগে পড়ার টেবিলে বসে আছ, ঘুম আসছে না তোমার হঠাত করে ভয়ার্ত কন্ঠে উঠে আমি বললাম- ভালবাস? তুমি কি রাগ করবে? নাকি উঠে এসে জড়িয়ে ধরে বলবে, ভালবাসি, ভালবাসি.. ধরো ক্লান্ত তুমি, অফিস থেকে সবে ফিরেছ, ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত পীড়িত.. খাওয়ার টেবিলRead more

    Valobashi valobashi by Sunil Gongopadhay

    ধরো কাল তোমার পরীক্ষা,রাত জেগে পড়ার

    টেবিলে বসে আছ,

    ঘুম আসছে না তোমার

    হঠাত করে ভয়ার্ত কন্ঠে উঠে আমি বললাম-

    ভালবাস? তুমি কি রাগ করবে?

    নাকি উঠে এসে জড়িয়ে ধরে বলবে,

    ভালবাসি, ভালবাসি..

    ধরো ক্লান্ত তুমি, অফিস থেকে সবে ফিরেছ,

    ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত পীড়িত..

    খাওয়ার টেবিলে কিছুই তৈরি নেই,

    রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে ঘর্মাক্ত আমি তোমার

    হাত ধরে যদি বলি- ভালবাস?

    তুমি কি বিরক্ত হবে?

    নাকি আমার হাতে আরেকটু

    চাপ দিয়ে বলবে

    ভালবাসি, ভালবাসি..

    ধরো দুজনে শুয়ে আছি পাশাপাশি,

    সবেমাত্র ঘুমিয়েছ তুমি

    দুঃস্বপ্ন দেখে আমি জেগে উঠলাম শশব্যস্ত

    হয়ে তোমাকে ডাক দিয়ে যদি বলি-ভালবাস?

    তুমি কি পাশ ফিরে শুয়ে থাকবে?

    নাকি হেসে উঠে বলবে

    ভালবাসি, ভালবাসি..

    ধরো রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি দুজনে,মাথার উপর

    তপ্ত রোদ,বাহন

    পাওয়া যাচ্ছেনা এমন সময় হঠাত দাঁড়িয়ে পথ

    রোধ করে যদি বলি-ভালবাস?

    তুমি কি হাত সরিয়ে দেবে?

    নাকি রাস্তার সবার দিকে তাকিয়ে কাঁধে হাত

    দিয়ে বলবে

    ভালবাসি, ভালবাসি..

    ধরো শেভ করছ তুমি,গাল কেটে রক্ত পড়ছে,এমন সময়

    তোমার এক ফোঁটা রক্ত হাতে নিয়ে যদি বলি-

    ভালবাস?

    তুমি কি বকা দেবে?

    নাকি জড়িয়ে তোমার গালের রক্ত আমার

    গালে লাগিয়ে দিয়ে খুশিয়াল

    গলায় বলবে

    ভালবাসি, ভালবাসি..

    ধরো খুব অসুস্থ তুমি,জ্বরে কপাল পুড়ে যায়,

    মুখে নেই রুচি, নেই কথা বলার

    অনুভুতি,

    এমন সময় মাথায় পানি দিতে দিতে তোমার

    মুখের

    দিকে তাকিয়ে যদি বলি-ভালবাস?

    তুমি কি চুপ করে থাকবে?নাকি তোমার গরম

    শ্বাস আমার

    শ্বাসে বইয়ে দিয়ে বলবে ভালবাসি, ভালবাসি..

    ধরো যুদ্ধের দামামা বাজছে ঘরে ঘরে,প্রচন্ড

    যুদ্ধে তুমিও অঃশীদার,

    শত্রুবাহিনী ঘিরে ফেলেছে ঘর

    এমন সময় পাশে বসে পাগলিনী আমি তোমায়

    জিজ্ঞেস করলাম-

    ভালবাস? ক্রুদ্ধস্বরে তুমি কি বলবে যাও?

    নাকি চিন্তিত আমায় আশ্বাস

    দেবে,বলবে

    ভালবাসি, ভালবাসি..

    ধরো দূরে কোথাও যাচ্ছ

    তুমি,দেরি হয়ে যাচ্ছে,বেরুতে যাবে,হঠাত

    বাধা দিয়ে বললাম-ভালবাস? কটাক্ষ করবে?

    নাকি সুটকেস ফেলে চুলে হাত

    বুলাতে বুলাতে বলবে

    ভালবাসি, ভালবাসি

    ধরো প্রচন্ড ঝড়,উড়ে গেছে ঘরবাড়ি,আশ্রয় নেই

    বিধাতার দান এই

    পৃথিবীতে,বাস করছি দুজনে চিন্তিত তুমি

    এমন সময় তোমার

    বুকে মাথা রেখে যদি বলি ভালবাস?

    তুমি কি সরিয়ে দেবে?

    নাকি আমার মাথায় হাত রেখে বলবে

    ভালবাসি, ভালবাসি..

    ধরো সব ছেড়ে চলে গেছ কত দুরে,

    আড়াই হাত মাটির নিচে শুয়ে আছ

    হতভম্ব আমি যদি চিতকার করে বলি-ভালবাস?

    চুপ করে থাকবে?নাকি সেখান থেকেই

    আমাকে বলবে ভালবাসি, ভালবাসি..

    যেখানেই যাও,যেভাবেই থাক,না থাকলেও দূর

    থেকে ধ্বনি তুলো

    ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি..

    দূর থেকে শুনব তোমার কন্ঠস্বর,বুঝব

    তুমি আছ,তুমি আছ

    ভালবাসি, ভালবাসি….

    See less