1. Film : Hemlock Society Music and Lyrics: Anupam Roy Singer : Shilajit তুই চিরদিন তোর দরজা খুলে থাকিস, অবাধ আনাগোনার হিসেব কেন রাখিস? সাক্ষাৎ আলাদিন তোর প্রদীপ ভরা জিনে, কেন খুঁজতে যাস আমায় সাজানো মাগাজিনে? ভেজা রেলগাড়ি হয়তো সবুজ ছুঁয়ে ফেলে, আর সারাটা পথ ভীষণ খামখেয়ালে চলে! তারপর বেরোয় মেঘ আর তRead more

    Film : Hemlock Society
    Music and Lyrics: Anupam Roy
    Singer : Shilajit

    তুই চিরদিন তোর দরজা খুলে থাকিস,
    অবাধ আনাগোনার হিসেব কেন রাখিস?
    সাক্ষাৎ আলাদিন তোর প্রদীপ ভরা জিনে,
    কেন খুঁজতে যাস আমায় সাজানো মাগাজিনে?
    ভেজা রেলগাড়ি হয়তো সবুজ ছুঁয়ে ফেলে,
    আর সারাটা পথ ভীষণ খামখেয়ালে চলে!
    তারপর বেরোয় মেঘ আর তারায় ভরা স্টেশন,
    একটু থামতে চায় প্রেমিকের ইন্সপিরেশন!

    তোর এ সকাল ঘুম ভেঙ্গে দিতে পারি!
    তোর এ বিকেল ঘুড়ি ছিঁড়ে দিতে পারি!
    তোকে আলোর আলপিন দিতে পারি!
    তোকে বসন্তের দিন দিতে পারি!
    আমাকে খুঁজে দে জল ফড়িং!

    ছুঁড়ে ফেলে দে তোর গল্প বলা ঘড়ি,
    শূন্যে খুড়োর কল, সব মিথ্যে আহামরি!
    একটু শুনতে চাই তোর পাঁজর ভাঙ্গা চিৎকার,
    অন্য গানের সুর, তোর অদ্ভুত এ অহংকার!

    তোর এ সকাল ঘুম ভেঙ্গে দিতে পারি!
    তোর এ বিকেল ঘুড়ি ছিঁড়ে দিতে পারি!
    তোকে আলোর আলপিন দিতে পারি!
    তোকে বসন্তের দিন দিতে পারি!
    আমাকে খুঁজে দে জল ফড়িং!

    English Translation:

    Keep your door open forever,
    Why do keep counting our countless meeting?
    You have Aladin In your lamp
    Why do you keep searching me in an order magazine
    Wet train might touches the greenery,
    And pass all the way whimsically!
    After that rain comes than station full of stars,
    Inspiration of lover wants a little break!

    I can wake you up in the morning
    I can make your evening with kites
    I can bright you up.

    I can gift you the day of spring!
    Just find a dragon-fly for me!

    See less
  2. Movie : Sweater Singer : Lagnajita Chakraborty Music & Lyrics : Ranajoy Bhattacharjee প্রেমে পড়া বারণ কারণে অকারণ আঙুলে আঙুল রাখলেও হাত ধরা বারণ প্রেমে পড়া বারণ কারণে অকারণ আঙুলে আঙুল রাখলেও হাত ধরা বারণ প্রেমে পড়া বারণ (It’s forbidden to fall in love With or without a reason touching the fingerRead more

    Movie : Sweater
    Singer : Lagnajita Chakraborty
    Music & Lyrics : Ranajoy Bhattacharjee

    প্রেমে পড়া বারণ
    কারণে অকারণ
    আঙুলে আঙুল রাখলেও হাত ধরা বারণ

    প্রেমে পড়া বারণ
    কারণে অকারণ
    আঙুলে আঙুল রাখলেও হাত ধরা বারণ
    প্রেমে পড়া বারণ

    (It’s forbidden to fall in love
    With or without a reason
    touching the finger is fine but still It’s forbidden to hold hand.

    It’s forbidden to fall in love
    With or without a reason
    touching the finger is fine but still It’s forbidden to hold hand.

    With or without a reason)

    তোমায় যত গল্প বলার ছিল
    তোমায় যত গল্প বলার ছিল
    সব পাপড়ি হয়ে গাছের পাশে ছড়িয়ে রয়ে ছিল
    দাওনি তুমি আমায় সেসব কুড়িয়ে নেওয়ার কোনো কারণ

    (The stories which I had to tell you
    The stories which I had to tell you
    All were laying under the tree like leafs
    You didn’t give a reason to pick these)

    প্রেমে পড়া বারণ
    কারণে অকারণ
    ওই মায়া চোখে চোখ রাখলেও ফিরে তাকানো বারণ
    প্রেমে পড়া বারণ

    (It’s forbidden to fall in love
    With or without a reason
    If love gazes still It’s forbidden to look back

    It’s forbidden to fall in love)

    শূন্যে ভাসি, রাত্রি এখনো গুনি
    তোমার আমার নৌকা বাওয়ার শব্দ এখনো শুনি
    শূন্যে ভাসি, রাত্রি এখনো গুনি
    তোমার আমার নৌকা বাওয়ার শব্দ এখনো শুনি
    তাই মুখ লুকিয়ে ঠোঁট ফুলিয়ে বসন্তের এই স্মৃতিচারণ

    (I float in emptiness, count nights
    Still hear the sound of our boat riding.
    I float in emptiness, count nights
    Still hear the sound of our boat riding .
    So I remember the memory of spring with pain )

    প্রেমে পড়া বারণ
    কারণে অকারণ
    মনে পড়লেও আজকে তোমায় মনে করা বারণ
    প্রেমে পড়া বারণ
    প্রেমে পড়া বারণ

    (It’s forbidden to fall in love
    With or without a reason
    Even though I miss you but it’s forbidden to miss you.
    It’s forbidden to fall in love
    It’s forbidden to fall in love)

     

    Its a modern Bengali love song, Song of a desolate lover.

    See less
  3. This answer was edited.

    Movie : Sweater Singer : Lagnajita Chakraborty Music & Lyrics : Ranajoy Bhattacharjee প্রেমে পড়া বারণ কারণে অকারণ আঙুলে আঙুল রাখলেও হাত ধরা বারণ প্রেমে পড়া বারণ কারণে অকারণ আঙুলে আঙুল রাখলেও হাত ধরা বারণ প্রেমে পড়া বারণ (It’s forbidden to fall in love With or without a reason touching the fingerRead more

    Movie : Sweater
    Singer : Lagnajita Chakraborty
    Music & Lyrics : Ranajoy Bhattacharjee

    প্রেমে পড়া বারণ
    কারণে অকারণ
    আঙুলে আঙুল রাখলেও হাত ধরা বারণ

    প্রেমে পড়া বারণ
    কারণে অকারণ
    আঙুলে আঙুল রাখলেও হাত ধরা বারণ
    প্রেমে পড়া বারণ

    (It’s forbidden to fall in love
    With or without a reason
    touching the finger is fine but still It’s forbidden to hold hand.

    It’s forbidden to fall in love
    With or without a reason
    touching the finger is fine but still It’s forbidden to hold hand.

    With or without a reason)

    তোমায় যত গল্প বলার ছিল
    তোমায় যত গল্প বলার ছিল
    সব পাপড়ি হয়ে গাছের পাশে ছড়িয়ে রয়ে ছিল
    দাওনি তুমি আমায় সেসব কুড়িয়ে নেওয়ার কোনো কারণ

    (The stories which I had to tell you
    The stories which I had to tell you
    All were laying under the tree like leafs
    You didn’t give a reason to pick these)

    প্রেমে পড়া বারণ
    কারণে অকারণ
    ওই মায়া চোখে চোখ রাখলেও ফিরে তাকানো বারণ
    প্রেমে পড়া বারণ

    (It’s forbidden to fall in love
    With or without a reason
    If love gazes still It’s forbidden to look back

    It’s forbidden to fall in love)

    শূন্যে ভাসি, রাত্রি এখনো গুনি
    তোমার আমার নৌকা বাওয়ার শব্দ এখনো শুনি
    শূন্যে ভাসি, রাত্রি এখনো গুনি
    তোমার আমার নৌকা বাওয়ার শব্দ এখনো শুনি
    তাই মুখ লুকিয়ে ঠোঁট ফুলিয়ে বসন্তের এই স্মৃতিচারণ

    (I float in emptiness, count nights
    Still hear the sound of our boat riding.
    I float in emptiness, count nights
    Still hear the sound of our boat riding .
    So I remember the memory of spring with pain )

    প্রেমে পড়া বারণ
    কারণে অকারণ
    মনে পড়লেও আজকে তোমায় মনে করা বারণ
    প্রেমে পড়া বারণ
    প্রেমে পড়া বারণ

    (It’s forbidden to fall in love
    With or without a reason
    Even though I miss you but it’s forbidden to miss you.
    It’s forbidden to fall in love
    It’s forbidden to fall in love)

     

    Its a modern Bengali love song, Song of a desolate lover.

    See less
  4.   Song : Dildoria Re Artist : Bhoomi Album : Jatra Shuru দিল দরিয়ারে তোরে কিসের কথা কই ওরে মাঝিরে মাঝিরে কোথাও ভাসি দোর খুলিয়ারে আমি আশায় আশায় রই ওরে মাঝিরে মাঝিরে কোথাও ভাসি আষাঢ় শ্রাবনে লো মাঝি তোর ঐ উদাস উঠান বুকে আমি সাঁঝের বেলা গোয়াল ধারে ঠায় বসে রই হায় বসে রই শোন দরিয়ারে আমায় দে ফিরায়ে দেRead more

     

    Song : Dildoria Re
    Artist : Bhoomi
    Album : Jatra Shuru

    দিল দরিয়ারে তোরে কিসের কথা কই
    ওরে মাঝিরে মাঝিরে কোথাও ভাসি
    দোর খুলিয়ারে আমি আশায় আশায় রই
    ওরে মাঝিরে মাঝিরে কোথাও ভাসি

    আষাঢ় শ্রাবনে লো মাঝি তোর ঐ
    উদাস উঠান বুকে
    আমি সাঁঝের বেলা গোয়াল ধারে
    ঠায় বসে রই
    হায় বসে রই

    শোন দরিয়ারে আমায়
    দে ফিরায়ে দে আমার মাঝি
    ও আমার মাঝি
    বৈকাল বেলা ঘাটের ধারে
    যাই ছুটিয়া বারে বারে
    সবার মাঝি ঘরে ফেরে আমার মাঝি নাই

    শোন ময়না তোর গানে
    দুঃখ ঝরে রাতে ময়নারে
    ও ময়নারে
    শিমুল পলাশ গাছের ফাকে
    রোদ আসে তোর মোরগ ডাকে
    আসমানে রঙে আবার বেলা বয়ে যায়

    In English font

    Dil doriyare tore kisher kotha koi
    Ore majhire majhire kuthao vashi
    Doar khuliya re ami aashay aashay roi
    Ore majhire majhire kuthao vashi

    Aashade srabone lo majhi tor oi
    udash uthan buke
    Ami shajer bela gual dhare
    thay boshe roi
    hay boshe roi

    Shun doriyare aamay
    De firaye de aamar majhi
    O amar majhi
    boikal bela ghater dhare
    jai chutiya bare bare
    Shobar majhi ghore fere amar majhi nai

    Shun moyna tor gane
    Dukko jhore rate moynare
    o moynare
    shimul polash gacher fake
    Rod aashe tor murog dake
    Aashman ronge aabar bela boye jay

    See less
  5. This answer was edited.

    কবিতা : আমি একটা তুই চাই আমি একটা 'তুই' চাই... একটা সত্যিকারের 'তুই' চাই। যে জানবে আমার পুরো ভিতরটা... জানবে আমার লুকানো সব দোষ... আমার বদমাইশি, আমার নোংরামি... আমার কলঙ্ক... যে নিজে থেকে আমার ভুলগুলোর অংশীদার হবে... আমার পাপগুলোকে অর্ধেক করে লিখে নেবে নিজের খাতার প্রথম পাতায়... আমি এমন একটি 'তুই' চRead more

    কবিতা : আমি একটা তুই চাই

    আমি একটা ‘তুই’ চাই…
    একটা সত্যিকারের ‘তুই’ চাই।
    যে জানবে আমার পুরো ভিতরটা…
    জানবে আমার লুকানো সব দোষ…
    আমার বদমাইশি, আমার নোংরামি…
    আমার কলঙ্ক…
    যে নিজে থেকে আমার ভুলগুলোর
    অংশীদার হবে…
    আমার পাপগুলোকে অর্ধেক
    করে লিখে নেবে নিজের খাতার
    প্রথম পাতায়…
    আমি এমন একটি ‘তুই’ চাই…
    যাকে আমি নির্দ্বিধায় উপহার দেব
    আমার সব অনিয়ম…
    আমার অপারগতা… আমার বদভ্যাস…
    আমার উশৃঙ্খলতা…
    আমি পিঠ চাপড়ে তার
    কাঁধে তুলে দেব আমার
    অসহায়ত্বের ঝুলি…
    আমার একাকীত্ব, আমার
    নিঃসঙ্গতার কষ্ট, আমার
    দুশ্চিন্তা, আমার হতাশা…
    সবগুলো ঝাড়ুদারের
    মতো কুড়িয়ে নিয়ে সে বাধবে মস্ত
    বড় এক বস্তা…
    তারপর কুলির মতো মাথায়
    করে বয়ে নিয়ে যাবে সেইসব
    অভিশাপ…
    আর হাসতে হাসতে বলবে–
    “ভীষণ ভারী রে… কি করে এতদিন
    বইলি এই বোঝা??”
    তারপর
    ঠিকানা ছাড়া পথে হাটতে থাকবে অসীম
    সমুদ্র পর্যন্ত…
    সাগর পাড়ে এসে প্রচন্ড
    শক্তিতে ছুড়ে ফেলে দেবে সেই
    বোঝা…
    ঠিক সাগরের
    মাঝখানে হারিয়ে যাবে আমার সব
    অভিশাপের ঝুলি…
    আমি ঠিক এরকম একটা ‘তুই’ চাই…
    যে কোনদিন “তুমি” বা “আপনি”গুলোর
    মাঝে হারিয়ে যাবে না…

    English Translation:

    I need someone like you
    I really need someone like you
    One who will know my whole core
    One who will know my every fault
    My wickedness, my dirtiness,
    My scandals.
    One who willingly take responsibility of my faults
    Who will divide my sins equally with her
    And will right in the first page of her diary.
    I need someone
    Whom can I gift, Without any worry
    all my indiscipline
    all my incapability, my bad habits
    my madness.

    I will burden her shoulder
    With my bag of helplessness,
    my loneliness, the pain of my loneliness
    my worries, my stress.
    Like a dustman
    She will collect all those trashes
    and prepare a huge bag.
    Than Like a coolie
    Carry out all those
    Curse..
    And will say with a smile
    “It’s too heavy”. How you carried
    This burden till now?
    Than
    She will walk without any destination
    until the sea appears..
    And from the shore of the sea
    she will through out this burden
    with all her power.
    And all my curses will sink
    at the middle of the sea
    I need exactly someone like you.
    Who will not lose in
    social hierarchy.

    See less
  6. বাংলাদেশের ষড়ঋতু সূচনা : বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। এ দেশে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত—এ ছয়টি ঋতুর আবির্ভাবে প্রকৃতি বিচিত্র রূপ ধারণ করে। নানা রঙে প্রকৃতি আল্পনা আঁকে মাটির বুকে, আকাশের গায়ে আর মানুষের মনে। তাই ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে জীবনেরও রং বদলায়। পালাবদলের খেলায় বিচিত্র রূপের পসরা নিয়ে বRead more

    বাংলাদেশের ষড়ঋতু

    সূচনা : বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। এ দেশে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত—এ ছয়টি ঋতুর আবির্ভাবে প্রকৃতি বিচিত্র রূপ ধারণ করে। নানা রঙে প্রকৃতি আল্পনা আঁকে মাটির বুকে, আকাশের গায়ে আর মানুষের মনে। তাই ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে জীবনেরও রং বদলায়। পালাবদলের খেলায় বিচিত্র রূপের পসরা নিয়ে বিভিন্ন ঋতুর আগমন লক্ষ করেই বুঝি কবিগুরুর কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছে—

    ‘জগতের মাঝে কত বিচিত্র তুমি হে—

    তুমি বিচিত্র রূপিনী।’

    ষড়ঋতুর পরিচয় : বাংলাদেশ ষড়ঋতুর বিচিত্র লীলাভূমি। পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশে ঋতুর সংখ্যা চারটি হলেও প্রকৃতি ও আবহাওয়ার কারণে আমাদের দেশে বছরের ১২ মাসকে দুই মাস করে ভাগ করা হয়েছে। ঋতুগুলো চক্রাকারে আবর্তিত হয়ে প্রকৃতিকে বর্ণাঢ্য ও বৈচিত্র্যময় করে তোলে।

    গ্রীষ্মকাল : বাংলা বর্ষের শুরু হয় গ্রীষ্ম দিয়ে। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ এই দুই মাস গ্রীষ্মকাল। এ সময় আবহাওয়া থাকে শুষ্ক ও গরম। গ্রীষ্মের আগমনে বাংলার প্রকৃতিতে রুক্ষতা নেমে আসে। অসহনীয় সূর্যতাপে নদ-নদী, খাল-বিলের পানি কমে যায়; মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির হয়ে যায়। প্রচণ্ড রোদে গাছের সবুজ, সতেজ রং বিবর্ণ হয়ে যায়। গ্রীষ্ম প্রকৃতির এই রুক্ষতার রূপ দেখেই কবি বলেছেন—

    ‘ঘাম ঝরে দরদর গ্রীষ্মের দুপুরে,

    খাল-বিল চৌচির জল নেই পুকুরে।’

    এই সময়েই আবার কালবৈশাখীর দুরন্ত ঝোড়ো হাওয়ায় সব কিছু ওলট-পালট হয়ে যায়। হঠাৎ করে আকাশে কালো মেঘের ছোটাছুটি, বিদ্যুৎ চমকানোর সঙ্গে কানে তালা লাগা প্রচণ্ড শব্দে বজ্রপাত হয়। তারপর ঝড় ও বৃষ্টি। প্রকৃতিতে রঙের নানা রকম খেলা চলে। তাই গ্রীষ্ম শুধু পোড়ায় না, অকৃপণ হাতে দান করে আম, জাম, লিচু, কলা, কাঁঠাল ও তরমুজের মতো ফল। লাল, হলুদ, সবুজ, কালো, কমলা রঙের এই বাহারি ফলগুলোর স্বাদও মিষ্টি।

    গ্রীষ্মকাল বাংলা রচনা পড়তে এখানে ক্লিক করুন

     

    বর্ষাকাল : ‘জল ঝরে জল ঝরে সারা দিন সারা রাত,

    অফুরান নামতায় বাদলের ধারাপাত

    আকাশের মুখ ঢাকা, ধোঁয়া মাখা চারিধার,

    পৃথিবীর ছাত পিটে ঝমাঝম বারিধার’

    (শ্রাবণে : সুকুমার রায়)

    এই হলো বাংলার বর্ষা ঋতুর রূপ। আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই মাস নিয়ে আসে বর্ষা ঋতু। ঝম ঝম শব্দের সঙ্গে বিদ্যুতের ঝলকানি, মেঘের গুরুগম্ভীর গর্জনে প্রকৃতি যেন শিউরে ওঠে। মাঠ, খাল-বিল, নদী-নালা পানিতে টইটম্বুর। পানি পেয়ে সজীব হয় গাছপালা। জনজীবনে নেমে আসে প্রশান্তি। কৃষকরা জমিতে ধান-পাটের চারা রোপণ করে। সাদা ও কমলা রঙের কদম বর্ষা ঋতুর ফুল। আরো ফোটে কেয়া, জুঁই। বর্ষায় পাওয়া যায় আনারস, পেয়ারা প্রভৃতি ফল।

    শরৎকাল : বর্ষার পরে শরৎ আসে তার শারদীয় বরণ ডালা সাজিয়ে। এ সময় সাদা মেঘমালা ভেসে বেড়ায় নীল আকাশে। নদীর তীরে বসে সাদা কাশফুলের মেলা। আকাশে মালা গেঁথে উড়ে চলে সাদা বকের সারি। প্রকৃতির এই শুভ্রতার মাঝে সবুজ ধানের ক্ষেতে বাতাস নেচে যায় দামাল ছেলের মতো। আর রাতের আকাশে জ্বলজ্বল করে অজস্র তারার মেলা। টগর, গন্ধরাজ, রজনীগন্ধা, শিউলি-বকুলের গন্ধে আকাশ-বাতাস আমোদিত হয়।

    বর্ষাকাল বাংলা রচনা পড়তে এখানে ক্লিক করুন

    হেমন্তকাল : এই তো হেমন্ত দিন, দিন নব ফসল সম্ভার,

    অঙ্গনে অঙ্গনে ভরি, এই রূপ আমার বাংলার।

    শরতের শিউলি ঝরা পথ ধরে কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে ঘটে হেমন্ত ঋতুর আগমন। এ ঋতু আসে সোনালি স্বপ্ন নিয়ে। সবুজ ধানক্ষেতের রং হলুদ হতে শুরু করে। অগ্রহায়ণ মাসে পুরো মাঠে হলুদ বা গেরুয়া রঙের বাহার অর্থাৎ এ সময় ধান পেকে যায় আর চাষিরা দলবেঁধে ফসল কাটা শুরু করে। কবি গুরুর ভাষায়—

    ধরার আঁচল ভরিয়ে দিলে প্রচুর সোনার ধানে, দিগঙ্গনার অঙ্গন আজি পূর্ণ তোমার দানে।

    এ সময় নবান্ন উৎসব, পিঠা-পুলির গন্ধে বাতাস মৌ মৌ করে।

    হেমন্ত কাল বাংলা রচনা পড়তে এখানে ক্লিক করুন

    শীতকাল : এর পরই আসে পৌষ ও মাঘ নিয়ে শীতকাল। কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে আসে এই শীত, আর সব প্রকৃতিতে করে দেয় নিরাভরণ। গাছের পাতা যায় ঝরে, প্রকৃতি হয়ে পড়ে বিবর্ণ। মনে হয় প্রকৃতি যেন কোনো এক জাদুর কাঠির স্পর্শে ঘুমিয়ে পড়েছে।

    কবির ভাষায়—

    ‘শীতের হাওয়ায় লাগল নাচন আমলকীর ওই ডালে ডালে,

    পাতাগুলি শিরশিরিয়ে ঝরিয়ে দিল তালে তালে।’

    শীতের রোদের কিরণ খুবই আরামদায়ক। এ সময় নানা সবজি ও ফলে হাট-বাজার ছেয়ে যায়।

    একটি শীতের সকাল বাংলা রচনা পড়তে এখানে ক্লিক করুন

     

    বসন্তকাল : ফাল্গুন ও চৈত্র মাস নিয়ে ষড়ঋতুর শেষ ঋতু বসন্ত আসে। এ সময় গাছে গাছে চলে ফুল ফোটাবার প্রতিযোগিতা। নানা রঙের পালকে সেজে ছোট-বড় সব পাখি গাছে গাছে নেচে বেড়ায়।

    অন্যদিকে হাজারো রঙের প্রজাপতি, কোকিলের কুহুতান, শালিক, ময়না, টিয়ার ডাকাডাকিতে প্রকৃতি যেন হয়ে ওঠে মুখর। শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়ার ডালে ফোটে লাল লাল ফুল। কবির ভাষায়—

    ‘আহা আজি এ বসন্তে

    এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে

    এত পাখি গায়।’

    উপসংহার : এভাবেই একের পর এক ঋতু এসে আমাদের মনকে রাঙিয়ে দিয়ে যায় বারবার। ষড়ঋতুর এই অবিরাম লীলায় প্রকৃতি হয়ে ওঠে অপরূপা। মনের আনন্দে কবি তাই আবারও গেয়ে ওঠেন—

    ‘ঋতুর দল নাচিয়া চলে,

    ভরিয়া ডালি ফুল ও ফলে।’

    See less
  7. This answer was edited.

    ছয় ঋতুর নামগুলি হচ্ছে : গ্রীষ্ম Grishmo (Summer) বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ বর্ষা Bôrsha (Wet season|Rainy (Monsoon) আষাঢ়-শ্রাবণ শরৎ Shôrot (Autumn) ভাদ্র-আশ্বিন হেমন্ত Hemonto (Dry season|Late Autumn) কার্তিক-অগ্রহায়ণ শীত Šheet (Winter) পৌষ-মাঘ বসন্ত Bôshonto (Spring) ফাল্গুন-চৈত্র

    ছয় ঋতুর নামগুলি হচ্ছে :

    • গ্রীষ্ম Grishmo (Summer) বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ
    • বর্ষা Bôrsha (Wet season|Rainy (Monsoon) আষাঢ়-শ্রাবণ
    • শরৎ Shôrot (Autumn) ভাদ্র-আশ্বিন
    • হেমন্ত Hemonto (Dry season|Late Autumn) কার্তিক-অগ্রহায়ণ
    • শীত Šheet (Winter) পৌষ-মাঘ
    • বসন্ত Bôshonto (Spring) ফাল্গুন-চৈত্র
    See less
  8. শরৎকাল সূচনা: ঋতুররানী শরৎ কাল, বাংলার তৃতীয় ঋতু। বর্ষার ঘন বাদল বৃষ্টি শেষ হলে আগমন ঘটে শরতের। ভাদ্র আশ্বিন মাস নিয়ে গঠিত এই ঋতু। এই ঋতুতে এই দূর্গা বাংলা মায়ের আবির্ভাব ঘটে এবং সমস্ত বাংলা জুড়ে উদযাপিত হয় দুর্গোৎসব। শরৎ এর বৈশিষ্ট্য: শ্রাবণ শেষে অবিরত বৃষ্টির বিরাম ঘটলেই প্রকৃতি নতুন রূপে সাজRead more

    শরৎকাল

    সূচনা: ঋতুররানী শরৎ কাল, বাংলার তৃতীয় ঋতু। বর্ষার ঘন বাদল বৃষ্টি শেষ হলে আগমন ঘটে শরতের। ভাদ্র আশ্বিন মাস নিয়ে গঠিত এই ঋতু। এই ঋতুতে এই দূর্গা বাংলা মায়ের আবির্ভাব ঘটে এবং সমস্ত বাংলা জুড়ে উদযাপিত হয় দুর্গোৎসব।

    শরৎ এর বৈশিষ্ট্য: শ্রাবণ শেষে অবিরত বৃষ্টির বিরাম ঘটলেই প্রকৃতি নতুন রূপে সাজে। আকাশের বুকে ভেসে বেড়ায় সাদা মেঘ, রোদ হয় ঝলমলে আর বাতাস হয় নির্মল। আকাশের উজ্জ্বল নীলিমার প্রান্ত ছুঁয়ে মালার মত উড়ে যায় পাখির ঝাঁক। শরৎ নিয়ে আসে এক মাধুর্য।ফলে যাহার পৃথিবী এক অপরূপ মহিমায় পরিণত হয়। সূর্যের আলোয় সবুজ ধানের ক্ষেত হয়ে মনমুগ্ধকর।

    শরৎ কালের রুপ: শরৎকালের প্রকৃতিতে লক্ষ করা যায় এক অনন্য রূপ। গাছপালা বৃক্ষ হয়ে ওঠে সতেজ ও সুন্দর ।‌ চারিদিকে সবুজের ছড়াছড়ি মনে হয়। ধানের ক্ষেতের মাঠ হয়ে ওঠে সবুজ প্রান্তর । নদীর ধারে উঠে উঁকি দেয় সাদা সাদা কাশফুল। শিউলি তলায় হালকা শিশিরে ভেজা দূর্বাঘাসের ওপর চাদরের মত বিছিয়ে থাকে সাদা আর জাফরন রং মেশানো রাশি রাশি শিউলিফুল। শরতের আগমনে বাংলার বন কোয়েল, দোয়েল ময়নার কল কাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে। সাজে এক অপরূপ সাজে।

    শরতের দুর্গোৎসব: শরৎকাল এর মূল আকর্ষণ দুর্গোৎসব বা দূর্গাপুজা। যা বাঙালির প্রধান উৎসব। তাই দুর্গাপূজা কে শারদীয় উৎসবে বলা হয় । দুর্গা মায়ের আগমনের জন্য বাঙালি অপেক্ষা করে সারা বছর ধরে। সেই অপেক্ষার প্রহর কাটিয়ে দুর্গা মা নিয়ে আসেন আনন্দ বাংলার ঘরে ঘরে। আকাশে বাতাসে মুখরিত হয় বাংলা মায়ের আগমনের ধ্বনি। উৎসবের আনন্দে বাঙালি হয় মাতোয়ারা। স্কুলের ছুটি হলে ছোটদের মধ্যে আনন্দের সীমা থাকে না। বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা ছাড়াও লক্ষ্মীপূজা কালীপূজা এই শরৎ কালেই উদযাপিত হয়।

    উপসংহার: আকাশের সাদা মেঘের ভেলা আর নদীতীরে সাদা কাশফূল,ভোরে হালকা শিউলিভেজা শিউলিফুল আর দূর্গা মায়ের আগমন সব মিলিয়ে শরৎ যেন শুভ্রতার ঋতু।শরৎকালে রাতের বেলায় জ্যোৎস্নার রূপ অপরূপ ।মেঘমুক্ত আকাশ থেকে কল্প কথার পরীরা ডানা মেলে নেমে আসে পৃথিবীতে।শরতের জ্যোৎস্নার মোহিত রূপ নিজ চোখে না দেখলে বোঝা যায় না । বলা যায়, শরৎ বাংলার ঋতু – ঋতুর রানী।

    See less
  9. হেমন্ত কাল ভূমিকা: শরৎকাল শেষ হলেই হেমন্তের আগমন। ছয় ঋতুর মধ্যে চতুর্থ ঋতু হলো হেমন্ত যা কার্তিক অগ্রহায়ণ মাসের সমন্বয়ে গঠিত হয়। হেমন্তের শেষে শুরু হয় শীতকাল, তাই হেমন্ত কে বলা হয় শীতের পূর্বাভাস। হেমন্তের প্রকৃতি: হেমন্ত মানেই পাকা ধানের ঋতু। হেমন্ত আসলেই পাকা ধানের সোনালী আলোয় উদ্ভাসিত হয়Read more

    হেমন্ত কাল

    ভূমিকা: শরৎকাল শেষ হলেই হেমন্তের আগমন। ছয় ঋতুর মধ্যে চতুর্থ ঋতু হলো হেমন্ত যা কার্তিক অগ্রহায়ণ মাসের সমন্বয়ে গঠিত হয়। হেমন্তের শেষে শুরু হয় শীতকাল, তাই হেমন্ত কে বলা হয় শীতের পূর্বাভাস।

    হেমন্তের প্রকৃতি: হেমন্ত মানেই পাকা ধানের ঋতু। হেমন্ত আসলেই পাকা ধানের সোনালী আলোয় উদ্ভাসিত হয় বাংলার মাঠ ঘাট প্রান্তর। খুশির আলো বয় কৃষকদের ঘরে ঘরে, চারিদিক হয় উৎসবমুখর। হেমন্তের হিম বাতাস কনকনে শীতের আগমনী বার্তা ঘোষণা করে। এই সময়ে প্রকৃতি এক নতুন সাজে সেজে উঠে। বর্ষার জল শুকিয়ে গিয়ে মাঠঘাট হয়ে উঠে অনন্য।

    ফসল ও ফলমূল: ইতিহাস থেকে জানতে পারা যায় কোন এক সময়ে বাংলার বছর শুরু হতো হেমন্ত কাল দিয়ে। কারণ ধান উৎপাদনের ঋতু এই হেমন্ত। বর্ষার শেষ দিকে লাগানো বোনা আউশ আমন জাতীয় ধান শরৎকালে বেড়ে ওঠে এবং কার্তিক মাসে পরিপক্ব হয়। ধান ছাড়াও এই ঋতুতে অনেক ফুল ফোটে তারমধ্যে গন্ধরাজ, মল্লিকা, শিউলি, কামিনী ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

    নবান্ন উৎসব: নবান্ন উৎসবের সূচনা হয় ফসল কাটাকে কেন্দ্র করে। নবান্ন অর্থাৎ নতুন অন্ন বা নতুন খাবার। নবান্ন উৎসব বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। নতুন কাটা ধানের থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষ্যে আয়োজিত হয় এই উৎসব। এই উৎসবে বিভিন্ন ধরনের পিঠা, পায়েস, ক্ষীর জাতীয় সুস্বাদু খাবার তৈরি হয় এবং আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশীদের ঘরে ঘরে বিতরণ করা হয়। খাওয়া-দাওয়া ছাড়াও অনুষ্ঠিত হয় অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নানা ধরনের দেশীয় নৃত্য, বাউলগান, লোকগীতি ইত্যাদির ধারা সবাই আনন্দ নে।

    উপসংহার: বাংলার প্রত্যেকটি ঋতুর আছে নিজস্ব বৈচিত্রতা ও সৌন্দর্যতা সেইভাবে হেমন্তের সুন্দর্য তার সোনালী প্রকৃতি এবং নবান্ন উৎসব। কনকনে হিম বাতাস, সোনালী প্রান্তর সব মিলিয়ে সৃষ্টি হয় অপূর্ব দৃশ্য যা মানুষকে উৎফুল্লিত করে।

    See less
  10. ক্রিকেট সূচনাঃ বর্তমানে বিশ্বে ক্রিকেট একটি জনপ্রিয় খেলা।ক্রিকেট, ফুটবলের মতোই একটি বিদেশি খেলা। ফুটবল খেলা যদিও জনপ্রিয় খেলা তবু ক্রিকেটকেই বলা হয় খেলার রাজা। অনেক ব্যয়বহুল ও দীর্ঘ সময়ের খেলা হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ক্রিকেট খেলা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ক্রিকেট খেলার ইতিহাসঃ ক্রRead more

    ক্রিকেট

    সূচনাঃ বর্তমানে বিশ্বে ক্রিকেট একটি জনপ্রিয় খেলা।ক্রিকেট, ফুটবলের মতোই একটি বিদেশি খেলা। ফুটবল খেলা যদিও জনপ্রিয় খেলা তবু ক্রিকেটকেই বলা হয় খেলার রাজা। অনেক ব্যয়বহুল ও দীর্ঘ সময়ের খেলা হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ক্রিকেট খেলা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

    ক্রিকেট খেলার ইতিহাসঃ ক্রিকেট খেলার জন্মভূমি ইংল্যান্ডে। খ্রিস্টীয় আঠারো শতকে ইংল্যান্ডের মাটিতেই প্রথম ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। হ্যাম্পশায়ারের অন্তর্গত হাম্পবলডনে প্রথমে ক্রিকেট দল গড়ে উঠে। তারপর সমগ্র ইংল্যান্ডে এ খেলা জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ঊনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীর পূর্বাহ্নে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য সম্প্রসারিত হওয়ার সাথে সাথে ক্রিকেট খেলাও ছড়িয়ে পড়ে। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক সফরের মাধ্যমে বিশ্ব ক্রিকেটপ্রিয় দেশগুলোর সাথে প্রতিযোগিতায় অবর্তীণ হয়। পরবর্তীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, বাংলাদেশ কেনিয়, আয়ারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও স্কটল্যান্ড প্রভৃতি দেশে এ খেলা ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

    ক্রিকেট খেলার প্রকারভেদঃ ক্রিকেট খেলা তিন ধরনের। যথা- টেস্ট ম্যাচ অর্থাৎ পাঁচ দিনের খেলা, ওয়ানডে ম্যাচ অর্থাৎ এক দিনের সীমিত ওভারের খেলা, এবং টি টোয়েন্টি ম্যাচ।

    ক্রিকেট খেলার নিয়মঃ  ক্রিকেট দু’দলে খেলতে হয়। প্রত্যেক দলে এগারোজন করে খেলোয়াড় থাকে। ক্রিকেট খেলার জন্য একটি কাঠের ব্যাট ও মুষ্টির ন্যায় আয়তনবিশিষ্ট একটি গোলাকার কাঠের বলের প্রয়োজন হয়। মাঠের মধ্যস্থলে পরস্পরের সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে বাইশ গজ দূরে এক একদিকে তিনটি করে কাঠের দন্ড পোঁতা থাকে। এ পোঁতা কাঠের দন্ডকে ক্রিকেটের পরিভাষায় ‘উইকেট’ বলা হয়। এ উইকেটের মাথায় একটি নির্দিষ্ট মানের দুটি করে কাঠখন্ড থাকে, এগুলোকে বলা হয়, ‘বেইল’। ক্রিকেট খেলা আরম্ভ হওয়ার পূর্বে টস দেওয়া হয়। যে পক্ষ টসে জয়লাভ করে সে পক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় কে আগে ব্যাট করবে। প্রতিপক্ষ ফিল্ডিং-এর জন্য প্রস্তুত হয়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে উভয় দলকে পর্যায়ক্রমে দুবার করে ব্যাট করতে হয়। প্রত্যেকবারের খেলাকে একটি ইনিংস বলা হয়। ক্রিকেট খেলা যিনি পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রন করেন তাকে আম্পায়ার বলে। দুই পাশের উইকেটের জন্য দুইজন আম্পায়ার থাকেন। তবে বর্তমানে আরও এক আম্পায়ার অন্তরালে থাকে কাজ করেন, যাকে ‘থার্ড আম্পায়ার’ বলা হয়।

    একদল ব্যাট করে আর অন্যদল মাঠের নির্দিষ্ট স্থান ঘিরে দাঁড়ায় যাতে বল আয়ত্তের বাইরে যেতে না পারে। দুজন ব্যাটধারী দুদিকে উইকেটের নিকট পরস্পর মুখোমুখি দাঁড়ায়। তাদের মধ্যে একজন দল পিটায় আর অন্যজন প্রয়োজনবোধে দৌড়িয়ে দলের জন্য রান সংগ্রহ করতে সাহায্য করে, পরে পালাক্রমে নিজেরা ব্যাট করে। তাদের একজন একদিক হতে বল নিক্ষেপ করে ব্যাটধারীর উইকেট স্পর্শ বা আঘাত করতে চেষ্টা করে। বল নিক্ষেপকারীকে ‘বোলার’ বলে। একজন বোলার একধারে ছয় বল অর্থাৎ এক ওভার এবঙ একদিকে খেলায় বিরতি দিয়ে দিয়ে মোট দশ ওভার বল করতে পারে। ব্যাটধারীর উইকেটের পেছনে যে দাঁড়িয়ে থাকে তাকে ‘উইকেট রক্ষক’ বলে। তাদের লক্ষ্য থাকে উইকেট বলের দিক, বাকি খেলোয়াড় চতুর্দিকে নির্দিষ্ট স্থানে দাড়িঁয়ে বল আটকাবার চেষ্টা করে। এ জন্য তাদেরকে ফিল্ডার বলে। একদলের দশজন খেলোয়াড় আউট হলে তাদের এক ইনিংস শেষ হয়। তখন অপর দল ব্যাট করার সুযোগ পায়।

    আউটবিধিঃ প্রত্যেক বোলার সর্বদা ব্যাটসম্যানকে আউট করা চেষ্টা করেন। আবার ব্যাটম্যান চেষ্টা করেন উইকেট রক্ষা করার। আর এভাবেই খেলা উপভোগ্য হয়ে উঠে। খিল্ডি-এ থাকা দলের খেলোয়াড়রা মাঠের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয় এবং বলকে সীমানা ছাড়িয়ে যেতে বাধা দেয়। ফিল্ডাররা বল মাটি স্পর্শ করার আগেই শূন্যে বলটি ধরে ব্যাটসম্যানকে ‘ক্যাচ আউট’ করেন। ক্যাচ আউট ছাড়াও বোল্ড আউট, রান আউট, লেগ বিফোর উইকেট, স্ট্যাম্প আউট ইত্যাদি রয়েছে।

    জয়- পরাজয়ঃ একদিনের খেলায় জয় পরাজয় নির্ধারিত হয় নির্দিষ্ট ওভারে রানের সংখ্যা এবং কতজন ব্যাটসম্যান নট আউট তার হিসাব দ¦ারা । সুতরাং এ খেলায় সব সময় লক্ষ রাখতে হয় রান বাড়াবার দিকে এবং উইকেট রক্ষার দিকে। অন্যদিকে টেস্ট ম্যাচে প্রতি দল দুইবার ব্যাট করার সুযোগ পায়। এর মধ্যে যে দল বেশি রান করতে পারে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিপক্ষকে আউট করতে পারে সে দলই জয়ী হয় নতুবা খেলা ড্র হয়।

    সাম্প্রতিক ক্রিকেট খেলাঃ সাম্প্রতিককালে এ খেলা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং এর অনেক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। বর্তমানে দীর্ঘ সময়ের অসুবিধা দূর করা জন্য টি-টোয়েন্টি খেলা চালু করা হয়েছে। এতে প্রত্যেক দল ২০ ওভার করে বল খেলার সুযোগ পায়; এতে যে দল বেশি রান করতে পারে সে দল বিজয়ী বলে ঘোষিত হয়। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ কম সময়ে শেষ হয় বলে এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। তা ছাড়া ৫০ ওভারের ওয়ান ডে ম্যাচ ও তার জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।

    বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ ক্রিকেটের ইতিহাস দীর্ঘদিনের হলেও ১৯৭৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে ক্রিকেটের মহামিলন বিশ্বকাপ ক্রিকেট। প্রত্যেক চার বছর পর পর বিশ্বকাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম, দ্বিতীয় এবঙ তৃতীয় বিশ্বকাপ ইংল্যান্ড অনুষ্ঠিত হয। প্রথম দুইবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং তৃতীয়বার ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৮৭ সালে ভারত ও পরিস্তানে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বিশ্বকাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড অনুষ্ঠিত পঞ্চম বিশ্বকাপ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। ১৯৯৬ সালে পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলংকায় যৌথভাবে অনুষ্ঠিত যষ্ঠ বিশ্বকাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলংকা। ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড অনুষ্ঠিত সপ্তম বিশ্বকাপ, ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত অষ্টম বিশ^কাপ এবঙ ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত নবম বিশ্বকাপ জয় করে অস্ট্রেলিয়া। ২০১১ সালে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকা যৌথভাবে আয়োজন করে দশম বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসর। এ আসরে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৫ সালে যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড এগারোতম বিশ্বকাপ আয়োজন করে। দুই স্বাগতিক দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ফাইনাল ম্যাচ এবং এতে অস্ট্রেলিয়া জয়লাভ করে চ্যম্পিয়ন হয়।

    উপকারিতাঃ অন্যান্য খেলাধুলার ন্যায় ক্রিকেট খেলাও আনন্দদায়ক ও স্বাস্থপ্রদ। শরীরচর্চার দিক ব্যতীত এর অন্য একটা দিকও আছে চরিত্র গছন, দৈর্য, সহিষষ্ণুতা, সতর্কতা, সহযোগিতা প্রভৃতি গুণ এ খেলা থেকেই লাভ করা যায়।

    অপকারিতাঃ  ক্রিকেট অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ খেলা। বোলার কর্তৃক সজোরে ছোড়া বল ব্যাটসম্যানকে মারাত্মকভঅবে আহত করতে পারে। এমনকি তা মৃত্যুর কারনও হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ফিল্ডারদেরও ফিল্ডিং করতে গিয়ে করুণ করিণতি বহন করত দেখা যায়। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ফিল হিউজ বলের আঘাতে মৃতুবরণ করেন। এরকম উদাহরণ আরও অনেকে রয়েছে। তা ছাড়া অনেকের মতে, ক্রিকেট খেলায় অনেক বেশি সময় ও অর্থ ব্যয় হয়।

    উপসংহারঃ বর্তমানে দেশ বিদেশে ক্রিকেট একটি জনপ্রিয় খেলা। এ খেলায় মাধ্যমে দেশে দেশে গড়ে উঠে সখ্যতা। মানুষের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন হয় দৃঢ়। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে এ খেলা সকল মানুষকে এক কাতারে সামিল করে। যা বিশ্ব শান্তির দ্বার উন্মোচিত করে সহজেই।

    See less