Bengali Forum Latest Questions

  1. আবার আসিব ফিরে কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম বাংলাদেশে। তিনি নিজের জন্মভূমির নিসর্গ সৌন্দর্যে বিভাের। তিনি তাঁর সমগ্র সত্তা, সমগ্র চেতনা ও সমগ্র ব্যক্তিবােধের সমন্বয় খুঁজেছেন এই বাংলায়। অত্যন্ত গভীর ও অন্তর্লীন তাঁর সন্ধান। পাঠ্য কবিতায় এক চিত্ররূপময় বাংলার সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়েছে। কবির ব্যক্তিসত্তাRead more

    আবার আসিব ফিরে

    কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম বাংলাদেশে। তিনি নিজের জন্মভূমির নিসর্গ
    সৌন্দর্যে বিভাের। তিনি তাঁর সমগ্র সত্তা, সমগ্র চেতনা ও সমগ্র ব্যক্তিবােধের সমন্বয়
    খুঁজেছেন এই বাংলায়। অত্যন্ত গভীর ও অন্তর্লীন তাঁর সন্ধান। পাঠ্য কবিতায় এক
    চিত্ররূপময় বাংলার সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়েছে। কবির ব্যক্তিসত্তার অভিনব প্রকাশ
    ঘটেছে এই কবিতায়।।

    কবির জন্ম ধানসিঁড়ি নদীর তীরে বরিশাল শহরে। তিনি মৃত্যুর পরেও বারে
    বারে ফিরে আসতে চান এই বাংলায়। মানুষ হয়ে ফিরে না-এলেও অন্য কোনও
    প্রাণীর রূপে বা অন্য কোনও ভাবে। তাই তিনি বলেন শঙ্খচিল বা শালিখের বেশে
    আসবেন। কার্তিকের নবান্নের দেশ এই বাংলাদেশে কুয়াশায় ভেসে ভেসে কাঁঠাল
    ছায়ায় আসবেন ভােরের কাক হয়ে। হয়তাে বা আসবেন হাঁস হয়ে। বাংলার নদী,
    মাঠ, ক্ষেত ভালোবেসে জলঙ্গি নদীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলা সবুজ ডাঙায় কবি ফিরে।
    আসতে চান হয়তাে কোনও সুদর্শন হয়ে বা শিমূল ডালে বসে থাকা লক্ষ্মীপ্যাচা বা কোনও ধবল বকের বেশে। কবির বিশ্বাস জন্ম-জন্মান্তর ধরে তাকে এসবের
    ভিডিও দেখতে পাওয়া যাবে।

    See less
  1. This answer was edited.

    আবার আসিব ফিরে সারমর্ম ও বিষয়বস্তু : কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম বাংলাদেশে। তিনি নিজের জন্মভূমির নিসর্গ সৌন্দর্যে বিভাের। তিনি তাঁর সমগ্র সত্তা, সমগ্র চেতনা ও সমগ্র ব্যক্তিবােধের সমন্বয় খুঁজেছেন এই বাংলায়। অত্যন্ত গভীর ও অন্তর্লীন তাঁর সন্ধান। পাঠ্য কবিতায় এক চিত্ররূপময় বাংলার সৌন্দর্য প্রকাশিত হযRead more

    আবার আসিব ফিরে

    সারমর্ম ও বিষয়বস্তু : কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম বাংলাদেশে। তিনি নিজের জন্মভূমির নিসর্গ সৌন্দর্যে বিভাের। তিনি তাঁর সমগ্র সত্তা, সমগ্র চেতনা ও সমগ্র ব্যক্তিবােধের সমন্বয় খুঁজেছেন এই বাংলায়। অত্যন্ত গভীর ও অন্তর্লীন তাঁর সন্ধান। পাঠ্য কবিতায় এক চিত্ররূপময় বাংলার সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়েছে। কবির ব্যক্তিসত্তার অভিনব প্রকাশ ঘটেছে এই কবিতায়।।

    কবির জন্ম ধানসিঁড়ি নদীর তীরে বরিশাল শহরে। তিনি মৃত্যুর পরেও বারে বারে ফিরে আসতে চান এই বাংলায়। মানুষ হয়ে ফিরে না-এলেও অন্য কোনও প্রাণীর রূপে বা অন্য কোনও ভাবে। তাই তিনি বলেন শঙ্খচিল বা শালিখের বেশে
    আসবেন। কার্তিকের নবান্নের দেশ এই বাংলাদেশে কুয়াশায় ভেসে ভেসে কাঁঠাল ছায়ায় আসবেন ভােরের কাক হয়ে। হয়তাে বা আসবেন হাঁস হয়ে। বাংলার নদী, মাঠ, ক্ষেত ভালোবেসে জলঙ্গি নদীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলা সবুজ ডাঙায় কবি ফিরে। আসতে চান হয়তাে কোনও সুদর্শন হয়ে বা শিমূল ডালে বসে থাকা লক্ষ্মীপ্যাচা বা কোনও ধবল বকের বেশে। কবির বিশ্বাস জন্ম-জন্মান্তর ধরে তাকে পাওয়া যাবে এই বাংলায় বিভিন্ন বেশে।

    কবিতার প্রেক্ষাপট: ১৯৪০ সালের দিকে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার দিন এগুতে থাকলে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। আর এই দ্বন্দ্ব ছিল ধর্মীয় সীমারেখায় ভারতের দিখন্ডতা। তৎকালীন মুসলিম লীগের লীগের নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মুসলমানদের জন্য পৃথক স্বাধীন দেশের দাবি করেন। আর এই প্রেক্ষিতেই ভারতবর্ষ বিভক্ত হয় পাকিস্তান ও ভারতবর্ষে। সেই সঙ্গে পূর্ব বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তান ঘোষণা করা হয়। যার ফলে সমস্ত বাংলায় দেখা দেয় এক করুন ছবি। বাংলায় হিন্দু মুসলমান থাকলেও সবাই ছিল বাঙালি, তাদের বসবাস ছিল একত্রে, ছিল এক সংস্কৃতি আর ছিল মিলন, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। দেশভাগের ফলে অনেক মানুষ অনেক জায়গায় যেতে বাধ্য হয়। ছাড়তে বাধ্য হয়ে তাদের নিজ গ্রাম নিজ শহর, তাদের প্রিয় মাতৃভূমি।

    আর কবি জীবনানন্দ দাশ বাংলার মানুষের দুঃখ-দুর্দশার আর বেদনার কথা তুলে ধরেছেন এই কবিতার মাধ্যমে।

    মানুষের তার মাতৃভূমির প্রতি তাকে অফুরন্ত টান ও ভালোবাসা। তার মাতৃভূমি তাকে জড়িয়ে রাখে মাটির সঙ্গে মানুষের সঙ্গে। আর সেই ভালোবাসা সে কখনো ভুলতে পারে না। এইজন্য জীবনানন্দ দাশ বলেছেন আবার আসিব ফিরে এই বাংলায়। যদিও মানুষকে তাদের প্রিয় ভূমি ছেড়ে যেতে হচ্ছে কিন্তু তার ভালোবাসার টান এই মাটির প্রতি, প্রকৃতির প্রতি তাকে হয়তো, আবারো নিয়ে আসবে এই বাংলায়।

     

    আবার আসিব ফিরে (abar asibo fire

    আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে- এই বাংলায়
    হয়তো মানুষ নয়- হয়তো বা শংখচিল শালিখের বেশে,
    হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
    কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল ছায়ায়।
    হয়তো বা হাঁস হব- কিশোরীর- ঘুঙুর রহিবে লাল পায়
    সারাদিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধভরা জলে ভেসে ভেসে।
    আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে
    জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এই সবুজ করুণ ডাঙ্গায়।

    হয়তো দেখিবে চেয়ে সুদর্শন উড়িতেছে সন্ধ্যার বাতাসে।
    হয়তো শুনিবে এক লক্ষ্মীপেঁচা ডাকিতেছে শিমূলের ডালে।
    হয়তো খইয়ের ধান ছড়াতেছে শিশু এক উঠানের ঘাসে।
    রূপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক সাদা ছেঁড়া পালে
    ডিঙ্গা বায়; রাঙ্গা মেঘ সাঁতরায়ে অন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে
    দেখিবে ধবল বক; আমারেই পাবে তুমি ইহাদের ভীড়ে।

    See less
  1. শব্দ-দূষণ : শব্দ দূষণ আধুনিক সভ্যতার আর এক অভিশাপ। গ্রামের তুলনায় শহরে এর উপদ্রব বেশি। প্রতিনিয়তই আমরা আছি শব্দের জগতে কিন্তু তা যখন কানের কাছে অসহ্য হয়ে উঠে তখনই তাকে বলে শব্দ দূষণ। বিজ্ঞানীদের মতে ২০থেকে ৬০ ডেসিবেল শব্দ সহ্য করবার ক্ষমতা থাকে মানুষের কিন্তু তা যখন এর মাত্রা ছাড়ায় তখনই বিরূপ পRead more

    শব্দ-দূষণ : শব্দ দূষণ আধুনিক সভ্যতার আর এক অভিশাপ। গ্রামের
    তুলনায় শহরে এর উপদ্রব বেশি। প্রতিনিয়তই আমরা আছি শব্দের জগতে কিন্তু তা
    যখন কানের কাছে অসহ্য হয়ে উঠে তখনই তাকে বলে শব্দ দূষণ। বিজ্ঞানীদের মতে
    ২০থেকে ৬০ ডেসিবেল শব্দ সহ্য করবার ক্ষমতা থাকে মানুষের কিন্তু তা যখন এর
    মাত্রা ছাড়ায় তখনই বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। ক্রমাগত মোটর গাড়ি, ট্রাক, ট্রেন,
    বাইক, বৈদ্যুতিক হর্ণের কর্কশতা, মাইকের শব্দ, বোমা বাজি, পটকার ধ্বনি ইত্যাদি
    অহরহ পাল্লা দিয়ে শব্দ দূষণ করে চলেছে। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় মানুষের
    কানের। তাছাড়া মানসিক ক্ষতিও করে, রক্তচাপ বাড়ায়, হৃৎপিণ্ডের অসুখ ও অনিদ্রা
    রােগ দেখা দেয়

    See less
  1. জল দূষণ : জলের অপর নাম জীবন। জলছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না। অথচ এই জলই দূষিত হয়ে মানুষের ধ্বংসের কারণ হয়। প্রকৃতি প্রদত্ত মুক্ত এ বস্তুটিও আধুনিক সভ্যতার করাল গ্রাস হতে রক্ষা পায়নি। বড় বড় নদীতে আজ দুষিত জলের ধারা বহে চলেছে। কল-কারখানার এবং পয়ঃ প্রণালীর পরিত্যজ্য জল নালা নর্দমার মাধ্যমে জলাশয়ে নRead more

    জল দূষণ : জলের অপর নাম জীবন। জলছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না।
    অথচ এই জলই দূষিত হয়ে মানুষের ধ্বংসের কারণ হয়। প্রকৃতি প্রদত্ত মুক্ত এ
    বস্তুটিও আধুনিক সভ্যতার করাল গ্রাস হতে রক্ষা পায়নি। বড় বড় নদীতে আজ দুষিত
    জলের ধারা বহে চলেছে। কল-কারখানার এবং পয়ঃ প্রণালীর পরিত্যজ্য জল নালা
    নর্দমার মাধ্যমে জলাশয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
    হিন্দু ধর্মে ও লােকাচারে গঙ্গানদী অতি পবিত্র নদী। স্নান-পান ও স্পর্শে মুক্তি।
    গঙ্গা ভগীরথ আনিত ও বিষ্ণু পদ গলিত ধারা সে বিশ্বাস আজ আর নেই। গঙ্গার
    সুদীর্ঘ তীরবর্তী গ্রাম জনপথ ও শহরের বর্জ্য পদার্থ পূণ্য সলিলা গঙ্গায় বিসর্জিত
    হচ্ছে। কিভাবে দূষিত জলের সমস্যা আজ সারা বিশ্বকে ভাবিয়ে তুলছে। এই দূষণের
    ফলে বিনষ্ট হচ্ছে জনস্বাস্থ্য। অকাল মৃত্যু হানা দিচ্ছে ঘরে ঘরে।

    See less
  1. বায়ু দূষণ – প্রাকৃতিক পরিবেশ আজ যে ছিন্নমস্তা রূপ ধারণ করতে চলেছে তার মূলে রয়েছে বায়ু দূষণ। প্রাণী জগতে প্রাণ ধারণের জন্য প্রয়ােজন নিল বায়ুর। জল ও খাদ্য ছাড়া মানুষ দু-চার দিন বেঁচে থাকতে পারে কিন্তু বায়ু অর্থাৎ বাতাস ছাড়া মানুষ বা প্রাণী এক মুহূর্তও বেচে থাকতে পারে না। বায়ু দুষিত হলে অক্সিজRead more

    বায়ু দূষণ – প্রাকৃতিক পরিবেশ আজ যে ছিন্নমস্তা রূপ ধারণ করতে
    চলেছে তার মূলে রয়েছে বায়ু দূষণ। প্রাণী জগতে প্রাণ ধারণের জন্য প্রয়ােজন নিল
    বায়ুর। জল ও খাদ্য ছাড়া মানুষ দু-চার দিন বেঁচে থাকতে পারে কিন্তু বায়ু অর্থাৎ
    বাতাস ছাড়া মানুষ বা প্রাণী এক মুহূর্তও বেচে থাকতে পারে না। বায়ু দুষিত হলে
    অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায় আর তার সঙ্গে আনুষঙ্গিক দুষিত গ্যাস আমাদের
    দেহে প্রবেশ করবে। এই অক্সিজেনের যােগান দেয় গাছ-পালা, এজন্য প্রাণী জগৎ বেঁচে
    আছে। তাই অরণ্য হল মানব জগতের ফুসফুস। সে অরণা আজ ফবংসের মুখে।
    মানুষ একদিন প্রয়ােজনের তাগিদে অরণ্য কেটে বসতি স্থাপন করেছিল আর
    আজ তাদের আগ্রাসী মনোভাবের জন্য করেছে অরণ্য ছেদন। যান্ত্রিক সভ্যতায় কল
    কারখানার ধোঁয়া, অপরিচ্ছন্ন শহরের ধুলা-বালু, রাস্তার ধারে জ্বালানাে কয়লার ঘোষ
    ইত্যাদি বাতাসকে করছে বিষাক্ত। ফলে আবহাওয়ার তাপমাত্রা ক্রম বর্ধমান, অকাল
    বর্ষণ, ঘূর্ণিঝড় এর মূলে বায়ু দূষণের অভিশাপ। এই দূষিত বায়ু নিশ্বাসকে নিষ্ট করে
    ফুসফুসকে দ্রুত জীর্ণ করে দেয়, ফলে শ্বাস রােগ, ফুসফুসের ক্যান্সার ইত্যাদি রােগ
    দেখা দেয়।

    See less