দিদি - শুভ দাশগুপ্ত তোর নতুন ফ্ল্যাট থেকে ঘুরে এসে মাকে বললাম সব কিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে । তোর ঝকঝকে মোঝাইক মেঝে, ইমালশান লাগানো দেয়াল, আধুনিক ডাইনিং টেবিল, জানালা দরজায় ঝুলানো দামী পর্দা, এমনকি তোর ভ্যালকোলনিতে রাখা বাহারি পাতার টব, সব কিছুই বললাম মাকে । নগেন দত্ত লেনে আমাদের আলো বাতাসহীন একতলার ভাঙাRead more
দিদি – শুভ দাশগুপ্ত
তোর নতুন ফ্ল্যাট থেকে ঘুরে এসে
মাকে বললাম সব কিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ।
তোর ঝকঝকে মোঝাইক মেঝে, ইমালশান লাগানো দেয়াল,
আধুনিক ডাইনিং টেবিল,
জানালা দরজায় ঝুলানো দামী পর্দা,
এমনকি তোর ভ্যালকোলনিতে রাখা বাহারি পাতার টব,
সব কিছুই বললাম মাকে ।
নগেন দত্ত লেনে আমাদের আলো বাতাসহীন
একতলার ভাঙা ঘরে বসে
মাকে সব শুনলেন চোখ বুজে
শুনতে শুনতে মার মুখে ফুটছিল হাসি আর
চোখে আসছিল জল ।
তোর ব্যালকোলনিতে দাঁড়ালে ছড়িয়ে থাকা শহরটাকে
অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায়,
বসবার ঘরের দেয়ালে নতুন কেনা
একটা সুন্দর পেইন্টিং
ঘরটাকে কি গাম্বীর্যে ভরিয়ে তুলেছে
এ সব কিছুই মাকে বললাম ।
চোখ বুজে শুনতে শুনতে মার মুখে
ফুটে উঠছিল হাসি, আর
চোখে আসছিল জল ।
তোর চেহারাটা আগের চেয়ে অনেক ঝকঝকে
সুন্দর হয়ে গেছে, ফর্সা হয়ে গেছিস অনেকটা ।
যদিও তোর হাসিটা আছে ঠিক ছেলেবেলারই মতো ।
জামাইবাবুর মুখে শুনলাম সামনের পূজোয়
তোরা নাকি একেবারে পুরো দক্ষিণ ভারতটাই
বেড়িয়ে আসবি।
মা নগেন দত্ত লেনের ভাঙা চোরা ঘরে বসে
এই সব শুনতে শুনতে হাসছে আর , কেন জানিনা
মার চোখে এসেছে জল…!!
সব কিছুই বলেছি দিদি,
শুধু তোর ডাইনিং স্পেসে রাখা দুধ সাদা রংয়ের
ঐ ফ্রিজটার কথা মাকে বলিনি ।
তোর বিবাহ বার্ষিকির উজ্জ্বল সন্ধ্যায়, তুই যখন
গা ভর্তি গয়নায় অপরূপা হয়ে
ফ্রিজের মাথায় হাত রেখে হাসছিলি,
তখন যে তোকে কি দারুণ সুন্দর লাগছিল-
মাকে বলিনি সে কথাও ।
বিবাহ বার্ষিকির সন্ধ্যায় তোদের আনন্দ উজ্জ্বল
এপার্টমেন্টে তুই আর জামাইবাবু যখন ঐ
ফ্রিজটার পাশে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে
মালা বদল করছিলি
বাবুদের রসিক বন্ধুদের অনুরোধে
আর ক্যামেরা ফ্ল্যাস ঝিলিক দিয়ে উঠছিল
উপচে পড়া খুশির মতো-
তখন ঠিক তখনি দিদি
আমার চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল
হাসপাতালের করিডোরে বাবার ভেঙে পড়া মুখ ।
ভেতরে মা তখন অপারেশনের পর অচৈতন্য ।
ডাক্তার এসে বাবাকে বললেন
চোখটা বোধহয় আর বাচানো গেলনা, তাও একবার
চেষ্টা করে দেখতে পারেন-মাদ্রাজে – যদিও সে অবশ্য
অনেক টাকার ব্যাপার ।
হাড়ি কাঠে আটকে পড়া অসহায় পশুর মতো
করুণ দেখাচ্ছিল তখন বাবার মুখটা ।
সিড়ি দিয়ে আসতে আসতে বাবা
আমার কাধে হাত রেখে বলেছিলেন
কমলাকে সারা জীবন শুধু দুঃখ কষ্টই দিলাম,
সুখ দিতে পারলাম না ।
আজ ওর চোখ দুটোও চলে গেল ।
সবই আমার কপাল ।”
দিদি
অনেক দর-দস্তুর চাপা-চাপির পর
তোর বিয়েটা যখন আরো কয়েক ভরি সোনা আর
একটা ফ্রিজের দাবীতে
জন্য আটকে পড়েছিল অনিশ্চয়তার ঘুরটোপে
বাবা তখন কাউকে না জানিয়ে
চড়া সুদে ধার করেছিলেন
অনেক টাকা ।
সামান্য মাইনের প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করা বাবা
বেঁচে থাকতে থাকতে অন্তত একটা মেয়েকে পার করার
দূরন্ত আশায় ঝুঁকি নিয়ে ফেলেছিলেন অনেকটা।
চোখের জল আর রজনীগন্ধার সৌরভকে পিছনে ফেলে
তুই চলে গেলি ।
পড়ে রইলাম আমরা, মা আর আমি। আর
পড়ে রইলো নগেন দত্ত লেনের অন্ধকার ঘরে
বাড়তে থাকা সুদের বোঝার চাপে তলিয়ে যাওয়া
একটা সৎ মানুষ
তোর বাবা, আমার বাবা ।
দিদি
তোর গা ভর্তি গয়না আর ঐ দুধ সাদা ফ্রিজটার কথা
মাকে বলা হয়নি কিছুতেই ।
দৃষ্টিশক্তি খুইয়ে বসা মাকে বাবা বলেননি কিছুই ।
শুধু অসহায়ের মতো খুঁজেতেন
মার মুখে একটু হাসি
বড় মেয়ের ভালো ঘরে বিয়ে হওয়ার একটু তৃপ্তি ।
সে হাসি খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত বাবা চলে গেছেন ।
এখন নগেন দত্ত লেনের ভাঙা ঘরে বসে
মা আর আমি আনন্দেই আছি ।
একটা আনন্দই বোধহয় সবচেয়ে বড় –
এ বাড়িতে আর কোনোদিন সানাই বাজবে না সাহানায়
সানাই, রাজনীগন্ধা, বেনারসি, হৈচৈ এসব
অপ্রাসঙ্গিক হয়ে থেকে যাবে
চিরকাল।
বেহালার ছেলেটা - সুবোধ সরকার বেহালা কোনও গ্রাম নয়। বেহালা কোনও উপত্যকা নয়। বেহালা কোনও শহর নয়। বেহালা কোনও আঙুরখেত নয়। রাত সাড়ে দশটায় নক্ষত্রের আলোয় ট্রামভর্তি লোক। রাত এগারোটায় খিদিরপুরের দিক থেকে পাঁচখানা ৩৭ নম্বর ছুটে আসছে গোটা খিদিরপুর নিয়ে। রাত বারোটায় ডায়মন্ডহারবার রোড চলতে শরু করল। ডায়মন্ডহারRead more
বেহালার ছেলেটা – সুবোধ সরকার
বেহালা কোনও গ্রাম নয়।
বেহালা কোনও উপত্যকা নয়।
বেহালা কোনও শহর নয়।
বেহালা কোনও আঙুরখেত নয়।
রাত সাড়ে দশটায় নক্ষত্রের আলোয় ট্রামভর্তি লোক।
রাত এগারোটায় খিদিরপুরের দিক থেকে পাঁচখানা ৩৭ নম্বর
ছুটে আসছে গোটা খিদিরপুর নিয়ে।
রাত বারোটায় ডায়মন্ডহারবার রোড চলতে শরু করল।
ডায়মন্ডহারবার রোড কীর্তিনাশার মতো ছড়িয়ে পড়ল ভারতবর্ষে।
কয়েক হাজার মাইল দূরে বেহালার ছেলেটা ব্যাট করছে এখন।
শান্ত কিন্তু রাগী
স্থির কিন্তু তেজী
সমাহিত কিন্তু ছটফটে
‘মা, দেখ, কী সুন্দর দেখাচ্ছে আমাদের ছেলেটাকে’।
কে বলল কথাটা?
আমি
কে আমি? তারাতলায় থাকো।
না, আমি রাজারহাটে থাকি, আমি বারাসতে থাকি
আমি বহরমপুর, আমি বালুরঘাট, আমি কুচবিহার।
রাত্রি সাড়ে বারোটা। আকাশ থমথমে। ভারতবর্ষের আকাশ
চিরকালই থমথমে। জ্যোৎস্নায় ভরে গেছে ভারতবর্ষ
গরীবের ভারত, অভিজাতের ভারত, দলিত ভারত।
একটা দুরন্ত ছয় মারল ছেলেটা।
জ্যোৎস্না পার হয়ে বলটা গিয়ে পড়ল আসামের জঙ্গলে,
সেখানে তিনজন টেররিস্ট বসে আছে সাইনাইড খাবে বলে
তিনজনই লাফিয়ে উঠল, আঃ মৃত্যু! দাঁড়াও!
আর একটা ছয় দেখে যেতে চাই
জ্যোৎস্না পার হয়ে, পার হয়ে, বল এসে পড়ল এবার
বম্বের ধারাভিতে-এশিয়ার সবচেয়ে বড় বস্তি
তিনজন মারামারি করছিল রুটি তরকা নিয়ে,
থেমে গেল। জোয়ারের মত বেরিয়ে গেল গোটা ঝোপড়ি
খেতে-না-পাওয়া জ্যোৎস্নায় থমকে দাঁড়ানো ভারতবর্ষ।
জ্যোৎস্না পার হয়ে বল এসে পড়ল আহমেদাবাদে
বল জিজ্ঞেস করল, তোমরা কাকে পুড়িয়ে মারছ?
বল এসে পড়ল শ্রীনগরে,বল জিজ্ঞেস করল :
কী হয়েছে তোমাদের, এত বছর ধরে
একই ভুল করে চলেছ তোমরা?
মা, দেখ কী সুন্দর দেখাচ্ছে আমাদের ছেলেটাকে!
কে? কে বলল কথাটা?
আমি? আমি কে?
আমি ধর্ম, আমি অধর্ম, আমি ব্রাহ্মণ, আমি মেথর,
আমি রাস্তা ঝাঁট দিই, আমি ইটভাটায় ইট তুলি
আমি কলেজে পড়ি, আমি জেলখানায়
আমি মাঠে, আমি বস্তিতে, আমি বারোতলায় …
আমাকে চিনলে না ?
আমি ভারতবর্ষ।
ট্রামলাইন চলে গেছে গরিবের ঘর ছুঁয়ে
অনন্ত নক্ষত্রে ঘেরা ওটাই বেহালা, ওটাই ওর পাড়া
বিদ্যুৎবেগে একটা বল ছুটে যাচ্ছে বাউন্ডারির বাইরে
গ্যালারি নয়, গোটা ভারত বর্ষ উঠে দাঁড়িয়েছে এত রাতে
ধর্ম ভুলে, জাতি ভুলে, দাঙ্গা ভুলে
বলটা কোথায় গিয়ে পড়ল একটু দেখবে বলে।
Raat batrotay Dimond harbour road cholte shuru korlo.
Dimond harbour road kirtinashar moto choriye porlo bharatbarshe.
Koyek hajar mile dure Behalar cheleta bat korche ekhon
Shanto kintu raagi
Stir kintu tyaji
Shomahito kintu chotfote
Maa, dekh, ki shundor dekhacche amader cheletake.
Ke bollo kothata?
aami
Ke aami? taratolay thako.
Na, ami rajarhaate thaki, ami barasat e thaki
Ami Bohorampur, am i Balurghat, ami Coachbehar
ratri share barota.Aakash thomthome.bharatborsher aakash
chirokal e thomthome. Josnay bhore geche Bharatbarsha
Goriber Bhartat, Obhijater Bharat, Dalit Bharat
Ekta duronto choy marlo cheleta.
Josna par hoye ballta giye porlo Assamer jongole,
Shekhane tinjon terrorist boshe aasche signboard khabe bole
tinjon lafiye uthlo, Aah mrittu| Darao!
Aar ekta choy dekhe jete chai
Josna par hoye, par hoye, ball eshe porlo ebar
Bomber Dharavite-Asia r shobcheye boro basti
tinjon maramari korchilo roti torka niye,
theme gelo. jowarer moto beriye gelo guta jhopri
Khete na pawa josnay thamke darano Bharatbarsha
Josna par hoye ball eshe porlo ebar Ahmedabad e
ball jiggesh karlo tumra kake puriya marcho?
ball eshe porlo Srinagar e, ball jiggesh karlo:
Ki hoyeche tumader eto bochor dhore
Eki bhul kore cholecho tumara?
Maa, dekh, ki shundor dekhacche amader cheletake.
Ke? ke bollo kothata?
aami? ami ke?
Ami dharma, ami odharma, ami Brahman,ami Methor
Ami rasta jhat di, Ami It vatai it tuli
Ami cllege e pori, ami jailkhanay
Ami mathe, ami bastite, ami barotolay
Amake chinle na?
Ami Bharatbarsha
Tram line chole geche goriber ghar chuye
ononto nokkhotre ghera otai behala, otai or para
Bidyut bege ekta ball chute jacche boundarir baire
Gallary noy, Guta Bharatbarsha uthe dariyeche eto raate
dharma bhule, Jati bhule, danga bhule
Ball ta kuthay giye porlo ektu dekhbe bole.
মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi) ভূমিকা : যে সমস্ত মানুষ পৃথিবীতে এসে তাদের মহাজীবনের অতি উজ্জ্বল আলাের দ্বারা মানুষের জীবনে কল্যাণের পথটি উদ্ভাসিত করে দেন মহাত্মা গান্ধী সেরূপ একজন মহাপুরুষ। ভারতবাসীকে তিনি এক নবমন্ত্রে দীক্ষিত করেছিলেন। তাই তাই তিনি জাতির জনক। তার অপরাজেয় আত্মশক্তি সমগ্র দেশের প্রRead more
মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi)
ভূমিকা : যে সমস্ত মানুষ পৃথিবীতে এসে তাদের মহাজীবনের অতি
উজ্জ্বল আলাের দ্বারা মানুষের জীবনে কল্যাণের পথটি উদ্ভাসিত করে দেন মহাত্মা গান্ধী
সেরূপ একজন মহাপুরুষ। ভারতবাসীকে তিনি এক নবমন্ত্রে দীক্ষিত করেছিলেন। তাই
তাই তিনি জাতির জনক। তার অপরাজেয় আত্মশক্তি সমগ্র দেশের প্রাণ শক্তিকে
জাগ্রত করেছিল। শুধু ভারতবর্ষ কেন সারা বিশ্বের তিনি একজন মহামানব।
জন্ম ও শিক্ষা: ইংরেজি ১৮৬৯ সালের ২রা অক্টোবর গুজরাটের অন্তর্গত
পােরবন্দরের এক সম্ত্রান্ত বণিক বংশে মহাত্মা গান্ধীর জন্ম। তার পুরাে নাম মােহন দাস
করম চাদ গান্ধী। তাঁর পিতার নাম কাবা গান্ধী আর মাতার নাম পুতলিবাঈ। তার পিতা
ছিলেন অত্যন্ত ন্যায়-নিষ্ঠ ও তেজস্বী পুরুষ। আর মাতা ছিলেন ধর্মশীলা। গান্ধীজী
বাল্যকালে অতিশয় ভীরু ও লাজুক প্রকৃতির ছিলেন। গান্ধিজীর বিদ্যা শিক্ষা আরম্ভ
হয় দেশীয় বিদ্যালয়ে। দশবছর বয়সে রাজকোটের উচ্চ ইংরাজি বিদ্যালয়ে তার উচ্চশিক্ষা
শুরু এবং সতের বছর বয়সে প্রবেশিকা পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভবন নগরের শ্যামল দাস
কলেজে ভর্তি হন। কলেজে তাঁর বেশিদিন পড়ার সুযােগ হয়নি। দেশীয় প্রথামতে
মাত্র তের বছর বয়সে কস্তুরীবাঈয়ের সঙ্গে তার বিবাহ হয়।
ব্যারিস্টারি পাস প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে
গান্ধীজী ব্যারিস্টারি পাশ করবার জন্য বিলাত যান এবং ১৮৯০ খৃস্টাব্দে ব্যরিষ্টারি পাশ
করে স্বদেশে ফিরে আসেন। সেখানে তিনি মদ্য-মাংস স্পর্শ বা কোন আচার-বিরাে
কার্য করবেন না বলে মায়ের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন
করেছিলেন। আফ্রিকায় থাকা অবস্থায় সে দেশের বর্ণ বিদ্বেষী সরকারের বিদ্ধ
সত্যনিষ্ঠ গান্ধীজী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।
কর্মজীবন : প্রথমে বােম্বাইয়ে, পরে রাজকোট শহরে তিনি আইন ব্যবসা
আরম্ভ করেন। কিন্তু তার প্রকৃতিগত লাজুক স্বভাবের জন্য তিনি আইন ব্যবসায়ে ।
প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারেননি।১৮৯৩ খৃস্টাব্দে একটি জটিল মোকদ্দমার ভার নিয়ে গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকার নাটলে গমন করেন। তার চেষ্টায় মোকদ্দমা আপসে মীমাংসা হয়ে গেলেও তিনি রয়ে
গেলেন সেখানে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের লাঞ্ছনা ও নির্যাতন দেখে তিনি সকল
প্রবাসী ভারতবাসীকে সম্মিলিত করে গড়ে তুলেন ‘নাটাল ইন্ডিয়ান কংগ্রেস’ নামে
একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের অধিকার রক্ষার জন্য চালাতে লাগলেন নানাভাবে আন্দোলন।
এর ফলে সেতাঙ্গদের হাতে তাকে নানা প্রকার নির্যাতন ভােগ করতে হয়েছিল।দীর্ঘ একুশ বছর সেখানে বাস করে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ভারতীয়দের অধিকার। এখানেই
তার সত্যাগ্রহ আন্দোলনের সূচনা।
জীবন দর্শনের মূল সূত্র : গান্ধীজীর জীবনদর্শনের মূল ভিত্তিই সত্যের
প্রতি মূল নিষ্ঠা। যার সমস্ত শক্তির উৎস ছিল সুগভীর মানবতাবোধ, কর্তব্য নিষ্ঠা ও
ধর্মনিষ্ঠতা। গান্ধীজী বিশ্বাস করতেন হিংসা দিয়ে কখনাে হিংসার উগ্রতাকে স্তব্ধ করা
যায় না। অহিংসার শক্তি হিংসার শক্তির চেয়ে অনেকগুণ বেশি। গান্ধীজীর জীবন দর্শনের মূল ছিল আধ্যাত্ব চেতনা যা ছিল তাঁর প্রেরণা শক্তি। যে সত্যনিষ্ঠাকে তিনি ছেলেবেলা থেকে অনুসরণ করেছেন সেটাই তাকে পথ দেখিয়েছিল গভীর আধ্যাত্মিক বোধ ও বিশ্বাস।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ও গান্ধীজী : ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে
গান্ধীজীর ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বাধিক প্রভাব বিস্তারকারী। এই স্বাধীনতা
যজ্ঞে তিনিই ছিলেন প্রধান ঋত্বিক। ১৯১৬ সালে নীলকরের অত্যাচারের প্রতিবাদে
চম্পারণ তার সত্যাগ্রহ আন্দোলন, ১৯১১ সালে রাওলাট বিলের প্রতিবাদে হরতাল
ঘােষণা, ১৯২০ সালে ‘খিলাফত আন্দোলন ও ওই সালে অসহযোগ-নীতি গ্রহণ এবং
বিলাতী-বর্জন আন্দোলন প্রভৃতি দ্বারা তিনি ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতন
অধ্যায়ের সূচনা করেন। ১৯২৯ সাল পর্যন্ত তিনি খদ্দর ও চরকা প্রচারে ব্রতী হয়ে
আন্দোলন চালান। ভারতকে স্বায়ত্ব-শাসন দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ সরকার গােলটেবিল
বৈঠকের আয়োজন করেন গান্ধীজী বিলাত যান এবং ১৯৩৯ খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে
শূন্য হাতে ফিরে আসে। ১৯৪২ খৃষ্টাব্দে “ভারত ছাড়ো আন্দোলনের মধ্য দিয়ে
গান্ধী ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে তার আত্মিক শক্তি দুর্জয় রূপ দেখিয়ে বিশ্ববাসীকে।
চকিত করে দেন। বস্তুত এভাবে ধারাবাহিক আন্দোলনে ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তি।
ত্বরান্বিত হয়েছে। তিনি জীবনে বহুবার কারাবরণ করেন।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য ও গান্ধীজী – গান্ধীজীর স্বাধীনতার জন্য
সংগ্রাম তথা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুধু সরকার বদল বা শাসন ক্ষমতা হস্তান্তরের
রাজনীতি নয়। তিনি বিশ্বাস করতেন রাজনৈতিক স্বাধীনতা সামাজিক এবং অর্থনৈতিক
স্বাধীনতার সঙ্গে এক সুত্রে জড়িত। তাই সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অসমতার
বিরুদ্ধে তিনি অবতীর্ণ হয়েছিলেন প্রথম থেকে। ভারতবর্ষের মাটিতে এক নতুন
সমাজতন্ত্রের সাধনার প্রবক্তা ছিলেন গান্ধীজী। শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ এবং ব্যাপক কুটির শিল্প স্থাপনের মধ্য দিয়ে ভারতে নব্য আর্থ সামাজিক কাঠামোর হদিশ
দিয়েছেন তিনিই।
গান্ধীজী ও মানবপ্রেম : গান্ধীজী ছিলেন প্রেমের পূজারী। তিনি মানব
সেবক, তরি মানব প্রেম সমাজসেবার মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছিল। তিনি হিন্দু-সমাজের
অস্পৃশ্যতা-রূপ পাপ দূর করবার জন্য চষ্টা করে গেছেন। অস্পৃশাদের তিনি নাম
দিয়েছিলেন হরিজন’। হিন্দু ও মুসলমানদের সম্প্রীতিকে তিনি দৃঢ় করার প্রয়াস চালিয়ে
গিয়েছিলেন। গ্রাম প্রধান ভারতের পুনর্গঠনের জন্যও তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে
গিয়েছেন। ভারতবর্ষের সাত লক্ষ শ্রীহীন গ্রামের পূর্ব গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য তার
অবদান স্মরণীয়।
উপসংহার : গান্ধীজীর জীবন দর্শন ও ভারতাত্মা শাশ্বত বাণী সংহত
মূর্তি। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ৩০শে জানুয়ারি নাথুরাম গডসের পিস্তলের গুলিতে তার নশ্বর।
দেহ লীন হয়ে গেছে। কিন্তু তিনি চিরঞ্জীবী। আজও তার আরম্ভ করা কাজ সমাপ্ত
হয়নি। ভারতের যতটুকু অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে, তা তারই প্রদর্শিত পথে এগিয়ে
চলার ফল। তবে এখনও অনেক পথ অতিক্রম করতে হবে। দেশ থেকে দারিদ্র্য,
অশিক্ষা, বিভেদ নীতি আর সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলতে হবে। তাহলে
দেশ বাঁচবে, জাতি বাঁচবে,মানব সমাজ বিপদ মুক্ত হবে। আর এই সাধনায় গান্ধীজীর
জীবন দর্শন হবে আমাদের পরম পাথেয়।
আফ্রিকা/ Africa পত্রপুট (১৯৩৬) কাব্য-এ ষােলাে সংখ্যক কবিতা – ‘উদ্ভান্ত সেই আদিম যুগে’ (নাম আফ্রিকা) কবি অমিয় চক্রবর্তী লিখে পাঠাবার জন্য অনুরােধ করায় ২৮ শে মাঘ ১৩৪৩, ইং ১২ ফ্রেব্রুয়ারি ১৯৩৬ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই কবিতাটি রচনা করেন। কবিতাটি প্রথমে প্রবাসী (চৈত্র ১৩৪৩) ও পরে কবিতাটির পত্রপুটের দ্বিতীRead more
আফ্রিকা/ Africa
পত্রপুট (১৯৩৬) কাব্য-এ ষােলাে সংখ্যক কবিতা – ‘উদ্ভান্ত সেই আদিম যুগে’ (নাম আফ্রিকা) কবি অমিয় চক্রবর্তী লিখে পাঠাবার জন্য অনুরােধ করায় ২৮ শে মাঘ ১৩৪৩, ইং ১২ ফ্রেব্রুয়ারি ১৯৩৬ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই কবিতাটি রচনা করেন।
কবিতাটি প্রথমে প্রবাসী (চৈত্র ১৩৪৩) ও পরে কবিতাটির পত্রপুটের দ্বিতীয় সংস্করণে (১৩৪৫) প্রকাশিত হয়। ৩রা অক্টোবর, ১৯৩৫ ফ্যাসিস্ত মুসােলিনির নির্দেশে ইতালীয় আক্রমণকারী সৈন্যদল অ্যাবিসিনিয়ায় (ইথিওপিয়া) আক্রমণ করে। রবীন্দ্রনাথ এখানে তার প্রতিবাদ করে আফ্রিকা, ‘ছায়াচ্ছন্ন আফ্রিকার সকল বন লাঞ্ছনার রক্তাক্ত ইতিহাসকে স্মরণ করে এক অনবদ্য কাব্য রূপ দিয়েছেন। বেদনায় ভারাক্রান্ত চিত্তে একান্ত মমতায় এক লাঞ্ছিত কৃয়া মানবীর রূপ এই কবিতায় তিনি নির্মাণ করেছেন। আবেদন রেখেছেন “দাঁড়াও ঐ মান-হারা মানবীর দ্বারে।”
Dekha dik aarbaar jonmero prothom shubhokhon.
Tomar prokash hok kuhelika kori udghaton
suryer moton.
Riktotar bokkhyo bhedi aponarey koro unmochan.
Byakto hok jiboner joy,
Byakto hok tomamajhe asheemero chirobishshoy.
Udaydigantey shonkho baaje, mor chittomajhe
Chironuutonere dil dak
Ponchishey boishakh.
Hail the new
Hail the new,
Let the sacred hour of birth approach once more
May you appear in glory, unveiled from mist
as does the sun.
Reveal yourself from the emptiness of the soul
Let life be victorious once more,
Let the wonder of the infinite be revealed through your creation
Conch shells sound in celebration in the dawn skies within my soul
The call goes out for eternal renewal
From this twenty fifth day of Boishakh
জাতের নামে বজ্জাতি সব নজরুল ইসলাম জাতের নামে বজ্জাতি সব জাত-জালিয়াৎ খেলছ জুয়া!ছুঁলেই তোর জাত যাবে? জাত ছেলের হাতের নয়তো মোয়া।।হুঁকোর জল আর ভাতের হাঁড়ি – ভাব্লি এতেই জাতির জান,তাইত বেকুব, করলি তোরা এক জাতিকে একশ’-খান।এখন দেখিস ভারত জোড়া পঁচে আছিস বাসি মড়া,মানুষ নাই আজ, আছে শুধু জাত-শেয়ালের হুক্কাহুয়Read more
জাতের নামে বজ্জাতি সব
নজরুল ইসলাম
জাতের নামে বজ্জাতি সব জাত-জালিয়াৎ খেলছ জুয়া! ছুঁলেই তোর জাত যাবে? জাত ছেলের হাতের নয়তো মোয়া।। হুঁকোর জল আর ভাতের হাঁড়ি – ভাব্লি এতেই জাতির জান, তাইত বেকুব, করলি তোরা এক জাতিকে একশ’-খান। এখন দেখিস ভারত জোড়া পঁচে আছিস বাসি মড়া, মানুষ নাই আজ, আছে শুধু জাত-শেয়ালের হুক্কাহুয়া।। জানিস নাকি ধর্ম সে যে বর্ম সম সহন-শীল, তাকে কি ভাই ভাঙ্তে পারে ছোঁয়া ছুঁয়ির ছোট্ট ঢিল! যে জাত-ধর্ম ঠুন্কো এত, আজ নয় কা’ল ভাঙবে সে ত, যাক্ না সে জাত জাহান্নামে, রইবে মানুষ, নাই পরোয়া।। বলতে পারিস, বিশ্ব-পিতা ভগবানের কোন সে জাত? কোন্ ছেলের তার লাগলে ছোঁয়া অশুচি হন জগন্নাথ? ভগবানের জাত যদি নাই তোদের কেন জাতের বালাই? ছেলের মুখে থুথু দিয়ে মার মুখে দিস ধূপের ধোঁয়া।।
দিদি – শুভ দাশগুপ্ত | Subho Dasgupta Kobita Didi lyrics in Bengali
Durba
দিদি - শুভ দাশগুপ্ত তোর নতুন ফ্ল্যাট থেকে ঘুরে এসে মাকে বললাম সব কিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে । তোর ঝকঝকে মোঝাইক মেঝে, ইমালশান লাগানো দেয়াল, আধুনিক ডাইনিং টেবিল, জানালা দরজায় ঝুলানো দামী পর্দা, এমনকি তোর ভ্যালকোলনিতে রাখা বাহারি পাতার টব, সব কিছুই বললাম মাকে । নগেন দত্ত লেনে আমাদের আলো বাতাসহীন একতলার ভাঙাRead more
দিদি – শুভ দাশগুপ্ত
তোর নতুন ফ্ল্যাট থেকে ঘুরে এসে
মাকে বললাম সব কিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ।
তোর ঝকঝকে মোঝাইক মেঝে, ইমালশান লাগানো দেয়াল,
আধুনিক ডাইনিং টেবিল,
জানালা দরজায় ঝুলানো দামী পর্দা,
এমনকি তোর ভ্যালকোলনিতে রাখা বাহারি পাতার টব,
সব কিছুই বললাম মাকে ।
নগেন দত্ত লেনে আমাদের আলো বাতাসহীন
একতলার ভাঙা ঘরে বসে
মাকে সব শুনলেন চোখ বুজে
শুনতে শুনতে মার মুখে ফুটছিল হাসি আর
চোখে আসছিল জল ।
তোর ব্যালকোলনিতে দাঁড়ালে ছড়িয়ে থাকা শহরটাকে
অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায়,
বসবার ঘরের দেয়ালে নতুন কেনা
একটা সুন্দর পেইন্টিং
ঘরটাকে কি গাম্বীর্যে ভরিয়ে তুলেছে
এ সব কিছুই মাকে বললাম ।
চোখ বুজে শুনতে শুনতে মার মুখে
ফুটে উঠছিল হাসি, আর
চোখে আসছিল জল ।
তোর চেহারাটা আগের চেয়ে অনেক ঝকঝকে
সুন্দর হয়ে গেছে, ফর্সা হয়ে গেছিস অনেকটা ।
যদিও তোর হাসিটা আছে ঠিক ছেলেবেলারই মতো ।
জামাইবাবুর মুখে শুনলাম সামনের পূজোয়
তোরা নাকি একেবারে পুরো দক্ষিণ ভারতটাই
বেড়িয়ে আসবি।
মা নগেন দত্ত লেনের ভাঙা চোরা ঘরে বসে
এই সব শুনতে শুনতে হাসছে আর , কেন জানিনা
মার চোখে এসেছে জল…!!
সব কিছুই বলেছি দিদি,
শুধু তোর ডাইনিং স্পেসে রাখা দুধ সাদা রংয়ের
ঐ ফ্রিজটার কথা মাকে বলিনি ।
তোর বিবাহ বার্ষিকির উজ্জ্বল সন্ধ্যায়, তুই যখন
গা ভর্তি গয়নায় অপরূপা হয়ে
ফ্রিজের মাথায় হাত রেখে হাসছিলি,
তখন যে তোকে কি দারুণ সুন্দর লাগছিল-
মাকে বলিনি সে কথাও ।
বিবাহ বার্ষিকির সন্ধ্যায় তোদের আনন্দ উজ্জ্বল
এপার্টমেন্টে তুই আর জামাইবাবু যখন ঐ
ফ্রিজটার পাশে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে
মালা বদল করছিলি
বাবুদের রসিক বন্ধুদের অনুরোধে
আর ক্যামেরা ফ্ল্যাস ঝিলিক দিয়ে উঠছিল
উপচে পড়া খুশির মতো-
তখন ঠিক তখনি দিদি
আমার চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল
হাসপাতালের করিডোরে বাবার ভেঙে পড়া মুখ ।
ভেতরে মা তখন অপারেশনের পর অচৈতন্য ।
ডাক্তার এসে বাবাকে বললেন
চোখটা বোধহয় আর বাচানো গেলনা, তাও একবার
চেষ্টা করে দেখতে পারেন-মাদ্রাজে – যদিও সে অবশ্য
অনেক টাকার ব্যাপার ।
হাড়ি কাঠে আটকে পড়া অসহায় পশুর মতো
করুণ দেখাচ্ছিল তখন বাবার মুখটা ।
সিড়ি দিয়ে আসতে আসতে বাবা
আমার কাধে হাত রেখে বলেছিলেন
কমলাকে সারা জীবন শুধু দুঃখ কষ্টই দিলাম,
সুখ দিতে পারলাম না ।
আজ ওর চোখ দুটোও চলে গেল ।
সবই আমার কপাল ।”
দিদি
অনেক দর-দস্তুর চাপা-চাপির পর
তোর বিয়েটা যখন আরো কয়েক ভরি সোনা আর
একটা ফ্রিজের দাবীতে
জন্য আটকে পড়েছিল অনিশ্চয়তার ঘুরটোপে
বাবা তখন কাউকে না জানিয়ে
চড়া সুদে ধার করেছিলেন
অনেক টাকা ।
সামান্য মাইনের প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করা বাবা
বেঁচে থাকতে থাকতে অন্তত একটা মেয়েকে পার করার
দূরন্ত আশায় ঝুঁকি নিয়ে ফেলেছিলেন অনেকটা।
চোখের জল আর রজনীগন্ধার সৌরভকে পিছনে ফেলে
তুই চলে গেলি ।
পড়ে রইলাম আমরা, মা আর আমি। আর
পড়ে রইলো নগেন দত্ত লেনের অন্ধকার ঘরে
বাড়তে থাকা সুদের বোঝার চাপে তলিয়ে যাওয়া
একটা সৎ মানুষ
তোর বাবা, আমার বাবা ।
দিদি
See lessতোর গা ভর্তি গয়না আর ঐ দুধ সাদা ফ্রিজটার কথা
মাকে বলা হয়নি কিছুতেই ।
দৃষ্টিশক্তি খুইয়ে বসা মাকে বাবা বলেননি কিছুই ।
শুধু অসহায়ের মতো খুঁজেতেন
মার মুখে একটু হাসি
বড় মেয়ের ভালো ঘরে বিয়ে হওয়ার একটু তৃপ্তি ।
সে হাসি খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত বাবা চলে গেছেন ।
এখন নগেন দত্ত লেনের ভাঙা ঘরে বসে
মা আর আমি আনন্দেই আছি ।
একটা আনন্দই বোধহয় সবচেয়ে বড় –
এ বাড়িতে আর কোনোদিন সানাই বাজবে না সাহানায়
সানাই, রাজনীগন্ধা, বেনারসি, হৈচৈ এসব
অপ্রাসঙ্গিক হয়ে থেকে যাবে
চিরকাল।
বেহালার ছেলেটা (সুবোধ সরকার) Behalar Cheleta Poem lyrics in Bengali
Durba
বেহালার ছেলেটা - সুবোধ সরকার বেহালা কোনও গ্রাম নয়। বেহালা কোনও উপত্যকা নয়। বেহালা কোনও শহর নয়। বেহালা কোনও আঙুরখেত নয়। রাত সাড়ে দশটায় নক্ষত্রের আলোয় ট্রামভর্তি লোক। রাত এগারোটায় খিদিরপুরের দিক থেকে পাঁচখানা ৩৭ নম্বর ছুটে আসছে গোটা খিদিরপুর নিয়ে। রাত বারোটায় ডায়মন্ডহারবার রোড চলতে শরু করল। ডায়মন্ডহারRead more
বেহালার ছেলেটা – সুবোধ সরকার
বেহালা কোনও গ্রাম নয়।
বেহালা কোনও উপত্যকা নয়।
বেহালা কোনও শহর নয়।
বেহালা কোনও আঙুরখেত নয়।
রাত সাড়ে দশটায় নক্ষত্রের আলোয় ট্রামভর্তি লোক।
রাত এগারোটায় খিদিরপুরের দিক থেকে পাঁচখানা ৩৭ নম্বর
ছুটে আসছে গোটা খিদিরপুর নিয়ে।
রাত বারোটায় ডায়মন্ডহারবার রোড চলতে শরু করল।
ডায়মন্ডহারবার রোড কীর্তিনাশার মতো ছড়িয়ে পড়ল ভারতবর্ষে।
কয়েক হাজার মাইল দূরে বেহালার ছেলেটা ব্যাট করছে এখন।
শান্ত কিন্তু রাগী
স্থির কিন্তু তেজী
সমাহিত কিন্তু ছটফটে
‘মা, দেখ, কী সুন্দর দেখাচ্ছে আমাদের ছেলেটাকে’।
কে বলল কথাটা?
আমি
কে আমি? তারাতলায় থাকো।
না, আমি রাজারহাটে থাকি, আমি বারাসতে থাকি
আমি বহরমপুর, আমি বালুরঘাট, আমি কুচবিহার।
রাত্রি সাড়ে বারোটা। আকাশ থমথমে। ভারতবর্ষের আকাশ
চিরকালই থমথমে। জ্যোৎস্নায় ভরে গেছে ভারতবর্ষ
গরীবের ভারত, অভিজাতের ভারত, দলিত ভারত।
একটা দুরন্ত ছয় মারল ছেলেটা।
জ্যোৎস্না পার হয়ে বলটা গিয়ে পড়ল আসামের জঙ্গলে,
সেখানে তিনজন টেররিস্ট বসে আছে সাইনাইড খাবে বলে
তিনজনই লাফিয়ে উঠল, আঃ মৃত্যু! দাঁড়াও!
আর একটা ছয় দেখে যেতে চাই
জ্যোৎস্না পার হয়ে, পার হয়ে, বল এসে পড়ল এবার
বম্বের ধারাভিতে-এশিয়ার সবচেয়ে বড় বস্তি
তিনজন মারামারি করছিল রুটি তরকা নিয়ে,
থেমে গেল। জোয়ারের মত বেরিয়ে গেল গোটা ঝোপড়ি
খেতে-না-পাওয়া জ্যোৎস্নায় থমকে দাঁড়ানো ভারতবর্ষ।
জ্যোৎস্না পার হয়ে বল এসে পড়ল আহমেদাবাদে
বল জিজ্ঞেস করল, তোমরা কাকে পুড়িয়ে মারছ?
বল এসে পড়ল শ্রীনগরে,বল জিজ্ঞেস করল :
কী হয়েছে তোমাদের, এত বছর ধরে
একই ভুল করে চলেছ তোমরা?
মা, দেখ কী সুন্দর দেখাচ্ছে আমাদের ছেলেটাকে!
কে? কে বলল কথাটা?
আমি? আমি কে?
আমি ধর্ম, আমি অধর্ম, আমি ব্রাহ্মণ, আমি মেথর,
আমি রাস্তা ঝাঁট দিই, আমি ইটভাটায় ইট তুলি
আমি কলেজে পড়ি, আমি জেলখানায়
আমি মাঠে, আমি বস্তিতে, আমি বারোতলায় …
আমাকে চিনলে না ?
আমি ভারতবর্ষ।
ট্রামলাইন চলে গেছে গরিবের ঘর ছুঁয়ে
অনন্ত নক্ষত্রে ঘেরা ওটাই বেহালা, ওটাই ওর পাড়া
বিদ্যুৎবেগে একটা বল ছুটে যাচ্ছে বাউন্ডারির বাইরে
গ্যালারি নয়, গোটা ভারত বর্ষ উঠে দাঁড়িয়েছে এত রাতে
ধর্ম ভুলে, জাতি ভুলে, দাঙ্গা ভুলে
বলটা কোথায় গিয়ে পড়ল একটু দেখবে বলে।
English transliteration:
Behala kuno gram noy.
Behala kuno upottoka noy.
Behala kuno shohor noy.
Behala kuno angurkhet noy.
Raat share doshtay nokkhotrer aaloy tram bhorti lok
Raat egarotay Khidirpurer dik theke pachkhana 37 number
Chute aashche khidirpur niye.
Raat batrotay Dimond harbour road cholte shuru korlo.
Dimond harbour road kirtinashar moto choriye porlo bharatbarshe.
Koyek hajar mile dure Behalar cheleta bat korche ekhon
Shanto kintu raagi
Stir kintu tyaji
Shomahito kintu chotfote
Maa, dekh, ki shundor dekhacche amader cheletake.
Ke bollo kothata?
aami
Ke aami? taratolay thako.
Na, ami rajarhaate thaki, ami barasat e thaki
Ami Bohorampur, am i Balurghat, ami Coachbehar
ratri share barota.Aakash thomthome.bharatborsher aakash
chirokal e thomthome. Josnay bhore geche Bharatbarsha
Goriber Bhartat, Obhijater Bharat, Dalit Bharat
Ekta duronto choy marlo cheleta.
Josna par hoye ballta giye porlo Assamer jongole,
Shekhane tinjon terrorist boshe aasche signboard khabe bole
tinjon lafiye uthlo, Aah mrittu| Darao!
Aar ekta choy dekhe jete chai
Josna par hoye, par hoye, ball eshe porlo ebar
Bomber Dharavite-Asia r shobcheye boro basti
tinjon maramari korchilo roti torka niye,
theme gelo. jowarer moto beriye gelo guta jhopri
Khete na pawa josnay thamke darano Bharatbarsha
Josna par hoye ball eshe porlo ebar Ahmedabad e
ball jiggesh karlo tumra kake puriya marcho?
ball eshe porlo Srinagar e, ball jiggesh karlo:
Ki hoyeche tumader eto bochor dhore
Eki bhul kore cholecho tumara?
Maa, dekh, ki shundor dekhacche amader cheletake.
Ke? ke bollo kothata?
aami? ami ke?
Ami dharma, ami odharma, ami Brahman,ami Methor
Ami rasta jhat di, Ami It vatai it tuli
Ami cllege e pori, ami jailkhanay
Ami mathe, ami bastite, ami barotolay
Amake chinle na?
Ami Bharatbarsha
Tram line chole geche goriber ghar chuye
See lessononto nokkhotre ghera otai behala, otai or para
Bidyut bege ekta ball chute jacche boundarir baire
Gallary noy, Guta Bharatbarsha uthe dariyeche eto raate
dharma bhule, Jati bhule, danga bhule
Ball ta kuthay giye porlo ektu dekhbe bole.
মহাত্মা গান্ধী রচনা | bengali essay on mahatma gandhi
Durba
মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi) ভূমিকা : যে সমস্ত মানুষ পৃথিবীতে এসে তাদের মহাজীবনের অতি উজ্জ্বল আলাের দ্বারা মানুষের জীবনে কল্যাণের পথটি উদ্ভাসিত করে দেন মহাত্মা গান্ধী সেরূপ একজন মহাপুরুষ। ভারতবাসীকে তিনি এক নবমন্ত্রে দীক্ষিত করেছিলেন। তাই তাই তিনি জাতির জনক। তার অপরাজেয় আত্মশক্তি সমগ্র দেশের প্রRead more
মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi)
ভূমিকা : যে সমস্ত মানুষ পৃথিবীতে এসে তাদের মহাজীবনের অতি
উজ্জ্বল আলাের দ্বারা মানুষের জীবনে কল্যাণের পথটি উদ্ভাসিত করে দেন মহাত্মা গান্ধী
সেরূপ একজন মহাপুরুষ। ভারতবাসীকে তিনি এক নবমন্ত্রে দীক্ষিত করেছিলেন। তাই
তাই তিনি জাতির জনক। তার অপরাজেয় আত্মশক্তি সমগ্র দেশের প্রাণ শক্তিকে
জাগ্রত করেছিল। শুধু ভারতবর্ষ কেন সারা বিশ্বের তিনি একজন মহামানব।
জন্ম ও শিক্ষা: ইংরেজি ১৮৬৯ সালের ২রা অক্টোবর গুজরাটের অন্তর্গত
পােরবন্দরের এক সম্ত্রান্ত বণিক বংশে মহাত্মা গান্ধীর জন্ম। তার পুরাে নাম মােহন দাস
করম চাদ গান্ধী। তাঁর পিতার নাম কাবা গান্ধী আর মাতার নাম পুতলিবাঈ। তার পিতা
ছিলেন অত্যন্ত ন্যায়-নিষ্ঠ ও তেজস্বী পুরুষ। আর মাতা ছিলেন ধর্মশীলা। গান্ধীজী
বাল্যকালে অতিশয় ভীরু ও লাজুক প্রকৃতির ছিলেন। গান্ধিজীর বিদ্যা শিক্ষা আরম্ভ
হয় দেশীয় বিদ্যালয়ে। দশবছর বয়সে রাজকোটের উচ্চ ইংরাজি বিদ্যালয়ে তার উচ্চশিক্ষা
শুরু এবং সতের বছর বয়সে প্রবেশিকা পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভবন নগরের শ্যামল দাস
কলেজে ভর্তি হন। কলেজে তাঁর বেশিদিন পড়ার সুযােগ হয়নি। দেশীয় প্রথামতে
মাত্র তের বছর বয়সে কস্তুরীবাঈয়ের সঙ্গে তার বিবাহ হয়।
ব্যারিস্টারি পাস প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে
গান্ধীজী ব্যারিস্টারি পাশ করবার জন্য বিলাত যান এবং ১৮৯০ খৃস্টাব্দে ব্যরিষ্টারি পাশ
করে স্বদেশে ফিরে আসেন। সেখানে তিনি মদ্য-মাংস স্পর্শ বা কোন আচার-বিরাে
কার্য করবেন না বলে মায়ের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন
করেছিলেন। আফ্রিকায় থাকা অবস্থায় সে দেশের বর্ণ বিদ্বেষী সরকারের বিদ্ধ
সত্যনিষ্ঠ গান্ধীজী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।
কর্মজীবন : প্রথমে বােম্বাইয়ে, পরে রাজকোট শহরে তিনি আইন ব্যবসা
আরম্ভ করেন। কিন্তু তার প্রকৃতিগত লাজুক স্বভাবের জন্য তিনি আইন ব্যবসায়ে ।
প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারেননি।১৮৯৩ খৃস্টাব্দে একটি জটিল মোকদ্দমার ভার নিয়ে গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকার নাটলে গমন করেন। তার চেষ্টায় মোকদ্দমা আপসে মীমাংসা হয়ে গেলেও তিনি রয়ে
গেলেন সেখানে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের লাঞ্ছনা ও নির্যাতন দেখে তিনি সকল
প্রবাসী ভারতবাসীকে সম্মিলিত করে গড়ে তুলেন ‘নাটাল ইন্ডিয়ান কংগ্রেস’ নামে
একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের অধিকার রক্ষার জন্য চালাতে লাগলেন নানাভাবে আন্দোলন।
এর ফলে সেতাঙ্গদের হাতে তাকে নানা প্রকার নির্যাতন ভােগ করতে হয়েছিল।দীর্ঘ একুশ বছর সেখানে বাস করে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ভারতীয়দের অধিকার। এখানেই
তার সত্যাগ্রহ আন্দোলনের সূচনা।
জীবন দর্শনের মূল সূত্র : গান্ধীজীর জীবনদর্শনের মূল ভিত্তিই সত্যের
প্রতি মূল নিষ্ঠা। যার সমস্ত শক্তির উৎস ছিল সুগভীর মানবতাবোধ, কর্তব্য নিষ্ঠা ও
ধর্মনিষ্ঠতা। গান্ধীজী বিশ্বাস করতেন হিংসা দিয়ে কখনাে হিংসার উগ্রতাকে স্তব্ধ করা
যায় না। অহিংসার শক্তি হিংসার শক্তির চেয়ে অনেকগুণ বেশি। গান্ধীজীর জীবন দর্শনের মূল ছিল আধ্যাত্ব চেতনা যা ছিল তাঁর প্রেরণা শক্তি। যে সত্যনিষ্ঠাকে তিনি ছেলেবেলা থেকে অনুসরণ করেছেন সেটাই তাকে পথ দেখিয়েছিল গভীর আধ্যাত্মিক বোধ ও বিশ্বাস।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ও গান্ধীজী : ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে
গান্ধীজীর ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বাধিক প্রভাব বিস্তারকারী। এই স্বাধীনতা
যজ্ঞে তিনিই ছিলেন প্রধান ঋত্বিক। ১৯১৬ সালে নীলকরের অত্যাচারের প্রতিবাদে
চম্পারণ তার সত্যাগ্রহ আন্দোলন, ১৯১১ সালে রাওলাট বিলের প্রতিবাদে হরতাল
ঘােষণা, ১৯২০ সালে ‘খিলাফত আন্দোলন ও ওই সালে অসহযোগ-নীতি গ্রহণ এবং
বিলাতী-বর্জন আন্দোলন প্রভৃতি দ্বারা তিনি ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতন
অধ্যায়ের সূচনা করেন। ১৯২৯ সাল পর্যন্ত তিনি খদ্দর ও চরকা প্রচারে ব্রতী হয়ে
আন্দোলন চালান। ভারতকে স্বায়ত্ব-শাসন দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ সরকার গােলটেবিল
বৈঠকের আয়োজন করেন গান্ধীজী বিলাত যান এবং ১৯৩৯ খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে
শূন্য হাতে ফিরে আসে। ১৯৪২ খৃষ্টাব্দে “ভারত ছাড়ো আন্দোলনের মধ্য দিয়ে
গান্ধী ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে তার আত্মিক শক্তি দুর্জয় রূপ দেখিয়ে বিশ্ববাসীকে।
চকিত করে দেন। বস্তুত এভাবে ধারাবাহিক আন্দোলনে ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তি।
ত্বরান্বিত হয়েছে। তিনি জীবনে বহুবার কারাবরণ করেন।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য ও গান্ধীজী – গান্ধীজীর স্বাধীনতার জন্য
সংগ্রাম তথা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুধু সরকার বদল বা শাসন ক্ষমতা হস্তান্তরের
রাজনীতি নয়। তিনি বিশ্বাস করতেন রাজনৈতিক স্বাধীনতা সামাজিক এবং অর্থনৈতিক
স্বাধীনতার সঙ্গে এক সুত্রে জড়িত। তাই সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অসমতার
বিরুদ্ধে তিনি অবতীর্ণ হয়েছিলেন প্রথম থেকে। ভারতবর্ষের মাটিতে এক নতুন
সমাজতন্ত্রের সাধনার প্রবক্তা ছিলেন গান্ধীজী। শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ এবং ব্যাপক কুটির শিল্প স্থাপনের মধ্য দিয়ে ভারতে নব্য আর্থ সামাজিক কাঠামোর হদিশ
দিয়েছেন তিনিই।
গান্ধীজী ও মানবপ্রেম : গান্ধীজী ছিলেন প্রেমের পূজারী। তিনি মানব
সেবক, তরি মানব প্রেম সমাজসেবার মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছিল। তিনি হিন্দু-সমাজের
অস্পৃশ্যতা-রূপ পাপ দূর করবার জন্য চষ্টা করে গেছেন। অস্পৃশাদের তিনি নাম
দিয়েছিলেন হরিজন’। হিন্দু ও মুসলমানদের সম্প্রীতিকে তিনি দৃঢ় করার প্রয়াস চালিয়ে
গিয়েছিলেন। গ্রাম প্রধান ভারতের পুনর্গঠনের জন্যও তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে
গিয়েছেন। ভারতবর্ষের সাত লক্ষ শ্রীহীন গ্রামের পূর্ব গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য তার
অবদান স্মরণীয়।
উপসংহার : গান্ধীজীর জীবন দর্শন ও ভারতাত্মা শাশ্বত বাণী সংহত
See lessমূর্তি। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ৩০শে জানুয়ারি নাথুরাম গডসের পিস্তলের গুলিতে তার নশ্বর।
দেহ লীন হয়ে গেছে। কিন্তু তিনি চিরঞ্জীবী। আজও তার আরম্ভ করা কাজ সমাপ্ত
হয়নি। ভারতের যতটুকু অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে, তা তারই প্রদর্শিত পথে এগিয়ে
চলার ফল। তবে এখনও অনেক পথ অতিক্রম করতে হবে। দেশ থেকে দারিদ্র্য,
অশিক্ষা, বিভেদ নীতি আর সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলতে হবে। তাহলে
দেশ বাঁচবে, জাতি বাঁচবে,মানব সমাজ বিপদ মুক্ত হবে। আর এই সাধনায় গান্ধীজীর
জীবন দর্শন হবে আমাদের পরম পাথেয়।
Arbitrary meaning in Bengali?
Durba
Arbitrary : যুক্তি বা নিয়মবর্হিভূত, ইচ্ছামত, স্বেচ্ছাবারী, বিধিবহির্ভূত, আবেগের বশে চালিত
Arbitrary : যুক্তি বা নিয়মবর্হিভূত, ইচ্ছামত, স্বেচ্ছাবারী, বিধিবহির্ভূত, আবেগের বশে চালিত
See lesslongest word in bengali | সবচেয়ে লম্বা বাংলা শব্দ কোনটা ?
Durba
লশুনপলাণ্ডগুঞ্জনকুম্ভীশ্রাপথন্নসুতকান্নাভোজ্যান্যমধুমাংসমূত্ররেতোহমেধ্যাভক্ষভক্ষণেগায়ত্র্যাষ্টসহ
লশুনপলাণ্ডগুঞ্জনকুম্ভীশ্রাপথন্নসুতকান্নাভোজ্যান্যমধুমাংসমূত্ররেতোহমেধ্যাভক্ষভক্ষণেগায়ত্র্যাষ্টসহ
See lessjonmodin kobita rabindranath?
Durba
জন্মদিন / Jonmodin/ The Birthday রবিপ্রদক্ষিণপথে জন্মদিবসের আবর্তন হয়ে আসে সমাপন। আমার রুদ্রের মালা রুদ্রাক্ষের অন্তিম গ্রন্থিতে এসে ঠেকে রৌদ্রদগ্ধ দিনগুলি গেঁথে একে একে। হে তপস্বী, প্রসারিত করো তব পাণি লহো মালাখানি। উগ্র তব তপের আসন, সেথায় তোমারে সম্ভাষণ করেছিনু দিনে দিনে কঠিন স্তবনে, কখনো মRead more
জন্মদিন / Jonmodin/ The Birthday
রবিপ্রদক্ষিণপথে জন্মদিবসের আবর্তন
হয়ে আসে সমাপন।
আমার রুদ্রের
মালা রুদ্রাক্ষের
অন্তিম গ্রন্থিতে এসে ঠেকে
রৌদ্রদগ্ধ দিনগুলি গেঁথে একে একে।
হে তপস্বী, প্রসারিত করো তব পাণি
লহো মালাখানি।
উগ্র তব তপের আসন,
সেথায় তোমারে সম্ভাষণ
করেছিনু দিনে দিনে কঠিন স্তবনে,
কখনো মধ্যাহ্নরৌদ্রে কখনো-বা ঝঞ্ঝার পবনে।
এবার তপস্যা হতে নেমে এসো তুমি–
দেখা দাও যেথা তব বনভূমি
ছায়াঘন, যেথা তব আকাশ অরুণ
আষাঢ়ের আভাসে করুণ।
অপরাহ্ন যেথা তার ক্লান্ত অবকাশে
মেলে শূন্য আকাশে আকাশে
বিচিত্র বর্ণের মায়া; যেথা সন্ধ্যাতারা
বাক্যহারা
বাণীবহ্নি জ্বালি
নিভৃতে সাজায় ব’সে অনন্তের আরতির ডালি।
শ্যামল দাক্ষিণ্যে ভরা
সহজ আতিথ্যে বসুন্ধরা
যেথা স্নিগ্ধ শান্তিময়,
যেথা তার অফুরান মাধুর্যসঞ্চয়
প্রাণে প্রাণে
বিচিত্র বিলাস আনে রূপে রসে গানে।
বিশ্বের প্রাঙ্গণে আজি ছুটি হোক মোর,
ছিন্ন করে দাও কর্মডোর।
আমি আজ ফিরব কুড়ায়ে
উচ্ছৃঙ্খল সমীরণ যে কুসুম এনেছে উড়ায়ে
সহজে ধুলায়,
পাখির কুলায়
দিনে দিনে ভরি উঠে যে-সহজ গানে,
আলোকের ছোঁওয়া লেগে সবুজের তম্বুরার তানে।
এই বিশ্বসত্তার পরশ,
স্থলে জলে তলে তলে এই গূঢ় প্রাণের হরষ
তুলি লব অন্তরে অন্তরে–
সর্বদেহে, রক্তস্রোতে, চোখের দৃষ্টিতে, কণ্ঠস্বরে,
জাগরণে, ধেয়ানে, তন্দ্রায়,
বিরামসমুদ্রতটে জীবনের পরমসন্ধ্যায়।
এ জন্মের গোধূলির ধূসর প্রহরে
বিশ্বরসসরোবরে
শেষবার ভরিব হৃদয় মন দেহ
দূর করি সব কর্ম, সব তর্ক, সকল সন্দেহ,
সব খ্যাতি, সকল দুরাশা,
বলে যাব, “আমি যাই, রেখে যাই, মোর ভালোবাসা।’
See lessকবিতা : আফ্রিকা (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ) africa poem by rabindranath tagore in bengali script?
Durba
আফ্রিকা/ Africa পত্রপুট (১৯৩৬) কাব্য-এ ষােলাে সংখ্যক কবিতা – ‘উদ্ভান্ত সেই আদিম যুগে’ (নাম আফ্রিকা) কবি অমিয় চক্রবর্তী লিখে পাঠাবার জন্য অনুরােধ করায় ২৮ শে মাঘ ১৩৪৩, ইং ১২ ফ্রেব্রুয়ারি ১৯৩৬ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই কবিতাটি রচনা করেন। কবিতাটি প্রথমে প্রবাসী (চৈত্র ১৩৪৩) ও পরে কবিতাটির পত্রপুটের দ্বিতীRead more
আফ্রিকা/ Africa
পত্রপুট (১৯৩৬) কাব্য-এ ষােলাে সংখ্যক কবিতা – ‘উদ্ভান্ত সেই আদিম যুগে’ (নাম আফ্রিকা) কবি অমিয় চক্রবর্তী লিখে পাঠাবার জন্য অনুরােধ করায় ২৮ শে মাঘ ১৩৪৩, ইং ১২ ফ্রেব্রুয়ারি ১৯৩৬ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই কবিতাটি রচনা করেন।
কবিতাটি প্রথমে প্রবাসী (চৈত্র ১৩৪৩) ও পরে কবিতাটির পত্রপুটের দ্বিতীয় সংস্করণে (১৩৪৫) প্রকাশিত হয়। ৩রা অক্টোবর, ১৯৩৫ ফ্যাসিস্ত মুসােলিনির নির্দেশে ইতালীয় আক্রমণকারী সৈন্যদল অ্যাবিসিনিয়ায় (ইথিওপিয়া) আক্রমণ করে। রবীন্দ্রনাথ এখানে তার প্রতিবাদ করে আফ্রিকা, ‘ছায়াচ্ছন্ন আফ্রিকার সকল বন লাঞ্ছনার রক্তাক্ত ইতিহাসকে স্মরণ করে এক অনবদ্য কাব্য রূপ দিয়েছেন। বেদনায় ভারাক্রান্ত চিত্তে একান্ত মমতায় এক লাঞ্ছিত কৃয়া মানবীর রূপ এই কবিতায় তিনি নির্মাণ করেছেন। আবেদন রেখেছেন “দাঁড়াও ঐ মান-হারা মানবীর দ্বারে।”
আফ্রিকা কবিতার সম্পূর্ণ সারাংশ ও ব্যাখ্যার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
উদ্ভ্রান্ত সেই আদিম যুগে
স্রষ্টা যখন নিজের প্রতি অসন্তোষে
নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত,
তাঁর সেই অধৈর্যে ঘন-ঘন মাথা-নাড়ার দিনে
রুদ্র সমুদ্রের বাহু
প্রাচী ধরিত্রীর বুকের থেকে
ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে, আফ্রিকা,
বাঁধলে তোমাকে বনস্পতির নিবিড় পাহারায়
কৃপণ আলোর অন্তঃপুরে।
সেখানে নিভৃত অবকাশে তুমি
সংগ্রহ করছিলে দুর্গমের রহস্য,
চিনছিলে জলস্থল-আকাশের দুর্বোধ সংকেত,
প্রকৃতির দৃষ্টি-অতীত জাদু
মন্ত্র জাগাচ্ছিল তোমার চেতনাতীত মনে।
বিদ্রূপ করছিলে ভীষণকে
বিরূপের ছদ্মবেশে,
শঙ্কাকে চাচ্ছিলে হার মানাতে
আপনাকে উগ্র করে বিভীষিকার প্রচণ্ড মহিমায়
তাণ্ডবের দুন্দুভিনিনাদে।
হায় ছায়াবৃতা,
কালো ঘোমটার নীচে
অপরিচিত ছিল তোমার মানবরূপ
উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে।
এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে
নখ যাদের তীক্ষ্ণ তোমার নেকড়ের চেয়ে,
এল মানুষ-ধরার দল
গর্বে যারা অন্ধ তোমার সূর্যহারা অরণ্যের চেয়ে।
সভ্যের বর্বর লোভ
নগ্ন করল আপন নির্লজ্জ অমানুষতা।
তোমার ভাষাহীন ক্রন্দনে বাষ্পাকুল অরণ্যপথে
পঙ্কিল হল ধূলি তোমার রক্তে অশ্রুতে মিশে;
দস্যু-পায়ের কাঁটা-মারা জুতোর তলায়
বীভৎস কাদার পিণ্ড
চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে।
সমুদ্রপারে সেই মুহূর্তেই তাদের পাড়ায় পাড়ায়
মন্দিরে বাজছিল পুজোর ঘণ্টা
সকালে সন্ধ্যায়, দয়াময় দেবতার নামে;
শিশুরা খেলছিল মায়ের কোলে;
কবির সংগীতে বেজে উঠছিল
সুন্দরের আরাধনা।
আজ যখন পশ্চিমদিগন্তে
প্রদোষকাল ঝঞ্ঝাবাতাসে রুদ্ধশ্বাস,
যখন গুপ্তগহ্বর থেকে পশুরা বেরিয়ে এল,
অশুভ ধ্বনিতে ঘোষণা করল দিনের অন্তিমকাল,
এসো যুগান্তরের কবি,
আসন্ন সন্ধ্যার শেষ রশ্মিপাতে
দাঁড়াও ওই মানহারা মানবীর দ্বারে,
বলো “ক্ষমা করো’–
হিংস্র প্রলাপের মধ্যে
সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।
হে নূতন দেখা দিক ( রবীন্দ্রসঙ্গীত ) He nutan dekha dik arbar lyrics?
Durba
হে নূতন, দেখা দিক আর-বার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ হে নূতন, দেখা দিক আর-বার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ ।। তোমার প্রকাশ হোক কুহেলিকা করি উদঘাটন সূর্যের মতন । রিক্ততার বক্ষ ভেদি আপনারে করো উন্মোচন । ব্যক্ত হোক জীবনের জয়, ব্যক্ত হোক তোমামাঝে অসীমের চিরবিস্ময় । উদয়দিগন্তে শঙ্খ বাজে, মোর চিত্তমাঝে চিরনূতনেরে দিলRead more
হে নূতন, দেখা দিক আর-বার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ
হে নূতন,
দেখা দিক আর-বার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ ।।
তোমার প্রকাশ হোক কুহেলিকা করি উদঘাটন
সূর্যের মতন ।
রিক্ততার বক্ষ ভেদি আপনারে করো উন্মোচন ।
ব্যক্ত হোক জীবনের জয়,
ব্যক্ত হোক তোমামাঝে অসীমের চিরবিস্ময় ।
উদয়দিগন্তে শঙ্খ বাজে, মোর চিত্তমাঝে
চিরনূতনেরে দিল ডাক
পঁচিশে বৈশাখ ।।
আরও পড়ুনঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কবিতাসমূহ
Hey Nuton
Hey Nuton,
Dekha dik aarbaar jonmero prothom shubhokhon.
Tomar prokash hok kuhelika kori udghaton
suryer moton.
Riktotar bokkhyo bhedi aponarey koro unmochan.
Byakto hok jiboner joy,
Byakto hok tomamajhe asheemero chirobishshoy.
Udaydigantey shonkho baaje, mor chittomajhe
Chironuutonere dil dak
Ponchishey boishakh.
Hail the new
Hail the new,
Let the sacred hour of birth approach once more
May you appear in glory, unveiled from mist
as does the sun.
Reveal yourself from the emptiness of the soul
Let life be victorious once more,
Let the wonder of the infinite be revealed through your creation
Conch shells sound in celebration in the dawn skies within my soul
The call goes out for eternal renewal
From this twenty fifth day of Boishakh
জাতের নামে বজ্জাতি (নজরুল ইসলাম) Jater name bajjati lyrics?
Durba
জাতের নামে বজ্জাতি সব নজরুল ইসলাম জাতের নামে বজ্জাতি সব জাত-জালিয়াৎ খেলছ জুয়া!ছুঁলেই তোর জাত যাবে? জাত ছেলের হাতের নয়তো মোয়া।।হুঁকোর জল আর ভাতের হাঁড়ি – ভাব্লি এতেই জাতির জান,তাইত বেকুব, করলি তোরা এক জাতিকে একশ’-খান।এখন দেখিস ভারত জোড়া পঁচে আছিস বাসি মড়া,মানুষ নাই আজ, আছে শুধু জাত-শেয়ালের হুক্কাহুয়Read more
জাতের নামে বজ্জাতি সব
নজরুল ইসলাম
জাতের নামে বজ্জাতি সব জাত-জালিয়াৎ খেলছ জুয়া!
ছুঁলেই তোর জাত যাবে? জাত ছেলের হাতের নয়তো মোয়া।।
হুঁকোর জল আর ভাতের হাঁড়ি – ভাব্লি এতেই জাতির জান,
তাইত বেকুব, করলি তোরা এক জাতিকে একশ’-খান।
এখন দেখিস ভারত জোড়া পঁচে আছিস বাসি মড়া,
মানুষ নাই আজ, আছে শুধু জাত-শেয়ালের হুক্কাহুয়া।।
জানিস নাকি ধর্ম সে যে বর্ম সম সহন-শীল,
তাকে কি ভাই ভাঙ্তে পারে ছোঁয়া ছুঁয়ির ছোট্ট ঢিল!
যে জাত-ধর্ম ঠুন্কো এত, আজ নয় কা’ল ভাঙবে সে ত,
যাক্ না সে জাত জাহান্নামে, রইবে মানুষ, নাই পরোয়া।।
বলতে পারিস, বিশ্ব-পিতা ভগবানের কোন সে জাত?
কোন্ ছেলের তার লাগলে ছোঁয়া অশুচি হন জগন্নাথ?
ভগবানের জাত যদি নাই তোদের কেন জাতের বালাই?
ছেলের মুখে থুথু দিয়ে মার মুখে দিস ধূপের ধোঁয়া।।
Jater Name Bajjati Poem Recitation:
See lessboishakh kobita bangla text
Durba
Shubho Nabobarsho (Happy New Year) Poem এসো হে বৈশাখ এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ। তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে, বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক॥ যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে-যাওয়া গীতি, অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক॥মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা। রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসRead more
Shubho Nabobarsho (Happy New Year) Poem
এসো হে বৈশাখ
এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ।
তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক॥
যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে-যাওয়া গীতি,
অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক॥মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ।
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক॥- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (প্রকৃতি হতে সংগ্রহীত)
(গানের ঢং এ কলিগুলো)
See lessএসো হে বৈশাখ, এসো এসো
তাপস নিঃশ্বাস বায়ে
মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক যাক
এসো এসো… যাক পুরাতন স্মৃতি
যাক ভুলে যাওয়া গীতি
যাক অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক
যাক যাক
এসো এসো… মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা
অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা
রসের আবেশ রাশি
শুষ্ক করি দাও আসি
আনো আনো, আনো তব প্রলয়ের শাঁখ
মায়ার কুঁজঝটি জাল যাক, দূরে যাক যাক যাক
এসো এসো…