1. প্রাকৃতিক দুর্যোগ  (prakritik durjog) ভূমিকা : বিজ্ঞানের আশীর্বাদ আর বিশ্বায়নের দৌলতে সৃষ্টির উষা-লগ্ন থেকে প্রকৃতির নানা প্রতিকুলতার সঙ্গে মানুষ প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে চলেছে। যার ফলস্বরূপ বলা যায় একদিন যে প্রকৃতি মানুষকে ভয় দেখাত সে প্রকৃতিকে মানুষ অনেকটা বশীভূত করেছে। কিন্তু আকাশ, জলে স্থলে অন্Read more

    প্রাকৃতিক দুর্যোগ  (prakritik durjog)

    ভূমিকা : বিজ্ঞানের আশীর্বাদ আর বিশ্বায়নের দৌলতে সৃষ্টির উষা-লগ্ন
    থেকে প্রকৃতির নানা প্রতিকুলতার সঙ্গে মানুষ প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে চলেছে। যার
    ফলস্বরূপ বলা যায় একদিন যে প্রকৃতি মানুষকে ভয় দেখাত সে প্রকৃতিকে মানুষ
    অনেকটা বশীভূত করেছে। কিন্তু আকাশ, জলে স্থলে অন্তরিক্ষে মানুষ আজ আধিপত্য
    বিস্তার করলেও আজও যা প্রতিনিয়ত মানুষের বুকে ভয় পুঞ্জীভূত করে রেখেছে তা
    হলাে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। প্রতি বছরই পৃথিবীর কোন না কোন অংশে ঘটে চলেছে এই
    প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এই দুর্যোগে মানুষ যে কত অসহায় তা সহজে বুঝতে পারা যায়।
    দূর্যোগ কাকে বলে : আগাম জানান না দিয়ে হঠাৎ করে যখন কোন
    প্রাকৃতিক বা মনুষ্য সৃষ্টি বিপদজনক ঘটনা সংঘটিত হয়ে জনজীবন, পরিবেশ, সামাজিক
    ও অর্থনৈতিক পরিকাঠামো প্রভৃতি সম্পূর্ণ ধ্বংস কিংবা তছনছ করে দেয় এই রকম
    ঘটনাকে বলে দুর্যোগ। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলাে ভূমিকম্প, বন্যা, ভূমিখান,
    সুনামি, আয়েলা, ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, হারিকেন, ঝটিতি প্লাবন, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত,
    অতি বৃষ্টি, অনাবৃষ্টি ইত্যাদি।

    দুর্যোগের শ্রেণিবিভাগ : দুর্যোগ প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায় –
    যথা – (ক) প্রাকৃতিক দুর্যোগ, (খ) কৃত্রিম বা আকস্মিক দুর্ঘটনাজনিত দুর্যোগ।
    (ক) প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঈশ্বর সৃষ্ট যে সব দুর্যোগ অর্থাৎ যে সব দুর্যোগের
    পেছনে মানুষের কোন হাত থাকে না এবং যে দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি প্রাণ সংশয়ের ভয়
    থাকে এগুলিই প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এ দুর্যোগ গুলো হলাে – ভূমিগ্বলন, আগ্নেয়গিরির
    অগ্ন্যুৎপাত, ঘূর্ণিঝড়, আয়লা, সুনামি, বন্যা, ভূমিস্থলন তথা ধস নামা, অতিবৃষ্টি,
    অনাবৃষ্টি ইত্যাদি।
    (খ) কৃত্রিম বা আকস্মিক দুর্ঘটনাজনিত দুর্যোগ : মানুষের দ্বারা সৃষ্ট দুর্ঘটনাগুলিই
    হলাে কৃত্রিম বা আকস্মিক দুর্ঘটনা। এগুলির মধ্যে যানবাহন জনিত দুর্ঘটনা, রাসায়নিক
    কারখানায় সংঘটিত দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎ সংক্রান্ত দুর্ঘটনা, বিশাল জমায়েতে মানুষের পদপিষ্ট
    হওয়া, মানুষে মানুষে দাঙ্গা ইত্যাদি।

    দুর্যোগের বৈশিষ্ট্য : দুর্যোগের বৈশিষ্ট্যগুলি হলাে (ক) আগাম জানান না
    দিয়েই আকস্মিকভাবে এসে উপস্থিত হয়। (খ) এটা প্রাত্যহিক ঘটনা নয়। (গ) এ
    অতি দ্রুতগতি সম্পন্ন। (ঘ) দুর্যোগের কাণ্ড কারখানা অনিশ্চয়তায় ভরা। (ঙ) জরুরি
    অবস্থার সৃষ্টি করে থাকে। (চ) প্রায়শ অসংখ্য জীবনধ্বংসকারী। (ছ) অর্থনৈতিক ও
    পরিকাঠামোগত সমস্ত কিছুকে মুহুর্তে বিধ্বস্ত করে ফেলে।

    সরকার কর্তৃক দুর্যোগের শ্রেণিবিভাগ : দুর্যোগ গুলোর মােকাবিলার
    জন্য ভারত সরকার ১৯৯৯ সালে এক উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করে দেন। এই
    কমিটি বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ সম্পর্কে যথেষ্ট বিচার-বিবেচনা করে দুর্যোগ গুলো প্রধানতঃ
    পাঁচটি ভাগে বিভক্ত করেছেন। যথা – (১) জল ও জলবায়ু সংক্রান্ত দুর্যোগ- এগুলির
    মধ্যে পড়ে – বন্যা, ঝড়, ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, হারিকেন, আয়েলা প্রভৃতি। (২)
    ভূতত্ত্বীয় বা ভূ স্তর সংক্রান্ত দুর্যোগ, (৩) রাসায়নিক ও ঔদ্যোগিক পরি ঘটনা সংক্রান্ত
    দুর্যোগ, (৪) বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনাজনিত দুর্যোগ ও (৫) জৈব-বিষয়ক দুর্যোগ।
    ৬। ভূ-তত্বীয় বা ভূ-স্তর সংক্রান্ত দুর্যোগ ও পৃথিবীর অভ্যন্তরে তাপ, চাপ, গ্যাস
    প্রভৃতির ভারসাম্য নষ্ট হলেই প্রচণ্ড আলােড়নের সৃষ্টি হয়। আর তারই ফলে ভীষণভাবে
    কেঁপে উঠে পৃথিবী। প্রকৃতির রােষপ্ত এই প্রলয় নাচনে তখন নিমেষে নির্মমভাবে
    ধ্বংস হয়ে যায় সভ্য মানুষের সাজানাে বাগান – অকাতরে নষ্ট হয় প্রাণ ও সম্পত্তি।
    হাহাকারে ভরে যায় বাতাস। আর বিজ্ঞানের দানে অন্ধভােগবাদী মানুষ তখন ওুধুহ
    নির্বাক দর্শক – নিরুপায় শিকার। ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বিরাট প্রাকৃতিক বিপর্যয়। মানুষের নিশ্চিন্ত জীবনে আচমকা ঝাপিয়ে পড়ে এধরনের বিপদ। এক একটি ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির হার মারাত্মক রকমের। মানুষের কত সাধনায় সাজানাে গৌরব চুরমার হয়ে যায় এক
    লহমায়। অসংখ্য মানুষ, পণ, পাখির প্রাণ ঝরে যায় গাছের পাতার মতাে কিন্তু
    প্রকৃতির এই কাল অভিশাপের খবর আগাম পেতে ভ-তাত্ত্বিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা
    করে চলছেন।

    উপসংহার : প্রাকৃতিক তাণ্ডব মানুষের বিজ্ঞান-বুদ্ধির বড়াইকে বুড়ো
    আঙ্গুল দেখিয়ে চরম বিদ্রপ করে চলেছে এর মধ্যে কিছুটা মানুষের কৃত কর্মের ফলও
    আছে। যার ফলে মাঝে মাঝে প্রকৃতি রৌদ্র মুক্তি ধারণ করে। মানুষ বহু চেষ্টায়
    প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ এবং কিছুটা আত্মরক্ষার উপায় বের করতে সক্ষম হলেও
    সম্পূর্ণভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানাের ব্যবস্থা করতে আজও
    শেখেনি। হয়তাে শেখা সম্ভবও নয়। কেননা, প্রকৃতির বিশালতা ও প্রচণ্ডতার কাছে
    মানুষের দুর্দশা বুঝি কোন মতেই ঘুচবার নয়।

    See less
    • 2
  2. This answer was edited.

    কম্পিউটার ( Computer Rachana) ভূমিকা : বিজ্ঞান আধুনিক জগতের অগ্রগতিকে নিত্য নূতন দানে সমৃদ্ধ ও প্রাণবন্ত করে রেখেছে। কম্পিউটার আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। এমনকী প্রাইমারির ছাত্র - সেও জানে কম্পিউটারের নাম। শুধুমাত্র নাম জানা নয়, ক্লাসে, বাড়িতে সে কম্পিউটারের বান্সের সম্মুখে বসে বােতামRead more

    কম্পিউটার ( Computer Rachana)

    ভূমিকা : বিজ্ঞান আধুনিক জগতের অগ্রগতিকে নিত্য নূতন দানে সমৃদ্ধ ও
    প্রাণবন্ত করে রেখেছে। কম্পিউটার আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার।
    এমনকী প্রাইমারির ছাত্র – সেও জানে কম্পিউটারের নাম। শুধুমাত্র নাম জানা নয়,
    ক্লাসে, বাড়িতে সে কম্পিউটারের বান্সের সম্মুখে বসে বােতাম টেপা টেপি করছে। কুল
    কলেজের ছাত্র নিচ্ছে কম্পিউটারের পাঠ। আবার নিজেকে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের প্রস্তুতি
    নিতে দল বেঁধে ছেলেমেয়েরা ভর্তি হচ্ছে কম্পিউটার শিক্ষাকেন্দ্রে। সারা বিশ্বে আজ
    কম্পিউটারের একচ্ছত্র আধিপত্য। তাই কম্পিউটারই আজ আবালবৃদ্ধবনিতার ধ্যান
    জন।

    কম্পিউটারের স্বরূপ : কম্পিউটারের বাংলা নাম যন্ত্রগণক। কিন্তু শুধু
    এই নামটি দিয়ে কম্পিউটারের বিস্ময়কর কাণ্ড-কারখানা বােঝানাে যায় না। কম্পিউটারের
    কাজ হল – তথ্য সংগ্রহ, তথ্যের প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাত তথ্য
    সরবরাহ। এই সবগুলি কাজকে একত্রে কম্পিউটার ব্যবস্থা বলা হয়। এই ব্যবস্থায়
    ধরনের যন্ত্রপাতি থাকে। এক ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে কম্পিউটারে তথ্য পাঠানাে হয়,
    আর অন্য ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে কম্পিউটারে জমিয়ে রাখা বা প্রক্রিয়াজাত তথ্যগুলি
    ব্যবহারকারীর কাছে পৌছে দেওয়া হয়। প্রথম ধরনের যন্ত্রের নাম ইনপুট যন্ত্র আর
    দ্বিতীয় ধরনের নাম আউটপুট যন্ত্র। ইনপুট যন্ত্রে রয়েছে মাউস, কি-বাের্ড, স্ক্যানার।
    ইত্যাদি আর আউটপুট যন্ত্রে রয়েছে – স্ক্রিন, স্পীকার, প্রিন্টার ইত্যাদি।

    হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার : কম্পিউটারের মূল দুটি অংশ হল – হার্ডওয়্যার
    ও সফটওয়্যার। হার্ডওয়্যার বলতে কম্পিউটারের মধ্যে যত সব যন্ত্রপাতি রয়েছে,
    সেগুলিকে বােঝায়। বিভিন্ন পদ্ধতি, রুটিন, প্রোগ্রাম সফটওয়্যার বলা হয়। দুপ্রকারের
    সফটওয়্যার আছে। যেমন – অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ও অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার।
    কোন কিছু লেখা, ছবি আঁকা, হিসাব নিকাশ সব করা হয় অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের
    সাহায্যে। আর অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় কম্পিউটার চালানোর
    জন্য।
    বিস্ময়কর কম্পিউটার : কম্পিউটারকে এক কথায় বলা যেতে পারে পৃথিবীর
    সর্ববৃহৎ ভান্ডার ঘর। এই ভান্ডার ঘরের কোনে সীমা পরিসীমা নেই। এই ঘরে যত
    খুশি তথ্য ঢুকিয়ে রাখা যায়। হাজার হাজার বইয়ের পাতা কম্পিউটার তার পেট্টে জমা
    রাখতে পারে। আবার মানুষের যখন প্রয়োজন তখন সে তা বের করে দিতেও পারে ৷
    কম্পিউটারে একটা ইদুরের মতাে যন্ত্র আছে, তার নাম ‘মাউস’। এটি নেড়ে কম্পিউটারকে
    নির্দেশ দিলে, আপনার নির্দেশ মতো প্রয়োজনীয় তথ্য আপনার চোখের আসে
    কম্পিউটার হাজির করে দিবে।

    ব্যবহারে সুবিধা : কম্পিউটার ব্যবহারে চারটি প্রধান সুবিধা উল্লেখযোগ্য।
    অতি অল্প সময়ে এর মাধ্যমে বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা যায় ।প্রভূত
    তথ্যকে সঞ্চিত ও সজ্জিত করে রাখার ক্ষমতা এর আছে। এই যন্ত্রগণক নির্ভুল তথ্য
    ও কার্যক্রমের অনুসরণে নির্ভুল অনায়াসসাধ্য সমাধান করে দিতে পারে। তথ্য ও
    কার্যক্রমের বৈচিত্র্য অনুসরণে সূক্ষ ও জটিল কার্য সম্পাদন করার অভাবনীয় ক্ষমতা
    এর আছে।

    ইন্টারনেট, ই-মেইল : কম্পিউটারের দৌলতে আজ গােটা পৃথিবীটা মানুষের
    হাতের মুঠোয় এসে গেছে। কম্পিউটারের কল্যাণে বিশ্ব জুড়ে চালু হয়েছে ইন্টারনেট,
    ই-মেল, ওয়েব সাইট ইত্যাদি বিস্ময়কর পরিষেবা। টেলিফোনের বদলে কম্পিউটার
    থেকে কম্পিউটারে উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে তথ্য আধান প্রধান করাই হল
    ইন্টারনেট সিস্টেম। ই-মেল হল ইলেকট্রনিক মেইল। ইন্টারনেটের মাধ্যমে মুহূর্তে ই.
    মেলের বার্তা প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায়। ইন্টারনেটের সাহায্যে সারা বিশ্বের জ্ঞান ভান্ডার কে নিজস্ব কম্পিউটারে সংগ্রহ করে রাখা যায় এবং নতুন কোন প্রোাম চালু
    করা যায়।

    বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার : মানবজীবনে কম্পিউটার যে কীভাবে পরিষেণা
    দিয়ে চলেছে, তা বলে শেষ করা যাবে না। এর সাহায্যে কোনও প্রতিষ্ঠানের বিপুল
    সংখ্যক কর্মীদের মাসিক বেতন এবং বাৎসরিক আয় ব্যয়ের হিসাব নির্ণয় করা হয়ে
    থাকে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে এর নানা প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার
    কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া পরীক্ষার ফল প্রকাশ, মহাকাশযানের নির্ভুল
    উৎক্ষেপণ ও গতিপথ নির্দেশ ইত্যাদি সব বিচিত্র কাজই এই যন্ত্র নির্ভুলভাবে করে
    থাকে।
    তথ্য প্রযুক্তির প্রসার : বর্তমান যুগকে তথ্য প্রযুক্তির যুগ বলা হয়। তথ্য
    প্রযুক্তি আজ একটা জীবনমুখী বিদ্যা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আজ বহু ছাত্রছাত্রী
    তথ্য প্রযুক্তিবিদ্যায় শিক্ষা প্রাপ্তি হয়ে জীবিকার নতুন পথ খুঁজে পেয়েছে। এই প্রযুক্তির
    অনেক কম্পিউটার। আজ কম্পিউটার প্রচুর বেকারের রােজগারের সংস্থান করে
    দিয়েছে।
    উপসংহার : কম্পিউটার অসাধ্য সাধন করে চলেছে। অসম্ভবকে সম্ভব।
    করেছে। প্রযুক্তিবিদ্যার দ্বারা কম্পিউটার পৃথিবীর চেহারা পাল্টে দিচ্ছে। পদার্থ বিজ্ঞানী
    লরেন্স ক্রস বলেছেন, বিবর্তন যদি মানুষের এগিয়ে চলার মূল নীতি হয়, তাহলে
    আগামী দিনে সমাজ বদলে সবচেয়ে বড়াে ভূমিকা নিবে কম্পিউটার। কম্পিউটার
    বহুল পরিমাণে ব্যবহারের ফলে বেকারত্ব বাড়বে কারণ কম্পিউটার চারজন মানুষের
    কাজ একসঙ্গে করতে পারে। তথাপি আধুনিক জীবনে কম্পিউটারকে মেনে নিতেই
    হবে।

    See less
    • 1
  3. আমি বাংলায় গান গাই (Ami Banglay gaan gai) আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই আমি আমার আমিকে চিরদিন-এই বাংলায় খুঁজে পাই।। আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন, আমি বাংলায় বাঁধি সুর আমি এই বাংলার মায়া ভরা পথে, হেটেছি এতটা দূর, বাংলা আমার জীবনানন্দ, বাংলা প্রাণের সুখ আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলRead more

    আমি বাংলায় গান গাই (Ami Banglay gaan gai)

    আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই
    আমি আমার আমিকে চিরদিন-এই বাংলায় খুঁজে পাই।।
    আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন, আমি বাংলায় বাঁধি সুর
    আমি এই বাংলার মায়া ভরা পথে, হেটেছি এতটা দূর,
    বাংলা আমার জীবনানন্দ, বাংলা প্রাণের সুখ
    আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ।।

    আমি বাংলায় কথা কই, আমি বাংলার কথা কই
    আমি বাংলায় ভাসি, বাংলায় হাসি, বাংলায় জেগে রই
    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখেশুনে খেপে গিয়ে-করি বাংলায় চিৎকার,
    বাংলা আমার দৃপ্ত স্লোগান, ক্ষিপ্ত তীর ধনুক
    আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ।।

    আমি বাংলায় ভালোবাসি, আমি বাংলাকে ভালোবাসি
    আমি তারই হাত ধরে সারা পৃথিবীর-মানুষের কাছে আসি
    আমি যা কিছু মহান বরণ করেছি বিনম্র শ্রদ্ধায়
    মিশে তেরো নদী, সাত সাগরের জল গঙ্গায়-পদ্মায়
    বাংলা আমার তৃষ্ণার জল, তৃপ্ত শেষ চুমুক
    আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ।।

    – প্রতুল মুখোপাধ্যায়

    See less
    • 0
  4. আমি বাংলার গান গাই (Ami Banglar gaan gai) আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই আমি আমার আমিকে চিরদিন-এই বাংলায় খুঁজে পাই।। আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন, আমি বাংলায় বাঁধি সুর আমি এই বাংলার মায়া ভরা পথে, হেটেছি এতটা দূর, বাংলা আমার জীবনানন্দ, বাংলা প্রাণের সুখ আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলাRead more

    আমি বাংলার গান গাই (Ami Banglar gaan gai)

    আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই
    আমি আমার আমিকে চিরদিন-এই বাংলায় খুঁজে পাই।।
    আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন, আমি বাংলায় বাঁধি সুর
    আমি এই বাংলার মায়া ভরা পথে, হেটেছি এতটা দূর,
    বাংলা আমার জীবনানন্দ, বাংলা প্রাণের সুখ
    আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ।।

    আমি বাংলায় কথা কই, আমি বাংলার কথা কই
    আমি বাংলায় ভাসি, বাংলায় হাসি, বাংলায় জেগে রই
    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখেশুনে খেপে গিয়ে-করি বাংলায় চিৎকার,
    বাংলা আমার দৃপ্ত স্লোগান, ক্ষিপ্ত তীর ধনুক
    আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ।।

    আমি বাংলায় ভালোবাসি, আমি বাংলাকে ভালোবাসি
    আমি তারই হাত ধরে সারা পৃথিবীর-মানুষের কাছে আসি
    আমি যা কিছু মহান বরণ করেছি বিনম্র শ্রদ্ধায়
    মিশে তেরো নদী, সাত সাগরের জল গঙ্গায়-পদ্মায়
    বাংলা আমার তৃষ্ণার জল, তৃপ্ত শেষ চুমুক
    আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ।।

    – প্রতুল মুখোপাধ্যায়

    See less
    • 0
  5. অনন্ত প্রেম | Anonto Prem | Unending love তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি শত রূপে শত বার জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার। চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয় গাঁথিয়াছে গীতহার, কত রূপ ধরে পরেছ গলায়, নিয়েছ সে উপহার জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার। যত শুনি সেই অতীত কাহিনী, প্রাচীন প্রেমের ব্যথা, অতি পুরাতন বিরহমিলনকথা, অসীম অতRead more

    অনন্ত প্রেম | Anonto Prem | Unending love

    তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি
    শত রূপে শত বার
    জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার।
    চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয়
    গাঁথিয়াছে গীতহার,
    কত রূপ ধরে পরেছ গলায়,
    নিয়েছ সে উপহার
    জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।
    যত শুনি সেই অতীত কাহিনী,
    প্রাচীন প্রেমের ব্যথা,
    অতি পুরাতন বিরহমিলনকথা,
    অসীম অতীতে চাহিতে চাহিতে
    দেখা দেয় অবশেষে
    কালের তিমিররজনী ভেদিয়া
    তোমারি মুরতি এসে,
    চিরস্মৃতিময়ী ধ্রুবতারকার বেশে।
    আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি
    যুগল প্রেমের স্রোতে
    অনাদিকালের হৃদয়-উৎস হতে।
    আমরা দুজনে করিয়াছি খেলা
    কোটি প্রেমিকের মাঝে
    বিরহবিধুর নয়নসলিলে,
    মিলনমধুর লাজে–
    পুরাতন প্রেম নিত্যনূতন সাজে।
    আজি সেই চিরদিবসের প্রেম
    অবসান লভিয়াছে
    রাশি রাশি হয়ে তোমার পায়ের কাছে।
    নিখিলের সুখ, নিখিলের দুখ,
    নিখিল প্রাণের প্রীতি,
    একটি প্রেমের মাঝারে মিশেছে
    সকল প্রেমের স্মৃতি–
    সকল কালের সকল কবির গীতি।

    See less
    • 0
  6. অনন্ত প্রেম | Anonto Prem | Unending love তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি শত রূপে শত বার জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার। চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয় গাঁথিয়াছে গীতহার, কত রূপ ধরে পরেছ গলায়, নিয়েছ সে উপহার জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার। যত শুনি সেই অতীত কাহিনী, প্রাচীন প্রেমের ব্যথা, অতি পুরাতন বিরহমিলনকথা, অসীম অতRead more

    অনন্ত প্রেম | Anonto Prem | Unending love

    তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি
    শত রূপে শত বার
    জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার।
    চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয়
    গাঁথিয়াছে গীতহার,
    কত রূপ ধরে পরেছ গলায়,
    নিয়েছ সে উপহার
    জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।
    যত শুনি সেই অতীত কাহিনী,
    প্রাচীন প্রেমের ব্যথা,
    অতি পুরাতন বিরহমিলনকথা,
    অসীম অতীতে চাহিতে চাহিতে
    দেখা দেয় অবশেষে
    কালের তিমিররজনী ভেদিয়া
    তোমারি মুরতি এসে,
    চিরস্মৃতিময়ী ধ্রুবতারকার বেশে।
    আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি
    যুগল প্রেমের স্রোতে
    অনাদিকালের হৃদয়-উৎস হতে।
    আমরা দুজনে করিয়াছি খেলা
    কোটি প্রেমিকের মাঝে
    বিরহবিধুর নয়নসলিলে,
    মিলনমধুর লাজে–
    পুরাতন প্রেম নিত্যনূতন সাজে।
    আজি সেই চিরদিবসের প্রেম
    অবসান লভিয়াছে
    রাশি রাশি হয়ে তোমার পায়ের কাছে।
    নিখিলের সুখ, নিখিলের দুখ,
    নিখিল প্রাণের প্রীতি,
    একটি প্রেমের মাঝারে মিশেছে
    সকল প্রেমের স্মৃতি–
    সকল কালের সকল কবির গীতি।

    See less
    • 0
  7. কৃষ্ণকলি    krishnokoli কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি, কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক। মেঘলা দিনে দেখেছিলেম মাঠে কালো মেঘের কালো হরিণ-চোখ। ঘোমটা মাথায় ছিল না তার মোটে, মুক্তবেণী পিঠের ‘পরে লোটে। কালো? তা সে যতই কালো হোক, দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ। ঘন মেঘে আঁধার হল দেখে ডাকতেছিল শ্যামল দুটি গাই, শ্যামা মেয়ে ব্যRead more

    কৃষ্ণকলি    krishnokoli

    কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি, কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক।
    মেঘলা দিনে দেখেছিলেম মাঠে কালো মেঘের কালো হরিণ-চোখ।
    ঘোমটা মাথায় ছিল না তার মোটে, মুক্তবেণী পিঠের ‘পরে লোটে।
    কালো? তা সে যতই কালো হোক, দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।

    ঘন মেঘে আঁধার হল দেখে ডাকতেছিল শ্যামল দুটি গাই,
    শ্যামা মেয়ে ব্যস্ত ব্যাকুল পদে কুটির হতে ত্রস্ত এল তাই।
    আকাশ-পানে হানি যুগল ভুরু শুনলে বারেক মেঘের গুরুগুরু।
    কালো? তা সে যতই কালো হোক, দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।

    পূবে বাতাস এল হঠাৎ ধেয়ে, ধানের ক্ষেতে খেলিয়ে গেল ঢেউ।
    আলের ধারে দাঁড়িয়েছিলেম একা, মাঠের মাঝে আর ছিল না কেউ।
    আমার পানে দেখলে কি না চেয়ে আমি জানি আর জানে সেই মেয়ে।
    কালো? তা সে যতই কালো হোক, দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।

    এমনি করে কালো কাজল মেঘ জ্যৈষ্ঠ মাসে আসে ঈশান কোণে।
    এমনি করে কালো কোমল ছায়া আষাঢ় মাসে নামে তমাল-বনে।
    এমনি করে শ্রাবণ-রজনীতে হঠাৎ খুশি ঘনিয়ে আসে চিতে।
    কালো? তা সে যতই কালো হোক, দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।

    কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি, আর যা বলে বলুক অন্য লোক।
    দেখেছিলেম ময়নাপাড়ার মাঠে কালো মেয়ের কালো হরিণ-চোখ।
    মাথার ‘পরে দেয় নি তুলে বাস, লজ্জা পাবার পায় নি অবকাশ।
    কালো? তা সে যতই কালো হোক, দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ॥

    See less
    • 1
  8. অনন্ত প্রেম  Unending love তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি শত রূপে শত বার জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার। চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয় গাঁথিয়াছে গীতহার, কত রূপ ধরে পরেছ গলায়, নিয়েছ সে উপহার জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার। যত শুনি সেই অতীত কাহিনী, প্রাচীন প্রেমের ব্যথা, অতি পুরাতন বিরহমিলনকথা, অসীম অতীতে চাহিতে চাহিRead more

    অনন্ত প্রেম  Unending love

    তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি
    শত রূপে শত বার
    জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার।
    চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয়
    গাঁথিয়াছে গীতহার,
    কত রূপ ধরে পরেছ গলায়,
    নিয়েছ সে উপহার
    জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।
    যত শুনি সেই অতীত কাহিনী,
    প্রাচীন প্রেমের ব্যথা,
    অতি পুরাতন বিরহমিলনকথা,
    অসীম অতীতে চাহিতে চাহিতে
    দেখা দেয় অবশেষে
    কালের তিমিররজনী ভেদিয়া
    তোমারি মুরতি এসে,
    চিরস্মৃতিময়ী ধ্রুবতারকার বেশে।
    আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি
    যুগল প্রেমের স্রোতে
    অনাদিকালের হৃদয়-উৎস হতে।
    আমরা দুজনে করিয়াছি খেলা
    কোটি প্রেমিকের মাঝে
    বিরহবিধুর নয়নসলিলে,
    মিলনমধুর লাজে–
    পুরাতন প্রেম নিত্যনূতন সাজে।
    আজি সেই চিরদিবসের প্রেম
    অবসান লভিয়াছে
    রাশি রাশি হয়ে তোমার পায়ের কাছে।
    নিখিলের সুখ, নিখিলের দুখ,
    নিখিল প্রাণের প্রীতি,
    একটি প্রেমের মাঝারে মিশেছে
    সকল প্রেমের স্মৃতি–
    সকল কালের সকল কবির গীতি।

    See less
    • 0
  9. গান্ধারীর আবেদন | gandharir abedan by Rabindranath Tagore দুর্যোধন । নিন্দা! আর নাহি ডরি , নিন্দারে করিব ধ্বংস কণ্ঠরুদ্ধ করি । নিস্তব্ধ করিয়া দিব মুখরা নগরী স্পর্ধিত রসনা তার দৃঢ়বলে চাপি মোর পাদপীঠতলে । “ দুর্যোধন পাপী ” “ দুর্যোধন ক্রূরমনা ” “ দুর্যোধন হীন ” নিরুত্তরে শুনিয়া এসেছি এতদিন , রাজদণ্Read more

    গান্ধারীর আবেদন | gandharir abedan by Rabindranath Tagore

    দুর্যোধন ।

    নিন্দা! আর নাহি ডরি ,
    নিন্দারে করিব ধ্বংস কণ্ঠরুদ্ধ করি ।
    নিস্তব্ধ করিয়া দিব মুখরা নগরী
    স্পর্ধিত রসনা তার দৃঢ়বলে চাপি
    মোর পাদপীঠতলে । “ দুর্যোধন পাপী ”
    “ দুর্যোধন ক্রূরমনা ” “ দুর্যোধন হীন ”
    নিরুত্তরে শুনিয়া এসেছি এতদিন ,
    রাজদণ্ড স্পর্শ করি কহি মহারাজ ,
    আপামর জনে আমি কহাইব আজ —
    “ দুর্যোধন রাজা , দুর্যোধন নাহি সহে
    রাজনিন্দা-আলোচনা , দুর্যোধন বহে
    নিজ হস্তে নিজ নাম । ”

    ধৃতরাষ্ট্র ।

    ওরে বৎস , শোন্‌ ,
    নিন্দারে রসনা হতে দিলে নির্বাসন
    নিম্নমুখে অন্তরের গূঢ় অন্ধকারে
    গভীর জটিল মূল সুদূরে প্রসারে ,
    নিত্য বিষতিক্ত করি রাখে চিত্ততল ।
    রসনায় নৃত্য করি চপল চঞ্চল
    নিন্দা শ্রান্ত হয়ে পড়ে ; দিয়ো না তাহারে
    নিঃশব্দে আপন শক্তি বৃদ্ধি করিবারে
    গোপন হৃদয়দুর্গে । প্রীতিমন্ত্রবলে
    শান্ত করো , বন্দী করো নিন্দাসর্পদলে
    বংশীরবে হাস্যমুখে ।

    দুর্যোধন ।

    অব্যক্ত নিন্দায়
    কোনো ক্ষতি নাহি করে রাজমর্যাদায় ;
    ভ্রূক্ষেপ না করি তাহে । প্রীতি নাহি পাই
    তাহে খেদ নাহি , কিন্তু স্পর্ধা নাহি চাই
    মহারাজ! প্রীতিদান স্বেচ্ছার অধীন ,
    প্রীতিভিক্ষা দিয়ে থাকে দীনতম দীন —
    সে প্রীতি বিলাক তারা পালিত মার্জারে ,
    দ্বারের কুক্কুরে , আর পাণ্ডবভ্রাতারে —
    তাহে মোর নাহি কাজ । আমি চাহি ভয় ,
    সেই মোর রাজপ্রাপ্য — আমি চাহি জয়
    দর্পিতের দর্প নাশি ।

    See less
    • 0
  10. আমার হিয়ার মাঝে (amar hiyar majhe lyrics) আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে আমি পাই নি। তোমায় দেখতে আমি পাই নি। বাহির-পানে চোখ মেলেছি, আমার হৃদয়-পানে চাই নি ॥ আমার সকল ভালোবাসায় সকল আঘাত সকল আশায় তুমি ছিলে আমার কাছে, তোমার কাছে যাই নি ॥ তুমি মোর আনন্দ হয়ে ছিলে আমার খেলায়– আনন্দে তাই ভুলেছিলRead more

    আমার হিয়ার মাঝে (amar hiyar majhe lyrics)

    আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে আমি পাই নি।
    তোমায় দেখতে আমি পাই নি।
    বাহির-পানে চোখ মেলেছি, আমার হৃদয়-পানে চাই নি ॥
    আমার সকল ভালোবাসায় সকল আঘাত সকল আশায়
    তুমি ছিলে আমার কাছে, তোমার কাছে যাই নি ॥
    তুমি মোর আনন্দ হয়ে ছিলে আমার খেলায়–
    আনন্দে তাই ভুলেছিলেম, কেটেছে দিন হেলায়।
    গোপন রহি গভীর প্রাণে আমার দুঃখসুখের গানে
    সুর দিয়েছ তুমি, আমি তোমার গান তো গাই নি ॥

    See less
    • 0