Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
What is appease meaning in bengali?
তুষ্ট করা, প্রশমিত করা, তৃপ্ত করা, খুশি করা
তুষ্ট করা, প্রশমিত করা,
তৃপ্ত করা, খুশি করা
See lesspod kake bole (পদ কাহাকে বলে ?)
বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দকে পদ বলে। পদ মোট ৫ প্রকার– ১. বিশেষ্য ২. বিশেষণ ৩. সর্বনাম ৪. ক্রিয়া ৫. অব্যয়
বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দকে পদ বলে।
পদ মোট ৫ প্রকার–
১. বিশেষ্য
২. বিশেষণ
৩. সর্বনাম
৪. ক্রিয়া
৫. অব্যয়
See lessমন মাঝিরে, বল না কোথায়? গানের কথা চাই | mon majhi re lyrics by Arijit Singh
মনে মেঘ জমতে থাকে পড়ে যাই দুর্বিপাকে চিন্তা তে তোর, কাটছে প্রহর শান্তি নেই এই যন্ত্রণার মন মাঝি রে.. বল না কোথায় মন মাঝি রে.. আয় ফিরে আয় আয় ফিরে আয়, আয় ফিরে আয় আয় ফিরে আয় একা রাত, বাকা চাঁদ লাগেনা ভালো রে আর ও.. নেই রোধ নেই রং জানি নাই কিচ্ছুই করার ও.. একা রাত বাকা চাঁদ লাগেনা ভালো রে আর নেই রোধ নাRead more
মনে মেঘ জমতে থাকে
পড়ে যাই দুর্বিপাকে
চিন্তা তে তোর, কাটছে প্রহর
শান্তি নেই এই যন্ত্রণার
মন মাঝি রে.. বল না কোথায়
মন মাঝি রে.. আয় ফিরে আয়
আয় ফিরে আয়, আয় ফিরে আয়
আয় ফিরে আয়
একা রাত, বাকা চাঁদ
লাগেনা ভালো রে আর ও..
নেই রোধ নেই রং
জানি নাই কিচ্ছুই করার ও..
একা রাত বাকা চাঁদ
লাগেনা ভালো রে আর
নেই রোধ নাই রং
জানি নেই কিছুই করার
পড়ছে মনে মুখের আদোল
ভাঙ্গে বুক ভাংছে পাহাড়
মন মাঝি রে.. বল না কোথায়
মন মাঝি রে.. আয় ফিরে আয়
আয় ফিরে আয়, আয় ফিরে আয়
আয় ফিরে আয়
নিজেকেই মনে হয় বলে দি
See lessএ সবই ভুল ও..
ঝরে জাক পড়ে যাক
আদরে ফোটানো ফুল (x2)
চিন্তাতে তোর কাটছে প্রহর
শান্তি নেই এ যন্ত্রনার
মন মাঝি রে বল না কোথায়
মন মাঝি রে আয় ফিরে আয়
আয় ফিরে আয়, আয় ফিরে আয়
আয় ফিরে আয়….
কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া সংগীত| kotobaro vebechinu lyrics?
কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া তোমার চরণে দিব হৃদয় খুলিয়া। চরণে ধরিয়া তব কহিব প্রকাশি গোপনে তোমারে, সখা, কত ভালোবাসি। ভেবেছিনু কোথা তুমি স্বর্গের দেবতা, কেমনে তোমারে কব প্রণয়ের কথা। ভেবেছিনু মনে মনে দূরে দূরে থাকি চিরজন্ম সঙ্গোপনে পূজিব একাকি-- কেহ জানিবে না মোর গভীর প্রণয়, কেহ দেখিবে না মোর অশ্রুRead more
কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া
তোমার চরণে দিব হৃদয় খুলিয়া।
চরণে ধরিয়া তব কহিব প্রকাশি
গোপনে তোমারে, সখা, কত ভালোবাসি।
ভেবেছিনু কোথা তুমি স্বর্গের দেবতা,
কেমনে তোমারে কব প্রণয়ের কথা।
ভেবেছিনু মনে মনে দূরে দূরে থাকি
চিরজন্ম সঙ্গোপনে পূজিব একাকি–
কেহ জানিবে না মোর গভীর প্রণয়,
কেহ দেখিবে না মোর অশ্রুবারিচয়।
আপনি আজিকে যবে শুধাইছ আসি,
See lessকেমনে প্রকাশি কব কত ভালোবাসি।
থাকব না কো বদ্ধ ঘরে দেখব এবার জগৎটাকে (কাজী নজরুল ইসলাম) Dekhbo Ebar Jogot take full poem
সংকল্প | Shonkolpo কাজী নজরুল ইসলাম | Kazi Nazrul Islam থাকব না কো বদ্ধ ঘরে, দেখব এবার জগৎটাকে, – কেমন করে ঘুরছে মানুষ যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে। দেশ হতে দেশ দেশান্তরে ছুটছে তারা কেমন করে, কিসের নেশায় কেমন করে মরছে যে বীর লাখে লাখে, কিসের আশায় করছে তারা বরণ মরন-যন্ত্রণারে।। কেমন করে বীর ডুবুরি সিন্ধু সেRead more
সংকল্প | Shonkolpo
কাজী নজরুল ইসলাম | Kazi Nazrul Islam
থাকব না কো বদ্ধ ঘরে, দেখব এবার জগৎটাকে, –
কেমন করে ঘুরছে মানুষ যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে।
দেশ হতে দেশ দেশান্তরে
ছুটছে তারা কেমন করে,
কিসের নেশায় কেমন করে মরছে যে বীর লাখে লাখে,
কিসের আশায় করছে তারা বরণ মরন-যন্ত্রণারে।।
কেমন করে বীর ডুবুরি সিন্ধু সেঁচে মুক্তা আনে,
কেমন করে দুঃসাহসী চলছে উড়ে স্বর্গপানে।
জাপটে ধরে ঢেউয়ের ঝুঁটি
যুদ্ধ-জাহাজ চলছে ছুটি,
কেমন করে আনছে মানিক বোঝাই করে সিন্ধু-যানে,
কেমন জোরে টানলে সাগর উথলে ওঠে জোয়ার-বানে।
কেমন করে মথলে পাথার লক্ষ্মী ওঠেন পাতাল ফুঁড়ে,
কিসের আভিযানে মানুষ চলছে হিমালয়ের চুড়ে।
তুহিন মেরু পার হয়ে যায়
সন্ধানীরা কিসের আশায়;
হাউই চড়ে চায় যেতে কে চন্দ্রলোকের অচিন পুরে;
শুনবো আমি, ইঙ্গিত কোন ‘মঙ্গল’ হতে আসছে উড়ে।।
কোন বেদনায় টিকি কেটে চণ্ডু-খোর এ চীনের জাতি
এমন করে উদয়-বেলায় মরণ-খেলায় ওঠল মাতি।
আয়র্লণ্ড আজ কেমন করে
স্বাধীন হতে চলছে ওরে;
তুরস্ক ভাই কেমন করে কাটল শিকল রাতারাতি!
কেমন করে মাঝ-গগনে নিবল গ্রীসের সূর্য-বাতি।।
রইব না কো বদ্ধ খাঁচায়, দেখব এ-সব ভুবন ঘুরে-
আকাশ-বাতাস চন্দ্র-তারায় সাগর-জলে পাহাড়-চুঁড়ে।
আমার সীমার বাঁধন টুটে
দশ দিকেতে পড়ব লুটে;
পাতাল ফেড়ে নামব নীচে, ওঠব আবার আকাশ ফুঁড়ে;
বিশ্ব- জগৎ দেখবো আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে।।
English transliteration:
Thakbo na ko boddo ghore, Dekhbo ebar jogottake
Kemon kore gurche Manush jugantarer gurnipake.
Desh hote desh deshantare
Chuche tara kemon kore,
Kisher neshay kemon kore morche je bir lakhe lakhe
Kisher aashay korche tara boron moron-jontronare
Kemon kore bir duburi Shindhu seche mukta aane,
Kemon kore Dushahoshi cholche ure shorgopane.
Japote dhore dheuer jhuti
Juddho jahaj cholche chuti,
Kemon kore aanche nanik bujhai kore shindhu-jane,
kemon jore tanle shagor uthle uthe jowar-bane
Kemon kore mothle pathar lokkhi uthen patal fude
Kisher obhijane manush cholche himalayer chure
Tuhin meru par hoye jay
Shondhanira kisher aashay;
Hawoi chore chay jete ke chondroloker ochin pure;
Shunbo ami, ingit kon Mongol hote aashche ure
Kuno bedonay tiki kete chondu-khor e chiner jati
Emon kore uday-belaymoron-khelay uthlo mati.
Irland aaj kemon kore kore
Shadin hote cholche ore;
Turoshko bhai kemon kore katlo shikol ratarati
Kemon kore majh-gogone niblo greecer surjo-bati
Roibo na ko boddho khachay, Dekhbo E shob bhubhan ghure-
Aakash batash chandra taray shagor-jole pahar-chure
Amar Sheemar badhon tute
Dash dikete porbo lute;
Patal fere nambo niche, uthbo abar aakash fure
Bissho jogot dekhbo aami aapan hater muthoy pure.
See lessmajhe majhe tobo lyrics ta ki? মাঝে মাঝে তব দেখা পাই
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই/ Majhe Majhe Tobo Dekha Pai মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না। কেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে, তোমারে দেখিতে দেয় না। ( মোহমেঘে তোমারে দেখিতে দেয় না। অন্ধ করে রাখে, তোমারে দেখিতে দেয় না। ) ক্ষণিক আলোকে আঁখির পলকে তোমায় যবে পাই দেখিতে ওহে ‘হারাই হারাই’ সদা ভয় হয়, হারাইয়া ফেলি চকিতRead more
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই/ Majhe Majhe Tobo Dekha Pai
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না।
See lessকেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে, তোমারে দেখিতে দেয় না।
( মোহমেঘে তোমারে দেখিতে দেয় না।
অন্ধ করে রাখে, তোমারে দেখিতে দেয় না। )
ক্ষণিক আলোকে আঁখির পলকে তোমায় যবে পাই দেখিতে
ওহে ‘হারাই হারাই’ সদা ভয় হয়, হারাইয়া ফেলি চকিতে।
( আশ না মিটিতে হারাইয়া– পলক না পড়িতে হারাইয়া–
হৃদয় না জুড়াতে হারাইয়া ফেলি চকিতে। )
কী করিলে বলো পাইব তোমারে, রাখিব আঁখিতে আঁখিতে–
ওহে এত প্রেম আমি কোথা পাব, নাথ, তোমারে হৃদয়ে রাখিতে।
( আমার সাধ্য কিবা তোমারে–
দয়া না করিলে কে পারে–
তুমি আপনি না এলে কে পারে হৃদয়ে রাখিতে। )
আর-কারো পানে চাহিব না আর, করিব হে আমি প্রাণপণ–
ওহে তুমি যদি বলো এখনি করিব বিষয় -বাসনা বিসর্জন।
( দিব শ্রীচরণে বিষয়– দিব অকাতরে বিষয়–
দিব তোমার লাগি বিষয় -বাসনা বিসর্জন। )
tomar jonno arnob lyrics? তোমার জন্য গানের লিরিক্স?
তোমার জন্য অর্ণব তোমার জন্য নীলচে তারার একটুখানি আলো ভোরের রং রাতে মিশে কালো.. কাঠ গোলাপের সাদার মায়া মিশিয়ে দিয়ে ভাবি আবছা নীল তোমার লাগে ভালো। ভাবনা আমার শিমুল ডালে লালচে আগুন জ্বালে মহুয়ার বনে মাতাল হাওয়া খেলে। একমুঠো রোদ আকাশ ভরা তারা ভেজা মাটিতে জলের নকশা করা.. মনকে শুধু পাগল করে ফেলে। তোমায় ঘিRead more
তোমার জন্য
অর্ণব
তোমার জন্য নীলচে তারার একটুখানি আলো
See lessভোরের রং রাতে মিশে কালো..
কাঠ গোলাপের সাদার মায়া মিশিয়ে দিয়ে ভাবি
আবছা নীল তোমার লাগে ভালো।
ভাবনা আমার শিমুল ডালে লালচে আগুন জ্বালে
মহুয়ার বনে মাতাল হাওয়া খেলে।
একমুঠো রোদ আকাশ ভরা তারা
ভেজা মাটিতে জলের নকশা করা..
মনকে শুধু পাগল করে ফেলে।
তোমায় ঘিরে এতগুলো রাত অধীর হয়ে জেগে থাকা
তোমায় ঘিরে আমার ভালো লাগা ।
আকাশ ভরা তারার আলোয় তোমায় দেখে দেখে
ভালোবাসার পাখি মেলে মন ভোলানো পাখা ।
ভাবনা আমার শিমুল ডালে লালচে আগুন জ্বালে
মহুয়ার বনে মাতাল হাওয়া খেলে।
একমুঠো রোদ আকাশ ভরা তারা
ভেজা মাটিতে জলের নকশা করা
মনকে শুধু পাগল করে ফেলে।
আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে আমি পাই নি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | amar hiyar majhe lukiye chile lyrics by Rabindra nath tagore
আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে আমি পাই নি। তোমায় দেখতে আমি পাই নি। বাহির-পানে চোখ মেলেছি, আমার হৃদয়-পানে চাই নি ॥ আমার সকল ভালোবাসায় সকল আঘাত সকল আশায় তুমি ছিলে আমার কাছে, তোমার কাছে যাই নি ॥ তুমি মোর আনন্দ হয়ে ছিলে আমার খেলায়-- আনন্দে তাই ভুলেছিলেম, কেটেছে দিন হেলায়। গোপন রহি গভীর প্রাণRead more
আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে আমি পাই নি।
See lessতোমায় দেখতে আমি পাই নি।
বাহির-পানে চোখ মেলেছি, আমার হৃদয়-পানে চাই নি ॥
আমার সকল ভালোবাসায় সকল আঘাত সকল আশায়
তুমি ছিলে আমার কাছে, তোমার কাছে যাই নি ॥
তুমি মোর আনন্দ হয়ে ছিলে আমার খেলায়–
আনন্দে তাই ভুলেছিলেম, কেটেছে দিন হেলায়।
গোপন রহি গভীর প্রাণে আমার দুঃখসুখের গানে
সুর দিয়েছ তুমি, আমি তোমার গান তো গাই নি ॥
কবর কবিতা জসীমউদ্দিন | kabor poem by Jashimuddin?
কবর জসীমউদ্দিন এইখানে তোর দাদীর কবর ডালিম গাছের তলে, তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে। এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ, পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক। এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা, সারা বাড়ি ভরRead more
কবর
See lessজসীমউদ্দিন
এইখানে তোর দাদীর কবর ডালিম গাছের তলে,
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ,
পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।
এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা,
সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা।
সোনালী ঊষায় সোনামুখে তার আমার নয়ন ভরি,
লাঙ্গল লইয়া ক্ষেতে ছুটিতাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি।
যাইবার কালে ফিরে ফিরে তারে দেখে লইতাম কত,
এ কথা লইয়া ভাবি-সাব মোর তামাশা করিত শত।
এমন করিয়া জানিনা কখন জীবনের সাথে মিশে,
ছোট-খাট তার হাসি-ব্যথা মাঝে হারা হয়ে গেনু দিশে।
বাপের বাড়িতে যাইবার কালে কহিত ধরিয়া পা,
আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু উজান-তলীর গাঁ।
শাপলার হাটে তরমুজ বেচি দু পয়সা করি দেড়ী,
পুঁতির মালা এক ছড়া নিতে কখনও হতনা দেরি।
দেড় পয়সার তামাক এবং মাজন লইয়া গাঁটে,
সন্ধ্যাবেলায় ছুটে যাইতাম শ্বশুর বাড়ির বাটে !
হেস না–হেস না–শোন দাদু সেই তামাক মাজন পেয়ে,
দাদী যে তোমার কত খুশি হোত দেখিতিস যদি চেয়ে।
নথ নেড়ে নেড়ে কহিত হাসিয়া, ‘এতদিন পরে এলে,
পথপানে চেয়ে আমি যে হেথায় কেঁদে মরি আঁখি জলে।’
আমারে ছাড়িয়া এত ব্যথা যার কেমন করিয়া হায়,
কবর দেশেতে ঘুমায়ে রয়েছে নিঝ্ঝুম নিরালায়।
হাত জোড় করে দোয়া মাঙ্ দাদু, ‘আয় খোদা, দয়াময়,
আমার দাদীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নাজেল হয়।’
তার পরে এই শুন্য জীবনে যত কাটিয়াছি পাড়ি,
যেখানে যাহারে জড়ায়ে ধরেছি সেই চলে গেছে ছাড়ি।
শত কাফনের শত কবরের অঙ্ক হৃদয়ে আঁকি
গনিয়া গনিয়া ভুল করে গনি সারা দিনরাত জাগি।
এই মোর হাতে কোদাল ধরিয়া কঠিন মাটির তলে,
গাড়িয়া দিয়াছি কতসোনা মুখ নাওয়ায়ে চোখের জলে।
মাটিরে আমি যে বড় ভালবাসি, মাটিতে লাগায়ে বুক,
আয় আয় দাদু, গলাগলি ধরে কেঁদে যদি হয় সুখ।
এইখানে তোর বাপ্জী ঘুমায়, এইখানে তোর মা,
কাঁদছিস তুই ? কি করিব দাদু, পরান যে মানে না !
সেই ফাল্গুনে বাপ তোর এসে কহিল আমারে ডাকি,
বা-জান, আমার শরীর আজিকে কি যে করে থাকি থাকি।
ঘরের মেঝেতে সপ্ টি বিছায়ে কহিলাম, বাছা শোও,
সেই শোওয়া তার শেষ শোওয়া হবে তাহা কি জানিত কেউ ?
গোরের কাফনে সাজায়ে তাহারে চলিলাম যবে বয়ে,
তুমি যে কহিলা–বা-জানেরে মোর কোথা যাও দাদু লয়ে?
তোমার কথার উত্তর দিতে কথা থেমে গেল মুখে,
সারা দুনিয়ার যত ভাষা আছে কেঁদে ফিরে গেল দুখে।
তোমার বাপের লাঙল-জোয়াল দু হাতে জড়ায়ে ধরি,
তোমার মায়ে যে কতই কাঁদিত সারা দিন-মান ভরি।
গাছের পাতারা সেই বেদনায় বুনো পথে যেত ঝরে,
ফাল্গুনী হাওয়া কাঁদিয়া উঠিত শুনো মাঠখানি ভরে।
পথ দিয়ে যেতে গেঁয়ো-পথিকেরা মুছিয়া যাইতো চোখ,
চরণে তাদের কাঁদিয়া উঠিত গাছের পাতার শোক।
আথালে দুইটি জোয়ান বলদ সারা মাঠ পানে চাহি,
হাম্বা রবেতে বুক ফাটাইত নয়নের জলে নাহি।
গলাটি তাদের জড়ায়ে ধরিয়া কাঁদিত তোমার মা,
চোখের জলের গহীন সায়রে ডুবায়ে সকল গাঁ।
উদাসিনী সেই পল্লীবালার নয়নের জল বুঝি,
কবর দেশের আন্ধার ঘরে পথ পেয়েছিল খুঁজি।
তাই জীবনের প্রথম বেলায় ডাকিয়া আনিল সাঁঝ,
হায় অভাগিনী আপনি পরিল মরণ-বীষের তাজ।
মরিবার কালে তোরে কাছে ডেকে কহিল, ‘বাছারে যাই,
বড় ব্যথা রল দুনিয়াতে তোর মা বলিতে কেহ নাই;
দুলাল আমার, দাদু রে আমার, লক্ষ্মী আমার ওরে,
কত ব্যথা মোর আমি জানি বাছা ছাড়িয়া যাইতে তোরে।’
ফোঁটায় ফোঁটায় দুইটি গণ্ড ভিজায়ে নয়ন-জলে,
কি জানি আশিস্ করি গেল তোরে মরণ-ব্যথার ছলে।
ক্ষণ পরে মোরে ডাকিয়া কহিল, ‘আমার কবর গায়,
স্বামীর মাথার ‘মাথাল’ খানিরে ঝুলাইয়া দিও বায়।’
সেই সে মাথাল পচিয়া গলিয়া মিশেছে মাটির সনে,
পরানের ব্যথা মরে না কো সে যে কেঁদে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে।
জোড়-মানিকেরা ঘুমায়ে রয়েছে এইখানে তরু-ছায়,
গাছের শাখারা স্নেহের মায়ায় লুটায়ে পড়েছে গায়ে।
জোনাকি মেয়েরা সারা রাত জাগি জ্বালাইয়া দেয় আলো,
ঝিঁঝিরা বাজায় ঘুমের নুপুর কত যেন বেসে ভাল।
হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু,’রহমান খোদা, আয়,
ভেস্ত নাজেল করিও আজিকে আমার বাপ ও মায়ে।’
এইখানে তোর বু-জীর কবর, পরীর মতন মেয়ে,
বিয়ে দিয়েছিনু কাজীদের ঘরে বনিয়াদী ঘর পেয়ে।
এত আদরের বু-জীরে তাহারা ভালবাসিত না মোটে।
হাতেতে যদিও না মারিত তারে শত যে মারিত ঠোঁটে।
খবরের পর খবর পাঠাত, ‘দাদু যেন কাল এসে,
দু দিনের তরে নিয়ে যায় মোরে বাপের বাড়ির দেশে।
শ্বশুর তাহার কসাই চামার, চাহে কি ছাড়িয়া দিতে,
অনেক কহিয়া সেবার তাহারে আনিলাম এক শীতে।
সেই সোনামুখ মলিন হয়েছে, ফোটে না সেথায় হাসি,
কালো দুটি চোখে রহিয়া রহিয়া অশ্রু উঠিত ভাসি।
বাপের মায়ের কবরে বসিয়া কাঁদিয়া কাটাত দিন,
কে জানিত হায়, তাহারও পরানে বাজিবে মরণ-বীণ!
কি জানি পচানো জ্বরেতে ধরিল আর উঠিল না ফিরে,
এইখানে তারে কবর দিয়াছি দেখে যাও দাদু ধীরে।
ব্যথাতুরা সেই হতভাগিনীরে বাসে নাই কেউ ভাল,
কবরে তাহার জড়ায়ে রয়েছে বুনো ঘাসগুলি কালো।
বনের ঘুঘুরা উহু উহু করি কেঁদে মরে রাতদিন,
পাতায় পাতায় কেঁপে ওঠে যেন তারি বেদনার বীণ।
হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু,’আয় খোদা দয়াময়!।
আমার বু-জীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নাজেল হয়।’
হেথায় ঘুমায় তোর ছোট ফুপু সাত বছরের মেয়ে,
রামধনু বুঝি নেমে এসেছিল ভেস্তের দ্বার বেয়ে।
ছোট বয়সেই মায়েরে হারায়ে কি জানি ভাবিত সদা,
অতটুকু বুকে লুকাইয়াছিল কে জানিত কত ব্যথা।
ফুলের মতন মুখখানি তার দেখিতাম যবে চেয়ে,
তোমার দাদীর মুখখানি মোর হৃদয়ে উঠিত ছেয়ে।
বুকেতে তাহারে জড়ায়ে ধরিয়া কেঁদে হইতাম সারা,
রঙিন সাঁঝেরে ধুয়ে মুছে দিত মোদের চোখের ধারা।
একদিন গেনু গজ্নার হাটে তাহারে রাখিয়া ঘরে,
ফিরে এসে দেখি সোনার প্রতিমা লুটায় পথের পরে।
সেই সোনামুখ গোলগাল হাত সকলি তেমন আছে,
কি জেনি সাপের দংশন পেয়ে মা আমার চলে গ্যাছে।
আপন হাতেতে সোনার প্রতিমা কবরে দিলাম গাড়ি–
দাদু ধর–ধর–বুক ফেটে যায়, আর বুঝি নাহি পারি।
এইখানে এই কবরের পাশে, আরও কাছে আয় দাদু,
কথা ক’সনাক, জাগিয়া উঠিবে ঘুম-ভোলা মোর যাদু।
আস্তে আস্তে খুড়ে দেখ্ দেখি কঠিন মাটির তলে,
দীন দুনিয়ার ভেস্ত আমার ঘুমায় কিসের ছলে।
ওই দূর বনে সন্ধ্যা নামিছে ঘন আবিরের রাগে,
এমনি করিয়া লুটায়ে পড়িতে বড় সাধ আজ জাগে।
মজীদ হইছে আজান হাঁকিছে বড় সকরুণ সুর,
মোর জীবনের রোজকেয়ামত ভাবিতেছি কত দুর!
জোড়হাতে দাদু মোনাজাত কর্, ‘আয় খোদা, রহমান,
ভেস্ত নাজেল করিও সকল মৃত্যু-ব্যথিত প্রাণ!
megh boleche jabo jabo lyrics meaning?
মেঘ বলেছে যাব যাব মেঘ বলেছে ‘যাব যাব’, রাত বলেছে ‘যাই’, সাগর বলে ‘কূল মিলেছে– আমি তো আর নাই’ ॥ দুঃখ বলে ‘রইনু চুপে তাঁহার পায়ের চিহ্নরূপে’, আমি বলে ‘মিলাই আমি আর কিছু না চাই’ ॥ ভুবন বলে ‘তোমার তরে আছে বরণমালা’, গগন বলে ‘তোমার তরে লক্ষ প্রদীপ জ্বালা’। প্রেম বলে যে ‘যুগে যুগে তোমার লাগি আছিRead more
মেঘ বলেছে যাব যাব
মেঘ বলেছে ‘যাব যাব’, রাত বলেছে ‘যাই’,
সাগর বলে ‘কূল মিলেছে– আমি তো আর নাই’ ॥
দুঃখ বলে ‘রইনু চুপে তাঁহার পায়ের চিহ্নরূপে’,
আমি বলে ‘মিলাই আমি আর কিছু না চাই’ ॥
ভুবন বলে ‘তোমার তরে আছে বরণমালা’,
গগন বলে ‘তোমার তরে লক্ষ প্রদীপ জ্বালা’।
প্রেম বলে যে ‘যুগে যুগে তোমার লাগি আছি জেগে’,
মরণ বলে ‘আমি তোমার জীবনতরী বাই’ ॥
See less