প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে বিভিন্ন স্মৃতি থাকে যা কখনো ভোলা যায় না। আমার স্কুলের প্রথম দিন সেই রকম একটি স্মৃতি যা চিরকাল মনে রাখার মত। দিনটি ছিল ৭ই জানুয়ারি ২০০৮ সাল, যেদিন আমি প্রথম স্কুলে পা রাখলাম। আমি তখন ভীষণ ছোট, বয়স সবেমাত্র ৫ পেরিয়ে ৬। মা আমাকে সেই দিন সময় মত স্কুলে নিয়ে আসলেন। স্কুলে উপস্থিত হতেই নিজেকে আবিষ্কার করলাম সম্পূর্ণ একটি অচেনা জায়গায়। কেমন যেন মনের মধ্যে একটা অজানা ভয় কাজ করেছিল ভীষণভাবে। ছাত্র-ছাত্রীদের ভিড়ের মধ্যে নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সিনিয়র শ্রেণীর এক ছাত্র আমাকে আমার শ্রেণিকক্ষে পৌঁছে দিল। শ্রেণিকক্ষে পৌঁছে আমি আরো ভেঙ্গে পড়লাম যখন দেখলাম আমার সহপাঠীদের মধ্যে সেই একই ভয়ের ছায়া। কাউ কাউ কে কাঁদতেও দেখলাম। যাই হোক, আমি চেষ্টা করলাম নিজেকে একটু সাহস দিতে।
ঠিক যখন সকাল নয়টা তখন অনুষ্ঠিত হলো প্রাতঃ সভা। আমরা লাইন দিয়ে দাঁড়ালাম একের পরে এক। প্রধান শিক্ষক বক্তব্য রাখলেন এবং আমাদেরকে স্বাগতম জানালেন। প্রাতঃ সভাশেষ হলে আবার আমরা শ্রেণি কক্ষে ফিরে এসে বসে পড়লাম। আমাদের ক্লাস শিক্ষক এসে উপস্থিত হলেন। অনেক কিছু বললেন সঙ্গে বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কে আমাদেরকে অবগত করালেন। কিছুক্ষণ পর প্রথম ঘন্টা বাজল। তারপর একে একে আরো দুই জন শিক্ষক এসে দুইটি ক্লাস নিলেন। সব শিক্ষকই খুবই মৃদু আচরণ করলেন এবং আমাদেরকে উৎসাহিত করলেন। শিক্ষকদের এই বন্ধুসুলভ ব্যবহার ধীরে ধীরে আমার ভয় কাটাতে সাহায্য করল।
তারপর বিরতি ঘন্টা শুরু হল। আমি আমার সহপাঠীদের সঙ্গে একটু আধটু কথা বললাম। বিরতি ঘন্টার শেষে ইংরেজি শিক্ষক এসে উপস্থিত হলেন। তিনি আমাদেরকে সতেজ করতে অনেক মজার মজার গল্প শোনালেন। আমরা সবাই মন দিয়ে শুনলাম এবং উপভোগ করলাম। তারপর সর্বশেষ ঘন্টা বাজলে আমি স্কুল থেকে বিদায় নিলাম। এই ভাবেই আমার স্কুলের প্রথম দিনটি শেষ হলো। সেই দিনের অচেনা পরিবেশ, অজানা ভয়, নতুন পরিচয় আমার মনে থাকবে অনন্তকাল।
Onimesh
আমার স্কুলের প্রথম দিন
প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে বিভিন্ন স্মৃতি থাকে যা কখনো ভোলা যায় না। আমার স্কুলের প্রথম দিন সেই রকম একটি স্মৃতি যা চিরকাল মনে রাখার মত। দিনটি ছিল ৭ই জানুয়ারি ২০০৮ সাল, যেদিন আমি প্রথম স্কুলে পা রাখলাম। আমি তখন ভীষণ ছোট, বয়স সবেমাত্র ৫ পেরিয়ে ৬। মা আমাকে সেই দিন সময় মত স্কুলে নিয়ে আসলেন। স্কুলে উপস্থিত হতেই নিজেকে আবিষ্কার করলাম সম্পূর্ণ একটি অচেনা জায়গায়। কেমন যেন মনের মধ্যে একটা অজানা ভয় কাজ করেছিল ভীষণভাবে। ছাত্র-ছাত্রীদের ভিড়ের মধ্যে নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সিনিয়র শ্রেণীর এক ছাত্র আমাকে আমার শ্রেণিকক্ষে পৌঁছে দিল। শ্রেণিকক্ষে পৌঁছে আমি আরো ভেঙ্গে পড়লাম যখন দেখলাম আমার সহপাঠীদের মধ্যে সেই একই ভয়ের ছায়া। কাউ কাউ কে কাঁদতেও দেখলাম। যাই হোক, আমি চেষ্টা করলাম নিজেকে একটু সাহস দিতে।
ঠিক যখন সকাল নয়টা তখন অনুষ্ঠিত হলো প্রাতঃ সভা। আমরা লাইন দিয়ে দাঁড়ালাম একের পরে এক। প্রধান শিক্ষক বক্তব্য রাখলেন এবং আমাদেরকে স্বাগতম জানালেন। প্রাতঃ সভাশেষ হলে আবার আমরা শ্রেণি কক্ষে ফিরে এসে বসে পড়লাম। আমাদের ক্লাস শিক্ষক এসে উপস্থিত হলেন। অনেক কিছু বললেন সঙ্গে বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কে আমাদেরকে অবগত করালেন। কিছুক্ষণ পর প্রথম ঘন্টা বাজল। তারপর একে একে আরো দুই জন শিক্ষক এসে দুইটি ক্লাস নিলেন। সব শিক্ষকই খুবই মৃদু আচরণ করলেন এবং আমাদেরকে উৎসাহিত করলেন। শিক্ষকদের এই বন্ধুসুলভ ব্যবহার ধীরে ধীরে আমার ভয় কাটাতে সাহায্য করল।
তারপর বিরতি ঘন্টা শুরু হল। আমি আমার সহপাঠীদের সঙ্গে একটু আধটু কথা বললাম। বিরতি ঘন্টার শেষে ইংরেজি শিক্ষক এসে উপস্থিত হলেন। তিনি আমাদেরকে সতেজ করতে অনেক মজার মজার গল্প শোনালেন। আমরা সবাই মন দিয়ে শুনলাম এবং উপভোগ করলাম। তারপর সর্বশেষ ঘন্টা বাজলে আমি স্কুল থেকে বিদায় নিলাম। এই ভাবেই আমার স্কুলের প্রথম দিনটি শেষ হলো। সেই দিনের অচেনা পরিবেশ, অজানা ভয়, নতুন পরিচয় আমার মনে থাকবে অনন্তকাল।