Bengali Forum Latest Questions

  1. This answer was edited.

    শিল্পী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘শিল্পী’ গল্পের মাধ্যমে এক সামাজিক উত্তরণ তথা জন জাগরণের ডাক দিয়েছেন – মূলত বলা ভাল সামাজিক শােষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধাচরণে যে নিম্নশ্রেণীর মানুষেরও সমান অধিকার আছে তারই যেন প্রকাশ সােচ্চার হয়েছে এ গল্পে এছাড়া রয়েছে সংগ্রামী এক মানুষের শিল্প স্ততRead more

    শিল্পী – মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

    মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘শিল্পী’ গল্পের মাধ্যমে এক সামাজিক উত্তরণ তথা জন জাগরণের ডাক দিয়েছেন –
    মূলত বলা ভাল সামাজিক শােষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধাচরণে যে নিম্নশ্রেণীর মানুষেরও সমান অধিকার আছে তারই যেন প্রকাশ সােচ্চার হয়েছে এ গল্পে এছাড়া রয়েছে সংগ্রামী এক মানুষের শিল্প স্তত্বাকে বাঁচিয়ে রাখার টানাপােড়নে ‘শিল্পী’ থাকার প্রকৃত কাহিনী।

    তাঁতিপাড়ার মানি তাঁতি এ গল্পের কেন্দ্রিয় চরিত্র। বস্তুত সে একজন শিল্পী। কেন? সে হাজার অভাবেও সস্তায় কাপড় বােনার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারে না। সাতপুরুষের এই তাঁতির বংশ এককালে বেনারসী বুনত, এখনও বেশী দামের কাপড় না বুনলে মদনের মন ভরে না। এখানেই মদনের শিল্পী মন – মানসিকভাবে তার শিল্পী হয়ে ওঠা – তাই কিছুতেই মদন ভুবন বা মিহির বাবুর কাছ থেকে বেশি দামে সস্তা কাপড়ের সুতাে কিনতে রাজি হয় না। শত দারিদ্রের মধ্যে স্পর্ধা ও জাত্যাভিমান হারায় না মদন তাই ভুবনের ‘বােকা’ অপবাদের উত্তরে সঠিক প্রত্যুত্তর দিতে তার বাঁধে না। অসামান্য চরিত্রবল ও দৃঢ়তা নিয়ে অন্নহীন সংসার আসন্নপ্রবণা স্ত্রী, সাতদিন তাঁতবন্ধ থাকার বাস্তবের সামনে দাঁড়িয়েও মাথা উঁচু করে থাকে মদন। এই মদনকে বুঝতে পারে না ভুবন – মদনের অভাবে না ভেঙে পড়ে বড় বড় কথা বলা বা প্রাণ খুলে হেসে ওঠার অতল রহস্য সে বােঝে না কেননা সে মদনকে তাঁতি পরিচয়েই জেনেছিল, জানেনি মদন ছিল শিল্পী।

    ‘লেখকের কথা’ রচনায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন – খালের ধারে, নদীর ধারে, গ্রামের ধারে বসানাে গ্রামচাষি, মাঝি, জেলে, তাঁতিদের পীড়িত ক্লিষ্ট মুখ দেখতেন তিনি অহরহ আর ‘মধ্যবিত্ত আর চাষাভুষাের ওই মুখগুলি আমার মধ্যে মুখর অনুভুতি হয়ে চ্যাঁচাত – ভাষা দাও, ভাষা দাও। সেই ভাষাই তিনি দিয়েছিলেন শিল্পী’ গল্পের মদনের মুখে। সে অনায়াসে তাঁতি সমাজের আপােষহীন শ্রেণীসংগ্রামের নায়ক হয়ে ওঠে, তাকে নিয়ে তাই প্রবাদ তৈরি হয় মদন যখন গামছা বুনবে। সে অনমনীয়তা থেকে সে নিচুতলার প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরের ধারক হয়েই বলে বড়াে বাড় বেড়েছে বাবুদের – একথা কেবল ব্যক্তিপ্রত্যাখ্যানের প্রতিবাদ নয় – এ প্রতিবাদ সমস্ত শ্রেণীসংগ্রামী মানুষের প্রতিবাদ।।

    এ গল্পের শেষ পর্বে ব্যক্তি মদনের সঙ্গে শিল্পীমদনের দ্বন্দ্ব দেখা যায় – সে দ্বন্দ্বে পরিস্থিতির হাতে বিকারগ্রস্থ মদনকে পাই আমরা। সাধারণ মানুষ হয়ে এই একবারই গল্পে আসে মদন যেখানে তার মানসিক সহ্য ক্ষমতা সামান্য সময়ের জন্য হলেও ভেস্তে যায়, ভুবনের দাদন গ্রহণ করে সে। কিন্তু শিল্পীর সবচেয়ে বড়াে সম্পদ আত্মাভিমান, তাই সে পরদিন সকালে সবকিছু ফেরত দিয়ে বলে ‘মদন তাঁতি যেদিন গামছা বুনবে – আর বুড়াে ভােলাকে বলে বেইমানি করব তােমাদের সাথে কথা দিয়ে। এখানেই শিল্পী সত্তাকে নষ্ট করতে পারে না। এভাবেই প্রকৃত শিল্প ভাবনার মধ্য দিয়ে শিল্পীসত্তা জয় লাভ করে।

    ‘শিল্পী’ গল্পের মধ্য দিয়ে লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় দেখালেন আত্মহত্যা বা নৈরাশ্য মানুষের জীবনের শেষ কথা নয় – তাই হাজার অভাব অতিক্রম করে শিল্পীর শিল্পসত্ত্বাই শেষ পর্যন্ত বেঁচে যায় অর্থাৎ সংগ্রামী মানুষ চির অপরাজেয়। এছাড়া নিম্নশ্রেণীর মানুষও যে একজন সামাজিক মানুষ তারও যে দায়বদ্ধতা ও কর্তব্যবােধ রয়েছে এই সমাজের প্রতি-শিল্পী সত্ত্বাকে বাঁচিয়ে রেখে সৎ পথে আত্মবল সম্বল করে যে প্রকৃতই জয়ী হওয়া যায় – এবং যথার্থ শিল্পীর সার্থকতা অর্জন করা যায় তাই এই গল্পের প্রধান উপজীব্য – এক্ষেত্রে গল্পটির নামকরণটিও যথার্থ রূপেই সার্থক।

    See less
  1. উলঙ্গ রাজা নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সবাই দেখছে যে, রাজা উলঙ্গ,তবুও সবাই হাততালি দিচ্ছে। সবাই চেঁচিয়ে বলছে শাবাস, শাবাস। কারো মনে সংস্কার, কারও ভয়- কেউ বা নিজের বুদ্ধি অন্য মানুষের কাছে বন্ধক দিয়েছে কেউ বা পরান্নভোজী, কেউ কৃপাপ্রার্থী, উমেদার, প্রবঞ্চক; কেউ ভাবছে, রাজবস্ত্র সত্যিই অতীব সূক্ষ্ম, চোখে পড়Read more

    উলঙ্গ রাজা
    নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

    সবাই দেখছে যে, রাজা উলঙ্গ,তবুও
    সবাই হাততালি দিচ্ছে।
    সবাই চেঁচিয়ে বলছে শাবাস, শাবাস।
    কারো মনে সংস্কার, কারও ভয়-
    কেউ বা নিজের বুদ্ধি অন্য মানুষের কাছে বন্ধক দিয়েছে
    কেউ বা পরান্নভোজী, কেউ
    কৃপাপ্রার্থী, উমেদার, প্রবঞ্চক;
    কেউ ভাবছে, রাজবস্ত্র সত্যিই অতীব সূক্ষ্ম,
    চোখে পড়ছে না যদিও, তবুও আছে
    অন্তত থাকাটা কিছু অসম্ভব নয়।

    গল্পটা সবাই জানে।
    কিন্তু সেই গল্পের ভিতরে
    শুধুই প্রশস্তি বাক্য-উচ্চারক কিছু
    আপাদমস্তক ভিতু, ফন্দিবাজ অথবা নিবোর্ধ স্তাবকই ছিল না
    একটি শিশুও ছিল-
    সত্যবাদী, সরল, সাহসী একটি শিশু।
    নেমেছে গল্পের রাজা বাস্তবের প্রকাশ্য রাস্তায়-
    আবার হাততালি উঠছে মুহুর্মুহু
    জমে উঠছে স্তাবক- বৃন্দের ভিড়।
    কিন্তু সেই শিশুটিকে আমি
    ভিড়ের ভিতর আজ কোথাও দেখছি না।
    শিশুটি কোথায় গেল? কেউ কি কোথাও তাকে কোন
    পাহাড়ের গোপন গুহায় লুকিয়ে রেখেছে?
    নাকি সে পাথর-ঘাস-মাটি নিয়ে খেলতে খেলতে
    ঘুমিয়ে পড়েছে কোন নির্জন নদীর ধারে কিংবা
    প্রান্তরের গাছের ছায়ায়

    যাও, তাকে যেমন করেই হোক খুজেঁ আনো।
    সে এসে একবার এই উলঙ্গ রাজার সামনে নির্ভয়ে দাঁড়াক।
    সে এসে হাততালির উর্ধ্বে গলা তুলে জিজ্ঞাসা করুক;
    রাজা, তোর কাপড় কোথায়?

    In English Font:

    Ulongo Raja
    Nirandronath Chakraborty

    Sobai dekheche je, raja ulongo, tobuo
    Sobai hattali dichey
    Sobai chechiye bolche sabas, sabas
    Karo mone songskar, karo’o voy-
    Keu ba nijer buddi onno manuser kache bondhok deyeche
    Keu ba porannovuji, keu kripaprarti, umadar, probonchok;
    Keu vavche, rajbostro sotti’i otibo sukko
    Chokhe poreche na jodio, tobuo aache
    Onthoto thakata kichu oshomvov noy

    Golpo sobai jane
    Kintu sei golper vitore
    Suduei prososti vithu, fondibaz othoba niboddo shabok’i chilo na
    Akti sishu chilo-
    Sottobadi, sorol, sahosi akti sishu
    Nameche golper raja bastober prokasho rastay-
    Abar hattali uteche muhurmuhu
    Jome uteche stabok-brinder bhir
    Kintu sei sishutike ami
    Bhirer vitor aaj’o kota’o dekhchi na
    Sishuti kutay gelo? Keu ki kuta’o take kuno
    Paharer gupon guhay lukiye rekeche?
    Na-ki se pator-gaas-mati niye khelte khelte
    gumiye poreche kuno nirjon nodir dhare
    kinba pranther gacher chayay

    Jaw, take jemon kore’ei houk khuje aano
    Se ashe akbar ei ulongo rajar samne nirvoye dhadrak
    Se ashe hattali urdhe gola tule jiggasha koruk;
    Raja, tor kapor kuthay?

    See less
  1. This answer was edited.

    অমলাকান্তি কবিতার প্রশ্ন উত্তর: প্রশ্নঃ অমলকান্তি কবিতার কবি কে?উত্তরঃ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী প্রশ্নঃ অমলকান্তি কি হতে চায়?উত্তরঃ অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চায়। প্রশ্নঃ কবির সঙ্গে অমলকান্তির কি সম্পর্ক ?উত্তরঃ বন্ধু প্রশ্নঃ অমলকান্তি কি রকম ছাত্র ছিল ?উত্তরঃ অমলকান্তি পড়াশোনায় খুবই কাঁচা এবং অমনোযোগী ছিRead more

    অমলাকান্তি কবিতার প্রশ্ন উত্তর:

    প্রশ্নঃ অমলকান্তি কবিতার কবি কে?
    উত্তরঃ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

    প্রশ্নঃ অমলকান্তি কি হতে চায়?
    উত্তরঃ অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চায়।

    প্রশ্নঃ কবির সঙ্গে অমলকান্তির কি সম্পর্ক ?
    উত্তরঃ বন্ধু

    প্রশ্নঃ অমলকান্তি কি রকম ছাত্র ছিল ?
    উত্তরঃ অমলকান্তি পড়াশোনায় খুবই কাঁচা এবং অমনোযোগী ছিল।

    প্রশ্নঃ বর্তমানে অমলকান্তি কোথায কাজ করে?
    উত্তরঃ একটি ছাপাখানায়।

    প্রশ্নঃ অমলকান্তির রোদ্দুর হওয়ার স্বপ্ন কি পূরণ হয়েছিল ?
    উত্তরঃ না, অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারে নি।

    প্রশ্নঃ অমলকান্তি কেন রোদ্দুর হতে চেয়েছিল?
    উত্তরঃ কারণ, ঘিঞ্জি বস্তিতে থাকার ফলে সে রোদ্দুর পায়না। সে জীবনের আনন্দ থেকে বঞ্চিত তাই রোদ্দুর খুঁজে এবং সে নিজে রোদ্দুর হয় যেতে চায়। অমলকান্তি ভিন্ন ধারায় জীবন চালিয়ে যেতে চায় কারণ টাকা পয়সা এবং প্রতিষ্ঠা জীবনে সব কিছু এনে দিতে পারে না।
    বাস্তবে কোন মানুষ রোদ বৃষ্টি হতে পারে না তাই রোদ্দুর এখানে জীবনের আলোর প্রতীক, আনন্দের প্রতীক। এবং শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠিত হলে সুখী হওয়া যায় না, টাকা পয়সা হয়তো আমাদেরকে স্বাচ্ছন্দ এনে দে কিন্তু প্রকৃত আনন্দ আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্যে নেই। তাই অমলকান্তি রোদ্দুর হয়ে যেতে যায়।

    See less
  1. সারমর্ম: ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থের ‘আঠারাে বছর বয়স’ কবিতায় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য ‘আঠারাে’কে কৈশাের ও যৌবনের বয়ঃসন্ধির প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছেন। পরাধীন, যুদ্ধ-দাঙ্গা-দুর্ভিক্ষ পীড়িত বঙ্গ তথা ভারতীয় সমাজে আঠারাে এক প্রথা ভাঙ্গা বিস্ময়। কবি আঠারাের চরিত্র ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণে আঠারাে বছর বয়েসেরRead more

    সারমর্ম:

    ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থের ‘আঠারাে বছর বয়স’ কবিতায় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য ‘আঠারাে’কে কৈশাের ও যৌবনের বয়ঃসন্ধির প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছেন। পরাধীন, যুদ্ধ-দাঙ্গা-দুর্ভিক্ষ পীড়িত বঙ্গ তথা ভারতীয় সমাজে আঠারাে এক প্রথা ভাঙ্গা বিস্ময়। কবি আঠারাের চরিত্র ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণে আঠারাে বছর বয়েসের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলাে খুঁজে পেয়েছেন –
    ১) আঠারাে বছর বয়স দুঃসহ, ২) মাথা তােলার ঝুঁকি নেবার স্পর্ধাদীপ্ত, ৩) দুঃসাহসী, ৪) নির্ভীক, ৫) অসম্ভবকে সম্ভব করতে চায়, ৬) তীব্র আত্মমর্যাদা সম্পন্ন, ৭) ভেঙে পড়তে জানে না, ৮) জীবনের সঙ্গে জীবনকে মেলাতে জানে, ৯) অন্তরশক্তিতে বলীয়ান, ১০) দেশের সমাজের কল্যানে আত্মােৎসর্গ করতে বা অন্যায়কারীকে বধ করতে সদা প্রস্তুত, ১১) অপ্রতিরােধ্য, সমস্ত প্রতিবন্ধতাকে চূর্ণ করে দিতে চায়, ১২) প্রতিকূলতায় নত হয় না, ১৩) বিপদের মুখে এগিয়ে যায়, ১৪) নতুনের পন্থী, ১৫) সংশয়, দ্বিধাহীন প্রাণে সর্বদা এগিয়ে চলার বাসনা।

    পরাধীন ভারতের দ্বন্দ্ব-দাঙ্গা-হতাশা-অবক্ষয় পীড়িত সময়ে কবি কিশাের সুকান্ত আঠারাের মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন নতুন জীবনস্পন্দ। কৈশােরের কোমল, স্বপ্নময়তা আর যৌবনের উদ্দাম, নির্ভীক, দুঃসাহসীপনার সংযােগ আঠারাে। যৌবরাজ্যে অভিষেকের আনন্দে সে মাথা তােলার ঝুঁকি নেয়, অসম্ভবকে সম্ভব করতে ব্রতী হয়, আত্মমর্যাদায় মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। কান্না তার কাছে অগৌরবের প্রতীক হয়ে ওঠে। সুগভীর প্রাণশক্তি তাকে বৃহত্তর জীবনের সঙ্গে যুক্ত করে।

    কাজ করতে গিয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আঠারাে দেশ-সমাজমানুষের কল্যানমঙ্গলহিত সাধনে আত্মােৎসর্গ করতে যেমন পিছপা হয় না, তেমনই প্রয়ােজনে অপকারীর বিনাশেও সে দ্বিধাহীন।আঠারােই আগামী তাই আঠারাের কানে কতশত মন্ত্রণা আসে। আত্মকে সনাক্ত না করতে পারার যন্ত্রণাদীর্ণ আঠারাে অপ্রতিরােধ্য। সময়ের বুকে সে তােলে পরিবর্তনের ঝড়। কিন্তু অনভিজ্ঞতা অন্তরায় হয়। ফলে প্রতিকূলতায় সে ক্ষতবিক্ষত হয়, হয় লক্ষ্যচ্যুত। যৌবনের উদ্দামতা তাকে এগিয়ে নিয়েছিলাে অন্তরের কৈশাের কোমলতা এই ব্যর্থতায় বেদনাগ্রস্ত করতে থাকে তাকে। সাময়িকভাবে হতাশাচ্ছন্নও হয় সে।

    এই কঠোর-কোমলের সমন্বয়ই আঠারাে। আঠারাের হতাশা, স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা বেদনাতুর হওয়া স্বত্তেও আঠারাের জয়ধ্বনি শােনেন কবি। পরাধীন ভারতের দুঃসহ পটভূমিতে আঠারােই তাে ত্রাণ । কেননা আঠারাে প্রতিকূলতায় বিনষ্ট হয় না, বিপদে বুক বেঁধে এগােয়। সর্বদা নতুনের পন্থী আঠারাে লক্ষ্যপথে এগােতে ভয় পায় না। সবচেয়ে বড়াে কথা তারা যা করে যতটুকু করে নির্ভয়ে, সাহসের সঙ্গে, সংশয়হীনভাবে করে। তাই আত্মসংকটদীর্ণ, বহুধাবিভক্ত পরাধীন ভারতবাসীর মধ্যে কবি সুকান্ত আঠারাের বৈশিষ্ট্যগুলাে অনাবিল, স্বতঃস্ফূর্ত বিকাশ পাওয়ার কামনা করেছেন।

    See less
  1. ভয়ংকর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় ভূমিকা – প্রকৃতির রূপমুগ্ধতায় মানুষ যেমন দিশেহারা হয় তেমনি প্রকৃতির রুদ্র ভয়ংকর রূপের কাছে মানুষের অসহায়তার সীমা থাকে না। মানুষ প্রকৃতিকে আজও ১ শতাংশ বুঝে উঠতে পারে নি – তাই তাে তার প্রলয়ংকরী রূপ মাঝে মাঝে মানুষকে নাস্তানাবুদ করে তােলে। মানুষের হাজারাে গবেষণা তাই তাRead more

    ভয়ংকর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়

    ভূমিকা – প্রকৃতির রূপমুগ্ধতায় মানুষ যেমন দিশেহারা হয় তেমনি প্রকৃতির রুদ্র ভয়ংকর রূপের কাছে মানুষের অসহায়তার সীমা থাকে না। মানুষ প্রকৃতিকে আজও ১ শতাংশ বুঝে উঠতে পারে নি – তাই তাে তার প্রলয়ংকরী রূপ মাঝে মাঝে মানুষকে নাস্তানাবুদ করে তােলে। মানুষের হাজারাে গবেষণা তাই তাে বার বার পর্যদস্ত হয়। বর্ষার নদীর উন্মত্ত তরঙ্গকে যেমন বেঁধে রাখতে পারে নি মানুষ তেমনি আজও পারেনি সমুদ্রের দিকে অঙ্গলি সংকেত করে বিশেষ সীমায় তাকে বেঁধে রাখতে। আর মানুষের সভ্য সুন্দর সভ্যতা বার বার ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় যখনই প্রকৃতি নির্মম শােধ নেয়। প্রকৃতির এই আচরণকে ইংরেজিতে বলে –‘Nature red in tooth and claws। প্রকৃতির এমনই এক নির্মম মূর্তির মুখােমুখি হল ২০০৪ সালের ২৬শে ডিসেম্বর রবিবার সকালে। প্রকৃতির নির্মমতা রূপ নিল সুনামী নাম্নী সমুদ্রদানবরূপে। সুনামি আজ গােটা বিশ্বের মানুষের কাছে আতঙ্কগ্রস্ত দুঃখ বিহুল করা ভয়ংকর এক শব্দ, ভয়ংকর এক নাম।

    সুনামি কী? সুনামি (Tsunami) কথাটি জাপানী শব্দ। সমুদ্রতলে প্রচণ্ড ভূমিকম্পের ফলে সমুদ্রতীর ছাপিয়ে যে ভয়ংকর জলােচ্ছ্বাস দেখা দেয় – তাই সুনামি। ভূবিজ্ঞানীদের অভিমতানুযায়ী, সমুদ্র তলদেশে ভূকম্পনের দরুণ একটি স্তর আর একটি স্তরের উপরে উঠে গেলে যে ফাটলের সৃষ্টি হয় ও সেই ফাটল দিয়ে পাক খেয়ে। জল ওপরের দিকে ওঠে এবং যার ফলে ঢেউ তৈরি হয় সেই ঢেউ প্রচণ্ড গতিবেগে গভীর সমুদ্র দিয়ে এগিয়ে যায়। তীরের কাছে এসে সেই জলরাশির গতিবেগ কমে গেলেও বেড়ে যায় উচ্চতা। প্রায় ১০ মিটার উচ্চতার জলরাশি সমুদ্রের তীরভূমিতে ছাপিয়ে পরে। আর তাতেই ধুয়ে মুছে একাকার হয়ে যায় মানুষের হাতে তৈরি সুন্দর সভ্য জনজীবন।

    ২৬শে ডিসেম্বরের সুনামির আঘাত – ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা উপকূলের কাছে ভারত মহাসাগরের ৪০ কিলােমিটার নিচে ৮.৯ মাত্রার যে ভূমিকম্প হয় সেই ভূমিকম্পই দক্ষিণ-পূর্ব। এশিয়ার কয়েকটি দেশে চরম বিপর্যয় ডেকে আনে। সুমাত্রার সমুদ্রতলে এই ভূকম্পনের পর পরই আন্দামানের নিকটবর্তী সমুদ্রতলে আর একটি কম্পন হয়, ফলে সমস্যা আরও ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। ভূকম্প বিশেষজ্ঞদের মতে, সুমাত্রা কাছে সমুদ্রতলে কেন্দ্রীভূত ভূমিকম্পের ধ্বংসাত্মক শক্তি ছিল একটি পারমাণবিক বােমার থেকেও ১০ লক্ষ গুণ অধিক। এই ভয়ংকর তাণ্ডবের অনিবার্য প্রভাবে উপকূলে ঝাপিয়ে পড়ে সুনামি।।

    ক্ষয়ক্ষতি – ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলি হল ইন্দোনেশিয়া, সুমাত্রা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপ, কেরালা, তামিলনাড়ু, ওড়িশা আর আফ্রিকার সােমালিয়া। টাকার অঙ্কে ক্ষতির পরিমাণ সামগ্রিকভাবে কোনদিনই জানা যাবে না। বিগত ৪০ বছরের মধ্যে ভয়ংকরতম দুর্বিপাক। গত একশ বছরের শক্তির নিরিখে পঞ্চম স্থানাধিকারী সুনামি। সুনামির আঘাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে হাজার হাজার বাসভূমি, মারা গেছে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ, নষ্ট হয়েছে ফসল, বনসম্পদ, প্রাণ হারিয়েছে জীবজন্তু – বহু মানুষ যারা সুনামিতে প্রাণে বেঁচে গেছেন তাঁরা মানসিক ব্যাধিতে ভুগছেন, পরিবর্তন হয়েছে কোথাও কোথাও ভৌগলিক মানচিত্রও। প্রিয়জন হারানাের যন্ত্রণা নিয়ে আজও বেঁচে আছে বহু মানুষ।

    ত্রাণ ও পুণর্গঠন – এই চরম বিপর্যয়ে পূর্ণ উদ্যমে বহু মানুষ ত্রাণ ও পুণর্গঠনের কাজে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ ঘােষণা করেছে ৫০০ কোটি ডলার সাহায্যের ব্যবস্থা করবে তারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, চীন, জাপানও সাহায্য করবে বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। ভারতবর্ষের সরকার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং জনসাধারণও ত্রাণ ও পুণর্গঠনের কাজে এগিয়ে এসেছে, এছাড়া বেশ কিছু সংবাদপত্র ত্রাণ তহবিলের মাধ্যমে অর্থসাহায্য করেছে।

    উপসংহার – সুনামি আমাদের কাছে এক বাস্তবচিত্র রেখে গেছে – আজও যে প্রকৃতির কাছে মানুষ শিশু এরই প্রমাণ দিয়ে গেছে – এছাড়া নানা সামাজিক অবক্ষয়ে মানুষের মানবিকতাবােধ মূল্যহীন হয়ে গেছে এই ভাবনাকে ভ্রান্ত প্রমাণ করে মানুষ মানুষের পাশে দাড়িয়েছে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে অকপটে। এখন ভাবনা কিভাবে আমরা এই সুনামির কবল থেকে রক্ষা পাব? দিল্লির মৌসম ভবনের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ দপ্তরের বিশেষজ্ঞ, অসীমকুমার ঘােষ বলেছেন, “ঘূর্ণিঝড়ের আগাম পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হলেও ভূমিকম্পের পূর্বাভাস আমরা দিতে পারি না।” তাহলে সুনামি থেকে পরিত্রানের উপায়? বিশেষজ্ঞদের মতে ‘সুনামি’ থেকে পরিত্রাণের উপায় প্রবাল প্রাচীর আর ম্যানগ্রোভ বা লবণাম্ব উদ্ভিদ, দুটোই প্রাকৃতিক – মানুষের চেষ্টা থাকবে এই দুটোরই সমুদ্র উপকূলভাগে বাড়ানাের উদ্যোগ। কালক্রমে আর সুনামি ভয়ংকর। রূপ নিতে নিজেই যেন ভয় পায় এমন চেষ্টা মানুষকে করতে হবে।

    See less
  1. This answer was edited.

    ভারতের জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদঃ নানা জাতি, নানা মত, নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান।” – রবীন্দ্রনাথ ভূমিকা – নানা জাতি গােষ্ঠীর সমন্বিত দেশ আমাদের ভারতবর্ষ। সুদূর প্রাচীন কাল থেকে ভারত দেহে লীন হয়েছে বহু জাতির মানুষ – এদের ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্নতাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ভাষাগতRead more

    ভারতের জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদঃ

    নানা জাতি, নানা মত, নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান।” – রবীন্দ্রনাথ

    ভূমিকা – নানা জাতি গােষ্ঠীর সমন্বিত দেশ আমাদের ভারতবর্ষ। সুদূর প্রাচীন কাল থেকে ভারত দেহে লীন হয়েছে বহু জাতির মানুষ – এদের ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্নতাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ভাষাগত, ব্যবহারগত, জীবনচর্যাগত ও সংস্কৃতিগত পার্থক্য – তবুও বিবিধের মাঝে মিলন চিন্তাই সংহতি ও ঐক্যের সাধনারই ফল।

    দেশপ্রেমের আদর্শ – ভারতের মাটিতে আছে দেশপ্রেমের আদর্শ। এখানে জননী ও জন্মভূমি স্বর্গ অপেক্ষা গরীয়সী। মা মাটি মানুষ একাকার হয়ে আছে এখানে। এই দেশের জন্য সব ত্যাগ করা যায় আর এই দেশপ্রেমের আদর্শই দেশের সার্বিক কল্যাণের পথ।

    জাতীয়তার আদর্শ – অখণ্ড দেশ ও জাতীয় চেতনা থেকেই জাতীয়তার আদর্শ ও ঐক্যভাবনা। এই জাতীয়তাবােধ থেকেই জাতীয় সংহতি, যার মূল মন্ত্র – ‘এক জাতি, এক প্রাণ, একতা’ । ইংরেজ শাসনকালের বহুপূর্বে আমাদের জাতীয় সংহতি অক্ষুন্ন ছিল, তার প্রমাণ খণ্ড ছিন্ন ভারতভূমিকে একসূত্রে গ্রথিত করা এবং মৈত্রী ভাবনায় জাতীয় সত্যের আলােকে দেশকে ভালােবাসা।

    জাতীয় সংহতির অন্তরায় – জাতীয়তাবােধ থেকেই জাতীয় সংহতির জন্ম। জাতীয় জীবনে সংহতিবােধ না থাকলে দেশে বিচ্ছিন্নতাবাদ প্রবল হয়ে উঠে দেশকে নানা বিপর্যয়ের সম্মুখীন করে।

    বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িকতা – বহু মানুষের আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেমের থেকে যে জাতীয়তাবােধের জন্ম হয়েছিল তা আজ চন্দ্রের কলঙ্কের মতােই বর্তমান ভারতবর্ষে দেখা দিচ্ছে সংহতির নেতিমূলক মানসিকতা তথা বিচ্ছিন্নতার চিন্তা। ভারত স্বাধীন হল ঠিকই কিন্তু পাকিস্তান বিভাজন প্রথম বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িকতার দরজা উন্মােচন করল যার ফল আমরা এখনও ভােগ করছি। এছাড়া রয়েছে সময় এগিয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে আঞ্চলিকতার সমস্যা, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, ভাষাগত ভেদপ্রবণতা। বহু জায়গায় দেখা দিয়েছে সংকীর্ণ প্রাদেশিকতা, যেমন – আসামে ‘বিদেশী খেদা আন্দোলন। সংস্কৃতিগত পার্থক্যও বহু অঞ্চলে বিচ্ছিন্ন বিভেদকামী শক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন আন্দোলনে সামিল হয়েছে যেমন পাঞ্জাবে খালিস্তানী আন্দোলন, গাের্খাল্যান্ডের জন্য আন্দোলন, মাওবাদী আন্দোলন, আরও নানান উগ্রপন্থী আন্দোলন এর প্রমাণ।

    বিদেশী শক্তির মদত – এশিয়া মহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শক্তি ও বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতকে দুর্বল করার জন্য, অশান্তির আগুন জিইয়ে রাখার জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি তৎপর। পাকিস্তানের গােয়েন্দা সংস্থা আই.এস.আই. সমরিক প্রশিক্ষণ, অত্যাধুনিক অস্ত্র ও অর্থ সাহায্য দিয়ে চলেছে, তাই কাশ্মীরী জঙ্গী ও অন্যান্য উগ্রপন্থীরা এ.কে.৫৬ রাইফেল, রকেট ও গ্রেনেডের মতাে অস্ত্র নিয়ে ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আফগানিস্থান ও অন্যান্য দেশ থেকে ভাড়াটে সৈন্যরা এসে জঙ্গী সংগ্রামে হাত মিলিয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের জঙ্গী গােষ্ঠী মায়নামার, বাংলাদেশ প্রভৃতি সীমান্তবর্তী রাষ্ট্রে নিরাপদ আশ্রয় পাচ্ছে। এইভাবে কিছু বিদেশী চক্রান্তকারীদের সহযােগিতায় কিছু বিচ্ছিন্নতাকামী মানুষ দেশকে জঙ্গীগােষ্ঠীর কাছে ছেড়ে দিচ্ছে; এরা জাতীয়তাবােধের অর্থ না বুঝে সংকীর্ণ জাতীয় চেতনায় প্রমত্ত হয়ে উঠেছে। আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে এর প্রতিরােধ করতেই হবে।

    ভারতীয় সংবিধানের স্বরূপ ও সংহতির উপায় – ভারতের সংবিধানে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। সব রাজ্যগুলি নিজ নিজ ক্ষমতা ও বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রেখে সেগুলির সমন্বয়ের জন্য এই যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার একান্ত অনুকূল জাতীয় সংহতির আদর্শ এবং সংবিধানের মূল কাঠামােতে এই আদর্শকে রূপদানের কথা বিশেষভাবে বলা আছে। ভৌগােলিক সীমার মধ্যে যতই অসুবিধা থাক না কেন, জাতীয় সংহতিকে বাস্তবায়িত করা কোনমতে সম্ভব নয় এ ভাবনা আনাও অন্যায়।

    উপসংহার – আজ জাতির সামনে বড়াে পরীক্ষা জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদ। ভারত আমার মা – আর সেই মা কে অক্ষত রেখে দেশকে সমৃদ্ধতর করাই জাতীয় সংহতির আদর্শ। দেশের সার্বিক উন্নয়নে বিচ্ছিন্নতাবােধ, সাম্প্রদায়িক চেতনা ও স্বার্থচিন্তা দূর করে আমরা মিলিত হতে যেন পারি ‘এক জাতি, এক প্রাণ, একতা’ নামক জাতীয় সংহতির জাতীয় চেতনার পতাকাতলে। আর এই সংহতিবােধের জন্য চাই আবেগাত্মক আদর্শের সঙ্গে ব্যবহারিক বিচারবুদ্ধির অতন্দ্র দূরদর্শিতার সঠিক সাযুজ্য। তাইতাে –
    তােমার দেওয়া এ বিপুল পৃথিবী সকলে করিব ভােগ,
    এই পৃথিবীর নাড়ী সাথে আছে সৃজন-দিনের যােগ।

    See less
  1. Can-কি - I-আমি - call-কল/ডাক - You-তোমাকে/ আপনাকে Can i call you - আমি কি তোমাকে কল করতে পারি /আমি কি তুমাকে ডাকতে পারি For example: Can I call you after four PM-আমি কি তোমাকে চার টার পর কল করতে পারি । Can I call you my hero- আমি কি তোমাকে আমার নায়ক বলে ডাকতে পারি। Can I call you at my office- আমি কRead more

    Can-কি – I-আমি – call-কল/ডাক – You-তোমাকে/ আপনাকে

    Can i call you – আমি কি তোমাকে কল করতে পারি /আমি কি তুমাকে ডাকতে পারি

    For example:

    Can I call you after four PM-আমি কি তোমাকে চার টার পর কল করতে পারি ।

    Can I call you my hero- আমি কি তোমাকে আমার নায়ক বলে ডাকতে পারি।

    Can I call you at my office- আমি কি তোমাকে আমার অফিসে ডাকতে পারি।

    See less
  1. খোশ আমদেদ মুলত একটি ফারসি বাক্য। যাহা কোন অথিতি আপ্যায়নের সময় বা কাউকে ধন্যবাদান্তে  ব্যবহৃত হয়। খোশ- শুভ, মঙ্গলকর, আনন্দময় আমদেদ- আগমন,পদার্পণ খোশ আমদেদ- শুভ আগমন বা স্বাগতম In English - Warm Welcome or Welocome উদাহারন সরূপঃ -খোশ আমদেদ এ বাদশাহ সালামত -খোশ আমদেদ মাহে রামযান    

    খোশ আমদেদ মুলত একটি ফারসি বাক্য। যাহা কোন অথিতি আপ্যায়নের সময় বা কাউকে ধন্যবাদান্তে  ব্যবহৃত হয়।

    খোশ- শুভ, মঙ্গলকর, আনন্দময়
    আমদেদ- আগমন,পদার্পণ

    খোশ আমদেদ- শুভ আগমন বা স্বাগতম
    In English – Warm Welcome or Welocome

    উদাহারন সরূপঃ

    -খোশ আমদেদ এ বাদশাহ সালামত

    -খোশ আমদেদ মাহে রামযান

     

     

    See less