প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর একটি বিস্তীর্ণ জলাশয় শনবিল। ভ্রমণবিলাসীদের কাছে “শনবিল” মানেই ধেয়ে চলার দারুন সুযোগ এবং চোখ জুড়ানো সব দৃশ্য। রাজধানী দিল্লি থেকে প্রায় 2 হাজার মাইল উত্তর-পূর্বে প্রান্তীয় রাজ্য আসামের করিমগঞ্জ জেলায় অবস্থিত এই শনবিল। আয়তনের দিক দিয়ে এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং অসমের মধ্যে বৃহত্তম জলাশয়।
জলাশয়টি সমস্ত বছর জুড়ে একইভাবে থাকে না ঋতুভেদে দেখা যায় দুই রকমের রূপ। বর্ষার সময় জলে ভেসে উঠে আবার শীতকালে শুকিয়ে গেলে সৃষ্টি হয় ধান ক্ষেত্র। জলাশয়টির গভীরতা কম হওয়ার কারণে বর্ষার সময় প্রায়ই প্লাবিত হয়ে উঠে।
বর্ষায় শনবিল হয়ে ওঠে প্রকৃতির এক অপরূপ লীলাভূমি। চারিদিকের রাশি রাশি জল, জলে অর্ধডুবন্ত হিজল গাছ, দিগন্তে ভেসে ওঠা সবুজ বন, পড়ন্ত বিকেলের রক্তিম আভা, আর জনশূন্য নির্জনতা পর্যটকদের মুগ্ধ করে তুলে।
তাছাড়া শনবিল স্থানীয় মৎস্যজীবীদের অন্যতম জীবিকার উৎস। এখানে বিভিন্ন রকমের প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। তাই প্রত্যেকটি বর্ষা স্থানীয় মৎস্যজীবীদের জন্য নিয়ে আসে আশার আলো।
বরাক উপত্যকার মানুষের কাছে পরিচিত থাকলেও উপত্যকার বাইরে এখনো অপরিচিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর অন্যতম এই ভ্রমণ স্থল শনবিল। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, সচেতনতা ও সরকারের সদিচ্ছা থাকলে শনবিল হয়ে উঠবে আসামের একটি অন্যতম পর্যটন স্থল।
কিভাবে যাবেন– শনবিল যাওয়ার জন্য নিকটবর্তী বিমানবন্দর ‘শিলচর কুম্ভিরগ্রাম’ অথবা বদরপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সড়কপথে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।কুম্ভিরগ্রাম বিমানবন্দর থেকে শনবিলের দূরত্ব প্রায় ১১০ কিঃ এবং বদরপুর থেকে প্রায় ৪৫ কিঃ।
ভ্রমনের জন্য উত্তম সময় – শনবিল ভ্রমনের উত্তম সময় বর্ষাকাল। যেহেতু এই অঞ্চলে মার্চ মাসের শেষ থেকেই বৃষ্টিপাত আরম্ব হয়ে যায় তাই এপ্রিল থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে কোন সময় ভ্রমন করতে পারেন।
Leave a comment