Sign Up

Continue with Facebook
Continue with Google
Continue with Twitter
or use


Have an account? Sign In Now

Sign In

Continue with Facebook
Continue with Google
Continue with Twitter
or use


Forgot Password?

Don't have account, Sign Up Here

Forgot Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.


Have an account? Sign In Now

Sorry, you do not have a permission to ask a question, You must login to ask question.

Continue with Facebook
Continue with Google
Continue with Twitter
or use


Forgot Password?

Need An Account, Sign Up Here
Bengali Forum Logo Bengali Forum Logo
Sign InSign Up

Bengali Forum

Bengali Forum Navigation

  • বিভাগ
  • বিষয়
  • ব্লগ
  • বাংলা অভিধান
  • হযবরল
Search
Ask A Question

Mobile menu

Close
Ask a Question
  • বাংলা অভিধান
  • সাহিত্য
  • শিক্ষা
  • রচনা
  • সাধারণ জ্ঞান
  • ইংলিশ টু বাংলা
  • বিজ্ঞান
  • বাংলা কুইজ
  • ধৰ্ম ও সংস্কৃতি
  • ইতিহাস
  • মতামত
In: সাহিত্য

কবি জসীম উদ্দিনের নির্বাচিত কয়েকটি কবিতা | jasimuddin kobita

কবি জসীম উদ্দিনের নির্বাচিত কয়েকটি কবিতা | jasimuddin kobita
  • 3
  • 1,200
  • 0
Answer

    3 Answers

    1. Hridoy

      Hridoy

      • 0 Questions
      • 373 Answers
      • 7 Best Answers
      • 3 Points
      View Profile
      Hridoy
      2020-03-14T02:57:12+05:30Added an answer on March 14, 2020 at 2:57 am

      নিমন্ত্রণ (জসীমউদ্দীন)
      তুমি যাবে ভাই – যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়,
      গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়;
      মায়া মমতায় জড়াজড়ি করি
      মোর গেহখানি রহিয়াছে ভরি,
      মায়ের বুকেতে, বোনের আদরে, ভাইয়ের স্নেহের ছায়,
      তুমি যাবে ভাই – যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়,

      ছোট গাঁওখানি – ছোট নদী চলে, তারি একপাশ দিয়া,
      কালো জল তার মাজিয়াছে কেবা কাকের চক্ষু নিয়া;
      ঘাটের কিনারে আছে বাঁধা তরী
      পারের খবর টানাটানি করি;
      বিনাসুতি মালা গাথিছে নিতুই এপার ওপার দিয়া;
      বাঁকা ফাঁদ পেতে টানিয়া আনিছে দুইটি তটের হিয়া।

      তুমি যাবে ভাই – যাবে মোর সাথে, ছোট সে কাজল গাঁয়,
      গলাগলি ধরি কলা বন; যেন ঘিরিয়া রয়েছে তায়।
      সরু পথ খানি সুতায় বাঁধিয়া
      দূর পথিকেরে আনিছে টানিয়া,
      বনের হাওয়ায়, গাছের ছায়ায়, ধরিয়া রাখিবে তায়,
      বুকখানি তার ভরে দেবে বুঝি, মায়া আর মমতায়!

      তুমি যাবে ভাই যাবে মোর সাথে – নরম ঘাসের পাতে
      চম্বন রাখি অধরখানিতে মেজে লয়ো নিরালাতে।
      তেলাকুচা-লতা গলায় পরিয়া
      মেঠো ফুলে নিও আঁচল ভরিয়া,
      হেথায় সেথায় ভাব করো তুমি বুনো পাখিদের সাথে,
      তোমার গায়ের রংখানি তুমি দেখিবে তাদের পাতে।

      তুমি যদি যাও আমাদের গাঁয়ে, তোমারে সঙ্গে করি
      নদীর ওপারে চলে যাই তবে লইয়া ঘাটের তরী।
      মাঠের যত না রাখাল ডাকিয়া
      তোর সনে দেই মিতালী করিয়া
      ঢেলা কুড়িইয়া গড়ি ইমারত সারা দিনমান ধরি,
      সত্যিকারের নগর ভুলিয়া নকল নগর গড়ি।

      তুমি যদি যাও – দেখিবে সেখানে মটর লতার সনে,
      সীম আর সীম – হাত বাড়াইলে মুঠি ভরে সেই খানে।
      তুমি যদি যাও সে – সব কুড়ায়ে
      নাড়ার আগুনে পোড়ায়ে পোড়ায়ে,
      খাব আর যত গেঁঢো – চাষীদের ডাকিয়া নিমন্ত্রণে,
      হাসিয়া হাসিয়া মুঠি মুঠি তাহা বিলাইব দুইজনে।

      তুমি যদি যাও – শালুক কুড়ায়ে, খুব – খুব বড় করে,
      এমন একটি গাঁথিব মালা যা দেখনি কাহারো করে,
      কারেও দেব না, তুমি যদি চাও
      আচ্ছা না হয় দিয়ে দেব তাও,
      মালাটিরে তুমি রাখিও কিন্তু শক্ত করিয়া ধরে,
      ও পাড়াব সব দুষ্ট ছেলেরা নিতে পারে জোর করে;

      সন্ধ্যা হইলে ঘরে ফিরে যাব, মা যদি বকিতে চায়,
      মতলব কিছু আঁটিব যাহাতে খুশী তারে করা যায়!
      লাল আলোয়ানে ঘুঁটে কুড়াইয়া
      বেঁধে নিয়ে যাব মাথায় করিয়া
      এত ঘুষ পেয়ে যদি বা তাহার মন না উঠিতে চায়,
      বলিব – কালিকে মটরের শাক এনে দেব বহু তায়।

      খুব ভোর ক’রে উঠিতে হইবে, সূয্যি উঠারও আগে,
      কারেও ক’বি না, দেখিস্ পায়ের শব্দে কেহ না জাগে
      রেল সড়কের ছোট খাদ ভরে
      ডানকিনে মাছ কিলবিল করে;
      কাদার বাঁধন গাঁথি মাঝামাঝি জল সেঁচে আগে ভাগে
      সব মাছগুলো কুড়ায়ে আনিব কাহারো জানার আগে।

      ভর দুপুরেতে এক রাশ কাঁদা আর এক রাশ মাছ,
      কাপড়ে জড়ায়ে ফিরিয়া আসিব আপন বাড়ির কাছ।
      ওরে মুখ-পোড়া ওরে রে বাঁদর।
      গালি-ভরা মার অমনি আদর,
      কতদিন আমি শুনি নারে ভাই আমার মায়ের পাছ;
      যাবি তুই ভাই, আমাদের গাঁয়ে যেথা ঘন কালো গাছ।

      যাবি তুই ভাই, যাবি মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয়।
      ঘন কালো বন – মায়া মমতায় বেঁধেছে বনের বায়।
      গাছের ছায়ায় বনের লতায়
      মোর শিশুকাল লুকায়েছে হায়!
      আজি সে-সব সরায়ে সরায়ে খুজিয়া লইব তায়,
      যাবি তুই ভাই, যাবি মোর সাথে আমাদের ছোট গায়।

      তোরে নিয়ে যাব আমাদের গাঁয়ে ঘন-পল্লব তলে
      লুকায়ে থাকিস্, খুজে যেন কেহ পায় না কোনই বলে।
      মেঠো কোন ফুল কুড়াইতে যেয়ে,
      হারাইয়া যাস্ পথ নাহি পেয়ে;
      অলস দেহটি মাটিতে বিছায়ে ঘুমাস সন্ধ্যা হলে,
      সারা গাঁও আমি খুজিয়া ফিরিব তোরি নাম বলে বলে।

      • 0
    2. Hridoy

      Hridoy

      • 0 Questions
      • 373 Answers
      • 7 Best Answers
      • 3 Points
      View Profile
      Hridoy
      2020-03-14T02:58:11+05:30Added an answer on March 14, 2020 at 2:58 am

      পালের নাও (জসীমউদ্দীন)
      পালের নাও, পালের নাও, পান খেয়ে যাও –
      ঘরে আছে ছোট বোনটি তারে নিয়ে যাও।
      কপিল-সারি গাইয়ের দুধ যেয়ো পান করে’
      কৌটা ভরি সিঁদুর দেব কপালটি ভরে’!
      গুয়ার গায়ে ফুল চন্দন দেব ঘসে’ ঘসে’,
      মামা-বাড়ীর বলব কথা শুনো বসে বসে!

      কে যাওরে পাল ভরে’ কোন্ দেশে ঘর
      পাছা নায়ে বসে আছে কোন্ সওদাগর?
      কোন্ দেশে কোন্ গাঁয়ে হিরে ফুল ঝরে।
      কোন্ দেশে হিরামন পাখী বাস করে!
      কোন্ দেশে রাজ-কনে খালি ঘুম যায়,
      ঘুম যায় আর হাসে হিম্-সিম্ বায়।
      সেই দেশে যাব আমি কিছু নাহি চাই,
      ছোট মোর বোনটিরে যদি সাথে পাই!

      পালের নাও, পালের নাও, পান খেয়ে যাও,
      তোমার যে পাল নাচে ফুলঝুরি বাও।
      তোমার যে না’র ছই আবের ঢাকনী
      ঝলমল জ্বলিতেছে সোনার বাঁধনী।
      সোনার না বাঁধন্ রে তার গোড়ে গোড়ে
      হিরামন পঙ্খীর লাল পাখা ওড়ে।
      তারপর ওড়েরে ঝালরের ছাতি,
      ঝলমল জলে জ্বলে রতনের বাতি।
      এই নাও বেয়ে যায় কোন্ সদাগর,
      কয়ে যাও – কয়ে যাও কোন্ দেশে ঘর?

      পালের নাও, পালের নাও, পান খেয়ে যাও,
      ঘরে আছে ছোট বোন্ তারে নিয়ে যাও, –
      চেনা গাঙে সাত ধার করে গলাগলি,
      সেথা বাস কেহেলার – লোকে গেছে বলি।
      পারাপার দুই নদী – মাঝে বালুচর
      সেইখানে বাস করে চাঁদ সওদাগর।

      এ পারে ধুতুমের বাসা ও পারেতে টিয়া –
      সেখানেতে যেও না রে নাও খানি নিয়া।
      ভাইটাল গাঙ্ দোলে ভাটা গেঁয়ো সোতে,
      হবে নারে নাও বাওয়া সেথা কোন মতে।

      • 0
    3. Hridoy

      Hridoy

      • 0 Questions
      • 373 Answers
      • 7 Best Answers
      • 3 Points
      View Profile
      Hridoy
      2020-03-14T02:59:29+05:30Added an answer on March 14, 2020 at 2:59 am

      কবর

      এইখানে তোর দাদীর কবর ডালিম গাছের তলে,
      তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
      এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ,
      পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।
      এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা,
      সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা।
      সোনালী ঊষায় সোনামুখে তার আমার নয়ন ভরি,
      লাঙ্গল লইয়া ক্ষেতে ছুটিতাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি।
      যাইবার কালে ফিরে ফিরে তারে দেখে লইতাম কত,
      এ কথা লইয়া ভাবি-সাব মোর তামাশা করিত শত।

      এমন করিয়া জানিনা কখন জীবনের সাথে মিশে,
      ছোট-খাট তার হাসি-ব্যথা মাঝে হারা হয়ে গেনু দিশে।
      বাপের বাড়িতে যাইবার কালে কহিত ধরিয়া পা,
      আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু উজান-তলীর গাঁ।
      শাপলার হাটে তরমুজ বেচি দু পয়সা করি দেড়ী,
      পুঁতির মালা এক ছড়া নিতে কখনও হতনা দেরি।
      দেড় পয়সার তামাক এবং মাজন লইয়া গাঁটে,
      সন্ধ্যাবেলায় ছুটে যাইতাম শ্বশুর বাড়ির বাটে !
      হেস না–হেস না–শোন দাদু সেই তামাক মাজন পেয়ে,
      দাদী যে তোমার কত খুশি হোত দেখিতিস যদি চেয়ে।
      নথ নেড়ে নেড়ে কহিত হাসিয়া, ‘এতদিন পরে এলে,
      পথপানে চেয়ে আমি যে হেথায় কেঁদে মরি আঁখি জলে।’

      আমারে ছাড়িয়া এত ব্যথা যার কেমন করিয়া হায়,
      কবর দেশেতে ঘুমায়ে রয়েছে নিঝ্ঝুম নিরালায়।
      হাত জোড় করে দোয়া মাঙ্ দাদু, ‘আয় খোদা, দয়াময়,
      আমার দাদীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নাজেল হয়।’

      তার পরে এই শুন্য জীবনে যত কাটিয়াছি পাড়ি,
      যেখানে যাহারে জড়ায়ে ধরেছি সেই চলে গেছে ছাড়ি।
      শত কাফনের শত কবরের অঙ্ক হৃদয়ে আঁকি
      গনিয়া গনিয়া ভুল করে গনি সারা দিনরাত জাগি।
      এই মোর হাতে কোদাল ধরিয়া কঠিন মাটির তলে,
      গাড়িয়া দিয়াছি কতসোনা মুখ নাওয়ায়ে চোখের জলে।
      মাটিরে আমি যে বড় ভালবাসি, মাটিতে লাগায়ে বুক,
      আয় আয় দাদু, গলাগলি ধরে কেঁদে যদি হয় সুখ।

      এইখানে তোর বাপ্জী ঘুমায়, এইখানে তোর মা,
      কাঁদছিস তুই ? কি করিব দাদু, পরান যে মানে না !
      সেই ফাল্গুনে বাপ তোর এসে কহিল আমারে ডাকি,
      বা-জান, আমার শরীর আজিকে কি যে করে থাকি থাকি।
      ঘরের মেঝেতে সপ্ টি বিছায়ে কহিলাম, বাছা শোও,
      সেই শোওয়া তার শেষ শোওয়া হবে তাহা কি জানিত কেউ ?
      গোরের কাফনে সাজায়ে তাহারে চলিলাম যবে বয়ে,
      তুমি যে কহিলা–বা-জানেরে মোর কোথা যাও দাদু লয়ে?
      তোমার কথার উত্তর দিতে কথা থেমে গেল মুখে,
      সারা দুনিয়ার যত ভাষা আছে কেঁদে ফিরে গেল দুখে।
      তোমার বাপের লাঙল-জোয়াল দু হাতে জড়ায়ে ধরি,
      তোমার মায়ে যে কতই কাঁদিত সারা দিন-মান ভরি।
      গাছের পাতারা সেই বেদনায় বুনো পথে যেত ঝরে,
      ফাল্গুনী হাওয়া কাঁদিয়া উঠিত শুনো মাঠখানি ভরে।
      পথ দিয়ে যেতে গেঁয়ো-পথিকেরা মুছিয়া যাইতো চোখ,
      চরণে তাদের কাঁদিয়া উঠিত গাছের পাতার শোক।
      আথালে দুইটি জোয়ান বলদ সারা মাঠ পানে চাহি,
      হাম্বা রবেতে বুক ফাটাইত নয়নের জলে নাহি।
      গলাটি তাদের জড়ায়ে ধরিয়া কাঁদিত তোমার মা,
      চোখের জলের গহীন সায়রে ডুবায়ে সকল গাঁ।
      উদাসিনী সেই পল্লীবালার নয়নের জল বুঝি,
      কবর দেশের আন্ধার ঘরে পথ পেয়েছিল খুঁজি।
      তাই জীবনের প্রথম বেলায় ডাকিয়া আনিল সাঁঝ,
      হায় অভাগিনী আপনি পরিল মরণ-বীষের তাজ।
      মরিবার কালে তোরে কাছে ডেকে কহিল, ‘বাছারে যাই,
      বড় ব্যথা রল দুনিয়াতে তোর মা বলিতে কেহ নাই;
      দুলাল আমার, দাদু রে আমার, লক্ষ্মী আমার ওরে,
      কত ব্যথা মোর আমি জানি বাছা ছাড়িয়া যাইতে তোরে।’
      ফোঁটায় ফোঁটায় দুইটি গণ্ড ভিজায়ে নয়ন-জলে,
      কি জানি আশিস্ করি গেল তোরে মরণ-ব্যথার ছলে।

      ক্ষণ পরে মোরে ডাকিয়া কহিল, ‘আমার কবর গায়,
      স্বামীর মাথার ‘মাথাল’ খানিরে ঝুলাইয়া দিও বায়।’
      সেই সে মাথাল পচিয়া গলিয়া মিশেছে মাটির সনে,
      পরানের ব্যথা মরে না কো সে যে কেঁদে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে।
      জোড়-মানিকেরা ঘুমায়ে রয়েছে এইখানে তরু-ছায়,
      গাছের শাখারা স্নেহের মায়ায় লুটায়ে পড়েছে গায়ে।
      জোনাকি মেয়েরা সারা রাত জাগি জ্বালাইয়া দেয় আলো,
      ঝিঁঝিরা বাজায় ঘুমের নুপুর কত যেন বেসে ভাল।
      হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু,’রহমান খোদা, আয়,
      ভেস্ত নাজেল করিও আজিকে আমার বাপ ও মায়ে।’

      এইখানে তোর বু-জীর কবর, পরীর মতন মেয়ে,
      বিয়ে দিয়েছিনু কাজীদের ঘরে বনিয়াদী ঘর পেয়ে।
      এত আদরের বু-জীরে তাহারা ভালবাসিত না মোটে।
      হাতেতে যদিও না মারিত তারে শত যে মারিত ঠোঁটে।
      খবরের পর খবর পাঠাত, ‘দাদু যেন কাল এসে,
      দু দিনের তরে নিয়ে যায় মোরে বাপের বাড়ির দেশে।
      শ্বশুর তাহার কসাই চামার, চাহে কি ছাড়িয়া দিতে,
      অনেক কহিয়া সেবার তাহারে আনিলাম এক শীতে।
      সেই সোনামুখ মলিন হয়েছে, ফোটে না সেথায় হাসি,
      কালো দুটি চোখে রহিয়া রহিয়া অশ্রু উঠিত ভাসি।
      বাপের মায়ের কবরে বসিয়া কাঁদিয়া কাটাত দিন,
      কে জানিত হায়, তাহারও পরানে বাজিবে মরণ-বীণ!
      কি জানি পচানো জ্বরেতে ধরিল আর উঠিল না ফিরে,
      এইখানে তারে কবর দিয়াছি দেখে যাও দাদু ধীরে।

      ব্যথাতুরা সেই হতভাগিনীরে বাসে নাই কেউ ভাল,
      কবরে তাহার জড়ায়ে রয়েছে বুনো ঘাসগুলি কালো।
      বনের ঘুঘুরা উহু উহু করি কেঁদে মরে রাতদিন,
      পাতায় পাতায় কেঁপে ওঠে যেন তারি বেদনার বীণ।
      হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু,’আয় খোদা দয়াময়!।
      আমার বু-জীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নাজেল হয়।’

      হেথায় ঘুমায় তোর ছোট ফুপু সাত বছরের মেয়ে,
      রামধনু বুঝি নেমে এসেছিল ভেস্তের দ্বার বেয়ে।
      ছোট বয়সেই মায়েরে হারায়ে কি জানি ভাবিত সদা,
      অতটুকু বুকে লুকাইয়াছিল কে জানিত কত ব্যথা।
      ফুলের মতন মুখখানি তার দেখিতাম যবে চেয়ে,
      তোমার দাদীর মুখখানি মোর হৃদয়ে উঠিত ছেয়ে।
      বুকেতে তাহারে জড়ায়ে ধরিয়া কেঁদে হইতাম সারা,
      রঙিন সাঁঝেরে ধুয়ে মুছে দিত মোদের চোখের ধারা।

      একদিন গেনু গজ্নার হাটে তাহারে রাখিয়া ঘরে,
      ফিরে এসে দেখি সোনার প্রতিমা লুটায় পথের পরে।
      সেই সোনামুখ গোলগাল হাত সকলি তেমন আছে,
      কি জেনি সাপের দংশন পেয়ে মা আমার চলে গ্যাছে।
      আপন হাতেতে সোনার প্রতিমা কবরে দিলাম গাড়ি–
      দাদু ধর–ধর–বুক ফেটে যায়, আর বুঝি নাহি পারি।
      এইখানে এই কবরের পাশে, আরও কাছে আয় দাদু,
      কথা ক’সনাক, জাগিয়া উঠিবে ঘুম-ভোলা মোর যাদু।
      আস্তে আস্তে খুড়ে দেখ্ দেখি কঠিন মাটির তলে,
      দীন দুনিয়ার ভেস্ত আমার ঘুমায় কিসের ছলে।

      ওই দূর বনে সন্ধ্যা নামিছে ঘন আবিরের রাগে,
      এমনি করিয়া লুটায়ে পড়িতে বড় সাধ আজ জাগে।
      মজীদ হইছে আজান হাঁকিছে বড় সকরুণ সুর,
      মোর জীবনের রোজকেয়ামত ভাবিতেছি কত দুর!
      জোড়হাতে দাদু মোনাজাত কর্, ‘আয় খোদা, রহমান,
      ভেস্ত নাজেল করিও সকল মৃত্যু-ব্যথিত প্রাণ!

      • 0

    You must login to add an answer.

    Continue with Facebook
    Continue with Google
    Continue with Twitter
    or use


    Forgot Password?

    Need An Account, Sign Up Here

    Sidebar

    আরও দেখুন

    • কবিতা : আবহমান (নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী) Nirendranath Chakraborty Poem Abohoman
    • কবিতা : অমলকান্তি | Nirendranath Chakraborty Poem Amalkanti
    • কবিতা : নিঃস্বার্থ (সুকুমার রায়) Bangla Kobita Nisarto Sukumar Roy
    • কবিতাঃ যাবার দিনে এই কথাটি | Jabar Dine Ei Kothati Lyrics in Bengali
    • যদি প্রেম দিলে না প্রাণে | Jodi Prem Dile na Prane Lyrics
    • রবীন্দ্রসংগীতঃ মহারাজ একি সাজে | Maharajo Eki Saje Lyrics in Bengali
    • রবীন্দ্রসংগীতঃ খরবায়ু বয় বেগে | Khara Bayu Boy Bege Lyrics in Bengali
    • রবীন্দ্রসংগীতঃ এই লভিনু সঙ্গ তব | Ei lobhinu Songo Tobo Lyrics in Bengali
    • রবীন্দ্রসংগীতঃ বর্ষণ মন্দ্রিত অন্ধকারে | Barshan Mandrita Andhakare lyrics
    • Martyrs of Barak Valley Language Movement | ১৯ মে আসামের বাংলাভাষা শহীদদের পরিচিতি
    • হোরিখেলা (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) Hori Khela Poem by Rabindranath Tagore Lyrics
    • কবিতা : একুশে আইন | Ekushe Ain Poem By Sukumar Roy
    • কবিতা : ঠিকানা | Thikana Poem By Sukumar Roy
    • কবিতা : জীবনের হিসাব | Jiboner Hisab Sukumar Roy Kobita
    • কবিতা : বোম্বাগড়ের রাজা | Bombagorer Raja Sukumar Roy Kobita
    • কবিতা : ভয় পেয়োনা (সুকুমার রায়) Bhoy Peona Sukumar Roy Kobita
    • কবিতা : কাতুকুতু বুড়ো | Katukutu Buro Sukumar Roy Kobita lyrics
    • কবিতা : রাম গরুড়ের ছানা | Kobita Ramgorurer Chhana Sukumar Roy
    • কবিতা : বিজ্ঞ (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) Biggo by Rabindranath Tagore Lyrics
    • কবিতা : সবলা (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) Sobola by Rabindranath Tagore Lyrics
    Join us on Telegram
    Join our FaceBook Group

    বিষয়

    All Bangla Paragraph (105) Bangla GK (177) Bangla Kobita (203) Bangla Rachana (105) Bengali Meaning (259) Bengali Poems (124) English to Bengali Meaning (270) English to Bengali Translation (256) Kobita (143) অনুচ্ছেদ (127) বাংলা অর্থ (275) বাংলা কবিতা (219) বাংলা বাক্য রচনা (176) বাংলা রচনা (127) বাক্য রচনা (176)

    Footer

    © 2020 Bengali Forum · All rights reserved. Contact Us

    Add Bengali Forum to your Homescreen!

    Add