১০. দুটো ক্রিয়াপদের মিলনে – লেখাপড়া, চলা-ফেরা, আসা-যাওয়া ইত্যাদি।
তাছাড়া আর দুটি প্রকার হলঃ
অলুক দ্বন্দ্ব সমাসঃ
যে দ্বন্দ্ব সমাসে পদের বিভক্তি লােপ পায় না তাকে অলুক দ্বন্দ্ব বলে। যেমন- দুধে ও ভাতে = দুধেভাতে, হাতে ও কলমে = হাতেকলমে, পথে ও ঘটে = পথে-ঘাটে ইত্যাদি।
বহুপদী দ্বন্দ্ব সমাসঃ
দুইয়ের অধিক পদ মিলে যে দ্বন্দ্বসমাস হয় তাকে বহুপদী দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন- ইট, কাঠ ও পাথর = ইট-কাঠ-পাথর, সাহেব, বিবি ও গােলাম সাহেব-বিবি-গােলাম, টাকা, আনা ও পাই = টাকা-আনা-পাই ইত্যাদি।
Hridoy
দ্বন্দ্ব সমাস
যে সমাসে দুই বা ততােধিক পদ মিলে একপদ হয় এবং উভয়পদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।
যেমন-
ভাই ও বােন = ভাইবােন।
ফল ও মূল = ফলমূল।
কাগজ ও পত্র = কাগজপত্র।
কেনা ও বেচা = কেনাবেচা
দ্বন্দ্ব সমাস কয়েক প্রকারের হতে পারেঃ
১. মিলনার্থক শব্দ যােগে – ভাইবােন, মা-বাপ, জ্বিন-পরী, দীন-দুঃখী ইত্যাদি।
২. বিরােধার্থক শব্দ যােগে – চোর-পুলিশ, স্বর্গ-নরক, দা-কুমড়া, অহি-নকুল ইত্যাদি।
৩. বিপরীতার্থক শব্দের মিলনে – শত্রু-মিত্র, রাজা-প্রজা, সৎ-অসৎ, পাপ-পুণ্য, আয়-ব্যয়, জন্ম-মৃত্যু ইত্যাদি।
৪. সমার্থক শব্দের মিলনে – হাট-বাজার, ধন-দৌলত, রাজা-বাদশা, বই-পুস্তক ইত্যাদি।
৫. সংখ্যাবাচক শব্দের মিলনে – সাত-সতের, উনিশ-বিশ, নয়-ছয়, সাত-পাঁচ ইত্যাদি।
৬. অঙ্গবাচক শব্দের মিলনে – মাথা-মুণ্ডু, হাত-পা, নাক-মুখ, চোখ-কান, মুখ-চোখ ইত্যাদি।
৭. দুটো বিশেষ্য পদ যােগে – রাজা-রানী, ভাই-বােন, মা-বাবা ইত্যাদি।
৮. দুটো বিশেষণ পদের মিলনে – সত্য-মিথ্যা, উঁচু-নিচু, ভাল-মন্দ ইত্যাদি।
৯. দুটো সর্বনাম পদের মিলনে – যা-তা, যেমন-তেমন, যে-সে, যথা-তথা, যেখানে-সেখানে ইত্যাদি।
১০. দুটো ক্রিয়াপদের মিলনে – লেখাপড়া, চলা-ফেরা, আসা-যাওয়া ইত্যাদি।
তাছাড়া আর দুটি প্রকার হলঃ
অলুক দ্বন্দ্ব সমাসঃ
যে দ্বন্দ্ব সমাসে পদের বিভক্তি লােপ পায় না তাকে অলুক দ্বন্দ্ব বলে। যেমন- দুধে ও ভাতে = দুধেভাতে, হাতে ও কলমে = হাতেকলমে, পথে ও ঘটে = পথে-ঘাটে ইত্যাদি।
বহুপদী দ্বন্দ্ব সমাসঃ
দুইয়ের অধিক পদ মিলে যে দ্বন্দ্বসমাস হয় তাকে বহুপদী দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন- ইট, কাঠ ও পাথর = ইট-কাঠ-পাথর, সাহেব, বিবি ও গােলাম সাহেব-বিবি-গােলাম, টাকা, আনা ও পাই = টাকা-আনা-পাই ইত্যাদি।