1. দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাসে ও তার উদাহরণ ব্যাপ্তি অর্থে কালবাচক পদের সাথে দ্বিতীয়া তৎপুরুষ হয়। যেমনঃ চিরকাল ব্যাপিয়া সুখ=চিরসুখ ক্ষণকাল ব্যাপিয়া স্থায়ী = ক্ষণস্থায়ী চিরদিন ধরিয়া শত্রু = চিরশত্রু সাহায্যকে প্রাপ্ত = সাহায্যপ্রাপ্ত

    দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাসে ও তার উদাহরণ

    ব্যাপ্তি অর্থে কালবাচক পদের সাথে দ্বিতীয়া তৎপুরুষ হয়।

    যেমনঃ

    চিরকাল ব্যাপিয়া সুখ=চিরসুখ

    ক্ষণকাল ব্যাপিয়া স্থায়ী = ক্ষণস্থায়ী

    চিরদিন ধরিয়া শত্রু = চিরশত্রু

    সাহায্যকে প্রাপ্ত = সাহায্যপ্রাপ্ত

    See less
    • 0
  2. তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস ও তার উদাহরণ পূর্বপদে তৃতীয়া বিভক্তি (দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক) লােপ পেয়ে যে সমাস হয় তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমনঃ  মন দিয়ে গড়া = মনগড়া  ঘি দিয়ে ভাজা = ঘিভাজা মধু দিয়ে মাখা = মধুমাখা শান দিয়ে বাঁধানো = শান-বাঁধানাে মোহের দ্বারা অন্ধ = মােহান্ধ জুতা দিয়ে পেটা = জুতাে-পেRead more

    তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস ও তার উদাহরণ

    পূর্বপদে তৃতীয়া বিভক্তি (দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক) লােপ পেয়ে যে সমাস হয় তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে।

    যেমনঃ

     মন দিয়ে গড়া = মনগড়া 

    ঘি দিয়ে ভাজা = ঘিভাজা

    মধু দিয়ে মাখা = মধুমাখা

    শান দিয়ে বাঁধানো = শান-বাঁধানাে

    মোহের দ্বারা অন্ধ = মােহান্ধ

    জুতা দিয়ে পেটা = জুতাে-পেটা 

    See less
    • 0
  3. তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ যে সমাসে পূর্বপদের (দ্বিতীয়া থেকে সপ্তমী পর্যন্ত বিভক্তি থাকতে পারে) বিভক্তি লােপ পায় এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমনঃ চায়ের বাগান = চাবাগান গাছে পাকা = গাছ পাকা বইকে পড়া = বইপড়া ভাতকে রাধা = ভাতরাঁধা মন দিয়ে গড়া = মনগড়া ঘি দিয়ে ভাজা = ঘিভাজRead more

    তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ

    যে সমাসে পূর্বপদের (দ্বিতীয়া থেকে সপ্তমী পর্যন্ত বিভক্তি থাকতে পারে) বিভক্তি লােপ পায় এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।

    যেমনঃ

    চায়ের বাগান = চাবাগান

    গাছে পাকা = গাছ পাকা

    বইকে পড়া = বইপড়া

    ভাতকে রাধা = ভাতরাঁধা

    মন দিয়ে গড়া = মনগড়া

    ঘি দিয়ে ভাজা = ঘিভাজা

    দেবকে দত্ত = দেবদত্ত

    গুরুকে ভক্তি = গুরুভক্তি

    See less
    • 0
  4. দ্বন্দ্ব সমাস ও তার উদাহরণ যে সমাসে দুই বা ততােধিক পদ মিলে একপদ হয় এবং উভয়পদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমনঃ কাগজ ও পত্র = কাগজপত্র। ভাই ও বােন = ভাইবােন। ফল ও মূল = ফলমূল।   রাজা ও প্রজা = রাজাপ্রজা লাভ ও লােকসান = লাভলােকসান জমা ও খরচ = জমা খরচ দেব ও দ্বিজ = দেবদRead more

    দ্বন্দ্ব সমাস ও তার উদাহরণ

    যে সমাসে দুই বা ততােধিক পদ মিলে একপদ হয় এবং উভয়পদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।

    যেমনঃ

    কাগজ ও পত্র = কাগজপত্র।

    ভাই ও বােন = ভাইবােন।

    ফল ও মূল = ফলমূল।  

    রাজা ও প্রজা = রাজাপ্রজা

    লাভ ও লােকসান = লাভলােকসান

    জমা ও খরচ = জমা খরচ

    দেব ও দ্বিজ = দেবদ্বিজ

    মাতা ও পিতা = মাতাপিতা

    গুরু ও শিষ্য = গুরুশিষ্য

    খােকা ও খুক = খােকা খুকু

    গােলা ও গুলি = গােলাগুলি

    কানা ও ঘুষা = কানাঘুষা

    See less
    • 0
  5. দ্বন্দ্ব সমাস যে সমাসে দুই বা ততােধিক পদ মিলে একপদ হয় এবং উভয়পদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন- ভাই ও বােন = ভাইবােন। ফল ও মূল = ফলমূল। কাগজ ও পত্র = কাগজপত্র। কেনা ও বেচা = কেনাবেচা    দ্বন্দ্ব সমাস কয়েক প্রকারের হতে পারেঃ ১. মিলনার্থক শব্দ যােগে – ভাইবােন,Read more

    দ্বন্দ্ব সমাস

    যে সমাসে দুই বা ততােধিক পদ মিলে একপদ হয় এবং উভয়পদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।

    যেমন-

    ভাই ও বােন = ভাইবােন।

    ফল ও মূল = ফলমূল।

    কাগজ ও পত্র = কাগজপত্র।

    কেনা ও বেচা = কেনাবেচা 

     

    দ্বন্দ্ব সমাস কয়েক প্রকারের হতে পারেঃ

    ১. মিলনার্থক শব্দ যােগে – ভাইবােন, মা-বাপ, জ্বিন-পরী, দীন-দুঃখী ইত্যাদি।

    ২. বিরােধার্থক শব্দ যােগে – চোর-পুলিশ, স্বর্গ-নরক, দা-কুমড়া, অহি-নকুল ইত্যাদি।

    ৩. বিপরীতার্থক শব্দের মিলনে – শত্রু-মিত্র, রাজা-প্রজা, সৎ-অসৎ, পাপ-পুণ্য, আয়-ব্যয়, জন্ম-মৃত্যু ইত্যাদি।

    ৪. সমার্থক শব্দের মিলনে – হাট-বাজার, ধন-দৌলত, রাজা-বাদশা, বই-পুস্তক ইত্যাদি।

    ৫. সংখ্যাবাচক শব্দের মিলনে – সাত-সতের, উনিশ-বিশ, নয়-ছয়, সাত-পাঁচ ইত্যাদি।

    ৬. অঙ্গবাচক শব্দের মিলনে – মাথা-মুণ্ডু, হাত-পা, নাক-মুখ, চোখ-কান, মুখ-চোখ ইত্যাদি।

    ৭. দুটো বিশেষ্য পদ যােগে – রাজা-রানী, ভাই-বােন, মা-বাবা ইত্যাদি।

    ৮. দুটো বিশেষণ পদের মিলনে – সত্য-মিথ্যা, উঁচু-নিচু, ভাল-মন্দ ইত্যাদি।

    ৯. দুটো সর্বনাম পদের মিলনে – যা-তা, যেমন-তেমন, যে-সে, যথা-তথা, যেখানে-সেখানে ইত্যাদি।

    ১০. দুটো ক্রিয়াপদের মিলনে – লেখাপড়া, চলা-ফেরা, আসা-যাওয়া ইত্যাদি।

     

    তাছাড়া আর দুটি প্রকার হলঃ

    অলুক দ্বন্দ্ব সমাসঃ

    যে দ্বন্দ্ব সমাসে পদের বিভক্তি লােপ পায় না তাকে অলুক দ্বন্দ্ব বলে। যেমন- দুধে ও ভাতে = দুধেভাতে, হাতে ও কলমে = হাতেকলমে, পথে ও ঘটে = পথে-ঘাটে ইত্যাদি।

     

    বহুপদী দ্বন্দ্ব সমাসঃ

    দুইয়ের অধিক পদ মিলে যে দ্বন্দ্বসমাস হয় তাকে বহুপদী দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন- ইট, কাঠ ও পাথর = ইট-কাঠ-পাথর, সাহেব, বিবি ও গােলাম সাহেব-বিবি-গােলাম, টাকা, আনা ও পাই = টাকা-আনা-পাই ইত্যাদি।

     

    See less
    • 0
  6. বনলতা সেন কবিতার সারাংশ ও মূলভাব সারাংশ - অনেক আবেগ আকাঙ্ক্ষা আকুলতা নিয়ে অন্বেষায় স্বপ্ন যখন ক্লান্ত, পথকে মনে হয়েছে দূরপ্রসারী, জীবনের চারিদিকে সফেন সমুদ্র উদবেল হয়ে উঠছে কিন্তু হাঁটার শেষ হয়নি – সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগর পর্যন্ত — বিম্বিসার অশােকের ধূসর জগৎ পেরিয়ে সুদূরRead more

    বনলতা সেন কবিতার সারাংশ ও মূলভাব

    সারাংশ –

    অনেক আবেগ আকাঙ্ক্ষা আকুলতা নিয়ে অন্বেষায় স্বপ্ন যখন ক্লান্ত, পথকে মনে হয়েছে দূরপ্রসারী, জীবনের চারিদিকে সফেন সমুদ্র উদবেল হয়ে উঠছে কিন্তু হাঁটার শেষ হয়নি – সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগর পর্যন্ত — বিম্বিসার অশােকের ধূসর জগৎ পেরিয়ে সুদূর বিদর্ভ নগরে হালভাঙা দিশেহারা নাবিকের কল্প জগতের সন্ধানে, এমনই সময় মিলেছে দুদণ্ডের শান্তি – ‘পাখির নীড়ের মতাে চোখ তুলে বলেছে সে এতদিন কোথায় ছিলেন ? আতপ্ত হৃদয় অবশেষে দিনের শেষে, সন্ধ্যা নামে জোনাকি জ্বলে, সেই অন্ধকারে সব কাজ সেরে মুখােমুখি বসবার অবকাশ পায়।

    প্রসঙ্গ ব্যাখ্যাঃ

    হাজার বছর ধরে পথ হাঁটিতেছি – হাজার বছর ধরে কোনাে মানুষের পক্ষে পথ হাঁটা সম্ভব নয়, তথাপি এ শব্দ গুচ্ছের ব্যঞ্জনায় সুদূর অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত ব্যাপ্ত অন্তহীন পরিক্রমা বােঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে। এটি বাস্তবের সত্য নয়, কবির অনুভবের সত্য। জীবনের সফেন সমুদ্র মন্থন করতে করতে এই অনন্ত যাত্রার জন্যই ক্লান্ত প্রাণ দুদণ্ডের শান্তি প্রত্যাশা করে। অন্বিষ্ট সেই অধরা ভাবের যদি মূর্ত প্রত্যক্ষ রূপ হয় বনলতা সেন, তার পক্ষেই সে শান্তির আশ্রয় দেওয়া সম্ভব।

    আমি ক্লান্ত প্রাণ এক — ক্লান্তি ও মৃত্যুচেতনা জীবনানন্দের মতাে এ যুগের অনেক আধুনিক কবির অন্যতম প্রধান সুর। এই চেতনা অবশ্য সব সময় দৈহিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জাগ্রত হয়নি। যুগের বন্ধ্যা রূপ, অচরিতার্থ জীবনের আকাঙ্ক্ষা থেকেই এর উৎসার। রবীন্দ্র-কবিভাবনায় রােমান্টিক হৃদয়াবেগ মানসী, মানসসুন্দরীর ভাব ব্যঞ্জনায় প্রকাশিত হত। আধুনিক কবিরা বস্তুবিশ্বে, ভাব ব্যঞ্জনার পরিবর্তে সব কিছুকেই শরীরী করতে চেয়েছেন, তাই জীবনানন্দও তাঁর কাব্যে প্রধানত বাস্তব সূত্রকে অবলম্বন করে তাকে প্রকাশ করেছেন। অন্তহীন পথ চলার শেষ নেই, তথাপি ক্লান্ত দেহমন-এর ভারাক্রান্ত রূপটি এ ছত্রে প্রকাশ পেয়েছে।

    আমারে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছেন নাটোরের বনলতা সেন

    অধ্যাপিকা সুমিতা চক্রবর্তী- -এর ব্যাখ্যায় বলেছেন—“বিশেষ লক্ষ্য করতে হবে ‘দু-দণ্ড’ শব্দ বন্ধ। এই শান্তি ক্ষণকালীন, কারণ মানুষের যাত্রাপথে আশ্রয়, শান্তি ও স্থিতির ধ্রুব আশ্বাস নিয়ে কোনাে বনলতা সেনের আবির্ভাব ঘটেনি। ইতিহাসের কোনাে কোনাে সিদ্ধ লগ্নে চকিত-উদ্ভাসে হঠাৎ কখনও দেখা যায় তাকে, যেমন কবি দেখেছিলেন তাঁর বিশ্বাসী কৈশােরে, নাটোরের কোনাে এক বসন্তের ভােরে।”

    সব পাখি ঘরে আসে – সব নদী ফুরায় – এ-জীবনের সব লেনদেন—সব নদী’ শব্দ যুগের সংকেত একটু ব্যাখ্যাসাপেক্ষ। দিনান্তে পাখির ঘরে ফেরা, তার শান্তি নীড়ে ফেরা। নদী ফুরায় জীবনের লেনদেন – অংশটির তাৎপর্য হল নদী ও মানুষের জীবন বস্তুত একটি প্রবহমান ধারা – জীবনের লেনদেন মিটিয়ে যেমন মানুষের জীবনাবসান, নদীও তার উৎস থেকে নিরন্তর চলার পর সে মহাসমুদ্রে তার চলার অবসান হয় অর্থাৎ সমুদ্রে লীন হয়ে নদী তার নিজস্বতা হারায়। মানুষও তার জীবনের সমস্ত কর্ম অবসানে, জীবনের সমস্ত দেনাপাওনা সেরে, নীল মৃত্যু উজাগর অন্ধকারে বিলীন হয়।

    See less
    • 0
  7. বনলতা সেন কবিতার সারাংশ ও মূলভাব সারাংশ - অনেক আবেগ আকাঙ্ক্ষা আকুলতা নিয়ে অন্বেষায় স্বপ্ন যখন ক্লান্ত, পথকে মনে হয়েছে দূরপ্রসারী, জীবনের চারিদিকে সফেন সমুদ্র উদবেল হয়ে উঠছে কিন্তু হাঁটার শেষ হয়নি – সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগর পর্যন্ত — বিম্বিসার অশােকের ধূসর জগৎ পেরিয়ে সুদূরRead more

    বনলতা সেন কবিতার সারাংশ ও মূলভাব

    সারাংশ –

    অনেক আবেগ আকাঙ্ক্ষা আকুলতা নিয়ে অন্বেষায় স্বপ্ন যখন ক্লান্ত, পথকে মনে হয়েছে দূরপ্রসারী, জীবনের চারিদিকে সফেন সমুদ্র উদবেল হয়ে উঠছে কিন্তু হাঁটার শেষ হয়নি – সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগর পর্যন্ত — বিম্বিসার অশােকের ধূসর জগৎ পেরিয়ে সুদূর বিদর্ভ নগরে হালভাঙা দিশেহারা নাবিকের কল্প জগতের সন্ধানে, এমনই সময় মিলেছে দুদণ্ডের শান্তি – ‘পাখির নীড়ের মতাে চোখ তুলে বলেছে সে এতদিন কোথায় ছিলেন ? আতপ্ত হৃদয় অবশেষে দিনের শেষে, সন্ধ্যা নামে জোনাকি জ্বলে, সেই অন্ধকারে সব কাজ সেরে মুখােমুখি বসবার অবকাশ পায়।

    প্রসঙ্গ ব্যাখ্যাঃ

    হাজার বছর ধরে পথ হাঁটিতেছি – হাজার বছর ধরে কোনাে মানুষের পক্ষে পথ হাঁটা সম্ভব নয়, তথাপি এ শব্দ গুচ্ছের ব্যঞ্জনায় সুদূর অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত ব্যাপ্ত অন্তহীন পরিক্রমা বােঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে। এটি বাস্তবের সত্য নয়, কবির অনুভবের সত্য। জীবনের সফেন সমুদ্র মন্থন করতে করতে এই অনন্ত যাত্রার জন্যই ক্লান্ত প্রাণ দুদণ্ডের শান্তি প্রত্যাশা করে। অন্বিষ্ট সেই অধরা ভাবের যদি মূর্ত প্রত্যক্ষ রূপ হয় বনলতা সেন, তার পক্ষেই সে শান্তির আশ্রয় দেওয়া সম্ভব।

    আমি ক্লান্ত প্রাণ এক — ক্লান্তি ও মৃত্যুচেতনা জীবনানন্দের মতাে এ যুগের অনেক আধুনিক কবির অন্যতম প্রধান সুর। এই চেতনা অবশ্য সব সময় দৈহিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জাগ্রত হয়নি। যুগের বন্ধ্যা রূপ, অচরিতার্থ জীবনের আকাঙ্ক্ষা থেকেই এর উৎসার। রবীন্দ্র-কবিভাবনায় রােমান্টিক হৃদয়াবেগ মানসী, মানসসুন্দরীর ভাব ব্যঞ্জনায় প্রকাশিত হত। আধুনিক কবিরা বস্তুবিশ্বে, ভাব ব্যঞ্জনার পরিবর্তে সব কিছুকেই শরীরী করতে চেয়েছেন, তাই জীবনানন্দও তাঁর কাব্যে প্রধানত বাস্তব সূত্রকে অবলম্বন করে তাকে প্রকাশ করেছেন। অন্তহীন পথ চলার শেষ নেই, তথাপি ক্লান্ত দেহমন-এর ভারাক্রান্ত রূপটি এ ছত্রে প্রকাশ পেয়েছে।

    আমারে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছেন নাটোরের বনলতা সেন

    অধ্যাপিকা সুমিতা চক্রবর্তী- -এর ব্যাখ্যায় বলেছেন—“বিশেষ লক্ষ্য করতে হবে ‘দু-দণ্ড’ শব্দ বন্ধ। এই শান্তি ক্ষণকালীন, কারণ মানুষের যাত্রাপথে আশ্রয়, শান্তি ও স্থিতির ধ্রুব আশ্বাস নিয়ে কোনাে বনলতা সেনের আবির্ভাব ঘটেনি। ইতিহাসের কোনাে কোনাে সিদ্ধ লগ্নে চকিত-উদ্ভাসে হঠাৎ কখনও দেখা যায় তাকে, যেমন কবি দেখেছিলেন তাঁর বিশ্বাসী কৈশােরে, নাটোরের কোনাে এক বসন্তের ভােরে।”

    সব পাখি ঘরে আসে – সব নদী ফুরায় – এ-জীবনের সব লেনদেন—সব নদী’ শব্দ যুগের সংকেত একটু ব্যাখ্যাসাপেক্ষ। দিনান্তে পাখির ঘরে ফেরা, তার শান্তি নীড়ে ফেরা। নদী ফুরায় জীবনের লেনদেন – অংশটির তাৎপর্য হল নদী ও মানুষের জীবন বস্তুত একটি প্রবহমান ধারা – জীবনের লেনদেন মিটিয়ে যেমন মানুষের জীবনাবসান, নদীও তার উৎস থেকে নিরন্তর চলার পর সে মহাসমুদ্রে তার চলার অবসান হয় অর্থাৎ সমুদ্রে লীন হয়ে নদী তার নিজস্বতা হারায়। মানুষও তার জীবনের সমস্ত কর্ম অবসানে, জীবনের সমস্ত দেনাপাওনা সেরে, নীল মৃত্যু উজাগর অন্ধকারে বিলীন হয়।

    See less
    • 0
  8. জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ সমূহ হলঃ    ১। ‘ঝরা পালক’ (১৩৩৪), পুণমুদ্রণ (১৩৭৯) ২। ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’ (১৩৪৩), দ্বিতীয় সংস্করণ (১৩৬৩) ৩। ‘বনলতা সেন (১৩৪৯), কবিতা ভবন সংস্করণ ; দ্বিতীয় সংস্করণ ৪। ‘মহাপৃথিবী (১৩৫১), পূর্বাশা সিগনেট সংস্করণ (১৩৭৬) ৫। ‘সাতটি তারার তিমির’ (১৩৫৫), ভারবি সংস্করণ (১৩৭৬)Read more

    জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ সমূহ হলঃ

     

     ১। ‘ঝরা পালক’ (১৩৩৪), পুণমুদ্রণ (১৩৭৯)

    ২। ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’ (১৩৪৩), দ্বিতীয় সংস্করণ (১৩৬৩)

    ৩। ‘বনলতা সেন (১৩৪৯), কবিতা ভবন সংস্করণ ; দ্বিতীয় সংস্করণ

    ৪। ‘মহাপৃথিবী (১৩৫১), পূর্বাশা সিগনেট সংস্করণ (১৩৭৬)

    ৫। ‘সাতটি তারার তিমির’ (১৩৫৫), ভারবি সংস্করণ (১৩৭৬)

    ৬। ‘জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৩৬১), দ্বিতীয় সংস্করণ (১৩৬৩); তৃতীয় সংস্করণ (১৩৬৭), চতুর্থ সংস্করণ (১৩৭০), ভারবি সংস্করণ (১৩৭৩) দ্বিতীয় ভারবি সংস্করণ (১৩৯০), তারপর এ পর্যন্ত প্রকাশিত

    ৭। ‘রূপসী বাংলা’ (১৯৫৭), দেবেশ রায় সম্পাদিত সং (১৯৮৪);

    ৮। ‘বেলা অবেলা কালবেলা (১৩৬০) 

    ৯। ‘সুদর্শনা’ (১৩৮০)

    ১০। ‘মন বিহঙ্গম’ (১৩৮৬)

    ১১। ‘আলাে পৃথিবী (১৩৮৮)

    See less
    • 0
  9. বই সম্পাদনা সংবাদপত্র প্রকাশনায় যেমন সম্পাদনা অত্যন্ত জরুরী। ঠিক তেমনি গ্রন্থ প্রকাশনার ক্ষেত্রেও সম্পাদনার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সম্পাদক জানেন একটি উৎকৃষ্ট মানের গ্রন্থ কীভাবে তৈরি হয়। কী কী শর্ত মানলে প্রকাশনার মান বজায় রাখা যায়। মলাট থেকে বাঁধাই, ছাপার মান, সজ্জা সবকিছুই সম্পাদনাRead more

    বই সম্পাদনা

    সংবাদপত্র প্রকাশনায় যেমন সম্পাদনা অত্যন্ত জরুরী। ঠিক তেমনি গ্রন্থ প্রকাশনার ক্ষেত্রেও সম্পাদনার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সম্পাদক জানেন একটি উৎকৃষ্ট মানের গ্রন্থ কীভাবে তৈরি হয়। কী কী শর্ত মানলে প্রকাশনার মান বজায় রাখা যায়। মলাট থেকে বাঁধাই, ছাপার মান, সজ্জা সবকিছুই সম্পাদনার মধ্যে পড়ে। শুধু বই ছাপলেই চলবে না, বই ছাপাকে পাঠকের কাছে গ্রহণযােগ্য করে তুলতে হবে। রুচি ও উপযােগিতার সমন্বয়ে আকর্ষণীয় উৎকৃষ্ট গ্রন্থ প্রকাশ করাই সম্পাদনার উদ্দেশ্য।

    সম্পাদকের কর্তব্য –

    লেখক হলেন গ্রন্থের স্রষ্টা। কিন্তু গ্রন্থ সম্পাদক হলেন গ্রন্থের রূপকার। গ্রন্থের প্রকাশনা সংক্রান্ত যাবতীয় পরিকল্পনার দায়িত্ব তার। লেখকের সঙ্গে যােগাযােগ রাখা থেকে মুদ্রণ, বাঁধাই পর্যন্ত যাবতীয় কাজকর্মের সঙ্গে তিনি সরাসরি যুক্ত থাকেন। লেখক যখন রচনায় মগ্ন, সম্পাদক তখন সেই সৃজনশীল রচনাকে কত সার্থকভাবে রূপায়িত করা যায় তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা, পরীক্ষা নিরিক্ষায় ব্যস্ত থাকেন। প্রয়ােজনে লেখককেও তিনি পরামর্শ দিতে পারেন পরিচ্ছেদ ভাষা, লেখার আয়তন ও প্রকাশন সম্পর্কিত অন্যান্য খুঁটিনাটি বিষয়ে।

    ছাপার আগে রচনাটি খুঁটিয়ে পড়তে হয় সম্পাদককে। একজন দক্ষ সম্পাদক সবসময়ই হলেন একজন ভালাে পাঠক। পড়তে পড়তেই তিনি পাঠযােগ্যতার বিচার করেন। লেখাটি কীভাবে উপস্থাপিত হলে, পাঠকদের মন জয় করতে পারে সে সম্পর্কে তার স্বচ্ছ ধারণা থাকে। পড়তে পড়তেই তিনি নােট রাখেন। পড়া শেষ করার পর যদি কোন অদলবদল প্রয়ােজন মনে করেন তবে তা তিনি লেখককে জানাবেন। লেখক সম্পাদকের দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত থাকেন। তিনি খুব ভালভাবেই জানেন সম্পাদকের হাতেই তাঁর বই নিখুঁত ও মনােরম হয়ে উঠবে।

    লেখক লিখতে লিখতে অনেক সময় ছােট খাট ভুল করেন। বানান ভুল, অনুচ্ছেদ সংক্রান্ত ত্রুটি, প্রাসঙ্গিক তথ্য সম্পর্কিত ত্রুটি, একই বিষয় পুনরায় উপস্থাপনের বিষয় অনেক ক্ষেত্রে চোখ এড়িয়ে যায়। সম্পাদকের সজাগ দৃষ্টিতে এই সব ত্রুটি সহজেই ধরা পড়ে এবং তা সংশােধিত হয়। মুদ্রণ প্রমাদ যে কোন প্রকাশনের পক্ষে খুবই পীড়াদায়ক। যে বইয়ে বানান ভুল থাকে সে বই সম্পর্কে পাঠকের ধারণাও খারাপ হয়। সুতরাং সম্পাদনার অন্যতম কাজই হল মুদ্রণ প্রমাদের সম্ভাবনাকে কমিয়ে আনা। ছাপার কাজেও তদারকি করতে হয় তাঁকে। কী কাগজে, কী টাইপে ছাপা হবে তা তিনি নির্ধারণ করেন।

    অনুচ্ছেদের উপযুক্ত প্রয়ােগ পাঠযােগ্যতা বাড়িয়ে দেয়। খুব বড় বড় অনুচ্ছেদ হলে অক্ষর বিন্যাসের ধূসরতা বৃদ্ধি পায়। চোখের পক্ষে তা একেবারেই আরামদায়ক নয়। পাঠক যাতে পড়ার সময় স্বাচ্ছন্দ বােধ করে তার জন্যই সঠিকভাবে অনুচ্ছেদের ব্যবহার করা হয়। অনুচ্ছেদ দেওয়ার ফলে সাদা অংশের ব্যবহার হয় এবং তা অক্ষরের ধূসরতা ভাঙতে সাহায্য করে। একটি পৃষ্ঠায় যদি কমপক্ষে একটি অনুচ্ছেদ থাকে তাহলে পৃষ্ঠাসজ্জা মনােরম হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে বিষয়ের প্রাসঙ্গিকতার সঙ্গে যেন অনুচ্ছেদ ব্যবহারের সাযুজ্য থাকে। শুধুমাত্র নান্দনিক হলেই চলবে না। বিষয়ের দাবির প্রতিও আনুগত্য রাখতে হবে। আবার এটাও সত্য যে অনুচ্ছেদ বিষয়ভাবনাকেও উপযুক্তভাবে মেলে ধরতে সাহায্য করে। একটি বিষয়ভাবনা পরতে পরতে প্রস্ফুটিত হয়, যদি প্রতি পরত অনুচ্ছেদের দাবী রাখে তাহলে অবশ্যই সেই দাবী মেটাতে হবে। অনুচ্ছেদ বিষয়ভাবনা এবং পৃষ্ঠাসজ্জা দুটি দিককেই সার্থকভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

    কোন তথ্যগত ভ্রান্তি যদি থাকে তাহলে তা দূর করতে হবে। অনেক সময় লেখক বিষয়-ভাবনাকে ভালােভাবে পরিস্ফুট করার জন্য বিভিন্ন তথ্য ও অন্যান্য উপকরণের সাহায্য নেন। লেখার সময় সামান্য ভুল-ত্রুটি হতে পারে। হয়তাে লেখকের অজান্তে তথ্যগত কোন ভুল লেখার মধ্যে থেকে যেতে পারে। অনেক সময় উপন্যাসের চরিত্রের নাম বদলে যায়। সম্পাদক এই ভুল শুধরে দিতে পারেন। সম্পাদনার সময় সম্পাদক এই ত্রুটি সংশােধন করে সঠিক তথ্য ও পরিসংখ্যান পরিবেশন করবেন। এই পরিমার্জনা যে একটি লেখাকে কতখানি সাহায্য করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ঘষে মেজে ঝকমকে করে গড়ে তুলতে সম্পাদনার কোন বিকল্প নেই।

    প্রচ্ছদ বিন্যাসেও সম্পাদকের সক্রিয় ভূমিকা থাকে। গ্রন্থের বিষয় ভাবনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে প্রচ্ছদ তৈরি করতে হয়। একজন শিল্পী বিন্যাসের রূপরেখা তৈরি করেন। কিন্তু শিল্পীকে দিয়ে উৎকর্ষ মলাট তৈরি করিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব সম্পাদকের। গ্রন্থটির দাবি শিল্পীকে বােঝাবেন তিনি। লেখকের ভাবনার সঙ্গে মলাট সৃজনকে মেলাবার দায়িত্ব বহন করেন সম্পাদক।

    একই কথা অনেক সময় ঘুরে ফিরে চলে আসে। যে কোন রচনার পক্ষে তা একেবারেই কাঙ্ক্ষিত নয়। সজাগ সম্পাদক পুনরাবৃত্তি দেখলে সন্তর্পনে তা বাদ দিয়ে দেন। লেখক অজান্তে হয়তাে পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছেন। ছাপা হয়ে গেলে তা পাঠের পক্ষে হয়ে উঠবে বিরক্তিকর। সম্পাদক তাই সর্বতােভাবে চেষ্টা করেন পুনরাবৃত্তির দোষ থেকে লেখাকে মুক্ত করতে। পুনরাবৃত্তি যদি না থাকে তাহলে লেখার উৎকর্য অনেক পরিমাণে বেড়ে যায়।

    সাহিত্য ও গবেষণাধর্মী যে কোন বই-এর জন্যই সম্পাদনা প্রয়ােজন। সম্পাদনার সময় যে পরিমার্জনা হয় তাতে একটি লেখা প্রকৃতভাবে মুদ্রণ উপযােগী হয়ে ওঠে। ছাপার মতাে করে একটি গ্রন্থকে প্রস্তুত করার জন্যই দক্ষ সম্পাদক প্রয়ােজন। একটি ভালাে প্রকাশনা মানেই সেখানে রয়েছে। সম্পাদকের সযত্ন প্রয়াস যা রচনাকে গুণগত দিক দিয়ে উন্নত করে তুলবে।

    See less
    • 0
  10. মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা যে কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে তিনটি মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে হয়। এই সমস্যাগুলাে হচ্ছে: কি উৎপাদিত হবে? কিভাবে উৎপাদিত হবে? এবং কার জন্য উৎপাদিত হবে? এই সমস্যাগুলাে সমাধানের প্রয়ােজনীয়তা দেখা দেয় এজন্য যে সমাজে প্রয়ােজনের তুলনায় সম্পদের পরিমাণ সীমিত। সুতরাং সীমিতRead more

    মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা

    যে কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে তিনটি মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে হয়। এই সমস্যাগুলাে হচ্ছে:

    1. কি উৎপাদিত হবে?
    2. কিভাবে উৎপাদিত হবে?
    3. এবং কার জন্য উৎপাদিত হবে?

    এই সমস্যাগুলাে সমাধানের প্রয়ােজনীয়তা দেখা দেয় এজন্য যে সমাজে প্রয়ােজনের তুলনায় সম্পদের পরিমাণ সীমিত। সুতরাং সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে সমাজের বস্তুগত অভাবের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি সাধনের জন্য এই সমস্যাগুলাে সমাধান করা দরকার।

    কি উৎপাদিত হবে?

    অর্থনীতিতে সম্পদের পরিমাণ সীমিত বলে সকল দ্রব্য প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন করা সম্ভব হয় । তাই সিদ্ধান্ত নিতে হয় অর্থনীতিতে কোন কোন দ্রব্য উৎপাদিত হবে এবং কোন কোন দ্রব্য উৎপাদিত হবে না। কোন কোন দ্রব্য উৎপাদিত হবে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পর সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এই দ্রব্যগুলাের কোনটি কি পরিমাণে উৎপাদিত হবে। অর্থনীতিতে সিদ্ধান্তগুলাে সাধারণতঃ “সবখানি অথবা একটিও নয়”- এই প্রকৃতির হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন দ্রব্য একটু বেশি উৎপাদন করলে অপর একটি দ্রব্য একটু কম পরিমাণে উৎপাদন করতে হয়। যে কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে অর্থনীতির সকল ব্যক্তির অভাব সর্বোত্তমভাবে পূরণের জন্য কি কি দ্রব্য ও কি পরিমাণে উৎপাদিত হবে তা স্থির করা। এই প্রসঙ্গে আরাে একটি সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা হচ্ছে সময় অনুযায়ী উৎপাদন সমাহার নির্ধারণ। যেমন, বর্তমানকালে চাল ও দুধ উৎপাদন করা যেতে পারে অথবা বর্তমানকালে চাল ও আখ এবং ভবিষ্যৎ কালে চাল ও চিনি উৎপাদন করা যেতে পারে ।

    কিভাবে উৎপাদিত হবে?

    অর্থনীতিতে মােট যে পরিমাণ দ্রব্য উৎপাদিত হবে তা বিভিন্নভাবে উৎপাদন করা যায়। অর্থনীতিতে প্রাপ্তব্য সম্পদ ব্যবহার করে পূর্ণ উৎপাদনের উদ্দেশ্যে তাই সিদ্ধান্ত নিতে হয় কি ভাবে দ্রব্য ও সেবাকার্য উৎপাদিত হবে। অর্থাৎ কার দ্বারা, কোন সম্পদ ব্যবহার করে এবং কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে উৎপাদিত হবে? অর্থনীতিতে কে চালের যােগান দেবে এবং কে বিমান চালক হবে? বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে কোন সম্পদ ব্যবহার করে- তেল এবং কয়লা অথবা পানি এবং পরমানু অথবা সূর্যকিরণ নাকি বায়ু ব্যবহার করে? চাল উৎপাদন করা হবে স্বল্প মূলধন ও প্রচুর শ্রম অর্থাৎ শ্রম নিবিড় প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাকি প্রচুর মূলধন ও স্বল্প সংখ্যক শ্রম অর্থাৎ মূলধন নিবিড় প্রযুক্তি ব্যবহার করে? অর্থনীতিতে মােট উৎপাদনের পরিমাণ শুধু প্রপ্তব্য সম্পদের উপর নির্ভর করে না, সম্পদ কিভাবে মিশ্রিত করা হয় তার উপরও নির্ভর করে।

    কার জন্য উৎপাদিত হবে?

    এটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার তৃতীয় মৌলিক সমস্যা। অর্থনীতির মােট উৎপাদন অর্থনীতির সকল সদস্যের মধ্যে বন্টিত হয়। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে নির্ধারণ করতে হয় কিভাবে মােট উৎপাদন

    See less
    • 0