ব্যক্তি ও সমাজ পারস্পরিকভাবে সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিকে নিয়েই সমাজ গঠিত হয়। অপরপক্ষে সমাজ ছাড়া ব্যক্তির অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। এ সম্পর্কে ম্যাকাইভার বলেন, “সমাজ হচ্ছে সামাজিক সম্পর্কের এক জটিল জাল যার মধ্যে আমরা বাস করি।” নিন্নে ব্যক্তি ও সমাজের সম্পর্ক আলোচনা করা হল:
প্রথমত: ব্যক্তি ও সমাজের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য – ব্যক্তিকে নিয়েই সমাজ গঠিত। ব্যক্তির অবদানে সমাজ সমৃদ্ধ হয়। আর সমাজ ব্যক্তির বহুবিধ চাহিদা পূরণ করে। পারস্পরিক লেনদেন ও সহযোগিতায় সমাজ ব্যক্তির অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, গৃহস্থালীর দ্রব্যসামগ্রী ও অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণ করে।
দ্বিতীয়ত: সমাজ ব্যক্তিকে মূল্যবোধে সম্ীবিত করে – ন্যায়-অন্যায়, ভাল-মন্দ, উচিত-অনুচিতের ধারণা ব্যক্তি সমাজ থেকেই লাভ করে। সমাজে বাস করার ফলে কতকগুলো প্রতিষ্ঠিত নিয়মনীতি, যেমন_ সততা, নিষ্ঠা, শৃংখলাবোধ প্রভৃতি ব্যক্তির মধ্যে জন্য নেয়। সমাজ সেগুলো লালন ও সংরক্ষণ করে। অপরপক্ষে সমাজ এ সমস্ত নিয়ম-রীতি দ্বারা ব্যক্তিকে পরিচালিত করে।
তৃতীয়ত: সমাজ ব্যক্তির সামাজিকীকরণ করে – সামাজিকীকরণ বলতে বুঝায় ব্যক্তিকে সমাজের আকাজিফষত পথে পরিচালিত করা। ব্যক্তি তার জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত যাবতীয় জীবনযাপন পদ্ধতি সমাজ থেকেই লাভ করে। পরিবার, ধর্ম, জ্ঞাতি-সম্পর্ক প্রভৃতির মাধ্যমে সমাজ ব্যক্তির সামাজিকীকরণ করে থাকে।
চতুর্থত: সমাজ ব্যক্তিকে নিরাপত্তা দান করে – বিচ্ছিন্রভাবে বসবাস করলে জীবনের নিরাপত্তা থাকে না। সমাজ ব্যক্তিকে জীবন-যাপনের উপকরণ সরবরাহ করে ও অন্য ব্যক্তি বা জনগোষ্ঠীর আক্রমণ থেকে রক্ষা করে নিরাপত্তা দান করে। সামাজিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজ থেকেই ব্যক্তি তার জীবন, সম্পত্তি ও ব্যক্তি স্বাধীনতার নিশ্চয়তা লাভ করে।
Nibedita Paul
ব্যক্তি ও সমাজের সম্পর্কঃ
ব্যক্তি ও সমাজ পারস্পরিকভাবে সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিকে নিয়েই সমাজ গঠিত হয়। অপরপক্ষে সমাজ ছাড়া ব্যক্তির অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। এ সম্পর্কে ম্যাকাইভার বলেন, “সমাজ হচ্ছে সামাজিক সম্পর্কের এক জটিল জাল যার মধ্যে আমরা বাস করি।” নিন্নে ব্যক্তি ও সমাজের সম্পর্ক আলোচনা করা হল:
প্রথমত: ব্যক্তি ও সমাজের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য – ব্যক্তিকে নিয়েই সমাজ গঠিত। ব্যক্তির অবদানে সমাজ সমৃদ্ধ হয়। আর সমাজ ব্যক্তির বহুবিধ চাহিদা পূরণ করে। পারস্পরিক লেনদেন ও সহযোগিতায় সমাজ ব্যক্তির অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, গৃহস্থালীর দ্রব্যসামগ্রী ও অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণ করে।
দ্বিতীয়ত: সমাজ ব্যক্তিকে মূল্যবোধে সম্ীবিত করে – ন্যায়-অন্যায়, ভাল-মন্দ, উচিত-অনুচিতের ধারণা ব্যক্তি সমাজ থেকেই লাভ করে। সমাজে বাস করার ফলে কতকগুলো প্রতিষ্ঠিত নিয়মনীতি, যেমন_ সততা, নিষ্ঠা, শৃংখলাবোধ প্রভৃতি ব্যক্তির মধ্যে জন্য নেয়। সমাজ সেগুলো লালন ও সংরক্ষণ করে। অপরপক্ষে সমাজ এ সমস্ত নিয়ম-রীতি দ্বারা ব্যক্তিকে পরিচালিত করে।
তৃতীয়ত: সমাজ ব্যক্তির সামাজিকীকরণ করে – সামাজিকীকরণ বলতে বুঝায় ব্যক্তিকে সমাজের আকাজিফষত পথে পরিচালিত করা। ব্যক্তি তার জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত যাবতীয় জীবনযাপন পদ্ধতি সমাজ থেকেই লাভ করে। পরিবার, ধর্ম, জ্ঞাতি-সম্পর্ক প্রভৃতির মাধ্যমে সমাজ ব্যক্তির সামাজিকীকরণ করে থাকে।
চতুর্থত: সমাজ ব্যক্তিকে নিরাপত্তা দান করে – বিচ্ছিন্রভাবে বসবাস করলে জীবনের নিরাপত্তা থাকে না। সমাজ ব্যক্তিকে জীবন-যাপনের উপকরণ সরবরাহ করে ও অন্য ব্যক্তি বা জনগোষ্ঠীর আক্রমণ থেকে রক্ষা করে নিরাপত্তা দান করে। সামাজিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজ থেকেই ব্যক্তি তার জীবন, সম্পত্তি ও ব্যক্তি স্বাধীনতার নিশ্চয়তা লাভ করে।