ভূমিকা : অজানাকে জানার বাসনা, দূরকে কাছে পাবার আকাঙ্ক্ষা
আগের কালের মানুষের যেমন ছিল আধুনিক কালের মানুষেরও ঠিক তেমনটি আছে।
মানব জীবনে জানবার এই উগ্র আকাঙ্ক্ষা থেকেই আবিষ্কৃত হয়েছে সংবাদপত্রের।।
সারা পৃথিবীর জ্ঞাতব্য সংবাদ বহন করে একখানি সংবাদপত্র প্রতিদিন ভোরবেলা যখন
আমাদের দরজায় হাতির হয় তখন আনন্দে মনটি ভরে উঠে। অথচ এমন একদিন
ছিল, যখন সংবাদপত্র বলে কোন কিছুই ছিল না। সভ্যতার ক্রম বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে
অন্যান্য বহু জিনিসের মতাে সংবাদ পত্রও মানুষ সৃষ্টি করেছে। অতি অল্প মূল্যে এরূপ
একটি প্রয়োজনীয় বস্তু লাভ আধুনিক সভ্যতার একটি শ্রেষ্ঠ দান।
সংবাদপত্রের শক্তি ও তার সীমারেখা : বর্তমানকালের জীবন যাত্রায়
সংবাদপত্রের অতি গভীর ও সুদূর প্রসারী প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। সংবাদপত্র মানুষের
কচি, রাজনীতির পরিবর্তনে সহায়তা করে, জনমত সৃষ্টি করতে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ
করে। শাসকদলের জনস্বার্থ বিরোধী নীতির কঠোর সমালোচনা করে। যে সব সামাজিক
ব্যবস্থা মানুষকে সুস্থ সহজ-সরল জীবন যাপন করতে বাধা দান করে, সংবাদপত্র তার
ভল, দোষত্রুটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে তুলে ধরে সংশােধনের আশায়। যেখানেই
মনুষ্যত্বের অবমাননা, যেখানেই অন্যায়-অবিচার, শোষণ, বঞ্চনা, সেখানেই সংবাদপত্র
বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সংবাদপত্র দেশের রাষ্ট্র কাঠামোর পরিবর্তন করে দিতে
পারে, স্বৈরাচারী অপশাসনের সমাধিক্ষেত্র রচনা করতে পারে।
সংবাদপত্রের প্রথম ও আধুনিক যুগের রূপের মধ্যে পার্থক্য : সংবাদপত্রের
নাম থেকে বুঝা যায় যে, প্রথম যুগে এর কাজ ছিল শুধু সংবাদ প্রচার করা। কিন্তু
বর্তমান যুগে সংবাদপত্রের আরও অনেক ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানযুগে রাজনীতি,
অর্থনীতি, ধর্মনীতি, সাহিত্য, দর্শন ও শিক্ষা বিষয়ক নানা সুচিন্তিত মতামত সংবাদপত্রের
আলোচ্য বিষয়। তাছাড়া খেলাধুলা, যুদ্ধ-বিগ্রহ, সিনেমা, থিয়েটার, মামলা-মােকদ্দমা,
কর্মখালি, বাড়িভাড়া, পাত্র-পাত্রী, মারধাের, মৃত্যু সংবাদ প্রভৃতি দ্বারা সংবাদপত্র পূর্ণ।
থাকে। কাজেই সকল শ্রেণির লােকই এসব খবর জানতে সংবাদপত্রের দিকে হা করে
তাকিয়ে থাকে।
সংবাদপত্রের প্রথম প্রচলন : কোন দেশে সংবাদ পত্র প্রথম প্রচলন হয়।
তা সঠিকভাবে বলা কঠিন তবে যতটুকু জানা যায়, চীনদেশে নাকি প্রথম সংবাদপত্র
প্রচলন হয়েছিল। আমাদের দেশে মােগল আমলে শাসনকার্য পরিচালনার জন্য একপ্রকার
হাতে লেখা সংবাদপত্র বের হয়েছিল। এটি উচ্চ পদস্ত কর্মচারীরাই পড়তেন। সাধারণ
লােকেরা পড়তে পাইত না। ইংরাজ আমলে ভারত গভর্ণমেন্ট ‘দি ইণ্ডিয়া গেজেট নামে সংবাদপত্র প্রথম প্রচার করেন। শ্রীরামপুরের মিশনারীগণ সমাচার দর্পণ নামে
সংবাদপত্র বাংলা ভাষায় প্রথম প্রচার করেন। এখন দেশের সব সংবাদপত্রের ছড়াছড়ি।
দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক ইত্যাদি নানা সময়ের নিয়মিত ব্যবধানেই সংবাদ
পত্র প্রকাশিত হয়ে চলেছে। জনমত গঠন ও সংবাদপত্র :- সংবাদপত্র জনমত গঠনে কতখানি সাহায্য
করে সেটি বিতর্কিত বিষয়। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায় গণমাধ্যম তথা সংবাদপত্র
জনমতকে প্রতিফলিত করে। নানান মত ও অভিমতের সংঘর্ষে সংবাদপত্র পাঠকের
ব্যক্তিগত মত ও আদর্শকে অনেক সময় পরিবর্তিত করে থাকে। বিশেষ করে রাজনৈতিক
ও সামাজিক ক্ষেত্রে জনসাধারণের অভিমত ঐক্য সূত্রে গ্রথিত হয়ে ক্রমশ আন্দোলনের
কে গ্রহণ করে। সংবাদ পত্র যে যথার্থ জনমত গঠনে সমর্থ ইতিহাসে তার বহু নজির
আছে। আমাদের দেশে কুখ্যাত সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ জনমত গঠিত হয়েছিল।
তৎকালীন সংবাদপত্র গুলোর মাধ্যমে।
সমাজ শিক্ষা ও ব্যবসা বাণিজ্যে সংবাদপত্রের ভূমিকা : সংবাদপত্র শুধু
জনমত গঠনই করে না, এটি সমাজ নিয়ন্ত্রণে, শিক্ষা বিস্তারে এবং ব্যবসা বাণিজ্যের
ক্ষেত্রে যথেষ্ট দায়িত্ব পালন করে। বিচ্ছিন্নতাবাদ রাধে, পণপ্রথা বন্ধ করার ক্ষেত্রে,
শিশু শ্রমিক নিয়ােগ, বস্তি উচ্ছেদ ইত্যাদি নানা সামাজিক ত্রুটির বিরুদ্ধে কঠোর সমালােচনা
করে তার সুস্থ সমাধানের পথ দেখিয়ে দেয়।
| সংবাদপত্রের সঙ্গে বিজ্ঞাপনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। পণ্য উৎপাদনকারীরা
সংবাদ পত্রে তাদের উৎপাদিত দ্রব্যের গুণাগুণ বর্ণনা করে সংবাদ পত্রে বিজ্ঞাপন দেয়।
এর ফলে ক্রেতা বিভিন্ন দ্রব্যের ব্যবহার সম্পর্কে অবহিত হয়।
চিকিৎসা বিষয়ে সংবাদ পত্র সাধারণ মানুষকে অনেক পরিমাণে সাহায্য করে।
থাকে। বলতে গেলে সমগ্র বিশ্বের জ্ঞান ভান্ডার পরিশোধিত করে সংবাদপত্র মানুষের।
হাতের কাছে এনে দিতে সমর্থ হয়েছে।
সংবাদপত্রের অপকারিতা ; কোন কোন সময় সংবাদ পত্র তার গুরুত্বপূর্ণ।
ভূমিকার কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে রাজনৈতিক মুখপত্র পরিণত হয়। কখনো আবার
সরকারের চাপে নিরপেক্ষ মতামত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকে।
অনেক সময় দেখা যায় ব্যক্তি স্বার্থ বা অতিরিক্ত মুনাফার লোভে সংবাদপত্রগুলি
অশ্লীল বিজ্ঞাপন প্রকাশ ও কুৎসা প্রচারে মুখর হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষের মানসিক
দুর্বলতাকে পুঁজি করে এরা সমাজের ক্ষতি সাধন করতে থাকে। এর ফলে নিস্পাপ
শিশু মনে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, যুবকগণ বিপথগামী হয়। সংবাদপত্রের কাছে আমরা
নির্ভীক নিরপেক্ষ তথ্যই আশা করি। কিন্তু দলীয় স্বার্থে অথবা ব্যক্তি স্বার্থের খাতিরে
তারা সংবাদকে বিকৃত করে অথবা বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করে। এটি দেশ ও
দশের কাছে অমার্জনীয় অপরাধ। মানুষকে বিপথে পরিচালিত করা সংবাদপত্রের কাজ
নয়।
উপসংহার : সংবাদপত্র জনমত গঠনের অন্যতম অস্ত্র বিশেষ। এই শক্তিকে সতেজ ও সজীব রাখতে হলে সংবাদপত্রকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ এবং নির্ভীক
হতে হবে। সরকার দল এবং স্বার্থান্বেষী চক্রান্ত থেকে কি করতে হবে মুক্ত।
জনগণের কাছে সত্যের যথার্থ রূপ উদঘাটন করে তাদের সঠিক পথে চালিত।
করার গুরু দায়িত্ব ভার গ্রহণ করাই হবে সংবাদপত্রের প্রধান কর্তব্য। সংবাদপত্র।
যেদিন রাহুগ্রাস মুক্ত হয়ে দেশের ও দশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করবে সেদিন দেশও আবার গৌরবের আসনে প্রতিষ্ঠিত হতে সক্ষম হবে ।
সংবাদপত্র
ভূমিকা : অজানাকে জানার বাসনা, দূরকে কাছে পাবার আকাঙ্ক্ষা
আগের কালের মানুষের যেমন ছিল আধুনিক কালের মানুষেরও ঠিক তেমনটি আছে।
মানব জীবনে জানবার এই উগ্র আকাঙ্ক্ষা থেকেই আবিষ্কৃত হয়েছে সংবাদপত্রের।।
সারা পৃথিবীর জ্ঞাতব্য সংবাদ বহন করে একখানি সংবাদপত্র প্রতিদিন ভোরবেলা যখন
আমাদের দরজায় হাতির হয় তখন আনন্দে মনটি ভরে উঠে। অথচ এমন একদিন
ছিল, যখন সংবাদপত্র বলে কোন কিছুই ছিল না। সভ্যতার ক্রম বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে
অন্যান্য বহু জিনিসের মতাে সংবাদ পত্রও মানুষ সৃষ্টি করেছে। অতি অল্প মূল্যে এরূপ
একটি প্রয়োজনীয় বস্তু লাভ আধুনিক সভ্যতার একটি শ্রেষ্ঠ দান।
সংবাদপত্রের শক্তি ও তার সীমারেখা : বর্তমানকালের জীবন যাত্রায়
সংবাদপত্রের অতি গভীর ও সুদূর প্রসারী প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। সংবাদপত্র মানুষের
কচি, রাজনীতির পরিবর্তনে সহায়তা করে, জনমত সৃষ্টি করতে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ
করে। শাসকদলের জনস্বার্থ বিরোধী নীতির কঠোর সমালোচনা করে। যে সব সামাজিক
ব্যবস্থা মানুষকে সুস্থ সহজ-সরল জীবন যাপন করতে বাধা দান করে, সংবাদপত্র তার
ভল, দোষত্রুটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে তুলে ধরে সংশােধনের আশায়। যেখানেই
মনুষ্যত্বের অবমাননা, যেখানেই অন্যায়-অবিচার, শোষণ, বঞ্চনা, সেখানেই সংবাদপত্র
বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সংবাদপত্র দেশের রাষ্ট্র কাঠামোর পরিবর্তন করে দিতে
পারে, স্বৈরাচারী অপশাসনের সমাধিক্ষেত্র রচনা করতে পারে।
সংবাদপত্রের প্রথম ও আধুনিক যুগের রূপের মধ্যে পার্থক্য : সংবাদপত্রের
নাম থেকে বুঝা যায় যে, প্রথম যুগে এর কাজ ছিল শুধু সংবাদ প্রচার করা। কিন্তু
বর্তমান যুগে সংবাদপত্রের আরও অনেক ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানযুগে রাজনীতি,
অর্থনীতি, ধর্মনীতি, সাহিত্য, দর্শন ও শিক্ষা বিষয়ক নানা সুচিন্তিত মতামত সংবাদপত্রের
আলোচ্য বিষয়। তাছাড়া খেলাধুলা, যুদ্ধ-বিগ্রহ, সিনেমা, থিয়েটার, মামলা-মােকদ্দমা,
কর্মখালি, বাড়িভাড়া, পাত্র-পাত্রী, মারধাের, মৃত্যু সংবাদ প্রভৃতি দ্বারা সংবাদপত্র পূর্ণ।
থাকে। কাজেই সকল শ্রেণির লােকই এসব খবর জানতে সংবাদপত্রের দিকে হা করে
তাকিয়ে থাকে।
সংবাদপত্রের প্রথম প্রচলন : কোন দেশে সংবাদ পত্র প্রথম প্রচলন হয়।
তা সঠিকভাবে বলা কঠিন তবে যতটুকু জানা যায়, চীনদেশে নাকি প্রথম সংবাদপত্র
প্রচলন হয়েছিল। আমাদের দেশে মােগল আমলে শাসনকার্য পরিচালনার জন্য একপ্রকার
হাতে লেখা সংবাদপত্র বের হয়েছিল। এটি উচ্চ পদস্ত কর্মচারীরাই পড়তেন। সাধারণ
লােকেরা পড়তে পাইত না। ইংরাজ আমলে ভারত গভর্ণমেন্ট ‘দি ইণ্ডিয়া গেজেট নামে সংবাদপত্র প্রথম প্রচার করেন। শ্রীরামপুরের মিশনারীগণ সমাচার দর্পণ নামে
সংবাদপত্র বাংলা ভাষায় প্রথম প্রচার করেন। এখন দেশের সব সংবাদপত্রের ছড়াছড়ি।
দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক ইত্যাদি নানা সময়ের নিয়মিত ব্যবধানেই সংবাদ
পত্র প্রকাশিত হয়ে চলেছে।
জনমত গঠন ও সংবাদপত্র :- সংবাদপত্র জনমত গঠনে কতখানি সাহায্য
করে সেটি বিতর্কিত বিষয়। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায় গণমাধ্যম তথা সংবাদপত্র
জনমতকে প্রতিফলিত করে। নানান মত ও অভিমতের সংঘর্ষে সংবাদপত্র পাঠকের
ব্যক্তিগত মত ও আদর্শকে অনেক সময় পরিবর্তিত করে থাকে। বিশেষ করে রাজনৈতিক
ও সামাজিক ক্ষেত্রে জনসাধারণের অভিমত ঐক্য সূত্রে গ্রথিত হয়ে ক্রমশ আন্দোলনের
কে গ্রহণ করে। সংবাদ পত্র যে যথার্থ জনমত গঠনে সমর্থ ইতিহাসে তার বহু নজির
আছে। আমাদের দেশে কুখ্যাত সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ জনমত গঠিত হয়েছিল।
তৎকালীন সংবাদপত্র গুলোর মাধ্যমে।
সমাজ শিক্ষা ও ব্যবসা বাণিজ্যে সংবাদপত্রের ভূমিকা : সংবাদপত্র শুধু
জনমত গঠনই করে না, এটি সমাজ নিয়ন্ত্রণে, শিক্ষা বিস্তারে এবং ব্যবসা বাণিজ্যের
ক্ষেত্রে যথেষ্ট দায়িত্ব পালন করে। বিচ্ছিন্নতাবাদ রাধে, পণপ্রথা বন্ধ করার ক্ষেত্রে,
শিশু শ্রমিক নিয়ােগ, বস্তি উচ্ছেদ ইত্যাদি নানা সামাজিক ত্রুটির বিরুদ্ধে কঠোর সমালােচনা
করে তার সুস্থ সমাধানের পথ দেখিয়ে দেয়।
| সংবাদপত্রের সঙ্গে বিজ্ঞাপনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। পণ্য উৎপাদনকারীরা
সংবাদ পত্রে তাদের উৎপাদিত দ্রব্যের গুণাগুণ বর্ণনা করে সংবাদ পত্রে বিজ্ঞাপন দেয়।
এর ফলে ক্রেতা বিভিন্ন দ্রব্যের ব্যবহার সম্পর্কে অবহিত হয়।
চিকিৎসা বিষয়ে সংবাদ পত্র সাধারণ মানুষকে অনেক পরিমাণে সাহায্য করে।
থাকে। বলতে গেলে সমগ্র বিশ্বের জ্ঞান ভান্ডার পরিশোধিত করে সংবাদপত্র মানুষের।
হাতের কাছে এনে দিতে সমর্থ হয়েছে।
সংবাদপত্রের অপকারিতা ; কোন কোন সময় সংবাদ পত্র তার গুরুত্বপূর্ণ।
ভূমিকার কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে রাজনৈতিক মুখপত্র পরিণত হয়। কখনো আবার
সরকারের চাপে নিরপেক্ষ মতামত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকে।
অনেক সময় দেখা যায় ব্যক্তি স্বার্থ বা অতিরিক্ত মুনাফার লোভে সংবাদপত্রগুলি
অশ্লীল বিজ্ঞাপন প্রকাশ ও কুৎসা প্রচারে মুখর হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষের মানসিক
দুর্বলতাকে পুঁজি করে এরা সমাজের ক্ষতি সাধন করতে থাকে। এর ফলে নিস্পাপ
শিশু মনে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, যুবকগণ বিপথগামী হয়। সংবাদপত্রের কাছে আমরা
নির্ভীক নিরপেক্ষ তথ্যই আশা করি। কিন্তু দলীয় স্বার্থে অথবা ব্যক্তি স্বার্থের খাতিরে
তারা সংবাদকে বিকৃত করে অথবা বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করে। এটি দেশ ও
দশের কাছে অমার্জনীয় অপরাধ। মানুষকে বিপথে পরিচালিত করা সংবাদপত্রের কাজ
নয়।
উপসংহার : সংবাদপত্র জনমত গঠনের অন্যতম অস্ত্র বিশেষ। এই শক্তিকে সতেজ ও সজীব রাখতে হলে সংবাদপত্রকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ এবং নির্ভীক
হতে হবে। সরকার দল এবং স্বার্থান্বেষী চক্রান্ত থেকে কি করতে হবে মুক্ত।
জনগণের কাছে সত্যের যথার্থ রূপ উদঘাটন করে তাদের সঠিক পথে চালিত।
করার গুরু দায়িত্ব ভার গ্রহণ করাই হবে সংবাদপত্রের প্রধান কর্তব্য। সংবাদপত্র।
যেদিন রাহুগ্রাস মুক্ত হয়ে দেশের ও দশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করবে সেদিন দেশও আবার গৌরবের আসনে প্রতিষ্ঠিত হতে সক্ষম হবে ।