In: শিক্ষা সমাজের সাধারণ উদ্দেশ্য কি কি? সমাজের সাধারণ উদ্দেশ্য কি কি? 1 Answer Nibedita Paul India 41 Questions 153 Answers 8 Best Answers 679 Points View Profile Nibedita Paul 2022-06-01T21:13:37+05:30Added an answer on June 1, 2022 at 9:13 pm সমাজের সাধারণ উদ্দেশ্যগুলো হলঃ (১) মৌলিক চাহিদা পূরণ করাঃ সমাজ অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের নিশ্চয়তা বিধান করে। সামাজিক সম্পর্কের মধ্যে গড়ে উঠা ব্যাপক ও বিপুল কর্মক্ষেত্রে কাজ করে মানুষ তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে। ২) নিরাপত্তা প্রদান করাঃ নিরাপত্তা লাভের জন্যই মানুষ সমাজবদ্ধ হয়। সমাজবদ্ধ হয়ে মানুষ পরাক্রমশালীদের আক্রমণ প্রতিহত করে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। (৩) ব্যক্তিত্বের বিকাশঃ সমাজ মানুষের অন্তর্নিহিত গুণাবলীর বিকাশ সাধনের প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটায়। €৪) মানবিক গুণাবলীর বিকাশ সাধনঃ মানুষের সুকুমার বৃত্তিগুলো সমাজের মধ্যে লালিত ও অনুশীলিত হয়। দয়া, মায়া, গ্নেহ, ভালবাসা, শ্রদ্ধা, সমঝোতা, সহনশীলতা ও একে অপরকে বিপদে সাহায্য করা প্রভৃতি মানবিক গুণাবলী সমাজবদ্ধ জীবনেই বিকশিত হয়। অন্যদিকে এসব গুণাবলীই সমাজের ভিত্তি। (৫) মনের সংকীর্ণতা দূর করাঃ সমাজ মানুষকে ব্যক্তিস্বর্থের সাথে সামথিক স্বার্থের সমন্বয় সাধন করতে শেখায়। সমাজের স্বার্থে ব্যক্তিস্বার্থকে বর্জন করার শিক্ষা মানুষ সমাজ থেকেই লাভ করে। এরূপে মনের সংকীর্ণতা দূর হয়। (৬) শিক্ষা দান করাঃ সামাজিক জ্ঞান ও নৈতিকতার শিক্ষা ব্যক্তি সমাজ থেকেই লাভ করে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা ও অন্যের সাথে সামঞ্স্য বিধান করার শিক্ষাও মানুষ সমাজ থেকেই অর্জন করে। সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও সমাজ পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানুষের মৌলিক জ্ঞান বিস্তার করে। 0 You must login to add an answer.Continue with FacebookContinue with GoogleContinue with Twitteror use Username or email* Password* Captcha* Remember Me! Forgot Password?
Nibedita Paul
সমাজের সাধারণ উদ্দেশ্যগুলো হলঃ
(১) মৌলিক চাহিদা পূরণ করাঃ সমাজ অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের নিশ্চয়তা বিধান
করে। সামাজিক সম্পর্কের মধ্যে গড়ে উঠা ব্যাপক ও বিপুল কর্মক্ষেত্রে কাজ করে মানুষ তাদের
মৌলিক চাহিদা পূরণ করে।
২) নিরাপত্তা প্রদান করাঃ নিরাপত্তা লাভের জন্যই মানুষ সমাজবদ্ধ হয়। সমাজবদ্ধ হয়ে মানুষ
পরাক্রমশালীদের আক্রমণ প্রতিহত করে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
(৩) ব্যক্তিত্বের বিকাশঃ সমাজ মানুষের অন্তর্নিহিত গুণাবলীর বিকাশ সাধনের প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ
করে ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটায়।
€৪) মানবিক গুণাবলীর বিকাশ সাধনঃ মানুষের সুকুমার বৃত্তিগুলো সমাজের মধ্যে লালিত ও
অনুশীলিত হয়। দয়া, মায়া, গ্নেহ, ভালবাসা, শ্রদ্ধা, সমঝোতা, সহনশীলতা ও একে অপরকে বিপদে
সাহায্য করা প্রভৃতি মানবিক গুণাবলী সমাজবদ্ধ জীবনেই বিকশিত হয়। অন্যদিকে এসব গুণাবলীই
সমাজের ভিত্তি।
(৫) মনের সংকীর্ণতা দূর করাঃ সমাজ মানুষকে ব্যক্তিস্বর্থের সাথে সামথিক স্বার্থের সমন্বয় সাধন
করতে শেখায়। সমাজের স্বার্থে ব্যক্তিস্বার্থকে বর্জন করার শিক্ষা মানুষ সমাজ থেকেই লাভ করে।
এরূপে মনের সংকীর্ণতা দূর হয়।
(৬) শিক্ষা দান করাঃ সামাজিক জ্ঞান ও নৈতিকতার শিক্ষা ব্যক্তি সমাজ থেকেই লাভ করে। ধর্মীয়
অনুশাসন মেনে চলা ও অন্যের সাথে সামঞ্স্য বিধান করার শিক্ষাও মানুষ সমাজ থেকেই অর্জন করে।
সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও সমাজ পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানুষের মৌলিক জ্ঞান বিস্তার করে।