মাতা-পিতার প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য ভূমিকা: মাতাপিতার কাছে তাঁর সন্তানের থেকে বড় কোনো অমূল্য বস্তূ নেই। তাই পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ট সম্পর্ক হয় সন্তান এবং মাতাপিতার মধ্যে। তাঁদের জন্যই আমরা আজ এই পৃথিবীর আলো দেখেছি । একটি শিশু পৃথিবীতে এসে পিতা-মাতার যথাযথ লালন-পালন, আদর, স্নেহ, মমতা ও শিক্ষা-দীক্ষার মাধRead more
মাতা-পিতার প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য
ভূমিকা: মাতাপিতার কাছে তাঁর সন্তানের থেকে বড় কোনো অমূল্য বস্তূ নেই। তাই পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ট সম্পর্ক হয় সন্তান এবং মাতাপিতার মধ্যে। তাঁদের জন্যই আমরা আজ এই পৃথিবীর আলো দেখেছি । একটি শিশু পৃথিবীতে এসে পিতা-মাতার যথাযথ লালন-পালন, আদর, স্নেহ, মমতা ও শিক্ষা-দীক্ষার মাধ্যমেই বড় হয়ে উঠে। সুতরাং সন্তানের জীবনে পিতামাতার অবদান অসীম। তাই প্রত্যেক সন্তানের উচিত মাতা-পিতার প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে তাহাদের কর্তব্য পালন করা।
মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য: একজন পিতা-মাতা যেভাবে আদর যত্নে একটি সন্তান কে মানুষ করে তুলে সেভাবে সন্তানের ও দায়িত্ব মা-বাবার যত্ন নেয়া। তাই একটি সন্তানের সর্বপ্রথম দায়িত্ব পিতা-মাতার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, তাদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা। বাবা-মা’র সন্তুষ্টি অনুযায়ী সন্তানের পথ চলা উচিত। প্রত্যেক সন্তানের উচিত সব সময় পিতা-মাতার বাধ্য থাকা এবং তাদের আদেশ নিষেধ মেনে চলা। বাবা-মায়ের যখন বার্ধক্য চলে আসে তখন তারা নবজাতক শিশুর মতোই অসহায় হয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে পিতা-মাতাকে বোঝা, না ভেবে তাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করা সন্তানের দায়িত্ব। প্রায় প্রতিটি ধর্ম মা বাবার প্রতি আনুগত্য
হওয়ার শিক্ষা দে। কিন্তু আজকাল তথাকথিত অভিজাত সমাজে নিজের মূল্যবোধ বজায় রাখতে গিয়ে সন্তানের কাছে তার নিজের বৃদ্ধ বাবা-মার স্থান হয় বৃদ্ধাশ্রম। আমাদের শিক্ষিত সচেতন সমাজের উচিত এটা রোধ করা একান্ত কর্তব্য।
শ্রদ্ধাশীল মহান ব্যক্তিদের দৃষ্টান্ত: ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় পৃথিবীতে মরেও যারা অমর এবং চিরস্মরণীয় হয়ে মানুষের হৃদয়ে আজও বেঁচে আছেন। তাঁরা সকলেই মাতৃ ও পিতৃভক্তির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নাম ইতিহাসে মাতৃভক্তদের তালিকায় চিরকালই স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। রাম পিতৃসত্ব পালনের উদ্দেশ্যে চৌদ্দবছর বনবাস কাটিয়েছিলেন। জর্জ ওয়াশিংটন ও আলেকজান্ডার প্রমুখ মহান ব্যক্তিগণ মাতা-পিতার প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ইতিহাসে যুগ-যুগান্তর ধরে চির স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে আছেন এবং থাকবেন।
প্রধান কয়েকটি দায়িত্ব: প্রধান দায়িত্বের মধ্যে মা বাবার প্রত্যাশা পূর্ণ করা হচ্ছে অন্যতম। প্রত্যেক মা-বাবাই তার সন্তানদের বিভিন্ন আশা ভরসায় লালন পালন করে। তারা চায় তাদের সন্তান জীবনে সাফল্য অর্জন করুক এবং সুখী জীবন যাপন করুক। এর জন্যই মা-বাবা প্রত্যেক সন্তানের পিছনে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়। এইজন্য সন্তানের দায়িত্ব তার মা-বাবার আশা-প্রত্যাশা পূর্ণ করে দায়িত্ব পালন করা।
দ্বিতীয়তঃ মা-বাবার প্রতি সন্তুষ্ট থাকা। সর্ব অবস্থায় মা-বাবার প্রতি অনুগত থাকা। তাদের নেয়া বিচারের উপর আস্থা রাখা।তাদের প্রতি বিনয়ী আচরণ করা আমাদের একান্ত কর্তব্য।
তৃতীয়তঃ পিতামাতার আদর্শ ও সম্মান বজায় রাখা। প্রত্যেক সন্তানেরই উচিত তাদের পিতামাতার আদর্শ ও ন্যায়নীতি অনুসরণ করে চলা। সমাজে তাদের মান সম্মান ক্ষুন্ন হয় এমন কোনো কাজ না করে যে কাজে মা বাবার সম্মান বৃদ্ধি পায় সেই কাজ করা।
উপসংহার: মাতা-পিতার সন্তানের পরম বন্ধু সন্তানের জন্য মা বাবার মতো কেহই আপন নহে। সুতরাং ইহকালীন এবং পরকালীন মুক্তির পথ সুগম করতে হলে পিতামাতার প্রতি কর্তব্যগুলো যথাযত পালন করা সন্তানের একান্ত কর্তব্য।
কাজলা দিদি (যতীন্দ্রমোহন বাগচী) বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই মাগো, আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই? পুকুর ধারে, নেবুর গন্ধে ঘুম আসে না, একলা জেগে রই; মাগো, আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই ? (Bash baganer mathar upor chad uteche oi Mago, amar shulok-bola kajla didi koi? Pukur dhare, Nebur gondhe ghRead more
কাজলা দিদি (যতীন্দ্রমোহন বাগচী)
বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই
মাগো, আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই?
পুকুর ধারে, নেবুর গন্ধে ঘুম আসে না, একলা জেগে রই;
মাগো, আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই ?
(Bash baganer mathar upor chad uteche oi
Mago, amar shulok-bola kajla didi koi?
Pukur dhare, Nebur gondhe ghum aashe na, ekla jege roi
Mago, amar shulok-bola kajla didi koi?)
সেদিন হতে দিদিকে আর কেনই-বা না ডাকো,
দিদির কথায় আচঁল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো ?
(shedin hote didike aar kenoi ba dake
Didir kothay aachol diye mukhti keno dhake?)
খাবার খেতে আসি যখন দিদি বলে ডাকি, তখন
ও-ঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো,
আমি ডাকি, – তুমি কেন চূপটি করে থাকো ?
বল মা, দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে ?
কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল-বিয়ে হবে !
দিদির মতন ফাঁকি দিয়ে আমিও যদি লুকোই গিয়ে –
তুমি তখন একলা ঘরে কেমন করে রবে ?
আমিও নাই দিদিও নাই কেমন মজা হবে !
(Khabar khete aashi jokhon didi bole daki, tokhon
O ghor theke keno ma didi aar aashe nako
Ami daki tumi keno chupti kore thako
Bolo ma didi kuthay gese aashbe abar kobe?
Kal je amar natun ghore putul biye hobe
Didir moto faki diye ami jodi lukoi giye
Tumi tokhon ekla ghore kemon ko0re robe?
Amio nai didi o nai kemon moja hobe!)
ভুঁইচাঁপাতে ভরে গেছে শিউলি গাছের তল,
মাড়াস নে মা পুকুর থেকে আনবি যখন জল;
ডালিম গাছের ডালের ফাঁকে বুলবুলিটি লুকিয়ে থাকে,
দিস না তারে উড়িয়ে মা গো , ছিঁড়তে গিয়ে ফল;
দিদি এসে শুনবে যখন, বলবে কী মা বল!
(bhuichapate bhore gese shuili gacher tol,
madash ne maa pukur theke aanbe jokhon jol
Dalim gacher daler fake bulbuliti lukhiye thake,
Dish na tare uriye mago, chirte giye fol;
Didi eshe shunbe jokhon, bolbe ki ma bol!)
বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই
এমন সময়, মাগো, আমার কাজলা দিদি কই ?
বেড়ার ধারে, পুকুর পাড়ে ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোঁপে-ঝাড়ে;
নেবুর গন্ধে ঘুম আসে না -তাইতো জেগে রই;
রাত হলো যে, মাগো, আমার কাজলা দিদি কই ?
(Bash baganer mathar upor chad uteche oi
Emon shomoy mago, amar kajla didi koi?
bedar dare, pukhur pare jhi jhi dake jhope-jhade
Nebur gondhe ghum aashe na, taito jege roi
Raat holo je, mago, amar kajla didi koi?)
English Translation :
The moon has risen above the Bamboo garden
Mother, Where is my kajla sister who read poetry to me
lemon smells from the side of pond, make me insomaniac
Mother, Where is my Kajla sister?
আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ভুমিকা : আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলাম দেশে-বিদেশে বিদ্রোহী কবি, বুলবুল কবি বলে পরিচিত। তাঁর কাব্যে পরাধীনতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং মানব মর্যাদা ও সৌন্দর্যচেতনা সমন্বিত হয়েছে। জন্ম : কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে মে (১১ই জ্যৈষ্ঠRead more
আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম
ভুমিকা :
আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলাম দেশে-বিদেশে বিদ্রোহী কবি, বুলবুল কবি বলে পরিচিত। তাঁর কাব্যে পরাধীনতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং মানব মর্যাদা ও সৌন্দর্যচেতনা সমন্বিত হয়েছে।
জন্ম :
কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে মে (১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসােল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামের কাজী পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন।
কেন তিনি আমার প্রিয় :
নজরুল ইসলামের ‘অগ্নিবীণা আমাকে মুগ্ধ ও আকর্ষণ করে। “বল বীর চির উন্নত মম শির’ একথা বলেই তাঁর ‘বিদ্রোহী’ নামক প্রসিদ্ধ কবিতা আরম্ভ। এ কথা কয়টি উচ্চারণ করার সাথে সাথে পাঠক ও শ্রোতা মাত্র যেন অন্য জগতে নীত হয়। আবার দুনিয়ায় অবিচার ও জুলুমবাজির প্রবাহ চলছে। মানুষের পরাধীনতা ও গােলামীর জিঞ্জির আজও ছিন্ন হয়নি। সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও ধর্মক্ষেত্রের অবিচার-অনাচার আজ আকাশপর্শী হয়ে উঠেছে। মূর্তিমান অন্যায় ও অকল্যাণ জগদ্দল পাষাণের মত মানুষের বুকে চেপে আছে। মজলুম মানুষের কান্নার জলে আজ আকাশ-বাতাস আবিল হয়ে ওঠেছে। তার বিরুদ্ধে মানুষ বিদ্রোহ না করে থাকতে পারে না। যতদিন পৃথিবীর বুক হতে পাপ-তাপ দূর না হবে, ততদিন কোন সমাজ-সচেতন মানুষ শান্ত হতে পারে না। তাই কবির সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে আমাকেও বলতে ইচ্ছা হয় “যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রােল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত। আমি সেই দিন হবো শান্ত।” নজরুল ইসলামের বিদ্রোহের সুর তার প্রথম দিকের কাব্য রচনার প্রায় সবগুলােতেই অল্প-বিস্তর রয়েছে। তাঁর ‘অগ্নিবীণা, ‘ভাঙ্গার গান’ প্রভৃতি গ্রন্থে এর পরিচয় পাই। আগুনের মত উজ্জ্বল ও প্রােজ্জ্বল এসব বইয়ের কবিতাগুলােতে ভাবের সাথে। ভাষার সংগতি ও মিল অনবদ্য। মানুষের কবি নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষার কথাকে কাব্য ও গানে রূপ দান করেছেন। তাঁর রচিত দেশাত্মবােধক গান আজ ভারত উপমহাদেশের মানুষের মুখে মুখে, সভায় সভায় , আসরে আসরে গীত হয়।
ইসলামী ভাবধারা :
নজরুল ইসলামের আর একটি বড় দান হল এই যে, তিনি ইসলামী ভাবধারাকে তাঁর কাব্য প্রথম সুন্দরভাবে রূপ দান করেছেন। তাঁর ‘জিঞ্জির’-এর বিভিন্ন কবিতায় এর অনবদ্য পরিচয় মিলে। তাঁর রচিত গজলেও ইসলামী ভাবধারার সুষ্ঠু প্রয়ােগ দেখতে পাই। এসব কারণেই নজরুল ইসলাম বাংলা ভাষার পাঠকদের মন জয় করেছেন। আর এজন্যই তাঁর কবিতা আমার খুব ভাল লাগে।
মৃত্যু :
ইংরেজি ১৯৪৫ সালের দিকে কবি কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। ১৯৭২ সালে কবিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে আনা হয় এবং নাগিরিকত্ব দেয়া হয়। ২৯শে আগস্ট ১৯৭৬ সালে (১২ই ভাদ্র, ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) তিনি ঢাকায় শেষ নিস্বাশ ত্যাগ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তাকে সমাহিত করা হয়।
উপসংহার :
কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় শক্তি সাহস এবং চরিত্রের বাস্তব প্রতিমর্তি। আমাদের জাতীয় সমৃদ্ধিতে তার বহু অবদান রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তাঁর নামে ঢাকায় নজরুল ইনস্টিটিউট স্থাপন হয়েছে। আমাদের উচিত তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা।
আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ভুমিকা : আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলাম দেশে-বিদেশে বিদ্রোহী কবি, বুলবুল কবি বলে পরিচিত। তাঁর কাব্যে পরাধীনতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং মানব মর্যাদা ও সৌন্দর্যচেতনা সমন্বিত হয়েছে। জন্ম : কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে মে (১১ই জ্যৈষ্ঠRead more
আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম
ভুমিকা : আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলাম দেশে-বিদেশে বিদ্রোহী কবি, বুলবুল কবি বলে পরিচিত। তাঁর কাব্যে পরাধীনতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং মানব মর্যাদা ও সৌন্দর্যচেতনা সমন্বিত হয়েছে।
জন্ম : কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে মে (১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসােল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামের কাজী পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন।
কেন তিনি আমার প্রিয় : নজরুল ইসলামের ‘অগ্নিবীণা আমাকে মুগ্ধ ও আকর্ষণ করে। “বল বীর চির উন্নত মম শির’ একথা বলেই তাঁর ‘বিদ্রোহী’ নামক প্রসিদ্ধ কবিতা আরম্ভ। এ কথা কয়টি উচ্চারণ করার সাথে সাথে পাঠক ও শ্রোতা মাত্র যেন অন্য জগতে নীত হয়। আবার দুনিয়ায় অবিচার ও জুলুমবাজির প্রবাহ চলছে। মানুষের পরাধীনতা ও গােলামীর জিঞ্জির আজও ছিন্ন হয়নি। সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও ধর্মক্ষেত্রের অবিচার-অনাচার আজ আকাশপর্শী হয়ে উঠেছে। মূর্তিমান অন্যায় ও অকল্যাণ জগদ্দল পাষাণের মত মানুষের বুকে চেপে আছে। মজলুম মানুষের কান্নার জলে আজ আকাশ-বাতাস আবিল হয়ে ওঠেছে। তার বিরুদ্ধে মানুষ বিদ্রোহ না করে থাকতে পারে না। যতদিন পৃথিবীর বুক হতে পাপ-তাপ দূর না হবে, ততদিন কোন সমাজ-সচেতন মানুষ শান্ত হতে পারে না। তাই কবির সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে আমাকেও বলতে ইচ্ছা হয়
“যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রােল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না,
অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণভূমে রণিবে না-
বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত।
আমি সেই দিন হবো শান্ত।”
নজরুল ইসলামের বিদ্রোহের সুর তার প্রথম দিকের কাব্য রচনার প্রায় সবগুলােতেই অল্প-বিস্তর রয়েছে। তাঁর ‘অগ্নিবীণা, ‘ভাঙ্গার গান’ প্রভৃতি গ্রন্থে এর পরিচয় পাই। আগুনের মত উজ্জ্বল ও প্রােজ্জ্বল এসব বইয়ের কবিতাগুলােতে ভাবের সাথে। ভাষার সংগতি ও মিল অনবদ্য। মানুষের কবি নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষার কথাকে কাব্য ও গানে রূপ দান করেছেন। তাঁর রচিত দেশাত্মবােধক গান আজ ভারত উপমহাদেশের মানুষের মুখে মুখে, সভায় সভায় , আসরে আসরে গীত হয়।
ইসলামী ভাবধারা : নজরুল ইসলামের আর একটি বড় দান হল এই যে, তিনি ইসলামী ভাবধারাকে তাঁর কাব্য প্রথম সুন্দরভাবে রূপ দান করেছেন। তাঁর ‘জিঞ্জির’-এর বিভিন্ন কবিতায় এর অনবদ্য পরিচয় মিলে। তাঁর রচিত গজলেও ইসলামী ভাবধারার সুষ্ঠু প্রয়ােগ দেখতে পাই। এসব কারণেই নজরুল ইসলাম বাংলা ভাষার পাঠকদের মন জয় করেছেন। আর এজন্যই তাঁর কবিতা আমার খুব ভাল লাগে।
মৃত্যু : ইংরেজি ১৯৪৫ সালের দিকে কবি কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। ১৯৭২ সালে কবিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে আনা হয় এবং নাগিরিকত্ব দেয়া হয়। ২৯শে আগস্ট ১৯৭৬ সালে (১২ই ভাদ্র, ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) তিনি ঢাকায় শেষ নিস্বাশ ত্যাগ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তাকে সমাহিত করা হয়।
উপসংহার : কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় শক্তি সাহস এবং চরিত্রের বাস্তব প্রতিমর্তি। আমাদের জাতীয় সমৃদ্ধিতে তার বহু অবদান রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তাঁর নামে ঢাকায় নজরুল ইনস্টিটিউট স্থাপন হয়েছে। আমাদের উচিত তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা।
গায়ক-আশা ভুষলে ভেবেছি ভুলে যাব পারিনা যে ভুলিতে যে বাঁধনে বেঁধেছ পারিনা তো খুলিতে। ভেবেছি ভুলে যাব পারিনা যে ভুলিতে যে বাঁধনে বেঁধেছ পারিনা তো খুলিতে।। ওগো আমি জানি তুমি যে গোপনে ছুঁয়ে যাও আমাকে শয়নে স্বপনে ওগো আমি জানি তুমি যে গোপনে ছুঁয়ে যাও আমাকে শয়নে স্বপনে... তোমারই ছবি আঁকি বেদনারই তুলিতেRead more
গায়ক-আশা ভুষলে
ভেবেছি ভুলে যাব
পারিনা যে ভুলিতে
যে বাঁধনে বেঁধেছ
পারিনা তো খুলিতে।
ভেবেছি ভুলে যাব
পারিনা যে ভুলিতে
যে বাঁধনে বেঁধেছ
পারিনা তো খুলিতে।।
ওগো আমি জানি
তুমি যে গোপনে
ছুঁয়ে যাও আমাকে
শয়নে স্বপনে
ওগো আমি জানি
তুমি যে গোপনে
ছুঁয়ে যাও আমাকে
শয়নে স্বপনে…
তোমারই ছবি আঁকি
বেদনারই তুলিতে
যে বাঁধনে বেঁধেছ
পারিনা তো খুলিতে…
আমারই হৃদয়ে
আছ যে জড়িয়ে
তোমারই স্মৃতি সবই
আছে যে ছড়িয়ে
আমারই হৃদয়ে
আছ যে জড়িয়ে
তোমারই স্মৃতি সবই
আছে যে ছড়িয়ে
সকলই চিহ্ন তোমার
পড়ে আছে ধুলিতে
যে বাঁধনে বেঁধেছ
পারিনা তো খুলিতে।।
পেয়েছি তোমাকে
আরও কাছে পাবো
বুঝিতে পারিনি
পেয়ে যে হারাবো
পেয়েছি তোমাকে
আরও কাছে পাবো
বুঝিতে পারিনি
পেয়ে যে হারাবো…
বিরহ ঢেলে দিলে
প্রেমেরই এই ঝুলিতে
যে বাঁধনে বেঁধেছ
পারিনা তো খুলিতে।
ভেবেছি ভুলে যাব
পারিনা যে ভুলিতে
যে বাঁধনে বেঁধেছ
পারিনা তো খুলিতে।
উড়ে যায়, উড়ে যায় (love lust confusion উড়ে যায়, উড়ে যায় কাছে থেকেও কেন দূরে যায়। ফিরে যায়, ঘুরে ফিরে যায় পাস্ট কখন, কখন ধীরে যায়। মন তো আর মনের কথা কিভাবে বুঝে যখন সকালে চোখ খুলি, মন তাকে খুঁজে। উড়ে যায়, উড়ে যায় কাছে থেকেও কেন দূরে যায়। ফিরে যায়, ঘুরে ফিরে যায় পাস্ট কখন, কখন ধীরে যায়।Read more
উড়ে যায়, উড়ে যায় (love lust confusion
উড়ে যায়, উড়ে যায়
কাছে থেকেও কেন দূরে যায়।
ফিরে যায়, ঘুরে ফিরে যায়
পাস্ট কখন, কখন ধীরে যায়।
মন তো আর মনের কথা কিভাবে বুঝে
যখন সকালে চোখ খুলি, মন তাকে খুঁজে।
উড়ে যায়, উড়ে যায়
কাছে থেকেও কেন দূরে যায়।
ফিরে যায়, ঘুরে ফিরে যায়
পাস্ট কখন, কখন ধীরে যায়।
ভরদুপুরে চুপটি করে
ঠুটের ফাঁকে পেন্সিল ধরে
বড় বড় চোখ করে
যখন তাকায়।
রেস্টুরেন্টে শহরের প্রান্তে
কোথাও যদি পাই একান্তে,
তার ব্যাপারে জানতে জানতে
দিন চলে যায়।
রেস্টুরেন্টে শহরের প্রান্তে
কোথাও যদি পাই একান্তে,
তার ব্যাপারে জানতে জানতে
দিন চলে যায়।
উড়ে যায় উড়ে যায়
শুধু উড়ে যায়
যত কাছে চাই আরো দূরে যায়
ফিরে যায় ঘুরে ফিরে যায়
পাস্ট কখন, কখন ধীরে যায়।
কোন একদিন, হয়তো কোন একদিন
পারবে কি আসতে ভালবাসতে
কোন একদিন, হয়তো কোন একদিন
পারবে না দূরে থাকতে, দূরে রাখতে
আরো একটা দিন আরো একটা রাত
পাশাপাশি যদি রয়ে যায়।
কিছু কথা আরো কিছু গান
যদি একসাথে হয়ে যায়
কারো চোখে চোখ রেখে
সময় কেন বয়ে যায়।
থেমে যায় রাত থেমে যায়
একটা স্টোরি হয়ে যায়
উড়ে যায় উড়ে যায়
কাছে আসে দূরে যায়
একটা স্টোরি হয়ে যায়
ফিরে যায়, ঘুরে ফিরে যায়
একটা স্টোরি হয়ে যায়
পড়ে যায় পড়ে যায়
একটা স্টোরি হয়ে যায়
দূর্গা পূজা বা দুর্গোৎসব ভূমিকাঃ দুর্গোৎসব বা দুর্গাপূজা জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতায় বাংলার অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। দুর্গোৎসব নিয়ে আসে বাংলার জীবনে এক নতুন মাত্রা, বাংলার মানুষ মেতে উঠে খুশিতে আনন্দে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের খুব কম উৎসবের সঙ্গেই তার তুলনা চলে। যদিও এটি মূলত: ধর্মীয় অনুষ্ঠান তবুও সকল শ্রেRead more
দূর্গা পূজা বা দুর্গোৎসব
ভূমিকাঃ দুর্গোৎসব বা দুর্গাপূজা জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতায় বাংলার অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। দুর্গোৎসব নিয়ে আসে বাংলার জীবনে এক নতুন মাত্রা, বাংলার মানুষ মেতে উঠে খুশিতে আনন্দে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের খুব কম উৎসবের সঙ্গেই তার তুলনা চলে। যদিও এটি মূলত: ধর্মীয় অনুষ্ঠান তবুও সকল শ্রেণীর জনসাধারণের আন্তরিক মিলনের ফলে এক উদারতর সামাজিক ব্যপ্তি লাভ করেছে। সর্বমানবের মিলনই যদি জাতীয় উৎসবের বৈশিষ্ট্য হয়, তবে দুর্গোৎসবকে নিঃসন্দেহে বাংলা ও বাঙালী জাতির জাতীয় উৎসবরূপে স্বীকার করতে হবে।
সময় ও প্রস্তুতি : বৎসরের সুন্দরতম ঋতুতে বাংলার নিসর্গ-প্রকৃতি যখন সুস্নিগ্ধ লাবণ্যে অপরূপ হয়ে ওঠে, তখনই দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। শারদ এই শুভলগ্নে প্রকৃতিই প্রকৃতি হয়ে উঠে নির্মেঘ আকাশ হয়ে উঠে সুনীল এরইমধ্যে প্রকৃতি তাঁর স্বর্ণোজ্জ্বল রৌদ্রের প্রদীপালােকে জগন্মাতার বন্দনার আয়ােজন করে। শরৎ ঋতুর আগমনে মৃৎ-শিল্পীর দিবারাত্রির পরিশ্রমে দেবী দুর্গা মৃন্ময়ীরূপে দৃষ্টিগােচর হয়ে ওঠেন, বিপণিতে নয়নলােভন পণ্য আনন্দোচ্ছল ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। প্রবাসী কর্মীর দিন কাটে প্রিয়জনের সঙ্গে মিলনের প্রতীক্ষায়। অবশেষে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠীতিথির পুণ্যলগ্নে কল্যাণী জননী-রূপে দেবী দুর্গা তাঁর মর্তের সন্তানদের সম্মুখে আবির্ভূত হন। গ্রাম-বাঙলার শারদ আকাশে বাজতে থাকে আগমনীর সুর।
দুর্গাপূজার ইতিহাস : ইতিহাস পুরাণে বিধৃত। গিরিরাজ হিমালয় ও তদীয় পত্রী মেনকার কন্যা এই দুর্গা, দেবাদিদেব মহাদেব তাঁর স্বামী। সত্যযুগে সুরথ নামক জনৈক নরপতি শহস্তে পরাজিত হয়ে হতাশচিত্তে মেধস্ মুনির আশ্রমে যান। এই মুনির উপদেশেই তিনি সর্বপ্রথম দুর্গাপূজা করেন এবং দেবীর কৃপায় শত্রুকবলিত রাজ্য পুনরুদ্ধার করেন। রাজা সুরথ বসন্তঋতুতে দুর্গাপূজা করেছিলেন বলে এই পূজা বাসন্তী পূজা’ নামে অভিহিত হয় । বাঙালী দেবী দুর্গার আরাধনায় রামচন্দ্রের শারদীয় অনুষ্ঠানকে গ্রহণ করেছে। তাহেরপুরের রাজা কংসনারায়ণ প্রায় সাড়ে তিনশত বৎসর পূর্বে সর্বপ্রথম বাঙলাদেশে জগজ্জননীর পূজায় ব্রতী হন, এরূপ মত প্রচলিত আছে।
দুর্গা দশভুজা : তার দশটি হাতে শাণিত প্রহরণ। সিংহপৃষ্ঠে আরােহণ করে তিনি ভীষণদর্শন মহিষাসুর নিধনে উদ্যত। শক্তিরূপিণী জননী দুর্গার দক্ষিণে শােভা পান ঐশ্বর্যের দেবী কমলাসনা লক্ষ্মী, বামভাগে অবস্থান করেন বাণী বিদ্যাদায়িনী সর্বশুক্লা সরস্বতী। দুই পুত্র দেবসেনাপতি কার্তিকেয় এবং সিদ্ধিদাতা গণেশও একই সঙ্গে পূজিত হন । গণেশের পার্শ্বে প্রকৃতি-জননীর সৃষ্টির প্রতীক নবপত্রিকা অবস্থান করেন । অসুররূপী অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে বিশ্ববাসীকে শাস্তি ও কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্যই আদ্যাশক্তি মহামায়া দশপ্রহরণ ধারিণী দুর্গারূপে আত্মপ্রকাশ।
মূল উৎসব : আলােকোজ্জ্বল আশ্বিনের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে বােধন করে দুর্গাপুজার অনুষ্ঠান শুরু হয়। পুণ্য ষষ্ঠী তিথিতেই দেবীর আবাহন ও অধিবাসের কার্যটি সম্পন্ন করা হয়। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী–পরবর্তী এই তিনটি দিন ধরে মহাসমারােহে অগণিত ভক্তের সম্মিলনে পূজা চলতে থাকে। অষ্টম ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে যে পূজা অনুষ্ঠিত হয়, তার নাম ‘সন্ধিপূজা’ । চতুর্থ দিন দশমী তিথিতে পূজা সমাপন করে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয় । বিসর্জনের পরবর্তী কৃত্যই হল প্রতিমা। নিরঞ্জন—অর্থাৎ বাদ্যভাণ্ড ও শোভাযাত্রা সহকারে দেবী প্রতিমাকে নদী-গর্ভে অথবা অন্য কোন জলাশয়ে নিমজ্জিত করা হয়। ভক্ত-পূজকদের দেহে নামে ক্লান্তির ভার, মন আচ্ছন্ন হয়ে থাকে প্রিয়জন বিচ্ছেদের বিষাদে। প্রতিমা নিরঞ্জনের পরে প্রতিটি বাঙালী আত্মীয় প্রিয়জনের সঙ্গে স্নেহালিঙ্গনে আবদ্ধ হয়ে পরস্পরকে ভক্তি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছাজ্ঞাপন করে, এই অনুষ্ঠানটির নাম ‘বিজয়া।
বাংলার জীবনে দুর্গ উৎসবের মাহাত্ম্য : শুধু যে ধর্মীয় গুরুত্বেই জগন্মাতা দুর্গার আরাধনা বাঙালী হিন্দুর জীবনে প্রধানতম স্থান গ্রহণ করেছে তাই নয়, মানবিক সম্পর্কের সহজ আন্তরিকতার স্পশে এ উৎসবটি অনন্য। হিমালয়-দুহিতা উমা পুত্র-কন্যা সঙ্গে নিয়ে মাত্র তিনটি দিনের জন্য পিতৃগৃহে ফিরে আসেন, চতুর্থ দিনেই আবার মাতা মেনকাকে অশ্রু সাগরে ভাসিয়ে স্বামী মহেশ্বরের আলয়ে প্রত্যাবর্তন করেন । মর্ত্য-পৃথিবীতে দেবী দুর্গার আবির্ভাবের এই লৌকিক কাহিনীটি বাঙালীর পারিবারিক জীবনে একটি বিষন্ন-মধুর অভিজ্ঞতার সমান্তরালে চলে আসছে। বিবাহিতা কন্যার পিত্রালয়ে আগমন এবং বিদায়ে বাঙালী জননী বা মেনকার আনন্দোৎকণ্ঠা ও অশ্রুঘন বেদনার মর্মস্পর্শিতা অনুভব করেন। কাজেই, বাঙালী জননীর নিকট তখন দেবী দুর্গা আর স্বীয় কন্যা একই স্নেহবাৎসল্যের স্পর্শে দ্রবীভূত হয়ে একাত্মতা লাভ করেন। মাতৃসাধন বাঙালী সঙ্গীতের সুরে বিবাহিত কন্যার সঙ্গে মিলনপ্রত্যাশী বাঙালী মাতার অন্তরবেদনাকেই মুক্তি দিয়েছে : “যাও যাও গিরি, আনিতে গৌরী, উমা আমার কত কেঁদেছে।
উপসংহার: শারদোৎসব প্রকৃতপক্ষে বাংলার পারিবারিক জীবনে মিলনােৎসবের মাধুর্য নিয়েই আবির্ভূত হয়। সুদীর্ঘে প্রবাসজীবনযাপন করে প্রিয়জন ফিরে আসে জননীর স্নেহাঞ্চলতলে, আনন্দ-হাসিতে মুখর হয় বাঙালীর গৃহ-প্রাঙ্গণ। ধরাতলে রচিত হয় গিরীশ মেনকার সুখতৃপ্ত সংসারের দ্বিতীয় রূপ। তাই বাঙালীই নিঃসঙ্কোচ সারল্যে বলতে পেরেছে-‘দেবতারে মােরা আত্মীয় জানি।
গান- মনে করি আসাম যাবো গায়ক- ইমন চক্রবর্তী আসামের গোয়ালপাড়া অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় লোকগীতি। এই গানের মাধ্যমে আসামের সাঁওতালি মহিলাদের সরল জীবন কাহিনী তৎসঙ্গে আসামের চা বাগানের শ্রমিকদের শোষণের কথা তুলে ধরা হয়েছে। ইংরেজদের শ্রমিকদের প্রতি শোষণ ও অত্যাচারের কথা এই গানের মধ্যে ফুটে উঠেছে। মনে করি আসামRead more
গান- মনে করি আসাম যাবো গায়ক- ইমন চক্রবর্তী
আসামের গোয়ালপাড়া অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় লোকগীতি। এই গানের মাধ্যমে আসামের সাঁওতালি মহিলাদের সরল জীবন কাহিনী তৎসঙ্গে আসামের চা বাগানের শ্রমিকদের শোষণের কথা তুলে ধরা হয়েছে। ইংরেজদের শ্রমিকদের প্রতি শোষণ ও অত্যাচারের কথা এই গানের মধ্যে ফুটে উঠেছে।
মনে করি আসাম যাবো
আসাম গেলে তোমায় পাবো
বাবু বলে কাম কাম সাহেব বলে ধরে আন
আর ওই সর্দার বলে লিবো পিঠের চাম
হে জদুরাম, ফাঁকি দিয়া চলাইলি আসাম।
(Mone kori Assam jabo,
Assam gele tumay pabo.
Babu bole kam kam, shaheb bole dhore aane
Aar oi shordar bole libo pither cham
He jaduram, faki diya cholaili Assam)
আল কিনারে নাহর গাছে বগা বগা ফুল
ফুল কে দেখিয়া ছুড়ি ধ্যাচাকে চামড়াইল,
গাছের মধ্যে তুলসী বাটার মধ্যে পান
সাদা সাহেব ফাঁকি দিয়া চলাইলি আসাম,
গাছের মধ্যে তুলসী বাটার মধ্যে পান
সাদা সাহেব ফাঁকি দিয়া চলাইলি আসাম।
মনে করি আসাম যাবো
আসাম গেলে তোমায় পাবো,
মনে করি আসাম যাব
জোড়া পাঙ্খা টঙাইবো,
বাবু বলে কাম কাম সাহেব বলে ধরি আন
সর্দার বলে লিবো পিঠের চাম,
হে জদুরাম, ফাঁকি দিয়া চলাইলি আসাম।
(Mone kori Assam jabo,
Assam gele tumay pabo
Mone kori Assam jabo,
Jora pankha tangaibo,
Babu bole kam kam, shaheb bole dhore aane
Aar oi shordar bole libo pither cham
He jaduram, faki diya cholaili Assam)
আল কিনারে নাহর গাছে বগা বগা ফুল,
ফুল কে দেখিয়া ছুড়ি ধ্যাচাকে চামড়াইল।
(All kinare nahor gache boga boga ful
Ful ke dekia chudi dhachake chamdailo)
আর চিঠি তে কি ভুলে মন বিনা দরিশনে
বিথিরে কি ফুটে ফুল বিনা বরিখনে,
চিঠি তে কি ভুলে মন বিনা দরিশনে
বিথিরে কি ফুটে ফুল বিনা বরিখনে,
(Aar chitite ki bhule mon bina dorishone
Bithire ki fute ful bina borikhone
Aar chitite ki bhule mon bina dorishone
Bithire ki fute ful bina borikhone)
মনে করি আসাম যাবো
আসামে তে নোকরি লিবো,
মনে করি আসাম যাবো
আসামে তে নোকরি লিবো,
বাবু বলে কাম কাম সাহেব বলে ধরি আন
সরদার বলে লিবো পিঠের চাম,
হে জদুরাম, ফাঁকি দিয়া চলাইলি আসাম।
(Mone kori Assam jabo,
Assame te nokri libo
Mone kori Assam jabo,
Assame te nokri libo
Babu bole kam kam, shaheb bole dhore aane
Aar oi shordar bole libo pither cham
He jaduram, faki diya cholaili Assam)
আল কিনারে নাহর গাছে বগা বগা ফুল
ফুল কে দেখিয়া ছুড়ি ধ্যাচাকে চামড়াইল।
(Aal kinare nahor gache boga boga ful
Ful ke dekia chudi dhachake chamdailo)
(Banai dili kamin kuli
Tangaile dili Pithe puli
Jhuli tangailo bhikhari banaili
Nithurosam jonome jonome kadaili
Banai dili kamin kuli
Tangaile dili Pithe puli
Jhuli tangailo bhikhari banaili
Nithurosam jonome jonome kadaili)
আম পাতার সিরে সিরে কাজলেরই রেখা
কোন পথে গেলে বন্ধু পাবো তোমার দেখা,
মনে করি আসাম যাবো
আসামে তে নোকরি লিবো,
মনে করি আসাম যাবো
জোড়া পাঙ্খা টঙাইবো,
বাবু বলে কাম কাম সাহেব বলে ধরি আন
সরদার বলে লিবো পিঠের চাম
এ জদুরাম ফাকি দিয়া চলাইলি আসাম।
(Aam patar shire shire kajoler i rekha
Kun pothe gele bandhu pabo tumar dekha
Mone kori Assam jabo,
Assame te nokri libo
Mone kori Assam jabo,
Jora pankha tangaibo,
Babu bole kam kam, shaheb bole dhore aane
Aar oi shordar bole libo pither cham
He jaduram, faki diya cholaili Assam)
আল কিনারে নাহর গাছে বগা বগা ফুল
ফুল কে দেখিয়া ছুড়ি ধ্যাচাকে চামড়াইল,
গাছের মধ্যে তুলসী বাটার মধ্যে পান
সাদা সাহেব ফাঁকি দিয়া চলাইলি আসাম,
মনে করি আসাম যাবো
জোড়া পাঙ্খা টঙাইবো,
বাবু বলে কাম কাম সাহেব বলে ধরি আন
সর্দার বলে লিবো পিঠের চাম
হে জদুরাম ফাকি দিয়া চলাইলি আসাম ..
(Aal kinare nahor gache boga boga ful
Ful ke dekia chudi dhachake chamdailo
Gacher mode tulshi, batar mode paan
Shada shaheb falki diya chalaili Assam
Mone kori Assam jabo,
Jora pankha tangaibo,
Babu bole kam kam, shaheb bole dhore aane
Aar oi shordar bole libo pither cham
He jaduram, faki diya cholaili Assam)
My little effort to translate the first stanza of the song for the non-Bengali speaker to understand essence of this song. This is a song About the tea worker of Assam and their plight they had to face in the hand of Tea garden owner here it’s refer to the British East India company. This song also represent the simple and daily life of Santhali women.
I thought I would go to Assam
I will find you over there
But my Boss says do your work, The owner didn’t spare me
And the contractor threat me to beat
O Jaduram, lets escape to Assam
গান-মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর গায়ক-শ্রীকান্ত আচার্য সিনেমা-তিতলি মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা , মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা । মন খারাপের খবর আসে বনপাহাড়ের দেশে , চৌকোণও সব বাক্সে যেথায় যেমন থাক সে মন খারাপের খবর পরে দারুণ ভালোবেসে । মেঘের ব্যাগের ভিতর ম্যাপ রয়েছে মেঘ পিRead more
মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা ,
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা ।
মন খারাপের খবর আসে বনপাহাড়ের দেশে ,
চৌকোণও সব বাক্সে
যেথায় যেমন থাক সে
মন খারাপের খবর পরে দারুণ ভালোবেসে ।
মেঘের ব্যাগের ভিতর ম্যাপ রয়েছে মেঘ পিওনের পারি
পাগদন্দি পথ বেয়ে তার বাগান ঘেরা বাড়ি ,
বাগান শেষে সদর দোয়ার বারান্দাতে আরাম চেয়ার
গালচে পাতা বিছানাতে ছোট্ট রোদের ফালি ,
সেথায় এসে মেঘ পিওনের সমস্ত ব্যাগ খালি ।
মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা ,
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা ।
দেয়াল জুরে ছোট্ট রোদের ছায়া বিশাল কায়
নিস্পলকে ব্যকুল চোখে তাকিয়ে আছে ঠায়
কীসের অপেক্ষায় ।
মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা ,
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা ।
আষাঢ় মেঘে বৃষ্টি এল আকাশ জুড়ে গাড়ও ,
রোদের সাথে ছায়ার আড়ি মুখ দেখেনা কারও ।
মেঘ করেছে পড়ার ঘরে বিছানাটা জুড়ে ,
উথাল পাথাল মেঘ করেছে নিজুম হৃদয়পুরে ।
রোদের ছুরি ছায়ার শরীর কাটছে অবিরত
রোদের বুকের ভিতর ক্ষত ।
সেই বুকের থেকে টুপ টুপ টুপ নীল কুয়াশা ঝরে ,
আর মন খারাপের খবর আসে আকাশে মেঘ করে
সারা আকাশ জুড়ে ।
মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা ,
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা ।
মেঘের দেশে রোদের বাড়ি পাহাড় কিনারায় ,
যদি মেঘ পিওনের ডাকে সেই ছায়ার হদিশ থাকে
রোদের ফালি তাকিয়ে থাকে আকুল আকাঙ্খায় ।
কবে মেঘের পিঠে আসবে খবর বাড়ির বারান্দায় ।
ছোট্ট বাগানটায় ।
মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা ,
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা ।
বুঝি হটাত করে মেঘ পিওনের ক্ষণেক অসাবধানে ,
তার চিঠির গোছা উরে গেছে কখন দূরের বনে ।
মেঘ পিওনের কোথায় বাড়ি কোথায় সে কোন দূরে ,
আষাঢ় হলেই কোথা থেকে আসে আকাশ জুরে ।
মন খারাপের দিস্তেগুলি কখন বিলি করে ,
রাত জাগা কোন ভোরে মেঘের দ্বিপ্রহরে ।
বাগদন্দি পথের ধারে বাগান ঘেরা ঘরে ,
এখন রোদ উঠেছে মেঘ পিওনের যাবার সময় প্রায় ,
যেসব চিঠি হয়নি বিলি পরেছে ঝরনায় ।
গড়িয়ে গেছে নদীর জলে ছড়িয়ে আছে গাছের ডালে ,
টুপ টুপ টুপ পরবে ঝরে পাহাড়তলির পথে ।
ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাবে শুকনো পাতার সাথে ।
মন খারাপের সজলটুকু শুকিয়ে গিয়ে শেষে ,
মিলিয়ে যাবে তিরতিরে এক মন কেমনের রেশে ।
রচনা: মাতা পিতার প্রতি কর্তব্য | Mata Pitar Proti kortobbo Rochona
Hridoy
মাতা-পিতার প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য ভূমিকা: মাতাপিতার কাছে তাঁর সন্তানের থেকে বড় কোনো অমূল্য বস্তূ নেই। তাই পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ট সম্পর্ক হয় সন্তান এবং মাতাপিতার মধ্যে। তাঁদের জন্যই আমরা আজ এই পৃথিবীর আলো দেখেছি । একটি শিশু পৃথিবীতে এসে পিতা-মাতার যথাযথ লালন-পালন, আদর, স্নেহ, মমতা ও শিক্ষা-দীক্ষার মাধRead more
মাতা-পিতার প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য
ভূমিকা: মাতাপিতার কাছে তাঁর সন্তানের থেকে বড় কোনো অমূল্য বস্তূ নেই। তাই পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ট সম্পর্ক হয় সন্তান এবং মাতাপিতার মধ্যে। তাঁদের জন্যই আমরা আজ এই পৃথিবীর আলো দেখেছি । একটি শিশু পৃথিবীতে এসে পিতা-মাতার যথাযথ লালন-পালন, আদর, স্নেহ, মমতা ও শিক্ষা-দীক্ষার মাধ্যমেই বড় হয়ে উঠে। সুতরাং সন্তানের জীবনে পিতামাতার অবদান অসীম। তাই প্রত্যেক সন্তানের উচিত মাতা-পিতার প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে তাহাদের কর্তব্য পালন করা।
মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য: একজন পিতা-মাতা যেভাবে আদর যত্নে একটি সন্তান কে মানুষ করে তুলে সেভাবে সন্তানের ও দায়িত্ব মা-বাবার যত্ন নেয়া। তাই একটি সন্তানের সর্বপ্রথম দায়িত্ব পিতা-মাতার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, তাদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা। বাবা-মা’র সন্তুষ্টি অনুযায়ী সন্তানের পথ চলা উচিত। প্রত্যেক সন্তানের উচিত সব সময় পিতা-মাতার বাধ্য থাকা এবং তাদের আদেশ নিষেধ মেনে চলা। বাবা-মায়ের যখন বার্ধক্য চলে আসে তখন তারা নবজাতক শিশুর মতোই অসহায় হয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে পিতা-মাতাকে বোঝা, না ভেবে তাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করা সন্তানের দায়িত্ব। প্রায় প্রতিটি ধর্ম মা বাবার প্রতি আনুগত্য
হওয়ার শিক্ষা দে। কিন্তু আজকাল তথাকথিত অভিজাত সমাজে নিজের মূল্যবোধ বজায় রাখতে গিয়ে সন্তানের কাছে তার নিজের বৃদ্ধ বাবা-মার স্থান হয় বৃদ্ধাশ্রম। আমাদের শিক্ষিত সচেতন সমাজের উচিত এটা রোধ করা একান্ত কর্তব্য।
শ্রদ্ধাশীল মহান ব্যক্তিদের দৃষ্টান্ত: ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় পৃথিবীতে মরেও যারা অমর এবং চিরস্মরণীয় হয়ে মানুষের হৃদয়ে আজও বেঁচে আছেন। তাঁরা সকলেই মাতৃ ও পিতৃভক্তির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নাম ইতিহাসে মাতৃভক্তদের তালিকায় চিরকালই স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। রাম পিতৃসত্ব পালনের উদ্দেশ্যে চৌদ্দবছর বনবাস কাটিয়েছিলেন। জর্জ ওয়াশিংটন ও আলেকজান্ডার প্রমুখ মহান ব্যক্তিগণ মাতা-পিতার প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ইতিহাসে যুগ-যুগান্তর ধরে চির স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে আছেন এবং থাকবেন।
প্রধান কয়েকটি দায়িত্ব: প্রধান দায়িত্বের মধ্যে মা বাবার প্রত্যাশা পূর্ণ করা হচ্ছে অন্যতম। প্রত্যেক মা-বাবাই তার সন্তানদের বিভিন্ন আশা ভরসায় লালন পালন করে। তারা চায় তাদের সন্তান জীবনে সাফল্য অর্জন করুক এবং সুখী জীবন যাপন করুক। এর জন্যই মা-বাবা প্রত্যেক সন্তানের পিছনে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়। এইজন্য সন্তানের দায়িত্ব তার মা-বাবার আশা-প্রত্যাশা পূর্ণ করে দায়িত্ব পালন করা।
দ্বিতীয়তঃ মা-বাবার প্রতি সন্তুষ্ট থাকা। সর্ব অবস্থায় মা-বাবার প্রতি অনুগত থাকা। তাদের নেয়া বিচারের উপর আস্থা রাখা।তাদের প্রতি বিনয়ী আচরণ করা আমাদের একান্ত কর্তব্য।
তৃতীয়তঃ পিতামাতার আদর্শ ও সম্মান বজায় রাখা। প্রত্যেক সন্তানেরই উচিত তাদের পিতামাতার আদর্শ ও ন্যায়নীতি অনুসরণ করে চলা। সমাজে তাদের মান সম্মান ক্ষুন্ন হয় এমন কোনো কাজ না করে যে কাজে মা বাবার সম্মান বৃদ্ধি পায় সেই কাজ করা।
উপসংহার: মাতা-পিতার সন্তানের পরম বন্ধু সন্তানের জন্য মা বাবার মতো কেহই আপন নহে। সুতরাং ইহকালীন এবং পরকালীন মুক্তির পথ সুগম করতে হলে পিতামাতার প্রতি কর্তব্যগুলো যথাযত পালন করা সন্তানের একান্ত কর্তব্য।
See lessকবিতা – বাঁশ বাগানের মাথার উপর (যতীন্দ্রমোহন বাগচী) Bash baganer mathar opor chand utheche oi lyrics in bengali
Hridoy
কাজলা দিদি (যতীন্দ্রমোহন বাগচী) বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই মাগো, আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই? পুকুর ধারে, নেবুর গন্ধে ঘুম আসে না, একলা জেগে রই; মাগো, আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই ? (Bash baganer mathar upor chad uteche oi Mago, amar shulok-bola kajla didi koi? Pukur dhare, Nebur gondhe ghRead more
কাজলা দিদি (যতীন্দ্রমোহন বাগচী)
বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই
মাগো, আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই?
পুকুর ধারে, নেবুর গন্ধে ঘুম আসে না, একলা জেগে রই;
মাগো, আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই ?
(Bash baganer mathar upor chad uteche oi
Mago, amar shulok-bola kajla didi koi?
Pukur dhare, Nebur gondhe ghum aashe na, ekla jege roi
Mago, amar shulok-bola kajla didi koi?)
সেদিন হতে দিদিকে আর কেনই-বা না ডাকো,
দিদির কথায় আচঁল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো ?
(shedin hote didike aar kenoi ba dake
Didir kothay aachol diye mukhti keno dhake?)
খাবার খেতে আসি যখন দিদি বলে ডাকি, তখন
ও-ঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো,
আমি ডাকি, – তুমি কেন চূপটি করে থাকো ?
বল মা, দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে ?
কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল-বিয়ে হবে !
দিদির মতন ফাঁকি দিয়ে আমিও যদি লুকোই গিয়ে –
তুমি তখন একলা ঘরে কেমন করে রবে ?
আমিও নাই দিদিও নাই কেমন মজা হবে !
(Khabar khete aashi jokhon didi bole daki, tokhon
O ghor theke keno ma didi aar aashe nako
Ami daki tumi keno chupti kore thako
Bolo ma didi kuthay gese aashbe abar kobe?
Kal je amar natun ghore putul biye hobe
Didir moto faki diye ami jodi lukoi giye
Tumi tokhon ekla ghore kemon ko0re robe?
Amio nai didi o nai kemon moja hobe!)
ভুঁইচাঁপাতে ভরে গেছে শিউলি গাছের তল,
মাড়াস নে মা পুকুর থেকে আনবি যখন জল;
ডালিম গাছের ডালের ফাঁকে বুলবুলিটি লুকিয়ে থাকে,
দিস না তারে উড়িয়ে মা গো , ছিঁড়তে গিয়ে ফল;
দিদি এসে শুনবে যখন, বলবে কী মা বল!
(bhuichapate bhore gese shuili gacher tol,
madash ne maa pukur theke aanbe jokhon jol
Dalim gacher daler fake bulbuliti lukhiye thake,
Dish na tare uriye mago, chirte giye fol;
Didi eshe shunbe jokhon, bolbe ki ma bol!)
বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই
এমন সময়, মাগো, আমার কাজলা দিদি কই ?
বেড়ার ধারে, পুকুর পাড়ে ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোঁপে-ঝাড়ে;
নেবুর গন্ধে ঘুম আসে না -তাইতো জেগে রই;
রাত হলো যে, মাগো, আমার কাজলা দিদি কই ?
(Bash baganer mathar upor chad uteche oi
Emon shomoy mago, amar kajla didi koi?
bedar dare, pukhur pare jhi jhi dake jhope-jhade
Nebur gondhe ghum aashe na, taito jege roi
Raat holo je, mago, amar kajla didi koi?)
English Translation :
The moon has risen above the Bamboo garden
See lessMother, Where is my kajla sister who read poetry to me
lemon smells from the side of pond, make me insomaniac
Mother, Where is my Kajla sister?
রচনা : বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান | bangla rachana kazi nazrul islam
Hridoy
আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ভুমিকা : আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলাম দেশে-বিদেশে বিদ্রোহী কবি, বুলবুল কবি বলে পরিচিত। তাঁর কাব্যে পরাধীনতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং মানব মর্যাদা ও সৌন্দর্যচেতনা সমন্বিত হয়েছে। জন্ম : কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে মে (১১ই জ্যৈষ্ঠRead more
আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম
ভুমিকা :
আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলাম দেশে-বিদেশে বিদ্রোহী কবি, বুলবুল কবি বলে পরিচিত। তাঁর কাব্যে পরাধীনতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং মানব মর্যাদা ও সৌন্দর্যচেতনা সমন্বিত হয়েছে।
জন্ম :
কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে মে (১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসােল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামের কাজী পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন।
কেন তিনি আমার প্রিয় :
নজরুল ইসলামের ‘অগ্নিবীণা আমাকে মুগ্ধ ও আকর্ষণ করে। “বল বীর চির উন্নত মম শির’ একথা বলেই তাঁর ‘বিদ্রোহী’ নামক প্রসিদ্ধ কবিতা আরম্ভ। এ কথা কয়টি উচ্চারণ করার সাথে সাথে পাঠক ও শ্রোতা মাত্র যেন অন্য জগতে নীত হয়। আবার দুনিয়ায় অবিচার ও জুলুমবাজির প্রবাহ চলছে। মানুষের পরাধীনতা ও গােলামীর জিঞ্জির আজও ছিন্ন হয়নি। সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও ধর্মক্ষেত্রের অবিচার-অনাচার আজ আকাশপর্শী হয়ে উঠেছে। মূর্তিমান অন্যায় ও অকল্যাণ জগদ্দল পাষাণের মত মানুষের বুকে চেপে আছে। মজলুম মানুষের কান্নার জলে আজ আকাশ-বাতাস আবিল হয়ে ওঠেছে। তার বিরুদ্ধে মানুষ বিদ্রোহ না করে থাকতে পারে না। যতদিন পৃথিবীর বুক হতে পাপ-তাপ দূর না হবে, ততদিন কোন সমাজ-সচেতন মানুষ শান্ত হতে পারে না। তাই কবির সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে আমাকেও বলতে ইচ্ছা হয় “যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রােল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত। আমি সেই দিন হবো শান্ত।” নজরুল ইসলামের বিদ্রোহের সুর তার প্রথম দিকের কাব্য রচনার প্রায় সবগুলােতেই অল্প-বিস্তর রয়েছে। তাঁর ‘অগ্নিবীণা, ‘ভাঙ্গার গান’ প্রভৃতি গ্রন্থে এর পরিচয় পাই। আগুনের মত উজ্জ্বল ও প্রােজ্জ্বল এসব বইয়ের কবিতাগুলােতে ভাবের সাথে। ভাষার সংগতি ও মিল অনবদ্য। মানুষের কবি নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষার কথাকে কাব্য ও গানে রূপ দান করেছেন। তাঁর রচিত দেশাত্মবােধক গান আজ ভারত উপমহাদেশের মানুষের মুখে মুখে, সভায় সভায় , আসরে আসরে গীত হয়।
ইসলামী ভাবধারা :
নজরুল ইসলামের আর একটি বড় দান হল এই যে, তিনি ইসলামী ভাবধারাকে তাঁর কাব্য প্রথম সুন্দরভাবে রূপ দান করেছেন। তাঁর ‘জিঞ্জির’-এর বিভিন্ন কবিতায় এর অনবদ্য পরিচয় মিলে। তাঁর রচিত গজলেও ইসলামী ভাবধারার সুষ্ঠু প্রয়ােগ দেখতে পাই। এসব কারণেই নজরুল ইসলাম বাংলা ভাষার পাঠকদের মন জয় করেছেন। আর এজন্যই তাঁর কবিতা আমার খুব ভাল লাগে।
মৃত্যু :
ইংরেজি ১৯৪৫ সালের দিকে কবি কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। ১৯৭২ সালে কবিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে আনা হয় এবং নাগিরিকত্ব দেয়া হয়। ২৯শে আগস্ট ১৯৭৬ সালে (১২ই ভাদ্র, ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) তিনি ঢাকায় শেষ নিস্বাশ ত্যাগ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তাকে সমাহিত করা হয়।
উপসংহার :
কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় শক্তি সাহস এবং চরিত্রের বাস্তব প্রতিমর্তি। আমাদের জাতীয় সমৃদ্ধিতে তার বহু অবদান রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তাঁর নামে ঢাকায় নজরুল ইনস্টিটিউট স্থাপন হয়েছে। আমাদের উচিত তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা।
See lessরচনা – আমার প্রিয় কবি | My favourite poet essay in bengali
Hridoy
আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ভুমিকা : আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলাম দেশে-বিদেশে বিদ্রোহী কবি, বুলবুল কবি বলে পরিচিত। তাঁর কাব্যে পরাধীনতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং মানব মর্যাদা ও সৌন্দর্যচেতনা সমন্বিত হয়েছে। জন্ম : কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে মে (১১ই জ্যৈষ্ঠRead more
আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম
ভুমিকা : আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলাম দেশে-বিদেশে বিদ্রোহী কবি, বুলবুল কবি বলে পরিচিত। তাঁর কাব্যে পরাধীনতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং মানব মর্যাদা ও সৌন্দর্যচেতনা সমন্বিত হয়েছে।
জন্ম : কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে মে (১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসােল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামের কাজী পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন।
কেন তিনি আমার প্রিয় : নজরুল ইসলামের ‘অগ্নিবীণা আমাকে মুগ্ধ ও আকর্ষণ করে। “বল বীর চির উন্নত মম শির’ একথা বলেই তাঁর ‘বিদ্রোহী’ নামক প্রসিদ্ধ কবিতা আরম্ভ। এ কথা কয়টি উচ্চারণ করার সাথে সাথে পাঠক ও শ্রোতা মাত্র যেন অন্য জগতে নীত হয়। আবার দুনিয়ায় অবিচার ও জুলুমবাজির প্রবাহ চলছে। মানুষের পরাধীনতা ও গােলামীর জিঞ্জির আজও ছিন্ন হয়নি। সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও ধর্মক্ষেত্রের অবিচার-অনাচার আজ আকাশপর্শী হয়ে উঠেছে। মূর্তিমান অন্যায় ও অকল্যাণ জগদ্দল পাষাণের মত মানুষের বুকে চেপে আছে। মজলুম মানুষের কান্নার জলে আজ আকাশ-বাতাস আবিল হয়ে ওঠেছে। তার বিরুদ্ধে মানুষ বিদ্রোহ না করে থাকতে পারে না। যতদিন পৃথিবীর বুক হতে পাপ-তাপ দূর না হবে, ততদিন কোন সমাজ-সচেতন মানুষ শান্ত হতে পারে না। তাই কবির সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে আমাকেও বলতে ইচ্ছা হয়
“যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রােল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না,
অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণভূমে রণিবে না-
বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত।
আমি সেই দিন হবো শান্ত।”
নজরুল ইসলামের বিদ্রোহের সুর তার প্রথম দিকের কাব্য রচনার প্রায় সবগুলােতেই অল্প-বিস্তর রয়েছে। তাঁর ‘অগ্নিবীণা, ‘ভাঙ্গার গান’ প্রভৃতি গ্রন্থে এর পরিচয় পাই। আগুনের মত উজ্জ্বল ও প্রােজ্জ্বল এসব বইয়ের কবিতাগুলােতে ভাবের সাথে। ভাষার সংগতি ও মিল অনবদ্য। মানুষের কবি নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষার কথাকে কাব্য ও গানে রূপ দান করেছেন। তাঁর রচিত দেশাত্মবােধক গান আজ ভারত উপমহাদেশের মানুষের মুখে মুখে, সভায় সভায় , আসরে আসরে গীত হয়।
ইসলামী ভাবধারা : নজরুল ইসলামের আর একটি বড় দান হল এই যে, তিনি ইসলামী ভাবধারাকে তাঁর কাব্য প্রথম সুন্দরভাবে রূপ দান করেছেন। তাঁর ‘জিঞ্জির’-এর বিভিন্ন কবিতায় এর অনবদ্য পরিচয় মিলে। তাঁর রচিত গজলেও ইসলামী ভাবধারার সুষ্ঠু প্রয়ােগ দেখতে পাই। এসব কারণেই নজরুল ইসলাম বাংলা ভাষার পাঠকদের মন জয় করেছেন। আর এজন্যই তাঁর কবিতা আমার খুব ভাল লাগে।
মৃত্যু : ইংরেজি ১৯৪৫ সালের দিকে কবি কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। ১৯৭২ সালে কবিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে আনা হয় এবং নাগিরিকত্ব দেয়া হয়। ২৯শে আগস্ট ১৯৭৬ সালে (১২ই ভাদ্র, ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) তিনি ঢাকায় শেষ নিস্বাশ ত্যাগ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তাকে সমাহিত করা হয়।
উপসংহার : কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় শক্তি সাহস এবং চরিত্রের বাস্তব প্রতিমর্তি। আমাদের জাতীয় সমৃদ্ধিতে তার বহু অবদান রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তাঁর নামে ঢাকায় নজরুল ইনস্টিটিউট স্থাপন হয়েছে। আমাদের উচিত তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা।
See lessলিরিক্স – ভেবেছি ভুলে যাব পারিনা যে ভুলিতে | bhebechhi bhule jabo lyrics in bengali
Hridoy
গায়ক-আশা ভুষলে ভেবেছি ভুলে যাব পারিনা যে ভুলিতে যে বাঁধনে বেঁধেছ পারিনা তো খুলিতে। ভেবেছি ভুলে যাব পারিনা যে ভুলিতে যে বাঁধনে বেঁধেছ পারিনা তো খুলিতে।। ওগো আমি জানি তুমি যে গোপনে ছুঁয়ে যাও আমাকে শয়নে স্বপনে ওগো আমি জানি তুমি যে গোপনে ছুঁয়ে যাও আমাকে শয়নে স্বপনে... তোমারই ছবি আঁকি বেদনারই তুলিতেRead more
গায়ক-আশা ভুষলে
ভেবেছি ভুলে যাব
পারিনা যে ভুলিতে
যে বাঁধনে বেঁধেছ
পারিনা তো খুলিতে।
ভেবেছি ভুলে যাব
পারিনা যে ভুলিতে
যে বাঁধনে বেঁধেছ
পারিনা তো খুলিতে।।
ওগো আমি জানি
তুমি যে গোপনে
ছুঁয়ে যাও আমাকে
শয়নে স্বপনে
ওগো আমি জানি
তুমি যে গোপনে
ছুঁয়ে যাও আমাকে
শয়নে স্বপনে…
তোমারই ছবি আঁকি
বেদনারই তুলিতে
যে বাঁধনে বেঁধেছ
পারিনা তো খুলিতে…
আমারই হৃদয়ে
আছ যে জড়িয়ে
তোমারই স্মৃতি সবই
আছে যে ছড়িয়ে
আমারই হৃদয়ে
আছ যে জড়িয়ে
তোমারই স্মৃতি সবই
আছে যে ছড়িয়ে
সকলই চিহ্ন তোমার
পড়ে আছে ধুলিতে
যে বাঁধনে বেঁধেছ
পারিনা তো খুলিতে।।
পেয়েছি তোমাকে
আরও কাছে পাবো
বুঝিতে পারিনি
পেয়ে যে হারাবো
পেয়েছি তোমাকে
আরও কাছে পাবো
বুঝিতে পারিনি
পেয়ে যে হারাবো…
বিরহ ঢেলে দিলে
প্রেমেরই এই ঝুলিতে
যে বাঁধনে বেঁধেছ
পারিনা তো খুলিতে।
ভেবেছি ভুলে যাব
পারিনা যে ভুলিতে
যে বাঁধনে বেঁধেছ
পারিনা তো খুলিতে।
English
Bhebhechi bhule jabo
pari na je bhulite
je bhadhon bedhecho
pari na to khulite
bhebhechi bhule jabo
pari na je bhulite
je bhadhon bedhecho
pari na to khulite
ogo aami jani
tumi je gupone
chuye jao aamake
Shoyone shopone
ogo aami jani
tumi je gupone
chuye jao aamake
Shoyone shopone
Tumar e chobi aaki
Bedonar e tulite
je bhadhon bedhecho
pari na to khulite
Amar e hridoy
Aacho je judiye
Tumar e sriti shob
Aache je choriye
Amar e hridoy
Aacho je choriye
Tumar e sriti shob
Aache je choriye
Shokol e chinno tumar
pode aache dhulite
je bhadhon bedhecho
pari na to khulite
peyechi tumake
Aaro kache pabo
Bujite parini
peye je harabo
peyechi tumake
Aaro kache pabo
Bujite parini
peye je harabo
Biroho dele dile
Premer e jhulite
je bhadhon bedhecho
pari na to khulite
bhebhechi bhule jabo
pari na je bhulite
je bhadhon bedhecho
pari na to khulite
English Translation:
I thought I would forget
But I could not.
The bonding that you made
I couldn’t break.
Oh dear! I know
You touch me
Secretly
In my dream.
লিরিক্স – উড়ে যায় উড়ে যায় (love lust confusion) Ure jaye bengali song lyrics love lust confusion
Hridoy
উড়ে যায়, উড়ে যায় (love lust confusion উড়ে যায়, উড়ে যায় কাছে থেকেও কেন দূরে যায়। ফিরে যায়, ঘুরে ফিরে যায় পাস্ট কখন, কখন ধীরে যায়। মন তো আর মনের কথা কিভাবে বুঝে যখন সকালে চোখ খুলি, মন তাকে খুঁজে। উড়ে যায়, উড়ে যায় কাছে থেকেও কেন দূরে যায়। ফিরে যায়, ঘুরে ফিরে যায় পাস্ট কখন, কখন ধীরে যায়।Read more
উড়ে যায়, উড়ে যায় (love lust confusion
উড়ে যায়, উড়ে যায়
কাছে থেকেও কেন দূরে যায়।
ফিরে যায়, ঘুরে ফিরে যায়
পাস্ট কখন, কখন ধীরে যায়।
মন তো আর মনের কথা কিভাবে বুঝে
যখন সকালে চোখ খুলি, মন তাকে খুঁজে।
উড়ে যায়, উড়ে যায়
কাছে থেকেও কেন দূরে যায়।
ফিরে যায়, ঘুরে ফিরে যায়
পাস্ট কখন, কখন ধীরে যায়।
ভরদুপুরে চুপটি করে
ঠুটের ফাঁকে পেন্সিল ধরে
বড় বড় চোখ করে
যখন তাকায়।
রেস্টুরেন্টে শহরের প্রান্তে
কোথাও যদি পাই একান্তে,
তার ব্যাপারে জানতে জানতে
দিন চলে যায়।
রেস্টুরেন্টে শহরের প্রান্তে
কোথাও যদি পাই একান্তে,
তার ব্যাপারে জানতে জানতে
দিন চলে যায়।
উড়ে যায় উড়ে যায়
শুধু উড়ে যায়
যত কাছে চাই আরো দূরে যায়
ফিরে যায় ঘুরে ফিরে যায়
পাস্ট কখন, কখন ধীরে যায়।
কোন একদিন, হয়তো কোন একদিন
পারবে কি আসতে ভালবাসতে
কোন একদিন, হয়তো কোন একদিন
পারবে না দূরে থাকতে, দূরে রাখতে
আরো একটা দিন আরো একটা রাত
পাশাপাশি যদি রয়ে যায়।
কিছু কথা আরো কিছু গান
যদি একসাথে হয়ে যায়
কারো চোখে চোখ রেখে
সময় কেন বয়ে যায়।
থেমে যায় রাত থেমে যায়
একটা স্টোরি হয়ে যায়
উড়ে যায় উড়ে যায়
কাছে আসে দূরে যায়
একটা স্টোরি হয়ে যায়
ফিরে যায়, ঘুরে ফিরে যায়
একটা স্টোরি হয়ে যায়
পড়ে যায় পড়ে যায়
একটা স্টোরি হয়ে যায়
Ude jay ude jay
kache thekeo keno dure jay
Fire jay, Ghure fire jay
Past kokhon, Kokhon dhire jay
See lessপ্রবন্ধ – দূর্গা পূজা | Article on durga puja in bengali language
Hridoy
দূর্গা পূজা বা দুর্গোৎসব ভূমিকাঃ দুর্গোৎসব বা দুর্গাপূজা জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতায় বাংলার অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। দুর্গোৎসব নিয়ে আসে বাংলার জীবনে এক নতুন মাত্রা, বাংলার মানুষ মেতে উঠে খুশিতে আনন্দে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের খুব কম উৎসবের সঙ্গেই তার তুলনা চলে। যদিও এটি মূলত: ধর্মীয় অনুষ্ঠান তবুও সকল শ্রেRead more
দূর্গা পূজা বা দুর্গোৎসব
ভূমিকাঃ দুর্গোৎসব বা দুর্গাপূজা জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতায় বাংলার অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। দুর্গোৎসব নিয়ে আসে বাংলার জীবনে এক নতুন মাত্রা, বাংলার মানুষ মেতে উঠে খুশিতে আনন্দে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের খুব কম উৎসবের সঙ্গেই তার তুলনা চলে। যদিও এটি মূলত: ধর্মীয় অনুষ্ঠান তবুও সকল শ্রেণীর জনসাধারণের আন্তরিক মিলনের ফলে এক উদারতর সামাজিক ব্যপ্তি লাভ করেছে। সর্বমানবের মিলনই যদি জাতীয় উৎসবের বৈশিষ্ট্য হয়, তবে দুর্গোৎসবকে নিঃসন্দেহে বাংলা ও বাঙালী জাতির জাতীয় উৎসবরূপে স্বীকার করতে হবে।
সময় ও প্রস্তুতি : বৎসরের সুন্দরতম ঋতুতে বাংলার নিসর্গ-প্রকৃতি যখন সুস্নিগ্ধ লাবণ্যে অপরূপ হয়ে ওঠে, তখনই দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। শারদ এই শুভলগ্নে প্রকৃতিই প্রকৃতি হয়ে উঠে নির্মেঘ আকাশ হয়ে উঠে সুনীল এরইমধ্যে প্রকৃতি তাঁর স্বর্ণোজ্জ্বল রৌদ্রের প্রদীপালােকে জগন্মাতার বন্দনার আয়ােজন করে। শরৎ ঋতুর আগমনে মৃৎ-শিল্পীর দিবারাত্রির পরিশ্রমে দেবী দুর্গা মৃন্ময়ীরূপে দৃষ্টিগােচর হয়ে ওঠেন, বিপণিতে নয়নলােভন পণ্য আনন্দোচ্ছল ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। প্রবাসী কর্মীর দিন কাটে প্রিয়জনের সঙ্গে মিলনের প্রতীক্ষায়। অবশেষে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠীতিথির পুণ্যলগ্নে কল্যাণী জননী-রূপে দেবী দুর্গা তাঁর মর্তের সন্তানদের সম্মুখে আবির্ভূত হন। গ্রাম-বাঙলার শারদ আকাশে বাজতে থাকে আগমনীর সুর।
দুর্গাপূজার ইতিহাস : ইতিহাস পুরাণে বিধৃত। গিরিরাজ হিমালয় ও তদীয় পত্রী মেনকার কন্যা এই দুর্গা, দেবাদিদেব মহাদেব তাঁর স্বামী। সত্যযুগে সুরথ নামক জনৈক নরপতি শহস্তে পরাজিত হয়ে হতাশচিত্তে মেধস্ মুনির আশ্রমে যান। এই মুনির উপদেশেই তিনি সর্বপ্রথম দুর্গাপূজা করেন এবং দেবীর কৃপায় শত্রুকবলিত রাজ্য পুনরুদ্ধার করেন। রাজা সুরথ বসন্তঋতুতে দুর্গাপূজা করেছিলেন বলে এই পূজা বাসন্তী পূজা’ নামে অভিহিত হয় । বাঙালী দেবী দুর্গার আরাধনায় রামচন্দ্রের শারদীয় অনুষ্ঠানকে গ্রহণ করেছে। তাহেরপুরের রাজা কংসনারায়ণ প্রায় সাড়ে তিনশত বৎসর পূর্বে সর্বপ্রথম বাঙলাদেশে জগজ্জননীর পূজায় ব্রতী হন, এরূপ মত প্রচলিত আছে।
দুর্গা দশভুজা : তার দশটি হাতে শাণিত প্রহরণ। সিংহপৃষ্ঠে আরােহণ করে তিনি ভীষণদর্শন মহিষাসুর নিধনে উদ্যত। শক্তিরূপিণী জননী দুর্গার দক্ষিণে শােভা পান ঐশ্বর্যের দেবী কমলাসনা লক্ষ্মী, বামভাগে অবস্থান করেন বাণী বিদ্যাদায়িনী সর্বশুক্লা সরস্বতী। দুই পুত্র দেবসেনাপতি কার্তিকেয় এবং সিদ্ধিদাতা গণেশও একই সঙ্গে পূজিত হন । গণেশের পার্শ্বে প্রকৃতি-জননীর সৃষ্টির প্রতীক নবপত্রিকা অবস্থান করেন । অসুররূপী অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে বিশ্ববাসীকে শাস্তি ও কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্যই আদ্যাশক্তি মহামায়া দশপ্রহরণ ধারিণী দুর্গারূপে আত্মপ্রকাশ।
মূল উৎসব : আলােকোজ্জ্বল আশ্বিনের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে বােধন করে দুর্গাপুজার অনুষ্ঠান শুরু হয়। পুণ্য ষষ্ঠী তিথিতেই দেবীর আবাহন ও অধিবাসের কার্যটি সম্পন্ন করা হয়। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী–পরবর্তী এই তিনটি দিন ধরে মহাসমারােহে অগণিত ভক্তের সম্মিলনে পূজা চলতে থাকে। অষ্টম ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে যে পূজা অনুষ্ঠিত হয়, তার নাম ‘সন্ধিপূজা’ । চতুর্থ দিন দশমী তিথিতে পূজা সমাপন করে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয় । বিসর্জনের পরবর্তী কৃত্যই হল প্রতিমা। নিরঞ্জন—অর্থাৎ বাদ্যভাণ্ড ও শোভাযাত্রা সহকারে দেবী প্রতিমাকে নদী-গর্ভে অথবা অন্য কোন জলাশয়ে নিমজ্জিত করা হয়। ভক্ত-পূজকদের দেহে নামে ক্লান্তির ভার, মন আচ্ছন্ন হয়ে থাকে প্রিয়জন বিচ্ছেদের বিষাদে। প্রতিমা নিরঞ্জনের পরে প্রতিটি বাঙালী আত্মীয় প্রিয়জনের সঙ্গে স্নেহালিঙ্গনে আবদ্ধ হয়ে পরস্পরকে ভক্তি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছাজ্ঞাপন করে, এই অনুষ্ঠানটির নাম ‘বিজয়া।
বাংলার জীবনে দুর্গ উৎসবের মাহাত্ম্য : শুধু যে ধর্মীয় গুরুত্বেই জগন্মাতা দুর্গার আরাধনা বাঙালী হিন্দুর জীবনে প্রধানতম স্থান গ্রহণ করেছে তাই নয়, মানবিক সম্পর্কের সহজ আন্তরিকতার স্পশে এ উৎসবটি অনন্য। হিমালয়-দুহিতা উমা পুত্র-কন্যা সঙ্গে নিয়ে মাত্র তিনটি দিনের জন্য পিতৃগৃহে ফিরে আসেন, চতুর্থ দিনেই আবার মাতা মেনকাকে অশ্রু সাগরে ভাসিয়ে স্বামী মহেশ্বরের আলয়ে প্রত্যাবর্তন করেন । মর্ত্য-পৃথিবীতে দেবী দুর্গার আবির্ভাবের এই লৌকিক কাহিনীটি বাঙালীর পারিবারিক জীবনে একটি বিষন্ন-মধুর অভিজ্ঞতার সমান্তরালে চলে আসছে। বিবাহিতা কন্যার পিত্রালয়ে আগমন এবং বিদায়ে বাঙালী জননী বা মেনকার আনন্দোৎকণ্ঠা ও অশ্রুঘন বেদনার মর্মস্পর্শিতা অনুভব করেন। কাজেই, বাঙালী জননীর নিকট তখন দেবী দুর্গা আর স্বীয় কন্যা একই স্নেহবাৎসল্যের স্পর্শে দ্রবীভূত হয়ে একাত্মতা লাভ করেন। মাতৃসাধন বাঙালী সঙ্গীতের সুরে বিবাহিত কন্যার সঙ্গে মিলনপ্রত্যাশী বাঙালী মাতার অন্তরবেদনাকেই মুক্তি দিয়েছে : “যাও যাও গিরি, আনিতে গৌরী, উমা আমার কত কেঁদেছে।
উপসংহার: শারদোৎসব প্রকৃতপক্ষে বাংলার পারিবারিক জীবনে মিলনােৎসবের মাধুর্য নিয়েই আবির্ভূত হয়। সুদীর্ঘে প্রবাসজীবনযাপন করে প্রিয়জন ফিরে আসে জননীর স্নেহাঞ্চলতলে, আনন্দ-হাসিতে মুখর হয় বাঙালীর গৃহ-প্রাঙ্গণ। ধরাতলে রচিত হয় গিরীশ মেনকার সুখতৃপ্ত সংসারের দ্বিতীয় রূপ। তাই বাঙালীই নিঃসঙ্কোচ সারল্যে বলতে পেরেছে-‘দেবতারে মােরা আত্মীয় জানি।
See lessলিরিক্স -মনে করি আসাম যাবো | Mone kori assam jabo lyrics in bengali
Hridoy
গান- মনে করি আসাম যাবো গায়ক- ইমন চক্রবর্তী আসামের গোয়ালপাড়া অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় লোকগীতি। এই গানের মাধ্যমে আসামের সাঁওতালি মহিলাদের সরল জীবন কাহিনী তৎসঙ্গে আসামের চা বাগানের শ্রমিকদের শোষণের কথা তুলে ধরা হয়েছে। ইংরেজদের শ্রমিকদের প্রতি শোষণ ও অত্যাচারের কথা এই গানের মধ্যে ফুটে উঠেছে। মনে করি আসামRead more
গান- মনে করি আসাম যাবো
গায়ক- ইমন চক্রবর্তী
আসামের গোয়ালপাড়া অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় লোকগীতি। এই গানের মাধ্যমে আসামের সাঁওতালি মহিলাদের সরল জীবন কাহিনী তৎসঙ্গে আসামের চা বাগানের শ্রমিকদের শোষণের কথা তুলে ধরা হয়েছে। ইংরেজদের শ্রমিকদের প্রতি শোষণ ও অত্যাচারের কথা এই গানের মধ্যে ফুটে উঠেছে।
মনে করি আসাম যাবো
আসাম গেলে তোমায় পাবো
বাবু বলে কাম কাম সাহেব বলে ধরে আন
আর ওই সর্দার বলে লিবো পিঠের চাম
হে জদুরাম, ফাঁকি দিয়া চলাইলি আসাম।
(Mone kori Assam jabo,
Assam gele tumay pabo.
Babu bole kam kam, shaheb bole dhore aane
Aar oi shordar bole libo pither cham
He jaduram, faki diya cholaili Assam)
আল কিনারে নাহর গাছে বগা বগা ফুল
ফুল কে দেখিয়া ছুড়ি ধ্যাচাকে চামড়াইল,
গাছের মধ্যে তুলসী বাটার মধ্যে পান
সাদা সাহেব ফাঁকি দিয়া চলাইলি আসাম,
গাছের মধ্যে তুলসী বাটার মধ্যে পান
সাদা সাহেব ফাঁকি দিয়া চলাইলি আসাম।
(Aal kinare nahor gache boga boga ful
Ful ke dekia chudi dhachake chamdailo
Gacher mode tulshi, batar mode paan
Shada shaheb falki diya chalaili Assam
Gacher mode tulshi, batar mode paan
Shada shaheb falki diya chalaili Assam)
মনে করি আসাম যাবো
আসাম গেলে তোমায় পাবো,
মনে করি আসাম যাব
জোড়া পাঙ্খা টঙাইবো,
বাবু বলে কাম কাম সাহেব বলে ধরি আন
সর্দার বলে লিবো পিঠের চাম,
হে জদুরাম, ফাঁকি দিয়া চলাইলি আসাম।
(Mone kori Assam jabo,
Assam gele tumay pabo
Mone kori Assam jabo,
Jora pankha tangaibo,
Babu bole kam kam, shaheb bole dhore aane
Aar oi shordar bole libo pither cham
He jaduram, faki diya cholaili Assam)
আল কিনারে নাহর গাছে বগা বগা ফুল,
ফুল কে দেখিয়া ছুড়ি ধ্যাচাকে চামড়াইল।
(All kinare nahor gache boga boga ful
Ful ke dekia chudi dhachake chamdailo)
আর চিঠি তে কি ভুলে মন বিনা দরিশনে
বিথিরে কি ফুটে ফুল বিনা বরিখনে,
চিঠি তে কি ভুলে মন বিনা দরিশনে
বিথিরে কি ফুটে ফুল বিনা বরিখনে,
(Aar chitite ki bhule mon bina dorishone
Bithire ki fute ful bina borikhone
Aar chitite ki bhule mon bina dorishone
Bithire ki fute ful bina borikhone)
মনে করি আসাম যাবো
আসামে তে নোকরি লিবো,
মনে করি আসাম যাবো
আসামে তে নোকরি লিবো,
বাবু বলে কাম কাম সাহেব বলে ধরি আন
সরদার বলে লিবো পিঠের চাম,
হে জদুরাম, ফাঁকি দিয়া চলাইলি আসাম।
(Mone kori Assam jabo,
Assame te nokri libo
Mone kori Assam jabo,
Assame te nokri libo
Babu bole kam kam, shaheb bole dhore aane
Aar oi shordar bole libo pither cham
He jaduram, faki diya cholaili Assam)
আল কিনারে নাহর গাছে বগা বগা ফুল
ফুল কে দেখিয়া ছুড়ি ধ্যাচাকে চামড়াইল।
(Aal kinare nahor gache boga boga ful
Ful ke dekia chudi dhachake chamdailo)
বানাই দিলি কামিন কুলি
টাংগাইলে দিলি পিঠে ঝুলি
ঝুলি টাংগাইল ভিখারি বানাইলি,
নিঠুরোসাম জনমে জনমে কাদাইলি
বানাই দিলি কামিন কুলি
টাংগাইলে দিলি পিঠে ঝুলি
ঝুলি টাংগাইল ভিখারি বানাইলি
নিঠুরোসাম জনমে জনমে কাঁদাইলি।
(Banai dili kamin kuli
Tangaile dili Pithe puli
Jhuli tangailo bhikhari banaili
Nithurosam jonome jonome kadaili
Banai dili kamin kuli
Tangaile dili Pithe puli
Jhuli tangailo bhikhari banaili
Nithurosam jonome jonome kadaili)
আম পাতার সিরে সিরে কাজলেরই রেখা
কোন পথে গেলে বন্ধু পাবো তোমার দেখা,
মনে করি আসাম যাবো
আসামে তে নোকরি লিবো,
মনে করি আসাম যাবো
জোড়া পাঙ্খা টঙাইবো,
বাবু বলে কাম কাম সাহেব বলে ধরি আন
সরদার বলে লিবো পিঠের চাম
এ জদুরাম ফাকি দিয়া চলাইলি আসাম।
(Aam patar shire shire kajoler i rekha
Kun pothe gele bandhu pabo tumar dekha
Mone kori Assam jabo,
Assame te nokri libo
Mone kori Assam jabo,
Jora pankha tangaibo,
Babu bole kam kam, shaheb bole dhore aane
Aar oi shordar bole libo pither cham
He jaduram, faki diya cholaili Assam)
আল কিনারে নাহর গাছে বগা বগা ফুল
ফুল কে দেখিয়া ছুড়ি ধ্যাচাকে চামড়াইল,
গাছের মধ্যে তুলসী বাটার মধ্যে পান
সাদা সাহেব ফাঁকি দিয়া চলাইলি আসাম,
মনে করি আসাম যাবো
জোড়া পাঙ্খা টঙাইবো,
বাবু বলে কাম কাম সাহেব বলে ধরি আন
সর্দার বলে লিবো পিঠের চাম
হে জদুরাম ফাকি দিয়া চলাইলি আসাম ..
(Aal kinare nahor gache boga boga ful
Ful ke dekia chudi dhachake chamdailo
Gacher mode tulshi, batar mode paan
Shada shaheb falki diya chalaili Assam
Mone kori Assam jabo,
Jora pankha tangaibo,
Babu bole kam kam, shaheb bole dhore aane
Aar oi shordar bole libo pither cham
He jaduram, faki diya cholaili Assam)
My little effort to translate the first stanza of the song for the non-Bengali speaker to understand essence of this song. This is a song About the tea worker of Assam and their plight they had to face in the hand of Tea garden owner here it’s refer to the British East India company. This song also represent the simple and daily life of Santhali women.
I thought I would go to Assam
See lessI will find you over there
But my Boss says do your work, The owner didn’t spare me
And the contractor threat me to beat
O Jaduram, lets escape to Assam
লিরিক্স -মেঘ পিয়নের ব্যাগের ভিতর | Megh pioner bager vitor lyrics in bengali
Hridoy
গান-মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর গায়ক-শ্রীকান্ত আচার্য সিনেমা-তিতলি মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা , মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা । মন খারাপের খবর আসে বনপাহাড়ের দেশে , চৌকোণও সব বাক্সে যেথায় যেমন থাক সে মন খারাপের খবর পরে দারুণ ভালোবেসে । মেঘের ব্যাগের ভিতর ম্যাপ রয়েছে মেঘ পিRead more
গান-মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর
গায়ক-শ্রীকান্ত আচার্য
সিনেমা-তিতলি
মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা ,
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা ।
মন খারাপের খবর আসে বনপাহাড়ের দেশে ,
চৌকোণও সব বাক্সে
যেথায় যেমন থাক সে
মন খারাপের খবর পরে দারুণ ভালোবেসে ।
মেঘের ব্যাগের ভিতর ম্যাপ রয়েছে মেঘ পিওনের পারি
পাগদন্দি পথ বেয়ে তার বাগান ঘেরা বাড়ি ,
বাগান শেষে সদর দোয়ার বারান্দাতে আরাম চেয়ার
গালচে পাতা বিছানাতে ছোট্ট রোদের ফালি ,
সেথায় এসে মেঘ পিওনের সমস্ত ব্যাগ খালি ।
মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা ,
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা ।
দেয়াল জুরে ছোট্ট রোদের ছায়া বিশাল কায়
নিস্পলকে ব্যকুল চোখে তাকিয়ে আছে ঠায়
কীসের অপেক্ষায় ।
মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা ,
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা ।
আষাঢ় মেঘে বৃষ্টি এল আকাশ জুড়ে গাড়ও ,
রোদের সাথে ছায়ার আড়ি মুখ দেখেনা কারও ।
মেঘ করেছে পড়ার ঘরে বিছানাটা জুড়ে ,
উথাল পাথাল মেঘ করেছে নিজুম হৃদয়পুরে ।
রোদের ছুরি ছায়ার শরীর কাটছে অবিরত
রোদের বুকের ভিতর ক্ষত ।
সেই বুকের থেকে টুপ টুপ টুপ নীল কুয়াশা ঝরে ,
আর মন খারাপের খবর আসে আকাশে মেঘ করে
সারা আকাশ জুড়ে ।
মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা ,
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা ।
মেঘের দেশে রোদের বাড়ি পাহাড় কিনারায় ,
যদি মেঘ পিওনের ডাকে সেই ছায়ার হদিশ থাকে
রোদের ফালি তাকিয়ে থাকে আকুল আকাঙ্খায় ।
কবে মেঘের পিঠে আসবে খবর বাড়ির বারান্দায় ।
ছোট্ট বাগানটায় ।
মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা ,
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা ।
বুঝি হটাত করে মেঘ পিওনের ক্ষণেক অসাবধানে ,
তার চিঠির গোছা উরে গেছে কখন দূরের বনে ।
গড়িয়ে গেছে ঝর্না জলে ছড়িয়ে গেছে গাছের ডালে ,
মন খারাপের পাতা গুলো গাছের পাতার মতো ,
নীল পাহাড়ে পরছে ঝরে ঝরছে অবিরত।
মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা ,
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা ।
মন খারাপের মেঘে গেল সারাটা বন ঢেকে ,
মেঘের ডাকে গুমরে ওঠা কষ্ট থেকে থেকে ।
ছায়া যেন ছায়ার মতো মেলায় পাহাড় বনে ,
ছায়াটি তার ফেলে গেছে কখন মনের কনে ।
এপাশ ওপাশ রাত্রি ফুরায় মন খারাপের ভোরে
পশলা মেঘে বৃষ্টি পরে বৃষ্টি পরে ঝরে ।
আয়ে বৃষ্টি টাপুর টুপুর আয়ে বৃষ্টি ঝেঁপে ,
মন খারাপের বৃষ্টি তোকে দুঃখ দেবো মেপে ।
মেঘ পিওনের কোথায় বাড়ি কোথায় সে কোন দূরে ,
আষাঢ় হলেই কোথা থেকে আসে আকাশ জুরে ।
মন খারাপের দিস্তেগুলি কখন বিলি করে ,
রাত জাগা কোন ভোরে মেঘের দ্বিপ্রহরে ।
বাগদন্দি পথের ধারে বাগান ঘেরা ঘরে ,
এখন রোদ উঠেছে মেঘ পিওনের যাবার সময় প্রায় ,
যেসব চিঠি হয়নি বিলি পরেছে ঝরনায় ।
গড়িয়ে গেছে নদীর জলে ছড়িয়ে আছে গাছের ডালে ,
টুপ টুপ টুপ পরবে ঝরে পাহাড়তলির পথে ।
ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাবে শুকনো পাতার সাথে ।
মন খারাপের সজলটুকু শুকিয়ে গিয়ে শেষে ,
মিলিয়ে যাবে তিরতিরে এক মন কেমনের রেশে ।
মেঘ পিওনের ব্যাগের এবার মন কেমনের দিস্তা ,
সেই মন কেমনের মনের টানে চলছে বয়ে তিস্তা ।
চলছে বয়ে তিস্তা ।
Bangla phonetic
Megh pioner bager bhetor mon kharaper dishta
Mon kharap hole kuasha hoy byakul hole teesta
Mon kharper khobor ashe bon paharer deshe
Choukono shob bakshe jethaye je mon thak she
Mon kharaper khobor pore darun bhalobeshe
Megher bager bhetor map royeche megh pioner paari
Pakdondi poth beye tar bagan ghera baari
Bagan sheshe sodor duar baranda te aram chair
Galche pata bichana te chhotto roder phali
Shethaye eshe megh pioner shomosto bag khali…
Megh pioner bager bhetor mon kharaper dishta
Mon kharap hole kuasha hoy byakul hole teesta
Dewal jure chotto roder chaya bishalkay
Nishpoloke byakul chokhe takiye achhe thay
Kisher opekhay?
Roder chhoori chhayar shorir katchhe obiroto
Roder buker bhetor khoto
Sei buker theke toop toop toop neel kuasha jhore
Aar mon kharper khobor ashe akashe megh kore
Sara akash jure…
Megh pioner bager bhetor mon kharaper dishta
Mon kharap hole kuasha hoy byakul hole teesta
Megher deshe roder bari pahar kinaraye
Jodi megh pioner daake sei chhayar hodish thake
Roder phali takiye thake akul akankhaye
Kobe megher pithe ashbe khobor barir barandaye
Chotto bagaan taye…
Megh pioner bager bhetor mon kharaper dishta
See lessMon kharap hole kuasha hoi byakul hole teesta…
লিরিক্স – ঐ উজ্জ্বল দিন ডাকে স্বপ্ন রঙীন | Oi ujjala din full song lyrics in bengali
Hridoy
ঐ উজ্জ্বল দিন ডাকে স্বপ্ন রঙীন (সুবীর সেন ) ঐ উজ্জ্বল দিন, ডাকে স্বপ্ন রঙীন ছুটে আয় রে লগন বয়ে যায় রে মিলন বীন ওই যে তুলেছে তান - শোন ওই আহ্বান . তারি সুরে সুরে বাজে গুরু গুরু হোক গানে গানে পথ চলা শুরু আজ অন্তর অন্তরে প্রান্ত প্রান্তরে কন্ঠে ছড়াবো এই গান ছুটে আয় রে ... আয় আয় রে ছুটে, আয় বাঁধন টুটেRead more
ঐ উজ্জ্বল দিন ডাকে স্বপ্ন রঙীন (সুবীর সেন )
ঐ উজ্জ্বল দিন, ডাকে স্বপ্ন রঙীন
ছুটে আয় রে লগন বয়ে যায় রে মিলন বীন
ওই যে তুলেছে তান – শোন ওই আহ্বান .
তারি সুরে সুরে বাজে গুরু গুরু
হোক গানে গানে পথ চলা শুরু
আজ অন্তর অন্তরে প্রান্ত প্রান্তরে
কন্ঠে ছড়াবো এই গান
ছুটে আয় রে …
আয় আয় রে ছুটে, আয় বাঁধন টুটে আনি
মুক্ত আলোর বন্যা
আয় সুপ্তি ভাঙাই, আয় শান্তি জাগাই
এই শ্যামলী ধরনী হবে ধন্যা
ঐ আকাশে বাতাসে দোলা লাগলো
আজ জীবনে জোয়ার বুঝি জাগলো
নব উচ্ছ্বল উচ্ছাসে, উদ্দম উল্লাসে
ছন্দে জাগাব এই গান
ছুটে আয় রে .
Bangla phonetic
Oi ujjwalo din
Dake swapno rangeen
chute aay re lagan boye jay re milon bin
oi to tuleche taan
shono oi aahoban
tari shure shure baje guru guru
hok gane gane poth chola shuru
aaj ontar ontare praan prantore
konthe charbo ei gaan
chute aaye re …
aaye aaye re chute, aay badhon tite aani
mukto aalor bonnya
aay supti vangai, aay shanti jagaai
ei shyamali dharani habe dhonna
oi aakashe batashe dola laaglo
See lessaaj jibone juwar bujhi jaaglo
naba uchchhala uchhashe, uddama ullashe
chonde jagabo ei gaan
chuTe aaye re…