1. একটি বট গাছের আত্মকথা আমি বহু পুরানো এক বটগাছ। হাওর জনপদ নাহাটিয়া উপজেলা সদরের ২ কিলােমিটার উত্তরে ভয়রা গ্রামে আমার বাস । এক সময় আমার চারপাশের গ্রাম গঞ্জে আমার বেশ কিছু সাথী ছিল। কিন্তু স্বার্থপর, লোভী এবং উদ্বেগহীন মানুষেরা আমার সেই জাত ভাইদেরকে ধ্বংস করেছে। বর্তমানে আমি একা নিঃসঙ্গ অবস্থায় গ্রাRead more

    একটি বট গাছের আত্মকথা

    আমি বহু পুরানো এক বটগাছ। হাওর জনপদ নাহাটিয়া উপজেলা সদরের ২ কিলােমিটার উত্তরে ভয়রা গ্রামে আমার বাস । এক সময় আমার চারপাশের গ্রাম গঞ্জে আমার বেশ কিছু সাথী ছিল। কিন্তু স্বার্থপর, লোভী এবং উদ্বেগহীন মানুষেরা আমার সেই জাত ভাইদেরকে ধ্বংস করেছে। বর্তমানে আমি একা নিঃসঙ্গ অবস্থায় গ্রামের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে মৃত্যুর দিন গুনছি। কবে যে আমার জন্ম হয়েছিল তা আমার জানা নেই। তবে আমি মহাকালের বহু ঘটনার নীরব সাক্ষী। আমি প্রত্যক্ষ করেছি অনেক দুর্যুগ, মহামারি আর প্রাকৃতিক বিপর্যয়।

    আমি আমার জীবনে অনেক উত্থান-পতন পেরিয়েছি।গ্রামের অনেক ঘটনার সাক্ষী আমি । জন্ম, মৃত্যু, পূজা পার্বনে সবাই আমাকে স্মরণ করেছে। পুরো গ্রাম আমাকে অনেক শ্রদ্ধা করে এবং আমাকে পরিবারের একজন বয়স্ক সদস্য হিসাবে মনে করে। আমার ছত্র ছায়ায় বসে হয়েছে অনেক মিটিং মিছিল।গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ছোটোখাটো আলোচনা আমার প্রাঙ্গনে হয়েছে উন্নত কাল ধরে।

    আমার পাশে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছােট ছােট ছেলে মেয়েরা নানান রঙ্গের জামা কাপড় পড়ে লেখা পড়ার পাশাপাশি যখন খেলা-ধুলায় মত্ত হয় আমার তখন খুব ভাল লাগে। আমি পরম মমতায় তাদের ছায়া দেই এবং শাখা দোলিয়ে বাতাস করি। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর প্রথম ক্লাশ শুরুর আগে আমি মুগ্ধ বিষ্ময়ে শুনলাম অপূর্ব এক সংগীত “আমার সােনার বাংলা আমি তােমায় ভালবাসি”। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা এই প্রাণ জোড়ানাে সংগীতে আমার নামও উচ্চারিত হয়। এ যে, আমার কাছে অক্ষয় রাজতিলক। দরদ ভরা কণ্ঠে প্রতিদিন এই সংগীত শুনে শুনে আমার হৃদয়ের ক্ষত শুকিয়ে যায়। আমি নতুন করে সজিব হয়ে উঠি। ঈদ এবং পূজার ছুটিতে আমি বড় নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ি। তখন পুরােনু স্মৃতিগুলি আমার মনে একে একে উদয় হতে থাকে।

    আমার সুন্দর পরিবেশটি নষ্ট করে চারপাশে গড়ে ওঠেছে অবৈধ জনবসতি। নিজের অস্থিত্বকে ঠিকিয়ে রাখার জন্য আমি সহস্র শিকড় দিয়ে মাটিকে আঁকড়ে মােকাবিলা করতে পেরেছি বহু প্রলয়ংকারী ঝড় ও নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়। কিন্তু মানুষের দখলদারিত্ব রুখবার ক্ষমতা আমার নেই। আমাকে বাঁচিয়ে রাখার ইচ্ছা তােমাদের যদি থাকে তবে আমার দুঃখ নেই। প্রকৃতির অমােঘ বিধানে মরতে তাে একদিন হবেই! তবে তােমাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আমি। শুধুমাত্র একটি বটবৃক্ষ নই। আমি তােমাদের ইতিহাসের সাক্ষী। আমি বিশাল হাওর অঞ্চলের বৃহত্তম বধ্যভূমি।

    See less
    • 0
  2. গ্রন্থাগার ভূমিকা: গ্রন্থাগার সভ্য মানুষের জীবনযাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বর্তমান কালে অধিকাংশ শিক্ষিত লোকের বাড়িতেই জ্ঞান আনন্দলাভের জন্য গৃহ লাইব্রেরি গড়ে উঠেছে। বর্তমানে যে সকল সরকারি গ্রন্থাগার স্থাপিত হয়েছে তাদের প্রয়োজনীয়তা আমাদের মত শিক্ষাবঞ্চিত দেশের পক্ষে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। সরকRead more

    গ্রন্থাগার

    ভূমিকা: গ্রন্থাগার সভ্য মানুষের জীবনযাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বর্তমান কালে অধিকাংশ শিক্ষিত লোকের বাড়িতেই জ্ঞান আনন্দলাভের জন্য গৃহ লাইব্রেরি গড়ে উঠেছে। বর্তমানে যে সকল সরকারি গ্রন্থাগার স্থাপিত হয়েছে তাদের প্রয়োজনীয়তা আমাদের মত শিক্ষাবঞ্চিত দেশের পক্ষে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি বা সাধারণ গ্রন্থাগার সকল মানুষের জ্ঞানের পিপাসা মেটায় আনন্দ দান করে। দেশের অজ্ঞতার অন্ধকার দূরীকরণে গ্রন্থাগারের ভূমিকা বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

    গ্রন্থাগার জ্ঞানের মিলনক্ষেত্র: গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরী জ্ঞান ধারার মহামিলন ক্ষেত্র। এখানে অতীত,বর্তমান ও ভবিষ্যৎ মিলিত হয়ে আছে নানা দেশের পুস্তকের মাধ্যমে এটি সকল জ্ঞানের মিলন তীর্থ। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সাহিত্যের চিন্তাধারা আমাদেরশান্তি দেয়, আনন্দ দেয়, আর দেয় উদারতার শিক্ষা।

    গ্রন্থাগারের উদ্ভব : জ্ঞান-পিপাসু মানুষের কাছে গ্রন্থাগার আধুনিক সভ্যতার অবদান। প্রাচীন কালের মানুষও আধুনিক মানুষের মতাে জ্ঞান লাভ ও বিদ্যা শিক্ষার প্রয়ােজনে গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠায় মনােযােগী হয়েছিল। তখনকার দিনে গ্রন্থ বলতে অবশ্য বর্তমানকালের সহজে বহন করার মতাে কাগজের গ্রন্থ ছিল না। ছিল খােদাই করা শিলায় লিপি। তারপর তালপাতায় ও ভুজপত্রে লিখিত গ্রন্থ বের হয়। মধ্যযুগে তুলট কাগজের আবিষ্কার হওয়ায় এ কাগজে লেখা আরম্ভ হয়।

    প্রাচীন কালের গ্রন্থাগার : চীনদেশে প্রথম কাগজ আবিষ্কৃত হয় এবং সেখানে অনেক বড় গ্রন্থাগার সুপ্রতিষ্ঠিত ছিল। প্রাচীন ভারতে তক্ষশিলা, নালন্দা প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় বড় গ্রন্থাগার ছিল। এসব গ্রন্থাগার শত শত ছাত্র ও বিদেশি পরিব্রাজকদের জ্ঞান-তৃষ্ণা মিটাত।

    পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গ্রন্থাগার : জ্ঞানের চর্চার প্রয়ােজনের সঙ্গে সঙ্গে এবং মুদ্রণযন্ত্রের প্রবর্তনের ফলে পৃথিবীর সকল দেশেই বড় বড় গ্রন্থাগার স্থাপিত হয়েছে। পৃথিবীর বৃহৎ গ্রন্থাগার ছিল চারটি – প্যারিস নগরীর বিবলিওথেক ন্যাশন্যাল, লণ্ডনের বৃটিশ মিউজিয়াম লাইব্রেরি, আমেরিকার ওয়াশিংটন নগরের লাইব্রেরি অব কংগ্রেস এবং সােভিয়েত রাশিয়ার লেলিন লাইব্রেরি। এগুলির দ্বারা ছাত্র-ছাত্রীরা খুবই উপকৃত হতেন।

    গ্রন্থাগারের শ্রেণি : গ্রন্থাগার দুই প্রকার – ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার ও সাধারণ গ্রন্থাগার। ব্যক্তি বিশেষের গ্রন্থাগারে পুস্তকের সংখ্যা সাধারণত কিছু কম। এ সব গ্রন্থাগার গড়ে উঠে পণ্ডিত, শিক্ষক ও গবেষকদের নিজস্ব প্রয়ােজনে। এর দ্বারা বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিরাই উপকৃত হন। অপরদিকে, সাধারণ গ্রন্থাগারের লক্ষ্য থাকে সকল শ্রেণির পাঠকের চাহিদা পূরণ। সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের চেষ্টায় প্রতিষ্টিত হয় সাধারণ গ্রন্থাগার। এ গ্রন্থাগারে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকলের বই পড়ার সুযােগসুবিধা থাকে। শুধু বর্তমান যুগেই নয় প্রাচীন যুগেও প্রচলন ছিল সাধারণ গ্রন্থাগারের ভারতের বৌদ্ধ বিহারগুলির বিশাল গ্রন্থাগার ধ্যান মগ্ন ঋষির নীরবতায় করে চলত সকল মানুষের হিতসাধনের তপস্যা।

    বর্তমানের গ্রন্থাগার : আমাদের দেশে কয়েকটি গ্রন্থাগার আছে – কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগার, এশিয়াটিক সােসাইটির গ্রন্থাগার, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের গ্রন্থাগার। তাছাড়া দেশের প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজে,স্কুলে ও বড় বড় শহরে সাধারণ পাঠের জন্য গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাছাড়া কিছু ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগারও আমাদের দেশে দেখা যায়।

    গ্রন্থাগার সভ্যতা ও প্রগতির পরিচায়ক : সমস্ত জগতের শিক্ষিত সমাজ আজ গ্রন্থাগারের বিরাট প্রয়ােজনীয়তা উপলব্ধি করতে পেরেছে। তাই গ্রন্থাগার আন্দোলনের সাহায্যে তারা চেয়েছেন গ্রন্থাগারের উন্নতি সাধন করতে। কারণ প্রত্যেক দেশেরই সর্বশ্রেণির মানুষের কাছে শিক্ষা ও জ্ঞানের আলাে বিতরণ করতে হলে সরকারের শুধু শিক্ষা নীতি করলেই চলবে না তার সঙ্গে সঙ্গে লাইব্রেরির সংখ্যাও বৃদ্ধি করতে হবে। কারণ জাতীয় জীবনে গ্রন্থাগার-এক মহৎ কর্তব্য পালন করে চলছে, গ্রন্থাগারই পারে অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করে জ্ঞানের আলাে জ্বালিয়ে দিতে।

    উপসংহার : গ্রন্থাগার দেশের গ্রন্থ-সচেতন মানসিকতার পরিচায়ক। গত জাতির সভ্যতার বার্তা বহন করে অগ্রগতির পথে নিয়ে যায়। গ্রন্থাগার নিরক্ষরতা দূরীকরণে যেমন সহায়ক, তেমনি জ্ঞান বৃদ্ধিরও সহায়ক। সুতরাং দেশে যত বেশি লাইব্রেরি বা গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হবে ততই জ্ঞান পিপাসু মানুষ প্রেরণা ও অমৃতের স্বাদ করবে আস্বাদন। আর হবে জাতির উন্নতি।

    See less
    • 0
  3. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কৌতুক নাটক - বৈকুন্ঠের খাতা নাটকের পাত্রগণ বৈকুণ্ঠ অবিনাশ বৈকুণ্ঠের কনিষ্ঠ ভ্রাতা ঈশান বৈকুণ্ঠের ভৃত্য কেদার অবিনাশের সহপাঠী তিনকড়ি কেদারের সহচর বিপিন

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কৌতুক নাটক – বৈকুন্ঠের খাতা

    নাটকের পাত্রগণ

    বৈকুণ্ঠ

    অবিনাশ বৈকুণ্ঠের কনিষ্ঠ ভ্রাতা

    ঈশান বৈকুণ্ঠের ভৃত্য

    কেদার অবিনাশের সহপাঠী

    তিনকড়ি কেদারের সহচর

    বিপিন

    See less
    • 0
  4. Bangla lyrics by Nish তোর ভালোবাসা উড়ে গেছে আমাকে তাই যদি কিছু চাও আমাকে জানিয়ে প্রতিদিন আমি বলিনি তুই আমার জীবন স্বপ্ন পূরণ করে দিব যে কোন রকম যতক্ষণ তুমি আমার সাথে আর কেউ জানিনা যতক্ষণ তুমি নাই আর কিছু পারি না Girl, I Just Want Your Lovin All The Time And Everyday... তোর মনে যত বাধা থাকিস সব ছেডRead more

    Bangla lyrics by Nish

    তোর ভালোবাসা উড়ে গেছে আমাকে
    তাই যদি কিছু চাও আমাকে জানিয়ে
    প্রতিদিন আমি বলিনি তুই আমার জীবন
    স্বপ্ন পূরণ করে দিব যে কোন রকম
    যতক্ষণ তুমি আমার সাথে আর কেউ জানিনা
    যতক্ষণ তুমি নাই আর কিছু পারি না

    Girl, I Just Want Your Lovin
    All The Time And Everyday…
    তোর মনে যত বাধা থাকিস সব ছেড়ে দেয়

    Bulaave Tujhe Yaar Aaj Meri Galiyaan
    Basau Tere Sang Main Alag Duniyaa
    Na Aaye Kabhi Dono Mein Jara Bhi Faasle
    Bas Ek Tu Ho, Ek Main Hu Aur Koi Na

    Hai Mera Sab Kuch Tera Tu Samajh Le
    Tu Chahe Mere Haq Ki Zameen Rakh Le
    Tu Saason Pe Bhi Naam Tera Likh De
    Main Jiyu Jab Jab Tera Dil Dhadke

    Pyaar Di Rawaa Utte Yaar Tu Le Aya…
    Mainu Jeene Da Matlab Aaj Samajh Aya…
    Paraya Mainu Kar Na… Na Tu Sohniya…
    Channa Main Tu Rull Jaana…

    তোর ভালোবাসা উড়ে গেছে আমাকে
    তাই যদি কিছু চাও আমাকে জানিয়ে
    প্রতিদিন আমি বলিনি তুই আমার জীবন
    স্বপ্ন পূরণ করে দিব যে কোন রকম
    যতক্ষণ তুমি আমার সাথে আর কেউ জানিনা
    যতক্ষণ তুমি নাই আর কিছু পারি না

    Girl, I Just Want Your Lovin
    All The Time And Everyday…
    তোর মনে যত বাধা থাকিস সব ছেড়ে দেয়

    Bulaave Tujhe Yaar Aaj Meri Galiyaan
    Basau Tere Sang Main Alag Duniyaa
    Na Aaye Kabhi Dono Mein Jara Bhi Faasle
    Bas Ek Tu Ho, Ek Main Hu Aur Koi Na

    Hai Mera Sab Kuch Tera Tu Samajh Le
    Tu Chahe Mere Haq Ki Zameen Rakh Le
    Tu Saason Pe Bhi Naam Tera Likh De
    Main Jiyu Jab Jab Tera Dil Dhadke

     

    See less
    • 0
  5. ভাষার সংজ্ঞা : মনের ভাব প্রকাশের জন্য বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত অপরের বোধগম্য Sound বা ধ্বনি বা ধ্বনি সমষ্টির নাম Language বা ভাষা। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌র মতে, 'মানুষ যে সব ধ্বনি দিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করে তার নাম ভাষা।'  ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ' মনের ভাব প্রকাশের জন্য বাগযন্ত্রের সRead more

    ভাষার সংজ্ঞা : মনের ভাব প্রকাশের জন্য বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত অপরের বোধগম্য Sound বা ধ্বনি বা ধ্বনি সমষ্টির নাম Language বা ভাষা।
    ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌র মতে, ‘মানুষ যে সব ধ্বনি দিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করে তার নাম ভাষা।’ 
    ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ‘ মনের ভাব প্রকাশের জন্য বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনির দ্বারা নিষ্পন্ন ,কোন বিশেষ জনসমাজে ব্যবহৃত,স্বতন্ত্রভাবে অবহিত তথা বাক্যে প্রযুক্ত শব্দ সমষ্টিকে ভাষা বলে।

     প্রতিটি সমৃদ্ধ ভাষারই দুটি রূপ থাকে। সাহিত্য সৃষ্টির প্রয়োজনে এবং সার্বজনীন প্রয়োজনে বাংলা ভাষাকেও দু’টি রূপে রূপায়িত করা হয়েছে। যথা- (১) সাধু  ও (২) চলিত

    See less
    • 0
  6. Moshader Chumu Biri Khai aat anar cigarette jhutena Raat hole neshatur ghumu Buke daag uthe na Premikar thothe na Ami khai moshader chumu Bhabchi nalish kori; aar kori gen gen Dhulo diye chole gelo pouroshovar van Premikao vhege gelo; aami bethathur sham Monete odhel space; charsho kudir ryam ChakurRead more

    Moshader Chumu

    Biri Khai aat anar
    cigarette jhutena
    Raat hole neshatur ghumu

    Buke daag uthe na
    Premikar thothe na
    Ami khai moshader chumu

    Bhabchi nalish kori; aar kori gen gen
    Dhulo diye chole gelo pouroshovar van

    Premikao vhege gelo; aami bethathur sham
    Monete odhel space; charsho kudir ryam
    Chakuri to vindeshi movie r motoi hay
    Dream e eshe kete pode half time e prai

    Eta ki road naki; chadei hatchi bhai
    Nijeke Neil Armstrong lage majhe majhe tai

    E eshe boleche hobe
    O- o eshe deye nak tipe
    Dedar protisruti
    Pacchina tobu grip e

    Audi chepe haat nede film star duronto
    Ami shei vid bus e “O dada chapun to”

    Bari fire TV dekhi hadite chapiye chal
    Ghonta khanek jude coffe hate ki kyachal

    Bajarer daam chutche gham kede kete dor kori
    Paper e podsi boshe rastro nitir chorchori

    Tobu hay shopno pay
    Din sheshe jei shutam
    Tai tpe dei, gola noy
    EVM r shei botam

    Biri Khai aat anar
    cigarette jhutena
    Raat hole neshatur ghumu

    Buke daag uthe na
    Premikar thothe na
    Ami khai moshader chumu

    See less
    • 0
  7. This answer was edited.

    একটি বট গাছের আত্মকথা (বিঃদ্রঃ - এখানে পরপর দুই রকম রচনা দেয়া হলো। আপনার যেটা ভালো লাগে পড়ে নিতে পারেন ) ভূমিকা: আমাকে চিনতে পারছো? প্রতিদিন রাস্তা পার করার সময়, হয়তাে ব্যস্ততায় বা গাড়ির দাপটে কিংবা অন্যমনস্কভাবে আমার তলায় দাঁড়িয়েছ! কিন্তু কখনও খুঁটিয়ে আমায় লক্ষ করেছ কি? আমি তো অনেক ইতিহাসেRead more

    একটি বট গাছের আত্মকথা

    (বিঃদ্রঃ – এখানে পরপর দুই রকম রচনা দেয়া হলো। আপনার যেটা ভালো লাগে পড়ে নিতে পারেন )

    ভূমিকা: আমাকে চিনতে পারছো? প্রতিদিন রাস্তা পার করার সময়, হয়তাে ব্যস্ততায় বা গাড়ির দাপটে কিংবা অন্যমনস্কভাবে আমার তলায় দাঁড়িয়েছ! কিন্তু কখনও খুঁটিয়ে আমায় লক্ষ করেছ কি? আমি তো অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। কত যুগ পরিবর্তনের নীরব দর্শক আমি!কোনাে দিন জানতে চেয়েছ কি কত শত বিস্তৃত কাহিনি আমার রক্তে ধারণ করে, আমি মুখ বুজে দাঁড়িয়ে রয়েছি। তােমাদের জীবনের মতাে সংঘাতময় উত্থান-পতন হয়তাে আমার জীবনে নেই। তবে আমার সহ্যশক্তি আর অভিজ্ঞতায় আমি হয়েছি শান্ত, স্থির ও প্রাজ্ঞ ।

    আমি এক বটগাছ। আজও ঝাপসা মনে পড়ে সেই কবেকার ছােটোবেলাকার কথা। মায়ের বৃন্ত থেকে বােধহয় একটি টিয়াপাখি আমাকে ফেলে দিয়েছিল রাস্তার ধারে বােসপুকুরের এই প্রান্তে। তার কয়েকদিন পরে চোখ মেলে দেখেছিলাম এই সুন্দর পৃথিবীকে। চাপা রঙের রােদুরের বুকে আকাশের গায়ের টুকরাে টুকরাে মেঘ হাত নেড়ে আমায় বেড়ে উঠতে বলেছিল। মাটির কাছ থেকে সাহস পেয়ে ধীরে ধীরে বিকশিত হয়েছিলাম। তারপর আমার পল্লবিত ছােটো ছােটো শাখারা সূর্যের সামনে দৃপ্তভাবে নিজেকে মেলে ধরতে শিখল।

    ক্রমে আমি বড়াে হলাম। আমার ছায়ায় শ্রান্ত মানুষ খুঁজে পেল কত আশ্রয়। কত পথিক, নাম-না-জানা বুড়াে-বুড়ি আমার কাছে এসে বিশ্রাম নেয়। বেশ ভালাে লাগে। ডালপালা বাড়িয়ে রােদ কিংবা বৃষ্টির হাত থেকে ওদের প্রাণপণে বাঁচাতে চেষ্টা করি। জানাে তাে আমাদের এক জাতিকে নিয়ে তােমাদের রবি ঠাকুর লিখেছিলেন-“নিশিদিশি দাঁড়িয়ে আছ মাথায় লয়ে জট/ছােট ছেলেকে মনে কি পড়ে, ওগাে প্রাচীন বট।

    প্রতিদিনের জীবনযাত্রা : আমার বিশাল ছাতার মতাে নিরাপদ না আশ্রয়ে কাকের দল বাসা বানিয়েছে। কাঠবেড়ালি দুবেলা ছুটোছুটি করে আমার ডালে খুঁজে বের করেছে স্বাচ্ছন্দ্যের কোটর। দূর আকাশ থেকে প্রচণ্ড গরমে পরিশ্রান্ত চিল নেমে এসে আমার ডালে বসে। মাঝেমধ্যেই কোকিল এসে গান শুনিয়ে যায়, আর দেখি কাকের বাসা খুঁজতে গিয়ে আমার পাতার মাঝে নিজেকে কেমন লুকিয়ে রাখে। এ ছাড়া যাওয়া-আসার পথে কত পাখি যে আমার গায়ে বসে একটু জিরিয়ে নেয় তার ইয়ত্তা রা নেই।

    যেই বর্ষা নামে, আমি পাতাগুলাে মেলে ধরে শ্রাবণ অরণ্যের ঘ্রাণ পেতে চেষ্টা করি। যদিও আমার ফল মানুষ খায় না, কিন্তু পূজাপার্বণে আমার পাতা সংগ্রহ করতে আসে। প্রথম প্রথম পাতা ছিড়লে ব্যথা লাগত, রাগও হত খুবই কিন্তু এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছি, মনে মনে ভাবি মানুষের কাজে তাে লাগি। এখন গ্রামের পঞ্চায়েত থেকে আমার চারপাশে একটা বেদি করে দিয়েছে। সেখানে বর্ষায় মানুষ এসে বসে, গরমে গােল হয়ে বসে মৃদু বাতাসের আনন্দ নেয়।

    উপসংহার: আজ আমি বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত। কালবৈশাখী ঝড় দেখলে মনে কেমন আশঙ্কা জাগে। বাজের শব্দে চমকে উঠি। ভয় হয় রাস্তা তৈরির প্রয়ােজনে মানুষেরা আমায় কেটে টুকরাে টুকরাে করে ফেলবে না তাে! হয়তাে এরকম কোনাে কারণেই আর কয়েক বছরের মধ্যেই আমায় চলে যেতে হবে। তবু যে কটা দিন আছি,আলাে-অন্ধকার ও আনন্দ-বেদনার দোলনায় দোলানাে এ ধরিত্রীকে বড়াে সুন্দর বলে মনে হয়েছে। সহস্র মানুষ-পশু-পাখিকে হাওয়ায় ছায়ায় আগলে ও পৃথিবীকে প্রাণের মায়ায় আঁকড়ে, সার্থক আমার এ জীবন

     

    See less
    • 0
  8. “Ami shudu cheyechi tumay” is a romantic song. It is the title song of this movie, sung by Mohammed Irfan. Here is the translation and explanation I have prepared. Hope it will help you understand the meaning of it. টাল-মাটাল, মনটা কিছু তোমায় বলতে চায় My trouble heart wants to tell you something বেসRead more

    “Ami shudu cheyechi tumay” is a romantic song. It is the title song of this movie, sung by Mohammed Irfan. Here is the translation and explanation I have prepared. Hope it will help you understand the meaning of it.

    টাল-মাটাল, মনটা কিছু তোমায় বলতে চায়
    My trouble heart wants to tell you something

    বেসামাল, ভাবনা গুলো তোমায় ছুঁতে চায়
    My wild emotions want to touch you

    আমি শুধু চেয়েছি তোমায়
    I have just wanted/desire for you

    আমি শুধু চেয়েছি তোমায়..
    I have just wanted/desire for you

    না লেখা চিঠিগুলো মন পাহারায়
    My unwritten letter observing my heart

    আমি শুধু চেয়েছি তোমায়
    I have just wanted/desire for you

    আমি শুধু চেয়েছি তোমায়..
    I have just wanted/desire for you

    “My heart is yearning to tell you about my feelings. My heart is troubling, my emotions are waiting for your touch. I have only loved you, desire for you.”

    রাতদিন, চেনা তুমি ছিলে অচেনা
    You were knowingly unknown to me

    অন্তহীন, মনে হত মিষ্টি যন্ত্রনা
    I felt a perpetual sweet pain in my heart

    সেই ব্যাথা উঠল সেরে চোখেরই চাওয়া
    That pain has cured as soon as our eyes met

    আমি শুধু চেয়েছি তোমায়
    I have just wanted/desire for you

    আমি শুধু চেয়েছি তোমায়..
    I have just wanted/desire for you

    “Throughout the days and night you were knowingly unknown to me. That’s I felt a sweet pain in my heart and now I have no pain, when we met.”

    কতদিন, ভেবেছি শুধু দেখব যে তোমায়
    How many days I have waited to see you

    ক্লান্তহীন, তুমি ছিলে আমার কল্পনায়
    You were tirelessly in my dreams

    সেই ছবি উঠল ভেসে চোখেরই পাতায়
    That picture came in front of my eyes

    আমি শুধু চেয়েছি তোমায়
    I have just wanted/desire for you

    আমি শুধু চেয়েছি তোমায়..
    I have just wanted/desire for you

    “I have waited to see you, again and again I thought to see you. You were in my heart, in my dream tirelessly. That picture has came in front of my eye. I have only loved you, desire for you.”

    See less
    • 0
  9. কেউ কথা রাখেনি (সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়) কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি । ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী, তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল, শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরা টুকু শুনিয়ে যাবে । তারপর কত চন্দ্রভুকক অমাবস্যা চলে গেল, কিন্তু সেই বোষ্টুমী আর এলো না । পঁচিশ বছর প্রতীক্ষায় আছি । মামা বাডRead more

    কেউ কথা রাখেনি (সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়)

    কেউ কথা রাখেনি,
    তেত্রিশ বছর কাটলো,
    কেউ কথা রাখেনি ।

    ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী,
    তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল,
    শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরা টুকু শুনিয়ে যাবে ।
    তারপর কত চন্দ্রভুকক অমাবস্যা চলে গেল,
    কিন্তু সেই বোষ্টুমী আর এলো না ।
    পঁচিশ বছর প্রতীক্ষায় আছি ।

    মামা বাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল,
    বড় হও দাদাঠাকুর ।
    তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো ।
    সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর খেলা করে ।

    নাদের আলী, আমি আর কত বড় হবো?!
    আমার মাথা এই ঘরের ছাদ ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে,
    তারপর তুমি আমায় তিন প্রহরের বিল দেখাবে?

    একটা রয়্যাল গুলি কিনতে পারিনি কখনো ।
    লাঠি লজেন্স দেখিয়ে দেখিয়ে চুষেছে লস্কর বাড়ির ছেলেরা ।
    ভিখারীর মতোন চৌধুরীদের গেটে দাঁড়িয়ে দেখেছি,
    ভিতরে রাস উৎসব ।
    অবিরল রঙের ধারার মধ্যে সুবর্ণ কঙ্কন পরা ফর্সা রমণীরা ।
    কত রকম আমোদে হেসেছে ।
    আমার দিকে তারা ফিরেও চায়নি ।
    বাবা আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিলেন,
    দেখিস একদিন আমরাও…

    বাবা এখন অন্ধ, আমাদের দেখা হয়নি কিছুই ।
    সেই রয়্যাল গুলি, সেই লাঠি লজেন্স, সেই রাস উৎসব ।
    আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবেনা ।

    বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল রেখে বরুণা বলেছিল,
    যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালবাসবে,
    সেদিন আমার বুকেও এই রকম আতরের গন্ধ হবে ।
    ভালোবাসার জন্য আমি হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়েছি ।
    দুরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছি লাল কাপড় ।
    বিশ্বসংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮ টা নীল পদ্ম ।
    তবু কথা রাখেনি বরুণা ।
    এখন তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ ।
    এখনো সে যে কোনো নারী ।

    কেউ কথা রাখেনি,
    তেত্রিশ বছর কাটলো কেউ কথা রাখেনা ।

    English Translation:

    No one keeps promises
    Thirty years has passed
    No one keeps promises

    In my childhood someone
    Stops his music and told me
    Will you sing two lines on the day of Shukla Dadoshi .
    How many decades has passed after that,
    But he has not returned again.

    Nader Ali the water-man of my uncle house told me
    When you grew up
    I will take you to the lake
    Where snake and butterflies play at the top of lilies

    Nader Ali, how much I have to grow?
    When my head will touch the sky,
    Than you will take me to the lake?

    See less
    • 0
  10. আমার দেশ ভারতবর্ষ সূচনাঃ আমার দেশ, আমার মাতৃভূমি "ভারতবর্ষ"। ভারতবর্ষ একটি বৈচিত্র্যময় দেশ। নানা জাতি, নানা বর্ণের, নানা ধর্মের মানুষের বাস এই দেশে। ভারতবর্ষ জনসংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ আর আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর সপ্তম। আর ভারতবর্ষের সবচেয়ে অনন্য পরিচয় হচ্ছে ইহা পৃথিবীর বৃহRead more

    আমার দেশ ভারতবর্ষ

    সূচনাঃ আমার দেশ, আমার মাতৃভূমি “ভারতবর্ষ”। ভারতবর্ষ একটি বৈচিত্র্যময় দেশ। নানা জাতি, নানা বর্ণের, নানা ধর্মের মানুষের বাস এই দেশে। ভারতবর্ষ জনসংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ আর আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর সপ্তম। আর ভারতবর্ষের সবচেয়ে অনন্য পরিচয় হচ্ছে ইহা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ।

    অবস্থান ও সীমা: ভারতের ভৌগোলিক অবস্থান খুবই বৈচিত্র্যপূর্ণ। ভারতের উত্তর ও উত্তর পূর্ব সীমান্তে জুড়ে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চতম পর্বত মালা হিমালয়। আর পশ্চিম দিকে রয়েছে দীর্ঘ আরব সাগর। দক্ষিণ ভারত মহাসাগর আর পূর্বে বঙ্গোপসাগর। ভারতের সীমান্তবর্তী দেশ গুলি হচ্ছে চীন বাংলাদেশ পাকিস্তান শ্রীলংকা ও মায়ানমার।
    রাজ্য ও জনসংখ্যা: ভারতবর্ষ একটি জনবহুল দেশ বর্তমানে ভারতবর্ষের জনসংখ্যা 130 কোটির ও বেশি । ভারতবর্ষে বর্তমানে ২৮ রাজ্য ও ৮ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে। আর মধ্যে আয়তনের দিক দিয়ে সর্ববৃহৎ রাজ্য হচ্ছে মধ্যপ্রদেশ আর জনসংখ্যার দিক দিয়ে উত্তর প্রদেশ।

    ইতিহাস: ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতি ৪০০০ বছরের থেকেও পুরনো। সিন্ধু নদীর তীরে ভারতে প্রথম সিন্ধু সভ্যতা গড়ে উঠে। তারপর আর্যদের আগমনের ফলে বৈদিক যুগের সূচনা হয়। এইভাবে অনেক বিদেশী শক্তি ভারতবর্ষে রাজত্ব কায়েম করে।ভারতের ধন সম্পদ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা মোঘল এবং ইংরেজদের মত বিদেশি শক্তিকে তাঁর দিকে আকর্ষণ করে। অবশেষে এর ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট ভারতবর্ষ ইংরেজদের হাত থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। এবং সংবিধানের প্রণয়নের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত হয়।

    জলবায়ু ও জীবন প্রণালী: ভারতের জলবায়ুর মধ্যে বৈচিত্র্যতা লক্ষ করা যায়। একদিকে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি বছরের প্রায় সময়ই গরম থাকে। অন্যদিকে উত্তর ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে সমভাবে গরম ও ঠান্ডা আবহাওয়া লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া উত্তর সীমান্তবর্তী রাজ্য কয়টি সব সময় ঠান্ডা আবহাওয়া ও তুষারপাত দেখতে পাওয়া যায়।‌ ভারতে মৌসুমী বায়ু প্রবাহের ফলে বৃষ্টিপাত হয়। ভারতবর্ষে বেশ কিছু চিরহরিৎ অঞ্চল রয়েছে। যেগুলোতে বিভিন্ন ধরনের প্রাণী ও উদ্ভিদ দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষ প্রাণীর মধ্যে সুন্দরবনের বাঘ অসমের গন্ডার বিখ্যাত। সরকার কর্তিক বিভিন্ন প্রাণীর সংরক্ষণের জন্য গড়ে উঠেছে অভয়ারণ্য ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল।

    কৃষি ও শিল্প: ভারতবর্ষে একটি কৃষি প্রধান দেশ। এখানকার অধিকাংশ মানুষের জীবিকা নির্ভর করে তাদের কৃষি ক্ষেত্রের উপর। মসলা, কাজুবাদাম, নারকেল, আদা, ইত্যাদি উৎপাদনে ভারতের স্থান বিশ্বে প্রথম। তাছাড়া ভারতে প্রধানত ধান, গম, তৈলবীজ ইত্যাদি উৎপন্ন হয়।বর্তমান শিল্পায়নের বিপ্লবের কারণে ভারত এগিয়ে গিয়েছে অনেক পথ। অটোমোবাইলস, সফটওয়্যার থেকে শুরু করে পরিবহন উপকরণ ও বস্ত্র শিল্পে ভারত অনেক উন্নতি লাভ করেছে। ভারতবর্ষের প্রধান রপ্তানি পণ্য গুলো হল বস্ত্র, ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্যাদি ও সফটওয়্যার।

    সভ্যতা ও সংস্কৃতি: ভারতবর্ষে একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এখানে বাস করে নানা ধর্ম নানা ভাষাভাষীর মানুষ। তাই ভারতবর্ষের প্রত্যেকটি জনগোষ্ঠীর রয়েছে ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন ধর্মবিশ্বাস। এতে করে সৃষ্টি হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সঙ্গীত,স্থাপত্যশিল্প, পরিধান ও খাদ্যাভাস। কিন্তু সমস্ত ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও আমরা সবাই ভারতীয়।

    উপসংহার: ভারতের বৈচিত্র্যময় চরিত্র মুগ্ধ করেছে পৃথিবীকে। এই বৈচিত্রের নাজির আর কোথাও নেই। প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতা থেকে শুরু করে আজ ও ভারত বিশ্ব দরবারে বন্দিত। আমাদের উন্নয়নের জয় গান ও প্রচেষ্টা চলছে অবিরাম। তাই আমার দেশ “ভারতবর্ষে” জন্মগ্রহণ করে আমি ধন্য এবং গর্বিত।

    See less
    • 1