সূচনাঃ আমার দেশ, আমার মাতৃভূমি “ভারতবর্ষ”। ভারতবর্ষ একটি বৈচিত্র্যময় দেশ। নানা জাতি, নানা বর্ণের, নানা ধর্মের মানুষের বাস এই দেশে। ভারতবর্ষ জনসংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ আর আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর সপ্তম। আর ভারতবর্ষের সবচেয়ে অনন্য পরিচয় হচ্ছে ইহা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ।
অবস্থান ও সীমা: ভারতের ভৌগোলিক অবস্থান খুবই বৈচিত্র্যপূর্ণ। ভারতের উত্তর ও উত্তর পূর্ব সীমান্তে জুড়ে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চতম পর্বত মালা হিমালয়। আর পশ্চিম দিকে রয়েছে দীর্ঘ আরব সাগর। দক্ষিণ ভারত মহাসাগর আর পূর্বে বঙ্গোপসাগর। ভারতের সীমান্তবর্তী দেশ গুলি হচ্ছে চীন বাংলাদেশ পাকিস্তান শ্রীলংকা ও মায়ানমার।
রাজ্য ও জনসংখ্যা: ভারতবর্ষ একটি জনবহুল দেশ বর্তমানে ভারতবর্ষের জনসংখ্যা 130 কোটির ও বেশি । ভারতবর্ষে বর্তমানে ২৮ রাজ্য ও ৮ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে। আর মধ্যে আয়তনের দিক দিয়ে সর্ববৃহৎ রাজ্য হচ্ছে মধ্যপ্রদেশ আর জনসংখ্যার দিক দিয়ে উত্তর প্রদেশ।
ইতিহাস: ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতি ৪০০০ বছরের থেকেও পুরনো। সিন্ধু নদীর তীরে ভারতে প্রথম সিন্ধু সভ্যতা গড়ে উঠে। তারপর আর্যদের আগমনের ফলে বৈদিক যুগের সূচনা হয়। এইভাবে অনেক বিদেশী শক্তি ভারতবর্ষে রাজত্ব কায়েম করে।ভারতের ধন সম্পদ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা মোঘল এবং ইংরেজদের মত বিদেশি শক্তিকে তাঁর দিকে আকর্ষণ করে। অবশেষে এর ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট ভারতবর্ষ ইংরেজদের হাত থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। এবং সংবিধানের প্রণয়নের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত হয়।
জলবায়ু ও জীবন প্রণালী: ভারতের জলবায়ুর মধ্যে বৈচিত্র্যতা লক্ষ করা যায়। একদিকে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি বছরের প্রায় সময়ই গরম থাকে। অন্যদিকে উত্তর ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে সমভাবে গরম ও ঠান্ডা আবহাওয়া লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া উত্তর সীমান্তবর্তী রাজ্য কয়টি সব সময় ঠান্ডা আবহাওয়া ও তুষারপাত দেখতে পাওয়া যায়। ভারতে মৌসুমী বায়ু প্রবাহের ফলে বৃষ্টিপাত হয়। ভারতবর্ষে বেশ কিছু চিরহরিৎ অঞ্চল রয়েছে। যেগুলোতে বিভিন্ন ধরনের প্রাণী ও উদ্ভিদ দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষ প্রাণীর মধ্যে সুন্দরবনের বাঘ অসমের গন্ডার বিখ্যাত। সরকার কর্তিক বিভিন্ন প্রাণীর সংরক্ষণের জন্য গড়ে উঠেছে অভয়ারণ্য ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল।
কৃষি ও শিল্প: ভারতবর্ষে একটি কৃষি প্রধান দেশ। এখানকার অধিকাংশ মানুষের জীবিকা নির্ভর করে তাদের কৃষি ক্ষেত্রের উপর। মসলা, কাজুবাদাম, নারকেল, আদা, ইত্যাদি উৎপাদনে ভারতের স্থান বিশ্বে প্রথম। তাছাড়া ভারতে প্রধানত ধান, গম, তৈলবীজ ইত্যাদি উৎপন্ন হয়।বর্তমান শিল্পায়নের বিপ্লবের কারণে ভারত এগিয়ে গিয়েছে অনেক পথ। অটোমোবাইলস, সফটওয়্যার থেকে শুরু করে পরিবহন উপকরণ ও বস্ত্র শিল্পে ভারত অনেক উন্নতি লাভ করেছে। ভারতবর্ষের প্রধান রপ্তানি পণ্য গুলো হল বস্ত্র, ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্যাদি ও সফটওয়্যার।
সভ্যতা ও সংস্কৃতি: ভারতবর্ষে একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এখানে বাস করে নানা ধর্ম নানা ভাষাভাষীর মানুষ। তাই ভারতবর্ষের প্রত্যেকটি জনগোষ্ঠীর রয়েছে ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন ধর্মবিশ্বাস। এতে করে সৃষ্টি হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সঙ্গীত,স্থাপত্যশিল্প, পরিধান ও খাদ্যাভাস। কিন্তু সমস্ত ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও আমরা সবাই ভারতীয়।
উপসংহার: ভারতের বৈচিত্র্যময় চরিত্র মুগ্ধ করেছে পৃথিবীকে। এই বৈচিত্রের নাজির আর কোথাও নেই। প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতা থেকে শুরু করে আজ ও ভারত বিশ্ব দরবারে বন্দিত। আমাদের উন্নয়নের জয় গান ও প্রচেষ্টা চলছে অবিরাম। তাই আমার দেশ “ভারতবর্ষে” জন্মগ্রহণ করে আমি ধন্য এবং গর্বিত।
Hridoy
আমার দেশ ভারতবর্ষ
সূচনাঃ আমার দেশ, আমার মাতৃভূমি “ভারতবর্ষ”। ভারতবর্ষ একটি বৈচিত্র্যময় দেশ। নানা জাতি, নানা বর্ণের, নানা ধর্মের মানুষের বাস এই দেশে। ভারতবর্ষ জনসংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ আর আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর সপ্তম। আর ভারতবর্ষের সবচেয়ে অনন্য পরিচয় হচ্ছে ইহা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ।
অবস্থান ও সীমা: ভারতের ভৌগোলিক অবস্থান খুবই বৈচিত্র্যপূর্ণ। ভারতের উত্তর ও উত্তর পূর্ব সীমান্তে জুড়ে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চতম পর্বত মালা হিমালয়। আর পশ্চিম দিকে রয়েছে দীর্ঘ আরব সাগর। দক্ষিণ ভারত মহাসাগর আর পূর্বে বঙ্গোপসাগর। ভারতের সীমান্তবর্তী দেশ গুলি হচ্ছে চীন বাংলাদেশ পাকিস্তান শ্রীলংকা ও মায়ানমার।
রাজ্য ও জনসংখ্যা: ভারতবর্ষ একটি জনবহুল দেশ বর্তমানে ভারতবর্ষের জনসংখ্যা 130 কোটির ও বেশি । ভারতবর্ষে বর্তমানে ২৮ রাজ্য ও ৮ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে। আর মধ্যে আয়তনের দিক দিয়ে সর্ববৃহৎ রাজ্য হচ্ছে মধ্যপ্রদেশ আর জনসংখ্যার দিক দিয়ে উত্তর প্রদেশ।
ইতিহাস: ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতি ৪০০০ বছরের থেকেও পুরনো। সিন্ধু নদীর তীরে ভারতে প্রথম সিন্ধু সভ্যতা গড়ে উঠে। তারপর আর্যদের আগমনের ফলে বৈদিক যুগের সূচনা হয়। এইভাবে অনেক বিদেশী শক্তি ভারতবর্ষে রাজত্ব কায়েম করে।ভারতের ধন সম্পদ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা মোঘল এবং ইংরেজদের মত বিদেশি শক্তিকে তাঁর দিকে আকর্ষণ করে। অবশেষে এর ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট ভারতবর্ষ ইংরেজদের হাত থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। এবং সংবিধানের প্রণয়নের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত হয়।
জলবায়ু ও জীবন প্রণালী: ভারতের জলবায়ুর মধ্যে বৈচিত্র্যতা লক্ষ করা যায়। একদিকে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি বছরের প্রায় সময়ই গরম থাকে। অন্যদিকে উত্তর ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে সমভাবে গরম ও ঠান্ডা আবহাওয়া লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া উত্তর সীমান্তবর্তী রাজ্য কয়টি সব সময় ঠান্ডা আবহাওয়া ও তুষারপাত দেখতে পাওয়া যায়। ভারতে মৌসুমী বায়ু প্রবাহের ফলে বৃষ্টিপাত হয়। ভারতবর্ষে বেশ কিছু চিরহরিৎ অঞ্চল রয়েছে। যেগুলোতে বিভিন্ন ধরনের প্রাণী ও উদ্ভিদ দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষ প্রাণীর মধ্যে সুন্দরবনের বাঘ অসমের গন্ডার বিখ্যাত। সরকার কর্তিক বিভিন্ন প্রাণীর সংরক্ষণের জন্য গড়ে উঠেছে অভয়ারণ্য ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল।
কৃষি ও শিল্প: ভারতবর্ষে একটি কৃষি প্রধান দেশ। এখানকার অধিকাংশ মানুষের জীবিকা নির্ভর করে তাদের কৃষি ক্ষেত্রের উপর। মসলা, কাজুবাদাম, নারকেল, আদা, ইত্যাদি উৎপাদনে ভারতের স্থান বিশ্বে প্রথম। তাছাড়া ভারতে প্রধানত ধান, গম, তৈলবীজ ইত্যাদি উৎপন্ন হয়।বর্তমান শিল্পায়নের বিপ্লবের কারণে ভারত এগিয়ে গিয়েছে অনেক পথ। অটোমোবাইলস, সফটওয়্যার থেকে শুরু করে পরিবহন উপকরণ ও বস্ত্র শিল্পে ভারত অনেক উন্নতি লাভ করেছে। ভারতবর্ষের প্রধান রপ্তানি পণ্য গুলো হল বস্ত্র, ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্যাদি ও সফটওয়্যার।
সভ্যতা ও সংস্কৃতি: ভারতবর্ষে একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এখানে বাস করে নানা ধর্ম নানা ভাষাভাষীর মানুষ। তাই ভারতবর্ষের প্রত্যেকটি জনগোষ্ঠীর রয়েছে ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন ধর্মবিশ্বাস। এতে করে সৃষ্টি হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সঙ্গীত,স্থাপত্যশিল্প, পরিধান ও খাদ্যাভাস। কিন্তু সমস্ত ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও আমরা সবাই ভারতীয়।
উপসংহার: ভারতের বৈচিত্র্যময় চরিত্র মুগ্ধ করেছে পৃথিবীকে। এই বৈচিত্রের নাজির আর কোথাও নেই। প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতা থেকে শুরু করে আজ ও ভারত বিশ্ব দরবারে বন্দিত। আমাদের উন্নয়নের জয় গান ও প্রচেষ্টা চলছে অবিরাম। তাই আমার দেশ “ভারতবর্ষে” জন্মগ্রহণ করে আমি ধন্য এবং গর্বিত।
“