1. শ্রীশ্রী মা লক্ষ্মীর স্তোত্র:- লক্ষ্মীস্তং সর্বদেবানাং যথাসম্ভব নিত্যশঃ। স্থিরাভাব তথা দেবী মম জন্মনি জন্মনি।। বন্দে বিষ্ণু প্রিয়াং দেবী দারিদ্র্য দুঃখনাশিনী। ক্ষীরোদ সম্ভবাং দেবীং বিষ্ণুবক্ষ বিলাসিনীঃ।।  শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর ধ্যান মন্ত্র:- ওঁ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজ সৃণিভির্যাম্য সৌম্যয়োঃ। পদ্মাসনাস্থাং ধRead more

    শ্রীশ্রী মা লক্ষ্মীর স্তোত্র:-

    লক্ষ্মীস্তং সর্বদেবানাং যথাসম্ভব নিত্যশঃ।
    স্থিরাভাব তথা দেবী মম জন্মনি জন্মনি।।
    বন্দে বিষ্ণু প্রিয়াং দেবী দারিদ্র্য দুঃখনাশিনী।
    ক্ষীরোদ সম্ভবাং দেবীং বিষ্ণুবক্ষ বিলাসিনীঃ।।

     শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর ধ্যান মন্ত্র:-

    ওঁ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজ সৃণিভির্যাম্য সৌম্যয়োঃ।
    পদ্মাসনাস্থাং ধায়েচ্চ শ্রীয়ং ত্রৈলোক্য মাতরং।।
    গৌরবর্ণাং স্বরূপাঞ্চ সর্বালঙ্কারভূষি তাম্।
    রৌক্নোপদ্মব্যগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু।।

    শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর স্তোত্রম্:-

    ত্রৈলোক্য পূজিতে দেবী কমলে বিষ্ণুবল্লভে।
    যথাস্তং সুস্থিরা কৃষ্ণে তথা ভবময়ি স্থিরা।।
    ঈশ্বরী কমলা লক্ষ্মীশ্চলা ভূতি হরিপ্রিয়া।
    পদ্মা পদ্মালয়া সম্পদ সৃষ্টি শ্রীপদ্মধারিণী।।
    দ্বাদশৈতানি নামানি লক্ষ্মীং সম্পূজ্য যঃ পঠেত।
    স্থিরা লক্ষ্মীর্ভবেৎ তস্য পুত্রদারারদিভিংসহ।।

    বিশেষ দ্রষ্টব্য:-

    *অবশ্যই তিন বার পাঠ করতে হবে শ্রীশ্রী লক্ষ্মীর পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র,
    “নমস্তে সর্বদেবানাং বরদাসি হরিপ্রিয়ে।
    যা গতিস্তং প্রপন্নানাং সা মে ভূয়াত্বদর্চবাৎ।।”

    শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর প্রণাম মন্ত্র:-

    ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।
    সর্বতঃ পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।।”

    See less
  2. শ্রীশ্রী মা লক্ষ্মীর স্তোত্র:- লক্ষ্মীস্তং সর্বদেবানাং যথাসম্ভব নিত্যশঃ। স্থিরাভাব তথা দেবী মম জন্মনি জন্মনি।। বন্দে বিষ্ণু প্রিয়াং দেবী দারিদ্র্য দুঃখনাশিনী। ক্ষীরোদ সম্ভবাং দেবীং বিষ্ণুবক্ষ বিলাসিনীঃ।।  শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর ধ্যান মন্ত্র:- ওঁ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজ সৃণিভির্যাম্য সৌম্যয়োঃ। পদ্মাসনাস্থাং ধRead more

    শ্রীশ্রী মা লক্ষ্মীর স্তোত্র:-

    লক্ষ্মীস্তং সর্বদেবানাং যথাসম্ভব নিত্যশঃ।
    স্থিরাভাব তথা দেবী মম জন্মনি জন্মনি।।
    বন্দে বিষ্ণু প্রিয়াং দেবী দারিদ্র্য দুঃখনাশিনী।
    ক্ষীরোদ সম্ভবাং দেবীং বিষ্ণুবক্ষ বিলাসিনীঃ।।

     শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর ধ্যান মন্ত্র:-

    ওঁ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজ সৃণিভির্যাম্য সৌম্যয়োঃ।
    পদ্মাসনাস্থাং ধায়েচ্চ শ্রীয়ং ত্রৈলোক্য মাতরং।।
    গৌরবর্ণাং স্বরূপাঞ্চ সর্বালঙ্কারভূষি তাম্।
    রৌক্নোপদ্মব্যগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু।।

    শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর স্তোত্রম্:-

    ত্রৈলোক্য পূজিতে দেবী কমলে বিষ্ণুবল্লভে।
    যথাস্তং সুস্থিরা কৃষ্ণে তথা ভবময়ি স্থিরা।।
    ঈশ্বরী কমলা লক্ষ্মীশ্চলা ভূতি হরিপ্রিয়া।
    পদ্মা পদ্মালয়া সম্পদ সৃষ্টি শ্রীপদ্মধারিণী।।
    দ্বাদশৈতানি নামানি লক্ষ্মীং সম্পূজ্য যঃ পঠেত।
    স্থিরা লক্ষ্মীর্ভবেৎ তস্য পুত্রদারারদিভিংসহ।।

    বিশেষ দ্রষ্টব্য:-

    *অবশ্যই তিন বার পাঠ করতে হবে শ্রীশ্রী লক্ষ্মীর পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র,
    “নমস্তে সর্বদেবানাং বরদাসি হরিপ্রিয়ে।
    যা গতিস্তং প্রপন্নানাং সা মে ভূয়াত্বদর্চবাৎ।।”
    °°

    শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর প্রণাম মন্ত্র:-

    ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।
    সর্বতঃ পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।।”

    See less
  3. তেমন করে হাত বাড়ালে, সুখ পাওয়া যায় অনেকখানি।’ উল্লিখিত অংশটুকু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোঝাপড়া কবিতার অন্তর্গত। কবি এখানে বলতে চাইছেন যে, আমরা যদি আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ, দ্বন্দ্ব না রেখে একে অপরের সাথে ভ্রাতৃসুলভ, বন্ধুসুলভ আচার-আচরণ রাখি তাহলে সেই বিষয়টি অনেক সুখের। অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ বলতে চাRead more

    তেমন করে হাত বাড়ালে,

    সুখ পাওয়া যায় অনেকখানি।’

    উল্লিখিত অংশটুকু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোঝাপড়া কবিতার অন্তর্গত।
    কবি এখানে বলতে চাইছেন যে, আমরা যদি আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ, দ্বন্দ্ব না রেখে একে অপরের সাথে ভ্রাতৃসুলভ, বন্ধুসুলভ আচার-আচরণ রাখি তাহলে সেই বিষয়টি অনেক সুখের। অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ বলতে চাইছেন যে মানুষের মধ্যে মনোমালিন্য, ভেদাভেদ থাকাটা স্বাভাবিক কিন্তু তা নিয়ে অযথা বাড়াবাড়ি ঠিক নয়। বরং মতভেদ, ঈর্ষা, হিংসা ইত্যাদি ছেড়ে দিয়ে শ্রদ্ধার সহিত একে অপরের সহিত মিলেমিশে থাকাই উত্তম। তাতে করে মনে শান্তি আসে এবং অনেক সুখ পাওয়া যায়।

    See less
  4. আমার বিদ্যালয় বা আমাদের বিদ্যালয়ঃ আমাদের বিদ্যালয়ের নাম বিদ্যাভবন স্কুল। ইহা কলকাতার বেহালা এলাকায় অবস্থিত। আমাদের বিদ্যালয়টি অনেক বড়। আমাদের বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্ররা পড়াশোনা করে। আমাদের বিদ্যালয় সকাল আটটায় আরম্ভ হয় এবং দুপুর দুইটায় ছুটি হয়। আমাদের বিদ্যালযRead more

    আমার বিদ্যালয় বা আমাদের বিদ্যালয়ঃ

    আমাদের বিদ্যালয়ের নাম বিদ্যাভবন স্কুল। ইহা কলকাতার বেহালা এলাকায় অবস্থিত। আমাদের বিদ্যালয়টি অনেক বড়। আমাদের বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্ররা পড়াশোনা করে। আমাদের বিদ্যালয় সকাল আটটায় আরম্ভ হয় এবং দুপুর দুইটায় ছুটি হয়। আমাদের বিদ্যালয় ভবনটি সাদা রঙ্গের এবং দুই তলা বিশিষ্ট। বিদ্যালয়ের সামনে আছে একটি খেলার মাঠ ও একটি ফুলের বাগান। বিরতির সময় আমরা সবাই এই মাঠে খেলাধুলা করি। আমাদের বিদ্যালয় অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন। তারা আমাদেরকে খুব স্নেহ করেন। আমাদের বিদ্যালয়ে বিভিন্ন দিবসে বিভিন্ন উৎসব পালিত হয়। আমরা সবাই এইসব উৎসবে অংশগ্রহণ করি। আমরা সবাই আমাদের বিদ্যালয় কে ভালবাসি।

    See less
  5. On Killing a tree -Gieve Patel It takes much time to kill a tree, অনেক সময় লাগে একটি গাছ কে ধ্বংস করতে Not a simple jab of the knife সামান্য একটি ছুরির আঘাত Will do it. It has grown শেষ করতে পারে না । গাছটি বড় হয়েছে Slowly consuming the earth, ধীরে ধীরে মাটিকে শোষণ এর মাধ্যমে। Rising out of it, feedRead more

    On Killing a tree

    -Gieve Patel

    It takes much time to kill a tree,
    অনেক সময় লাগে একটি গাছ কে ধ্বংস করতে
    Not a simple jab of the knife
    সামান্য একটি ছুরির আঘাত
    Will do it. It has grown
    শেষ করতে পারে না । গাছটি বড় হয়েছে
    Slowly consuming the earth,
    ধীরে ধীরে মাটিকে শোষণ এর মাধ্যমে।
    Rising out of it, feeding
    বেড়ে উঠেছে এরই মধ্য থেকে, প্রতিপালিত
    Upon its crust, absorbing
    হয়েছে মাটির এই আবরনের উপর , শোসন করেছে
    Years of sunlight, air, water,
    সূর্যের আলো, বাতাস, জল অনেক অনেক বছর
    And out of its leprous hide
    এবং এটার রুক্ষ ছালের মধ্যে
    Sprouting leaves.
    লুকিয়ে থাকে নতুন পাতা।

    Jab-খোঁচা/আঘাত , grown- বড় হওয়া , consuming- শোষণ/গ্রাস , feeding-প্রতিপালন/ভোজন, crust-ভূত্বক/মাটির আবরন, absorbing-গিলিয়া ফেলা/শোসন করা , leprous-রুক্ষ ছাল, Sprouting-উদ্গম/কচি বৃক্ষশাখা

    So hack and chop
    তাই ইহাকে ক্ষত বিক্ষত করে কেটে ফেল
    But this alone won’t do it.
    কিন্তু শুধু আঘাত গাছটিকে শেষ করে দিতে পারে না
    Not so much pain will do it.
    সেই অসহ্ যন্ত্রণা ও ইহাকে শেষ করতে অক্ষম
    The bleeding bark will heal
    গাছের এই রক্তাক্ত বাকল আবার প্রান ফিরে পাবে
    And from close to the ground
    এবং মাটি কে ভেদ করে
    Will rise curled green twigs,
    আবার জন্মাবে কুকড়ানো কচি সবুজ ডাল,
    Miniature boughs
    ক্ষুদ্রকায় শাখাগুলি
    Which if unchecked will expand again
    যদি বাধাপ্রাপ্ত না হয় , আবার প্রসারিত হবে
    To former size
    পূর্বের আকারে।

    Hack-গভীর ক্ষত/ ক্ষত , chop-কুচি কুচি করে কাটা , bleeding-রক্তাক্ত, bark-বাকল/ছাল , heal-আরোগ্য হওয়া/সুস্থ হওয়া , curled-কুকড়ানো, twigs-ডাল/শাখা , Miniature-ক্ষুদ্রকায় , boughs-গাছের শাখা প্রশাখা, former- পুরাতন/পূর্বের

    No
    না
    The root is to be pulled out-
    শিকরটাকে তুলে ফেলে দিতে হবে
    Out of the anchoring earth;
    দৃঢ় সুরক্ষিত মাটির ভেতর থেকে
    It is to be roped, tied,
    দড়ি দিয়ে বাঁধতে হবে শক্ত করে
    And pulled out-snapped out
    এবং টেনে বের করে ছিঁড়ে ফেলতে হবে
    Or pulled out entirely,
    অথবা টেনে তুলতে হবে সম্পূর্ণরূপে
    Out of the earth-cave,
    পৃথিবী গহ্বর থেকে
    And the strength of the tree exposed,
    এবং ইহার ফলে গাছের শক্তি উদ্ভাসিত হয়ে যাবে
    The source, white and wet,
    তাঁর উৎস , সাদা এবং ভেজা সেই মূল উৎস,
    The most sensitive, hidden
    যাহা অত্যন্ত অনুভুতিশীল, লুক্কায়িত ছিলো
    For years inside the earth.
    মাটির মধ্যে বছরের পর বছর ।

    Pulled out-টেনে বের করা , anchoring-দৃঢ় সুরক্ষিত থাকা , roped-দড়ি দিয়ে বাঁধা, tied-নিবদ্ধ/বাঁধা, snapped out-ছিঁড়ে ফেলা , entirely-সম্পূর্ণরূপে, earth-cave-পৃথিবী গহ্বর, exposed-উদ্ভাসিত/ উম্মুক্ত, sensitive-সংবেদনশীল/অনুভুতিশীল, hidden-লুক্কায়িত

    Then the matter
    তার পরের ধাপ (গাছটিকে শেষ করার)
    Of scorching and choking
    দগ্ধ করা আর শ্বাসরোধ করা
    In sun and air
    সূর্যের প্রখর তাপে এবং বাতাসে
    Browning, hardening,
    গুকিয়ে বাদামি করে শক্ত করে দিলে
    Twisting, withering,
    মটকিয়ে, ধ্বংস করলে
    And then it is done
    তখনই তাহা শেষ হয়ে উঠবে

    Scorching-দগ্ধ করা/দাহন, choking-শ্বাসরোধ করা, Browning-বাদামি/বাদামি করা , hardening-শক্ত করা , Twisting- মটকানো, withering-ধ্বংস করা

    See less
  6. This answer was edited.

    অভিসার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাব্য : কথা বোধিসত্তাবদান-কল্পলতা সন্ন্যাসী উপগুপ্ত মথুরাপুরীর প্রাচীরের তলে একদা ছিলেন সুপ্ত-- নগরীর দীপ নিবেছে পবনে, দুয়ার রুদ্ধ পৌর ভবনে, নিশীথের তারা শ্রাবণগগনে ঘন মেঘে অবলুপ্ত। (অভিসার - অনুসরণ, প্রাচীর-দেয়াল, সুপ্ত  - নিদ্রিত, পবন - বাতাস, নিশীথ- রাত্রি, রুদ্ধ- বন্ধ, অRead more

    অভিসার

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 
    কাব্য : কথা

    বোধিসত্তাবদান-কল্পলতা

    সন্ন্যাসী উপগুপ্ত
    মথুরাপুরীর প্রাচীরের তলে
    একদা ছিলেন সুপ্ত–
    নগরীর দীপ নিবেছে পবনে,
    দুয়ার রুদ্ধ পৌর ভবনে,
    নিশীথের তারা শ্রাবণগগনে
    ঘন মেঘে অবলুপ্ত।

    (অভিসার – অনুসরণ, প্রাচীর-দেয়াল, সুপ্ত  – নিদ্রিত, পবন – বাতাস, নিশীথ- রাত্রি, রুদ্ধ- বন্ধ, অবলুপ্ত-অদৃশ্য)

    কাহার নূপুরশিঞ্জিত পদ
    সহসা বাজিল বক্ষে!
    সন্ন্যাসীবর চমকি জাগিল,
    স্বপ্নজড়িমা পলকে ভাগিল,
    রূঢ় দীপের আলোক লাগিল
    ক্ষমাসুন্দর চক্ষে।

    (সহসা  –  অকস্মাৎ/হঠাৎ,  বক্ষে – বুকে, নূপুরশিঞ্জিত- নুপুরপরিহিত, পদ- পা, রূঢ়  – রুক্ষ, কঠোর)

    নগরীর নটী চলে অভিসারে
    যৌবনমদে মত্তা।
    অঙ্গ আঁচল সুনীল বরন,
    রুনুঝুনু রবে বাজে আভরণ–
    সন্ন্যাসী-গায়ে পড়িতে চরণ
    থামিল বাসবদত্তা।

    (আঁচল – কাপড়ের খুঁটি, সুনীল  – গাঢ় নীল, বরন – বর্ণ, রব  – শব্দ/ধ্বনি, আভরণ  – ভূষণ, চরণ – পা, বাসব  – দেবরাজ ইন্দ্র)

    প্রদীপ ধরিয়া হেরিল তাঁহার
    নবীন গৌরকান্তি–
    সৌম্য সহাস তরুণ বয়ান,
    করুণাকিরণে বিকচ নয়ান,
    শুভ্র ললাটে ইন্দুসমান
    ভাতিছে স্নিগ্ধ শান্তি।

    (সৌম্য  – শান্ত ও সুন্দর, সহাস্য  – হাস্যরত, বয়ান   – বদন/মুখ, বিকচ  – বিকশিত, নয়ান – নয়ন, শুভ্র – শুক্ল/সিত, ললাট  – অদৃষ্ট, ইন্দু  – চাঁদ) 

    কহিল রমণী ললিত কণ্ঠে,
    নয়নে জড়িত লজ্জা,
    ক্ষমা করো মোরে কুমার কিশোর,
    দয়া করো যদি গৃহে চলো মোর,
    এ ধরণীতল কঠিন কঠোর
    এ নহে তোমার শয্যা।’

    (ভাতিছে- প্রবাহে, রমণী -নারী, ললিত – চারু/সুন্দর, ধরণী  – ধরা/পৃথিবী)

    সন্ন্যাসী কহে করুণ বচনে,
    “অয়ি লাবণ্যপুঞ্জ,
    এখনো আমার সময় হয় নি,
    যেথায় চলেছ যাও তুমি ধনী,
    সময় যেদিন আসিবে আপনি
    যাইব তোমার কুঞ্জ,’

    (বচন  – বাক্য/কথা, অয়ি  – ওগো, লাবণ্য  – সৌন্দর্য, কুঞ্জ  – লতাদি দ্বারা আচ্ছাদিত গৃহাকার স্থান)

    সহসা ঝঞ্ঝা তড়িৎশিখায়
    মেলিল বিপুল আস্য।
    রমণী কাঁপিয়া উঠিল তরাসে,
    প্রলয়শঙ্খ বাজিল বাতাসে,
    আকাশে বজ্র ঘোর পরিহাসে
    হাসিল অট্টহাস্য।

    (ঝঞ্ছা  – প্রবল ঝটিকা, তড়িৎ  – বিদু্যৎ, আস্য  – মুখ, তরাস  – ত্রাস/ভয়,  প্রলয়  – সর্বাত্মক ধ্বংস, পরিহাস  – ঠাট্টা, তামাশা)

    বর্ষ তখনো হয় নাই শেষ,
    এসেছে চৈত্রসন্ধ্যা।
    বাতাস হয়েছে উতলা আকুল,
    পথতরুশাখে ধরেছে মুকুল,
    রাজার কাননে ফুটেছে বকুল
    পারুল রজনীগন্ধা।

    (তরু  –  বৃক্ষ/ গাছ, কানন  – বাগান, মুকুল  – কলিকা/কুঁড়ি)

    অতি দূর হতে আসিছে পবনে
    বাঁশির মদির মন্দ্র।
    জনহীন পুরী, পুরবাসী সবে
    গেছে মধুবনে ফুল-উৎসবে–
    শূন্য নগরী নিরখি নীরবে
    হাসিছে পূর্ণচন্দ্র।

    ( মন্দ্র  – গম্ভীর ধ্বনি, পুরী   – গৃহ/ভবন স্বর্ণপুরী)

    নির্জন পথে জ্যোৎস্না-আলোতে
    সন্ন্যাসী একা যাত্রী।
    মাথার উপরে তরুবীথিকার
    কোকিল কুহরি উঠে বারবার,
    এতদিন পরে এসেছে কি তাঁর
    আজি অভিসাররাত্রি?

    (বীথী   – শ্রেণী, সারি)

    নগর ছাড়ায়ে গেলেন দণ্ডী
    বাহিরপ্রাচীরপ্রান্তে।
    দাঁড়ালেন আসি পরিখার পারে–
    আম্রবনের ছায়ার আঁধারে
    কে ওই রমণী প’ড়ে এক ধারে
    তাঁহার চরণোপ্রান্তে!

    (আম্র   – আম)

    নিদারুণ রোগে মারীগুটিকায়
    ভরে গেছে তার অঙ্গ–
    রোগমসী ঢালা কালী তনু তার
    লয়ে প্রজাগণে পুরপরিখার
    বাহিরে ফেলেছে, করি’ পরিহার
    বিষাক্ত তার সঙ্গ।

    (তনু,- দেহ/শরীর, পরিহার – বর্জন/ত্যাগ,  গুটি-গুটিকা-  ছোট দানা/ বসন্ত রোগের ব্রণ)

    সন্ন্যাসী বসি আড়ষ্ট শির
    তুলি নিল নিজ অঙ্কে–
    ঢালি দিল জল শুষ্ক অধরে,
    মন্ত্র পড়িয়া দিল শির-‘পরে,
    লেপি দিল দেহ আপনার করে
    শীতচন্দনপঙ্কে।
    ঝরিছে মুকুল, কূজিছে কোকিল,
    যামিনী জোছনামত্তা।

    (আড়ষ্ট – অসাড়/ জড়,  অধর – ঠোঁট/নিচের ঠোঁট, যামিনী   – রাত্রি)

    “কে এসেছ তুমি ওগো দয়াময়’
    শুধাইল নারী, সন্ন্যাসী কয়–
    “আজি রজনীতে হয়েছে সময়,
    এসেছি বাসবদত্তা!’

    English Transliteration:

    Abhishar
    Rabindranath tagore

    Bodhisottabadon-kolpona
    Sonnyashi upogupto
    Mothurapurir prachirer tole
    Ekoda chilen supto–
    nogorir deel nibeche pobone,
    Duar ruddha pouro bhobone,
    Nishither tara srabongogone
    Ghono meg obolupto.

    Kahar nupurshingit pod
    Sohosha bajilo bokke!
    Sonnyashibor chomki jagilo,
    Shopnojorima poloke bhagilo,
    Ruro deeper alok lagilo
    Khomashundar chokke.
    Nogorir noti chole abhisare
    Joubonmode motta.
    Ongi anchal sunil boron,
    Runujhunu robe baje aboron–
    Sonnyashi-gaye porite choron
    Thamilo basbodotta.
    Prodip dhoriya herilo tahar
    Nobin gourokanti–
    Soummya sahosh torun boyan,
    Korunakirone bikocho noyan,
    Shubro lolate indusoman
    Bhatiche snighdha shanti.
    Kohilo romoni lolito khonte,
    Noyone jorito lojja,
    Khoma koro more kumar kishor,
    Doya koro jodi grihe cholo mor,
    E dhoronitol kothin kothor
    E nohe tomar shojjya.
    Sonnyashi kohe torun bichone,
    “Oyi labonnyapunjo,
    Ekhono amar somoy hoy ni,
    Jethay cholche jao tumi dhoni,
    Somoy jedin ashibe apni
    Jaibi tumar kunjo,
    Sohisha jhonjha toritshikhay
    Melilo bipul ashhya.
    Romoni kapiya uthilo torashe,
    Proloyoshongho bajilo batashe,
    Akashe bojro ghor porihashe
    hashilo ottohashya.
    ……
    Borsho tokhono hoy ni sesh,
    Esheche choitrosondhya.
    Batash hoyeche utola akul,
    Pothotorushakhe dhoreche mukul,
    Rajar kanone futeche bokul
    Parul rojonigondha .
    Oti duur hote ashiche pobone
    Bashir modir mondro.
    Jonohin puri, purobashi sobe
    Geche modhubone ful-utshobe–
    Sunnyo nogori nirkhi nirobe
    Hashiche purnochondro.
    Nirjon pothe jyotsna-alote
    Sonnyashi ek jatri.
    Mathar upore torubithikar
    Kokil khori uthe barbar,
    Etodin pore esheche ki tar
    Aji abhisharratri?
    Nogor charay gelen dondi
    Bahirprachirprante.
    Daralen ashi porikhar pare–
    Amroboner chayar adhare
    Ke oi romoni pore ek dhare
    Tahar choronoprante!
    Nidarun roge marigutikay
    Bhore geche tar songe–
    Rogmoshidhala kali tonu tar
    Loye projagone puroporikhar
    Bahire feleche, kori porihar
    Bishakto tar songo.
    Sonnyashi boshi arosto shir
    Tuli nilo nij onke–
    Dhali dilo jol shusko odhore,
    Montro poriya dilo shir pore,
    Lepi dilo deho apnar kore
    Shitchandanponghe.
    Jhoriche mukul, kujiche kokil,
    Jamini jochnamotta.
    “Ke eshecho tumi ogo doyamoy”
    Sudhailo nari, sonnyashi koy–
    “Ani rojonite hoyeche somoy,
    Eshechi bashobodotta!”

    See less
  7. This answer was edited.

    XD: ➢ ইহা ইন্টারনেটের দুনিয়ায় বহুল প্রচলিত একটি শব্দ বা এসেছে LOL (laugh out loud বা খুব বেশি হাস্যকর) থেকে। ➢ ইহা একটি ইমোটিকন, যেখানে X অক্ষর দ্বারা চোখ কে বুঝানো হয়েছে এবং D অক্ষর দ্বারা উম্মুক্ত মুখ বুঝানো হয়েছে। ➢ আমরা যখন হাসি তখন আমাদের চোখদ্বয়ে ভাব জন্মে এবং মুখ উম্মুক্ত হয় । তাই এই হাসির ভাRead more

    • XD:

    ➢ ইহা ইন্টারনেটের দুনিয়ায় বহুল প্রচলিত একটি শব্দ বা এসেছে LOL (laugh out loud বা খুব বেশি হাস্যকর) থেকে।

    ➢ ইহা একটি ইমোটিকন, যেখানে X অক্ষর দ্বারা চোখ কে বুঝানো হয়েছে এবং D অক্ষর দ্বারা উম্মুক্ত মুখ বুঝানো হয়েছে।

    ➢ আমরা যখন হাসি তখন আমাদের চোখদ্বয়ে ভাব জন্মে এবং মুখ উম্মুক্ত হয় । তাই এই হাসির ভাবটাকে XD সাংকেতিক চিন্ন দ্বারা বুঝানো হয়ে থাকে।

    ➢ ইহা chat করার সময় হাহা বা LOL এর পরিবর্তে ব্যাবহার হয়ে থাকে।

     

    See less
  8. This answer was edited.

    বোঝাপড়া -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মনেরে আজ কহ যে, ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যেরে লও সহজে। কেউ বা তোমায় ভালোবাসে কেউ বা বাসতে পারে না যে, কেউ বিকিয়ে আছে, কেউ বা সিকি পয়সা ধারে না যে, কতকটা যে স্বভাব তাদের কতকটা বা তোমারো ভাই, কতকটা এ ভবের গতিক – সবার তরে নহে সবাই। তোমায় কতক ফাঁকি দেবে তুমিও কতক দেবে ফাঁকি, তোRead more

    বোঝাপড়া -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

    মনেরে আজ কহ যে,
    ভালো মন্দ যাহাই আসুক
    সত্যেরে লও সহজে।
    কেউ বা তোমায় ভালোবাসে
    কেউ বা বাসতে পারে না যে,
    কেউ বিকিয়ে আছে, কেউ বা
    সিকি পয়সা ধারে না যে,
    কতকটা যে স্বভাব তাদের
    কতকটা বা তোমারো ভাই,
    কতকটা এ ভবের গতিক –
    সবার তরে নহে সবাই।
    তোমায় কতক ফাঁকি দেবে
    তুমিও কতক দেবে ফাঁকি,
    তোমার ভোগে কতক পড়বে
    পরের ভোগে থাকবে বাকি,
    মান্ধাতারই আমল থেকে
    চলে আসছে এমনি রকম –
    তোমারি কি এমন ভাগ্য
    বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
    মনেরে আজ কহ যে,
    ভালো মন্দ যাহাই আসুক
    সত্যেরে লও সহজে।

    অনেক ঝঞ্ঝা কাটিয়ে বুঝি
    এলে সুখের বন্দরেতে,
    জলের তলে পাহাড় ছিল
    লাগল বুকের অন্দরেতে,
    মুহূর্তেকে পাঁজরগুলো
    উঠল কেঁপে আর্তরবে –
    তাই নিয়ে কি সবার সঙ্গে
    ঝগড়া করে মরতে হবে?
    ভেসে থাকতে পার যদি
    সেইটে সবার চেয়ে শ্রেয়,
    না পার তো বিনা বাক্যে
    টুপ করিয়া ডুবে যেয়ো।
    এটা কিছু অপূর্ব নয়,
    ঘটনা সামান্য খুবই –
    শঙ্কা যেথায় করে না কেউ
    সেইখানে হয় জাহাজ-ডুবি।
    মনেরে তাই কহ যে,
    ভালো মন্দ যাহাই আসুক
    সত্যেরে লও সহজে।

    তোমার মাপে হয় নি সবাই
    তুমিও হও নি সবার মাপে,
    তুমি মর কারো ঠেলায়
    কেউ বা মরে তোমার চাপে –
    তবু ভেবে দেখতে গেলে
    এমনি কিসের টানাটানি?
    তেমন করে হাত বাড়ালে
    সুখ পাওয়া যায় অনেকখানি।
    আকাশ তবু সুনীল থাকে,
    মধুর ঠেকে ভোরের আলো,
    মরণ এলে হঠাৎ দেখি
    মরার চেয়ে বাঁচাই ভালো।
    যাহার লাগি চক্ষু বুজে
    বহিয়ে দিলাম অশ্রুসাগর
    তাহারে বাদ দিয়েও দেখি
    বিশ্বভুবন মস্ত ডাগর।
    মনেরে তাই কহ যে,
    ভালো মন্দ যাহাই আসুক
    সত্যেরে লও সহজে।

    নিজের ছায়া মস্ত করে
    অস্তাচলে বসে বসে
    আঁধার করে তোল যদি
    জীবনখানা নিজের দোষে,
    বিধির সঙ্গে বিবাদ করে
    নিজের পায়েই কুড়ুল মার,
    দোহাই তবে এ কার্যটা
    যত শীঘ্র পার সারো।
    খুব খানিকটে কেঁদে কেটে
    অশ্রু ঢেলে ঘড়া ঘড়া
    মনের সঙ্গে এক রকমে
    করে নে ভাই, বোঝাপড়া।
    তাহার পরে আঁধার ঘরে
    প্রদীপখানি জ্বালিয়ে তোলো –
    ভুলে যা ভাই, কাহার সঙ্গে
    কতটুকুন তফাত হল।
    মনেরে তাই কহ যে,
    ভালো মন্দ যাহাই আসুক
    সত্যেরে লও সহজে

    |

    বিশ্লেষণ-কবি এখানে ভাঙা হৃদয় নিয়ে নিজেকে আত্মস্বান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন যে ভালো মন্দ যাই হউক সত্যকে মেনে নিতেই হবে । যদিও কোনো সত্যকে মেনে অনেক সময় কঠিন হয়ে দাঁড়ায় তারপরেও মাথা নত করে মেনে নিতে হয়। কখনো কখনো মানুষকে নিজের লক্ষ্যের ব্যর্থতা থেকে উপরে উঠে দেখতে হবে যে পৃথিবীটা কত বিশাল। তাই জীবনে বোঝাপড়া বা স্যাক্রিফাইস করাটা আমাদের শিখে নিতে হবে অর্থাৎ বাস্তবতার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেয়া সবচেয়ে উত্তম।

     

     

    English Transliteration: 

    Monere aaj koho? Je
    valo mondo jahai aashuk
    sottore lo shohoje.

    Jahar lagi chokku buji

    tahare bad diyao deki
    bissho-bhuban mosto dangor

    Khub khanikta kede kete
    Osru dele ghoda ghoda

    Moner shathe kunorokom
    Kore ne bhai bujapora

    See less