ভূমিকা : আমাদের গ্রামের নাম চন্দনপুর । গ্রামখানি নদিয়া জেলার উত্তর পশ্চিম দিকে আবহনী অঞ্চলে অবস্থিত। গ্রামের পাশে ই রয়েছে একটি বড় ঝিল। আমাদের গ্রামটি শষ্য শ্যামলে ভরপুর, গ্রামের চারিদিকে সবুজের মেলা। গ্রামে বিভিন্ন ফল মূলের গাছ, শাক সবজি, সকালের পাখির ডাক, বিকালের গুধূলি গ্রামটিকে করে তোলেছে এক শান্তির দ্বীপ।
আয়তন ও লোকসংখ্যা : আমাদের গ্রামটি নাদিয়া জেলার সর্ব বৃহৎ গ্রাম। গ্রামটি উত্তর-দক্ষিণে প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এবং পূর্ব-পশ্চিমে এক কিলোমিটার প্রস্থ। গ্রামে লোকসংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার দুই শত। আমদের গ্রামটি মিলনের অনন্য নাজির এখানে বিভিন্ন ধর্মের লোকই মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করে।
ভূ-প্রকৃতি : আমাদের গ্রামটি গ্রাম বাংলার এক সুন্দর্যের প্রতীক । গ্রামের সম্পূর্ণ জমিই সমতল। মাঝেমধ্যে বসতবাড়ি ও তার চারপাশে বিভিন্ন ফলজ গাছপালা, ছোট-বড় বাঁশঝাড় গ্রামটিকে ঘিরে রেখেছে। গ্রামে পাশে থাকে ঝিল বেশিরভাগ গ্রামের মানুষের জীবনের মূল উৎস। এদের জীবনযাপন ঝিল থেকে পাওয়া মৎস্যের উপর নির্ভরশীল।
যাতায়াত ব্যবস্থা : যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক দিয়ে আমাদের গ্রাম অনেক উন্নত।পঞ্চায়েত রাস্তার মাধ্যমে গ্রামটি পাশের জাতীয় সড়কের সাথে যুক্ত। গ্রামের প্রধান সড়কগুলি পাকা এবং প্রশস্ত । তাই জেলার মহকুমার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্তা খুব ই সুন্দর । মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। তা ছাড়া সরকারের প্রচেষ্টায় যোগাযোগ ব্যবস্তা সহজ করার জন্য গ্রামের পাশ থেকে সরকারী বাস চালু করা হয়েছে।
উৎপন্ন দ্রব্য : মূলতঃ আমাদের গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ মৎস বিক্রি করে জীবিকা উপার্জন করে। তাছাড়া উৎপন্ন দ্রব্যের মধ্যে ধান, পাট, গম, ডাল, সরিষা, আখ ও পাট ইত্যাদি প্রধান। জমি উর্বর হওয়ার দরুন বিশেষ কোনো আধুনিক টেকনোলজি না থাকা সত্ত্বেও কৃষকেরা ভালো ফসল পেয়ে থাকে।গ্রামের কৃষকরা খুবই পরিশ্রমী বলে জমি কখনোই পতিত ফেলে রাখে না। বছর জুড়ে নানা সময়ে নানা ফসল ফলানো হয় ।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান : আমাদের গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয় ,একটি দাতব্য চিকিৎসালয়, একটি পোস্ট অফিস, একটি ডাকঘর রয়েছে । তাছাড়া সপ্তাহে দুই দিন হাট বাজার বসে । গ্রামবাসীরা এই বাজারে তাদের পণ্য ক্রয় বিক্রয় করে।
গ্রামের আবহাওয়া : আমাদের গ্রামের আবহাওয়া খুব মলিন ও সুন্দর। বিন্দুমাত্র কোনো শব্দদূষণ নেই। তাছাড়া গ্রামের মানুষ নিরীহ ও প্রকৃতি প্রিয়।গরম ঠান্ডা উভয় ঋতুতে গ্রাম ভিন্ন ভিন্ন রূপে পরিণত হয়।
উপসংহার : আমাদের গ্রাম আমাদের জেলার মধ্যে একটি আদর্শ গ্রাম।আমাদের গ্রাম দিন দিন উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ার ফলে সবাই পড়াশুনার দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং অনেক ছেলে মেয়েরা বাহিরে গিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের গ্রামের প্রতি গর্ব অনুভব করি এবং ভালোবাসি।
Hridoy
আমাদের গ্রাম
ভূমিকা : আমাদের গ্রামের নাম চন্দনপুর । গ্রামখানি নদিয়া জেলার উত্তর পশ্চিম দিকে আবহনী অঞ্চলে অবস্থিত। গ্রামের পাশে ই রয়েছে একটি বড় ঝিল। আমাদের গ্রামটি শষ্য শ্যামলে ভরপুর, গ্রামের চারিদিকে সবুজের মেলা। গ্রামে বিভিন্ন ফল মূলের গাছ, শাক সবজি, সকালের পাখির ডাক, বিকালের গুধূলি গ্রামটিকে করে তোলেছে এক শান্তির দ্বীপ।
আয়তন ও লোকসংখ্যা : আমাদের গ্রামটি নাদিয়া জেলার সর্ব বৃহৎ গ্রাম। গ্রামটি উত্তর-দক্ষিণে প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এবং পূর্ব-পশ্চিমে এক কিলোমিটার প্রস্থ। গ্রামে লোকসংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার দুই শত। আমদের গ্রামটি মিলনের অনন্য নাজির এখানে বিভিন্ন ধর্মের লোকই মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করে।
ভূ-প্রকৃতি : আমাদের গ্রামটি গ্রাম বাংলার এক সুন্দর্যের প্রতীক । গ্রামের সম্পূর্ণ জমিই সমতল। মাঝেমধ্যে বসতবাড়ি ও তার চারপাশে বিভিন্ন ফলজ গাছপালা, ছোট-বড় বাঁশঝাড় গ্রামটিকে ঘিরে রেখেছে। গ্রামে পাশে থাকে ঝিল বেশিরভাগ গ্রামের মানুষের জীবনের মূল উৎস। এদের জীবনযাপন ঝিল থেকে পাওয়া মৎস্যের উপর নির্ভরশীল।
যাতায়াত ব্যবস্থা : যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক দিয়ে আমাদের গ্রাম অনেক উন্নত।পঞ্চায়েত রাস্তার মাধ্যমে গ্রামটি পাশের জাতীয় সড়কের সাথে যুক্ত। গ্রামের প্রধান সড়কগুলি পাকা এবং প্রশস্ত । তাই জেলার মহকুমার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্তা খুব ই সুন্দর । মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। তা ছাড়া সরকারের প্রচেষ্টায় যোগাযোগ ব্যবস্তা সহজ করার জন্য গ্রামের পাশ থেকে সরকারী বাস চালু করা হয়েছে।
উৎপন্ন দ্রব্য : মূলতঃ আমাদের গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ মৎস বিক্রি করে জীবিকা উপার্জন করে। তাছাড়া উৎপন্ন দ্রব্যের মধ্যে ধান, পাট, গম, ডাল, সরিষা, আখ ও পাট ইত্যাদি প্রধান। জমি উর্বর হওয়ার দরুন বিশেষ কোনো আধুনিক টেকনোলজি না থাকা সত্ত্বেও কৃষকেরা ভালো ফসল পেয়ে থাকে।গ্রামের কৃষকরা খুবই পরিশ্রমী বলে জমি কখনোই পতিত ফেলে রাখে না। বছর জুড়ে নানা সময়ে নানা ফসল ফলানো হয় ।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান : আমাদের গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয় ,একটি দাতব্য চিকিৎসালয়, একটি পোস্ট অফিস, একটি ডাকঘর রয়েছে । তাছাড়া সপ্তাহে দুই দিন হাট বাজার বসে । গ্রামবাসীরা এই বাজারে তাদের পণ্য ক্রয় বিক্রয় করে।
গ্রামের আবহাওয়া : আমাদের গ্রামের আবহাওয়া খুব মলিন ও সুন্দর। বিন্দুমাত্র কোনো শব্দদূষণ নেই। তাছাড়া গ্রামের মানুষ নিরীহ ও প্রকৃতি প্রিয়।গরম ঠান্ডা উভয় ঋতুতে গ্রাম ভিন্ন ভিন্ন রূপে পরিণত হয়।
উপসংহার : আমাদের গ্রাম আমাদের জেলার মধ্যে একটি আদর্শ গ্রাম।আমাদের গ্রাম দিন দিন উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ার ফলে সবাই পড়াশুনার দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং অনেক ছেলে মেয়েরা বাহিরে গিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের গ্রামের প্রতি গর্ব অনুভব করি এবং ভালোবাসি।