অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
১। ‘বােঝাপড়া’ কবিতাটি কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
উত্তরঃ ‘বােঝাপড়া’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথের “ক্ষণিকা” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
২। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দুটি গল্পের নাম লেখাে।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দুটি গল্প হল—বলাই , দেনাপাওনা।
৩। ‘মনেরে আজ কহ যে,’—মনকে কী বলতে হবে?
উত্তরঃ নকে বলতে হবে—ভালােমন্দ যাহাই আসুক/সত্যেরে লও সহজে।
৪। ‘এলে সুখের বন্দরেতে,’—কীভাবে এই বন্দরে আসা যায়? ‘
উত্তরঃ অনেক ঝঞা কাটিয়ে সুখের বন্দরে আসা যায়।
৫। ‘সেইখানে হয় জাহাজ-ডুবি।’—কোথায় জাহাজডুবি হয়
উত্তরঃ যেখানে কেউ কোনাে শঙ্কা করেনা, সেখানেই জাহাজডুবি হয়।
৬। মান্ধাতার আমল থেকে/চলে আসছে এমনি রকম’– মান্ধতার আমল’ বলতে কী বােঝাে?
উত্তরঃ মান্ধাতার আমল’ বলতে প্রাচীনকালের কথা বােঝানাে হয়েছে।
বোঝাপড়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর – দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর লেখা ঃ
১। সেইটে সবার চেয়ে শ্রেয়।- কোনটি সবার চেয়ে শ্রেয়?
উত্তরঃ প্রশ্নে উল্লেখিত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত বোঝাপড়া কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। কবি কবিতায় উল্লেখ করেছেন।
ভেসে থাকতে পারাে যদি
সেইটে সবার চেয়ে শ্রেয়।
অর্থাৎ অপ্রত্যাশিত আঘাতে বিচলিত না হয়ে, হতাশ না হয়ে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে অস্তিত্ব রক্ষা করাকেই কবি ‘ভেসে থাকা অর্থে প্রকাশ করেছেন। আর সেই কাজটিই কবি সবচেয়ে শ্রেয় অর্থাৎ ভালাে এমন দাবি জানিয়েছেন।
২। ঘটনা সামান্য খুবই।- কোন ঘটনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বােঝাপড়া’ কবিতা থেকে গৃহীত আলােচ্য অংশে কবি অপ্রত্যাশিত আঘাতের ঘটনাকেই সামান্য বলে উল্লেখ করেছেন। কোনােরকম উদবিগ্ন হওয়ার কারণ যেখানে থাকে না সেখানেই আচমকা জাহাজডুবির মতাে বিপদ ঘটে যায়। সেই বিপদে বিচলিত না হয়ে জীবনের স্বাভাবিকতায় এগিয়ে চলাই কবির মতে কাঙ্ক্ষিত।
৩। ‘তেমন করে হাত বাড়ালে, সুখ পাওয়া যায় অনেকখানি।’— উদ্ধৃতিটির নিহিতার্থ স্পষ্ট করাে?
উত্তরঃ উল্লিখিত অংশটুকু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোঝাপড়া কবিতার অন্তর্গত।
কবি এখানে বলতে চাইছেন যে, আমরা যদি আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ, দ্বন্দ্ব না রেখে একে অপরের সাথে ভ্রাতৃসুলভ, বন্ধুসুলভ আচার-আচরণ রাখি তাহলে সেই বিষয়টি অনেক সুখের।
অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ বলতে চাইছেন যে মানুষের মধ্যে মনোমালিন্য, ভেদাভেদ থাকাটা স্বাভাবিক কিন্তু তা নিয়ে অযথা বাড়াবাড়ি ঠিক নয়। বরং মতভেদ, ঈর্ষা, হিংসা ইত্যাদি ছেড়ে দিয়ে শ্রদ্ধার সহিত একে অপরের সহিত মিলেমিশে থাকাই উত্তম। তাতে করে মনে শান্তি আসে এবং অনেক সুখ পাওয়া যায়।-
৪। মরণ এলে হঠাৎ দেখি, মরার চেয়ে বাঁচাই ভালো।-ব্যাখ্যা করাে।
উত্তরঃ প্রশ্নোক্ত উদ্ধৃতিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বােঝাপড়া’ নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
মানবজীবন সুখ-দুঃখ, ভালােমন্দের বৈপরীত্যে পূর্ণ। আমাদের চলার পথে তাই যেমন সুখের আনন্দ আসে তেমনই হঠাৎ আসা দুঃখের কঠিন আঘাত আমাদের জীর্ণ করে।
চরম মুহূর্তে জীবনের মাধুর্যকে আমরা উপলব্ধি করি। সেই বিপদ থেকে পরিত্রাণ পেয়ে আমরা শেষপর্যন্ত জীবনকেই চিরকালের জন্য প্রত্যাশা করি। উদ্ধৃত অংশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনের এই শাশ্বত মহিমাকেই ব্যঞ্জিত করেছেন।
Leave a comment