আমাদের জীবনে জলের গুরুত্ব: 1. জল আমাদের এবং সমস্ত জীব জগতের বিভিন্ন প্রকার শারীরিক ও অন্যান্য কার্যক্রমকে সচল রাখে। 2. জল আমাদের শরীরের কোষকে আর্দ্র এবং জীবিত রাখে। 3. জল আমাদের শরীরের তরল পদার্থের গতিশীলতা বজায় রাখে। 4. জল আমাদের কঠিন খাদ্য উপাদানকে আর্দ্র করে এবং হজমের আংশিকভাবে উপযােগী করে তােলেRead more
আমাদের জীবনে জলের গুরুত্ব:
1. জল আমাদের এবং সমস্ত জীব জগতের বিভিন্ন প্রকার শারীরিক ও অন্যান্য কার্যক্রমকে সচল
রাখে।
2. জল আমাদের শরীরের কোষকে আর্দ্র এবং জীবিত রাখে।
3. জল আমাদের শরীরের তরল পদার্থের গতিশীলতা বজায় রাখে।
4. জল আমাদের কঠিন খাদ্য উপাদানকে আর্দ্র করে এবং হজমের আংশিকভাবে উপযােগী করে তােলে।
5. জল আমাদের শরীরকে শীতল রাখে।
6. জল আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য সােডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতাে বিভিন্ন অত্যাবশ্যক লবণকে দ্রবীভূত করে ও সেগুলি জীবন্ত কোষের মধ্যে প্রবেশ করতে সাহায্য করে।
7. আমাদের শরীরের অবাঞ্ছিত পদার্থ জলের মাধ্যমে নিষ্কাশিত হয়ে যায়। মাটি থেকে আবশ্যিক লবণ এবং খনিজ উপাদান জলের সাহায্যে উদ্ভিদের পাতায় পৌঁছােয়।
8. জল ছাড়া উদ্ভিদ তাদের নিজের খাদ্য তৈরি করতে পারে না। প্রস্তুত খাদ্য আবার জলের মাধ্যমেই উদ্ভিদের দেহে ছড়িয়ে যায়।
রক্তে platelet এর কাজ: 1. প্লাটেলেটস বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উৎস হিসাবে কাজ করে। 2. স্তন্যপায়ীদের দেহে এরা সংবাহিত হয় এবং রক্ততঞ্চনে অর্থাৎ ক্ষতস্থানের রক্ত জমাট বাঁধায় নিয়োজিত থাকে। 3. অণুচক্রিকা সূতার আঁশের ন্যায় রক্তকে জমাট বাঁধায় সাহায্য করে। 4. অণুচক্রিকা বিভিন্ন বৃদ্ধিবর্ধক উপাদান উৎপন্ন করে যেRead more
রক্তে platelet এর কাজ:
1. প্লাটেলেটস বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উৎস হিসাবে কাজ করে।
2. স্তন্যপায়ীদের দেহে এরা সংবাহিত হয় এবং রক্ততঞ্চনে অর্থাৎ ক্ষতস্থানের রক্ত জমাট বাঁধায় নিয়োজিত থাকে।
3. অণুচক্রিকা সূতার আঁশের ন্যায় রক্তকে জমাট বাঁধায় সাহায্য করে।
4. অণুচক্রিকা বিভিন্ন বৃদ্ধিবর্ধক উপাদান উৎপন্ন করে যেমন প্লেটলেট-ডেপরাইভড্ গ্রোথ ফ্যাক্টর (পিডিজিএফ), এ পটেন্ট কেমোট্যাক্টিক এজেন্ট এবং টিজিএফ বেটা যা অতিরিক্ত কোষীয় মাতৃকাকে তরান্বিত করে।
5. উভয় বৃদ্ধিবর্ধক উপাদান সংযোজক কলার পুনর্গঠন এবং পুনঃনির্মানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তোমার চোখ এত লাল কেন নির্মলেন্দু গুণ আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক, শুধু ঘরের ভিতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য। বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত। আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই কেউ আমাকে খেতে দিক।আমি হাতপাখা নিয়ে কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি নাRead more
তোমার চোখ এত লাল কেন
নির্মলেন্দু গুণ
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,
শুধু ঘরের ভিতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য।
বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত।
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ আমাকে খেতে দিক।আমি হাতপাখা নিয়ে
কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি না,
আমি জানি, এই ইলেক্ট্রিকের যুগ
নারীকে মুক্তি দিয়েছে স্বামী-সেবার দায় থেকে।
আমি চাই কেউ একজন আমাকে জিজ্ঞেস করুক:
আমার জল লাগবে কিনা, নুন লাগবে কিনা।
পাটশাক ভাজার সঙ্গে আরও একটা
তেলে ভাজা শুকনো মরিচ লাগবে কি না।
এঁটো বাসন গেজ্ঞি-রুমাল আমি নিজেই ধুতে পারি।
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন ভিতর থেকে আমার ঘরের দরোজা
খুলে দিক।কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক।
কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে
জিজ্ঞেস করুক: ’তোমার চোখ এত লাল কেন?’
Poem
Tomar chokh eto lal keno
Nirmalendu Goon
Ami bolchi na valobashtei hobe, ami chai
keu ekjon amar jonno opekkha karuk,
Sudhu ghorer vitor theke dorja khule debar jonno
Baire theke dorja khulte khulte ami ekhon klanto
Ami bolchi na valobashtei hobe, ami chai
Keu amake khete dik. ami hathpakha niye
Kauke amar pashe thakte bolchi na,
Ami jani, ei electric er jug
Narike mukti diyeche shami sebar day theke
Ami chai keu ekjon amake jiggesh koruk:
Amar jol lagbe ki na, nun lagbe ki na.
Patshak vajar shonge aro ekta
Tele bhaja shukno morich lagbe ki na
Eto bashon genji romal ami nijei dhute pari
Ami bolchi na valobashtei hobe, ami chai
Keu ekjon vitor theke amar ghorer dorja khule dik
Keu amake kichu khete boluk
Kam-bashonar shongi na houk, keu antoto amake
Jiggesh koruk: Tomar chokh ato lal keno?
শুধু তোমার জন্য নির্মলেন্দু গুণ কতবার যে আমি তোমোকে স্পর্শ করতে গিয়ে গুটিয়ে নিয়েছি হাত-সে কথা ঈশ্বর জানেন। তোমাকে ভালোবাসার কথা বলতে গিয়েও কতবার যে আমি সে কথা বলিনি সে কথা আমার ঈশ্বর জানেন। তোমার হাতের মৃদু কড়ানাড়ার শব্দ শুনে জেগে উঠবার জন্য দরোজার সঙ্গে চুম্বকের মতো আমি গেঁথে রেখেছিলাম আমার কর্ণযুগRead more
শুধু তোমার জন্য
নির্মলেন্দু গুণ
কতবার যে আমি তোমোকে স্পর্শ করতে গিয়ে
গুটিয়ে নিয়েছি হাত-সে কথা ঈশ্বর জানেন।
তোমাকে ভালোবাসার কথা বলতে গিয়েও
কতবার যে আমি সে কথা বলিনি
সে কথা আমার ঈশ্বর জানেন।
তোমার হাতের মৃদু কড়ানাড়ার শব্দ শুনে জেগে উঠবার জন্য
দরোজার সঙ্গে চুম্বকের মতো আমি গেঁথে রেখেছিলাম
আমার কর্ণযুগল; তুমি এসে আমাকে ডেকে বলবেঃ
‘এই ওঠো,
আমি, আ…মি…।‘
আর অমি এ-কী শুনলাম
এমত উল্লাসে নিজেকে নিক্ষেপ করবো তোমার উদ্দেশ্যে
কতবার যে এরকম একটি দৃশ্যের কথা আমি মনে মনে
কল্পনা করেছি, সে-কথা আমার ঈশ্বর জানেন।
আমার চুল পেকেছে তোমার জন্য,
আমার গায়ে জ্বর এসেছে তোমার জন্য,
আমার ঈশ্বর জানেন- আমার মৃত্যু হবে তোমার জন্য।
তারপর অনেকদিন পর একদিন তুমিও জানবে,
আমি জন্মেছিলাম তোমার জন্য। শুধু তোমার জন্য।
Sudhu Tomar Jonno
Nirmalendu Goon
Kotobar je ami tomake sporsho korte giye
Gutiye niyechi hath-se kotha isshor janen
Tomake bhalobashar kotha bolte giyeo
Kotobar je ami se kotha bolini
Se kotha amar isshor janen
Tumar hater mridu kora narar shobdo shune jege uthbar jonno
Dorjar shonge chumboker moto ami gethe rekhechilam
Amar kornojugol; tumi eshe amake deke bolbe:
Ei utho,
Ami Aa..mi..!
Ar ami ki shunlam
Emot ullashe nijeke nikkhep korbo tumar uddeshe
Kotobar je erokom ekti drisher kotha ami mone mone
kolpona koerchi, se kotha amar isshor janen
Amar chul pekeche tumar jonno,
Amar gaye jor eseche tumar jonno
Amar isshor janen- Amar mrityo hobe tomar jonno
Tarpor onekdin por ekdin tumi o janbe,
Ami jonmechilam Tomar jonno. Sudhu tomar jonno
বোধ জীবনানন্দ দাশ আলো –অন্ধকারে যাই- মাথার ভিতরে স্বপ্ন নয়,- কোন এক বোধ কাজ করে ! স্বপ্ন নয়- শান্তি নয়-ভালোবাসা নয়, হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়! আমি তারে পারি না এড়াতে, সে আমার হাত রাখে হাতে; সব কাজ তুচ্ছ হয়,-পণ্ড মনে হয়, সব চিন্তা – প্রার্থনায় সকল সময় শূন্য মনে হয়, শূন্য মনে হয় ! সহজ লোকের মতো কে চলRead more
বোধ
জীবনানন্দ দাশ
আলো –অন্ধকারে যাই- মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয়,- কোন এক বোধ কাজ করে !
স্বপ্ন নয়- শান্তি নয়-ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়!
আমি তারে পারি না এড়াতে,
সে আমার হাত রাখে হাতে;
সব কাজ তুচ্ছ হয়,-পণ্ড মনে হয়,
সব চিন্তা – প্রার্থনায় সকল সময়
শূন্য মনে হয়,
শূন্য মনে হয় !
সহজ লোকের মতো কে চলিতে পারে!
কে থামিতে পারে এই আলোয় আঁধারে
সহজ লোকের মতো !তাদের মতন ভাষা কথা
কে বলিতে পারে আর!- কোনো নিশয়তা
কে জানিতে পারে আর? – শরীরের স্বাদ
কে বুঝিতে চায় আর?- প্রাণের আহ্লাদ
সকল লোকের মতো কে পাবে আবার!
সকল লোকের মতো বীজ বুনে আর
স্বাদ কই!- ফসলের আকাঙ্ক্ষায় থেকে ,
শরীরে মাটির গন্ধ মেখে,
শরীরে জলের গন্ধ মেখে,
উৎসাহে আলোর দিকে চেয়ে
চাষার মতন প্রাণ পেয়ে
কে আর রহিবে জেগে পৃথিবীর’পরে ?
স্বপ্ন নয়,- শান্তি নয়,- কোন এক বোধ কাজ করে
মাথার ভিতরে!
পথে চ’লে পারে- পারাপারে
উপেক্ষা করিতে চাই তারে;
মড়ার খুলির মতো ধ’রে
আছাড় মারিতে চাই, জীবন্ত মাথার মতো ঘোরে
তবু সে মাথার চারিপাশে!
তবু সে চোখের চারিপাশে!
তবু সে বুকের চারিপাশে !
আমি চলি, সাথে সাথে সেও চলে আসে !
আমি থামি,-
সে-ও থেমে যায় ;
সকল লোকের মাঝে ব’সে
আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা?
আমার চোখেই শুধু ধাঁধাঁ ?
আমার পথেই শুধু বাধা?
জন্মিয়াছে যারা এই পৃথিবীতে
সন্তানের মতো হয়ে,-
সন্তানের জন্ম দিতে দিতে
যাহাদের কেটে গেছে অনেক সময়,
কিংবা আজ সন্তানের জন্ম দিতে হয়
যাহাদের; কিংবা যারা পৃথিবীর বীজক্ষেতে আসিতেছে চ’লে
জন্ম দেবে-জন্ম দেবে ব’লে
তাদের হৃদয় আর মাথার মতন
আমার হৃদয় না কি?- তাহাদের মন
আমার মনের মতো না কি ?-
তবু কেন এমন একাকী ?
তবু আমি এমন একাকী !
হাতে তুলে দেখিনি কি চাষার লাঙল ?
বালটিতে টানিনি কি জল ?
কাস্তে হাতে কতবার যাইনি কি মাঠে ?
মেছোদের মতো আমি কত নদী ঘাটে
ঘুরিয়াছি ;
পুকুরের পানা শ্যালা- আঁশটে গায়ের ঘ্রাণ গায়ে
গিয়েছে জড়ায়ে ;
-এইসব স্বাদ ;
-এসব পেয়েছি আমি; – বাতাসের মতন অবাধ
বয়েছে জীবন ,
নক্ষত্রের তলে শুয়ে ঘুমায়েছে মন
একদিন;
এইসব সাধ
জানিয়াছি একদিন ,- অবাধ- অগাধ;
চ’লে গেছি ইহাদের ছেড়ে ;-
ভালোবেসে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে ,
অবহেলা ক’রে আমি দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে ,
ঘৃণা ক’রে দেখিয়াছে মেয়েমানুষেরে ;
আমারে সে ভালোবাসিয়াছে,
আসিয়াছে কাছে ,
উপেক্ষা সে করেছে আমারে ,
ঘৃণা ক’রে চ’লে গেছে- যখন ডেকেছি বারে-বারে
ভালোবেসে তারে ;
তবুও সাধনা ছিল একদিন ,-এই ভালোবাসা ;
আমি তার উপেক্ষার ভাষা
আমি তার ঘৃণার আক্রোশ
অবহেলা ক’রে গেছি ; যে নক্ষত্র – নক্ষত্রের দোষ
আমার প্রেমের পথে বার-বার দিয়ে গেছে বাধা
আমি তা ভুলিয়া গেছি ;
তবু এই ভালোবাসা – ধুলো আর কাদা – ।
মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয় – প্রেম নয় – কোনো এক বোধ কাজ করে ।
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চ’লে আসি ,
বলি আমি এই হৃদয়েরে :
সে কেন জলের মতো ঘুরে ঘুরে একা কথা কয় !
অবসাদ নাই তার ? নাই তার শান্তির সময় ?
কোনোদিন ঘুমাবে না ? ধীরে শুয়ে থাকিবার স্বাদ
পাবে না কি ? পাবে না আহ্লাদ
মানুষের মুখ দেখে কোনোদিন!
মানুষীর মুখ দেখে কোনোদিন!
শিশুদের মুখ দেখে কোনোদিন!
এই বোধ – শুধু এই স্বাদ
পায় সে কি অগাধ – অগাধ !
পৃথিবীর পথ ছেড়ে আকাশের নক্ষত্রের পথ
চায় না সে ? – করেছে শপথ
দেখিবে সে মানুষের মুখ ?
দেখিবে সে মানুষীর মুখ ?
দেখিবে সে শিশুদের মুখ ?
চোখে কালোশিরার অসুখ ,
কানে যেঁই বধিরতা আছে ,
যে কুজ – গলগণ্ড মাংসে ফলিয়াছে
নষ্ট শসা – পচা চালকুমড়ার ছাঁচে ,
যে সব হৃদয় ফলিয়াছে
-সেই সব ।
Bodh
Jibananda Das
Alo-ondhokare jai-mathar vitore
Shopno noy, Kono ek bodh kaj kore
Shonp noy- Shanti noy-bhalobasha noy,
Hridoyer maje ek bodh jonmo loy
Ami tare pari na erate
Se amar khe hath
sob kaj tuccho hoy, poshu mone hoy,
Sob chinta-prarthonar shokol shomoy
shunyo mone hoy
shunyo mone hoy
Sohoj loker moto ke cholite pare
Ke thamite pare ei alor adhare
Sohoj loker moto! tader moton bhasha kotha
Ke bolite pare ar! Kono nishchoyota
Ke janite pare ar? Sorirer shad
Ke bujite chay ar? praner allad
Sokol loker moto ke pabe abar
Sokol loker moto bij bune ar
Shad koi! fosholer akankay theke
Sorire matir gondho mekhe
Sorire joler jondho mekhe
Utsaho alor dike cheye
Chashar moton pran peye
Ke ar rohibe jege prithibir pore?
Shonp noy- Shanti noy, kono ek bodh kaj kore
Mathr vitore.
Pothe chole pare- parapare
Upekkha korite chai tare
Morar khulir moto dhore
Achar marite chai, Jibonto mathar moto ghore
Tabu she mathar charipashe!
Tabu she chokher charipashe!
Tabu she buker charipashe!
Ami choli, sathe sathe she o chole ashe!
Ami thami,
She o theme jay;
আমার কিছু স্বপ্ন ছিল নির্মলেন্দু গুণ আমার কিছু স্বপ্ন ছিল, আমার কিছু প্রাপ্য ছিল, একখানা ঘর সবার মতো আপন করে পাবার, একখানা ঘর বিবাহিত, স্বপ্ন ছিল রোজ সকালে একমুঠো ভাত লঙ্কা মেখে খাবার। সামনে বাগান, উঠোন চাইনি, চেয়েছিলাম একজোড়া হাঁস, একজোড়া চোখ অপেক্ষমাণ এই তো আমি চেয়েছিলাম। স্বপ্ন ছিল স্বাধীনতার, আরRead more
আমার কিছু স্বপ্ন ছিল
নির্মলেন্দু গুণ
আমার কিছু স্বপ্ন ছিল, আমার কিছু প্রাপ্য ছিল,
একখানা ঘর সবার মতো আপন করে পাবার,
একখানা ঘর বিবাহিত, স্বপ্ন ছিল রোজ সকালে
একমুঠো ভাত লঙ্কা মেখে খাবার।
সামনে বাগান, উঠোন চাইনি, চেয়েছিলাম
একজোড়া হাঁস, একজোড়া চোখ অপেক্ষমাণ
এই তো আমি চেয়েছিলাম।
স্বপ্ন ছিল স্বাধীনতার, আর কিছু নয়,
তোমায় শুধু অনঙ্গ বউ ডাকার।
চেয়েছিলাম একখানি মুখ আলিঙ্গনে রাখার।
অনঙ্গ বউ, অনঙ্গ বউ, এক জোড়া হাঁস,
এক জোড়া চোখ, কোথায়? তুমি কোথায়?
অসমাপ্ত নির্মলেন্দু গুন মাননীয় সভাপতি ….। সভাপতি কে? কে সভাপতি? ক্ষমা করবেন সভাপতি সাহেব, আপনাকে আমি সভাপতি মানি না। তবে কি রবীন্দ্রনাথ? সুভাষচন্দ্র বসু? হিটলার? মাও সে তুং? না, কেউ না, আমি কাউকে মানি না, আমি নিজে সভাপতি এই মহতী সভার। মাউথপিস আমার হাতে এখন, আমি যা বলবো আপনারা তাই শুনবেন। উপস্থিত সুধRead more
অসমাপ্ত
নির্মলেন্দু গুন
মাননীয় সভাপতি ….। সভাপতি কে? কে সভাপতি?
ক্ষমা করবেন সভাপতি সাহেব,
আপনাকে আমি সভাপতি মানি না।
তবে কি রবীন্দ্রনাথ? সুভাষচন্দ্র বসু? হিটলার?
মাও সে তুং? না, কেউ না, আমি কাউকে মানি না,
আমি নিজে সভাপতি এই মহতী সভার।
মাউথপিস আমার হাতে এখন, আমি যা বলবো
আপনারা তাই শুনবেন।
উপস্থিত সুধীবৃন্দ, আমার সংগ্রামী বোনেরা,
(একজন অবশ্য আমার প্রেমিকা এখানে আছেন)
আমি আজ আপনাদের কাছে কিছু বলতে চাই।
আপনারা জানেন, আমি কবি,
রবীন্দ্রনাথ, শেক্সপীয়ার, এলিয়েটের মতোই
আমিও কবিতা লিখি এবং মূলত কবি,
কবিতা আমার নেশা, পেশা ও প্রতিশোধ গ্রহণের
হিরুময় হাতিয়ার! আমি কবি, কবি এবগ কবিই।
কিন্তু আমি আর কবিতা লিখবো না ।
পল্টনের ভরা সমাবেশে আমি ঘোষণা করছি,
আমি আর কবিতা লিখবো না।
তবে কি রাজনীতি করবো? কান্ট্রাক্টারঃ
পুস্তক ব্যবসায়ী ও প্রকাশক?
পত্রিকার সাব-এডিটর?
নীলক্ষেত কলাভবনের খাতায় হাজিরা?
বেশ্যার দালাল?
ফ্রী স্কুল স্ট্রীটে তেল-নুন-ডালের দোকান?
রাজমিস্ত্রি? মোটর ড্রাইভিং? স্মাগলিং?
আন্ডারডেভেলপমেন্ট স্কুলে শিক্ষকতা?
নাকি সবাইকে ব্যঙ্গ করে, বিনয়ের সব চিহ্ন-সূত্র
ছিঁরে-খুঁড়ে প্রতিণ্ঠিত বুড়ো, বদ-কবিদের
চোখ-নাকে-মুখে কিংস্টর্কের কড়া ধোঁয়া ছুঁড়ে দেব?
-অর্থাৎ অপমান করবো বৃদ্ধদের?
আপনারা কেউ বেশ্যাপাড়ায় ভুলেও যাবেন না,
এরকম প্রতিশ্রুতি দিলে বেশ্যার দালাল হতে পারি,
রসোন্মত্ত যৌবন অবধি-, একা-একা।
আমার বক্তব্য স্পট, আমার বিপক্ষে গেলেই
তথাকথিত রাজনীতিবিদ, গাড়ল বুদ্ধিজীবি,
অশিক্ষিত বিজ্ঞানী, দশতলা বাড়িওয়ালা ধনী-ব্যবসায়ী
সাহিত্য-পত্রিকার জঘন্য সম্পাদক, অতিরিক্ত জনসমাবেশে
আমি ফুঁ দিয়ে তুলোর মতো উড়িয়ে দেবো।
আপনারা আমার সঙ্গে নদী যেমন জলের সঙ্গে
সহযোগিতা করে, তেমনি সহযোগিতা করবেন,
অন্যথায় আমি আমার ঘিরা পাঞ্জাবির গভীর পকেটে
আমার প্রেমিকা এবং ‘আ মরি বাংলা ভাষা’ ছাড়া
অনায়েসে পল্টনের ভরাট ময়দান তুলে নেবো।
ভাইসব, চেয়ে দেখুন বাঙলার ভাগ্যাকাশে
আজ দুর্যোগের ঘনঘটা, সুনন্দার চোখে জল,
একজন প্রেমিকার খোজে আবুল হাসান
কী নিঃসঙ্গ ব্যাথায় কাঁপে রাত্রে, ভাঙে সূর্য,
ইপিআরটিসি’র বাস, লেখক সংঘের জানালা
প্রেসট্রাস্টের সিঁড়ি, রাজীয়ার বাল্যকালীন প্রেম।
আপনারা কিছুই বোঝেন না, শুধু বিকেল তিনটা এলেই
পল্টনের মাঠে জমায়েত, হাততালি, জিন্দাবাদ,
রক্ত চাই ধ্বনি দিয়ে একুশের জঘন্য সংকলন,
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কিনে নেন।
আমি শেষবারের মত বলছি
আপনারা যার-যার ঘরে, পরনে ঢাকাই শাড়ি
কপালে- সিঁদুরে ফিরে যান। আমি এখন অপ্রকৃতিস্থ
পূর্ব বাঙলার অন্যতম ভীষণ মাতাল বক্তা একজন,
ফুঁ দিয়ে নেভাবো আগুন, উন্মাদ শহর,
আপনাদের অশ্লীল-গ্রাম্য-অসভ্য সমাবেশে,
লালসালু ঘেরা স্টেজ, মাউথ অর্গান, ডিআইটি,
গল স্টেডিয়াম, এমসিসি’র খেলা,
ফল অফ দি রোমান এ্যাম্পায়ারের নগ্ন পোষ্টার।
এখন আমার হাতে কার্যরত নীল মাইক্রোফোন
উত্তেজিত এবং উন্মাদ।
শ্রদ্ধেয় সমাবেশ, আমি আমার সাংকেতিক
ভয়াবহ সান্ধ্য আইনের সাইরেন বাজাবার সঙ্গে সঙ্গে
মাধবীর সারা মাঠ খালি করে দেবেন।
আমি বড় ইনসিকিওরড, যুবতী মাধবী নিয়ে
ফাঁকা পথে ফিরে যেতে চাই ঘরে,
ব্যক্তিগত গ্রামে, কাশবনে।
আমি আপনাদের নির্বাচিত নেতা।
আমার সঙ্গে অনেক টাকা, জিন্নাহর কোটি কোটি
মাথা; আমি গণভোটে নির্বাচিত বিনয় বিশ্বাস,
রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর, অথচ আমার কোনো
সিকিউরিটি নেই, একজন বডিগার্ড নেই,
সশস্ত্র হামলায় যদি টাকা কেড়ে নেয় কেউ
-আমি কী করে হিসেব দেবো জনতাকে?
স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি হলে কন্যার কাঁকন যাবে খোয়া,
আপনার আমার সকলের ক্ষতি হবে,
সোনার হাতে সোনার কাঁকন আর উঠবে না।
আপনার ভাবেন, আমি খুব সেখেই আছি
কিন্তু বিশ্বেস করুন, হে পল্টন,
মাঘী পূর্ণিমার রাত থেকে ফাল্গুনের পয়লা অবধি
কী ভীষণ দুর্বিষহ আগুন জ্বলছে আমার দুখের দাড়িতে,
উষ্কখুক চুলে, মেরুদণ্ডের হাড়ে, নয়টি আঙুলে,
কোমরে, তালুতে, পাজামার গিঁটে, চোখের সকেটে।
দেখেছি তো কাম্যবস্তু স্বাধীনতা, প্রেমিকা ও গ্ণভোট
হাতে পেয়ে গেল নির্জন হীরার আগুনে
পুলিশের জীপ আর টায়ারের মতো পুড়ে-পুরে যাই,
অমর্যাদা করি তাকে যাকে চেয়ে ভেঙেছি প্রসাদ,
নদী, রাজমিস্ত্রী এবং গোলাপ।
আমি স্বাধীনতা পেয়ে গেলে পরাধীন হতে ভালোবাসি।
প্রেম এসে যাযাবর কন্ঠে চুমু খেলে মনে হয় বিরহের
স্মৃতিচারণের মতো সুখ কিছুই নেই।
বাক-স্বাধীনতা পেলে আমি শুধু প্রেম, রমণী, যৌনতা
ও জীবনের অশ্লীলতার কথা বলি।
আমি কিছুতেই বুঝিনা, আপনারা তবু কোন বিশ্বাসে
বাঙলার মানুষের ভবিষ্যৎ আমার স্কন্ধ চাপিয়ে দিলেন।
আপনারা কী চান?
ডাল-ভাত-নুন?
ঘর-জমি-বউ?
রূপ-রস-ফুল?
স্বাধীনতা?
রেফ্রিজারেটর?
ব্যাংক-বীমা-জুয়া?
স্বায়ত্তশাসন?
সমাজতন্ত্র?
আমি কিছুই পারি না দিতে,আমি শুধু কবিতার
অনেক স্তবক, অবাসস্ত অন্ন বস্ত্র বীমাহীন জীবন বুকে
ফুক এনে দিতে পারি সকলের হাতে।
আমি স্বাভাবিক সুস্থ সৌভাগ্যের মুখে থুথু দিয়ে
অস্বভাবিক অসুস্থ শ্রীমতী জীবন বুকে নিয়ে
কী করে কাটাতে হয় অরণ্যের ঝ্রের রাত্রিকে
তার শিক্ষা দিতে পারি। আমি রিজার্ভ ব্যাংকের
সবগুলো টাকা আপনাদের দিয়ে দিতে পারি,
কিন্তু আপনারাই বলুন অর্থ কি বিনিময়ের মাধ্যম?
জীবন কিংবা মৃত্যুর? প্রেম কিংবা যৌবনের?
অসম্ভব, অর্থ শুধু অনর্থের বিনিময় দিতে পারে।
স্মরণকালের বৃহত্তম সভায় আজ আমি
সদর্পে ঘোষণা করছি, হে বোকা জমায়েত,
পল্টনের মাঠে আর কোনোদিন সভাই হবে না,
আজকেই শেষ সভা, শেষ সমাবেশে শেষ বক্তা আমি।
এখনো বিনয় করে বলছি, সাইরেন বাজাবার সঙ্গে সঙ্গে
আপনারা এই মাঠ খালি করে দেবেন।
এই পল্টনের মাঠে আমার প্রেমিকা ছাড়া
আর যেন কাউকে দেখি না কোনোদিন।
এই সারা মাঠে আমি একা, একজন আমার প্রেমিকা
Mananiya Sabhapati. Sabhapati ke? Ke Sabhapati?
khoma Korben sabhapati Saheb,
Ami Apnakei sabhapati mane na
Toba ki Rabindranath? Subhash Chandra Bose? Hitler?
Mau Se Tung? Na keu na, ami kauke mani na
Ami nije Sabhapati ei mahati shovar
Mouthpiece Amar Hate ekhon, Ami Ja Bolbo
Aapnara tai Sunben.
Upsthit shudhiibrindho amar sangrami bonera
Ekjon oboshyo amar premika ekhane aachen
Ami aaj apnader kache kichu bolte chai
Apnara janen, ami kobi,
Rabindranath, Shakespere, Eliot er motoi
Amio kobita likhi ebong muloto kobi
Kobita amar nesha, pesha, o protishod grohoner
Hironmoy hatiyar! Ami kobi, kobi ebong kobi-e
এনক্রিপশনঃ এনক্রিপশন হ'ল এমন একটি তথ্যের রূপান্তকরন প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে তথ্যগুলি অননুমোদিত (unauthorized) ব্যবহারকারীদের কাছে অপঠনযোগ্য করে তুলা হয়। অর্থাৎ কোন একটি ডিজিটাল কন্টেন্ট যেমনঃ টেক্সট বা ছবিকে বিশেষ একটি ভাষায় রূপান্তর করা হয় যাহাতে অনুমোদিত (Authorized) ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ তথ্যগুলRead more
এনক্রিপশনঃ
এনক্রিপশন হ’ল এমন একটি তথ্যের রূপান্তকরন প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে তথ্যগুলি অননুমোদিত (unauthorized) ব্যবহারকারীদের কাছে অপঠনযোগ্য করে তুলা হয়। অর্থাৎ কোন একটি ডিজিটাল কন্টেন্ট যেমনঃ টেক্সট বা ছবিকে বিশেষ একটি ভাষায় রূপান্তর করা হয় যাহাতে অনুমোদিত (Authorized) ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ তথ্যগুলি পড়তে ও বুঝতে না পারে।
এনক্রিপশন এর মূল কাজটি হলো কোন একটি সাধারণ টেক্সটকে সাইফার টেক্সট এ পরিবর্তন করা যাহাতে তথ্যগুলি কোন অপব্যবহার না হয়।
যেমন আমরা যখন হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ফেইসবুকে একে ওপরের সঙ্গে চ্যাট করি বা ডেটা আদান প্রদান করি সেগুলি এনক্রিপটেড করা থাকে যাহাতে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি এই চ্যাটগুলি পড়তে ও বুঝতে না পারে।
দশটি দিকের নাম কি? 10 direction name in Bengali?
Hridoy
দশটি দিকের নাম : প্রধান চারিটি দিক ১। পূর্ব- East, ২। পশ্চিম- West, ৩। উত্তর- North, ৪। দক্ষিণ- South, অতিরিক্ত বা সংযোজিত ছয়টি দিক- ৫। ঈশাণ বা উত্তর-পূর্ব - North-East, ৬। অগ্নি বা দক্ষিণ-পূর্ব - South-East, ৭। নৈঋত বা দক্ষিণ-পশ্চিম - South-West, ৮। বায়ু বা উত্তর-পশ্চিম - North-West, ৯। উর্দ্Read more
দশটি দিকের নাম :
প্রধান চারিটি দিক
১। পূর্ব- East,
২। পশ্চিম- West,
৩। উত্তর- North,
৪। দক্ষিণ- South,
অতিরিক্ত বা সংযোজিত ছয়টি দিক-
See less৫। ঈশাণ বা উত্তর-পূর্ব – North-East,
৬। অগ্নি বা দক্ষিণ-পূর্ব – South-East,
৭। নৈঋত বা দক্ষিণ-পশ্চিম – South-West,
৮। বায়ু বা উত্তর-পশ্চিম – North-West,
৯। উর্দ্ধ বা আকাশ – Upward,
১০। অধঃ বা পাতাল – Downward.
মানব জীবনে জলের গুরুত্ব বর্ণনা কর?
Hridoy
আমাদের জীবনে জলের গুরুত্ব: 1. জল আমাদের এবং সমস্ত জীব জগতের বিভিন্ন প্রকার শারীরিক ও অন্যান্য কার্যক্রমকে সচল রাখে। 2. জল আমাদের শরীরের কোষকে আর্দ্র এবং জীবিত রাখে। 3. জল আমাদের শরীরের তরল পদার্থের গতিশীলতা বজায় রাখে। 4. জল আমাদের কঠিন খাদ্য উপাদানকে আর্দ্র করে এবং হজমের আংশিকভাবে উপযােগী করে তােলেRead more
আমাদের জীবনে জলের গুরুত্ব:
1. জল আমাদের এবং সমস্ত জীব জগতের বিভিন্ন প্রকার শারীরিক ও অন্যান্য কার্যক্রমকে সচল
রাখে।
2. জল আমাদের শরীরের কোষকে আর্দ্র এবং জীবিত রাখে।
3. জল আমাদের শরীরের তরল পদার্থের গতিশীলতা বজায় রাখে।
4. জল আমাদের কঠিন খাদ্য উপাদানকে আর্দ্র করে এবং হজমের আংশিকভাবে উপযােগী করে তােলে।
5. জল আমাদের শরীরকে শীতল রাখে।
6. জল আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য সােডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতাে বিভিন্ন অত্যাবশ্যক লবণকে দ্রবীভূত করে ও সেগুলি জীবন্ত কোষের মধ্যে প্রবেশ করতে সাহায্য করে।
7. আমাদের শরীরের অবাঞ্ছিত পদার্থ জলের মাধ্যমে নিষ্কাশিত হয়ে যায়। মাটি থেকে আবশ্যিক লবণ এবং খনিজ উপাদান জলের সাহায্যে উদ্ভিদের পাতায় পৌঁছােয়।
8. জল ছাড়া উদ্ভিদ তাদের নিজের খাদ্য তৈরি করতে পারে না। প্রস্তুত খাদ্য আবার জলের মাধ্যমেই উদ্ভিদের দেহে ছড়িয়ে যায়।
See lessরক্তে platelet এর কাজ কি?
Hridoy
রক্তে platelet এর কাজ: 1. প্লাটেলেটস বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উৎস হিসাবে কাজ করে। 2. স্তন্যপায়ীদের দেহে এরা সংবাহিত হয় এবং রক্ততঞ্চনে অর্থাৎ ক্ষতস্থানের রক্ত জমাট বাঁধায় নিয়োজিত থাকে। 3. অণুচক্রিকা সূতার আঁশের ন্যায় রক্তকে জমাট বাঁধায় সাহায্য করে। 4. অণুচক্রিকা বিভিন্ন বৃদ্ধিবর্ধক উপাদান উৎপন্ন করে যেRead more
রক্তে platelet এর কাজ:
1. প্লাটেলেটস বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উৎস হিসাবে কাজ করে।
2. স্তন্যপায়ীদের দেহে এরা সংবাহিত হয় এবং রক্ততঞ্চনে অর্থাৎ ক্ষতস্থানের রক্ত জমাট বাঁধায় নিয়োজিত থাকে।
3. অণুচক্রিকা সূতার আঁশের ন্যায় রক্তকে জমাট বাঁধায় সাহায্য করে।
4. অণুচক্রিকা বিভিন্ন বৃদ্ধিবর্ধক উপাদান উৎপন্ন করে যেমন প্লেটলেট-ডেপরাইভড্ গ্রোথ ফ্যাক্টর (পিডিজিএফ), এ পটেন্ট কেমোট্যাক্টিক এজেন্ট এবং টিজিএফ বেটা যা অতিরিক্ত কোষীয় মাতৃকাকে তরান্বিত করে।
5. উভয় বৃদ্ধিবর্ধক উপাদান সংযোজক কলার পুনর্গঠন এবং পুনঃনির্মানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
See lessহলোজোয়িক পুষ্টি কি?
Hridoy
হলোজোয়িক পুষ্টি হলোজোয়িক পুষ্টিতে (Holozoic Nutrition) খাদ্যের হজম আহারের পরে হয়ে থাকে । সুতরাং, হজম জীব দেহের অভ্যন্তরে হয়ে থাকে। প্রাণী দেহে হলোজোয়িক পুষ্টি পাঁচটি পর্যায়ে ঘটে, সেগুলি হলঃ ১৷ খাদ্যগ্রহণ [Ingestion], ২৷ খাদ্য পরিপাক [Digestion], ৩৷ শোষণ [Absorption], ৪৷ আত্তীকরণ [Assimilation] এRead more
হলোজোয়িক পুষ্টি
হলোজোয়িক পুষ্টিতে (Holozoic Nutrition) খাদ্যের হজম আহারের পরে হয়ে থাকে । সুতরাং, হজম জীব দেহের অভ্যন্তরে হয়ে থাকে।
প্রাণী দেহে হলোজোয়িক পুষ্টি পাঁচটি পর্যায়ে ঘটে, সেগুলি হলঃ
১৷ খাদ্যগ্রহণ [Ingestion],
See less২৷ খাদ্য পরিপাক [Digestion],
৩৷ শোষণ [Absorption],
৪৷ আত্তীকরণ [Assimilation] এবং
৫৷ বহিষ্করণ [Egestion] ।
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে | Ami bolchi na valobastei hobe kobita lyrics
Hridoy
তোমার চোখ এত লাল কেন নির্মলেন্দু গুণ আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক, শুধু ঘরের ভিতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য। বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত। আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই কেউ আমাকে খেতে দিক।আমি হাতপাখা নিয়ে কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি নাRead more
তোমার চোখ এত লাল কেন
নির্মলেন্দু গুণ
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,
শুধু ঘরের ভিতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য।
বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত।
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ আমাকে খেতে দিক।আমি হাতপাখা নিয়ে
কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি না,
আমি জানি, এই ইলেক্ট্রিকের যুগ
নারীকে মুক্তি দিয়েছে স্বামী-সেবার দায় থেকে।
আমি চাই কেউ একজন আমাকে জিজ্ঞেস করুক:
আমার জল লাগবে কিনা, নুন লাগবে কিনা।
পাটশাক ভাজার সঙ্গে আরও একটা
তেলে ভাজা শুকনো মরিচ লাগবে কি না।
এঁটো বাসন গেজ্ঞি-রুমাল আমি নিজেই ধুতে পারি।
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন ভিতর থেকে আমার ঘরের দরোজা
খুলে দিক।কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক।
কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে
জিজ্ঞেস করুক: ’তোমার চোখ এত লাল কেন?’
Poem
Tomar chokh eto lal keno
Nirmalendu Goon
Ami bolchi na valobashtei hobe, ami chai
keu ekjon amar jonno opekkha karuk,
Sudhu ghorer vitor theke dorja khule debar jonno
Baire theke dorja khulte khulte ami ekhon klanto
Ami bolchi na valobashtei hobe, ami chai
Keu amake khete dik. ami hathpakha niye
Kauke amar pashe thakte bolchi na,
Ami jani, ei electric er jug
Narike mukti diyeche shami sebar day theke
Ami chai keu ekjon amake jiggesh koruk:
Amar jol lagbe ki na, nun lagbe ki na.
Patshak vajar shonge aro ekta
Tele bhaja shukno morich lagbe ki na
Eto bashon genji romal ami nijei dhute pari
Ami bolchi na valobashtei hobe, ami chai
See lessKeu ekjon vitor theke amar ghorer dorja khule dik
Keu amake kichu khete boluk
Kam-bashonar shongi na houk, keu antoto amake
Jiggesh koruk: Tomar chokh ato lal keno?
শুধু তোমার জন্য (নির্মলেন্দু গুণ) Sudhu tomar jonno kobita lyrics
Hridoy
শুধু তোমার জন্য নির্মলেন্দু গুণ কতবার যে আমি তোমোকে স্পর্শ করতে গিয়ে গুটিয়ে নিয়েছি হাত-সে কথা ঈশ্বর জানেন। তোমাকে ভালোবাসার কথা বলতে গিয়েও কতবার যে আমি সে কথা বলিনি সে কথা আমার ঈশ্বর জানেন। তোমার হাতের মৃদু কড়ানাড়ার শব্দ শুনে জেগে উঠবার জন্য দরোজার সঙ্গে চুম্বকের মতো আমি গেঁথে রেখেছিলাম আমার কর্ণযুগRead more
শুধু তোমার জন্য
নির্মলেন্দু গুণ
কতবার যে আমি তোমোকে স্পর্শ করতে গিয়ে
গুটিয়ে নিয়েছি হাত-সে কথা ঈশ্বর জানেন।
তোমাকে ভালোবাসার কথা বলতে গিয়েও
কতবার যে আমি সে কথা বলিনি
সে কথা আমার ঈশ্বর জানেন।
তোমার হাতের মৃদু কড়ানাড়ার শব্দ শুনে জেগে উঠবার জন্য
দরোজার সঙ্গে চুম্বকের মতো আমি গেঁথে রেখেছিলাম
আমার কর্ণযুগল; তুমি এসে আমাকে ডেকে বলবেঃ
‘এই ওঠো,
আমি, আ…মি…।‘
আর অমি এ-কী শুনলাম
এমত উল্লাসে নিজেকে নিক্ষেপ করবো তোমার উদ্দেশ্যে
কতবার যে এরকম একটি দৃশ্যের কথা আমি মনে মনে
কল্পনা করেছি, সে-কথা আমার ঈশ্বর জানেন।
আমার চুল পেকেছে তোমার জন্য,
আমার গায়ে জ্বর এসেছে তোমার জন্য,
আমার ঈশ্বর জানেন- আমার মৃত্যু হবে তোমার জন্য।
তারপর অনেকদিন পর একদিন তুমিও জানবে,
আমি জন্মেছিলাম তোমার জন্য। শুধু তোমার জন্য।
Sudhu Tomar Jonno
Nirmalendu Goon
Kotobar je ami tomake sporsho korte giye
See lessGutiye niyechi hath-se kotha isshor janen
Tomake bhalobashar kotha bolte giyeo
Kotobar je ami se kotha bolini
Se kotha amar isshor janen
Tumar hater mridu kora narar shobdo shune jege uthbar jonno
Dorjar shonge chumboker moto ami gethe rekhechilam
Amar kornojugol; tumi eshe amake deke bolbe:
Ei utho,
Ami Aa..mi..!
Ar ami ki shunlam
Emot ullashe nijeke nikkhep korbo tumar uddeshe
Kotobar je erokom ekti drisher kotha ami mone mone
kolpona koerchi, se kotha amar isshor janen
Amar chul pekeche tumar jonno,
Amar gaye jor eseche tumar jonno
Amar isshor janen- Amar mrityo hobe tomar jonno
Tarpor onekdin por ekdin tumi o janbe,
Ami jonmechilam Tomar jonno. Sudhu tomar jonno
কবিতা : বোধ (জীবনানন্দ দাশ) Bodh poem lyrics by Jibanananda Das
Hridoy
বোধ জীবনানন্দ দাশ আলো –অন্ধকারে যাই- মাথার ভিতরে স্বপ্ন নয়,- কোন এক বোধ কাজ করে ! স্বপ্ন নয়- শান্তি নয়-ভালোবাসা নয়, হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়! আমি তারে পারি না এড়াতে, সে আমার হাত রাখে হাতে; সব কাজ তুচ্ছ হয়,-পণ্ড মনে হয়, সব চিন্তা – প্রার্থনায় সকল সময় শূন্য মনে হয়, শূন্য মনে হয় ! সহজ লোকের মতো কে চলRead more
বোধ
জীবনানন্দ দাশ
আলো –অন্ধকারে যাই- মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয়,- কোন এক বোধ কাজ করে !
স্বপ্ন নয়- শান্তি নয়-ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়!
আমি তারে পারি না এড়াতে,
সে আমার হাত রাখে হাতে;
সব কাজ তুচ্ছ হয়,-পণ্ড মনে হয়,
সব চিন্তা – প্রার্থনায় সকল সময়
শূন্য মনে হয়,
শূন্য মনে হয় !
সহজ লোকের মতো কে চলিতে পারে!
কে থামিতে পারে এই আলোয় আঁধারে
সহজ লোকের মতো !তাদের মতন ভাষা কথা
কে বলিতে পারে আর!- কোনো নিশয়তা
কে জানিতে পারে আর? – শরীরের স্বাদ
কে বুঝিতে চায় আর?- প্রাণের আহ্লাদ
সকল লোকের মতো কে পাবে আবার!
সকল লোকের মতো বীজ বুনে আর
স্বাদ কই!- ফসলের আকাঙ্ক্ষায় থেকে ,
শরীরে মাটির গন্ধ মেখে,
শরীরে জলের গন্ধ মেখে,
উৎসাহে আলোর দিকে চেয়ে
চাষার মতন প্রাণ পেয়ে
কে আর রহিবে জেগে পৃথিবীর’পরে ?
স্বপ্ন নয়,- শান্তি নয়,- কোন এক বোধ কাজ করে
মাথার ভিতরে!
পথে চ’লে পারে- পারাপারে
উপেক্ষা করিতে চাই তারে;
মড়ার খুলির মতো ধ’রে
আছাড় মারিতে চাই, জীবন্ত মাথার মতো ঘোরে
তবু সে মাথার চারিপাশে!
তবু সে চোখের চারিপাশে!
তবু সে বুকের চারিপাশে !
আমি চলি, সাথে সাথে সেও চলে আসে !
আমি থামি,-
সে-ও থেমে যায় ;
সকল লোকের মাঝে ব’সে
আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা?
আমার চোখেই শুধু ধাঁধাঁ ?
আমার পথেই শুধু বাধা?
জন্মিয়াছে যারা এই পৃথিবীতে
সন্তানের মতো হয়ে,-
সন্তানের জন্ম দিতে দিতে
যাহাদের কেটে গেছে অনেক সময়,
কিংবা আজ সন্তানের জন্ম দিতে হয়
যাহাদের; কিংবা যারা পৃথিবীর বীজক্ষেতে আসিতেছে চ’লে
জন্ম দেবে-জন্ম দেবে ব’লে
তাদের হৃদয় আর মাথার মতন
আমার হৃদয় না কি?- তাহাদের মন
আমার মনের মতো না কি ?-
তবু কেন এমন একাকী ?
তবু আমি এমন একাকী !
হাতে তুলে দেখিনি কি চাষার লাঙল ?
বালটিতে টানিনি কি জল ?
কাস্তে হাতে কতবার যাইনি কি মাঠে ?
মেছোদের মতো আমি কত নদী ঘাটে
ঘুরিয়াছি ;
পুকুরের পানা শ্যালা- আঁশটে গায়ের ঘ্রাণ গায়ে
গিয়েছে জড়ায়ে ;
-এইসব স্বাদ ;
-এসব পেয়েছি আমি; – বাতাসের মতন অবাধ
বয়েছে জীবন ,
নক্ষত্রের তলে শুয়ে ঘুমায়েছে মন
একদিন;
এইসব সাধ
জানিয়াছি একদিন ,- অবাধ- অগাধ;
চ’লে গেছি ইহাদের ছেড়ে ;-
ভালোবেসে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে ,
অবহেলা ক’রে আমি দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে ,
ঘৃণা ক’রে দেখিয়াছে মেয়েমানুষেরে ;
আমারে সে ভালোবাসিয়াছে,
আসিয়াছে কাছে ,
উপেক্ষা সে করেছে আমারে ,
ঘৃণা ক’রে চ’লে গেছে- যখন ডেকেছি বারে-বারে
ভালোবেসে তারে ;
তবুও সাধনা ছিল একদিন ,-এই ভালোবাসা ;
আমি তার উপেক্ষার ভাষা
আমি তার ঘৃণার আক্রোশ
অবহেলা ক’রে গেছি ; যে নক্ষত্র – নক্ষত্রের দোষ
আমার প্রেমের পথে বার-বার দিয়ে গেছে বাধা
আমি তা ভুলিয়া গেছি ;
তবু এই ভালোবাসা – ধুলো আর কাদা – ।
মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয় – প্রেম নয় – কোনো এক বোধ কাজ করে ।
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চ’লে আসি ,
বলি আমি এই হৃদয়েরে :
সে কেন জলের মতো ঘুরে ঘুরে একা কথা কয় !
অবসাদ নাই তার ? নাই তার শান্তির সময় ?
কোনোদিন ঘুমাবে না ? ধীরে শুয়ে থাকিবার স্বাদ
পাবে না কি ? পাবে না আহ্লাদ
মানুষের মুখ দেখে কোনোদিন!
মানুষীর মুখ দেখে কোনোদিন!
শিশুদের মুখ দেখে কোনোদিন!
এই বোধ – শুধু এই স্বাদ
পায় সে কি অগাধ – অগাধ !
পৃথিবীর পথ ছেড়ে আকাশের নক্ষত্রের পথ
চায় না সে ? – করেছে শপথ
দেখিবে সে মানুষের মুখ ?
দেখিবে সে মানুষীর মুখ ?
দেখিবে সে শিশুদের মুখ ?
চোখে কালোশিরার অসুখ ,
কানে যেঁই বধিরতা আছে ,
যে কুজ – গলগণ্ড মাংসে ফলিয়াছে
নষ্ট শসা – পচা চালকুমড়ার ছাঁচে ,
যে সব হৃদয় ফলিয়াছে
-সেই সব ।
Bodh
Jibananda Das
Alo-ondhokare jai-mathar vitore
Shopno noy, Kono ek bodh kaj kore
Shonp noy- Shanti noy-bhalobasha noy,
Hridoyer maje ek bodh jonmo loy
Ami tare pari na erate
Se amar khe hath
sob kaj tuccho hoy, poshu mone hoy,
Sob chinta-prarthonar shokol shomoy
shunyo mone hoy
shunyo mone hoy
Sohoj loker moto ke cholite pare
Ke thamite pare ei alor adhare
Sohoj loker moto! tader moton bhasha kotha
Ke bolite pare ar! Kono nishchoyota
Ke janite pare ar? Sorirer shad
Ke bujite chay ar? praner allad
Sokol loker moto ke pabe abar
Sokol loker moto bij bune ar
Shad koi! fosholer akankay theke
Sorire matir gondho mekhe
Sorire joler jondho mekhe
Utsaho alor dike cheye
Chashar moton pran peye
Ke ar rohibe jege prithibir pore?
Shonp noy- Shanti noy, kono ek bodh kaj kore
Mathr vitore.
Pothe chole pare- parapare
Upekkha korite chai tare
Morar khulir moto dhore
Achar marite chai, Jibonto mathar moto ghore
Tabu she mathar charipashe!
Tabu she chokher charipashe!
Tabu she buker charipashe!
Ami choli, sathe sathe she o chole ashe!
Ami thami,
She o theme jay;
কবিতা : আমার কিছু স্বপ্ন ছিল | Amar kichu shopno chilo poem
Hridoy
আমার কিছু স্বপ্ন ছিল নির্মলেন্দু গুণ আমার কিছু স্বপ্ন ছিল, আমার কিছু প্রাপ্য ছিল, একখানা ঘর সবার মতো আপন করে পাবার, একখানা ঘর বিবাহিত, স্বপ্ন ছিল রোজ সকালে একমুঠো ভাত লঙ্কা মেখে খাবার। সামনে বাগান, উঠোন চাইনি, চেয়েছিলাম একজোড়া হাঁস, একজোড়া চোখ অপেক্ষমাণ এই তো আমি চেয়েছিলাম। স্বপ্ন ছিল স্বাধীনতার, আরRead more
আমার কিছু স্বপ্ন ছিল
নির্মলেন্দু গুণ
আমার কিছু স্বপ্ন ছিল, আমার কিছু প্রাপ্য ছিল,
একখানা ঘর সবার মতো আপন করে পাবার,
একখানা ঘর বিবাহিত, স্বপ্ন ছিল রোজ সকালে
একমুঠো ভাত লঙ্কা মেখে খাবার।
সামনে বাগান, উঠোন চাইনি, চেয়েছিলাম
একজোড়া হাঁস, একজোড়া চোখ অপেক্ষমাণ
এই তো আমি চেয়েছিলাম।
স্বপ্ন ছিল স্বাধীনতার, আর কিছু নয়,
তোমায় শুধু অনঙ্গ বউ ডাকার।
চেয়েছিলাম একখানি মুখ আলিঙ্গনে রাখার।
অনঙ্গ বউ, অনঙ্গ বউ, এক জোড়া হাঁস,
এক জোড়া চোখ, কোথায়? তুমি কোথায়?
English Transliteration:
Amar kichu shopno chilo
Nirmalendu Goon
Amar kichu shopno chilo, Amar kichu prapyo chilo
Ekkhana ghar sobar moto apon kore pabar,
Ekkhana ghar bibahito, shopno chilo roz sokale
ekmutho bhat lonka mekhe khabar.
Samne bagan, uthon chaini, cheyechilam
ekjora hash, ekjora chokh opekkhoman
Ei to ami cheyechilam
Shopno chilo shadinotar, ar kichu noy
tomay sudhu Anongo bou dakar
Cheyechilam ekkhani mukh alingon rakhar
Ananga bou, ananga bou, ekjora hash
Ekjora chokh, kuthay? Tumi kuthay?
কবিতা : অসমাপ্ত | Osomapto Kobita Nirmalendu Goon
Hridoy
অসমাপ্ত নির্মলেন্দু গুন মাননীয় সভাপতি ….। সভাপতি কে? কে সভাপতি? ক্ষমা করবেন সভাপতি সাহেব, আপনাকে আমি সভাপতি মানি না। তবে কি রবীন্দ্রনাথ? সুভাষচন্দ্র বসু? হিটলার? মাও সে তুং? না, কেউ না, আমি কাউকে মানি না, আমি নিজে সভাপতি এই মহতী সভার। মাউথপিস আমার হাতে এখন, আমি যা বলবো আপনারা তাই শুনবেন। উপস্থিত সুধRead more
অসমাপ্ত
নির্মলেন্দু গুন
মাননীয় সভাপতি ….। সভাপতি কে? কে সভাপতি?
ক্ষমা করবেন সভাপতি সাহেব,
আপনাকে আমি সভাপতি মানি না।
তবে কি রবীন্দ্রনাথ? সুভাষচন্দ্র বসু? হিটলার?
মাও সে তুং? না, কেউ না, আমি কাউকে মানি না,
আমি নিজে সভাপতি এই মহতী সভার।
মাউথপিস আমার হাতে এখন, আমি যা বলবো
আপনারা তাই শুনবেন।
উপস্থিত সুধীবৃন্দ, আমার সংগ্রামী বোনেরা,
(একজন অবশ্য আমার প্রেমিকা এখানে আছেন)
আমি আজ আপনাদের কাছে কিছু বলতে চাই।
আপনারা জানেন, আমি কবি,
রবীন্দ্রনাথ, শেক্সপীয়ার, এলিয়েটের মতোই
আমিও কবিতা লিখি এবং মূলত কবি,
কবিতা আমার নেশা, পেশা ও প্রতিশোধ গ্রহণের
হিরুময় হাতিয়ার! আমি কবি, কবি এবগ কবিই।
কিন্তু আমি আর কবিতা লিখবো না ।
পল্টনের ভরা সমাবেশে আমি ঘোষণা করছি,
আমি আর কবিতা লিখবো না।
তবে কি রাজনীতি করবো? কান্ট্রাক্টারঃ
পুস্তক ব্যবসায়ী ও প্রকাশক?
পত্রিকার সাব-এডিটর?
নীলক্ষেত কলাভবনের খাতায় হাজিরা?
বেশ্যার দালাল?
ফ্রী স্কুল স্ট্রীটে তেল-নুন-ডালের দোকান?
রাজমিস্ত্রি? মোটর ড্রাইভিং? স্মাগলিং?
আন্ডারডেভেলপমেন্ট স্কুলে শিক্ষকতা?
নাকি সবাইকে ব্যঙ্গ করে, বিনয়ের সব চিহ্ন-সূত্র
ছিঁরে-খুঁড়ে প্রতিণ্ঠিত বুড়ো, বদ-কবিদের
চোখ-নাকে-মুখে কিংস্টর্কের কড়া ধোঁয়া ছুঁড়ে দেব?
-অর্থাৎ অপমান করবো বৃদ্ধদের?
আপনারা কেউ বেশ্যাপাড়ায় ভুলেও যাবেন না,
এরকম প্রতিশ্রুতি দিলে বেশ্যার দালাল হতে পারি,
রসোন্মত্ত যৌবন অবধি-, একা-একা।
আমার বক্তব্য স্পট, আমার বিপক্ষে গেলেই
তথাকথিত রাজনীতিবিদ, গাড়ল বুদ্ধিজীবি,
অশিক্ষিত বিজ্ঞানী, দশতলা বাড়িওয়ালা ধনী-ব্যবসায়ী
সাহিত্য-পত্রিকার জঘন্য সম্পাদক, অতিরিক্ত জনসমাবেশে
আমি ফুঁ দিয়ে তুলোর মতো উড়িয়ে দেবো।
আপনারা আমার সঙ্গে নদী যেমন জলের সঙ্গে
সহযোগিতা করে, তেমনি সহযোগিতা করবেন,
অন্যথায় আমি আমার ঘিরা পাঞ্জাবির গভীর পকেটে
আমার প্রেমিকা এবং ‘আ মরি বাংলা ভাষা’ ছাড়া
অনায়েসে পল্টনের ভরাট ময়দান তুলে নেবো।
ভাইসব, চেয়ে দেখুন বাঙলার ভাগ্যাকাশে
আজ দুর্যোগের ঘনঘটা, সুনন্দার চোখে জল,
একজন প্রেমিকার খোজে আবুল হাসান
কী নিঃসঙ্গ ব্যাথায় কাঁপে রাত্রে, ভাঙে সূর্য,
ইপিআরটিসি’র বাস, লেখক সংঘের জানালা
প্রেসট্রাস্টের সিঁড়ি, রাজীয়ার বাল্যকালীন প্রেম।
আপনারা কিছুই বোঝেন না, শুধু বিকেল তিনটা এলেই
পল্টনের মাঠে জমায়েত, হাততালি, জিন্দাবাদ,
রক্ত চাই ধ্বনি দিয়ে একুশের জঘন্য সংকলন,
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কিনে নেন।
আমি শেষবারের মত বলছি
আপনারা যার-যার ঘরে, পরনে ঢাকাই শাড়ি
কপালে- সিঁদুরে ফিরে যান। আমি এখন অপ্রকৃতিস্থ
পূর্ব বাঙলার অন্যতম ভীষণ মাতাল বক্তা একজন,
ফুঁ দিয়ে নেভাবো আগুন, উন্মাদ শহর,
আপনাদের অশ্লীল-গ্রাম্য-অসভ্য সমাবেশে,
লালসালু ঘেরা স্টেজ, মাউথ অর্গান, ডিআইটি,
গল স্টেডিয়াম, এমসিসি’র খেলা,
ফল অফ দি রোমান এ্যাম্পায়ারের নগ্ন পোষ্টার।
এখন আমার হাতে কার্যরত নীল মাইক্রোফোন
উত্তেজিত এবং উন্মাদ।
শ্রদ্ধেয় সমাবেশ, আমি আমার সাংকেতিক
ভয়াবহ সান্ধ্য আইনের সাইরেন বাজাবার সঙ্গে সঙ্গে
মাধবীর সারা মাঠ খালি করে দেবেন।
আমি বড় ইনসিকিওরড, যুবতী মাধবী নিয়ে
ফাঁকা পথে ফিরে যেতে চাই ঘরে,
ব্যক্তিগত গ্রামে, কাশবনে।
আমি আপনাদের নির্বাচিত নেতা।
আমার সঙ্গে অনেক টাকা, জিন্নাহর কোটি কোটি
মাথা; আমি গণভোটে নির্বাচিত বিনয় বিশ্বাস,
রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর, অথচ আমার কোনো
সিকিউরিটি নেই, একজন বডিগার্ড নেই,
সশস্ত্র হামলায় যদি টাকা কেড়ে নেয় কেউ
-আমি কী করে হিসেব দেবো জনতাকে?
স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি হলে কন্যার কাঁকন যাবে খোয়া,
আপনার আমার সকলের ক্ষতি হবে,
সোনার হাতে সোনার কাঁকন আর উঠবে না।
আপনার ভাবেন, আমি খুব সেখেই আছি
কিন্তু বিশ্বেস করুন, হে পল্টন,
মাঘী পূর্ণিমার রাত থেকে ফাল্গুনের পয়লা অবধি
কী ভীষণ দুর্বিষহ আগুন জ্বলছে আমার দুখের দাড়িতে,
উষ্কখুক চুলে, মেরুদণ্ডের হাড়ে, নয়টি আঙুলে,
কোমরে, তালুতে, পাজামার গিঁটে, চোখের সকেটে।
দেখেছি তো কাম্যবস্তু স্বাধীনতা, প্রেমিকা ও গ্ণভোট
হাতে পেয়ে গেল নির্জন হীরার আগুনে
পুলিশের জীপ আর টায়ারের মতো পুড়ে-পুরে যাই,
অমর্যাদা করি তাকে যাকে চেয়ে ভেঙেছি প্রসাদ,
নদী, রাজমিস্ত্রী এবং গোলাপ।
আমি স্বাধীনতা পেয়ে গেলে পরাধীন হতে ভালোবাসি।
প্রেম এসে যাযাবর কন্ঠে চুমু খেলে মনে হয় বিরহের
স্মৃতিচারণের মতো সুখ কিছুই নেই।
বাক-স্বাধীনতা পেলে আমি শুধু প্রেম, রমণী, যৌনতা
ও জীবনের অশ্লীলতার কথা বলি।
আমি কিছুতেই বুঝিনা, আপনারা তবু কোন বিশ্বাসে
বাঙলার মানুষের ভবিষ্যৎ আমার স্কন্ধ চাপিয়ে দিলেন।
আপনারা কী চান?
ডাল-ভাত-নুন?
ঘর-জমি-বউ?
রূপ-রস-ফুল?
স্বাধীনতা?
রেফ্রিজারেটর?
ব্যাংক-বীমা-জুয়া?
স্বায়ত্তশাসন?
সমাজতন্ত্র?
আমি কিছুই পারি না দিতে,আমি শুধু কবিতার
অনেক স্তবক, অবাসস্ত অন্ন বস্ত্র বীমাহীন জীবন বুকে
ফুক এনে দিতে পারি সকলের হাতে।
আমি স্বাভাবিক সুস্থ সৌভাগ্যের মুখে থুথু দিয়ে
অস্বভাবিক অসুস্থ শ্রীমতী জীবন বুকে নিয়ে
কী করে কাটাতে হয় অরণ্যের ঝ্রের রাত্রিকে
তার শিক্ষা দিতে পারি। আমি রিজার্ভ ব্যাংকের
সবগুলো টাকা আপনাদের দিয়ে দিতে পারি,
কিন্তু আপনারাই বলুন অর্থ কি বিনিময়ের মাধ্যম?
জীবন কিংবা মৃত্যুর? প্রেম কিংবা যৌবনের?
অসম্ভব, অর্থ শুধু অনর্থের বিনিময় দিতে পারে।
স্মরণকালের বৃহত্তম সভায় আজ আমি
সদর্পে ঘোষণা করছি, হে বোকা জমায়েত,
পল্টনের মাঠে আর কোনোদিন সভাই হবে না,
আজকেই শেষ সভা, শেষ সমাবেশে শেষ বক্তা আমি।
এখনো বিনয় করে বলছি, সাইরেন বাজাবার সঙ্গে সঙ্গে
আপনারা এই মাঠ খালি করে দেবেন।
এই পল্টনের মাঠে আমার প্রেমিকা ছাড়া
আর যেন কাউকে দেখি না কোনোদিন।
এই সারা মাঠে আমি একা, একজন আমার প্রেমিকা
Mananiya Sabhapati. Sabhapati ke? Ke Sabhapati?
khoma Korben sabhapati Saheb,
Ami Apnakei sabhapati mane na
Toba ki Rabindranath? Subhash Chandra Bose? Hitler?
Mau Se Tung? Na keu na, ami kauke mani na
Ami nije Sabhapati ei mahati shovar
Mouthpiece Amar Hate ekhon, Ami Ja Bolbo
Aapnara tai Sunben.
Upsthit shudhiibrindho amar sangrami bonera
See lessEkjon oboshyo amar premika ekhane aachen
Ami aaj apnader kache kichu bolte chai
Apnara janen, ami kobi,
Rabindranath, Shakespere, Eliot er motoi
Amio kobita likhi ebong muloto kobi
Kobita amar nesha, pesha, o protishod grohoner
Hironmoy hatiyar! Ami kobi, kobi ebong kobi-e
এনক্রিপশন মানে কি ? এনক্রিপশন সম্মন্দে বিস্তারিত | encryption meaning in bengali
Hridoy
এনক্রিপশনঃ এনক্রিপশন হ'ল এমন একটি তথ্যের রূপান্তকরন প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে তথ্যগুলি অননুমোদিত (unauthorized) ব্যবহারকারীদের কাছে অপঠনযোগ্য করে তুলা হয়। অর্থাৎ কোন একটি ডিজিটাল কন্টেন্ট যেমনঃ টেক্সট বা ছবিকে বিশেষ একটি ভাষায় রূপান্তর করা হয় যাহাতে অনুমোদিত (Authorized) ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ তথ্যগুলRead more
এনক্রিপশনঃ
এনক্রিপশন হ’ল এমন একটি তথ্যের রূপান্তকরন প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে তথ্যগুলি অননুমোদিত (unauthorized) ব্যবহারকারীদের কাছে অপঠনযোগ্য করে তুলা হয়। অর্থাৎ কোন একটি ডিজিটাল কন্টেন্ট যেমনঃ টেক্সট বা ছবিকে বিশেষ একটি ভাষায় রূপান্তর করা হয় যাহাতে অনুমোদিত (Authorized) ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ তথ্যগুলি পড়তে ও বুঝতে না পারে।
এনক্রিপশন এর মূল কাজটি হলো কোন একটি সাধারণ টেক্সটকে সাইফার টেক্সট এ পরিবর্তন করা যাহাতে তথ্যগুলি কোন অপব্যবহার না হয়।
যেমন আমরা যখন হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ফেইসবুকে একে ওপরের সঙ্গে চ্যাট করি বা ডেটা আদান প্রদান করি সেগুলি এনক্রিপটেড করা থাকে যাহাতে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি এই চ্যাটগুলি পড়তে ও বুঝতে না পারে।
See less