1. Kpop কি? K-Pop এর সম্পূর্ণ রুপ হচ্ছে Korean Popular Music বা কোরিয়ান জনপ্রিয় সংগীত কে-পপ কোরিয়ান পপ বা কোরিয়ান জনপ্রিয় সংগীতের জন্য ব্যবহৃত সংক্ষিপ্ত রুপ, যা মুলত দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক। কে-পপ একটি মিউজিকাল জেনার যা বিভিন্ন ধরণের সংগীত যেমন হিপ-হপ, রক ইত্যাদির সংমিশ্রণে গঠিত। 1990-এর দশক থেকে কRead more

    Kpop কি?

    K-Pop এর সম্পূর্ণ রুপ হচ্ছে Korean Popular Music বা কোরিয়ান জনপ্রিয় সংগীত

    কে-পপ কোরিয়ান পপ বা কোরিয়ান জনপ্রিয় সংগীতের জন্য ব্যবহৃত সংক্ষিপ্ত রুপ, যা মুলত দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক। কে-পপ একটি মিউজিকাল জেনার যা বিভিন্ন ধরণের সংগীত যেমন হিপ-হপ, রক ইত্যাদির সংমিশ্রণে গঠিত। 1990-এর দশক থেকে কে-পপ সংগীতের যাত্রা শুরু হয় যাহা বর্তমানে সমস্ত পৃথিবী জুড়ে খুবই জনপ্রিয়।

    See less
    • 0
  2. কাজী নজরুল ইসলাম লিখিত 'দারিদ্র্য' কবিতার মূলভাবঃ দারিদ্র্য কবিতা প্রত্যক্ষত কবির নিজের দুর্দিনের প্রেক্ষাপটে রচিত। কবিতাটি প্রথম ‘কল্লোল' পত্রিকায়, অগ্রহায়ণ ১৩৩৩ সনে পরে ‘সত্তগাত'-এ মাঘ ১৩৩৩ সনে পুনর্মুদ্রিত হয়। পরে কবির সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী কবিতার সংগ্রহ গ্রন্থ ‘সিন্ধু হিল্লোল (১৩৩৪)-এ সংকলিত হযRead more

    কাজী নজরুল ইসলাম লিখিত ‘দারিদ্র্য’ কবিতার মূলভাবঃ

    দারিদ্র্য কবিতা প্রত্যক্ষত কবির নিজের দুর্দিনের প্রেক্ষাপটে রচিত। কবিতাটি প্রথম ‘কল্লোল’ পত্রিকায়, অগ্রহায়ণ ১৩৩৩ সনে পরে ‘সত্তগাত’-এ মাঘ ১৩৩৩ সনে পুনর্মুদ্রিত হয়। পরে কবির সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী কবিতার সংগ্রহ গ্রন্থ ‘সিন্ধু হিল্লোল (১৩৩৪)-এ সংকলিত হয়।

    দারিদ্র মানুষকে তার যথার্থ স্বরূপ প্রকাশ করে। মানুষের প্রকৃত সত্তা, তাঁর মনুষ্যত্বের প্রকৃত চেহারা এ সময়েই ফুটে ওঠে। ভারতীয় জীবনবােধের মধ্যে যে ত্যাগ-তিতিক্ষার পরিচয় আছে, তা কখনই ঐশ্বর্য বিকাশের মধ্যে ফুটে ওঠে না। তাই দারিদ্রই মানুষকে মহতের সম্মানে প্রতিষ্ঠিত করে। প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েই যথার্থ শক্তির তীব্রতা প্রকাশ পায়।

    দুঃখের দহন তাপে জীবনের সমস্ত রস যখন শুকিয়ে যায় তখন দু চোখে শুধু আগুন জ্বলে। ফুলের সৌরভ আর তেমন ছড়ায় না। পৃথিবীর সমস্ত করুণা ধারা যখন সূর্যের খরতাপে শুষ্ক হয় তখন আর জীবনের স্বপ্ন, তার সুন্দর কোনাে কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। সমস্ত জ্বালা যন্ত্রণা বেদনার ভার নিয়ে যে গান রচনা হয় তা তাে বেদনারই গান। তখন মনে হয় দারিদ্র্য ছাড়া জীবনের কোনাে কিছুই আর সত্য নয়। মহা দারিদ্র্যের প্রলয়ঙ্কর শক্তি সর্বস্ব গ্রাস করতে উদ্যত।

    এরই মধ্যে পৃথিবী যখন অপরূপ সৌন্দর্যে পূর্ণ হয়, আগমনীর আনন্দের সুর ধ্বনিত হয়, তখন আশা জাগে, ম্লানমুখী শেফালিকাও ঝরে পড়বার আগে গন্ধ বিলিয়ে যায়। প্রজাপতি নেচে বেড়ায় পুষ্প থেকে পুষ্পে চঞ্চল পাখায়। এর মধ্যে কবি-প্রাণে বেদনার করুণ সুর বেজে ওঠে। আগমনী গানের মধ্যে যেন শুনতে পাওয়া যায়, নাই, কিছু নাই।

    See less
    • 1
  3. কাজী নজরুল ইসলামের লিখিত নারী কবিতার সারমর্ম ও মূলভাব: সাম্যের গান গাওয়া কবির কাছে নারী-পুরুষে কোনাে ভেদাভেদ নেই। বিশ্বের সমস্ত কল্যাণ অকল্যাণ সবেতেই নারী পুরুষের ভূমিকা আছে। খ্রিস্টিয় আদি পাপের পিছনে যে শয়তানের (Satan) কথা ভাবা হয় সেই অমঙ্গলের শক্তি নারী পুরুষ উভয়ের মধ্যেই থাকা সম্ভব। তাই নারীRead more

    কাজী নজরুল ইসলামের লিখিত নারী কবিতার সারমর্ম ও মূলভাব:

    সাম্যের গান গাওয়া কবির কাছে নারী-পুরুষে কোনাে ভেদাভেদ নেই। বিশ্বের সমস্ত কল্যাণ অকল্যাণ সবেতেই নারী পুরুষের ভূমিকা আছে। খ্রিস্টিয় আদি পাপের পিছনে যে শয়তানের (Satan) কথা ভাবা হয় সেই অমঙ্গলের শক্তি নারী পুরুষ উভয়ের মধ্যেই থাকা সম্ভব। তাই নারীকে এজন্য হেয় করা ঠিক নয়। বরং পৃথিবীর যা কিছু ভালাে সেই সব সৃষ্টি—যা মঙ্গলময়-সম্পদ, জ্ঞান, গুণ সৌন্দর্য সমস্তেই নারীর অবদান আছে। দিনের শেষে তপ্ত দেহ মন নিয়ে পুরুষ ঘরে ফিরে নারীর কল্যাণস্পর্শে স্বস্তি শান্তি পেয়েছে। নারী বাইরে কমেৰ্ষণা জোগায়, ঘরে সে-ই কল্যাণী। দুয়ের শক্তিতেই সৃষ্টি রয়েছে সচল।
    অলঙ্কার সে তাে নারীদেহ স্পর্শেই সুন্দর। নারীর মিলন-বিরহে কাব্যসৃষ্টি। ক্ষুধা-সুধার মধ্য দিয়ে নিত্য নতুন সৃষ্টি সম্ভব হয়েছে। পৃথিবীর অনেক বিজয় অভিযান, মানুষের সমস্ত কীর্তির পিছনে নারীর অবদান সীমাহীন।নারীর উৎসাহ ও প্রেরণাতেই পৃথিবীতে অমর মনীষীরা মহান সব প্রয়াস করেছেন। নারীর কোমল হৃদয়ের স্পর্শেই শিশু-পুরুষ নির্বিশেষে স্নেহ প্রেম-প্রীতি দয়ামায়ায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে।
    নারীর প্রেরণায়, শক্তিতে এতদিন যাঁরা আশ্রয় পেয়েছে, তারাই আজ নারীর মর্যাদাকে স্বীকার করছে না, এ বড়াে বিস্ময়। আজ সাম্যবাদের যুগ—নারী পুরুষের সমানাধিকার। পুরুষ নারীর উপর আধিপত্য বিস্তার বা তাকে বন্দী করতে চাইলে, তাকেই এক সময়, তারই সৃষ্ট কারাগারে বন্দী হতে হবে। কেননা এটাই যুগধর্মপীড়ন করলে নিজেকেই পীড়িত হতে হবে। সেই সঙ্গে নারীকেও আর স্বর্ণ-রৌপ্যের অন্ধকারে বন্দিনী থাকা চলবে না ; হাতের রুবি, পায়ের মল-শিকল, মাথার ঘােমটা ফেলে বেরিয়ে আসতে হবে। যারা একসময় পদানত করে রেখেছিল, তাদের সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে, প্রয়ােজনে পরাভূত করে, নারীকে বিশ্বজয় করতে হবে। আর তা হলেই অনাগত ভবিষ্যতে পুরুষের সঙ্গে নারীর জয় ঘােষিত হবে।।

    See less
    • -1
  4. সাম্যবাদী কবিতার বিষয়বস্তু ও মূলভাব: এই কবিতায় কাজী নজরুল ইসলাম বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক মানবসমাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। কবির বিশ্বাস মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে পরিচিত হয়ে ওঠা সবচেয়ে সম্মানের। নজরুলের এ আদর্শ আজও প্রতিটি মানুষের জীবনপথের প্রেরণা। কিন্তু মানুষ সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে রাজনীতি করRead more

    সাম্যবাদী কবিতার বিষয়বস্তু ও মূলভাব:

    এই কবিতায় কাজী নজরুল ইসলাম বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক মানবসমাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। কবির বিশ্বাস মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে পরিচিত হয়ে ওঠা সবচেয়ে সম্মানের। নজরুলের এ আদর্শ আজও প্রতিটি মানুষের জীবনপথের প্রেরণা। কিন্তু মানুষ সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে রাজনীতি করে, দুর্বলকে শােষণ করে, এখনও একের বিরুদ্ধে অন্যকে উস্কে দেয়। এক জনের প্রতি অন্য জনকে বিমুখ করার ষড়যন্ত্র করে।

    নজরুল এ কবিতায় বলেছেন- “মানুষেরই মাঝে স্বৰ্গনরক মানুষেতে সুরাসুর।” নজরুল জোর দেন অন্তর ধর্মের ওপর। ধর্মগ্রন্থ পড়ে অর্জিত জ্ঞান যথার্থভাবে উপলব্ধি করতে প্রয়ােজন মানবিকতাবােধ। কবি বলেছেন মানুষের হৃদয়ের চেয়ে শ্রেষ্ঠ কোন মন্দির কাবা নেই। কবি সকল মত, সকল পথের উপরে স্থান দিয়েছেন মানবিকতা। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, মুসলিম সকলকে একই মায়ের সন্তানের মতাে ভেবেছেন। নজরুল মানবিক মেলবন্ধনের জন্য সংগীত রচনা করেছেন। বাণী ও সুরের মাধ্যমে মানবতার সুবাস ছড়ানাের চেষ্টা করেছেন।

    নজরুল ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় মন্দির, মসজিদ, গির্জা বা অন্যান্য তীর্থক্ষেত্রের মতাে পবিত্র মনে করেছেন মানুষের হৃদয়কে। এ হৃদয় যদি পবিত্র থাকে, হৃদয়ে যদি কারাে প্রতি হিংসা, বিদ্বেষ না থাকে, সকলের প্রতি সমদর্শিতা থাকে তাহলে পৃথিবী হবে সুখের আবাসস্থল। সাম্যবাদ মানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ বিৰ্বিশেষে রাষ্ট্রের সকল মানুষের সমান অধিকার থাকা উচিত এ মতবাদ। কাজী নজরুল ইসলাম তার সাম্যবাদী’ কবিতায় সব ধরনের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সাম্যবাদের বাণী প্রচার করেছেন।

    শব্দার্থ ও টীকাঃ

    আরব-দুলাল– আরব সন্তান, এখানে হযরত মুহম্মদ (স) কে বােঝানাে হয়েছে। ইহুদি- প্রাচীন হিব্রু বা জু-জাতি ও ধর্মসম্প্রদায়ের মানুষ।

    কনফুসিয়াস– চিন দেশের একজন প্রখ্যাত দার্শনিক। এখানে তাঁর অনুসারীদের বােঝানাে হয়েছে।

    কোরানের সাম্য-গান– পবিত্র কোরানের সাম্যের বাণী।

    কাশী, মথুরা, বৃন্দাবন, গয়া– হিন্দুদের পবিত্র ধর্মীয় কয়েকটি স্থান।

    গারাে– গারাে পর্বত অঞ্চলের অধিবাসী ক্ষুদ্র নৃ-গােষ্ঠীবিশেষ।

    চার্বাক– একজন বস্তুবাদী দার্শনিক ও মুনি। তিনি বেদ, আত্মা, পরলােক ইত্যাদিতে আস্থাশীল ছিলেন।

    জেরুজালেম বায়তুল-মােকাদ্দস, ফিলিস্তিনে অবস্থিত এই স্থানটি মুসলমান, খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের নিকট সমভাবে পুণ্যস্থান।

    জেন্দাবেস্তা – পারস্যের অগ্নি উপাসকদের ধর্মগ্রন্থ আবেস্তা এবং তার ভাষা জেন্দা।

    জৈন– জিন বা মহাবীর প্রতিষ্ঠিত ধর্মমতাবলম্বী সম্প্রদায়।

    দেউল– দেবালয়, মন্দির।

    নীলাচল – জগন্নাথক্ষেত্র, নীলবর্ণযুক্ত পাহাড়। যে বিশাল পাহাড়ের পরিসীমা নির্ধারণ করা যায় না।

    পার্সি– পারস্যদেশের বা ইরানের নাগরিক।

    বাঁশির কিশাের গাহিলেন মহা-গীতাহিন্দুধর্মের অবতার শ্রীকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত বাণীই শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা।

    মসজিদ এই, মন্দির এই, গির্জা এই হৃদয়– মানুষের হৃদয়ই মসজিদ, মন্দিও, গির্জা বা অন্যান্য তীর্থক্ষেত্রের মতাে পবিত্র।

    যুগাবতার– বিভিন্ন যুগে অবতীর্ণ মহাপুরুষ।

    শাক্যমুনি – শাকবংশে জন্ম যার, বুদ্ধদেব।

    সাম্য– সমদর্শিতা, সমতা।

    সাম্যবাদ– জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে রাষ্ট্রের সকল মানুষের সমান অধিকার থাকা উচিত এই মতবাদ।

    সাঁওতাল, ভীল– ভারতীয় উপমহাদেশের আদিম নৃগােষ্ঠীবিশেষ।

    হিয়া– হৃদয়।

    See less
    • 0
  5. অসুস্থতার জন্য অফিসে ছুটির আবেদন পত্র: আমাদেরকে অনেক সময় অফিসে/কার্যালয়ে উপস্থিত না থাকার কারণে লিখিত আবেদন পত্র বা অ্যাপ্লিকেশন করতে হয়। তাই মনে করেন আপনি অসুস্থ থাকার কারণে অফিসে আসতে পারেন নাই, এইবার আপনি কিভাবে আবেদন পত্র লিখবেন তার একটি নমুনা এখানে দেওয়া হলো।   20 সেপ্টেম্বর 2020 ইং প্Read more

    অসুস্থতার জন্য অফিসে ছুটির আবেদন পত্র:

    আমাদেরকে অনেক সময় অফিসে/কার্যালয়ে উপস্থিত না থাকার কারণে লিখিত আবেদন পত্র বা অ্যাপ্লিকেশন করতে হয়। তাই মনে করেন আপনি অসুস্থ থাকার কারণে অফিসে আসতে পারেন নাই, এইবার আপনি কিভাবে আবেদন পত্র লিখবেন তার একটি নমুনা এখানে দেওয়া হলো।

     

    20 সেপ্টেম্বর 2020 ইং

    প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
    ABC Private Limited
    পশ্চিম কলকাতা

    বিষয় : অসুস্থতার জন্য  ছুটির আবেদন পত্র।

    স্যার,
    

    আমার নিবেদন এই যে,  আমি আপনার প্রতিষ্ঠানের কর্মরত একজন ডাটা এন্ট্রি সহায়ক। গত বেশ কয়েকদিন ধরে আমি হার্টের সমস্যায় ভুগছি  তাই ডাক্তার আমাকে এক সপ্তাহের জন্য সম্পূর্ণ বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন। তাই আমি আগামী 21 সেপ্টেম্বর থেকে 27 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অফিসের কাজে যোগ দিতে  পারিব না।


    অতএব,  আমার উক্ত অসুস্থতার বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে বিবেচনা করে আমাকে আগামী এক সপ্তাহের ছুটির বিষয় টি মঞ্জুর করিবেন।

    নিবেদক

    সপ্নিল ঠাকুর
    ডাটা এন্ট্রি সহায়ক

    See less
    • 0
  6. রিসাইকেল শব্দের অর্থ হচ্ছে পুনঃচক্র। বর্জ্য বা অবশেষ হিসেবে থেকে যাওয়া বা ফেলে রাখা অকেজো বিভিন্ন পদার্থ সংগ্রহ করে যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা হয় তাকে রিসাইকেল বলে। রিসাইকেল প্রক্রিয়া বলতে ব্যবহার করা বস্তুসমূহকে আবার ব্যবহারের উপযোগী করে তোলাকে বোঝায়। বিভিন্ন বস্তু যেমন পলিথিন,Read more

    রিসাইকেল শব্দের অর্থ হচ্ছে পুনঃচক্র। বর্জ্য বা অবশেষ হিসেবে থেকে যাওয়া বা ফেলে রাখা অকেজো বিভিন্ন পদার্থ সংগ্রহ করে যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা হয় তাকে রিসাইকেল বলে।

    রিসাইকেল প্রক্রিয়া বলতে ব্যবহার করা বস্তুসমূহকে আবার ব্যবহারের উপযোগী করে তোলাকে বোঝায়। বিভিন্ন বস্তু যেমন পলিথিন, খাবারের বাক্স, পানির বোতল, পারফিউমের বোতল প্রভৃতি একবার ব্যবহৃত হয়ে গেলে আর কাজে আসে না । কিন্তু সেইগুলি আবার দৈনন্দিন জীবনে দরকারি বলে বার বার উৎপাদন করতে হয়। আবার সেইগুলির উৎপাদনে জ্বালানি ব্যবহার করা হয় বলে বায়ুদূষণ ঘটে।  তাই এসব বস্তু রিসাইকেল করে আবারও ব্যবহার উপযোগী করে তোলা হয়। ফলে উৎপাদন ও জ্বালানি হ্রাস পায় এবং পরিবেশ কম দূষিত হয়।

    See less
    • 0
  7. আম্ফান ঘূর্ণিঝড়: -আম্ফান (amphan) একটি ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনের নাম যা সম্প্রীতি ২০২০ সালের মে মাসে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছে। – আম্ফান (amphan)  নামটি দিয়েছে ২০০৪ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড । থাইল্যান্ডে  এই নামটি উপাদি বা  surname হিসাবে খুবই জনপ্ৰিয়। – নামটি কিভাবে রাখা হল? – যRead more

    আম্ফান ঘূর্ণিঝড়:

    -আম্ফান (amphan) একটি ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনের নাম যা সম্প্রীতি ২০২০ সালের মে মাসে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছে।

    – আম্ফান (amphan)  নামটি দিয়েছে ২০০৪ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড । থাইল্যান্ডে  এই নামটি উপাদি বা  surname হিসাবে খুবই জনপ্ৰিয়।

    – নামটি কিভাবে রাখা হল?

    – যে কোন ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখার একটা পদ্ধতি আছে। যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ঠিক করে রেখেছে। এই পদ্ধতি অনুযায়ী যে স্থানে ঘূর্ণিঝড় দেখা যাবে তার চারিপাশের বিভিন্ন দেশ নামের একটি তালিকা প্রস্তুত করবে এবং সেই তালিকা থেকে একটি নাম বাছাই করা হবে।

    -২০০৪ সালে দক্ষিণ এশিয়ার ৮ টি দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মায়ানমার এবং ওমান ৬৪ টি নামের একটি তালিকা প্রস্তুত করে এবং সেই তালিকার সর্বশেষ বাদ থাকা নাম হচ্ছে আম্ফান (amphan)

    See less
    • 0
  8. ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থের ‘আঠারাে বছর বয়স’ কবিতায় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য ‘আঠারাে’কে কৈশাের ও যৌবনের বয়ঃসন্ধির প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছেন। পরাধীন, যুদ্ধ-দাঙ্গা-দুর্ভিক্ষ পীড়িত বঙ্গ তথা ভারতীয় সমাজে আঠারাে এক প্রথা ভাঙ্গা বিস্ময়। কবি আঠারাের চরিত্র ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণে আঠারাে বছর বয়েসের নিম্নলিখিRead more

    ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থের ‘আঠারাে বছর বয়স’ কবিতায় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য ‘আঠারাে’কে কৈশাের ও যৌবনের বয়ঃসন্ধির প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছেন। পরাধীন, যুদ্ধ-দাঙ্গা-দুর্ভিক্ষ পীড়িত বঙ্গ তথা ভারতীয় সমাজে আঠারাে এক প্রথা ভাঙ্গা বিস্ময়। কবি আঠারাের চরিত্র ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণে আঠারাে বছর বয়েসের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলাে খুঁজে পেয়েছেন । সম্পূর্ণ সারমর্মের জন্য এখানে দেখুন আঠারো বছর বয়স কবিতার সারমর্ম

    See less
    • 0
  9. প্রশংসা পত্রের নমুনাঃ এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য বিভিন্ন সময়  প্রশংসা পত্র বা character certificate এর দরকার হয়। যাহা পাওয়ার জন্য পূর্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নিকট আবেদন করতে হয়। তার একটি নমুনা এখানে দেওয়া হল।   ১০ই জানুয়ারি ২০২০ইং প্রধান শিক্ষক গহপুর সরকারRead more

    প্রশংসা পত্রের নমুনাঃ

    এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য বিভিন্ন সময়  প্রশংসা পত্র বা character certificate এর দরকার হয়। যাহা পাওয়ার জন্য পূর্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নিকট আবেদন করতে হয়। তার একটি নমুনা এখানে দেওয়া হল।

     

    ১০ই জানুয়ারি ২০২০ইং

    প্রধান শিক্ষক
    গহপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
    বর্ধমান

    বিষয় : প্রশংসাপত্রের জন্য আবেদন

    মহােদয়,

    আমার সবিনয় বিনীত নিবেদন এই যে,আমি আপনার বিদ্যালয়ের একজন নিয়মিত ছাত্র। গত ২০১৯ সনের পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক পরীক্ষায় সাফ্যলের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছি। স্কুলে থাকাকালীন গত তিন বৎসর নিষ্ঠাবান ছাত্র হিসাবে কোন আইন শৃঙ্খলা বিরোধী কাজে লিপ্ত না হয়ে আমি সুষ্ঠ ভাবে পড়াশুনা সম্পন্ন করেছি। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আগ্রহের সহিত অংশগ্রহন করেছি। বর্তমানে আমি শিক্ষাবিকাশ জুনিওর কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ইচ্ছুক, তাই আপনার স্বাক্ষরিত একটি প্রশংসাপত্র অত্যন্ত দরকার।

    অতএব, আমার বিনীত প্রার্থনা, দয়া করে উপরোক্ত বিষয়গুলির নিরিখে আমাকে চারিত্রিক ও শিক্ষা বিষয়ক প্রশংসা পত্র প্রদান করে বাধিত করবেন।

    বিনীত,
    আপনার একান্ত অনুগত
    অমিত চক্রবর্তী
    রেজিস্ট্রেশন নাম্বার: 87654
    রোল নাম্বারঃ 32123

    See less
    • 1
  10. লেখক : Sirajam Munir Shraban প্রথমেই উল্লেখ করে রাখা দরকার, মানুষের ভবিষ্যৎ জীবনযাপন কেমন হবে তা অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে। এদের কোনো একটাতে সামান্য পরিবর্তন হলে সামগ্রিকভাবে বড় ধরনের এদিক-সেদিক হয়ে যায়। অনেকটা আবহাওয়ার পূর্বাভাসের মতো। আবহাওয়া কেমন হবে তা পরিবেশের অনেকগুলো উপাদানের উপর নির্ভরRead more

    লেখক : Sirajam Munir Shraban

    প্রথমেই উল্লেখ করে রাখা দরকার, মানুষের ভবিষ্যৎ জীবনযাপন কেমন হবে তা অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে। এদের কোনো একটাতে সামান্য পরিবর্তন হলে সামগ্রিকভাবে বড় ধরনের এদিক-সেদিক হয়ে যায়। অনেকটা আবহাওয়ার পূর্বাভাসের মতো। আবহাওয়া কেমন হবে তা পরিবেশের অনেকগুলো উপাদানের উপর নির্ভর করে। এসব উপাদান বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া সম্পর্কে আনুমানিক একটা ভবিষ্যদ্বাণী করা যায়।

    মানুষের মাঝে সদা পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে শরীরেও পরিবর্তন সংঘটিত হয়। কোনো অঞ্চলে যদি সূর্যের উত্তাপের পরিমাণ বেশি হয়, তাহলে রোদের সাথে খাপ খাইয়ে নেবার জন্য ত্বকে মেলানিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। ত্বকে মেলানিনের উপস্থিতি বেশি থাকলে ত্বক কালো হয়ে যায়। সেজন্যই দেখা যায়, যে অঞ্চলে গরম বেশি সে অঞ্চলের মানুষ অপেক্ষাকৃত কালো হয়। কোনো অঞ্চলে শীতলতার পরিমাণ বেশি হলে ত্বকের নীচে শীত প্রতিরোধক চর্বির স্তর বেড়ে যায়।

    ইতিহাসের পথে পথে পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেবার জন্য অনেক ভাঙা-গড়া ও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আসতে হয়েছে মানুষকে। এবং এই প্রক্রিয়া থেমে যায়নি, এখনো চলমান আছে। প্রক্রিয়া যেহেতু চলমান, তাই একটি প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে- ভবিষ্যতে মানুষের মাঝে কী কী পরিবর্তন সাধিত হবে? দেখতে-শুনতে, আকার-আকৃতিতে কেমন হবে ভবিষ্যতের মানুষ? কেমন হবে এক হাজার বছর পরের মানুষের রূপ?

    মানুষ বর্তমানের তুলনায় অনেকখানি লম্বা হবে। গাণিতিক বাস্তবতা এমনই বলে। গত ১৩০ বছরে মানুষের উচ্চতা বেড়েছেও বেশ খানিকটা। ১৮৮০ সালের দিকে আমেরিকার পুরুষদের গড় উচ্চতা ছিল ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। এখন তাদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি। এক হাজার বছর সময়ের ব্যবধানে উচ্চতার এই পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য হিসেবেই দেখা দেবে বলে ধারণা করা হয়।

    কানের মাধ্যমে শোনা, চোখের মাধ্যমে দেখা, নাকের মাধ্যমে ঘ্রাণ অনুধাবন করা সহ দেহের অন্যান্য কার্যপ্রণালীতে পরিবর্তন আসবে। যেমন বর্তমানে ‘হিয়ারিং এইড’ নামে একটি যন্ত্র আছে যেটি কানে সমস্যা সম্পন্ন মানুষদেরকে শুনতে সাহায্য করে। এই যন্ত্র সাধারণ শব্দ রেকর্ড করে সেটিকে ক্ষতিগ্রস্ত কানের উপযোগী শব্দে রূপান্তরিত করতে পারে। এমনকি এর সাথে সংযুক্ত মোবাইলে তা লিখিতরূপেও প্রদান করতে পারে।

    চোখের কথা বিবেচনা করতে পারি। আগে কোনো দাতা ব্যক্তি চোখ দান করলে তা দিয়ে অন্য কারো চোখের চিকিৎসা করা হতো কিংবা অন্ধের চোখে লাগানো হতো। ক’দিন পরে এই সীমাবদ্ধতা আর থাকবে না। ওরেগন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ‘বায়োনিক চোখ’ নামে একধরনের যন্ত্র তৈরি করছেন যার মাধ্যমে অন্ধরাও দৃষ্টি ফিরে পাবে। যন্ত্রের মাধ্যমে একজন জলজ্যান্ত মানুষ দেখতে পাচ্ছে এই ব্যাপারটা কম অভাবনীয় নয়।

    এতটুকু যেহেতু সম্ভব, হয়েছে এটির দৃষ্টির পরিব্যাপ্তি বাড়ানোও অস্বাভাবিক বা অসম্ভব কিছু নয়। মানুষের চোখ তড়িৎচুম্বক বর্ণালীর খুবই ক্ষুদ্র একটি অংশ দেখতে পায়। বর্ণালীর ‘দৃশ্যমান আলো’র বাইরে অনেক বড় একটা অংশ অধরাই থেকে যায় সবসময়। এমনও হতে পারে বায়োনিক চোখের উন্নতির মাধ্যমে দৃশ্যমান আলোর বাইরের আলোও মানুষ দেখতে পারবে। যেমন ইনফ্রারেড কিংবা এক্স-রে। এই দুই ধরনের আলোতে মানুষের চোখ সংবেদনশীল হলে জগতের অনেক অজানা রাজ্য, অচেনা ভাণ্ডার মানুষের সামনে চলে আসবে। যে জিনিসগুলো মানুষের চোখে আজকে অদৃশ্য সেগুলো তখন হয়ে যাবে দিনের আলোর মতো সত্য। যেমন ইনফ্রারেড রশ্মি বা অবলোহিত আলোর প্রতি চোখ সংবেদনশীল হলে মানুষ অন্ধকারেও দেখতে পাবে।

    শুধু দেহের বাইরের দিক থেকেই নয়, ভেতরের ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর পর্যায়েও পরিবর্তন আসবে। জীবনকে টিকিয়ে রাখার জন্য আণুবীক্ষণিক পর্যায়ে আমাদের জিনও পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেবে। যেমন- অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক আফ্রিকায় এমন কিছু শিশুর সন্ধান পেয়েছেন যারা HIV-তে আক্রান্ত হয়েও দিব্যি সুস্থ জীবন পার করছে। তাদের জিনে এমন কিছু প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে যেটি HIV ভাইরাসকে প্রতিহত করে দেয় এবং দেহ থেকে এইডসকে দূরে রাখে।

    বিজ্ঞানের কল্যাণে মানুষ ল্যাবরেটরিতেও জিনের কলকব্জা নাড়াচাড়া করতে পারে। জিনের কোন অংশে কোন ধরনের সম্পাদনা করলে কোন রোগ প্রতিহত হবে এটা জানতে পারলে মানুষ নিজেরাই দেহের মাঝে অনেক নিশ্চিত প্রাণঘাতী রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে। এই প্রক্রিয়া ব্যবহার মানুষের বৃদ্ধ হবার প্রক্রিয়াকেও থামিয়ে দেয়া সম্ভব। তখন সকল মানুষ হবে চির তরুণ। সম্ভাবনাময় এই প্রযুক্তির নাম হচ্ছে CRISPR।

    এটা ছাড়া এমনিতেও মানুষের অসুস্থ হবার হার কিংবা অসুস্থ হয়ে মারা যাবার হার কমে যাবে। তখন মানবদেহের চিকিৎসায় চলে আসবে ন্যানো রোবট বা সংক্ষেপে ন্যানোবট। শরীরের ভেতরে যে অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা যে অংশটি জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত সে অংশে ক্ষতি পূরণ করতে কিংবা জীবাণুদের সাথে যুদ্ধ করতে পাঠিয়ে দেয়া হবে এদেরকে।

    মানুষ যদি ক্রমান্বয়ে পরিবেশের দূষণ ঘটাতেই থাকে তাহলে পৃথিবীর ওজোন স্তরের বাধ ভেঙে পড়বে। এই স্তর সূর্যের ক্ষতিকর বিকিরণকে শোষণ করে নেয়। এটি না থাকলে সূর্যের ক্ষতিকর বিকিরণের প্রভাব পড়বে মানুষের উপরে। অন্যান্য পরিবর্তনের পাশাপাশি মানুষের ত্বক কিছুটা কালচে হয়ে যাবে।

    পৃথিবীর গণ্ডি পেরিয়ে অন্য কোনো গ্রহে মানব বসতি স্থাপন করা এখন কল্পনার গণ্ডি ছাড়িয়ে বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। এক হাজার বছরের মাঝে গ্রহে গ্রহে ভ্রমণ হয়ে যাবে আজকের দিনে পিকনিক স্পটে ভ্রমণের মতো। বেশি দূরে না গিয়ে মঙ্গল গ্রহের কথাই বিবেচনা করি। মঙ্গল গ্রহে মানুষ বসবাস করার জোর সম্ভাবনা আছে। সেখানে বসবাসকারী মানুষের শারীরিক পরিবর্তন, পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষের শারীরিক পরিবর্তনের চেয়ে ভিন্নভাবে হবে।

    মঙ্গলে সূর্যের আলোর পরিমাণ কম। পৃথিবীর আলোর প্রায় তিনভাগের একভাগ আলো পড়ে সেখানে। যার মানে হচ্ছে এই গ্রহে দেখতে সমস্যা হবে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য চোখের মণি বড় হবে। মণি বড় হলে চোখে বেশি আলো প্রবেশ করবে। বেশি আলো প্রবেশ করলে কোনোকিছুকে স্পষ্টতর দেখা যাবে। মঙ্গলের অভিকর্ষীয় টানও পৃথিবীর তুলনায় কম। সেখানে কেউ গেলে পৃথিবীর অভিকর্ষীয় টানের মাত্র ৩৮% অনুভব করবে। তাই সেখানে যারা জন্মগ্রহণ করবে তাদের উচ্চতা হবে অনেক বেশি। নীচের দিকে টান কম থাকাতে শিশু লম্বা হয়ে উঠবে তরতরিয়ে।

    মেরুদণ্ডের কশেরুকাগুলোর মধ্যবর্তী স্থানে একধরনের অর্ধ-তরল পদার্থ (fluid) থাকে। এরা কশেরুকাগুলোকে পরস্পর বিচ্ছিন্ন রাখে। পৃথিবীর অভিকর্ষীয় আকর্ষণে এরা ভালোই চাপে থাকে। কেউ যদি মহাকাশে বা মঙ্গল গ্রহে যায় তাহলে এদের মাঝে প্রযুক্ত চাপ কম পড়ে এবং এরা স্ফীত হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়ায় একজন স্বাভাবিক মানুষের উচ্চতাও কয়েক ইঞ্চি পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। মঙ্গলে যারা জন্মগ্রহণ করবে তাদের উচ্চতা যে বেশি করে বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।

    এক হাজার বছরের ভেতরে এসবের চেয়েও অনেক বড় এবং অনেক আকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসতে পারে। অমরত্ব, এটি অর্জনের প্রথম ধাপ হতে পারে মানুষের চেতনা বা কনশাসনেসকে বিশেষ উপায়ে যান্ত্রিকভাবে সংগ্রহ করা। চেতনাকে যান্ত্রিক ভাষায় রূপ দিতে পারলে সেটিকে পরবর্তীতে কোনো যন্ত্রে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হবে। ইতালি ও চীনের বিজ্ঞানীরা এর সাথে সম্পর্কিত কাজে অগ্রগতিও অর্জন করেছেন। এক প্রাণীর মাথা আরেকটি প্রাণীর দেহে স্থাপন করে দেখছেন সেসব প্রাণীর মস্তিষ্ক বা চেতনা ঠিকঠাক মতো কাজ করছে কিনা। তারা আশা করছেন, মানুষের মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন হবে তাদের কাজের পরবর্তী লক্ষ্য।

    যেরকম বলা হয়েছে মানুষের পরিবর্তন হয়তো ভবিষ্যতে সেরকমই হবে কিংবা এর কাছাকাছি রকম হবে কিংবা হয়তো একদমই ভিন্নরকম হবে! তবে যেরকমই হোক, মানুষের মাঝে পরিবর্তন সংঘটিত হবেই। বিবর্তনের অমোঘ নীতি অনুসারে পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেবার জন্য যে যত দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারবে সে তত সফলভাবে টিকে থাকতে পারবে। যারা খাপ খাওয়ানোর জন্য নিজেদের মাঝে পরিবর্তন আনতে পারবে না, তারা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। পরিবেশে টিকে থাকার জন্য দেহে পরিবর্তন সাধিত হওয়া খারাপ লক্ষণ নয়। এরা নিজেদের অস্তিত্বকে বাঁচিয়ে রাখার সুখবরই বহন করে।

    See less
    • 0