অমলকান্তি কবিতার সারমর্ম বিষয়বস্তু | Amalkanti Poem Summary in Bengali?
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
জিজ্ঞেস করুন আপনার যে কোনো প্রশ্ন আর যুক্ত থাকুন সবসময়
Create A New Account
Hridoy
মূলভাব : অমলকান্তি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অন্যতম একটি কবিতা। সেই কবিতার মুখপাত্র ‘অমলকান্তি’ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সৃষ্টি করা একটি অমর চরিত্র। “অমলকান্তি” হচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের অন্তরে লুকিয়ে থাকা অপরিপূর্ণ কিছু আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। “অমলকান্তি” গতানুগতিক জীবনের বিপরীত ধারায় চলার স্বপ্ন দেখা মানুষের প্রতীক।
সারাংশ: কবিতায় কবি বলছেন যে, অমলকান্তি তার বন্ধু তার সহপাঠী। কিন্তু অমলকান্তি পড়াশুনায় খুবই কাঁচা, রোজ স্কুলে দেরি করে আসে, কিছু জিজ্ঞেস করলে জানালার দিকে চেয়ে থাকে। আর তার এই অন্যমনস্ক চিন্তা ও অস্বাভাবিক কর্ম কবি কে ভাবায় , দুঃখ দেয়।
“অমলকান্তি আমার বন্ধু, ইস্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম।
রোজ দেরি করে ক্লাসে আসতো, পড়া পারতো না,”
সবাই পড়াশোনা করে কোন লক্ষ্য নিয়ে হয়তো কেউ ডাক্তার হতে চায়, কেউতো উকিল। সবাই পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে কিন্তু অমলকান্তি তার ব্যতিক্রমি, সে কোন কিছু হতে চায় না সে হতে চায় রোদ্দুর। সে হতে চায় কাক ডাকা বিকেলের লাজুক রোদ্দুর।
“আমরা কেউ মাষ্টার হতে চেয়েছিলাম, কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল।
অমলকান্তি সে-সব কিছু হতে চায়নি। সে রোদ্দুর হতে চেয়েছিল।”
সবাই প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠলেও কমল কান্তি কিন্তু রোদ্দুর হয়ে উঠতে পারেনি, হয়নি পূরণ তার স্বপ্ন। বর্তমানে সে একটি অন্ধকার ছাপাখানায় কাজ করে তার অপরিপূর্ণ স্বপ্ন নিয়ে।
“আমরা কেউ মাষ্টার হয়েছি। কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল
অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি।”
মানুষ চাইলে অনেক রকম ভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে তার ইচ্ছা ও সাধনায় সে নিতে পারে যেকোনো একটি পেশা। এবং একই ভাবে সবাই প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে কিন্তু কমলা কান্তি তা পেরে উঠেনি। তার রোদ্দুর হওয়ার স্বপ্ন অপ পরিপূর্ণ থেকেই গেল। “সকলেরই ইচ্ছে পূরণ হল, এক অমলকান্তি ছাড়া। অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারে নি।”
অমলকান্তি কেন রোদ্দুর হতে চেয়েছিল? কারণ, ঘিঞ্জি বস্তিতে থাকার ফলে সে রোদ্দুর পায়না। সে জীবনের আনন্দ থেকে বঞ্চিত তাই রোদ্দুর খুঁজে এবং সে নিজে রোদ্দুর হয় যেতে চায়। অমলকান্তি ভিন্ন ধারায় জীবন চালিয়ে যেতে চায় কারণ টাকা পয়সা এবং প্রতিষ্ঠা জীবনে সব কিছু এনে দিতে পারে না।
বাস্তবে কোন মানুষ রোদ বৃষ্টি হতে পারে না তাই রোদ্দুর এখানে জীবনের আলোর প্রতীক, আনন্দের প্রতীক। এবং শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠিত হলে সুখী হওয়া যায় না, টাকা পয়সা হয়তো আমাদেরকে স্বাচ্ছন্দ এনে দে কিন্তু প্রকৃত আনন্দ আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্যে নেই। তাই অমলকান্তি রোদ্দুর হতে হয়ে যায়।