ভূমিকা : বিজ্ঞান আধুনিক জগতের অগ্রগতিকে নিত্য নূতন দানে সমৃদ্ধ ও
প্রাণবন্ত করে রেখেছে। কম্পিউটার আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার।
এমনকী প্রাইমারির ছাত্র – সেও জানে কম্পিউটারের নাম। শুধুমাত্র নাম জানা নয়,
ক্লাসে, বাড়িতে সে কম্পিউটারের বান্সের সম্মুখে বসে বােতাম টেপা টেপি করছে। কুল
কলেজের ছাত্র নিচ্ছে কম্পিউটারের পাঠ। আবার নিজেকে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের প্রস্তুতি
নিতে দল বেঁধে ছেলেমেয়েরা ভর্তি হচ্ছে কম্পিউটার শিক্ষাকেন্দ্রে। সারা বিশ্বে আজ
কম্পিউটারের একচ্ছত্র আধিপত্য। তাই কম্পিউটারই আজ আবালবৃদ্ধবনিতার ধ্যান
জন।
কম্পিউটারের স্বরূপ : কম্পিউটারের বাংলা নাম যন্ত্রগণক। কিন্তু শুধু
এই নামটি দিয়ে কম্পিউটারের বিস্ময়কর কাণ্ড-কারখানা বােঝানাে যায় না। কম্পিউটারের
কাজ হল – তথ্য সংগ্রহ, তথ্যের প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাত তথ্য
সরবরাহ। এই সবগুলি কাজকে একত্রে কম্পিউটার ব্যবস্থা বলা হয়। এই ব্যবস্থায়
ধরনের যন্ত্রপাতি থাকে। এক ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে কম্পিউটারে তথ্য পাঠানাে হয়,
আর অন্য ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে কম্পিউটারে জমিয়ে রাখা বা প্রক্রিয়াজাত তথ্যগুলি
ব্যবহারকারীর কাছে পৌছে দেওয়া হয়। প্রথম ধরনের যন্ত্রের নাম ইনপুট যন্ত্র আর
দ্বিতীয় ধরনের নাম আউটপুট যন্ত্র। ইনপুট যন্ত্রে রয়েছে মাউস, কি-বাের্ড, স্ক্যানার।
ইত্যাদি আর আউটপুট যন্ত্রে রয়েছে – স্ক্রিন, স্পীকার, প্রিন্টার ইত্যাদি।
হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার : কম্পিউটারের মূল দুটি অংশ হল – হার্ডওয়্যার
ও সফটওয়্যার। হার্ডওয়্যার বলতে কম্পিউটারের মধ্যে যত সব যন্ত্রপাতি রয়েছে,
সেগুলিকে বােঝায়। বিভিন্ন পদ্ধতি, রুটিন, প্রোগ্রাম সফটওয়্যার বলা হয়। দুপ্রকারের
সফটওয়্যার আছে। যেমন – অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ও অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার।
কোন কিছু লেখা, ছবি আঁকা, হিসাব নিকাশ সব করা হয় অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের
সাহায্যে। আর অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় কম্পিউটার চালানোর
জন্য। বিস্ময়কর কম্পিউটার : কম্পিউটারকে এক কথায় বলা যেতে পারে পৃথিবীর
সর্ববৃহৎ ভান্ডার ঘর। এই ভান্ডার ঘরের কোনে সীমা পরিসীমা নেই। এই ঘরে যত
খুশি তথ্য ঢুকিয়ে রাখা যায়। হাজার হাজার বইয়ের পাতা কম্পিউটার তার পেট্টে জমা
রাখতে পারে। আবার মানুষের যখন প্রয়োজন তখন সে তা বের করে দিতেও পারে ৷
কম্পিউটারে একটা ইদুরের মতাে যন্ত্র আছে, তার নাম ‘মাউস’। এটি নেড়ে কম্পিউটারকে
নির্দেশ দিলে, আপনার নির্দেশ মতো প্রয়োজনীয় তথ্য আপনার চোখের আসে
কম্পিউটার হাজির করে দিবে।
ব্যবহারে সুবিধা : কম্পিউটার ব্যবহারে চারটি প্রধান সুবিধা উল্লেখযোগ্য।
অতি অল্প সময়ে এর মাধ্যমে বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা যায় ।প্রভূত
তথ্যকে সঞ্চিত ও সজ্জিত করে রাখার ক্ষমতা এর আছে। এই যন্ত্রগণক নির্ভুল তথ্য
ও কার্যক্রমের অনুসরণে নির্ভুল অনায়াসসাধ্য সমাধান করে দিতে পারে। তথ্য ও
কার্যক্রমের বৈচিত্র্য অনুসরণে সূক্ষ ও জটিল কার্য সম্পাদন করার অভাবনীয় ক্ষমতা
এর আছে।
ইন্টারনেট, ই-মেইল : কম্পিউটারের দৌলতে আজ গােটা পৃথিবীটা মানুষের
হাতের মুঠোয় এসে গেছে। কম্পিউটারের কল্যাণে বিশ্ব জুড়ে চালু হয়েছে ইন্টারনেট,
ই-মেল, ওয়েব সাইট ইত্যাদি বিস্ময়কর পরিষেবা। টেলিফোনের বদলে কম্পিউটার
থেকে কম্পিউটারে উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে তথ্য আধান প্রধান করাই হল
ইন্টারনেট সিস্টেম। ই-মেল হল ইলেকট্রনিক মেইল। ইন্টারনেটের মাধ্যমে মুহূর্তে ই.
মেলের বার্তা প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায়। ইন্টারনেটের সাহায্যে সারা বিশ্বের জ্ঞান ভান্ডার কে নিজস্ব কম্পিউটারে সংগ্রহ করে রাখা যায় এবং নতুন কোন প্রোাম চালু
করা যায়।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার : মানবজীবনে কম্পিউটার যে কীভাবে পরিষেণা
দিয়ে চলেছে, তা বলে শেষ করা যাবে না। এর সাহায্যে কোনও প্রতিষ্ঠানের বিপুল
সংখ্যক কর্মীদের মাসিক বেতন এবং বাৎসরিক আয় ব্যয়ের হিসাব নির্ণয় করা হয়ে
থাকে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে এর নানা প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার
কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া পরীক্ষার ফল প্রকাশ, মহাকাশযানের নির্ভুল
উৎক্ষেপণ ও গতিপথ নির্দেশ ইত্যাদি সব বিচিত্র কাজই এই যন্ত্র নির্ভুলভাবে করে
থাকে। তথ্য প্রযুক্তির প্রসার : বর্তমান যুগকে তথ্য প্রযুক্তির যুগ বলা হয়। তথ্য
প্রযুক্তি আজ একটা জীবনমুখী বিদ্যা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আজ বহু ছাত্রছাত্রী
তথ্য প্রযুক্তিবিদ্যায় শিক্ষা প্রাপ্তি হয়ে জীবিকার নতুন পথ খুঁজে পেয়েছে। এই প্রযুক্তির
অনেক কম্পিউটার। আজ কম্পিউটার প্রচুর বেকারের রােজগারের সংস্থান করে
দিয়েছে। উপসংহার : কম্পিউটার অসাধ্য সাধন করে চলেছে। অসম্ভবকে সম্ভব।
করেছে। প্রযুক্তিবিদ্যার দ্বারা কম্পিউটার পৃথিবীর চেহারা পাল্টে দিচ্ছে। পদার্থ বিজ্ঞানী
লরেন্স ক্রস বলেছেন, বিবর্তন যদি মানুষের এগিয়ে চলার মূল নীতি হয়, তাহলে
আগামী দিনে সমাজ বদলে সবচেয়ে বড়াে ভূমিকা নিবে কম্পিউটার। কম্পিউটার
বহুল পরিমাণে ব্যবহারের ফলে বেকারত্ব বাড়বে কারণ কম্পিউটার চারজন মানুষের
কাজ একসঙ্গে করতে পারে। তথাপি আধুনিক জীবনে কম্পিউটারকে মেনে নিতেই
হবে।
Hridoy
কম্পিউটার ( Computer Rachana)
ভূমিকা : বিজ্ঞান আধুনিক জগতের অগ্রগতিকে নিত্য নূতন দানে সমৃদ্ধ ও
প্রাণবন্ত করে রেখেছে। কম্পিউটার আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার।
এমনকী প্রাইমারির ছাত্র – সেও জানে কম্পিউটারের নাম। শুধুমাত্র নাম জানা নয়,
ক্লাসে, বাড়িতে সে কম্পিউটারের বান্সের সম্মুখে বসে বােতাম টেপা টেপি করছে। কুল
কলেজের ছাত্র নিচ্ছে কম্পিউটারের পাঠ। আবার নিজেকে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের প্রস্তুতি
নিতে দল বেঁধে ছেলেমেয়েরা ভর্তি হচ্ছে কম্পিউটার শিক্ষাকেন্দ্রে। সারা বিশ্বে আজ
কম্পিউটারের একচ্ছত্র আধিপত্য। তাই কম্পিউটারই আজ আবালবৃদ্ধবনিতার ধ্যান
জন।
কম্পিউটারের স্বরূপ : কম্পিউটারের বাংলা নাম যন্ত্রগণক। কিন্তু শুধু
এই নামটি দিয়ে কম্পিউটারের বিস্ময়কর কাণ্ড-কারখানা বােঝানাে যায় না। কম্পিউটারের
কাজ হল – তথ্য সংগ্রহ, তথ্যের প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাত তথ্য
সরবরাহ। এই সবগুলি কাজকে একত্রে কম্পিউটার ব্যবস্থা বলা হয়। এই ব্যবস্থায়
ধরনের যন্ত্রপাতি থাকে। এক ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে কম্পিউটারে তথ্য পাঠানাে হয়,
আর অন্য ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে কম্পিউটারে জমিয়ে রাখা বা প্রক্রিয়াজাত তথ্যগুলি
ব্যবহারকারীর কাছে পৌছে দেওয়া হয়। প্রথম ধরনের যন্ত্রের নাম ইনপুট যন্ত্র আর
দ্বিতীয় ধরনের নাম আউটপুট যন্ত্র। ইনপুট যন্ত্রে রয়েছে মাউস, কি-বাের্ড, স্ক্যানার।
ইত্যাদি আর আউটপুট যন্ত্রে রয়েছে – স্ক্রিন, স্পীকার, প্রিন্টার ইত্যাদি।
হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার : কম্পিউটারের মূল দুটি অংশ হল – হার্ডওয়্যার
ও সফটওয়্যার। হার্ডওয়্যার বলতে কম্পিউটারের মধ্যে যত সব যন্ত্রপাতি রয়েছে,
সেগুলিকে বােঝায়। বিভিন্ন পদ্ধতি, রুটিন, প্রোগ্রাম সফটওয়্যার বলা হয়। দুপ্রকারের
সফটওয়্যার আছে। যেমন – অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ও অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার।
কোন কিছু লেখা, ছবি আঁকা, হিসাব নিকাশ সব করা হয় অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের
সাহায্যে। আর অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় কম্পিউটার চালানোর
জন্য।
বিস্ময়কর কম্পিউটার : কম্পিউটারকে এক কথায় বলা যেতে পারে পৃথিবীর
সর্ববৃহৎ ভান্ডার ঘর। এই ভান্ডার ঘরের কোনে সীমা পরিসীমা নেই। এই ঘরে যত
খুশি তথ্য ঢুকিয়ে রাখা যায়। হাজার হাজার বইয়ের পাতা কম্পিউটার তার পেট্টে জমা
রাখতে পারে। আবার মানুষের যখন প্রয়োজন তখন সে তা বের করে দিতেও পারে ৷
কম্পিউটারে একটা ইদুরের মতাে যন্ত্র আছে, তার নাম ‘মাউস’। এটি নেড়ে কম্পিউটারকে
নির্দেশ দিলে, আপনার নির্দেশ মতো প্রয়োজনীয় তথ্য আপনার চোখের আসে
কম্পিউটার হাজির করে দিবে।
ব্যবহারে সুবিধা : কম্পিউটার ব্যবহারে চারটি প্রধান সুবিধা উল্লেখযোগ্য।
অতি অল্প সময়ে এর মাধ্যমে বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা যায় ।প্রভূত
তথ্যকে সঞ্চিত ও সজ্জিত করে রাখার ক্ষমতা এর আছে। এই যন্ত্রগণক নির্ভুল তথ্য
ও কার্যক্রমের অনুসরণে নির্ভুল অনায়াসসাধ্য সমাধান করে দিতে পারে। তথ্য ও
কার্যক্রমের বৈচিত্র্য অনুসরণে সূক্ষ ও জটিল কার্য সম্পাদন করার অভাবনীয় ক্ষমতা
এর আছে।
ইন্টারনেট, ই-মেইল : কম্পিউটারের দৌলতে আজ গােটা পৃথিবীটা মানুষের
হাতের মুঠোয় এসে গেছে। কম্পিউটারের কল্যাণে বিশ্ব জুড়ে চালু হয়েছে ইন্টারনেট,
ই-মেল, ওয়েব সাইট ইত্যাদি বিস্ময়কর পরিষেবা। টেলিফোনের বদলে কম্পিউটার
থেকে কম্পিউটারে উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে তথ্য আধান প্রধান করাই হল
ইন্টারনেট সিস্টেম। ই-মেল হল ইলেকট্রনিক মেইল। ইন্টারনেটের মাধ্যমে মুহূর্তে ই.
মেলের বার্তা প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায়। ইন্টারনেটের সাহায্যে সারা বিশ্বের জ্ঞান ভান্ডার কে নিজস্ব কম্পিউটারে সংগ্রহ করে রাখা যায় এবং নতুন কোন প্রোাম চালু
করা যায়।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার : মানবজীবনে কম্পিউটার যে কীভাবে পরিষেণা
দিয়ে চলেছে, তা বলে শেষ করা যাবে না। এর সাহায্যে কোনও প্রতিষ্ঠানের বিপুল
সংখ্যক কর্মীদের মাসিক বেতন এবং বাৎসরিক আয় ব্যয়ের হিসাব নির্ণয় করা হয়ে
থাকে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে এর নানা প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার
কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া পরীক্ষার ফল প্রকাশ, মহাকাশযানের নির্ভুল
উৎক্ষেপণ ও গতিপথ নির্দেশ ইত্যাদি সব বিচিত্র কাজই এই যন্ত্র নির্ভুলভাবে করে
থাকে।
তথ্য প্রযুক্তির প্রসার : বর্তমান যুগকে তথ্য প্রযুক্তির যুগ বলা হয়। তথ্য
প্রযুক্তি আজ একটা জীবনমুখী বিদ্যা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আজ বহু ছাত্রছাত্রী
তথ্য প্রযুক্তিবিদ্যায় শিক্ষা প্রাপ্তি হয়ে জীবিকার নতুন পথ খুঁজে পেয়েছে। এই প্রযুক্তির
অনেক কম্পিউটার। আজ কম্পিউটার প্রচুর বেকারের রােজগারের সংস্থান করে
দিয়েছে।
উপসংহার : কম্পিউটার অসাধ্য সাধন করে চলেছে। অসম্ভবকে সম্ভব।
করেছে। প্রযুক্তিবিদ্যার দ্বারা কম্পিউটার পৃথিবীর চেহারা পাল্টে দিচ্ছে। পদার্থ বিজ্ঞানী
লরেন্স ক্রস বলেছেন, বিবর্তন যদি মানুষের এগিয়ে চলার মূল নীতি হয়, তাহলে
আগামী দিনে সমাজ বদলে সবচেয়ে বড়াে ভূমিকা নিবে কম্পিউটার। কম্পিউটার
বহুল পরিমাণে ব্যবহারের ফলে বেকারত্ব বাড়বে কারণ কম্পিউটার চারজন মানুষের
কাজ একসঙ্গে করতে পারে। তথাপি আধুনিক জীবনে কম্পিউটারকে মেনে নিতেই
হবে।
Very nice essay! But the writer should use more difficult Bangla words which will convert the essay more nicer and appreciable.
Thank you!
Hridoy
Thank you for your valuable suggestion. I will keep that in my mind in future work.