
চিড়িয়াখানা একটি মানুষের দ্বারা তৈরী জায়গা যেখানে মানুষের দেখার জন্য পশু ও পাখীদের রাখা হয়। দূর দুরান্তে থাকা বন জঙ্গলে গিয়ে প্রানীজগতের বিষয়ে তথ্য জোগাড় করা, জন্তু জানোয়ার দেখা এবং তাদের বিষয়ে শেখাটা সব মানুষের দ্বারা সম্ভব হয়ে ওঠে না তাই চিড়িয়াখানায় পশুপাখীদের রেখে মানুষদের দেখার সুযোগ দেওয়া হয়। শিশুরাও বিশেষ ভাবে জন্তু জানোয়ার দেখতে পছন্দ করে তাই তারা চিড়িয়াখানায় পশুপাখীদের দেখে, তাদের বিষয়ে শিক্ষা লাভ করে নিজের জ্ঞান সমৃদ্ধ করে।
চিড়িয়াখানায় দেখতে যাওয়া মানুষদের উপর যাতে পশু পাখীরা হামলা না করে সেজন্য সেখানে সব পশুপাখীদের আলাদা আলাদা খাঁচায় ভরে রাখা হয়। কিছু কিছু প্রাণী যারা এই পৃথিবী থেকে শেষ হওয়ার পথে চলে যাচ্ছে, চিড়িয়াখানার ব্যবস্থা হওয়ায় তারা ও আরো কিছু কালের জন্য জীবিত থাকতে সক্ষম হচ্ছে। শুধু তাই নয়, গবেষকরাও চিড়িয়াখানায় এসে বিভিন্ন ধরনের প্রানীজগত সম্পর্কিত বিষয়ের উপর গবেষনা করেন।
কিন্তু চিড়িয়াখানা মানুষের জন্য লাভদায়ক হলেও পশু পাখীদের জন্য সেটা হল একটা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর তন্ত্র। বনের মুক্ত পশু পাখীদের এভাবে খাঁচায় বন্দী করা রাখা শুধু অন্যায় নয় বরং সেটা পশু পাখীদের উপর অত্যাচার করার একটা রাস্তা। বন্য পশুদের নিজের অভ্যস্ত পরিবেশ থেকে ছিড়ে এনে কৃত্রিম পরিবেশে রাখলে জীবনশৈলীর সাথে সাথে তাদের অভিযোজনের ক্ষমতাও হারিয়ে যায়। তাছাড়া এই পৃথিবীতে মানুষ এবং পশুপাখীদের সমান অধিকার রয়েছে, তাই মানুষের আনন্দের জন্য অন্য পশুদের কষ্ট দেওয়া একটা নিতান্ত অমানবিক কাজ। তাই আমাদের পশু পাখীদের উপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হওয়া উচিৎ।
Leave a comment