1. প্রার্থনা নাম দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বেশ কয়েকটি কবিতা রয়েছে। সেগুলো বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থে আলাদা ভাবে প্রকাশিত হয়েছে। প্রার্থনা নাম দিয়ে যে কবিতাগুলো পাওয়া যায় সেগুলো নিম্নরুপ। প্রার্থনা - (চৈতালি) প্রার্থনা - (খেয়া) প্রার্থনা - (গীতাঞ্জলী) প্রার্থনা - (কড়ি ও কোমল) প্রার্থনা - (পরিশেষ)   প্রার্Read more

    প্রার্থনা নাম দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বেশ কয়েকটি কবিতা রয়েছে। সেগুলো বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থে আলাদা ভাবে প্রকাশিত হয়েছে। প্রার্থনা নাম দিয়ে যে কবিতাগুলো পাওয়া যায় সেগুলো নিম্নরুপ।

    • প্রার্থনা – (চৈতালি)
    • প্রার্থনা – (খেয়া)
    • প্রার্থনা – (গীতাঞ্জলী)
    • প্রার্থনা – (কড়ি ও কোমল)
    • প্রার্থনা – (পরিশেষ)

     

    প্রার্থনা

    কাব্যগ্রন্থ – চৈতালি

    আজি কোন্‌ ধন হতে বিশ্ব আমারে
    কোন্‌ জনে করে বঞ্চিত
    তব চরণকমলরতনরেণুকা
    অন্তরে আছে সঞ্চিত।
    কত নিঠুর কঠোর ঘরশে ঘরষে
    মর্মমাঝারে শল্য বরষে
    তবু প্রাণমন পীযূষপরশে
    পলে পলে পুলকাঞ্চিত!
    আজি কিসের পিপাসা মিটিল না, ওগো
    পরম-পরান-বল্লভ।
    চিতে চিরসুধা করে সঞ্চার, তব
    সকরুণ করপল্লব।
    হেথা কত দিনে রাতে অপমানঘাতে
    আছি নতশির গঞ্জিত,
    তবু চিত্তললাট তোমারি স্বকরে
    রয়েছে তিলকরঞ্জিত।
    হেথা কে আমার কানে কঠিন বচনে
    বাজায় বিরোধঝঞ্ঝনা!
    প্রাণে দিবসরজনী উঠিতেছে ধ্বনি
    তোমারি বীণার গুঞ্জনা।
    নাথ, যার যাহা আছে তার তাই থাক্‌,
    আমি থাকি চিরলাঞ্ছিত।
    শুধু তুমি এ জীবনে নয়নে নয়নে
    থাকো থাকো চিরবাঞ্ছিত।

     

    প্রার্থনা

    কাব্যগ্রন্থ – খেয়া

    আমি বিকাব না কিছুতে আর
    আপনারে।
    আমি দাঁড়াতে চাই সভার তলে
    সবার সাথে এক সারে।
    সকালবেলার আলোর মাঝে
    মলিন যেন না হই লাজে,
    আলো যেন পশিতে পায়
    মনের মধ্যে একবারে।
    বিকাব না, বিকাব না
    আপনারে।

    আমি বিশ্ব-সাথে রব সহজ
    বিশ্বাসে।
    আমি আকাশ হতে বাতাস নেব
    প্রাণের মধ্যে নিশ্বাসে।
    পেয়ে ধরার মাটির স্নেহ
    পুণ্য হবে সর্ব দেহ,
    গাছের শাখা উঠবে দুলে
    আমার মনের উল্লাসে।
    বিশ্বে রব সহজ সুখে
    বিশ্বাসে।

    আমি সবায় দেখে খুশি হব
    অন্তরে।
    কিছু বেসুর যেন বাজে না আর
    আমার বীণা-যন্তরে।
    যাহাই আছে নয়ন ভরি
    সবই যেন গ্রহণ করি,
    চিত্তে নামে আকাশ-গলা
    আনন্দিত মন্ত্র রে।
    সবায় দেখে তৃপ্ত রব
    অন্তরে।

     

    প্রার্থনা

    কাব্যগ্রন্থ – গীতাঞ্জলী

    চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির,
    জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর
    আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী
    বসুধারে রাখে নাই খন্ড ক্ষুদ্র করি,
    যেথা বাক্য হৃদয়ের উৎসমুখ হতে
    উচ্ছ্বসিয়া উঠে, যেথা নির্বারিত স্রোতে
    দেশে দেশে দিশে দিশে কর্মধারা ধায়
    অজস্র সহস্রবিধ চরিতার্থতায়–
    যেথা তুচ্ছ আচারের মরুবালুরাশি
    বিচারের স্রোতঃপথ ফেলে নাই গ্রাসি,
    পৌরুষেরে করে নি শতধা; নিত্য যেথা
    তুমি সর্ব কর্ম চিন্তা আনন্দের নেতা–
    নিজ হস্তে নির্দয় আঘাত করি, পিতঃ,
    ভারতেরে সেই স্বর্গে করো জাগরিত।

     

    প্রার্থনা

    কাব্যগ্রন্থ – কড়ি ও কোমল

    তুমি কাছে নাই ব’লে হেরো সখা, তাই
    “আমি বড়ো’ “আমি বড়ো’ করিছে সবাই।
    সকলেই উঁচু হয়ে দাঁড়ায়ে সমুখে
    বলিতেছে, “এ জগতে আর কিছু নাই।’
    নাথ, তুমি একবার এসো হাসিমুখে
    এরা সবে ম্লান হয়ে লুকাক লজ্জায়–
    সুখ দুঃখ টুটে যাক তব মহাসুখে,
    যাক আলো অন্ধকার তোমার প্রভায়।
    নহিলে ডুবেছি আমি, মরেছি হেথায়,
    নহিলে ঘুচে না আর মর্মের ক্রন্দন–
    শুষ্ক ধূলি তুলি শুধু সুধাপিপাসায়,
    প্রেম ব’লে পরিয়াছি মরণবন্ধন।
    কভু পড়ি কভু উঠি, হাসি আর কাঁদি–
    খেলাঘর ভেঙে প’ড়ে রচিছে সমাধি।

     

    প্রার্থনা

    কাব্যগ্রন্থ – পরিশেষ

    কামনায় কামনায় দেশে দেশে যুগে যুগান্তরে
    নিরন্তর নিদারুণ দ্বন্দ্ব যবে দেখি ঘরে ঘরে
    প্রহরে প্রহরে; দেখি অন্ধ মোহ দুরন্ত প্রয়াসে
    বুভুক্ষার বহ্নি দিয়ে ভস্মীভূত করে অনায়াসে
    নিঃসহায় দুর্ভাগার সকরুণ সকল প্রত্যাশা,
    জীবনের সকল সম্বল; দুঃখীর আশ্রয়বাসা
    নিশ্চিন্তে ভাঙিয়া আনে দুর্দাম দুরাশাহোমানলে
    আহুতি-ইন্ধন জোগাইতে; নিঃসংকোচে গর্বে বলে,
    আত্মতৃপ্তি ধর্ম হতে বড়ো; দেখি আত্মম্ভরী প্রাণ
    তুচ্ছ করিবারে পারে মানুষের গভীর সম্মান
    গৌরবের মৃগতৃষ্ণিকায়; সিদ্ধির স্পর্ধার তরে
    দীনের সর্বস্ব সার্থকতা দলি দেয় ধূলি-‘পরে
    জয়যাত্রাপথে; দেখি ধিক্কারে ভরিয়া উঠে মন,
    আত্মজাতি-মাংসলুব্ধ মানুষের প্রাণনিকেতন
    উন্মীলিছে নখে দন্তে হিংস্র বিভীষিকা; চিত্ত মম
    নিষ্কৃতিসন্ধানে ফিরে পিঞ্জরিত বিহঙ্গমসম,
    মুহূর্তে মুহূর্তে বাজে শৃঙ্খলবন্ধন-অপমান
    সংসারের। হেনকালে জ্বলি উঠে বজ্রাগ্নি-সমান
    চিত্তে তাঁর দিব্যমূর্তি, সেই বীর রাজার কুমার
    বাসনারে বলি দিয়া বিসর্জিয়া সর্ব আপনার
    বর্তমানকাল হতে নিষ্ক্রমিলা নিত্যকাল-মাঝে
    অনন্ত তপস্যা বহি মানুষের উদ্ধারের কাজে
    অহমিকা-বন্দীশালা হতে। – ভগবান বুদ্ধ তুমি,
    নির্দয় এ লোকালয়, এ ক্ষেত্রই তব জন্মভূমি।
    ভরসা হারাল যারা, যাহাদের ভেঙেছে বিশ্বাস,
    তোমারি করুণাবিত্তে ভরুক তাদের সর্বনাশ, —
    আপনারে ভুলে তারা ভুলুক দুর্গতি। – আর যারা
    ক্ষীণের নির্ভর ধ্বংস করে, রচে দুর্ভাগ্যের কারা
    দুর্বলের মুক্তি রুধি, বোসো তাহাদেরি দুর্গদ্বারে
    তপের আসন পাতি; প্রমাদবিহ্বল অহংকারে
    পড়ুক সত্যের দৃষ্টি; তাদের নিঃসীম অসম্মান
    তব পুণ্য আলোকেতে লভুক নিঃশেষ অবসান।
    তব পুণ্যে আলোকেতে লভুক নি:শেষ অবসান।

    See less
    • 0
  2. জিনিয়া ফুল: - জিনিয়া একটি শীতকালীন ফুল, আমদের দেশে এই ফুলটি পৌষ, মাঘ মাস জুড়ে দেখতে পাওয়া যায়। - জিনিয়া ফুল সাদা, লাল, বাদামি, হলুদ, বেগুণি, সবুজ সহ বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। - মূলত ইহা মেক্সিকোর ফুল কিন্তু বর্তমানে পৃথিবী জুড়ে পাওয়া যায়।

    জিনিয়া ফুল:

    – জিনিয়া একটি শীতকালীন ফুল, আমদের দেশে এই ফুলটি পৌষ, মাঘ মাস জুড়ে দেখতে পাওয়া যায়।

    – জিনিয়া ফুল সাদা, লাল, বাদামি, হলুদ, বেগুণি, সবুজ সহ বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে।

    – মূলত ইহা মেক্সিকোর ফুল কিন্তু বর্তমানে পৃথিবী জুড়ে পাওয়া যায়।

    See less
    • 0
  3. পলাশ ফুল: - পলাশ ফুল আরেক নাম 'অরণ্যের অগ্নিশিখা'। - পলাশ ফুল বসন্ত ঋতুতে অর্থাৎ ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে দেখতে পাওয়া যায়। - ইংরেজি নাম - Flame of Forest বা Bastard teak - পলাশও একটি ঔষধি ফুল, নানা চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

    পলাশ ফুল:

    – পলাশ ফুল আরেক নাম ‘অরণ্যের অগ্নিশিখা’।

    – পলাশ ফুল বসন্ত ঋতুতে অর্থাৎ ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে দেখতে পাওয়া যায়।

    – ইংরেজি নাম – Flame of Forest বা Bastard teak

    – পলাশও একটি ঔষধি ফুল, নানা চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

    See less
    • 1
  4. দুঃসময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাব্যঃ কল্পনা   যদিও সন্ধ্যা আসিছে মন্দ মন্থরে, ____সব সংগীত গেছে ইঙ্গিতে থামিয়া, যদিও সঙ্গী নাহি অনন্ত অম্বরে, ____যদিও ক্লান্তি আসিছে অঙ্গে নামিয়া, মহা আশঙ্কা জপিছে মৌন মন্তরে, ____দিক্-দিগন্ত অবগুণ্ঠনে ঢাকা– ________তবু বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর, ____________এখনি, অন্ধRead more

    দুঃসময়

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
    কাব্যঃ কল্পনা

     

    যদিও সন্ধ্যা আসিছে মন্দ মন্থরে,
    ____সব সংগীত গেছে ইঙ্গিতে থামিয়া,
    যদিও সঙ্গী নাহি অনন্ত অম্বরে,
    ____যদিও ক্লান্তি আসিছে অঙ্গে নামিয়া,
    মহা আশঙ্কা জপিছে মৌন মন্তরে,
    ____দিক্-দিগন্ত অবগুণ্ঠনে ঢাকা–
    ________তবু বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
    ____________এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।

    আরও পড়ুনঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কবিতাসমূহ

    এ নহে মুখর বনমর্মরগুঞ্জিত,
    ____এ যে অজাগরগরজে সাগর ফুলিছে।
    এ নহে কুঞ্জ কুন্দকুসুমরঞ্জিত,
    ____ফেনহিল্লোল কলকল্লোলে দুলিছে।
    কোথা রে সে তীর ফুলপল্লবপুঞ্জিত,
    ____কোথা রে সে নীড়, কোথা আশ্রয়শাখা!
    ________তবু বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
    ____________এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।

    এখনো সমুখে রয়েছে সুচির শর্বরী,
    ____ঘুমায় অরুণ সুদূর অস্ত-অচলে!
    বিশ্বজগৎ নিশ্বাসবায়ু সম্বরি
    ____স্তব্ধ আসনে প্রহর গনিছে বিরলে।
    সবে দেখা দিল অকূল তিমির সন্তরি
    ____দূর দিগন্তে ক্ষীণ শশাঙ্ক বাঁকা।
    ________ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
    ____________এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।

    ঊর্ধ্ব আকাশে তারাগুলি মেলি অঙ্গুলি
    ____ইঙ্গিত করি তোমা-পানে আছে চাহিয়া।
    নিম্নে গভীর অধীর মরণ উচ্ছলি
    ____শত তরঙ্গ তোমা-পানে উঠে ধাইয়া।
    বহুদূর তীরে কারা ডাকে বাঁধি অঞ্জলি
    ____“এসো এসো’ সুরে করুণ মিনতি-মাখা।
    ________ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
    ____________এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।

    ওরে ভয় নাই, নাই স্নেহমোহবন্ধন,
    ____ওরে আশা নাই, আশা শুধু মিছে ছলনা।
    ওরে ভাষা নাই, নাই বৃথা বসে ক্রন্দন,
    ____ওরে গৃহ নাই, নাই ফুলশেজরচনা।
    আছে শুধু পাখা, আছে মহানভ-অঙ্গন
    ____উষা-দিশা-হারা নিবিড়-তিমির-আঁকা–
    ________ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
    ____________এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।

     

    Dusomoy by Rabindranath Tagore Lyrics:

    Dushomoy
    Rabindranath Tagore

    Jodio shondhya aashiche mondo monthore
    Shob sangeet geche ingite thamia
    Jodio Songi nahi anata ambore
    Jodio klanti aashiche ange namia
    Moha aashonka jopiche mouno monthor
    Dik diganta oboguntone dhaka
    Tabu bihongo, ore bihongo mor
    Ekhoni, ondho, bondho koro na pakha

    E nohe mukhor banamormorgunjito
    E jeno ojagor goroje shagor fuliche
    E nohe kunjo kundo-kusumo-ranjito
    Fenhillol kolo lolloleduliche
    Kotha re she teer fulpollobo-punjito
    Kotha re she neer, Kotha asroykhana
    Tabu bihongo, ore bihongo mor
    Ekhoni, ondho, bondho koro na pakha

    Ekhono somukhe royeche suchir sorbori
    ghumay arun sudur asta achole
    Bisshojagat nissash bayu sombori
    Dur digonte khino shoshanko baka
    Tabu bihongo, ore bihongo mor
    Ekhoni, ondho, bondho koro na pakha

    Urdho akashe taraguli meli anguli
    Ingeet kori toma pane aache chahiya
    Nimne gabhir adhir maran ucchali
    shata tarange toma pane uthe dhaiya
    bahudur tire kara dake badhi angali
    Esho esho shure karun minoti makha
    Tabu bihongo, ore bihongo mor
    Ekhoni, ondho, bondho koro na pakha

    Ore bhoy nai, nai sneho mohobondhon
    Ore asha nai, asha sudhu miche cholona
    Ore bhasha nai, nai britha boshe krondon
    Ore griho na, nai fulshej rochona
    Ache sudhu pakha, aache mohanobh angan
    usha dishe hara nibir timir aaka
    Tabu bihongo, ore bihongo mor
    Ekhoni, ondho, bondho koro na pakha

    See less
    • 0
  5. পরিচয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তকাব্যগ্রন্থঃ সেঁজুতি একদিন তরীখানা থেমেছিল এই ঘাটে লেগে, বসন্তের নূতন হাওয়ার বেগে। তোমরা শুধায়েছিলে মোরে ডাকি পরিচয় কোনো আছে নাকি, যাবে কোন্‌খানে। আমি শুধু বলেছি, কে জানে। নদীতে লাগিল দোলা, বাঁধনে পড়িল টান, একা বসে গাহিলাম যৌবনের বেদনার গান। সেই গান শুনি কুসুমিত তরুতলে তরুণতRead more

    পরিচয়

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
    তকাব্যগ্রন্থঃ সেঁজুতি

    একদিন তরীখানা থেমেছিল এই ঘাটে লেগে,
    বসন্তের নূতন হাওয়ার বেগে।
    তোমরা শুধায়েছিলে মোরে ডাকি
    পরিচয় কোনো আছে নাকি,
    যাবে কোন্‌খানে।
    আমি শুধু বলেছি, কে জানে।
    নদীতে লাগিল দোলা, বাঁধনে পড়িল টান,
    একা বসে গাহিলাম যৌবনের বেদনার গান।
    সেই গান শুনি
    কুসুমিত তরুতলে তরুণতরুণী
    তুলিল অশোক,
    মোর হাতে দিয়ে তারা কহিল, “এ আমাদেরই লোক।’
    আর কিছু নয়,
    সে মোর প্রথম পরিচয়।

    তার পরে জোয়ারের বেলা
    সাঙ্গ হল, সাঙ্গ হল তরঙ্গের খেলা;
    কোকিলের ক্লান্ত গানে
    বিস্মৃত দিনের কথা অকস্মাৎ যেন মনে আনে;
    কনকচাঁপার দল পড়ে ঝুরে,
    ভেসে যায় দূরে–
    ফাল্গুনের উৎসবরাতির
    নিমন্ত্রণলিখন-পাঁতির
    ছিন্ন অংশ তারা
    অর্থহারা।
    ভাঁটার গভীর টানে
    তরীখানা ভেসে যায় সমুদ্রের পানে।
    নূতন কালের নব যাত্রী ছেলেমেয়ে
    শুধাইছে দূর হতে চেয়ে,
    “সন্ধ্যার তারার দিকে
    বহিয়া চলেছে তরণী কে।’
    সেতারেতে বাঁধিলাম তার,
    গাহিলাম আরবার–
    মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক,
    আমি তোমাদেরই লোক
    আর কিছু নয়,
    এই হোক শেষ পরিচয়।

     

    Poem: Porichoy

    By: Rabindranath Tagore

    Ekdin tarikhana themechilo ei fgate lege
    Basanter natun hawar bege
    Tomora sudhayechile more daaki
    Porichoy kuno aache naki
    Jabe konkhane?
    Ami sudhu bolechi, ke Jane
    Nadite lagilo dola, badhone porilo taan
    Eka boshe gahilam jouboner bedonar gaan
    Shei gaan shuni
    Kushumito tarutole tarun taruni
    Tulilo ashok
    Mor hathe diya kahilo E amadere lok
    Aar kichu noy
    She mor prothom porichoy
    Tar pore jowarer bela
    Shango holo, Shango holo jowarer khela
    Kokiler klanto gaane
    Bisrito diner kotha okshat jeno mone aane
    Kanak chapar dal pore jhure
    veshe jay dure,
    Falguner utshobratir
    Nimontron likhopona
    Chinno angsho tara orthohara
    Vatar gabhir taane
    Tarikhana veshe jaay samudrer paane
    Natun kaaler nabajatri chelemeye
    Shudhaite dur hote cheye
    Shondhar tarar dike
    Bohiya choliche tarani ke?
    Setarete badhilam tar
    Gahilam arbar
    MOr nam ei bole khyato hok
    Ami tomader lok
    Ar kichu noy
    Ei hok shesh porichoy

    See less
    • 0
  6. বাংলা অর্থঃ - You say something এর অর্থ হবে "তুমি কিছু বল" - You - তুমি,  say - something - কোন কিছু   উদাহরণঃ - You say something about yourself. - You say something I am getting bored.  

    বাংলা অর্থঃ

    – You say something এর অর্থ হবে “তুমি কিছু বল”

    – You – তুমি,  say – something – কোন কিছু

     

    উদাহরণঃ

    – You say something about yourself.

    – You say something I am getting bored.

     

    See less
    • 0
  7. বাংলা অর্থ: - Bong মানে বাঙালি। Bengali থেকে এই শব্দের উৎপত্তি। - Crush বলতে সাধারনত কাউয়ের প্রতি গভীর আকর্ষণ বা ভাললাগার অনুভুতিকে বোঝায়। - তাই Bong Crush বা Bengali Crush মানে বলা যেতে পারে "বাঙালি কাউকে আমার ভাল লেগেছে" বা "বাঙালি কাউকে মনে ধরেছে"

    বাংলা অর্থ:

    – Bong মানে বাঙালি। Bengali থেকে এই শব্দের উৎপত্তি।

    – Crush বলতে সাধারনত কাউয়ের প্রতি গভীর আকর্ষণ বা ভাললাগার অনুভুতিকে বোঝায়।

    – তাই Bong Crush বা Bengali Crush মানে বলা যেতে পারে “বাঙালি কাউকে আমার ভাল লেগেছে” বা “বাঙালি কাউকে মনে ধরেছে”

    See less
    • 0
  8. বাংলা অর্থঃ - fyi এর পূর্ণরূপ হচ্ছে "For your information" অর্থাৎ আপনার জ্ঞাপনের জন্য, আপনার সুবিধার জন্য - কাউকে কোন ব্যাপারে অবগত করানোর জন্য বলা হয়ে থাকে।   উদাহরনঃ - For your information, I would like to say this drink is mine. - Fyi, I am not your servant.

    বাংলা অর্থঃ

    – fyi এর পূর্ণরূপ হচ্ছে “For your information” অর্থাৎ আপনার জ্ঞাপনের জন্য, আপনার সুবিধার জন্য

    – কাউকে কোন ব্যাপারে অবগত করানোর জন্য বলা হয়ে থাকে।

     

    উদাহরনঃ

    – For your information, I would like to say this drink is mine.

    – Fyi, I am not your servant.

    See less
    • 0
  9. বাংলা অর্থ: - IMP ইহা সামাজিক মাধ্যমে বিশেষ করে চাট বা কথা বলার সময় ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হওয়া একটি শব্দ। - IMP এর পূর্ণরূপ হচ্ছে "it's my pleasure" অর্থাৎ "আপনাকে স্বাগতম" যা কারো ধন্যবাদের প্রত্যুত্তরে বললেন।   - LMP এর পূর্ণরূপ হচ্ছে like my picture, like my post, অথবা like my profile। - কাউকেRead more

    বাংলা অর্থ:

    – IMP ইহা সামাজিক মাধ্যমে বিশেষ করে চাট বা কথা বলার সময় ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হওয়া একটি শব্দ।

    – IMP এর পূর্ণরূপ হচ্ছে “it’s my pleasure” অর্থাৎ “আপনাকে স্বাগতম” যা কারো ধন্যবাদের প্রত্যুত্তরে বললেন।

     

    – LMP এর পূর্ণরূপ হচ্ছে like my picture, like my post, অথবা like my profile।

    – কাউকে চ্যাটে জিজ্ঞেশ  করবেন “আমার ছবি পছন্দ হয়েছে?” বা “আমার প্রোফাইল পছন্দ হয়েছে?” এতো লম্বা না করে সংক্ষেপে জিজ্ঞেশ করলেন lmp?

    See less
    • 0
  10. বাংলা অর্থ: - NVM এই অক্ষরগুলি facebook বা whatsapp এ চাট করার সময় Never Mind এর পরিবর্তে ব্যবহার হয়। - Never mind এর বাংলা অর্থ হবে "কিছু মনে করো না" "ঠিক আছে" উদাহরনঃ - Never mind, I will do it anyhow. - Nvm, I didn't meant to hurt you.

    বাংলা অর্থ:

    – NVM এই অক্ষরগুলি facebook বা whatsapp এ চাট করার সময় Never Mind এর পরিবর্তে ব্যবহার হয়।

    – Never mind এর বাংলা অর্থ হবে “কিছু মনে করো না” “ঠিক আছে”

    উদাহরনঃ

    – Never mind, I will do it anyhow.

    – Nvm, I didn’t meant to hurt you.

    See less
    • 0