বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনে রচনা করেছেন অসংখ্য কবিতা।সেই কবিতাগুলি বিভিন্ন সময়ে কখনও ভিন্ন পত্র পত্রিকায় আবার কখনও কাব্যগ্রন্থ রুপে প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি মরণোত্তর তাঁর অসংখ্য কবিতার পাণ্ডুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। তাই তাঁর সুবিশাল রচনার মধ্যে বিখ্যাত ও অবিখ্যাত বলে পার্থক্য করা যথেষ্ট কঠিন ও অন্যায় ও বটে। কেননা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত প্রতিভার যথাযোগ্যতা বিচার আমাদের পক্ষে সম্বব না। তাঁর পরেও তাঁর কয়েকটি জনপ্রিয় ও সর্বাধিক পঠিত কবিতার একটি তালিকা করা হল। কবিতাগুলি দেওয়া লিংকে ক্লিক করে পড়তে পারেন।
A list of Rabindranath Tagore Famous Poems
চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী..
শুধু বিঘে দুই ছিল মোর ভুঁই আর সবই গেছে ঋণে।বাবু বলিলেন, “বুঝেছ উপেন, এ জমি লইব কিনে। কহিলাম আমি, “তুমি ভূস্বামী
নিবেদিল রাজভৃত্য, “মহারাজ, বহু অনুনয়ে সাধুশ্রেষ্ঠ নরোত্তম তোমার সোনার দেবালয়ে, না লয়ে আশ্রয় আজি পথপ্রান্তে তরুচ্ছায়াতলে
হে মোর দুর্ভাগা দেশ, যাদের করেছ অপমান,অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান! মানুষের অধিকারে
হে মোর চিত্ত,পূণ্য তীর্থে জাগো রে ধীরে–
এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে।
হেথায় দাঁড়ায়ে দু-বাহু বাড়ায়ে
আজ আমার প্রণতি গ্রহণ করো, পৃথিবী,
শেষ নমস্কারে অবনত দিনাবসানের বেদিতলে।মহা বীর্যবতী তুমি বীরভোগ্যা
কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও। তারি রথ নিত্যই উধাও জাগাইছে অন্তরীক্ষে হৃদয়স্পন্দন, চক্রে-পিষ্ট আঁধারের
নাম তার কমলা, দেখেছি তার খাতার উপরে লেখা। সে চলেছিল ট্রামে, তার ভাইকে নিয়ে কলেজের রাস্তায়।
ভগবান, তুমি যুগে যুগে দূত পাঠায়েছ বারে বারে দয়াহীন সংসারে- তারা বলে গেল `ক্ষমা করো সবে’, বলে গেল `ভালোবাসো-
সাগরজলে সিনান করি সজল এলোচুলে
বসিয়াছিল উপল-উপকূলে।
শিথিল পীতবাস
কে নিবি গো কিনে আমায়, কে নিবি গো কিনে? পসরা মোর হেঁকে হেঁকে বেড়াই রাতে দিনে। এমনি কবে হায়, আমার
সন্ন্যাসী উপগুপ্ত, মথুরাপুরীর প্রাচীরের তলে
একদা ছিলেন সুপ্ত–নগরীর দীপ নিবেছে পবনে,
দুয়ার রুদ্ধ পৌর ভবনে,
মনেরে আজ কহ যে, ভালো মন্দ যাহাই আসুক
সত্যেরে লও সহজে। কেউ বা তোমায় ভালোবাসে, কেউ বা বাসতে পারে না যে
দেবতামন্দিরমাঝে ভকত প্রবীণ, জপিতেছে জপমালা বসি নিশিদিন।হেনকালে সন্ধ্যাবেলা ধুলিমাখা দেহে
মর্মে যবে মত্ত আশা সর্পসম ফোঁষে অদৃষ্টের বন্ধনেতে দাপিয়া বৃথা রোষে, তখনো ভালোমানুষ সেজে বাঁধানো হুঁকা যতনে মেজে
আমারই চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ, চুনি উঠল রাঙা হয়ে ।আমি চোখ মেললুম আকাশে, জ্বলে উঠল আলো পুবে পশ্চিমে ।
আজি এ প্রভাতে রবির কর কেমনে পশিল প্রাণের পর, কেমনে পশিল গুহার আঁধারে প্রভাতপাখির গান!
আমি অন্তঃপুরের মেয়ে, চিনবে না আমাকে।
তোমার শেষ গল্পের বইটি পড়েছি, শরৎবাবু,
বাসি ফুলের মালা’।
Some Rabindranath Tagore Famous Poems for Children
আমি যদি দুষ্টুমি ক’রে চাঁপার গাছে চাঁপা হয়ে ফুটি, ভোরের বেলা মা গো, ডালের ‘পরে কচি পাতায় করি লুটোপুটি
সোম মঙ্গল বুধ এরা সব আসে তাড়াতাড়ি,
এদের ঘরে আছে বুঝি মস্ত হাওয়াগাড়ি?
রবিবার সে কেন, মা গো, এমন দেরি করে?
তোমার কাছে আমিই দুষ্টু ভালো যে আর সবাই। মিত্তিরদের কালু নিলু ভারি ঠাণ্ডা ক-ভাই! যতীশ ভালো
এখনো তো বড়ো হই নি আমি, ছোটো আছি ছেলেমানুষ ব’লে। দাদার চেয়ে অনেক মস্ত হব
বড়ো হয়ে বাবার মতো হলে।
মা গো, আমায় ছুটি দিতে বল্, সকাল থেকে পড়েছি যে মেলা। এখন আমি তোমার ঘরে বসে করব শুধু পড়া-পড়া খেলা।
তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে
উঁকি মারে আকাশে। মনে সাধ, কালো মেঘ ফুঁড়ে যায়, একেবারে উড়ে যায়
Leave a comment