1. English Translation of the poem Africa By- Rabindranath Tagore Date- 10th February, 1937 In the restless tides of that primordial dawn When the creator himself despaired of crafting you And struck angrily at the fresh clay again and again, In that hour of impatience and rage The arms of the brave seRead more

    English Translation of the poem Africa

    By- Rabindranath Tagore
    Date- 10th February, 1937

    In the restless tides of that primordial dawn
    When the creator himself despaired of crafting you
    And struck angrily at the fresh clay again and again,
    In that hour of impatience and rage
    The arms of the brave seas
    Plucked you from the clasp of the lands of the East
    Removing you far from them all, Africa
    To bind you within cages of great trees standing guard
    Where miserly light illumined your fate
    There in silent wait you bided your time,
    Reading the mysteries of the unreachable,
    And learning the incomprehensible signs hidden in land, sea and sky
    That magic that is beyond any seen in nature
    Wove spells through your unconscious mind.
    You mocked the terrible
    Dressed as a grotesque lampooning of the fierce,
    You wished to defeat fear itself by donning it as disguise

    Alas, shadowed beauty,
    How well you hid yourself under veil of night
    Your human form secreted away
    From those whose eyes shower contempt
    They came with shackles forged from cruel iron
    Those who bear claws sharper than the wolves that roam the land,
    Then came the ones who make trade with human coin
    Those whose pride blinds them, their hearts darker than your sunless forests.
    The naked hunger of the civilized
    Stripping them down to their inner shameless brutality.
    In the forests drenched by your wordless cries
    The very soil sullied by your blood and sweat;
    Under the feet of their hob-nailed boots,
    Mutilated your flesh
    Marks forever your maligned history.

    At that very moment in their own lands
    Church bells rang out in glorious worship
    At morning and evensong, in the name of an all merciful God;
    While their children played in each mother’s lap;
    And poets raised their wondrous tunes
    In praise of all things bright and beautiful.
    When today on the western horizon
    Sunset holds it breath in fear of a new storm,
    When the beasts ride out of secret caves
    And sounds of ill omen declare the beginning of day’s end,
    Come forth, Oh poet of change
    Stand by the last ray of this evening’s sun
    Where this unfortunate woman waits,
    And say, ‘Forgive me!’
    In the midst of fierce delirium,
    Let that be the final reparation made by your civilization.

     

    See less
  2. This answer was edited.

    আলোচনার সূচী : সারাংশ কবিতা বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা বিশেষ লাইনের প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা   সারাংশ: সভ্যতার সেই আদিমযুগে বিশ্বের প্রাচ্য ভূভাগ থেকে আফ্রিকা নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে, অন্ধকার গভীর অরণ্যানীতে সে সমাচ্ছন্ন হয়। সেখানকার দুর্গম তমসাময় প্রকৃতির দৃষ্টি-অতীত জাদু সমস্ত শঙ্কRead more

    আলোচনার সূচী :

    1. সারাংশ
    2. কবিতা
    3. বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা
    4. বিশেষ লাইনের প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা

     

    সারাংশ:

    সভ্যতার সেই আদিমযুগে বিশ্বের প্রাচ্য ভূভাগ থেকে আফ্রিকা নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে, অন্ধকার গভীর অরণ্যানীতে সে সমাচ্ছন্ন হয়। সেখানকার দুর্গম তমসাময় প্রকৃতির দৃষ্টি-অতীত জাদু সমস্ত শঙ্কাকে হার মানাতে চাইছিল। ছায়াবৃতা আফ্রিকার মানবরূপ বাইরের পৃথিবীর উপেক্ষায় অবজ্ঞায় অজ্ঞাত থেকে গেছে। এমনই সময় (ইউরােপের) সভ্যতাভিমানী বর্বর নেকড়ের দল নির্লজ্জভাবে আফ্রিকাকে শৃঙ্খলিত করবার জন্য এগিয়ে এল। ফলে দস্যুদের আক্রমণে বীভৎস অত্যাচারে রক্তে-অশুতে মিশে গেল আফ্রিকার মানবতা। ওদিকে (ইউরােপের) পাড়ায় পাড়ায় চলল উৎসব সমারােহ।আজ সেই পশ্চিমাকাশে সেই পশু শক্তিই আবার নতুন করে যখন বেরিয়ে এসেছে, তখন মানহারা এই মানবীর (আফ্রিকার) পাশে দাঁড়িয়ে হিংস্র প্রলাপের মধ্যেও মানবতাবাদী কবি ক্ষমার আহ্বান জানাচ্ছেন। এটিই হােক সভ্যতার শেষ বাণী।

    __________________________

    আফ্রিকা

    উদ্ভ্রান্ত সেই আদিম যুগে
    স্রষ্টা যখন নিজের প্রতি অসন্তোষে
    নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত,
    তাঁর সেই অধৈর্যে ঘন-ঘন মাথা-নাড়ার দিনে
    রুদ্র সমুদ্রের বাহু
    প্রাচী ধরিত্রীর বুকের থেকে
    ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে, আফ্রিকা,
    বাঁধলে তোমাকে বনস্পতির নিবিড় পাহারায়
    কৃপণ আলোর অন্তঃপুরে।
    সেখানে নিভৃত অবকাশে তুমি
    সংগ্রহ করছিলে দুর্গমের রহস্য,
    চিনছিলে জলস্থল-আকাশের দুর্বোধ সংকেত,
    প্রকৃতির দৃষ্টি-অতীত জাদু
    মন্ত্র জাগাচ্ছিল তোমার চেতনাতীত মনে।
    বিদ্রূপ করছিলে ভীষণকে
    বিরূপের ছদ্মবেশে,
    শঙ্কাকে চাচ্ছিলে হার মানাতে
    আপনাকে উগ্র করে বিভীষিকার প্রচণ্ড মহিমায়
    তাণ্ডবের দুন্দুভিনিনাদে।
    হায় ছায়াবৃতা,
    কালো ঘোমটার নীচে
    অপরিচিত ছিল তোমার মানবরূপ
    উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে।
    এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে
    নখ যাদের তীক্ষ্ণ তোমার নেকড়ের চেয়ে,
    এল মানুষ-ধরার দল
    গর্বে যারা অন্ধ তোমার সূর্যহারা অরণ্যের চেয়ে।
    সভ্যের বর্বর লোভ
    নগ্ন করল আপন নির্লজ্জ অমানুষতা।
    তোমার ভাষাহীন ক্রন্দনে বাষ্পাকুল অরণ্যপথে
    পঙ্কিল হল ধূলি তোমার রক্তে অশ্রুতে মিশে;
    দস্যু-পায়ের কাঁটা-মারা জুতোর তলায়
    বীভৎস কাদার পিণ্ড
    চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে।
    সমুদ্রপারে সেই মুহূর্তেই তাদের পাড়ায় পাড়ায়
    মন্দিরে বাজছিল পুজোর ঘণ্টা
    সকালে সন্ধ্যায়, দয়াময় দেবতার নামে;
    শিশুরা খেলছিল মায়ের কোলে;
    কবির সংগীতে বেজে উঠছিল

    সুন্দরের আরাধনা।
    আজ যখন পশ্চিমদিগন্তে
    প্রদোষকাল ঝঞ্ঝাবাতাসে রুদ্ধশ্বাস,
    যখন গুপ্তগহ্বর থেকে পশুরা বেরিয়ে এল,
    অশুভ ধ্বনিতে ঘোষণা করল দিনের অন্তিমকাল,
    এসো যুগান্তরের কবি,
    আসন্ন সন্ধ্যার শেষ রশ্মিপাতে
    দাঁড়াও ওই মানহারা মানবীর দ্বারে,
    বলো “ক্ষমা করো’–
    হিংস্র প্রলাপের মধ্যে
    সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।

    __________________________

    বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা:

    পত্রপুট (১৯৩৬) কাব্য-এ ষােলাে সংখ্যক কবিতা – ‘উদ্ভান্ত সেই আদিম যুগে’ (নাম আফ্রিকা) কবি অমিয় চক্রবর্তী লিখে পাঠাবার জন্য অনুরােধ করায় ২৮ শে মাঘ ১৩৪৩, ইং ১২ ফ্রেব্রুয়ারি ১৯৩৬ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই কবিতাটি রচনা করেন।

    কবিতাটি প্রথমে প্রবাসী (চৈত্র ১৩৪৩) ও পরে কবিতাটির পত্রপুটের দ্বিতীয় সংস্করণে (১৩৪৫) প্রকাশিত হয়। ৩রা অক্টোবর, ১৯৩৫ ফ্যাসিস্ত মুসােলিনির নির্দেশে ইতালীয় আক্রমণকারী সৈন্যদল অ্যাবিসিনিয়ায় (ইথিওপিয়া) আক্রমণ করে। রবীন্দ্রনাথ এখানে তার প্রতিবাদ করে আফ্রিকা, ‘ছায়াচ্ছন্ন আফ্রিকার সকল বন লাঞ্ছনার রক্তাক্ত ইতিহাসকে স্মরণ করে এক অনবদ্য কাব্য রূপ দিয়েছেন। বেদনায় ভারাক্রান্ত চিত্তে একান্ত মমতায় এক লাঞ্ছিত কৃয়া মানবীর রূপ এই কবিতায় তিনি নির্মাণ করেছেন। আবেদন রেখেছেন “দাঁড়াও ঐ মান-হারা মানবীর দ্বারে।”

    কবির জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখােপাধ্যায় লিখেছেন আফ্রিকার ইতিহাস কবি ভালােকরেই জানতেন। মােরেল (E.D. Morel) প্রভৃতির বই তাঁর পড়া ছিল। পৃথিবীর অসহায় কৃষ্ণুকায় মানুষদের প্রতি তথাকথিত সভ্য শ্বেতকায় মানুষের অত্যাচারে সুবিদিত। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, অমিয় চক্রবর্তী কবিকে এক চিঠিতে লিখেছেন, ‘আফ্রিকার ইংরেজি তর্জমা তিনি বিলাতে নির্বাসিত ইথিওপীয় সম্রাট হাইলে সেলেসীর হাতে দেন এবং সেটি পড়ে তিনি শান্তি পান। এছাড়াও উগান্ডার রাজকুমার নিয়াবঙ্গো কবিতাটির বান্টু ও সােয়াহিলি ভাষী আফ্রিকানদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করেন।

    এই সংক্ষিপ্ত পরিচয় থেকে বােঝা যায় ‘পত্রপুট’-এর অন্যান্য কবিতা লেখা যখন চলছে পূজাবকাশে (অক্টোবর নভেম্বর ১৯৩৫ অর্থাৎ আশ্বিন-কার্তিক, ১৩৪৩-এ), তখন কবি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন ভাষণ ও গান লেখায় ব্যস্ত। অকস্মাৎ অমিয় চক্রবর্তীর অনুরােধ ‘হাইলে সেলসি ও নিয়াবঙ্গার’ প্রতিক্রিয়া আফ্রিকার সমকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের গুরুত্বের প্রতি তাঁকে মনােযােগী করে তােলে।

    মুসােলিনির ইতালি যখন অ্যাবিসিনিয়ায় (ইথিওপিয়া) স্বাধীনতা গ্রাস করবার জন্য সামরিক অভিযান চালায় তখন নানা দিক থেকে দেশটি ছিল অনগ্রসর, কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। শ্বেতাঙ্গ বিদেশিরা আফ্রিকাকে নানা ভাগে ভাগ করে যখন বসতি স্থাপন করে তখন অ্যাবিসিনিয়া ছিল স্বাধীন। এই আক্রমণের বিরুদ্ধে সম্রাট হাইলে সেলাসির পক্ষে সােভিয়েতের সমর্থনে বিশ্বজনমত গড়ে ওঠে। সাধারণভাবে রবীন্দ্রনাথ উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধ মত পােষণ করতেন। শ্বেতাঙ্গরা সেখানকার মানুষদের উপর বর্বর অত্যাচার ও নিষ্ঠুর অপমান করেছে, এ সংবাদ তাঁকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। আফ্রিকার সেই অত্যাচার ও পৃথিবীব্যাপী শােষণের বিরুদ্ধে কবির প্রতিবাদ। নৈবেদ্যে-র ‘শতাব্দীর সূর্য আজি’র মতাে এবারও তার কণ্ঠে প্রতিবাদের ভাষা জেগে উঠেছে। শক্তিমদমত্ত তথাকথিত সভ্য, অত্যাচারী উপনিবেশবাসীদের প্রতি তাঁর পুঞ্জীভূত ঘৃণা এখানে তীব্রভাবে প্রকাশিত হল। কবি বলেছেন, “সভ্যের বর্বর লােভনগ্ন করল আপন নির্লজ্জ অমানুষতা।”

     

     

    এভাবে কবি “বিশ্বমানবের দুঃখ আপনারই দুঃখ” রূপে গ্রহণ করেছেন। কোথাও ইথিওপিয়া, কোথায় স্পেন, কোথায় চীন – এ সবের জন্য কবির বেদনাবােধ আমাদের বিচলিত করে। কিন্তু এর মধ্যে কবি মানব ইতিহাসের মূলে যে কল্যাণের শক্তি কাজ করছে সে কথা মনে রেখে কল্যাণের পক্ষে সমস্ত কর্মকে, চেষ্টাকে প্রয়ােগ করতে বলেছেন। সর্বজীবে মঙ্গলচিন্তা ভারতবর্ষের ঐতিহ্য। তাই আহ্বান জানিয়েছে, “এসাে যুগান্তরের কবি | আসন্ন সন্ধ্যার শেষ রশ্মিপাতে | দাঁড়াও মানহারা মানবীর দ্বারে / বলাে, ক্ষমা করাে — / হিংস্র প্রলাপের মধ্যে । সেই হােক তােমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।” । – এই মঙ্গল চিন্তাই কবির মতে ভারতবর্ষকে সর্বজাতির শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছে।
    তথাপি বার বার দেখা গেছে, পৃথিবীর যেখানেই স্বাধীনতা বিপন্ন হয়েছে বা মানবতার অপমান ঘটেছে, সমস্ত ঘটনাই কবি-আত্মাকে সমভাবে মর্মাহত করেছে। রবীন্দ্রনাথের শেষ পর্যায়ের কাব্যে এ বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষণীয়। ১৯২৯-১৯৩৩ বিশ্বব্যাপী মন্দা শিল্পে বাণিজ্যে য়ুরােপে যখন হতাশা, সেই সময় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি উপনিবেশগুলির প্রতি প্রথমে থাবা বসায়। কিন্তু প্রত্যেকের ক্ষুদ্র স্বার্থ এতে চরিতার্থ না হওয়ায় শেষপর্যন্ত সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের সূচনা। এ পর্যায়ের কবিতাতেও রবীন্দ্রনাথকে স্থিতধী চিত্তে ঘটনাগুলির মূল্যায়ন করতে দেখা গেছে। সেখানে যেমন একদিকে ছিল প্রশান্তি ও গাম্ভীর্য, অন্যদিকে তদানীন্তন রাজনৈতিক ঘটনার প্রতিক্রিয়া।
    ‘পুনশ্চ-শেষসপ্তক-পত্রপুট’ ও ‘শ্যামলীর রচনাভঙ্গির ছন্দ-অলংকার ভাষারীতি ও চিত্রাঙ্কন বিশিষ্টতার দাবি রাখে। প্রবল প্রাণােচ্ছ্বাস এ পর্বে প্রায় নেই। তার পরিবর্তে শান্ত, সংযত গদ্যবদ্ধ বাভঙ্গিতে গভীর কথা সহজভাবে প্রকাশ করেছেন। উপমা প্রয়ােগ, ছন্দরচনায় গদ্যভঙ্গির অনায়াস ব্যবহার এবং অনলংকৃত বাগবিন্যাস এ পর্যায়ের কাব্যের বৈশিষ্ট্য হিসেবে দেখা দিয়েছে।
    ____________________

    প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা:

    উদ্ৰান্ত সেই আদিম যুগে… অসন্তোষে – সূর্যের অগ্নিবলয়”, সমুদ্রের অনন্ত জলরাশি নানা জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ক্রমশ স্থলভূমি ও প্রাণের প্রকাশ ঘটে। কোটি কোটি বৎসরের সেই সুপ্রাচীন ইতিহাস বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিষয়। পরে প্রাগৈতিহাসিক কালে ভূত্বকের নানা বিপর্যয়ে বিশ্ব প্রকৃতিতে নানা ঘটনা ঘটেছে, তারই ইঙ্গিত এখানে আছে।

    রুদ্র সমুদ্রের বাহু প্রাচী ধরিত্রীর… আফ্রিকা” প্রাগৈতিহাসিক যুগে ইউরােপের সঙ্গে জিব্রাল্টার টিউনিস সিসিলি ও ইতালি যুক্ত ছিল। তখন ভূমধ্যসাগর দুটি হ্রদের মতাে মনে হত। ভূত্বকের নানা বিপর্যয়ে কালক্রমে ইউরােপ থেকে আফ্রিকা বিচ্ছিন্ন হয়। পূর্ব গােলার্ধের এই মহাদেশ এক সময় এশিয়ার ও ইউরােপের সঙ্গে যুক্ত ছিল। অপর দিকে আফ্রিকা পূর্বে সাইনাই উপদ্বীপ দিয়ে এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিল। সুয়েজ খাল কাটার পর এশিয়ার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়। এই বিচ্ছিন্ন অংশ বর্তমানে মিশরের অন্তর্গত।

    এল ওরা লােহার হাতকড়ি নিয়ে” য়ুরােপের সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলি তাদের উপনিবেশ গড়ে আফ্রিকাকে পদানত ও শৃঙ্খলিত করেছে, এই পরাধীনতার নিগড়কে এখানে বােঝানাে হয়েছে লােহার হাতকড়ি’ ব্যঞ্জনায়।

    সভ্যের বর্বর লােভ” আফ্রিকার মতাে বিচ্ছিন্ন একটি মহাদেশ গভীর অরণ্যসঙ্কুল। সংখ্যাতীত জাতি ও উপজাতিকে বিভক্ত সে দেশে আধুনিক সভ্যতার আলাে তখনও প্রবেশ করেনি। উপজাতি গােষ্ঠীশাসিত সেই আদিম সমাজের সামাজিক অর্থনৈতিক বিকাশ না ঘটলেও দেশটি ছিল প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। সভ্যতাভিমানী য়ুরােপের দেশগুলি তাদের ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রিক স্বার্থ ও সমৃদ্ধির প্রয়ােজনে, সীমাহীন লােভের তাড়নায় এ দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠন করে এবং দেশের জনগােষ্ঠীর শ্রমকে ব্যবহার করে সম্পদের পাহাড় তৈরি করতে অমানবিক হিংস্রতার আশ্রয় নেয়।

    মন্দিরে বাজছিল পূজার ঘণ্টা…. দেবতার নামে” আফ্রিকার জনগণ যখন হিংস্র নগ্ন আক্রমণে রক্তাক্ত, বিধ্বস্ত ও বিপর্যস্ত, সেই সময় সমুদ্রের অপর পারে ইয়ােরােপের সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলিতে সম্পদের প্রাচুর্যে, আনন্দ-উৎসবে দেবতার কাছে কল্যাণ ভিক্ষা চলছে। এই বিপরীত চিত্রটি তুলে ধরে কবি আফ্রিকার শােষিত অসহায় মানুষের প্রতি সমবেদনায়, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির প্রতি তির্যক বাণ নিক্ষেপ করেছেন।

    ‘আফ্রিকা’ কবিতাটি বিশেষ দেশকালের কথা হলেও, আজও যখন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হিংস্র নখর দেশ দেশান্তরে মানুষকে বিপন্ন করছে দেখতে পাওয়া যায়, তখন স্পষ্টতই উপলব্ধি করা যায় এ কবিতার গুরুত্ব। এভাবে কবিতাটি দেশকাল নিরপেক্ষ একটি অসাধারণ কাব্যশিল্প বলে মানা।

    See less
  3. ফুটবল খেলা ভূমিকা: বর্তমান বিশ্বের একটি জনপ্রিয় ও অন্যতম খেলা হচ্ছে ফুটবল। কারও মতে চীন আবার কারো মতে ইতালি থেকে ফুটবল খেলা আরম্ব হয় এবং পরবর্তী কালে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে । জনপ্রিয়তার কারণে ইহা একটি আন্তর্জাতিক খেলা হিসাবে স্বীকৃতি পায় এবং প্রতি চার বছর পর পর আন্তর্জাতিক স্তরে ফুটবল বিশ্বকাপ প্রতিযRead more

    ফুটবল খেলা

    ভূমিকা: বর্তমান বিশ্বের একটি জনপ্রিয় ও অন্যতম খেলা হচ্ছে ফুটবল। কারও মতে চীন আবার কারো মতে ইতালি থেকে ফুটবল খেলা আরম্ব হয় এবং পরবর্তী কালে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে । জনপ্রিয়তার কারণে ইহা একটি আন্তর্জাতিক খেলা হিসাবে স্বীকৃতি পায় এবং প্রতি চার বছর পর পর আন্তর্জাতিক স্তরে ফুটবল বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় । ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশেই ফুটবল একটি জাতীয় খেলা । আমাদের দেশে সর্বত্রই এই খেলার প্রচলন ও জনপ্রিয়তা দেখা যায়।
    মাঠের বর্ণনা ও খেলোয়াড়: ফুটবল খেলার মাঠ সাধারণত ১০০-১২০ গজ দীর্ঘ এবং ৫০-৫৬ গজ প্রস্থ হয়ে থাকে । মাঠের দুই প্রান্তে দু’টি করে গোলপোস্ট থাকে। প্রতিটি গোলপোস্ট এর উচ্চতা ৮ ফুট এবং একটি বার বা খুঁটির অপরটি থেকে ৮ গজ দূরে অবস্থিত। একটি আদর্শ ফুটবলের ওজন সাধারণত ১৪-১৬ আউন্স হয়ে থাকে। একটি ফুটবল খেলায় মোট ২২ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করে , যারা দুইটি দলে ১১ জন করে বিভক্ত হয়ে খেলে থাকে। খেলা পরিচালনার জন্য একজন প্রধান রেফারি ও তাকে সাহায্যের জন্য দু’ জন লাইন্সম্যান থাকে।

    ফুটবল খেলার নিয়ম বা পদ্ধতি: পূর্বসিদ্বান্ত অনুযায়ী খেলার জন্য মাঠের মধ্যস্থলে দুই দল মুখোমুখি অবস্থান করে। রেফারির বাঁশি বাজানোর সাথে সাথে খেলা শুরু হয় এবং প্রত্যেক খেলোয়াড় নিজের অবস্থানে চলে যায়। সাধারণত ১১ জন খেলোয়াড়ের পাঁচ জন সামনের ভাগে দাঁড়ায় যাদেরকে বলে ফরোয়ার্ড, তাদের পিছনে ৩ জন থাকে মিডফিল্ডার বা হাফ ব্যাক, তাদের পিছনে দু’ জন থাকে ডিফেন্স বা ফুল ব্যাক আর গোলবারের সামনে থাকে একজন গোলরক্ষক, যিনি সর্বাঙ্গ দিয়ে বলকে গোল হওয়া থেকে রক্ষা করেন। একটি ফুটবল ম্যাচ মোট ৯০ মিনিটের হয়, মধ্যেখানে ১৫ মিনিটের বিরতি থাকে।

    খেলার নিয়ম কানুন: যে ভাবে প্রত্যেকটি খেলার একটি নিয়ম থাকে সে ভাবে ফুটবল খেলার কয়েকটি নিয়ম রয়েছে । এসব নিয়মনীতি সবই ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা তৈরী করে থাকে । যেমন প্রথমে বলটি মাঠের মধ্যস্থলে রাখতে হবে। রেফারি বাঁশি বাজানোর সাথে সাথে খেলা শুরু করতে হবে। একমাত্র গোলরক্ষক ছাড়া অন্য কেউ বল হাত দিয়ে ধরতে বা মারতে পারবে না। এ নিয়ম না মানলে হ্যান্ডবল হয় এবং বিপক্ষ দলের দিকে বল ফ্রি কিক মারা হয়। অবৈধভাবে কাউকে লাথি বা ধাক্কা মারলে রেফারি শাস্তি স্বরূপ উক্ত খেলোয়াড়কে লাল বা হলুদ কার্ড দেখিয়ে শাস্তি দেন। লাল কার্ড পেলে ঐ খেলোয়াড় আর খেলতে পারেন না। এ ছাড়া খেলোয়াড়দের সহজেই চিনতে প্রত্যেকটি খেলোয়াড় কে তাদের ইউনিফর্ম এ জার্সি নাম্বার দেয়া হয়।

    ফুটবল ও ভারতবর্ষ : বিদেশি খেলা হলেও ফুটবল খেলা ভারতবর্ষের একটি জনপ্রিয় খেলা । বিশেষ করে বাংলায় সঙ্গে ফটবললের অনন্য সম্পর্ক । বিশ্বকাপ এলেই সারাদেশ জুড়ে শুরু হয় ফুটবল উন্মাদনা। পতাকা টানিয়ে বা সমর্থিত দলের জার্সি গায়ে দিয়ে দলের প্রতি নিজেদের ভালোবাসা প্রকাশ করে বাঙালিরা।ভারতবর্ষে ফুটবল আসে ইংরেজ দের হাত ধরে এবং ১৮৭২ সালে প্রথম “কলকাতা ফটবল ক্লাব” স্হাপিত হয়। বর্তমানে “অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন” ভারতে ফুটবল খেলা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ভারত একাধিকবার অলিম্পিক এবং এশিয়ান কাপ সহ অনেক প্রতিজোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে।হাল আমলে ভারতবর্ষে ফুটবল কে আরও জনপ্রিয় করতে ২০১৩ সালে একটি প্রিমিয়াম ঘরোয়া প্রতিজুগিতা “ইন্ডিয়ান সুপার লিগ” নামে শুরু করা হয়।

    বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা): বিশ্বব্যাপী ফুটবল খেলার আইন-কানুন প্রচলন ও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় FIFA (Federation of International Football Association). ২১ মে, ১৯০৪ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে প্রতিষ্ঠা লাভ করে সংস্থাটি। বর্তমানে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে এটির সদরদপ্তর। ফিফা এর বর্তমান সভাপতি সেপ ব্লাটার। ফিফার বর্তমান সদস্য ২০৯টি। এ সংস্থা প্রতি ৪ বছর পর পর আয়োজন করে বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা। পুরুষদের ন্যায় নারীদের ফুটবল বিশ্বকাপেরও প্রতিনিধিত্ব করে এ সংস্থা। প্রতিবছর এ সংস্থা বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচন ও দলগত র‌্যাংকিং করে থাকে।

    ফুটবল বিশ্বকাপ: ফুটবল খেলার ইতিহাস দীর্ঘদিনের হলেও বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা প্রথম অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে। বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা ফিফার অধীনে প্রতি ৪ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২১ তম বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসে রাশিয়ায় । এ আসরে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফ্রান্স । তবে বিশ্বকাপ ফুটবলে সবচেয়ে বেশি ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিল। বিশ্বকাপ ফুটবলে সেরা খেলোয়াড়কে গোল্ডেন বল এবং সর্বোচ্চ গোলদাতাকে গোল্ডেন বুট সম্মাননা দেওয়া হয়। ফুটবল বিশ্বকাপের ২২ তম আসর হবে কাতারে ২০২২ সালে।

    ফুটবল খেলার উপকারিতা: ফুটবল খেলা শুধু খেলা নয়, এটির মাধ্যমে যেমন আনন্দ-বিনোদন পাওয়া যায়, তেমনি এ খেলার মাধ্যমে শারীরিক ব্যায়ামও হয়ে থাকে। তাছাড়া ফুটবল খেলা আজ বিশ্বব্যাপী বিশাল লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। ইউরোপ আমেরিকার ফুটবল ক্লাবগুলো ফুটবল বাণিজ্যের অন্যতম উদাহরণ। ফুটবল খেলার মাধ্যমে যেমন মানসিক অবসাদ দূর হয় তেমনি এর উত্তেজনা-উপভোগ মনকে আনন্দে ভাসিয়ে দেয়। ফুটবল খেলতে যথেষ্ট ছুটাছুটি ও পরিশ্রম করতে হয় বলে শরীর সর্বদাই ফিট থাকে। খেলার কঠোর আইন-কানুন খেলোয়াড়দের চারিত্রিক ও মানসিক বিকাশে সহায়তা করে।

    বিশ্বের উল্লেখিত ফুটবল তারকা ও ক্লাবসমূহ: ফুটবলের জগতে জীবন্ত কিংবদন্তী হলো ফুটবল সম্রাট ব্রাজিলের পেলে। তাছাড়া আর্জেন্টিনার ম্যারাডোনা ফুটবলের রাজপুত্র নামে পরিচিত। এ ছাড়া রোনাল্ডো, মেসি, নেইমার, জিদান বর্তমান ফুটবলের অন্যতম তারকা। বার্সালোনা, রিয়েল মাদ্রিদ, বায়ান মিউনিখ, ডর্টমুন্ড, চেলসি, ম্যানচেষ্টার সিটি প্রভৃতি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবল ক্লাব। কোপা আমেরিকা, কনফেডারেশন কাপ, এশিয়া কাপ, ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নস্ লীগ, প্রভৃতির মাধ্যমে ফুটবল সারা পৃথিবীতে উন্মাদনা ছড়িয়ে যাচ্ছে।

    উপসংহার: ফুটবল খেলা বিশ্বের কোটি কোটি দর্শকের কাছে এক অনাবিল আনন্দের উৎস। ফুটবল খেলায় থাকে হার-জিত, থাকে আনন্দ-বেদনার অশ্রু। সেই আনন্দ বেদনার ঊর্ধ্বে থাকে মনোরম লড়াই আর নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শন, স্বদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি আর বিজয়ের তীব্র বাসনা। ফুটবল খেলা বিশ্বব্যাপী মানুষের মাঝে প্রীতি-সম্প্রীতির বন্ধন তৈরি করে। এ জন্যই ফুটবল খেলা সকল খেলাকে ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে।

    See less
  4.   সারাংশ: ‘গোরা’ (১৯১০) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৃহত্তম এবং অনেকের মতে সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস। ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় ১৯০৮ থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। ঊনিবংশ শতাব্দীর শেষভাগের ধর্মান্দোলন, স্বদেশপ্রেম এবং নারীমুক্তি চিন্তার পটভূমিকায় এই আখ্যান গড়ে উঠেছে। এই উপন্যাসের নায়ক গোরা সিপাহিRead more

     

    সারাংশ:

    ‘গোরা’ (১৯১০) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৃহত্তম এবং অনেকের মতে সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস। ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় ১৯০৮ থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।

    ঊনিবংশ শতাব্দীর শেষভাগের ধর্মান্দোলন, স্বদেশপ্রেম এবং নারীমুক্তি চিন্তার পটভূমিকায় এই আখ্যান গড়ে উঠেছে। এই উপন্যাসের নায়ক গোরা সিপাহি বিপ্লবের সময় নিহত এক আইরিশ দম্পত্তির সন্তান। কিন্তু সে বড় হয় হিন্দু ব্রাহ্মণ কৃষ্ণদয়াল ও আনন্দময়ীর ঘরে। গোরা নিজের জন্মবিবরণ ও প্রকৃত পরিচয় সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। দম্পতি কৃষ্ণদয়াল ও আনন্দময়ী না চাইলেও গোরা হিন্দুধর্মের অন্ধ সমর্থক হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে ঘটনার ঘাত-প্রতিঘাত বিশেষত এক নারীর ভালোবাসা কিভাবে তাকে অন্ধতা ও সংকীর্ণতা থেকে পৌঁছে দিল এক মহাভারতবর্ষের আদর্শের দিকে, নির্দিষ্ট ধর্ম থেকে মানবতার মধ্যে, তারই কাহিনি ‘গোরা’।

    এই উপন্যঅসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র : গোরা, পরেশবাবু, সুচরিতা, পানুবাবু, ললিতা, বিনয়, বরদাসুন্দরী, কৃষ্ণদয়াল, আনন্দময়ী প্রমুখ। ‘গোরা’য় ব্যক্তির সঙ্গে সমাজের, সমাজের সঙ্গে ধর্মের, ধর্মের সঙ্গে সত্যের বিরোধ ও সমন্বয় চিত্রিত হয়েছে।

     

    See less
  5. This answer was edited.

    আলোচনায় থাকবে : সারাংশ ও মূলভাব কবিতা বিভিন্ন লাইনের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা প্রাসঙ্গিক আলােচনা এবং কবিতা বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা   সারাংশ - মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, অবিরাম বর্ষণ থেকে ক্ষণিক ক্ষান্তির মুহূর্ত। এরই মধ্যে এক কৃষক নদীর ধারে একাকী বসে আছে, কোনাে ভরসা নেই। জলভরা খরস্রোতা নদী, দুর্বার বেগে বহমান। তারRead more

    আলোচনায় থাকবে :

    • সারাংশ ও মূলভাব
    • কবিতা
    • বিভিন্ন লাইনের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
    • প্রাসঙ্গিক আলােচনা এবং কবিতা বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা

     

    সারাংশ –

    মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, অবিরাম বর্ষণ থেকে ক্ষণিক ক্ষান্তির মুহূর্ত। এরই মধ্যে এক কৃষক নদীর ধারে একাকী বসে আছে, কোনাে ভরসা নেই। জলভরা খরস্রোতা নদী, দুর্বার বেগে বহমান। তার চারিদিকে রাশি রাশি বােঝাই কাটা ধান।ছােটো খেতের ধারে একলা বসে, তখন পরপারের তরুচ্ছায়াচ্ছন্ন গ্রামটি আঁকা ছবির মতাে দেখাচ্ছিল। দূর থেকে গান গাইতে গাইতে কে যেন আসছে, দেখে মনে হল সে যেন চেনা। কোনাে দিকে না তাকিয়ে সে পালতােলা নৌকায় ঢেউ তুলে কোথায় চলেছে।
    কৃষক মাঝিকে কাতর কণ্ঠে কূলে নৌকা ভেরাবার জন্য অনুরােধ করল। তার কেটে রাখা সােনার ধান তলে নিয়ে তারপর সে যেখানে ইচ্ছা যাক—এটাই একান্ত ইচ্ছা।অনুরােধ মত নৌকায় সমস্ত তুলে দিয়ে তাকে করুণা করে নিয়ে যাওয়ার কথা বলায় উত্তরে ঠাঁই নেই’ বলে সােনার ফসল নিয়ে গেলেও, কৃষক প্রবহমান নদীর তীরে নিঃসঙ্গ ও অচল হয়ে বসে রইল।

    ________________________________________________________________

    সোনার তরী

    গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।
    কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা।
    রাশি রাশি ভারা ভারা
    ধান কাটা হল সারা,
    ভরা নদী ক্ষুরধারা
    খরপরশা।
    কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা।

    একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা,
    চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।
    পরপারে দেখি আঁকা
    তরুছায়ামসীমাখা
    গ্রামখানি মেঘে ঢাকা
    প্রভাতবেলা–
    এ পারেতে ছোটো খেত, আমি একেলা।

    গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে,
    দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।
    ভরা-পালে চলে যায়,
    কোনো দিকে নাহি চায়,
    ঢেউগুলি নিরুপায়
    ভাঙে দু-ধারে–
    দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।

    ওগো, তুমি কোথা যাও কোন্‌ বিদেশে,
    বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে।
    যেয়ো যেথা যেতে চাও,
    যারে খুশি তারে দাও,
    শুধু তুমি নিয়ে যাও
    ক্ষণিক হেসে
    আমার সোনার ধান কূলেতে এসে।

    যত চাও তত লও তরণী-‘পরে।
    আর আছে?– আর নাই, দিয়েছি ভরে।
    এতকাল নদীকূলে
    যাহা লয়ে ছিনু ভুলে
    সকলি দিলাম তুলে
    থরে বিথরে–
    এখন আমারে লহ করুণা করে।

    ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই– ছোটো সে তরী
    আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
    শ্রাবণগগন ঘিরে
    ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
    শূন্য নদীর তীরে
    রহিনু পড়ি–
    যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।

    _________________________________________________________________

    সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা :

    ভরা নদী ক্ষুরধারা – বর্ষায় নদীজল ক্ষুরের মতাে ধারালাে অর্থাৎ খরস্রোতা বােঝানাে হয়েছে।

    তরু ছায়া মসীমাখা (কালিমাখা) – আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় গাছের ছায়ায় ঘেরা গ্রাম অন্ধকারাচ্ছন্ন বলে মনে হচ্ছে।

    বাঁকা জল করিছে খেলা – বাঁকা শব্দটি দুটি অর্থে ব্যবহার করা যায়। একটি অর্থে নদী বেঁকে বেষ্টন করে আছে, অপর ব্যঞ্জনগর্ভ অর্থ ‘কুটিল বা প্রতিকূল’।

    কে আসে পারে – ‘কে’ এই শব্দটি ব্যবহার করে অনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বােঝান হয়েছে।

    দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে – বর্ষা সমাগমে কাটা ফসল নিয়ে তরীর অপেক্ষায় যখন আছেন এমনি সময় দূর থেকে দেখে কোন চেনা চেনা নেয়েকে যেন দেখা যাচ্ছে – এমনি সাধারণ অর্থ হলেও উদ্ধৃতিটি ব্যঞ্জনা সমৃদ্ধ। যাকে দেখে মনে হয় চিনি উহারে’ সে যে কবির হৃদয়গত অন্তর্যামী। রবীন্দ্রনাথ তাঁর কাব্যভাবনায় ব্যক্তি আমির অতিরিক্ত পৃথক এক অন্তঃপ্রেরণা বা অন্তৰ্শক্তি যাকে অনেকে অন্তর্দেৰ্বতা বা জীবনদেবতা বলেন তার কল্পনা করেছেন। সােনার তরী’ কবিতায় এরা আভাস, চিত্রা’য় তার পরিণতি। ইনিই কবির প্রেরণা, তাঁর কাব্যাধিষ্ঠাত্রী দেবী। কোন বিদেশে — এখানে বলতে কোনাে অজানা জগতে।

    শুধু তুমি নিয়ে যাও— সৃষ্টির যে শ্রেষ্ঠ সম্ভার, মহাকালের তরণীতে তুলে দেওয়ার মধ্যেই স্রষ্টার সার্থকতা। কিন্তু কালের মাঝি কোনােদিকে দৃকপাত না করে নিতান্ত নিরাসক্ত চিত্তে এগিয়ে যাচ্ছে দেখে স্রষ্টার একান্ত অনুরােধ সে জীবনের যা কিছু অর্জিত ফল তাকে যেন নিয়ে যায়।

    এখন আমারে লহাে করুণা করে – একলা জনবেষ্টিত ছােটো খেতে বসে আছি। করুণা করে তােমার তরীতে তুলে নাও। এর আধ্যাত্মিক অর্থ হতে পারে, আমাকে সকল কর্মবন্দি থেকে মুক্ত করাে। অথবা আমার শিল্পের সঙ্গে আমারও অস্তিত্বকে যুক্ত করাে।

    যাহা ছিল নিয়ে গেল সােনার তরী –আজীবন সতি সােনার ফসল, সংসার তরণীতে তুলে নিয়েছেন অর্থাৎ কবির সৃষ্টি সমাদৃত হওয়ায় তিনি আনন্দিত। কিন্তু সেখানে তাঁর স্থান না হওয়ায় — শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি – তিনি একাকিত্বের বেদনায় বিষন্ন।

     

    প্রাসঙ্গিক আলােচনা এবং কবিতা বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা :

    ‘সােনার তরী’ কাব্যগ্রন্থের নামক কবিতা সােনার তরীর রচনা স্থান শিলাইদহ, কাল-ফাল্গুন ১২৯৮, ইং ফেব্রুয়ারি ৪ মার্চ ১৮৯২। কবিতাটির নামকরণ সবিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সােনার তরী’ সােনায় তৈরি তরী অর্থে ব্যবহৃত হয়নি। এটি ব্যঞ্জনাগর্ভ। জীবনের সাধনায় যে স্বর্ণসম্ভার, তাই তাে ফসল, সেই ফসল বহ করে যে তরী তা-ই সােনার তরী।
    কবিতার এই নামকরণটি আক্ষরিক-অর্থ-অতিরিক্ত অন্যতর অর্থে সমৃদ্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ। সংসার-তরণীতে কবি তাঁর সৃষ্টির সমস্ত সম্পদ তুলে দিলেও, সংসার কবিকে গ্রহণ করল না। মহাকালরূপী নেয়ে ইতিহাসরূপ সােনারতরী নিয়ে সােনার ধান রূপ জীবনের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকে তুলে নিলেও, স্রষ্টাকে গ্রহণ করে না।

    ইতিহাসের পৃষ্ঠায় মানুষের শিল্প, তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি সঞ্চিত থাকে। জগৎ স্রষ্টাকে চায় না, তার শিল্পকে সৃষ্টিকে চায়, এটাই চিরন্তন সত্য। মানবজীবনের এই চিরন্তন সত্যটি আলােচ্য কবিতায় ধ্বনিত হয়েছে বলে কবি কবিতাটির নামকরণ করেছেন ‘সােনার তরী’। সােনার তরী মানব সংসারের তরী যাতে কবি বিশ্বমানবের উদ্দেশ্যে নিজের সৃষ্টি সম্ভারকে তুলে দিলেও “ঠাই নাই, ঠাই নাই—ছােট সে তরী”—তাই কবি স্বয়ং নির্জনতায় নির্বাসিতা। এ সব বিচারে কবিতার নামকরণ তাই সার্থক ও সুন্দর।

    এ পর্বে কবি আত্মস্থ, তাঁর প্রতিভার পূর্ণ প্রকাশ—রবি-রশ্মির মধ্যাহ্নদীপ্তি বিচ্ছুরিত। প্রকৃতি ও মানুষ সম্পর্কে কবির দৃষ্টি কল্পলােকের আলােকচ্ছটা থেকে বাস্তব জগতের উদার আকাশ-বাতাসে স্থাপিত। এ সময় কবির সৌন্দর্যানুভূতি ও বিশ্বানুভূতি প্রবলভাবে প্রকাশিত। কবি-কল্পনায় কবিত্বে প্রকাশ-ভঙ্গির চমৎকারিত্বে, ভাষার ঐশ্বর্যে ও ছন্দের বৈচিত্র্যে কবিতাগুলির দীপ্যমান। সােনার তরী তার ব্যতিক্রম নয়। এখানে যুক্ত হয়েছে, একটি তত্ত্ব যার ব্যাখ্যা নানা কবিতায় রূপে ভিন্ন, স্বরূপে এক।

    কবিতাটি রচনার সময় কবি জমিদারি দেখাশােনার কাজে কখনাে শিলাইদহ, সাজাদপুর, কালিগ্রাম, পতিসরে বাস করেছেন। বাংলার পল্লীপ্রকৃতি সমস্ত সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে তাঁর অনুভবে, রঙে, রূপে কল্পনায়, নিত্য নতুন হয়ে প্রতিভাত হচ্ছে। পল্লীর নরনারীর সুখ-দুঃখ, হাসিকান্নার সঙ্গে পরিচয় নিবিড় থেকে নিবিড়তর হচ্ছে। এই পরিচয় সূত্রেই ‘সােনার তরী’ কাব্য।‘সােনার তরী’ কবিতা এই অনুভবের সৃষ্টি। এখানেও প্রকৃতি ও মানুষ, কবির অন্তদৃষ্টিতে বিশ্বপ্রকৃতি ও মানবলােকের সঙ্গে একাকার হয়ে গেছে। একে বলা যেতে পারে বিশ্বানুভূতি—এটি সম্ভব কবির সৃষ্টিপ্রেরণা বা অন্তর্দেৰ্বতার অন্তঃপ্রেরণায়, সম্ভবত কবির এই অন্তর্দেৰ্বতাই সােনারতরী কবিতার ‘নেয়ে। অন্তর্দেৰ্বতা কোনাে অলৌকিক শক্তিধর নন, কবির প্রকাশপ্রেরণা, যিনি কবির মনের মধ্যে বসে সমগ্র জগৎকে সাহিত্যে রূপদান করছেন। প্রকৃতি—সােনার তরী কবিতার উৎস, চলমান নদীস্রোত, যার মধ্যে কবি জন্ম জন্মান্তরের সম্পর্ক উপলব্ধি করেছেন, তাকে এখানে দেখেছেন সাংকেতিকতায়, রহস্যময়, রূপকের ব্যবহারে ব্যঞ্জনাশ্রয়ী রূপে।

    ‘সােনার তরী’ কাব্যে কবি নদীমাতৃক বাংলাদেশের রূপ, পদ্মার প্রবহমানতা, বিচিত্র খণ্ড খণ্ড রূপকল্প ও চিত্রকল্পের ভিতর দিয়ে, কখনও সাঙ্কেতিক রহস্যময়তায়, কখনাে বর্ষা প্রকৃতির বিষাদ উজ্জ্বলতায় প্রকাশিত হয়েছে। সােনার তরী’ কবিতাটিও এরকমই এক ঘন বর্ষায় আবৃত নদীচরের নিসর্গচিত্র। কবির ভাষায় পল্লীপ্রকৃতির সঙ্গে তাঁর একটি মানসিক ঘরকন্নার সম্পর্ক, সেটি এ কবিতায় ফুটে উঠেছে।

    See less
  6. আমাদের গ্রাম ভূমিকা : আমাদের গ্রামের নাম চন্দনপুর । গ্রামখানি নদিয়া জেলার উত্তর পশ্চিম দিকে আবহনী অঞ্চলে অবস্থিত। গ্রামের পাশে ই রয়েছে একটি বড় ঝিল। আমাদের গ্রামটি শষ্য শ্যামলে ভরপুর, গ্রামের চারিদিকে সবুজের মেলা। গ্রামে বিভিন্ন ফল মূলের গাছ, শাক সবজি, সকালের পাখির ডাক, বিকালের গুধূলি গ্রামটিকে করে তRead more

    আমাদের গ্রাম

    ভূমিকা : আমাদের গ্রামের নাম চন্দনপুর । গ্রামখানি নদিয়া জেলার উত্তর পশ্চিম দিকে আবহনী অঞ্চলে অবস্থিত। গ্রামের পাশে ই রয়েছে একটি বড় ঝিল। আমাদের গ্রামটি শষ্য শ্যামলে ভরপুর, গ্রামের চারিদিকে সবুজের মেলা। গ্রামে বিভিন্ন ফল মূলের গাছ, শাক সবজি, সকালের পাখির ডাক, বিকালের গুধূলি গ্রামটিকে করে তোলেছে এক শান্তির দ্বীপ।

    আয়তন ও লোকসংখ্যা : আমাদের গ্রামটি নাদিয়া জেলার সর্ব বৃহৎ গ্রাম। গ্রামটি উত্তর-দক্ষিণে প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এবং পূর্ব-পশ্চিমে এক কিলোমিটার প্রস্থ। গ্রামে লোকসংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার দুই শত। আমদের গ্রামটি মিলনের অনন্য নাজির এখানে বিভিন্ন ধর্মের লোকই মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করে।

    ভূ-প্রকৃতি : আমাদের গ্রামটি গ্রাম বাংলার এক সুন্দর্যের প্রতীক । গ্রামের সম্পূর্ণ জমিই সমতল। মাঝেমধ্যে বসতবাড়ি ও তার চারপাশে বিভিন্ন ফলজ গাছপালা, ছোট-বড় বাঁশঝাড় গ্রামটিকে ঘিরে রেখেছে। গ্রামে পাশে থাকে ঝিল বেশিরভাগ গ্রামের মানুষের জীবনের মূল উৎস। এদের জীবনযাপন ঝিল থেকে পাওয়া মৎস্যের উপর নির্ভরশীল।

    যাতায়াত ব্যবস্থা : যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক দিয়ে আমাদের গ্রাম অনেক উন্নত।পঞ্চায়েত রাস্তার মাধ্যমে গ্রামটি পাশের জাতীয় সড়কের সাথে যুক্ত। গ্রামের প্রধান সড়কগুলি পাকা এবং প্রশস্ত । তাই জেলার মহকুমার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্তা খুব ই সুন্দর । মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। তা ছাড়া সরকারের প্রচেষ্টায় যোগাযোগ ব্যবস্তা সহজ করার জন্য গ্রামের পাশ থেকে সরকারী বাস চালু করা হয়েছে।

    উৎপন্ন দ্রব্য : মূলতঃ আমাদের গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ মৎস বিক্রি করে জীবিকা উপার্জন করে। তাছাড়া উৎপন্ন দ্রব্যের মধ্যে ধান, পাট, গম, ডাল, সরিষা, আখ ও পাট ইত্যাদি প্রধান। জমি উর্বর হওয়ার দরুন বিশেষ কোনো আধুনিক টেকনোলজি না থাকা সত্ত্বেও কৃষকেরা ভালো ফসল পেয়ে থাকে।গ্রামের কৃষকরা খুবই পরিশ্রমী বলে জমি কখনোই পতিত ফেলে রাখে না। বছর জুড়ে নানা সময়ে নানা ফসল ফলানো হয় ।

    বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান : আমাদের গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয় ,একটি দাতব্য চিকিৎসালয়, একটি পোস্ট অফিস, একটি ডাকঘর রয়েছে । তাছাড়া সপ্তাহে দুই দিন হাট বাজার বসে । গ্রামবাসীরা এই বাজারে তাদের পণ্য ক্রয় বিক্রয় করে।

    গ্রামের আবহাওয়া : আমাদের গ্রামের আবহাওয়া খুব মলিন ও সুন্দর। বিন্দুমাত্র কোনো শব্দদূষণ নেই। তাছাড়া গ্রামের মানুষ নিরীহ ও প্রকৃতি প্রিয়।গরম ঠান্ডা উভয় ঋতুতে গ্রাম ভিন্ন ভিন্ন রূপে পরিণত হয়।

    উপসংহার : আমাদের গ্রাম আমাদের জেলার মধ্যে একটি আদর্শ গ্রাম।আমাদের গ্রাম দিন দিন উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ার ফলে সবাই পড়াশুনার দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং অনেক ছেলে মেয়েরা বাহিরে গিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের গ্রামের প্রতি গর্ব অনুভব করি এবং ভালোবাসি।

    See less
  7. ইলিয়াস লেখকঃ লিও তলস্তয় অনুবাদ : মণীন্দ্র দত্ত উফা প্রদেশে ইলিয়াস নামে একজন বাকির বাস করত।ইলিয়াসের বিয়ের এক বছর পরে যখন তার বাবা মারা গেল তখন সে না ধনী, না দরিদ্র। সাতটা ঘােটকী, দুটো গােরু আর কুড়িটা ভেড়া—এই তার যা কিছু বিষয়-সম্পত্তি। কিন্তু ইলিয়াসের সুব্যবস্থায় তার সম্পত্তি কিছু কিছু করে বRead more

    ইলিয়াস

    লেখকঃ লিও তলস্তয়
    অনুবাদ : মণীন্দ্র দত্ত

    উফা প্রদেশে ইলিয়াস নামে একজন বাকির বাস করত।ইলিয়াসের বিয়ের এক বছর পরে যখন তার বাবা মারা গেল তখন সে না ধনী, না দরিদ্র। সাতটা ঘােটকী, দুটো গােরু আর কুড়িটা ভেড়া—এই তার যা কিছু বিষয়-সম্পত্তি। কিন্তু ইলিয়াসের সুব্যবস্থায় তার সম্পত্তি কিছু কিছু করে বাড়তে লাগল। সে আর তার স্ত্রী সকলের আগে ঘুম থেকে ওঠে আর সকলের পরে ঘুমােতে যায়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে। ফলে প্রতি বছরই তার অবস্থার উন্নতি হতে লাগল।এইভাবে পঁয়ত্রিশ বছর পরিশ্রম করে সে প্রচুর সম্পত্তি করে ফেলল। তখন তার দুশাে ঘােড়া, দেড়শাে। গােরু-মােষ, আর বারােশাে ভেড়া। ভাড়াটে মজুররা তার গােরু-ঘােড়ার দেখাশােনা করে, ভাড়াটে মজুরানিরা দুধ দোয়, কুমিস, মাখন আর পনির তৈরি করে। মােট কথা, ইলিয়াসের তখন খুব বােলবােলাও, পাশেপাশের সকলেই তাকে ঈর্ষা করে। বলে: ‘ইলিয়াস তাে ভাগ্যবান পুরুষ; কোনাে কিছুরই অভাব নেই; ওর তাে মরবারই দরকার নেই।

    ক্রমে ভালাে ভালাে লােকের সঙ্গে তার পরিচয় হতে লাগল। দূর দূরান্তর থেকে অতিথিরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসে। সকলকেই স্বাগত জানিয়ে সে তাদের ভােজ্য পানীয় দিয়ে সেবা করে। যে যখনই আসুক, কুমিস, চা, শরবত আর মাংস সব সময়েই হাজির। অতিথি এলেই একটা বা দুটো ভেড়া মারা হয়; সংখ্যায় বেশি হলে ঘােটকীও মারা হয়। |

    ইলিয়াসের দুই ছেলে, এক মেয়ে। সকলেরই বিয়ে হয়ে গেছে। ইলিয়াস যখন গরিব ছিল, ছেলেরা তার সঙ্গে কাজ করত, গােরু-ভেড়া চরাত। কিন্তু বড়লােক হওয়ার পরে তারা আয়েশি হয়ে উঠল। বড়ােটি এক মারামারিতে পড়ে মারা গেল। ছােটোটি এমন এক ঝগড়াটে বউ বিয়ে করল যে তারা বাপের আদেশই অমান্য করতে শুরু করল। ফলে ইলিয়াসের বাড়ি থেকে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হলাে। |

    ইলিয়াস তাকে একটা বাড়ি দিল, কিছু গােরু-ঘােড়াও দিল। ফলে ইলিয়াসের সম্পত্তিতে টান পড়ল। তারপরেই ইলিয়াসের ভেড়ার পালে মড়ক লেগে অনেকগুলাে মরে গেল। তার পরের বছর দেখা দিল দুর্ভিক্ষ। খড় পাওয়া গেল না একেবারে। ফলে সে-বছর শীতকালে অনেক গােরু-মােষ না খেয়ে মরল। তারপর কিরবিজ’রা তার সবচাইতে ভালাে ঘােড়াগুলাে চুরি করে নিয়ে গেল। ইলিয়াসের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ল। যত তার অবস্থা পড়তে লাগল ততই তার শরীরের জোরও কমতে লাগল। এমনি করে সত্তর বছর বয়সে ইলিয়াস বাধ্য হয়ে তার পশমের কোট, কম্বল, ঘােড়ার জিন, তাঁবু এবং সবশেষে গৃহপালিত পশুগুলােকে বিক্রি করে দিয়ে দুর্দশার একেবারে চরমে নেমে গেল। আসল অবস্থা বুঝে উঠবার আগেই সে একেবারে সর্বহারা হয়ে পড়ল। ফলে বৃদ্ধ বয়সে স্বামী-স্ত্রীকে অজানা লােকের বাড়িতে বাস করে, তাদের কাজ করে খেতে হতাে। সম্বলের মধ্যে রইল শুধু কাঁধে একটা বোঁচকা—তাতে ছিল একটা লােমের তৈরি কোট, টুপি, জুতাে আর বুট, আর তার বৃদ্ধা স্ত্রী শাম-শেমাগি। বিতাড়িত পুত্র অনেক দূর দেশে চলে গেছে, মেয়েটিও মারা গেছে। বৃদ্ধ দম্পতিকে সাহায্য করবার তখন কেউ নেই!

    মহম্মদ শা নামে এক প্রতিবেশীর করুণা হলাে বুড়াে-বুড়ির জন্য। সে নিজে ধনীও নয়, গরিবও নয়, তবে থাকত সুখে, আর লােকও ভালাে। ইলিয়াসের অতিথি-বৎসলতার কথা স্মরণ করে তার খুব দুঃখ হলাে। বলল :
    ‘ইলিয়াস, তুমি আমার বাড়ি এসে আমার সঙ্গে থাকো। বুড়িকেও নিয়ে এসাে। যতটা ক্ষমতায় কুলােয় গ্রীষ্মে আমার তরমুজের ক্ষেতে কাজ করবে আর শীতকালে গােরু-ঘােড়াগুলােকে খাওয়াবে। শাম-শেমাগিও ঘােটকীগুলােকে দুইতে পারবে, কুমিস তৈরি করতে পারবে। আমি তােমাদের দুজনেরই খাওয়া-পরা দেবাে। এছাড়া যদি কখনও কিছু লাগে, বলবে, তাও দেবাে।।

    ইলিয়াস প্রতিবেশীকে ধন্যবাদ দিল। সে আর তার স্ত্রী মহম্মদ শার বাড়িতে ভাড়াটে মজুরের মতাে কাজ করে খেতে লাগল। প্রথমে বেশ কষ্ট হতাে, কিন্তু ক্রমে ক্রমে সব সয়ে গেল। যতটা পারত কাজ করত আর থাকত।

    বুড়াে-বুড়িকে রেখে মহম্মদ শারও লাভ হলাে, কারণ নিজেরা একদিন মনিব ছিল বলে সব কাজই তারা ভালােভাবে করতে পারত। তা ছাড়া তারা অলস নয়, সাধ্যমতাে কাজকর্ম করত। তবু এই সম্পন্ন মানুষ দুটির দুরবস্থা দেখে মহম্মদ শার দুঃখ হতাে।

    একদিন মহম্মদ শার একদল আত্মীয় অনেক দূর থেকে এসে তার বাড়িতে অতিথি হলাে। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন মােল্লা। মহম্মদ শা ইলিয়াসকে একটা ভেড়া এনে মারতে বলল। ইলিয়াস তার চামড়া ছাড়িয়ে, সেদ্ধ করে অতিথিদের কাছে পাঠিয়ে দিল। অতিথিরা খাওয়া-দাওয়া করল, চা খেল, তারপর কুমিস-এ হাত দিল। মেঝেয় কম্বলের উপরে পাতা কুশনে গৃহস্বামীর সঙ্গে বসে অতিথিরা বাটি থেকে কুমিস পান করতে করতে গল্প করছিল। এমন সময় কাজ শেষ করে ইলিয়াস দরজার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। তাকে দেখতে পেয়ে মহম্মদ শা অতিথিদের বলল :

    ‘দরজার পাশ দিয়ে যে বুড়াে মানুষটি চলে গেল তাকে আপনারা লক্ষ করেছেন কি?
    একজন বলল, ‘আমি তাকে দেখিনি। কিন্তু ওর মধ্যে বিশেষ করে দেখবার কিছু আছে নাকি?
    ‘বিশেষত্ব এই যে, একসময় সে এ তল্লাটের সবচেয়ে ধনী ছিল। নাম ইলিয়াস। নামটা আপনারা হয়তাে শুনে থাকবেন।
    অতিথি বলল, ‘নিশ্চয়ই। না শােনবার জো কী? লােকটিকে কখনও চোখে দেখিনি, কিন্তু তার সুনাম ছড়িয়েছিল বহুদূর।

    ‘অথচ আজ তার কিছু নেই। আমার কাছে মজুরের মতাে থাকে, আর তার স্ত্রী আমার ঘােটকীদের দুধ দোয়।
    অতিথি সবিস্ময়ে জিভ দিয়ে চুকচু শব্দ করল। ঘাড় নাড়তে নাড়তে বলল, ‘সত্যি, ভাগ্য যেন চাকার মতাে ঘােরে; একজন উপরে ওঠে তাে আর একজন তলায় পড়ে যায়। আহা, বলুন তাে, বুড়াে লােকটা এখন নিশ্চয়ই খুব বিষন্ন?
    ‘কী জানি, খুব চুপচাপ আর শান্ত হয়ে থাকে। কাজও করে ভালাে।
    অতিথি বলল, ‘লােকটির সঙ্গে একটু কথা বলতে পারি কি? জীবন সম্পর্কে ওকে কিছু জিজ্ঞাসা করতে চাই আমি।
    গৃহস্বামী বলল, ‘নিশ্চয়ই পারেন। তারপর তাঁবুর বাইরে গিয়ে ডাকল : ‘বাবাই, একবার এদিকে এসাে তাে। তােমার বুড়িকেও সঙ্গে নিয়ে এসাে। আমাদের সঙ্গে একটু কুমিস পান করবে।

    ইলিয়াস আর তার স্ত্রী এল। ইলিয়াস অতিথি ও গৃহস্বামীকে নমস্কার করল, প্রার্থনা করল, তারপর দরজার পাশে এক কোণে বসল। তার স্ত্রী পর্দার আড়ালে গিয়ে কত্রীর পাশে বসল। | ইলিয়াসকে এক বাটি কুমিস দেওয়া হলাে। সে আবার অতিথি ও গৃহস্বামীকে মাথা নীচু করে নমস্কার করল এবং একটু খেয়ে বাকিটা নামিয়ে রাখল।

    অতিথি তাকে জিজ্ঞাসা করল, “আচ্ছা বাবাই, আমাদের দেখে তােমার অতীত জীবনের সুখ-সমৃদ্ধির কথা স্মরণ করে এবং এখনকার দুরবস্থার কথা ভেবে কি খুব কষ্ট হচ্ছে?
    ইলিয়াস হেসে বলল, সুখ-দুঃখের কথা যদি বলি, আপনারা হয়তাে আমার কথা বিশ্বাস করবেন না। বরং আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করুন। তিনি মেয়েমানুষ, তাঁর মনেও যা মুখেও তাই। এ বিষয়ে তিনিই পুরাে সত্য বলতে পারবেন।

    অতিথি তখন পর্দার দিকে তাকিয়ে বলল, “আচ্ছা ঠাকুমা , আগেকার সুখ আর এখনকার দুঃখ সম্পর্কে তােমার মনের কথাটা বলাে তাে!’
    পর্দার আড়াল থেকে শাম-শেমাগি বলতে লাগল :‘এই হলাে আমার মনের কথা : পঞ্চাশ বছর এই বুড়াে আর আমি একত্র বাস করেছি, সুখ খুঁজেছি; কিন্তু কখনও পাইনি। আর আজ এখানে এই আমাদের দ্বিতীয় বছর, যখন আমাদের কিছুই নেই, যখন আমরা ভাড়াটে মানুষের মতাে বেঁচে আছি, তখন আমরা পেয়েছি সত্যিকারের সুখ; আজ আর কিছুই চাই না।

    অতিথিরা বিস্মিত। গৃহস্বামীও বিস্মিত। সে উঠে দাঁড়াল। পর্দা সরিয়ে বুড়ির দিকে তাকাল। দুই হাত ভেঙে বসে সে স্বামীর দিকে চেয়ে হাসছে। স্বামীও হাসছে।
    বুড়ি আবার কথা বলল: ‘আমি সত্য কথাই বলছি, তামাশা করছি না। অর্ধ-শতাব্দী ধরে আমরা সুখ খুঁজেছি; যতদিন ধনী ছিলাম, কখনও সুখ পাইনি। কিন্তু আজ এমন সুখের সন্ধান আমরা পেয়েছি যে আর কিছুই আমরা চাই না।’
    ‘কিন্তু এখন কীসে তােমাদের সুখ হচ্ছে?

    ‘বলছি। যখন ধনী ছিলাম, বুড়াের বা আমার এক মুহূর্তের জন্যও শান্তি ছিল না,কথা বলবার সময় নেই। অন্তরের কথা ভাববার সময় নেই, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবার সময় নেই। দুশ্চিন্তারও অন্ত ছিল না। হয়তাে অতিথিরা এলেন—এক দুশ্চিন্তা : কাকে কী খেতে দিই, কী উপহার দিই যাতে লােকে নিন্দা না করে। আবার অতিথিরা চলে গেলে মজুরদের দিকে নজর দিতে হয়; তারা যেমন কম খেটে বেশি খেতেই ব্যস্ত, তেমনি আমরাও নিজেদের স্বার্থে তাদের উপর কড়া নজর রাখি,—সেও তাে পাপ। অন্যদিকে দুশ্চিন্তা—এই বুঝি নেকড়েতে ঘােড়ার বাচ্চা বা গােরুর বাছুরটা নিয়ে গেল। কিংবা চোর এসে ঘােড়াগুলােই নিয়ে সরে পড়ল। রাতে ঘুমােতে গেলাম, কিন্তু ঘুমােবার উপায় নেই, মনে দুশ্চিন্তা ভেড়ি বুঝি ছানাগুলােকে চেপে মেরে ফেলল। ফলে সারারাত ঘুমই ছিল না। একটা দুশ্চিন্তা পেরােতেই আর একটা এসে মাথা চাড়া দিত,শীতের জন্য যথেষ্ট খড় মজুত আছে তাে! এছাড়া বুড়াের সঙ্গে মতবিরােধ ছিল; সে হয়তাে বলল এটা এভাবে করা হােক, আমি বললাম অন্যরকম। ফলে ঝগড়া। সেও তাে পাপ। কাজেই এক দুশ্চিন্তা থেকে আর এক দুশ্চিন্তায়, এক পাপ থেকে আর এক পাপেই দিন কাটত, সুখী জীবন কাকে বলে কোনােদিন বুঝিনি।
    ‘আর এখন?
    ‘এখন বুড়াে আর আমি একসঙ্গে সকালে উঠি, দুটো সুখ-শান্তির কথা বলি। ঝগড়াও কিছু নেই, দুশ্চিন্তাও কিছু নেই,—আমাদের একমাত্র কাজ প্রভুর সেবা করা। যতটা খাটতে পারি স্বেচ্ছায়ই খাটি, কাজেই প্রভুর কাজে আমাদের লাভ বই লােকসান নেই। বাড়িতে এলেই খাবার ও কুমিস পাই। শীতকালে গরম হবার জন্য লােমের কোট আছে, জ্বালানি আছে। আত্মার কথা আলােচনা করবার বা ভাববার মতাে সময় আছে, সময় আছে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবার। পাশ বছর ধরে সুখ খুঁজে খুঁজে এতদিনে পেয়েছি।
    অতিথিরা হেসে উঠল। কিন্তু ইলিয়াস বলল, ‘বন্ধুগণ হাসবেন না। এটা তামাশা নয়। এটাই মানুষের জীবন, আমার স্ত্রী আর আমি অবুঝ ছিলাম, তাই সম্পত্তি হারিয়ে কেঁদেছিলাম। কিন্তু ঈশ্বর আমাদের কাছে সত্যকে উন্মুক্ত করেছেন। আর সে কথা যে আমরা আপনাদের বললাম তা ফুর্তির জন্য নয়, আপনাদের কল্যাণের জন্য।
    তখন মােল্লা বললেন ‘এটা খুবই জ্ঞানের কথা। ইলিয়াস যা বলল সবই সত্য এবং পবিত্র গ্রন্থে লেখা আছে। শুনে অতিথিরা ভাবতে বসল।

    See less
  8. প্রধান শিক্ষকের কাছে ছুটির জন্য আবেদন পত্রের নমুনা : তারিখঃ ১০/১০/১৯ ইং প্রধান শিক্ষক বিদ্যাসাগর উচ্চ বিদ্যালয় হাওড়া কলকাতা বিষয়:দুই দিনের ছুটির জন্য আবেদন। মহোদয়/মহোদয়া , সবিনয় বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্র।আগামী ১২/১০/২০১৯ থেকে ১৪/১০/২০১৯৪ইং পর্যন্ত আমার বড়Read more

    প্রধান শিক্ষকের কাছে ছুটির জন্য আবেদন পত্রের নমুনা :

    তারিখঃ ১০/১০/১৯ ইং

    প্রধান শিক্ষক
    বিদ্যাসাগর উচ্চ বিদ্যালয়
    হাওড়া কলকাতা

    বিষয়:দুই দিনের ছুটির জন্য আবেদন।

    মহোদয়/মহোদয়া ,
    সবিনয় বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্র।আগামী ১২/১০/২০১৯ থেকে ১৪/১০/২০১৯৪ইং পর্যন্ত আমার বড় বোনের বিয়ে উপলক্ষে দুই দিন বিদ্যালয়ে উপস্তিত হতে পারবনা।

    অতএব,আমাকে দুই দিনের ছুটি মঞ্জুর করলে আমি আপনার প্রতি বাধিত থাকব।

    আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র

    জীবন মণ্ডল
    শ্রেণিঃ ১০ম
    রোলঃ ০২

    _______________________

    প্রধান শিক্ষকের কাছে অনুপস্থিত থাকার জন্য আবেদন পত্র :

    তারিখঃ ১০/১০/১৯ ইং

    প্রধান শিক্ষক
    বিদ্যাসাগর উচ্চ বিদ্যালয়
    হাওড়া কলকাতা

    বিষয়ঃ অনুপস্থিতির জন্য ছুটির আবেদন।

    মহোদয়/মহোদয়া ,
    সবিনয় বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্র। আমি গত ০৭/১০/১৯ ইং থেকে ০৯/১০/১৯ ইং পর্যন্ত অসুস্থ থাকার কারণে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারিনি।

    অতএব, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন, উপরোক্ত বিষয়টি বিবেচনা করে আমাকে উক্ত ৩ দিনের ছুটি দানে বাধিত করবেন।

    বিনীত নিবেদক
    জীবন মণ্ডল
    শ্রেণিঃ ১০ম
    রোলঃ ০২

    See less
  9. আমাদেরকে নিত্য দিনে অনেক কাজের জন্য বিভিন্ন ধরণের দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লিখতে হয়। স্কুল কলেজ থেকে শুরু নানা অফিস-আদালত বা ব্যাঙ্ক এ অনেক ধরণের দরখাস্তের প্রয়োজন হয়। সেই হিসাবে বিভিন্ন ধরণের দরখাস্তের কয়েকটি নমুনা নিচে দেওয়া হলো। ১ স্কুল প্রধানের কাছে দরখাস্ত ২ বাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে দরখাস্ত ৩ চাকুরীRead more

    আমাদেরকে নিত্য দিনে অনেক কাজের জন্য বিভিন্ন ধরণের দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লিখতে হয়। স্কুল কলেজ থেকে শুরু নানা অফিস-আদালত বা ব্যাঙ্ক এ অনেক ধরণের দরখাস্তের প্রয়োজন হয়। সেই হিসাবে বিভিন্ন ধরণের দরখাস্তের কয়েকটি নমুনা নিচে দেওয়া হলো।

    ১ স্কুল প্রধানের কাছে দরখাস্ত
    ২ বাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে দরখাস্ত
    ৩ চাকুরীর জন্য দরখাস্ত
    ৪ পৌরসভার কাছে বিভিন্ন বিষয়ে দরখাস্ত

    প্রধান শিক্ষকের কাছে ছুটির জন্য আবেদন পত্রের নমুনা :

    তারিখঃ ১০/১০/১৯ ইং

    প্রধান শিক্ষক
    বিদ্যাসাগর উচ্চ বিদ্যালয়
    হাওড়া কলকাতা

    বিষয়:দুই দিনের ছুটির জন্য আবেদন।

    মহোদয়/মহোদয়া ,
    সবিনয় বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্র।আগামী ১২/১০/২০১৯ থেকে ১৪/১০/২০১৯৪ইং পর্যন্ত আমার বড় বোনের বিয়ে উপলক্ষে দুই দিন বিদ্যালয়ে উপস্তিত হতে পারবনা।

    অতএব,আমাকে দুই দিনের ছুটি মঞ্জুর করলে আমি আপনার প্রতি বাধিত থাকব।

    আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র

    জীবন মণ্ডল
    শ্রেণিঃ ১০ম
    রোলঃ ০২

    _______________________

    প্রধান শিক্ষকের কাছে অনুপস্থিত থাকার জন্য আবেদন পত্র :

    তারিখঃ ১০/১০/১৯ ইং

    প্রধান শিক্ষক
    বিদ্যাসাগর উচ্চ বিদ্যালয়
    হাওড়া কলকাতা

    বিষয়ঃ অনুপস্থিতির জন্য ছুটির আবেদন।

    মহোদয়/মহোদয়া ,
    সবিনয় বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্র। আমি গত ০৭/১০/১৯ ইং থেকে ০৯/১০/১৯ ইং পর্যন্ত অসুস্থ থাকার কারণে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারিনি।

    অতএব, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন, উপরোক্ত বিষয়টি বিবেচনা করে আমাকে উক্ত ৩ দিনের ছুটি দানে বাধিত করবেন।

    বিনীত নিবেদক
    জীবন মণ্ডল
    শ্রেণিঃ ১০ম
    রোলঃ ০২

    _______________________

    ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে loan বা ঋণ চেয়ে আবেদন :

    Indrani  Real estate PVT. LTD.

    Nadiya

    Date. ১০/১২/২০২০

    মাননীয় ম্যানেজার

    স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া

    বর্ধমান

    প্রিয় মহাশয়,

    আমরা আমাদের বর্ধমানের জেলার “বাংলা সাংস্কৃতিক ভবনের” আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা নিয়েছি। এই পরিকল্পনায় ভবনটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হবে এবং দর্শকের জন্য আরামপ্রদ আসনের ব্যবস্থা করা হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৫,০০,০০০ টাকা। আমরা আমাদের নিজস্ব তহবিল থেকে মাত্র ৩,০০,০০০ টাকা সংগ্রহ করতে পারব, অবশিষ্ট ২,০০,০০০ টাকা ঋণ গ্রহণ করতে হবে।

    এজন্য আমাদের অনুরােধ,পরিকল্পনাটি রূপায়ণ করতে, আসবাব পত্র ও অন্যান্য জিনিস যন্ত্রাদির জামিনের বিনিময়ে আপনি আমাদের ২,০০,০০০ টাকা ঋণদানের ব্যবস্থা করে সহায়তা করুন। আপনার সম্মতিসূচক চিঠি পেলে আমরা আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি পাকা করতে ইচ্ছুক।

    ধন্যবাদান্তে,

    আপনাদের বিশ্বস্ত ইন্দ্রানী রিয়েল এস্টেটর পক্ষে

    শর্মিষ্ঠ ব্যানার্জি

    ম্যানেজিং ডিরেক্টর

     

    See less
  10. ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে লোন বা ঋণ র জন্য আবেদন: Indrani  Real estate PVT. LTD. Nadiya Date. ১০/১২/২০২০ মাননীয় ম্যানেজার স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া বর্ধমান প্রিয় মহাশয়, আমরা আমাদের বর্ধমানের জেলার “বাংলা সাংস্কৃতিক ভবনের” আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা নিয়েছি। এই পরিকল্পনায় ভবনটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হবেRead more

    ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে লোন বা ঋণ র জন্য আবেদন:

    Indrani  Real estate PVT. LTD.

    Nadiya

    Date. ১০/১২/২০২০

    মাননীয় ম্যানেজার

    স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া

    বর্ধমান

    প্রিয় মহাশয়,

    আমরা আমাদের বর্ধমানের জেলার “বাংলা সাংস্কৃতিক ভবনের” আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা নিয়েছি। এই পরিকল্পনায় ভবনটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হবে এবং দর্শকের জন্য আরামপ্রদ আসনের ব্যবস্থা করা হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৫,০০,০০০ টাকা। আমরা আমাদের নিজস্ব তহবিল থেকে মাত্র ৩,০০,০০০ টাকা সংগ্রহ করতে পারব, অবশিষ্ট ২,০০,০০০ টাকা ঋণ গ্রহণ করতে হবে।

    এজন্য আমাদের অনুরােধ,পরিকল্পনাটি রূপায়ণ করতে, আসবাব পত্র ও অন্যান্য জিনিস যন্ত্রাদির জামিনের বিনিময়ে আপনি আমাদের ২,০০,০০০ টাকা ঋণদানের ব্যবস্থা করে সহায়তা করুন। আপনার সম্মতিসূচক চিঠি পেলে আমরা আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি পাকা করতে ইচ্ছুক।

    ধন্যবাদান্তে,

    আপনাদের বিশ্বস্ত ইন্দ্রানী রিয়েল এস্টেটর পক্ষে

    শর্মিষ্ঠ ব্যানার্জি

    ম্যানেজিং ডিরেক্টর

    See less