Sign Up

Continue with Facebook
Continue with Google
Continue with Twitter
or use


Have an account? Sign In Now

Sign In

Continue with Facebook
Continue with Google
Continue with Twitter
or use


Forgot Password?

Don't have account, Sign Up Here

Forgot Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.


Have an account? Sign In Now

Sorry, you do not have a permission to ask a question, You must login to ask question.

Continue with Facebook
Continue with Google
Continue with Twitter
or use


Forgot Password?

Need An Account, Sign Up Here
Bengali Forum Logo Bengali Forum Logo
Sign InSign Up

Bengali Forum

Bengali Forum Navigation

  • বিভাগ
  • বিষয়
  • ব্লগ
  • বাংলা অভিধান
  • হযবরল
Search
Ask A Question

Mobile menu

Close
Ask a Question
  • বাংলা অভিধান
  • সাহিত্য
  • শিক্ষা
  • রচনা
  • সাধারণ জ্ঞান
  • ইংলিশ টু বাংলা
  • বিজ্ঞান
  • বাংলা কুইজ
  • ধৰ্ম ও সংস্কৃতি
  • ইতিহাস
  • মতামত
In: সাহিত্য

আফ্রিকা কবিতার ব্যাখ্যা এবং সারাংশ | Africa poem summary in bengali

আফ্রিকা কবিতার ব্যাখ্যা এবং সারাংশ | Africa poem summary in bengali
KobitaSummaryকবিতাবাংলা কবিতাব্যাখ্যামূলভাবরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসারাংশ
  • 1
  • 16,848
  • 0
Answer

    1 Answer

    1. Hridoy

      Hridoy

      • 0 Questions
      • 373 Answers
      • 7 Best Answers
      • 3 Points
      View Profile
      Hridoy
      2020-04-15T03:45:45+05:30Added an answer on April 15, 2020 at 3:45 am
      This answer was edited.

      আলোচনার সূচী :

      1. সারাংশ
      2. কবিতা
      3. বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা
      4. বিশেষ লাইনের প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা

       

      সারাংশ:

      সভ্যতার সেই আদিমযুগে বিশ্বের প্রাচ্য ভূভাগ থেকে আফ্রিকা নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে, অন্ধকার গভীর অরণ্যানীতে সে সমাচ্ছন্ন হয়। সেখানকার দুর্গম তমসাময় প্রকৃতির দৃষ্টি-অতীত জাদু সমস্ত শঙ্কাকে হার মানাতে চাইছিল। ছায়াবৃতা আফ্রিকার মানবরূপ বাইরের পৃথিবীর উপেক্ষায় অবজ্ঞায় অজ্ঞাত থেকে গেছে। এমনই সময় (ইউরােপের) সভ্যতাভিমানী বর্বর নেকড়ের দল নির্লজ্জভাবে আফ্রিকাকে শৃঙ্খলিত করবার জন্য এগিয়ে এল। ফলে দস্যুদের আক্রমণে বীভৎস অত্যাচারে রক্তে-অশুতে মিশে গেল আফ্রিকার মানবতা। ওদিকে (ইউরােপের) পাড়ায় পাড়ায় চলল উৎসব সমারােহ।আজ সেই পশ্চিমাকাশে সেই পশু শক্তিই আবার নতুন করে যখন বেরিয়ে এসেছে, তখন মানহারা এই মানবীর (আফ্রিকার) পাশে দাঁড়িয়ে হিংস্র প্রলাপের মধ্যেও মানবতাবাদী কবি ক্ষমার আহ্বান জানাচ্ছেন। এটিই হােক সভ্যতার শেষ বাণী।

      __________________________

      আফ্রিকা

      উদ্ভ্রান্ত সেই আদিম যুগে
      স্রষ্টা যখন নিজের প্রতি অসন্তোষে
      নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত,
      তাঁর সেই অধৈর্যে ঘন-ঘন মাথা-নাড়ার দিনে
      রুদ্র সমুদ্রের বাহু
      প্রাচী ধরিত্রীর বুকের থেকে
      ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে, আফ্রিকা,
      বাঁধলে তোমাকে বনস্পতির নিবিড় পাহারায়
      কৃপণ আলোর অন্তঃপুরে।
      সেখানে নিভৃত অবকাশে তুমি
      সংগ্রহ করছিলে দুর্গমের রহস্য,
      চিনছিলে জলস্থল-আকাশের দুর্বোধ সংকেত,
      প্রকৃতির দৃষ্টি-অতীত জাদু
      মন্ত্র জাগাচ্ছিল তোমার চেতনাতীত মনে।
      বিদ্রূপ করছিলে ভীষণকে
      বিরূপের ছদ্মবেশে,
      শঙ্কাকে চাচ্ছিলে হার মানাতে
      আপনাকে উগ্র করে বিভীষিকার প্রচণ্ড মহিমায়
      তাণ্ডবের দুন্দুভিনিনাদে।
      হায় ছায়াবৃতা,
      কালো ঘোমটার নীচে
      অপরিচিত ছিল তোমার মানবরূপ
      উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে।
      এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে
      নখ যাদের তীক্ষ্ণ তোমার নেকড়ের চেয়ে,
      এল মানুষ-ধরার দল
      গর্বে যারা অন্ধ তোমার সূর্যহারা অরণ্যের চেয়ে।
      সভ্যের বর্বর লোভ
      নগ্ন করল আপন নির্লজ্জ অমানুষতা।
      তোমার ভাষাহীন ক্রন্দনে বাষ্পাকুল অরণ্যপথে
      পঙ্কিল হল ধূলি তোমার রক্তে অশ্রুতে মিশে;
      দস্যু-পায়ের কাঁটা-মারা জুতোর তলায়
      বীভৎস কাদার পিণ্ড
      চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে।
      সমুদ্রপারে সেই মুহূর্তেই তাদের পাড়ায় পাড়ায়
      মন্দিরে বাজছিল পুজোর ঘণ্টা
      সকালে সন্ধ্যায়, দয়াময় দেবতার নামে;
      শিশুরা খেলছিল মায়ের কোলে;
      কবির সংগীতে বেজে উঠছিল

      সুন্দরের আরাধনা।
      আজ যখন পশ্চিমদিগন্তে
      প্রদোষকাল ঝঞ্ঝাবাতাসে রুদ্ধশ্বাস,
      যখন গুপ্তগহ্বর থেকে পশুরা বেরিয়ে এল,
      অশুভ ধ্বনিতে ঘোষণা করল দিনের অন্তিমকাল,
      এসো যুগান্তরের কবি,
      আসন্ন সন্ধ্যার শেষ রশ্মিপাতে
      দাঁড়াও ওই মানহারা মানবীর দ্বারে,
      বলো “ক্ষমা করো’–
      হিংস্র প্রলাপের মধ্যে
      সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।

      __________________________

      বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা:

      পত্রপুট (১৯৩৬) কাব্য-এ ষােলাে সংখ্যক কবিতা – ‘উদ্ভান্ত সেই আদিম যুগে’ (নাম আফ্রিকা) কবি অমিয় চক্রবর্তী লিখে পাঠাবার জন্য অনুরােধ করায় ২৮ শে মাঘ ১৩৪৩, ইং ১২ ফ্রেব্রুয়ারি ১৯৩৬ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই কবিতাটি রচনা করেন।

      কবিতাটি প্রথমে প্রবাসী (চৈত্র ১৩৪৩) ও পরে কবিতাটির পত্রপুটের দ্বিতীয় সংস্করণে (১৩৪৫) প্রকাশিত হয়। ৩রা অক্টোবর, ১৯৩৫ ফ্যাসিস্ত মুসােলিনির নির্দেশে ইতালীয় আক্রমণকারী সৈন্যদল অ্যাবিসিনিয়ায় (ইথিওপিয়া) আক্রমণ করে। রবীন্দ্রনাথ এখানে তার প্রতিবাদ করে আফ্রিকা, ‘ছায়াচ্ছন্ন আফ্রিকার সকল বন লাঞ্ছনার রক্তাক্ত ইতিহাসকে স্মরণ করে এক অনবদ্য কাব্য রূপ দিয়েছেন। বেদনায় ভারাক্রান্ত চিত্তে একান্ত মমতায় এক লাঞ্ছিত কৃয়া মানবীর রূপ এই কবিতায় তিনি নির্মাণ করেছেন। আবেদন রেখেছেন “দাঁড়াও ঐ মান-হারা মানবীর দ্বারে।”

      কবির জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখােপাধ্যায় লিখেছেন আফ্রিকার ইতিহাস কবি ভালােকরেই জানতেন। মােরেল (E.D. Morel) প্রভৃতির বই তাঁর পড়া ছিল। পৃথিবীর অসহায় কৃষ্ণুকায় মানুষদের প্রতি তথাকথিত সভ্য শ্বেতকায় মানুষের অত্যাচারে সুবিদিত। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, অমিয় চক্রবর্তী কবিকে এক চিঠিতে লিখেছেন, ‘আফ্রিকার ইংরেজি তর্জমা তিনি বিলাতে নির্বাসিত ইথিওপীয় সম্রাট হাইলে সেলেসীর হাতে দেন এবং সেটি পড়ে তিনি শান্তি পান। এছাড়াও উগান্ডার রাজকুমার নিয়াবঙ্গো কবিতাটির বান্টু ও সােয়াহিলি ভাষী আফ্রিকানদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করেন।

      এই সংক্ষিপ্ত পরিচয় থেকে বােঝা যায় ‘পত্রপুট’-এর অন্যান্য কবিতা লেখা যখন চলছে পূজাবকাশে (অক্টোবর নভেম্বর ১৯৩৫ অর্থাৎ আশ্বিন-কার্তিক, ১৩৪৩-এ), তখন কবি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন ভাষণ ও গান লেখায় ব্যস্ত। অকস্মাৎ অমিয় চক্রবর্তীর অনুরােধ ‘হাইলে সেলসি ও নিয়াবঙ্গার’ প্রতিক্রিয়া আফ্রিকার সমকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের গুরুত্বের প্রতি তাঁকে মনােযােগী করে তােলে।

      মুসােলিনির ইতালি যখন অ্যাবিসিনিয়ায় (ইথিওপিয়া) স্বাধীনতা গ্রাস করবার জন্য সামরিক অভিযান চালায় তখন নানা দিক থেকে দেশটি ছিল অনগ্রসর, কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। শ্বেতাঙ্গ বিদেশিরা আফ্রিকাকে নানা ভাগে ভাগ করে যখন বসতি স্থাপন করে তখন অ্যাবিসিনিয়া ছিল স্বাধীন। এই আক্রমণের বিরুদ্ধে সম্রাট হাইলে সেলাসির পক্ষে সােভিয়েতের সমর্থনে বিশ্বজনমত গড়ে ওঠে। সাধারণভাবে রবীন্দ্রনাথ উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধ মত পােষণ করতেন। শ্বেতাঙ্গরা সেখানকার মানুষদের উপর বর্বর অত্যাচার ও নিষ্ঠুর অপমান করেছে, এ সংবাদ তাঁকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। আফ্রিকার সেই অত্যাচার ও পৃথিবীব্যাপী শােষণের বিরুদ্ধে কবির প্রতিবাদ। নৈবেদ্যে-র ‘শতাব্দীর সূর্য আজি’র মতাে এবারও তার কণ্ঠে প্রতিবাদের ভাষা জেগে উঠেছে। শক্তিমদমত্ত তথাকথিত সভ্য, অত্যাচারী উপনিবেশবাসীদের প্রতি তাঁর পুঞ্জীভূত ঘৃণা এখানে তীব্রভাবে প্রকাশিত হল। কবি বলেছেন, “সভ্যের বর্বর লােভনগ্ন করল আপন নির্লজ্জ অমানুষতা।”

       

       

      এভাবে কবি “বিশ্বমানবের দুঃখ আপনারই দুঃখ” রূপে গ্রহণ করেছেন। কোথাও ইথিওপিয়া, কোথায় স্পেন, কোথায় চীন – এ সবের জন্য কবির বেদনাবােধ আমাদের বিচলিত করে। কিন্তু এর মধ্যে কবি মানব ইতিহাসের মূলে যে কল্যাণের শক্তি কাজ করছে সে কথা মনে রেখে কল্যাণের পক্ষে সমস্ত কর্মকে, চেষ্টাকে প্রয়ােগ করতে বলেছেন। সর্বজীবে মঙ্গলচিন্তা ভারতবর্ষের ঐতিহ্য। তাই আহ্বান জানিয়েছে, “এসাে যুগান্তরের কবি | আসন্ন সন্ধ্যার শেষ রশ্মিপাতে | দাঁড়াও মানহারা মানবীর দ্বারে / বলাে, ক্ষমা করাে — / হিংস্র প্রলাপের মধ্যে । সেই হােক তােমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।” । – এই মঙ্গল চিন্তাই কবির মতে ভারতবর্ষকে সর্বজাতির শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছে।
      তথাপি বার বার দেখা গেছে, পৃথিবীর যেখানেই স্বাধীনতা বিপন্ন হয়েছে বা মানবতার অপমান ঘটেছে, সমস্ত ঘটনাই কবি-আত্মাকে সমভাবে মর্মাহত করেছে। রবীন্দ্রনাথের শেষ পর্যায়ের কাব্যে এ বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষণীয়। ১৯২৯-১৯৩৩ বিশ্বব্যাপী মন্দা শিল্পে বাণিজ্যে য়ুরােপে যখন হতাশা, সেই সময় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি উপনিবেশগুলির প্রতি প্রথমে থাবা বসায়। কিন্তু প্রত্যেকের ক্ষুদ্র স্বার্থ এতে চরিতার্থ না হওয়ায় শেষপর্যন্ত সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের সূচনা। এ পর্যায়ের কবিতাতেও রবীন্দ্রনাথকে স্থিতধী চিত্তে ঘটনাগুলির মূল্যায়ন করতে দেখা গেছে। সেখানে যেমন একদিকে ছিল প্রশান্তি ও গাম্ভীর্য, অন্যদিকে তদানীন্তন রাজনৈতিক ঘটনার প্রতিক্রিয়া।
      ‘পুনশ্চ-শেষসপ্তক-পত্রপুট’ ও ‘শ্যামলীর রচনাভঙ্গির ছন্দ-অলংকার ভাষারীতি ও চিত্রাঙ্কন বিশিষ্টতার দাবি রাখে। প্রবল প্রাণােচ্ছ্বাস এ পর্বে প্রায় নেই। তার পরিবর্তে শান্ত, সংযত গদ্যবদ্ধ বাভঙ্গিতে গভীর কথা সহজভাবে প্রকাশ করেছেন। উপমা প্রয়ােগ, ছন্দরচনায় গদ্যভঙ্গির অনায়াস ব্যবহার এবং অনলংকৃত বাগবিন্যাস এ পর্যায়ের কাব্যের বৈশিষ্ট্য হিসেবে দেখা দিয়েছে।
      ____________________

      প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা:

      “উদ্ৰান্ত সেই আদিম যুগে… অসন্তোষে – সূর্যের অগ্নিবলয়”, সমুদ্রের অনন্ত জলরাশি নানা জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ক্রমশ স্থলভূমি ও প্রাণের প্রকাশ ঘটে। কোটি কোটি বৎসরের সেই সুপ্রাচীন ইতিহাস বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিষয়। পরে প্রাগৈতিহাসিক কালে ভূত্বকের নানা বিপর্যয়ে বিশ্ব প্রকৃতিতে নানা ঘটনা ঘটেছে, তারই ইঙ্গিত এখানে আছে।

      “রুদ্র সমুদ্রের বাহু প্রাচী ধরিত্রীর… আফ্রিকা” প্রাগৈতিহাসিক যুগে ইউরােপের সঙ্গে জিব্রাল্টার টিউনিস সিসিলি ও ইতালি যুক্ত ছিল। তখন ভূমধ্যসাগর দুটি হ্রদের মতাে মনে হত। ভূত্বকের নানা বিপর্যয়ে কালক্রমে ইউরােপ থেকে আফ্রিকা বিচ্ছিন্ন হয়। পূর্ব গােলার্ধের এই মহাদেশ এক সময় এশিয়ার ও ইউরােপের সঙ্গে যুক্ত ছিল। অপর দিকে আফ্রিকা পূর্বে সাইনাই উপদ্বীপ দিয়ে এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিল। সুয়েজ খাল কাটার পর এশিয়ার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়। এই বিচ্ছিন্ন অংশ বর্তমানে মিশরের অন্তর্গত।

      “এল ওরা লােহার হাতকড়ি নিয়ে” য়ুরােপের সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলি তাদের উপনিবেশ গড়ে আফ্রিকাকে পদানত ও শৃঙ্খলিত করেছে, এই পরাধীনতার নিগড়কে এখানে বােঝানাে হয়েছে লােহার হাতকড়ি’ ব্যঞ্জনায়।

      “সভ্যের বর্বর লােভ” আফ্রিকার মতাে বিচ্ছিন্ন একটি মহাদেশ গভীর অরণ্যসঙ্কুল। সংখ্যাতীত জাতি ও উপজাতিকে বিভক্ত সে দেশে আধুনিক সভ্যতার আলাে তখনও প্রবেশ করেনি। উপজাতি গােষ্ঠীশাসিত সেই আদিম সমাজের সামাজিক অর্থনৈতিক বিকাশ না ঘটলেও দেশটি ছিল প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। সভ্যতাভিমানী য়ুরােপের দেশগুলি তাদের ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রিক স্বার্থ ও সমৃদ্ধির প্রয়ােজনে, সীমাহীন লােভের তাড়নায় এ দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠন করে এবং দেশের জনগােষ্ঠীর শ্রমকে ব্যবহার করে সম্পদের পাহাড় তৈরি করতে অমানবিক হিংস্রতার আশ্রয় নেয়।

      “মন্দিরে বাজছিল পূজার ঘণ্টা…. দেবতার নামে” আফ্রিকার জনগণ যখন হিংস্র নগ্ন আক্রমণে রক্তাক্ত, বিধ্বস্ত ও বিপর্যস্ত, সেই সময় সমুদ্রের অপর পারে ইয়ােরােপের সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলিতে সম্পদের প্রাচুর্যে, আনন্দ-উৎসবে দেবতার কাছে কল্যাণ ভিক্ষা চলছে। এই বিপরীত চিত্রটি তুলে ধরে কবি আফ্রিকার শােষিত অসহায় মানুষের প্রতি সমবেদনায়, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির প্রতি তির্যক বাণ নিক্ষেপ করেছেন।

      ‘আফ্রিকা’ কবিতাটি বিশেষ দেশকালের কথা হলেও, আজও যখন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হিংস্র নখর দেশ দেশান্তরে মানুষকে বিপন্ন করছে দেখতে পাওয়া যায়, তখন স্পষ্টতই উপলব্ধি করা যায় এ কবিতার গুরুত্ব। এভাবে কবিতাটি দেশকাল নিরপেক্ষ একটি অসাধারণ কাব্যশিল্প বলে মানা।

      • 0

    You must login to add an answer.

    Continue with Facebook
    Continue with Google
    Continue with Twitter
    or use


    Forgot Password?

    Need An Account, Sign Up Here

    Sidebar

    আরও দেখুন

    • রবীন্দ্রনাথের ‘গোরা’ উপন্যাসের সংকিপ্ত সারাংশ | Summary of gora by rabindranath tagore in bengali
    • সোনার তরী কবিতার সারাংশ ও মূলভাব | Sonar tori poem summary in Bengali
    • বাংলায় অর্থসহ ব্যাখ্যা | Asleep in The Valley Poem Bengali Meaning?
    • বাংলা অর্থসহ ব্যখ্যা | The Snail Poem Bengali Meaning?
    • বাংলায় অর্থসহ ব্যাখ্যা | The North Ship Poem Meaning in Bengali?
    • বাংলায় অর্থসহ ব্যাখ্যা | On Killing a Tree Poem Bengali Meaning?
    • বাংলায় অর্থসহ ব্যাখ্যা | The Poetry of Earth Bengali Meaning?
    • হে মোর দুর্ভাগা দেশ (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ) He mor durbhaga desh kobita?
    • কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া সংগীত| kotobaro vebechinu lyrics?
    • আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে আমি পাই নি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | amar hiyar majhe lukiye chile lyrics by Rabindra nath tagore
    • Kotobaro Bhebechinu Lyrics in Bengali | কতবার ভেবেছিনু- রবীন্দ্রসংগীত?
    • রবীন্দ্রসংগীত : তুমি কোন কাননের ফুল | Tumi Kon Kanoner Phool lyrics in Bengali with English Translation?
    • কবিতা : পরশ পাথর (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) Parash Pathar Poem by Rabindranath Tagore in Bengali?
    • কবিতা : নিষ্কৃতি (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) Nishkriti by Rabindranath Tagore in Bengali?
    • কবিতা : ক্যামেলিয়া (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) Camellia Poem by Rabindranath Tagore in Bengali lyrics?
    • কবিতা : দেবতার বিদায় (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) Debotar Biday by Rabindranath Tagore?
    • কবিতা : প্রশ্ন (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) Proshno Kobita Rabindranath Tagore in Bengali?
    • মা গো আমায় ছুটি (প্রশ্ন ) Mago Amay Chuti Dite Bol Kobita in Bengali?
    • অভিসার (সন্ন্যাসী উপগুপ্ত) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | Upagupta Poem lyrics in Bengali and English?
    • কবিতা : মূল্যপ্রাপ্তি (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) Mulya Prapti Poem in Bengali?
    Join us on Telegram
    Join our FaceBook Group

    বিষয়

    All Bangla Paragraph (105) Bangla GK (177) Bangla Kobita (203) Bangla Rachana (105) Bengali Meaning (259) Bengali Poems (124) English to Bengali Meaning (270) English to Bengali Translation (256) Kobita (143) অনুচ্ছেদ (127) বাংলা অর্থ (275) বাংলা কবিতা (219) বাংলা বাক্য রচনা (176) বাংলা রচনা (127) বাক্য রচনা (176)

    Footer

    © 2020 Bengali Forum · All rights reserved. Contact Us

    Add Bengali Forum to your Homescreen!

    Add