‘গোরা’ (১৯১০) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৃহত্তম এবং অনেকের মতে সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস। ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় ১৯০৮ থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
ঊনিবংশ শতাব্দীর শেষভাগের ধর্মান্দোলন, স্বদেশপ্রেম এবং নারীমুক্তি চিন্তার পটভূমিকায় এই আখ্যান গড়ে উঠেছে। এই উপন্যাসের নায়ক গোরা সিপাহি বিপ্লবের সময় নিহত এক আইরিশ দম্পত্তির সন্তান। কিন্তু সে বড় হয় হিন্দু ব্রাহ্মণ কৃষ্ণদয়াল ও আনন্দময়ীর ঘরে। গোরা নিজের জন্মবিবরণ ও প্রকৃত পরিচয় সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। দম্পতি কৃষ্ণদয়াল ও আনন্দময়ী না চাইলেও গোরা হিন্দুধর্মের অন্ধ সমর্থক হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে ঘটনার ঘাত-প্রতিঘাত বিশেষত এক নারীর ভালোবাসা কিভাবে তাকে অন্ধতা ও সংকীর্ণতা থেকে পৌঁছে দিল এক মহাভারতবর্ষের আদর্শের দিকে, নির্দিষ্ট ধর্ম থেকে মানবতার মধ্যে, তারই কাহিনি ‘গোরা’।
এই উপন্যঅসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র : গোরা, পরেশবাবু, সুচরিতা, পানুবাবু, ললিতা, বিনয়, বরদাসুন্দরী, কৃষ্ণদয়াল, আনন্দময়ী প্রমুখ। ‘গোরা’য় ব্যক্তির সঙ্গে সমাজের, সমাজের সঙ্গে ধর্মের, ধর্মের সঙ্গে সত্যের বিরোধ ও সমন্বয় চিত্রিত হয়েছে।
Hridoy
সারাংশ:
‘গোরা’ (১৯১০) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৃহত্তম এবং অনেকের মতে সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস। ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় ১৯০৮ থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
ঊনিবংশ শতাব্দীর শেষভাগের ধর্মান্দোলন, স্বদেশপ্রেম এবং নারীমুক্তি চিন্তার পটভূমিকায় এই আখ্যান গড়ে উঠেছে। এই উপন্যাসের নায়ক গোরা সিপাহি বিপ্লবের সময় নিহত এক আইরিশ দম্পত্তির সন্তান। কিন্তু সে বড় হয় হিন্দু ব্রাহ্মণ কৃষ্ণদয়াল ও আনন্দময়ীর ঘরে। গোরা নিজের জন্মবিবরণ ও প্রকৃত পরিচয় সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। দম্পতি কৃষ্ণদয়াল ও আনন্দময়ী না চাইলেও গোরা হিন্দুধর্মের অন্ধ সমর্থক হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে ঘটনার ঘাত-প্রতিঘাত বিশেষত এক নারীর ভালোবাসা কিভাবে তাকে অন্ধতা ও সংকীর্ণতা থেকে পৌঁছে দিল এক মহাভারতবর্ষের আদর্শের দিকে, নির্দিষ্ট ধর্ম থেকে মানবতার মধ্যে, তারই কাহিনি ‘গোরা’।
এই উপন্যঅসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র : গোরা, পরেশবাবু, সুচরিতা, পানুবাবু, ললিতা, বিনয়, বরদাসুন্দরী, কৃষ্ণদয়াল, আনন্দময়ী প্রমুখ। ‘গোরা’য় ব্যক্তির সঙ্গে সমাজের, সমাজের সঙ্গে ধর্মের, ধর্মের সঙ্গে সত্যের বিরোধ ও সমন্বয় চিত্রিত হয়েছে।