Very good.
Tag: বাংলা রচনা
গুরুত্বপূর্ণ বাংলা রচনার (Bangla Rachana) এক সংকলন।এখানে পাবেন প্রাইমারী থকে শুরু করে হাই স্কুল পর্যন্ত পরীক্ষায় আসা বিভিন্ন বিষয়ের উপর রচনা।
Discy Latest Questions
-
আমার স্কুলের প্রথম দিন প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে বিভিন্ন স্মৃতি থাকে যা কখনো ভোলা যায় না। আমার স্কুলের প্রথম দিন সেই রকম একটি স্মৃতি যা চিরকাল মনে রাখার মত। দিনটি ছিল ৭ই জানুয়ারি ২০০৮ সাল, যেদিন আমি প্রথম স্কুলে পা রাখলাম। আমি তখন ভীষণ ছোট, বয়স সবেমাত্র ৫ পেরিয়ে ৬। মা আমাকে সেই দিন সময় মত স্কুলেRead more
আমার স্কুলের প্রথম দিন
প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে বিভিন্ন স্মৃতি থাকে যা কখনো ভোলা যায় না। আমার স্কুলের প্রথম দিন সেই রকম একটি স্মৃতি যা চিরকাল মনে রাখার মত। দিনটি ছিল ৭ই জানুয়ারি ২০০৮ সাল, যেদিন আমি প্রথম স্কুলে পা রাখলাম। আমি তখন ভীষণ ছোট, বয়স সবেমাত্র ৫ পেরিয়ে ৬। মা আমাকে সেই দিন সময় মত স্কুলে নিয়ে আসলেন। স্কুলে উপস্থিত হতেই নিজেকে আবিষ্কার করলাম সম্পূর্ণ একটি অচেনা জায়গায়। কেমন যেন মনের মধ্যে একটা অজানা ভয় কাজ করেছিল ভীষণভাবে। ছাত্র-ছাত্রীদের ভিড়ের মধ্যে নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সিনিয়র শ্রেণীর এক ছাত্র আমাকে আমার শ্রেণিকক্ষে পৌঁছে দিল। শ্রেণিকক্ষে পৌঁছে আমি আরো ভেঙ্গে পড়লাম যখন দেখলাম আমার সহপাঠীদের মধ্যে সেই একই ভয়ের ছায়া। কাউ কাউ কে কাঁদতেও দেখলাম। যাই হোক, আমি চেষ্টা করলাম নিজেকে একটু সাহস দিতে।
ঠিক যখন সকাল নয়টা তখন অনুষ্ঠিত হলো প্রাতঃ সভা। আমরা লাইন দিয়ে দাঁড়ালাম একের পরে এক। প্রধান শিক্ষক বক্তব্য রাখলেন এবং আমাদেরকে স্বাগতম জানালেন। প্রাতঃ সভাশেষ হলে আবার আমরা শ্রেণি কক্ষে ফিরে এসে বসে পড়লাম। আমাদের ক্লাস শিক্ষক এসে উপস্থিত হলেন। অনেক কিছু বললেন সঙ্গে বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কে আমাদেরকে অবগত করালেন। কিছুক্ষণ পর প্রথম ঘন্টা বাজল। তারপর একে একে আরো দুই জন শিক্ষক এসে দুইটি ক্লাস নিলেন। সব শিক্ষকই খুবই মৃদু আচরণ করলেন এবং আমাদেরকে উৎসাহিত করলেন। শিক্ষকদের এই বন্ধুসুলভ ব্যবহার ধীরে ধীরে আমার ভয় কাটাতে সাহায্য করল।
তারপর বিরতি ঘন্টা শুরু হল। আমি আমার সহপাঠীদের সঙ্গে একটু আধটু কথা বললাম। বিরতি ঘন্টার শেষে ইংরেজি শিক্ষক এসে উপস্থিত হলেন। তিনি আমাদেরকে সতেজ করতে অনেক মজার মজার গল্প শোনালেন। আমরা সবাই মন দিয়ে শুনলাম এবং উপভোগ করলাম। তারপর সর্বশেষ ঘন্টা বাজলে আমি স্কুল থেকে বিদায় নিলাম। এই ভাবেই আমার স্কুলের প্রথম দিনটি শেষ হলো। সেই দিনের অচেনা পরিবেশ, অজানা ভয়, নতুন পরিচয় আমার মনে থাকবে অনন্তকাল।
See less
-
দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান ভূমিকা : মানব জাতির গৌরবের শিখরে উত্তরণে যার ভূমিকা নিঃসংশয়ে ।এক বাক্যে স্বীকার করে নিতে হয় তার নাম বিজ্ঞান। বিজ্ঞান’ শব্দটির অর্থ – বিশেষ জ্ঞান। মানুষ অন্য প্রাণীর তুলনায় অনেক উন্নত ও বুদ্ধিমান। তাই সীমাবদ্ধ জ্ঞানের বাইরে বিশেষ জ্ঞানের সাহায্যেই সে বিশ্বের সব প্রাণীদের উপRead more
দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান
ভূমিকা : মানব জাতির গৌরবের শিখরে উত্তরণে যার ভূমিকা নিঃসংশয়ে ।এক বাক্যে স্বীকার করে নিতে হয় তার নাম বিজ্ঞান। বিজ্ঞান’ শব্দটির অর্থ – বিশেষ জ্ঞান। মানুষ অন্য প্রাণীর তুলনায় অনেক উন্নত ও বুদ্ধিমান। তাই সীমাবদ্ধ জ্ঞানের বাইরে বিশেষ জ্ঞানের সাহায্যেই সে বিশ্বের সব প্রাণীদের উপর অধিকার স্থাপন করেছে। মানুষের কাছে কোন কিছুই আজ আর অসম্ভব নয়। কোন একদিনের সেই গুহাচারী মানুষ আজ নির্মাণ করছে গগনস্পর্শী অট্টালিকা। আদিম মানুষ থেকে আধুনিক জীবনে উপনীত হওয়ার একমাত্র অবলম্বন হলাে বিজ্ঞান।
বিজ্ঞানের জন্ম : সৃষ্টির ঊষালগ্নে মানুষ গভীর অরণ্যে, নদীতীরে বসবাস করতো । ভয়ঙ্কর প্রকৃতি বার বার মানুষকে হাতছানি দিয়ে ডাকত। গভীর অরণ্যে ঝড় ঝঞা-বন্দ্র বিদ্যুৎ আর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে মানুষকে বাঁচতে হতাে নিরন্তর সংগ্রামের মধ্যে। মানুষ ছিল তখন প্রকৃতির হাতের ক্রীড়নক। সে দিন মানুষকে রক্ষা করতে আসেননি স্বর্গবাসী কোন দেবতা। কিন্তু মানুষ যেদিন নিজ বুদ্ধি বলে পাথর ঘষে অস্ত্র নির্মাণ করে পশুদের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করল, তারপর ভয়ঙ্কর প্রকৃতিকে বশে এনে আত্মরক্ষার চিন্তা করল, সে দিন জন্ম হল বিজ্ঞানের।সে বিজ্ঞান-বুদ্ধির উপর নির্ভর করে মানুষ শিখেছে আগুনের ব্যবহার, শিখেছে কৃষিকর্ম, বয়ন কর্ম আর রাস্তা নির্মাণ। ওই বিজ্ঞানের বলেই নিসর্গ প্রকৃতি তথা জলে-স্থলে-আকাশ উড়াল বিজয় পতাকা। কবির ভাষায়
“পাখিরে দিয়েছ গান,
গায় সেই গান
তার বেশী করে না সে দান,
আমারে দিয়েছ সুর।
আমি তার বেশি করে দান।
আমি গাই গান।এভাবে মানুষ আপন প্রভাব বিস্তার করে বিধাতার শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করল।
দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের জয়যাত্রা : আজ শতশত শতাব্দী ধরে চলে আসছে বিজ্ঞানের জয়যাত্রা। সভ্যতার বিকাশ ও বিবর্তনে বিজ্ঞানের সীমাহীন অবদানের কথা আজ আর কারো অজানা নয়। বিজ্ঞানকে করায়ত্ত করে মানুষ সাগর লঙঘন। করল, উদ্দাম নদী স্রোতকে বশীভূত করে বাঁধ দিয়ে তার দুই তীর জুড়ে দিল। খাল নির্মাণ করে নদীর জল ধারাকে দিকে দিকে ছড়িয়ে দিয়ে মরু প্রান্তরকে উর্বর শস্য শালিনী করে তুলল। সকালে ঘুম থেকে উঠে দিন আরম্ভ করা থেকে রাত্রে শয্যা গ্রহণ, জীবনযাত্রার প্রতিটি পদক্ষেপ আজ বিজ্ঞানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। বলা যায়, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমরা বিজ্ঞানের মুখাপেক্ষী।
বৈদ্যুতিক অবদান : বৈদ্যুতিক শক্তির সহায়তায় সুইচ টিপে উঠে যাচ্ছে। মানুষ ঘরের বিভিন্ন তলার কক্ষে। তাইতো আজ পাঁচতলা, দশতলা আর বাহান্ন তলা বাড়িতে হাটু ভেঙ্গে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠবার আর প্রয়ােজন নেই – রয়েছে লিফট।তাছাড়া বৈদ্যুতিক পাখা, হিটার, ফ্রিজ, ইলেকট্রিক ইস্ত্রি, ওয়াশিং মেশিন, ইলেকট্রিক বেল, ঘড়ি, দাড়ি কামানাের সরঞ্জাম। সর্বোপরি মােবাইল ফোন যা সকাল থেকে রাত্র পর্যন্ত এই গানটা পৃথিবীটাকে নিয়ে এসেছে মানুষের হাতের মুঠোয়। তাই আজ আর চিঠিপত্র লিখে সময় নষ্ট করতে হয় না – সময় গড়িয়ে আত্মীয় স্বজনের খবর নেওয়ার প্রয়ােজন হয় না। ইলেকট্রিকের মাধ্যমে E. V. M. মেশিনের দ্বারা জনসাধারণ তাদের নেতা নির্বাচন করেছেন অতি সহজে।
টেলিভিশনের অবদান : আধুনিক যুগে বিজ্ঞানের একটি শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার টেলিভিশন। যার কল্যাণে পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া বড় বড় ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চক্ষুগোচর হচ্ছে। এত সহজে এত অল্প সময়ে এত বিস্তৃত ভাবে লক্ষ লক্ষ জ্ঞান শিক্ষা ও আনন্দ বিতরণের ব্যবস্থায় দূরদর্শন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। দূরদর্শন ছাত্র-শিক্ষক, চাকুরিজীবি, রাজনৈতিক বা বৈজ্ঞানিক, শিক্ষিত-অশিক্ষিত সকলের জন্যই প্রয়ােজনীয়। আমেরিকার বক্তৃতা, ইংল্যান্ডের গান আর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট খেলার বর্ণনা আমরা ঘরে বসেই টেলিভিশনে দেখতে পাই। এরকম আনন্দ দানের এত বড় মাধ্যম পৃথিবীতে কোন কালে ছিল না।
বিজ্ঞানের আবিষ্কার – কম্পিউটার ও লেপটপ : বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার কম্পিউটার আর ল্যাপটপ এর মাধ্যমে খুব কম সময়ের মধ্যে যােগ-বিয়ােগ, গুণ-ভাগের বড় বড় অংকের নির্ভুল ভাবে হিসেবে সম্পন্ন করা যায়। বর্তমানে বেঙ্ক, অফিস-আদালত, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তিদের দৈনন্দিন জীবনে হিসাবের কাজে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
চিকিৎসাক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান : পৃথিবীতে আজ মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি হয়েছে যার দৌলতে সে হচ্ছে চিকিৎসা শাস্ত্রে বিজ্ঞান। পদার্থ বিজ্ঞান এবং রসায়নের অগ্রগতি আরও বিস্ময়ের ব্যাপার। পূবে যে সব রোগ একে বারেই দুরারােগ্য ছিল আজ আর তা এমনটি নয়। বিজ্ঞান মানুষের হাতে তুলে দিয়েছে অনেক জীবনদায়ী ঔষধ যা বাড়াচ্ছে মানুষের গড় আয়ু। আজকের পৃথিবীতে কলেরা, মহামারী, টাইফয়েড, বসন্ত, কর্কট, যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, ব্লাড ফ্লু প্রভৃতি মারাত্মক রোগ আর দুরারোগ্য নয়। চিকিৎসকরা রঞ্জন রশ্মির সাহায্যে শরীরের ভিতরকার ছবি তুলে তা পরীক্ষা করে চিকিৎসা করতে পারছেন। রেডিয়ামের দ্বারা দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে। কৃত্রিম হৃদয় স্থাপন, কিড়নি স্থাপন প্রতিদিনই বড় বড়চিকিৎসালয়ে চলছে। বস্তুত চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির কথা অল্প কথায় বলে শেষ করা যায় না।
কৃষিক্ষেত্রে সবুজ বিপ্লব : কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান আজকের দিনে অনস্বীকার্য। বিজ্ঞানের অবদানে উষর ভূমি আজ হয়েছে শস্য-শ্যামল ভূমি। পূর্বে যেভাবে ছিল দৈব নির্ভর কৃষিকাজ অর্থাৎ আকাশ থেকে বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল, বর্তমানে তা আর নয়। উচ্চ ফলনশীল বীজ, রাসায়নিক সার, নানা প্রকার যন্ত্রপাতি পাম্প-মেশিন এবং অধিক ফলনের জন্য গাছের অনুখাদ্য আবিষ্কারের ফলে কৃষিতে সবুজ বিপ্লবের সৃষ্টি হয়েছে। দেশের লােকের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে।
উপসংহার : বিজ্ঞান যেভাবে দৈনন্দিন জীবনে অহরহ উন্নতি সাধন করে।চলেছে ঠিক সেভাবে বিজ্ঞানের আবার কিছু কিছু ধ্বংসাত্মক দিকও আছে। তবে মানুষের উপরে বিশ্বাস হারানাে ঠিক নয়। পৃথিবীতে এখনও বিবেকবান মানুষের অভাব নেই ধীর গতিতে হলেও বিশ্ববিবেক জাগ্রত হচ্ছে। আশা করা যায় মানুষ এই বিজ্ঞানকে সার্বিক মানব কল্যাণে ব্যবহার করবে। বিজ্ঞান কোটি কোটি মানুষের আশীর্বাদ লাভে ধন্য হবে।
See less
-
একটি গাছ একটি জীবন গাছপালা আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীর এক অমূল্য সম্পদ। আমরা বেঁচে থাকার জন্য গাছপালার উপর অনেক ভাবে নির্ভরশীল। গাছের জন্যই আমাদের জীবন সম্ভব হয়েছে। গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড সালফার ডাই অক্সাইড এর মত নানা বিষাক্ত গ্যাস শোষণ করে বায়ুমন্ডলে গ্যাসের ভারসাম্য বজায় রাখে। গাRead more
একটি গাছ একটি জীবন
গাছপালা আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীর এক অমূল্য সম্পদ। আমরা বেঁচে থাকার জন্য গাছপালার উপর অনেক ভাবে নির্ভরশীল। গাছের জন্যই আমাদের জীবন সম্ভব হয়েছে। গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড সালফার ডাই অক্সাইড এর মত নানা বিষাক্ত গ্যাস শোষণ করে বায়ুমন্ডলে গ্যাসের ভারসাম্য বজায় রাখে। গাছের জন্যই আমরা অক্সিজেন পেয়ে থাকি যা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
বলা যায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমরা প্রায় সবকিছুর জন্যই গাছের উপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন কারখানায় ব্যবহার হওয়া কাঁচামাল এই গাছপালা থেকেই আসে। আমাদের ব্যবহারিক আসবাবপত্র গাছপালার জন্যই সম্ভব হয়েছে। গাছই আমাদেরকে প্রদান করে খাদ্য এবং ছায়া।
গাছ আমাদের প্রকৃত বন্ধু হওয়া সত্বেও অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা গাছ হত্যা করেই চলেছি দিনের পর দিন। আমাদের সুযোগ সুবিধার জন্য আমরা চালিয়ে যাচ্ছি গাছের ধ্বংসলীলা। তাতে করে সৃষ্টি হচ্ছে অরণ্যবিনাশ অন্যদিকে বায়ুমন্ডলে বায়ুর ভারসাম্যতা নষ্ট হচ্ছে। দিনের পর দিন উষ্ণ থেকে উষ্ণতর হয়ে উঠছে উঠছে বায়ুমণ্ডল।
তাই গাছ নিধন করে আমরা নিজের ভবিষ্যতকে অন্ধকার করে দিচ্ছি। আমাদেরকে বুঝতে হবে যে, গাছ ছাড়া এই পৃথিবীতে বাস করা অসম্ভব। আমাদের অতি প্রয়োজনীয় বিশুদ্ধ হাওয়া, খাদ্য এবং বিশ্ব পরিমণ্ডল কিছুই গাছ ছাড়া সম্ভব নয়।
তাই আমরা কি চাই আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাক? অবশ্যই না। বরং আমরা আমাদের পৃথিবীকে আর সুন্দর দেখতে চাই। তাই আমাদের দায়িত্ব গাছের অপ্রয়োজনীয়’ নিধন থেকে বাঁচা এবং বেশি করে গাছ লাগানো। কারণ কাজ থাকলে আমরা থাকবো, গাছ থাকলে বেঁচে থাকবে এই সুন্দর পৃথিবী। তাই বলতে হয় গাছই জীবনের মূলস্রোত। তাই একটি গাছ একটি প্রাণ।
See less
-
আমার প্রিয় খেলা ব্যাডমিন্টন ভূমিকাঃ আমাদের সবার জীবনে খেলাধুলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খেলাধুলা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে। ভারত সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানা ধরণের খেলাধুলার রয়েছে, যেমন ক্রিকেট, ফুটবল, খো খো, টেনিস ইত্যাদি। প্রত্যেকে মানুষের নিজস্ব পছন্দের কোনোRead more
আমার প্রিয় খেলা ব্যাডমিন্টন
ভূমিকাঃ আমাদের সবার জীবনে খেলাধুলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খেলাধুলা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে। ভারত সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানা ধরণের খেলাধুলার রয়েছে, যেমন ক্রিকেট, ফুটবল, খো খো, টেনিস ইত্যাদি। প্রত্যেকে মানুষের নিজস্ব পছন্দের কোনো না কোনো খেলা রয়েছে।একইভাবে, আমার প্রিয় খেলা ব্যাডমিন্টন।
ব্যাডমিন্টন খেলার ইতিহাসঃ ইতিহাস ঘাটলে জানা যায় যে ১৯ শতকের প্রথমে এই খেলাটি সর্বপ্রথম বৃটেনে আরম্ব হয়। জানা যায় ব্যাডমিন্টন ইংল্যান্ডের ডিউক অফ বিউফোর্টের বাড়ীতে প্রথম খেলা হয়। তবে এই খেলায় তখন কর্ক এর পরিবর্তে বল ব্যবহার করা হত। পরবর্তীকালে এর জন্য বিভিন্ন নিয়ম প্রণালী ঠিক করা হয়। আমাদের দেশ ভারতবর্ষ ১৯৩৬ সালে এই খেলায় প্রথম যোগদান করে।
ব্যাডমিন্টন খেলার মাঠ ও সরঞ্জামঃ ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য একটি আয়তকার মাঠের দরকার হয়। মাঠের মোট দৈর্ঘ ৪৪ ফুট বা ১৩.৪ মিঃ লম্বা থাকে এবং প্রস্থ ২০ ফুট বা ৬.১ মিঃ লম্বা হয়। মাঠটি একটি জাল বা (Net) দ্বারা সমভাগে দুইটি ভাগ করা থাকে।জালটি দুইপাশ দুইটি খুঁটি বা (post) এর সাহায্যে ঝুলানো থাকে।জালটির উচ্চতা মাটি থেকে ১.৫৫ মিঃ উঁচু হয় । সরঞ্জাম এর ক্ষেত্রে একটি র্যাকেট এবং একটি কর্ক এর দরকার হয়, যেগুলির ওজন খুবই হালকা থাকে।
খেলার নিয়মাবলীঃ ব্যাডমিন্টন সাধারণত দুইজন করে প্রতিপক্ষের মধ্যে অনুষ্টিত হয়। অর্থাৎ মাঠের দুইপাশে দুই-দুই জন খেলোয়াড় থাকে। আবার কখনো একজন করেও প্রতিপক্ষের মধ্যেও অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাডমিন্টন খেলায় টেনিস এর মত পয়েন্টের সাহায্যে হার-জিত নির্ণয় করা হয়। এই খেলায় ছয়টি প্রধান শট রয়েছে, সেইগুলি হলো পরিবেশন বা সার্ভ , ক্লিয়ার, ড্রপ করুন, স্ম্যাশ, ব্যাকহ্যান্ড ড্রাইভ এবং ফোরহ্যান্ড ড্রাইভ।
আমার প্রিয় খেলা হওয়ার কারণঃ ব্যাডমিন্টন আমার প্রিয় খেলা কারণ ইহা আমাকে সারা দিন সক্রিয় থাকতে সাহায্য করে । ব্যাডমিন্টন খেলতে গতি, শক্তি এবং সঠিক নিশানার প্রয়োজন। তাই শারীরিক ও মানষিক চর্চার জন্য ব্যাডমিন্টন একটি অত্যন্ত উপযোগী খেলা যা সুস্থ রাখতে সাহায্য করে । তাই আমি যখন আমার বন্ধুদের সাথে ব্যাডমিন্টন খেলি, তখন আমি নিজেকে সারা দিন ধরে সতেজ ও শক্তিশালী বোধ করি।শরীর চর্চায় উপযোগী হওয়া ছাড়াও ব্যাডমিন্টন একটি উপভোগ্য খেলা, খেলাতে খেলোয়াড়দের মধ্যে পয়েন্ট অর্জন করার লড়াই আর উত্তেজনা খেলাটিকে আকর্ষণীয় করে তোলে ।
ভারতবর্ষে ব্যাডমিন্টনঃ বর্তমানে ভারতবর্ষে ব্যাডমিন্টন একটি জনপ্রিয় খেলায় পরিনত হয়েছে। বিশেষকরে শহরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে খেলার জন্য বড় মাঠের অভাব থাকার দরুন সবাই ইহা পছন্দ করে কারন ইহা বড় একটি ঘরের ভিতরেও খেলা যায়। তাছাড়া আন্তরজাতিক স্থরে অনেক খেলোয়াড় পেশাগত ভাবে ভারতের হয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছেন। ২০১৬ সালে প্রথম ভারতের হয়ে পি ভি সিদ্ধু অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে সিলভার পদক অর্জন করেন।
উপসংহারঃ ব্যাডমিন্টন শুধুমাত্র একটি আনন্দদায়ক খেলা নয় বরং ইহা শারীরিক ও মানসিক চর্চার জন্য খুবই উপযোগী একটি খেলা। যাহা আমাদেরকে সতেজ ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই আমি ব্যাডমিন্টন খেলতে ভালোবাসি।
-
ক্রিকেট সূচনাঃ বর্তমানে বিশ্বে ক্রিকেট একটি জনপ্রিয় খেলা।ক্রিকেট, ফুটবলের মতোই একটি বিদেশি খেলা। ফুটবল খেলা যদিও জনপ্রিয় খেলা তবু ক্রিকেটকেই বলা হয় খেলার রাজা। অনেক ব্যয়বহুল ও দীর্ঘ সময়ের খেলা হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ক্রিকেট খেলা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ক্রিকেট খেলার ইতিহাসঃ ক্রRead more
ক্রিকেট
সূচনাঃ বর্তমানে বিশ্বে ক্রিকেট একটি জনপ্রিয় খেলা।ক্রিকেট, ফুটবলের মতোই একটি বিদেশি খেলা। ফুটবল খেলা যদিও জনপ্রিয় খেলা তবু ক্রিকেটকেই বলা হয় খেলার রাজা। অনেক ব্যয়বহুল ও দীর্ঘ সময়ের খেলা হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ক্রিকেট খেলা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ক্রিকেট খেলার ইতিহাসঃ ক্রিকেট খেলার জন্মভূমি ইংল্যান্ডে। খ্রিস্টীয় আঠারো শতকে ইংল্যান্ডের মাটিতেই প্রথম ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। হ্যাম্পশায়ারের অন্তর্গত হাম্পবলডনে প্রথমে ক্রিকেট দল গড়ে উঠে। তারপর সমগ্র ইংল্যান্ডে এ খেলা জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ঊনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীর পূর্বাহ্নে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য সম্প্রসারিত হওয়ার সাথে সাথে ক্রিকেট খেলাও ছড়িয়ে পড়ে। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক সফরের মাধ্যমে বিশ্ব ক্রিকেটপ্রিয় দেশগুলোর সাথে প্রতিযোগিতায় অবর্তীণ হয়। পরবর্তীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, বাংলাদেশ কেনিয়, আয়ারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও স্কটল্যান্ড প্রভৃতি দেশে এ খেলা ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ক্রিকেট খেলার প্রকারভেদঃ ক্রিকেট খেলা তিন ধরনের। যথা- টেস্ট ম্যাচ অর্থাৎ পাঁচ দিনের খেলা, ওয়ানডে ম্যাচ অর্থাৎ এক দিনের সীমিত ওভারের খেলা, এবং টি টোয়েন্টি ম্যাচ।
ক্রিকেট খেলার নিয়মঃ ক্রিকেট দু’দলে খেলতে হয়। প্রত্যেক দলে এগারোজন করে খেলোয়াড় থাকে। ক্রিকেট খেলার জন্য একটি কাঠের ব্যাট ও মুষ্টির ন্যায় আয়তনবিশিষ্ট একটি গোলাকার কাঠের বলের প্রয়োজন হয়। মাঠের মধ্যস্থলে পরস্পরের সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে বাইশ গজ দূরে এক একদিকে তিনটি করে কাঠের দন্ড পোঁতা থাকে। এ পোঁতা কাঠের দন্ডকে ক্রিকেটের পরিভাষায় ‘উইকেট’ বলা হয়। এ উইকেটের মাথায় একটি নির্দিষ্ট মানের দুটি করে কাঠখন্ড থাকে, এগুলোকে বলা হয়, ‘বেইল’। ক্রিকেট খেলা আরম্ভ হওয়ার পূর্বে টস দেওয়া হয়। যে পক্ষ টসে জয়লাভ করে সে পক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় কে আগে ব্যাট করবে। প্রতিপক্ষ ফিল্ডিং-এর জন্য প্রস্তুত হয়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে উভয় দলকে পর্যায়ক্রমে দুবার করে ব্যাট করতে হয়। প্রত্যেকবারের খেলাকে একটি ইনিংস বলা হয়। ক্রিকেট খেলা যিনি পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রন করেন তাকে আম্পায়ার বলে। দুই পাশের উইকেটের জন্য দুইজন আম্পায়ার থাকেন। তবে বর্তমানে আরও এক আম্পায়ার অন্তরালে থাকে কাজ করেন, যাকে ‘থার্ড আম্পায়ার’ বলা হয়।
একদল ব্যাট করে আর অন্যদল মাঠের নির্দিষ্ট স্থান ঘিরে দাঁড়ায় যাতে বল আয়ত্তের বাইরে যেতে না পারে। দুজন ব্যাটধারী দুদিকে উইকেটের নিকট পরস্পর মুখোমুখি দাঁড়ায়। তাদের মধ্যে একজন দল পিটায় আর অন্যজন প্রয়োজনবোধে দৌড়িয়ে দলের জন্য রান সংগ্রহ করতে সাহায্য করে, পরে পালাক্রমে নিজেরা ব্যাট করে। তাদের একজন একদিক হতে বল নিক্ষেপ করে ব্যাটধারীর উইকেট স্পর্শ বা আঘাত করতে চেষ্টা করে। বল নিক্ষেপকারীকে ‘বোলার’ বলে। একজন বোলার একধারে ছয় বল অর্থাৎ এক ওভার এবঙ একদিকে খেলায় বিরতি দিয়ে দিয়ে মোট দশ ওভার বল করতে পারে। ব্যাটধারীর উইকেটের পেছনে যে দাঁড়িয়ে থাকে তাকে ‘উইকেট রক্ষক’ বলে। তাদের লক্ষ্য থাকে উইকেট বলের দিক, বাকি খেলোয়াড় চতুর্দিকে নির্দিষ্ট স্থানে দাড়িঁয়ে বল আটকাবার চেষ্টা করে। এ জন্য তাদেরকে ফিল্ডার বলে। একদলের দশজন খেলোয়াড় আউট হলে তাদের এক ইনিংস শেষ হয়। তখন অপর দল ব্যাট করার সুযোগ পায়।
আউটবিধিঃ প্রত্যেক বোলার সর্বদা ব্যাটসম্যানকে আউট করা চেষ্টা করেন। আবার ব্যাটম্যান চেষ্টা করেন উইকেট রক্ষা করার। আর এভাবেই খেলা উপভোগ্য হয়ে উঠে। খিল্ডি-এ থাকা দলের খেলোয়াড়রা মাঠের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয় এবং বলকে সীমানা ছাড়িয়ে যেতে বাধা দেয়। ফিল্ডাররা বল মাটি স্পর্শ করার আগেই শূন্যে বলটি ধরে ব্যাটসম্যানকে ‘ক্যাচ আউট’ করেন। ক্যাচ আউট ছাড়াও বোল্ড আউট, রান আউট, লেগ বিফোর উইকেট, স্ট্যাম্প আউট ইত্যাদি রয়েছে।
জয়- পরাজয়ঃ একদিনের খেলায় জয় পরাজয় নির্ধারিত হয় নির্দিষ্ট ওভারে রানের সংখ্যা এবং কতজন ব্যাটসম্যান নট আউট তার হিসাব দ¦ারা । সুতরাং এ খেলায় সব সময় লক্ষ রাখতে হয় রান বাড়াবার দিকে এবং উইকেট রক্ষার দিকে। অন্যদিকে টেস্ট ম্যাচে প্রতি দল দুইবার ব্যাট করার সুযোগ পায়। এর মধ্যে যে দল বেশি রান করতে পারে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিপক্ষকে আউট করতে পারে সে দলই জয়ী হয় নতুবা খেলা ড্র হয়।
সাম্প্রতিক ক্রিকেট খেলাঃ সাম্প্রতিককালে এ খেলা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং এর অনেক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। বর্তমানে দীর্ঘ সময়ের অসুবিধা দূর করা জন্য টি-টোয়েন্টি খেলা চালু করা হয়েছে। এতে প্রত্যেক দল ২০ ওভার করে বল খেলার সুযোগ পায়; এতে যে দল বেশি রান করতে পারে সে দল বিজয়ী বলে ঘোষিত হয়। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ কম সময়ে শেষ হয় বলে এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। তা ছাড়া ৫০ ওভারের ওয়ান ডে ম্যাচ ও তার জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ ক্রিকেটের ইতিহাস দীর্ঘদিনের হলেও ১৯৭৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে ক্রিকেটের মহামিলন বিশ্বকাপ ক্রিকেট। প্রত্যেক চার বছর পর পর বিশ্বকাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম, দ্বিতীয় এবঙ তৃতীয় বিশ্বকাপ ইংল্যান্ড অনুষ্ঠিত হয। প্রথম দুইবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং তৃতীয়বার ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৮৭ সালে ভারত ও পরিস্তানে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বিশ্বকাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড অনুষ্ঠিত পঞ্চম বিশ্বকাপ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। ১৯৯৬ সালে পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলংকায় যৌথভাবে অনুষ্ঠিত যষ্ঠ বিশ্বকাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলংকা। ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড অনুষ্ঠিত সপ্তম বিশ্বকাপ, ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত অষ্টম বিশ^কাপ এবঙ ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত নবম বিশ্বকাপ জয় করে অস্ট্রেলিয়া। ২০১১ সালে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকা যৌথভাবে আয়োজন করে দশম বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসর। এ আসরে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৫ সালে যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড এগারোতম বিশ্বকাপ আয়োজন করে। দুই স্বাগতিক দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ফাইনাল ম্যাচ এবং এতে অস্ট্রেলিয়া জয়লাভ করে চ্যম্পিয়ন হয়।
উপকারিতাঃ অন্যান্য খেলাধুলার ন্যায় ক্রিকেট খেলাও আনন্দদায়ক ও স্বাস্থপ্রদ। শরীরচর্চার দিক ব্যতীত এর অন্য একটা দিকও আছে চরিত্র গছন, দৈর্য, সহিষষ্ণুতা, সতর্কতা, সহযোগিতা প্রভৃতি গুণ এ খেলা থেকেই লাভ করা যায়।
অপকারিতাঃ ক্রিকেট অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ খেলা। বোলার কর্তৃক সজোরে ছোড়া বল ব্যাটসম্যানকে মারাত্মকভঅবে আহত করতে পারে। এমনকি তা মৃত্যুর কারনও হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ফিল্ডারদেরও ফিল্ডিং করতে গিয়ে করুণ করিণতি বহন করত দেখা যায়। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ফিল হিউজ বলের আঘাতে মৃতুবরণ করেন। এরকম উদাহরণ আরও অনেকে রয়েছে। তা ছাড়া অনেকের মতে, ক্রিকেট খেলায় অনেক বেশি সময় ও অর্থ ব্যয় হয়।
উপসংহারঃ বর্তমানে দেশ বিদেশে ক্রিকেট একটি জনপ্রিয় খেলা। এ খেলায় মাধ্যমে দেশে দেশে গড়ে উঠে সখ্যতা। মানুষের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন হয় দৃঢ়। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে এ খেলা সকল মানুষকে এক কাতারে সামিল করে। যা বিশ্ব শান্তির দ্বার উন্মোচিত করে সহজেই।
See less
-
গ্রন্থাগার ভূমিকা: গ্রন্থাগার সভ্য মানুষের জীবনযাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বর্তমান কালে অধিকাংশ শিক্ষিত লোকের বাড়িতেই জ্ঞান আনন্দলাভের জন্য গৃহ লাইব্রেরি গড়ে উঠেছে। বর্তমানে যে সকল সরকারি গ্রন্থাগার স্থাপিত হয়েছে তাদের প্রয়োজনীয়তা আমাদের মত শিক্ষাবঞ্চিত দেশের পক্ষে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। সরকRead more
গ্রন্থাগার
ভূমিকা: গ্রন্থাগার সভ্য মানুষের জীবনযাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বর্তমান কালে অধিকাংশ শিক্ষিত লোকের বাড়িতেই জ্ঞান আনন্দলাভের জন্য গৃহ লাইব্রেরি গড়ে উঠেছে। বর্তমানে যে সকল সরকারি গ্রন্থাগার স্থাপিত হয়েছে তাদের প্রয়োজনীয়তা আমাদের মত শিক্ষাবঞ্চিত দেশের পক্ষে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি বা সাধারণ গ্রন্থাগার সকল মানুষের জ্ঞানের পিপাসা মেটায় আনন্দ দান করে। দেশের অজ্ঞতার অন্ধকার দূরীকরণে গ্রন্থাগারের ভূমিকা বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
গ্রন্থাগার জ্ঞানের মিলনক্ষেত্র: গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরী জ্ঞান ধারার মহামিলন ক্ষেত্র। এখানে অতীত,বর্তমান ও ভবিষ্যৎ মিলিত হয়ে আছে নানা দেশের পুস্তকের মাধ্যমে এটি সকল জ্ঞানের মিলন তীর্থ। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সাহিত্যের চিন্তাধারা আমাদেরশান্তি দেয়, আনন্দ দেয়, আর দেয় উদারতার শিক্ষা।
গ্রন্থাগারের উদ্ভব : জ্ঞান-পিপাসু মানুষের কাছে গ্রন্থাগার আধুনিক সভ্যতার অবদান। প্রাচীন কালের মানুষও আধুনিক মানুষের মতাে জ্ঞান লাভ ও বিদ্যা শিক্ষার প্রয়ােজনে গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠায় মনােযােগী হয়েছিল। তখনকার দিনে গ্রন্থ বলতে অবশ্য বর্তমানকালের সহজে বহন করার মতাে কাগজের গ্রন্থ ছিল না। ছিল খােদাই করা শিলায় লিপি। তারপর তালপাতায় ও ভুজপত্রে লিখিত গ্রন্থ বের হয়। মধ্যযুগে তুলট কাগজের আবিষ্কার হওয়ায় এ কাগজে লেখা আরম্ভ হয়।
প্রাচীন কালের গ্রন্থাগার : চীনদেশে প্রথম কাগজ আবিষ্কৃত হয় এবং সেখানে অনেক বড় গ্রন্থাগার সুপ্রতিষ্ঠিত ছিল। প্রাচীন ভারতে তক্ষশিলা, নালন্দা প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় বড় গ্রন্থাগার ছিল। এসব গ্রন্থাগার শত শত ছাত্র ও বিদেশি পরিব্রাজকদের জ্ঞান-তৃষ্ণা মিটাত।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গ্রন্থাগার : জ্ঞানের চর্চার প্রয়ােজনের সঙ্গে সঙ্গে এবং মুদ্রণযন্ত্রের প্রবর্তনের ফলে পৃথিবীর সকল দেশেই বড় বড় গ্রন্থাগার স্থাপিত হয়েছে। পৃথিবীর বৃহৎ গ্রন্থাগার ছিল চারটি – প্যারিস নগরীর বিবলিওথেক ন্যাশন্যাল, লণ্ডনের বৃটিশ মিউজিয়াম লাইব্রেরি, আমেরিকার ওয়াশিংটন নগরের লাইব্রেরি অব কংগ্রেস এবং সােভিয়েত রাশিয়ার লেলিন লাইব্রেরি। এগুলির দ্বারা ছাত্র-ছাত্রীরা খুবই উপকৃত হতেন।
গ্রন্থাগারের শ্রেণি : গ্রন্থাগার দুই প্রকার – ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার ও সাধারণ গ্রন্থাগার। ব্যক্তি বিশেষের গ্রন্থাগারে পুস্তকের সংখ্যা সাধারণত কিছু কম। এ সব গ্রন্থাগার গড়ে উঠে পণ্ডিত, শিক্ষক ও গবেষকদের নিজস্ব প্রয়ােজনে। এর দ্বারা বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিরাই উপকৃত হন। অপরদিকে, সাধারণ গ্রন্থাগারের লক্ষ্য থাকে সকল শ্রেণির পাঠকের চাহিদা পূরণ। সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের চেষ্টায় প্রতিষ্টিত হয় সাধারণ গ্রন্থাগার। এ গ্রন্থাগারে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকলের বই পড়ার সুযােগসুবিধা থাকে। শুধু বর্তমান যুগেই নয় প্রাচীন যুগেও প্রচলন ছিল সাধারণ গ্রন্থাগারের ভারতের বৌদ্ধ বিহারগুলির বিশাল গ্রন্থাগার ধ্যান মগ্ন ঋষির নীরবতায় করে চলত সকল মানুষের হিতসাধনের তপস্যা।
বর্তমানের গ্রন্থাগার : আমাদের দেশে কয়েকটি গ্রন্থাগার আছে – কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগার, এশিয়াটিক সােসাইটির গ্রন্থাগার, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের গ্রন্থাগার। তাছাড়া দেশের প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজে,স্কুলে ও বড় বড় শহরে সাধারণ পাঠের জন্য গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাছাড়া কিছু ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগারও আমাদের দেশে দেখা যায়।
গ্রন্থাগার সভ্যতা ও প্রগতির পরিচায়ক : সমস্ত জগতের শিক্ষিত সমাজ আজ গ্রন্থাগারের বিরাট প্রয়ােজনীয়তা উপলব্ধি করতে পেরেছে। তাই গ্রন্থাগার আন্দোলনের সাহায্যে তারা চেয়েছেন গ্রন্থাগারের উন্নতি সাধন করতে। কারণ প্রত্যেক দেশেরই সর্বশ্রেণির মানুষের কাছে শিক্ষা ও জ্ঞানের আলাে বিতরণ করতে হলে সরকারের শুধু শিক্ষা নীতি করলেই চলবে না তার সঙ্গে সঙ্গে লাইব্রেরির সংখ্যাও বৃদ্ধি করতে হবে। কারণ জাতীয় জীবনে গ্রন্থাগার-এক মহৎ কর্তব্য পালন করে চলছে, গ্রন্থাগারই পারে অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করে জ্ঞানের আলাে জ্বালিয়ে দিতে।
উপসংহার : গ্রন্থাগার দেশের গ্রন্থ-সচেতন মানসিকতার পরিচায়ক। গত জাতির সভ্যতার বার্তা বহন করে অগ্রগতির পথে নিয়ে যায়। গ্রন্থাগার নিরক্ষরতা দূরীকরণে যেমন সহায়ক, তেমনি জ্ঞান বৃদ্ধিরও সহায়ক। সুতরাং দেশে যত বেশি লাইব্রেরি বা গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হবে ততই জ্ঞান পিপাসু মানুষ প্রেরণা ও অমৃতের স্বাদ করবে আস্বাদন। আর হবে জাতির উন্নতি।
See less
Hridoy
আমার মা আমার মা আমার সবচেয়ে প্রিয়। মা আমাকে সব সময় আদর করেন। আমার যে কোনো প্রয়োজনে বিপদে-আপদে আমার সহায় হোন। আমার মা খুবই পরিশ্রমী। তিনি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেন এবং পরিবারের সমস্ত কাজ হাতে নেন। রোজ সকালে আমাদেরকে নাস্তা তৈরি করে দেন। স্কুলে যাওয়ার সময় বইপত্র, জামা কাপড় সবকিছু গুছিয়ে দেন। তিনRead more
আমার মা
আমার মা আমার সবচেয়ে প্রিয়। মা আমাকে সব সময় আদর করেন। আমার যে কোনো প্রয়োজনে বিপদে-আপদে আমার সহায় হোন।
আমার মা খুবই পরিশ্রমী। তিনি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেন এবং পরিবারের সমস্ত কাজ হাতে নেন। রোজ সকালে আমাদেরকে নাস্তা তৈরি করে দেন। স্কুলে যাওয়ার সময় বইপত্র, জামা কাপড় সবকিছু গুছিয়ে দেন। তিনি প্রত্যেকদিন আমাকে স্কুলে পৌঁছে দেন এবং ফেরার সময় আবার নিয়ে যান।
আমার মা খুবই মজার রান্না করেন। প্রত্যেক দিন আমাদের জন্য নানারকম খাদ্য রান্না করেন। আমার মা খুব শান্ত ও নরম মনের মানুষ। তিনি কখনো আমাকে বকাবকি করেন না। লেখাপড়ার সময় আমাকে সাহায্য করেন।
আমার মা আমাকে খেলাধুলা শরীরচর্চার জন্য উৎসাহ দেন। মা আমাকে গান ও ছবি আঁকা শিখান। এবং প্রতি রাত্রে শোয়ার আগে নানান গল্প শোনান। আমার মা আমাদের আত্মীয় স্বজনদের খোঁজ খবর রাখেন। আমি প্রায়ই আমার মায়ের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াই।
আমার মা সব সময় আমাকে ভালো হওয়ার জন্য উপদেশ দেন। আমার ভবিষ্যৎ যাদের উজ্জ্বল হয় তার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন। তাছাড়াও আমার মা সব সময় আমাদের পরিবারের প্রতি খুবই যত্নশীল। আমার বাবা, ভাই, বোন, দাদা সবাইকে দেখাশুনা করেন। তাই আমার মা আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। আমি সর্বদা ঈশ্বরের কাছে আমার মায়ের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করি।
See less