ভূমিকাঃ আমাদের সবার জীবনে খেলাধুলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খেলাধুলা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে। ভারত সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানা ধরণের খেলাধুলার রয়েছে, যেমন ক্রিকেট, ফুটবল, খো খো, টেনিস ইত্যাদি। প্রত্যেকে মানুষের নিজস্ব পছন্দের কোনো না কোনো খেলা রয়েছে।একইভাবে, আমার প্রিয় খেলা ব্যাডমিন্টন।
ব্যাডমিন্টন খেলার ইতিহাসঃ ইতিহাস ঘাটলে জানা যায় যে ১৯ শতকের প্রথমে এই খেলাটি সর্বপ্রথম বৃটেনে আরম্ব হয়। জানা যায় ব্যাডমিন্টন ইংল্যান্ডের ডিউক অফ বিউফোর্টের বাড়ীতে প্রথম খেলা হয়। তবে এই খেলায় তখন কর্ক এর পরিবর্তে বল ব্যবহার করা হত। পরবর্তীকালে এর জন্য বিভিন্ন নিয়ম প্রণালী ঠিক করা হয়। আমাদের দেশ ভারতবর্ষ ১৯৩৬ সালে এই খেলায় প্রথম যোগদান করে।
ব্যাডমিন্টন খেলার মাঠ ও সরঞ্জামঃ ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য একটি আয়তকার মাঠের দরকার হয়। মাঠের মোট দৈর্ঘ ৪৪ ফুট বা ১৩.৪ মিঃ লম্বা থাকে এবং প্রস্থ ২০ ফুট বা ৬.১ মিঃ লম্বা হয়। মাঠটি একটি জাল বা (Net) দ্বারা সমভাগে দুইটি ভাগ করা থাকে।জালটি দুইপাশ দুইটি খুঁটি বা (post) এর সাহায্যে ঝুলানো থাকে।জালটির উচ্চতা মাটি থেকে ১.৫৫ মিঃ উঁচু হয় । সরঞ্জাম এর ক্ষেত্রে একটি র্যাকেট এবং একটি কর্ক এর দরকার হয়, যেগুলির ওজন খুবই হালকা থাকে।
খেলার নিয়মাবলীঃ ব্যাডমিন্টন সাধারণত দুইজন করে প্রতিপক্ষের মধ্যে অনুষ্টিত হয়। অর্থাৎ মাঠের দুইপাশে দুই-দুই জন খেলোয়াড় থাকে। আবার কখনো একজন করেও প্রতিপক্ষের মধ্যেও অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাডমিন্টন খেলায় টেনিস এর মত পয়েন্টের সাহায্যে হার-জিত নির্ণয় করা হয়। এই খেলায় ছয়টি প্রধান শট রয়েছে, সেইগুলি হলো পরিবেশন বা সার্ভ , ক্লিয়ার, ড্রপ করুন, স্ম্যাশ, ব্যাকহ্যান্ড ড্রাইভ এবং ফোরহ্যান্ড ড্রাইভ।
আমার প্রিয় খেলা হওয়ার কারণঃ ব্যাডমিন্টন আমার প্রিয় খেলা কারণ ইহা আমাকে সারা দিন সক্রিয় থাকতে সাহায্য করে । ব্যাডমিন্টন খেলতে গতি, শক্তি এবং সঠিক নিশানার প্রয়োজন। তাই শারীরিক ও মানষিক চর্চার জন্য ব্যাডমিন্টন একটি অত্যন্ত উপযোগী খেলা যা সুস্থ রাখতে সাহায্য করে । তাই আমি যখন আমার বন্ধুদের সাথে ব্যাডমিন্টন খেলি, তখন আমি নিজেকে সারা দিন ধরে সতেজ ও শক্তিশালী বোধ করি।শরীর চর্চায় উপযোগী হওয়া ছাড়াও ব্যাডমিন্টন একটি উপভোগ্য খেলা, খেলাতে খেলোয়াড়দের মধ্যে পয়েন্ট অর্জন করার লড়াই আর উত্তেজনা খেলাটিকে আকর্ষণীয় করে তোলে ।
ভারতবর্ষে ব্যাডমিন্টনঃ বর্তমানে ভারতবর্ষে ব্যাডমিন্টন একটি জনপ্রিয় খেলায় পরিনত হয়েছে। বিশেষকরে শহরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে খেলার জন্য বড় মাঠের অভাব থাকার দরুন সবাই ইহা পছন্দ করে কারন ইহা বড় একটি ঘরের ভিতরেও খেলা যায়। তাছাড়া আন্তরজাতিক স্থরে অনেক খেলোয়াড় পেশাগত ভাবে ভারতের হয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছেন। ২০১৬ সালে প্রথম ভারতের হয়ে পি ভি সিদ্ধু অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে সিলভার পদক অর্জন করেন।
উপসংহারঃ ব্যাডমিন্টন শুধুমাত্র একটি আনন্দদায়ক খেলা নয় বরং ইহা শারীরিক ও মানসিক চর্চার জন্য খুবই উপযোগী একটি খেলা। যাহা আমাদেরকে সতেজ ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই আমি ব্যাডমিন্টন খেলতে ভালোবাসি।
Chaity Bhattacharjee
Amar priyo khela batminton
Hridoy
আমার প্রিয় খেলা ব্যাডমিন্টন
ভূমিকাঃ আমাদের সবার জীবনে খেলাধুলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খেলাধুলা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে। ভারত সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানা ধরণের খেলাধুলার রয়েছে, যেমন ক্রিকেট, ফুটবল, খো খো, টেনিস ইত্যাদি। প্রত্যেকে মানুষের নিজস্ব পছন্দের কোনো না কোনো খেলা রয়েছে।একইভাবে, আমার প্রিয় খেলা ব্যাডমিন্টন।
ব্যাডমিন্টন খেলার ইতিহাসঃ ইতিহাস ঘাটলে জানা যায় যে ১৯ শতকের প্রথমে এই খেলাটি সর্বপ্রথম বৃটেনে আরম্ব হয়। জানা যায় ব্যাডমিন্টন ইংল্যান্ডের ডিউক অফ বিউফোর্টের বাড়ীতে প্রথম খেলা হয়। তবে এই খেলায় তখন কর্ক এর পরিবর্তে বল ব্যবহার করা হত। পরবর্তীকালে এর জন্য বিভিন্ন নিয়ম প্রণালী ঠিক করা হয়। আমাদের দেশ ভারতবর্ষ ১৯৩৬ সালে এই খেলায় প্রথম যোগদান করে।
ব্যাডমিন্টন খেলার মাঠ ও সরঞ্জামঃ ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য একটি আয়তকার মাঠের দরকার হয়। মাঠের মোট দৈর্ঘ ৪৪ ফুট বা ১৩.৪ মিঃ লম্বা থাকে এবং প্রস্থ ২০ ফুট বা ৬.১ মিঃ লম্বা হয়। মাঠটি একটি জাল বা (Net) দ্বারা সমভাগে দুইটি ভাগ করা থাকে।জালটি দুইপাশ দুইটি খুঁটি বা (post) এর সাহায্যে ঝুলানো থাকে।জালটির উচ্চতা মাটি থেকে ১.৫৫ মিঃ উঁচু হয় । সরঞ্জাম এর ক্ষেত্রে একটি র্যাকেট এবং একটি কর্ক এর দরকার হয়, যেগুলির ওজন খুবই হালকা থাকে।
খেলার নিয়মাবলীঃ ব্যাডমিন্টন সাধারণত দুইজন করে প্রতিপক্ষের মধ্যে অনুষ্টিত হয়। অর্থাৎ মাঠের দুইপাশে দুই-দুই জন খেলোয়াড় থাকে। আবার কখনো একজন করেও প্রতিপক্ষের মধ্যেও অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাডমিন্টন খেলায় টেনিস এর মত পয়েন্টের সাহায্যে হার-জিত নির্ণয় করা হয়। এই খেলায় ছয়টি প্রধান শট রয়েছে, সেইগুলি হলো পরিবেশন বা সার্ভ , ক্লিয়ার, ড্রপ করুন, স্ম্যাশ, ব্যাকহ্যান্ড ড্রাইভ এবং ফোরহ্যান্ড ড্রাইভ।
আমার প্রিয় খেলা হওয়ার কারণঃ ব্যাডমিন্টন আমার প্রিয় খেলা কারণ ইহা আমাকে সারা দিন সক্রিয় থাকতে সাহায্য করে । ব্যাডমিন্টন খেলতে গতি, শক্তি এবং সঠিক নিশানার প্রয়োজন। তাই শারীরিক ও মানষিক চর্চার জন্য ব্যাডমিন্টন একটি অত্যন্ত উপযোগী খেলা যা সুস্থ রাখতে সাহায্য করে । তাই আমি যখন আমার বন্ধুদের সাথে ব্যাডমিন্টন খেলি, তখন আমি নিজেকে সারা দিন ধরে সতেজ ও শক্তিশালী বোধ করি।শরীর চর্চায় উপযোগী হওয়া ছাড়াও ব্যাডমিন্টন একটি উপভোগ্য খেলা, খেলাতে খেলোয়াড়দের মধ্যে পয়েন্ট অর্জন করার লড়াই আর উত্তেজনা খেলাটিকে আকর্ষণীয় করে তোলে ।
ভারতবর্ষে ব্যাডমিন্টনঃ বর্তমানে ভারতবর্ষে ব্যাডমিন্টন একটি জনপ্রিয় খেলায় পরিনত হয়েছে। বিশেষকরে শহরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে খেলার জন্য বড় মাঠের অভাব থাকার দরুন সবাই ইহা পছন্দ করে কারন ইহা বড় একটি ঘরের ভিতরেও খেলা যায়। তাছাড়া আন্তরজাতিক স্থরে অনেক খেলোয়াড় পেশাগত ভাবে ভারতের হয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছেন। ২০১৬ সালে প্রথম ভারতের হয়ে পি ভি সিদ্ধু অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে সিলভার পদক অর্জন করেন।
উপসংহারঃ ব্যাডমিন্টন শুধুমাত্র একটি আনন্দদায়ক খেলা নয় বরং ইহা শারীরিক ও মানসিক চর্চার জন্য খুবই উপযোগী একটি খেলা। যাহা আমাদেরকে সতেজ ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই আমি ব্যাডমিন্টন খেলতে ভালোবাসি।