টিউটোরিয়াল জয় গোস্বামী তোমাকে পেতেই হবে শতকরা অন্তত নব্বই (বা নব্বইয়ের বেশি) তোমাকে হতেই হবে একদম প্রথম তার বদলে মাত্র পঁচাশি! পাঁচটা নম্বর কম কেন? কেন কম? এই জন্য আমি রোজ মুখে রক্ত তুলে খেটে আসি? এই জন্যে তোমার মা কাক ভোরে উঠে সব কাজকর্ম সেরে ছোটবেলা থেকে যেতো তোমাকে ইস্কুলে পৌঁছে দিতে? এই জন্য কRead more
টিউটোরিয়াল
জয় গোস্বামী
তোমাকে পেতেই হবে শতকরা অন্তত নব্বই (বা নব্বইয়ের বেশি)
তোমাকে হতেই হবে একদম প্রথম
তার বদলে মাত্র পঁচাশি!
পাঁচটা নম্বর কম কেন? কেন কম?
এই জন্য আমি রোজ মুখে রক্ত তুলে খেটে আসি?
এই জন্যে তোমার মা কাক ভোরে উঠে সব কাজকর্ম সেরে
ছোটবেলা থেকে যেতো তোমাকে ইস্কুলে পৌঁছে দিতে?
এই জন্য কাঠফাটা রোদ্দুরে কি প্যাচপ্যাচে বর্ষায়
সারাদিন বসে থাকতো বাড়ির রোয়াকে কিংবা পার্কের বেঞ্চিতে?
তারপর ছুটি হতে, ভিড় বাঁচাতে মিনিবাস ছেড়ে
অটো-অলাদের ঐ খারাপ মেজাজ সহ্য করে
বাড়ি এসে, না হাঁপিয়ে, আবার তোমার পড়া নিয়ে
বসে পড়তো, যতক্ষণ না আমি বাড়ি ফিরে
তোমার হোমটাস্ক দেখছি, তারপরে আঁচলে মুখ মুছে
ঢুলতো গিয়ে ভ্যাপসা রান্নাঘরে?
এই জন্যে? এই জন্যে হাড়ভাঙা ওভারটাইম করে
তোমার জন্য আন্টি রাখতাম?
মোটা মাইনে, ভদ্রতার চা-জলখাবার
হপ্তায় তিনদিন, তাতে কত খরচা হয় রে রাস্কেল?
বুদ্ধি আছে সে হিসেব করবার?
শুধু ছোটকালে নয়, এখনো যে টিউটোরিয়ালে
পাঠিয়েছি, জানিস না, কিরকম খরচাপাতি তার?
ওখানে একবার ঢুকলে সবাই প্রথম হয়। প্রথম, প্রথম!
কারো অধিকার নেই দ্বিতীয় হওয়ার।
রোজ যে যাস, দেখিস না কত সব বড় বড়
বাড়ি ও পাড়ায়
কত সব গাড়ি আসে, কত বড় গাড়ি করে
বাবা মা-রা ছেলেমেয়েদের নিতে যায়?
আর ঐ গাড়ির পাশে, পাশে না পিছনে-
ঐ অন্ধকারটায়
রোজ দাঁড়াতে দেখিস না নিজের বাবাকে?
হাতে অফিসের ব্যাগ, গোপন টিফিন বাক্স, ঘেমো জামা, ভাঙা মুখ –
দেখতে পাসনা? মন কোথায় থাকে?
ঐ মেয়েগুলোর দিকে? যারা তোর সঙ্গে পড়তে আসে?
ওরা তোকে পাত্তা দেবে? ভুলেও ভাবিস না!
ওরা কত বড়লোক!
তোকে পাত্তা পেতে হলে থাকতে হবে বিদেশে, ফরেনে
এন আর আই হতে হবে! এন আর আই, এন আর আই!
তবেই ম্যাজিক দেখবি
কবিসাহিত্যিক থেকে মন্ত্রী অব্দি একডাকে চেনে
আমাদেরও নিয়ে যাবি, তোর মাকে, আমাকে
মাঝে মাঝে রাখবি নিজের কাছে এনে
তার জন্য প্রথম হওয়া দরকার প্রথমে
তাহলেই ছবি ছাপবে খবর কাগজ
আরো দরজা খুলে যাবে, আরো পাঁচ আরো পাঁচ
আরো আরো পাঁচ
পাঁচ পাঁচ করেই বাড়বে, অন্য দিকে মন দিস না,
বাঁচবি তো বাঁচার মত বাঁচ!
না বাপী না, না না বাপী, আমি মন দিই না কোনোদিকে
না বাপী না, না না আমি তাকাই না মেয়েদের দিকে
ওরা তো পাশেই বসে, কেমন সুগন্ধ আসে, কথা বলে, না না বাপী পড়ার কথাই
দেখি না, উত্তর দিই, নোট দিই নোট নিই
যেতে আসতে পথে ঘাটে
কত ছেলে মেয়ে গল্প করে
না বাপী না, আমি মেয়েদের সঙ্গে মিশতে যাই না কখোনো
যেতে আসতে দেখতে পাই কাদা মেখে কত ছেলে বল খেলছে মাঠে
কত সব দুষ্টু ছেলে পার্কে প্রজাপতি ধরছে
চাকা বা ডাঙ্গুলি খেলছে কত ছোটোলোক
না, আমি খেলতে যাই না কখোনো
খেলতে যাইনি। না আমার বন্ধু নেই
না বাপী না, একজন আছে, অপু, একক্লাসে পড়ে
ও বলে যে ওর বাবাও বলেছে প্রথম হতে
বলেছে, কাগজে ছবি, ওর বাবা, ওকে…
হ্যাঁ বাপী হ্যা, না না বাপী, অপু বলেছে পড়াশোনা হয়নি একদম
বলেছে ও ব্যাক পাবে, ব্যাক পেলে ও বলেছে, বাড়িতে কোথায়
বাথরুম সাফ করার অ্যাসিড আছে ও জানে,
হ্যাঁ বাপী হ্যা, ও বলেছে,
উঠে যাবে কাগজের প্রথম পাতায়।
Poem- Tutorial
Joy Goswami
Tomake pete’i hobe satkora antoto nabba’i (ba nabba’iyer besi)
Tomake hote’i hobe ekadam prothom
Tar badale matro pochish!
Pachṭa number kam keno? Keno kam?
E’i jan’ya ami roj mukhe rakto tule kheṭe asi?
E’i jan’ye tomar ma kak bhore uṭhe sab kajkarma sere
Choṭobela theke jeto tomake iskule pauche dite?
E’i jan’ya kaṭhphaṭa roddure ki pyacpyache barṣhay
Saradin bose thakato baṛir royake kimba parker benchite?
Tarapar chuṭi hote, bhiṛ bachate minibus cheṛe
Auṭo-alader ai kharap mejaj sajya kore
Baṛi ese, na hapiye, abar tomar poṛa niye
Bose paṛto, Jatakhaṇ na ami baṛi phire
Tomar homeṭask dekhchi, tarapare achole mukh muche
dhulto giye bhypasa rannaghore?
E’i jan’ye? E’i jan’ye haṛabhaṅga overtime kore
tomar jan’ya aunṭi rakhtam?
Moṭa ma’ine, bhadratar cha-jalkhabar
Haptay tindin, tate koto kharcha hoya re raskel?
Bud’dhi ache se hiseb korbar?
Sudhu choṭokale noy, ekhono je ṭutorial’e
Paṭhiyechi, janish na, kirokom kharchapati tar?
Okhane ekabar ḍhukle saba’i prothom hoy. Prothom, prothom!
Karo adhikar ne’i ditiya howar.
Roj je jas, dekhis na koto sab boro boro
baṛi o paṛay
koto sab gaṛi ase, koto boro gaṛi kore
Baba ma-ra chelemeyeder nite jay?
Ar ai gaṛir pase, pase na pichone-
Oi ondhokarṭay
Roj daṛate dekhish na nijer babake?
Hate officer bag, gopon ṭifin bakso, ghemo jama, bhanga mukh –
Dekhte pasna? Mon kothay thake?
Ai meyegulor dike? jara tor saṅge paṛte ase?
Ora toke patta debe? Bhule’o bhabis na!
Ora koto baṛolok!
Toke patta pete hole thakte hobe bidese, foreign e
N R I hote hobe! N R I, N R I!
Tobe’i magic dekhbi
kobisahityik theke mantrī obdi ekḍake cene
Amader’o niye jabi, tor make, amake
Majhe majhe rakhbi nijer kache ene
Tar jan’ya prothom howa darkar prothom
Tahole’i chobi chapbe khabar kagoje
Aro darja khule jabe, aro pach aro pach
aro aro pach
pach pach kore’i baṛbe, an’ya dike mon dis na,
Bachbi to bachar moto bach!
Na bapī na, na na bapī, ami mon di’i na konodike
na bapī na, na na ami taka’i na meyeder dike
Ora to pase’i bose, kemon sugandha ase, kotha bole, na na bapi porar kotha’i
Dekhi na, uttar di’i, noṭe di’i noṭe ni’i
Jete aste pothe ghaṭe
koto chele meye golpo kore
Na bapī na, ami meyeder sange miste ja’i na kakhono
Jete aste dekhte pa’i kada mekhe koto chele ball khelche maṭhe
koto sob duṣṭu chele parke prajapoti dhorche
Chaka ba ḍaṅguli khelche koto choṭoloke
Na, ami khelte ja’i na kakhono
khelte ja’ini. Na amar bandhu ne’i
Na bapī na, ekajan ache, apu, ek-class e poṛe
O bole je or baba’o boleche prothom hote
Boleche, kagaje chobi, or baba, oke…
Ha bapī ha, na na bapī, apu boleche poṛasona hoyni ekdom
Boleche o byak pabe, byaka pele o boleche, baṛite kothay
Bathroom saaf korar acid ache o jane,
Ha bapī ha, o boleche,
Uṭhe jabe kagojer protham patay
কলকাতা, প্রিয় কলকাতা তসলিমা নাসরিন কলকাতা, কেমন আছ তুমি? কেমন আছে তােমার চৌরঙ্গি, গড়ের মাঠ, ইডেন গার্ডেন, কেমন আছে হাওড়া ব্রিজ ? শ্যামবাজার ? গড়িয়াহাটের মােড়? ধর্মতলা ? কথা ছিল চিৎপুরের রাস্তায় খালি পায়ে হাঁটব, জীবন দেখতে দেখতে যাব খড়কুটোর, মানুষের, কথা ছিল ফুটপাতের তেলেভাজা, কলবেরুনাে ছােলRead more
কলকাতা, প্রিয় কলকাতা
তসলিমা নাসরিন
কলকাতা, কেমন আছ তুমি? কেমন আছে তােমার চৌরঙ্গি, গড়ের মাঠ,
ইডেন গার্ডেন, কেমন আছে হাওড়া ব্রিজ ? শ্যামবাজার ?
গড়িয়াহাটের মােড়? ধর্মতলা ?
কথা ছিল চিৎপুরের রাস্তায় খালি পায়ে হাঁটব, জীবন দেখতে দেখতে যাব খড়কুটোর,
মানুষের, কথা ছিল ফুটপাতের তেলেভাজা, কলবেরুনাে ছােলাসেদ্ধ, আলুকাবলি,
লংকার আচার খেয়ে হাইড্র্যান্টের ভিড়ে দাড়িয়ে আঁজলা ভরে পান করব জল,
হাওড়া স্টেশনে যােলাে রকম মানুষের গাধাক্কা খেতে খেতে হাঁটব,
হুইসেল শুনে দৌড়ে ধরব ট্রেনের।
হ্যান্ডেল। ট্রেন যাবে বােলপুর দুর্গাপুর জয়পুর… কী কী সব পুরের দিকে।
কথা ছিল দেশপ্রিয় পার্কের ঘাসে শুয়ে কচ্ছপের মতাে হেঁটে-আসা ট্রাম দেখব,
ট্রাম দেখব আর জীবনানন্দের জন্য আমার মায়া হবে খুব।
কখনও খিদে-পেটে বসন্ত কেবিনের কাটলেট,
কখনও গিরিশমঞ্চে নাটক, নন্দনে সত্যজিতের ছবি,
সারা দুপুর পড়ে থাকব বইয়ের ওপর উবু হয়ে বইপাড়ায়,
কফি হাউজে ঠান্ডা কফি সামনে নিয়ে ঈশ্বরের চেয়ে বেশি ভাবব ঈশ্বরচন্দ্রের কথা।
কথা ছিল। কথা কার সঙ্গে ছিল আমার?
রবীন্দ্রসদন? লেকের জল ? মেমােরিয়াল ? মনুমেন্ট? কার সঙ্গে?
নাকি ওই কালাে পাথরের মাতঙ্গিনী হাজরার সঙ্গে কাকপক্ষী দেখেনি কথা হয়েছিল?
চুপিচুপি কাকে যে আমি কথা দিয়েছি যাব চুমু খাব দৌড়ব।
ব্রহ্মপুত্রের মতাে দেখতে গঙ্গার দিকে
গঙ্গার হাওয়ার দিকে তীরের বালুর দিকে।
ভে-বাজা লঞ্চের দিকে…
কলকাতায় কারা তােমরা ব্রহ্মপুত্রের লোেক গাে,
কারা তােমরা পদ্ম যমুনা সুরমা তিতাস আর শীতলক্ষার।
ছলছল জল দেখেছিলে? তুমি, নয় তােমার বাবা, নয় তােমার ঠাকুর্দা
তােমরা আমার গা থেকে কংসের গন্ধ নেবে নাও,
আমার নাকের ঘামে কর্ণফুলি, চোখে আস্ত একটি মেঘনা…
কথা কার সঙ্গে হয়েছিল আমার? মেট্রো রেল ? শুকনাে বকুল ?
নাকি নিজের সঙ্গে নিজেরই ?
আমার আঙুল কাপে তিরতির তৃষ্ণায়, কতদিন ছুই না কলকাতার চিবুক-~
তার রােদে ভিজে বাড়ি ফিরি না,
কতদিন কেউ ঘুম পাড়ায় না সুতানটি গ্রামে পর্তুগিজ দস্যু আর
ইংরেজ বেনিয়ার ছড়ি-ঘােরানাে আঙুল আর
লালচক্ষুর গল্প শােনাতে শােনাতে,
কতদিন কুয়াশা কেটে দৌড়নাে হয় না এসপ্লানেডের ফুটপাথ ধরে সােজা…
আমার গা হাত পা শক্ত শেকলে বাঁধা, আমি তােমাকে একবার ছোবার জন্য
কাদছি কলকাতা, কঁদছি বলে লােকে আমাকে দুয়াে দিচ্ছে,
ধুয়ে দিচ্ছে…
তােমাকে ভালবাসি বলে লােকে আমাকে ঢিল ছুড়ছে, কাদা ছুড়ছে, চোখের ভেতর
ঢেলে দিচ্ছে গােলমরিচের গুঁড়াে, মুখে পুরে দিচ্ছে
একতাল গােবর, ভরদুপুরে ন্যাংটো করছে খােলা রাস্তায়…
কবে আমাদের দেখা হবে কলকাতা? সামনের শীতে, বসন্তে ?
নাকি বসন্ত যাবে, ঝরাপাতার ওপর মরমর হাঁটবে ভুইফোড় ইদুর,
বর্ষায় চুপসে যাবে রাসবিহারী এভিন্যু, তার যে গা মুছিয়ে দেব, যাওয়া হবে না;
বালিগঞ্জের আকাশে তুলাে তুলাে মেঘ জমবে।
আর আমি বসে থাকব একা দরজা জানালা সাঁটা অন্ধকার ঘরে শ্বাস
ফেলার শব্দ যেন কেউ না শােনে এমন নিঃশব্দে, আমার আর লেজআলা
ঘুড়ির পেছনে সারা বিকেল ছােটা হবে না,
স্বপ্নগুলাে লাটাইয়ে পেঁচাতে পেঁচাতে শখের বয়স ফুরােবে…
মল্লিকাদের সঙ্গে কথা ছিল দলবেঁধে গােল্লাছুট খেলব আবার,
মাঠ পড়ে আছে খরখরে, খােয়া ফেলা, খেলা হবে না;
প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিটে একজন খুব হৃদয়বান মানুষের সামনে চেয়ার পেতে বসে
দুটো কষ্টের কথা বলার ছিল, বলা হবে না।
প্রেম তসলিমা নাসরিন যদি আমাকে কাজল পড়তে হয় তোমার জন্য , চুলে মুখে রং মাখতে হয়, গায়ে সুগন্ধী ছিটোতে হয়, সবচেয়ে ভালো শাড়িটা যদি পড়তে হয়, শুধু তুমি দেখবে বলে মালাটা চুড়িটা পড়ে সাজতে হয়, যদি তলপেটের মেদ, যদি গলার বা চোখের কিনারের ভাঁজ কায়দা করে লুকোতে হয়, তবে তোমার সঙ্গে অন্য কিছু, প্রেম নয় আমার। প্রেমRead more
প্রেম
তসলিমা নাসরিন
যদি আমাকে কাজল পড়তে হয় তোমার জন্য ,
চুলে মুখে রং মাখতে হয়,
গায়ে সুগন্ধী ছিটোতে হয়,
সবচেয়ে ভালো শাড়িটা যদি পড়তে হয়,
শুধু তুমি দেখবে বলে মালাটা চুড়িটা পড়ে সাজতে হয়,
যদি তলপেটের মেদ,
যদি গলার বা চোখের কিনারের ভাঁজ
কায়দা করে লুকোতে হয়,
তবে তোমার সঙ্গে অন্য কিছু, প্রেম নয় আমার।
প্রেম হলে আমার যা কিছু এলোমেলো,
যা কিছু খুঁত,যা কিছুই ভুলভাল অসুন্দর থাক,
সামনে দাঁড়াবো, তুমি ভালবাসবে।
কে বলেছে প্রেম খুব সহজ, চাইলেই হয়!
এত যে পুরুষ চারিদিকে, কই, প্রেমিক
তো দেখি না!
Poem- Prem
Taslima Nasrin
Jodi amake kajol porte hoy tomar jonno,
Chule mukhe rong makhte hoy,
Gaye sugandhi chitote hoy,
Sobcheye valo sarita jodi porte hoy,
Sudhu tumi dekhbe bole malata churita pore sajte hoy,
Jodi talpeter med,
Jodi golar ba chokher kinarer vaj kayda kore lukate hoy,
Tobe tomar songe onnokichu, prem amar noy.
Prem hole amar ja kichu elomelo
Ja kichu khut, ja ja kichu vulbal, osundoroi thak,
Samne darabo, tumi valobashbe
Ke boleche prem khub sahaj, chailei hoy
Eto je purush charidike, koi,
Premik to dekhina
ভারতের বিভিন্ন নদী বাঁধ সমূহ বা নদী পরিকল্পনা সমূহ। ফারাক্কা প্রকল্প -গঙ্গানদী (পশ্চিমবঙ্গ) ফারাক্কা বাঁধ। কংসাবতী প্রকল্প - কংসাবতী নদী ও কুমারী নদী (পশ্চিমবঙ্গ)। দামোদর উপত্যকা প্রকল্প - বিহারের দামোদর নদীর প্রকল্প - তিলাইয়া , কোনায় , মাইথন। ভাকরা নাঙ্গাল প্রকল্প - শতদ্রু নদী (পাঞ্জাব) তেনুঘাট বাRead more
ভারতের বিভিন্ন নদী বাঁধ সমূহ বা নদী পরিকল্পনা সমূহ।
একটি পাখির আত্মকথা আমি একটি ছোট্ট পাখি।ক্ষুদ্র একটি ডিম থকে আমার এই পৃথিবীতে আসা । আমার বাবা-মা আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। তারা আমাকে সব কিছু শিখিয়েছে, কিভাবে উড়তে হয়, কিভাবে থাকতে হয় কোন ছিমছাম বাসায়। তাদের হাত ধরেই আমি দেখলাম উজ্জ্বল এই পৃথিবীর আলো এবং তাঁর মায়াবী পরিবেশ। আমার বাবা-মা আমাকে আত্মবিশ্Read more
একটি পাখির আত্মকথা
আমি একটি ছোট্ট পাখি।ক্ষুদ্র একটি ডিম থকে আমার এই পৃথিবীতে আসা । আমার বাবা-মা আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। তারা আমাকে সব কিছু শিখিয়েছে, কিভাবে উড়তে হয়, কিভাবে থাকতে হয় কোন ছিমছাম বাসায়। তাদের হাত ধরেই আমি দেখলাম উজ্জ্বল এই পৃথিবীর আলো এবং তাঁর মায়াবী পরিবেশ।
আমার বাবা-মা আমাকে আত্মবিশ্বাসী হতে শিখিয়েছে । তারা আমাকে প্রতিদিন যত্ন করে খাওয়াত এবং আমাকে স্বাচ্ছন্দ্য রাখত সুন্দর একটি বাসায়।রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকারে আমাকে জড়িয়ে রাখত তাদের পালকের নিচে। তারা আমাকে শিখিয়েছিল দৈনন্দিন জীবনে বেঁছে থাকার সব কলা কৌশল।
আমার জীবনের সবচেয়ে খুশির দিন, যেদিন আমি উড়তে শিখলাম। কারন একটি পাখির জীবন মানেই তো উড়তে থাকা। ধীরে ধীরে আমি সম্পূর্ণরূপে উড়তে শিখলাম। প্রতিদিন নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করলাম, জানলাম নিজেকে এবং এই সুন্দর পৃথিবী কে।
আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিনটি ছিল যেইদিন যখন আমি নিজের বাড়ি ত্যাগ করলাম। যাত্রা করলাম নতুন ঠিকানার উদ্দেশ্যে, নতুন দিনের আশায়।নিজেকে সেই দিন খুবই একা মনে হল। আমাকে পোহাতে হলো অনেক কষ্ট ও যন্ত্রণা। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নিজেকে মানিয়ে নিলাম নতুন পরিবেশে। দেখা হলো অন্যান্য পাখিদের সঙ্গে এবং গড়ে উঠলো নতুন বন্ধুত্ব।
আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর নাম অহনা। আমরা সারা বছর জুড়ে একসঙ্গে উড়ে বেড়াই পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায়। ঋতুভেদে আমাদেরকে আশ্রয় নিতে হয় ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে। উড়তে উড়তে চোখে পড়ে সুন্দর এই পৃথিবীর সবুজ বনাঞ্চল, গাছে ভরা পাহাড় পর্বত আরো কত অপরূপ দৃশ্য। এইজন্য নিজেকে কখনো কখনো খুব সৌভাগ্যবান মনে হয় কারণ অন্য কোন প্রাণী হয়ে এই পৃথিবীতে আসলে হয়তো এই সৌন্দর্য উপভোগ করার কোন সুযোগ থাকত না। বিনা বাধায়, বিনা দ্বিধায় উড়তে পারার ক্ষমতাকে আমি খুবই উপভোগ করি। পৃথিবীতে পাখি হয়ে জন্ম গ্রহন করে আমি খুবই ধন্য।
করোনা মহামারির পেক্ষাপটে কবি সায়ন দাসের লেখা যথেষ্ট সুন্দর একটি কবিতা। যদিও কবি এই কবিতার কোন নামকরন করেননি কিন্তু অনেক জায়গায় শঙ্কচিল নামে প্রকাশিত হয়েছে। * উল্লেখ্য যে এই কবিতাটি যখন জনগনের কাছে উম্মুক্ত হয় তখন কবির নাম নিয়ে রীতিমত মতভেদ দেখা দেয়।কেউ কেউ জীবনানন্দ দাশ আবার কেউ কেউ পার্থ মুখার্জি এRead more
করোনা মহামারির পেক্ষাপটে কবি সায়ন দাসের লেখা যথেষ্ট সুন্দর একটি কবিতা। যদিও কবি এই কবিতার কোন নামকরন করেননি কিন্তু অনেক জায়গায় শঙ্কচিল নামে প্রকাশিত হয়েছে।
* উল্লেখ্য যে এই কবিতাটি যখন জনগনের কাছে উম্মুক্ত হয় তখন কবির নাম নিয়ে রীতিমত মতভেদ দেখা দেয়।কেউ কেউ জীবনানন্দ দাশ আবার কেউ কেউ পার্থ মুখার্জি এই কবিতাটি লিখেছেন বলে দাবি করেন। পরে কবি সায়ন দাস নিজে ফেইসবুক লাইভ এ এসে কবিতাটি নিয়ে খুলাসা করেন।
কবি- সায়ন দাস
আমাদের দেখা হোক মহামারী শেষে,
আমাদের দেখা হোক জিতে ফিরে এসে।
আমাদের দেখা হোক জীবাণু ঘুমালে,
আমাদের দেখা হোক সবুজ সকালে।
আমাদের দেখা হোক কান্নার ওপারে,
আমাদের দেখা হোক সুখের শহরে।
আমাদের দেখা হোক হাতের তালুতে,
আমাদের দেখা হোক ভোরের আলোতে।
আমাদের দেখা হোক বিজ্ঞান জিতলে,
আমাদের দেখা হোক মৃত্যু হেরে গেলে।
আমাদের দেখা হোক আগের মত করে।
আমাদের দেখা হোক সুস্থ শহরে.
সুবোধ সরকার লিখিত শাড়ি একটি রূপকধর্মী কবিতা। কবিতায় শাড়িকে মেয়েদের শুধুমাত্র একটি বস্ত্র হিসাবে দেখা হয় নাই বরং শাড়িকে একটি মেয়ের পরিচয় হিসাবে দেখা হয়েছে। শাড়ি সুবোধ সরকার বিয়েতে একান্নটা শাড়ি পেয়েছিল মেয়েটা অষ্টমঙ্গলায় ফিরে এসে আরো ছটা এতো শাড়ি একসঙ্গে সে জীবনে দেখেনি। আলমারির প্রথম থাকে সে রাখলো সRead more
সুবোধ সরকার লিখিত শাড়ি একটি রূপকধর্মী কবিতা। কবিতায় শাড়িকে মেয়েদের শুধুমাত্র একটি বস্ত্র হিসাবে দেখা হয় নাই বরং শাড়িকে একটি মেয়ের পরিচয় হিসাবে দেখা হয়েছে।
শাড়ি
সুবোধ সরকার
বিয়েতে একান্নটা শাড়ি পেয়েছিল মেয়েটা
অষ্টমঙ্গলায় ফিরে এসে আরো ছটা
এতো শাড়ি একসঙ্গে সে জীবনে দেখেনি।
আলমারির প্রথম থাকে সে রাখলো সব নীল শাড়িদের
হালকা নীল একটাকে জড়িয়ে ধরে বলল, তুই আমার আকাশ
দ্বিতীয় থাকে রাখল সব গোলাপীদের
একটা গোলাপীকে জড়িয়ে সে বলল, ‘ তোর নাম অভিমান’
তৃতীয় থাকে তিনটি ময়ূর, যেন তিন দিক থেকে ছুটে আসা সুখ
তেজপাতা রং যে শাড়িটার, তার নাম দিল বিষাদ ।
সারা বছর সে শুধু শাড়ি উপহার পেল
এত শাড়ি সে কি করে এক জীবনে পড়বে ?
কিন্তু বছর যেতে না যেতেই ঘটে গেল সেই ঘটনাটা
সন্ধের মুখে মেয়েটি বেরিয়েছিল স্বামীর সঙ্গে, চাইনিজ খেতে ।
কাপড়ে মুখ বাঁধা তিনটি ছেলে এসে দাঁড়ালো
স্বামীর তলপেটে ঢুকে গেল বারো ইঞ্চি
ওপর থেকে নীচে। নীচে নেমে ডান দিকে ।
যাকে বলে এল ।
পড়ে রইলো খাবার, চিলি ফিস থেকে তখনও ধোঁয়া উড়ছে ।
এর নাম রাজনীতি, বলেছিল পাড়ার লোকেরা ।
বিয়েতে একান্নটা শাড়ি পেয়েছিল মেয়েটা
অষ্টমঙ্গলায় ফিরে এসে আরো ছটা।
একদিন দুপুরে শাশুড়ি ঘুমিয়ে, সমস্ত শাড়ি বের করে
ছতলার বারান্দা থেকে উড়িয়ে দিল নীচের পৃথিবীতে ।
শাশুড়ি পড়িয়ে দিয়েছেন তাকে সাদা থান
উনিশ বছরের একটা মেয়ে সে একা ।
কিন্তু সেই থানও এক ঝটকায় খুলে নিল তিনজন, পাড়ার মোড়ে
একটি সদ্য নগ্ন বিধবা মেয়ে দৌড়াচ্ছে আর চিৎকার করছে, ‘বাঁচাও’
পেছনে তিনজন, সে কি উল্লাস, নির্বাক পাড়ার লোকেরা ।
বিয়েতে একান্নটা শাড়ি পেয়েছিল মেয়েটা
অষ্টমঙ্গলায় ফিরে এসে আরো ছটা
Sari Kobita lyrics in Bengali
Sari
Subodh Sarkar
Biyete ekannota sari peyechilo meyeta
Ostomongolay fire eshe aro chota
Eto sari eksonge se jibone dekheni
Almarir prothom thake se rakhlo sob nil sarider
Halka nil ektake joriye dhore bollo, tui amar akash
Ditiyo thake rakhlo sob golapider
Ekta golapike joriye se bollo,Tor nam obhiman
tritiyo thake tinti mayur, jeno tindik theke chute asha shukh
Tejpata rong je saritar, tar nam dilo beshadh
Sara basar se sudhu sari upohar pelo
Eto sari se ki kore ek jibone porbe?
Kintu basar jete na jete ghote gelo sei ghotonata
shondher mukhe meyeti beriyechilo shamir songe, chainese khete
kapore mukh badha tinti chele eshe daralo
Shamir tolpete duke gelo baro inchi
Upar theke niche. niche theke dandike
Jake bole elo.
Pore roilo khabar, chili fish theke takhono dhuwa utche
Er nam rajniti, bolechilo parar lokera
Biyete ekannota sari peyechilo meyeta
Ostomongolay fire eshe aro chota
Ekdin dupure, sasuri ghumiye, samasto sari ber kore
Chotolar baranda theke uriye dilo nicher prithibite
Sasuri poriye diyechen take sada than
Unish basarer ekta meye, se eka.
Kintu sei khano ek jhatkay khule nilo tinjon, parar mure
ekti shodyo nogno bidhoba meye douracche ar chitkar korche bachao
Pechone tinjon, se ki ullash, nirbak parar lokera
Biyete ekannota sari peyechilo meyeta
Ostomongolay fire eshe aro chota
আনন্দ-ভৈরবী শক্তি চট্টোপাধ্যায় আজ সেই ঘরে এলায়ে পড়েছে ছবি এমন ছিলো না আষাঢ়-শেষের বেলা উদ্যানে ছিলো বরষা-পীরিত ফুল আনন্দ-ভৈরবী আজ সেই গোঠে আসে না রাখাল ছেলে কাঁদে না মোহনবাঁশিতে বটের মূল এখনো বরষা কোদালে মেঘের ফাঁকে বিদ্যুৎ-রেখা মেলে সে কি জানিত না এমনি দুঃসময় লাফ মেরে ধরে মোরগের লাল ঝুঁটি সে কি জRead more
আনন্দ-ভৈরবী
শক্তি চট্টোপাধ্যায়
আজ সেই ঘরে এলায়ে পড়েছে ছবি
এমন ছিলো না আষাঢ়-শেষের বেলা
উদ্যানে ছিলো বরষা-পীরিত ফুল
আনন্দ-ভৈরবী
আজ সেই গোঠে আসে না রাখাল ছেলে
কাঁদে না মোহনবাঁশিতে বটের মূল
এখনো বরষা কোদালে মেঘের ফাঁকে
বিদ্যুৎ-রেখা মেলে
সে কি জানিত না এমনি দুঃসময়
লাফ মেরে ধরে মোরগের লাল ঝুঁটি
সে কি জানিত না হৃদয়ের অপচয়
কৃপণের বামমুঠি
সে কি জানিত না যত বড়ো রাজধানী
তত বিখ্যাত নয় এ-হৃদয়পুর
সে কি জানিত না আমি তারে যত জানি
আনন্দ সমুদ্দুর
আজ সেই ঘরে এলায়ে পড়েছে ছবি
অমন ছিলো না আষাঢ়-শেষের বেলা
উদ্যানে ছিল বরষা-পীড়িত ফুল
আনন্দ-ভৈরবী |
Ananda Bhairavi Shakti Chattopadhyay
Aj sei ghare elaye poreche chobi
Emon chilo na ashar-sesher bela
Udyane chilo borsha-pirit phul
Ananda-Bhairavi
Aj sei gothe ashe na rakhal chele
kade na mohanbashite boter mul
Ekhono borsha kodale megher fake
bidyut-rekha mele
Se ki janito na emni dushomoy
laf mere dhore muroger lal jhuti
Se ki janito na hridoyer opochoy
Kriponer bammuthi
Se ki janito na jata boro rajdhani
Tata bikhyato noy e-hridoypur
Se ki janito na ami tare joto jani
Anando smuddur
Aj sei ghare elaye poreche chobi
omon chilo na ashar-sesher bela
Udyane chilo borsha-pirit phul
Ananda-Bhairavi
একবার তুমি শক্তি চট্টোপাধ্যায় একবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা করো-- দেখবে, নদির ভিতরে, মাছের বুক থেকে পাথর ঝরে পড়ছে পাথর পাথর পাথর আর নদী-সমুদ্রের জল নীল পাথর লাল হচ্ছে, লাল পাথর নীল একবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা করো । বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায় সমস্ত পায়ে-হাঁটা পRead more
একবার তুমি
শক্তি চট্টোপাধ্যায়
একবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা করো–
দেখবে, নদির ভিতরে, মাছের বুক থেকে পাথর ঝরে পড়ছে
পাথর পাথর পাথর আর নদী-সমুদ্রের জল
নীল পাথর লাল হচ্ছে, লাল পাথর নীল
একবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা করো ।
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
সমস্ত পায়ে-হাঁটা পথই যখন পিচ্ছিল, তখন ওই পাথরের পাল একের পর এক বিছিয়ে
যেন কবিতার নগ্ন ব্যবহার , যেন ঢেউ, যেন কুমোরটুলির সালমা-চুমকি- জরি-মাখা প্রতিমা
বহুদূর হেমন্তের পাঁশুটে নক্ষত্রের দরোজা পর্যন্ত দেখে আসতে পারি ।
বুকের ভেতরে কিছু পাথর থাকা ভাল
চিঠি-পত্রের বাক্স বলতে তো কিছু নেই – পাথরের ফাঁক – ফোকরে রেখে এলেই কাজ হাসিল-
অনেক সময়তো ঘর গড়তেও মন চায় ।
মাছের বুকের পাথর ক্রমেই আমাদের বুকে এসে জায়গা করে নিচ্ছে
আমাদের সবই দরকার । আমরা ঘরবাড়ি গড়বো – সভ্যতার একটা স্থায়ী স্তম্ভ তুলে ধরবো
রূপোলী মাছ পাথর ঝরাতে ঝরাতে চলে গেলে
একবার তুমি ভলবাসতে চেষ্টা করো ।
Buker vetore kichu pathor thaka valo-dhoni dile proddhoni pawa jay
samasto paye-hata poth-i jakhan picchil, takhon oi pathorer pal eker par ek bichiye
Jeno kobitar nagno bebohar, jeno dheu, jeno kumortulir salma-chumki-jari-makha protima
bahudure hemonter pashutenkhotrer doroja porjonto dekhe ashte pari
Buker vetore kichu pathor thaka valo
Cithi-potrer baksho bolte to kichu nei-pathorer fak fukre rekhe elei kaj hasil
onek shomoy to ghar garteo mon chay
Macher buker pathor kromei amader buke eshe jayga kore nicche
Amader shob e dorkar. amra gharbari garbo-shovyotar ekta sthayi sthambo tule dharbo
Love crush meaning in Bengali: - love এবং crush দুইটি আলাদা শব্দ। - love হচ্ছে ভালবাসা এবং crush হল কাউকে ভাললাগার অনুভুতির নাম। - Crush বলতে সাধারনত কাউয়ের প্রতি গভীর আকর্ষণ বা ভাললাগার অনুভুতিকে বোঝায়। - Crush অর্থ love বা ভালবাসা নয় তবে ইহা ভালবাসায় পরিবর্তিত হয় যখন বিপরীত দিক থেকে সমান ইচ্ছা বাRead more
Love crush meaning in Bengali:
– love এবং crush দুইটি আলাদা শব্দ।
– love হচ্ছে ভালবাসা এবং crush হল কাউকে ভাললাগার অনুভুতির নাম।
– Crush বলতে সাধারনত কাউয়ের প্রতি গভীর আকর্ষণ বা ভাললাগার অনুভুতিকে বোঝায়।
– Crush অর্থ love বা ভালবাসা নয় তবে ইহা ভালবাসায় পরিবর্তিত হয় যখন বিপরীত দিক থেকে সমান ইচ্ছা বা অনুভুতির প্রকাশ পায়।
কবিতা : টিউটোরিয়াল | Tutorial Kobita by Joy Goswami Lyrics
Hridoy
টিউটোরিয়াল জয় গোস্বামী তোমাকে পেতেই হবে শতকরা অন্তত নব্বই (বা নব্বইয়ের বেশি) তোমাকে হতেই হবে একদম প্রথম তার বদলে মাত্র পঁচাশি! পাঁচটা নম্বর কম কেন? কেন কম? এই জন্য আমি রোজ মুখে রক্ত তুলে খেটে আসি? এই জন্যে তোমার মা কাক ভোরে উঠে সব কাজকর্ম সেরে ছোটবেলা থেকে যেতো তোমাকে ইস্কুলে পৌঁছে দিতে? এই জন্য কRead more
টিউটোরিয়াল
জয় গোস্বামী
তোমাকে পেতেই হবে শতকরা অন্তত নব্বই (বা নব্বইয়ের বেশি)
তোমাকে হতেই হবে একদম প্রথম
তার বদলে মাত্র পঁচাশি!
পাঁচটা নম্বর কম কেন? কেন কম?
এই জন্য আমি রোজ মুখে রক্ত তুলে খেটে আসি?
এই জন্যে তোমার মা কাক ভোরে উঠে সব কাজকর্ম সেরে
ছোটবেলা থেকে যেতো তোমাকে ইস্কুলে পৌঁছে দিতে?
এই জন্য কাঠফাটা রোদ্দুরে কি প্যাচপ্যাচে বর্ষায়
সারাদিন বসে থাকতো বাড়ির রোয়াকে কিংবা পার্কের বেঞ্চিতে?
তারপর ছুটি হতে, ভিড় বাঁচাতে মিনিবাস ছেড়ে
অটো-অলাদের ঐ খারাপ মেজাজ সহ্য করে
বাড়ি এসে, না হাঁপিয়ে, আবার তোমার পড়া নিয়ে
বসে পড়তো, যতক্ষণ না আমি বাড়ি ফিরে
তোমার হোমটাস্ক দেখছি, তারপরে আঁচলে মুখ মুছে
ঢুলতো গিয়ে ভ্যাপসা রান্নাঘরে?
এই জন্যে? এই জন্যে হাড়ভাঙা ওভারটাইম করে
তোমার জন্য আন্টি রাখতাম?
মোটা মাইনে, ভদ্রতার চা-জলখাবার
হপ্তায় তিনদিন, তাতে কত খরচা হয় রে রাস্কেল?
বুদ্ধি আছে সে হিসেব করবার?
শুধু ছোটকালে নয়, এখনো যে টিউটোরিয়ালে
পাঠিয়েছি, জানিস না, কিরকম খরচাপাতি তার?
ওখানে একবার ঢুকলে সবাই প্রথম হয়। প্রথম, প্রথম!
কারো অধিকার নেই দ্বিতীয় হওয়ার।
রোজ যে যাস, দেখিস না কত সব বড় বড়
বাড়ি ও পাড়ায়
কত সব গাড়ি আসে, কত বড় গাড়ি করে
বাবা মা-রা ছেলেমেয়েদের নিতে যায়?
আর ঐ গাড়ির পাশে, পাশে না পিছনে-
ঐ অন্ধকারটায়
রোজ দাঁড়াতে দেখিস না নিজের বাবাকে?
হাতে অফিসের ব্যাগ, গোপন টিফিন বাক্স, ঘেমো জামা, ভাঙা মুখ –
দেখতে পাসনা? মন কোথায় থাকে?
ঐ মেয়েগুলোর দিকে? যারা তোর সঙ্গে পড়তে আসে?
ওরা তোকে পাত্তা দেবে? ভুলেও ভাবিস না!
ওরা কত বড়লোক!
তোকে পাত্তা পেতে হলে থাকতে হবে বিদেশে, ফরেনে
এন আর আই হতে হবে! এন আর আই, এন আর আই!
তবেই ম্যাজিক দেখবি
কবিসাহিত্যিক থেকে মন্ত্রী অব্দি একডাকে চেনে
আমাদেরও নিয়ে যাবি, তোর মাকে, আমাকে
মাঝে মাঝে রাখবি নিজের কাছে এনে
তার জন্য প্রথম হওয়া দরকার প্রথমে
তাহলেই ছবি ছাপবে খবর কাগজ
আরো দরজা খুলে যাবে, আরো পাঁচ আরো পাঁচ
আরো আরো পাঁচ
পাঁচ পাঁচ করেই বাড়বে, অন্য দিকে মন দিস না,
বাঁচবি তো বাঁচার মত বাঁচ!
না বাপী না, না না বাপী, আমি মন দিই না কোনোদিকে
না বাপী না, না না আমি তাকাই না মেয়েদের দিকে
ওরা তো পাশেই বসে, কেমন সুগন্ধ আসে, কথা বলে, না না বাপী পড়ার কথাই
দেখি না, উত্তর দিই, নোট দিই নোট নিই
যেতে আসতে পথে ঘাটে
কত ছেলে মেয়ে গল্প করে
না বাপী না, আমি মেয়েদের সঙ্গে মিশতে যাই না কখোনো
যেতে আসতে দেখতে পাই কাদা মেখে কত ছেলে বল খেলছে মাঠে
কত সব দুষ্টু ছেলে পার্কে প্রজাপতি ধরছে
চাকা বা ডাঙ্গুলি খেলছে কত ছোটোলোক
না, আমি খেলতে যাই না কখোনো
খেলতে যাইনি। না আমার বন্ধু নেই
না বাপী না, একজন আছে, অপু, একক্লাসে পড়ে
ও বলে যে ওর বাবাও বলেছে প্রথম হতে
বলেছে, কাগজে ছবি, ওর বাবা, ওকে…
হ্যাঁ বাপী হ্যা, না না বাপী, অপু বলেছে পড়াশোনা হয়নি একদম
বলেছে ও ব্যাক পাবে, ব্যাক পেলে ও বলেছে, বাড়িতে কোথায়
বাথরুম সাফ করার অ্যাসিড আছে ও জানে,
হ্যাঁ বাপী হ্যা, ও বলেছে,
উঠে যাবে কাগজের প্রথম পাতায়।
Poem- Tutorial
Joy Goswami
Tomake pete’i hobe satkora antoto nabba’i (ba nabba’iyer besi)
Tomake hote’i hobe ekadam prothom
Tar badale matro pochish!
Pachṭa number kam keno? Keno kam?
E’i jan’ya ami roj mukhe rakto tule kheṭe asi?
E’i jan’ye tomar ma kak bhore uṭhe sab kajkarma sere
Choṭobela theke jeto tomake iskule pauche dite?
E’i jan’ya kaṭhphaṭa roddure ki pyacpyache barṣhay
Saradin bose thakato baṛir royake kimba parker benchite?
Tarapar chuṭi hote, bhiṛ bachate minibus cheṛe
Auṭo-alader ai kharap mejaj sajya kore
Baṛi ese, na hapiye, abar tomar poṛa niye
Bose paṛto, Jatakhaṇ na ami baṛi phire
Tomar homeṭask dekhchi, tarapare achole mukh muche
dhulto giye bhypasa rannaghore?
E’i jan’ye? E’i jan’ye haṛabhaṅga overtime kore
tomar jan’ya aunṭi rakhtam?
Moṭa ma’ine, bhadratar cha-jalkhabar
Haptay tindin, tate koto kharcha hoya re raskel?
Bud’dhi ache se hiseb korbar?
Sudhu choṭokale noy, ekhono je ṭutorial’e
Paṭhiyechi, janish na, kirokom kharchapati tar?
Okhane ekabar ḍhukle saba’i prothom hoy. Prothom, prothom!
Karo adhikar ne’i ditiya howar.
Roj je jas, dekhis na koto sab boro boro
baṛi o paṛay
koto sab gaṛi ase, koto boro gaṛi kore
Baba ma-ra chelemeyeder nite jay?
Ar ai gaṛir pase, pase na pichone-
Oi ondhokarṭay
Roj daṛate dekhish na nijer babake?
Hate officer bag, gopon ṭifin bakso, ghemo jama, bhanga mukh –
Dekhte pasna? Mon kothay thake?
Ai meyegulor dike? jara tor saṅge paṛte ase?
Ora toke patta debe? Bhule’o bhabis na!
Ora koto baṛolok!
Toke patta pete hole thakte hobe bidese, foreign e
N R I hote hobe! N R I, N R I!
Tobe’i magic dekhbi
kobisahityik theke mantrī obdi ekḍake cene
Amader’o niye jabi, tor make, amake
Majhe majhe rakhbi nijer kache ene
Tar jan’ya prothom howa darkar prothom
Tahole’i chobi chapbe khabar kagoje
Aro darja khule jabe, aro pach aro pach
aro aro pach
pach pach kore’i baṛbe, an’ya dike mon dis na,
Bachbi to bachar moto bach!
Na bapī na, na na bapī, ami mon di’i na konodike
na bapī na, na na ami taka’i na meyeder dike
Ora to pase’i bose, kemon sugandha ase, kotha bole, na na bapi porar kotha’i
Dekhi na, uttar di’i, noṭe di’i noṭe ni’i
Jete aste pothe ghaṭe
koto chele meye golpo kore
Na bapī na, ami meyeder sange miste ja’i na kakhono
Jete aste dekhte pa’i kada mekhe koto chele ball khelche maṭhe
koto sob duṣṭu chele parke prajapoti dhorche
Chaka ba ḍaṅguli khelche koto choṭoloke
Na, ami khelte ja’i na kakhono
khelte ja’ini. Na amar bandhu ne’i
Na bapī na, ekajan ache, apu, ek-class e poṛe
O bole je or baba’o boleche prothom hote
Boleche, kagaje chobi, or baba, oke…
Ha bapī ha, na na bapī, apu boleche poṛasona hoyni ekdom
Boleche o byak pabe, byaka pele o boleche, baṛite kothay
Bathroom saaf korar acid ache o jane,
Ha bapī ha, o boleche,
Uṭhe jabe kagojer protham patay
কবিতা : কলকাতা প্রিয় কলকাতা | Kolkata Priyo Kolkata Kobita Lyrics
Hridoy
কলকাতা, প্রিয় কলকাতা তসলিমা নাসরিন কলকাতা, কেমন আছ তুমি? কেমন আছে তােমার চৌরঙ্গি, গড়ের মাঠ, ইডেন গার্ডেন, কেমন আছে হাওড়া ব্রিজ ? শ্যামবাজার ? গড়িয়াহাটের মােড়? ধর্মতলা ? কথা ছিল চিৎপুরের রাস্তায় খালি পায়ে হাঁটব, জীবন দেখতে দেখতে যাব খড়কুটোর, মানুষের, কথা ছিল ফুটপাতের তেলেভাজা, কলবেরুনাে ছােলRead more
কলকাতা, প্রিয় কলকাতা
তসলিমা নাসরিন
কলকাতা, কেমন আছ তুমি? কেমন আছে তােমার চৌরঙ্গি, গড়ের মাঠ,
ইডেন গার্ডেন, কেমন আছে হাওড়া ব্রিজ ? শ্যামবাজার ?
গড়িয়াহাটের মােড়? ধর্মতলা ?
কথা ছিল চিৎপুরের রাস্তায় খালি পায়ে হাঁটব, জীবন দেখতে দেখতে যাব খড়কুটোর,
মানুষের, কথা ছিল ফুটপাতের তেলেভাজা, কলবেরুনাে ছােলাসেদ্ধ, আলুকাবলি,
লংকার আচার খেয়ে হাইড্র্যান্টের ভিড়ে দাড়িয়ে আঁজলা ভরে পান করব জল,
হাওড়া স্টেশনে যােলাে রকম মানুষের গাধাক্কা খেতে খেতে হাঁটব,
হুইসেল শুনে দৌড়ে ধরব ট্রেনের।
হ্যান্ডেল। ট্রেন যাবে বােলপুর দুর্গাপুর জয়পুর… কী কী সব পুরের দিকে।
কথা ছিল দেশপ্রিয় পার্কের ঘাসে শুয়ে কচ্ছপের মতাে হেঁটে-আসা ট্রাম দেখব,
ট্রাম দেখব আর জীবনানন্দের জন্য আমার মায়া হবে খুব।
কখনও খিদে-পেটে বসন্ত কেবিনের কাটলেট,
কখনও গিরিশমঞ্চে নাটক, নন্দনে সত্যজিতের ছবি,
সারা দুপুর পড়ে থাকব বইয়ের ওপর উবু হয়ে বইপাড়ায়,
কফি হাউজে ঠান্ডা কফি সামনে নিয়ে ঈশ্বরের চেয়ে বেশি ভাবব ঈশ্বরচন্দ্রের কথা।
কথা ছিল। কথা কার সঙ্গে ছিল আমার?
রবীন্দ্রসদন? লেকের জল ? মেমােরিয়াল ? মনুমেন্ট? কার সঙ্গে?
নাকি ওই কালাে পাথরের মাতঙ্গিনী হাজরার সঙ্গে কাকপক্ষী দেখেনি কথা হয়েছিল?
চুপিচুপি কাকে যে আমি কথা দিয়েছি যাব চুমু খাব দৌড়ব।
ব্রহ্মপুত্রের মতাে দেখতে গঙ্গার দিকে
গঙ্গার হাওয়ার দিকে তীরের বালুর দিকে।
ভে-বাজা লঞ্চের দিকে…
কলকাতায় কারা তােমরা ব্রহ্মপুত্রের লোেক গাে,
কারা তােমরা পদ্ম যমুনা সুরমা তিতাস আর শীতলক্ষার।
ছলছল জল দেখেছিলে? তুমি, নয় তােমার বাবা, নয় তােমার ঠাকুর্দা
তােমরা আমার গা থেকে কংসের গন্ধ নেবে নাও,
আমার নাকের ঘামে কর্ণফুলি, চোখে আস্ত একটি মেঘনা…
কথা কার সঙ্গে হয়েছিল আমার? মেট্রো রেল ? শুকনাে বকুল ?
নাকি নিজের সঙ্গে নিজেরই ?
আমার আঙুল কাপে তিরতির তৃষ্ণায়, কতদিন ছুই না কলকাতার চিবুক-~
তার রােদে ভিজে বাড়ি ফিরি না,
কতদিন কেউ ঘুম পাড়ায় না সুতানটি গ্রামে পর্তুগিজ দস্যু আর
ইংরেজ বেনিয়ার ছড়ি-ঘােরানাে আঙুল আর
লালচক্ষুর গল্প শােনাতে শােনাতে,
কতদিন কুয়াশা কেটে দৌড়নাে হয় না এসপ্লানেডের ফুটপাথ ধরে সােজা…
আমার গা হাত পা শক্ত শেকলে বাঁধা, আমি তােমাকে একবার ছোবার জন্য
কাদছি কলকাতা, কঁদছি বলে লােকে আমাকে দুয়াে দিচ্ছে,
ধুয়ে দিচ্ছে…
তােমাকে ভালবাসি বলে লােকে আমাকে ঢিল ছুড়ছে, কাদা ছুড়ছে, চোখের ভেতর
ঢেলে দিচ্ছে গােলমরিচের গুঁড়াে, মুখে পুরে দিচ্ছে
একতাল গােবর, ভরদুপুরে ন্যাংটো করছে খােলা রাস্তায়…
কবে আমাদের দেখা হবে কলকাতা? সামনের শীতে, বসন্তে ?
নাকি বসন্ত যাবে, ঝরাপাতার ওপর মরমর হাঁটবে ভুইফোড় ইদুর,
বর্ষায় চুপসে যাবে রাসবিহারী এভিন্যু, তার যে গা মুছিয়ে দেব, যাওয়া হবে না;
বালিগঞ্জের আকাশে তুলাে তুলাে মেঘ জমবে।
আর আমি বসে থাকব একা দরজা জানালা সাঁটা অন্ধকার ঘরে শ্বাস
ফেলার শব্দ যেন কেউ না শােনে এমন নিঃশব্দে, আমার আর লেজআলা
ঘুড়ির পেছনে সারা বিকেল ছােটা হবে না,
স্বপ্নগুলাে লাটাইয়ে পেঁচাতে পেঁচাতে শখের বয়স ফুরােবে…
মল্লিকাদের সঙ্গে কথা ছিল দলবেঁধে গােল্লাছুট খেলব আবার,
মাঠ পড়ে আছে খরখরে, খােয়া ফেলা, খেলা হবে না;
প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিটে একজন খুব হৃদয়বান মানুষের সামনে চেয়ার পেতে বসে
দুটো কষ্টের কথা বলার ছিল, বলা হবে না।
কবিতা : প্রেম (তসলিমা নাসরিন) Prem by Taslima Nasrin Lyrics
Hridoy
প্রেম তসলিমা নাসরিন যদি আমাকে কাজল পড়তে হয় তোমার জন্য , চুলে মুখে রং মাখতে হয়, গায়ে সুগন্ধী ছিটোতে হয়, সবচেয়ে ভালো শাড়িটা যদি পড়তে হয়, শুধু তুমি দেখবে বলে মালাটা চুড়িটা পড়ে সাজতে হয়, যদি তলপেটের মেদ, যদি গলার বা চোখের কিনারের ভাঁজ কায়দা করে লুকোতে হয়, তবে তোমার সঙ্গে অন্য কিছু, প্রেম নয় আমার। প্রেমRead more
প্রেম
তসলিমা নাসরিন
যদি আমাকে কাজল পড়তে হয় তোমার জন্য ,
চুলে মুখে রং মাখতে হয়,
গায়ে সুগন্ধী ছিটোতে হয়,
সবচেয়ে ভালো শাড়িটা যদি পড়তে হয়,
শুধু তুমি দেখবে বলে মালাটা চুড়িটা পড়ে সাজতে হয়,
যদি তলপেটের মেদ,
যদি গলার বা চোখের কিনারের ভাঁজ
কায়দা করে লুকোতে হয়,
তবে তোমার সঙ্গে অন্য কিছু, প্রেম নয় আমার।
প্রেম হলে আমার যা কিছু এলোমেলো,
যা কিছু খুঁত,যা কিছুই ভুলভাল অসুন্দর থাক,
সামনে দাঁড়াবো, তুমি ভালবাসবে।
কে বলেছে প্রেম খুব সহজ, চাইলেই হয়!
এত যে পুরুষ চারিদিকে, কই, প্রেমিক
তো দেখি না!
Poem- Prem
Taslima Nasrin
Jodi amake kajol porte hoy tomar jonno,
See lessChule mukhe rong makhte hoy,
Gaye sugandhi chitote hoy,
Sobcheye valo sarita jodi porte hoy,
Sudhu tumi dekhbe bole malata churita pore sajte hoy,
Jodi talpeter med,
Jodi golar ba chokher kinarer vaj kayda kore lukate hoy,
Tobe tomar songe onnokichu, prem amar noy.
Prem hole amar ja kichu elomelo
Ja kichu khut, ja ja kichu vulbal, osundoroi thak,
Samne darabo, tumi valobashbe
Ke boleche prem khub sahaj, chailei hoy
Eto je purush charidike, koi,
Premik to dekhina
ভারতের বিভিন্ন নদী বাঁধ সমূহ? All famous dams of India?
Hridoy
ভারতের বিভিন্ন নদী বাঁধ সমূহ বা নদী পরিকল্পনা সমূহ। ফারাক্কা প্রকল্প -গঙ্গানদী (পশ্চিমবঙ্গ) ফারাক্কা বাঁধ। কংসাবতী প্রকল্প - কংসাবতী নদী ও কুমারী নদী (পশ্চিমবঙ্গ)। দামোদর উপত্যকা প্রকল্প - বিহারের দামোদর নদীর প্রকল্প - তিলাইয়া , কোনায় , মাইথন। ভাকরা নাঙ্গাল প্রকল্প - শতদ্রু নদী (পাঞ্জাব) তেনুঘাট বাRead more
ভারতের বিভিন্ন নদী বাঁধ সমূহ বা নদী পরিকল্পনা সমূহ।
রাজস্থান) (গান্ধীসাগর বাঁধ,রানাপ্রতাপ বাঁধ, জওহর বাঁধ,
কোটা বাঁধ)।
রচনা : একটি পাখির আত্মকথা | Autobiography of a Bird in Bengali
Hridoy
একটি পাখির আত্মকথা আমি একটি ছোট্ট পাখি।ক্ষুদ্র একটি ডিম থকে আমার এই পৃথিবীতে আসা । আমার বাবা-মা আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। তারা আমাকে সব কিছু শিখিয়েছে, কিভাবে উড়তে হয়, কিভাবে থাকতে হয় কোন ছিমছাম বাসায়। তাদের হাত ধরেই আমি দেখলাম উজ্জ্বল এই পৃথিবীর আলো এবং তাঁর মায়াবী পরিবেশ। আমার বাবা-মা আমাকে আত্মবিশ্Read more
একটি পাখির আত্মকথা
আমি একটি ছোট্ট পাখি।ক্ষুদ্র একটি ডিম থকে আমার এই পৃথিবীতে আসা । আমার বাবা-মা আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। তারা আমাকে সব কিছু শিখিয়েছে, কিভাবে উড়তে হয়, কিভাবে থাকতে হয় কোন ছিমছাম বাসায়। তাদের হাত ধরেই আমি দেখলাম উজ্জ্বল এই পৃথিবীর আলো এবং তাঁর মায়াবী পরিবেশ।
আমার বাবা-মা আমাকে আত্মবিশ্বাসী হতে শিখিয়েছে । তারা আমাকে প্রতিদিন যত্ন করে খাওয়াত এবং আমাকে স্বাচ্ছন্দ্য রাখত সুন্দর একটি বাসায়।রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকারে আমাকে জড়িয়ে রাখত তাদের পালকের নিচে। তারা আমাকে শিখিয়েছিল দৈনন্দিন জীবনে বেঁছে থাকার সব কলা কৌশল।
আমার জীবনের সবচেয়ে খুশির দিন, যেদিন আমি উড়তে শিখলাম। কারন একটি পাখির জীবন মানেই তো উড়তে থাকা। ধীরে ধীরে আমি সম্পূর্ণরূপে উড়তে শিখলাম। প্রতিদিন নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করলাম, জানলাম নিজেকে এবং এই সুন্দর পৃথিবী কে।
আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিনটি ছিল যেইদিন যখন আমি নিজের বাড়ি ত্যাগ করলাম। যাত্রা করলাম নতুন ঠিকানার উদ্দেশ্যে, নতুন দিনের আশায়।নিজেকে সেই দিন খুবই একা মনে হল। আমাকে পোহাতে হলো অনেক কষ্ট ও যন্ত্রণা। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নিজেকে মানিয়ে নিলাম নতুন পরিবেশে। দেখা হলো অন্যান্য পাখিদের সঙ্গে এবং গড়ে উঠলো নতুন বন্ধুত্ব।
আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর নাম অহনা। আমরা সারা বছর জুড়ে একসঙ্গে উড়ে বেড়াই পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায়। ঋতুভেদে আমাদেরকে আশ্রয় নিতে হয় ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে। উড়তে উড়তে চোখে পড়ে সুন্দর এই পৃথিবীর সবুজ বনাঞ্চল, গাছে ভরা পাহাড় পর্বত আরো কত অপরূপ দৃশ্য। এইজন্য নিজেকে কখনো কখনো খুব সৌভাগ্যবান মনে হয় কারণ অন্য কোন প্রাণী হয়ে এই পৃথিবীতে আসলে হয়তো এই সৌন্দর্য উপভোগ করার কোন সুযোগ থাকত না। বিনা বাধায়, বিনা দ্বিধায় উড়তে পারার ক্ষমতাকে আমি খুবই উপভোগ করি। পৃথিবীতে পাখি হয়ে জন্ম গ্রহন করে আমি খুবই ধন্য।
কবিতাঃ আমাদের দেখা হোক মহামারী শেষে | Amader Dekha Hok Poem Lyrics
Hridoy
করোনা মহামারির পেক্ষাপটে কবি সায়ন দাসের লেখা যথেষ্ট সুন্দর একটি কবিতা। যদিও কবি এই কবিতার কোন নামকরন করেননি কিন্তু অনেক জায়গায় শঙ্কচিল নামে প্রকাশিত হয়েছে। * উল্লেখ্য যে এই কবিতাটি যখন জনগনের কাছে উম্মুক্ত হয় তখন কবির নাম নিয়ে রীতিমত মতভেদ দেখা দেয়।কেউ কেউ জীবনানন্দ দাশ আবার কেউ কেউ পার্থ মুখার্জি এRead more
করোনা মহামারির পেক্ষাপটে কবি সায়ন দাসের লেখা যথেষ্ট সুন্দর একটি কবিতা। যদিও কবি এই কবিতার কোন নামকরন করেননি কিন্তু অনেক জায়গায় শঙ্কচিল নামে প্রকাশিত হয়েছে।
* উল্লেখ্য যে এই কবিতাটি যখন জনগনের কাছে উম্মুক্ত হয় তখন কবির নাম নিয়ে রীতিমত মতভেদ দেখা দেয়।কেউ কেউ জীবনানন্দ দাশ আবার কেউ কেউ পার্থ মুখার্জি এই কবিতাটি লিখেছেন বলে দাবি করেন। পরে কবি সায়ন দাস নিজে ফেইসবুক লাইভ এ এসে কবিতাটি নিয়ে খুলাসা করেন।
কবি- সায়ন দাস
আমাদের দেখা হোক মহামারী শেষে,
আমাদের দেখা হোক জিতে ফিরে এসে।
আমাদের দেখা হোক জীবাণু ঘুমালে,
আমাদের দেখা হোক সবুজ সকালে।
আমাদের দেখা হোক কান্নার ওপারে,
আমাদের দেখা হোক সুখের শহরে।
আমাদের দেখা হোক হাতের তালুতে,
আমাদের দেখা হোক ভোরের আলোতে।
আমাদের দেখা হোক বিজ্ঞান জিতলে,
আমাদের দেখা হোক মৃত্যু হেরে গেলে।
আমাদের দেখা হোক আগের মত করে।
আমাদের দেখা হোক সুস্থ শহরে.
মহামারি নিয়ে আরও কবিতা :
এ যাত্রায় বেঁচে গেলে – সহস্র সুমন
করোনা নামের মহামারি তুমি যাও – নচিকেতা
Amader dekha hok mohamari seshe poem lyrics:
Poet – Sayan Das
Amader dekha hok mohamari seshe
Amader dekha hok jite fire eshe.
Amader dekha hok jibanu ghumale,
Amader dekha hok sabuj shokale
Amader dekha hok kannar opare
Amader dekha hok sukher sohore
Amader dekha hok hater talute
Amader dekha hok bhorer alote.
Amader dekha hok bigyan jitle,
Amader dekha hok mrityu here gele
Amader dekha hok ager moto kore
Amader dekha hok susto sohore.
কবিতাঃ শাড়ি (সুবোধ সরকার) Sari Kobita lyrics in Bengali
Hridoy
সুবোধ সরকার লিখিত শাড়ি একটি রূপকধর্মী কবিতা। কবিতায় শাড়িকে মেয়েদের শুধুমাত্র একটি বস্ত্র হিসাবে দেখা হয় নাই বরং শাড়িকে একটি মেয়ের পরিচয় হিসাবে দেখা হয়েছে। শাড়ি সুবোধ সরকার বিয়েতে একান্নটা শাড়ি পেয়েছিল মেয়েটা অষ্টমঙ্গলায় ফিরে এসে আরো ছটা এতো শাড়ি একসঙ্গে সে জীবনে দেখেনি। আলমারির প্রথম থাকে সে রাখলো সRead more
সুবোধ সরকার লিখিত শাড়ি একটি রূপকধর্মী কবিতা। কবিতায় শাড়িকে মেয়েদের শুধুমাত্র একটি বস্ত্র হিসাবে দেখা হয় নাই বরং শাড়িকে একটি মেয়ের পরিচয় হিসাবে দেখা হয়েছে।
শাড়ি
সুবোধ সরকার
বিয়েতে একান্নটা শাড়ি পেয়েছিল মেয়েটা
অষ্টমঙ্গলায় ফিরে এসে আরো ছটা
এতো শাড়ি একসঙ্গে সে জীবনে দেখেনি।
আলমারির প্রথম থাকে সে রাখলো সব নীল শাড়িদের
হালকা নীল একটাকে জড়িয়ে ধরে বলল, তুই আমার আকাশ
দ্বিতীয় থাকে রাখল সব গোলাপীদের
একটা গোলাপীকে জড়িয়ে সে বলল, ‘ তোর নাম অভিমান’
তৃতীয় থাকে তিনটি ময়ূর, যেন তিন দিক থেকে ছুটে আসা সুখ
তেজপাতা রং যে শাড়িটার, তার নাম দিল বিষাদ ।
সারা বছর সে শুধু শাড়ি উপহার পেল
এত শাড়ি সে কি করে এক জীবনে পড়বে ?
কিন্তু বছর যেতে না যেতেই ঘটে গেল সেই ঘটনাটা
সন্ধের মুখে মেয়েটি বেরিয়েছিল স্বামীর সঙ্গে, চাইনিজ খেতে ।
কাপড়ে মুখ বাঁধা তিনটি ছেলে এসে দাঁড়ালো
স্বামীর তলপেটে ঢুকে গেল বারো ইঞ্চি
ওপর থেকে নীচে। নীচে নেমে ডান দিকে ।
যাকে বলে এল ।
পড়ে রইলো খাবার, চিলি ফিস থেকে তখনও ধোঁয়া উড়ছে ।
এর নাম রাজনীতি, বলেছিল পাড়ার লোকেরা ।
বিয়েতে একান্নটা শাড়ি পেয়েছিল মেয়েটা
অষ্টমঙ্গলায় ফিরে এসে আরো ছটা।
একদিন দুপুরে শাশুড়ি ঘুমিয়ে, সমস্ত শাড়ি বের করে
ছতলার বারান্দা থেকে উড়িয়ে দিল নীচের পৃথিবীতে ।
শাশুড়ি পড়িয়ে দিয়েছেন তাকে সাদা থান
উনিশ বছরের একটা মেয়ে সে একা ।
কিন্তু সেই থানও এক ঝটকায় খুলে নিল তিনজন, পাড়ার মোড়ে
একটি সদ্য নগ্ন বিধবা মেয়ে দৌড়াচ্ছে আর চিৎকার করছে, ‘বাঁচাও’
পেছনে তিনজন, সে কি উল্লাস, নির্বাক পাড়ার লোকেরা ।
বিয়েতে একান্নটা শাড়ি পেয়েছিল মেয়েটা
অষ্টমঙ্গলায় ফিরে এসে আরো ছটা
Sari Kobita lyrics in Bengali
Sari
Subodh Sarkar
Biyete ekannota sari peyechilo meyeta
Ostomongolay fire eshe aro chota
Eto sari eksonge se jibone dekheni
Almarir prothom thake se rakhlo sob nil sarider
Halka nil ektake joriye dhore bollo, tui amar akash
Ditiyo thake rakhlo sob golapider
Ekta golapike joriye se bollo,Tor nam obhiman
tritiyo thake tinti mayur, jeno tindik theke chute asha shukh
Tejpata rong je saritar, tar nam dilo beshadh
Sara basar se sudhu sari upohar pelo
Eto sari se ki kore ek jibone porbe?
Kintu basar jete na jete ghote gelo sei ghotonata
shondher mukhe meyeti beriyechilo shamir songe, chainese khete
kapore mukh badha tinti chele eshe daralo
Shamir tolpete duke gelo baro inchi
Upar theke niche. niche theke dandike
Jake bole elo.
Pore roilo khabar, chili fish theke takhono dhuwa utche
Er nam rajniti, bolechilo parar lokera
Biyete ekannota sari peyechilo meyeta
Ostomongolay fire eshe aro chota
Ekdin dupure, sasuri ghumiye, samasto sari ber kore
Chotolar baranda theke uriye dilo nicher prithibite
Sasuri poriye diyechen take sada than
Unish basarer ekta meye, se eka.
Kintu sei khano ek jhatkay khule nilo tinjon, parar mure
See lessekti shodyo nogno bidhoba meye douracche ar chitkar korche bachao
Pechone tinjon, se ki ullash, nirbak parar lokera
Biyete ekannota sari peyechilo meyeta
Ostomongolay fire eshe aro chota
কবিতা : আনন্দ ভৈরবী | ananda bhairavi shakti chattopadhyay
Hridoy
আনন্দ-ভৈরবী শক্তি চট্টোপাধ্যায় আজ সেই ঘরে এলায়ে পড়েছে ছবি এমন ছিলো না আষাঢ়-শেষের বেলা উদ্যানে ছিলো বরষা-পীরিত ফুল আনন্দ-ভৈরবী আজ সেই গোঠে আসে না রাখাল ছেলে কাঁদে না মোহনবাঁশিতে বটের মূল এখনো বরষা কোদালে মেঘের ফাঁকে বিদ্যুৎ-রেখা মেলে সে কি জানিত না এমনি দুঃসময় লাফ মেরে ধরে মোরগের লাল ঝুঁটি সে কি জRead more
আনন্দ-ভৈরবী
শক্তি চট্টোপাধ্যায়
আজ সেই ঘরে এলায়ে পড়েছে ছবি
এমন ছিলো না আষাঢ়-শেষের বেলা
উদ্যানে ছিলো বরষা-পীরিত ফুল
আনন্দ-ভৈরবী
আজ সেই গোঠে আসে না রাখাল ছেলে
কাঁদে না মোহনবাঁশিতে বটের মূল
এখনো বরষা কোদালে মেঘের ফাঁকে
বিদ্যুৎ-রেখা মেলে
সে কি জানিত না এমনি দুঃসময়
লাফ মেরে ধরে মোরগের লাল ঝুঁটি
সে কি জানিত না হৃদয়ের অপচয়
কৃপণের বামমুঠি
সে কি জানিত না যত বড়ো রাজধানী
তত বিখ্যাত নয় এ-হৃদয়পুর
সে কি জানিত না আমি তারে যত জানি
আনন্দ সমুদ্দুর
আজ সেই ঘরে এলায়ে পড়েছে ছবি
অমন ছিলো না আষাঢ়-শেষের বেলা
উদ্যানে ছিল বরষা-পীড়িত ফুল
আনন্দ-ভৈরবী |
Ananda Bhairavi
Shakti Chattopadhyay
Aj sei ghare elaye poreche chobi
Emon chilo na ashar-sesher bela
Udyane chilo borsha-pirit phul
Ananda-Bhairavi
Aj sei gothe ashe na rakhal chele
kade na mohanbashite boter mul
Ekhono borsha kodale megher fake
bidyut-rekha mele
Se ki janito na emni dushomoy
laf mere dhore muroger lal jhuti
Se ki janito na hridoyer opochoy
Kriponer bammuthi
Se ki janito na jata boro rajdhani
Tata bikhyato noy e-hridoypur
Se ki janito na ami tare joto jani
Anando smuddur
Aj sei ghare elaye poreche chobi
See lessomon chilo na ashar-sesher bela
Udyane chilo borsha-pirit phul
Ananda-Bhairavi
কবিতা : একবার তুমি | Ekbar Tumi Shakti Chattopadhyay Poem
Hridoy
একবার তুমি শক্তি চট্টোপাধ্যায় একবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা করো-- দেখবে, নদির ভিতরে, মাছের বুক থেকে পাথর ঝরে পড়ছে পাথর পাথর পাথর আর নদী-সমুদ্রের জল নীল পাথর লাল হচ্ছে, লাল পাথর নীল একবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা করো । বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায় সমস্ত পায়ে-হাঁটা পRead more
একবার তুমি
শক্তি চট্টোপাধ্যায়
একবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা করো–
দেখবে, নদির ভিতরে, মাছের বুক থেকে পাথর ঝরে পড়ছে
পাথর পাথর পাথর আর নদী-সমুদ্রের জল
নীল পাথর লাল হচ্ছে, লাল পাথর নীল
একবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা করো ।
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
সমস্ত পায়ে-হাঁটা পথই যখন পিচ্ছিল, তখন ওই পাথরের পাল একের পর এক বিছিয়ে
যেন কবিতার নগ্ন ব্যবহার , যেন ঢেউ, যেন কুমোরটুলির সালমা-চুমকি- জরি-মাখা প্রতিমা
বহুদূর হেমন্তের পাঁশুটে নক্ষত্রের দরোজা পর্যন্ত দেখে আসতে পারি ।
বুকের ভেতরে কিছু পাথর থাকা ভাল
চিঠি-পত্রের বাক্স বলতে তো কিছু নেই – পাথরের ফাঁক – ফোকরে রেখে এলেই কাজ হাসিল-
অনেক সময়তো ঘর গড়তেও মন চায় ।
মাছের বুকের পাথর ক্রমেই আমাদের বুকে এসে জায়গা করে নিচ্ছে
আমাদের সবই দরকার । আমরা ঘরবাড়ি গড়বো – সভ্যতার একটা স্থায়ী স্তম্ভ তুলে ধরবো
রূপোলী মাছ পাথর ঝরাতে ঝরাতে চলে গেলে
একবার তুমি ভলবাসতে চেষ্টা করো ।
Poem- Ekbar Tumi
Poet – Shakti Chattopadhyay
Ekbar tumi valobashte chesta koro
Dekhbe, Nodir vitore, macher buk theke pathor jhore poreche
Pathor pathor pathor ar nodi-samudrer jol
Nil pathor lal hocche, lal pathor nil
Ekbar tumi valobashte chesta koro
Buker vetore kichu pathor thaka valo-dhoni dile proddhoni pawa jay
samasto paye-hata poth-i jakhan picchil, takhon oi pathorer pal eker par ek bichiye
Jeno kobitar nagno bebohar, jeno dheu, jeno kumortulir salma-chumki-jari-makha protima
bahudure hemonter pashutenkhotrer doroja porjonto dekhe ashte pari
Buker vetore kichu pathor thaka valo
Cithi-potrer baksho bolte to kichu nei-pathorer fak fukre rekhe elei kaj hasil
onek shomoy to ghar garteo mon chay
Macher buker pathor kromei amader buke eshe jayga kore nicche
Amader shob e dorkar. amra gharbari garbo-shovyotar ekta sthayi sthambo tule dharbo
Rupoli mach pathor jhorate jhorate chole gele
See lessEkbar tumi valobashte chesta koro
বাংলা অর্থ | Love crush meaning in Bengali?
Hridoy
Love crush meaning in Bengali: - love এবং crush দুইটি আলাদা শব্দ। - love হচ্ছে ভালবাসা এবং crush হল কাউকে ভাললাগার অনুভুতির নাম। - Crush বলতে সাধারনত কাউয়ের প্রতি গভীর আকর্ষণ বা ভাললাগার অনুভুতিকে বোঝায়। - Crush অর্থ love বা ভালবাসা নয় তবে ইহা ভালবাসায় পরিবর্তিত হয় যখন বিপরীত দিক থেকে সমান ইচ্ছা বাRead more
Love crush meaning in Bengali:
– love এবং crush দুইটি আলাদা শব্দ।
– love হচ্ছে ভালবাসা এবং crush হল কাউকে ভাললাগার অনুভুতির নাম।
– Crush বলতে সাধারনত কাউয়ের প্রতি গভীর আকর্ষণ বা ভাললাগার অনুভুতিকে বোঝায়।
– Crush অর্থ love বা ভালবাসা নয় তবে ইহা ভালবাসায় পরিবর্তিত হয় যখন বিপরীত দিক থেকে সমান ইচ্ছা বা অনুভুতির প্রকাশ পায়।