1. মহাত্মা গান্ধী - (Mahatma Gandhi biography essay) ভূমিকা : যে সমস্ত মানুষ পৃথিবীতে এসে তাদের মহাজীবনের অতি উজ্জ্বল আলাের দ্বারা মানুষের জীবনে কল্যাণের পথটি উদ্ভাসিত করে দেন মহাত্মা গান্ধী সেরূপ একজন মহাপুরুষ। ভারতবাসীকে তিনি এক নবমন্ত্রে দীক্ষিত করেছিলেন। তাই তাই তিনি জাতির জনক। তার অপরাজেয় আত্মশক্Read more

    মহাত্মা গান্ধী – (Mahatma Gandhi biography essay)

    ভূমিকা : যে সমস্ত মানুষ পৃথিবীতে এসে তাদের মহাজীবনের অতি
    উজ্জ্বল আলাের দ্বারা মানুষের জীবনে কল্যাণের পথটি উদ্ভাসিত করে দেন মহাত্মা গান্ধী
    সেরূপ একজন মহাপুরুষ। ভারতবাসীকে তিনি এক নবমন্ত্রে দীক্ষিত করেছিলেন। তাই
    তাই তিনি জাতির জনক। তার অপরাজেয় আত্মশক্তি সমগ্র দেশের প্রাণ শক্তিকে
    জাগ্রত করেছিল। শুধু ভারতবর্ষ কেন সারা বিশ্বের তিনি একজন মহামানব।

    জন্ম ও শিক্ষা: ইংরেজি ১৮৬৯ সালের ২রা অক্টোবর গুজরাটের অন্তর্গত
    পােরবন্দরের এক সম্ত্রান্ত বণিক বংশে মহাত্মা গান্ধীর জন্ম। তার পুরাে নাম মােহন দাস
    করম চাদ গান্ধী। তাঁর পিতার নাম কাবা গান্ধী আর মাতার নাম পুতলিবাঈ। তার পিতা
    ছিলেন অত্যন্ত ন্যায়-নিষ্ঠ ও তেজস্বী পুরুষ। আর মাতা ছিলেন ধর্মশীলা। গান্ধীজী
    বাল্যকালে অতিশয় ভীরু ও লাজুক প্রকৃতির ছিলেন। গান্ধিজীর বিদ্যা শিক্ষা আরম্ভ
    হয় দেশীয় বিদ্যালয়ে। দশবছর বয়সে রাজকোটের উচ্চ ইংরাজি বিদ্যালয়ে তার উচ্চশিক্ষা
    শুরু এবং সতের বছর বয়সে প্রবেশিকা পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভবন নগরের শ্যামল দাস
    কলেজে ভর্তি হন। কলেজে তাঁর বেশিদিন পড়ার সুযােগ হয়নি। দেশীয় প্রথামতে
    মাত্র তের বছর বয়সে কস্তুরীবাঈয়ের সঙ্গে তার বিবাহ হয়।

    ব্যারিস্টারি পাস প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে
    গান্ধীজী ব্যারিস্টারি পাশ করবার জন্য বিলাত যান এবং ১৮৯০ খৃস্টাব্দে ব্যরিষ্টারি পাশ
    করে স্বদেশে ফিরে আসেন। সেখানে তিনি মদ্য-মাংস স্পর্শ বা কোন আচার-বিরাে
    কার্য করবেন না বলে মায়ের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন
    করেছিলেন। আফ্রিকায় থাকা অবস্থায় সে দেশের বর্ণ বিদ্বেষী সরকারের বিদ্ধ
    সত্যনিষ্ঠ গান্ধীজী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।

    কর্মজীবন : প্রথমে বােম্বাইয়ে, পরে রাজকোট শহরে তিনি আইন ব্যবসা
    আরম্ভ করেন। কিন্তু তার প্রকৃতিগত লাজুক স্বভাবের জন্য তিনি আইন ব্যবসায়ে ।
    প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারেননি।১৮৯৩ খৃস্টাব্দে একটি জটিল মোকদ্দমার ভার নিয়ে গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকার নাটলে গমন করেন। তার চেষ্টায় মোকদ্দমা আপসে মীমাংসা হয়ে গেলেও তিনি রয়ে
    গেলেন সেখানে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের লাঞ্ছনা ও নির্যাতন দেখে তিনি সকল
    প্রবাসী ভারতবাসীকে সম্মিলিত করে গড়ে তুলেন ‘নাটাল ইন্ডিয়ান কংগ্রেস’ নামে
    একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের অধিকার রক্ষার জন্য চালাতে লাগলেন নানাভাবে আন্দোলন।
    এর ফলে সেতাঙ্গদের হাতে তাকে নানা প্রকার নির্যাতন ভােগ করতে হয়েছিল।দীর্ঘ একুশ বছর সেখানে বাস করে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ভারতীয়দের অধিকার। এখানেই
    তার সত্যাগ্রহ আন্দোলনের সূচনা।

    জীবন দর্শনের মূল সূত্র : গান্ধীজীর জীবনদর্শনের মূল ভিত্তিই সত্যের
    প্রতি মূল নিষ্ঠা। যার সমস্ত শক্তির উৎস ছিল সুগভীর মানবতাবোধ, কর্তব্য নিষ্ঠা ও
    ধর্মনিষ্ঠতা। গান্ধীজী বিশ্বাস করতেন হিংসা দিয়ে কখনাে হিংসার উগ্রতাকে স্তব্ধ করা
    যায় না। অহিংসার শক্তি হিংসার শক্তির চেয়ে অনেকগুণ বেশি। গান্ধীজীর জীবন দর্শনের মূল ছিল আধ্যাত্ব চেতনা যা ছিল তাঁর প্রেরণা শক্তি। যে সত্যনিষ্ঠাকে তিনি ছেলেবেলা থেকে অনুসরণ করেছেন সেটাই তাকে পথ দেখিয়েছিল গভীর আধ্যাত্মিক বোধ ও বিশ্বাস।

    ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ও গান্ধীজী : ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে
    গান্ধীজীর ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বাধিক প্রভাব বিস্তারকারী। এই স্বাধীনতা
    যজ্ঞে তিনিই ছিলেন প্রধান ঋত্বিক। ১৯১৬ সালে নীলকরের অত্যাচারের প্রতিবাদে
    চম্পারণ তার সত্যাগ্রহ আন্দোলন, ১৯১১ সালে রাওলাট বিলের প্রতিবাদে হরতাল
    ঘােষণা, ১৯২০ সালে ‘খিলাফত আন্দোলন ও ওই সালে অসহযোগ-নীতি গ্রহণ এবং
    বিলাতী-বর্জন আন্দোলন প্রভৃতি দ্বারা তিনি ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতন
    অধ্যায়ের সূচনা করেন। ১৯২৯ সাল পর্যন্ত তিনি খদ্দর ও চরকা প্রচারে ব্রতী হয়ে
    আন্দোলন চালান। ভারতকে স্বায়ত্ব-শাসন দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ সরকার গােলটেবিল
    বৈঠকের আয়োজন করেন গান্ধীজী বিলাত যান এবং ১৯৩৯ খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে
    শূন্য হাতে ফিরে আসে। ১৯৪২ খৃষ্টাব্দে “ভারত ছাড়ো আন্দোলনের মধ্য দিয়ে
    গান্ধী ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে তার আত্মিক শক্তি দুর্জয় রূপ দেখিয়ে বিশ্ববাসীকে।
    চকিত করে দেন। বস্তুত এভাবে ধারাবাহিক আন্দোলনে ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তি।
    ত্বরান্বিত হয়েছে। তিনি জীবনে বহুবার কারাবরণ করেন।

    সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য ও গান্ধীজী – গান্ধীজীর স্বাধীনতার জন্য
    সংগ্রাম তথা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুধু সরকার বদল বা শাসন ক্ষমতা হস্তান্তরের
    রাজনীতি নয়। তিনি বিশ্বাস করতেন রাজনৈতিক স্বাধীনতা সামাজিক এবং অর্থনৈতিক
    স্বাধীনতার সঙ্গে এক সুত্রে জড়িত। তাই সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অসমতার
    বিরুদ্ধে তিনি অবতীর্ণ হয়েছিলেন প্রথম থেকে। ভারতবর্ষের মাটিতে এক নতুন
    সমাজতন্ত্রের সাধনার প্রবক্তা ছিলেন গান্ধীজী। শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ এবং ব্যাপক কুটির শিল্প স্থাপনের মধ্য দিয়ে ভারতে নব্য আর্থ সামাজিক কাঠামোর হদিশ
    দিয়েছেন তিনিই।

    গান্ধীজী ও মানবপ্রেম : গান্ধীজী ছিলেন প্রেমের পূজারী। তিনি মানব
    সেবক, তরি মানব প্রেম সমাজসেবার মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছিল। তিনি হিন্দু-সমাজের
    অস্পৃশ্যতা-রূপ পাপ দূর করবার জন্য চষ্টা করে গেছেন। অস্পৃশাদের তিনি নাম
    দিয়েছিলেন হরিজন’। হিন্দু ও মুসলমানদের সম্প্রীতিকে তিনি দৃঢ় করার প্রয়াস চালিয়ে
    গিয়েছিলেন। গ্রাম প্রধান ভারতের পুনর্গঠনের জন্যও তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে
    গিয়েছেন। ভারতবর্ষের সাত লক্ষ শ্রীহীন গ্রামের পূর্ব গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য তার
    অবদান স্মরণীয়।

    উপসংহার : গান্ধীজীর জীবন দর্শন ও ভারতাত্মা শাশ্বত বাণী সংহত
    মূর্তি। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ৩০শে জানুয়ারি নাথুরাম গডসের পিস্তলের গুলিতে তার নশ্বর।
    দেহ লীন হয়ে গেছে। কিন্তু তিনি চিরঞ্জীবী। আজও তার আরম্ভ করা কাজ সমাপ্ত
    হয়নি। ভারতের যতটুকু অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে, তা তারই প্রদর্শিত পথে এগিয়ে
    চলার ফল। তবে এখনও অনেক পথ অতিক্রম করতে হবে। দেশ থেকে দারিদ্র্য,
    অশিক্ষা, বিভেদ নীতি আর সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলতে হবে। তাহলে
    দেশ বাঁচবে, জাতি বাঁচবে,মানব সমাজ বিপদ মুক্ত হবে। আর এই সাধনায় গান্ধীজীর
    জীবন দর্শন হবে আমাদের পরম পাথেয়।

    See less
    • 0
  2. This answer was edited.

     রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হে মোর দুর্ভাগা দেশ, যাদের করেছ অপমান, অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান! মানুষের অধিকারে বঞ্চিত করেছ যারে, সম্মুখে দাঁড়ায়ে রেখে তবু কোলে দাও নাই স্থান, অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান। মানুষের পরশেরে প্রতিদিন ঠেকাইয়া দূরে ঘৃণা করিয়াছ তুমি মানুষের প্রাণের ঠাকুরে। বিধাতার রুদ্ররোষেRead more

     রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

    হে মোর দুর্ভাগা দেশ, যাদের করেছ অপমান,

    অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান!

    মানুষের অধিকারে

    বঞ্চিত করেছ যারে,

    সম্মুখে দাঁড়ায়ে রেখে তবু কোলে দাও নাই স্থান,

    অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান।

    মানুষের পরশেরে প্রতিদিন ঠেকাইয়া দূরে

    ঘৃণা করিয়াছ তুমি মানুষের প্রাণের ঠাকুরে।

    বিধাতার রুদ্ররোষে

    দুর্ভিক্ষের দ্বারে বসে

    ভাগ করে খেতে হবে সকলের সাথে অন্নপান।

    অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান।

    তোমার আসন হতে যেথায় তাদের দিলে ঠেলে

    সেথায় শক্তিরে তব নির্বাসন দিলে অবহেলে।

    চরণে দলিত হয়ে

    ধুলায় সে যায় বয়ে

    সে নিম্নে নেমে এসো, নহিলে নাহি রে পরিত্রাণ।

    অপমানে হতে হবে আজি তোরে সবার সমান।

    যারে তুমি নীচে ফেল সে তোমারে বাঁধিবে যে নীচে

    পশ্চাতে রেখেছ যারে সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।

    অজ্ঞানের অন্ধকারে

    আড়ালে ঢাকিছ যারে

    তোমার মঙ্গল ঢাকি গড়িছে সে ঘোর ব্যবধান।

    অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান।

    শতেক শতাব্দী ধরে নামে শিরে অসম্মানভার,

    মানুষের নারায়ণে তবুও কর না নমস্কার।

    তবু নত করি আঁখি

    দেখিবারে পাও না কি

    নেমেছে ধুলার তলে হীন পতিতের ভগবান,

    অপমানে হতে হবে সেথা তোরে সবার সমান।

    দেখিতে পাও না তুমি মৃত্যুদূত দাঁড়ায়েছে দ্বারে,

    অভিশাপ আঁকি দিল তোমার জাতির অহংকারে।

    সবারে না যদি ডাক’,

    এখনো সরিয়া থাক’,

    আপনারে বেঁধে রাখ’ চৌদিকে জড়ায়ে অভিমান–

    মৃত্যুমাঝে হবে তবে চিতাভস্মে সবার সমান।

     

    English Translation:
    Oh my wretched country!

    You will be humiliated in the same way you humiliated others for so long.
    Those whom you deprived of basic humanity
    Whom you zealously excluded, despite being in the same boat
    You will be brought down to your knees one day.
    You left them out in the cold, day in and day out
    You despised the very soul of the people
    You will be paid back in the same coin
    When you will have to eat and drink along with them
    One day at the doorway of deprivation.
    .
    You ostracized and cornered them
    With your own your own strength you labeled them with your disdain
    You trampled them under your feet
    You will have to come down to their status one day for salvation; there is no other way out
    You too will have to experience their humiliation, one day.
    With your wickedness you rebuffed them as lowly
    You repudiated them as backward and brought yourself down to the level of backwardness.
    You thrust them into the darkness of ignorance thus building up a vast chasm
    Which will one day be bridged only through your immense ignominy
    Heaps of degradation have dominated for centuries

    You have not allowed them to move forward even an inch
    You too will be disgraced just like the ones whom you disgraced one day.
    You are still blind to the monarch of mortality at your door who has cursed you for your racial arrogance.
    If you still revile them, keep them distant, and surround yourself with pride and prejudice
    Death will one day bring you down to the same obscurity–to the ashes, all alike.

    See less
    • 0
  3. This answer was edited.

     রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হে মোর দুর্ভাগা দেশ, যাদের করেছ অপমান, অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান! মানুষের অধিকারে বঞ্চিত করেছ যারে, সম্মুখে দাঁড়ায়ে রেখে তবু কোলে দাও নাই স্থান, অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান। মানুষের পরশেরে প্রতিদিন ঠেকাইয়া দূরে ঘৃণা করিয়াছ তুমি মানুষের প্রাণের ঠাকুরে। বিধাতার রুদ্ররোষেRead more

     রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

    হে মোর দুর্ভাগা দেশ, যাদের করেছ অপমান,
    অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান!
    মানুষের অধিকারে
    বঞ্চিত করেছ যারে,
    সম্মুখে দাঁড়ায়ে রেখে তবু কোলে দাও নাই স্থান,
    অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান।
    মানুষের পরশেরে প্রতিদিন ঠেকাইয়া দূরে
    ঘৃণা করিয়াছ তুমি মানুষের প্রাণের ঠাকুরে।
    বিধাতার রুদ্ররোষে
    দুর্ভিক্ষের দ্বারে বসে
    ভাগ করে খেতে হবে সকলের সাথে অন্নপান।
    অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান।

    তোমার আসন হতে যেথায় তাদের দিলে ঠেলে
    সেথায় শক্তিরে তব নির্বাসন দিলে অবহেলে।
    চরণে দলিত হয়ে
    ধুলায় সে যায় বয়ে
    সে নিম্নে নেমে এসো, নহিলে নাহি রে পরিত্রাণ।
    অপমানে হতে হবে আজি তোরে সবার সমান।
    যারে তুমি নীচে ফেল সে তোমারে বাঁধিবে যে নীচে
    পশ্চাতে রেখেছ যারে সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।
    অজ্ঞানের অন্ধকারে
    আড়ালে ঢাকিছ যারে
    তোমার মঙ্গল ঢাকি গড়িছে সে ঘোর ব্যবধান।
    অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান।
    শতেক শতাব্দী ধরে নামে শিরে অসম্মানভার,
    মানুষের নারায়ণে তবুও কর না নমস্কার।
    তবু নত করি আঁখি
    দেখিবারে পাও না কি
    নেমেছে ধুলার তলে হীন পতিতের ভগবান,
    অপমানে হতে হবে সেথা তোরে সবার সমান।
    দেখিতে পাও না তুমি মৃত্যুদূত দাঁড়ায়েছে দ্বারে,
    অভিশাপ আঁকি দিল তোমার জাতির অহংকারে।
    সবারে না যদি ডাক’,
    এখনো সরিয়া থাক’,
    আপনারে বেঁধে রাখ’ চৌদিকে জড়ায়ে অভিমান–
    মৃত্যুমাঝে হবে তবে চিতাভস্মে সবার সমান।

    আরও পড়ুনঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কবিতাসমূহ

     

    English Translation:

    Oh my wretched country!

    You will be humiliated in the same way you humiliated others for so long.
    Those whom you deprived of basic humanity
    Whom you zealously excluded, despite being in the same boat
    You will be brought down to your knees one day.
    You left them out in the cold, day in and day out
    You despised the very soul of the people
    You will be paid back in the same coin
    When you will have to eat and drink along with them
    One day at the doorway of deprivation.
    .
    You ostracized and cornered them
    With your own your own strength you labeled them with your disdain
    You trampled them under your feet
    You will have to come down to their status one day for salvation; there is no other way out
    You too will have to experience their humiliation, one day.
    With your wickedness you rebuffed them as lowly
    You repudiated them as backward and brought yourself down to the level of backwardness.
    You thrust them into the darkness of ignorance thus building up a vast chasm
    Which will one day be bridged only through your immense ignominy
    Heaps of degradation have dominated for centuries

    You have not allowed them to move forward even an inch
    You too will be disgraced just like the ones whom you disgraced one day.
    You are still blind to the monarch of mortality at your door who has cursed you for your racial arrogance.
    If you still revile them, keep them distant, and surround yourself with pride and prejudice
    Death will one day bring you down to the same obscurity–to the ashes, all alike.

    See less
    • 0
  4. যে শাস্ত্রের সাহায্যে ভাষার স্বরূপ ও গঠণপ্রকৃতি নির্ণয় করে সুবিন্যস্ত করা যায় এবং ভাষা শুদ্ধরূপে বলতে, পড়তে এবং লিখতে পারা যায়, তাকে ব্যাকরণ বলে।

    যে শাস্ত্রের সাহায্যে ভাষার স্বরূপ ও গঠণপ্রকৃতি নির্ণয় করে সুবিন্যস্ত করা যায় এবং ভাষা শুদ্ধরূপে বলতে, পড়তে এবং লিখতে পারা যায়, তাকে ব্যাকরণ বলে।

    See less
    • 0
  5. ভূমিকা : মানব জাতির গৌরবের শিখরে উত্তরণে যার ভূমিকা নিঃসংশয়ে । এক বাক্যে স্বীকার করে নিতে হয় তার নাম বিজ্ঞান। বিজ্ঞান’ শব্দটির অর্থ – বিশেষ যে জ্ঞান। মানুষ অন্য প্রাণীর তুলনায় অনেক উন্নত ও বুদ্ধিমান। তাই সীমাবদ্ধ জ্ঞানের বাইরে বিশেষ জ্ঞানের সাহায্যেই সে বিশ্বের সব প্রাণীদের উপর অধিকার স্থাপন। করেRead more

    ভূমিকা : মানব জাতির গৌরবের শিখরে উত্তরণে যার ভূমিকা নিঃসংশয়ে ।
    এক বাক্যে স্বীকার করে নিতে হয় তার নাম বিজ্ঞান। বিজ্ঞান’ শব্দটির অর্থ – বিশেষ
    যে জ্ঞান। মানুষ অন্য প্রাণীর তুলনায় অনেক উন্নত ও বুদ্ধিমান। তাই সীমাবদ্ধ জ্ঞানের
    বাইরে বিশেষ জ্ঞানের সাহায্যেই সে বিশ্বের সব প্রাণীদের উপর অধিকার স্থাপন।
    করেছে। মানুষের কাছে কোন কিছুই আজ আর অসম্ভব নয়। কোন একদিনের সে।
    গুহাচারী মানুষ আজ নির্মাণ করছে গগনস্পর্শী অট্টালিকা। আদিম মানুষ থেকে আধুনিক
    জীবনে উপনীত হওয়ার একমাত্র অবলম্বন হলাে বিজ্ঞান। –
    বিজ্ঞানের জন্ম : সৃষ্টির ঊষালগ্নে মানুষ গভীর অরণ্যে, নদীতীরে করতাে।
    বসবাস। ভয়ঙ্কর প্রকৃতি বার বার মানুষকে হাতছানি দিয়ে ডাকত। গভীর অরণ্যে ঝড়
    ঝঞা-বন্দ্র বিদ্যুৎ আর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে মানুষকে বাঁচতে হতাে নিরন্তর সংগ্রামের
    মধ্যে। মানুষ ছিল তখন প্রকৃতির হাতের ক্রীড়নক। সে দিন মানুষকে রক্ষা করতে
    আসেননি স্বর্গবাসী কোন দেবতা। কিন্তু মানুষ যেদিন নিজ বুদ্ধি বলে পাথর ঘষে অস্ত্র
    নির্মাণ করে পশুদের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করল, তারপর ভয়ঙ্কর প্রকৃতিকে
    বশে এনে আত্মরক্ষার চিন্তা করল সে দিন জন্ম হলে বিজ্ঞানের।সে বিজ্ঞান-বুদ্ধির
    উপর নির্ভর করে মানুষ শিখেছে আগুনের ব্যবহার, শিখেছে কৃষিকর্ম, বয়ন কর্ম আর
    রাস্তা নির্মাণ। ওই বিজ্ঞানের বলেই নিসর্গ প্রকৃতি তথা জলে-স্থলে-আকাশ উড়াল
    বিজয় পতাকা। কবির ভাষায়
    “পাখিরে দিয়েছ গান,
    গায় সেই গান
    তার বেশী করে না সে দান,
    আমারে দিয়েছ সুর।
    আমি তার বেশি করে দান।
    আমি গাই গান।
    এভাবে মানুষ আপন প্রভাব বিস্তার করে বিধাতার শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে নিজেকে
    প্রমাণ করল।
    দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের জয়যাত্রা : আজ শতশত শতাব্দী ধরে চলে
    আসছে বিজ্ঞানের জয়যাত্রা। সভ্যতার বিকাশ ও বিবর্তনে বিজ্ঞানের সীমাহীন অবদানের
    কথা আজ আর কারো অজানা নয়। বিজ্ঞানকে করায়ত্ত করে মানুষ সাগর লঙঘন।
    করল, উদ্দাম নদী স্রোতকে বশীভূত করে বাঁধ দিয়ে তার দুই তীর জুড়ে দিল। খাল
    নির্মাণ করে নদীর জল ধারাকে দিকে দিকে ছড়িয়ে দিয়ে মরু প্রান্তরকে উর্বর শস্য
    শালিনী করে তুলল। সকালে ঘুম থেকে উঠে দিন আরম্ভ করা থেকে রাত্রে শয্যা গ্রহণ,
    জীবনযাত্রার প্রতিটি পদক্ষেপ আজ বিজ্ঞানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। বলা যায়, জন্ম থেকে
    মৃত্যু পর্যন্ত আমরা বিজ্ঞানের মুখাপেক্ষী।
    বৈদ্যুতিক অবদান : বৈদ্যুতিক শক্তির সহায়তায় সুইচ টিপে উঠে যাচ্ছে।
    মানুষ ঘরের বিভিন্ন তলার কক্ষে। তাইতো আজ পাঁচতলা, দশতলা আর বাহান্ন তলা
    বাড়িতে হাটু ভেঙ্গে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠবার আর প্রয়ােজন নেই – রয়েছে লিফট।
    | তাছাড়া বৈদ্যুতিক পাখা, হিটার, ফ্রিজ, ইলেকট্রিক ইস্ত্রি, ওয়াশিং মেশিন, ইলেকট্রিক
    বেল, ঘড়ি, দাড়ি কামানাের সরঞ্জাম। সর্বোপরি মােবাইল ফোন যা সকাল থেকে রাত্র।
    পর্যন্ত এই গানটা পৃথিবীটাকে নিয়ে এসেছে মানুষের হাতের মুঠোয়। তাই আজ আর।
    | চিঠিপত্র লিখে সময় নষ্ট করে – সময় গড়িয়ে আত্মীয় স্বজনের খবর নেওয়ার প্রয়ােজন হয় না। ইলেকট্রিকের মাধ্যমে E. V. M. মেশিনের দ্বারা জনসাধারণ তাদের নেতা।
    নির্বাচন করেছেন অতি সহজে।
    টেলিভিশনের অবদান : আধুনিক যুগে বিজ্ঞানের একটি শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার।
    টেলিভিশন। যার কল্যাণে পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া বড় বড় ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে আমাদের
    চক্ষুগোচর হচ্ছে। এত সহজে এত অল্প সময়ে এত বিস্তৃত ভাবে লক্ষ লক্ষ জ্ঞান শিক্ষা
    ও আনন্দ বিতরণের ব্যবস্থায় দূরদর্শন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। দূরদর্শন ছাত্র-শিক্ষক, চাকুরিজীবি,
    রাজনৈতিক বা বৈজ্ঞানিক, শিক্ষিত-অশিক্ষিত সকলের জন্যই প্রয়ােজনীয়। আমেরিকার
    বক্তৃতা, ইংল্যান্ডের গান আর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট খেলার বর্ণনা আমরা ঘরে বসেই
    টেলিভিশনে দেখতে পাই। এরকম আনন্দ দানের এত বড় মাধ্যম পৃথিবীতে কোন
    কালে ছিল না।
    বিজ্ঞানের আবিষ্কার – কম্পিউটার ও লেপটপ : বিজ্ঞানের বিস্ময়কর।
    আবিষ্কার কম্পিউটার আর ল্যাপটপ এর মাধ্যমে খুব কম সময়ের মধ্যে যােগ-বিয়ােগ,
    গুণ-ভাগের বড় বড় অংকের নির্ভুল ভাবে হিসেবে সম্পন্ন করা যায়। বর্তমানে বেঙ্ক,
    অফিস-আদালত, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তিদের দৈনন্দিন জীবনে হিসাবের কাজে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
    চিকিৎসাক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান : পৃথিবীতে আজ মানুষের গড় আয়ু
    বৃদ্ধি হয়েছে যার দৌলতে সে হচ্ছে চিকিৎসা শাস্ত্রে বিজ্ঞান। পদার্থ বিজ্ঞান এবং
    রসায়নের অগ্রগতি আরও বিস্ময়ের ব্যাপার। পূবে যে সব রোগ একে বারেই দুরারােগ্য
    ছিল আজ আর তা এমনটি নয়। বিজ্ঞান মানুষের হাতে তুলে দিয়েছে অনেক জীবনদায়ী
    ঔষধ যা বাড়াচ্ছে মানুষের গড় আয়ু। আজকের পৃথিবীতে কলেরা, মহামারী, টাইফয়েড,
    বসন্ত, কর্কট, যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, ব্লাড ফ্লু প্রভৃতি মারাত্মক রোগ আর দুরারোগ্য।
    নয়। চিকিৎসকরা রঞ্জন রশ্মির সাহায্যে শরীরের ভিতরকার ছবি তুলে তা পরীক্ষা করে।
    নি সন্দিগ্ধ চিত্তে চিকিৎসা করতে পারছেন। রেডিয়ামের দ্বারা দুরারোগ্য ট রোগের
    চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে। কৃত্রিম হৃদয় স্থাপন, কিড়নি স্থাপন প্রতিদিনই বড় বড়
    চিকিৎসালয়ে চলছে। বস্তুত চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির কথা অল্প কথায় বলে শেষ
    করা যায় না।
    কৃষিক্ষেত্রে সবুজ বিপ্লব : কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান আজকের দিনে।
    অনস্বীকার্য। বিজ্ঞানের অবদানে উষর ভূমি আজ হয়েছে শস্য-শ্যামল ভূমি। পূর্বে
    যেভাবে ছিল দৈব নির্ভর কৃষিকাজ অর্থাৎ আকাশ থেকে বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল,
    বর্তমানে তা আর নয়। উচ্চ ফলনশীল বীজ, রাসায়নিক সার, নানা প্রকার যন্ত্রপাতি
    – ঢের, পাম্প-মেশিন এবং অধিক ফলনের জন্য গাছের অনুখাদ্য আবিষ্কারের ফলে
    কৃষিতে সবুজ বিপ্লবের সৃষ্টি হয়েছে। দেশের লােকের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি
    করা সম্ভব হচ্ছে।
    উপসংহার : বিজ্ঞান যেভাবে দৈনন্দিন জীবনে অহরহ উন্নতি সাধন করে।
    চলেছে ঠিক সেভাবে বিজ্ঞানের আবার কিছু কিছু ধ্বংসাত্মক দিকও আছে। তবে
    মানুষের উপরে বিশ্বাস হারানাে ঠিক নয়। পৃথিবীতে এখনও বিবেকবান মানুষের
    অভাব নেই ধীর গতিতে হলেও বিশ্ববিবেক জাগ্রত হচ্ছে। আশা করা যায় মানুষ এই বিজ্ঞানকে সার্বিক মানব কল্যাণে ব্যবহার করবে। বিজ্ঞান কোটি কোটি মানুষের আশীর্বাদ লাভে ধন্য হবে।

    See less
    • 0
  6. মজার দেশ – যোগীন্দ্রনাথ সরকার এক যে আছে মজার দেশ, সব রকমে ভালো, রাত্তিরেতে বেজায় রোদ, দিনে চাঁদের আলো ! আকাশ সেথা সবুজবরণ গাছের পাতা নীল; ডাঙ্গায় চরে রুই কাতলা জলের মাঝে চিল ! সেই দেশেতে বেড়াল পালায়, নেংটি-ইঁদুর দেখে; ছেলেরা খায় ‘ক্যাস্টর-অয়েল’ -রসগোল্লা রেখে ! মণ্ডা-মিঠাই তেতো সেথা, ওষুধ লাগেRead more

    মজার দেশ – যোগীন্দ্রনাথ সরকার

    এক যে আছে মজার দেশ, সব রকমে ভালো,
    রাত্তিরেতে বেজায় রোদ, দিনে চাঁদের আলো !
    আকাশ সেথা সবুজবরণ গাছের পাতা নীল;
    ডাঙ্গায় চরে রুই কাতলা জলের মাঝে চিল !
    সেই দেশেতে বেড়াল পালায়, নেংটি-ইঁদুর দেখে;
    ছেলেরা খায় ‘ক্যাস্টর-অয়েল’ -রসগোল্লা রেখে !
    মণ্ডা-মিঠাই তেতো সেথা, ওষুধ লাগে ভালো;
    অন্ধকারটা সাদা দেখায়, সাদা জিনিস কালো !
    ছেলেরা সব খেলা ফেলে বই নে বসে পড়ে;
    মুখে লাগাম দিয়ে ঘোড়া লোকের পিঠে চড়ে !
    ঘুড়ির হাতে বাঁশের লাটাই, উড়তে থাকে ছেলে;
    বড়শি দিয়ে মানুষ গাঁথে, মাছেরা ছিপ্ ফেলে !

    জিলিপি সে তেড়ে এসে, কামড় দিতে চায়;
    কচুরি আর রসগোল্লা ছেলে ধরে খায় !
    পায়ে ছাতি দিয়ে লোকে হাতে হেঁটে চলে !
    ডাঙ্গায় ভাসে নৌকা-জাহাজ, গাড়ি ছোটে জলে !

    মজার দেশের মজার কথা বলবো কত আর;
    চোখ খুললে যায় না দেখা মুদলে পরিষ্কার !

    See less
    • -1
  7. যে রাতে মোর দুয়ার গুলি ভাঙলো ঝড়ে, জানি নাই তো তুমি এলে আমার ঘরে | সব যে হয়ে গেলো কালো, নিবে গেল দ্বীপের আলো | আকাশপানে হাত বাড়ালেম কাহারো তরে, জানি নাই তো তুমি এলে আমার ঘরে | অন্ধকারে রইনু পড়ে, স্বপন মানি | ঝড় যে তোমার জয়ধ্বজা, তাই কি জানি ! সকালবেলায় চেয়ে দেখি, দাঁড়িয়ে আছ, তুমি একি ! ঘরভরা মোর শূন্Read more

    যে রাতে মোর দুয়ার গুলি ভাঙলো ঝড়ে,
    জানি নাই তো তুমি এলে আমার ঘরে |

    সব যে হয়ে গেলো কালো,
    নিবে গেল দ্বীপের আলো |

    আকাশপানে হাত বাড়ালেম কাহারো তরে,
    জানি নাই তো তুমি এলে আমার ঘরে |

    অন্ধকারে রইনু পড়ে,
    স্বপন মানি |
    ঝড় যে তোমার জয়ধ্বজা,
    তাই কি জানি !

    সকালবেলায় চেয়ে দেখি,
    দাঁড়িয়ে আছ, তুমি একি !

    ঘরভরা মোর শূন্যতার-ই বুকের ওপরে |
    জানি নাই তো তুমি এলে আমার ঘরে |

    See less
    • 0
  8. বসন্ত এসে গেছে  Bosonto ese geche বাতাসে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিল নেশা, কারা যে ডাকিল পিছে, বসন্ত এসে গেছে । মধুর অমৃতবাণী, বেলা গেল সহজেই, মরমে উঠিল বাজি, বসন্ত এসে গেছে । থাক তব ভুবনের, ধুলি মাখা চরণে, মাথা নত করে রব; বসন্ত এসে গেছে । কবলের নব নীল মনের গোপনে, বাজে ওই বাজে ওই বাজে ওই । পলাশের নেশা মRead more

    বসন্ত এসে গেছে  Bosonto ese geche

    বাতাসে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিল নেশা,
    কারা যে ডাকিল পিছে,
    বসন্ত এসে গেছে ।
    মধুর অমৃতবাণী, বেলা গেল সহজেই,
    মরমে উঠিল বাজি,
    বসন্ত এসে গেছে ।
    থাক তব ভুবনের, ধুলি মাখা চরণে,
    মাথা নত করে রব;
    বসন্ত এসে গেছে ।
    কবলের নব নীল মনের গোপনে,
    বাজে ওই বাজে ওই বাজে ওই ।
    পলাশের নেশা মাখি চলেছি দুজনে,
    বাসনার রঙ-এ মিশি শ্যামলে-স্বপনে,
    কুহু কুহু শোনা যায় কোকিলের কুহুতান,
    বসন্ত এসে গেছে ।
    পূর্নিমা রাতে ওই ছোটাছুটি করে কারা
    দখিনা পবনে দোলে,
    বসন্ত এসে গেছে
    কেমনে গাঁথিব মালা, কেমনে বাজিবে বেনু,
    আবেগে কাঁপিছে আঁখি,
    বসন্ত এসে গেছে ।
    থাক তব ভুবনের, ধুলি মাখা চরণে,
    মাথা নত করে রব;
    বসন্ত এসে গেছে ।
    এই বসন্তে অনেক জন্ম আগে,
    তোমায় প্রথম দেখেছিলেম আমি,
    হেঁটেছিলেম নিরুদ্দেশের পানে,
    সেই বসন্ত এখন ভীষণ দামী,
    আমার কাছে, তোমার কাছে, আমার কাছে

    See less
    • 0
  9. তোর জন্য চিঠির দিন, খুশির কমিক্স বই | মাধ্যমিকের বাধ্য মেয়ে, তোকে ছোঁব সাধ্য কই ? তোর জন্য গলির পথ, বিকেল ছুটির ইস্কুল | তোর জন্য চ্যাপ্টা ফুল, আর আমার জন্য ভুল | তোর চোখের রঙ, যেন রামধনু গল্প বানায় | ফিরে তাকাস বরং, যদি রোদ পড়ে চোখের ডানায় | ভেবে কত কি যে যাই, জানি এ বোকামি আমাকে মানায় | তোকে নিয়েRead more

    তোর জন্য চিঠির দিন, খুশির কমিক্স বই |
    মাধ্যমিকের বাধ্য মেয়ে, তোকে ছোঁব সাধ্য কই ?
    তোর জন্য গলির পথ, বিকেল ছুটির ইস্কুল |
    তোর জন্য চ্যাপ্টা ফুল, আর আমার জন্য ভুল |

    তোর চোখের রঙ, যেন রামধনু গল্প বানায় |
    ফিরে তাকাস বরং, যদি রোদ পড়ে চোখের ডানায় |
    ভেবে কত কি যে যাই, জানি এ বোকামি আমাকে মানায় |
    তোকে নিয়ে ভিজে যাই, একা পথ হাঁটি মেঘলা ছাতায় |

    তোর জন্য পাখির ঠোঁট, মিষ্টি রঙ্গিন জল |
    তোর জন্য ইচ্ছেরা ব্যায় করছে অনর্গল |
    তোর জন্য ঘুড়ির গান, অবাক এক ফানুস |
    পকেটভর্তি ক্যাবলামি, খুব মস্ত বীরপুরুষ |

    তোর জামার বোতাম কেন রোদ মাখে অচেনা পাড়ায় !
    তোর মিঠে ডাকনাম, হাসি হাসিগুলো কষ্ট বাড়ায় |
    সাদা যেটুকু কাগজ, মন তাই নিয়ে নৌকো বানায় |
    তোকে খুঁজে চলি রোজ, গোবেচারা বলে বন্ধু পাতায় |

    See less
    • 0
  10. শেষ চিঠি | Sesh Chithi শেষ কথা কেন এমন কথা হয় শেষ চিঠি কেন এমন চিঠি হয় ক্ষমা করো ক্ষমা করো আমায় হয়না কেন এমন শেষ কথা হয়না কেন এমন শেষ চিঠি আর কথা নয় আর চিঠি নয় চলে যাব বহুদূরে ক্ষমা করো আমায় হয়না কেন এমন শেষ পাওয়া হয়না কেন এমন শেষ চাওয়া আর চাওয়া নয় আর পাওয়া নয় চলে যাব বহুদূরে ক্ষমা করো আমায়

    শেষ চিঠি | Sesh Chithi

    শেষ কথা কেন এমন কথা হয়
    শেষ চিঠি কেন এমন চিঠি হয়
    ক্ষমা করো
    ক্ষমা করো আমায়

    হয়না কেন এমন শেষ কথা
    হয়না কেন এমন শেষ চিঠি
    আর কথা নয় আর চিঠি নয়
    চলে যাব বহুদূরে
    ক্ষমা করো আমায়

    হয়না কেন এমন শেষ পাওয়া
    হয়না কেন এমন শেষ চাওয়া
    আর চাওয়া নয় আর পাওয়া নয়
    চলে যাব বহুদূরে
    ক্ষমা করো আমায়

    See less
    • 0