Discy Latest Questions

  1. হোলি বা দোল উৎসব  সুচনাঃ- হোলি বা দোল  রঙের উৎসব প্রায়ই সারা ভারত জুড়ে পালিত হয়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতিবছর ফেব্রুয়ারী বা মার্চ মাসে পূর্ণিমাতে ফাগুন পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে প্রতিবছর হোলির উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনে মানুষ তাদের সব সমস্যা ভুলে,নতুন রঙে  এবং নতুন ভাবে তাদের সম্পর্ক শক্তিশালীRead more

    হোলি বা দোল উৎসব 

    সুচনাঃ-
    হোলি বা দোল  রঙের উৎসব প্রায়ই সারা ভারত জুড়ে পালিত হয়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতিবছর ফেব্রুয়ারী বা মার্চ মাসে পূর্ণিমাতে ফাগুন পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে প্রতিবছর হোলির উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনে মানুষ তাদের সব সমস্যা ভুলে,নতুন রঙে  এবং নতুন ভাবে তাদের সম্পর্ক শক্তিশালী করে তোলে। এই উৎসব মানুষের মধ্যে ভালবাসা বাড়ায়। এই দিনটি ঐতিহ্যবাহী ও সাংস্কৃতিক উৎসব, এই উৎসব শুধু হিন্দুদের উৎসব নয় এই উৎসব সর্বজনীন।

    হোলি রং এবং প্রেমের উত্সব। প্রতিবছর হিন্দুদের দ্বারা উদযাপন করা একটি বড় উৎসব। এই দিনে প্রেম ও স্নেহের প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বিভিন্ন ধর্ম স্থান তথা রাম জন্মভূমি, কৃষ্ণ জন্মভূমি এই দিনে বিশেষ ভাবে পালিত হয়।

    হোলি উৎসবে সমাজের ভুমিকাঃ- 

    হোলি উৎসব ভারতে প্রতি অঞ্চলে সুখের রঙ আনে, আনে প্রতিটি বাড়িতে, এই উৎসব সুখের রঙ দেয়, তাই এই উৎসব কে রং উৎসব বলা হয়। যেমন প্রকৃতি তার আলো, বায়ু, জল, সমস্ত জীবকে কোনও পার্থক্য ছাড়াই বিতরণ করে। অনুরূপভাবে, হোলির রংগুলি এমন কোনো বৈষম্য ছাড়াই সমস্ত জীবকুলে  খেলা করে। আবীরের রঙে রঙিন রং সব রঙিন হয়ে যায়। সমাজের সব জীবকুলে এমনকি সমস্ত জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে এই রং সবারে মধ্যে ছরিয়ে পরে বন্ধুত্ব বৃদ্ধি করতে। তাই হোলি এক সমতা বৃদ্ধি, ও বন্ধুত্ব বৃদ্ধি করার উৎসব।

    মথুরা এবং বৃন্দাবনে হোলি উদযাপন মথুরা এবং বৃন্দাবনে হোলি উৎসবঃ

    মথুরা এবং বৃন্দাবন পবিত্র স্থান যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সারা বছর ধরে এই পবিত্র জায়গায় দেশ বিদেশ থেকে পর্যটক ঘুরতে আসে। কিন্তু এই সময় দোল যাত্রার সময় প্রচুর মানুষ এই পবিত্র স্থানে ঘুরতে আসে। মথুরা ও বৃন্দাবনে হোলি উৎসব বিখ্যাত এই দিন আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করা হয়, সাত দিন ধরে এই সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলে। রাধা-কৃষ্ণকে নিয়ে লিলা খেলার নৃত্য হয়। জাত্রাপালার মাধ্যমে রাধা-কৃষ্ণর লিলা খেলা তুলে ধরা হয় নতুন প্রজন্মের কাছে। রামায়নের চরিত্র এই সময় তুলে ধরা হয়। বিভিন্ন প্রকারের খাবার, নৃত্য নতুন পোশাক রং মাখা গোটা শহর কিছুটা অন্য রকম। হাসি-খুশিতে কেটে যায় এই সাতদিন। আর এই ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করার জন্য এই দিনে মানুষ ভারতের অন্যান্য শহর থেকে মথুরা এবং বৃন্দাবনে আসে।

    হোলির গুরুত্ব হোলির ও তাৎপর্য :

    এই উৎসব অনেক অনুষ্টানের মাধ্যমে পালন করা হয়, পরিবারের সব সদস্য এবং আত্মীয় একসাথে হোলিকা পুড়িয়ে দেয় এবং হোলি দিবসের পালন করে। এই হোলিকার মৃত্যু এবং প্রতিবছর সে উপলক্ষে হোলিকা পুড়ান হোলির রং খেলার সঙ্গে জরিত।কেউ কেউ মনে করে যে  হিরণ্যকশিপ রাজার বোন হোলিকার নাম থেকেই হোলি নাম হয়েছিল ।

    উপসংহারঃ-

    হোলি প্রেম এবং পারস্পরিক মিলনের একটি উৎসব যা একতা ক্রমাগত বৃদ্ধি করে। সবাই হাসে, এবং প্রত্যেক মানুষ হোলির রং পায়। পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের রং এ মিলে মিশে যায়। মানুষ সবার সাথে সুখ -শান্তি ভোগ করে নেয়। হোলি একটি পবিত্র ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে যুক্ত সুখের উৎসবের পাশাপাশি একটি সামাজিক উৎসব ও বটে । আসুন সবাই একসঙ্গে এই উৎসবের মর্যাদা রাখি এবং আনন্দে এই উৎসব উদযাপন করি। সুখশান্তি সবাই মিলে ভাগ করে নেই এবং হোলির রঙ্গে সবাই রঙ্গিন হই।

    See less
    • 0
  1. ফুটবল খেলা ভূমিকা: বর্তমান বিশ্বের একটি জনপ্রিয় ও অন্যতম খেলা হচ্ছে ফুটবল। কারও মতে চীন আবার কারো মতে ইতালি থেকে ফুটবল খেলা আরম্ব হয় এবং পরবর্তী কালে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে । জনপ্রিয়তার কারণে ইহা একটি আন্তর্জাতিক খেলা হিসাবে স্বীকৃতি পায় এবং প্রতি চার বছর পর পর আন্তর্জাতিক স্তরে ফুটবল বিশ্বকাপ প্রতিযRead more

    ফুটবল খেলা

    ভূমিকা: বর্তমান বিশ্বের একটি জনপ্রিয় ও অন্যতম খেলা হচ্ছে ফুটবল। কারও মতে চীন আবার কারো মতে ইতালি থেকে ফুটবল খেলা আরম্ব হয় এবং পরবর্তী কালে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে । জনপ্রিয়তার কারণে ইহা একটি আন্তর্জাতিক খেলা হিসাবে স্বীকৃতি পায় এবং প্রতি চার বছর পর পর আন্তর্জাতিক স্তরে ফুটবল বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় । ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশেই ফুটবল একটি জাতীয় খেলা । আমাদের দেশে সর্বত্রই এই খেলার প্রচলন ও জনপ্রিয়তা দেখা যায়।
    মাঠের বর্ণনা ও খেলোয়াড়: ফুটবল খেলার মাঠ সাধারণত ১০০-১২০ গজ দীর্ঘ এবং ৫০-৫৬ গজ প্রস্থ হয়ে থাকে । মাঠের দুই প্রান্তে দু’টি করে গোলপোস্ট থাকে। প্রতিটি গোলপোস্ট এর উচ্চতা ৮ ফুট এবং একটি বার বা খুঁটির অপরটি থেকে ৮ গজ দূরে অবস্থিত। একটি আদর্শ ফুটবলের ওজন সাধারণত ১৪-১৬ আউন্স হয়ে থাকে। একটি ফুটবল খেলায় মোট ২২ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করে , যারা দুইটি দলে ১১ জন করে বিভক্ত হয়ে খেলে থাকে। খেলা পরিচালনার জন্য একজন প্রধান রেফারি ও তাকে সাহায্যের জন্য দু’ জন লাইন্সম্যান থাকে।

    ফুটবল খেলার নিয়ম বা পদ্ধতি: পূর্বসিদ্বান্ত অনুযায়ী খেলার জন্য মাঠের মধ্যস্থলে দুই দল মুখোমুখি অবস্থান করে। রেফারির বাঁশি বাজানোর সাথে সাথে খেলা শুরু হয় এবং প্রত্যেক খেলোয়াড় নিজের অবস্থানে চলে যায়। সাধারণত ১১ জন খেলোয়াড়ের পাঁচ জন সামনের ভাগে দাঁড়ায় যাদেরকে বলে ফরোয়ার্ড, তাদের পিছনে ৩ জন থাকে মিডফিল্ডার বা হাফ ব্যাক, তাদের পিছনে দু’ জন থাকে ডিফেন্স বা ফুল ব্যাক আর গোলবারের সামনে থাকে একজন গোলরক্ষক, যিনি সর্বাঙ্গ দিয়ে বলকে গোল হওয়া থেকে রক্ষা করেন। একটি ফুটবল ম্যাচ মোট ৯০ মিনিটের হয়, মধ্যেখানে ১৫ মিনিটের বিরতি থাকে।

    খেলার নিয়ম কানুন: যে ভাবে প্রত্যেকটি খেলার একটি নিয়ম থাকে সে ভাবে ফুটবল খেলার কয়েকটি নিয়ম রয়েছে । এসব নিয়মনীতি সবই ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা তৈরী করে থাকে । যেমন প্রথমে বলটি মাঠের মধ্যস্থলে রাখতে হবে। রেফারি বাঁশি বাজানোর সাথে সাথে খেলা শুরু করতে হবে। একমাত্র গোলরক্ষক ছাড়া অন্য কেউ বল হাত দিয়ে ধরতে বা মারতে পারবে না। এ নিয়ম না মানলে হ্যান্ডবল হয় এবং বিপক্ষ দলের দিকে বল ফ্রি কিক মারা হয়। অবৈধভাবে কাউকে লাথি বা ধাক্কা মারলে রেফারি শাস্তি স্বরূপ উক্ত খেলোয়াড়কে লাল বা হলুদ কার্ড দেখিয়ে শাস্তি দেন। লাল কার্ড পেলে ঐ খেলোয়াড় আর খেলতে পারেন না। এ ছাড়া খেলোয়াড়দের সহজেই চিনতে প্রত্যেকটি খেলোয়াড় কে তাদের ইউনিফর্ম এ জার্সি নাম্বার দেয়া হয়।

    ফুটবল ও ভারতবর্ষ : বিদেশি খেলা হলেও ফুটবল খেলা ভারতবর্ষের একটি জনপ্রিয় খেলা । বিশেষ করে বাংলায় সঙ্গে ফটবললের অনন্য সম্পর্ক । বিশ্বকাপ এলেই সারাদেশ জুড়ে শুরু হয় ফুটবল উন্মাদনা। পতাকা টানিয়ে বা সমর্থিত দলের জার্সি গায়ে দিয়ে দলের প্রতি নিজেদের ভালোবাসা প্রকাশ করে বাঙালিরা।ভারতবর্ষে ফুটবল আসে ইংরেজ দের হাত ধরে এবং ১৮৭২ সালে প্রথম “কলকাতা ফটবল ক্লাব” স্হাপিত হয়। বর্তমানে “অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন” ভারতে ফুটবল খেলা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ভারত একাধিকবার অলিম্পিক এবং এশিয়ান কাপ সহ অনেক প্রতিজোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে।হাল আমলে ভারতবর্ষে ফুটবল কে আরও জনপ্রিয় করতে ২০১৩ সালে একটি প্রিমিয়াম ঘরোয়া প্রতিজুগিতা “ইন্ডিয়ান সুপার লিগ” নামে শুরু করা হয়।

    বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা): বিশ্বব্যাপী ফুটবল খেলার আইন-কানুন প্রচলন ও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় FIFA (Federation of International Football Association). ২১ মে, ১৯০৪ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে প্রতিষ্ঠা লাভ করে সংস্থাটি। বর্তমানে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে এটির সদরদপ্তর। ফিফা এর বর্তমান সভাপতি সেপ ব্লাটার। ফিফার বর্তমান সদস্য ২০৯টি। এ সংস্থা প্রতি ৪ বছর পর পর আয়োজন করে বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা। পুরুষদের ন্যায় নারীদের ফুটবল বিশ্বকাপেরও প্রতিনিধিত্ব করে এ সংস্থা। প্রতিবছর এ সংস্থা বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচন ও দলগত র‌্যাংকিং করে থাকে।

    ফুটবল বিশ্বকাপ: ফুটবল খেলার ইতিহাস দীর্ঘদিনের হলেও বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা প্রথম অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে। বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা ফিফার অধীনে প্রতি ৪ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২১ তম বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসে রাশিয়ায় । এ আসরে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফ্রান্স । তবে বিশ্বকাপ ফুটবলে সবচেয়ে বেশি ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিল। বিশ্বকাপ ফুটবলে সেরা খেলোয়াড়কে গোল্ডেন বল এবং সর্বোচ্চ গোলদাতাকে গোল্ডেন বুট সম্মাননা দেওয়া হয়। ফুটবল বিশ্বকাপের ২২ তম আসর হবে কাতারে ২০২২ সালে।

    ফুটবল খেলার উপকারিতা: ফুটবল খেলা শুধু খেলা নয়, এটির মাধ্যমে যেমন আনন্দ-বিনোদন পাওয়া যায়, তেমনি এ খেলার মাধ্যমে শারীরিক ব্যায়ামও হয়ে থাকে। তাছাড়া ফুটবল খেলা আজ বিশ্বব্যাপী বিশাল লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। ইউরোপ আমেরিকার ফুটবল ক্লাবগুলো ফুটবল বাণিজ্যের অন্যতম উদাহরণ। ফুটবল খেলার মাধ্যমে যেমন মানসিক অবসাদ দূর হয় তেমনি এর উত্তেজনা-উপভোগ মনকে আনন্দে ভাসিয়ে দেয়। ফুটবল খেলতে যথেষ্ট ছুটাছুটি ও পরিশ্রম করতে হয় বলে শরীর সর্বদাই ফিট থাকে। খেলার কঠোর আইন-কানুন খেলোয়াড়দের চারিত্রিক ও মানসিক বিকাশে সহায়তা করে।

    বিশ্বের উল্লেখিত ফুটবল তারকা ও ক্লাবসমূহ: ফুটবলের জগতে জীবন্ত কিংবদন্তী হলো ফুটবল সম্রাট ব্রাজিলের পেলে। তাছাড়া আর্জেন্টিনার ম্যারাডোনা ফুটবলের রাজপুত্র নামে পরিচিত। এ ছাড়া রোনাল্ডো, মেসি, নেইমার, জিদান বর্তমান ফুটবলের অন্যতম তারকা। বার্সালোনা, রিয়েল মাদ্রিদ, বায়ান মিউনিখ, ডর্টমুন্ড, চেলসি, ম্যানচেষ্টার সিটি প্রভৃতি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবল ক্লাব। কোপা আমেরিকা, কনফেডারেশন কাপ, এশিয়া কাপ, ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নস্ লীগ, প্রভৃতির মাধ্যমে ফুটবল সারা পৃথিবীতে উন্মাদনা ছড়িয়ে যাচ্ছে।

    উপসংহার: ফুটবল খেলা বিশ্বের কোটি কোটি দর্শকের কাছে এক অনাবিল আনন্দের উৎস। ফুটবল খেলায় থাকে হার-জিত, থাকে আনন্দ-বেদনার অশ্রু। সেই আনন্দ বেদনার ঊর্ধ্বে থাকে মনোরম লড়াই আর নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শন, স্বদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি আর বিজয়ের তীব্র বাসনা। ফুটবল খেলা বিশ্বব্যাপী মানুষের মাঝে প্রীতি-সম্প্রীতির বন্ধন তৈরি করে। এ জন্যই ফুটবল খেলা সকল খেলাকে ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে।

    See less
    • 0
  1. লশুনপলাণ্ডগুঞ্জনকুম্ভীশ্রাপথন্নসুতকান্নাভোজ্যান্যমধুমাংসমূত্ররেতোহমেধ্যাভক্ষভক্ষণেগায়ত্র‍্যাষ্টসহ

    লশুনপলাণ্ডগুঞ্জনকুম্ভীশ্রাপথন্নসুতকান্নাভোজ্যান্যমধুমাংসমূত্ররেতোহমেধ্যাভক্ষভক্ষণেগায়ত্র‍্যাষ্টসহ

    See less
    • 0
  1. বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দকে পদ বলে। পদ মোট ৫ প্রকার– ১. বিশেষ্য ২. বিশেষণ ৩. সর্বনাম ৪. ক্রিয়া ৫. অব্যয়

    বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দকে পদ বলে।

    পদ মোট ৫ প্রকার

    ১. বিশেষ্য

    ২. বিশেষণ

    ৩. সর্বনাম

    ৪. ক্রিয়া

    ৫. অব্যয়

    See less
    • 0
  1. জন্মদিন / Jonmodin/ The Birthday   রবিপ্রদক্ষিণপথে জন্মদিবসের আবর্তন হয়ে আসে সমাপন। আমার রুদ্রের মালা রুদ্রাক্ষের অন্তিম গ্রন্থিতে এসে ঠেকে রৌদ্রদগ্ধ দিনগুলি গেঁথে একে একে। হে তপস্বী, প্রসারিত করো তব পাণি লহো মালাখানি। উগ্র তব তপের আসন, সেথায় তোমারে সম্ভাষণ করেছিনু দিনে দিনে কঠিন স্তবনে, কখনো মRead more

    জন্মদিন / Jonmodin/ The Birthday

     

    রবিপ্রদক্ষিণপথে জন্মদিবসের আবর্তন

    হয়ে আসে সমাপন।

    আমার রুদ্রের

    মালা রুদ্রাক্ষের

    অন্তিম গ্রন্থিতে এসে ঠেকে

    রৌদ্রদগ্ধ দিনগুলি গেঁথে একে একে।

    হে তপস্বী, প্রসারিত করো তব পাণি

    লহো মালাখানি।

    উগ্র তব তপের আসন,

    সেথায় তোমারে সম্ভাষণ

    করেছিনু দিনে দিনে কঠিন স্তবনে,

    কখনো মধ্যাহ্নরৌদ্রে কখনো-বা ঝঞ্ঝার পবনে।

    এবার তপস্যা হতে নেমে এসো তুমি–

    দেখা দাও যেথা তব বনভূমি

    ছায়াঘন, যেথা তব আকাশ অরুণ

    আষাঢ়ের আভাসে করুণ।

    অপরাহ্ন যেথা তার ক্লান্ত অবকাশে

    মেলে শূন্য আকাশে আকাশে

    বিচিত্র বর্ণের মায়া; যেথা সন্ধ্যাতারা

    বাক্যহারা

    বাণীবহ্নি জ্বালি

    নিভৃতে সাজায় ব’সে অনন্তের আরতির ডালি।

    শ্যামল দাক্ষিণ্যে ভরা

    সহজ আতিথ্যে বসুন্ধরা

    যেথা স্নিগ্ধ শান্তিময়,

    যেথা তার অফুরান মাধুর্যসঞ্চয়

    প্রাণে প্রাণে

    বিচিত্র বিলাস আনে রূপে রসে গানে।

    বিশ্বের প্রাঙ্গণে আজি ছুটি হোক মোর,

    ছিন্ন করে দাও কর্মডোর।

    আমি আজ ফিরব কুড়ায়ে

    উচ্ছৃঙ্খল সমীরণ যে কুসুম এনেছে উড়ায়ে

    সহজে ধুলায়,

    পাখির কুলায়

    দিনে দিনে ভরি উঠে যে-সহজ গানে,

    আলোকের ছোঁওয়া লেগে সবুজের তম্বুরার তানে।

    এই বিশ্বসত্তার পরশ,

    স্থলে জলে তলে তলে এই গূঢ় প্রাণের হরষ

    তুলি লব অন্তরে অন্তরে–

    সর্বদেহে, রক্তস্রোতে, চোখের দৃষ্টিতে, কণ্ঠস্বরে,

    জাগরণে, ধেয়ানে, তন্দ্রায়,

    বিরামসমুদ্রতটে জীবনের পরমসন্ধ্যায়।

    এ জন্মের গোধূলির ধূসর প্রহরে

    বিশ্বরসসরোবরে

    শেষবার ভরিব হৃদয় মন দেহ

    দূর করি সব কর্ম, সব তর্ক, সকল সন্দেহ,

    সব খ্যাতি, সকল দুরাশা,

    বলে যাব, “আমি যাই, রেখে যাই, মোর ভালোবাসা।’

    See less
    • 0
  1. English Translation of the poem Africa By- Rabindranath Tagore Date- 10th February, 1937 In the restless tides of that primordial dawn When the creator himself despaired of crafting you And struck angrily at the fresh clay again and again, In that hour of impatience and rage The arms of the brave seRead more

    English Translation of the poem Africa

    By- Rabindranath Tagore
    Date- 10th February, 1937

    In the restless tides of that primordial dawn
    When the creator himself despaired of crafting you
    And struck angrily at the fresh clay again and again,
    In that hour of impatience and rage
    The arms of the brave seas
    Plucked you from the clasp of the lands of the East
    Removing you far from them all, Africa
    To bind you within cages of great trees standing guard
    Where miserly light illumined your fate
    There in silent wait you bided your time,
    Reading the mysteries of the unreachable,
    And learning the incomprehensible signs hidden in land, sea and sky
    That magic that is beyond any seen in nature
    Wove spells through your unconscious mind.
    You mocked the terrible
    Dressed as a grotesque lampooning of the fierce,
    You wished to defeat fear itself by donning it as disguise

    Alas, shadowed beauty,
    How well you hid yourself under veil of night
    Your human form secreted away
    From those whose eyes shower contempt
    They came with shackles forged from cruel iron
    Those who bear claws sharper than the wolves that roam the land,
    Then came the ones who make trade with human coin
    Those whose pride blinds them, their hearts darker than your sunless forests.
    The naked hunger of the civilized
    Stripping them down to their inner shameless brutality.
    In the forests drenched by your wordless cries
    The very soil sullied by your blood and sweat;
    Under the feet of their hob-nailed boots,
    Mutilated your flesh
    Marks forever your maligned history.

    At that very moment in their own lands
    Church bells rang out in glorious worship
    At morning and evensong, in the name of an all merciful God;
    While their children played in each mother’s lap;
    And poets raised their wondrous tunes
    In praise of all things bright and beautiful.
    When today on the western horizon
    Sunset holds it breath in fear of a new storm,
    When the beasts ride out of secret caves
    And sounds of ill omen declare the beginning of day’s end,
    Come forth, Oh poet of change
    Stand by the last ray of this evening’s sun
    Where this unfortunate woman waits,
    And say, ‘Forgive me!’
    In the midst of fierce delirium,
    Let that be the final reparation made by your civilization.

     

    See less
    • 0
  1. This answer was edited.

    হে নূতন, দেখা দিক আর-বার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ হে নূতন, দেখা দিক আর-বার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ ।। তোমার প্রকাশ হোক কুহেলিকা করি উদঘাটন সূর্যের মতন । রিক্ততার বক্ষ ভেদি আপনারে করো উন্মোচন । ব্যক্ত হোক জীবনের জয়, ব্যক্ত হোক তোমামাঝে অসীমের চিরবিস্ময় । উদয়দিগন্তে শঙ্খ বাজে, মোর চিত্তমাঝে চিরনূতনেরে দিলRead more

    হে নূতন, দেখা দিক আর-বার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ

    হে নূতন,
    দেখা দিক আর-বার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ ।।
    তোমার প্রকাশ হোক কুহেলিকা করি উদঘাটন
    সূর্যের মতন ।
    রিক্ততার বক্ষ ভেদি আপনারে করো উন্মোচন ।
    ব্যক্ত হোক জীবনের জয়,
    ব্যক্ত হোক তোমামাঝে অসীমের চিরবিস্ময় ।
    উদয়দিগন্তে শঙ্খ বাজে, মোর চিত্তমাঝে
    চিরনূতনেরে দিল ডাক
    পঁচিশে বৈশাখ ।।

    আরও পড়ুনঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কবিতাসমূহ

    Hey Nuton
    Hey Nuton,

    Dekha dik aarbaar jonmero prothom shubhokhon.
    Tomar prokash hok kuhelika kori udghaton
    suryer moton.
    Riktotar bokkhyo bhedi aponarey koro unmochan.
    Byakto hok jiboner joy,
    Byakto hok tomamajhe asheemero chirobishshoy.
    Udaydigantey shonkho baaje, mor chittomajhe
    Chironuutonere dil dak
    Ponchishey boishakh.

    Hail the new
    Hail the new,
    Let the sacred hour of birth approach once more
    May you appear in glory, unveiled from mist
    as does the sun.
    Reveal yourself from the emptiness of the soul
    Let life be victorious once more,
    Let the wonder of the infinite be revealed through your creation
    Conch shells sound in celebration in the dawn skies within my soul
    The call goes out for eternal renewal
    From this twenty fifth day of Boishakh

     

    See less
    • 0
  1. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে। পার হয়ে যায় গোরু, পার হয় গাড়ি, দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি। চিক্ চিক্ করে বালি, কোথা নাই কাদা, একধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা। কিচিমিচি করে সেথা শালিকের ঝাঁক, রাতে ওঠে থেকে থেকে শেয়ালের হাঁক। আর-পারে আমবন তালবন চলে, গাঁRead more

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

    আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে
    বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।
    পার হয়ে যায় গোরু, পার হয় গাড়ি,
    দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি।

    চিক্ চিক্ করে বালি, কোথা নাই কাদা,
    একধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা।
    কিচিমিচি করে সেথা শালিকের ঝাঁক,
    রাতে ওঠে থেকে থেকে শেয়ালের হাঁক।

    আর-পারে আমবন তালবন চলে,
    গাঁয়ের বামুন পাড়া তারি ছায়াতলে।
    তীরে তীরে ছেলে মেয়ে নাইবার কালে
    গামছায় জল ভরি গায়ে তারা ঢালে।

    সকালে বিকালে কভু নাওয়া হলে পরে
    আঁচল ছাঁকিয়া তারা ছোটো মাছ ধরে।
    বালি দিয়ে মাজে থালা, ঘটিগুলি মাজে,
    বধূরা কাপড় কেচে যায় গৃহকাজে।

    আষাঢ়ে বাদল নামে, নদী ভর ভর
    মাতিয়া ছুটিয়া চলে ধারা খরতর।
    মহাবেগে কলকল কোলাহল ওঠে,
    ঘোলা জলে পাকগুলি ঘুরে ঘুরে ছোটে।
    দুই কূলে বনে বনে পড়ে যায় সাড়া,
    বরষার উৎসব জেগে ওঠে পাড়া।।

    See less
    • 0
  1. This answer was edited.

    মেঘবালিকার জন্য রুপকথা কবি: জয় গোস্বামী আমি যখন ছোট ছিলাম খেলতে যেতাম মেঘের দলে এক দিন এক মেঘবালিকা প্রশ্ন করল কৌতূহলে “এই ছেলেটা .        নাম কী রে তোর ?” আমি বললাম, .        “ফুসমন্তর!” মেঘবালিকা রেগেই আগুন, “মিথ্যে কথা । নাম কি অমন হয় কখনো ?” .        আমি বললাম, “নিশচয়ই হয়। আগে আমার গল্প শোনো।”Read more

    মেঘবালিকার জন্য রুপকথা

    কবি: জয় গোস্বামী

    আমি যখন ছোট ছিলাম
    খেলতে যেতাম মেঘের দলে
    এক দিন এক মেঘবালিকা
    প্রশ্ন করল কৌতূহলে

    “এই ছেলেটা
    .        নাম কী রে তোর ?”
    আমি বললাম,
    .        “ফুসমন্তর!”

    মেঘবালিকা রেগেই আগুন,
    “মিথ্যে কথা । নাম কি অমন
    হয় কখনো ?”

    .        আমি বললাম,
    “নিশচয়ই হয়। আগে আমার
    গল্প শোনো।”
    সে বলল, “শুনব না, যা—
    সেই তো রানি, সেই তো রাজা
    সেই তো একই ঢালতলোয়ার
    সেই তো একই রাজার কুমার
    পক্ষিরাজে—
    শুনব না আর।
    .        ওসব বাজে।”

    আমি বললাম “তোমার জন্যে
    নতুন ক’রে লিখব তবে।”

    সে বলল, “সত্যি লিখবি ?
    বেশ তা হলে
    মস্ত করে লিখতে হবে।
    মনে থাকবে ?
    লিখেই কিন্তু আমায় দিবি।”
    আমি বললাম, “তোমার জন্যে
    লিখতে পারি এক পৃথিবী।”

    লিখতে লিখতে লেখা যখন
    সবে মাত্র দু-চার পাতা
    হঠাৎ তখন ভূত চাপল
    আমার মাথায়—

    খুঁজতে খুঁজতে চলে গেলাম
    ছোটবেলার মেঘের মাঠে
    গিয়েই দেখি চেনা মুখ তো
    একটিও নেই এ-তল্লাটে

    একজনকো মনে হল
    ওরই মধ্যে অন্যরকম
    এগিয়ে গিয়ে বলি তাকেই!
    “তুমিই কি সেই ? মেঘবালিকা
    তুমি কি সেই ?”

    সে বলেছে, “মনে তো নেই
    আমার ও সব মনে তো নেই।”
    আমি বললাম, “তুমি আমায়
    লেখার কথা বলেছিলে—”
    সে বলল, “সঙ্গে আছে ?
    ভাসিয়ে দাও গাঁয়ের ঝিলে!
    আর হ্যাঁ, শোনো—এখন আমি
    মেঘ নেই আর, সবাই এখন
    বৃষ্টি বলে ডাকে আমায়।”
    বলেই হঠাৎ এক পশলায়—
    চুল থেকে নখ—আমায় পুরো
    ভিজিয়ে দিয়ে—
    .                অন্য অন্য
    বৃষ্টি বাদল সঙ্গে নিয়ে
    মিলিয়ে গেল খরস্রোতায়
    মিলিয়ে গেল দূরে কোথায়

    দূরে দূরে . . .

    “বৃষ্টি বলে ডাকে আমায়
    বৃষ্টি বলে ডাকে আমায়—”
    আপন মনে বলতে বলতে
    আমি কেবল বসে রইলাম
    ভিজে একশা কাপড়জামায়
    গাছের তলায়
    .                বসে রইলাম
    বৃষ্টি নাকি মেঘের জন্য

    এমন সময়
    অন্য একটি বৃষ্টি আমায়
    চিনতে পেরে বলল, “তাতে
    মন খারাপের কী হয়েছে!
    যাও ফিরে যাও—লেখো আবার।
    এখন পুরো বর্ষা চলছে
    তাই আমরা সবাই এখন
    নানান দেশে ভীষণ ব্যস্ত।
    তুমিও যাও, মন দাও গে
    তোমার কাজে—
    বর্ষা থেকে ফিরে আমরা
    নিজেই যাব তোমার কাছে।”

    এক পৃথিবী লিখব আমি
    এক পৃথিবী লিখব বলে
    ঘর ছেড়ে সেই বেরিয়ে গেলাম
    ঘর ছেড়ে সেই ঘর বাঁধলাম
    গহন বনে
    সঙ্গী শুধু কাগজ কলম

    একাই থাকব। একাই দুটো
    ফুটিয়ে খাব—
    .                দু-এক মুঠো
    ধুলো বালি—যখন যারা
    আসবে মনে
    .                তাদের লিখব
    লিখেই যাব!

    এক পৃথিবীর একশোরকম
    স্বপ্ন দেখার
    সাধ্য থাকবে যে-রূপকথার—
    সে-রূপকথা আমার একার।

    ঘাড় গুঁজে দিন
    .                লিখতে লিখতে
    ঘাড় গুঁজে রাত
    .                লিখতে লিখতে
    মুছেছে দিন—মুছেছে রাত
    যখন আমার লেখবার হাত
    অসাড় হল,
    .                মনে পড়ল
    সাল কি তারিখ, বছর কি মাস
    সেসব হিসেব
    .                আর ধরিনি
    লেখার দিকে তাকিয়ে দেখি
    এক পৃথিবী লিখব বলে
    একটা খাতাও
    .                শেষ করিনি।

    সঙ্গে সঙ্গে ঝমঝমিয়ে
    বৃষ্টি এল খাতার উপর
    আজীবনের লেখার উপর
    বৃষ্টি এল এই অরণ্যে
    বাইরে তখন গাছের নীচে
    নাচছে ময়ূর আনন্দিত
    এ-গাছ ও-গাছ উড়ছে পাখি
    বলছে পাখি, “এই অরণ্যে
    কবির জন্য আমরা থাকি।”
    বলছে ওরা, “ কবির জন্যে
    আমরা কোথাও আমরা কোথাও
    আমরা কোথাও হার মানিনি—”

    কবি তখন কুটির থেকে
    তাকিয়ে আছে অনেক দূরে
    বনের পরে মাঠের পরে
    নদীর পরে
    সেই যেখানে সারাজীবন
    বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে
    সেই যেখানে কেউ যায় যায়নি
    কেউ যায় না কোনোদিনই—
    আজ সে কবি দেখতে পাচ্ছে
    সেই দেশে সেই ঝরনাতলায়
    এদিক-ওদিক ছুটে বেড়ায়
    সোনায় মোড়া মেঘহরিণী—
    কিশোরবেলার সেই হরিণী!

    See less
    • 0