Sign Up

Continue with Facebook
Continue with Google
Continue with Twitter
or use


Have an account? Sign In Now

Sign In

Continue with Facebook
Continue with Google
Continue with Twitter
or use


Forgot Password?

Don't have account, Sign Up Here

Forgot Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.


Have an account? Sign In Now

Sorry, you do not have a permission to ask a question, You must login to ask question.

Continue with Facebook
Continue with Google
Continue with Twitter
or use


Forgot Password?

Need An Account, Sign Up Here
Bengali Forum Logo Bengali Forum Logo
Sign InSign Up

Bengali Forum

Bengali Forum Navigation

  • বিভাগ
  • বিষয়
  • ব্লগ
  • বাংলা অভিধান
  • হযবরল
Search
Ask A Question

Mobile menu

Close
Ask a Question
  • বাংলা অভিধান
  • সাহিত্য
  • শিক্ষা
  • রচনা
  • সাধারণ জ্ঞান
  • ইংলিশ টু বাংলা
  • বিজ্ঞান
  • বাংলা কুইজ
  • ধৰ্ম ও সংস্কৃতি
  • ইতিহাস
  • মতামত

Discy Latest Questions

In: সাহিত্য

রথযাত্রা লোকারণ্য মহা ধুমধাম (ভক্তিভাজন) rath yatra lokaranya, maha dhum dham lyrics

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 16 Questions
    • 418 Answers
    • 14 Best Answers
    • 2,115 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on June 23, 2020 at 5:08 pm

    রথযাত্রা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রথযাত্রার দিন কাছে তাই রানী রাজাকে বললে, 'চলো, রথ দেখতে যাই।' রাজা বললে, 'আচ্ছা।' ঘোড়াশাল থেকে ঘোড়া বেরোল, হাতিশাল থেকে হাতি। ময়ূরপংখি যায় সারে সারে, আর বল্লম হাতে সারে সারে সিপাইসান্ত্রি। দাসদাসী দলে দলে পিছে পিছে চলল। কেবল বাকি রইল একজন। রাজবাড়ির ঝাঁটার কাঠি কুড়িয়ে আনা তRead more

    রথযাত্রা

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

    রথযাত্রার দিন কাছে
    তাই রানী রাজাকে বললে, ‘চলো, রথ দেখতে যাই।’
    রাজা বললে, ‘আচ্ছা।’
    ঘোড়াশাল থেকে ঘোড়া বেরোল, হাতিশাল থেকে হাতি।
    ময়ূরপংখি যায় সারে সারে, আর বল্লম হাতে সারে সারে সিপাইসান্ত্রি। দাসদাসী দলে দলে পিছে পিছে চলল।
    কেবল বাকি রইল একজন। রাজবাড়ির ঝাঁটার কাঠি কুড়িয়ে আনা তার কাজ।
    সর্দার এসে দয়া করে তাকে বললে, ‘ওরে, তুই যাবি তো আয়।’
    সে হাত জোড় করে বললে, ‘আমার যাওয়া ঘটবে না।’
    রাজার কানে কথা উঠল, সবাই সঙ্গে যায়, কেবল সেই দুঃখীটা যায় না।
    রাজা দয়া করে মন্ত্রীকে বললে, ‘ওকেও ডেকে নিয়ো।’
    রাস্তার ধারে তার বাড়ি। হাতি যখন সেইখানে পৌঁছল মন্ত্রী তাকে ডেকে বললে, ‘ওরে দুঃখী, ঠাকুর দেখবি চল্।’
    সে হাত জোড় করে বলল, ‘কত চলব। ঠাকুরের দুয়ার পর্যন্ত পৌঁছই এমন সাধ্য কি আমার আছে।’
    মন্ত্রী বললে, ‘ভয় কী রে তোর, রাজার সঙ্গে চলবি।’
    সে বললে, ‘সর্বনাশ! রাজার পথ কি আমার পথ।’
    মন্ত্রী বললে, ‘তবে তোর উপায়? তোর ভাগ্যে কি রথযাত্রা দেখা ঘটবে না।’
    সে বললে, ‘ঘটবে বই কি। ঠাকুর তো রথে করেই আমার দুয়ারে আসেন।’
    মন্ত্রী হেসে উঠল। বললে, ‘তোর দুয়ারে রথের চিহ্ন কই।’
    দুঃখী বললে, ‘তাঁর রথের চিহ্ন পড়ে না।’
    মন্ত্রী বললে, ‘কেন বল্ তো।’
    দুঃখী বললে, ‘তিনি যে আসেন পুষ্পকরথে।’
    মন্ত্রী বললে, ‘কই রে সেই রথ।’
    দুঃখী দেখিয়ে দিলে, তার দুয়ারের দুই পাশে দুটি সূর্যমুখী ফুটে আছে।

    See less
    • 0
  • 2
  • 11,123
  • 0
Answer
In: ধৰ্ম ও সংস্কৃতি

কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা এবং নিয়ম বিধি | Kojagari Lakshmi Puja Vidhi in Bengali

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 16 Questions
    • 418 Answers
    • 14 Best Answers
    • 2,115 Points
    View Profile
    Best Answer
    Hridoy
    Added an answer on October 25, 2020 at 5:30 pm

    কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা নিয়মাবলী:- * লক্ষ্মীপূজায় ঘণ্টা বাঁজাতে নেই। লক্ষ্মীকে তুলসীপাতা দিতে নেই। কিন্তু লক্ষ্মীপূজার পর একটি ফুল ও দুটি তুলসীপাতা দিয়ে নারায়ণকে পূজা করতে হয়। লক্ষ্মীপূজা সাধারণত সন্ধ্যাবেলা করে, তবে অনেকে সকালেও করে থাকেন। সকালে করলে সকাল ন-টার মধ্যে করে নেওয়াই ভাল। পূজার পর ব্রতকRead more

    কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা

    নিয়মাবলী:-

    * লক্ষ্মীপূজায় ঘণ্টা বাঁজাতে নেই। লক্ষ্মীকে তুলসীপাতা দিতে নেই। কিন্তু লক্ষ্মীপূজার পর একটি ফুল ও দুটি তুলসীপাতা দিয়ে নারায়ণকে পূজা করতে হয়। লক্ষ্মীপূজা সাধারণত সন্ধ্যাবেলা করে, তবে অনেকে সকালেও করে থাকেন। সকালে করলে সকাল ন-টার মধ্যে করে নেওয়াই ভাল। পূজার পর ব্রতকথা পাঠ করতে হয়। লক্ষ্মীপূজায় লোহা বা স্টিলের বাসন-কোসন ব্যবহার করবে না। লোহা দিয়ে অলক্ষ্মী পূজা হয়। তাই লোহা দেখলে লক্ষ্মী সে গৃহ ত্যাগ করে চলে যান। যার যে প্রতিমায় পূজা করার নিয়ম সে সেই নিয়মেই পূজা করবে। পূজার পূর্বে পূজাস্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ধূপ দীপ জ্বালিয়ে দেবে। পূজাস্থানে লক্ষ্মীর পা-সহ আলপনা আঁকবে। ঘটের পাশে একটি লক্ষ্মীর পা অবশ্যই আঁকবে। পূজার সময় অন্য মনস্ক হবে না। মনকে লক্ষ্মীতে স্থির রাখবে।

    মা লক্ষী দেবীর গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য:-

    মা লক্ষ্মীর চারটি হাত। ধর্ম, কর্ম, অর্থ ও মোক্ষ— হিন্দুশাস্ত্রে এই চার হাতের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে এভাবেই। যাঁরা মনে করেন মা লক্ষ্মী শুধুমাত্র ধনের দেবী, তাঁরা সম্ভবত দেবীর এই ব্যাখ্যা সম্পর্কে অবহিত নন। সমুদ্রমন্থন থেকে উদ্ভব মা লক্ষ্মীর। কিন্তু সবার আগে জানা প্রয়োজন তিনি কে? কীভাবে আবির্ভূত হলেন তিনি। এই নিয়ে নানা মত রয়েছে। কখনও বলা হয় তিনি ছিলেন ঋষি ভৃগুর সন্তান এবং সমুদ্রমন্থনে তাঁর পুনর্জন্ম হয়। আবার অন্য একটি মত অনুযায়ী, তিনি সমুদ্রদেব বরুণের কন্যা। মা লক্ষ্মীরও আগে আবির্ভূত হয়েছিলেন দেবী সরস্বতী। একটি পৌরাণিক গল্পে বলা হয়েছে, ব্রহ্মার সাত সন্তান, সপ্তঋষির মধ্যে ৬ জনই দেবী সরস্বতীর আরাধনা করে দৈবজ্ঞান লাভ করেন। কিন্তু প্রশ্ন তোলেন মহর্ষি ভৃগু। মানবশরীরের ক্ষুধা নিবারণ কীভাবে ঘটে, সেই খোঁজে তিনি বেরিয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত উত্তরটি পান সমুদ্রদেব বরুণের কাছে। মহর্ষি ভৃগু তার পরেই উপলব্ধি করেন যে, মগজের বা মননের পুষ্টিলাভ যেমন হয় দেবী সরস্বতীর আরাধনায় তেমনই নশ্বর শরীরের পুষ্টির জন্য মা লক্ষ্মীর আবাহন ও পূজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মা লক্ষ্মীকে শুধুমাত্র ধনদেবী হিসেবে দেখলে তাঁর মহিমার সম্পূর্ণটা দেখা হয় না। তাঁর আশীর্বাদ মানুষের ক্ষুধা নিবারণের জন্য, গৃহস্থের সার্বিক কল্যাণের জন্য। আর এই দুয়ের জন্যই প্রয়োজন অর্থের। কিন্তু সেই অর্থ পাওয়ার পরে মানুষ তার প্রয়োগ কীভাবে করছে, সেদিকে তাঁর কড়া নজর। অপচয় বা অন্যায় প্রয়োগ তিনি সইতে পারেন না, তাই তিনি চঞ্চলা।

     

    পুজোর আগে কিছু সাধারণ নিয়ম:-

    * সাধারণত কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে সারা রাত জেগে থাকার বিধি আছে। এই পূজার সঙ্গে কৃষকদের একটা বড় সম্পর্ক রয়েছে। তাই শোনা যায় সারারাত জেগে তারা ওইদিন শস্য পাহারা দেয়। সঙ্গে মার কাছে আশীর্বাদ চেয়ে নেওয়া হয়। আবার অনেকে মনে করেন, লক্ষ্মী দেবী চঞ্চলা তাই সারারাত জেগে তাকে পাহারা দেওয়া হয়, যাতে তিনি পালিয়ে না যান। এই কথা মা ঠাকুমাদের মুখে প্রায়ই শোনা যায়। লক্ষ্মীদেবী ধনসম্পদ তাকেই দেন, যে তার পুরো মর্যাদা দেয়। যে সেই ধনসম্পদ সমাজের কল্যাণে কাজে লাগায়। তাই লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা অত্যন্ত শুদ্ধ মনে করতে হয়। মা লক্ষ্মী অল্পেই খুশী হন। তাই এই পূজায় খুব একটা বাহুল্য নেই। যে যার সাধ্যমতো পূজা করে। তবে পূজার আগে পূজার স্থান একদম পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর সুন্দর করে আলপনা দিতে হবে। প্রতি ঘরের দরজায়, পূজার স্থানে লক্ষ্মীর পা অবশ্যই আঁকবে। সেইদিন আলপনা মুছবে না। তারপর পূজার জায়গা সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজিয়ে, ধূপ, ধুনো, প্রদীপ জ্বালিয়ে দিতে হয়।

    পুজো শুরু করার নিয়ম:-

    * সব আয়োজন পূর্ণ এবার পূজা শুরু। শুরুর আগে গঙ্গা জল ছিটিয়ে দিতে হবে নিজের ও সকলের মাথায় ও পূজার স্থানে। তারপর ভগবান নারায়ণকে মনে মনে স্মরণ করে পূজা শুরু করবে। পূজার স্থানে একটি তামার পাত্রে জল রাখবে। এই জল সূর্য দেবতাকে অর্পণ করার জন্য। তিনি সকল শক্তির উৎস। তাঁকে ছাড়া পৃথিবী অন্ধকার। তাই তাঁকে জল দেওয়া বাঞ্ছনীয়। তামার পাত্রে জল ঢালতে ঢালতেই সূর্যদেবতাকে স্মরণ করুবে। এরপর ঘট স্থাপনের পালা। মাটির একটি গোল ডেলা মত করে নিন, সমান করে নিতে হবে। তার ওপর ঘট বসাবে। এবং ঘটের সামনে একটু ধান ছড়িয়ে দিববে। ঘটে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকবে সিঁদুর দিয়ে। ঘটের ওপর আমের পাতা রাখববে। পাতার সংখ্যা যেনো বিজোড় হয়। আর পাতার ওপর তেল ও সিঁদুরের ফোঁটা দেবে। ঘটে গঙ্গাজল দিয়ে তার ওপর আমের পাতা রাখবে। পাতার ওপর একটা হরিতকী, ফুল, দুব্বো, সব দিয়ে ঘট সাজাবে।

    মা লক্ষী দেবীর আহবান:-

    *ঘট স্থাপনের পর মাকে প্রণাম করার পালা। ধ্যান মন্ত্রে মা কে প্রণাম করতে হবে। লক্ষ্মী পাঁচালীর বইয়ে এই মন্ত্র পাবে। এই বই যেকোনো দশকর্মার দোকানে পেয়ে যাবে। তবে এই মন্ত্র উচ্চারন একটু শক্ত। তাই যদি সঠিক উচ্চারন করতে না পারা যায়, তাহলে মাকে মনে মনে স্মরণ করে প্রণাম জানাবে। মাকে প্রণাম করে এবার আহবান জানাতে হবে। আহবান মন্ত্রও বইয়ে দেওয়া থাকে। না জানলে মাকে মনে মনে আহবান জানাতে হবে। হাত নমস্কার করে চোখ বন্ধ করে, বলতে হবে, “এসো মা আমার গৃহে প্রবেশ করো। আমার গৃহে অধিষ্ঠান করো। আমার এই সামান্য আয়োজন, নৈবিদ্য গ্রহণ করো মা।”

    *এইভাবে মাকে আহবান জানাবে। মা যখন ঘরে প্রবেশ করছেন, তাই তখন. মায়ের পা ধুয়ে দিতে হবে। মায়ের আঁকা পায়ে জলের ছিটা দিববে। তারপর ঘটে আতপ চাল, দুব্বো, ফুল ও চন্দন দিববে। এরপর একে একে দেবীকে সব অর্পণ করবে। ফল,মিষ্টি যা কিছু আয়োজন হয়েছে। তারপর ধূপ ধুনো দিববে। অর্পণ করার পর এবার পুষ্পাঞ্জলি। হাতে ফুল নিয়ে পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র তিনবার উচ্চারন করবে। তারপর দেবীর বাহনকে ফুল দিতে হবে। এবং নারায়নকে স্মরণ করে ঘটে ফুল দিববে। ও দেবতা ইন্দ্র ও কুবেরকে স্মরণ করে ঘটে ফুল দিবে। তারপর দেবীকে প্রণাম করতে হবে। এরপর সবশেষে লক্ষ্মীদেবীর পাঁচালী পড়ে পূজা শেষ করবে।

    *তবে কয়েকটি কথা মাথায় রাখতে হবে। লক্ষ্মীদেবীর পূজায় কাঁসর ঘণ্টা এসব বাঁজাবে না। এগুলিতে দেবী অসন্তুষ্ট হন। শুধু শাঁখ বাঁজাবে আর দেবীর ঘটে তুলসী পাতা দেবে না। আর দেবে না লোহার বাসনা। ব্যাস এই কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে শুদ্ধ মনে শুরু করে দিন পূজা। হোকনা আয়োজন সামান্য শুধু মন শুদ্ধ থাকলেই দেবী আসবেন ঘরে।

    মা লক্ষীদেবীর প্রচলিত কিছু আচার অনুষ্ঠানের ধরণ ও পন্থা:-

    *প্রতিদিন স্নান করে শুদ্ধ হয়ে লক্ষ্মী গায়ত্রী মন্ত্র ১০৮ বার জপ করলে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন মা লক্ষ্মী। এই মন্ত্র জপ করার সময় পদ্মবীজের মালা ব্যবহার করলে ভাল। দক্ষিণাবর্ত শঙ্খকে বলা হয় মা লক্ষ্মীর শঙ্খ। লাল, সাদা বা হলুদ রংয়ের একটি পরিষ্কার কাপড়, একটি রুপোর পাত্র অথবা মাটির পাত্রের উপর রাখতে হয় এই শঙ্খ। এই শঙ্খের মধ্য দিয়েই মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ প্রবাহিত হয় বাসস্থানে। বলা হয় সমস্ত দেবতা বাস করেন তুলসি বৃক্ষে আবার অন্য একটি মত অনুযায়ী দেবী তুলসি হলেন মা লক্ষ্মীরই এক রূপ। তাই বাড়িতে তুলসি বৃক্ষ থাকলে এবং সেখানে প্রতিদিন প্রদীপ জ্বাললে তুষ্ট হন মা লক্ষ্মী। ধারাবাহিকভাবে ১২ দিন ধরে সম্পূর্ণ ভক্তিভরে লক্ষ্মী দ্বাদশ স্তোত্র ১২ বার উচ্চারণ করলে, ঋণমুক্তি ঘটে। একটি বাঁশের বাঁশিকে সিল্কের কাপড়ে মুড়ে ঠাকুরের সিংহাসনে রাখলে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। কারণ বাঁশি হলো বিষ্ণুর অবতার শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়। তাই মা লক্ষ্মীরও অতি প্রিয়। শুধুমাত্র পুজোর দিনে নয়, প্রতিদিনই যদি দেবীর পায়ের চিহ্ন আঁকা হয়, তবে ভালো। প্রতিদিন না পারলে বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার এবং মা লক্ষ্মীর পুজোর তিথি থাকলে তো অবশ্যই। যিনি প্রতি শুক্রবার পরমান্ন বা মিষ্ট অন্ন দিয়ে গোসেবা করেন তাঁর প্রতি বিশেষ প্রসন্ন হন দেবী। প্রতি শুক্রবার পদ্মমূল থেকে তৈরি নয়টি সলতে দিয়ে একটি মাটির প্রদীপ মা লক্ষ্মীর পট বা প্রতিমার সামনে জ্বাললে তা গৃহে প্রাচুর্যের সমাহার ঘটায়। এছাড়া টানা ৩০ দিন ধরে মা লক্ষ্মীর প্রতিমা বা পটের সামনে নিষ্ঠাভরে শ্রী সুক্ত পাঠ করলে বিশেষ প্রসন্ন হন দেবী। শ্রী সুক্ত হলো ১৫টি ভার্সের একটি সম্মেলন। প্রতিদিন মা লক্ষ্মীর প্রতিমা বা পটের সামনে দু’টি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালে তা মঙ্গল। এর সঙ্গে পদ্ম, নারকেল ও ক্ষীরের নৈবেদ্য দিলে প্রসন্ন হন দেবী। ঠাকুরঘরে বা ঠাকুরের সিংহাসনে কড়ি এবং শঙ্খ রাখা খুবই শুভ গৃহের কল্যাণের জন্য।

    লক্ষী পুজোর যা কিছু করা নিষিদ্ধ:-

    *লক্ষ্মীপূজায় লোহা বা স্টিলের বাসনকোসন ব্যবহার করবে না। লোহা দিয়ে অলক্ষ্মী পূজা হয়। তাই লোহা দেখলে লক্ষ্মী গৃহ ত্যাগ করে যান। লক্ষ্মীপূজায় ঘণ্টা বাঁজাতে নেই। লক্ষ্মীকে তুলসীপাতা দিতে নেই। কিন্তু লক্ষ্মীপূজার পর একটি ফুল ও দুটি তুলসী পাতা দিয়ে নারায়ণকে পূজা করতে হয়। লক্ষ্মীপূজা সাধারণত সন্ধ্যাবেলা করে, তবে অনেকে সকালেও করে থাকেন। সকালে করলে সকাল ন-টার মধ্যেকরে নেওয়াই ভাল। পূজার পর ব্রতকথা পাঠ করতে হয়।
    **

    শ্রীশ্রী মা লক্ষ্মীর স্তোত্র:-

    লক্ষ্মীস্তং সর্বদেবানাং যথাসম্ভব নিত্যশঃ।
    স্থিরাভাব তথা দেবী মম জন্মনি জন্মনি।।
    বন্দে বিষ্ণু প্রিয়াং দেবী দারিদ্র্য দুঃখনাশিনী।
    ক্ষীরোদ সম্ভবাং দেবীং বিষ্ণুবক্ষ বিলাসিনীঃ।।

     শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর ধ্যান মন্ত্র:-

    ওঁ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজ সৃণিভির্যাম্য সৌম্যয়োঃ।
    পদ্মাসনাস্থাং ধায়েচ্চ শ্রীয়ং ত্রৈলোক্য মাতরং।।
    গৌরবর্ণাং স্বরূপাঞ্চ সর্বালঙ্কারভূষি তাম্।
    রৌক্নোপদ্মব্যগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু।।
    **

    শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর স্তোত্রম্:-

    ত্রৈলোক্য পূজিতে দেবী কমলে বিষ্ণুবল্লভে।
    যথাস্তং সুস্থিরা কৃষ্ণে তথা ভবময়ি স্থিরা।।
    ঈশ্বরী কমলা লক্ষ্মীশ্চলা ভূতি হরিপ্রিয়া।
    পদ্মা পদ্মালয়া সম্পদ সৃষ্টি শ্রীপদ্মধারিণী।।
    দ্বাদশৈতানি নামানি লক্ষ্মীং সম্পূজ্য যঃ পঠেত।
    স্থিরা লক্ষ্মীর্ভবেৎ তস্য পুত্রদারারদিভিংসহ।।

    বিশেষ দ্রষ্টব্য:-

    *অবশ্যই তিন বার পাঠ করতে হবে শ্রীশ্রী লক্ষ্মীর পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র,
    “নমস্তে সর্বদেবানাং বরদাসি হরিপ্রিয়ে।
    যা গতিস্তং প্রপন্নানাং সা মে ভূয়াত্বদর্চবাৎ।।”
    °°

    শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর প্রণাম মন্ত্র:-

    ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।
    সর্বতঃ পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।।”

    শেষের কথা:-

    *যেকোনো পুজোয় হোক না কেনো সব পুজোতে পুজোর একটা রীতি নীতি বা আচার অনুষ্ঠান থাকে ভিন্ন ভিন্ন। আর থাকে ভিবিন্ন রকমের মন্ত্র ও নিয়ম। আমাদের সেই মন্ত্র সঠিকভাবে ও সঠিক সময়ে পালন অর্থাৎ উচ্চারণ করে বলাটাই হলো একটু জটিল কাজ। প্রত্যেক দেবদেবীর একটা নিজস্ব কিছু রীতি নীতি মন্ত্র ইত্যাদি থাকে। পুজোর সময় সঠিক ভাবে পুজো করাটাও একটা মহৎ কাজ। মা লক্ষীর পুজোতে পুজোর মন্ত্র পড়ে সুষ্ঠ ভাবে করতে হয় বা করা উচিত। তেমনি সকল প্রকার দেবদেবীর পুজোও আমাদের বিধাতার রীতি নীতি মেনে চলাই হলো একমাত্র প্রধান কাজ। আমাদের হিন্দু শাস্ত্র মতে অনেক দেবদেবীর পুজো আমরা করে থাকি। আমরা প্রত্যেক দেবদেবীর পুজো করে থাকি ভগবানের আশীর্বাদ পাবার জন্য। প্রত্যেক ভগবানের অর্থাৎ প্রত্যেক দেবদেবীর আলাদা আলাদা আশীর্বাদের জন্যই আমরা পুজো করে থাকি। তাদের মধ্যে মা লক্ষী হলেন আমাদের ধন, সম্পদ, ঐশর্য, সুখ, শান্তি, ইত্যাদি আশীর্বাদের আশায়।

    See less
    • 0
  • 2
  • 16,826
  • 0
Answer
In: ধৰ্ম ও সংস্কৃতি

লক্ষ্মী পাঁচালী | Laxmi Panchali Bengali Lyrics

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 0 Questions
    • 373 Answers
    • 7 Best Answers
    • 3 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on March 6, 2020 at 1:44 am

    লক্ষ্মী পাঁচালি ব্রতকথা ও মন্ত্র : শরৎ পূর্ণিমার নিশি নির্মল গগন, মন্দ মন্দ বহিতেছে মলয় পবন। লক্ষ্মীদেবী বামে করি বসি নারায়ণ, বৈকুন্ঠধামেতে বসি করে আলাপন। হেনকালে বীণা হাতে আসি মুনিবর, হরিগুণগানে মত্ত হইয়া বিভোর। গান সম্বরিয়া উভে বন্দনা করিল, বসিতে আসন তারে নারায়ণ দিল। মধুর বচনে লক্ষ্মী জিজ্ঞাসRead more

    লক্ষ্মী পাঁচালি ব্রতকথা ও মন্ত্র :

    শরৎ পূর্ণিমার নিশি নির্মল গগন,
    মন্দ মন্দ বহিতেছে মলয় পবন।
    লক্ষ্মীদেবী বামে করি বসি নারায়ণ,
    বৈকুন্ঠধামেতে বসি করে আলাপন।
    হেনকালে বীণা হাতে আসি মুনিবর,
    হরিগুণগানে মত্ত হইয়া বিভোর।
    গান সম্বরিয়া উভে বন্দনা করিল,
    বসিতে আসন তারে নারায়ণ দিল।
    মধুর বচনে লক্ষ্মী জিজ্ঞাসিল তায়,
    কিবা মনে করি মুনি আসিলে হেথায়।
    কহে মুনি তুমি চিন্ত জগতের হিত,
    সবার অবস্থা আছে তোমার বিদিত।
    সুখেতে আছয়ে যত মর্ত্যবাসীগণ,
    বিস্তারিয়া মোর কাছে করহ বর্ণন।
    লক্ষ্মীমার হেন কথা শুনি মুনিবর,
    কহিতে লাগিলা তারে জুড়ি দুই কর।
    অপার করুণা তোমার আমি ভাগ্যবান,
    মর্ত্যলোকে নাহি দেখি কাহার কল্যাণ।
    সেথায় নাই মা আর সুখ শান্তি লেশ,
    দুর্ভিক্ষ অনলে মাগো পুড়িতেছে দেশ।
    রোগ-শোক নানা ব্যাধি কলিতে সবায়,
    ভুগিতেছে সকলেতে করে হায় হায়।
    অন্ন-বস্ত্র অভাবেতে আত্মহত্যা করে,
    স্ত্রী-পুত্র ত্যাজি সবাই যায় দেশান্তরে।
    স্ত্রী-পুরুষ সবে করে ধর্ম পরিহার,
    সদা চুরি প্রবঞ্চনা মিথ্যা অনাচার।
    তুমি মাগো জগতের সর্বহিতকারী,
    সুখ-শান্তি সম্পত্তির তুমি অধিকারী।
    স্থির হয়ে রহ যদি প্রতি ঘরে ঘরে,
    তবে কি জীবের এত দুঃখ হতে পারে।
    নারদের বাক্য শুনি লক্ষ্মী বিষাদিতা,
    কহিলেন মুনি প্রতি দোষ দাও বৃথা।
    নিজ কর্মফলে সবে করে দুঃখভোগ,
    অকারণে মোর প্রতি কর অনুযোগ।
    শুন হে নারদ বলি যথার্থ তোমায়,
    মম অংশে জন্ম লয় নারী সমুদয়।
    তারা যদি নিজ ধর্ম রক্ষা নাহি করে,
    তবে কি অশান্তি হয় প্রতি ঘরে ঘরে।
    লক্ষ্মীর বচন শুনি মুনি কহে ক্ষুণ্ন মনে,
    কেমনে প্রসন্ন মাতা হবে নারীগণে।
    কিভাবেতে পাবে তারা তব পদছায়া,
    দয়াময়ী তুমি মাগো না করিলে দয়া।
    মুনির বাক্যে লক্ষ্মীর দয়া উপজিল,
    মধুর বচনে তারে বিদায় করিল।
    নারীদের সর্বদুঃখ যে প্রকারে যায়,
    কহ তুমি নারায়ণ তাহার উপায়।
    শুনিয়া লক্ষ্মীর বচন কহে লক্ষ্মীপতি,
    কি হেতু উতলা প্রিয়ে স্থির কর মতি।
    প্রতি গুরুবারে মিলি যত বামাগণে,
    করিবে তোমার ব্রত ভক্তিযুক্ত মনে।
    নারায়ণের বাক্যে লক্ষ্মী অতি হৃষ্টমন,
    ব্রত প্রচারিতে মর্ত্যে করিল গমন।
    মর্ত্যে আসি ছদ্মবেশে ভ্রমে নারায়ণী,
    দেখিলেন বনমধ্যে বৃদ্ধা এক বসিয়া আপনি।
    সদয় হইয়া লক্ষ্মী জিজ্ঞাসিল তারে,
    কহ মাগো কি হেতু এ ঘোর কান্তারে।
    বৃদ্ধা কহে শোন মাতা আমি অভাগিনী,
    কহিল সে লক্ষ্মী প্রতি আপন কাহিনী।
    পতি-পুত্র ছিল মোর লক্ষ্মীযুক্ত ঘর,
    এখন সব ছিন্নভিন্ন যাতনাই সার।
    যাতনা সহিতে নারি এসেছি কানন,
    ত্যাজিব জীবন আজি করেছি মনন।
    নারায়ণী বলে শুন আমার বচন,
    আত্মহত্যা মহাপাপ নরকে গমন।
    যাও মা গৃহেতে ফিরি কর লক্ষ্মী ব্রত,
    আবার আসিবে সুখ তব পূর্ব মত।
    গুরুবারে সন্ধ্যাকালে মিলি এয়োগণ,
    করিবে লক্ষ্মীর ব্রত করি এক মন।
    কহি বাছা পূজা হেতু যাহা প্রয়োজন,
    মন দিয়া শুনি লও আমার বচন।
    জলপূর্ণ ঘটে দিবে সিঁদুরের ফোঁটা,
    আম্রের পল্লব দিবে তাহে এক গোটা।
    আসন সাজায়ে দিবে তাতে গুয়া-পান,
    সিঁদুর গুলিয়া দিবে ব্রতের বিধান।
    ধূপ-দীপ জ্বালাইয়া রাখিবে ধারেতে,
    শুনিবে পাঁচালী কথা দূর্বা লয়ে হাতে।
    একমনে ব্রত কথা করিবে শ্রবণ,
    সতত লক্ষ্মীর মূর্তি করিবে চিন্তন।
    ব্রত শেষে হুলুধ্বনি দিয়ে প্রণাম করিবে,
    এয়োগণে সবে মিলি সিঁদুর পরিবে।
    দৈবযোগে একদিন ব্রতের সময়,
    দীন দুঃখী নারী একজন আসি উপনীত হয়।
    পতি তার চির রুগ্ন অক্ষম অর্জনে,
    ভিক্ষা করি অতি কষ্টে খায় দুই জনে।
    অন্তরে দেবীরে বলে আমি অতি দীনা,
    স্বামীরে কর মা সুস্থ আমি ভক্তি হীনা।
    লক্ষ্মীর প্রসাদে দুঃখ দূর হইলো তার,
    নীরোগ হইল স্বামী ঐশ্বর্য অপার।
    কালক্রমে শুভক্ষণে জন্মিল তনয়,
    হইল সংসার তার সুখের আলয়।
    এইরূপে লক্ষ্মীব্রত করি ঘরে ঘরে,
    ক্রমে প্রচারিত হলো দেশ দেশান্তরে।
    করিতে যে বা দেয় উপদেশ,
    লক্ষীদেবী তার প্রতি তুষ্ট সবিশেষ।
    এই ব্রত দেখি যে বা করে উপহাস,
    লক্ষীর কোপেতে তার হয় সর্বনাশ।

    পরিশেষে হল এক অপূর্ব ব্যাপার,
    যে ভাবে ব্রতের হয় মাহাত্ম্য প্রচার।
    বিদর্ভ নগরে এক গৃহস্থ ভবনে,
    নিয়োজিত বামাগণ ব্রতের সাধনে।
    ভিন্ন দেশবাসী এক বণিক তনয়,
    সি উপস্থিত হল ব্রতের সময়।
    বহুল সম্পত্তি তার ভাই পাঁচজন,
    পরস্পর অনুগত ছিল সর্বক্ষণ।
    ব্রত দেখি হেলা করি সাধুর তনয়,
    বলে এ কিসের ব্রত এতে কিবা ফলোদয়।
    বামাগণ বলে শুনি সাধুর বচন,
    লক্ষী ব্রত করি সবে সৌভাগ্য কারণ।
    সদাগর শুনি ইহা বলে অহঙ্কারে,
    অভাবে থাকিলে তবে পূজিব উহারে।
    ধনজন সুখভোগ যা কিছু সম্ভব,
    সকল আমার আছে আর কিবা অভাব।
    কপালে না থাকে যদি লক্ষ্মী দিবে ধন,
    হেন বাক্য কভু আমি না করি শ্রবণ।
    ধনমদে মত্ত হয়ে লক্ষ্মী করি হেলা,
    নানা দ্রব্যে পূর্ণ তরি বানিজ্যেতে গেলা।
    গর্বিত জনেরে লক্ষ্মী সইতে না পারে,
    সর্ব দুঃখে দুঃখী মাগো করেন তাহারে।
    বাড়ি গেল, ঘর গেল, ডুবিল পূর্ণ তরি,
    চলে গেল ভ্রাতৃভাব হল যে ভিখারী।
    কি দোষ পাইয়া বিধি করিলে এমন,
    অধম সন্তান আমি অতি অভাজন।
    সাধুর অবস্থা দেখি দয়াময়ী ভাবে,
    বুঝাইব কেমনে ইহা মনে মনে ভাবে।
    নানা স্থানে নানা ছলে ঘুরাইয়া ঘানি,
    অবশেষে লক্ষ্মীর ব্রতের স্থানে দিলেন আনি।
    মনেতে উদয় হল কেন সে ভিখারী,
    অপরাধ ক্ষম মাগো কুপুত্র ভাবিয়া।
    অহঙ্কার দোষে দেবী শিক্ষা দিলা মোরে,
    অপার করুণা তাই বুঝালে দীনেরে।
    বুঝালে যদি বা মাগো রাখগো চরণে,
    ক্ষমা কর ক্ষমাময়ী আশ্রিত জনেরে।
    সত্যরূপিনী তুমি কমলা তুমি যে মা,
    ক্ষমাময়ী নাম তব দীনে করি ক্ষমা।
    তুমি বিনা গতি নাই এ তিন ভুবনে,
    স্বর্গেতে স্বর্গের লক্ষ্মী ত্রিবিধ মঙ্গলে।
    তুমি মা মঙ্গলা দেবী সকল ঘরেতে,
    বিরাজিছ মা তুমি লক্ষ্মী রূপে ভূতলে।
    দেব-নর সকলের সম্পদরূপিনী,
    জগৎ সর্বস্ব তুমি ঐশ্বর্যদায়িনী।
    সর্বত্র পূজিতা তুমি ত্রিলোক পালিনী,
    সাবিত্রী বিরিঞ্চিপুরে বেদের জননী।
    ক্ষমা কর এ দাসের অপরাধ যত,
    তোমা পদে মতি যেন থাকে অবিরত।
    শ্রেষ্ঠ হতে শ্রেষ্ট তারা পরমা প্রকৃতি,
    কোপাদি বর্জিতা তুমি মূর্তিমতি ধৃতি।
    সতী সাধ্বী রমণীর তুমি মা উপমা,
    দেবগণ ভক্তি মনে পূজে সবে তোমা।
    রাস অধিষ্ঠাত্রী দেবী তুমি রাসেশ্বরী,
    সকলেই তব অংশ যত আছে নারী।
    কৃষ্ণ প্রেমময়ী তুমি কৃষ্ণ প্রাণাধিকা,
    তুমি যে ছিলে মাগো দ্বাপরে রাধিকা।
    প্রস্ফুটিত পদ্মবনে তুমি পদ্মাবতী,
    মালতি কুসুমগুচ্ছে তুমি মা মালতি।
    বনের মাঝারে তুমি মাগো বনরাণী,
    শত শৃঙ্গ শৈলোপরি শোভিত সুন্দরী।
    রাজলক্ষ্মী তুমি মাগো নরপতি পুরে,
    সকলের গৃহে লক্ষ্মী তুমি ঘরে ঘরে।
    দয়াময়ী ক্ষেমঙ্করী অধমতারিণী,
    অপরাধ ক্ষমা কর দারিদ্র্যবারিণী।
    পতিত উদ্ধার কর পতিতপাবনী,
    অজ্ঞান সন্তানে কষ্ট না দিও জননী।
    অন্নদা বরদা মাতা বিপদনাশিনী,
    দয়া কর এবে মোরে মাধব ঘরণী।
    এই রূপে স্তব করি ভক্তিপূর্ণ মনে,
    একাগ্র মনেতে সাধু ব্রত কথা শোনে।
    ব্রতের শেষে নত শিরে করিয়া প্রণাম,
    মনেতে বাসনা করি আছে নিজধাম।
    গৃহেতে আসিয়া বলে লক্ষ্মীব্রত সার,
    সবে মিলি ব্রত কর প্রতি গুরুবার।
    বধুরা অতি তুষ্ট সাধুর বাক্যেতে,
    ব্রত আচরণ করে সভক্তি মনেতে।
    নাশিল সাধুর ছিল যত দুষ্ট সহচর,
    দেবীর কৃপায় সম্পদ লভিল প্রচুর।
    আনন্দে পূর্ণিত দেখে সাধুর অন্তর,
    পূর্ণতরী উঠে ভাসি জলের উপর।
    সাধুর সংসার হল শান্তি ভরপুর,
    মিলিল সকলে পুনঃ ঐশ্বর্য প্রচুর।
    এভাবে নরলোকে হয় ব্রতের প্রচার,
    মনে রেখ সংসারেতে লক্ষ্মীব্রত সার।
    এ ব্রত যে রমণী করে এক মনে,
    দেবীর কৃপায় তার পূর্ণ ধনে জনে।
    অপুত্রার পুত্র হয় নির্ধনের ধন,
    ইহলোকে সুখী অন্তে বৈকুন্ঠে গমন।
    লক্ষ্মীর ব্রতের কথা বড়ই মধুর,
    অতি যতনেতে রাখ তাহা আসন উপর।

    যে জন ব্রতের শেষে স্তব পাঠ করে,
    অভাব ঘুচিয়া যায় লক্ষ্মীদেবীর বরে।
    লক্ষ্মীর পাঁচালী কথা হল সমাপন,
    ভক্তি করি বর মাগো যার যাহা মন।
    সিঁথিতে সিঁদুর দাও সব এয়োমিলে,
    উলুধ্বনি কর সবে অতি কৌতুহলে।
    দুই হাত জোড় করি ভক্তিযুক্ত মনে,
    নমস্কার করহ সবে দেবীর চরণে,
    নমস্কার করহ সবে দেবীর চরণে।

    See less
    • -1
  • 1
  • 3,137
  • 0
Answer
In: ধৰ্ম ও সংস্কৃতি

দোল পূর্ণিমা এবং তার বিষেশ বৈশিষ্ট | dol purnima in bengali

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 0 Questions
    • 373 Answers
    • 7 Best Answers
    • 3 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on March 9, 2020 at 2:40 am
    This answer was edited.

    দোল পূর্ণিমা বা দোল যাত্রা:- অসম, বাংলা এবং উড়িষ্যায় দোল পূর্ণিমা বা দোল যাত্রা একটি প্রধান উৎসব। ইহা একটি হিন্দু বৈষ্ণব উৎসব। বহির্বঙ্গে পালিত হোলি উৎসবটির সঙ্গে দোলযাত্রা উৎসবটি সম্পর্কযুক্ত। এই উৎসবের অপর নাম বসন্তোৎসব। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। দোলযাত্রা নিয়ে কুইজ দRead more

    দোল পূর্ণিমা বা দোল যাত্রা:-

    অসম, বাংলা এবং উড়িষ্যায় দোল পূর্ণিমা বা দোল যাত্রা একটি প্রধান উৎসব। ইহা একটি হিন্দু বৈষ্ণব উৎসব। বহির্বঙ্গে পালিত হোলি উৎসবটির সঙ্গে দোলযাত্রা উৎসবটি সম্পর্কযুক্ত। এই উৎসবের অপর নাম বসন্তোৎসব। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

    দোলযাত্রা নিয়ে কুইজ দেখুন এখানে

    বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সহিত রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। দোলযাত্রার দিন সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়। এরপর ভক্তেরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং খেলেন। দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।

    দোলযাত্রা উৎসবের একটি ধর্মনিরপেক্ষ দিকও রয়েছে। এই দিন সকাল থেকেই নারীপুরুষ নির্বিশেষে আবির, গুলাল ও বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মত্ত হয়। শান্তিনিকেতনে বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্তোৎসব পালনের রীতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকেই চলে আসছে। দোলের পূর্বদিন খড়, কাঠ, বাঁশ ইত্যাদি জ্বালিয়ে এক বিশেষ বহ্ন্যুৎসবের আয়োজন করা হয়। এই বহ্ন্যুৎসব হোলিকা দহন বা মেড়াপোড়া নামে পরিচিত। উত্তর ভারতে হোলি উৎসবটি বাংলার দোলযাত্রার পরদিন পালিত হয়।

    তাৎপর্য: দোলযাত্রা বা হোলি উৎসব সংক্রান্ত পৌরাণিক উপাখ্যান ও লোককথাগুলি মূলত দুই প্রকার: প্রথমটি দোলযাত্রার পূর্বদিন পালিত বহ্ন্যুৎসব হোলিকাদহন বা মেড়াপোড়া সংক্রান্ত, এবং দ্বিতীয়টি রাধা ও কৃষ্ণের দোললীলা বা ফাগুখেলা কেন্দ্রিক কাহিনী।

    সাংস্কৃতিক তাৎপর্য : ভারতবর্ষের বিভিন্ন হিন্দু ঐতিহ্যেই হোলি উৎসবের সাংস্কৃতিক তাৎপর্য রয়েছে। এটি একটি উৎসবমুখর দিন যখন একজন তার অতীতের ভুলগুলো ভুলে যায়। এই দিনে মানুষেরা একে অপরের মধ্যকার ঝগড়া-বিবাদ মিটমাট করে ফেলে, এই দিনে তারা এসব ঝগড়া বিবাদ ভুলে যায় ও ক্ষমা করে দেয়। তারা পুরনো ঋণ মাফ করে দেয়, এবং নতুন করে চুক্তি শুরু করে। হোলি উৎসব একই সাথে বসন্তের আগমন বার্তাও নিয়ে আসে। অনেকের কাছে এটা নতুন বছরের শুরুকে নির্দেশ করে। এটি মানুষের জন্য ঋতু পরিবর্তনকে উপভোগ করা ও নতুন বন্ধু বানাবার উৎসব

    শান্তিনিকেতনের বসন্তোৎসব : দোলযাত্রা উৎসব শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসব নামে পরিচিত। অতীতে শান্তিনিকেতনের বিদ্যালয়ে বসন্তের আগমন উপলক্ষে একটি ছোটো ঘরোয়া অনুষ্ঠানে নাচগান, আবৃত্তি ও নাট্যাভিনয় করা হত। পরবর্তীকালে এই অনুষ্ঠানটি পরিব্যপ্ত হয়ে শান্তিনিকেতনের অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব বসন্তোৎসবের আকার নেয়। ফাল্গুনী পূর্ণিমা অর্থাৎ দোলপূর্ণিমার দিনই শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসবের আয়োজন করা হয়। পূর্বরাত্রে বৈতালিক হয়। দোলের দিন সকালে ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল গানটির মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সন্ধ্যায় গৌরপ্রাঙ্গনে রবীন্দ্রনাথের কোনো নাটক অভিনীত হয়।

    See less
    • 0
  • 1
  • 2,748
  • 0
Answer
In: ধৰ্ম ও সংস্কৃতি

শ্রী শ্রী লক্ষীদেবীর ব্রতকথা | Lakshmi Broto Kotha in Bengali PDF

  1. Nibedita Paul

    Nibedita Paul

    • India
    • 41 Questions
    • 153 Answers
    • 8 Best Answers
    • 678 Points
    View Profile
    Nibedita Paul
    Added an answer on October 20, 2021 at 5:52 pm

    ব্রতকথা: লক্ষ্মীকে নিয়ে বাংলার জনসমাজে বিভিন্ন জনপ্রিয় গল্প প্রচলিত আছে। এই গল্পগুলি পাঁচালির আকারে লক্ষ্মীপূজার দিন পাঠ করা হয়। একে লক্ষ্মীর পাঁচালি বলে। লক্ষ্মীর ব্রতকথাগুলির মধ্যে "বৃহস্পতিবারের ব্রতকথা" সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়াও "বারোমাসের পাঁচালি"-তেও লক্ষ্মীকে নিয়ে অনেক লৌকিক গল্পের উল্লেখRead more

    ব্রতকথা:

    লক্ষ্মীকে নিয়ে বাংলার জনসমাজে বিভিন্ন জনপ্রিয় গল্প প্রচলিত আছে। এই গল্পগুলি পাঁচালির আকারে লক্ষ্মীপূজার দিন পাঠ করা হয়। একে লক্ষ্মীর পাঁচালি বলে। লক্ষ্মীর ব্রতকথাগুলির মধ্যে “বৃহস্পতিবারের ব্রতকথা” সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়াও “বারোমাসের পাঁচালি”-তেও লক্ষ্মীকে নিয়ে অনেক লৌকিক গল্পের উল্লেখ পাওয়া যায়।

    লক্ষ্মী পাঁচালি ব্রতকথা:

    শরৎ পূর্ণিমার নিশি নির্মল গগন,
    মন্দ মন্দ বহিতেছে মলয় পবন।
    লক্ষ্মীদেবী বামে করি বসি নারায়ণ,
    বৈকুন্ঠধামেতে বসি করে আলাপন।
    হেনকালে বীণা হাতে আসি মুনিবর,
    হরিগুণগানে মত্ত হইয়া বিভোর।
    গান সম্বরিয়া উভে বন্দনা করিল,
    বসিতে আসন তারে নারায়ণ দিল।
    মধুর বচনে লক্ষ্মী জিজ্ঞাসিল তায়,
    কিবা মনে করি মুনি আসিলে হেথায়।
    কহে মুনি তুমি চিন্ত জগতের হিত,
    সবার অবস্থা আছে তোমার বিদিত।
    সুখেতে আছয়ে যত মর্ত্যবাসীগণ,
    বিস্তারিয়া মোর কাছে করহ বর্ণন।
    লক্ষ্মীমার হেন কথা শুনি মুনিবর,
    কহিতে লাগিলা তারে জুড়ি দুই কর।
    অপার করুণা তোমার আমি ভাগ্যবান,
    মর্ত্যলোকে নাহি দেখি কাহার কল্যাণ।
    সেথায় নাই মা আর সুখ শান্তি লেশ,
    দুর্ভিক্ষ অনলে মাগো পুড়িতেছে দেশ।
    রোগ-শোক নানা ব্যাধি কলিতে সবায়,
    ভুগিতেছে সকলেতে করে হায় হায়।
    অন্ন-বস্ত্র অভাবেতে আত্মহত্যা করে,
    স্ত্রী-পুত্র ত্যাজি সবাই যায় দেশান্তরে।
    স্ত্রী-পুরুষ সবে করে ধর্ম পরিহার,
    সদা চুরি প্রবঞ্চনা মিথ্যা অনাচার।
    তুমি মাগো জগতের সর্বহিতকারী,
    সুখ-শান্তি সম্পত্তির তুমি অধিকারী।
    স্থির হয়ে রহ যদি প্রতি ঘরে ঘরে,
    তবে কি জীবের এত দুঃখ হতে পারে।
    নারদের বাক্য শুনি লক্ষ্মী বিষাদিতা,
    কহিলেন মুনি প্রতি দোষ দাও বৃথা।
    নিজ কর্মফলে সবে করে দুঃখভোগ,
    অকারণে মোর প্রতি কর অনুযোগ।
    শুন হে নারদ বলি যথার্থ তোমায়,
    মম অংশে জন্ম লয় নারী সমুদয়।
    তারা যদি নিজ ধর্ম রক্ষা নাহি করে,
    তবে কি অশান্তি হয় প্রতি ঘরে ঘরে।
    লক্ষ্মীর বচন শুনি মুনি কহে ক্ষুণ্ন মনে,
    কেমনে প্রসন্ন মাতা হবে নারীগণে।
    কিভাবেতে পাবে তারা তব পদছায়া,
    দয়াময়ী তুমি মাগো না করিলে দয়া।
    মুনির বাক্যে লক্ষ্মীর দয়া উপজিল,
    মধুর বচনে তারে বিদায় করিল।
    নারীদের সর্বদুঃখ যে প্রকারে যায়,
    কহ তুমি নারায়ণ তাহার উপায়।
    শুনিয়া লক্ষ্মীর বচন কহে লক্ষ্মীপতি,
    কি হেতু উতলা প্রিয়ে স্থির কর মতি।
    প্রতি গুরুবারে মিলি যত বামাগণে,
    করিবে তোমার ব্রত ভক্তিযুক্ত মনে।
    নারায়ণের বাক্যে লক্ষ্মী অতি হৃষ্টমন,
    ব্রত প্রচারিতে মর্ত্যে করিল গমন।
    মর্ত্যে আসি ছদ্মবেশে ভ্রমে নারায়ণী,
    দেখিলেন বনমধ্যে বৃদ্ধা এক বসিয়া আপনি।
    সদয় হইয়া লক্ষ্মী জিজ্ঞাসিল তারে,
    কহ মাগো কি হেতু এ ঘোর কান্তারে।
    বৃদ্ধা কহে শোন মাতা আমি অভাগিনী,
    কহিল সে লক্ষ্মী প্রতি আপন কাহিনী।
    পতি-পুত্র ছিল মোর লক্ষ্মীযুক্ত ঘর,
    এখন সব ছিন্নভিন্ন যাতনাই সার।
    যাতনা সহিতে নারি এসেছি কানন,
    ত্যাজিব জীবন আজি করেছি মনন।
    নারায়ণী বলে শুন আমার বচন,
    আত্মহত্যা মহাপাপ নরকে গমন।
    যাও মা গৃহেতে ফিরি কর লক্ষ্মী ব্রত,
    আবার আসিবে সুখ তব পূর্ব মত।
    গুরুবারে সন্ধ্যাকালে মিলি এয়োগণ,
    করিবে লক্ষ্মীর ব্রত করি এক মন।
    কহি বাছা পূজা হেতু যাহা প্রয়োজন,
    মন দিয়া শুনি লও আমার বচন।
    জলপূর্ণ ঘটে দিবে সিঁদুরের ফোঁটা,
    আম্রের পল্লব দিবে তাহে এক গোটা।
    আসন সাজায়ে দিবে তাতে গুয়া-পান,
    সিঁদুর গুলিয়া দিবে ব্রতের বিধান।
    ধূপ-দীপ জ্বালাইয়া রাখিবে ধারেতে,
    শুনিবে পাঁচালী কথা দূর্বা লয়ে হাতে।
    একমনে ব্রত কথা করিবে শ্রবণ,
    সতত লক্ষ্মীর মূর্তি করিবে চিন্তন।
    ব্রত শেষে হুলুধ্বনি দিয়ে প্রণাম করিবে,
    এয়োগণে সবে মিলি সিঁদুর পরিবে।
    দৈবযোগে একদিন ব্রতের সময়,
    দীন দুঃখী নারী একজন আসি উপনীত হয়।
    পতি তার চির রুগ্ন অক্ষম অর্জনে,
    ভিক্ষা করি অতি কষ্টে খায় দুই জনে।
    অন্তরে দেবীরে বলে আমি অতি দীনা,
    স্বামীরে কর মা সুস্থ আমি ভক্তি হীনা।
    লক্ষ্মীর প্রসাদে দুঃখ দূর হইলো তার,
    নীরোগ হইল স্বামী ঐশ্বর্য অপার।
    কালক্রমে শুভক্ষণে জন্মিল তনয়,
    হইল সংসার তার সুখের আলয়।
    এইরূপে লক্ষ্মীব্রত করি ঘরে ঘরে,
    ক্রমে প্রচারিত হলো দেশ দেশান্তরে।
    করিতে যে বা দেয় উপদেশ,
    লক্ষীদেবী তার প্রতি তুষ্ট সবিশেষ।
    এই ব্রত দেখি যে বা করে উপহাস,
    লক্ষীর কোপেতে তার হয় সর্বনাশ।

    পরিশেষে হল এক অপূর্ব ব্যাপার,
    যে ভাবে ব্রতের হয় মাহাত্ম্য প্রচার।
    বিদর্ভ নগরে এক গৃহস্থ ভবনে,
    নিয়োজিত বামাগণ ব্রতের সাধনে।
    ভিন্ন দেশবাসী এক বণিক তনয়,
    সি উপস্থিত হল ব্রতের সময়।
    বহুল সম্পত্তি তার ভাই পাঁচজন,
    পরস্পর অনুগত ছিল সর্বক্ষণ।
    ব্রত দেখি হেলা করি সাধুর তনয়,
    বলে এ কিসের ব্রত এতে কিবা ফলোদয়।
    বামাগণ বলে শুনি সাধুর বচন,
    লক্ষী ব্রত করি সবে সৌভাগ্য কারণ।
    সদাগর শুনি ইহা বলে অহঙ্কারে,
    অভাবে থাকিলে তবে পূজিব উহারে।
    ধনজন সুখভোগ যা কিছু সম্ভব,
    সকল আমার আছে আর কিবা অভাব।
    কপালে না থাকে যদি লক্ষ্মী দিবে ধন,
    হেন বাক্য কভু আমি না করি শ্রবণ।
    ধনমদে মত্ত হয়ে লক্ষ্মী করি হেলা,
    নানা দ্রব্যে পূর্ণ তরি বানিজ্যেতে গেলা।
    গর্বিত জনেরে লক্ষ্মী সইতে না পারে,
    সর্ব দুঃখে দুঃখী মাগো করেন তাহারে।
    বাড়ি গেল, ঘর গেল, ডুবিল পূর্ণ তরি,
    চলে গেল ভ্রাতৃভাব হল যে ভিখারী।
    কি দোষ পাইয়া বিধি করিলে এমন,
    অধম সন্তান আমি অতি অভাজন।
    সাধুর অবস্থা দেখি দয়াময়ী ভাবে,
    বুঝাইব কেমনে ইহা মনে মনে ভাবে।
    নানা স্থানে নানা ছলে ঘুরাইয়া ঘানি,
    অবশেষে লক্ষ্মীর ব্রতের স্থানে দিলেন আনি।
    মনেতে উদয় হল কেন সে ভিখারী,
    অপরাধ ক্ষম মাগো কুপুত্র ভাবিয়া।
    অহঙ্কার দোষে দেবী শিক্ষা দিলা মোরে,
    অপার করুণা তাই বুঝালে দীনেরে।
    বুঝালে যদি বা মাগো রাখগো চরণে,
    ক্ষমা কর ক্ষমাময়ী আশ্রিত জনেরে।
    সত্যরূপিনী তুমি কমলা তুমি যে মা,
    ক্ষমাময়ী নাম তব দীনে করি ক্ষমা।
    তুমি বিনা গতি নাই এ তিন ভুবনে,
    স্বর্গেতে স্বর্গের লক্ষ্মী ত্রিবিধ মঙ্গলে।
    তুমি মা মঙ্গলা দেবী সকল ঘরেতে,
    বিরাজিছ মা তুমি লক্ষ্মী রূপে ভূতলে।
    দেব-নর সকলের সম্পদরূপিনী,
    জগৎ সর্বস্ব তুমি ঐশ্বর্যদায়িনী।
    সর্বত্র পূজিতা তুমি ত্রিলোক পালিনী,
    সাবিত্রী বিরিঞ্চিপুরে বেদের জননী।
    ক্ষমা কর এ দাসের অপরাধ যত,
    তোমা পদে মতি যেন থাকে অবিরত।
    শ্রেষ্ঠ হতে শ্রেষ্ট তারা পরমা প্রকৃতি,
    কোপাদি বর্জিতা তুমি মূর্তিমতি ধৃতি।
    সতী সাধ্বী রমণীর তুমি মা উপমা,
    দেবগণ ভক্তি মনে পূজে সবে তোমা।
    রাস অধিষ্ঠাত্রী দেবী তুমি রাসেশ্বরী,
    সকলেই তব অংশ যত আছে নারী।
    কৃষ্ণ প্রেমময়ী তুমি কৃষ্ণ প্রাণাধিকা,
    তুমি যে ছিলে মাগো দ্বাপরে রাধিকা।
    প্রস্ফুটিত পদ্মবনে তুমি পদ্মাবতী,
    মালতি কুসুমগুচ্ছে তুমি মা মালতি।
    বনের মাঝারে তুমি মাগো বনরাণী,
    শত শৃঙ্গ শৈলোপরি শোভিত সুন্দরী।
    রাজলক্ষ্মী তুমি মাগো নরপতি পুরে,
    সকলের গৃহে লক্ষ্মী তুমি ঘরে ঘরে।
    দয়াময়ী ক্ষেমঙ্করী অধমতারিণী,
    অপরাধ ক্ষমা কর দারিদ্র্যবারিণী।
    পতিত উদ্ধার কর পতিতপাবনী,
    অজ্ঞান সন্তানে কষ্ট না দিও জননী।
    অন্নদা বরদা মাতা বিপদনাশিনী,
    দয়া কর এবে মোরে মাধব ঘরণী।
    এই রূপে স্তব করি ভক্তিপূর্ণ মনে,
    একাগ্র মনেতে সাধু ব্রত কথা শোনে।
    ব্রতের শেষে নত শিরে করিয়া প্রণাম,
    মনেতে বাসনা করি আছে নিজধাম।
    গৃহেতে আসিয়া বলে লক্ষ্মীব্রত সার,
    সবে মিলি ব্রত কর প্রতি গুরুবার।
    বধুরা অতি তুষ্ট সাধুর বাক্যেতে,
    ব্রত আচরণ করে সভক্তি মনেতে।
    নাশিল সাধুর ছিল যত দুষ্ট সহচর,
    দেবীর কৃপায় সম্পদ লভিল প্রচুর।
    আনন্দে পূর্ণিত দেখে সাধুর অন্তর,
    পূর্ণতরী উঠে ভাসি জলের উপর।
    সাধুর সংসার হল শান্তি ভরপুর,
    মিলিল সকলে পুনঃ ঐশ্বর্য প্রচুর।
    এভাবে নরলোকে হয় ব্রতের প্রচার,
    মনে রেখ সংসারেতে লক্ষ্মীব্রত সার।
    এ ব্রত যে রমণী করে এক মনে,
    দেবীর কৃপায় তার পূর্ণ ধনে জনে।
    অপুত্রার পুত্র হয় নির্ধনের ধন,
    ইহলোকে সুখী অন্তে বৈকুন্ঠে গমন।
    লক্ষ্মীর ব্রতের কথা বড়ই মধুর,
    অতি যতনেতে রাখ তাহা আসন উপর।

    যে জন ব্রতের শেষে স্তব পাঠ করে,
    অভাব ঘুচিয়া যায় লক্ষ্মীদেবীর বরে।
    লক্ষ্মীর পাঁচালী কথা হল সমাপন,
    ভক্তি করি বর মাগো যার যাহা মন।
    সিঁথিতে সিঁদুর দাও সব এয়োমিলে,
    উলুধ্বনি কর সবে অতি কৌতুহলে।
    দুই হাত জোড় করি ভক্তিযুক্ত মনে,
    নমস্কার করহ সবে দেবীর চরণে,
    নমস্কার করহ সবে দেবীর চরণে।

    See less
    • 0
  • 1
  • 2,095
  • 0
Answer
In: ধৰ্ম ও সংস্কৃতি

দোল পূর্ণিমা নিশি নির্মল আকাশ | Dol Purnima Nishi Nirmal Akash lyrics

  1. purnima saha

    purnima saha

    • 0 Questions
    • 1 Answer
    • 0 Best Answers
    • 15 Points
    View Profile
    purnima saha
    Added an answer on October 19, 2021 at 12:28 am

    I want this in English because I can't read bengali...so can u pls convert it into English letters,so that I can in bengali

    I want this in English because I can’t read bengali…so can u pls convert it into English letters,so that I can in bengali

    See less
    • 1
  • 5
  • 26,137
  • 0
Answer
In: ধৰ্ম ও সংস্কৃতি

শ্রী শ্রী লক্ষীদেবীর প্রণাম মন্ত্র ও ব্রতকথা | Mahalakshmi Mantra in Bengali

  1. Nibedita Paul

    Nibedita Paul

    • India
    • 41 Questions
    • 153 Answers
    • 8 Best Answers
    • 678 Points
    View Profile
    Best Answer
    Nibedita Paul
    Added an answer on October 20, 2021 at 5:46 pm

    শ্রীশ্রী মা লক্ষ্মীর স্তোত্র:- লক্ষ্মীস্তং সর্বদেবানাং যথাসম্ভব নিত্যশঃ। স্থিরাভাব তথা দেবী মম জন্মনি জন্মনি।। বন্দে বিষ্ণু প্রিয়াং দেবী দারিদ্র্য দুঃখনাশিনী। ক্ষীরোদ সম্ভবাং দেবীং বিষ্ণুবক্ষ বিলাসিনীঃ।।  শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর ধ্যান মন্ত্র:- ওঁ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজ সৃণিভির্যাম্য সৌম্যয়োঃ। পদ্মাসনাস্থাং ধRead more

    শ্রীশ্রী মা লক্ষ্মীর স্তোত্র:-

    লক্ষ্মীস্তং সর্বদেবানাং যথাসম্ভব নিত্যশঃ।
    স্থিরাভাব তথা দেবী মম জন্মনি জন্মনি।।
    বন্দে বিষ্ণু প্রিয়াং দেবী দারিদ্র্য দুঃখনাশিনী।
    ক্ষীরোদ সম্ভবাং দেবীং বিষ্ণুবক্ষ বিলাসিনীঃ।।

     শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর ধ্যান মন্ত্র:-

    ওঁ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজ সৃণিভির্যাম্য সৌম্যয়োঃ।
    পদ্মাসনাস্থাং ধায়েচ্চ শ্রীয়ং ত্রৈলোক্য মাতরং।।
    গৌরবর্ণাং স্বরূপাঞ্চ সর্বালঙ্কারভূষি তাম্।
    রৌক্নোপদ্মব্যগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু।।

    শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর স্তোত্রম্:-

    ত্রৈলোক্য পূজিতে দেবী কমলে বিষ্ণুবল্লভে।
    যথাস্তং সুস্থিরা কৃষ্ণে তথা ভবময়ি স্থিরা।।
    ঈশ্বরী কমলা লক্ষ্মীশ্চলা ভূতি হরিপ্রিয়া।
    পদ্মা পদ্মালয়া সম্পদ সৃষ্টি শ্রীপদ্মধারিণী।।
    দ্বাদশৈতানি নামানি লক্ষ্মীং সম্পূজ্য যঃ পঠেত।
    স্থিরা লক্ষ্মীর্ভবেৎ তস্য পুত্রদারারদিভিংসহ।।

    বিশেষ দ্রষ্টব্য:-

    *অবশ্যই তিন বার পাঠ করতে হবে শ্রীশ্রী লক্ষ্মীর পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র,
    “নমস্তে সর্বদেবানাং বরদাসি হরিপ্রিয়ে।
    যা গতিস্তং প্রপন্নানাং সা মে ভূয়াত্বদর্চবাৎ।।”
    °°

    শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর প্রণাম মন্ত্র:-

    ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।
    সর্বতঃ পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।।”

    See less
    • 0
  • 2
  • 1,885
  • 0
Answer
In: ধৰ্ম ও সংস্কৃতি

শ্রী শ্রী লক্ষীদেবীর প্রণাম মন্ত্র ও ব্রতকথা | Laxmi Pranam Mantra in Bengali

  1. Nibedita Paul

    Nibedita Paul

    • India
    • 41 Questions
    • 153 Answers
    • 8 Best Answers
    • 678 Points
    View Profile
    Best Answer
    Nibedita Paul
    Added an answer on October 20, 2021 at 5:48 pm

    শ্রীশ্রী মা লক্ষ্মীর স্তোত্র:- লক্ষ্মীস্তং সর্বদেবানাং যথাসম্ভব নিত্যশঃ। স্থিরাভাব তথা দেবী মম জন্মনি জন্মনি।। বন্দে বিষ্ণু প্রিয়াং দেবী দারিদ্র্য দুঃখনাশিনী। ক্ষীরোদ সম্ভবাং দেবীং বিষ্ণুবক্ষ বিলাসিনীঃ।।  শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর ধ্যান মন্ত্র:- ওঁ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজ সৃণিভির্যাম্য সৌম্যয়োঃ। পদ্মাসনাস্থাং ধRead more

    শ্রীশ্রী মা লক্ষ্মীর স্তোত্র:-

    লক্ষ্মীস্তং সর্বদেবানাং যথাসম্ভব নিত্যশঃ।
    স্থিরাভাব তথা দেবী মম জন্মনি জন্মনি।।
    বন্দে বিষ্ণু প্রিয়াং দেবী দারিদ্র্য দুঃখনাশিনী।
    ক্ষীরোদ সম্ভবাং দেবীং বিষ্ণুবক্ষ বিলাসিনীঃ।।

     শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর ধ্যান মন্ত্র:-

    ওঁ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজ সৃণিভির্যাম্য সৌম্যয়োঃ।
    পদ্মাসনাস্থাং ধায়েচ্চ শ্রীয়ং ত্রৈলোক্য মাতরং।।
    গৌরবর্ণাং স্বরূপাঞ্চ সর্বালঙ্কারভূষি তাম্।
    রৌক্নোপদ্মব্যগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু।।

    শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর স্তোত্রম্:-

    ত্রৈলোক্য পূজিতে দেবী কমলে বিষ্ণুবল্লভে।
    যথাস্তং সুস্থিরা কৃষ্ণে তথা ভবময়ি স্থিরা।।
    ঈশ্বরী কমলা লক্ষ্মীশ্চলা ভূতি হরিপ্রিয়া।
    পদ্মা পদ্মালয়া সম্পদ সৃষ্টি শ্রীপদ্মধারিণী।।
    দ্বাদশৈতানি নামানি লক্ষ্মীং সম্পূজ্য যঃ পঠেত।
    স্থিরা লক্ষ্মীর্ভবেৎ তস্য পুত্রদারারদিভিংসহ।।

    বিশেষ দ্রষ্টব্য:-

    *অবশ্যই তিন বার পাঠ করতে হবে শ্রীশ্রী লক্ষ্মীর পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র,
    “নমস্তে সর্বদেবানাং বরদাসি হরিপ্রিয়ে।
    যা গতিস্তং প্রপন্নানাং সা মে ভূয়াত্বদর্চবাৎ।।”

    শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর প্রণাম মন্ত্র:-

    ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।
    সর্বতঃ পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।।”

    See less
    • 0
  • 2
  • 15,438
  • 0
Answer
In: ধৰ্ম ও সংস্কৃতি

কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা | Kojagari Lakshmi Puja in Bengali pdf

  1. Nibedita Paul

    Nibedita Paul

    • India
    • 41 Questions
    • 153 Answers
    • 8 Best Answers
    • 678 Points
    View Profile
    Nibedita Paul
    Added an answer on October 20, 2021 at 6:02 pm

    কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা   সূচনাঃ  লক্ষ্মী ধনসম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী। তিনি বিষ্ণুর পত্নী। তার অপর নাম মহালক্ষ্মীইনি স্বত্ত্ব গুন ময়ী।লক্ষ্মীর বাহনের নাম পেঁচা। তাছাড়া  লক্ষ্মী ছয়টি বিশেষ গুণের দেবী। তিনি বিষ্ণুর শক্তিরও উৎস। বিষ্ণু রাম ও কৃষ্ণ রূপে অবতার গ্রহণ করলে, লক্ষRead more

    কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা

     

    সূচনাঃ 

    লক্ষ্মী ধনসম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী। তিনি বিষ্ণুর পত্নী। তার অপর নাম মহালক্ষ্মীইনি স্বত্ত্ব গুন ময়ী।লক্ষ্মীর বাহনের নাম পেঁচা। তাছাড়া  লক্ষ্মী ছয়টি বিশেষ গুণের দেবী। তিনি বিষ্ণুর শক্তিরও উৎস। বিষ্ণু রাম ও কৃষ্ণ রূপে অবতার গ্রহণ করলে, লক্ষ্মী সীতা,রাধা,রুক্মিণী,সত্যভামা রূপে তাঁদের সঙ্গিনী হন।

    লক্ষ্মীর পূজা অধিকাংশ হিন্দুর গৃহেই অনুষ্ঠিত হয়। দীপাবলি ও কোজাগরী পূর্ণিমার দিন তার বিশেষ পূজা হয়। এটি কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা নামে খ্যাত। বাঙালি হিন্দুরা প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপূজা করে থাকেন

    পূজার নিয়মাবলীঃ

    * লক্ষ্মীপূজায় ঘণ্টা বাঁজাতে নেই। লক্ষ্মীকে তুলসীপাতা দিতে নেই। কিন্তু লক্ষ্মীপূজার পর একটি ফুল ও দুটি তুলসীপাতা দিয়ে নারায়ণকে পূজা করতে হয়। লক্ষ্মীপূজা সাধারণত সন্ধ্যাবেলা করে, তবে অনেকে সকালেও করে থাকেন। সকালে করলে সকাল ন-টার মধ্যে করে নেওয়াই ভাল। পূজার পর ব্রতকথা পাঠ করতে হয়। লক্ষ্মীপূজায় লোহা বা স্টিলের বাসন-কোসন ব্যবহার করবে না। লোহা দিয়ে অলক্ষ্মী পূজা হয়। তাই লোহা দেখলে লক্ষ্মী সে গৃহ ত্যাগ করে চলে যান। যার যে প্রতিমায় পূজা করার নিয়ম সে সেই নিয়মেই পূজা করবে। পূজার পূর্বে পূজাস্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ধূপ দীপ জ্বালিয়ে দেবে। পূজাস্থানে লক্ষ্মীর পা-সহ আলপনা আঁকবে। ঘটের পাশে একটি লক্ষ্মীর পা অবশ্যই আঁকবে। পূজার সময় অন্য মনস্ক হবে না। মনকে লক্ষ্মীতে স্থির রাখবে।

    মা লক্ষী দেবীর গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্যঃ

    মা লক্ষ্মীর চারটি হাত। ধর্ম, কর্ম, অর্থ ও মোক্ষ— হিন্দুশাস্ত্রে এই চার হাতের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে এভাবেই। যাঁরা মনে করেন মা লক্ষ্মী শুধুমাত্র ধনের দেবী, তাঁরা সম্ভবত দেবীর এই ব্যাখ্যা সম্পর্কে অবহিত নন। সমুদ্রমন্থন থেকে উদ্ভব মা লক্ষ্মীর। কিন্তু সবার আগে জানা প্রয়োজন তিনি কে? কীভাবে আবির্ভূত হলেন তিনি। এই নিয়ে নানা মত রয়েছে। কখনও বলা হয় তিনি ছিলেন ঋষি ভৃগুর সন্তান এবং সমুদ্রমন্থনে তাঁর পুনর্জন্ম হয়। আবার অন্য একটি মত অনুযায়ী, তিনি সমুদ্রদেব বরুণের কন্যা। মা লক্ষ্মীরও আগে আবির্ভূত হয়েছিলেন দেবী সরস্বতী। একটি পৌরাণিক গল্পে বলা হয়েছে, ব্রহ্মার সাত সন্তান, সপ্তঋষির মধ্যে ৬ জনই দেবী সরস্বতীর আরাধনা করে দৈবজ্ঞান লাভ করেন। কিন্তু প্রশ্ন তোলেন মহর্ষি ভৃগু। মানবশরীরের ক্ষুধা নিবারণ কীভাবে ঘটে, সেই খোঁজে তিনি বেরিয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত উত্তরটি পান সমুদ্রদেব বরুণের কাছে। মহর্ষি ভৃগু তার পরেই উপলব্ধি করেন যে, মগজের বা মননের পুষ্টিলাভ যেমন হয় দেবী সরস্বতীর আরাধনায় তেমনই নশ্বর শরীরের পুষ্টির জন্য মা লক্ষ্মীর আবাহন ও পূজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মা লক্ষ্মীকে শুধুমাত্র ধনদেবী হিসেবে দেখলে তাঁর মহিমার সম্পূর্ণটা দেখা হয় না। তাঁর আশীর্বাদ মানুষের ক্ষুধা নিবারণের জন্য, গৃহস্থের সার্বিক কল্যাণের জন্য। আর এই দুয়ের জন্যই প্রয়োজন অর্থের। কিন্তু সেই অর্থ পাওয়ার পরে মানুষ তার প্রয়োগ কীভাবে করছে, সেদিকে তাঁর কড়া নজর। অপচয় বা অন্যায় প্রয়োগ তিনি সইতে পারেন না, তাই তিনি চঞ্চলা।

     

    পুজোর আগে কিছু সাধারণ নিয়মঃ

    * সাধারণত কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে সারা রাত জেগে থাকার বিধি আছে। এই পূজার সঙ্গে কৃষকদের একটা বড় সম্পর্ক রয়েছে। তাই শোনা যায় সারারাত জেগে তারা ওইদিন শস্য পাহারা দেয়। সঙ্গে মার কাছে আশীর্বাদ চেয়ে নেওয়া হয়। আবার অনেকে মনে করেন, লক্ষ্মী দেবী চঞ্চলা তাই সারারাত জেগে তাকে পাহারা দেওয়া হয়, যাতে তিনি পালিয়ে না যান। এই কথা মা ঠাকুমাদের মুখে প্রায়ই শোনা যায়। লক্ষ্মীদেবী ধনসম্পদ তাকেই দেন, যে তার পুরো মর্যাদা দেয়। যে সেই ধনসম্পদ সমাজের কল্যাণে কাজে লাগায়। তাই লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা অত্যন্ত শুদ্ধ মনে করতে হয়। মা লক্ষ্মী অল্পেই খুশী হন। তাই এই পূজায় খুব একটা বাহুল্য নেই। যে যার সাধ্যমতো পূজা করে। তবে পূজার আগে পূজার স্থান একদম পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর সুন্দর করে আলপনা দিতে হবে। প্রতি ঘরের দরজায়, পূজার স্থানে লক্ষ্মীর পা অবশ্যই আঁকবে। সেইদিন আলপনা মুছবে না। তারপর পূজার জায়গা সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজিয়ে, ধূপ, ধুনো, প্রদীপ জ্বালিয়ে দিতে হয়।

    পুজো শুরু করার নিয়মঃ

    * সব আয়োজন পূর্ণ এবার পূজা শুরু। শুরুর আগে গঙ্গা জল ছিটিয়ে দিতে হবে নিজের ও সকলের মাথায় ও পূজার স্থানে। তারপর ভগবান নারায়ণকে মনে মনে স্মরণ করে পূজা শুরু করবে। পূজার স্থানে একটি তামার পাত্রে জল রাখবে। এই জল সূর্য দেবতাকে অর্পণ করার জন্য। তিনি সকল শক্তির উৎস। তাঁকে ছাড়া পৃথিবী অন্ধকার। তাই তাঁকে জল দেওয়া বাঞ্ছনীয়। তামার পাত্রে জল ঢালতে ঢালতেই সূর্যদেবতাকে স্মরণ করুবে। এরপর ঘট স্থাপনের পালা। মাটির একটি গোল ডেলা মত করে নিন, সমান করে নিতে হবে। তার ওপর ঘট বসাবে। এবং ঘটের সামনে একটু ধান ছড়িয়ে দিববে। ঘটে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকবে সিঁদুর দিয়ে। ঘটের ওপর আমের পাতা রাখববে। পাতার সংখ্যা যেনো বিজোড় হয়। আর পাতার ওপর তেল ও সিঁদুরের ফোঁটা দেবে। ঘটে গঙ্গাজল দিয়ে তার ওপর আমের পাতা রাখবে। পাতার ওপর একটা হরিতকী, ফুল, দুব্বো, সব দিয়ে ঘট সাজাবে।

    মা লক্ষী দেবীর আহবানঃ

    *ঘট স্থাপনের পর মাকে প্রণাম করার পালা। ধ্যান মন্ত্রে মা কে প্রণাম করতে হবে। লক্ষ্মী পাঁচালীর বইয়ে এই মন্ত্র পাবে। এই বই যেকোনো দশকর্মার দোকানে পেয়ে যাবে। তবে এই মন্ত্র উচ্চারন একটু শক্ত। তাই যদি সঠিক উচ্চারন করতে না পারা যায়, তাহলে মাকে মনে মনে স্মরণ করে প্রণাম জানাবে। মাকে প্রণাম করে এবার আহবান জানাতে হবে। আহবান মন্ত্রও বইয়ে দেওয়া থাকে। না জানলে মাকে মনে মনে আহবান জানাতে হবে। হাত নমস্কার করে চোখ বন্ধ করে, বলতে হবে, “এসো মা আমার গৃহে প্রবেশ করো। আমার গৃহে অধিষ্ঠান করো। আমার এই সামান্য আয়োজন, নৈবিদ্য গ্রহণ করো মা।”

    *এইভাবে মাকে আহবান জানাবে। মা যখন ঘরে প্রবেশ করছেন, তাই তখন. মায়ের পা ধুয়ে দিতে হবে। মায়ের আঁকা পায়ে জলের ছিটা দিববে। তারপর ঘটে আতপ চাল, দুব্বো, ফুল ও চন্দন দিববে। এরপর একে একে দেবীকে সব অর্পণ করবে। ফল,মিষ্টি যা কিছু আয়োজন হয়েছে। তারপর ধূপ ধুনো দিববে। অর্পণ করার পর এবার পুষ্পাঞ্জলি। হাতে ফুল নিয়ে পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র তিনবার উচ্চারন করবে। তারপর দেবীর বাহনকে ফুল দিতে হবে। এবং নারায়নকে স্মরণ করে ঘটে ফুল দিববে। ও দেবতা ইন্দ্র ও কুবেরকে স্মরণ করে ঘটে ফুল দিবে। তারপর দেবীকে প্রণাম করতে হবে। এরপর সবশেষে লক্ষ্মীদেবীর পাঁচালী পড়ে পূজা শেষ করবে।

    *তবে কয়েকটি কথা মাথায় রাখতে হবে। লক্ষ্মীদেবীর পূজায় কাঁসর ঘণ্টা এসব বাঁজাবে না। এগুলিতে দেবী অসন্তুষ্ট হন। শুধু শাঁখ বাঁজাবে আর দেবীর ঘটে তুলসী পাতা দেবে না। আর দেবে না লোহার বাসনা। ব্যাস এই কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে শুদ্ধ মনে শুরু করে দিন পূজা। হোকনা আয়োজন সামান্য শুধু মন শুদ্ধ থাকলেই দেবী আসবেন ঘরে।

    মা লক্ষীদেবীর প্রচলিত কিছু আচার অনুষ্ঠানের ধরণ ও পন্থাঃ

    *প্রতিদিন স্নান করে শুদ্ধ হয়ে লক্ষ্মী গায়ত্রী মন্ত্র ১০৮ বার জপ করলে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন মা লক্ষ্মী। এই মন্ত্র জপ করার সময় পদ্মবীজের মালা ব্যবহার করলে ভাল। দক্ষিণাবর্ত শঙ্খকে বলা হয় মা লক্ষ্মীর শঙ্খ। লাল, সাদা বা হলুদ রংয়ের একটি পরিষ্কার কাপড়, একটি রুপোর পাত্র অথবা মাটির পাত্রের উপর রাখতে হয় এই শঙ্খ। এই শঙ্খের মধ্য দিয়েই মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ প্রবাহিত হয় বাসস্থানে। বলা হয় সমস্ত দেবতা বাস করেন তুলসি বৃক্ষে আবার অন্য একটি মত অনুযায়ী দেবী তুলসি হলেন মা লক্ষ্মীরই এক রূপ। তাই বাড়িতে তুলসি বৃক্ষ থাকলে এবং সেখানে প্রতিদিন প্রদীপ জ্বাললে তুষ্ট হন মা লক্ষ্মী। ধারাবাহিকভাবে ১২ দিন ধরে সম্পূর্ণ ভক্তিভরে লক্ষ্মী দ্বাদশ স্তোত্র ১২ বার উচ্চারণ করলে, ঋণমুক্তি ঘটে। একটি বাঁশের বাঁশিকে সিল্কের কাপড়ে মুড়ে ঠাকুরের সিংহাসনে রাখলে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। কারণ বাঁশি হলো বিষ্ণুর অবতার শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়। তাই মা লক্ষ্মীরও অতি প্রিয়। শুধুমাত্র পুজোর দিনে নয়, প্রতিদিনই যদি দেবীর পায়ের চিহ্ন আঁকা হয়, তবে ভালো। প্রতিদিন না পারলে বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার এবং মা লক্ষ্মীর পুজোর তিথি থাকলে তো অবশ্যই। যিনি প্রতি শুক্রবার পরমান্ন বা মিষ্ট অন্ন দিয়ে গোসেবা করেন তাঁর প্রতি বিশেষ প্রসন্ন হন দেবী। প্রতি শুক্রবার পদ্মমূল থেকে তৈরি নয়টি সলতে দিয়ে একটি মাটির প্রদীপ মা লক্ষ্মীর পট বা প্রতিমার সামনে জ্বাললে তা গৃহে প্রাচুর্যের সমাহার ঘটায়। এছাড়া টানা ৩০ দিন ধরে মা লক্ষ্মীর প্রতিমা বা পটের সামনে নিষ্ঠাভরে শ্রী সুক্ত পাঠ করলে বিশেষ প্রসন্ন হন দেবী। শ্রী সুক্ত হলো ১৫টি ভার্সের একটি সম্মেলন। প্রতিদিন মা লক্ষ্মীর প্রতিমা বা পটের সামনে দু’টি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালে তা মঙ্গল। এর সঙ্গে পদ্ম, নারকেল ও ক্ষীরের নৈবেদ্য দিলে প্রসন্ন হন দেবী। ঠাকুরঘরে বা ঠাকুরের সিংহাসনে কড়ি এবং শঙ্খ রাখা খুবই শুভ গৃহের কল্যাণের জন্য।

    লক্ষী পুজোর যা কিছু করা নিষিদ্ধঃ

    *লক্ষ্মীপূজায় লোহা বা স্টিলের বাসনকোসন ব্যবহার করবে না। লোহা দিয়ে অলক্ষ্মী পূজা হয়। তাই লোহা দেখলে লক্ষ্মী গৃহ ত্যাগ করে যান। লক্ষ্মীপূজায় ঘণ্টা বাঁজাতে নেই। লক্ষ্মীকে তুলসীপাতা দিতে নেই। কিন্তু লক্ষ্মীপূজার পর একটি ফুল ও দুটি তুলসী পাতা দিয়ে নারায়ণকে পূজা করতে হয়। লক্ষ্মীপূজা সাধারণত সন্ধ্যাবেলা করে, তবে অনেকে সকালেও করে থাকেন। সকালে করলে সকাল ন-টার মধ্যেকরে নেওয়াই ভাল। পূজার পর ব্রতকথা পাঠ করতে হয়।

    শ্রীশ্রী মা লক্ষ্মীর স্তোত্র:-

    লক্ষ্মীস্তং সর্বদেবানাং যথাসম্ভব নিত্যশঃ।
    স্থিরাভাব তথা দেবী মম জন্মনি জন্মনি।।
    বন্দে বিষ্ণু প্রিয়াং দেবী দারিদ্র্য দুঃখনাশিনী।
    ক্ষীরোদ সম্ভবাং দেবীং বিষ্ণুবক্ষ বিলাসিনীঃ।।

     শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর ধ্যান মন্ত্র:-

    ওঁ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজ সৃণিভির্যাম্য সৌম্যয়োঃ।
    পদ্মাসনাস্থাং ধায়েচ্চ শ্রীয়ং ত্রৈলোক্য মাতরং।।
    গৌরবর্ণাং স্বরূপাঞ্চ সর্বালঙ্কারভূষি তাম্।
    রৌক্নোপদ্মব্যগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু।।

    শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর স্তোত্রম্:-

    ত্রৈলোক্য পূজিতে দেবী কমলে বিষ্ণুবল্লভে।
    যথাস্তং সুস্থিরা কৃষ্ণে তথা ভবময়ি স্থিরা।।
    ঈশ্বরী কমলা লক্ষ্মীশ্চলা ভূতি হরিপ্রিয়া।
    পদ্মা পদ্মালয়া সম্পদ সৃষ্টি শ্রীপদ্মধারিণী।।
    দ্বাদশৈতানি নামানি লক্ষ্মীং সম্পূজ্য যঃ পঠেত।
    স্থিরা লক্ষ্মীর্ভবেৎ তস্য পুত্রদারারদিভিংসহ।।

    বিশেষ দ্রষ্টব্য:-

    *অবশ্যই তিন বার পাঠ করতে হবে শ্রীশ্রী লক্ষ্মীর পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র,
    “নমস্তে সর্বদেবানাং বরদাসি হরিপ্রিয়ে।
    যা গতিস্তং প্রপন্নানাং সা মে ভূয়াত্বদর্চবাৎ।।”

    শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর প্রণাম মন্ত্র:-

    ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।
    সর্বতঃ পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।।”

    শেষের কথা:-

    *যেকোনো পুজোয় হোক না কেনো সব পুজোতে পুজোর একটা রীতি নীতি বা আচার অনুষ্ঠান থাকে ভিন্ন ভিন্ন। আর থাকে ভিবিন্ন রকমের মন্ত্র ও নিয়ম। আমাদের সেই মন্ত্র সঠিকভাবে ও সঠিক সময়ে পালন অর্থাৎ উচ্চারণ করে বলাটাই হলো একটু জটিল কাজ। প্রত্যেক দেবদেবীর একটা নিজস্ব কিছু রীতি নীতি মন্ত্র ইত্যাদি থাকে। পুজোর সময় সঠিক ভাবে পুজো করাটাও একটা মহৎ কাজ। মা লক্ষীর পুজোতে পুজোর মন্ত্র পড়ে সুষ্ঠ ভাবে করতে হয় বা করা উচিত। তেমনি সকল প্রকার দেবদেবীর পুজোও আমাদের বিধাতার রীতি নীতি মেনে চলাই হলো একমাত্র প্রধান কাজ। আমাদের হিন্দু শাস্ত্র মতে অনেক দেবদেবীর পুজো আমরা করে থাকি। আমরা প্রত্যেক দেবদেবীর পুজো করে থাকি ভগবানের আশীর্বাদ পাবার জন্য। প্রত্যেক ভগবানের অর্থাৎ প্রত্যেক দেবদেবীর আলাদা আলাদা আশীর্বাদের জন্যই আমরা পুজো করে থাকি। তাদের মধ্যে মা লক্ষী হলেন আমাদের ধন, সম্পদ, ঐশর্য, সুখ, শান্তি, ইত্যাদি আশীর্বাদের আশায়।

    See less
    • 0
  • 2
  • 2,208
  • 0
Answer
In: ধৰ্ম ও সংস্কৃতি

লক্ষ্মী পূজা এবং তার বিষেশ বৈশিষ্ট | lakshmi puja in bengali

  • 0
  • 778
  • 0
Answer

Sidebar

আরও দেখুন

  • কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা এবং নিয়ম বিধি | Kojagari Lakshmi Puja Vidhi in Bengali
  • লক্ষ্মী পাঁচালী | Laxmi Panchali Bengali Lyrics
  • দোল পূর্ণিমা এবং তার বিষেশ বৈশিষ্ট | dol purnima in bengali
  • শ্রী শ্রী লক্ষীদেবীর ব্রতকথা | Lakshmi Broto Kotha in Bengali PDF
  • দোল পূর্ণিমা নিশি নির্মল আকাশ | Dol Purnima Nishi Nirmal Akash lyrics
  • শ্রী শ্রী লক্ষীদেবীর প্রণাম মন্ত্র ও ব্রতকথা | Mahalakshmi Mantra in Bengali
  • শ্রী শ্রী লক্ষীদেবীর প্রণাম মন্ত্র ও ব্রতকথা | Laxmi Pranam Mantra in Bengali
  • কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা | Kojagari Lakshmi Puja in Bengali pdf
  • লক্ষ্মী পূজা এবং তার বিষেশ বৈশিষ্ট | lakshmi puja in bengali
  • কবিতা : আবহমান (নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী) Nirendranath Chakraborty Poem Abohoman
  • কবিতা : অমলকান্তি | Nirendranath Chakraborty Poem Amalkanti
  • কবিতা : নিঃস্বার্থ (সুকুমার রায়) Bangla Kobita Nisarto Sukumar Roy
  • কবিতাঃ যাবার দিনে এই কথাটি | Jabar Dine Ei Kothati Lyrics in Bengali
  • যদি প্রেম দিলে না প্রাণে | Jodi Prem Dile na Prane Lyrics
  • রবীন্দ্রসংগীতঃ মহারাজ একি সাজে | Maharajo Eki Saje Lyrics in Bengali
  • রবীন্দ্রসংগীতঃ খরবায়ু বয় বেগে | Khara Bayu Boy Bege Lyrics in Bengali
  • রবীন্দ্রসংগীতঃ এই লভিনু সঙ্গ তব | Ei lobhinu Songo Tobo Lyrics in Bengali
  • রবীন্দ্রসংগীতঃ বর্ষণ মন্দ্রিত অন্ধকারে | Barshan Mandrita Andhakare lyrics
  • Martyrs of Barak Valley Language Movement | ১৯ মে আসামের বাংলাভাষা শহীদদের পরিচিতি
  • হোরিখেলা (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) Hori Khela Poem by Rabindranath Tagore Lyrics
Join us on Telegram
Join our FaceBook Group

বিষয়

All Bangla Paragraph (105) Bangla GK (177) Bangla Kobita (203) Bangla Rachana (105) Bengali Meaning (259) Bengali Poems (124) English to Bengali Meaning (270) English to Bengali Translation (256) Kobita (143) অনুচ্ছেদ (127) বাংলা অর্থ (275) বাংলা কবিতা (219) বাংলা বাক্য রচনা (176) বাংলা রচনা (127) বাক্য রচনা (176)

Footer

© 2020 Bengali Forum · All rights reserved. Contact Us

Add Bengali Forum to your Homescreen!

Add