ভূমিকাঃ আধুনিক মানব সভ্যতার প্রধানতম হাতিয়ার বিজ্ঞান। বিজ্ঞান ব্যতীত বর্তমান সময় গতিহীন, নিস্পন্দ । তাই বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ, বিজ্ঞানের জয়যাত্রার যুগ। মানুষই এই বিজ্ঞানকে সভ্যতার সম্পদ করে তুলেছে। ক্ষুদ্র আয়তনের মানুষ মস্তিষ্কের উর্বর শক্তির মাধ্যমে পৃথিবীব্যপী সমস্ত বস্তু বিষয়ের মধ্যে জ্ঞান আহরণের উপকরণ খুঁজে বেড়াচ্ছে। আর তা থেকেই মানুষের মনে জন্ম নিয়েছে বিজ্ঞান মনস্কতা। মানুষ আজকে পৃথিবীর সমস্ত জীবকে পিছনে ফেলে নিজেদেরকে প্রগতির চরম শিখরে তুলেছে শুধুমাত্র বিজ্ঞান সাধনা, অধ্যবসায়, বিজ্ঞান শিক্ষা ও মানব মনে বিজ্ঞান মনস্কতার প্রভাবের ফলে। তাই আজ একবাক্যে বলা যায় বিজ্ঞান হল গােটা সমাজের পরিচালিকা শক্তি – ‘a direct productive force of society.
বিজ্ঞান মনস্কতা কি? বিজ্ঞান হল বিশেষ জ্ঞান। আর বিজ্ঞানের মূলমন্ত্রই হলাে অনুমান নির্ভরতা থেকে যুক্তির বন্ধনে মুক্তি ও সত্যের সাক্ষাৎ অনুভূতি। যেখানে রহস্যের গন্ধ সেখানেই বিজ্ঞান মনস্কতার জন্ম। আসলে বিজ্ঞান মনস্কতা মানুষকে জীবনমুখী কুসংস্কারমুক্ত প্রগতির পথ নির্দিষ্ট করে আর নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলে জয় এনে দিয়ে উৎসাহ দান করে । তাই বলা যায় – What is wrong and what is write for us and to what extent it may be accepted or can not be accepted.’
বিজ্ঞান শিক্ষার প্রয়ােজনীয়তাঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘শিক্ষার মিলন’ প্রবন্ধে বিজ্ঞানরূপিণী বিশেষবিদ্যার নাম ‘সঞ্জীবনী বিদ্যা’ রূপে অভিহিত করেছেন। এই বিদ্যার বলেই মানুষ নব নব আবিষ্কারের জন্ম দেয় – Necessity is the mother of invention. আর এই প্রয়ােজনীয়তার তাগিদকে মাথায় রেখেই বিজ্ঞানের আবিষ্কার এবং আরও বিজ্ঞানমনস্ক করে নিজেকে গড়ে তােলা – বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের উপর তথ্য জানা এবং তা বুঝে মনের উৎসাহ চেতনার কোষে গভীরভাবে তা প্রেরণ করা। শিশু অবস্থা থেকেই অল্প অল্প বিজ্ঞানের তথ্য জানা উচিত, তাতে অন্তত কুসংস্কারের মতাে মারণ কীটের দংশন থেকে মানুষ রক্ষা পাবে এবং নিজেকে বিজ্ঞান মনােভাবাপন্ন ভেবে আহ্লাদিত হবে এবং অপরকেও বিজ্ঞানের অনুগামী হতে সাহায্য করবে।
বিজ্ঞানমনস্কতা ও কুসংস্কার দূরীকরণঃ মানুষ যখনই মানসিকভাবে দুর্বল হয় তখনই সে বিভিন্ন কুসংস্কারের আশ্রয় নেয়। বিজ্ঞান যতবার প্রগতির ধ্বজা উড়িয়েছে ততবারই কুসংস্কার ধাক্কা মেরেছে প্রবল জোরে । কিন্তু তাই বলে বিজ্ঞানকে স্তন্ধ করতে পারে নি, যথা সম্পন্ন শক্তি নিয়ে মানবমনে বিজ্ঞানমনস্কতার প্রচার ঘটিয়ে। কুসংস্কারমুক্ত সমাজ করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে এবং সাফল্যও পেয়েছে।
বিজ্ঞান শিক্ষা ও চেতনা ও এ যাবৎ গৃহীত ব্যবস্থাঃ বিজ্ঞান শিক্ষা ও চেতনা যাতে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের। কাছে পৌঁছে যায় তার জন্য সরকারী সাহায্য, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তথা ছােট-বড় ক্লাবগুলি আজ এ কাজে অগ্রণী ভূমিকা নিলেও আজও সে অর্থে বিশেষ সফলতা লাভ করতে পারে নি। বিজ্ঞান মনস্কতার যে প্রথম লক্ষ্মণ – নিজে জানাে, যুক্তি দিয়ে মানাে । এই চরম সত্যটি পর্যন্ত বহু মানুষের অজানা। কাজেই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত ‘বিজ্ঞান সবার জন্য এ সত্যকে মানুষের গােচরে আনার জন্য বিভিন্ন ক্যাম্প, প্রশিক্ষণ শিবির, আলােচনা সভা, বিতর্ক সভা প্রভৃতির মাধ্যমে মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক ভাবনায় উৎসাহিত করা । এর মাধ্যমে যে সাফল্য আসবে তা আসলে সমাজেরই সাফল্য । আর এর মাধ্যমেই বিজ্ঞান চেতনা মানুষের অন্দরে অন্তরে স্থান করে নেবে ও নিয়েছে।
বিজ্ঞান চেতনার মাধ্যমে শিক্ষার প্রসার ও জয়যাত্রাঃ “বিজ্ঞানই বর্তমান জগতের উন্নতির মাপকাঠি, বিজ্ঞানের অগ্রগতিতেই সভ্যতার অগ্রগতি।“ – প্রফুল্লচন্দ্র
বিজ্ঞানের এই অগ্রগতিকে আরও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত করতে অবশ্যই কুসংস্কারমুক্ত এক সমাজব্যবস্থা গড়া উচিত – আর এই সমাজব্যবস্থা গড়তে পারে একমাত্র সুষ্ঠু শিক্ষা পদ্ধতি – তাই আজ মানুষ শিক্ষা চেতনার মাধ্যমে অন্ধ বিশ্বাস ও কুসংস্কারকে দূর করে আকাশে, স্থলে, জলে সর্বত্র জমিয়েছে পাড়ি – তাই এভারেষ্ট চূড়া, সমুদ্রতল কিম্বা মহাকাশ অভিযান আজ মানুষের হাতের মুঠোয় বিজ্ঞান শিক্ষাই মানুষের এই অগ্রগতির ফল।
মানবমুখী বিজ্ঞান চেতনাঃ আসল কথা- শুধু যন্ত্রে কাজ হয় না, যন্ত্রী যদি মানুষ না হয়ে ওঠে” – তাই বিজ্ঞান শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে মনের কর্ষণও জরুরী – তা একা মনের নয়, সমাজের সব স্তরের সব মানুষকে বিজ্ঞানমুখী করতে হবে । শহর থেকে পল্লীবাংলা, রাজপ্রাসাদ থেকে দরিদ্রের কুটির সর্বত্র।
উপসংহারঃ জানি মানুষের জিজ্ঞাসার অন্ত নেই, ইন্টারনেট কম্পিউটার আজ ঘরে ঘরে তথাপি মানুষের কুসংস্কার এখনও বিজ্ঞানের দ্বার বেশ খানিকটাই আটকে রয়েছে এমতাবস্থায় বিজ্ঞানমুখী শিক্ষাই পারে এ ধারণাকে দূরীভূত করতে। ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে প্রথাগত শিক্ষার বাইরে বিভিন্ন আলােচনাচক্র, পাঠচক্র, স্থানে স্থানে বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষা তথা প্রদর্শণী ও বিতর্ক সভা ও সর্বোপরি একজন সংস্কারমুক্ত শিক্ষকের আয়ত্তাধীনে বিজ্ঞানমনস্ক মনের অধিকারী হয়ে উঠতে পারে সেদিকে দৃষ্টিপাত করা প্রয়ােজন। তাই শুধু শুষ্ক রুক্ষ্ম বিজ্ঞান চর্চা নয় – আকর্ষণীয় করে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে আর তখনই মানুষ হবে সঠিক বিজ্ঞানমনস্ক। সে নিজের দেশ ও ঐতিহ্যের প্রতি অনুরাগী হবে যেমন তেমন সুন্দর সুষ্ঠ যুক্তিবাদী মুক্তমনের অধিকারী হয়ে মানবপ্রীতির মেলবন্ধনে নিজেকে সামিল করবে একজন সুন্দর বিজ্ঞানমনস্ক মন নিয়ে। তবেই দেশ জাতি তথা পৃথিবীর উন্নতি সার্থক হবে, জ্ঞানের প্রসার সুদৃঢ় হবে।
Hridoy
বিজ্ঞান শিক্ষা ও বিজ্ঞান মনস্কতা
‘কত অজানারে জানাইলে তুমি কত ঘরে দিলে ঠাঁই
দূরকে করিলে নিকট বন্ধু, পরকে করিলে ভাই।’
ভূমিকাঃ আধুনিক মানব সভ্যতার প্রধানতম হাতিয়ার বিজ্ঞান। বিজ্ঞান ব্যতীত বর্তমান সময় গতিহীন, নিস্পন্দ । তাই বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ, বিজ্ঞানের জয়যাত্রার যুগ। মানুষই এই বিজ্ঞানকে সভ্যতার সম্পদ করে তুলেছে। ক্ষুদ্র আয়তনের মানুষ মস্তিষ্কের উর্বর শক্তির মাধ্যমে পৃথিবীব্যপী সমস্ত বস্তু বিষয়ের মধ্যে জ্ঞান আহরণের উপকরণ খুঁজে বেড়াচ্ছে। আর তা থেকেই মানুষের মনে জন্ম নিয়েছে বিজ্ঞান মনস্কতা। মানুষ আজকে পৃথিবীর সমস্ত জীবকে পিছনে ফেলে নিজেদেরকে প্রগতির চরম শিখরে তুলেছে শুধুমাত্র বিজ্ঞান সাধনা, অধ্যবসায়, বিজ্ঞান শিক্ষা ও মানব মনে বিজ্ঞান মনস্কতার প্রভাবের ফলে। তাই আজ একবাক্যে বলা যায় বিজ্ঞান হল গােটা সমাজের পরিচালিকা শক্তি – ‘a direct productive force of society.
বিজ্ঞান মনস্কতা কি? বিজ্ঞান হল বিশেষ জ্ঞান। আর বিজ্ঞানের মূলমন্ত্রই হলাে অনুমান নির্ভরতা থেকে যুক্তির বন্ধনে মুক্তি ও সত্যের সাক্ষাৎ অনুভূতি। যেখানে রহস্যের গন্ধ সেখানেই বিজ্ঞান মনস্কতার জন্ম। আসলে বিজ্ঞান মনস্কতা মানুষকে জীবনমুখী কুসংস্কারমুক্ত প্রগতির পথ নির্দিষ্ট করে আর নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলে জয় এনে দিয়ে উৎসাহ দান করে । তাই বলা যায় – What is wrong and what is write for us and to what extent it may be accepted or can not be accepted.’
বিজ্ঞান শিক্ষার প্রয়ােজনীয়তাঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘শিক্ষার মিলন’ প্রবন্ধে বিজ্ঞানরূপিণী বিশেষবিদ্যার নাম ‘সঞ্জীবনী বিদ্যা’ রূপে অভিহিত করেছেন। এই বিদ্যার বলেই মানুষ নব নব আবিষ্কারের জন্ম দেয় – Necessity is the mother of invention. আর এই প্রয়ােজনীয়তার তাগিদকে মাথায় রেখেই বিজ্ঞানের আবিষ্কার এবং আরও বিজ্ঞানমনস্ক করে নিজেকে গড়ে তােলা – বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের উপর তথ্য জানা এবং তা বুঝে মনের উৎসাহ চেতনার কোষে গভীরভাবে তা প্রেরণ করা। শিশু অবস্থা থেকেই অল্প অল্প বিজ্ঞানের তথ্য জানা উচিত, তাতে অন্তত কুসংস্কারের মতাে মারণ কীটের দংশন থেকে মানুষ রক্ষা পাবে এবং নিজেকে বিজ্ঞান মনােভাবাপন্ন ভেবে আহ্লাদিত হবে এবং অপরকেও বিজ্ঞানের অনুগামী হতে সাহায্য করবে।
বিজ্ঞানমনস্কতা ও কুসংস্কার দূরীকরণঃ মানুষ যখনই মানসিকভাবে দুর্বল হয় তখনই সে বিভিন্ন কুসংস্কারের আশ্রয় নেয়। বিজ্ঞান যতবার প্রগতির ধ্বজা উড়িয়েছে ততবারই কুসংস্কার ধাক্কা মেরেছে প্রবল জোরে । কিন্তু তাই বলে বিজ্ঞানকে স্তন্ধ করতে পারে নি, যথা সম্পন্ন শক্তি নিয়ে মানবমনে বিজ্ঞানমনস্কতার প্রচার ঘটিয়ে। কুসংস্কারমুক্ত সমাজ করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে এবং সাফল্যও পেয়েছে।
বিজ্ঞান শিক্ষা ও চেতনা ও এ যাবৎ গৃহীত ব্যবস্থাঃ বিজ্ঞান শিক্ষা ও চেতনা যাতে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের। কাছে পৌঁছে যায় তার জন্য সরকারী সাহায্য, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তথা ছােট-বড় ক্লাবগুলি আজ এ কাজে অগ্রণী ভূমিকা নিলেও আজও সে অর্থে বিশেষ সফলতা লাভ করতে পারে নি। বিজ্ঞান মনস্কতার যে প্রথম লক্ষ্মণ – নিজে জানাে, যুক্তি দিয়ে মানাে । এই চরম সত্যটি পর্যন্ত বহু মানুষের অজানা। কাজেই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত ‘বিজ্ঞান সবার জন্য এ সত্যকে মানুষের গােচরে আনার জন্য বিভিন্ন ক্যাম্প, প্রশিক্ষণ শিবির, আলােচনা সভা, বিতর্ক সভা প্রভৃতির মাধ্যমে মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক ভাবনায় উৎসাহিত করা । এর মাধ্যমে যে সাফল্য আসবে তা আসলে সমাজেরই সাফল্য । আর এর মাধ্যমেই বিজ্ঞান চেতনা মানুষের অন্দরে অন্তরে স্থান করে নেবে ও নিয়েছে।
বিজ্ঞান চেতনার মাধ্যমে শিক্ষার প্রসার ও জয়যাত্রাঃ “বিজ্ঞানই বর্তমান জগতের উন্নতির মাপকাঠি, বিজ্ঞানের অগ্রগতিতেই সভ্যতার অগ্রগতি।“ – প্রফুল্লচন্দ্র
বিজ্ঞানের এই অগ্রগতিকে আরও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত করতে অবশ্যই কুসংস্কারমুক্ত এক সমাজব্যবস্থা গড়া উচিত – আর এই সমাজব্যবস্থা গড়তে পারে একমাত্র সুষ্ঠু শিক্ষা পদ্ধতি – তাই আজ মানুষ শিক্ষা চেতনার মাধ্যমে অন্ধ বিশ্বাস ও কুসংস্কারকে দূর করে আকাশে, স্থলে, জলে সর্বত্র জমিয়েছে পাড়ি – তাই এভারেষ্ট চূড়া, সমুদ্রতল কিম্বা মহাকাশ অভিযান আজ মানুষের হাতের মুঠোয় বিজ্ঞান শিক্ষাই মানুষের এই অগ্রগতির ফল।
মানবমুখী বিজ্ঞান চেতনাঃ আসল কথা- শুধু যন্ত্রে কাজ হয় না, যন্ত্রী যদি মানুষ না হয়ে ওঠে” – তাই বিজ্ঞান শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে মনের কর্ষণও জরুরী – তা একা মনের নয়, সমাজের সব স্তরের সব মানুষকে বিজ্ঞানমুখী করতে হবে । শহর থেকে পল্লীবাংলা, রাজপ্রাসাদ থেকে দরিদ্রের কুটির সর্বত্র।
উপসংহারঃ জানি মানুষের জিজ্ঞাসার অন্ত নেই, ইন্টারনেট কম্পিউটার আজ ঘরে ঘরে তথাপি মানুষের কুসংস্কার এখনও বিজ্ঞানের দ্বার বেশ খানিকটাই আটকে রয়েছে এমতাবস্থায় বিজ্ঞানমুখী শিক্ষাই পারে এ ধারণাকে দূরীভূত করতে। ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে প্রথাগত শিক্ষার বাইরে বিভিন্ন আলােচনাচক্র, পাঠচক্র, স্থানে স্থানে বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষা তথা প্রদর্শণী ও বিতর্ক সভা ও সর্বোপরি একজন সংস্কারমুক্ত শিক্ষকের আয়ত্তাধীনে বিজ্ঞানমনস্ক মনের অধিকারী হয়ে উঠতে পারে সেদিকে দৃষ্টিপাত করা প্রয়ােজন। তাই শুধু শুষ্ক রুক্ষ্ম বিজ্ঞান চর্চা নয় – আকর্ষণীয় করে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে আর তখনই মানুষ হবে সঠিক বিজ্ঞানমনস্ক। সে নিজের দেশ ও ঐতিহ্যের প্রতি অনুরাগী হবে যেমন তেমন সুন্দর সুষ্ঠ যুক্তিবাদী মুক্তমনের অধিকারী হয়ে মানবপ্রীতির মেলবন্ধনে নিজেকে সামিল করবে একজন সুন্দর বিজ্ঞানমনস্ক মন নিয়ে। তবেই দেশ জাতি তথা পৃথিবীর উন্নতি সার্থক হবে, জ্ঞানের প্রসার সুদৃঢ় হবে।