Discy Latest Questions

  1. আমার কৈফিয়ৎ কাজী নজরুল ইসলাম বর্তমানের কবি আমি ভাই, ভবিষ্যতের নই ‘নবী’, কবি ও অকবি যাহা বলো মোরে মুখ বুঁজে তাই সই সবি! কেহ বলে, ‘তুমি ভবিষ্যতে যে ঠাঁই পাবে কবি ভবীর সাথে হে! যেমন বেরোয় রবির হাতে সে চিরকেলে-বাণী কই কবি?’ দুষিছে সবাই, আমি তবু গাই শুধু প্রভাতের ভৈরবী! কবি-বন্ধুরা হতাশ হইয়া মোর লেখা প’ড়Read more

    আমার কৈফিয়ৎ

    কাজী নজরুল ইসলাম

    বর্তমানের কবি আমি ভাই, ভবিষ্যতের নই ‘নবী’,
    কবি ও অকবি যাহা বলো মোরে মুখ বুঁজে তাই সই সবি!
    কেহ বলে, ‘তুমি ভবিষ্যতে যে
    ঠাঁই পাবে কবি ভবীর সাথে হে!
    যেমন বেরোয় রবির হাতে সে চিরকেলে-বাণী কই কবি?’
    দুষিছে সবাই, আমি তবু গাই শুধু প্রভাতের ভৈরবী!

    কবি-বন্ধুরা হতাশ হইয়া মোর লেখা প’ড়ে শ্বাস ফেলে!
    বলে, কেজো ক্রমে হচ্ছে অকেজো পলিটিক্সের পাশ ঠেলে’।
    পড়ে না ক’ বই, ব’য়ে গেছে ওটা।
    কেহ বলে, বৌ-এ গিলিয়াছে গোটা।
    কেহ বলে, মাটি হ’ল হয়ে মোটা জেলে ব’সে শুধু তাস খেলে!
    কেহ বলে, তুই জেলে ছিলি ভালো ফের যেন তুই যাস জেলে!

    গুরু ক’ন, তুই করেছিস শুরু তলোয়ার দিয়ে দাড়ি চাঁছা!
    প্রতি শনিবারী চিঠিতে প্রেয়সী গালি দেন, ‘তুমি হাঁড়িচাঁচা!’
    আমি বলি, ‘প্রিয়ে, হাটে ভাঙি হাঁড়ি!’
    অমনি বন্ধ চিঠি তাড়াতাড়ি।
    সব ছেড়ে দিয়ে করিলাম বিয়ে, হিন্দুরা ক’ন, আড়ি চাচা!’
    যবন না আমি কাফের ভাবিয়া খুঁজি টিকি দাড়ি, নাড়ি কাছা!

    মৌ-লোভী যত মৌলবী আর ‘ মোল্‌-লা’রা ক’ন হাত নেড়ে’,
    ‘দেব-দেবী নাম মুখে আনে, সবে দাও পাজিটার জাত মেরে!
    ফতোয়া দিলাম- কাফের কাজী ও,
    যদিও শহীদ হইতে রাজী ও!
    ‘আমপারা’-পড়া হাম-বড়া মোরা এখনো বেড়াই ভাত মেরে!
    হিন্দুরা ভাবে,‘ পার্শী-শব্দে কবিতা লেখে, ও পা’ত-নেড়ে!’

    আনকোরা যত নন্‌ভায়োলেন্ট নন্‌-কো’র দলও নন্‌ খুশী।
    ‘ভায়োরেন্সের ভায়োলিন্‌’ নাকি আমি, বিপ্লবী-মন তুষি!
    ‘এটা অহিংস’, বিপ্লবী ভাবে,
    ‘নয় চর্‌কার গান কেন গা’বে?’
    গোঁড়া-রাম ভাবে নাস্তিক আমি, পাতি-রাম ভাবে কন্‌ফুসি!
    স্বরাজীরা ভাবে নারাজী, নারাজীরা ভাবে তাহাদের আঙ্কুশি!

    নর ভাবে, আমি বড় নারী-ঘেঁষা! নারী ভাবে, নারী-বিদ্বেষী!
    ‘বিলেত ফেরনি?’ প্রবাসী-বন্ধু ক’ন, ‘ এই তব বিদ্যে, ছি!’
    ভক্তরা বলে, ‘নবযুগ-রবি!’-
    যুগের না হই, হজুগের কবি
    বটি ত রে দাদা, আমি মনে ভাবি, আর ক’ষে কষি হৃদ্‌-পেশী,
    দু’কানে চশ্‌মা আঁটিয়া ঘুমানু, দিব্যি হ’তেছে নিদ্‌ বেশী!

    কি যে লিখি ছাই মাথা ও মুণ্ডু আমিই কি বুঝি তার কিছু?
    হাত উঁচু আর হ’ল না ত ভাই, তাই লিখি ক’রে ঘাড় নীচু!
    বন্ধু! তোমরা দিলে না ক’ দাম,
    রাজ-সরকার রেখেছেন মান!
    যাহা কিছু লিখি অমূল্য ব’লে অ-মূল্যে নেন! আর কিছু
    শুনেছ কি, হুঁ হুঁ, ফিরিছে রাজার প্রহরী সদাই কার পিছু?

    বন্ধু! তুমি ত দেখেছ আমায় আমার মনের মন্দিরে,
    হাড় কালি হ’ল শাসাতে নারিনু তবু পোড়া মন-বন্দীরে!
    যতবার বাঁধি ছেঁড়ে সে শিকল,
    মেরে মেরে তা’রে করিনু বিকল,
    তবু যদি কথা শোনে সে পাগল! মানিল না ররি-গান্ধীরে।
    হঠাৎ জাগিয়া বাঘ খুঁজে ফেরে নিশার আঁধারে বন চিরে’!

    আমি বলি, ওরে কথা শোন্‌ ক্ষ্যাপা, দিব্যি আছিস্‌ খোশ্‌-হালে!
    প্রায় ‘হাফ’-নেতা হ’য়ে উঠেছিস্‌, এবার এ দাঁও ফস্‌কালে
    ‘ফুল’-নেতা আর হবিনে যে হায়!
    বক্তৃতা দিয়া কাঁদিতে সভায়
    গুঁড়ায়ে লঙ্কা পকেটেতে বোকা এই বেলা ঢোকা! সেই তালে
    নিস্‌ তোর ফুটো ঘরটাও ছেয়ে, নয় পস্তাবি শেষকালে।

    বোঝে না ক’ যে সে চারণের বেশে ফেরে দেশে দেশে গান গেয়ে,
    গান শুন সবে ভাবে, ভাবনা কি! দিন যাবে এবে পান খেয়ে!
    রবে না ক’ ম্যালেরিয়া মহামারী,
    স্বরাজ আসিছে চ’ড়ে জুড়ি-গাড়ী,
    চাঁদা চাই, তারা ক্ষুধার অন্ন এনে দেয়, কাঁদে ছেলে-মেয়ে।
    মাতা কয়, ওরে চুপ্‌ হতভাগা, স্বরাজ আসে যে, দেখ্‌ চেয়ে!

    ক্ষুধাতুর শিশু চায় না স্বরাজ, চায় দুটো ভাত, একটু নুন,
    বেলা ব’য়ে যায়, খায়নি ক’ বাছা, কচি পেটে তার জ্বলে আগুন।
    কেঁদে ছুটে আসি পাগলের প্রায়,
    স্বরাজের নেশা কোথা ছুটে যায়!
    কেঁদে বলি, ওগো ভগবান তুমি আজিও আছে কি? কালি ও চুন
    কেন ওঠে না ক’ তাহাদের গালে, যারা খায় এই শিশুর খুন?

    আমরা ত জানি, স্বরাজ আনিতে পোড়া বার্তাকু এনেছি খাস!
    কত শত কোটি ক্ষুধিত শিশুর ক্ষুধা নিঙাড়িয়া কাড়িয়া গ্রাস
    এল কোটি টাকা, এল না স্বরাজ!
    টাকা দিতে নারে ভুখারি সমাজ।
    মা’র বুক হ’তে ছেলে কেড়ে খায়, মোরা বলি, বাঘ, খাও হে ঘাস!
    হেরিনু, জননী মাগিছে ভিক্ষা ঢেকে রেখে ঘরে ছেলের লাশ!

    বন্ধু গো, আর বলিতে পারি না, বড় বিষ-জ্বালা এই বুকে!
    দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি, তাই যাহা আসে কই মুখে।
    রক্ত ঝরাতে পারি না ত একা,
    তাই লিখে যাই এ রক্ত-লেখা,
    বড় কথা বড় ভাব আসে না ক’ মাথায়, বন্ধু, বড় দুখে!
    অমর কাব্য তোমরা লিখিও, বন্ধু, যাহারা আছ সুখে!

    পরোয়া করি না, বাঁচি বা না-বাঁচি যুগের হুজুগ কেটে গেলে,
    মাথায় উপরে জ্বলিছেন রবি, রয়েছে সোনার শত ছেলে।
    প্রার্থনা ক’রো যারা কেড়ে খায় তেত্রিশ কোটি মুখের গ্রাস,
    যেন লেখা হয় আমার রক্ত-লেখায় তাদের সর্বনাশ!

    See less
    • 0
  1. আসামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভূমিকা : আসাম প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্যের লীলা নিকেতন। তার দিকে দিকে নানা রাঙা পাখির কাকলি, নানা রাঙা ফুলের গন্ধবাহার। প্রকৃতি দেবী যেন নিজহাতে তার সমস্ত সৌন্দর্য ভাণ্ডার এই আসাম ভূমিতে উজাড় করে দিয়েছেন। এ রাজ্য পাহাড়-পর্বত বেষ্টিত একটি অতি মনােরম রাজ্য। অনেকের মতে সৌন্দরRead more

    আসামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

    ভূমিকা : আসাম প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্যের লীলা নিকেতন। তার দিকে দিকে নানা রাঙা পাখির কাকলি, নানা রাঙা ফুলের গন্ধবাহার। প্রকৃতি দেবী যেন নিজহাতে তার সমস্ত সৌন্দর্য ভাণ্ডার এই আসাম ভূমিতে উজাড় করে দিয়েছেন। এ রাজ্য পাহাড়-পর্বত বেষ্টিত একটি অতি মনােরম রাজ্য। অনেকের মতে সৌন্দর্যে ‘সম’ বা সমান বা সমকক্ষ নেই বলে এই দেশের নাম অসম। আর অসম হতেই এই দেশের নাম হয়েছে আসাম। আসামের নিসর্গ প্রকৃতি নাগরিক জীবন যন্ত্রণায় ক্লান্ত-ক্লিষ্ট মানুষকে অপার প্রশান্তি এনে দেয়।

    প্রকৃতি ভেদে আসামের সৌন্দর্য : ভারতের উত্তর পূর্ব প্রান্তের রাজ্যটি যেন কোন দেবকন্যার কণ্ঠমালা থেকে খসে-পড়া কারুকার্য খচিত একখণ্ড পান্না। সবুজ-শ্যামলে রজত-ঔজ্জ্বল্যে নিসর্গ সুন্দরী সত্যই অপরূপা। রাজ্যটির উত্তরে হিমালয় পর্বতমালা ও তার শাখা-প্রশাখা, ছােট-বড় পাহাড়-পর্বত যেন শিরের শােভা মুকুট রাজি। পুর্বদিকে পাতকোই ও দক্ষিণে মেঘালয়ের পর্বতমালা নীলাভ মেঘসজ্জার মতাে শােভা পাচ্ছে। শ্যামল বনরাজি নীলার মেখলা পরিহিতা আসাম যেন এক বনমালা।
    আসামের মধ্যাংশ কাৰ্বিমালভূমি, মেঘালয় মালভূমি ও দাক্ষিণাত্য মালভূমির অংশ বিশেষ। এই অঞ্চলটি অতি প্রাচীন ও রূপান্তরিত আগ্নেয় শিলা দ্বারা গঠিত। কার্বি মালভূমিকে স্পর্শ করে দক্ষিণ পর্যন্ত রয়েছে উত্তর কাছাড়ের পাহাড়ী অঞ্চল। এই পাহাড় সমূহ স্তরীভূত শিলার ঢেউ খেলানাে পাহাড়। কবির ভাষায় ব্রহ্মপুত্র নদ তার কণ্ঠহার আর বরাক নদী হলাে কটি দেশের কিংকিনী। এই নদী দুটির অসংখ্য উপনদী, শাখানদী নৃত্য পরা অপ্সরার মতাে কলতান তুলে বয়ে চলেছে। শ্যামল-গহন বনানীর রহস্যময়তা ও স্নিগ্ধতা সৌন্দর্য-পিয়াসী মানুষকে পত্রমর্মরে আমন্ত্রণ জানায়। নদীর বুকে সাদা পাল তুলে নৌকা চলে কোন অচিনপরে, মাঝির কণ্ঠে ভাটিয়ালি গানের উদাসী সুর। তাছাড়া নদীগুলি রাজ্যটিকে কৃষির উপযুক্ত ও উর্বর করে তুলেছে। সত্যই সুজলা, সুফলা শস্য-শ্যামলা ব্ৰহ্মপুত্র-বরাকের এই পূণ্য তীরভূমিতে যেন নয়নদুটি শ্যামরূপে বন্দী হয়ে রসলীন ভ্রমরের ন্যায় নিশ্চল হয়ে যায়।

    প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নানা উপাদান : আসাম রাজ্যটির ৩৫ শতাংশ স্থান জুড়ে রয়েছে বন-জঙ্গল ও গভীর অরণ্য। এসব জঙ্গলে হলং, বনচাম, শাল, সেগুন, সুন্দী, সােনারু প্রভৃতি মূল্যবান কাঠ ও গাছ রয়েছে। স্থানে স্থানে রয়েছে অসংখ্য খাল, বিল ও তৃণ প্রান্তর। নাম না জানা জলাশয়ের বুকে বিকশিত পদ্ম-শালুকের বর্ণবাহার। ইতস্ততঃ ছড়ানাে পত্রপুঞ্জের মতাে সবুজ বন। মাথার উপরে উন্মুক্ত আকাশ, আকাশে চন্দ্র-সূর্যের উদয় ও অস্ত যাওয়ার শােভা, মেঘমালার স্বচ্ছন্দ বিচরণ। অন্ধকার রাত্রে ঝােপে-ঝাড়ে জ্বলে জোনাকির দীপ।

    পশুপাখির সৌন্দর্য বর্ধন : আসামের বনজঙ্গলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ধিত করে প্রকৃতির ক্রোড়ে লালিত জীবজন্তুর স্বচ্ছন্দ বিহার। এগুলির মধ্যে হাতী, গণ্ডার, বন্য মহিষ, বাঘ, ভালুক, হরিণ, বানর প্রভৃতি উল্লেখযােগ্য জন্তু। আসামের কাজিরাঙ্গার একশিং বিশিষ্ট গণ্ডার পৃথিবী বিখ্যাত। নানা প্রকার দুর্লভ পাখিও আসামে পাওয়া যায়। যার মধ্যে আছে, ময়না, টিয়া, তােতা, শকুন ও ধনেশ প্রভৃতি পাখি। বনফুল ঘিরে ভ্রমরের গুঞ্জন, চলমান পাহাড়ের মতাে হাতির পাল ইত্যাদি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেরই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।

    প্রকৃতি ও মানুষ : নির্জন প্রকৃতির একটি স্বতন্ত্র সৌন্দর্য অবশ্যই আছে। কিন্তু মানুষের সুচিন্তিত সুপরিকল্পিত হস্তস্পর্শে সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সুন্দরতর হয়ে উঠে। এভাবে হস্তস্পর্শে তৈরি আসামের চা বাগানগুলি অপূর্ব শােভার আধার। পূর্ব আসামের প্রায় সমস্ত অঞ্চল জুড়ে চায়ের ঘন সবুজ ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’ নিসর্গ শােভাতে অপরিমেয় সৌন্দর্যের সঞ্চার করে। টিলার উপর নির্মিত ঘর-বাড়িতে বৈদ্যুতিক আলােক মালা যেন নিজ দীপাবলীর আলােক সজ্জা। সবুজ তরুলতা বেষ্টিত ছায়া সুনিবিড় গ্রামগুলিও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অঙ্গীভূত।

    ঋতুভেদে আসামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য : ঋতুর পর ঋতু একে একে এখানে এসে নিজেকে সৌন্দর্য শােভায় মেলে ধরে। বিভিন্ন ঋতুতে প্রকৃতি দেবী বিভিন্ন সাজে সজ্জিতা হন। গ্রীষ্মে লাল, হলুদ, শিরীষ ফুলে আসামের দেহ ঢাকে, বর্ষায় কদম ফুল ফোটে আর পাহাড়ী নদীর রূপালী ধারা চঞ্চল নৃত্যে নেমে আসে ঝরঝর ঝমঝম্‌ শব্দে। শরতের আগমনে ঝিলে ঝিলে প্রস্ফুটিত হয় কমল। রাজহাঁসেরা ঝাকে ঝাকে উড়ে চলে মানস সরােবরের দিকে। হেমন্তের আগমনে উপত্যকায় ধানক্ষেতের হরিৎ শােভা সত্যই মনােমুগ্ধ কর বাতাসের দোলা খেয়ে তারা সমুদ্রের ঢেউয়ের মতাে উচু-নিচু হতে থাকে। শীতে লাের্ধ ও কাশ জাতীয় শুভ্র ফুলের অমলিন হাসিতে সমস্ত পাহাড়, বন, আকাশ প্রভৃতি শ্বেত শােভায় সজ্জিত হয়। এই নয়নাভিরাম শােভা বাস্তবিকই বিচিত্র। আর বসন্তকালের তাে কথাই নেই। কোকিলের সুমধুর কুজন যেন প্রকৃতি দেবীর নবরূপ ও রাগ গ্রহণের কথাই ঘােষণা করে।

    উপসংহার : প্রাচীনকালে প্রবাদ ছিল কামরূপ অর্থাৎ অসম ইন্দ্রজালের মাজ, এখানে প্রকৃতি দেবীর অভিনব আকর্ষণ। আকুল করা সৌন্দর্যে নারী-পুরুষ পঞ্চলেই উন্মাদ হয়ে পড়ে। আসামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অভিভূত হয়ে জাতির জনক হাত্মা গান্ধী বলেছিলেন মনমােহন আসামের অধিবাসী সকলেই কবিতা রচনা করতে সেলু।’ অর্থাৎ কাব্য সুষমা বিজড়িত আসামের প্রকৃতি ও তার বিভিন্ন ঋতুর সৌন্দর্যরাশি অবর্ণনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আসাম সত্যই অ-সম অর্থাৎ অপ্রতিদ্বন্দ্বী।

    See less
    • 1
  1. আসামের প্রাকৃতিক সম্পদ ভূমিকা : “ধন ধান্যে পুষ্পেভরা আমাদেরই বসুন্ধরা তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা।” এই ধন ধান্যে ও পুষ্পে ভরা সুজলা সুফলা ধরণীর উত্তর পর্ব সীমান্তে ক্ষুদ্র রাজ্য আসাম । প্রকৃতিদেবী নিজের কনিষ্ঠা কন্যাকে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যে পূর্ণ করে দিয়েছেন। যাতায়াত ও পরিবহনের সুবRead more

    আসামের প্রাকৃতিক সম্পদ

    ভূমিকা : “ধন ধান্যে পুষ্পেভরা আমাদেরই বসুন্ধরা তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা।”

    এই ধন ধান্যে ও পুষ্পে ভরা সুজলা সুফলা ধরণীর উত্তর পর্ব সীমান্তে ক্ষুদ্র রাজ্য আসাম । প্রকৃতিদেবী নিজের কনিষ্ঠা কন্যাকে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যে পূর্ণ করে দিয়েছেন। যাতায়াত ও পরিবহনের সুবিধার জন্য এই রাজ্য শিল্প-কারখানা দিক দিয়ে উন্নত না হলেও প্রাকৃতিক সম্পদে এই রাজ্যটিকে ধনী বলা যায়। পাহাড় পর্বত ও অরণ্যে পরিবেষ্টিত এই রাজ্যটি যেন প্রকৃতি দেবীর স্নেহ আঁচলের ছায়ায় আবৃত হয়ে রয়েছে। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে অসমের ভূমি বৎসরের বেশ কিছটা বর্ষণসিক্ত অবস্থায় থাকে। যার ফলে নানান সম্পদে সমৃদ্ধ হয়েছে আসাম।

    প্রাকৃতিক সম্পদের প্রকার : প্রকৃতি জাত সম্পদকেই প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। প্রকৃতিবিদেরা এই সম্পদকে বনজ, খনিজ এবং প্রাণীজ এই তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করেছেন। কৃষিজাত সম্পদগুলিও প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে পড়ে।

    বনজ সম্পদ : সকল সম্পদের মধ্যে আসামের বনজ সম্পদ বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। রাজ্যের ৩৫ শতাংশ বিস্তৃত এই বনাঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে শাল, সেগুন, চাম, সুন্দী, শিশু, গামাই প্রভৃতি মূল্যবান বৃক্ষরাজি আসামের অর্থনীতির মূল চাবি কাঠি । এই রাজ্যের অরণ্য বাঁশ ও বেত উৎপাদনেও উল্লেখযােগ্য। আসামের বাঁশ-বেত আসামের কুটির শিল্পকে উন্নত করে তুলেছে। আসামের কাগজ কলগুলি চালু রাখতে আসামের বাঁশই যথেষ্ট। তুলা, লাক্ষা প্রভৃতিও আসামের বনজ সম্পদকে সমৃদ্ধ করে রেখেছে।

    কৃষিজ সম্পদ : দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আসাম একটি বৃষ্টিবহুল রাজ্য বলে পরিচিত তাই এই অঞ্চলটি কৃষি প্রধান। ধান, পাট, কার্পাস, তিল, সরিষা, আলু, মাসকালাই, মুগ প্রভৃতি এই অঞ্চলের প্রধান কৃষিজাত দ্রব্য। তাছাড়া রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল কমলা, কলা, আনারস, পেঁপে, পেয়ারা প্রভৃতি। অসমের চা জগৎ বিখ্যাত। উৎপাদনের প্রাচুর্যের জন্য পাট ও কার্পাস বিদেশেও রপ্তানি হয়ে থাকে। এণ্ডি ও মুগা প্রভৃতি গাছগুলি কেবলমাত্র অসমে জন্মে। তাই এ দুটি শিল্প আসামের একান্ত নিজস্ব সম্পদ। আসামের অনেক নদী, বিল, হাওরও আছে। এগুলির জলে নানা জাতের মাছ পাওয়া যায় ।

    প্রাণীজ সম্পদ : প্রাণীজ সম্পদের মধ্যে অরণ্যজাত পশু-পাখিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। হাতী, বাঘ, ভাল্লক, হরিণ, বানর, গণ্ডার প্রভৃতি নিয়ে আসামের প্রাণী জগত গঠিত। এক খড়্গ বিশিষ্ট গণ্ডার আসামের অমূল্য সম্পদ। এই শ্রেণির গণ্ডার আসাম ছাড়া অন্য রাজ্যে দুর্লভ। তাই আসাম সরকার এদের সংরক্ষণের জন্য কাজিরাঙ্গার অভয়ারণ্যকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। তাছাড়া আসামের বনভূমিতে প্রায় ৭৫০ প্রজাতির পাখি আছে। এদের মধ্যে ময়না, টিয়া, তােতা, শালিক, কিংগার, ধনেশ, শকুনী, বক প্রভৃতি পাখিই প্রধান।

    খনিজ সম্পদ : খনিজ সম্পদে আসাম একটি সমৃদ্ধ রাজ্য। আসামের প্রধানতম সম্পদ তার খনিজ তৈলের ভাণ্ডার। ভারতবর্ষে উত্তোলিত খনিজ তৈলের প্রায় সমস্তটুকুই আসাম হতে গৃহিত হয়। উত্তর আসামের ডিগবয় তৈলক্ষেত্রেই ভারতের বৃহত্তম তৈলক্ষেত্র। স্বাধীন ভারতে আসামের ডিগবয়েই প্রথম তৈল শােধনাগার স্থাপিত হয়েছিল। বর্তমানে আসামে চারটি তৈল শােধনাগার আছে। এগুলি হলাে ডিগবয়, নাহারকাটিয়া, মরিয়ানী ও নৃমলিগড়। খনিজ তৈল শােধন করে বিভিন্ন প্রকার প্রয়ােজনীয় সামগ্রী যেমন প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপন্ন করা হয়েছে। আসামে খনিজ কয়লার সম্পদ সুপ্রচুর। ডিগবয়ের পূর্বে অবস্থিত লিড়, শিবসাগর জিলার নাজিরা আসামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কয়লাক্ষেত্র।

    উপসংহার : আসামের প্রকৃতির ভাণ্ডারে যে অমূল্য সম্পদ লুকিয়ে রয়েছে, পরিবহনের অসুবিধার জন্য সেগুলি সম্পূর্ণরূপে বিনিয়ােগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আশা করা যায় হয়তাে অদূর ভবিষ্যতে সকল প্রতিকূলতা, বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করে আসামের সম্পদগুলি পূর্ণ বিনিয়ােগ হবে। ফলস্বরূপ : আসাম শিল্পে উন্নত হবে এবং আসামবাসী অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সাবলম্বী হয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবে। সেদিন কবির স্বপ্ন স্বার্থক হবে এবং আমরা বলে উঠব – এমন দেশটি কোথাও
    খােজে পাবে না গাে তুমি সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি।

    See less
    • 0
  1. অসমের বন্যা ও তার প্রতিকার ভূমিকা : জলের অপর নাম জীবন। জল ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না। অথচ প্রকৃতির এমনই পরিহাস যে এই জলই আবার অপ্রত্যাশিতভাবে মানুষের জীবনে ধ্বংসের কারণ হয়ে দাড়ায়। সহস্র নাগিনীর মতাে ফণাতুলে ধেয়ে আসে জলের তরঙ্গমালা। তখনই বােঝা যায় আজও মানুষ প্রাকৃতিক শক্তির কাছে কত অসহায়। বন্যাRead more

    অসমের বন্যা ও তার প্রতিকার

    ভূমিকা : জলের অপর নাম জীবন। জল ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না। অথচ প্রকৃতির এমনই পরিহাস যে এই জলই আবার অপ্রত্যাশিতভাবে মানুষের জীবনে ধ্বংসের কারণ হয়ে দাড়ায়। সহস্র নাগিনীর মতাে ফণাতুলে ধেয়ে আসে জলের তরঙ্গমালা। তখনই বােঝা যায় আজও মানুষ প্রাকৃতিক শক্তির কাছে কত অসহায়। বন্যা এমনি এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ভারতমাতার বড় আদরের কন্যা রূপ লাবণ্যময়ী এই অসমের বন্যা জনিত দুঃখ প্রতি বছরের এক অভিশাপ।

    আসামের বন্যার প্রাকৃতিক কারণ : আসাম নদীমাতৃক দেশ। এ দেশ ভারতবর্ষের মধ্যে চতুর্দিকে পাহাড়-পর্বত বেষ্টিত একটি রাজ্য। এ রাজ্যে বন্যার প্রধান কারণ হলাে মহাবাহু দীর্ঘতম নদ ব্রহ্মপুত্র। একদা চীনদেশের হােয়াংহাে নদ যেমন ছিল চিনের দুঃখ, আসামের ব্রহ্মপুত্র নদের বেলায়ও আজকাল এরূপ বলা যায়। ১৯৫০ – সনের ভূমিকম্পের পর থেকে আসামে প্রায় প্রতি বছর প্রবল বন্যার আবির্ভাব ঘটে। বােধ হয় ভূমিকম্পের ফলে নদীখাত উপরে উঠে আসায় নদীগুলির জলধারণ ক্ষমতা কমে গেছে, তাই অল্প জল জমলেও তীর ভূমি প্লাবিত হয়।
    ব্রহ্মপুত্র নদ আসামের উত্তর পূর্ব সীমান্ত বর্তমান অরুণাচল প্রদেশ দিয়ে লােহিত নামে আসামে প্রবেশ করেছে। উত্তর পূর্ব সীমান্তের পর্বত শ্রেণিতে প্রচুর পরিমাণে তুষার সঞ্চিত হয়, বৃষ্টির জলের সঙ্গে গলিত এ তুষার স্থপ আসামের নদীগুলির সাথে মিশ্রিত হয়। আবার মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আসামে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও অধিক।অত্যধিক বৃষ্টিপাতের ফলে নদ-নদীগুলি ফুলে ফেঁপে উভয় তীর প্লাবিত করে সৃষ্টি করে বন্যার।

    আসামে বন্যার কৃত্রিম কারণ : আসামের পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষ জমচাষের জন্য বনজঙ্গল আর গাছপালা অনবরত কেটে চলছে। এর ফলে বর্ষার সময়ে প্রবল বৃষ্টিপাতে এসব অঞ্চলে ভূমিক্ষয় হয়ে বৃষ্টির জলের সঙ্গে মত্তিকা ফলে দিন দিন নদী গর্ভগুলি কৃত্রিমভাবে ভরে উঠেছে। আর নদীর স্বাভাবিক খরোস্রোতা হচ্ছে নষ্ট। এভাবে নদীর উপর উচু হয়ে জল ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে এবং অল্প বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে বন্যার। এভাবে দেখা যাচ্ছে বর্ষার আরম্ভ থেকে শেষ পর্যন্ত পাঁচবার বন্যা এসে জনজীবন বিপর্যস্ত করছে।

    বন্যার অতর্কিতে আবির্ভাব : বর্ষাকালে সাধারণত অতি বৃষ্টির ফলে জল ফুলে ফেপে তার শাখা নদীগুলিকে স্ফীত করে উপচিয়ে পড়ে। কখনও নদী বাধ’ বা স্থানে স্থানে বাঁধ ডিঙিয়ে প্রচণ্ড বেগে জনপদ আর শস্যক্ষেত্র গ্রাস করে যেন মায়াবী অজগর ভাঙ্গা বাঁধের সরুপথে গলে বের হয়ে ছুটছে আর ভয়ঙ্করভাবে সে দুর্নিবার বেগে সরু দেহখানিকে বিস্তার করছে, সম্মুখে যা পড়ছে তা-ই এ অজগর গ্রাস করে নিচ্ছে। এভাবে বাঁধ ভেঙ্গে ঘরবাড়ি, গ্রাম, প্রান্তর ভাসিয়ে মুহুর্তে সব একাকার করে দেয়। মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার সুযােগ দেয় না। এভাবে অতর্কিতে আবির্ভাব হয় বন্যার।

    বন্যার ভয়াবহ রূপ : মানুষের বহুদিনের বহু কষ্টে সাজানাে ঘরদোর জলাঞ্জলি দিয়ে আবালবৃদ্ধবনিতা তখন পালানাের পথ পায় না। কাছে উচু টিলা বা উচু জায়গা, পাকা বাড়ির ছাদ, উঁচু সরকারি কার্যালয় যেখানে পারে সেখানেই আশ্রয় লওয়ার চেষ্টা করে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষ অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্টের সম্মুখীন হয়। শিশু ও বৃদ্ধ আর গরু, মহিষ, ছাগল, কুকুর প্রভৃতির অধিকাংশ তখন রক্ষা পায় না। জলের তীব্রবেগে গাছ, বাঁশঝাড় উপড়িয়ে ঘর ভেঙ্গে ভেসে নিয়ে চলে। দিগন্ত • জুড়ে একটা সাগর যেন অনন্ত ক্ষুধায় হাঁ করে আসছে। যেদিকে যতটুকু তাকানাে যায়কবির ভাষায় –
    ‘জল আর শুধ
    দেখে দেখে চিত্ত তার হয়েছে বিকল ।
    খল জল ছলভরা তুমি লক্ষ ফণা
    ফুসিছে গর্জিছে নিত্য করিছে কামনা।
    মৃত্তিকার শিশুদের লালায়িত মুখ।

    এভাবে এক একটা অঞ্চল ধুইয়ে মুছে বন্যার গর্ভে লীন হয়ে যায়। মানুষ চোখের সম্মুখে দেখতে পায় ঈশ্বরের রুদ্র মহিমা। বন্যার ফলে যে শুধু বন্যা দুর্গত অঞ্চলই ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাই নয়, সমগ্র রাজ্যেই এর প্রভাব অনুভূত হয়।

    বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলি : ভৌগােলিক মানদণ্ডে আসামের সমস্ত ভূ-খণ্ডকে দুভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা – (১) ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা ও (২) বরাক উপত্যকা। বর্ষার আরম্ভেই এ দুটি এলাকার ব্রহ্মপুত্র ও বরাক নদী এবং তাদের উপনদীগুলি প্রলয়ঙ্করী রূপ নেয়। এর ফলে ব্ৰহ্মপত্র ও তার উপনদীগুলির দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় উজান আসামের ধেমাজি, ডিব্ৰুগড়, তিনসুকিয়া, উত্তর লক্ষীমপুর আর নিম্ন আসামের গােয়ালপাড়া; ধুবড়ী, বরপেটা প্রভৃতি জিলা। আবার বরাক ও তার উপনদীগুলির দ্বারা কাছাড়, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি প্রভৃতি জেলায় হাহাকার সৃষ্টি হয়।

    বন্যার জল নেমে যাওয়ার পরবর্তী অবস্থা ? যাই হােক, মানুষ সামাজিক জীব। তাই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে একে অন্যের সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়, এগিয়ে আসে অনেক স্বেচ্ছাচারী সংগঠন।
    জীবনে যেভাবে কোন দুঃখই চিরস্থায়ী নয়। তাই এ জল-প্লাবনও ধীরে ধীরে কমতে থাকে তখন গ্রাম জাগে কিন্তু কি এক কদর্য রূপধারণ করে চারদিকে পচা দুর্গন্ধ। শস্যক্ষেত্র বিধ্বস্ত, নষ্ট হয়েছে ফসল, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, বিধ্বস্ত হয়ে রয়েছে ঘরবাড়ি। প্রতিটি জেলায়ই মৃত্যুর সংবাদ। সড়ক ও টেলিযােগাযােগ, জল-বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।

    বন্যার উপকার : বন্যা যে শুধু অনিষ্ট সাধন বা ধ্বংস করে তা নয়। বন্যার ফলে পাহাড়-পর্বত হতে আনিত পলিমাটির দ্বারা জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়। বাঁধভেঙ্গে জলের সঙ্গে পলিমাটি এসে বড় বড় মাঠের শষ্যক্ষেতের উর্বরা শক্তি বাড়িয়ে দেয়। তা ছাড়া শহর বন্দরের আবর্জনা ধুইয়ে প্রকৃতি নির্মল করে। গাছ-পালা, ফসল সবুজে সবুজ হয়ে উঠে।

    প্রতিকারের ব্যবস্থা : ব্ৰহ্মপুত্ৰ বন্যা-নিয়ন্ত্রণ আয়ােগ গঠিত হলেও এ বিষয়ে কিছুই কাজ হয়নি। আসাম সরকার নিজস্ব উদ্যোগে নদীগুলির বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দেবার ব্যবস্থা করেছেন কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সুতরাং যে সব নদীতে প্রতি বৎসর বন্যা দেখা দেয় সেসব নদীর কয়েকটি উপধারা সৃষ্টির প্রয়ােজন। তাছাড়া বড় বড় নদীগুলির কাছাকাছি যে সকল ছােট ছােট নদী আছে তাদের সঙ্গে যােগসূত্র স্থাপন করে জলের স্রোতের দিক পরিবর্তন করে বন্যার বেগ কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে। বাঁধগুলিকে চীন, জাপান প্রভৃতি দেশে যেভাবে বৈজ্ঞানিক সম্মতভাবে তৈরি করা হয়েছে আসামের নদীগুলির বাঁধগুলিও সেভাবে তৈয়ার করা প্রয়ােজন। পাহাড়ের জল বৃহৎ জলাধারে সঞ্চিত রেখে তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনও সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে বরাকের ‘টিপাইমুখ’ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বরাক উপত্যকার বন্যা বহুলাংশে কমানাে সম্ভব। উত্তর পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ী অঞ্চলের জুম চাষ বন্ধ করা একান্ত প্রয়ােজন। বিকল্প ব্যবস্থা দ্বারা নদীগর্ভ খনন করানাে উচিত। তাহলে নদীর জলধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি হবে। এ কাজগুলি আসাম সরকারের অবশ্যই কর্তব্য।

    উপসংহার : গ্রহান্তরে পাড়ি জমালেও মানুষ আজও প্রকৃতির হাতে অসহায় । আসামের ভয়াবহ বন্যা মাঝে মাঝে আমাদের একথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। তবুও ঈশ্বরের উপর ভরসা রেখে এ আশা প্রকাশ করা চলে যে আসামের জনজীবন একদিন বন্যার অভিশাপ হতে অবশ্যই মুক্ত হবে।

    See less
    • 0
  1. হৃদয় জুড়ানো অসম্বব সুন্দর একটি বাংলা গান। গানের কথাগুলি এতো অমায়িক, শুনলে যেন হৃদয় নাড়া দিয়ে উঠে । বাংলা এবং বাংলা ভাষার প্রতি টান, ভালোবাসা প্রতিটি শব্দে ভেসে উঠেছে এই গানে।দেশপ্রেম আর দেশাত্ববাদকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছেন প্রতুল মুখোপাধ্যায় এই গানের মাধ্যমে। গানঃ আমি বাংলায় গান গাই লেখকঃ প্রতুল মুখোRead more

    হৃদয় জুড়ানো অসম্বব সুন্দর একটি বাংলা গান। গানের কথাগুলি এতো অমায়িক, শুনলে যেন হৃদয় নাড়া দিয়ে উঠে ।
    বাংলা এবং বাংলা ভাষার প্রতি টান, ভালোবাসা প্রতিটি শব্দে ভেসে উঠেছে এই গানে।দেশপ্রেম আর দেশাত্ববাদকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছেন প্রতুল মুখোপাধ্যায় এই গানের মাধ্যমে।

    গানঃ আমি বাংলায় গান গাই
    লেখকঃ প্রতুল মুখোপাধ্যায়

    আমি বাংলায় গান গাই,
    আমি বাংলার গান গাই,
    আমি আমার আমিকে চিরদিন
    এই বাংলায় খুঁজে পাই।

    (I sing in Bengali
    I sing for Bengali
    I find myself  every time
    In this very Bengal)

    আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন,
    আমি বাংলায় বাঁধি সুর
    আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে
    হেঁটেছি এতটা দূর।

    (I dream in Bengali
    I tied up myself with Bengali
    On the tender path of this Bengal
    I have walked so far)

    বাংলা আমার জীবনানন্দ
    বাংলা প্রাণের সুখ,
    আমি একবার দেখি, বারবার দেখি,
    দেখি বাংলার মুখ। আহা হাহা ..

    (Bengali is my joy of life.
    Bengali is happiness
    I see it once, I see it again and again
    This very face of Bengal..Aaa..ha)

    আমি বাংলায় কথা কই,
    আমি বাংলার কথা কই
    আমি বাংলায় ভাসি, বাংলায় হাসি,
    বাংলায় জেগে রই।

    (I speak in Bengali
    I speak of Bengal.
    I float in joy , I laugh,
    I remain alive in Bengali)

    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে
    করি বাংলায় হাহাকার,
    আমি সব দেখে শুনে খেপে গিয়ে
    করি বাংলায় চিৎকার।

    (I speak in Bengali with joy
    I wail in Bengali.
    After observing all disruption, I get angry
    and scream in Bengali)

    বাংলা আমার দৃপ্ত স্লোগান
    ক্ষিপ্ত তীর ধনুক,
    আমি একবার দেখি, বারবার দেখি,
    দেখি বাংলার মুখ। আহা হাহা ..

    (Bengali is my noble slogan
    my insane bow and arrow,
    I see it once, I see it again and again
    This very face of Bengal..Aaa..ha)

    আমি বাংলায় ভালবাসি,
    আমি বাংলাকে ভালোবাসি
    আমি তারি হাত ধরে সারা পৃথিবীর
    মানুষের কাছে আসি।

    (I love in Bengali
    I love my Bengal
    I identified with the world
    through Bengali.)

    আমি যা কিছু মহান বরণ করেছি
    বিনম্র শ্রদ্ধায়
    মেশে তেরো নদী সাত সাগরের জল
    গঙ্গায়, পদ্মায়।

    (I have accepted each great thing
    with respect and honour
    Thirteen rives and seven sea mix
    In Ganga and padma)

    বাংলা আমার তৃষ্ণার জল
    তৃপ্ত শেষ চুমুক
    আমি একবার দেখি, বারবার দেখি,
    দেখি বাংলার মুখ। আহা হাহা

    (Bengali is the water of my thirst
    the last satisfactory sip.
    I see it once, I see it again and again
    This very face of Bengal..Aaa..ha)

    In English Font:

    Ami Banglai Gaan Gai
    Ami Banglar Gaan Gai
    Ami Amar Amike Chirodin
    Ei Banglai Khuje Pai

    Ami banglai dekhi shopno
    Ami banglai badhi shur
    Ami ei banglar maya bhora pothe,
    hetechi eto ta dur

    Bangla amar jibonananda
    Bangla praner sukh
    Ami ekbar dekhi baar baar dekhi
    Dekhi banglar mukh

    Ami Banglai Kotha Koi
    Ami Banglar Kotha Koi
    Ami Banglay Bhashi
    Banglai Hashi, Banglay Jege Roi

    Ami banglai mati ullashe
    Kori Banglai Hahakaar,
    Ami shob dekhe shune khepe giye
    Kori Banglai chitkar.

    bangla amar dipto slogan
    Khipto tir dhanuk
    Ami ekbar dekhi baar baar dekhi
    Dekhi banglar mukh

    Ami banglai bhalobashi
    Ami Banglake bhalobashi
    Ami tari haath dhore shara prithibir
    Manusher kache aashi.

    Ami ja kichu mohan boron korechi
    Binamro sroddhay
    Meshe tero nodi shath shagorer jol
    Gongay, Podmay

    Bangla amar Trishnar jol
    Tripto shesh chumuk
    Ami ekbar dekhi baar baar dekhi
    Dekhi banglar mukh

    See less
    • 0
  1. এই গানটির কথা ভুল লেখার কি কোনো মানে আছে? ‘আমার সোনার দেশের রক্তে, রাঙানো ফেব্রুয়ারি” এখানে ‘জাগালো’ কোথা থেকে এলো?

    এই গানটির কথা ভুল লেখার কি কোনো মানে আছে?

    ‘আমার সোনার দেশের রক্তে, রাঙানো ফেব্রুয়ারি” এখানে ‘জাগালো’ কোথা থেকে এলো?

    See less
    • 0
  1. আম্ফান ঘূর্ণিঝড়: -আম্ফান (amphan) একটি ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনের নাম যা সম্প্রীতি ২০২০ সালের মে মাসে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছে। - আম্ফান (amphan)  নামটি দিয়েছে ২০০৪ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড । থাইল্যান্ডে  এই নামটি উপাদি বা  surname হিসাবে খুবই জনপ্ৰিয়। - নামটি কিভাবে রাখা হল? - যRead more

    আম্ফান ঘূর্ণিঝড়:

    -আম্ফান (amphan) একটি ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনের নাম যা সম্প্রীতি ২০২০ সালের মে মাসে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছে।

    – আম্ফান (amphan)  নামটি দিয়েছে ২০০৪ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড । থাইল্যান্ডে  এই নামটি উপাদি বা  surname হিসাবে খুবই জনপ্ৰিয়।

    নামটি কিভাবে রাখা হল?

    – যে কোন ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখার একটা পদ্ধতি আছে। যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ঠিক করে রেখেছে। এই পদ্ধতি অনুযায়ী যে স্থানে ঘূর্ণিঝড় দেখা যাবে তার চারিপাশের বিভিন্ন দেশ নামের একটি তালিকা প্রস্তুত করবে এবং সেই তালিকা থেকে একটি নাম বাছাই করা হবে।

    -২০০৪ সালে দক্ষিণ এশিয়ার ৮ টি দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মায়ানমার এবং ওমান ৬৪ টি নামের একটি তালিকা প্রস্তুত করে এবং সেই তালিকার সর্বশেষ বাদ থাকা নাম হচ্ছে আম্ফান (amphan)

     

     

    See less
    • 0
  1. সাগরিকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাব্যগ্রন্থ-মহুয়া সাগরজলে সিনান করি সজল এলোচুলে বসিয়াছিল উপল-উপকূলে। শিথিল পীতবাস মাটির 'পরে কুটিলরেখা লুটিল চারি পাশ। নিরাবরণ বক্ষে তব, নিরাভরণ দেহে চিকন সোনা-লিখন উষা আঁকিয়া দিল স্নেহে। মকরচূড় মুকুটখানি পরি ললাট-'পরে ধনুকবাণ ধরি দখিন করে, দাঁড়ানু রাজবেশী-- কহিনু, "আমি এসেRead more

    সাগরিকা

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
    কাব্যগ্রন্থ-মহুয়া

    সাগরজলে সিনান করি সজল এলোচুলে
    বসিয়াছিল উপল-উপকূলে।
    শিথিল পীতবাস
    মাটির ‘পরে কুটিলরেখা লুটিল চারি পাশ।
    নিরাবরণ বক্ষে তব, নিরাভরণ দেহে
    চিকন সোনা-লিখন উষা আঁকিয়া দিল স্নেহে।
    মকরচূড় মুকুটখানি পরি ললাট-‘পরে
    ধনুকবাণ ধরি দখিন করে,
    দাঁড়ানু রাজবেশী–
    কহিনু, “আমি এসেছি পরদেশী।’
    চমকি ত্রাসে দাঁড়ালে উঠি শিলা-আসন ফেলে,
    শুধালে, “কেন এলে।’
    কহিনু আমি, “রেখো না ভয় মনে,
    পূজার ফুল তুলিতে চাহি তোমার ফুলবনে।’
    চলিলে সাথে হাসিলে অনুকূল,
    তুলিনু যূথী, তুলিনু জাতী, তুলিনু চাঁপাফুল।
    দুজনে মিলি সাজায়ে ডালি বসিনু একাসনে,
    নটরাজেরে পূজিনু একমনে।
    কুহেলি গেল, আকাশে আলো দিল-যে পরকাশি
    ধূর্জটির মুখের পানে পার্বতীর হাসি।
    সন্ধ্যাতারা উঠিল যবে গিরিশিখর-‘পরে
    একেলা ছিলে ঘরে।
    কটিতে ছিল নীল দুকূল, মালতীমালা মাথে,
    কাঁকন দুটি ছিল দুখানি হাতে।
    চলিতে পথে বাজায় দিনু বাঁশি,
    “অতিথি আমি’, কহিনু দ্বারে আসি।
    তরাসভরে চকিতকরে প্রদীপখানি জ্বেলে
    চাহিলে মুখে, কহিলে, “কেন এলে।’
    কহিনু আমি, “রেখো না ভয় মনে,
    তনু দেহটি সাজাব তব আমার আভরণে।’
    চাহিলে হাসিমুখে,
    আধোচাঁদের কনকমালা দোলানু তব বুকে।
    মকরচূড় মুকুটখানি কবরী তব ঘিরে
    পরায়ে দিনু শিরে।
    জ্বালায়ে বাতি মাতিল সখীদল,
    তোমার দেহে রতনসাজ করিল ঝলমল।
    মধুর হল বিধুর হল মাধবী নিশীথিনী,
    আমার তালে আমার নাচে মিলিল রিনিঝিনি।
    পূর্ণচাঁদ হাসে আকাশ-কোলে,
    আলোকছায়া শিবশিবানী সাগরজলে দোলে।
    ফুরাল দিন কখন নাহি জানি,
    সন্ধ্যাবেলা ভাসিল জলে আবার তরীখানি।
    সহসা বায়ু বহিল প্রতিকূলে,
    প্রলয় এল সাগরতলে দারুণ ঢেউ তুলে।
    লবণজলে ভরি
    আঁধার রাতে ডুবাল মোর রতনভরা তরী।
    আবার ভাঙা ভাগ্য নিয়ে দাঁড়ানু দ্বারে এসে
    ভূষণহীন মলিন দীন বেশে।
    দেখিনু আমি নটরাজের দেউলদ্বার খুলি
    তেমনি করে রয়েছে ভরে ডালিতে ফুলগুলি।
    হেরিনু রাতে, উতল উৎসবে
    তরল কলরবে
    আলোর নাচ নাচায় চাঁদ সাগরজলে যবে,
    নীরব তব নম্র নত মুখে
    আমারি আঁকা পত্রলেখা, আমারি মালা বুকে।
    দেখিনু চুপে চুপে
    আমারি বাঁধা মৃদঙ্গের ছন্দ রূপে রূপে
    অঙ্গে তব হিল্লোলিয়া দোলে
    ললিতগীতকলিত কল্লোলে।
    মিনতি মম শুন হে সুন্দরী,
    আরেক বার সমুখে এসো প্রদীপখানি ধরি।
    এবার মোর মকরচূড় মুকুট নাহি মাথে,
    ধনুকবাণ নাহি আমার হাতে;
    এবার আমি আনি নি ডালি দখিন সমীরণে
    সাগরকূলে তোমরা ফুলবনে।
    এনেছি শুধু বীণা,
    দেখো তো চেয়ে আমারে তুমি চিনিতে পার কি না।

    Shagarika
    Rabindranath Tagore

    Shagarjole sinan kori shojol elochule
    Boshiachilo upol-upokule
    Shithil pitobash
    Matir pore kutilrekha lutilo chari pash
    Nibaran bokke tobo, Nivaran dehe
    Chikon Shona-likhon usha aakia dilo snehe
    Makarchur mukutkhani pori lolat pore
    Dhanukban dhari dokin kore,
    Daranu rajbeshi-
    Kahinu, “ami eshechi podeshi”
    Chomki trashe darale uthi shila-aashon fele,
    Shudhale, “keno elo”
    Kahinu ami, “rekho na bhoy mone,
    Pujar ful tulite chahi tumar fulbono’
    Cholile sathe hashile onukul
    Tulinu jyoti, Tulinu jati, Tulinu chapaful.
    Dujone mili sajaye dali boshinu ekashone,
    natarajer pujinu ekmone.
    Kuhilo gelo, akashe alo dilo-je porkashi
    dhurjotir mukher pane parbotir hashi.
    Shondatara uthilo jobe girishikhor-pore
    Ekela chile ghore.
    Kotite chilo nil dukul, Malotimala mathe,
    Kakon duti chilo dukhani hate
    Cholite pothe bajay dinu bashi,
    “othiti aami, Kohinu dare aashi
    Torasovore chokikore prodipkhani jele
    Chahile mukhe, kohile, “keno elo”
    Kahinu ami, “rekho na bhoy mone,
    Tanu dehoti sajabo tabo amar aavorone”
    Chahile hashimukhe,
    Aadhochader konokmala dulanu tabo buke.
    Makarchur mukutkhani kobori taba ghire
    Poraye dinu shire.
    Jalaye bati matilo shokhidol,
    Tomar dehe ratanshaj korilo jholmol
    madhur holo bidhur holo madhobi nishithini,
    Amar tale amar nache mililo rinijhini
    Purnachad hashe akash-kole,
    Alokchaya shibshibani sagarjole dole.
    Furalo din kakhan nahi jani,
    Shondabela vashilo jole abar tarikhana.
    Sohosha bayu bohilo protikule,
    Proloy elo sagartole darun deu tule.
    Labanjole bhori
    Aadhar rate dubalo mor ratanbhora tori.
    Abar bhanga vagyo niye daranu dare eshe
    Bhushanhin molin din beshe.
    Dekinu ami natarajer deuldar khuli
    Temoni kore royeche bhore dalite fulguli.
    Herinu rate, utal uthshobe
    Taral Kolorobe
    Alor nach nachay chad sagartole jobe,
    Nirob taba namro nata mukhe
    Amari aaka potrolekha, amari mala buke.
    Dekinu chupe chupe
    Amari badha mridonger chanda rupe rupe
    Onge taba hillolia dole
    Lolitgeetkolito kollole
    Minoti Momo shuno he shundori
    Aarek bar shamukhe esho prodipkhani dhori.
    Ebar mor makarchur mukut nahi mathe,
    Dhanukban nahi amar hate;
    Ebar ami aani ni dali dokin shomirone
    shagarkule tomora fulbone.
    Enechi sudhu bina,
    Dekho to cheye amare tumi chinite paro ki na.

    See less
    • 0