1. রচনা - ছাত্র সমাজ ও রাজনীতি ভূমিকাঃ রাজ্য বা রাষ্ট্র শাসন ও পরিচালনার নীতিকে এক কথায় বলা হয় বাজনীতি। ইহা বলতে কোন দ্বিধা নেই যে, দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতােপ্রােত ভাবে জড়িয়ে আছে এই রাজনীতি। কেননা একটা দেশ পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় এই নীতির দ্বারা। স্বাভাবিকভাবেই মানুষও কমবেশি আগ্রহীRead more

    রচনা – ছাত্র সমাজ ও রাজনীতি

    ভূমিকাঃ রাজ্য বা রাষ্ট্র শাসন ও পরিচালনার নীতিকে এক কথায় বলা হয় বাজনীতি। ইহা বলতে কোন দ্বিধা নেই যে, দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতােপ্রােত ভাবে জড়িয়ে আছে এই রাজনীতি। কেননা একটা দেশ পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় এই নীতির দ্বারা। স্বাভাবিকভাবেই মানুষও কমবেশি আগ্রহী হয় এই নীতির প্রতি। এই নীতিগুলির দ্বারাই মানব জীবনের ভালাে মন্দ নিয়ন্ত্রিত হয়। সামাজিক জীব হিসেবে তাই এই নীতি সম্পর্কে তার আকর্ষণ স্বাভাবিক।

    ছাত্র সমাজ ও দেশের ভবিষ্যৎঃ একটি দেশের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করে ছাত্র সমাজের উপর। তারাই পারে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ গঠন করতে। তারা রাজনীতিতে কীভাবে গ্রহণ করছে তার উপর নির্ভর করছে পরবর্তী যুগের চিন্তাভাবনা। একটি পরিচিত বাক্য উচ্চারণ করা যায় এ ক্ষেত্রে, আজকের শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ। এই শিশুরাই বড় হয়ে রাষ্ট্রপরিচালনা এবং শাসনের দায়িত্ব নিতে পারে। কাজেই রাজনীতি থেকে তাদের দূরে সরিয়ে রাখা যায় না।

    ছাত্রদের ব্রতঃ ‘ছাত্র’ শব্দটির অর্থ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় – যিনি গুরুর দোষ ছত্রের মতাে আচ্ছাদন করে রাখেন, তিনিই ছাত্র। ছাত্রদের কর্তব্য সম্বন্ধে আমাদের দেশে বহুকাল থেকে চলে আসছে একটি সুপ্রাচীন সংস্কৃত বাক্য – “ছাত্ৰাণাং অধ্যয়নং তপঃ”। অর্থাৎ ছাত্রদের অধ্যয়নই তপস্যা বা ব্রত। এখন প্রশ্ন হল এই, এই অধ্যয়ন কেমন হবেন ? একটি ছাত্র কি সারাদিন বই নিয়েই থাকবে, নাকি জীবনের সঙ্গে সামঞ্জস্য সাধিত হবে পড়াশুনার ? যদি সে তা না করে তা হলে তার জীবন মূল্যহীন হয়ে পড়বে। মানব চরিত্র বা মানব জীবন গঠনের পর্বে যদি একজন তরুণ বা তরুণী সমাজের দিক থেকে, জীবনের দিক থেকে, মানুষের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকে তা হলে বলা যায় সে স্বার্থপর, সে বৃহৎ জগতে বাঁচতে শিখেনি। সুতরাং আদর্শপূর্ণ হতে হলে সমাজের জন্য কিছু করার মনােভাব নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। জীবনের যাবতীয় শিক্ষা গ্রহণের এটাই উপযুক্ত সময়।

    ছাত্রদের রাজনীতি-মনস্কামনাঃ বস্তুত দেশের প্রত্যেক নাগরিককেই রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন হওয়া একান্ত প্রয়ােজন। ছাত্রসমাজও এর বাইরে থাকতে পারে না। সমাজ সচেতনতার অর্থ এই নয় যে, প্রত্যেকে কোন না কোন রাজনৈতিক দলে যোগদান করতে হবে। ‘পার্টি এবং পলিটিক্স’ শব্দ দুটি প্রায় সমার্থক হয়ে গেছে।এখন প্রয়োজন এই শব্দ দুটিকে ভিন্ন ভাবে প্রয়ােগ করা। রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন যে তাকে কোন না কোন পার্টিতে থাকতে হবে সে কথা ঠিক নয়। রাজনীতির মানসসিকতার সঙ্গে সততা, ন্যায়-নিষ্ঠা, ক্ষমা, সহমর্মিতা, উদারতা প্রভৃতি চারিত্রিক গুনাগুণও তরুণ তরুণীদের আয়ত্ত করা একান্ত প্রয়োজন

    দেশ গঠনে ছাত্রসমাজঃ একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে একটি ছাত্রকে অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে সচেতন হতে হবে। কেননা যুগে যুগে বিভিন্ন দেশের ইতিহাস প্রমাণ করে দিয়েছে যে ছাত্ররা দেশ গঠনের কাজে অংশ গ্রহন করলে সেটা তাকে প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করে। পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা গিয়েছে যে যেখানেই যে বিপ্লব বা স্বাধীনতা আন্দোলন হয়েছিল সেখানেই ছাত্ররা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনেেও মহাত্মা গান্ধীর আহ্বানে দলে দলে তরুণ-তরুণীরা স্কুল কলেজ ছেড়ে আন্দোলনে করতে উৎসাহিত হয়েছিল। অনেক সময় কোন কোন ছাত্র-ছাত্রীকে দেশের জন্য বলিদানও করতে হয়েছে তবে তাদের আত্ম বলিদান বিফল হয়নি।

    সঠিক রাজনৈতিক পথ অনুসরণঃ রাজনীতিতে ঝাপিয়ে পড়বার আগে ছাত্র-ছাত্রীদের যথেষ্ট পড়াশুনা করা উচিত। কোন্ পথে যাওয়া উচিত সে সম্পর্কে তার স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত। সচেতন রাজনীতি বােধ না থাকলে এই রাজনৈতিক জীবন উদ্দেশ্যহীন হয়ে যেতে পারে। রাজনীতির প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ পর্ব যদি বিবেচনা প্রবণ না হয় তাহলে সেটা ভুল দিকে এগােবে। এতে কল্যাণের চেয়ে বেশি হবে অকল্যাণ। দলীয় সংকীর্ণ চিন্তা যেন তাকে কুপমণ্ডুক করে না রাখে। তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে কুপথে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তারা অচিরেই তলিয়ে যাবে অনিশ্চিয়তা আর নৈরাশ্যের অন্ধকারে। ভুল রাজনৈতিক পথ অনেকের জীবনকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

    ছাত্রসমাজের উন্নতির জন্য ছাত্র সমাজকেই দায়ভার নিতে হবেঃ আজ কাল আমাদের দেশের বিভিন্ন বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যে ভাবে রাজনীতি নিয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে তা পূর্বে ছিল না। শিক্ষা লাভ করা অপেক্ষা অধিকার বােধ সম্বন্ধে ছাত্র-সমাজ আজ অধিকতর সচেতন। তাদের মধ্যে দলাদলি লেগেই আছে। প্রতি রাজনৈতিক দলের সাথে একটি করে ছাত্র সংগঠন জড়িত। তা ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য কেউ অগ্রসর হয়ে আসছে না। অতঅব ছাত্র সমাজের উন্নতির কল্পে ছাত্র সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে।

    উপসংহারঃ বর্তমান যুগে সমাজে নানাবিধ অবক্ষয়ের ফলে রাজনৈতিক দলগুলিও দলাদলি হানাহানিতে সর্বদাই আক্রান্ত। এই আক্রমণ অনেক সময় প্রভূত ক্ষতি সাধন করছে। যুগ পরিবেশের প্রভাবে ব্যাপক ছাত্র-সমাজ রাজনৈতিক বা রাজনৈতিক মনস্কামনা হারিয়ে ফেলেছে। এ দুটির কোনটিই কাম্য নয়। ছাত্ররসমাজ এসব অবক্ষয়কে কে দূর করে এই মানবসমাজকে আবার উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে–এই আশা সকলের । দেশের সুস্থ স্বাভাবিক সামঞ্জস্য পূর্ণ বিকাশ নির্ভর করছে ছাত্র সমাজেরই উপর। তারা প্রকৃত অর্থে রাজনৈতিকতা অর্জন করে দেশ গঠনে সাহায্যে করুক – এটাই বর্তমান প্রজন্মের আশা।

    See less
    • 0
  2. বিজ্ঞান শিক্ষা ও বিজ্ঞান মনস্কতা ‘কত অজানারে জানাইলে তুমি কত ঘরে দিলে ঠাঁই দূরকে করিলে নিকট বন্ধু, পরকে করিলে ভাই।' ভূমিকাঃ আধুনিক মানব সভ্যতার প্রধানতম হাতিয়ার বিজ্ঞান। বিজ্ঞান ব্যতীত বর্তমান সময় গতিহীন, নিস্পন্দ । তাই বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ, বিজ্ঞানের জয়যাত্রার যুগ। মানুষই এই বিজ্ঞানকে সভ্যতRead more

    বিজ্ঞান শিক্ষা ও বিজ্ঞান মনস্কতা

    ‘কত অজানারে জানাইলে তুমি কত ঘরে দিলে ঠাঁই
    দূরকে করিলে নিকট বন্ধু, পরকে করিলে ভাই।’

    ভূমিকাঃ আধুনিক মানব সভ্যতার প্রধানতম হাতিয়ার বিজ্ঞান। বিজ্ঞান ব্যতীত বর্তমান সময় গতিহীন, নিস্পন্দ । তাই বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ, বিজ্ঞানের জয়যাত্রার যুগ। মানুষই এই বিজ্ঞানকে সভ্যতার সম্পদ করে তুলেছে। ক্ষুদ্র আয়তনের মানুষ মস্তিষ্কের উর্বর শক্তির মাধ্যমে পৃথিবীব্যপী সমস্ত বস্তু বিষয়ের মধ্যে জ্ঞান আহরণের উপকরণ খুঁজে বেড়াচ্ছে। আর তা থেকেই মানুষের মনে জন্ম নিয়েছে বিজ্ঞান মনস্কতা। মানুষ আজকে পৃথিবীর সমস্ত জীবকে পিছনে ফেলে নিজেদেরকে প্রগতির চরম শিখরে তুলেছে শুধুমাত্র বিজ্ঞান সাধনা, অধ্যবসায়, বিজ্ঞান শিক্ষা ও মানব মনে বিজ্ঞান মনস্কতার প্রভাবের ফলে। তাই আজ একবাক্যে বলা যায় বিজ্ঞান হল গােটা সমাজের পরিচালিকা শক্তি – ‘a direct productive force of society.

    বিজ্ঞান মনস্কতা কি? বিজ্ঞান হল বিশেষ জ্ঞান। আর বিজ্ঞানের মূলমন্ত্রই হলাে অনুমান নির্ভরতা থেকে যুক্তির বন্ধনে মুক্তি ও সত্যের সাক্ষাৎ অনুভূতি। যেখানে রহস্যের গন্ধ সেখানেই বিজ্ঞান মনস্কতার জন্ম। আসলে বিজ্ঞান মনস্কতা মানুষকে জীবনমুখী কুসংস্কারমুক্ত প্রগতির পথ নির্দিষ্ট করে আর নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলে জয় এনে দিয়ে উৎসাহ দান করে । তাই বলা যায় – What is wrong and what is write for us and to what extent it may be accepted or can not be accepted.’

    বিজ্ঞান শিক্ষার প্রয়ােজনীয়তাঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘শিক্ষার মিলন’ প্রবন্ধে বিজ্ঞানরূপিণী বিশেষবিদ্যার নাম ‘সঞ্জীবনী বিদ্যা’ রূপে অভিহিত করেছেন। এই বিদ্যার বলেই মানুষ নব নব আবিষ্কারের জন্ম দেয় – Necessity is the mother of invention. আর এই প্রয়ােজনীয়তার তাগিদকে মাথায় রেখেই বিজ্ঞানের আবিষ্কার এবং আরও বিজ্ঞানমনস্ক করে নিজেকে গড়ে তােলা – বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের উপর তথ্য জানা এবং তা বুঝে মনের উৎসাহ চেতনার কোষে গভীরভাবে তা প্রেরণ করা। শিশু অবস্থা থেকেই অল্প অল্প বিজ্ঞানের তথ্য জানা উচিত, তাতে অন্তত কুসংস্কারের মতাে মারণ কীটের দংশন থেকে মানুষ রক্ষা পাবে এবং নিজেকে বিজ্ঞান মনােভাবাপন্ন ভেবে আহ্লাদিত হবে এবং অপরকেও বিজ্ঞানের অনুগামী হতে সাহায্য করবে।

    বিজ্ঞানমনস্কতা ও কুসংস্কার দূরীকরণঃ মানুষ যখনই মানসিকভাবে দুর্বল হয় তখনই সে বিভিন্ন কুসংস্কারের আশ্রয় নেয়। বিজ্ঞান যতবার প্রগতির ধ্বজা উড়িয়েছে ততবারই কুসংস্কার ধাক্কা মেরেছে প্রবল জোরে । কিন্তু তাই বলে বিজ্ঞানকে স্তন্ধ করতে পারে নি, যথা সম্পন্ন শক্তি নিয়ে মানবমনে বিজ্ঞানমনস্কতার প্রচার ঘটিয়ে। কুসংস্কারমুক্ত সমাজ করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে এবং সাফল্যও পেয়েছে।

    বিজ্ঞান শিক্ষা ও চেতনা ও এ যাবৎ গৃহীত ব্যবস্থাঃ বিজ্ঞান শিক্ষা ও চেতনা যাতে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের। কাছে পৌঁছে যায় তার জন্য সরকারী সাহায্য, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তথা ছােট-বড় ক্লাবগুলি আজ এ কাজে অগ্রণী ভূমিকা নিলেও আজও সে অর্থে বিশেষ সফলতা লাভ করতে পারে নি। বিজ্ঞান মনস্কতার যে প্রথম লক্ষ্মণ – নিজে জানাে, যুক্তি দিয়ে মানাে । এই চরম সত্যটি পর্যন্ত বহু মানুষের অজানা। কাজেই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত ‘বিজ্ঞান সবার জন্য এ সত্যকে মানুষের গােচরে আনার জন্য বিভিন্ন ক্যাম্প, প্রশিক্ষণ শিবির, আলােচনা সভা, বিতর্ক সভা প্রভৃতির মাধ্যমে মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক ভাবনায় উৎসাহিত করা । এর মাধ্যমে যে সাফল্য আসবে তা আসলে সমাজেরই সাফল্য । আর এর মাধ্যমেই বিজ্ঞান চেতনা মানুষের অন্দরে অন্তরে স্থান করে নেবে ও নিয়েছে।

    বিজ্ঞান চেতনার মাধ্যমে শিক্ষার প্রসার ও জয়যাত্রাঃ “বিজ্ঞানই বর্তমান জগতের উন্নতির মাপকাঠি, বিজ্ঞানের অগ্রগতিতেই সভ্যতার অগ্রগতি।“ – প্রফুল্লচন্দ্র
    বিজ্ঞানের এই অগ্রগতিকে আরও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত করতে অবশ্যই কুসংস্কারমুক্ত এক সমাজব্যবস্থা গড়া উচিত – আর এই সমাজব্যবস্থা গড়তে পারে একমাত্র সুষ্ঠু শিক্ষা পদ্ধতি – তাই আজ মানুষ শিক্ষা চেতনার মাধ্যমে অন্ধ বিশ্বাস ও কুসংস্কারকে দূর করে আকাশে, স্থলে, জলে সর্বত্র জমিয়েছে পাড়ি – তাই এভারেষ্ট চূড়া, সমুদ্রতল কিম্বা মহাকাশ অভিযান আজ মানুষের হাতের মুঠোয় বিজ্ঞান শিক্ষাই মানুষের এই অগ্রগতির ফল।

    মানবমুখী বিজ্ঞান চেতনাঃ আসল কথা- শুধু যন্ত্রে কাজ হয় না, যন্ত্রী যদি মানুষ না হয়ে ওঠে” – তাই বিজ্ঞান শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে মনের কর্ষণও জরুরী – তা একা মনের নয়, সমাজের সব স্তরের সব মানুষকে বিজ্ঞানমুখী করতে হবে । শহর থেকে পল্লীবাংলা, রাজপ্রাসাদ থেকে দরিদ্রের কুটির সর্বত্র।

    উপসংহারঃ জানি মানুষের জিজ্ঞাসার অন্ত নেই, ইন্টারনেট কম্পিউটার আজ ঘরে ঘরে তথাপি মানুষের কুসংস্কার এখনও বিজ্ঞানের দ্বার বেশ খানিকটাই আটকে রয়েছে এমতাবস্থায় বিজ্ঞানমুখী শিক্ষাই পারে এ ধারণাকে দূরীভূত করতে। ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে প্রথাগত শিক্ষার বাইরে বিভিন্ন আলােচনাচক্র, পাঠচক্র, স্থানে স্থানে বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষা তথা প্রদর্শণী ও বিতর্ক সভা ও সর্বোপরি একজন সংস্কারমুক্ত শিক্ষকের আয়ত্তাধীনে বিজ্ঞানমনস্ক মনের অধিকারী হয়ে উঠতে পারে সেদিকে দৃষ্টিপাত করা প্রয়ােজন। তাই শুধু শুষ্ক রুক্ষ্ম বিজ্ঞান চর্চা নয় – আকর্ষণীয় করে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে আর তখনই মানুষ হবে সঠিক বিজ্ঞানমনস্ক। সে নিজের দেশ ও ঐতিহ্যের প্রতি অনুরাগী হবে যেমন তেমন সুন্দর সুষ্ঠ যুক্তিবাদী মুক্তমনের অধিকারী হয়ে মানবপ্রীতির মেলবন্ধনে নিজেকে সামিল করবে একজন সুন্দর বিজ্ঞানমনস্ক মন নিয়ে। তবেই দেশ জাতি তথা পৃথিবীর উন্নতি সার্থক হবে, জ্ঞানের প্রসার সুদৃঢ় হবে।

    See less
    • -6
  3. কল্লোল' পত্রিকার অবদান দীনেশরঞ্জন দাশ ও গােকুলচন্দ্র নাগের সম্পাদনায় ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ খ্রীঃ) ১ বৈশাখ ‘কল্লোল' পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল বাংলাসাহিত্যকে রবীন্দ্রপ্রবাহ মুক্ত করা। গতানুগতিকতার বদলে পশ্চিমী ভাবনা ও সাহিত্য আন্দোলন ঋদ্ধ বাঙালী যুবসম্প্রদায়ের সাহিত্য মাধ্Read more

    কল্লোল’ পত্রিকার অবদান

    দীনেশরঞ্জন দাশ ও গােকুলচন্দ্র নাগের সম্পাদনায় ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ খ্রীঃ) ১ বৈশাখ ‘কল্লোল’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল বাংলাসাহিত্যকে রবীন্দ্রপ্রবাহ মুক্ত করা। গতানুগতিকতার বদলে পশ্চিমী ভাবনা ও সাহিত্য আন্দোলন ঋদ্ধ বাঙালী যুবসম্প্রদায়ের সাহিত্য মাধ্যম ‘কল্লোল’ বাংলা সাহিত্যে এতটাই আলােড়ন এনেছিল যে ১৯২৩-৩০ সময়কালটি ‘কল্লোলযুগ’ বা ‘কল্লোলের কাল’ বলে চিহ্নিত হয়ে যায়। বুদ্ধদেব বসু, প্রেমেন্দ্র মিত্র, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, শৈলজানন্দ মুখােপাধ্যায়, বিষ্ণু দে ইত্যাদির রচনা প্রকাশিত হয়ে ‘কল্লোল’ রীতিমতাে মেধাচর্চার প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠে। কেবল বিতর্ক বা প্রথা ভঙ্গর জন্য নয় আগামী দিনের বাংলা সাহিত্যেও ‘কল্লোল’ এক নতুন ধারার সন্ধান রেখে যায়।

    See less
    • -1
  4. Kudos to you meaning in Bengali Kudos এর উচ্চারণ হচ্ছে  কিউডস বা কি-ডোউজ্   Kudos বাংলা অর্থ: Kudos অর্থ সন্মান বা প্রশংসা,  কোন প্রাপ্তির জন্য কাহারও প্রশংসা করা, সম্মান জানানো। Kudos to you এর অর্থ হবে তোমাকে সম্মান জানাই বা তোমাকে অভিনন্দন জানাই। ইহা ইংলিশ শব্দ  যেমন congratulations, long liRead more

    Kudos to you meaning in Bengali

    Kudos এর উচ্চারণ হচ্ছে  কিউডস বা কি-ডোউজ্

     

    Kudos বাংলা অর্থ:

    Kudos অর্থ সন্মান বা প্রশংসা,  কোন প্রাপ্তির জন্য কাহারও প্রশংসা করা, সম্মান জানানো।

    Kudos to you এর অর্থ হবে তোমাকে সম্মান জানাই বা তোমাকে অভিনন্দন জানাই।

    ইহা ইংলিশ শব্দ  যেমন congratulations, long live, best wishes এইগুলির পরিবর্তে ব্যাবহার করা হয়।

     

    উদাহরনঃ

    • Kudos to the Indian team for their fantastic victory. (ভারতীয় দলকে অভিনন্দন এই চমৎকার জয়ের জন্য)
    • Kudos to you for securing first position in class. (ক্লাসে প্রথম হওয়ার জন্য তোমাকে অভিনন্দন)

     

    See less
    • 0
  5. রুমির চিঠি অপূর্ব দত্ত মাগো, আমার মা তোমার সঙ্গে আড়ি, আর একটা কথাও বলব না গেলবছর পুজোর সময় সেই যে আমায় ফেলে, দিদার কাছে যাচ্ছি বলে কোথায় চলে গেলে ! তখন থেকে তোমার জন্য বসে আছি মা, এবার পুজোয় আসবে তো ঠিক, সত্যি বলো না। বাবাটা মা এতই বোকা কিচ্ছু জানে না, যতই বলি কাল আসবে মা, মোটেই মানে না। আমার জRead more

    রুমির চিঠি

    অপূর্ব দত্ত

    মাগো, আমার মা
    তোমার সঙ্গে আড়ি, আর একটা কথাও বলব না
    গেলবছর পুজোর সময় সেই যে আমায় ফেলে,
    দিদার কাছে যাচ্ছি বলে কোথায় চলে গেলে !
    তখন থেকে তোমার জন্য বসে আছি মা,
    এবার পুজোয় আসবে তো ঠিক, সত্যি বলো না।
    বাবাটা মা এতই বোকা কিচ্ছু জানে না,
    যতই বলি কাল আসবে মা, মোটেই মানে না।
    আমার জন্য ভেবো না মা, আমি ভালোই আছি।
    গেল বছর পুজোর সময় বাবার সঙ্গে গিয়েছিলাম রাঁচি।
    পিন্টু মামা চুমকি মাসি খেলনা দিল কত !
    আমি কি আর যত্ন করে রাখতে পারি অত।
    আসার সময় ঝুমঝুমিটা ভেঙ্গেই গেল পড়ে
    সত্যি বলছি, আমি না মা ভাঙ্গিনি ইচ্ছে করে।
    ওই দেখো মা একটা কথা বলতে গেছি ভুলে,
    ময়নাটা না পালিয়ে গেছে, পরশু খাঁছা খুলে।
    আর আমাদের দক্ষিণ দিকে পলাবতী গাছ ,
    দুটি হলুদ ফুল ও ফুটে আছে।
    পরে আবার লিখব, মা যাই।
    অংক কষা বাকি.
    না হলে তুমি যে বলবে পড়াতে দিস ফাঁকি।
    আসার সময় এন একটা নতুন ঝুমঝুমি ।
    তুমি আমার প্রণাম নিও।
    ইতি , তোমার রুমি।

    See less
    • 0
  6. রচনা: বাংলাদেশের নদ নদী ভুমিকা : প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর আমাদের বাংলাদেশের অন্যতম একটি অংশ এখানকার নদনদী। নদীবিহীন সবুজ বাংলাদেশের কল্পনা অসম্ভব । বাংলাদেশকে অপরূপ সৌন্দর্য্যে সৌন্দর্য মন্ডিত করার পিছনে নদ নদী গুলির ভূমিকাই প্রধান। নদী গুলি বাংলাদেশের প্রকৃতিকে এনে দিয়েছে বৈচিত্র্য, প্রাচুর্য্য তৎসঙRead more

    রচনা: বাংলাদেশের নদ নদী

    ভুমিকা : প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর আমাদের বাংলাদেশের অন্যতম একটি অংশ এখানকার নদনদী। নদীবিহীন সবুজ বাংলাদেশের কল্পনা অসম্ভব । বাংলাদেশকে অপরূপ সৌন্দর্য্যে সৌন্দর্য মন্ডিত করার পিছনে নদ নদী গুলির ভূমিকাই প্রধান। নদী গুলি বাংলাদেশের প্রকৃতিকে এনে দিয়েছে বৈচিত্র্য, প্রাচুর্য্য তৎসঙ্গে করেছে সমৃদ্দ। তাই বাংলাদেশ নদীর দেশ বা নদীমাতৃক দেশ।

    বাংলাদেশের নদ নদী : বাংলাদেশে নদী, উপনদী ও শাখানদী মিলিয়ে মোট ৭০০ থেকে বেশি নদী রয়েছে, যে গুলি প্রবাহিত হয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল দিয়ে। বাংলাদেশের প্রধান নদী গুলির মধ্যে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র উল্লেখযোগ্য। এই নদীগুলির বেশিরভাগ প্রবাহিত হয়েছে দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ মুখী হয়ে। এই প্রধান নদীগুলি ছাড়াও কর্ণফুলী, কপোতাক্ষ, তিতাস, গোমতী, শীতলক্ষ্যা বাংলাদেশের অন্যতম নদনদী।

    পদ্মা : বাংলাদেশের প্রধান বৃহত্তম নদী যাহার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৬৬ কিলোমিটার। ইহা হিমালয়ের হিমবাহ থেকে উৎপত্তি লাভ করে ভারতবর্ষের বুকে সুদীর্ঘ অঞ্চল প্রবাহিত হয়ে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে পদ্মা নদী নামে। তারপর পদ্মা নদী গোয়ালন্দে গিয়ে মিলিত হয়েছে যমুনার সাথে । মিলনের এই ধারা অব্যাহত রেখে মেঘনার সাথে আবার মিলিত হয় চাঁদপুরে এবং শেষমেষ মেঘনা নামেই বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।

    মেঘনা : মেঘনার উৎপত্তিস্থল ভারতবর্ষের মনিপুর রাজ্যে। এই নদী উৎপত্তিস্থল থেকে বরাক নদী নামে প্রবাহিত হয়ে পৃথক দুইটি শাখা কুশিয়ারা ও সুরমা নামে বাংলাদেশে সিলেট অঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করেছে। এই দুইটি শাখা আজমিরীগঞ্জে আবার মিলিত হয়েছে কালনী নদীর ধারায়। পরে কিছুদূর এগিয়ে এই তিনটি নদী মেঘনা নামে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। মেঘনার উপনদী গুলি হচ্ছে গোমতি, তিতাস, মনু বাউলাই ইত্যাদি।

    ব্রহ্মপুত্র : ব্রহ্মপুত্র হিমালয়ের কৈলাস শৃঙ্গ থেকে উৎপত্তি লাভ করে প্রথমে তিব্বত এবং পরে ভারতবর্ষের আসাম রাজ্য অতিক্রম করে কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পরে এই নদী দুইটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যমুনা এবং মেঘনা নদীতে মিলিত হয়। ব্রম্মপুত্রের প্রধান উপনদী গুলি হল ধরলা এবং তিস্তা।

    যমুনা : যমুনার উৎপত্তি ব্রহ্মপুত্র নদের একটি শাখা থেকে। ইহা দেওয়ানগঞ্জের কাছে ব্রম্মপুত্রের প্রধান শাখা থেকে যমুনা নামে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয় এবং পরে আবার মিলিত হয় পদ্মার সঙ্গে। ইহা বাংলাদেশের প্রশস্ততম নদী। যমুনার উপনদী গুলি হল ধরলা, তিস্তা, করতোয়া, আত্রাই ইত্যাদি।

    জনজীবনে নদীর প্রভাব : বাংলাদেশের জনজীবনে নদ নদীর ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশের সভ্যতা সংস্কৃতি এবং অর্থনীতিতে বিশেষ প্রভাব ফেলেছে এখানকার নদীগুলি। নদী তীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছে বিশাল বিশাল নগর ও বন্দর, গড়ে উঠেছে নৌপথ। যা সহজ করে দিয়েছে ব্যবসা বাণিজ্য ও আদান প্রদানের কাজ। আর অন্যদিকে এই নদীর জল বাংলার মাটিকে করেছে উর্বর। চাষাবাদের ক্ষেত্রে এখানকার নদীগুলিই যোগান দিচ্ছে অধিকাংশ জল। তাছাড়া শিল্প কারখানা, মৎস্য সম্পদ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন এবং পরিবহন ব্যবস্থায় নদ-নদী পালন করছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

    নদী ভাঙ্গন ও বিপর্যয় : প্রকৃতির দান এই নদ নদী গুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষের মঙ্গল সাধন করে থাকলেও কখনো কখনো এই নদীগুলি মানুষের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বর্ষাকালে নদী অতিরিক্ত প্রবাহের কারণে ভাসিয়ে নিয়ে যায় তীরবর্তী ফসলের মাঠ, ডুবে যায় জনপদ। নদীর ভাঙ্গনের ফলে ধ্বংস হয় ঘরবাড়ি, মানুষ হয়ে ওঠে অসহায়।

    উপসংহার : নদ নদী গুলি আমাদের জাতীয় সম্পদ। বাংলার মাটিকে পরিপূর্ণতা দান করেছে এই নদ-নদীগুলি। নদীর জলধারা থেকে আমরা নানাভাবে উপকৃত হয়েছি অনাদিকাল থেকে। তাই আমাদের দায়িত্ব নদী গুলির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ।

    See less
    • 1
  7. খেয়া - বিশেষ্য পদ খেয়া বলতে নদী পারাপারে ব্যবহৃত নৌকা কে বুঝায়।

    খেয়া – বিশেষ্য পদ
    খেয়া বলতে নদী পারাপারে ব্যবহৃত নৌকা কে বুঝায়।

    See less
    • 0
  8. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভূমিকাঃ বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি ভাষা-সৈনিক। তিনি জাতীর পিতা। বাঙালির অধিকার ও স্বতন্ত্র মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় ভাষা-আন্দোলন থেকে শুরু করে এদেশের গণমানুষের মুক্তির জন্য পরিচালিত সকল আন্দোলনের তিনিই ছিলেন প্রধান চালিকাশক্তি। তাঁর নেতৃত্বেই ১৯৭১ সনেRead more

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

    ভূমিকাঃ বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি ভাষা-সৈনিক। তিনি জাতীর পিতা। বাঙালির অধিকার ও স্বতন্ত্র মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় ভাষা-আন্দোলন থেকে শুরু করে এদেশের গণমানুষের মুক্তির জন্য পরিচালিত সকল আন্দোলনের তিনিই ছিলেন প্রধান চালিকাশক্তি। তাঁর নেতৃত্বেই ১৯৭১ সনে আমরা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছি এবং দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করেছি স্বাধীন বাংলাদেশে। তিনি বজ্রকণ্ঠের অধিকারী। তিনি সেই সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাঁপা মহান পুরুষ শেখ মুজিবুর রহমান। এ-জাতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও আত্মত্যাগ চিরকাল স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবে।

    জন্মঃ বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চের এক শুভক্ষণে গোপালগঞ্জ(সাবেক ফরিদপুর)জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহন করেন।

    পিতা-মাতাঃ বঙ্গবন্ধুর পিতা ছিলেন শেখ লুৎফর রহমান। মাতা ছিলেন সায়েরা খাতুন।

    শিক্ষাঃ বঙ্গবন্ধু ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন গোপালগঞ্জ মিশন হাই স্কুল থেকে। বিএ পাস করেন কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ থেকে। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশাস্ত্র অধ্যায়ন করেন।

    পরোলোকগমনঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কতিপয় পাকিস্তানি সেনাসদস্যের আক্রমণে ও নিষ্ঠুর আঘাতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠবাঙালি, এ-জাতির প্রাণপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। টুঙ্গিপাড়ায় পারিবারিক গোরস্থানে তাকেঁ সমাধিত করা হয়।

    উপসংহারঃ জাতির মহান নেতা হতে হলে যে-সমস্ত গুণের প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর তার সবই ছিল। তিনি ছিলেন সাহসী ও স্বাধীনতাপ্রিয়। সকল প্রকার নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী এবং অধিকার অর্জনের সংগ্রামেে আপোষহীন। কোনো প্রকার ভীতি কিংবা দ্বিধা তাঁকে কখনো বিচলিত করেনি। বাংলা ছিল তাঁর দেশ, বাংলা ছিল তাঁর ভাষা এবং তিনি নিজেকে বলতেন ‘আমি বাঙালি’। কবির ভাষায়- যতদিন রবে পদ্মা-যমুনা-গৌরী-মেঘনা বহমান ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান

    See less
    • 3
  9. শিক্ষাবিস্তারে গণমাধ্যমগুলির ভুমিকা : ভূমিকা – প্রাচীন ভারতে শিক্ষা ছিল মূলত গুরুকুলমুখী। গুরুদেব আশ্রমিক জীবনচর্যার মাধ্যমে ব্ৰহ্লাবিদ্যার পাশাপাশি ব্যবহারিক জীবনের শিক্ষা দানের উপযােগী করে ছাত্রকে পাঠ দিতেন – ক্রমশ কালের পরিবর্তনে সে শিক্ষা একদিন দূরীভূত হয়ে ইংরেজ শাসকদের আনুকুল্যে এদেশে বৃত্তিমুRead more

    শিক্ষাবিস্তারে গণমাধ্যমগুলির ভুমিকা :

    ভূমিকা – প্রাচীন ভারতে শিক্ষা ছিল মূলত গুরুকুলমুখী। গুরুদেব আশ্রমিক জীবনচর্যার মাধ্যমে ব্ৰহ্লাবিদ্যার পাশাপাশি ব্যবহারিক জীবনের শিক্ষা দানের উপযােগী করে ছাত্রকে পাঠ দিতেন – ক্রমশ কালের পরিবর্তনে সে শিক্ষা একদিন দূরীভূত হয়ে ইংরেজ শাসকদের আনুকুল্যে এদেশে বৃত্তিমুখী, চার দেয়ালের মধ্যে শুরু হয় সর্বাঙ্গীণ বিকাশের পরিবর্তে সংকীর্ণ প্রথাকেন্দ্রিক সীমাবদ্ধ এক আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা। দুশাে বছরের ব্রিটিশ শাসনের পরও এ শিক্ষাই আজও অনুসৃত হচ্ছে – অবশ্য যুগপ্রেক্ষিতের পরিবর্তনে লােকশিক্ষার প্রকৃতি ও পদ্ধতির পরিবর্তন শিক্ষাপ্রসারের ক্ষেত্রে সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের মত আধুনিক গণমাধ্যমগুলিকেও স্বীকৃতি দান করেছে।

    গণমাধ্যমের ভূমিকা – শিক্ষাবিস্তারে গণমাধ্যমগুলির ভুমিকা অতুলনীয় । গণমাধ্যমগুলি একাধারে যেমন শিক্ষাকে আকর্ষণীয় করে তােলে তেমনি সমাজ শিক্ষা তথা গণশিক্ষাও ঘটায়, তাই গণমানসকে উদ্দীপিত করে তােলার জন্য সর্বাগ্রে প্রয়ােজন শিক্ষার জন্য গণমাধ্যমগুলির সঠিক ব্যবহার। ফলে এর বিষয়ভুক্তির দিকেও আমাদের নজর দেওয়া প্রয়ােজন – যেমন ভারতের অর্থনীতির কিভাবে উন্নয়ন সম্ভব, গ্রামােন্নয়নের পরিকল্পনা, সুস্বাস্থ্যের কর্মসূচী প্রভৃতি। তাই বলা যায় সঠিক গণশিক্ষার মাধ্যমে দেশের আপামর জনসাধারণের রুচি ও সঠিক শিক্ষার প্রসার ঘটানাে সম্ভব।

    সংবাদপত্র – সংবাদপত্র সমাজের সর্বস্তরের মানুষের বিবিধ বিষয়ে জ্ঞান লাভের অত্যন্ত সহজতর মাধ্যম। মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কারের ফলে সংবাদপত্রের ব্যবহার ও গ্রহণযোগ্যতা ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর আনাচে কানাচে। বর্তমানে সংবাদপত্র গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ’ তথা জনমত গঠনের সেরা মাধ্যম হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। সংবাদপত্র থেকে সাধারণ মানুষ জাতীয় অর্থনীতি, রাজনীতি, খেলাধূলা, সংস্কৃতি প্রভৃতি বিষয়ে জ্ঞান যেমন লাভ করে তেমনি সমগ্র বিশ্বের সাম্প্রতিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতির ধারণাও জন্মায়। তাই একাধারে সংবাদপত্র এইসঙ্গে সংগঠক, শিক্ষক, জাতিগঠনে বা নেতৃত্বদানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

    রেডিও বা বেতার – গণমাধ্যমরূপে বেতার বা আকাশবাণীর ভূমিকাও কম নয়। এখন গ্রামাঞ্চলেও রেডিও প্রভৃতির প্রচলন ব্যাপকভাবে হয়েছে – এর মাধ্যমে কৃষিকাজের জন্য উপদেশ ও পরামর্শ, বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে চাষবাস প্রভৃতি বেশ আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।

    চলচ্চিত্র – শিক্ষা বিস্তার ও সমাজ উন্নতির আর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম চলচ্চিত্র। রূপ ও গতির সংমিশ্রণ চলচ্চিত্র। মানুষ ইন্দ্রিয় উপভােগের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক পুষ্টির সুযােগ পেল চলচ্চিত্রর মাধ্যমে। বিশ্বের ভূগােল-ইতিহাস, পুরাতত্ত্ব-নৃতত্ত্ব ও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের সমাহারে এক একটি চলচ্চিত্র যে ভূমিকা পালন করে যা অজস্র গ্রন্থপাঠেও সম্ভব হয় না। এছাড়া সামাজিক ব্যাধি, অস্পৃশ্যতা, দলাদলির সংকীর্ণতার মত জটিল বিষয়গুলির উপর সচেতনতা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

    দূরদর্শন – চলচ্চিত্রের মতােই দূরদর্শন বা টেলিভিশন দূরকে ‘নিকটবন্ধু’ করার সবচেয়ে শক্তিশালী একটি গণমাধ্যম।মানুষ তার ঘরে বসে জানতে পারে নানা অজানাকে, দেখতে পায় বিভিন্ন মনোরঞ্জন অনুষ্ঠান। একই সঙ্গে দূরদর্শন বহুমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করে তােলে, কাজেই আধুনিকতম সংবাদের অতিদ্রুত পরিবেশনা তার অঙ্গ – একথা আজ সর্বজনস্বীকৃত।

    ইন্টারনেট – একবিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্টতম বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার হচ্ছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের আবিষ্কারের ফলে আমাদের জীবন হয়ে পড়েছে অনেক সহজ। শিক্ষা, বাণিজ্য থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কাজে আমরা ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়েছি। ইন্টারনেট পুরো পৃথিবীকে এনে দিয়েছে হাতের মুঠোয়, শিক্ষা ব্যবস্থাকে করে তুলেছে সুলভ ও সহজ । ই মেইল, সামাজিক মাধ্যমের মত দ্রুত সেবার দরুন ইন্টারনেট বর্তমান যুগের সেরা গণমাধ্যম।

    উপসংহার – বিজ্ঞানের দ্রুত প্রসার আজ গণমাধ্যমগুলি একাধারে লােকশিক্ষা ও সমাজ শিক্ষায় দেশ ও জাতি তথা গােটা পৃথিবীকে স্বশিক্ষিত করে তুলছে। তবুও একথা ভুললে চলবে না যে, আজ যখন সমগ্র সমাজ অবক্ষয় ও নৈতিক শৈথিল্যে কবলিত এমত সময় দূরদর্শন, চলচ্চিত্র, সংবাদ পত্র সমস্ত অ্যালকেই অসাধু ব্যবসায়ী ও বানিজ্যিক সংস্থা রুচিহীন করে তাকে ব্যবহার করছে – একে যদি শক্ত হাতে দমন না করা যায় তাহলে ‘শিক্ষা’ নয় ‘অশিক্ষা বিস্তার হবে গণমাধ্যমগুলির প্রকৃত কাজ। এর জন্য চাই সরকারী নজরদারী, আর তা রুখতে পারে নৈতিক আদর্শ এবং গণমুখী শিক্ষাচিন্তা – যার প্রভাব পরবে গণমাধ্যমগুলির উপর এবং উপকৃত হবে সমগ্র বিশ্ব।

    See less
    • -3
  10. Six seasons name of west Bengal are: -গ্রীষ্ম Grishmo (Summer) বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ -বর্ষা Bôrsha (Wet season|Rainy (Monsoon) আষাঢ়-শ্রাবণ -শরৎ Shôrot (Autumn) ভাদ্র-আশ্বিন -হেমন্ত Hemonto (Dry season|Late Autumn) কার্তিক-অগ্রহায়ণ -শীত Šheet (Winter) পৌষ-মাঘ -বসন্ত Bôshonto (Spring) ফাল্গুন-চৈত্র

    Six seasons name of west Bengal are:

    -গ্রীষ্ম Grishmo (Summer) বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ
    -বর্ষা Bôrsha (Wet season|Rainy (Monsoon) আষাঢ়-শ্রাবণ
    -শরৎ Shôrot (Autumn) ভাদ্র-আশ্বিন
    -হেমন্ত Hemonto (Dry season|Late Autumn) কার্তিক-অগ্রহায়ণ
    -শীত Šheet (Winter) পৌষ-মাঘ
    -বসন্ত Bôshonto (Spring) ফাল্গুন-চৈত্র

    See less
    • 0