1. This answer was edited.

    দেবতার বিদায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাব্যগ্রন্থ- চৈতালি    দেবতামন্দিরমাঝে ভকত প্রবীণজপিতেছে জপমালা বসি নিশিদিন।হেনকালে সন্ধ্যাবেলা ধুলিমাখা দেহেবস্ত্রহীন জীর্ণ দীন পশিল সে গেহে।কহিল কাতরকণ্ঠে “গৃহ মোর নাইএক পাশে দয়া করে দেহো মোরে ঠাঁই।”সসংকোচে ভক্তবর কহিলেন তারে,“আরে আরে অপবিত্র, দূর হয়ে যারে।”সে কহিল,Read more

    দেবতার বিদায়

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

    কাব্যগ্রন্থ- চৈতালি   

    দেবতামন্দিরমাঝে ভকত প্রবীণ
    জপিতেছে জপমালা বসি নিশিদিন।
    হেনকালে সন্ধ্যাবেলা ধুলিমাখা দেহে
    বস্ত্রহীন জীর্ণ দীন পশিল সে গেহে।
    কহিল কাতরকণ্ঠে “গৃহ মোর নাই
    এক পাশে দয়া করে দেহো মোরে ঠাঁই।”
    সসংকোচে ভক্তবর কহিলেন তারে,
    “আরে আরে অপবিত্র, দূর হয়ে যারে।”
    সে কহিল, “চলিলাম”—চক্ষের নিমেষে
    ভিখারি ধরিল মূর্তি দেবতার বেশে।
    ভক্ত কহে, “প্রভু, মোরে কী ছল ছলিলে!”
    দেবতা কহিল, “মোরে দূর করি দিলে।
    জগতে দরিদ্ররূপে ফিরি দয়াতরে,
    গৃহহীনে গৃহ দিলে আমি থাকি ঘরে।”

     

    আরও পড়ুনঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কবিতাসমূহ

    In English Font: 

    Debotar biday

    Rabindranath Tagore

    Debota mandiro-majhe bhakata prabiṇ
    Japiteche japamala bosi nishidin.
    Henokale sandhyabela dhulimakha dehe
    Bastrahīna jirṇa deen pashilo se gehe.
    Kahilo katar-kaṇṭhe “griha mor na’i
    Ek paśhe daya kore deho mor ṭhai.”
    Sosangkoche bhaktabar kahilen tare,
    “are are apabitra, dur hoye jare.”
    Se kahilo, “chalilam”—chakker nimiṣhe
    Bhikhari dharilo murti debatar beshe.
    Bhakta kahe, “prabhu, mōre ki chal chalile!”
    Debata kahilo, “more dur kori dile.
    Jagate daridrarupe firi doyatore,
    Grihohine griha dile ami thaki ghore

    See less
    • 0
  2. পৃথিবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর   আজ আমার প্রণতি গ্রহণ করো, পৃথিবী, শেষ নমস্কারে অবনত দিনাবসানের বেদিতলে।। মহা বীর্যবতী তুমি বীরভোগ্যা, বিপরীত তুমি ললিতে কঠোরে, মিশ্রিত তোমার প্রকৃতি পুরুষে নারীতে, মানুষের জীবন দোলায়িত কর তুমি দু:সহ দ্বন্দ্বে। ডান হাতে পূর্ণ কর সুধা, বাম হাতে চূর্ণ কর পাত্র, তোমার লীRead more

    পৃথিবী

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

     

    আজ আমার প্রণতি গ্রহণ করো, পৃথিবী,
    শেষ নমস্কারে অবনত দিনাবসানের বেদিতলে।।
    মহা বীর্যবতী তুমি বীরভোগ্যা,
    বিপরীত তুমি ললিতে কঠোরে,
    মিশ্রিত তোমার প্রকৃতি পুরুষে নারীতে,
    মানুষের জীবন দোলায়িত কর তুমি দু:সহ দ্বন্দ্বে।

    ডান হাতে পূর্ণ কর সুধা,
    বাম হাতে চূর্ণ কর পাত্র,
    তোমার লীলাক্ষেত্র মুখরিত কর অট্টবিদ্রুপে;
    দু:সাধ্য কর বীরের জীবনকে মহৎ জীবনে যার অধিকার।
    শ্রেয়কে কর দুর্মূল্য, কৃপা কর না কৃপাপাত্রকে।
    তোমার গাছে গাছে প্রচ্ছন্ন রেখেছ প্রতি মুহূর্তের সংগ্রাম,
    ফলে শস্যে তার জয়মাল্য হয় সার্থক।
    জলে স্থলে তোমার ক্ষমাহীন রণ রঙ্গভূমি-
    সেখানে মৃত্যুর মুখে ঘোষিত হয় বিজয়ী প্রাণের জয়বার্তা।
    তোমার নির্দয়তার ভিত্তিতে উঠেছে সভ্যতার জয় তোরণ
    ত্রুটি ঘটলে তার পূর্ণ মূল্য শোধ হয় বিনাশে।।

    তোমার ইতিহাসের আদিপর্বে দানবের ছিল দুর্জয়-
    সে পুরুষ, সে বর্বর, সে মূঢ়।
    তার অঙ্গুলি ছিল স্থূল, কলাকৌশল বর্জিত;
    গদা-হাতে মুষল-হাতে লণ্ডভণ্ড করেছে সে সমুদ্র পর্বত;
    অগ্নিতে বাষ্পেতে দু:স্বপ্ন ঘুলিয়ে তুলেছে আকাশে।
    জড়রাজত্বে সে ছিল একাধিপতি,
    প্রাণের ‘পরে ছিল তার অন্ধ ঈর্ষা।।

    দেবতা এলেন পরযুগে, মন্ত্র পড়লেন দানব দমনের-
    জড়ের ঔদ্ধত্য হল অভিভূত;
    জীবধাত্রী বসলেন শ্যামল আস্তরণ পেতে।
    ঊষা দাঁড়ালেন পূর্বাচলের শিখর চূড়ায়,
    পশ্চিম সাগরতীরে সন্ধ্যা নামলেন মাথায় নিয়ে শান্তি ঘট।।

    নম্র হল শিকলে-বাঁধা দানব,
    তবু সেই আদিম বর্বর আঁকড়ে রইল তোমার ইতিহাস।
    ব্যবস্থার মধ্যে সে হঠাৎ আনে বিশৃঙ্খলতা-
    তোমার স্বভাবের কালো গর্ত থেকে
    হঠাত্ বেরিয়ে আসে এঁকে বেঁকে!
    তোমার নাড়ীতে লেগে আছে তোমার পাগলামি।
    দেবতার মন্ত্র উঠেছে আকাশে বাতাসে অরণ্যে
    দিনে রাত্রে উদাত্ত অনুদাত্ত মন্দ্র স্বরে।
    তবু তোমার বরে পাতাল থেকে আধপোষা নাগ দানব
    ণে ণে উঠেছে ফণা তুলে-
    তার তাড়নায় তোমার আপন জীবকে করেছ আঘাত,
    ছারখার করছ আপন সৃষ্টিকে।।

    শুভে-অশুভে স্থাপিত তোমার পাদপীঠে
    তোমার প্রচণ্ড সুন্দর মহিমার উদ্দেশে
    আজ রেখে যাব আমার ক্ষতচিহ্ন লাঞ্ছিত জীবনের প্রণতি।
    বিরাট প্রাণের, বিরাট মৃত্যুর, গুপ্ত সঞ্চার তোমার যে মাটির তলায়
    তাকে আজ স্পর্শ করি- উপলব্ধি করি সর্ব দেহে মনে।
    অগণিত যুগযুগান্তরের অসংখ্য মানুষের লুপ্ত দেহ পুঞ্জিত তার ধুলায়।
    আমিও রেখে যাব কয়-মুষ্টি ধূলি, আমার সমস্ত সুখ দু:খের শেষ পরিণাম-
    রেখে যাব এই নামগ্রাসী আকারগ্রাসী সকল-পরিচয়-গ্রাসী
    নি:শব্দ ধূলিরাশির মধ্যে।।

    অচল অবরোধে আবদ্ধ পৃথিবী, মেঘলোকে উধাও পৃথিবী,
    গিরিশৃঙ্গমালার মহৎ মৌনে ধ্যান নিমগ্না পৃথিবী,
    নীলাম্বু রাশির অতন্দ্র তরঙ্গে কলমন্দ্রমুখরা পৃথিবী,
    অন্নপূর্ণা তুমি সুন্দরী, অন্নরিক্তা তুমি ভীষণা।
    একদিকে আপক্বধান্যভারনম্র তোমার শস্যক্ষেত্রে-
    সেখানে প্রসন্ন প্রভাতসূর্য প্রতিদিন মুছে নেয় শিশিরবিন্দু
    কিরণ-উত্তরীয় বুলিয়ে দিয়ে;
    অস্তগামী সূর্য শ্যামশস্যহিল্লোলে রেখে যায় অকথিত এই বাণী
    ”আমি আনন্দিত”।
    অন্যদিকে তোমার জলহীন ফলহীন আতঙ্কপান্ডুর মরুক্ষেত্র
    পরিকীর্ণ পশু কঙ্কালের মধ্যে মরীচিকার প্রেতনৃত্য।

    বৈশাখে দেখেছি বিদ্যুৎ চঞ্চু বিদ্ধ দিগন্তকে ছিনিয়ে নিতে এল
    কালো শ্যেন-পাখির মতো তোমার ঝড়-
    সমস্ত আকাশটা ডেকে উঠল যেন কেশর-ফোলা সিংহ;
    তার লেজের ঝাপটে ডালপালা আলুথালু করে
    হতাশ বনস্পতি ধুলায় পড়ল উবুড় হয়ে;
    হাওয়ার মুখে ছুটল ভাঙা কুঁড়ের চাল
    শিকল-ছেঁড়া কয়েদি-ডাকাতের মতো।

    আবার ফাল্গুনে দেখেছি তোমার আতপ্ত দক্ষিণ হাওয়া
    ছড়িয়ে দিয়েছে বিরহ-মিলনের স্বগত-প্রলাপ আম্র-মুকুলের গন্ধে;
    চাঁদের পেয়ালা ছাপিয়ে দিয়ে উপচিয়ে পড়েছে স্বর্গীয় মদের ফেনা;
    বনের মর্মরধ্বনি বাতাসের স্পর্ধায় ধৈর্য হারিয়েছে
    অকস্মাৎ কল্লোলোচ্ছ্বাসে।।

    স্নিগ্ধ তুমি, হিংস্র তুমি, পুরাতনী তুমি নিত্য-নবীনা,
    অনাদি সৃষ্টির যজ্ঞ-হুতাগ্নি থেকে বেরিয়ে এসেছিলে
    সংখ্যা-গণনার-অতীত প্রত্যুষে;
    তোমার চক্রতীর্থের পথে পথে ছড়িয়ে এসেছে
    শত শত ভাঙা ইতিহাসের অর্ধ-লুপ্ত অবশেষ;
    বিনা বেদনায় বিছিয়ে এসেছে তোমার বর্জিত সৃষ্টি
    অগণ্য বিস্মৃতির স্তরে স্তরে।।

    জীবপালিনী, আমাদের পুষেছ
    তোমার খন্ডকালের ছোট ছোট পিঞ্জরে,
    তারই মধ্যে সব খেলার সীমা, সব কীর্তির অবসান।।

    আজ আমি কোন মোহ নিয়ে আসি নি তোমার সম্মুখে;
    এতদিন যে দিনরাত্রির মালা গেঁথেছি বসে বসে
    তার জন্য অমরতার দাবি করব না তোমার দ্বারে।
    তোমার অযুত নিযুত বৎসর সূর্যপ্রদক্ষিণের পথে
    যে বিপুল নিমেষগুলি উন্মীলিত নিমীলিত হতে থাকে
    তারই এক ক্ষুদ্র অংশে কোন-একটি আসনের
    সত্যমুল্য যদি দিয়ে থাকি,
    জীবনের কোন-একটি ফলবান খণ্ডকে
    যদি জয় করে থাকি পরম দু:খে
    তবে দিয়ো তোমার মাটির ফোঁটার একটি তিলক আমার কপালে;
    সে চিহ্ন যাবে মিলিয়ে
    যে রাত্রে সকল চিহ্ন পরম অচিনের মধ্যে যায় মিশে।।

    হে উদাসীন পৃথিবী,
    আমাকে সম্পূর্ণ ভোলবার আগে
    তোমার নির্মম পদপ্রান্তে
    আজ রেখে যাই আমার প্রণতি।।

     

    InEnglish Font:

    Prithibi

    Rabindranath Tagore

    Aaj amar praṇati grahaṇ karo prthibi,
    Sesh namaskare abanato din basaner beditale..
    Maha biryabati tumi birbhogya,
    Biparita tumi lolite koṭhur,
    Misrito tumar prakriti puruṣhe narite,
    Manuṣher jibon dolayito koro tumi du:Saha dhande.

    Ḍan hate purṇa koro sudha
    bam hate churṇo koro patro,
    tomar lilaketre mukharito koro aṭṭabidrup;
    Du:Shadhya koro birer jibanke mahaṯ jibane jar adhikar.
    Sreyake koro durmulya, kripa koro na kripa patrake.
    Tomar gache gache pracchanna rekheche prati muhurter saṅgram,
    Phale sashye tara jayamalya hoy sarthak.
    Jale sthale tomar khomahin raṇa raṅgabhumi-
    Sekhane mrityur mukhe ghoṣhita hoy bijayi praṇer jaybarta.
    Tomar nirdayatar bhittite uṭheche shobhyatar joy turaṇ
    Truṭi ghaṭle tar purṇa mullya sodh hoy binashe..

    Tomar itihasher adiparbe danober chilo durjay-
    Se puruṣh, se barbar, se murh.
    Tar aṅguli chilo sthulo, kola-kausal barjito;
    Goda-hate muṣal-hate laṇḍabhaṇḍa kareche se samudra parbat;
    Agnite baṣpete du:shapno ghuliye tuleche Akashe.
    Jar-rajatte se chilo ekadhipati,
    Praṇer ‘pore chilo tara andha irṣha..

    Debota elen parajuge, mantra parlen danab domoner-
    Jarer aud’dhatya holo abhibhuto;
    Jibodhatri boshlen shyamal astaraṇ pete.
    Uṣha daralen purbachaler sikhor churay,
    Pashim sagaratire sandhy namalen mathay niye santi ghaṭ..

    Namra holo shikole-badha danab,
    Tabu se’i adim barbar Aakre ra’ilo tomara itihash.
    Byabasthar madhye se haṭhaṯ Aane bisriṅgkholota-
    tomar sbabhaber kalo garta theke
    haṭhat beriye aase eke beke!
    Tomar narite lege ache tomar pagalami.
    Debatar mantra uṭheche Akashe batashe oroṇnye
    Dine ratre udatta anudtta mandra shore.
    Tabu tomr bore patal theke adhpoṣha nag danab
    Ne ṇe uṭheche phaṇa tule-
    tar taronay tomar Apan jibke korecho Aghat,
    Charkhar karcho Apan sriṣṭike..

    Subhe-asubhe sthapito tomar padpiṭhe
    Tomar prachaṇḍa sundar mahimar uddese
    Aj rekhe jabo Amar katachinna lanchita jibaner praṇati.
    Biraṭ praṇer, biraṭ mrityur, gupta sañchar tomar je maṭira talay
    take aaj sparsa kari- upalabdhi kari sarba dehe mone.
    Agaṇita jugjugantarer osaṅkhya manuṣher lupto deho puñjito tar dhulay.
    Ami’o rekhe jabo koy muṣṭi dhuli, Amar samasta sukh du:Kher seṣh poriṇam-
    Rekhe jabo e’i namgrashi akargrashi sakal-parichoy-grashi
    Ni:shabda dhuli rashir madhye..

    Ochol abarodhe Abad’dha prthibi, meghloke udha’o prthibi,
    Girisriṅgamalar mahaṯ maune dhyan nimagna prthibi,
    Nilambu rashir atandro taraṅge kalamandro-mukhora prthibi,
    Annapurṇa tumi sundari, annarikta tumi bhiṣhaṇa.
    Ekadike Apakkha-dhan’yabhar-namra tomar sashyakhetre-
    Sekhane prasanna prabhat-surya pratidin muche neye sisir-bindu
    kiraṇ-uttariya buliye diye;
    Astagami surya syamasasya-hillole rekhe jay okothita e’i baṇi
    ”Ami Anandito”.
    An’yadike tomar jalhin folhin Ataṅkapnḍur marukhetra
    Parikirṇo pashu kaṅkaler madhye maricikar pret-nritya.

    Baisakhe dekhechi bidyuṯ chanchu bid’dha digantake chiniye nite elo
    kalo syen-pakhir moto tomar jhar-
    Samasta akashṭa ḍeke uṭhlo jeno keshor-phola sinha;
    Tar lejer jhapaṭe ḍal-pala aluthalu kare
    Hatash banaspati dhulaa parlo ubur hoye;
    Ha’wrer mukhe chuṭlo bhanga kurer chal
    Sikal-chara koyedi-ḍakater moto.

    Abar phalgune dekhechi tomr Atapta dakkiṇ hawa
    Choriye diyeche biraho-miloner shagata-pralap Amra-mukuler gandhe;
    Chader peyala chapiye diye upaciye pareche shargiya mader fena;
    Boner marmardhani bataser spardhaya dhairja hariyeche
    akassatṯ kallolocchashe..

    Snigdha tumi, hingsra tumi, purtani tumi nitya-nabina,
    anadi sriṣṭir jagga-hutagni theke beriye esechile
    saṅkhya-gaṇanar-atit pratyuṣhe;
    Tomar cakratirther pathe pathe choriye eseche
    Shata shata bhanga itihaser ardha-lupta abasesh;
    Bina bedanay bichiye eseche tomar barjito sriṣṭi
    Agaṇnya bismrtir sthore sthore..

    Jibapalini, Amader puṣhecho
    Tomar khanḍa-kaler choṭo choṭo piñjare,
    tar’i madhye sab khelar sima, sab kirtir abashan..

    Aaj Ami kono muho niye Ashini tomar sam’mukhe;
    Etodin je din-ratrir mala gethechi boshe boshe
    tar janno omorotar dabi korabo na tomar dhare.
    Tomar ajut nijut baṯsar suryapradakhiṇer pothe
    Je bipul nimeṣhguli unmilito nimilito hoye thake

    tar’i ek khudra angshe kuno-ekaṭ asaner
    Satyamullya jadi diye thaki,
    Jibanera kuno-ekṭi falban khonḍoke
    Jodi joy kare thaki param du:Khe
    Tabe diyo tomar maṭir fuṭar ekṭi tilak amar kopale;
    se cihna jabe miliye
    Je ratre sakal cihna param achiner madhye jay mishe..

    He udashin prthibi,
    Amake sampurṇa bhulbar age
    tomar nirmam padaprante
    Aaj rekhe jai amar praṇati..

    See less
    • 0
  3. পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম জনসংখ্যা- ভারতের ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী , পশ্চিমবঙ্গের মোট জনসংখ্যার ২৭.০১% মানুষ মুসলিম। যার সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪.৬ মিলিয়নের বেশি বা ২ কোটি ৪৬ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮২৫ জন । জেনে রাখা ভাল যে পশ্চিমবঙ্গের মোট জনসংখ্যা ৯,১২,৭৬,১১৫ জন। রাজ্যে অনুপাতের দিক দিয়ে মুসলিম বহুল জেলাগুলি হচ্ছে মুRead more

    পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম জনসংখ্যা-

    ভারতের ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী , পশ্চিমবঙ্গের মোট জনসংখ্যার ২৭.০১% মানুষ মুসলিম। যার সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪.৬ মিলিয়নের বেশি বা ২ কোটি ৪৬ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮২৫ জন । জেনে রাখা ভাল যে পশ্চিমবঙ্গের মোট জনসংখ্যা ৯,১২,৭৬,১১৫ জন।

    রাজ্যে অনুপাতের দিক দিয়ে মুসলিম বহুল জেলাগুলি হচ্ছে মুর্শিদাবাদ, মালদা এবং উত্তর দিনাজপুর। এই তিনটি জেলায় ক্রমে ৬৬.৮৮%, ৫১.২৭%, ৪৯.৯২% মুসলমান বাস করেন।

    See less
    • 0
  4. হাট রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কুমোর-পাড়ার গোরুর গাড়ি --- বোঝাই-করা কলসি-হাঁড়ি। গাড়ি চালায় বংশীবদন, সঙ্গে যে যায় ভাগ্নে মদন। হাট বসেছে শুক্রবারে বক্সীগঞ্জে পদ্মাপারে। জিনিসপত্র জুটিয়ে এনে গ্রামের মানুষ বেচে কেনে। উচ্ছে বেগুন পটল মুলো, বেতের বোনা ধামা কুলো, সর্ষে ছোলা ময়দা আটা, শীতের র‍্যাপার নক্সা কাটা, ঝাঁঝRead more

    হাট

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

    কুমোর-পাড়ার গোরুর গাড়ি —
    বোঝাই-করা কলসি-হাঁড়ি।
    গাড়ি চালায় বংশীবদন,
    সঙ্গে যে যায় ভাগ্নে মদন।
    হাট বসেছে শুক্রবারে
    বক্সীগঞ্জে পদ্মাপারে।
    জিনিসপত্র জুটিয়ে এনে
    গ্রামের মানুষ বেচে কেনে।
    উচ্ছে বেগুন পটল মুলো,
    বেতের বোনা ধামা কুলো,
    সর্ষে ছোলা ময়দা আটা,
    শীতের র‍্যাপার নক্সা কাটা,
    ঝাঁঝরি কড়া বেড়ি হাতা,
    শহর থেকে সস্তা ছাতা।
    কলসিভরা এখো গুড়ে
    মাছি যত বেড়ায় উড়ে।
    খড়ের আঁটি নৌকো বেয়ে
    আনল ঘাটে চাষির মেয়ে,
    অন্ধ কানাই পথের ‘পরে
    গান শুনিয়ে ভিক্ষে করে।
    পাড়ার ছেলে স্নানের ঘাটে
    জল ছিটিয়ে সাঁতার কাটে।।

     

    In English font:

    Haat
    Rabindranath Tagore

    Kumor parar garur gari
    Bujai kora kolshi hari
    Gari chalay bangshi badan
    Songe je jay bhagne madan
    Haat boseche shukrobare
    bakshiganje podmapare
    Jinish patra jutiya aane
    Gramer manush beche kene
    ucche begun patal mulo
    beter bona dhama kulo
    Sorshe chula moyda aata
    Shiter wrapper noksha kata
    Jajri kora beri hata
    Sohor theke sosta chata
    Kolshi bhora ekho gure
    khorer aati nouka beye
    Anlo ghate chashir meye
    Ondho kanai pother pore
    Gaan shuniye bhikke kore
    parar chele snaner ghate
    Jol chitiye shatar kate

    See less
    • 0
  5. নিষ্কৃতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মা কেঁদে কয়, "'মঞ্জুলী মোর ঐ তো কচি মেয়ে, ওরি সঙ্গে বিয়ে দেবে?--বয়সে ওর চেয়ে পাঁচগুনো সে বড়ো;-- তাকে দেখে বাছা আমার ভয়েই জড়সড়। এমন বিয়ে ঘটতে দেব নাকো।" বাপ বললে, "কান্না তোমার রাখো! পঞ্চাননকে পাওয়া গেছে অনেক দিনের খোঁজে, জান না কি মস্ত কুলীন ও যে। সমাজে তো উঠতে হবে সেটা কিRead more

    নিষ্কৃতি

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

    মা কেঁদে কয়, “‘মঞ্জুলী মোর ঐ তো কচি মেয়ে,
    ওরি সঙ্গে বিয়ে দেবে?–বয়সে ওর চেয়ে
    পাঁচগুনো সে বড়ো;–
    তাকে দেখে বাছা আমার ভয়েই জড়সড়।
    এমন বিয়ে ঘটতে দেব নাকো।”

    বাপ বললে, “কান্না তোমার রাখো!
    পঞ্চাননকে পাওয়া গেছে অনেক দিনের খোঁজে,
    জান না কি মস্ত কুলীন ও যে।
    সমাজে তো উঠতে হবে সেটা কি কেউ ভাব।
    ওকে ছাড়লে পাত্র কোথায় পাব।”

    মা বললে, “কেন ঐ যে চাটুজ্যেদের পুলিন,
    নাই বা হল কুলীন,–
    দেখতে যেমন তেমনি স্বভাবখানি,
    পাস করে ফের পেয়েছে জলপানি,
    সোনার টুকরো ছেলে।
    এক-পাড়াতে থাকে ওরা–ওরি সঙ্গে হেসে খেলে
    মেয়ে আমার মানুষ হল; ওকে যদি বলি আমি আজই
    এক্খনি হয় রাজি।”

    বাপ বললে, “থামো,
    আরে আরে রামোঃ।
    ওরা আছে সমাজের সব তলায়।
    বামুন কি হয় পৈতে দিলেই গলায়?
    দেখতে শুনতে ভালো হলেই পাত্র হল! রাধে!
    স্ত্রীবুদ্ধি কি শাস্ত্রে বলে সাধে।”

    যেদিন ওরা গিনি দিয়ে দেখলে কনের মুখ
    সেদিন থেকে মঞ্জুলিকার বুক
    প্রতি পলের গোপন কাঁটায় হল রক্তে মাখা।
    মায়ের স্নেহ অন্তর্যামী, তার কাছে তো রয় না কিছুই ঢাকা;
    মায়ের ব্যথা মেয়ের ব্যথা চলতে খেতে শুতে
    ঘরের আকাশ প্রতিক্ষণে হানছে যেন বেদনা-বিদ্যুতে।

    অটলতার গভীর গর্ব বাপের মনে জাগে,–
    সুখে দুঃখে দ্বেষে রাগে
    ধর্ম থেকে নড়েন তিনি নাই হেন দৌর্বল্য।
    তাঁর জীবনের রথের চাকা চলল
    লোহার বাঁধা রাস্তা দিয়ে প্রতিক্ষণেই,
    কোনোমতেই ইঞ্চিখানেক এদিক-ওদিক একটু হবার জো নেই।

    তিনি বলেন, তাঁর সাধনা বড়োই সুকঠোর,
    আর কিছু নয়, শুধুই মনের জোর,
    অষ্টাবক্র জমদগ্নি প্রভৃতি সব ঋষির সঙ্গে তুল্য,
    মেয়েমানুষ বুঝবে না তার মূল্য।

    অন্তঃশীলা অশ্রুনদীর নীরব নীরে
    দুটি নারীর দিন বয়ে যায় ধীরে।
    অবশেষে বৈশাখে এক রাতে
    মঞ্জুলিকার বিয়ে হল পঞ্চাননের সাথে।
    বিদায়বেলায় মেয়েকে বাপ বলে দিলেন মাথায় হস্ত ধরি
    “হও তুমি সাবিত্রীর মতো এই কামনা করি।”

    কিমাশ্চর্যমতঃপরং, বাপের সাধন-জোরে
    আশীর্বাদের প্রথম অংশ দু-মাস যেতেই ফলল কেমন করে–
    পঞ্চাননকে ধরল এসে যমে;
    কিন্তু মেয়ের কপালক্রমে
    ফলল না তার শেষের দিকটা, দিলে না যম ফিরে,
    মঞ্জুলিকা বাপের ঘরে ফিরে এল সিঁদুর মুছে শিরে।

    দুঃখে সুখে দিন হয়ে যায় গত
    স্রোতের জলে ঝরে-পড়া ভেসে-যাওয়া ফুলের মতো,
    অবশেষে হল
    মঞ্জুলিকার বয়স ভরা ষোলো।
    কখন শিশুকালে
    হৃদয়-লতার পাতার অন্তরালে
    বেরিয়েছিল একটি কুঁড়ি
    প্রাণের গোপন রহস্যতল ফুঁড়ি;
    জানত না তো আপনাকে সে,
    শুধায় নি তার নাম কোনোদিন বাহির হতে খেপা বাতাস এসে,
    সেই কুঁড়ি আজ অন্তরে তার উঠছে ফুটে
    মধুর রসে ভরে উঠে’।
    সে যে প্রেমের ফুল
    আপনি রাঙা পাপড়িভারে আপনি সমাকুল।
    আপনাকে তার চিনতে যে আর নাইকো বাকি,
    তাইতো থাকি থাকি
    চমকে ওঠে নিজের পানে চেয়ে।
    আকাশপারের বাণী তারে ডাক দিয়ে যায় আলোর ঝরনা বেয়ে;
    রাতের অন্ধকারে
    কোন্ অসীমের রোদনভরা বেদন লাগে তারে।
    বাহির হতে তার
    ঘুচে গেছে সকল অলংকার;
    অন্তর তার রাঙিয়ে ওঠে স্তরে স্তরে,
    তাই দেখে সে আপনি ভেবে মরে।
    কখন কাজের ফাঁকে
    জানলা ধরে চুপ করে সে বাইরে চেয়ে থাকে–
    যেখানে ওই শজনে গাছের ফুলের ঝুরি বেড়ার গায়ে
    রাশি রাশি হাসির ঘায়ে
    আকাশটারে পাগল করে দিবসরাতি।

    যে ছিল তার ছেলেবেলার খেলাঘরের সাথি
    আজ সে কেমন করে
    জলস্থলের হৃদয়খানি দিল ভরে।
    অরূপ হয়ে সে যেন আজ সকল রূপে রূপে
    মিশিয়ে গেল চুপে চুপে।
    পায়ের শব্দ তারি
    মরমরিত পাতায় পাতায় গিয়েছে সঞ্চারি।
    কানে কানে তারি করুণ বাণী
    মৌমাছিদের পাখার গুনগুনানি।

    মেয়ের নীরব মুখে
    কী দেখে মা, শেল বাজে তার বুকে।
    না-বলা কোন্ গোপন কথার মায়া
    মঞ্জুলিকার কালো চোখে ঘনিয়ে তোলে জলভরা এক ছায়া;
    অশ্রু-ভেজা গভীর প্রাণের ব্যথা
    এনে দিল অধরে তার শরৎনিশির স্তব্ধ ব্যাকুলতা।
    মায়ের মুখে অন্ন রোচে নাকো–
    কেঁদে বলে, “হায় ভগবান, অভাগীরে ফেলে কোথায় থাক।”

    একদা বাপ দুপুরবেলায় ভোজন সাঙ্গ করে
    গুড়গুড়িটার নলটা মুখে ধরে,
    ঘুমের আগে, যেমন চিরাভ্যাস,
    পড়তেছিলেন ইংরেজি এক প্রেমের উপন্যাস।
    মা বললেন, বাতাস করে গায়ে,
    কখনো বা হাত বুলিয়ে পায়ে,
    “যার খুশি সে নিন্দে করুক, মরুক বিষে জ্বরে
    আমি কিন্তু পারি যেমন ক’রে
    মঞ্জুলিকার দেবই দেব বিয়ে।”

    বাপ বললেন, কঠিন হেসে, “তোমরা মায়ে ঝিয়ে
    এক লগ্নেই বিয়ে ক’রো আমার মরার পরে,
    সেই কটা দিন থাকো ধৈর্য ধরে।”
    এই বলে তাঁর গুড়গুড়িতে দিলেন মৃদু টান।
    মা বললেন, “‘উঃ কী পাষাণ প্রাণ,
    স্নেহমায়া কিচ্ছু কি নেই ঘটে।”
    বাপ বললেন, “আমি পাষাণ বটে।
    ধর্মের পথ কঠিন বড়ো, ননির পুতুল হলে
    এতদিনে কেঁদেই যেতেম গলে।”

    মা বললেন, “হায় রে কপাল। বোঝাবই বা কারে।
    তোমার এ সংসারে
    ভরা ভোগের মধ্যখানে দুয়ার এঁটে
    পলে পলে শুকিয়ে মরবে ছাতি ফেটে
    একলা কেবল একটুকু ঐ মেয়ে,
    ত্রিভুবনে অধর্ম আর নেই কিছু এর চেয়ে।
    তোমার পুঁথির শুকনো পাতায় নেই তো কোথাও প্রাণ,
    দরদ কোথায় বাজে সেটা অন্তর্যামী জানেন ভগবান।”

    বাপ একটু হাসল কেবল, ভাবলে, “মেয়েমানুষ
    হৃদয়তাপের ভাপে-ভরা ফানুস।
    জীবন একটা কঠিন সাধন–নেই সে ওদের জ্ঞান।”
    এই বলে ফের চলল পড়া ইংরেজি সেই প্রেমের উপাখ্যান।

    দুখের তাপে জ্বলে জ্বলে অবশেষে নিবল মায়ের তাপ;
    সংসারেতে একা পড়লেন বাপ।
    বড়ো ছেলে বাস করে তার স্ত্রীপুত্রদের সাথে
    বিদেশে পাটনাতে।
    দুই মেয়ে তার কেউ থাকে না কাছে,
    শ্বশুরবাড়ি আছে।
    একটি থাকে ফরিদপুরে,
    আরেক মেয়ে থাকে আরো দূরে
    মাদ্রাজে কোন্ বিন্ধ্যগিরির পার।
    পড়ল মঞ্জুলিকার ‘পরে বাপের সেবাভার।
    রাঁধুনে ব্রাহ্মণের হাতে খেতে করেন ঘৃণা,
    স্ত্রীর রান্না বিনা
    অন্নপানে হত না তার রুচি।
    সকালবেলায় ভাতের পালা, সন্ধ্যাবেলায় রুটি কিংবা লুচি;
    ভাতের সঙ্গে মাছের ঘটা
    ভাজাভুজি হত পাঁচটা-ছটা;
    পাঁঠা হত রুটি-লুচির সাথে।
    মঞ্জুলিকা দুবেলা সব আগাগোড়া রাঁধে আপন হাতে।
    একাদশী ইত্যাদি তার সকল তিথিতেই
    রাঁধার ফর্দ এই।
    বাপের ঘরটি আপনি মোছে ঝাড়ে
    রৌদ্রে দিয়ে গরম পোশাক আপনি তোলে পাড়ে।
    ডেস্কে বাক্সে কাগজপত্র সাজায় থাকে থাকে,
    ধোবার বাড়ির ফর্দ টুকে রাখে।
    গয়লানী আর মুদির হিসাব রাখতে চেষ্টা করে,
    ঠিক দিতে ভুল হলে তখন বাপের কাছে ধমক খেয়ে মরে।
    কাসুন্দি তার কোনোমতেই হয় না মায়ের মতো,
    তাই নিয়ে তার কত
    নালিশ শুনতে হয়।
    তা ছাড়া তার পান-সাজাটা মনের মতো নয়।
    মায়ের সঙ্গে তুলনাতে পদেপদেই ঘটে যে তার ত্রুটি।
    মোটামুটি–
    আজকালকার মেয়েরা কেউ নয় সেকালের মতো।
    হয়ে নীরব নত,
    মঞ্জুলী সব সহ্য করে, সর্বদাই সে শান্ত,
    কাজ করে অক্লান্ত।
    যেমন করে মাতা বারংবার
    শিশু ছেলের সহস্র আবদার
    হেসে সকল বহন করেন স্নেহের কৌতুকে,
    তেমনি করেই সুপ্রসন্ন মুখে
    মঞ্জুলী তার বাপের নালিশ দন্ডে দন্ডে শোনে,
    হাসে মনে মনে।
    বাবার কাছে মায়ের স্মৃতি কতই মূল্যবান
    সেই কথাটা মনে ক’রে গর্বসুখে পূর্ণ তাহার-প্রাণ।
    “আমার মায়ের যত্ন যে-জন পেয়েছে একবার
    আর-কিছু কি পছন্দ হয় তার।”

    হোলির সময় বাপকে সেবার বাতে ধরল ভারি।
    পাড়ায় পুলিন করছিল ডাক্তারি,
    ডাকতে হল তারে।
    হৃদয়যন্ত্র বিকল হতে পারে
    ছিল এমন ভয়।
    পুলিনকে তাই দিনের মধ্যে বারেবারেই আসতে যেতে হয়।
    মঞ্জুলী তার সনে
    সহজভাবেই কইবে কথা যতই করে মনে
    ততই বাধে আরো।
    এমন বিপদ কারো
    হয় কি কোনোদিন।
    গলাটি তার কাঁপে কেন, কেন এতই ক্ষীণ,
    চোখের পাতা কেন
    কিসের ভারে জড়িয়ে আসে যেন।
    ভয়ে মরে বিরহিণী
    শুনতে যেন পাবে কেহ রক্তে যে তা’র বাজে রিনিরিনি।
    পদ্মপাতায় শিশির যেন, মনখানি তার বুকে
    দিবারাত্রি টলছে কেন এমনতরো ধরা-পড়ার মুখে।

    ব্যামো সেরে আসছে ক্রমে,
    গাঁঠের ব্যথা অনেক এল কমে।
    রোগী শয্যা ছেড়ে
    একটু এখন চলে হাত-পা নেড়ে।
    এমন সময় সন্ধ্যাবেলা
    হাওয়ায় যখন যূথীবনের পরানখানি মেলা,
    আঁধার যখন চাঁদের সঙ্গে কথা বলতে যেয়ে
    চুপ ক’রে শেষ তাকিয়ে থাকে চেয়ে,
    তখন পুলিন রোগী-সেবার পরামর্শ-ছলে
    মঞ্জুলিরে পাশের ঘরে ডেকে বলে–
    “জান তুমি তোমার মায়ের সাধ ছিল এই চিতে
    মোদের দোঁহার বিয়ে দিতে।
    সে ইচ্ছাটি তাঁরি
    পুরাতে চাই যেমন করেই পারি।
    এমন করে আর কেন দিন কাটাই মিছিমিছি।”

    “না না, ছি ছি, ছি ছি।”
    এই ব’লে সে মঞ্জুলিকা দু-হাত দিয়ে মুখখানি তার ঢেকে
    ছুটে গেল ঘরের থেকে।
    আপন ঘরে দুয়ার দিয়ে পড়ল মেঝের ‘পরে–
    ঝরঝরিয়ে ঝরঝরিয়ে বুক ফেটে তার অশ্রু ঝরে পড়ে।
    ভাবলে, “পোড়া মনের কথা এড়ায় নি ওঁর চোখ।
    আর কেন গো। এবার মরণ হ’ক।”

    মঞ্জুলিকা বাপের সেবায় লাগল দ্বিগুণ ক’রে
    অষ্টপ্রহর ধরে।
    আবশ্যকটা সারা হলে তখন লাগে অনাবশ্যক কাজে,
    যে-বাসনটা মাজা হল আবার সেটা মাজে।
    দু-তিন ঘন্টা পর
    একবার যে-ঘর ঝেড়েছে ফের ঝাড়ে সেই ঘর।
    কখন যে স্নান, কখন যে তার আহার,
    ঠিক ছিল না তাহার।
    কাজের কামাই ছিল নাকো যতক্ষণ না রাত্রি এগারোটায়
    শ্রান্ত হয়ে আপনি ঘুমে মেঝের ‘পরে লোটায়।
    যে দেখল সে-ই অবাক হয়ে রইল চেয়ে,
    বললে, “ধন্যি মেয়ে।”

    বাপ শুনে কয় বুক ফুলিয়ে, “গর্ব করি নেকো,
    কিন্তু তবু আমার মেয়ে সেটা স্মরণ রেখো।
    ব্রহ্মচর্য- ব্রত
    আমার কাছেই শিক্ষা যে ওর। নইলে দেখতে অন্যরকম হ’ত।
    আজকালকার দিনে
    সংযমেরি কঠোর সাধন বিনে
    সমাজেতে রয় না কোনো বাঁধ,
    মেয়েরা তাই শিখছে কেবল বিবিয়ানার ছাঁদ।”

    স্ত্রীর মরণের পরে যবে
    সবেমাত্র এগারো মাস হবে,
    গুজব গেল শোনা
    এই বাড়িতে ঘটক করে আনাগোনা।
    প্রথম শুনে মঞ্জুলিকার হয় নিকো বিশ্বাস,
    তার পরে সব রকম দেখে ছাড়লে নিশ্বাস।
    ব্যস্ত সবাই, কেমনতরো ভাব
    আসছে ঘরে নানা রকম বিলিতি আসবাব।
    দেখলে বাপের নতুন করে সাজসজ্জা শুরু,
    হঠাৎ কালো ভ্রমরকৃষ্ণ ভুরু,
    পাকাচুল সব কখন হল কটা,
    চাদরেতে যখন-তখন গন্ধ মাখার ঘটা।

    মার কথা আজ মঞ্জুলিকার পড়ল মনে
    বুকভাঙা এক বিষম ব্যথার সনে।
    হ’ক না মৃত্যু, তবু
    এ-বাড়ির এই হাওয়ার সঙ্গে বিরহ তাঁর ঘটে নাই তো কভু।
    কল্যাণী সেই মূর্তিখানি সুধামাখা
    এ সংসারের মর্মে ছিল আঁকা;
    সাধ্বীর সেই সাধনপুণ্য ছিল ঘরের মাঝে,
    তাঁরি পরশ ছিল সকল কাজে।
    এ সংসারে তাঁর হবে আজ পরম মৃত্যু, বিষম অপমান–
    সেই ভেবে যে মঞ্জুলিকার ভেঙে পড়ল প্রাণ।

    ছেড়ে লজ্জাভয়
    কন্যা তখন নিঃসংকোচে কয়
    বাপের কাছে গিয়ে,–
    “তুমি নাকি করতে যাবে বিয়ে।
    আমরা তোমার ছেলেমেয়ে নাতনী-নাতি যত
    সবার মাথা করবে নত?
    মায়ের কথা ভুলবে তবে?
    তোমার প্রাণ কি এত কঠিন হবে।”

    বাবা বললে শুষ্ক হাসে,
    “কঠিন আমি কেই বা জানে না সে?
    আমার পক্ষে বিয়ে করা বিষম কঠোর কর্ম,
    কিন্তু গৃহধর্ম
    স্ত্রী না হলে অপূর্ণ যে রয়
    মনু হতে মহাভারত সকল শাস্ত্রে কয়।
    সহজ তো নয় ধর্মপথে হাঁটা,
    এ তো কেবল হৃদয় নিয়ে নয়কো কাঁদাকাটা।
    যে করে ভয় দুঃখ নিতে দুঃখ দিতে
    সে কাপুরুষ কেনই আসে পৃথিবীতে।”

    বাখরগঞ্জে মেয়ের বাপের ঘর।
    সেথায় গেলেন বর
    বিয়ের কদিন আগে, বৌকে নিয়ে শেষে
    যখন ফিরে এলেন দেশে
    ঘরেতে নেই মঞ্জুলিকা। খবর পেলেন চিঠি পড়ে
    পুলিন তাকে বিয়ে করে
    গেছে দোঁহা ফরাক্কাবাদ চলে,
    সেইখানেতে ঘর পাতবে ব’লে।
    আগুন হয়ে বাপ
    বারে বারে দিলেন অভিশাপ।

     

    In English Font:

    Nishkriti
    Rabindranath Tagore

    Ma kede koy, “‘manjuli mor ai to koci meye,
    Ori sange biye debe?–Boyoshe or cheye
    Pachguno se boṛo;–
    Take dekhe bacha amar bhaye’i jaṛasaṛa.
    Emani biye ghaṭ te debe nako.”

    Bap bolle, “kanna tomar rakho!
    Pancanan ke pawa geche anek diner khoje,
    Jano na ki masta kulina o je.
    Samaje to uṭh-te hobe seṭa ki ke’u bhabo.
    Oke chaṛle patra kothay pabo.”

    Ma bolle, “keno ai je chatudera pulin,
    Na’i ba halo kulin,–
    Dekhte jemon temon sbabhbakhani,
    Pash kare pher peyeche jalpani,
    Sonar ṭukro chele.
    Ek-paṛate thake ora–ori saṅge heshe khele
    Meye amar manuṣh holo; oke jadi boli ami aji
    Ekhoni hoy raji.”

    Bap bolle, “thamo,
    Are are Ramo.
    Ora ache samajer sab talay.
    Bamun ki hoy paite dile’i galay?
    Dekhte śunte bhalo hole’i patra holo! Radhe!
    Sribud’dhi ki śastre bole sadhe.”

    Jedin ora gini diye dekhle koner mukh
    Sedina theke manjulikar buk
    Prati poler gopan kaṭay holo rakte makha.
    Mayer sneho antarjamī, tar kache to roy na kichu’i ḍhaka;
    Mayer byatha meyer byatha cholte khete śute
    Gharer akash pratikhaṇe hanche jeno bedana-bidyute.

    Aṭalatar gabhīr garba baper mon jage,-
    Sukhe dukhe dbeṣhe rage
    Dharma theke naṛen tini na’i heno daurbolya.
    Tar jīboner rather chaka chollo
    lohar badha rasta diye pratikhane e
    konomate’i incikhanek edik-odik ekṭu habar jo ne’i.

     

    See less
    • 0
  6. গোঁফ চুরি সুকুমার রায় হেড অফিসের বড়বাবু লোকটি বড় শান্ত, তার যে এমন মাথার ব্যামো কেউ কখনো জানত ? দিব্যি ছিলেন খোসমেজাজে চেয়ারখানি চেপে, একলা বসে ঝিম্‌ঝিমিয়ে হঠাৎ গেলেন ক্ষেপে ! আঁৎকে উঠে হাত পা ছুঁড়ে চোখটি ক'রে গোল, হঠাৎ বলেন, "গেলুম গেলুম, আমায় ধরে তোল !" তাই শুনে কেউ বদ্যি ডাকে, কেউবা হাঁকে পুলিশ,Read more

    গোঁফ চুরি

    সুকুমার রায়

    হেড অফিসের বড়বাবু লোকটি বড় শান্ত,
    তার যে এমন মাথার ব্যামো কেউ কখনো জানত ?
    দিব্যি ছিলেন খোসমেজাজে চেয়ারখানি চেপে,
    একলা বসে ঝিম্‌ঝিমিয়ে হঠাৎ গেলেন ক্ষেপে !
    আঁৎকে উঠে হাত পা ছুঁড়ে চোখটি ক’রে গোল,
    হঠাৎ বলেন, “গেলুম গেলুম, আমায় ধরে তোল !”
    তাই শুনে কেউ বদ্যি ডাকে, কেউবা হাঁকে পুলিশ,
    কেউবা বলে, “কামড়ে দেবে সাবধানেতে তুলিস ।”
    ব্যস্ত সবাই এদিক ওদিক করছে ঘোরাঘুরি,
    বাবু হাঁকেন, “ওরে আমার গোঁফ গিয়েছে চুরি !”
    গোঁফ হারানো ! আজব কথা ! তাও কি হয় সত্যি ?
    গোঁফ জোড়া তো তেমনি আছে, কমেনি এক রত্তি ।
    সবাই তাঁকে বুঝিয়ে বলে, সামনে ধরে আয়না,
    মোটেও গোঁফ হয়নি চুরি, কক্ষণো তা হয় না

    রেগে আগুন তেলে বেগুন, তেড়ে বলেন তিনি,
    “কারো কথার ধার ধারিনে, সব ব্যাটাকেই চিনি ।
    নোংরা ছাঁটা খ্যাংরা ঝাঁটা বিচ্ছিরি আর ময়লা,
    এমন গোঁফ তো রাখতো জানি শ্যামবাবুদের গয়লা ।
    এ গোঁফ যদি আমার বলিস করব তোদের জবাই”—
    এই না বলে জরিমানা কল্লেন তিনি সবায় ।
    ভীষণ রেগে বিষম খেয়ে দিলেন লিখে খাতায়,
    “কাউকে বেশি লাই দিতে নেই, সবাই চড়ে মাথায় ।
    আফিসের এই বাঁদরগুলো, মাথায় খালি গোবর,
    গোঁফ জোড়া যে কোথায় গেল কেউ রাখে না খবর ।
    ইচ্ছে করে এই ব্যাটাদের গোঁফ ধরে খুব নাচি,
    মুখ্যুগুলোর মুণ্ডু ধরে কোদাল দিয়ে চাঁচি ।
    গোঁফকে বলে তোমার আমার–গোঁফ কি কারো কেনা ?
    গোঁফের আমি গোঁফের তুমি, তাই দিয়ে যায় চেনা ।”

     

    In English Font:

    Gof Churi
    Sukumar Roy

    Head office er barababu lokti bara shanto
    Tar je emon mathay bemo keu na kokhono janto?
    Dibyi chilen khoshmejaje chair khani chepe,
    Ekla boshe jimjimiye hotath gelen khyepe!
    Atke uthe hat pa chure chokti kore gul,
    Hotath bolen “gelum gelum amay dhore tul”!
    tai shune keu bodyi dake, keuba hake police,
    Keuba bole, ” kamre debe shabdhanete tulish. ”
    Besto shobai edik odik korche ghura guri
    Babu haken, “ore amar gof giyeche churi!”
    Gof harano! Ajab kotha! tao ki hoy shotti?
    Gof jura to emon e aache, komeni ek rotti
    Shobai take bujiye bole, shamne dhore aayna,
    Muteo gof hoini churi, kokhono ta hoy na.

    Rege aagun tele begun, tere bolen tini,
    “karo kothay dhar dharine, shob betakei chini.
    Nungra chata khangra jhata bicchirin ar moyla,
    Emon gof to rakhto jani shyamal babuder goyla.
    E gof jodi amar bolish korbo toder jobai”
    Ei na bole jorimana korlen tini shobay
    Bhishon rege bishom kheye dilen likhe khatay,
    “Kauke beshi lai dite nei, shobai chore mathay
    Officer ei badargulo mathay khali gubor,
    Gof jura je kuthay gelo keu rakhe na khabar
    icche kore ei betader gof dhore khub nachi,
    Mukhyogulor mundu dhore kudal diye chachi.
    Gofke bole tumar amar -gof ki karo kena?
    Gofer ami gofer tumi, tai diye jay chena.”

    See less
    • 1
  7. সৎপাত্র সুকুমার রায় শুনতে পেলাম পোস্তা গিয়ে তোমার নাকি মেয়ের বিয়ে ? গঙ্গারামকে পাত্র পেলে ? জানতে চাও সে কেমন ছেলে ? মন্দ নয় সে পাত্র ভালো রঙ যদিও বেজায় কালো ; তার উপরে মুখের গঠন অনেকটা ঠিক পেঁচার মতন ; বিদ্যে বুদ্ধি ? বলছি মশাই— ধন্যি ছেলের অধ্যবসায় ! উনিশটিবার ম্যাট্রিকে সে ঘায়েল হয়ে থামল শেষে । বRead more

    সৎপাত্র

    সুকুমার রায়

    শুনতে পেলাম পোস্তা গিয়ে
    তোমার নাকি মেয়ের বিয়ে ?
    গঙ্গারামকে পাত্র পেলে ?
    জানতে চাও সে কেমন ছেলে ?
    মন্দ নয় সে পাত্র ভালো
    রঙ যদিও বেজায় কালো ;
    তার উপরে মুখের গঠন
    অনেকটা ঠিক পেঁচার মতন ;
    বিদ্যে বুদ্ধি ? বলছি মশাই—
    ধন্যি ছেলের অধ্যবসায় !
    উনিশটিবার ম্যাট্রিকে সে
    ঘায়েল হয়ে থামল শেষে ।
    বিষয় আশয় ? গরীব বেজায়—
    কষ্টে–সৃষ্টে দিন চলে যায় ।

    মানুষ তো নয় ভাইগুলো তার—
    একটা পাগল একটা গোঁয়ার ;
    আরেকটি সে তৈরী ছেলে,
    জাল করে নোট গেছেন জেলে ।
    কনিষ্ঠটি তবলা বাজায়
    যাত্রাদলে পাঁচ টাকা পায় ।
    গঙ্গারাম তো কেবল ভোগে
    পিলের জ্বর আর পাণ্ডু রোগে ।
    কিন্তু তারা উচ্চ ঘর,
    কংসরাজের বংশধর !
    শ্যাম লাহিড়ী বনগ্রামের
    কি যেন হয় গঙ্গারামের ।—
    যহোক, এবার পাত্র পেলে,
    এমন কি আর মন্দ ছেলে ?

     

    In English Font:

    Satpatra
    sukumar Roy

    Shunte pelum posta giye
    Tumar naki meyer biye
    Gangaramke patra pele?
    jante chao kemon chele?

    Mondo noy se patro valo
    Rang jodio bejay kalo
    Tar upore mukher gathan
    Onekta thik pechar moton
    Bidya buddhi? bolchi moshay-
    Dhanni cheler odyoboshay
    Unishtibar matric e she
    ghayel hoye thamlo seshe|
    bishoy aashoy? Garib bejay-
    Koste-sriste din chole jay.

    Manush to noy bhaigulo tar
    Ekta pagol ekta guwar;
    Arekti she toiri chele,
    Jal kore note gechen jele
    Konishto ti tabla bajay
    Jatradole pach taka pay.
    Gangaram to kebol bhuge
    Piler jor ar pandu ruge
    Kintu tara uccho ghar,
    Kongshorajer bongshodhar!
    Shyam lahiri banagramer
    Ki je hoy gangaramer
    Jahok, ebar patro pele,
    Emon ki ar mondo chele?

     

    See less
    • 0
  8. ইন্টারনেট -ঃ ইন্টারনেটের বাংলা হল আন্তর্জাল যা  এসেছে inter – আন্ত, Net- জাল ইন্টারনেট হল ইন্টারকানেক্টেড নেট্ওয়ার্ক (interconnected network) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ইন্টারনেট বা আন্তর্জাল হল পরস্পরের সাথে সংযুক্ত অনেকগুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমষ্টি । যাহা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এবং যেখানে আইপRead more

    ইন্টারনেট -ঃ

    ইন্টারনেটের বাংলা হল আন্তর্জাল যা  এসেছে inter – আন্ত, Net- জাল

    ইন্টারনেট হল ইন্টারকানেক্টেড নেট্ওয়ার্ক (interconnected network) এর সংক্ষিপ্ত রূপ।

    ইন্টারনেট বা আন্তর্জাল হল পরস্পরের সাথে সংযুক্ত অনেকগুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমষ্টি । যাহা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এবং যেখানে আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল নামের এক প্রামাণ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে ডেটা আদান-প্রদান করা হয়।

     

    See less
    • 0
  9. This answer was edited.

    আসাম রাজ্যে মোট ৩৩টি জেলা রয়েছে। সেগুলি হল নিম্নরুপঃ   করিমগঞ্জ (Karimganj) কামরূপ (Kamrup) কামরূপ মহানগর (Kamrup Metropolitan) কাছাড় (Cachar) কার্বি আং লং (Karbi Anglong) কোকড়াঝাড় (Kokrajhar) তিনসুকিয়া (Tinsukia) ডিব্রুগড় (Dibrugarh) শিবসাগর (Sivasagar) শোণিতপুর (Sonitpur) ধেমাজি (Dhemaji) ধুবড়Read more

    আসাম রাজ্যে মোট ৩৩টি জেলা রয়েছে। সেগুলি হল নিম্নরুপঃ  

    1. করিমগঞ্জ (Karimganj)
    2. কামরূপ (Kamrup)
    3. কামরূপ মহানগর (Kamrup Metropolitan)
    4. কাছাড় (Cachar)
    5. কার্বি আং লং (Karbi Anglong)
    6. কোকড়াঝাড় (Kokrajhar)
    7. তিনসুকিয়া (Tinsukia)
    8. ডিব্রুগড় (Dibrugarh)
    9. শিবসাগর (Sivasagar)
    10. শোণিতপুর (Sonitpur)
    11. ধেমাজি (Dhemaji)
    12. ধুবড়ী (Dhubri)
    13. লখিমপুর (Lakhimpur)
    14. নগাঁও (Nagaon)
    15. মরিগাঁও (Morigaon)
    16. বঙাইগাঁও (Bongaigaon)
    17. বরপেটা (Barpeta)
    18. বিশ্বনাথ (Biswanath)
    19. যোরহাট (Jorhat)
    20. গোলাঘাট (Golaghat)
    21. নলবাড়ি (Nalbari)
    22. গোয়ালপাড়া (Goalpara)
    23. হাইলাকান্দি (Hailakandi)
    24. দরং (Darrang)
    25. ডিমা হাছাও (Dima Hasao)
    26. বাক্সা (Baska)
    27. চিরাং (Chirang)
    28. ওদালগুঁড়ি (Udalguri)
    29. চরাইদেউ (Charaideo)
    30. মাজুলী (Majuli)
    31. হোজাই (Hojai)
    32. দক্ষিণ শালমারা ও মানকাচর (South Salmara Mankachar)
    33. পশ্চিম কার্বি আং লং (West Karbi Anglong)
    See less
    • 0
  10. মায়ানমার  ও বাংলাদেশ সীমান্তঃ মায়ানমার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে সীমান্তে অবস্থিত। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের দুইটি রাজ্য রয়েছে। সেগুলি হল -ঃ রাখাইন প্রদেশ (Rakhaing) ও চিন (chin) প্রদেশ বাংলাদেশের সাথে মায়ানমার সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য ১৯৩ কিলোমিটার (১২০ মাইল)।

    মায়ানমার  ও বাংলাদেশ সীমান্তঃ

    • মায়ানমার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে সীমান্তে অবস্থিত।
    • বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের দুইটি রাজ্য রয়েছে।
    • সেগুলি হল -ঃ রাখাইন প্রদেশ (Rakhaing) ও চিন (chin) প্রদেশ
    • বাংলাদেশের সাথে মায়ানমার সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য ১৯৩ কিলোমিটার (১২০ মাইল)।
    See less
    • 0