একটি নদীর আত্মকথা আমি তোমাদের চির চেনা একটি নদী-আমার নাম 'গঙ্গা'। গঙ্গা নামটি আমার কাছে অনেক প্রিয়। আমাকে জটায় লুকিয়ে রেখে শিব 'গঙ্গাধর' নাম পেয়েছেন। আমার পক্ষে এটা কম গৌরবের কথা নয়। তবে দুঃখ হয়— ত্রিলোকেশ্বরের মাথায় উঠে কত না চঞ্চলতা করেছি—কত না পাপ হয়েছে তাতে। আমার অপর একটা নাম জাহ্নবী। তবেRead more
একটি নদীর আত্মকথা
আমি তোমাদের চির চেনা একটি নদী-আমার নাম ‘গঙ্গা’। গঙ্গা নামটি আমার কাছে অনেক প্রিয়। আমাকে জটায় লুকিয়ে রেখে শিব ‘গঙ্গাধর’ নাম পেয়েছেন। আমার পক্ষে এটা কম গৌরবের কথা নয়। তবে দুঃখ হয়— ত্রিলোকেশ্বরের মাথায় উঠে কত না চঞ্চলতা করেছি—কত না পাপ হয়েছে তাতে। আমার অপর একটা নাম জাহ্নবী। তবে এই নামটা আমার তেমন পছন্দের নয়। একটু ছেলেমানুষী করেছিলাম বলে রাক্ষুসে মুনি আমায় গিলে ফেলেছিল।
ঠিক কোন্ কালে জ্ঞানের উন্মেষ হয় তা যেমন তোমাদের কাছে অজানা তেমনি আমারও জানা নেই। এখন ঠিক করে বলা অসম্ভব কবে, কেমন করে আমি বড় হয়ে তােমাদের মাঝখানে এসে পড়েছি, আর কি ক’রেই বা তােমাদের কাছে এত পরিচিত হ’য়েছি। তবে শৈশবের স্মৃতি মনের কোণে মাঝে মাঝে অম্পষ্ট হ’য়ে ফুটে ওঠে। মনে হয় কত যুগ আগে আমি যেন কোন তুষারের রাজ্যে একা একা আপন মনে ঘুরে বেড়াতাম ; শীতের দিনে কুঁকড়ে কুঁকুড়ে চলাফেরা করতাম, কখনও বা একটু আধটু খেলা করবার লােভ হতো। যখন একটু গরম পড়তাে তখন একটু একটু করে ভয়ে ভয়ে এগিয়ে আসতাম সামনে কি আছে দেখবো বলে; বাহির বিশ্বের সঙ্গে পরিচিত হবার একটা তীব্র আকাঙ্ক্ষা আমার মনে জেগে ওঠে। কিন্তু বড় বড় পাহাড়গুলাে পথ রােধ করে দাড়িয়ে ধমক দিয়ে বলতাে-অতটুকু মেয়ে যাচ্ছ কোথা? ভয় পেয়ে থমকে দাঁড়াতাম, কিন্তু বহির্জগতের বিরাট জীবনধারার বিচিত্র কোলাহল আমাকে অবিরত আহ্বান করতাে। তাই পাহাড়গুলাের পাশ কাটিয়ে চুপি চুপি এগিয়ে যাবারই চেষ্টা করতাম।
অবশেষে সব বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে সফলতার দিকে পা বাড়ালাম। হঠাৎ একদিন বুঝলাম আমার শক্তি সহস্রগুণ বেড়ে গেছে। শুধু এইটাই বুঝতে পারি না কতদিন আমি সেই তুষারের দেশে কাটিয়েছি আর ঠিক কোন দিনটিতে কেমন করে আমি শক্তির প্রাচুর্য্যে ছুটুতে স্থরু করেছি তােমাদের দিকে। তােমরা বল ভগিরথ তপস্যা করে আমায় নিয়ে এসেছেন কিন্তু আমার তাে মনে হয় আমারই তপস্যায় তুষ্ট হ’য়ে কোন মহাপুরুষ হঠাৎ একদিন আমাকে পাষাণকারা চুর্ণ করে উদ্দামবেগে ছুটে চলবার শক্তি দিয়েছিলেন। যাই হােক তখনকার সে উত্তেজনা জীবনে কোন দিন ভুলবো না। কত বাধা এল, কিন্তু কেউ সেদিন আমার সামনে দাড়াতে পারলাে না। বড় বড় পাহাড়গুলােকে ধাক্কা মেরে তাদের মাথায় পা দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে ছুটে চললাম, আমার মুখ দিয়ে ফেনা উঠতে লাগলাে, চুলগুলাে পিছন দিকে উড়তে লাগলাে। তবু আমার শ্রান্তি এল না, এতটুকু বিচলিত হলাম না। ছােট ছােট গাছ আর লতাগুলাের কি স্পর্ধা! তারা চাইল আমার পথ রােধ করতে। বেচারীদের দুর্ভাগ্যের কথা আর কি বলব।দেশ ছাড়া হয়ে পাক খেতে খেতে আমার সঙ্গে তারা ছুটতে থাকলা। যা পায় সামনে তাই ধ’রে বাঁচতে চায় কিন্তু তাদের কোথাও দাড়াতে না দিয়ে টেনে নিয়ে ছুটলাম।
যেদিন তােমাদের মাঝখানে এসে দাড়ালাম, সেইদিন কেন জানি না, আমি কেমন একরকম হয়ে গেলাম। মনে এই প্রশ্নের উদয় হলে জীবন কি? কিসের জন্য আমার জন্ম? কিসের জন্য সংসারে আমার অস্তিত্ব? স্তির হয়ে ভাবলাম-ভাবতে ভাবতে তন্ময় হয়ে গেছি এমন সময় শুনতে পেলাম নিখিল বিশ্ব যেন সঙ্গীতের ঝংকারে বলে উঠলা – বেঁচে থাকা পরের জন্য, জীবের সেবা জন্যই অস্তিত্ব; পরোপকারে যে জীবন উৎসর্গ করতে পারে, জীবনান্তে বিশ্বপতির ক্রোড়ে সেই স্থান পায়। সেদিন থেকেই আমার পরিবর্তন হয়েছে, আমার ভীষণতা দূর হয়েছে। সেদিন থেকেই আমি ছু’হাতে তােমাদের অন্য বিতরণের চেষ্টা করে এসেছি। জানি না—অসীমের বুকে আমার স্থান হবে কিনা।
Meme meaning in Bengali: -Meme এর উচ্চারণ হচ্ছে ‘মীম’ -অনেক সময় আমরা ইহাকে ভুলভাবে মেমে বলে থাকি কিন্তু এর প্রকৃত উচ্চারণ হচ্ছে ‘মীম’। Meme বাংলা অর্থ: -Meme কোন বার্তা (text) ছবি (ফটো) বা ভিডিও হতে পারে। -কোন একটি ছবি, বার্তা, বা ভিডিও যাহা হাস্যকর প্রকৃতির, তাহাতে কখRead more
Meme meaning in Bengali:
-Meme এর উচ্চারণ হচ্ছে ‘মীম’
-অনেক সময় আমরা ইহাকে ভুলভাবে মেমে বলে থাকি কিন্তু এর প্রকৃত উচ্চারণ হচ্ছে ‘মীম’।
Meme বাংলা অর্থ:
-Meme কোন বার্তা (text) ছবি (ফটো) বা ভিডিও হতে পারে।
-কোন একটি ছবি, বার্তা, বা ভিডিও যাহা হাস্যকর প্রকৃতির, তাহাতে কখনও কখনও কিছুটা পরিবর্তন করে পরে সেগুলোকে কপি বা অনুকরণ করে দ্রুত ইন্টারনেটের মাধ্যমে বা সামাজিক মাধ্যমে (facebook, whatsapp, instagram) ছড়িয়ে দেওয়া।
– কোন একটি ছবি, বার্তা, বা ভিডিও হাস্যকর হওয়ার ধরুন দ্রুত ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া।
কিংবদন্তিঃ -জনশ্রুতি, মুখে মুখে প্রচলিত কথা বা কাহিনী -কল্পনাযোগ্য কিন্তু অসাধারণ অতীত ঘটনা বর্ণনা করে এমন গল্প বা কাহিনী । – ইংরাজিতে ইহাকে legend, legendary story বলা হয়।
কিংবদন্তিঃ
-জনশ্রুতি, মুখে মুখে প্রচলিত কথা বা কাহিনী
-কল্পনাযোগ্য কিন্তু অসাধারণ অতীত ঘটনা বর্ণনা করে এমন গল্প বা কাহিনী ।
Wanna meaning in Bengali: - Wanna শব্দটি গঠিত হয়েছে দুইটি পৃথক শন্দ থেকে Want+to = Wanna - Want to এর সঙ্কিপ্ত রুপ যাহা 'informal' বা অনানুষ্ঠানিক ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে। - Want শব্দের অর্থ চাওয়া, ইচ্ছা ইত্যাদি। উদাহরনঃ I wanna be a singer. (আমি গায়ক হতে চাই।) Do you wanna go to Shimla? ( তুমি কিRead more
Wanna meaning in Bengali:
– Wanna শব্দটি গঠিত হয়েছে দুইটি পৃথক শন্দ থেকে Want+to = Wanna
– Want to এর সঙ্কিপ্ত রুপ যাহা ‘informal’ বা অনানুষ্ঠানিক ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে।
– Want শব্দের অর্থ চাওয়া, ইচ্ছা ইত্যাদি।
উদাহরনঃ
I wanna be a singer. (আমি গায়ক হতে চাই।)
Do you wanna go to Shimla? ( তুমি কি শিমলা যেতে চাও?)
He wanna be my guest today. (সে আজ আমার অথিতি হতে চায়)
Wanna some chocolate? (কিছু চকলেট লাগবে?)
I wanna participate in this debate. (আমি এই তর্ক প্রতিজোগিতায় অংশগ্রহন করতে চাই।)
Gonna meaning in Bengali: - Gonna শব্দটি গঠিত হয়েছে দুইটি পৃথক শন্দ থেকে Going+to = Gonna - Going অর্থ যাওয়া, প্রস্থান করা, কিন্তু to যুক্ত হওয়াতে ইহার অর্থ হবে "সম্ভাবনা" বা ভবিষ্যতে কিছু হওয়ার সম্ভাবনা, ভবিষ্যতে কোন কিছু সংগঠিত হওয়ার ইঙ্গিত কে বুঝায়। উদাহরনঃ What is gonna happen now? (এখন কি হবেRead more
Gonna meaning in Bengali:
– Gonna শব্দটি গঠিত হয়েছে দুইটি পৃথক শন্দ থেকে Going+to = Gonna
– Going অর্থ যাওয়া, প্রস্থান করা, কিন্তু to যুক্ত হওয়াতে ইহার অর্থ হবে “সম্ভাবনা” বা ভবিষ্যতে কিছু হওয়ার সম্ভাবনা, ভবিষ্যতে কোন কিছু সংগঠিত হওয়ার ইঙ্গিত কে বুঝায়।
উদাহরনঃ
What is gonna happen now? (এখন কি হবে?)
This is gonna be a difficult task for me. ( এই কাজটি আমার জন্য কঠিন হইবে।)
I am gonna spend the next vacation with my family. (আমি আমার পরের ছুটি আমার পরিবারের সঙ্গে কাটাবো।)
– মনে রাখা দরকার যে ‘Gonna’ এর ব্যবহার informal বা অনানুষ্ঠানিক ।
Asleep In The Valley (উপত্যকাতে ঘুমন্ত অবস্থায়) কবিতাটি Arthur Rimbaud তরুণ এক সৈনিক কে কেন্দ্র করে রচনা করেছেন। কবিতাটির সম্পূর্ণ বাংলা অনুবাদ ও ব্যাখ্যার জন্য এখানে ক্লিক করুন ।
Asleep In The Valley (উপত্যকাতে ঘুমন্ত অবস্থায়) কবিতাটি Arthur Rimbaud তরুণ এক সৈনিক কে কেন্দ্র করে রচনা করেছেন।
কবিতাটির সম্পূর্ণ বাংলা অনুবাদ ও ব্যাখ্যার জন্য এখানে ক্লিক করুন ।
Asleep In The Valley (উপত্যকাতে ঘুমন্ত অবস্থায়) কবিতাটি Arthur Rimbaud তরুণ এক সৈনিক কে কেন্দ্র করে রচনা করেছেন। কবিতাটির সম্পূর্ণ বাংলা অনুবাদ ও ব্যাখ্যার জন্য এখানে ক্লিক করুন ।
Asleep In The Valley (উপত্যকাতে ঘুমন্ত অবস্থায়) কবিতাটি Arthur Rimbaud তরুণ এক সৈনিক কে কেন্দ্র করে রচনা করেছেন।
কবিতাটির সম্পূর্ণ বাংলা অনুবাদ ও ব্যাখ্যার জন্য এখানে ক্লিক করুন ।
সারাংশ ও সারমর্ম আধুনিক বাস্তববাদী সমস্যা দীর্ন মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় কবি যার কাছে সমাজ, দেশ, কাল ও সমাজের প্রতি সচেতনতাই প্রাধান্য পেয়েছে সেই বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা "বেঁচে থাকার কবিতা" নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে জন্মভূমি আজ কবিতা টি। এই কবিতাটিতে কবির স্বদেশের কাল ও সমাজ সচেতনতRead more
সারাংশ ও সারমর্ম
আধুনিক বাস্তববাদী সমস্যা দীর্ন মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় কবি যার কাছে সমাজ, দেশ, কাল ও সমাজের প্রতি সচেতনতাই প্রাধান্য পেয়েছে সেই বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা “বেঁচে থাকার কবিতা” নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে জন্মভূমি আজ কবিতা টি।
এই কবিতাটিতে কবির স্বদেশের কাল ও সমাজ সচেতনতার পরিচয় স্পষ্ট। সমাজের অন্যায় অবিচার যেখানেই দেখেছেন সেখানেই তাঁর কবিতার বাণী গর্জে উঠেছে। তাই তিনি উদ্বিগ্ন ভাবে ও মুক্তকণ্ঠে দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। যুগ যুগ ধরে জগদ্দল পাথরের মতো দেশের মানুষের উপর চেপে বসে আছে দুঃখ দারিদ্র্যের কালো অন্ধকার। সেই অন্ধকার কে সরাতে হবে, তবে দেশের সার্বিক কল্যাণ সম্ভব হবে।
কল্পনার জগত থেকে নেমে এসে কবি বাস্তবের মুখোমুখি দাঁড়াতে বলেছেন। দেশের মানুষের উন্নতির জন্য মাটি ও মানুষের দিকে তাকাতে হবে। দুঃখ এবং দুর্যোগ যে অন্ধকার বুকের উপর চেপে বসে আছে তাকে দূর করতেই হবে। ফলবান করে তুলতে হবে দেশের শুষ্ক মরূভূমির মত স্বদেশকে সেজন্য মাটি আর মানুষের মেলবন্ধনের দরকার । মাটি তো আগুনের মত হবেই তাকে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ফলবান করে তুলতে হবে আর যদি তা না পারা যায় তবে দেশ মরুভূমিতে পরিণত হবে তাই দেশকে ভালবাসতে হলে দেশের মানুষকে, মাটি কে, জীব জন্তু ও গাছপালা কে ভালবাসতে হবে।
সারাংশ ও সারমর্ম “রাস্তা কারাে একার নয়” (মূলগ্রন্থঃ অথচ ভারতবর্ষ তাদের) কবিতায় কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সাধারণ লােকসমাজের জীবনপথের রূপরেখা তুলে ধরেছেন। ব্যঞ্জনাধর্মী এ কবিতায় তিনি মানুষের, মানবসভ্যতার অগ্রগতি, প্রগতিপথকে ‘রাস্তা' বলে আখ্যাত করেছেন। সভ্যতাসূচনা থেকেই মানবজীবনের সঙ্গে শ্বাসপ্রশ্Read more
সারাংশ ও সারমর্ম
“রাস্তা কারাে একার নয়” (মূলগ্রন্থঃ অথচ ভারতবর্ষ তাদের) কবিতায় কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সাধারণ লােকসমাজের জীবনপথের রূপরেখা তুলে ধরেছেন। ব্যঞ্জনাধর্মী এ কবিতায় তিনি মানুষের, মানবসভ্যতার অগ্রগতি, প্রগতিপথকে ‘রাস্তা’ বলে আখ্যাত করেছেন।
সভ্যতাসূচনা থেকেই মানবজীবনের সঙ্গে শ্বাসপ্রশ্বাসের মতাে জড়িয়ে আছে ধর্ম ও বিজ্ঞান। ধর্ম মানুষের পুণ্য কর্ম, সৎ কর্ম, পরম্পরাগত জীবন আচরণ ও রীতিনীতি আর বিজ্ঞান কোন বিষয় সম্পর্কে সুসংবদ্ধ জ্ঞান, কর্ম সম্পর্কে বিশেষ পারদর্শী হয়ে ওঠা জ্ঞান, মানবজীবনের আচরণ ও মননকে সমৃদ্ধকারী জ্ঞান। এ দুয়ের হাত ধরে মানবসভ্যতার সাবালক হয়ে ওঠার সূচনা হয়েছিল। কিন্তু কালপ্রবাহে লােভী মানুষের লােভ সভ্যতাকে বিচ্ছিন্ন, শ্রেণিবিভক্ত, রক্তাক্ত করলাে। ধর্ম রূপান্তরিত হলাে সংস্কারে, বিজ্ঞান বদলে গেলাে অস্ত্রে। আর শুরু হােলাে তাদের সংঘাত।
ধর্মসংস্কার লিওনার্দো বা গ্যালিলিওর মতাে বিজ্ঞানসাধকদের তপস্যা থেকে বিরত করতে পারলাে না। সত্য নিষ্ঠায় অবিচ্ছিন্ন থেকে বিজ্ঞান মানুষকে সভ্যতার মুক্ত প্রবাহে, সংস্কারমুক্ত আলােকপ্রান্তরে এগিয়ে নিয়ে গেলাে। ধর্মের অন্ধত্ব মহাজাগতিক সারসত্যকে আবদ্ধ করতে ব্যর্থ হয়ে বারবার বিজ্ঞানসাধকদের সাময়িক অত্যাচার, এমনকি প্রাণহানিতেও বিজ্ঞানের সারস্বত জয়ধারাকে রুদ্ধ করতে পারলাে না।
ধর্ম যতদিন দুঃখী মানুষদের আশ্রয়দাতা, জীবনপথের পাশাপাশি চলা বন্ধ ততদিন ধর্ম সংক্রান্ত সংঘাত বা সংস্কার সভ্যতাকে আচ্ছন্ন করে না। কিন্তু বেঁচে থাকার সাহস যােগানাের বদলে ধর্ম যখন বেঁচে থাকার পথ রুদ্ধ করে মানুষকে অচলায়তনে আবদ্ধ করে তখনই সর্বনাশ সূচিত হয়। ধর্মতাত্ত্বিকদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় বারবার যেহেতু তারা ভুলে যায় রাস্তা কারাে একার নয়। যেমনভাবে আত্ম, শ্রেণি বা রাষ্ট্রস্বার্থে বিজ্ঞানকে শাস্ত্রে রূপান্তরিত করা রাজনীতির বাদশাদের আস্ফালনও ব্যর্থ হয়। ব্যর্থ হয় ভাড়াটে জল্লাদের পােশাক গায়ে চাপানাে বণিকতান্ত্রিক, সামন্ততান্ত্রিক সাম্রাজ্যলােভীদের আস্ফালন।
রাস্তা কারাে একার নয় কবিতায় ধর্ম ও বিজ্ঞানের সম্পর্কে এভাবেই কবি তাঁর সুচিন্তিত মতামত প্রদর্শনে ধর্ম বিজ্ঞান উভয়েই মানব আশ্রয়দাতার ভূমিকা হারালে ব্যর্থ, প্রত্যাখ্যাত হয় বলেছেন।
আমি ফিরোজা, একটি ভারতীয় মেয়ে সুবোধ সরকার হিন্দু ভারত, জৈন ভারত, বৌদ্ধ ভারত, খ্রিস্টান ভারত, এতগুলো ভারতের মাঝে দাঁড়িয়ে আমি ফিরোজা একটি ভারতীয় মেয়ে । আপনারা বলতে পারেন, আমি কি দোষ করেছি ? পৃথিবীর যে কোন দেশের যে কোন একটি মেয়ের মতো আমি একজনকে ভালবেসেছিলাম । প্রথম যেদিন ওর চোখে চোখ পড়েছিল আমার আRead more
আমি ফিরোজা, একটি ভারতীয় মেয়ে
সুবোধ সরকার
হিন্দু ভারত, জৈন ভারত, বৌদ্ধ ভারত, খ্রিস্টান ভারত,
এতগুলো ভারতের মাঝে দাঁড়িয়ে
আমি ফিরোজা একটি ভারতীয় মেয়ে ।
আপনারা বলতে পারেন, আমি কি দোষ করেছি ?
পৃথিবীর যে কোন দেশের
যে কোন একটি মেয়ের মতো আমি একজনকে
ভালবেসেছিলাম ।
প্রথম যেদিন ওর চোখে চোখ পড়েছিল আমার
আমি জানতাম না ও কে
বিকেল বেলার কলেজ ক্যাম্পাসে যে আলো এসে পড়েছিল
ওর চুলে, তার কোথাও লেখা ছিল ওর ধর্ম ।
হিন্দু ভারত, জৈন ভারত, বৌদ্ধ ভারত, খ্রিস্টান ভারত
আপনারা বলতে পারেন আমি কি দোষ করেছি ?
আমি যেদিন হাতে মোমবাতি নিয়ে উঠে দাঁড়ালাম
আমি যেদিন বলে ফেললাম, আমি শরিয়ৎ মানি না
আমি যেদিন বুঝিয়ে দিলাম ভারতবর্ষের মাটিকে
মা বলে জানি, ভারতবর্ষের আকাশকে আকাশ
সেদিন থেকেই শুরু হল অত্যাচার ।
হিন্দু ভারত, জৈন ভারত, বৌদ্ধ ভারত, খ্রিস্টান ভারত
আপনারা বলতে পারেন, আমি কি দোষ করেছি
ছেলেটাতো আপনাদের
সে কি দোষ করল ?
আমাকে ভালবাসাই তার দোষ ?
ছেলেটার বাড়িতে আপনারা ঢিল ছুঁড়লেন
পার্সেল করে ছেঁড়া চটি পাঠালেন
ওকে হাতে মেরে, ভাতে মেরে
বাড়ির দেয়ালে বড় বড় করে লিখে দিলেন,
‘এসব চলবে না।’
লজ্জা করে না আপনাদের, আপনারা এগিয়ে থাকা মানুষ
এম এ পাশ, বি এ পাশ, ডাক্তার, এঞ্জিনিয়র
আমলা, মাস্টার, আপনারাই গণতন্ত্র নিয়ে ভাষণ দেন
আর প্রয়োজন মতো
গণতন্ত্রের টুঁটি টিপে ধরেন ।
ধিক আপনাদের !
আমি কি ছোটবেলায় ভোরের আলোয় সরস্বতী পুজোর ফল
. কাটিনি ?
আমি কি স্কুলের বারান্দায় বসে
রাত জেগে আলপনা দিইনি ?
আমি কি পাশের বাড়ির হিন্দু বাবার জন্য রক্ত দিইনি ?
ওদের বাড়ির উঠোনে বসে ওদের ছেলেদের অ আ ক খ
. শেখাইনি ?
আমি আরবি শিখিনি, ফারসি শিখিনি, উর্দু শিখিনি
বাংলাই আমার ভাষা, এই ভাষা আমার ভাত, আমার রুটি
আমার চোখের কাজল, আমার পায়ের ঘুঙুর ।
এই ভাষা আমার গোপন চিঠি, যার অক্ষরে অক্ষরে লেগে আছে
আমার চোখের জল ।
আমরা যেদিন বিয়ে করি
সেদিন কফিহাউস গিয়েছিলাম, ও সেদিন
আমাকে ঝোলা ভর্তি করে রবীন্দ্রনাথ কিনে দিয়েছিল
হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে কানে কানে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন
ফিরোজা, তুমি আমার মৃন্ময়ী, তুমি আমার লাবণ্য
তুমি আমার সুচরিতা ।
সেদিন রাত্রে কি হয়েছিল জানি না
কি ঘটেছিল ওদের বাড়িতে, কি ঘটেছিল ওদের পাড়ায়, কি
. করেছিল ওদের
বাবাকাকা – সেটা আজও আমি জানি না
কিন্তু তার পরের দিন ওকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি
ও কোথায় চলে গেল আমি জানতে পারিনি ।
এই আপনাদের ভারতবর্ষ ?
এই আমাদের ভারতবর্ষ ?
আমি একজন সাধারণ মেয়ে
অথচ বাড়িতে পাড়ায় অফিসে পুজোর প্যান্ডেলে
বিয়ে বাড়িতে অন্নপ্রাশনে এখনো আমাকে নিয়ে ফিসফাস
ডাক্তারের কাছে যাই – ফিসফাস
কলেজে ঢুকি – ফিসফাস
বাজারে যাই – ফিসফাস
যে হাউসিং –এ থাকি সেখানেও চলতে থাকে অবিরাম লুকোচুরি ।
ওটা লুকোচুরি নয়, ওটা ফিসফাস নয়
ওটা আপনাদের গভীরে লুকিয়ে থাকা এক-একটা সুপ্ত গুজরাট ।
যদি আপনাদের হৃদয়
বড় না করেন
আকাশের দিকে আপনারা যদি না তাকান
এই পোড়া দেশে আরও, আরও, আরও
অনেকগুলো পোড়া গুজরাট তৈরি হবে ।
In English Font:
Ami Firoza Ekti Bharotio Meye
Subodh Sarkar
Hindu Bharat, Jaina Bharat, Bud’dha Bharat, khristan Bharat,
Etagulo bharater majhe daṛiye
Ami Firoza ekaṭ bharatiya meye.
Apanara bolte paren, ami ki dosh korechi?
Pr̥thibir je kuno desher
Je kuno ekṭi meyer mato ami ekjonke
bhalobesechilam.
Pratham jedin ora chokhe cokh paṛechilo amar
Ami jantam na o ke
Bikel belar college cumpus e je alo ese paṛechilo
Or chule, tar kutha’o lekha chilo or dharmo.
Hindu Bharat, Jaina Bharat, Bud’dha Bharat, khristan Bharat,
Apanara bolte paren, ami ki dosh korechi?
Ami jedin hate mombati niye uṭhe daralam
Ami jedin bole fellam, ami sariyaṯ mani na
Ami jedin bujhiye dilam bharatbarsher maṭike
Ma bole jani, bharatbarsher akashke akash
Sedin theke’i suru holo atyachar.
Hindu Bharat, Jaina Bharat, Bud’dha Bharat, khristan Bharat,
Apanara bolte paren, ami ki dosh korechi?
cheleṭato apanader
Se ki dosh karlo?
Amake bhalobasa’i tar dosh?
Cheleṭar baṛite apnara ḍhil churlen
parcel kore chera choṭi paṭhalen
Oke hate mere, bhate mere
Baṛir deyale boro boro kore likhe dilen,
‘eshob cholbe na.’
Lajja kore na apanader, apanara egiye thaka manuṣh
MA pass, BA pass, doctor, Engineer
Amla, masṭar, aponara’i gaṇatantra niye bhaṣaṇ den
Ar prayojan mato
Gaṇatantrer ṭuṭi ṭipe dharen.
Dhik apanader!
Ami ki choṭobelay bhorer aloy saraswatī pujor phal Kaṭini?
Ami ki skuler baranday boshe
Raat jege alpana de’ini?
Ami ki pasher baṛir hindu babar jonno rakto de’ini?
Oder baṛir uṭhone boshe oder cheleder o aa ka kha Sekha’ini?
Ami arabi sikhini, farsi sikhini, urdu sikhini
Bangla’i amar bhaṣha, e’i bhaṣha amar bhat, amar ruṭi
Amar chokher kajal, amar payer ghuṅur.
E’i bhaṣha amar gopan ciṭhi, jar akhare akhare lege ache
Amar chokher jol.
Amara jedin biye kori
Sedin coffe house giyechilam, o sedin
Amake jhola bharti kore Rabindranath kine diyechilo
Howra sṭation e pauche kane kane Rabindranath bolechilen
Firoza, tumi amar mr̥inmoyi, tumi amar labaṇya
Tumi amar sucharita.
Sedin ratre ki hoyechilo jani na
Ki ghaṭechilo oder baṛite, ki ghaṭechilo oder paṛay,
Ki Korechilo oder
babakaka – seṭa aj’o ami jani na
kintu tar porer din oke ar kutha’o khuje pawa jaini
O kuthao chole gelo ami jante parini.
রচনাঃ একটি নদীর আত্মকথা | Autobiography of a river in Bengali
Hridoy
একটি নদীর আত্মকথা আমি তোমাদের চির চেনা একটি নদী-আমার নাম 'গঙ্গা'। গঙ্গা নামটি আমার কাছে অনেক প্রিয়। আমাকে জটায় লুকিয়ে রেখে শিব 'গঙ্গাধর' নাম পেয়েছেন। আমার পক্ষে এটা কম গৌরবের কথা নয়। তবে দুঃখ হয়— ত্রিলোকেশ্বরের মাথায় উঠে কত না চঞ্চলতা করেছি—কত না পাপ হয়েছে তাতে। আমার অপর একটা নাম জাহ্নবী। তবেRead more
একটি নদীর আত্মকথা
আমি তোমাদের চির চেনা একটি নদী-আমার নাম ‘গঙ্গা’। গঙ্গা নামটি আমার কাছে অনেক প্রিয়। আমাকে জটায় লুকিয়ে রেখে শিব ‘গঙ্গাধর’ নাম পেয়েছেন। আমার পক্ষে এটা কম গৌরবের কথা নয়। তবে দুঃখ হয়— ত্রিলোকেশ্বরের মাথায় উঠে কত না চঞ্চলতা করেছি—কত না পাপ হয়েছে তাতে। আমার অপর একটা নাম জাহ্নবী। তবে এই নামটা আমার তেমন পছন্দের নয়। একটু ছেলেমানুষী করেছিলাম বলে রাক্ষুসে মুনি আমায় গিলে ফেলেছিল।
ঠিক কোন্ কালে জ্ঞানের উন্মেষ হয় তা যেমন তোমাদের কাছে অজানা তেমনি আমারও জানা নেই। এখন ঠিক করে বলা অসম্ভব কবে, কেমন করে আমি বড় হয়ে তােমাদের মাঝখানে এসে পড়েছি, আর কি ক’রেই বা তােমাদের কাছে এত পরিচিত হ’য়েছি। তবে শৈশবের স্মৃতি মনের কোণে মাঝে মাঝে অম্পষ্ট হ’য়ে ফুটে ওঠে। মনে হয় কত যুগ আগে আমি যেন কোন তুষারের রাজ্যে একা একা আপন মনে ঘুরে বেড়াতাম ; শীতের দিনে কুঁকড়ে কুঁকুড়ে চলাফেরা করতাম, কখনও বা একটু আধটু খেলা করবার লােভ হতো। যখন একটু গরম পড়তাে তখন একটু একটু করে ভয়ে ভয়ে এগিয়ে আসতাম সামনে কি আছে দেখবো বলে; বাহির বিশ্বের সঙ্গে পরিচিত হবার একটা তীব্র আকাঙ্ক্ষা আমার মনে জেগে ওঠে। কিন্তু বড় বড় পাহাড়গুলাে পথ রােধ করে দাড়িয়ে ধমক দিয়ে বলতাে-অতটুকু মেয়ে যাচ্ছ কোথা? ভয় পেয়ে থমকে দাঁড়াতাম, কিন্তু বহির্জগতের বিরাট জীবনধারার বিচিত্র কোলাহল আমাকে অবিরত আহ্বান করতাে। তাই পাহাড়গুলাের পাশ কাটিয়ে চুপি চুপি এগিয়ে যাবারই চেষ্টা করতাম।
অবশেষে সব বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে সফলতার দিকে পা বাড়ালাম। হঠাৎ একদিন বুঝলাম আমার শক্তি সহস্রগুণ বেড়ে গেছে। শুধু এইটাই বুঝতে পারি না কতদিন আমি সেই তুষারের দেশে কাটিয়েছি আর ঠিক কোন দিনটিতে কেমন করে আমি শক্তির প্রাচুর্য্যে ছুটুতে স্থরু করেছি তােমাদের দিকে। তােমরা বল ভগিরথ তপস্যা করে আমায় নিয়ে এসেছেন কিন্তু আমার তাে মনে হয় আমারই তপস্যায় তুষ্ট হ’য়ে কোন মহাপুরুষ হঠাৎ একদিন আমাকে পাষাণকারা চুর্ণ করে উদ্দামবেগে ছুটে চলবার শক্তি দিয়েছিলেন। যাই হােক তখনকার সে উত্তেজনা জীবনে কোন দিন ভুলবো না। কত বাধা এল, কিন্তু কেউ সেদিন আমার সামনে দাড়াতে পারলাে না। বড় বড় পাহাড়গুলােকে ধাক্কা মেরে তাদের মাথায় পা দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে ছুটে চললাম, আমার মুখ দিয়ে ফেনা উঠতে লাগলাে, চুলগুলাে পিছন দিকে উড়তে লাগলাে। তবু আমার শ্রান্তি এল না, এতটুকু বিচলিত হলাম না। ছােট ছােট গাছ আর লতাগুলাের কি স্পর্ধা! তারা চাইল আমার পথ রােধ করতে। বেচারীদের দুর্ভাগ্যের কথা আর কি বলব।দেশ ছাড়া হয়ে পাক খেতে খেতে আমার সঙ্গে তারা ছুটতে থাকলা। যা পায় সামনে তাই ধ’রে বাঁচতে চায় কিন্তু তাদের কোথাও দাড়াতে না দিয়ে টেনে নিয়ে ছুটলাম।
যেদিন তােমাদের মাঝখানে এসে দাড়ালাম, সেইদিন কেন জানি না, আমি কেমন একরকম হয়ে গেলাম। মনে এই প্রশ্নের উদয় হলে জীবন কি? কিসের জন্য আমার জন্ম? কিসের জন্য সংসারে আমার অস্তিত্ব? স্তির হয়ে ভাবলাম-ভাবতে ভাবতে তন্ময় হয়ে গেছি এমন সময় শুনতে পেলাম নিখিল বিশ্ব যেন সঙ্গীতের ঝংকারে বলে উঠলা – বেঁচে থাকা পরের জন্য, জীবের সেবা জন্যই অস্তিত্ব; পরোপকারে যে জীবন উৎসর্গ করতে পারে, জীবনান্তে বিশ্বপতির ক্রোড়ে সেই স্থান পায়। সেদিন থেকেই আমার পরিবর্তন হয়েছে, আমার ভীষণতা দূর হয়েছে। সেদিন থেকেই আমি ছু’হাতে তােমাদের অন্য বিতরণের চেষ্টা করে এসেছি। জানি না—অসীমের বুকে আমার স্থান হবে কিনা।
See lessমীম না মেমে কোনটা শুদ্ধ? Meme বাংলা অর্থ | Meme meaning in Bengali?
Hridoy
Meme meaning in Bengali: -Meme এর উচ্চারণ হচ্ছে ‘মীম’ -অনেক সময় আমরা ইহাকে ভুলভাবে মেমে বলে থাকি কিন্তু এর প্রকৃত উচ্চারণ হচ্ছে ‘মীম’। Meme বাংলা অর্থ: -Meme কোন বার্তা (text) ছবি (ফটো) বা ভিডিও হতে পারে। -কোন একটি ছবি, বার্তা, বা ভিডিও যাহা হাস্যকর প্রকৃতির, তাহাতে কখRead more
Meme meaning in Bengali:
-Meme এর উচ্চারণ হচ্ছে ‘মীম’
-অনেক সময় আমরা ইহাকে ভুলভাবে মেমে বলে থাকি কিন্তু এর প্রকৃত উচ্চারণ হচ্ছে ‘মীম’।
Meme বাংলা অর্থ:
-Meme কোন বার্তা (text) ছবি (ফটো) বা ভিডিও হতে পারে।
-কোন একটি ছবি, বার্তা, বা ভিডিও যাহা হাস্যকর প্রকৃতির, তাহাতে কখনও কখনও কিছুটা পরিবর্তন করে পরে সেগুলোকে কপি বা অনুকরণ করে দ্রুত ইন্টারনেটের মাধ্যমে বা সামাজিক মাধ্যমে (facebook, whatsapp, instagram) ছড়িয়ে দেওয়া।
– কোন একটি ছবি, বার্তা, বা ভিডিও হাস্যকর হওয়ার ধরুন দ্রুত ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া।
বাংলা অর্থ – কিংবদন্তি | Kingbodonti meaning in Bengali?
Hridoy
কিংবদন্তিঃ -জনশ্রুতি, মুখে মুখে প্রচলিত কথা বা কাহিনী -কল্পনাযোগ্য কিন্তু অসাধারণ অতীত ঘটনা বর্ণনা করে এমন গল্প বা কাহিনী । – ইংরাজিতে ইহাকে legend, legendary story বলা হয়।
কিংবদন্তিঃ
-জনশ্রুতি, মুখে মুখে প্রচলিত কথা বা কাহিনী
-কল্পনাযোগ্য কিন্তু অসাধারণ অতীত ঘটনা বর্ণনা করে এমন গল্প বা কাহিনী ।
– ইংরাজিতে ইহাকে legend, legendary story বলা হয়।
Wanna অর্থ উদাহরণ সহিত | wanna meaning in Bengali?
Hridoy
Wanna meaning in Bengali: - Wanna শব্দটি গঠিত হয়েছে দুইটি পৃথক শন্দ থেকে Want+to = Wanna - Want to এর সঙ্কিপ্ত রুপ যাহা 'informal' বা অনানুষ্ঠানিক ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে। - Want শব্দের অর্থ চাওয়া, ইচ্ছা ইত্যাদি। উদাহরনঃ I wanna be a singer. (আমি গায়ক হতে চাই।) Do you wanna go to Shimla? ( তুমি কিRead more
Wanna meaning in Bengali:
– Wanna শব্দটি গঠিত হয়েছে দুইটি পৃথক শন্দ থেকে Want+to = Wanna
– Want to এর সঙ্কিপ্ত রুপ যাহা ‘informal’ বা অনানুষ্ঠানিক ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে।
– Want শব্দের অর্থ চাওয়া, ইচ্ছা ইত্যাদি।
উদাহরনঃ
Gonna অর্থ উদাহরণ সহিত | Gonna meaning in Bengali?
Hridoy
Gonna meaning in Bengali: - Gonna শব্দটি গঠিত হয়েছে দুইটি পৃথক শন্দ থেকে Going+to = Gonna - Going অর্থ যাওয়া, প্রস্থান করা, কিন্তু to যুক্ত হওয়াতে ইহার অর্থ হবে "সম্ভাবনা" বা ভবিষ্যতে কিছু হওয়ার সম্ভাবনা, ভবিষ্যতে কোন কিছু সংগঠিত হওয়ার ইঙ্গিত কে বুঝায়। উদাহরনঃ What is gonna happen now? (এখন কি হবেRead more
Gonna meaning in Bengali:
– Gonna শব্দটি গঠিত হয়েছে দুইটি পৃথক শন্দ থেকে Going+to = Gonna
– Going অর্থ যাওয়া, প্রস্থান করা, কিন্তু to যুক্ত হওয়াতে ইহার অর্থ হবে “সম্ভাবনা” বা ভবিষ্যতে কিছু হওয়ার সম্ভাবনা, ভবিষ্যতে কোন কিছু সংগঠিত হওয়ার ইঙ্গিত কে বুঝায়।
উদাহরনঃ
– মনে রাখা দরকার যে ‘Gonna’ এর ব্যবহার informal বা অনানুষ্ঠানিক ।
See lessAsleep in the valley
Hridoy
Asleep In The Valley (উপত্যকাতে ঘুমন্ত অবস্থায়) কবিতাটি Arthur Rimbaud তরুণ এক সৈনিক কে কেন্দ্র করে রচনা করেছেন। কবিতাটির সম্পূর্ণ বাংলা অনুবাদ ও ব্যাখ্যার জন্য এখানে ক্লিক করুন ।
Asleep In The Valley (উপত্যকাতে ঘুমন্ত অবস্থায়) কবিতাটি Arthur Rimbaud তরুণ এক সৈনিক কে কেন্দ্র করে রচনা করেছেন।
কবিতাটির সম্পূর্ণ বাংলা অনুবাদ ও ব্যাখ্যার জন্য এখানে ক্লিক করুন ।
See lessBengali translation of Asleep in the Valley
Hridoy
Asleep In The Valley (উপত্যকাতে ঘুমন্ত অবস্থায়) কবিতাটি Arthur Rimbaud তরুণ এক সৈনিক কে কেন্দ্র করে রচনা করেছেন। কবিতাটির সম্পূর্ণ বাংলা অনুবাদ ও ব্যাখ্যার জন্য এখানে ক্লিক করুন ।
Asleep In The Valley (উপত্যকাতে ঘুমন্ত অবস্থায়) কবিতাটি Arthur Rimbaud তরুণ এক সৈনিক কে কেন্দ্র করে রচনা করেছেন।
কবিতাটির সম্পূর্ণ বাংলা অনুবাদ ও ব্যাখ্যার জন্য এখানে ক্লিক করুন ।
See lessজন্মভূমি আজ কবিতার সারমর্ম | Jonmobhumi Aj Summary in Bengali?
Hridoy
সারাংশ ও সারমর্ম আধুনিক বাস্তববাদী সমস্যা দীর্ন মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় কবি যার কাছে সমাজ, দেশ, কাল ও সমাজের প্রতি সচেতনতাই প্রাধান্য পেয়েছে সেই বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা "বেঁচে থাকার কবিতা" নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে জন্মভূমি আজ কবিতা টি। এই কবিতাটিতে কবির স্বদেশের কাল ও সমাজ সচেতনতRead more
সারাংশ ও সারমর্ম
আধুনিক বাস্তববাদী সমস্যা দীর্ন মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় কবি যার কাছে সমাজ, দেশ, কাল ও সমাজের প্রতি সচেতনতাই প্রাধান্য পেয়েছে সেই বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা “বেঁচে থাকার কবিতা” নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে জন্মভূমি আজ কবিতা টি।
এই কবিতাটিতে কবির স্বদেশের কাল ও সমাজ সচেতনতার পরিচয় স্পষ্ট। সমাজের অন্যায় অবিচার যেখানেই দেখেছেন সেখানেই তাঁর কবিতার বাণী গর্জে উঠেছে। তাই তিনি উদ্বিগ্ন ভাবে ও মুক্তকণ্ঠে দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। যুগ যুগ ধরে জগদ্দল পাথরের মতো দেশের মানুষের উপর চেপে বসে আছে দুঃখ দারিদ্র্যের কালো অন্ধকার। সেই অন্ধকার কে সরাতে হবে, তবে দেশের সার্বিক কল্যাণ সম্ভব হবে।
কল্পনার জগত থেকে নেমে এসে কবি বাস্তবের মুখোমুখি দাঁড়াতে বলেছেন। দেশের মানুষের উন্নতির জন্য মাটি ও মানুষের দিকে তাকাতে হবে। দুঃখ এবং দুর্যোগ যে অন্ধকার বুকের উপর চেপে বসে আছে তাকে দূর করতেই হবে। ফলবান করে তুলতে হবে দেশের শুষ্ক মরূভূমির মত স্বদেশকে সেজন্য মাটি আর মানুষের মেলবন্ধনের দরকার । মাটি তো আগুনের মত হবেই তাকে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ফলবান করে তুলতে হবে আর যদি তা না পারা যায় তবে দেশ মরুভূমিতে পরিণত হবে তাই দেশকে ভালবাসতে হলে দেশের মানুষকে, মাটি কে, জীব জন্তু ও গাছপালা কে ভালবাসতে হবে।
See lessরাস্তা কারো একার নয় কবিতার সারাংশ | Rasta Karo Ekar Noy Poem Summary in Bengali?
Hridoy
সারাংশ ও সারমর্ম “রাস্তা কারাে একার নয়” (মূলগ্রন্থঃ অথচ ভারতবর্ষ তাদের) কবিতায় কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সাধারণ লােকসমাজের জীবনপথের রূপরেখা তুলে ধরেছেন। ব্যঞ্জনাধর্মী এ কবিতায় তিনি মানুষের, মানবসভ্যতার অগ্রগতি, প্রগতিপথকে ‘রাস্তা' বলে আখ্যাত করেছেন। সভ্যতাসূচনা থেকেই মানবজীবনের সঙ্গে শ্বাসপ্রশ্Read more
সারাংশ ও সারমর্ম
“রাস্তা কারাে একার নয়” (মূলগ্রন্থঃ অথচ ভারতবর্ষ তাদের) কবিতায় কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সাধারণ লােকসমাজের জীবনপথের রূপরেখা তুলে ধরেছেন। ব্যঞ্জনাধর্মী এ কবিতায় তিনি মানুষের, মানবসভ্যতার অগ্রগতি, প্রগতিপথকে ‘রাস্তা’ বলে আখ্যাত করেছেন।
সভ্যতাসূচনা থেকেই মানবজীবনের সঙ্গে শ্বাসপ্রশ্বাসের মতাে জড়িয়ে আছে ধর্ম ও বিজ্ঞান। ধর্ম মানুষের পুণ্য কর্ম, সৎ কর্ম, পরম্পরাগত জীবন আচরণ ও রীতিনীতি আর বিজ্ঞান কোন বিষয় সম্পর্কে সুসংবদ্ধ জ্ঞান, কর্ম সম্পর্কে বিশেষ পারদর্শী হয়ে ওঠা জ্ঞান, মানবজীবনের আচরণ ও মননকে সমৃদ্ধকারী জ্ঞান। এ দুয়ের হাত ধরে মানবসভ্যতার সাবালক হয়ে ওঠার সূচনা হয়েছিল। কিন্তু কালপ্রবাহে লােভী মানুষের লােভ সভ্যতাকে বিচ্ছিন্ন, শ্রেণিবিভক্ত, রক্তাক্ত করলাে। ধর্ম রূপান্তরিত হলাে সংস্কারে, বিজ্ঞান বদলে গেলাে অস্ত্রে। আর শুরু হােলাে তাদের সংঘাত।
ধর্মসংস্কার লিওনার্দো বা গ্যালিলিওর মতাে বিজ্ঞানসাধকদের তপস্যা থেকে বিরত করতে পারলাে না। সত্য নিষ্ঠায় অবিচ্ছিন্ন থেকে বিজ্ঞান মানুষকে সভ্যতার মুক্ত প্রবাহে, সংস্কারমুক্ত আলােকপ্রান্তরে এগিয়ে নিয়ে গেলাে। ধর্মের অন্ধত্ব মহাজাগতিক সারসত্যকে আবদ্ধ করতে ব্যর্থ হয়ে বারবার বিজ্ঞানসাধকদের সাময়িক অত্যাচার, এমনকি প্রাণহানিতেও বিজ্ঞানের সারস্বত জয়ধারাকে রুদ্ধ করতে পারলাে না।
ধর্ম যতদিন দুঃখী মানুষদের আশ্রয়দাতা, জীবনপথের পাশাপাশি চলা বন্ধ ততদিন ধর্ম সংক্রান্ত সংঘাত বা সংস্কার সভ্যতাকে আচ্ছন্ন করে না। কিন্তু বেঁচে থাকার সাহস যােগানাের বদলে ধর্ম যখন বেঁচে থাকার পথ রুদ্ধ করে মানুষকে অচলায়তনে আবদ্ধ করে তখনই সর্বনাশ সূচিত হয়। ধর্মতাত্ত্বিকদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় বারবার যেহেতু তারা ভুলে যায় রাস্তা কারাে একার নয়। যেমনভাবে আত্ম, শ্রেণি বা রাষ্ট্রস্বার্থে বিজ্ঞানকে শাস্ত্রে রূপান্তরিত করা রাজনীতির বাদশাদের আস্ফালনও ব্যর্থ হয়। ব্যর্থ হয় ভাড়াটে জল্লাদের পােশাক গায়ে চাপানাে বণিকতান্ত্রিক, সামন্ততান্ত্রিক সাম্রাজ্যলােভীদের আস্ফালন।
রাস্তা কারাে একার নয় কবিতায় ধর্ম ও বিজ্ঞানের সম্পর্কে এভাবেই কবি তাঁর সুচিন্তিত মতামত প্রদর্শনে ধর্ম বিজ্ঞান উভয়েই মানব আশ্রয়দাতার ভূমিকা হারালে ব্যর্থ, প্রত্যাখ্যাত হয় বলেছেন।
See lessআমি ফিরোজা (সুবোধ সরকার) Ami Firoza Ekti Varotio Meye Poem Lyrics?
Hridoy
আমি ফিরোজা, একটি ভারতীয় মেয়ে সুবোধ সরকার হিন্দু ভারত, জৈন ভারত, বৌদ্ধ ভারত, খ্রিস্টান ভারত, এতগুলো ভারতের মাঝে দাঁড়িয়ে আমি ফিরোজা একটি ভারতীয় মেয়ে । আপনারা বলতে পারেন, আমি কি দোষ করেছি ? পৃথিবীর যে কোন দেশের যে কোন একটি মেয়ের মতো আমি একজনকে ভালবেসেছিলাম । প্রথম যেদিন ওর চোখে চোখ পড়েছিল আমার আRead more
আমি ফিরোজা, একটি ভারতীয় মেয়ে
সুবোধ সরকার
হিন্দু ভারত, জৈন ভারত, বৌদ্ধ ভারত, খ্রিস্টান ভারত,
এতগুলো ভারতের মাঝে দাঁড়িয়ে
আমি ফিরোজা একটি ভারতীয় মেয়ে ।
আপনারা বলতে পারেন, আমি কি দোষ করেছি ?
পৃথিবীর যে কোন দেশের
যে কোন একটি মেয়ের মতো আমি একজনকে
ভালবেসেছিলাম ।
প্রথম যেদিন ওর চোখে চোখ পড়েছিল আমার
আমি জানতাম না ও কে
বিকেল বেলার কলেজ ক্যাম্পাসে যে আলো এসে পড়েছিল
ওর চুলে, তার কোথাও লেখা ছিল ওর ধর্ম ।
হিন্দু ভারত, জৈন ভারত, বৌদ্ধ ভারত, খ্রিস্টান ভারত
আপনারা বলতে পারেন আমি কি দোষ করেছি ?
আমি যেদিন হাতে মোমবাতি নিয়ে উঠে দাঁড়ালাম
আমি যেদিন বলে ফেললাম, আমি শরিয়ৎ মানি না
আমি যেদিন বুঝিয়ে দিলাম ভারতবর্ষের মাটিকে
মা বলে জানি, ভারতবর্ষের আকাশকে আকাশ
সেদিন থেকেই শুরু হল অত্যাচার ।
হিন্দু ভারত, জৈন ভারত, বৌদ্ধ ভারত, খ্রিস্টান ভারত
আপনারা বলতে পারেন, আমি কি দোষ করেছি
ছেলেটাতো আপনাদের
সে কি দোষ করল ?
আমাকে ভালবাসাই তার দোষ ?
ছেলেটার বাড়িতে আপনারা ঢিল ছুঁড়লেন
পার্সেল করে ছেঁড়া চটি পাঠালেন
ওকে হাতে মেরে, ভাতে মেরে
বাড়ির দেয়ালে বড় বড় করে লিখে দিলেন,
‘এসব চলবে না।’
লজ্জা করে না আপনাদের, আপনারা এগিয়ে থাকা মানুষ
এম এ পাশ, বি এ পাশ, ডাক্তার, এঞ্জিনিয়র
আমলা, মাস্টার, আপনারাই গণতন্ত্র নিয়ে ভাষণ দেন
আর প্রয়োজন মতো
গণতন্ত্রের টুঁটি টিপে ধরেন ।
ধিক আপনাদের !
আমি কি ছোটবেলায় ভোরের আলোয় সরস্বতী পুজোর ফল
. কাটিনি ?
আমি কি স্কুলের বারান্দায় বসে
রাত জেগে আলপনা দিইনি ?
আমি কি পাশের বাড়ির হিন্দু বাবার জন্য রক্ত দিইনি ?
ওদের বাড়ির উঠোনে বসে ওদের ছেলেদের অ আ ক খ
. শেখাইনি ?
আমি আরবি শিখিনি, ফারসি শিখিনি, উর্দু শিখিনি
বাংলাই আমার ভাষা, এই ভাষা আমার ভাত, আমার রুটি
আমার চোখের কাজল, আমার পায়ের ঘুঙুর ।
এই ভাষা আমার গোপন চিঠি, যার অক্ষরে অক্ষরে লেগে আছে
আমার চোখের জল ।
আমরা যেদিন বিয়ে করি
সেদিন কফিহাউস গিয়েছিলাম, ও সেদিন
আমাকে ঝোলা ভর্তি করে রবীন্দ্রনাথ কিনে দিয়েছিল
হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে কানে কানে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন
ফিরোজা, তুমি আমার মৃন্ময়ী, তুমি আমার লাবণ্য
তুমি আমার সুচরিতা ।
সেদিন রাত্রে কি হয়েছিল জানি না
কি ঘটেছিল ওদের বাড়িতে, কি ঘটেছিল ওদের পাড়ায়, কি
. করেছিল ওদের
বাবাকাকা – সেটা আজও আমি জানি না
কিন্তু তার পরের দিন ওকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি
ও কোথায় চলে গেল আমি জানতে পারিনি ।
এই আপনাদের ভারতবর্ষ ?
এই আমাদের ভারতবর্ষ ?
আমি একজন সাধারণ মেয়ে
অথচ বাড়িতে পাড়ায় অফিসে পুজোর প্যান্ডেলে
বিয়ে বাড়িতে অন্নপ্রাশনে এখনো আমাকে নিয়ে ফিসফাস
ডাক্তারের কাছে যাই – ফিসফাস
কলেজে ঢুকি – ফিসফাস
বাজারে যাই – ফিসফাস
যে হাউসিং –এ থাকি সেখানেও চলতে থাকে অবিরাম লুকোচুরি ।
ওটা লুকোচুরি নয়, ওটা ফিসফাস নয়
ওটা আপনাদের গভীরে লুকিয়ে থাকা এক-একটা সুপ্ত গুজরাট ।
যদি আপনাদের হৃদয়
বড় না করেন
আকাশের দিকে আপনারা যদি না তাকান
এই পোড়া দেশে আরও, আরও, আরও
অনেকগুলো পোড়া গুজরাট তৈরি হবে ।
In English Font:
Ami Firoza Ekti Bharotio Meye
Subodh Sarkar
Hindu Bharat, Jaina Bharat, Bud’dha Bharat, khristan Bharat,
Etagulo bharater majhe daṛiye
Ami Firoza ekaṭ bharatiya meye.
Apanara bolte paren, ami ki dosh korechi?
Pr̥thibir je kuno desher
Je kuno ekṭi meyer mato ami ekjonke
bhalobesechilam.
Pratham jedin ora chokhe cokh paṛechilo amar
Ami jantam na o ke
Bikel belar college cumpus e je alo ese paṛechilo
Or chule, tar kutha’o lekha chilo or dharmo.
Hindu Bharat, Jaina Bharat, Bud’dha Bharat, khristan Bharat,
Apanara bolte paren, ami ki dosh korechi?
Ami jedin hate mombati niye uṭhe daralam
Ami jedin bole fellam, ami sariyaṯ mani na
Ami jedin bujhiye dilam bharatbarsher maṭike
Ma bole jani, bharatbarsher akashke akash
Sedin theke’i suru holo atyachar.
Hindu Bharat, Jaina Bharat, Bud’dha Bharat, khristan Bharat,
Apanara bolte paren, ami ki dosh korechi?
cheleṭato apanader
Se ki dosh karlo?
Amake bhalobasa’i tar dosh?
Cheleṭar baṛite apnara ḍhil churlen
parcel kore chera choṭi paṭhalen
Oke hate mere, bhate mere
Baṛir deyale boro boro kore likhe dilen,
‘eshob cholbe na.’
Lajja kore na apanader, apanara egiye thaka manuṣh
MA pass, BA pass, doctor, Engineer
Amla, masṭar, aponara’i gaṇatantra niye bhaṣaṇ den
Ar prayojan mato
Gaṇatantrer ṭuṭi ṭipe dharen.
Dhik apanader!
Ami ki choṭobelay bhorer aloy saraswatī pujor phal Kaṭini?
Ami ki skuler baranday boshe
Raat jege alpana de’ini?
Ami ki pasher baṛir hindu babar jonno rakto de’ini?
Oder baṛir uṭhone boshe oder cheleder o aa ka kha Sekha’ini?
Ami arabi sikhini, farsi sikhini, urdu sikhini
Bangla’i amar bhaṣha, e’i bhaṣha amar bhat, amar ruṭi
Amar chokher kajal, amar payer ghuṅur.
E’i bhaṣha amar gopan ciṭhi, jar akhare akhare lege ache
Amar chokher jol.
Amara jedin biye kori
Sedin coffe house giyechilam, o sedin
Amake jhola bharti kore Rabindranath kine diyechilo
Howra sṭation e pauche kane kane Rabindranath bolechilen
Firoza, tumi amar mr̥inmoyi, tumi amar labaṇya
Tumi amar sucharita.
Sedin ratre ki hoyechilo jani na
Ki ghaṭechilo oder baṛite, ki ghaṭechilo oder paṛay,
Ki Korechilo oder
babakaka – seṭa aj’o ami jani na
kintu tar porer din oke ar kutha’o khuje pawa jaini
O kuthao chole gelo ami jante parini.
E’i apanader bharatabarṣha?
E’i amader bharatabarṣha?
Ami ekajan sadharaṇ meye
See lessOthocho baṛite paṛay office e pujor pyanḍele
Biye baṛite annaprashone ekhono amake niye fishfash
Daktarer kache ja’i – fishfash
College ḍhuki – fishfash
Bazare ja’i – fishfash
Je housing-e thaki sekhane’o cholte thake abiram lukochuri.
Oṭa lukochuri noy, oṭa fishfash noy
Oṭa apanader gabhire lukiye thaka ek-ekṭa supta gujraṭ.
Jodi apanader hr̥iday
Boro na karen
Akaser dike apanara jodi na takan
E’i poṛa deshe ar’o, ar’o, ar’o
Onekgulo poṛa gujraṭ toiri hobe.