1. গান - আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা শিল্পী - হেমন্ত মুখোপাধ্যায় আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা আর কত কাল আমি রব দিশাহারা, রব দিশাহারা। জবাব কিছুই তার দিতে পারি নাই শুধু পথ খুঁজে কেটে গেল এ জীবন সারা, এ জীবন সারা। আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা আর কত কাল আমি রব দিশাহারা, রব দিশাহারা। (I am being askedRead more

    গান – আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা
    শিল্পী – হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

    আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা
    আর কত কাল আমি রব দিশাহারা,
    রব দিশাহারা।
    জবাব কিছুই তার দিতে পারি নাই শুধু
    পথ খুঁজে কেটে গেল এ জীবন সারা,
    এ জীবন সারা।
    আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা
    আর কত কাল আমি রব দিশাহারা,
    রব দিশাহারা।

    (I am being asked by the blue pole star
    How long I will be aimless?
    I am constantly failed to provide any answer
    Just spent my whole life in search of a direction.)

    কারা যেন ভালবেসে আলো জ্বেলেছিলো
    সূর্যের আলো তাই নিভে গিয়েছিলো
    নিজের ছায়ার পিছে ঘুরে ঘুরে মরি মিছে
    একদিন চেয়ে দেখি আমি তুমি হারা,
    আমি তুমিহারা।
    আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা
    আর কত কাল আমি রব দিশাহারা,
    রব দিশাহারা।

    (Somebody loved and lighted my way
    So the light of the Sun moved away
    I roam senselessly behind my own shadow
    One day I realize you are no more by my side.)

    আমি পথ খুঁজি নাকো, পথো মোরে খোঁজে
    মন যা বোঝে না বুঝে, না বুঝে তা বোঝে
    আমার চতুরপাশে সব কিছু যায় আসে
    আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা,
    গতিহীন ধারা।
    আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা
    আর কত কাল আমি রবো দিশাহারা,
    রবো দিশাহারা।

    (I don’t search for any path, path look for me.
    My heart fails to perceive the requisite
    Everything comes and goes around myself.
    I am just a motionless icy glacier.)

    Amay Proshno Kore Nil Dhrubo Tara lyrics

     

     

     

     

     

     

     

     

    Amay Proshno Kore Nil Dhrubo Tara lyrics in English

    Amay prosno kore Neel Drubotara
    Hemanta Mukhopadyay

    Amay prosno kore Neel Drubotara
    Aar kotokal ami robo dishahara
    Robo Disahara
    Jobab kichui tar dite pari nai shudhu
    Poth khuje kete gelo E jibon shara
    E Jibon Shara
    Amay prosno kore Neel Drubotara
    Aar kotokal ami robo dishahara
    Robo Disahara

    Kara jeno valobeshe Alo jelechilo
    Surjer alo tai nibhe giyechilo
    Nijer chayar piche ghure ghure mori miche
    Ekdin cheye deki ami tumi hara,
    Ami tumi hara
    Amay prosno kore Neel Drubotara
    Aar kotokal ami robo dishahara
    Robo Disahara

    Ami poth khujinako, potho more khuje
    Mon ja buje na bujhe, na buje ta buje
    Amar charurpashe shob kichu jay aashe
    Ami shudhu tusharito gotihin dhara
    Gotihin dhara
    Amay prosno kore Neel Drubotara
    Aar kotokal ami robo dishahara
    Robo Disahara

    See less
    • 0
  2. একটি গাছ একটি জীবন গাছপালা আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীর এক অমূল্য সম্পদ। আমরা বেঁচে থাকার জন্য গাছপালার উপর অনেক ভাবে নির্ভরশীল। গাছের জন্যই আমাদের জীবন সম্ভব হয়েছে। গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড সালফার ডাই অক্সাইড এর মত নানা বিষাক্ত গ্যাস শোষণ করে বায়ুমন্ডলে গ্যাসের ভারসাম্য বজায় রাখে। গাRead more

    একটি গাছ একটি জীবন

    গাছপালা আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীর এক অমূল্য সম্পদ। আমরা বেঁচে থাকার জন্য গাছপালার উপর অনেক ভাবে নির্ভরশীল। গাছের জন্যই আমাদের জীবন সম্ভব হয়েছে। গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড সালফার ডাই অক্সাইড এর মত নানা বিষাক্ত গ্যাস শোষণ করে বায়ুমন্ডলে গ্যাসের ভারসাম্য বজায় রাখে। গাছের জন্যই আমরা অক্সিজেন পেয়ে থাকি যা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

    বলা যায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমরা প্রায় সবকিছুর জন্যই গাছের উপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন কারখানায় ব্যবহার হওয়া কাঁচামাল এই গাছপালা থেকেই আসে। আমাদের ব্যবহারিক আসবাবপত্র গাছপালার জন্যই সম্ভব হয়েছে। গাছই আমাদেরকে প্রদান করে খাদ্য এবং ছায়া।

    গাছ আমাদের প্রকৃত বন্ধু হওয়া সত্বেও অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা গাছ হত্যা করেই চলেছি দিনের পর দিন। আমাদের সুযোগ সুবিধার জন্য আমরা চালিয়ে যাচ্ছি গাছের ধ্বংসলীলা। তাতে করে সৃষ্টি হচ্ছে অরণ্যবিনাশ অন্যদিকে বায়ুমন্ডলে বায়ুর ভারসাম্যতা নষ্ট হচ্ছে। দিনের পর দিন উষ্ণ থেকে উষ্ণতর হয়ে উঠছে উঠছে বায়ুমণ্ডল।

    তাই গাছ নিধন করে আমরা নিজের ভবিষ্যতকে অন্ধকার করে দিচ্ছি। আমাদেরকে বুঝতে হবে যে, গাছ ছাড়া এই পৃথিবীতে বাস করা অসম্ভব। আমাদের অতি প্রয়োজনীয় বিশুদ্ধ হাওয়া, খাদ্য এবং বিশ্ব পরিমণ্ডল কিছুই গাছ ছাড়া সম্ভব নয়।

    তাই আমরা কি চাই আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাক? অবশ্যই না। বরং আমরা আমাদের পৃথিবীকে আর সুন্দর দেখতে চাই। তাই আমাদের দায়িত্ব গাছের অপ্রয়োজনীয়’ নিধন থেকে বাঁচা এবং বেশি করে গাছ লাগানো। কারণ কাজ থাকলে আমরা থাকবো, গাছ থাকলে বেঁচে থাকবে এই সুন্দর পৃথিবী। তাই বলতে হয় গাছই জীবনের মূলস্রোত। তাই একটি গাছ একটি প্রাণ।

    See less
    • 2
  3. This answer was edited.

    [caption id="attachment_2442" align="alignleft" width="410"] আমার নাম ভারতবর্ষ (অমিতাভ দাশগুপ্ত )[/caption]

    আমার নাম ভারতবর্ষ (অমিতাভ দাশগুপ্ত ) Amar Naam Bharatbarsha by Amitabha Dasgupta lyrics

    আমার নাম ভারতবর্ষ (অমিতাভ দাশগুপ্ত )

    See less
    • 0
  4. শিশুশ্রম সূচনাঃ মানব জীবনের প্রথম পর্যায় হলো শৈশব। আর শৈশবই হল মানব জীবনের অন্যতম অধ্যায়। প্রত্যক্ষ দৃষ্টিতে একটি শিশুকে নির্ভরশীল বলে মনে হলেও কিন্তু একটি দেশের ভবিষ্যৎ গড়ে ওঠে ওই দেশের শিশুদের উপর। তাই ইংরেজিতে একটি প্রবাদ বাক্য আছে "today's child is tomorrow's citizen" অর্থাৎ আজকের শিশু কালকেরRead more

    শিশুশ্রম

    সূচনাঃ মানব জীবনের প্রথম পর্যায় হলো শৈশব। আর শৈশবই হল মানব জীবনের অন্যতম অধ্যায়। প্রত্যক্ষ দৃষ্টিতে একটি শিশুকে নির্ভরশীল বলে মনে হলেও কিন্তু একটি দেশের ভবিষ্যৎ গড়ে ওঠে ওই দেশের শিশুদের উপর। তাই ইংরেজিতে একটি প্রবাদ বাক্য আছে “today’s child is tomorrow’s citizen” অর্থাৎ আজকের শিশু কালকের নাগরিক। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত প্রত্যেকটি শিশু প্রাথমিক সুযোগ সুবিধা, শিক্ষা ইত্যাদি পায় না। ওরা শিকার হয় বিভিন্ন অপব্যবহারের। আর তার মধ্যে অন্যতম একটি অপব্যবহার হল শিশুশ্রম।

    শিশুশ্রমের সংজ্ঞাঃ
    যে কোনো কাজ যা একটি শিশুর মর্যাদা, সম্ভাবনা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তার শৈশব থেকে কেঁড়ে নেয় তাকে শিশুশ্রম বলা হয়। বা যে কোন কাজ যা একটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ব্যাহত ঘটায় তাকে শিশুশ্রম বলা হয়।
    আমাদের দেশে সরকারি নির্দেশমতে ১৪ বছর ‌বয়সের অনূর্ধ্ব ছেলেমেয়েরা শিশু হিসেবে গণ্য। তাই ১৪ বছরের নিচের কোন শিশুকে দিয়ে যে কোনো কোথাও কাজ বা শ্রম নেওয়া শিশুশ্রম হিসাবে গণ্য হয়।

    শিশুশ্রমের কারণঃ
    শিশুদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করার অন্যতম কারণ গুলির মধ্যে অর্থনৈতিক, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণ পরিলক্ষিত হয়। আমাদের দেশের একটি অন্যতম অংশ দরিদ্র শ্রেণীর। তাই পরিবারের অসচ্ছলতা দরিদ্রতা এবং উপার্জনকারী সদস্যের অকাল মৃত্যু একটি শিশুকে অল্প বয়সে কাজে নিযুক্ত হতে বাধ্য করে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিশুর পরিবারের শিক্ষা সম্পর্কে অসচেতনতা, অর্থের মোহ, অভিভাবকদের নৃশংস আচরণ একটি শিশুকে শ্রমজীবী হতে বাধ্য করে। তাছাড়াও সামাজিক বিপর্যয়, সাম্প্রদায়িকতা এবং অন্যান্য নানা কারণে শিশুরা অল্প বয়সেই শ্রমে লিপ্ত হয়।

    রচনা : শিশু শ্রম | Child Labour Paragraph in Bengali

    ভারতবর্ষে শিশুশ্রমঃ
    বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশসমূহের বিভিন্ন উৎপাদন ক্ষেত্রে থাকা শ্রমিক গোষ্ঠীর মধ্যে এক উল্লেখযোগ্য অংশ হলো “শিশু শ্রমিক” । এবং দুর্ভাগ্যক্রমে বিশ্বের মধ্যে ভারতেশিশু শ্রমিকের সংখ্যা সব থেকে বেশি। তবে ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দায়ী দারিদ্রতা, সামাজিক সুরক্ষাঁর অভাব ও দুর্বল অর্থনীতি। যার ফলে আজ লক্ষ লক্ষ শিশু‌ বিভিন্ন উৎপাদন ক্ষেত্র থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁ, পারিবারিক কাজ, মোটর গ্যারেজে শ্রম এর জন্য বাধ্য।

    শিশুশ্রমের নেতিবাচক প্রভাবঃ
    শিশুশ্রম একটি অমানবিক কাজ। একটি শিশুর প্রকৃত ভাবে বেড়ে ওঠার সময় তাকে কাজের জন্য ঠেলে দেওয়া তার শৈশব কে কেড়ে নেয়া মোটেই কাম্য নয়। শিশুশ্রম এর ফলে একটি শিশুর দৈহিক মানসিক দুটো ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব দেখা দেয়। একদিকে অনুপযুক্ত পরিবেশে কাজ করার দরুন তাকে রোগাক্রান্ত হতে হয় অন্যদিকে তারা ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া বিশ্রাম না করায় অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভোগে। এবং কাজের চাপে শিশুর মন ভারাক্রান্ত হয় ওরা জীবনের প্রথম ধাপেই ভেঙে উঠে। যার ফলে একটি শিশুর ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়।

    শিশুশ্রম নিবারণে সরকারি আইন সামাজিক দায়বদ্ধতাঃ
    পৃথিবী ব্যাপী বিভিন্ন দেশে শিশুশ্রমিকদের মুক্তির লক্ষ্যে বিভিন্ন আইন ব্যবস্থা চালু রয়েছে। ভারত সরকার ও সমাজের অবহেলিত এবং শোষিত শিশু শ্রমিকদের কথা লক্ষ্য করে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছে। ভারতে আইন অনুযাযশিত১৪ বছরের নিচে থাকা কোন শিশুকে কারখানায়, বা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ অবৈধ ও আইনত দণ্ডনীয়। তাছাড়াও শিশুদের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন নিয়ম নীতি ও পরিকল্পনা সরকার হাতে নিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আজ সমাজের শিশুশ্রম সেই হিসাবে রাস পায়নি।
    তাই শিশুশ্রম সমূলে নিবারণ করতে হলে দরকার শিক্ষার প্রসার, সচেতনতা এবং দরিদ্র শ্রেণীর সামাজিক ও আর্থিক সুরক্ষা। এতে প্রয়োজন সরকারি এবং স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি।

    উপসংহারঃ
    শিশুশ্রম একটি সামাজিক সমস্যা এবং কুপ্রথা। তাই এর দূরীকরণ সরকার এবং সমাজকে মূল দায়িত্ব হিসাবে গ্রহণ করা উচিত।

    See less
    • 2
  5. This answer was edited.

    বোঝাপড়া কবিতার সব প্রশ্ন উত্তর এই লিংকে  বোঝাপড়া (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) Bojhapora Poem lyrics

    বোঝাপড়া কবিতার সব প্রশ্ন উত্তর এই লিংকে 

    বোঝাপড়া (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) Bojhapora Poem lyrics

    বোঝাপড়া (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) bojhapora poem lyrics

    See less
    • 1
  6. সারাংশ ও মূলভাব: ভোরাই কবিতাটি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের লিখিত অন্যতম একটি কবিতা। এই কবিতাটি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের 'বেলাশেষের গান' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। 'ভোরাই' শব্দের অর্থ হচ্ছে ভোর বেলার পরিবেশ বা ভোরের গান। কবি এই কবিতায় গ্রামের ভোর বেলার নৈসর্গিক সৌন্দর্যকে তুলে ধরেছেন। কবিতায় ফুটে উঠেছে ভোর বেলারRead more

    সারাংশ ও মূলভাব:

    ভোরাই কবিতাটি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের লিখিত অন্যতম একটি কবিতা। এই কবিতাটি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ‘বেলাশেষের গান’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

    ভোরাই’ শব্দের অর্থ হচ্ছে ভোর বেলার পরিবেশ বা ভোরের গান। কবি এই কবিতায় গ্রামের ভোর বেলার নৈসর্গিক সৌন্দর্যকে তুলে ধরেছেন। কবিতায় ফুটে উঠেছে ভোর বেলার এক অপরূপ দৃশ্য।

    কবি ভোরের আনন্দে মাতোয়ারা। ভোর হয়েছে, চারিদিক হয়েছে আলোকিত, প্রভাতের আলোয় জেগে উঠেছে প্রকৃতি। আর এই আলোয় ফুলগুলি যেন দুলাদুলি করছে বাতাসের মধ্যে। পদ্ম ফুল তার পাপড়িগুলো এমন ভাবে মেলে ধরেছে যেন মনে হচ্ছে সে হাই তুলছে। স্থল থেকে জল পর্যন্ত জেগেছে ভোর হওয়ার সাড়া। সবাই নিদ্রা মুক্ত হয়েছে এবং সেই নিস্তব্ধ জলের নিচে ও ভোরের সাড়া জেগেছে। প্রাতঃ কালের এই সুমিষ্ট বাতাস যেন আল্পনার মত ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে চারিদিক। আর এই ভোরের সুমিষ্ট আবহাওয়া যেন মনকে উৎফুল্লিত করে তুলেছে।

    কবি আরো বলছেন যে ভোরের আলো যেন ধানের মাঠ কে সবুজ রঙে রাঙিয়ে দিয়েছে। এমনকি পুকুরের কচুরিপানায় ও আনন্দের সেই সবুজ রঙ ফুটে উঠেছে। মাঠ পাথার আলোকিত হয়ে উঠেছে, ফুলগুলো হয়ে উঠেছে আরও রঙিন, আকাশ যেন নীল রঙে ভরে গিয়েছে।

    এবং ভোরের এই সুন্দর পরিবেশে কবির কল্পনাগুলো আজ বাধাহীন। কল্পনাগুলো আজ উড়ে উড়ে ভেসে বেড়াচ্ছে ভোরের হালকা হাওয়ায়। হালকা ওজনের ছোট্ট নৌকাগুকলো যেন সেই হাওয়াতেই নেচে উঠেছে। ‌ কল্পনার পায়রা গুলো যেন আলোতেই ভিজে যাচ্ছে।

    কবির কল্পনায় পদ্মফুল গুলো যেন আজ আকাশগঙ্গায় প্রাণ ঢেলে দিয়েছে। এবং পূর্ব আকাশে স্থির মেঘগুলি কবির মন ভুলিয়েছে। কিন্তু তার বিপরীতে পশ্চিম আকাশে মেঘ যেন সিংহের মত কেশর ফুলিয়ে স্থির দাঁড়িয়ে আছে। আলোর লাল আভা আকাশে এমনভাবে ছড়িয়েছে যেন মনে হচ্ছে সিংহ তার কেশর ফুলিয়ে রয়েছে।

    কবি ভোরের এই বাধাহীন কল্পনাতে আরো দেখছেন যে হাঁসগুলি আকাশপথে উড়ে চলেছে, ফুলেরা বাতাসের মধ্যে দুলতে দুলতে হাসাহাসি করছে। রামধনুর সাত রঙ রাঙিয়েছে মাঠ, ঘাট, প্রান্তর। সমস্ত রাতের শিশির পাতায় পাতায় জমে রয়েছে মানিকের মতো। আর দূর্বাঘাসের উপর সেই শিশির কণায় সূর্যের আলো পড়লে মনে হচ্ছে দূর্বা ঘাসের উপর দীপ জ্বলছে।সকালের আলোয় শীতল শিউলি ফুল গুলো যেন নিদ্রিত শিশুর ন্যায় জেগে উঠেছে। এবং সুগন্ধি ফুলের রাত্রের স্বপ্ন কেড়ে যেন চারিদিকে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে।

    তাই কবি বলছেন সকালে চোখ খুলতেই যেন রঙের মেলা ঝিলিমিলি করছে। নীল রঙের সেই জলাশয় যেন আজ মুক্তমনা সবাইকে তার দিকে ডাকছে। তাই কবির প্রশ্ন এই সুন্দর সকাল কে কোনভাবে নষ্ট করা কি ঠিক হবে? যে প্রভাতে ফিঙ পাখি তাঁর বাসা তৈরির জন্য খড়কুটো নিয়ে যাচ্ছে, বুলবুলি মিষ্টি সুর তুলেছে আর পাখির গানে আনন্দে ভরে উঠেছে এই ভুবন।

    তাই বলা যায় ভোরাই নিছক একটি প্রকৃতির কবিতা, প্রকৃতির গান। এই কবিতার মাধ্যমে কবি প্রকৃতির সাজানো সকালের সেই অপরূপ দৃশ্য কে দেখেছেন চোখ ভরে এবং তুলে ধরেছেন সকালের অপূর্ব সুন্দর মুহূর্ত গুলি তাঁর বাধাহীন কল্পনার মাধ্যমে।

    See less
    • 0
  7. This answer was edited.

    সারাংশ ও সারমর্মঃ জয় গোস্বামীর লিখিত ‘নুন’ কবিতা সমাজের খেটে খাওয়া, গরিব শ্রেণীর মানুষের কবিতা। কবিতায় স্থান পেয়েছে তাঁদের দুঃখের কথা, তাঁদের অভাবের কথা। এই মানুষদের বেশি চাওয়া পাওয়া নেই । তারা অল্পতেই খুশি তাঁদের নেই কোন অভিযোগ অনেক বেশি পাওয়ার। এদের জীবন অতি সাধারন তারা সম্পূর্ণ দিন পরিশ্রমRead more

    সারাংশ ও সারমর্মঃ

    জয় গোস্বামীর লিখিত ‘নুন’ কবিতা সমাজের খেটে খাওয়া, গরিব শ্রেণীর মানুষের কবিতা। কবিতায় স্থান পেয়েছে তাঁদের দুঃখের কথা, তাঁদের অভাবের কথা। এই মানুষদের বেশি চাওয়া পাওয়া নেই । তারা অল্পতেই খুশি তাঁদের নেই কোন অভিযোগ অনেক বেশি পাওয়ার। এদের জীবন অতি সাধারন তারা সম্পূর্ণ দিন পরিশ্রম করে যা উপার্জন করে তাহাতেই তাঁদের সংসার চলে। অনেকদিন তাঁরা অনেক কিছু ক্রয় করতে পারেনা তাদের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তাঁদের বাড়ি ফিরতে হয় অনেক কিছু না নিয়ে।

    যদিও তাহারা অভাবে ভুগে কিন্তু তাদের নেশা থেমে থাকে না। আর্থিক ভাবে সচ্ছল না হলে তাঁদের বিলাসিতার ইচ্ছে হয়। তাঁদের ইচ্ছে হয় কখনো বা একটি গোলাপ ফুলের চারা লাগানোর কিন্তু লাগাবার জায়গাটা ও তাঁদের নেই।

    অভাবের টানে অনেক সময় তাদের ঠান্ডা ভাতে নুন টুকু ও জোটে না। তখনই শুরু হয় উৎপাত এবং এই উৎপাতের শব্দ শুনতে পায় সমস্ত পাড়ার মানুষ। কিন্তু ইহাতে তাঁদের কোন লজ্জা বোধ হয় না কারণ কেহই তাহাদের কথা ভাবে না। তাঁদের জীবন যাপনের নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও কেউই তাদের দেয়নি। তাই তাঁদের কাতর আবেদন যে তাদের নুনের ব্যবস্থা হোক। ‌ অর্থাৎ তাহাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব গুছিয়ে যাক।

    তাই এই কবিতায় নুন শুধুমাত্র একটি উদাহরণ, একটি উপলক্ষ। নুন হচ্ছে দরিদ্র, মধ্যবিত্ত মানুষের চাওয়া পাওয়ার প্রতীক। যেভাবে নুন বা লবন রান্নার জন্য একটি মৌলিক উপাধান সেইভাবে তাহাদের জীবনে দু বেলা দুমুটো  ভাত তাহাদের মৌলিক চাওয়া পাওয়া। কিন্তু সেইটুকু ও তাহাদের কপালে জুটেনা এবং এই মানুষদের তাহার ব্যবস্থা হউক এটা কেউ দেখে না । তাই নুন কবিতাটি দরিদ্র মানুষের আর্থ-সামাজিক অসচ্ছলতার প্রতীক।

    See less
    • 0