Sign Up

Continue with Facebook
Continue with Google
Continue with Twitter
or use


Have an account? Sign In Now

Sign In

Continue with Facebook
Continue with Google
Continue with Twitter
or use


Forgot Password?

Don't have account, Sign Up Here

Forgot Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.


Have an account? Sign In Now

Sorry, you do not have a permission to ask a question, You must login to ask question.

Continue with Facebook
Continue with Google
Continue with Twitter
or use


Forgot Password?

Need An Account, Sign Up Here
Bengali Forum Logo Bengali Forum Logo
Sign InSign Up

Bengali Forum

Bengali Forum Navigation

  • বিভাগ
  • বিষয়
  • ব্লগ
  • বাংলা অভিধান
  • হযবরল
Search
Ask A Question

Mobile menu

Close
Ask a Question
  • বাংলা অভিধান
  • সাহিত্য
  • শিক্ষা
  • রচনা
  • সাধারণ জ্ঞান
  • ইংলিশ টু বাংলা
  • বিজ্ঞান
  • বাংলা কুইজ
  • ধৰ্ম ও সংস্কৃতি
  • ইতিহাস
  • মতামত

Discy Latest Questions

In: রচনা

রচনা : শিশু শ্রম | Child Labour Paragraph in Bengali?

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 16 Questions
    • 418 Answers
    • 14 Best Answers
    • 2,115 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on July 18, 2020 at 9:50 pm

    শিশুশ্রম সূচনাঃ মানব জীবনের প্রথম পর্যায় হলো শৈশব। আর শৈশবই হল মানব জীবনের অন্যতম অধ্যায়। প্রত্যক্ষ দৃষ্টিতে একটি শিশুকে নির্ভরশীল বলে মনে হলেও কিন্তু একটি দেশের ভবিষ্যৎ গড়ে ওঠে ওই দেশের শিশুদের উপর। তাই ইংরেজিতে একটি প্রবাদ বাক্য আছে "today's child is tomorrow's citizen" অর্থাৎ আজকের শিশু কালকেরRead more

    শিশুশ্রম

    সূচনাঃ মানব জীবনের প্রথম পর্যায় হলো শৈশব। আর শৈশবই হল মানব জীবনের অন্যতম অধ্যায়। প্রত্যক্ষ দৃষ্টিতে একটি শিশুকে নির্ভরশীল বলে মনে হলেও কিন্তু একটি দেশের ভবিষ্যৎ গড়ে ওঠে ওই দেশের শিশুদের উপর। তাই ইংরেজিতে একটি প্রবাদ বাক্য আছে “today’s child is tomorrow’s citizen” অর্থাৎ আজকের শিশু কালকের নাগরিক। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত প্রত্যেকটি শিশু প্রাথমিক সুযোগ সুবিধা, শিক্ষা ইত্যাদি পায় না। ওরা শিকার হয় বিভিন্ন অপব্যবহারের। আর তার মধ্যে অন্যতম একটি অপব্যবহার হল শিশুশ্রম।

    শিশুশ্রমের সংজ্ঞাঃ
    যে কোনো কাজ যা একটি শিশুর মর্যাদা, সম্ভাবনা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তার শৈশব থেকে কেঁড়ে নেয় তাকে শিশুশ্রম বলা হয়। বা যে কোন কাজ যা একটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ব্যাহত ঘটায় তাকে শিশুশ্রম বলা হয়।
    আমাদের দেশে সরকারি নির্দেশমতে ১৪ বছর ‌বয়সের অনূর্ধ্ব ছেলেমেয়েরা শিশু হিসেবে গণ্য। তাই ১৪ বছরের নিচের কোন শিশুকে দিয়ে যে কোনো কোথাও কাজ বা শ্রম নেওয়া শিশুশ্রম হিসাবে গণ্য হয়।

    শিশুশ্রমের কারণঃ
    শিশুদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করার অন্যতম কারণ গুলির মধ্যে অর্থনৈতিক, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণ পরিলক্ষিত হয়। আমাদের দেশের একটি অন্যতম অংশ দরিদ্র শ্রেণীর। তাই পরিবারের অসচ্ছলতা দরিদ্রতা এবং উপার্জনকারী সদস্যের অকাল মৃত্যু একটি শিশুকে অল্প বয়সে কাজে নিযুক্ত হতে বাধ্য করে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিশুর পরিবারের শিক্ষা সম্পর্কে অসচেতনতা, অর্থের মোহ, অভিভাবকদের নৃশংস আচরণ একটি শিশুকে শ্রমজীবী হতে বাধ্য করে। তাছাড়াও সামাজিক বিপর্যয়, সাম্প্রদায়িকতা এবং অন্যান্য নানা কারণে শিশুরা অল্প বয়সেই শ্রমে লিপ্ত হয়।

    রচনা : শিশু শ্রম | Child Labour Paragraph in Bengali

    ভারতবর্ষে শিশুশ্রমঃ
    বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশসমূহের বিভিন্ন উৎপাদন ক্ষেত্রে থাকা শ্রমিক গোষ্ঠীর মধ্যে এক উল্লেখযোগ্য অংশ হলো “শিশু শ্রমিক” । এবং দুর্ভাগ্যক্রমে বিশ্বের মধ্যে ভারতেশিশু শ্রমিকের সংখ্যা সব থেকে বেশি। তবে ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দায়ী দারিদ্রতা, সামাজিক সুরক্ষাঁর অভাব ও দুর্বল অর্থনীতি। যার ফলে আজ লক্ষ লক্ষ শিশু‌ বিভিন্ন উৎপাদন ক্ষেত্র থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁ, পারিবারিক কাজ, মোটর গ্যারেজে শ্রম এর জন্য বাধ্য।

    শিশুশ্রমের নেতিবাচক প্রভাবঃ
    শিশুশ্রম একটি অমানবিক কাজ। একটি শিশুর প্রকৃত ভাবে বেড়ে ওঠার সময় তাকে কাজের জন্য ঠেলে দেওয়া তার শৈশব কে কেড়ে নেয়া মোটেই কাম্য নয়। শিশুশ্রম এর ফলে একটি শিশুর দৈহিক মানসিক দুটো ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব দেখা দেয়। একদিকে অনুপযুক্ত পরিবেশে কাজ করার দরুন তাকে রোগাক্রান্ত হতে হয় অন্যদিকে তারা ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া বিশ্রাম না করায় অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভোগে। এবং কাজের চাপে শিশুর মন ভারাক্রান্ত হয় ওরা জীবনের প্রথম ধাপেই ভেঙে উঠে। যার ফলে একটি শিশুর ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়।

    শিশুশ্রম নিবারণে সরকারি আইন সামাজিক দায়বদ্ধতাঃ
    পৃথিবী ব্যাপী বিভিন্ন দেশে শিশুশ্রমিকদের মুক্তির লক্ষ্যে বিভিন্ন আইন ব্যবস্থা চালু রয়েছে। ভারত সরকার ও সমাজের অবহেলিত এবং শোষিত শিশু শ্রমিকদের কথা লক্ষ্য করে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছে। ভারতে আইন অনুযাযশিত১৪ বছরের নিচে থাকা কোন শিশুকে কারখানায়, বা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ অবৈধ ও আইনত দণ্ডনীয়। তাছাড়াও শিশুদের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন নিয়ম নীতি ও পরিকল্পনা সরকার হাতে নিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আজ সমাজের শিশুশ্রম সেই হিসাবে রাস পায়নি।
    তাই শিশুশ্রম সমূলে নিবারণ করতে হলে দরকার শিক্ষার প্রসার, সচেতনতা এবং দরিদ্র শ্রেণীর সামাজিক ও আর্থিক সুরক্ষা। এতে প্রয়োজন সরকারি এবং স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি।

    উপসংহারঃ
    শিশুশ্রম একটি সামাজিক সমস্যা এবং কুপ্রথা। তাই এর দূরীকরণ সরকার এবং সমাজকে মূল দায়িত্ব হিসাবে গ্রহণ করা উচিত।

    See less
    • 2
  • 1
  • 16,679
  • 0
Answer
In: রচনা

আসামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রচনা | Natural Beauty of Assam Essay in Bengali Language?

  1. Nibedita Paul

    Nibedita Paul

    • India
    • 41 Questions
    • 153 Answers
    • 8 Best Answers
    • 677 Points
    View Profile
    Nibedita Paul
    Added an answer on May 24, 2020 at 1:57 am

    আসামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভূমিকা : আসাম প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্যের লীলা নিকেতন। তার দিকে দিকে নানা রাঙা পাখির কাকলি, নানা রাঙা ফুলের গন্ধবাহার। প্রকৃতি দেবী যেন নিজহাতে তার সমস্ত সৌন্দর্য ভাণ্ডার এই আসাম ভূমিতে উজাড় করে দিয়েছেন। এ রাজ্য পাহাড়-পর্বত বেষ্টিত একটি অতি মনােরম রাজ্য। অনেকের মতে সৌন্দরRead more

    আসামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

    ভূমিকা : আসাম প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্যের লীলা নিকেতন। তার দিকে দিকে নানা রাঙা পাখির কাকলি, নানা রাঙা ফুলের গন্ধবাহার। প্রকৃতি দেবী যেন নিজহাতে তার সমস্ত সৌন্দর্য ভাণ্ডার এই আসাম ভূমিতে উজাড় করে দিয়েছেন। এ রাজ্য পাহাড়-পর্বত বেষ্টিত একটি অতি মনােরম রাজ্য। অনেকের মতে সৌন্দর্যে ‘সম’ বা সমান বা সমকক্ষ নেই বলে এই দেশের নাম অসম। আর অসম হতেই এই দেশের নাম হয়েছে আসাম। আসামের নিসর্গ প্রকৃতি নাগরিক জীবন যন্ত্রণায় ক্লান্ত-ক্লিষ্ট মানুষকে অপার প্রশান্তি এনে দেয়।

    প্রকৃতি ভেদে আসামের সৌন্দর্য : ভারতের উত্তর পূর্ব প্রান্তের রাজ্যটি যেন কোন দেবকন্যার কণ্ঠমালা থেকে খসে-পড়া কারুকার্য খচিত একখণ্ড পান্না। সবুজ-শ্যামলে রজত-ঔজ্জ্বল্যে নিসর্গ সুন্দরী সত্যই অপরূপা। রাজ্যটির উত্তরে হিমালয় পর্বতমালা ও তার শাখা-প্রশাখা, ছােট-বড় পাহাড়-পর্বত যেন শিরের শােভা মুকুট রাজি। পুর্বদিকে পাতকোই ও দক্ষিণে মেঘালয়ের পর্বতমালা নীলাভ মেঘসজ্জার মতাে শােভা পাচ্ছে। শ্যামল বনরাজি নীলার মেখলা পরিহিতা আসাম যেন এক বনমালা।
    আসামের মধ্যাংশ কাৰ্বিমালভূমি, মেঘালয় মালভূমি ও দাক্ষিণাত্য মালভূমির অংশ বিশেষ। এই অঞ্চলটি অতি প্রাচীন ও রূপান্তরিত আগ্নেয় শিলা দ্বারা গঠিত। কার্বি মালভূমিকে স্পর্শ করে দক্ষিণ পর্যন্ত রয়েছে উত্তর কাছাড়ের পাহাড়ী অঞ্চল। এই পাহাড় সমূহ স্তরীভূত শিলার ঢেউ খেলানাে পাহাড়। কবির ভাষায় ব্রহ্মপুত্র নদ তার কণ্ঠহার আর বরাক নদী হলাে কটি দেশের কিংকিনী। এই নদী দুটির অসংখ্য উপনদী, শাখানদী নৃত্য পরা অপ্সরার মতাে কলতান তুলে বয়ে চলেছে। শ্যামল-গহন বনানীর রহস্যময়তা ও স্নিগ্ধতা সৌন্দর্য-পিয়াসী মানুষকে পত্রমর্মরে আমন্ত্রণ জানায়। নদীর বুকে সাদা পাল তুলে নৌকা চলে কোন অচিনপরে, মাঝির কণ্ঠে ভাটিয়ালি গানের উদাসী সুর। তাছাড়া নদীগুলি রাজ্যটিকে কৃষির উপযুক্ত ও উর্বর করে তুলেছে। সত্যই সুজলা, সুফলা শস্য-শ্যামলা ব্ৰহ্মপুত্র-বরাকের এই পূণ্য তীরভূমিতে যেন নয়নদুটি শ্যামরূপে বন্দী হয়ে রসলীন ভ্রমরের ন্যায় নিশ্চল হয়ে যায়।

    প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নানা উপাদান : আসাম রাজ্যটির ৩৫ শতাংশ স্থান জুড়ে রয়েছে বন-জঙ্গল ও গভীর অরণ্য। এসব জঙ্গলে হলং, বনচাম, শাল, সেগুন, সুন্দী, সােনারু প্রভৃতি মূল্যবান কাঠ ও গাছ রয়েছে। স্থানে স্থানে রয়েছে অসংখ্য খাল, বিল ও তৃণ প্রান্তর। নাম না জানা জলাশয়ের বুকে বিকশিত পদ্ম-শালুকের বর্ণবাহার। ইতস্ততঃ ছড়ানাে পত্রপুঞ্জের মতাে সবুজ বন। মাথার উপরে উন্মুক্ত আকাশ, আকাশে চন্দ্র-সূর্যের উদয় ও অস্ত যাওয়ার শােভা, মেঘমালার স্বচ্ছন্দ বিচরণ। অন্ধকার রাত্রে ঝােপে-ঝাড়ে জ্বলে জোনাকির দীপ।

    পশুপাখির সৌন্দর্য বর্ধন : আসামের বনজঙ্গলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ধিত করে প্রকৃতির ক্রোড়ে লালিত জীবজন্তুর স্বচ্ছন্দ বিহার। এগুলির মধ্যে হাতী, গণ্ডার, বন্য মহিষ, বাঘ, ভালুক, হরিণ, বানর প্রভৃতি উল্লেখযােগ্য জন্তু। আসামের কাজিরাঙ্গার একশিং বিশিষ্ট গণ্ডার পৃথিবী বিখ্যাত। নানা প্রকার দুর্লভ পাখিও আসামে পাওয়া যায়। যার মধ্যে আছে, ময়না, টিয়া, তােতা, শকুন ও ধনেশ প্রভৃতি পাখি। বনফুল ঘিরে ভ্রমরের গুঞ্জন, চলমান পাহাড়ের মতাে হাতির পাল ইত্যাদি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেরই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।

    প্রকৃতি ও মানুষ : নির্জন প্রকৃতির একটি স্বতন্ত্র সৌন্দর্য অবশ্যই আছে। কিন্তু মানুষের সুচিন্তিত সুপরিকল্পিত হস্তস্পর্শে সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সুন্দরতর হয়ে উঠে। এভাবে হস্তস্পর্শে তৈরি আসামের চা বাগানগুলি অপূর্ব শােভার আধার। পূর্ব আসামের প্রায় সমস্ত অঞ্চল জুড়ে চায়ের ঘন সবুজ ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’ নিসর্গ শােভাতে অপরিমেয় সৌন্দর্যের সঞ্চার করে। টিলার উপর নির্মিত ঘর-বাড়িতে বৈদ্যুতিক আলােক মালা যেন নিজ দীপাবলীর আলােক সজ্জা। সবুজ তরুলতা বেষ্টিত ছায়া সুনিবিড় গ্রামগুলিও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অঙ্গীভূত।

    ঋতুভেদে আসামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য : ঋতুর পর ঋতু একে একে এখানে এসে নিজেকে সৌন্দর্য শােভায় মেলে ধরে। বিভিন্ন ঋতুতে প্রকৃতি দেবী বিভিন্ন সাজে সজ্জিতা হন। গ্রীষ্মে লাল, হলুদ, শিরীষ ফুলে আসামের দেহ ঢাকে, বর্ষায় কদম ফুল ফোটে আর পাহাড়ী নদীর রূপালী ধারা চঞ্চল নৃত্যে নেমে আসে ঝরঝর ঝমঝম্‌ শব্দে। শরতের আগমনে ঝিলে ঝিলে প্রস্ফুটিত হয় কমল। রাজহাঁসেরা ঝাকে ঝাকে উড়ে চলে মানস সরােবরের দিকে। হেমন্তের আগমনে উপত্যকায় ধানক্ষেতের হরিৎ শােভা সত্যই মনােমুগ্ধ কর বাতাসের দোলা খেয়ে তারা সমুদ্রের ঢেউয়ের মতাে উচু-নিচু হতে থাকে। শীতে লাের্ধ ও কাশ জাতীয় শুভ্র ফুলের অমলিন হাসিতে সমস্ত পাহাড়, বন, আকাশ প্রভৃতি শ্বেত শােভায় সজ্জিত হয়। এই নয়নাভিরাম শােভা বাস্তবিকই বিচিত্র। আর বসন্তকালের তাে কথাই নেই। কোকিলের সুমধুর কুজন যেন প্রকৃতি দেবীর নবরূপ ও রাগ গ্রহণের কথাই ঘােষণা করে।

    উপসংহার : প্রাচীনকালে প্রবাদ ছিল কামরূপ অর্থাৎ অসম ইন্দ্রজালের মাজ, এখানে প্রকৃতি দেবীর অভিনব আকর্ষণ। আকুল করা সৌন্দর্যে নারী-পুরুষ পঞ্চলেই উন্মাদ হয়ে পড়ে। আসামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অভিভূত হয়ে জাতির জনক হাত্মা গান্ধী বলেছিলেন মনমােহন আসামের অধিবাসী সকলেই কবিতা রচনা করতে সেলু।’ অর্থাৎ কাব্য সুষমা বিজড়িত আসামের প্রকৃতি ও তার বিভিন্ন ঋতুর সৌন্দর্যরাশি অবর্ণনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আসাম সত্যই অ-সম অর্থাৎ অপ্রতিদ্বন্দ্বী।

    See less
    • 1
  • 2
  • 13,216
  • 0
Answer
In: রচনা

আসামের প্রাকৃতিক সম্পদ রচনা | Natural resources of assam essay in bengali language?

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 16 Questions
    • 418 Answers
    • 14 Best Answers
    • 2,115 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on June 29, 2020 at 5:03 am

    আসামের প্রাকৃতিক সম্পদ ভূমিকা : “ধন ধান্যে পুষ্পেভরা আমাদেরই বসুন্ধরা তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা।” এই ধন ধান্যে ও পুষ্পে ভরা সুজলা সুফলা ধরণীর উত্তর পর্ব সীমান্তে ক্ষুদ্র রাজ্য আসাম । প্রকৃতিদেবী নিজের কনিষ্ঠা কন্যাকে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যে পূর্ণ করে দিয়েছেন। যাতায়াত ও পরিবহনের সুবRead more

    আসামের প্রাকৃতিক সম্পদ

    ভূমিকা : “ধন ধান্যে পুষ্পেভরা আমাদেরই বসুন্ধরা তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা।”

    এই ধন ধান্যে ও পুষ্পে ভরা সুজলা সুফলা ধরণীর উত্তর পর্ব সীমান্তে ক্ষুদ্র রাজ্য আসাম । প্রকৃতিদেবী নিজের কনিষ্ঠা কন্যাকে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যে পূর্ণ করে দিয়েছেন। যাতায়াত ও পরিবহনের সুবিধার জন্য এই রাজ্য শিল্প-কারখানা দিক দিয়ে উন্নত না হলেও প্রাকৃতিক সম্পদে এই রাজ্যটিকে ধনী বলা যায়। পাহাড় পর্বত ও অরণ্যে পরিবেষ্টিত এই রাজ্যটি যেন প্রকৃতি দেবীর স্নেহ আঁচলের ছায়ায় আবৃত হয়ে রয়েছে। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে অসমের ভূমি বৎসরের বেশ কিছটা বর্ষণসিক্ত অবস্থায় থাকে। যার ফলে নানান সম্পদে সমৃদ্ধ হয়েছে আসাম।

    প্রাকৃতিক সম্পদের প্রকার : প্রকৃতি জাত সম্পদকেই প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। প্রকৃতিবিদেরা এই সম্পদকে বনজ, খনিজ এবং প্রাণীজ এই তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করেছেন। কৃষিজাত সম্পদগুলিও প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে পড়ে।

    বনজ সম্পদ : সকল সম্পদের মধ্যে আসামের বনজ সম্পদ বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। রাজ্যের ৩৫ শতাংশ বিস্তৃত এই বনাঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে শাল, সেগুন, চাম, সুন্দী, শিশু, গামাই প্রভৃতি মূল্যবান বৃক্ষরাজি আসামের অর্থনীতির মূল চাবি কাঠি । এই রাজ্যের অরণ্য বাঁশ ও বেত উৎপাদনেও উল্লেখযােগ্য। আসামের বাঁশ-বেত আসামের কুটির শিল্পকে উন্নত করে তুলেছে। আসামের কাগজ কলগুলি চালু রাখতে আসামের বাঁশই যথেষ্ট। তুলা, লাক্ষা প্রভৃতিও আসামের বনজ সম্পদকে সমৃদ্ধ করে রেখেছে।

    কৃষিজ সম্পদ : দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আসাম একটি বৃষ্টিবহুল রাজ্য বলে পরিচিত তাই এই অঞ্চলটি কৃষি প্রধান। ধান, পাট, কার্পাস, তিল, সরিষা, আলু, মাসকালাই, মুগ প্রভৃতি এই অঞ্চলের প্রধান কৃষিজাত দ্রব্য। তাছাড়া রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল কমলা, কলা, আনারস, পেঁপে, পেয়ারা প্রভৃতি। অসমের চা জগৎ বিখ্যাত। উৎপাদনের প্রাচুর্যের জন্য পাট ও কার্পাস বিদেশেও রপ্তানি হয়ে থাকে। এণ্ডি ও মুগা প্রভৃতি গাছগুলি কেবলমাত্র অসমে জন্মে। তাই এ দুটি শিল্প আসামের একান্ত নিজস্ব সম্পদ। আসামের অনেক নদী, বিল, হাওরও আছে। এগুলির জলে নানা জাতের মাছ পাওয়া যায় ।

    প্রাণীজ সম্পদ : প্রাণীজ সম্পদের মধ্যে অরণ্যজাত পশু-পাখিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। হাতী, বাঘ, ভাল্লক, হরিণ, বানর, গণ্ডার প্রভৃতি নিয়ে আসামের প্রাণী জগত গঠিত। এক খড়্গ বিশিষ্ট গণ্ডার আসামের অমূল্য সম্পদ। এই শ্রেণির গণ্ডার আসাম ছাড়া অন্য রাজ্যে দুর্লভ। তাই আসাম সরকার এদের সংরক্ষণের জন্য কাজিরাঙ্গার অভয়ারণ্যকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। তাছাড়া আসামের বনভূমিতে প্রায় ৭৫০ প্রজাতির পাখি আছে। এদের মধ্যে ময়না, টিয়া, তােতা, শালিক, কিংগার, ধনেশ, শকুনী, বক প্রভৃতি পাখিই প্রধান।

    খনিজ সম্পদ : খনিজ সম্পদে আসাম একটি সমৃদ্ধ রাজ্য। আসামের প্রধানতম সম্পদ তার খনিজ তৈলের ভাণ্ডার। ভারতবর্ষে উত্তোলিত খনিজ তৈলের প্রায় সমস্তটুকুই আসাম হতে গৃহিত হয়। উত্তর আসামের ডিগবয় তৈলক্ষেত্রেই ভারতের বৃহত্তম তৈলক্ষেত্র। স্বাধীন ভারতে আসামের ডিগবয়েই প্রথম তৈল শােধনাগার স্থাপিত হয়েছিল। বর্তমানে আসামে চারটি তৈল শােধনাগার আছে। এগুলি হলাে ডিগবয়, নাহারকাটিয়া, মরিয়ানী ও নৃমলিগড়। খনিজ তৈল শােধন করে বিভিন্ন প্রকার প্রয়ােজনীয় সামগ্রী যেমন প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপন্ন করা হয়েছে। আসামে খনিজ কয়লার সম্পদ সুপ্রচুর। ডিগবয়ের পূর্বে অবস্থিত লিড়, শিবসাগর জিলার নাজিরা আসামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কয়লাক্ষেত্র।

    উপসংহার : আসামের প্রকৃতির ভাণ্ডারে যে অমূল্য সম্পদ লুকিয়ে রয়েছে, পরিবহনের অসুবিধার জন্য সেগুলি সম্পূর্ণরূপে বিনিয়ােগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আশা করা যায় হয়তাে অদূর ভবিষ্যতে সকল প্রতিকূলতা, বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করে আসামের সম্পদগুলি পূর্ণ বিনিয়ােগ হবে। ফলস্বরূপ : আসাম শিল্পে উন্নত হবে এবং আসামবাসী অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সাবলম্বী হয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবে। সেদিন কবির স্বপ্ন স্বার্থক হবে এবং আমরা বলে উঠব – এমন দেশটি কোথাও
    খােজে পাবে না গাে তুমি সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি।

    See less
    • 0
  • 1
  • 7,533
  • 0
Answer
In: রচনা

রচনাঃ অসমের বন্যা ও তার প্রতিকার | Flood in Assam Essay in Bengali?

  1. Nibedita Paul

    Nibedita Paul

    • India
    • 41 Questions
    • 153 Answers
    • 8 Best Answers
    • 677 Points
    View Profile
    Nibedita Paul
    Added an answer on May 22, 2020 at 5:24 pm

    অসমের বন্যা ও তার প্রতিকার ভূমিকা : জলের অপর নাম জীবন। জল ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না। অথচ প্রকৃতির এমনই পরিহাস যে এই জলই আবার অপ্রত্যাশিতভাবে মানুষের জীবনে ধ্বংসের কারণ হয়ে দাড়ায়। সহস্র নাগিনীর মতাে ফণাতুলে ধেয়ে আসে জলের তরঙ্গমালা। তখনই বােঝা যায় আজও মানুষ প্রাকৃতিক শক্তির কাছে কত অসহায়। বন্যাRead more

    অসমের বন্যা ও তার প্রতিকার

    ভূমিকা : জলের অপর নাম জীবন। জল ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না। অথচ প্রকৃতির এমনই পরিহাস যে এই জলই আবার অপ্রত্যাশিতভাবে মানুষের জীবনে ধ্বংসের কারণ হয়ে দাড়ায়। সহস্র নাগিনীর মতাে ফণাতুলে ধেয়ে আসে জলের তরঙ্গমালা। তখনই বােঝা যায় আজও মানুষ প্রাকৃতিক শক্তির কাছে কত অসহায়। বন্যা এমনি এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ভারতমাতার বড় আদরের কন্যা রূপ লাবণ্যময়ী এই অসমের বন্যা জনিত দুঃখ প্রতি বছরের এক অভিশাপ।

    আসামের বন্যার প্রাকৃতিক কারণ : আসাম নদীমাতৃক দেশ। এ দেশ ভারতবর্ষের মধ্যে চতুর্দিকে পাহাড়-পর্বত বেষ্টিত একটি রাজ্য। এ রাজ্যে বন্যার প্রধান কারণ হলাে মহাবাহু দীর্ঘতম নদ ব্রহ্মপুত্র। একদা চীনদেশের হােয়াংহাে নদ যেমন ছিল চিনের দুঃখ, আসামের ব্রহ্মপুত্র নদের বেলায়ও আজকাল এরূপ বলা যায়। ১৯৫০ – সনের ভূমিকম্পের পর থেকে আসামে প্রায় প্রতি বছর প্রবল বন্যার আবির্ভাব ঘটে। বােধ হয় ভূমিকম্পের ফলে নদীখাত উপরে উঠে আসায় নদীগুলির জলধারণ ক্ষমতা কমে গেছে, তাই অল্প জল জমলেও তীর ভূমি প্লাবিত হয়।
    ব্রহ্মপুত্র নদ আসামের উত্তর পূর্ব সীমান্ত বর্তমান অরুণাচল প্রদেশ দিয়ে লােহিত নামে আসামে প্রবেশ করেছে। উত্তর পূর্ব সীমান্তের পর্বত শ্রেণিতে প্রচুর পরিমাণে তুষার সঞ্চিত হয়, বৃষ্টির জলের সঙ্গে গলিত এ তুষার স্থপ আসামের নদীগুলির সাথে মিশ্রিত হয়। আবার মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আসামে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও অধিক।অত্যধিক বৃষ্টিপাতের ফলে নদ-নদীগুলি ফুলে ফেঁপে উভয় তীর প্লাবিত করে সৃষ্টি করে বন্যার।

    আসামে বন্যার কৃত্রিম কারণ : আসামের পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষ জমচাষের জন্য বনজঙ্গল আর গাছপালা অনবরত কেটে চলছে। এর ফলে বর্ষার সময়ে প্রবল বৃষ্টিপাতে এসব অঞ্চলে ভূমিক্ষয় হয়ে বৃষ্টির জলের সঙ্গে মত্তিকা ফলে দিন দিন নদী গর্ভগুলি কৃত্রিমভাবে ভরে উঠেছে। আর নদীর স্বাভাবিক খরোস্রোতা হচ্ছে নষ্ট। এভাবে নদীর উপর উচু হয়ে জল ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে এবং অল্প বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে বন্যার। এভাবে দেখা যাচ্ছে বর্ষার আরম্ভ থেকে শেষ পর্যন্ত পাঁচবার বন্যা এসে জনজীবন বিপর্যস্ত করছে।

    বন্যার অতর্কিতে আবির্ভাব : বর্ষাকালে সাধারণত অতি বৃষ্টির ফলে জল ফুলে ফেপে তার শাখা নদীগুলিকে স্ফীত করে উপচিয়ে পড়ে। কখনও নদী বাধ’ বা স্থানে স্থানে বাঁধ ডিঙিয়ে প্রচণ্ড বেগে জনপদ আর শস্যক্ষেত্র গ্রাস করে যেন মায়াবী অজগর ভাঙ্গা বাঁধের সরুপথে গলে বের হয়ে ছুটছে আর ভয়ঙ্করভাবে সে দুর্নিবার বেগে সরু দেহখানিকে বিস্তার করছে, সম্মুখে যা পড়ছে তা-ই এ অজগর গ্রাস করে নিচ্ছে। এভাবে বাঁধ ভেঙ্গে ঘরবাড়ি, গ্রাম, প্রান্তর ভাসিয়ে মুহুর্তে সব একাকার করে দেয়। মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার সুযােগ দেয় না। এভাবে অতর্কিতে আবির্ভাব হয় বন্যার।

    বন্যার ভয়াবহ রূপ : মানুষের বহুদিনের বহু কষ্টে সাজানাে ঘরদোর জলাঞ্জলি দিয়ে আবালবৃদ্ধবনিতা তখন পালানাের পথ পায় না। কাছে উচু টিলা বা উচু জায়গা, পাকা বাড়ির ছাদ, উঁচু সরকারি কার্যালয় যেখানে পারে সেখানেই আশ্রয় লওয়ার চেষ্টা করে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষ অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্টের সম্মুখীন হয়। শিশু ও বৃদ্ধ আর গরু, মহিষ, ছাগল, কুকুর প্রভৃতির অধিকাংশ তখন রক্ষা পায় না। জলের তীব্রবেগে গাছ, বাঁশঝাড় উপড়িয়ে ঘর ভেঙ্গে ভেসে নিয়ে চলে। দিগন্ত • জুড়ে একটা সাগর যেন অনন্ত ক্ষুধায় হাঁ করে আসছে। যেদিকে যতটুকু তাকানাে যায়কবির ভাষায় –
    ‘জল আর শুধ
    দেখে দেখে চিত্ত তার হয়েছে বিকল ।
    খল জল ছলভরা তুমি লক্ষ ফণা
    ফুসিছে গর্জিছে নিত্য করিছে কামনা।
    মৃত্তিকার শিশুদের লালায়িত মুখ।

    এভাবে এক একটা অঞ্চল ধুইয়ে মুছে বন্যার গর্ভে লীন হয়ে যায়। মানুষ চোখের সম্মুখে দেখতে পায় ঈশ্বরের রুদ্র মহিমা। বন্যার ফলে যে শুধু বন্যা দুর্গত অঞ্চলই ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাই নয়, সমগ্র রাজ্যেই এর প্রভাব অনুভূত হয়।

    বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলি : ভৌগােলিক মানদণ্ডে আসামের সমস্ত ভূ-খণ্ডকে দুভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা – (১) ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা ও (২) বরাক উপত্যকা। বর্ষার আরম্ভেই এ দুটি এলাকার ব্রহ্মপুত্র ও বরাক নদী এবং তাদের উপনদীগুলি প্রলয়ঙ্করী রূপ নেয়। এর ফলে ব্ৰহ্মপত্র ও তার উপনদীগুলির দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় উজান আসামের ধেমাজি, ডিব্ৰুগড়, তিনসুকিয়া, উত্তর লক্ষীমপুর আর নিম্ন আসামের গােয়ালপাড়া; ধুবড়ী, বরপেটা প্রভৃতি জিলা। আবার বরাক ও তার উপনদীগুলির দ্বারা কাছাড়, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি প্রভৃতি জেলায় হাহাকার সৃষ্টি হয়।

    বন্যার জল নেমে যাওয়ার পরবর্তী অবস্থা ? যাই হােক, মানুষ সামাজিক জীব। তাই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে একে অন্যের সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়, এগিয়ে আসে অনেক স্বেচ্ছাচারী সংগঠন।
    জীবনে যেভাবে কোন দুঃখই চিরস্থায়ী নয়। তাই এ জল-প্লাবনও ধীরে ধীরে কমতে থাকে তখন গ্রাম জাগে কিন্তু কি এক কদর্য রূপধারণ করে চারদিকে পচা দুর্গন্ধ। শস্যক্ষেত্র বিধ্বস্ত, নষ্ট হয়েছে ফসল, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, বিধ্বস্ত হয়ে রয়েছে ঘরবাড়ি। প্রতিটি জেলায়ই মৃত্যুর সংবাদ। সড়ক ও টেলিযােগাযােগ, জল-বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।

    বন্যার উপকার : বন্যা যে শুধু অনিষ্ট সাধন বা ধ্বংস করে তা নয়। বন্যার ফলে পাহাড়-পর্বত হতে আনিত পলিমাটির দ্বারা জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়। বাঁধভেঙ্গে জলের সঙ্গে পলিমাটি এসে বড় বড় মাঠের শষ্যক্ষেতের উর্বরা শক্তি বাড়িয়ে দেয়। তা ছাড়া শহর বন্দরের আবর্জনা ধুইয়ে প্রকৃতি নির্মল করে। গাছ-পালা, ফসল সবুজে সবুজ হয়ে উঠে।

    প্রতিকারের ব্যবস্থা : ব্ৰহ্মপুত্ৰ বন্যা-নিয়ন্ত্রণ আয়ােগ গঠিত হলেও এ বিষয়ে কিছুই কাজ হয়নি। আসাম সরকার নিজস্ব উদ্যোগে নদীগুলির বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দেবার ব্যবস্থা করেছেন কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সুতরাং যে সব নদীতে প্রতি বৎসর বন্যা দেখা দেয় সেসব নদীর কয়েকটি উপধারা সৃষ্টির প্রয়ােজন। তাছাড়া বড় বড় নদীগুলির কাছাকাছি যে সকল ছােট ছােট নদী আছে তাদের সঙ্গে যােগসূত্র স্থাপন করে জলের স্রোতের দিক পরিবর্তন করে বন্যার বেগ কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে। বাঁধগুলিকে চীন, জাপান প্রভৃতি দেশে যেভাবে বৈজ্ঞানিক সম্মতভাবে তৈরি করা হয়েছে আসামের নদীগুলির বাঁধগুলিও সেভাবে তৈয়ার করা প্রয়ােজন। পাহাড়ের জল বৃহৎ জলাধারে সঞ্চিত রেখে তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনও সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে বরাকের ‘টিপাইমুখ’ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বরাক উপত্যকার বন্যা বহুলাংশে কমানাে সম্ভব। উত্তর পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ী অঞ্চলের জুম চাষ বন্ধ করা একান্ত প্রয়ােজন। বিকল্প ব্যবস্থা দ্বারা নদীগর্ভ খনন করানাে উচিত। তাহলে নদীর জলধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি হবে। এ কাজগুলি আসাম সরকারের অবশ্যই কর্তব্য।

    উপসংহার : গ্রহান্তরে পাড়ি জমালেও মানুষ আজও প্রকৃতির হাতে অসহায় । আসামের ভয়াবহ বন্যা মাঝে মাঝে আমাদের একথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। তবুও ঈশ্বরের উপর ভরসা রেখে এ আশা প্রকাশ করা চলে যে আসামের জনজীবন একদিন বন্যার অভিশাপ হতে অবশ্যই মুক্ত হবে।

    See less
    • 0
  • 1
  • 16,967
  • 0
Answer
In: রচনা

রচনাঃ ভয়ংকর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় | Prakritik Biporjoy Essay in Bengali?

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 0 Questions
    • 373 Answers
    • 7 Best Answers
    • 3 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on May 16, 2020 at 12:10 am

    ভয়ংকর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় ভূমিকা – প্রকৃতির রূপমুগ্ধতায় মানুষ যেমন দিশেহারা হয় তেমনি প্রকৃতির রুদ্র ভয়ংকর রূপের কাছে মানুষের অসহায়তার সীমা থাকে না। মানুষ প্রকৃতিকে আজও ১ শতাংশ বুঝে উঠতে পারে নি – তাই তাে তার প্রলয়ংকরী রূপ মাঝে মাঝে মানুষকে নাস্তানাবুদ করে তােলে। মানুষের হাজারাে গবেষণা তাই তাRead more

    ভয়ংকর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়

    ভূমিকা – প্রকৃতির রূপমুগ্ধতায় মানুষ যেমন দিশেহারা হয় তেমনি প্রকৃতির রুদ্র ভয়ংকর রূপের কাছে মানুষের অসহায়তার সীমা থাকে না। মানুষ প্রকৃতিকে আজও ১ শতাংশ বুঝে উঠতে পারে নি – তাই তাে তার প্রলয়ংকরী রূপ মাঝে মাঝে মানুষকে নাস্তানাবুদ করে তােলে। মানুষের হাজারাে গবেষণা তাই তাে বার বার পর্যদস্ত হয়। বর্ষার নদীর উন্মত্ত তরঙ্গকে যেমন বেঁধে রাখতে পারে নি মানুষ তেমনি আজও পারেনি সমুদ্রের দিকে অঙ্গলি সংকেত করে বিশেষ সীমায় তাকে বেঁধে রাখতে। আর মানুষের সভ্য সুন্দর সভ্যতা বার বার ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় যখনই প্রকৃতি নির্মম শােধ নেয়। প্রকৃতির এই আচরণকে ইংরেজিতে বলে –‘Nature red in tooth and claws। প্রকৃতির এমনই এক নির্মম মূর্তির মুখােমুখি হল ২০০৪ সালের ২৬শে ডিসেম্বর রবিবার সকালে। প্রকৃতির নির্মমতা রূপ নিল সুনামী নাম্নী সমুদ্রদানবরূপে। সুনামি আজ গােটা বিশ্বের মানুষের কাছে আতঙ্কগ্রস্ত দুঃখ বিহুল করা ভয়ংকর এক শব্দ, ভয়ংকর এক নাম।

    সুনামি কী? সুনামি (Tsunami) কথাটি জাপানী শব্দ। সমুদ্রতলে প্রচণ্ড ভূমিকম্পের ফলে সমুদ্রতীর ছাপিয়ে যে ভয়ংকর জলােচ্ছ্বাস দেখা দেয় – তাই সুনামি। ভূবিজ্ঞানীদের অভিমতানুযায়ী, সমুদ্র তলদেশে ভূকম্পনের দরুণ একটি স্তর আর একটি স্তরের উপরে উঠে গেলে যে ফাটলের সৃষ্টি হয় ও সেই ফাটল দিয়ে পাক খেয়ে। জল ওপরের দিকে ওঠে এবং যার ফলে ঢেউ তৈরি হয় সেই ঢেউ প্রচণ্ড গতিবেগে গভীর সমুদ্র দিয়ে এগিয়ে যায়। তীরের কাছে এসে সেই জলরাশির গতিবেগ কমে গেলেও বেড়ে যায় উচ্চতা। প্রায় ১০ মিটার উচ্চতার জলরাশি সমুদ্রের তীরভূমিতে ছাপিয়ে পরে। আর তাতেই ধুয়ে মুছে একাকার হয়ে যায় মানুষের হাতে তৈরি সুন্দর সভ্য জনজীবন।

    ২৬শে ডিসেম্বরের সুনামির আঘাত – ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা উপকূলের কাছে ভারত মহাসাগরের ৪০ কিলােমিটার নিচে ৮.৯ মাত্রার যে ভূমিকম্প হয় সেই ভূমিকম্পই দক্ষিণ-পূর্ব। এশিয়ার কয়েকটি দেশে চরম বিপর্যয় ডেকে আনে। সুমাত্রার সমুদ্রতলে এই ভূকম্পনের পর পরই আন্দামানের নিকটবর্তী সমুদ্রতলে আর একটি কম্পন হয়, ফলে সমস্যা আরও ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। ভূকম্প বিশেষজ্ঞদের মতে, সুমাত্রা কাছে সমুদ্রতলে কেন্দ্রীভূত ভূমিকম্পের ধ্বংসাত্মক শক্তি ছিল একটি পারমাণবিক বােমার থেকেও ১০ লক্ষ গুণ অধিক। এই ভয়ংকর তাণ্ডবের অনিবার্য প্রভাবে উপকূলে ঝাপিয়ে পড়ে সুনামি।।

    ক্ষয়ক্ষতি – ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলি হল ইন্দোনেশিয়া, সুমাত্রা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপ, কেরালা, তামিলনাড়ু, ওড়িশা আর আফ্রিকার সােমালিয়া। টাকার অঙ্কে ক্ষতির পরিমাণ সামগ্রিকভাবে কোনদিনই জানা যাবে না। বিগত ৪০ বছরের মধ্যে ভয়ংকরতম দুর্বিপাক। গত একশ বছরের শক্তির নিরিখে পঞ্চম স্থানাধিকারী সুনামি। সুনামির আঘাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে হাজার হাজার বাসভূমি, মারা গেছে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ, নষ্ট হয়েছে ফসল, বনসম্পদ, প্রাণ হারিয়েছে জীবজন্তু – বহু মানুষ যারা সুনামিতে প্রাণে বেঁচে গেছেন তাঁরা মানসিক ব্যাধিতে ভুগছেন, পরিবর্তন হয়েছে কোথাও কোথাও ভৌগলিক মানচিত্রও। প্রিয়জন হারানাের যন্ত্রণা নিয়ে আজও বেঁচে আছে বহু মানুষ।

    ত্রাণ ও পুণর্গঠন – এই চরম বিপর্যয়ে পূর্ণ উদ্যমে বহু মানুষ ত্রাণ ও পুণর্গঠনের কাজে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ ঘােষণা করেছে ৫০০ কোটি ডলার সাহায্যের ব্যবস্থা করবে তারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, চীন, জাপানও সাহায্য করবে বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। ভারতবর্ষের সরকার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং জনসাধারণও ত্রাণ ও পুণর্গঠনের কাজে এগিয়ে এসেছে, এছাড়া বেশ কিছু সংবাদপত্র ত্রাণ তহবিলের মাধ্যমে অর্থসাহায্য করেছে।

    উপসংহার – সুনামি আমাদের কাছে এক বাস্তবচিত্র রেখে গেছে – আজও যে প্রকৃতির কাছে মানুষ শিশু এরই প্রমাণ দিয়ে গেছে – এছাড়া নানা সামাজিক অবক্ষয়ে মানুষের মানবিকতাবােধ মূল্যহীন হয়ে গেছে এই ভাবনাকে ভ্রান্ত প্রমাণ করে মানুষ মানুষের পাশে দাড়িয়েছে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে অকপটে। এখন ভাবনা কিভাবে আমরা এই সুনামির কবল থেকে রক্ষা পাব? দিল্লির মৌসম ভবনের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ দপ্তরের বিশেষজ্ঞ, অসীমকুমার ঘােষ বলেছেন, “ঘূর্ণিঝড়ের আগাম পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হলেও ভূমিকম্পের পূর্বাভাস আমরা দিতে পারি না।” তাহলে সুনামি থেকে পরিত্রানের উপায়? বিশেষজ্ঞদের মতে ‘সুনামি’ থেকে পরিত্রাণের উপায় প্রবাল প্রাচীর আর ম্যানগ্রোভ বা লবণাম্ব উদ্ভিদ, দুটোই প্রাকৃতিক – মানুষের চেষ্টা থাকবে এই দুটোরই সমুদ্র উপকূলভাগে বাড়ানাের উদ্যোগ। কালক্রমে আর সুনামি ভয়ংকর। রূপ নিতে নিজেই যেন ভয় পায় এমন চেষ্টা মানুষকে করতে হবে।

    See less
    • 1
  • 1
  • 5,288
  • 0
Answer
In: রচনা

রচনাঃ জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদ | Jatiya Sanhati Essay in Bengali or National Integration Essay in Bengali?

  1. Nibedita Paul

    Nibedita Paul

    • India
    • 41 Questions
    • 153 Answers
    • 8 Best Answers
    • 677 Points
    View Profile
    Nibedita Paul
    Added an answer on May 15, 2020 at 1:29 pm
    This answer was edited.

    ভারতের জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদঃ নানা জাতি, নানা মত, নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান।” – রবীন্দ্রনাথ ভূমিকা – নানা জাতি গােষ্ঠীর সমন্বিত দেশ আমাদের ভারতবর্ষ। সুদূর প্রাচীন কাল থেকে ভারত দেহে লীন হয়েছে বহু জাতির মানুষ – এদের ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্নতাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ভাষাগতRead more

    ভারতের জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদঃ

    নানা জাতি, নানা মত, নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান।” – রবীন্দ্রনাথ

    ভূমিকা – নানা জাতি গােষ্ঠীর সমন্বিত দেশ আমাদের ভারতবর্ষ। সুদূর প্রাচীন কাল থেকে ভারত দেহে লীন হয়েছে বহু জাতির মানুষ – এদের ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্নতাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ভাষাগত, ব্যবহারগত, জীবনচর্যাগত ও সংস্কৃতিগত পার্থক্য – তবুও বিবিধের মাঝে মিলন চিন্তাই সংহতি ও ঐক্যের সাধনারই ফল।

    দেশপ্রেমের আদর্শ – ভারতের মাটিতে আছে দেশপ্রেমের আদর্শ। এখানে জননী ও জন্মভূমি স্বর্গ অপেক্ষা গরীয়সী। মা মাটি মানুষ একাকার হয়ে আছে এখানে। এই দেশের জন্য সব ত্যাগ করা যায় আর এই দেশপ্রেমের আদর্শই দেশের সার্বিক কল্যাণের পথ।

    জাতীয়তার আদর্শ – অখণ্ড দেশ ও জাতীয় চেতনা থেকেই জাতীয়তার আদর্শ ও ঐক্যভাবনা। এই জাতীয়তাবােধ থেকেই জাতীয় সংহতি, যার মূল মন্ত্র – ‘এক জাতি, এক প্রাণ, একতা’ । ইংরেজ শাসনকালের বহুপূর্বে আমাদের জাতীয় সংহতি অক্ষুন্ন ছিল, তার প্রমাণ খণ্ড ছিন্ন ভারতভূমিকে একসূত্রে গ্রথিত করা এবং মৈত্রী ভাবনায় জাতীয় সত্যের আলােকে দেশকে ভালােবাসা।

    জাতীয় সংহতির অন্তরায় – জাতীয়তাবােধ থেকেই জাতীয় সংহতির জন্ম। জাতীয় জীবনে সংহতিবােধ না থাকলে দেশে বিচ্ছিন্নতাবাদ প্রবল হয়ে উঠে দেশকে নানা বিপর্যয়ের সম্মুখীন করে।

    বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িকতা – বহু মানুষের আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেমের থেকে যে জাতীয়তাবােধের জন্ম হয়েছিল তা আজ চন্দ্রের কলঙ্কের মতােই বর্তমান ভারতবর্ষে দেখা দিচ্ছে সংহতির নেতিমূলক মানসিকতা তথা বিচ্ছিন্নতার চিন্তা। ভারত স্বাধীন হল ঠিকই কিন্তু পাকিস্তান বিভাজন প্রথম বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িকতার দরজা উন্মােচন করল যার ফল আমরা এখনও ভােগ করছি। এছাড়া রয়েছে সময় এগিয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে আঞ্চলিকতার সমস্যা, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, ভাষাগত ভেদপ্রবণতা। বহু জায়গায় দেখা দিয়েছে সংকীর্ণ প্রাদেশিকতা, যেমন – আসামে ‘বিদেশী খেদা আন্দোলন। সংস্কৃতিগত পার্থক্যও বহু অঞ্চলে বিচ্ছিন্ন বিভেদকামী শক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন আন্দোলনে সামিল হয়েছে যেমন পাঞ্জাবে খালিস্তানী আন্দোলন, গাের্খাল্যান্ডের জন্য আন্দোলন, মাওবাদী আন্দোলন, আরও নানান উগ্রপন্থী আন্দোলন এর প্রমাণ।

    বিদেশী শক্তির মদত – এশিয়া মহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শক্তি ও বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতকে দুর্বল করার জন্য, অশান্তির আগুন জিইয়ে রাখার জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি তৎপর। পাকিস্তানের গােয়েন্দা সংস্থা আই.এস.আই. সমরিক প্রশিক্ষণ, অত্যাধুনিক অস্ত্র ও অর্থ সাহায্য দিয়ে চলেছে, তাই কাশ্মীরী জঙ্গী ও অন্যান্য উগ্রপন্থীরা এ.কে.৫৬ রাইফেল, রকেট ও গ্রেনেডের মতাে অস্ত্র নিয়ে ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আফগানিস্থান ও অন্যান্য দেশ থেকে ভাড়াটে সৈন্যরা এসে জঙ্গী সংগ্রামে হাত মিলিয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের জঙ্গী গােষ্ঠী মায়নামার, বাংলাদেশ প্রভৃতি সীমান্তবর্তী রাষ্ট্রে নিরাপদ আশ্রয় পাচ্ছে। এইভাবে কিছু বিদেশী চক্রান্তকারীদের সহযােগিতায় কিছু বিচ্ছিন্নতাকামী মানুষ দেশকে জঙ্গীগােষ্ঠীর কাছে ছেড়ে দিচ্ছে; এরা জাতীয়তাবােধের অর্থ না বুঝে সংকীর্ণ জাতীয় চেতনায় প্রমত্ত হয়ে উঠেছে। আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে এর প্রতিরােধ করতেই হবে।

    ভারতীয় সংবিধানের স্বরূপ ও সংহতির উপায় – ভারতের সংবিধানে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। সব রাজ্যগুলি নিজ নিজ ক্ষমতা ও বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রেখে সেগুলির সমন্বয়ের জন্য এই যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার একান্ত অনুকূল জাতীয় সংহতির আদর্শ এবং সংবিধানের মূল কাঠামােতে এই আদর্শকে রূপদানের কথা বিশেষভাবে বলা আছে। ভৌগােলিক সীমার মধ্যে যতই অসুবিধা থাক না কেন, জাতীয় সংহতিকে বাস্তবায়িত করা কোনমতে সম্ভব নয় এ ভাবনা আনাও অন্যায়।

    উপসংহার – আজ জাতির সামনে বড়াে পরীক্ষা জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদ। ভারত আমার মা – আর সেই মা কে অক্ষত রেখে দেশকে সমৃদ্ধতর করাই জাতীয় সংহতির আদর্শ। দেশের সার্বিক উন্নয়নে বিচ্ছিন্নতাবােধ, সাম্প্রদায়িক চেতনা ও স্বার্থচিন্তা দূর করে আমরা মিলিত হতে যেন পারি ‘এক জাতি, এক প্রাণ, একতা’ নামক জাতীয় সংহতির জাতীয় চেতনার পতাকাতলে। আর এই সংহতিবােধের জন্য চাই আবেগাত্মক আদর্শের সঙ্গে ব্যবহারিক বিচারবুদ্ধির অতন্দ্র দূরদর্শিতার সঠিক সাযুজ্য। তাইতাে –
    তােমার দেওয়া এ বিপুল পৃথিবী সকলে করিব ভােগ,
    এই পৃথিবীর নাড়ী সাথে আছে সৃজন-দিনের যােগ।

    See less
    • 0
  • 1
  • 9,676
  • 0
Answer
In: রচনা

রচনা : একটি পাখির আত্মকথা | Autobiography of a Bird in Bengali

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 16 Questions
    • 418 Answers
    • 14 Best Answers
    • 2,115 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on November 5, 2020 at 1:47 am

    একটি পাখির আত্মকথা আমি একটি ছোট্ট পাখি।ক্ষুদ্র একটি ডিম থকে আমার এই পৃথিবীতে আসা । আমার বাবা-মা আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। তারা আমাকে সব কিছু শিখিয়েছে, কিভাবে উড়তে হয়, কিভাবে থাকতে হয় কোন ছিমছাম বাসায়। তাদের হাত ধরেই আমি দেখলাম উজ্জ্বল এই পৃথিবীর আলো এবং তাঁর মায়াবী পরিবেশ। আমার বাবা-মা আমাকে আত্মবিশ্Read more

    একটি পাখির আত্মকথা

    আমি একটি ছোট্ট পাখি।ক্ষুদ্র একটি ডিম থকে আমার এই পৃথিবীতে আসা । আমার বাবা-মা আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। তারা আমাকে সব কিছু শিখিয়েছে, কিভাবে উড়তে হয়, কিভাবে থাকতে হয় কোন ছিমছাম বাসায়। তাদের হাত ধরেই আমি দেখলাম উজ্জ্বল এই পৃথিবীর আলো এবং তাঁর মায়াবী পরিবেশ।

    আমার বাবা-মা আমাকে আত্মবিশ্বাসী হতে শিখিয়েছে । তারা আমাকে প্রতিদিন যত্ন করে খাওয়াত এবং আমাকে স্বাচ্ছন্দ্য রাখত সুন্দর একটি বাসায়।রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকারে আমাকে জড়িয়ে রাখত তাদের পালকের নিচে। তারা আমাকে শিখিয়েছিল দৈনন্দিন জীবনে বেঁছে থাকার সব কলা কৌশল।

    আমার জীবনের সবচেয়ে খুশির দিন, যেদিন আমি উড়তে শিখলাম। কারন একটি পাখির জীবন মানেই তো উড়তে থাকা। ধীরে ধীরে আমি সম্পূর্ণরূপে উড়তে শিখলাম। প্রতিদিন নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করলাম, জানলাম নিজেকে এবং এই সুন্দর পৃথিবী কে।

    আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিনটি ছিল যেইদিন যখন আমি নিজের বাড়ি ত্যাগ করলাম। যাত্রা করলাম নতুন ঠিকানার উদ্দেশ্যে, নতুন দিনের আশায়।নিজেকে সেই দিন খুবই একা মনে হল। আমাকে পোহাতে হলো অনেক কষ্ট ও যন্ত্রণা। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নিজেকে মানিয়ে নিলাম নতুন পরিবেশে। দেখা হলো অন্যান্য পাখিদের সঙ্গে এবং গড়ে উঠলো নতুন বন্ধুত্ব।

    আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর নাম অহনা। আমরা সারা বছর জুড়ে একসঙ্গে উড়ে বেড়াই পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায়। ঋতুভেদে আমাদেরকে আশ্রয় নিতে হয় ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে। উড়তে উড়তে চোখে পড়ে সুন্দর এই পৃথিবীর সবুজ বনাঞ্চল, গাছে ভরা পাহাড় পর্বত আরো কত অপরূপ দৃশ্য। এইজন্য নিজেকে কখনো কখনো খুব সৌভাগ্যবান মনে হয় কারণ অন্য কোন প্রাণী হয়ে এই পৃথিবীতে আসলে হয়তো এই সৌন্দর্য উপভোগ করার কোন সুযোগ থাকত না। বিনা বাধায়, বিনা দ্বিধায় উড়তে পারার ক্ষমতাকে আমি খুবই উপভোগ করি। পৃথিবীতে পাখি হয়ে জন্ম গ্রহন করে আমি খুবই ধন্য।

     

    See less
    • 0
  • 1
  • 9,265
  • 0
Answer
In: রচনা

রচনা : বনভোজন | Bengali essay on Picnic for School student?

  • 0
  • 8,498
  • 0
Answer
In: রচনা

রচনা : শিক্ষা মূলক ভ্রমণ | Shikha mulok bhraman essay in Bengali

  • 0
  • 7,993
  • 0
Answer
In: রচনা

রচনা : দেশ ভ্রমণ | Essay on Travelling in Bengali for school student?

  • 0
  • 4,820
  • 0
Answer
Load More Questions

Sidebar

আরও দেখুন

  • আসামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রচনা | Natural Beauty of Assam Essay in Bengali Language?
  • আসামের প্রাকৃতিক সম্পদ রচনা | Natural resources of assam essay in bengali language?
  • রচনাঃ অসমের বন্যা ও তার প্রতিকার | Flood in Assam Essay in Bengali?
  • রচনাঃ ভয়ংকর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় | Prakritik Biporjoy Essay in Bengali?
  • রচনাঃ জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদ | Jatiya Sanhati Essay in Bengali or National Integration Essay in Bengali?
  • রচনা : একটি পাখির আত্মকথা | Autobiography of a Bird in Bengali
  • রচনা : বনভোজন | Bengali essay on Picnic for School student?
  • রচনা : শিক্ষা মূলক ভ্রমণ | Shikha mulok bhraman essay in Bengali
  • রচনা : দেশ ভ্রমণ | Essay on Travelling in Bengali for school student?
  • সংকিপ্ত রচনা : কুকুর | Short Essay on Dog in Bengali
  • রচনা : আমার মা | Amar Maa Bengali Essay for school student?
  • রচনা : একটি গাছ একটি প্রাণ | One tree one life paragraph in Bengali
  • রচনা : আমার প্রিয় খেলা ব্যাডমিন্টন | Amar Priyo Khela Badminton Essay in Bengali
  • রচনাঃ গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরী | Library Essay in Bengali language
  • রচনাঃ একটি নদীর আত্মকথা | Autobiography of a river in Bengali
  • রচনাঃ একটি বট গাছের আত্মকথা | Autobiography of a banyan tree in bengali
  • গরু রচনা | Goru rochona in bengali or shonkipto bangla guru rachana
  • রচনা : পরিবেশ সংরক্ষণ ও তার প্রয়োজনীয়তা | Write an essay on environment in bengali
  • রচনা : আমার পরিবার | Essay on my family in bengali
  • রচনা : বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য | Unity in diversity essay in bengali language
Join us on Telegram
Join our FaceBook Group

বিষয়

All Bangla Paragraph (105) Bangla GK (177) Bangla Kobita (203) Bangla Rachana (105) Bengali Meaning (259) Bengali Poems (124) English to Bengali Meaning (270) English to Bengali Translation (256) Kobita (143) অনুচ্ছেদ (127) বাংলা অর্থ (275) বাংলা কবিতা (219) বাংলা বাক্য রচনা (176) বাংলা রচনা (127) বাক্য রচনা (176)

Footer

© 2020 Bengali Forum · All rights reserved. Contact Us

Add Bengali Forum to your Homescreen!

Add