খেয়া কবিতার সারাংশ ও বিষয়বস্তু (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) kheya poem summary in bengali
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
জিজ্ঞেস করুন আপনার যে কোনো প্রশ্ন আর যুক্ত থাকুন সবসময়
Create A New Account
Hridoy
সারাংশ :
খেয়া কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত চৈতালি কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। রবীন্দ্রনাথ পতিসরের নাগর নদী ভ্রমণকালে থাকা অবস্থায় এই কবিতা রচনা করেছিলেন। কবি নদীর তীরে গড়ে ওঠা সরল গ্রাম্য জীবনধারা এই কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
খেয়া রবীন্দ্রনাথের একটি উল্লেখযোগ্য কবিতা। এই কবিতায় সভ্যতার দুইটি দিক; কোলাহল মগ্ন নগর এবং শান্তি প্রবন গ্রামাঞ্চলের জীবনের চরিত্র ফুটে উঠেছে।
কবিতার প্রথমেই সহজ সরল গ্রামাঞ্চলের শান্তিপ্রিয় মানুষের জীবনের বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। নদীর দুই তীরে দুইটি গ্রাম কিন্তু এই দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক, জানাশোনা। নিত্যদিন ওরা খেয়ার মাধ্যমে এক গ্রাম হইতে অন্য গ্রামে আসা-যাওয়া করে। তাই খেয়ে নৌকা হয়ে উঠেছে দুই পাড়ের মানুষের আত্মীয়তার অনন্য বাহন।
গ্রামের মানুষ গুলি এতই সহজ যে ওরা বাইরের জগৎ সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। বহির্বিশ্বে কত না যুদ্ধ-বিগ্রহ লড়াই অবিরাম হয়ে যাচ্ছে আর কত না ইতিহাস নিত্যদিনে গড়ে উঠছে। ক্ষমতার লড়াই এর ফলে হচ্ছে রক্তপাত, যুদ্ধ। আর সেই যুদ্ধে কেহ বা ক্ষমতা অর্জন করছে আর কেহ ক্ষমতাচ্যুত হয়ে যাচ্ছে।
রক্তপ্রবাহের মাঝে ফেনাইয়া উঠে
সোনার মুকুট কত ফুটে আর টুটে
অর্থাৎ কত রাজা বা ক্ষমতাবান সরকার যুদ্ধে পরাজিত হচ্ছে আর যুদ্ধে জয় লাভ করছে। এ সবকিছুই যেন এই গ্রামের মানুষদের ছুইতে পারে নাই।
মানুষের সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টি হচ্ছে নতুনত্বের। বিজ্ঞানের অগ্রগতি মানব সভ্যতাকে নিয়ে এসেছে এক নতুন স্থানে। মানুষের মনে তৃষ্ণা জেগেছে না জানাকে জানার, অসম্ভবকে সম্ভব করার। তাই আবিষ্কৃত হচ্ছে নতুন পদ্ধতি নতুন প্রযুক্তি। আর তার সঙ্গে উঠছে অনেক হলাহল অর্থাৎ বিশৃঙ্খলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কিন্তু নদীর এই দুই তীরবর্তী গ্রাম তার ব্যতিক্রম। এখানে নেই কোনো নতুনত্ব, নেই কোনো অগ্রগতি, নেই কোন বহির্বিশ্বের খবর।
এই খেয়া চিরদিন চলে নদীস্রোতে
তাদের সরল জীবনযাত্রায় কোন বাধাপ্রাপ্ত হয় নাই। গ্রামের দুই পারের মানুষের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব-সংঘাত ঘটেনি বরং ওদের মধ্যে রয়েছে মিলন, ভালোবাসা এবং আদান প্রদান। তাদের জীবনের নদীস্রোত নদীর খেয়ার মত চলে যাচ্ছে অবলীলায়।
মূলভাব :
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই কবিতার মাধ্যমে নগরজীবনের বা উন্নত সভ্যতার অন্ধকার দিক কে তুলে ধরেছেন। যদিও নগরজীবন বা আধুনিক সভ্যতা গ্রামাঞ্চলের মানুষ থেকে অনেক উন্নত কিন্তু তাদের মধ্যে মিল নেই, মায়া নেই বরং সংঘাত এবং দ্বন্দ্বে পরিপূর্ণ। আর তার বিপরীতে গ্রাম্য জীবনযাত্রা অনুন্নত হওয়া সত্বেও তাদের মধ্যে রয়েছে নিবিড় মিলন, ভালোবাসা একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা।
Roy Dipen
খেয়া কি শব্দ ?
Hridoy
খেয়া – বিশেষ্য পদ
খেয়া বলতে নদী পারাপারে ব্যবহৃত নৌকা কে বুঝায়।